• ২৩ আশ্বিন ১৪৩২, রবিবার ১২ অক্টোবর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bengali

বিনোদুনিয়া

মাত্র ২৪-এ চলে গেলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা, ২০ দিনের যাবতীয় লড়াই শেষ

অবশেষে জীবনযুদ্ধে হার মানতে হল অভিনেত্রীকে। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই চলে গেলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। ২০ দিন ধরে তিনি ভর্তি ছিলেন হাওড়ার হাসপাতালে। হাসপাতালে সর্বক্ষণ ছিলেন সব্যসাচী চৌধুরী, রয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাঁর মা।গতকাল রাতে টানা ১০ বার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে ঐন্দ্রিলার। ২০ দিন আগে অভিনেত্রীর স্ট্রোক করায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর আগে ২০১৫-তে বোন ম্যারো ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। দিল্লিতে সেই সময় কেমো থেরাপি চলেছিল। ২০১৬-তে সুস্থ হন তিনি। ক্যানসারকে হারিয়ে দিব্যি অভিনয় করছিলেন। এরপর ২০২১-এ ডান ফুসফুসে টিউমার ধরা পড়েছিল। শেষমেশ হার মানলেন ঐন্দ্রিলা। এদিন ১২টা ৫৯ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে টলিউডে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নভেম্বর ২০, ২০২২
দেশ

বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে ধৃত জামালপুরের দম্পতির পরিচয়ের খোঁজে জেলায় বেঙ্গালুরু পুলিস

অনুপ্রবেশকারী অভিযোগে পশ্চিম বাংলার দম্পতি জেলে বন্দি। বেঙ্গালুরু পুলিশ নগরিকত্ত্বের তথ্য যাচাই করতে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে চষে বেড়ালো। বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী অভিযোগে বেঙ্গালুরুর জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে রাজ্যের এক শ্রমিক দম্পতিকে। রেহাই পায়নি তাঁদের দেড়বছরের শিশু পুত্রও। প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে শিশু পুত্র আদিকে সঙ্গে নিয়েই বেঙ্গালুরুর জেলে দিন কাটাচ্ছেন অসহায় দম্পতি পলাশ অধিকারী ও শুক্লা অধিকারী।বেঙ্গালুরুর ভারথুর থানার পুলিশ এখন এরাজ্যে এসে বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরে ঘুরে নথি সংগ্রহ করছেন। তার মাধ্যমে তাঁরা নিশ্চিৎ হতে চাইছেন, তাঁদের করা মামলার জেরে বেঙ্গালুরুর জেলে বন্দি থাকা দম্পতি আদৌ কি বাংলাদেশি! নাকি তারা প্রকৃতই ভারতীয় নাগরিক। এমনটা জেনে অধিকারী পরিবারের প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, এবার হয়তো পলাশ এবং তাঁর স্ত্রী ও পুত্র জেল থেকে মুক্তি পাবে।দম্পতি পলাশ অধিকারী ও শুক্লা অধিকারী পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার জৌগ্রাম পঞ্চায়েতের তেলে গ্রামের বাসিন্দা। পলাশ ও তাঁর পরিবারের সবাই শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। পলাশ স্ত্রী শুক্লাদেবী ও শিশু পুত্র আদিকে সঙ্গে নিয়ে চলতি বছরের জুন মাসের শেষের দিকে পলাশ কর্ণাটক রাজ্যের বেঙ্গালুরূ যান। একই উদ্দেশ্যে পলাশের বাবা পঙ্কজ অধিকারী এবং মা সবিতাদেবীও বেঙ্গালুরু যান। সেখানকার মারাথাহাল্লি (Marathahalli) মহকুমার ভারথুর (varthur) থানার সুলিবেলে (sulibela) গ্রামের কায়েন খাঁনের ডেরায় তারা ওঠেন।সেখানে দৈনিক ৩০০-৪০০ টাকা মজুরির শর্তে তারা কায়েন খাঁনের অধীনে কাজ করা শুরু করেন।তাদের কাজ ছিল হোটেল,রেঁস্তোরা, সিনেমা হল সহ বিভিন্ন জয়গা থেকে সংগৃহীত বর্জ্যবস্তু,বোতল,প্লাস্টিক সরঞ্জাম এইসব বাছাই করা।গত ২৭ জুলাই ভারথুর (varthur) থানার পুলিশ কায়েন খাঁনের ডেরায় হানা দেয়। সেখানে যাঁরা যাঁরা বাংলাভাষী ছিল তারা সবাই নাকি বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী, এমন সন্দেহে ভারথুর থানার পুলিশ তাদেরও আরো পাঁচ জনকে পাকড়াও করে থানায় নিয়ে যায়। ওই সময়ে পলাশ,তাঁর স্ত্রী,বাবা-মা সবাই ভারথুর থানার পুলিশকে জানান তাঁরা কেউই বাংলাদেশী নন। তাঁরা নিজেদেরকে ভারতীয় বলে জানিয়ে আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড দেখান। সেইসব দেখে সেখানকার ভারথুর থানার পুলিশ পলাশের বৃদ্ধ বাবা,মাকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু পলাশ এবং তাঁর স্ত্রী ও শিশুপুত্র সহ সাত জনকে ছাড়ে না। তাদের বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী অভিযোগে ভারথুর থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়ে দেয়। সেই থেকে প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে শিশুপুত্র আদিকে সঙ্গে নিয়েই বেঙ্গালুরুর জেলে দিন কাটাচ্ছে পলাশ ও তাঁর স্ত্রী শুক্লা। ছেলে,বৌমা ও নাতি কে জেল থেকে মুক্ত করার জন্য পলাশের বাবা ও মা বেঙ্গালুরুতে থেকে নানাভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু সুরাহার কোন ব্যবস্থা না হওয়ায় তাঁরাও যথেষ্ট হতাশ হয়ে পড়েছেন।বিডিও ( জামালপুর) শুভঙ্কর মজুমদার বলেন, আমার ব্লকের তেলে গ্রামের বাসিন্দা এক দম্পতিকে ফরেনার্স এ্যাক্টে গ্রেপ্তার করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ।শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে তাঁরা সেখানকার জেলে প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে বন্দি হয়ে রয়েছে। বিডিও জানান, তিন চারদিন আগে বেঙ্গালুরুর ভারথুর থানার তিন পুলিশ আধিকারিক তদন্তের স্বার্থে তাঁর কাছে আসে। পলাশ অধিকারী ও তাঁদের স্ত্রী প্রকৃতই ভারতীয় নাগরিক কিনা এবং তাদের ভোটার ও আধার কার্ডটি সঠিক কিনা, সেইসব বিষয়ে বেঙ্গালুরু পুলিশ তাঁর কাছে জানতে চায়। এছাড়াও পলাশদের পারিবারিক পরিচিতি, কতদিন ধরে তারা তেলে গ্রামে বসবাস করছে,তাদের কাস্ট স্ট্যটাস সহ নানা বিষয়ে জানতে চায়। সব তথ্য ভারথুর থারার মেইল আইডি তে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে বিডিও জানান। পশাপাশি তিনি এও বলেন, দম্পতি যে জৌগ্রামের তেলে গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা সেই বিষয়ে জামালপুর থানার পুলিশও রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছে। বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার আরও জানানা, ভারথুর থানার তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা শুধু জামালপুর বিডিও অফিস ও থানায় এসে তথ্য যাচাই করে ফিরে গিয়েছেন, এমনটা নয়। বেশ কয়েকদিন ধরে ওই পুলিশ আধিকারিক দল জামালপুরের জমি রেজিস্ট্রি অফিস, ভূমি দফতরের অফিস, জৌগ্রাম পঞ্চায়েত, এমনকি বর্ধমান দক্ষিন মহকুমা শাসকের অফিসেও তথ্য যাচাইয়ের জন্য গিয়েছিল।পলাশের বোন শম্পা হালদার বলেন, বেঙ্গালুরূ পুলিশ আধিকারিক দল আমাদের তেলে গ্রামের বাড়িতে এসেছিল। বাড়ি ঘর ঘর দেখার পাশাপাশি ওই পুলিশ দল আমার দাদা, বৌদি ও ভাইপোর ভারতীয় নাগরিকত্ত্ব সংক্রান্ত সব নথিও যাচাই করে। পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। কোন খুঁত বেঙ্গালুরু পুলিশ বার করতে পারেননি । তাই আমরা প্রত্যাশা করছি, এবার হয়তো বেঙ্গালুরুর জেল থেকে আমার দাদা, বৌদি ও ভাইপো মুক্তি পাবে।

নভেম্বর ১৩, ২০২২
বিনোদুনিয়া

সঙ্কটজনক ঐন্দ্রিলা শর্মা, ভেন্টিলেশনে মরণ-বাঁচন লড়াই অভিনেত্রীর

এর আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা। মন শক্ত করে লড়াই করে আটকে দিয়েছেন ক্যান্সারকে। ফিরেছেন অভিনয়ে। মঙ্গলবার রাতে ফের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ঐন্দ্রিলা শর্মা। হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এই মুহূর্তে। জানা গিয়েছে, হঠাৎই স্ট্রোক করে মাথায় রক্ত জমাট বেধে গিয়েছে অভিনেত্রীর। তাঁকে রাখা হয়েছে ভেন্টিলেটরে। শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক বলে খবর।ভোলে বাবা পার করেগা-তে অনির্বাণ চক্রবর্তীর মেয়ের চরিত্রে দেখা অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল জীবনযুদ্ধে লড়াকু অভিনেত্রীকে। ভাগাড় সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ক্যান্সারের সময় লড়াইতেও পাশে ছিলেন তাঁর প্রেমিক সব্যসাচী চক্রবর্তী। এখনও তিনি পাশেই আছেন। জানা গিয়েছে, স্ট্রোকের ফলে শরীরের একদিক অসার হয়ে পড়েছে। ৪৮ ঘন্টা না গেলে কিছু বলতে পারছেন না চিকিৎসকরা।

নভেম্বর ০৩, ২০২২
দেশ

শ্রমিকের কাজে ব্যাঙ্গালোরে গিয়ে ভিনদেশি অভিযোগে শিশু সন্তান সহ আটক বাঙালি দম্পতি, মুখ্যমন্ত্রীর শরণাপন্ন পরিবার

শ্রমিকের কাজ করতে ব্যাঙ্গালোরে গিয়ে ভয়ানক পরিণতির শিকার হয়েছেন পশ্চিম বঙ্গের বাসিন্দা এক দম্পতি। রেহাই পায়নি তাঁদের দেড়বছর বয়সী শিশুপুত্রও। বাংলাভাষী এই দম্পতিকে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী অভিযোগে গ্রেপ্তার করে কর্ণাটক রাজ্যের ব্যাঙ্গালোর পুলিশ জেলে পাঠিয়েছে। প্রায় তিন মাস ধরে শিশু পুত্র আদিকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাঙ্গালোরের জেলে দিন কাটাচ্ছেন দম্পতি পলাশ অধিকারী ও শুক্লা অধিকারী। তাঁদের বাবা-মা ব্যাঙ্গালোরে গিয়ে সেখানকার পুলিশকে ছেলে ও বৌমার ভারতীয় নাগরিকত্বের সমস্ত প্রমাণ পত্র দেখান। কিন্তু তাতেও লাভ কিছু হয় নি। এই পরিস্থিতিতে ছেলে, বৌমা ও নাতির ব্যাঙ্গালোরের জেল থেকে মুক্তির জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছেন অসহায় বাবা মা।দম্পতি পলাশ অধিকারী ও শুক্লা অধিকারী পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার জৌগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তেলে গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। সেখানে রয়েছে তাঁদের টিনের চালার দুকুঠুরি ভাঙাচোরা বাড়ি। ওই বাড়ি দেখলে যে কেউ বুঝে যাবেন দারিদ্রতাই অধিকারী পরিবারের নিত্যদিনের সঙ্গী। পলাশদের মতোই তাদের প্রতিবেশীরাও অত্যন্ত দরিদ্র। মাথা গোঁজার ঠাঁই টুকুই শুধুমাত্র তাদের সম্বল। তাদের বেশিরভাগ দিন মজুরির কাজ করে অন্নের সংস্থান করেন। বাকিদের কেউ বালাপোশ তৈরি, আবার কেউ বিড়ি বাঁধার কাজ করে উপার্জন করেন।এমনই এক গ্রামের ছেলে পলাশ রোজগারের আশায় স্ত্রী ও শিশু পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাঙ্গালোরে যায়। কিন্তু রোজগার তো দূরের কথা ,উল্টে সেখানে তাঁদের পরিণতি হয়েছে ভয়ংকর। যা জেনে স্তম্ভিত তেলে গ্রামের বাসিন্দারা ও জনপ্রতিনিধিরা।তেলে গ্রামেই বসবাস করেন পলাশ অধিকারীর আত্মীয় পিন্টু হাওলাদার । তিনি জানান,শ্রমিকের কাজ করার জন্য চলতি বছরের জুন মাসে শিশু পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে পলাশ তাঁর স্ত্রী ব্যাঙ্গালোরে যায়। একই উদ্দেশ্যে পলাশের বাবা পঙ্কজ অধিকারী, মা সবিতাদেবী ও প্রতিবেশী সুনীল অধিকারীও ব্যাঙ্গালোরে যান। সেখানকার মারাথাহাল্লি (Marathahalli) মহকুমার ভারথুর (Varthur) থানার সুলিবেলে (Sulibela) গ্রামের কায়েন খাঁনের ডেরায় তারা ওঠে। সেখানে দৈনিক ৩০০-৪০০ টাকা মজুরির শর্তে তারা কায়েন খাঁনের অধীনে কাজ করা শুরু করেন। তাদের কাজ ছিল হোটেল, রেঁস্তোরা, সিনেমা হল সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগৃহীত বর্জ্যবস্তু, বোতল, প্লাস্টিক সরঞ্জাম ইত্যাদি বাছাই করা। পিন্টু হাওলাদার বলেন,সেখানে সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। হঠাৎ করেই গত ২৭ জুলাই ভারথুর (Varthur) থানার পুলিশ কায়েন খাঁনের ডেরায় হানা দেয়। সেখানে যাঁরা যাঁরা বাংলাভাষী ছিল তারা সবাই নাকি বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী, এমন সন্দেহে ভারথুর থানার পুলিশ তাদের ও আরো পাঁচ জনকে পাকড়াও করে থানায় নিয়ে যায়। ওইসময়ে পলাশ, তাঁর স্ত্রী,বাবা-মা ও প্রতিবেশী সুনীল অধিকারী সহ সবাই ভারথুর থানার পুলিশ কে জানান তাঁরা কেউই বাংলাদেশী নন। তাঁরা নিজেদেরকে ভারতীয় বলে জানিয়ে নিজের নিজের আধার কার্ড,প্যান কার্ড,ভোটার কার্ড দেখান। সেইসব দেখে সেখানকার পুলিশ পলাশের বৃদ্ধ বাবা,মা ও প্রতিবেশীকে ছেড়ে দিলেও পলাশ এবং তাঁর স্ত্রী ও শিশুপুত্র সহ সাতজনকে আটকে রাখে। ভারথুর থানার পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়ে দেয়। সেই থেকে প্রায় তিন মাস হয়ে গেল শিশু পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে পলাশ ও তাঁর স্ত্রী ব্যাঙ্গালোরের জেলেই দিন কাটাচ্ছে বলে পিন্টু হাওলাদার জানিয়েছেন।সুনীল অধিকারী বলেন, আমিও রোজগারের আশায় পলাশদের সঙ্গেই ব্যাঙ্গালোরে যাই। সেখানেভারথুর থানার পুলিশ আমাকেও সন্দেহে ধরে। ওখানকার পুলিশের সঙ্গে আমাদের কথা বলার ক্ষেত্রে ভাষাগত সমস্যা হচ্ছিল। ওরা আমাদের কথা যেমন বুঝতে পারছিল না, তেমনই আমরাও ওদের কথা কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। তবুও আমি, পলাশের বাবা- মা ও পলাশ বাংলা ভাষাতেই ভারথুর থানার পুলিশকে বারেবারে বলে যাই আমরা ভারতীয়,পশ্চিমবাংলার বর্ধমানের বাসিন্দ। তেলে গ্রামে থাকা আমার স্ত্রীর ফোন নম্বর ওরা চাইলে সেটাও আমি দিয়ে দিই। এর পর ওরা কি বুঝলো জানিনা। আমাকে এবং পালাশের বাবা ও মাকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে পলাশ এবং তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে ছাড়ে নি। মিথ্যা অভিযোগে তদের জেলে পাঠিয়ে দেয়।সুনীলবাবু আরও জানান, এইসব দেখে তাঁর মনে হয় বাঙালিদের ব্যাঙ্গালোর কাজ করতে যাওয়া খুব একটা নিরাপদের নয়। তাই ওই ঘটনার আট দিন বাদে ট্রেনের টিকিট কেটে তিনি তেলে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। হুগলীর বৈঁচিগ্রামের বাসিন্দা পলাশের আত্মীয় সুজন হালদার বলেন, পলাশ এবং তাঁর স্ত্রী ও সন্তানের এমন করুণ পরিণতির কথা জেনে তিনি তাদের পাশে দাঁড়াতে ব্যাঙ্গালোরে যান। কিন্তু কোন ভাবেই কিছু সুরাহা করতে পারছেন না। যে আইনজীবীকে নিযুক্ত করেছেন তার কাছ থেকেও আশানুরূপ সহযোগীতা পাচ্ছেন না। সুজন হালদার দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর জন্য কেন্দ্র পশ্চিম বাংলায় সিএএ (CAA), এনআরসি (NRC) লাগু করতে পারেনি। তবে তাঁর মনে হচ্ছে বিজেপি শাসিত কর্ণাটক সরকার অলিখিত ভাবে সিএএ, এনআরসি কার্যকর করে যাকে পাচ্ছে তাকে বিদেশী বলে জেলে ভরে দিচ্ছে। একই অভিযোগ করেছেন তেলে গ্রামের বাসিন্দা জৌগ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য কৃষ্ণা সরকার। পলাশের বাবা ও মা বলেন, ছেলে, বৌমা ও নাতিকে ব্যাঙ্গালোরের জেল থেকে ছাড়াতে এখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী তাঁদের একমাত্র ভরসা। তাঁরা মমতা ব্যানার্জীর হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছেন।বিডিও ( জামালপুর ) শুভঙ্কর মজুমদার টেলিফোনে বলেন, এমন একটা ঘটনার কথা আমি শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনকে ওয়াকিবহাল করা হয়েছে। এসডিও (বর্ধমান দক্ষিণ) বিষয়টি দেখছেন। জামালপুর বিধানসভার বিধায়ক অলোক মাঝি টেলিফোনে বলেন,পলাশ অধিকারী ও তাঁর পরিবার আমার বিধানসভা এলাকার তেলে গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ও ভোটার। ভারতীয় নাগরিকত্বের সমস্ত প্রামাণপত্রও তাদের রয়েছে। তা সত্ত্বেও কোন যুক্তিতে ব্যাঙ্গালোরের পুলিশ পলাশ এবং তাঁর স্ত্রী ও শিশু পুত্রকে কি অভিযোগে গ্রেপ্তার করে জেলে ভরে রেখেছে সেটাই আশ্চর্য্যের। আলোক মাঝি জানান,কালি পুজো মিটলেই তিনি এই বিষয়টি নিয়ে জেলা জেলাশাসকের মাধ্যমে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন

অক্টোবর ২৫, ২০২২
কলকাতা

দুর্গাপুজোর ছয় দিন রেকর্ড ভিড় কলকাতা মেট্রোতে, আয় কতো? আর যাত্রী সংখ্যা?

মেট্রো রেলের ভিড়েই প্রমান মিলেছে এবার কলকাতা কীভাবে মেতেছিল দুর্গাপুজোয়। করোনা আতঙ্ক দূর হতেই লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করেছে পুজোর মন্ডপে মন্ডপে। থিক থিক ভিড় মেট্রো রেলে। মেট্রো রেলে যাত্রীর পরিসংখ্য়ান দেখলেই চোখ কপালে উঠবে। এই লাইফ লাইনকে ভরসা করেই কলকাতায় যাতায়াত করেছেন লক্ষ লক্ষ যাত্রী। কোটি কোটি টাকা আয় করেছে মেট্রো কতৃপক্ষ।তৃতীয়া-চতুর্থী থেকেই রেকর্ড ভিড় হয়েছে মেট্রোতে। কতৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পঞ্চমী থেকে বিজয়দশমী পর্যন্ত কলকাতা মেট্রো ৩৯ লক্ষ ২০ হাজার ৭৮৯ জন যাত্রী বহণ করেছে। এর মধ্যে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোতে চড়েছেন ৩৭ লক্ষ ৪১ হাজার ৩৬১ জন যাত্রী। পাশাপাশি এই ছয় দিন পূর্ব-পশ্চিম মেট্রোতে যাতায়াত করেছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৪২৮ জন যাত্রী। এই দিনগুলিতে টোকেন, স্মার্ট কার্ড এবং স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করে ৬ কোটি ০৬ লাখ ৯৪ হাজার ৫৬ টাকা আয় করেছে কলকাতা মেট্রো রেল। উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো আয় করেছে ৫ কোটি ৭৯ লাখ ৯০ হাজার ৭১৬ টাকা এবং ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো ২৭ লাখ ৩ হাজার ৩৪০ টাকা আয় করেছে।

অক্টোবর ০৬, ২০২২
রাজ্য

বাংলা মাধ্যমে স্কুলে ইংরেজি ভাষায় পড়াশুনো নিয়ে উদ্বিগ্ন অবিভাবকেরা

শুন্য পদে নিয়োগ নেই, অপর্যাপ্ত পরিকাঠামোতে বাংলা মাধ্যম স্কুলে চালু হওয়া ইংরেজি ভাষায় পড়াশুনো নিয়ে উদ্বিগ্ন হচ্ছেন অভিভাভোকেরা, চিন্তিত শিক্ষা দপ্তরও। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি সদর বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে এই বিষয়ে অভিভাবকদের ক্ষোভ এবং দুশ্চিন্তার কথা শুনে এমনটা প্রশ্ন উঠছে সংশ্লিষ্ট মহলে।উল্লেখ্য, বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোর প্রতি সাধারণ মানুষের আকৃষ্টতা আটকাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার জলপাইগুড়ি জেলাতেও ঢাকঢোল পিটিয়ে বেশ কয়েকটি সরকার পরিচালিত বাংলা মাধ্যমের স্কুলকে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে রুপান্তরি করে চালু করেছিলো।তবে, বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির ইংরেজি সদর বালিকা বিদ্যালয়ে পড়া ছাত্রীদের বেশ কয়েকজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, অনেক আশা নিয়ে বাচ্চাকে সরকারি ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তি করেছিলাম, কিন্তু এখানে আমাদের অন্ধকারে রেখে অনেক কিছুই করা হচ্ছে, এমনকি ইতিহাস প্রশ্ন মোবাইলের হোয়াটস্যাপ এ তাও আবার বাংলা ভাষায় লেখা।ওপর এক ছাত্রের মা সান্তনা দত্ত নিজের সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে সংকিত হয়ে জানান, সব সাবজেক্ট না হলেও বেশিরভাগ বিষয়ে বাংলায় লেখা হচ্ছে। অপরদিকে এই নিয়ে বিস্তারিত সমস্যা তুলে ধরে সুনীতি বালা বালিকা বিদ্যালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষিকা বলেন,২০১৮ সালে এক সরকারি নির্দেশে তৎকালীন পরিকাঠামো দিয়েই ইংরেজি মাধ্যম খোলার নির্দেশ ছিল, আজ সেই ছাত্রীরা উচ্চ শ্রেণীতে উঠেছে, ওদের পড়ানোর মতো পর্যাপ্ত শিক্ষা কর্মীরা অভাব রয়েছে, অপরদিকে এই পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জেলার স্কুল পরিদর্শক একপ্রকার অভিভাবকদের করা অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে জানান, এটা ঠিক যে ওখানে সমস্যা হচ্ছে, কারণ ক্লাস নাইনে উঠেছে ছাত্রীরা কিন্তু তাদের ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানোর মতো পর্যাপ্ত লোকবল নেই স্কুলের কাছে এই মুহূর্তে।

সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২২
নিবন্ধ

অপরাজেয় (ছোট গল্প)

আজ অনিন্দ্য আর অপরাজেয় দুজনের জীবনের এক বিশেষ দিন। সারা ভারতের নতুন শিল্পীদের যে প্রতিযোগিতা হচ্ছে আজ ছিল তার ফাইনাল। সেখানে টুবাই অর্থাৎ অপরাজেয় প্রথম হয়েছে। অনিন্দ্য সিঙ্গেল ফাদার হিসাবে আজ সফল। কে বলে বাবারা কিছু পারেনা; মা না থাকলে সন্তান সঠিক ভাবে মানুষ হয়না!! আজ সেই সব কথা কে ভুল প্রমাণিত করে দিয়েছে অনিন্দ্য। এতে অবশ্যই ওর মা বাবার ভূমিকা ও আছে। আর সব থেকে বড় যে সেই টুবাই সব সময় বাবার কথা শুনে চলেছে। ওদের বাবা ছেলের মধ্যে বোঝাপড়া খুব সুন্দর। টুবাই এর সব বন্ধুরা ও খুব ভালোবাসে অনিন্দ্যকে। এবং বলে কপাল করে বাবা পেয়েছে অপরাজেয়। তবে অনিন্দ্য র চলার পথটা যে এরকম হবে সেটা বোধহয় ও নিজেও কখনো ভাবেনি। পারমিতা আর অনিন্দ্য একই কলেজে পড়তো। কলেজের অ্যানুয়াল প্রোগ্রামের দিন সিনিয়র অনিন্দ্যর মঞ্চে গান গাইতে উঠে চোখ আটকে যায় হরিণ নয়না পারমিতার দিকে। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে নতুন ভর্তি হয়েছে ওদের কলেজে। অনিন্দ্যর ব্যাচের একটি মেয়ের মাধ্যমে পরিচয় তার থেকে বন্ধুত্ব। কলেজ শেষের পর বুঝতে পারে দুজনেই যে বন্ধুত্ব পরিণত হয়েছে ভালোবাসায়। দুজন দুজনকে ছেড়ে থাকতে পারবে না। অনিন্দ্য তখন একটা কলেজ ক্যাম্পাসিং এ একটা ভালো কোম্পানিতে জয়েন করেছে আর পারমিতার ফাইনাল ইয়ার। অনিন্দ্য পারমিতাকে বলে ওর পরীক্ষা হয়ে গেলে বাড়িতে বিয়ের কথা বলবে। কিন্তু পারমিতার ইচ্ছা বিয়ে টা পরে করবে। তাই অনিন্দ্য আর এগোয় না। অনিন্দ্য অফিস আর পারমিতা কলেজ সামলে নিজেদের জন্য সময় বের করে দেখা করে। এইভাবে কাটতে থাকে সময়। অনিন্দ্য এরমধ্যে একটা ব্যাপার বোঝে পারমিতা খুব উচ্চাকাঙ্ক্ষী। ও আরও পড়তে চায়,মাস্টার্সে ভর্তি হয়। পারমিতা চায় অনিন্দ্য এম বি এ করে আরও উন্নতি করুক চাকরিতে। কিন্তু অনিন্দ্য ভালোবাসে গান। তাই ও বেশি উন্নতি চায় না। বলে কি হবে বেশি উন্নতি করে , যদি নিজের মত করে বাঁচতেই না পারলাম। পারমিতা নানাভাবে বোঝায় কিন্তু অনিন্দ্য একইভাবে বলে। আসলে ছোটো থেকে গান নিয়ে বেড়ে ওঠা অনিন্দ্য গান ছাড়া ভাবতে পারে না। তাই মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেটা চাকরির ইঁদুর দৌড়ে সামিলহয় না। পারমিতা মাস্টার্স করার পর একটা খুব ভালো চাকরি পায়। এর মাঝে ওরা রেজিস্ট্রি টা করে নিয়ে ছিল। পারমিতা চাকরি পাওয়ার পর ওর বিত্তশালী বাবা যখন বিয়ের জন্য বলেন তখন পারমিতা বাবাকে সব বলে। বাবা রাজী হয় না। পারমিতা ও খুব জেদি, ও একদিন অনিন্দ্যর কাছে চলে আসে। অনিন্দ্যর মা বাবা ওকে আদর করে ঘরে তোলেন। একটা ঘরোয়া অনুষ্ঠান করে ওদের বিয়ে টা হয়ে যায়। ধনীর দুলালী পারমিতার অনেক অসুবিধা হয় ওদের ওখানে; প্রথম প্রথম মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেনি যে তা নয়। কিন্তু পার্থক্য বেশি হলে মানিয়ে নেওয়া কঠিন। পারমিতার সেরকম সমস্যা হত থাকে বিয়ের এক বছরের মধ্যে। অনিন্দ্য বুঝতে পারে তাই ও চেষ্টা করে পারমিতার জন্য একটু অন্যরকম করে ভাবতে। পারমিতা যেন এক বছরের মধ্যে হাঁপিয়ে ওঠে। ওর অভ্যাস গুলো যে অন্যরকম। ওর মত করে যাতে থাকতে পারে অনিন্দ্য সে জন্য কোম্পানির ফ্ল্যাটে চলে যায় ওকে নিয়ে।দেখতে দেখতে বিয়ের পাঁচ বছর হয়ে যায়। এমন সময় একদিন পারমিতা খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে। ডাক্তার দেখালে জানতে পারে ও মা হতে চলেছে। এই খবর শুনে অনিন্দ্য খুব খুশি হয়। ওর মা বাবাও খুব খুশি হয়। অনিন্দ্য এই খবরটা পারমিতার মাকে জানায়। ওনার সব ভুলে আনন্দে মেতে ওঠেন। কিন্তু পারমিতা খুশি হতে পারে না। ও বলে এই বাচ্চা ও চায় না। ওর কেরিয়ারের এখন উন্নতির সময় ও ঝামেলা নিতে চায় না। কিন্তু সবাই ওকে অনেক বোঝায়, আর তাতে ও রাজী হয় তবে একটা শর্তে। বাচ্চার ছমাস হয়ে গেলে আর কোনো দায়িত্ব ও নেবে না। তাতেই অনিন্দ্য রাজী হয়। অনিন্দ্য ভাবতে থাকে এ্ কোন পারমিতা! যাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল এ তো সে নয়। বাচ্চাকে দেখতে সারাদিনের আয়া রাখলো। বাচ্চার দিকে যেন পারমিতার খেয়াল নেই। ছেলের যখন দুবছর বয়স তখন কর্মসূত্রে বিদেশ চলে গেল পারমিতা। যাবার আগে শুধু বলে গেল অনিন্দ্য কে তোমার ছেলে কে তোমার মত করে মানুষ করো। সেই থেকে আজ পর্যন্ত অনিন্দ্য, ওর ছেলে টুবাই এর সব। অবশ্য ওর মা বাবা র অবদান কম নয়। পারমিতার চলে যাবার খবর পেয়ে অনিন্দ্য র মা বাবা ওর কাছে চলে আসেন নাতি কে সামলাতে। পারমিতার মা বাবা ও আসতেন। মেয়ের এই ব্যবহার ওনাদের ও কষ্ট দিয়েছিল। অনিন্দ্য ছেলেকে যখন সঙ্গীত জগতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় তখন ওর শ্বশুর মশায় আপত্তি জানায়। তারপর থেকে যোগাযোগ আবার কমে যায়। এইভাবে অনিন্দ্য র লড়াই শুরু হয়। টুবাই অর্থাৎ অপরাজেয় একটু বড়ো হয়ে যখন মায়ের কথা জানতে পারে আত্মীয়দের মাধ্যমে তখন থেকেই ও ঠিক করে জীবনে কিছু করতে হবে যাতে মা কে বোঝানো যায় বাবা সঠিক ভাবে ওকে মানুষ করেছে। পড়াশোনায় যথেষ্ট ভালো , তার সাথে বাবার মতো গান করে খুব ভালো। ও পড়াশোনার সাথে গানটাকে ও সমান গুরুত্ব দেয়। আর ওর এই কাজে সবসময় ওর পাশে থাকে ওর বাবা। তাই স্কুলে ওর সব শিক্ষকরা ওকে খুব স্নেহ করেন। ক্লাসে প্রতি বছর প্রথম হয় তার সাথে যেকোনো সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা মানেই অপরাজেয় থাকবেই আর নাম সার্থক করে আসবে পুরস্কার হাতে নিয়ে। আজকের দিনটিও সেই রকমই একটা দিন। যেখানে বিভিন্ন দেশের সঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যে ও প্রথম হয়েছে। গত কয়েক মাস বাড়ির বাইরে থেকেছে মনপ্রাণ ঢেলে দিয়েছে এই সফলতা পাবার আশায়। আজ ও সফল হয়ে। আজ সবাই এসেছে এই অনুষ্ঠানে। নাম করা একটা চ্যানেল লাইভ দেখাচ্ছে প্রোগ্রামটা। স্টেজে যখন ওর নাম ঘোষণা করা হয় তখন অনিন্দ্যর চোখে জল আসে আনন্দ আর উত্তেজনায়। অপরাজেয় রুদ্র কে যখন কিছু বলতে বলা হয়। পনের বছর বয়সের ছেলেটা যেন হঠাৎ করেই অনেক বড়ো হয়ে ওঠে। ও বলে আজ আমি যার জন্য এই সাফল্য পেয়েছি আগে তাকে ডেকে নিতে চাই, আমার বাবা শ্রী অনিন্দ্য রুদ্রকে। যার আত্ম ত্যাগ আর আমার প্রতি বিশ্বাস আজ আমাকে এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। অপরাজেয় র সাথে স্টেজের অ্যাঙ্কর ডাকতে থাকে অনিন্দ্য কে; আর অগনিত দর্শক করতালি দিয়ে বাবা ছেলের এই সাফল্যকে অভিনন্দন জানায়। অন্যদিকে পনেরো বছর বিদেশে থেকে দুদিন আগে দেশে ফিরে যখন এই অনুষ্ঠানের কথা জানতে পারে, নিজেকে আটকাতে পারে না। অনুষ্ঠানের স্পনসর হওয়ার দরুন সূযোগ ছিল তার সদ্ব্যবহার করে এক মা যে একসময় নিজের কেরিয়ারের জন্য শিশু সন্তান কে ফেলে বিদেশে পাড়ি দিয়ে ছিল। আজ অনুষ্ঠানের শেষে যখন সবাই বাবা আর ছেলেকে অভিনন্দন জানাচ্ছে তখন কর্মজীবনে সফলতার শিখর ছুঁয়েও ভীষণভাবে নিঃসঙ্গ, হতাশাগ্রস্ত পারমিতা চোখ ভর্তি জল নিয়ে একা নিজের গাড়িতে ওঠে। আজ চাইলেও আর যেতে পারে না নিজের ফেলে আসা ঘরে। তবে এটা আজ পারমিতা নিজের কাছে স্বীকার করে যে অনিন্দ্য ঠিক ছিল আর আজও ওই সঠিক। ও ঠিকই বলত যে সফলতা তাকেই বলে যে কাজ করে আমি এবং আমাকে ঘিরে থাকা সবাইকে খুশি করতে পারব। অর্থ আর ক্ষমতাই সব নয়। অর্থবান আর ক্ষমতাবান মানুষের চারপাশে অনেকে থাকে কিন্তু কেউ নিঃস্বার্থ ভাবে থাকে না। একটা সময় বুঝতে পারে যে সে বড্ড একা। আজ পারমিতা কর্মজীবনে উন্নতির শিখরে পৌঁছিয়েছে ঠিকই কিন্তু ও আজ খুব একা। আজ ভাবে একটা সুন্দর সুখী জীবন তো পেতে পারত; আজ ও সন্তান গর্বে গর্বিত হতে পারত, সে ও নিজের হাতে বন্ধ করে দিয়েছে। খুব ইচ্ছা হচ্ছে আজ ছেলেটাকে একবার বুকে জড়িয়ে ধরতে। ফোনটা বের করে কল করে একটা -- আমাকে অপরাজেয় রুদ্র রায় নম্বর টা হোয়াটসঅ্যাপ করো। মূহুর্তে টুং করে নম্বর টা এসে যায়। একমূহূর্ত ভাবে তারপর লেখে অনেক বড়ো হও, বাবার মুখ উজ্জ্বল করো। খুব ভালো থেকো।লিখে পাঠাবে কিনা ভাবে। তারপর------একটা ছোট্ট উত্তর আসে------ অনেক ধন্যবাদ।বাবার নামই উজ্জ্বল করার চেষ্টা করছি। আমার বাবা একাই একশো। ভালো থাকবেন।

সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২২
দেশ

মহাসমারোহে পালিত হল হায়দ্রাবাদ কালীবাড়ি'র ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বর্ষপুর্তি উৎসব

বঙ্গ সংস্কৃতির ইতিহাস অতি প্রাচীন। কথায় আছে, কয়েকজন বাঙালি একজোট হলেই, হয় একটা পুজো করে, নাহলে একটা নাটক, নিদেন পক্ষে কোনও গানবাজনার আসর তো বসবেই। প্রবাসী বাঙালি একাত্মবোধ একটু বেশী। কর্মসুত্রে বাঙালিকে বহু দুর দুড়ান্তে যেতে হয়েছে, কখনও কখনও দেশে বাইরেও। যেখানেই তাঁরা গিয়েছে সেখানে কোনও না কোনও নিদর্শন রেখে এসেছেই। বাঙালীর দিল্লী ভ্রমণ মানে যেমন চিত্তরজ্ঞন পার্ক কালি বাড়ি সে লিস্টে থাকবেই। মুম্বাইয়ে তো একাধিক বাঙ্গালী অ্যাসোসিয়েশন অতি জনপ্রিয়। সেরকমই এক বাঙালি অ্যাসোসিয়েশন হায়দ্রাবাদ কালি বাড়ি। শহরটার নাম শুনলেই মনে আসে সম্রাট নিজামুদ্দিন র নাম। মহান সম্রাটের সেই শহরের প্রাণকেন্দ্রে কালি পুজোকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতির উদাসীনতা কেবল বাঙ্গালি-ই দেখাতে পারে।১৯৭২-রে কয়েকজন বাঙালি যাঁদের অধিকাংশই সেনাবাহিনী এবং রেলওয়ের কর্মী ছিলেন তাঁরা বিবেকানন্দপুরম, সৈনিকপুরীতে দেবী কালীর মন্দির স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাঁরা ১৯৭৪ এর ১১ আগস্ট ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। সেই মন্দিরটি ২৮ আগস্ট ১৯৭৬ রে হায়দ্রাবাদ কালীবাড়ি নামে দেবী কালীর মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল। এই সংগঠনটিক মূলত সেখানকার বসবাসকারী বাংলাভাষি বাঙালি সম্প্রদায়ের জন্য একটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক পীঠস্থানে পরিণত হয়েছেঅমাবস্যা ও পূর্ণিমায় বিশেষ পূজার পাশাপাশি প্রত্যহ তিনবার প্রতিমার পূজার্চনাও করা হয়ে থাকে। প্রত্যেক বছর জাঁকজমকপূর্ণভাবে ভাবে দুর্গাপূজা ও কালীপূজা করা হয়। এছাড়াও আরও বিভিন্ন দেবদেবীর পূজার্চনা করা হয় যেমন, লক্ষ্মীপূজা, কালীপূজা, সরস্বতীপূজা। এছাড়া সারা বছর বাঙ্গালী বিভিন্ন উৎসব সাড়ম্বরে পালন করা হয়ে থাকে। বাংলা নববর্ষ, রবীন্দ্র জয়ন্তীও এই মন্দির প্রাঙ্গণে পালিত হয়। সেই সব বিশেষ দিনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।প্রিয়াংশী রায়, অহনা মজুমদার, শিক্ষা জানা, রাজন্যা ব্যানার্জী২৮ আগস্ট হায়দ্রাবাদ কালীবাড়ির ৪৬ তম বর্ষপুর্তি পালন করা হল মহাসমারোহে। সঙ্গীত, নৃত্যনুষ্ঠান সহ নানা অনুষ্ঠানের অয়োজন করা হয় এই মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সমাবেশে। অনেক অনুষ্ঠানের মধ্যে নজর কারে শিব তান্ডব নৃত্য নাটক। নৃত্য বিশারদ মধুশ্রী রায়চৌধুরি তাঁর ছাত্রছাত্রী দের নিয়ে এই নৃত্যনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এই ধরনের বিষয়ে তাঁর উদ্ভাবনীতা ও পোষাক নির্বাচন সত্যিই মনে দাগ কেটে যায়। নৃত্য পারদর্শিতায় যে নাম গুলো প্রথমেই মনে আসে তাঁদের মধ্যে অন্যতম প্রিয়াংশী রায়, অহনা মজুমদার, শিক্ষা জানা, রাজন্যা ব্যানার্জী, তেজস্বিনী সেনগুপ্ত ও চাতুর্য। নাম গুলো পড়ে আপনাদের মনে হতেই পারে এ যেন বাংলার কোনও এক যায়গার কোনও অনুষ্ঠান। এখানেই বাঙালির মাহাত্য। সেটা নিউ জার্সী হোক বা হায়দ্রাবাদ বাঙ্গালিয়ানায় ভরপুর।

আগস্ট ৩০, ২০২২
রাজ্য

বাংলার পুলিসে এসআই (SI) নিয়োগের পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের বাধ্যতামূলক বাংলা পেপারের দাবিতে আরক্ষা ভবনে বাংলা পক্ষর ডেপুটেশন

বুধবার বাংলা পক্ষ সংগঠনের পক্ষ থেকে পুলিসে এসআই (SI) নিয়োগে ১০০ নম্বরের বাংলা পেপার বাধ্যতামূলক করার দাবিতে ডেপুটেশন জমা দিল বাংলা পক্ষ। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি, অমিত সেন এবং অন্যান্য সদস্যরা।পুলিস রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের অফিসাররা কথা বললেন বাংলা পক্ষর দুই প্রতিনিধি গর্গ চট্টোপাধ্যায় এবং কৌশিক মাইতির সাথে বাংলা পক্ষের শীর্ষ পারিষদ জানান, পুলিস রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে স্মারকলিপির রিসিভ কপি দেয়নি। বাংলার শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামে বাঙালিকে দৈনন্দিন জীবনে নিশ্চয়তা ও আইনের শাসন পৌঁছে দিতে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই পুলিশের চাকরিতে সাব ইন্সপেক্টর (S.I) একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদ। বিভিন্ন থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে প্রথমেই এই SI পদমর্যাদার আধিকারিকদের সঙ্গেই কথা বলতে হয়।বাংলার জনসংখ্যার ৮৬% বাঙালি এবং তারমধ্যে ৮৩% শুধুই বাংলা ভাষায় কথা বলেন। সুতরাং ভাষা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে অভিযোগকারী ও পুলিশ আধিকারিকের সমন্বয়ের ক্ষেত্রে। বাংলায় বাংলাভাষী পুলিশ আধিকারিক হবেন এটাই আশা করা যায়। কৌশিক জানান, ভারতের অন্যান্য রাজ্যের এই সাব ইন্সপেক্টর পদমর্যাদায় নিয়োগ পরীক্ষায় রাজ্যের মূল ভাষার একটি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক ভাবেই রাখা হয়। যেমন- গুজরাতে ১০০ নম্বর গুজরাটি, তামিলনাড়ুতে ১০০ নম্বর তামিল, অন্ধ্র ও তেলেঙ্গানায় ১০০ তেলেগু, বিহারে ২০০, উত্তরপ্রদেশে ১০০ এবং রাজস্থানে ২০০ নম্বর হিন্দি, কর্ণাটকে ৫০ নম্বর কণ্ণড় বাধ্যতামূলক, পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্রেও রাজ্যের মূলভাষার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক।তিনি আরও জানান, দুর্ভাগ্যজনকভাবে ৮৬% বাঙালির রাজ্যে তিন নং পেপারে (Paper-III) ভাষার পরীক্ষায় বাংলা ও নেপালীর সঙ্গে হিন্দি এবং উর্দু রয়েছে। এরফলে বাংলা না জেনেই বাংলার পুলিশে S.I পদমর্যাদার অতি গুরুত্বপূর্ণ চাকরি পাওয়া যায়। এরফলে যেমন বাংলার চাকরি বাংলার বাইরে থেকে এসেও পাওয়া যায় তেমনি প্রশাসন ও সাধারণ বাঙালির মধ্যে ভাষাগত ব্যবধান থেকেই অবিশ্বাসের অবাঞ্চিত বাতাবরণ তৈরী হয়।কৌশিক মাইতি জানান, আমরা দেখেছি অতীতে কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষায় আপনারা নিয়োগ প্রক্রিয়া সংশোধন করে শুধুমাত্র বাংলা ও নেপালী ভাষা রেখেছিলেন, এরফলে যেমন চাকরিপ্রার্থী বাঙালি উপকৃত হয়েছে তেমনি সাধারণ বাঙালি জনসাধারণও উপকৃত। আমরা আশা রাখি S.I নিয়োগের পরীক্ষাতেও দ্রুত সংশোধনী এনে বাংলা (দার্জিলিঙে নেপালী) ভাষার ন্যূনতম ১০০ নম্বরের পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করবেন।

আগস্ট ২৪, ২০২২
নিবন্ধ

ঝুলনযাত্রা ও রাখীপূর্ণিমা

বছরের তিনটে বিশেষ পূর্ণিমাতে হয় রাধাকৃষ্ণের তিন লীলা-উৎসব বা যাত্রা । ফাল্গুণী পূর্ণিমায় দোলযাত্রা, শ্রাবণী পূর্ণিমায় ঝুলনযাত্রা আর কার্তিক পূর্ণিমায় রাসযাত্রা। ঝুলন হল বর্ষার লীলা যার অপর নাম হিন্দোলনলীলা। ব্রজবাসীরা কদমগাছে ঝুলা বেঁধে রাধাকৃষ্ণকে দোল খাওয়ায়। কাজরী গান হয়। মেঘমল্লারে বৃন্দাবনের আকাশবাতাস সঙ্গীতমুখর হয়ে ওঠে। একাদশী থেকে শুরু হয় ঝুলন আর শেষ হয় পঞ্চমদিনের পূর্ণিমাতে। রাখী বাঁধা হয় সেদিন।তবে অন্য্যন্য যাত্রাগুলির থেকে ঝুলনযাত্রা একটু ভিন্ন। এটি রূপকধর্মী। দোলা বা হিন্দোলনের অর্থ হল সুখ-দুঃখ, বিরহ-মিলন ময় মানুষের জীবনের প্রকৃত অর্থই হল ঘড়ির পেন্ডুলামের মত চলমানতায় ভরা। একবার আসবে দুঃখ। তারপরেই সুখ। কখনো বিরহ, কখনো মিলন। কখনো আনন্দ, কখনো বিষাদ। স্থির হয়ে থাকাটা জীবন নয়। এই দোলনার আসা ও যাওয়াটি হল রূপকমাত্র। তাই জন্যেই তো বলে চক্রবত পরিবর্ততে সুখানি চ দুখানি চ |উপনিষদে বলে আনন্দ ব্রহ্মেতি ব্যজনাত অর্থাৎ ব্রহ্ম আনন্দস্বরূপ। কিন্তু তিনি একা সেই কাজ করবেন কি করে? তাইতো তিনি সৃষ্টি করেন বন্ধু-বান্ধব, পিতামাতা, দাসদাসী, ভাইবোন, স্বামী-স্ত্রীর মত সম্পর্কের জালে আবদ্ধ মানুষদের। তাই প্রেমের আবাহনে পুরুষ আর প্রকৃতির যৌথ উদ্যোগে গড়ে ওঠে হিন্দোলন বা ঝুলনের মত উৎসব । সম্পর্ক টিঁকিয়ে রাখার জন্য সৃষ্টিকর্তা প্রজাপিতা ব্রহ্মের এরূপ দায়বদ্ধতা। মানুষ যাতে মানুষকে নিয়ে অহোরাত্র বেঁচে থাকেআর সেখানেই ঝুলন নামক মিলনোৎসবের সার্থকতা!শ্রীমদ্ভাগবতে বলে, বর্ষণমুখর বৃন্দাবন তখন বানভাসি। বর্ষণসিক্ত ধরিত্রী সবুজ। নদীনালা বর্ষার আনন্দে থৈ থৈ। প্রাণীকুল খলখল কলধ্বনিতে মুখর। পক্ষীকুল মনের আনন্দে সরব তাদের কূজনে। আসন্ন পূর্ণিমার রূপোলী জ্যোৎস্নায় ব্যাপ্ত আদিগন্ত চরাচর। এমন প্রাকৃতিক আবাহনে মেতে উঠলেন শ্রীরাধিকা তাঁর দয়িতের সাথে। এতো মানুষের জীবনের মতই মিলনের আর্তি। বহুদিনের অদর্শণের অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তি। এতো আমাদের জীবনে চেনা ঘটনাতাই নয় কি ?তাই রবিঠাকুর বলে ওঠেন,আজ শ্রাবণের সজল ছায়ায় বিরহ মিলন........সত্যি এ যেন পরাণের সাথে পরাণ বাঁধার উৎসব ! চির বন্ধুতার আবেগের উৎসব ।ঝুলনযাত্রা বহুযুগ আগে থেকে ব্রজভূমি বৃন্দাবনে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হত। শ্রীকৃষ্ণ এবং শ্রীরাধিকা তাঁদের অষ্টসখী ইন্দুরেখা, চিত্রা, চম্পকলতা, ললিতা, বিশাখা, তুঙ্গবিদ্যা, সুদেবী এবং রঙ্গদেবীর সাথে লীলা করেছিলেন ঐ দিনে।শ্রীচৈতন্যদেবের লীলাক্ষেত্র নবদ্বীপধামেও এখন ঝুলন পালিত হয় মহাসমারোহে। রাধাগোবিন্দের প্রচলিত ঝুলনযাত্রার হাত ধরে এসে পড়ে রাখীবন্ধন যা এখন গ্লোবাল মার্কেটে আরো জনপ্রিয়। পুরাণের কাহিনী অনুযায়ী দেবতারা যখন অসুরদের দৌরাত্ম্যে স্বর্গ থেকে ক্ষমতাচ্যুত তখন দেবরাজ ইন্দ্র দেবগুরু বৃহস্পতির শরণাপন্ন হলেন। ইন্দ্রের স্ত্রী পৌলমী তখন বৃহস্পতির নির্দেশে ইন্দ্রের হাতে বেঁধে দিলেন একগুচ্ছ রাখী। এই রাখী হল রক্ষাকবচ যা দেবরাজকে রক্ষা করবে অসুরদের সকলপ্রকার অত্যাচারের হাত থেকে। শ্রাবণী পূর্ণিমার দিনে রাখী পরার পরেই নাকি দেবরাজ ইন্দ্র সমর্থ হয়েছিলেন অসুরদের পরাস্ত করে স্বর্গরাজ্য উদ্ধার করতে।ইতিহাস অনেক কথাই বলে। তার মধ্যে বাঙালীদের কাছে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল লর্ড কার্জনের বঙ্গভঙ্গ ও রাখীবন্ধনে রবিঠাকুরের অগ্রণী ভূমিকা। ১৯০৫ সালে লর্ড কার্জন বাংলাকে দুভাগ করে বসলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বঙ্গভঙ্গের তীব্র বিরোধিতা করে দেশপ্রেমের মন্ত্রে জাতীয়তাবাদকে আরো সোচ্চার করার চেষ্টায় জাতিধর্ম নির্বিশেষে, আপামর জনসাধারণের হাতে রাখী বাঁধলেন। বীজমন্ত্র একটাই। ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে দেশবাসীকে একসূত্রে আবদ্ধ করা। লিখলেন সেই অনবদ্য গান,বাংলার মাটী বাংলার জল, বাংলার বায়ু বাংলার ফল, পুণ্য হোক, পুণ্য হোক হে ভগবান! তাই সেই থেকে রাখীপূর্ণিমার দিনটি বাঙালীর মননে, স্মরণে আরো গুরুত্ব পেয়ে আসছে। রাখী হল সেই রক্ষাবন্ধনের কবচ যা পরিয়ে দিলে কোনো অমঙ্গলের আশঙ্কা থাকেনা। তাই বুঝি মা যশোদা কৃষ্ণের হাতে এই মঙ্গলসূত্র বা ডোর বেঁধে দিতেন। বালগোপাল অরণ্যে, প্রান্তরে গোচারণায় যেতেন সখাসখীদের সাথে, তার যাতে কোনো অনিষ্ট না হয় সেই জন্য । আবার ব্রজবালারা কিশোর কৃষ্ণের হাতে ফুলের রাখী বেঁধে দিতেন প্রেম-প্রীতির বন্ধন হিসেবে। মাতা কুন্তী নাকি অর্জুনপুত্র অভিমন্যুর হাতে যুদ্ধযাত্রার প্রাক্কালে রাখী বেঁধে দিয়েছিলেন। অতএব রাখী হল স্নেহ-ভালবাসার বন্ধন দিয়ে মোড়া এক রক্ষাকবচ যা কেবল মাত্র ভাই-বোনের সম্পর্কের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।।

আগস্ট ১২, ২০২২
বিনোদুনিয়া

এবং নন্দনে শ্রীলেখা, এবার সদর্পে নিজের ছবি নিয়ে উপস্থিত হবেন

অবশেষে নন্দনে শ্রীলেখা, তাও আবার নিজের প্রযোজিত ছবি নিয়ে। বারবার তিনি নন্দন-র নন্দনদের দাপাদাপি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। কিছুদিন আগে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসবে তাঁকে আমন্ত্রণ না জানানো নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। চলচ্চিত্র উৎসবকে রাজনীতির প্রেক্ষাপট বানানো নিয়ে তিনি প্রতিবাদ জানান। উল্লেখ্য, নন্দনে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসবের সময় তাঁর ছবির পরিচালক আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্তকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি কোনও এক আজানা কারণে।কলকাতা চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই আড়ালে মেনে নিয়েছিলেন, ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন ক্যালকাটা যা কিনা কলকাতার ওপর আধারিত সেই ছবিটি উৎসবে অবশ্যই দেখানো উচিত ছিল। শ্রীলেখা অপমানিত বোধ করেছিলেন। কেউ কেউ মনে করেছেন, যে অভিনেত্রী ভেনিসে, নিউ ইয়র্কে সমাদৃত তাঁর কি বা যায় আসে কলকাতাতে উপেক্ষা করলে। কিন্তু কিছু চলচ্চিত্র সমলোচক মনে করেন, হ্যাঁ আসে। তাঁদের মতে, যখন অযোগ্যরা মঞ্চ দাপিয়ে বেড়ায় তখন অবশ্যই যোগ্য ব্যক্তিদের কিছু এসে যায়। শ্রীলেখা এ ব্যাপারে অনেকবারই দুঃখপ্রকাশ করেছেন।কিছুদিনের মধ্যে ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন ক্যালকাটা মেলবোর্নের ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যাবে। সেখানে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন, বিদ্যা বালন, আলিয়া ভাট ও শেফালি শাহদের সঙ্গে তিনিই একমাত্র বাঙালি অভিনেত্রী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। পুরষ্কারের কোনও ঘোষণা এখনও হয়নি। কে বিজয়ী হবেন সে সমন্ধে এখনও কোনও খবর প্রকাশ হয়নি। কিন্তু আন্তর্জাতিক মঞ্চে বলিউডের নামজাদা নায়িকাদের সঙ্গে মনোনীত হওয়া অবশ্যই কৃতিত্বের, একথা শ্রীলেখার চরমতম সমলোচক-ও স্বীকার করবেন।সেই সাফল্যের রেশ টেনে নন্দনের ফ্লোরে পা দেবেন শ্রীলেখা। যে নন্দন তাঁকে কোনও কারণ ছাড়াই ব্রাত্য রেখেছে, সেই নন্দনে তাঁর নিজের ছবি নিয়ে উপস্থিত হচ্ছেন শ্রীলেখা। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার নন্দনে তাঁর প্রযোজিত, পরিচালিত ও অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি এবং ছাদ প্রদর্শিত হবে। ইতিমধ্যে ছবিটি সাউথ এশিয়ান শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে মনোনীত হয়েছে। ফেস্টিভ্যালের জুরি মেম্বাররা ছবিটি দেখানোর জন্য নন্দনকেই বেছে নিয়েছেন। যার পরিণাম শ্রীলেখাকে সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে। নন্দন প্রেক্ষাগৃহ-৩ এ ছবিটি স্ক্রিনিং হবে।এবং ছাদ শ্রীলেখার প্রযোজিত প্রথম ছবি। প্রযোজনা সংস্থা পসাম প্রোডাকশনস চারটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবির অংশ জুড়ে একটি পূর্ণ দৈর্ঘের অ্যান্থোলজি ছবি তৈরি করছেন। শ্রীলেখা সামাজিক মাধ্যমে এই ছবিগুলির জন্য ফাইন্যান্সার খোঁজার কথা জানিয়েছেন। এখনও সেই ভাবে কাউকে পাননি, তা নিয়েও তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন।শ্রীলেখার তাঁর সামাজিক মাধ্যমে আরও জানিয়েছেন যে, আগামিকাল ৪ আগস্ট তিনি নন্দনে যাবেন। সসম্মানে! নিজের ছবি দেখবেন। জুরিরা তাঁর ছবি এবং ছাদ দেখবেন। তাঁর সামাজিক মাধ্যমে সদর্প ঘোষণায় এটুকু আন্দাজ করাই যায় তিনি যথেষ্ট উত্তেজিত কালকের নন্দন অভিযানে। যেখানে তিনি কারুর আনুগ্যতে নয় যোগ্যতায় হাজির থাকবেন বলে মনে করেন শ্রীলেখা। বন্যেরা বনে সুন্দর-শিশুরা মাতৃ ক্রোড়ে আর চলচিত্র শিল্পীরা নন্দনে। আশা করাই যায় কালকের অপেক্ষায় আজকের রজনী বিনিদ্র যাপন করবেন শ্রীলেখা।

আগস্ট ০৩, ২০২২
বিনোদুনিয়া

স্মরণে তরুণ মজুমদার

ফুলেশ্বরী বালিকা বধু বেশে শ্রীমান পৃথ্বীরাজ কে ভালোবাসা ভালোবাসা য় আবদ্ধ করে সংসার সীমান্তে ভালোবাসার বাড়ি তৈরি করলো। এই সম্পর্কে কুহেলি র দাদার কীর্তি ই বেশি ছিল, বাড়ির নাম রাখাল স্মৃতিটুকু থাক। চারিদিক আলো ঝলমলে, পূর্নিমায় চাঁদের বাড়ি মনে হয়। বাড়ির ঠাকুর ঘরের নামকরণ হল আপন আমার আপন। বহু পথ ভোলা পথিকের জন্য চাওয়া পাওয়া ভুলে এই কাঁচের স্বর্গ এ নিমন্ত্রণ রইল। তরুন নিষ্ঠাবান পুরোহিতের কাছে জবা, টগর, গাঁদা, পদ্মশ্রী র পুষ্পঞ্জলি দিলে আনন্দলোক এর অনুভুতি পাবেন। এই প্রেক্ষাপটে তৈরি চলচ্চিত্রটি অনেক ফ্লিমফেয়ার এ প্রদর্শীত ও পুরস্কৃত হয়। রিলিজ হবার পরেই সেন, রায়, মজুমদার, ব্যানার্জী পরিবার ছবিটা দেখে এসে খুব প্রসংসা করেছে।।সুরজিৎ পান(স্কুল শিক্ষক)

জুলাই ০৬, ২০২২
বিনোদুনিয়া

'মন ফাগুন' এর ৩০০ তম এপিসোড উদযাপন

২০২১ এর ২১ জুলাই প্রথম টেলিকাস্ট হওয়ার পর শন ব্যানার্জি ও সৃজলা গুহর ধারাবাহিক মন ফাগুন ৩০০ এপিসোডে পা দিল। এই ধারাবাহিকে শন ব্যানার্জি ঋষিরাজ ও সৃজলা পিহুর চরিত্রে অভিনয় করছেন। মডেল হিসাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করা সৃজলার এটা প্রথম ধারাবাহিক। অন্যদিকে আমি সিরাজের বেগম ও এখানে আকাশ নীল ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করা শন ব্যানার্জি মন ফাগুন-এর প্রথম দিন থেকেই দর্শকদের মন কেড়েছেন।৩০০ তম এপিসোড কেক কেটে উদযাপন করল ধারাবাহিকের সকলে। অ্যাক্রোপলিস এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে উদযাপনের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয় মন ফাগুনের ৩০০ তম এপিসোড উদযাপন। মন ফাগুন লেখা একটা কেক ও কাটেন ইউনিটের সকলে।এর পাশাপাশি স্টার জলসা এই ধারাবাহিক উদযাপনের একটি ভিডিও পোস্ট করে। যেখানে কলাকুশলীরা এই ধারাবাহিকে কাজ করার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। উল্লেখ্য মন ফাগুন ধারাবাহিকে শাশ্বতী গুহঠাকুরতা, গীতশ্রী রায়, রব দে, শায়ন দে, অনন্যা সেনগুপ্ত আরও পরিচিত মুখ অভিনয় করছেন।

মে ২৬, ২০২২
বিনোদুনিয়া

প্রথমবার বড়পর্দায় শন, বলিউড তারকা রিতেশ দেশমুখ এবার বাংলা ছবিতে

বলিউডের জনপ্রিয় নাম, ১১৪টির বেশি ছবিতে সফলভাবে ক্যামেরার দায়িত্ব সামলানো কবীর লাল সিং প্রথম ছবি পরিচালনা করলেন। মোট ৪টি ভাষায় ছবিটি দর্শকদের কাছে পৌঁছবে। বাংলাতে ছবিটির নাম অন্তদৃষ্টি। এখানে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তার স্বামীর চরিত্রে দেখা যাবে ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী কে। এই ছবির মাধ্যমে প্রথমবার বড়পর্দায় দর্শকরা দেখতে পাবেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা শন ব্যানার্জিকে। ভিলেনের চরিত্রে দেখা যাবে শন কে। এর পাশাপাশি বলিউড তারকা রিতেশ দেশমুখ কে প্রথমবার কোনো বাংলা ছবিতে পেতে চলেছেন দর্শকরা।কলকাতার একটি বড় হোটেলে ছবির প্রথম লুক প্রকাশ্যে এল। উপস্থিত ছিলেন ছবির মুখ্য চরিত্র ছাড়াও অন্যান্য কলাকুশলীরাও। অন্তদৃষ্টি তে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর দুটি চরিত্র রয়েছে। কঙ্গনা ও রঙ্গনা দুই চরিত্রে রয়েছেন টলিউডের গ্ল্যামারাস এই অভিনেত্রী। ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তীর চরিত্রের নাম জন। সুজয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন শন ব্যানার্জি। রিতেশ দেশমুখের চরিত্রের নাম কার্তিক যোশী

মে ২৪, ২০২২
বিনোদুনিয়া

শেষ হল “নার্ভ”-এর শুটিং, ছবিটি এবার মুক্তির অপেক্ষায়

রাধে কৃষ্ণা ফিল্মস এর প্রযোজনায় সায়ন বসুর পরিচালনায় রূপসা মুখোপাধ্যায়, অনন্যা গুহ, অক্ষয় গুপ্ত ও ঈশান মজুমদার অভিনীত নার্ভ সিনেমার শুটিং প্রায় হতে চলেছে। প্রয়াগ ফিল্ম সিটি তে মিউজিক ডিরেক্টর অমিত মিত্রের পরিচালনায় প্রশ্মিতা পাল ও রাজ বর্মন এর গাওয়া হেরেছে দিল গানে অক্ষয় ও অনন্যা কে একসঙ্গে নাচতে দেখা যাবে। ছবিতে রূপসা সম্রাজ্ঞীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ঋত্বিকার চরিত্রে দেখা যাবে অনন্যাকে। নার্ভ-এ দেখা যাবে অনন্যা অর্থাৎ ঋত্বিকা ভালোবাসে দেব অর্থাৎ অক্ষয় অভিনীত চরিত্রটিকে। এই ছবির মাধ্যমে ডেবিউ করতে চলেছেন অভিনেতা অক্ষয় গুপ্ত। খুব শীগ্রই এই সিনেমা দর্শকরা দেখতে পাবেন। ছবি প্রসঙ্গে পরিচালক সায়ন বসু জানিয়েছেন, আমাদের নার্ভ এর শুটিং শেষ হল। প্রয়াগ ফিল্ম সিটিতে ছিল আমাদের গানের শুটিং। শুটিং-এর অভিজ্ঞতা খুব ভালো। ছবিটি মুক্তি পেলে সকলে দেখে ফিডব্যাক জানাবেন। অনন্যা জানালেন, প্রয়াগ ফিল্ম সিটিতে আমাদের ছবি নার্ভ এর গান হেরেছে দিল এর শুটিং শেষ হল। খুব তাড়াতাড়ি থিয়েটারে ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। সবাই হলে গিয়ে ছবিটি দেখুন।

মে ২২, ২০২২
বিনোদুনিয়া

গানের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে বিশেষ অনুভূতি

গানের মধ্যে কত অনুভূতিই না জুড়ে থাকে। কোনও গানে শৈশবকে তুলে ধরা হয়। কোনও গানে স্মৃতি জড়িয়ে থাকে। আবার কোনও গানে কাছের মানুষকে আবার ফিরে পাওয়া যায়।কিন্তু এমন একটা গান যেখানে এই সবকিছুর ছোঁয়া পাওয়া যাবে। শৈশবের পুরনো স্মৃতি, আবেগ ও কাছের মানুষটা আবার কাছে ফিরে পাওয়ার অনুভূতি এই নিয়েই আসছে একটি নতুন গান। গানটির নাম সোনালি দুপুর। শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায় এর কথায় জয় সরকারের সঙ্গীত পরিচালনায় বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী ফারজানা সিফাত গানটি গেয়েছেন। সৌমজিৎ আদকের পরিচালনায় গানটির মধ্যে দেখা যাবে ফারজানা সিফাত, শিশু শিল্পী রূপদীপ্তা মুখার্জি এবং লিনা মুখার্জিকে। গানটি নিয়ে ইতিমধ্যেই দর্শকদের মধ্যে উন্মাদনা শুরু হয়েছে।

মে ১৯, ২০২২
বিনোদুনিয়া

জোরকদমে চলছে "সৎ ভূত অদ্ভূত" এর শুটিং

প্রযোজক ববি চৌধুরীর উদ্যোগে পরিচালক প্রীতম সরকারের প্রযোজনায় প্রোডাকশন হাউস অ্যাকন প্রীতি ক্রিয়েশন এলএলপি এর নিবেদিত সৎ ভূত অদ্ভূত সিনেমা আসতে চলেছে। সিনেমায় অভিনয় করছেন পরান বন্দ্যোপাধ্যায়, খরাজ মুখার্জী, পার্থ চক্রবর্তী, প্রসূন গাইন, রাজু মজুমদার, পূজা সরকার, ইভলিনা চক্রবর্তী সহ আরো অনেক পরিচিত মুখ।এই ছবির শুটিং কভারেজ হয়ে গেল টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে। উপস্থিত ছিলেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রসূন গাইন, পূজা সরকার, ইভলিনা চক্রবর্তী প্রমুখ।সৎ ভূত অদ্ভূত নিয়ে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, কাজটা করে ভালো লাগছে। একটা অন্য ধরণের ছবি। এর মধ্যে একটা ব্যঞ্জনা আছে। পদ্ধতিটা অন্য ধরণের। একটা মেসেজ রয়েছে। বিনোদনও রয়েছে। তাছাড়া মানুষ দৈনিক জীবনেরও খোঁজ পাবে।

মে ১১, ২০২২
রাজ্য

মুখ্যমন্ত্রী বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পাওয়ায় আকাদেমী পুরস্কার ফেরালেন বাংলার লেখিকা

বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আর তা জানার পরেই প্রতিবাদ স্বরুপ অন্নদাশঙ্কর সম্মামনা ত্যাগ করলেন বর্ধমানের খাগড়াগড় নিবাসী লেখিকা ও গবেষক রত্না রশীদ বন্দোপাধ্যায়।পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমিকে চিঠি পাঠিয়ে লেখিকা তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েও দিয়েছেন ।পাশাপাশি ২০১৯ সালে পাওয়া অন্নদাশঙ্কর সম্মামনা তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। লেখিকার এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি কবি ও সাহিত্যিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। যদিও লেখিকা রত্না রশীদ বন্দোপাধ্যায় তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন।এই বছরই প্রথম বাংলা আকাদেমির নামাঙ্কিত রিট্রিভার্সিপ পুরস্কার দেওয়া চালু হয়। সমাজের অন্যান ক্ষেত্রে কাজের পাশাপাশি যাঁরা নিরলস সাহিত্য সাধনা করে চলেছেন তাঁদের পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলা আকাদেমি।তারা বাংলার বেশ কাছু পথিতযশা সাহিত্যিকের মতামত নিয়ে কবিতা বিতান কাব্যগ্রন্থের জন্যে প্রথম বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রিট্রিভার্সিপ পুরস্কার দেওয়ায় জন্য মনোনিত করেন। সোমবার ২৫ শে বৈশাখ উপলক্ষে রাজ্য সরকার আয়োজিত কবি প্রণাম অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর বাংলা আকাদেমি রিট্রিভার্সিপ পুরস্কার পাওয়ার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দবতরের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পাওয়ার বিষটি কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি লেখিকা ও গবেষক রত্না রশীদ বন্দোপাধ্যায়।তিনি ২০০৯ সালে ও ২০১৯ সালে আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন। মুসলিম বিয়ের গান সহ নানা বিষয়ে গবেষণা রয়েছে। অজস্র প্রবন্ধ ও গল্প লেখিকা রত্নাদেবীর ঝুলিতে রয়েছে ৩০ টি পুরস্কার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পাওয়া নিয়ে মঙ্গলবার তিনি সংবাদ মাধ্যমের কাছেও ক্ষোভ উগড়ে দেন। তিনি বলেন, যেভাবে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে তার একটা প্রতিবাদ দরকার। পাশাপাশি রত্নাদেবী এও বলেন, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের লেখাগুলিকে তিনি সাহিত্য পদবাচ্য বলেই মনে করেন না। যাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিলেনে তা নিয়েও তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন।এরপরেই তিনি জানিয়ে দেন ,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আকাদেমি পুরস্কার দেওয়ার প্রতিবাদ জানাতে ২০১৯ সালে পাওয়া আকাডমি পুরস্কারটি তিনি ফিরিয়ে দিচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে লেখিকা রত্না রশীদ বন্দোপাধ্যায় দাবী করেন, সোমবার মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়কে আকাদেমি পুরস্কার দেওয়ার বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারেননি। কারণ এতে পুরস্কারের গরিমা রক্ষিত হয়নি। তিনি মনে করেন, সাহিত্য সাধনার বিষয়। সেই সাহিত্য বিষয়ে কাউকে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্তের বিষয়টি কোনওভাবেই রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হতে পারে না।

মে ১০, ২০২২
বিনোদুনিয়া

মুক্তি পাচ্ছে "নার্ভ" এর প্রথম গান

রাধে কৃষ্ণা ফিল্মস এর উদ্যোগে সায়ন বসুর পরিচালনায় রুপসা মুখোপাধ্যায়, অনন্যা গুহ, অক্ষয় গুপ্তা ও ঈশান মজুমদার অভিনীত নার্ভ সিনেমার প্রথম গান প্রকাশিত হতে চলেছে। এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন রূপসা মুখোপাধ্যায় ও অক্ষয় গুপ্তা। এছাড়া ছবিটিতে অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সাথী মুখোপাধ্যায় এবং শুভজিৎ আদগিরি। ছবিতে রূপসা অভিনয় করছেন সম্রাগীর চরিত্রে এবং ঋত্বিকার চরিত্রে অভিনয় করছেন অনন্যা।নার্ভ-এ দেখা যাবে অনন্যাকে হুইল চেয়ারে বসে থাকতে। তিনি হাঁটতে পারেননা। প্যারালাইসিস হয়েছে ঋত্বিকার। ঋত্বিকাকে দেখাশোনা করে তাঁর দিদি। ঋত্বিকা ভালোবাসে দেব অর্থাৎ অক্ষয় অভিনীত চরিত্রটিকে। এই ছবির মাধ্যমে অভিষেক হতে চলেছে অভিনেতা অক্ষয় গুপ্তার। অমিত মিত্রের সঙ্গীত পরিচালনায় এবং অমিত মিত্র এবং সান্বয় মিত্রের লেখনীতে রাজ বর্মন এবং প্রশ্মিতা পাল গলায় শোনা যাবে হেরেছে দিল গানটি। এই গানটি শীঘ্রই প্রকাশিত হতে চলেছে।

মে ০৪, ২০২২
বিনোদুনিয়া

ভিন্নধর্মী গল্পে চমক রাখছে 'ইনসেন'

আগামীকাল ১লা বৈশাখে মুক্তি পাচ্ছে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ইনসেন। এই ছবির কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার এবং পরিচালক স্নেহা কাঁড়ার এবং সৌরনীল সিংহ। গোধূলি প্রযোজনা সংস্থার অধীনে নির্মিত ছবির প্রযোজক রবীন্দ্রনাথ মিত্র। ছবিটি একটি ছেলের কথা বলে, যার নাম বিজিত ভট্টাচার্য। সে একজন বেকার যুবক। তার প্রেমিকা তাকে ছেড়ে দিয়েছে, তার পরিবার বলতে আছে কেবল শুধু তার বাবা - মা। সে বাড়ি থেকে বেরোয় না, ছোটো থেকেই একটু নিজের মধ্যে থাকতো, বিশেষ বন্ধু-বান্ধব নেই, পড়াশোনাতেও সে মোটামুটি ছিল। তার একটি ক্যামেরা আছে আর সে সেটি একদিন চালিয়ে একটি ভিডিও করে এবং তার জীবনের কথা বলে। এমন কিছু কথা উঠে আসবে যা তার ভাব ধারায় খুবই স্বাভাবিক লাগলেও অন্যান্য মানুষের কাছে তা খুবই অস্বাভাবিক এবং অস্বস্তি জনক লাগবে। এরকম মানুষ আমরা সাধারণত দেখে হয়তো চিনতে পারবো না কিন্তু এই ধরনের মানুষ আছে আমাদের সমাজে। বিজিত ভট্টাচার্যের চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেবপ্রিয় সাধুখাঁ। তিনি অভিনয়ের সাথেই যুক্ত। ছোটো থেকে স্কুলে নাটক করা থেকে অভিনয় প্রতি ভালোবাসা। তারপর রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাটক নিয়ে পড়াশোনা। বেশ কিছু থিয়েটার গ্রুপ এবং যাত্রা দলের সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি। দুটো ছোটো ছবি এবং দুটো তথ্যচিত্রের পাশাপাশি একটি পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবিতেও ইতিমধ্যে কাজ করে ফেলেছেন। তার অভিনয়ের পাশাপাশি সঙ্গীতেও বিশেষ আগ্রহ। গান শোনা এবং গান গাওয়া দুই তার কাছে ভালোবাসার জায়গা। এই ছবির একটি নিজস্ব গান আছে। যেটির নাম বিলম্বিত। এই গানটি গীতিকার, সুরকার তথাগত। গানটি আয়োজন করেছেন সৈকত মন্ডল। গানটি গেয়েছেন তথাগত। গানটি বিভিন্ন মিউজিক প্ল্যাটফর্মে আছে, এছাড়াও গোধূলির অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে আছে। ছবিটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতীয় কিছু চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত হয়েছিল এবং পুরস্কৃত হয়েছিল। ইংল্যান্ড, গ্রীস, বাংলাদেশ সহ ভারতবর্ষের বেশ কিছু শহরে দেখানো হয়েছে।

এপ্রিল ১৪, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • ›

ট্রেন্ডিং

খেলার দুনিয়া

১৪ বছর পর কলকাতায় মেসি! “মাঠ কাঁপাবে” ডিসেম্বরে?

কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এক বিশাল সুখবর! ফুটবল কিংবদন্তি লিওনেল মেসি (Lionel Messi) তাঁর বহু প্রতীক্ষিত GOAT Tour of India 2025-এর জন্য এ বছরের ডিসেম্বর মাসে কলকাতা ময়দান মাতাতে আসছেন। ১৪ বছর পর বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকার ভারতে ফেরা নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হতে চলেছে।আগামী ডিসেম্বরে আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি তাঁর ভারত সফরের সূচনা করবেন কলকাতাতেই। আয়োজকদের ঘোষণা অনুযায়ী, তিনি ১২ই ডিসেম্বর রাতে মহানগরে পৌঁছাবেন এবং ১৩ই ডিসেম্বর কলকাতায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।কলকাতার আইকনিক সল্টলেক স্টেডিয়ামে (যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন) মূল অনুষ্ঠানগুলি হবে, যেখানে ২০১১ সালে মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে খেলেছিলেন।GOAT কনসার্ট এবং GOAT কাপ, ১৩ই ডিসেম্বর এই দুটি প্রধান ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। GOAT কাপ হবে একটি সেলিব্রেটর সেভেন-এ-সাইড (seven-a-side) সফট-টাচ ফুটবল ম্যাচ। বেশ কয়েকজন ভারতীয় কিংবদন্তির উপস্থিতির সম্ভবনা ওই খেলায়, সুত্রের খবর, এই বিশেষ ম্যাচে মেসির সঙ্গে মাঠে নামতে পারেন ভারতীয় ক্রীড়া জগতের তারকারা, যেমন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বাইচুং ভুটিয়া এবং লিয়েন্ডার পেজ প্রমুখ।ম্যচের শেষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মেসিকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও এই সফরের অঙ্গ হিসাবে কলকাতা শহরে মেসির একটি মূর্তি উন্মোচন-র আয়োজন চলছে।এই সফরে নানাবিধ অনুষ্ঠানের মধ্যে, ফুড অ্যান্ড টি ফেস্টিভ্যালঅনুষ্ঠিত হবে। কলকাতায় তাঁর প্রিয় পানীয় আর্জেন্তিনীয় ভেষজ চা মাটে-এর সঙ্গে আসামের চায়ের ফিউশন করে একটি বিশেষ খাদ্য ও চা উৎসবের আয়োজন করা হবে।কলকাতা ছাড়াও মেসি ভারতে আরও কয়েকটি শহর সফর করবেন, সেকারনে তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতার পর মেসি আরও চারটি-শহরে সফর করবেন। যেগুলি হল আহমেদাবাদ, মুম্বাই এবং নয়া দিল্লী। ১৫ই ডিসেম্বর তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর ভারত সফর শেষ করবেন। এই সফরের ইভেন্টগুলোর টিকিটের মূল্য ৩,৫০০ টাকা থেকে শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।মেসির প্রতিক্রিয়াদীর্ঘ ১৪ বছর পর ভারতে আসা নিয়ে মেসি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। একটি সরকারি বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সফর করতে পারা আমার জন্য খুবই সম্মানের। ভারত খুব স্পেশাল একটি দেশ, এবং ১৪ বছর আগে আমার সেখানে কাটানো মুহূর্তগুলোর খুব ভালো স্মৃতি আছে এখানকার ভক্তরা ছিল অসাধারণ। ভারত ফুটবল প্রেমী দেশ (passionate football nation), এবং আমি ফুটবলের প্রতি আমার ভালোবাসা নতুন প্রজন্মের ভক্তদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।২০২৫ এর ডিসেম্বর মাসে ফুটবল কিংবদন্তির আগমন শুধু কলকাতার নয়, গোটা ভারতের ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে এক বিশাল উৎসবের বার্তা নিয়ে আসছে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

সাংসদের ওপর হামলায় রাজ্যকে নিয়ে বড় প্রশ্ন মোদির, কড়া জবাব মমতার

বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলা নিয়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পাল্টা কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া লিখেছেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যের এবং গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোনো উপযুক্ত অনুসন্ধানের জন্য অপেক্ষা না করেই তা-ও আবার যখন উত্তরবঙ্গের মানুষ ভয়াবহ বন্যা ও ধসের সঙ্গে যুঝছেন।যখন সমগ্র স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে ব্যস্ত হয়ে আছে, তখন বিজেপি নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন বিপুল সংখ্যক গাড়ির কনভয় নিয়ে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে এবং স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে কোনো খবর না দিয়ে। রাজ্য প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ বা তৃণমূল কংগ্রেসকে কীভাবে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা যাবে?এখানেই থামেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী পদের গরিমা নিয়েও। প্রশ্ন তুলেছেন মোদির নৈতিকতা নিয়েও। তাছাড়া কোনও প্রমান ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর দোষারোপ করেছেন কিছুমাত্র প্রমাণ ছাড়া, আইনানুগ কোনো তদন্ত ছাড়া এবং কোনো প্রশাসনিক রিপোর্ট ছাড়া। এটা শুধু রাজনৈতিক নিম্নতা স্পর্শ করল না, যে সাংবিধানিক নৈতিকতা তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন, সেই নৈতিকতারও লঙ্ঘন হল। যে কোনো গণতন্ত্রে আইন তার নিজস্ব পথ নেয় এবং কোনো ঘটনার দায় নির্ধারিত হয় যথাযথ প্রক্রিয়ায় -কোনো রাজনৈতিক বেদীর উচ্চতা থেকে করা একটি ট্যুইটের মাধ্যমে নয়।উত্তরবঙ্গ কাল যাবো, আজ কার্নিভাল !!!কার্নিভাল নাকি বাংলার ঐতিহ্য ! তা দশমীর চার দিন পর সরকারি অনুদান আর প্রশাসনিক চোখ রাঙানির জেরে প্রতিমা নিরঞ্জন আটকে রেখে, মিছিল করিয়ে ঘাটে যাওয়া কবে থেকে বাংলার ঐতিহ্য হয়ে গেলো?আর মুখ্যমন্ত্রী চটজলদি উত্তরবঙ্গ যেতে আগ্রহী নন কেন, pic.twitter.com/mD0TeqWIaz Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) October 5, 2025মমতা বলেছেন, সংশ্লিষ্ট ঘটনা ঘটেছিল একটি কেন্দ্রে, যেখানে মানুষ নিজেরাই বিজেপির একজন বিধায়ককে নির্বাচন করেছেন। তথাপি এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের তথাকথিত শক্তিমত্তা দেখায় প্রধানমন্ত্রী দ্বিচারিতা অনুভব করলেন না। এই ধরনের অসার এবং অতি-সরলীকৃত সাধারণীকরণ শুধু অপরিণতই নয়, তা দেশের সর্বোচ্চ পদের সঙ্গে মানানসইও নয়।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের ওপর হামলা, নিন্দা নরেন্দ্র মোদীর, ফোন রাজনাথ সিংয়ের

বন্যা ও ভমি ধ্বসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। এরই মধ্যে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁদের ওপর তৃণমূল কংগ্রেস প্রাণঘাতী হমলা করেছে বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়েছেন খগেন মুর্মু। আঘাত পেয়েছেন শঙ্কর ঘোষ। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবার এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জখম সাংসদের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন। নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।আমার Narendra Modi (@narendramodi) October 6, 2025আমার একান্ত কামনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের সাহায্যে আরও মনোযোগী হোক। আমি বিজেপি কার্যকর্তাদের আহ্বান জানাই, তারা যেন জনগণের পাশে থেকে চলতি উদ্ধার কাজে সহায়তা করে যান।এদিকে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংজি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, তিনি টেলিফোনে আমার সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান এবং স্পষ্ট বার্তা দেন রাজনীতিতে হিংসার কোনো স্থান নেই। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই অন্যায় ও অত্যাচার কখনো মেনে নেবে না। সবাই মিলে এই হিংসার রাজনীতি প্রতিহত করতে হবে। বাংলার মানুষ গণতন্ত্রের শক্তিতে বিশ্বাস রাখে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal