• ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বুধবার ১১ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Sports

রাজ্য

অনগ্রসর শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের মাঠমুখী করার অভিনব প্রচেষ্টা পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের

ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রদান করে স্কুল ছাত্রদের মাঠমুখী করার মহান উদ্যোগ পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের। ৭ই এপ্রিল ২০২৫ সোমবার পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম-২ ব্লকের সাহেব ডাঙ্গা, খান্ডারী ডাঙ্গায় পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক স্কুল এবং হোস্টেল ছাত্রদের বই ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলাশাসক ও জেলা সমাহর্তা আয়েশা রানী এ (আইএএস), উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস), সদর উত্তর মহুকুমাশাসক তির্থঙ্কর বিশ্বাস, আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার এবং পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রকল্প আধিকারিক ও অনগ্রসর শ্রেণী উন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু কুমার মণ্ডল।এই মহান উদ্যোগটি মূলত পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রকল্প আধিকারিক ও অনগ্রসর শ্রেণী উন্নয়ন দপ্তরের উদ্যোগে সংগঠিত হয়। জেলার প্রকল্প আধিকারিক ও অনগ্রসর শ্রেণী উন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু কুমার মণ্ডল জনতার কথা কে জানান মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ও জেলাশাসক আয়েশা রানী এ-র তত্ত্বাবধানে অনগ্রসর শ্রেণীর উন্নয়নে নানাবিধ প্রকল্প সংগঠিত হয়। এটিও অনগ্রসর অনগ্রসর শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা ও মাঠমুখী করার এক আভিনব প্রচেষ্টা। তিনি আরও জানান এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আবাসিক স্কুল এবং হোস্টেলের ছাত্রদের ক্যারাম বোর্ড, ফুটবল, ভলিবল, বাস্কেট বল, ক্রিকেট সরঞ্জাম, ব্যাডমিন্টন র্যাকেট-র মত আউটডোর গেমের সরঞ্জামের সাথে-সাথে লুডো, দাবা সহ বাচ্চাদের খেলার সামগ্রীও প্রদান করা হয়। তিনি তাঁর স্বাগত ভাষণে এই মহান উদ্যোগের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও আবাসিক স্কুল এবং হোস্টেলের ছাত্রদের বিভিন্ন রেফারেন্স ও গল্পের বই বিতরণ করে তাদের শিক্ষার প্রসারেও উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিশিষ্টজনেদের মতে ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট যেভাবে বিশ্বকে মুঠবন্দি করতে শেখায়, সাথে সাথে পরিবেশ পরিজন দের থেকেও তাদেরকে অনেক দূরে ঠেলে দিচ্ছে, বাচ্চারা ক্রমশ গৃহ বন্দী হয়ে পড়ছে। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসনীয়। অনগ্রসর অনগ্রসর শ্রেণীর অনেকেই অর্থের অভাবে ক্রীডা সরঞ্জাম ক্রয় করতে আপারগ, তাই তারা সেভাবে মাঠমুখী হয় না। সেক্ষেত্রে এই শুভ উদ্যোগের জন্য বাংলার অনেক ছাত্র ছাত্রী নতুন উন্নত ক্রীড়া সরঞ্জাম পেয়ে পূর্ণ উদ্যমে সবুজ মাঠ মাতাবে এই আশা করায় যায়।

এপ্রিল ০৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

স্কুলের পরিকাঠামোতে মুগ্ধ 'আলভিটো '-র বর্ধমানে কোচিং করানোর প্রস্তাব!

মাত্র কয়েকদিন আগেই বর্ধমানের ছেলের গোলে সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলা। চুড়ান্ত ফাইনালে গোল করে আপামর বাঙ্গালী ফুটবল প্রেমীর নয়নের মনি হয়ে গেছেন রবি হাঁসদা। সেই রবির বাড়ির কাছেই বর্ধমান শহরে ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় এলেন একজোড়া কিংবদন্তি ফুটবলার।বর্ধমান মডেল স্কুলে ১৭ই জানুয়ারি শুক্রবার দুই দিন ব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার সূচনা হয়। প্রথম দিনের প্রধান অথিতি ছিলেন কলকাতা ময়দানের তিন প্রধানের অন্যতম মোহনবাগানের কিংবদন্তি ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য। ৭০-র দশকের কলকাতা ময়দানের মাঝমাঠের মানস-বিদেশ জুটির নাম শোনেনি, এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া দুস্কর।বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় দ্বিতীয় দিন ১৮ই জানুয়ারি শনিবার প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত হয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন কিংবদন্তি গোয়ানিজ ফুটবলার আল্ভিটো রোনাল্ডো কোরিয়া ডিকুনহা। আল্ভিটো তাঁর ফুটবলার হিসাবে কেরিয়ার শুরু করেন গোয়ার বিখ্যাত ক্লাব সেসার হয়ে। তারপর কয়েক মরসুম গোয়ান ফুটবলের নামজাদা ক্লাব সালগাওকার-র হয়ে খেলে কলকাতা ময়দানে প্রবেশ ২০০৩-এ। সেই থেকে কোলকাতা ময়দানের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র-র পরিণীত আল্ভিটো। তাঁর ঝরঝরে বাংলা শুনে তাঁকে গোয়ানিজ ভাবতে দুবার ভাবতে হবে।আল্ভিটো রিমোটের সাহায্যে সম্প্রীতির বার্তা জানিয়ে একঝাঁক গ্যাস বেলুন আকাশে ওড়িয়ে এদিনের স্পোর্টস মিটের সুচনা করেন। তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই আক্ষেপের সাথে জানান, এই প্রজন্মের মাঠমুখো না-হওয়ার প্রবনতার কথা। তিনি জানান খেলার মাঠে যাওয়ার প্রবণতা এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের ক্রমশই হ্রাস পাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের ছাত্রাবস্থায় আমরা এত বেশী খেলতাম যে অবিভাবকদের কাছে বেশী খেলার জন্য বকুনি খেতাম, আর এখন ঠিক তার উলটপুরাণ। আল্ভিটো বলেন, এখনও এতটাও খারাপ হয়ে যায়নি পরিবেশ, এখনও সময় আছে। অবিভাবকেরা বাচ্ছাদের হাত ধরে মাঠমুখী করুন। দেখবেন ছেলে-মেয়েরা খেলতে খেলতে পড়াশোনাতেও উন্নতি করতে শুরু করছে। তিনি বলেন, মাঠে এলে শুধুমাত্র শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ হয়, তা নয়। মাঠ মানসিক দৃঢ়তা বাড়াতে, দলবদ্ধ ভাবে কোনও কাজ করার মানসিকতা গড়তে ও প্রতি পদক্ষেপের জেতার জেদ তৈরি করতে সাহায্য করে।আল্ভিটো বর্ধমানের এই স্কুলের ক্রীড়া পরিকাঠামো-র ভুয়াসী প্রশংসা করে বলেন, আমরা ছোটো বেলায় এরকম পরিকাঠামো পাইনি। এখানে দুইটি প্রমান মাপের মাঠ, একটি প্রসস্ত ইন্ডোর অডিটোরিয়াম সবই আছে শুধুমাত্র অভাব একঝাঁক উৎসাহী ক্রীড়াপ্রেমী ছাত্র-ছাত্রী। তিনি স্কুলের কর্নধার অচিন্ত্য কুমার মণ্ডলকে জানান, স্কুলের ক্রীড়ার উন্নয়নে বিশেষ করে ফুটবলের জন্য তাঁকে কোনও প্রয়োজন লাগলে তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা দিয়ে যথাযত সাহায্য করতে প্রস্তুত।আল্ভিটো স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বাচ্ছাদের সাথে বেশ কিছুক্ষন সময় কাটান। বল নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন। আল্ভিটো-র সাথে এদিন উপস্থিত ছিলেন কোলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক সংগঠনের সহ-সভাপতি ও আজকাল পত্রিকার বিশিষ্ট ক্রীড়া সাংবাদিক নজরুল ইসলাম উপস্থিত সোহেল। এছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন জেলার পিওবিসিডাবলু আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু কুমার মন্ডল ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ডঃ শিবকালি গুপ্ত।স্কুলের কর্নধার অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল জনতার কথাকে বলেন, আমাদের স্কুল ক্রীড়া পরিকাঠামোতে কোনও কার্পণ্য করে না। দু-দুটি প্রমান সাইজের মাঠ পরে আছে ছেলেদের জন্য। বর্ষা-তেও যদি খেলতে অসুবিধা হয় তার জন্য ইন্ডোর স্টেডিয়াম বানানো হয়েছে। ক্রিকেটের জন্য কোলকাতা থেকে কোচ আসছে ছেলেদের কোচিং দিতে। এনসিসি-র ট্রেনিং-এর জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো সহ মাঠ বানানো হয়েছে। তিনি জানান, তাঁর বিশ্বাস খেলার মাঠ কখনো খারাপ মানুষ তৈরি করে না। খেলাধুলা একজন কে অপরকে সাহায্য করতে শেখায়। ফুটবলে একা-একা যেমন গোল করা যায় না ঠিক তেমন-ই রিলে রেসে সঠিক ভাবে ব্যাট্ম বদল না করলে জেতা যায় না, আবার ক্রিকেটে ক্যাচ না ধরলে বোলার উইকেট পায়না। একে অন্যকে সাহায্য করে কি ভাবে জয়লাভ করা যায় তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ খেলার মাঠ।

জানুয়ারি ১৮, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বাংলার ক্রীড়া কুলের দাদা-বন্ধু-ভালো মানুষের গল্পে শ্রদ্ধা অরুণ সেনগুপ্তকে

অরুণ সেনগুপ্তকে যে শুধু একজন নামজাদা ক্রীড়া সাংবাদিক ছিলেন, তাই নয়। ছিলেন আপাদমস্তক একজন ভদ্রলোক। ভালো মানুষ। অরুণ কারও কাছে বড়দা, কারও কাছে দাদা-বন্ধু বা কারও কাছে স্নেহের ভাইয়ের মতো। প্রয়াত অরুণ সেনগুপ্তর স্মরণ সভায় বারেবারে উঠে এল সেই প্রসঙ্গই। বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের স্মরণ সভায় উপচে পড়া ভিড়ে যেমন মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল-ফেডারেশন-আইএফএ কর্তারা ছিলেন, তেমনই ছিলেন ফুটবলাররা। ছিলেন অরুণের সঙ্গে কাজ করা অসংখ্য ক্রীড়া সাংবাদিকেরা। মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, অরুণের চলে যাওয়া আমার কাছে অঞ্জনদার (মিত্র) চলে যাওয়ার মতোই বেদনার। ময়দানের এক প্রকৃত বন্ধুকে হারালাম। ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারের কথায়, অরুণ ছিল এতটাই বিশ্বস্ত, যার কাছে মন খুলে সব কথা বলা যেত। এত বিশ্বস্ত বন্ধু আমি আর পাইনি। শ্রদ্ধা জানান আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত। যাঁর কথায়, অরুণ সেনগুপ্তই আমায় প্রথম শিখিয়েছিলেন, ময়দানে খেলোয়াড়রাই শেষ কথা। সারা জীবন সেটা মনে রাখব। শ্রদ্ধা জানান আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত, টেবল টেনিসের রবি চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন ফিফা রেফারি চিত্তদাস মজুমদার সহ অসংখ্য মানুষ। শ্রদ্ধা জানিয়েছে কলকাতা প্রেস ক্লাবও। ছিলেন অরুণবাবুর পরিবারের লোকজনও। বন্ধু ও দাদা অরুণকে নিয়ে নানা গল্প শোনান প্রাক্তন ফুটবলার সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, গৌতম ঘোষরা। শ্রদ্ধা জানান প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক গোলরক্ষক ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়। রঞ্জিজয়ী প্রাক্তন ক্রিকেটের অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এমন লড়াকু সাংবাদিক আমি খুব কম দেখেছি।কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের সঙ্গে অরুণ সেনগুপ্তর সম্পর্ক ছিল আজীবন। যখন সাংবাদিকতা করতেন, তখন মাঠ থেকে ফিরে এই তাঁবুই ছিল তাঁর কাজের জায়গা। ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচনেও জিতেছিলেন। কয়েক মাস আগে সিএসজেসি বিশেষ সম্মানও জানিয়েছে তাঁকে। বর্তমান ক্লাব প্রেসিডেন্ট শুভেন রাহা বলেন, অরুণদার আদর্শকে নিয়ে এগিয়ে চলাই হবে তাঁর প্রতি আমাদের সঠিক শ্রদ্ধাজ্ঞাপন।

নভেম্বর ৩০, ২০২৩
বিনোদুনিয়া

২৫- শে পা দিচ্ছে কৌশিক ইভেন্টস

কৌশিক ইভেন্টস একটি অর্গানিসশন যেটি এই বছর ২৫ এ বছরে পা দিচ্ছে। তারা এতো বছর ধরে কলকাতা তথা ভারত বর্ষে বিভিন্ন জায়গায় তাদের নিজস্ব অতুলনীয় উদ্ভাবনীয় অনুষ্ঠান করে দর্শক মহলে ছাপ ফেলে দিয়েছে তাদের জার্নি শুরু হয়েছিল ১৯৯৮ এর মাঝামাঝি একটা কলেজ সোশ্যাল ইভেন্ট করে। একটা দারুন বিষয় সেই কলেজে ২৫ বছর ধরে এখনো কৌশিক ইভেন্টস সুনামের সাথে কাজ করে চলেছে,এই দলের প্রধান উদ্যোক্তা কৌশিক রাহুল ঘোষ জনতার কথা কে জানিয়েছেন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে পশ্চিমবঙ্গের সংগীত ও শিল্প কর্ম সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলাম বলে এই দলটির শুরু হয়েছিল। মূলত নতুন শিল্পীদের প্লাটফর্ম দেয়ার পাশাপাশি আমরা বিখ্যাত শিল্পীদের একসাথে মঞ্চস্থ করার জন্য বহু ইভেন্ট করেছি। নজরুল মঞ্চে প্রথমবার একসাথে ভৌমিক ক্যাকটাস এবং চন্দ্রবিন্দুকে পারফর্ম করিয়েছিল এই ইভেন্টস তেমনি আবার রক সক নামে একটি রক কনসার্টের কলকাতা শহরে প্রথমবার আয়োজন করি। আমাদের ইভেন্টস যেখানে পারফর্ম করেছিল বিখ্যাত ব্যান্ড ফসিলস ক্যাকটাস এবং ক্রস উইন্স প্রথমবার একসাথে।এর পাশাপাশি তিনি জানান, কবীর সুমন একক নচিকেতা সুমন চক্রবর্তী এবং কলকাতার তথা পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত আর্টিস্টদেরকে নিয়ে করা বিভিন্ন সরকারি মেলা তার সঙ্গে সঙ্গে তাদের নিজস্ব চিন্তাধারায় অটুট বন্ধন নামে ওয়াল্ড মিউজিক ডে উদযাপন করা কৌশিক ইভেন্টস এর স্পেশালিটি,এর পাশাপাশি নতুন প্রজন্ম থেকে প্রতিভা তুলে আনার জন্য তারাই প্রথম শুরু করে আগামীর তারারা অনুষ্ঠান এবং সেই অনুষ্ঠান থেকেই অনেক শিল্পী আজ বিশ্বের দরবারে সুনামের সঙ্গে কাজ করে চলেছে। নতুন প্রজন্ম পুরনো প্রজন্ম এবং তার সঙ্গে নতুন প্রতিভা দের নিয়ে কাজ করার সঙ্গে সঙ্গে তারা কলকাতার বুকে বিভিন্ন থিম পুজো, ঠাকুর এবং পুজোর থিম সং এর সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিশেষ ছাপ ফেলেছে গত বছর কৌশিক ইভেন্টস ব্যাঙ্গালোরের বুকে এক অভিনব যাত্রা শুরু করে সেখানে তারা সর্বপ্রথম কলকাতায় কুমোরটুলির ঠাকুর মহিলা ঢাকি স্বনামধন্য শিল্পীদের দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সঙ্গে থিমের প্যান্ডেল এবং ডেকোরেশনের কাজ শুরু করে যেটা একটা অন্য মাত্রায় কাজের রুচির পরিচয় পাওয়া যায়. করোনা কালে কৌশিক ইভেন্টস আর্টিস্টদের পাশে দাঁড়িয়ে লিজেন্ডদেরকে সম্মান জানিয়ে আ ট্রিবিউট টু দ্য লিজেন্ডস এর কাজ বিশেষ প্রশংসনীয়। এর পাশে কৌশিক ইভেন্টস কিছু সমাজমুলক কাজ করেন তাদের বিশিষ্ট কিছু ইভেন্টস এর মাধ্যমে যেমন তারা প্রত্যেক বছর নিয়ম করে দুস্থদের সেবা এবং গরীব দুঃখীদের বস্ত্র, পড়াশোনার জিনিসপত্র বিভিন্ন হাইজেনিক প্রোডাক্ট যেগুলো আমরা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করি তারা প্রদান করে থাকে। বৃদ্ধাশ্রম এর প্রবীণ দের পুজোর আগে নতুন জামা কাপড় পথ শিশুদের জন্য এবং তাদের পরিবারের জন্য পুজোর জামা কাপড় এবং প্রয়োজনীয় জিনিস প্রদান করে থাকে। ঠান্ডার সময় শীত বস্ত্র প্রদান এছাড়া নিয়ম করে গরীব মানুষদের জন্য তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী রেশনের ব্যবস্থা করে থাকে।ভবিষ্যতে আরো ভালো কাজ করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে কৌশিক ইভেন্টস। জনতার কথা-র পক্ষ থেকে তাদের জন্য রইল অনেক শুভকামনা।

জুন ১৫, ২০২৩
রাজ্য

বর্ধমানে স্কুলের ক্রীড়া পরিকাঠামো দেখে মুগ্ধ প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়কের আক্ষেপ ছাত্র-ছাত্রীদের ক্রীড়া অনিহায়

প্রতি বছরের ন্যায় এবছরেও ধুমধামের সাথে শুরু হল বর্ধমান শহরের বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা। শহরের প্রান্তে অবস্থিত দেওয়ানদিঘী অঞ্চলের বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যমের স্কুল বর্ধমান মডেল স্কুলে শুক্রবার দুই দিন ব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতযোগীতার সূচনা হয়। সম্প্রীতির বার্তা জানিয়ে একঝাঁক গ্যাস বেলুন আকাশে ওড়ানো হয়। মশাল প্রজ্জ্বলন করে ক্রীড়া প্রতিযোগীতার শুভ উদ্বধোন করেন ভারতের জাতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ও সুনামের সাথে কলকাতা ময়দানের তিন প্রধান খেলা বর্ষিয়ান গোলরক্ষক ভাস্কর গাঙ্গুলি।উদ্বোধনী ভাষণে আক্ষেপের স্বরে বর্ষীয়ান খেলোয়াড় জানান, খেলার মাঠে যাওয়ার প্রবণতা এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের ক্রমশই কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের সময়ে আমরা বেশী খেলতাম বলে অবিভাবকদের বকুনি খেতাম, আর এখন ঠিক তাঁর উল্টোটা। তিনি বাচ্ছাদের মাঠমুখী করার জন্য অবিভাবকদেরও এগিয়ে আসতে বলেন। তিনি বলেন, খেলাধুলা শুধুমাত্র শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার জন্য নয়, মানসিক দৃঢ়তা বাড়াতে, দলবদ্ধ ভাবে কোনও কাজ করার মানসিকতা গড়তে ও প্রতি পদক্ষেপের জেতার জেদ তৈরি করতে এর কোনও বিকল্প নেই।বর্ষীয়ান খেলোয়াড় ভাস্কর গাঙ্গুলি আরও বলেন, শুধু মাত্র ক্রিকেট বা ফুটবল নয়, বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন, টেবল টেনিস-খেলেও কেরিয়ার তৈরি করা যায়। তিনি বলেন, আমার পরিচিত এক প্রো-কবাডি খেলোয়ারের সাথে কয়েকদিন আগে দেখা হয়েছিলো, সে বলেছিলো একটু ভালো কবাডি খেলোয়াড় প্রো-কবাডি টুর্নামেন্ট খেলে বছরে এক কোটি টাকার কাছাকাছি আয় করে। সেই উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, শুধুমাত্র জনপ্রিয় খেলার পিছনে না ছুটে বাচ্ছার যেটা মন চায় খেলুক।তিনি বর্ধমানের এই স্কুলের পরিকাঠামো-র ভুয়াসী প্রশংসা করে বলেন, এখানে দুইটি প্রমান মাপের মাঠ, একটি প্রসস্ত ইন্ডোর অডিটোরিয়াম সবই আছে শুধুমাত্র অভাব একঝাঁক উৎসাহী ক্রীড়াপ্রেমী ছাত্র-ছাত্রী। ভাস্কর গাঙ্গুলি স্কুলের কর্নধার অচিন্ত্য কুমার মণ্ডলকে জানান, তাঁকে কোনও প্রয়োজনে লাগলে তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা দিয়ে সাহায্য করতে প্রস্তুত।ভাস্কর গাঙ্গুলি স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় জয়ী বাচ্ছাদের হাতে ট্রফি ও সার্টিফিকেট তুলে দেন। উপস্থিত ছিলেন প্রবীন ক্রীড়া সাংবাদিক ও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের আর্কাইভ ও লাইব্রেরির কিউরেটর আরুপ পাল। স্কুলের কর্নধার অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল জনতার কথাকে বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস খেলাধুলা কখনই পড়াশোনা-কে ক্ষতি করে না বরং আরও মনোযোগী হতে ও ভবিষ্যৎ জীবনে লড়াইয়ের রসদ যোগান দেয়।

জানুয়ারি ২০, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

করোনার ভ্রুকুটি এড়িয়ে আবার মূল স্রোতে ফেরার লক্ষে দৌড় শুরু 'সুকুমার সেন কলেজে'

করোনার করাল দৃষ্টি এড়িয়ে আবার মূল স্রোতে ফেরার লক্ষে দৌড় শুরু হয়ে গেছে। সেই দৌড় আসতে আসতে স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আছড়ে পরে গমগম করছে ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতিতে। বিদ্যালয়ের কলতান কলোড়িত হচ্ছে কচি কাঁচা দের ঐকতানে। আবার পার্থনা সভায় ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা... সুর ভেসে বেড়াচ্ছে আকাশে বাতাসে। সবুজ মাঠের ঘাস যেনো কচি কাঁচাদের পায়ের স্পর্শের-ই অপেক্ষায় ছিলো। দীর্ঘ্য দেড় বছর বন্দীদশা কাটিয়ে বুধবার ২ ফেব্রুয়ারি পুর্ব-বর্ধমান এর আচার্য সুকুমার সেন মহাবিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল গোতান মনসাতলা মাঠে। করোনা অতিমারির প্রোকোপে ২০২১-এর বার্ষিক ক্রীড়া উৎসব অনুষ্ঠিত কারা যায়নি। কলেজের ছেলে-মেয়েদের উপস্থিতির হার ও উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত।আচার্য সুকুমার সেন কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ জয়ন্ত কুমার মুখোপাধ্যায় জনতার কথাকে জানান, হাইজাম্প, লংজাম্প, ডিসকাস, শটপুট, স্বল্প ও মাঝারী দূরত্ত্বের দৌড় প্রতিযোগীতা সহ মোট কুড়িটি ইভেন্ট অনুষ্টিত হয়। সমস্ত ইভেন্ট মিলিয়ে প্রায় দুশো জন ছাত্রছাত্রী বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেছে। কলেজের কর্মী এবং প্রাক্তনীদের জন্যও বিশেষ ইভেন্টের আয়োজন করা হয়। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী কোভিড বিধি মেনে সকাল সাড়ে নটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলেছে এবারের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।বার্ষিক ক্রীড়া উৎসববিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্য মোতিয়ার রহমান চৌধুরী এবং সুকুমার ঘোষ মহাশয়। মশাল প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে শুভ সূচনা করা হয়। কলেজের প্রাক্তনী এলাকার জনপ্রিয় যোগা বিশেষজ্ঞ ও জিমন্যাস্ট সাবির আলি মির্জা জনতার কথা জানান, আমি নিজে যেহেতু একজন ক্রিড়াবিদ, সে কারনেই মাঠই আমাদের জীবন, আমি মনে করি ছেলে মেয়েরা যত বেশী মাঠে থাকবে, তত বেশী মানসিক ভাবে স্ট্রং হবে। Sportsman Sprit বলে ইংরাজিতে একটা কথা আছে, আমার কাছে যার অর্থ, পরিস্থিতি বিবেচনা করে জীবনযাত্রা কে এগিয়ে নিয়ে চলা। কলেজের অধ্যক্ষ থেকে শুরু করে সমস্ত স্টাফ ও ছাত্র ছাত্রী মিলে এই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আমরা খুব আনন্দ উপভোগ করেছি।

মার্চ ০৪, ২০২২
বিনোদুনিয়া

প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পীদের সম্মাননা জানাতে বিশেষ উদ্যোগ

সঙ্গীতজগতে একের পর এক ইন্দ্রপতন। লতা মঙ্গেশকর এর প্রয়াণে যখন শিল্পী থেকে শ্রোতা আপামর ভারতবাসী শোকস্তব্ধ, তার রেশ কাটার আগেই চলে গেলেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। একসময় বাংলা গানের সুরে যে সুরজোয়ার এনেছিলেন, বদলে গেছিল গানের গতিপ্রকৃতি, সুরঝঙ্কার, তেমনই আচম্বিতে অমৃতলোকের পথে যাত্রা করলেন বাপ্পি লাহিড়ী। গান যতদিন থাকবে, এই সব শিল্পীদের নামও সমুজ্জ্বল থাকবে ততদিন৷ গান ভালবাসা, গান শেখা সমস্ত ক্ষেত্রেই কিংবদন্তী এই ত্রয়ী একেকটা প্রতিষ্ঠান। সঙ্গীতপ্রেমী মানুষ তাই আন্তরিক শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের মাধ্যমেই শিল্পীকে মনের মণিকোঠায় চিরকালের জন্য ধরে রাখতে চান৷ গানে গানে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন চিরাচরিত রীতি৷ কিন্তু এই রীতির বাইরে একেবারে অন্যরকমভাবে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পরিকল্পনা এবং আয়োজন করেছিলেন তিন সঙ্গীতপ্রেমী কৌশিক রাহুল, গৌরব সরকার এবং তন্ময় কর।লতা মঙ্গেশকর ভালোবাসতেন ক্রিকেট, বাপ্পি লাহিড়ীও ছিলেন খেলার অনুরাগী৷ তাই শুধু গান নয়, গানের সঙ্গে ক্রিকেট খেলাকে সংযুক্ত করে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন এর আয়োজন করা হয়েছিল Play For Music অনুষ্ঠানে৷ তিনটি দল এই ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিন শিল্পীর পদবী অনুসারে তিনটি দলের নাম ছিল মঙ্গেশকর টিম, মুখোপাধ্যায় টিম এবং লাহিড়ী টিম। প্রত্যেকটি টিমে ১৬ জন করে খেলোয়াড় ছিলেন যাঁরা সকলেই সঙ্গীতের সঙ্গে ওতোপ্রতভাবে যুক্ত৷ কেউ গান করেন, কেউ সুর করেন কেউ বা যন্ত্রশিল্পী৷ এই অভিনব উদ্যোগে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই অংশগ্রহণ করেছিলেন শিল্পীরা৷ খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিলেন, অনুপম রায়, বাবুল সুপ্রিয়, জয় সরকার, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, রূপঙ্কর, মনোময় ভট্টাচার্য, রণজয় ভট্টাচার্য, রাজীব গানওয়ালা, রথীজিৎ ভট্টাচার্য, আরফিন রানা, আকাশ ভট্টাচার্য, অর্কদীপ মিশ্র, দেব চৌধুরী, সিধু, পটা, অনিন্দ্য শহর। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা এবং আয়োজকদের অন্যতম কৌশিক রাহুল জানিয়েছেন, যতক্ষণ খেলা চলেছে ততক্ষণ মাঠে লতা মঙ্গেশকর, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় এবং বাপ্পি লাহিড়ী এই তিন শিল্পীর গান বাজানো হয়েছে। গানের সঙ্গে খেলার সমন্বয়ে মিউজিক ফ্রেটার্নিটির সদস্যদের নিয়ে আগামীদিনেও এই ধরনের খেলার আয়োজন করা হবে বলেও জানিয়েছেন কৌশিক রাহুল। প্রবীণ এবং নবীন সঙ্গীতশিল্পীদের এই ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল কলকাতা বিবেকানন্দ পার্ক এর মেইনল্যান্ড সম্বরণ ব্যানার্জী ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে।

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

Olympic: দীপা'র দীপ জ্বালিয়ে রাখলেন বাসচালক কন্যা প্রণতি

এই মুহূর্তে ভারতের ক্রীড়া আকাশে উজ্জ্বলতম জ্যোতিষ্ক। দ্বিতীয় ভারতীয় জিমন্যাস্ট হিসাবে প্রণতি নায়েক টোকিও অলিম্পিকে যাচ্ছেন। অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী প্রথম ভারতীয় জিমন্যাস্ট হলেন দীপা কর্মকার। ছোটবেলায় মাসীর বাড়িতে বেড়ে ওঠা প্রনতি তিন বোনের মধ্যে মধ্যমা। বাবা শ্রীমন্ত দূরপাল্লার বেসরকারি বাসের চালক। মাঝে মাঝেই অনেক দূরে বাস নিয়ে যেতে হত তাঁকে। মেয়েদের পড়াশোনার জন্য পিংলাতে তাঁদের মাসীর বাড়িতে দিয়ে আসেন।আরও পড়ুনঃ ২৫ বছর আগের যন্ত্রণা ভুলিয়ে দিলেন দিলেন স্টারলিং ও হ্যারিকেনচরম আর্থিক অনটনের মধ্যে কেটেছে প্রণতির শৈশব। দুবেলা দু-মুঠো অন্ন যোগান দেওয়া যেখানে দূরহ কাজ, সেখানে জিমন্যাস্টিক বিলাসিতা মাত্র। চাম্পিয়ানরা সর্বদা কঠিন পরিস্থিতিতেই জেগে ওঠেন। তাঁরা স্থান কাল পাত্রের উর্দ্ধে। মহঃ আলি, মারাদোনা, পেলে, বেন জনসন, টাইসন...... উদাহরণ দিয়ে শেষ করা যাবে না সেই সমস্ত তারকাদের নাম। তিন বোনের মধ্যমা প্রণতির চোখে ছিলো অন্য স্বপ্ন। মাটির কুঁড়ে ঘরে বড় হয়ে ওঠা প্রণতির লক্ষ্য ছিল অনেক দূরে নিবদ্ধ। খুব ছোটোতে পিংলা গ্রামেই তাঁর জিমন্যাস্টিকে হাতেখড়ি। সেখানকার এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক শুভাশিষ চক্রবর্তীর হাত ধরেই তাঁর যাত্রা শুরু। জিমন্যাস্টিককে যোগাসন ভেবে অনুশীলন করতে করতে কখন যে তিনি জিমন্যাস্ট হয়ে গেছেন বুঝতেই পারেননি প্রণতি। মেদিনীপুর জেলা চাম্পিয়ান হওয়ার পর রাজ্য স্তরে প্রতিযোগিতার জন্য কলকাতায় আসেন। আরও আধুনিক যন্ত্রপাতির প্রয়োজন ছিল নিজেকে পরবর্তি স্তরে উন্নিত করার জন্য। তাই মাত্র আট বছর বয়সে তাঁর বাবা তাঁকে সাই-এ (Sports Authority of India) নিয়ে আসেন। প্রাথমিক বাছাইপর্বে সাইয়ের নির্বাচকেরা তাঁকে বাতিল করে দেন। কিন্তু ওখানকার এক কর্মী দিলীপ বিশ্বাস রত্ন চিনতে ভুল করেননি। তিনি প্রনতিকে নিয়ে সরাসরি সাই-র ডাইরেক্টরের কছে হাজির হন। ডাইরেক্টর সুস্মিতা-ই কোচ মিনারা বেগমের কাছে পাঠান জিমন্যাস্টিক শিক্ষা লাভ করতে।আরও পড়ুনঃ জর্জ ফ্লয়েড হত্যায় অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর সাড়ে ২২ বছরের জেলশুরু হয় তাঁর স্বপ্নের ঘষামাজা। কোনও হস্টেল না পেয়ে স্টেডিয়াম সংলগ্ন এক পরিচিতের বাড়ি ভাড়া নিয়ে প্রবল আর্থিক অনটনের মধ্যে চলতে থাকে অনুশীলন। চাম্পিয়ানদের পথ কোনও দিনই সুগম হয় না। কঠিন অনুশীলন শেষে ভাড়া বাড়ি ফিরে ঘর মোছা, বাসন মাজা সহ অনেক কাজই তাঁকে করতে হত। মেয়ের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে তাঁর মা তাঁকে নিয়ে পিংলা ফিরে যাওয়া মনস্থির করেন। বেঁকে বসেন কোচ মিনারা বেগম। তাঁর বাড়ি হয়ে ওঠে প্রণতির পরবর্তী কয়েক বছরের ঠিকানা। জাতীয় মিটে সোনা পাওয়ার পর প্রণতি হস্টেল পান। মাথা গোঁজার জায়গা পেয়ে জিমন্যাস্টে পুরোমাত্রায় মনোনিবেশ করেন।তিনি বলেন মিনারা ম্যাডাম-ই আমাকে আমার বাবা-মায়ের কাছে না থাকার যন্ত্রণা ভুলিয়ে দিয়েছিলেন। দিনে ছয় ঘন্টা অনুশীলন করতে হত ম্যাডামের কাছে। সকালে তিন ঘণ্টা ও বিকেলে তিন ঘণ্টা। প্রথমবার জাতীয় মিটে নেমে সোনা জেতার পর আমি হস্টেল পেয়ে যাই। প্রায় ১৯ বছর হস্টেলে আছি। প্রথম দিকে বাবা-মায়ের জন্য খুবই কষ্ট হতো। এখন জিমন্যাস্টিকই আমার ধ্যান-জ্ঞান। যখনই কোনও দুঃখ-কষ্ট পাই তখনই আরও অনুশীলনের জেদ বেড়ে যায়। সমস্ত মন খারাপ, রাগ, অভিমানকে জিমন্যাস্টিকে আরও ভাল পারফরম্যান্সে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করে যাই। তিনি জানান, কোচ মিনারা তাঁকে ছোট বেলায় শিখিয়েছিলেন, লক্ষ্য সবসময় উঁচু রাখতে। কখনও কেউ লক্ষ্য জিজ্ঞেস করলে অলিম্পিক খেলার কথা বলতে বলেছিলেন। বার বার সে কথা বলতে বলতে ওটাই তাঁর ধ্যান জ্ঞ্যান হয়ে গিয়েছে।আরও পড়ুনঃ ভোটপ্রচারে আসা নাড্ডার হেলিকপ্টার দেখতে যাওয়ার অপরাধে জরিমানাসাই থেকে মিনারা অবসর নিয়েছেন। বর্তমানে সাইয়ের জিমন্যাস্টিক কোচ লক্ষণ শর্মা। তাঁর কাছে অন্যশীলন করেন প্রণতি। জিমন্যাস্টিক্সে সাফল্যের সুবাদে ভারতীয় রেলে চাকরি পেয়েছেন। পিংলায় নিজেদের বাড়ি ছিল না, মাসির বাড়িতে থাকতেন। চাকরির পয়সা জমিয়ে মেদিনীপুরে জমি কিনে বাড়ি বানিয়েছেন। ২০১৯ তে এশীয় আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্সে ব্রোঞ্জ পান প্রণতি। সেখানে আশানুরূপ ফল না হওয়ায় তখন অলিম্পিকের টিকিট পাননি। করোনা আতিমারির জন্য মে মাসের এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ বাতিল হওয়ায় এশিয়া কোটায় সুযোগ পেয়ে যান। তবে তাঁকে চিন্তায় রাখছে সঠিক প্রস্তুতির অভাব। লকডাউনে সেভাবে অনুশীলন করতে না পারায় খুবই চিন্তিত প্রণতি। তিনি বলছেন, লকডাউনে প্রায় একমাস বসে ছিলাম। ফিটনেসের ঘাটতি হচ্ছিল। ২ মাস ট্রেনিংয়ের সুযোগ পেয়েছি। আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। অতিরিক্ত চেষ্টা করতে গিয়ে চোট লেগে গেলে সমস্যায় পড়ে যাব। সামনে ২০২২ সালের কমনওয়েলথ ও এশিয়ান গেমস আছে। সেটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন প্র্যাক্টিস করতে পারিনি। ছন্দে আসতে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ মাস সময় লাগবে। সেখানে দুমাসে কতটা উচ্চতায় নিজেকে নিয়ে যেতে পারব সেটা দেখার।আরও পড়ুনঃ মনের ঘরের স্বজনচোট আঘাত জিমন্যাস্টিকদের নিত্য সঙ্গী। বহু জিমন্যাস্টের কেরিয়ার অকালেই শেষ হয়ে গিয়েছে আঘাতের কারণে। প্রণতি-র প্রাক্তন কোচ মিনারা এখনও সময় পেলেই তাঁকে ফোন করে নানা বিষয়ে সাবধান করেন। চোট বাচিয়ে অনুশীলন করার কথা বার বার স্মরণ করিয়ে দেন। অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জনের পর সকলের আগে ফোনে শুভেচ্ছা জানায় দীপা কর্মকার। তিনিও প্রণতিকে বলেন নিজেকে বাঁচিয়ে প্র্যাক্টিস করিস। এই মুহূর্তে যেন কোনও চোট আঘাত না লাগে। দীপা কর্মকার, অরুণা রেড্ডির পর প্রণতি-ই তৃতীয় ভারতীয় মহিলা যাঁর আন্তর্জাতিক মিটে পদক আছে। অভিজ্ঞ দীপা মিউজিক নিয়েও তাঁর উত্তরসুরীকে সতর্ক করে দেন। প্রসঙ্গত, মিউজিক ফ্লোর জিমনাস্টিকের খুব গুরুত্ত্বপূর্ণ অঙ্গ। মিউজিকটির সুরকার, প্রযোজক, গায়ক সব কিছুই পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জমা দিতে হয়। উল্লেখ্য, রিও অলিম্পিকে দীপা মিউজিক নিয়ে সমস্যায় পড়েন। সেকারণেই তিনি প্রণতিকে আগে থাকতেই সাবধান করে দেন। দীপা কর্মকারের ট্রাম্প কার্ড ছিল ছিল প্রোদুনোভা ভল্ট। তবে প্রণতি প্রচলিত ফ্রন্ট ও ব্যাক ৩৬০ ডিগ্রি ভল্ট করেন।আরও পড়ুনঃ নির্যাতিতাদের অভিযোগ নথিভুক্ত করল জাতীয় মহিলা কমিশন প্রণতি জানান, বাবার অর্থনৈতিক অনটন ও সংসার চালাতে জেরবার অবস্থা দেখে ক্রমশ মনের ভিতরে একটা জেদ তৈরি হচ্ছিল। যখন অনুশীলণের অবসরে অন্যরা ডায়েট খাবার খাচ্ছে, তখন আমার জন্য মুড়ি। ক্ষিদের জ্বালা থেকে তৈরি হয়েছে নাছোড়বন্দা জেদ। তিনি জানতেন জবাব দেওয়ার একটাই জায়গা পারফরম্যান্স, পারফরম্যান্স-ই শেষ কথা বলে। তিনি নিজের কাছেই শপথ নেন, জিমন্যাস্টিকের মঞ্চে সে নিজেকে প্রমাণ করবেই। তিনি বলেন আমি উপলব্ধি করেছিলাম, জিমন্যাস্টিক ছাড়া সামনে আর কোনও রাস্তা খোলা নেই। এতেই নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। সফল আমাকে হতেই হবে। আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের উপর হামলা, রণক্ষেত্র যাদবপুরপ্রণতির স্বপ্ন সফল হওয়ার চৌকাঠে দাঁড়িয়ে। দীপা কর্মকারের পর তিনি দ্বিতীয় ভারতীয় জিমন্যাস্ট হিসাবে অলিম্পিকে যোগ্যাতা অর্জন করেছেন। বাংলার প্রথম। টোকিওতে সাফল্যের মন্ত্র নিয়ে লক্ষণ শর্মার তত্বাবধানে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন সল্টলেকের সাই কমপ্লেক্সে।আরও পড়ুনঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে বড় হবে আইল্যাশ, কীভাবে ? জেনে নিনমাটির কুঁড়ে ঘর সঙ্গে অভাবের প্রতিবন্ধকতা সেখান থেকে অলিম্পিকের জিমন্যাস্ট ফ্লোর। ওই আর্থসামাজিক পরিবেশে থাকা কোনও মানুষের কাছে এটা কল্পনা করা আকাশকুসুম স্বপ্নেরই নামান্তর। হাল ছাড়েননি প্রণতি। কয়েকদিন আগে করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ় সম্পূর্ণ হয়েছে প্রণতির। জৈব সুরক্ষা বলয়ের ভিতরেই রয়েছেন। সময় পেলে ঘরের মধ্যেই টিভিতে সিনেমা দেখেন, গান শোনেন আর মেডিটেশন করে মনের জোর বাড়াচ্ছেন। তিনি বলেন, অলিম্পিক্সে নিজের সেরাটা দেব। তারপর ফলাফল যা হওয়ার হবে।জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

জুন ৩০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

কনকাশন পর্ব কাটিয়ে স্টিভ স্মিথ কি খেলতে পারবেন?‌

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ শুরুর আগে নেটে অনুশীলন করার সময় মাথায় চোট পেয়েছিলেন স্টিভ স্মিথ। কনকাশনে যেতে হয়েছিল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে খেলতে পারেননি। আশঙ্কা ছিল আই পি এলে রাজস্থান রয়্যালসের প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলতে পারবেন কিনা। সব আশঙ্কা দুর করে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে মাঠে নামছেন স্টিভ স্মিথ। বেন স্টোকস, জস বাটলারের মতো ক্রিকেটারদের প্রথম ম্যাচে পাওয়া যাবে না। স্টিভ স্মিথকে পাওয়া না গেলে সমস্যায় পড়ে যেত রাজস্থান। আপাতত চিন্তামুক্ত টিম ম্যানেজমেন্ট। কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড বলেন, শেষ পর্যন্ত স্টিভকে যে প্রথম ম্যাচ থেকেই পাওয়া যাবে, এটা আমাদের কাছে দারুণ খবর। ওর নেতৃত্ব আমাদের দলের কাছে অনেক মূল্যবান। দুবাই পোঁছে বেশ কয়েকদিন বিশ্রামে ছিলেন স্মিথ। সোমবার নেটে অনুশীলন করেন। তিনি বলেন, দুবাইয়ে আসার পর বেশ কিছুদিন বিশ্রামে ছিলাম। রবিবার জিগজ্যাগ দৌড়ঝাঁপ করেছি। এটা ম্যাচে ফেরার প্রোটোকলের অঙ্গ। সোমবার অনুশীলনও করেছি। কোনও সমস্যা হচ্ছে না। আশা করছি খেলতে পারব।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

স্মার্ট মিটার বসানোর প্রকল্প আদৌ কি পুরো বন্ধ, বড় বিক্ষোভ

অনৈতিকভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা স্মার্ট মিটার বসানোর প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ ভবন ঘেরাও অভিযান। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসের তরফ থেকে এই অভিযান করা হয়। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার সহ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নেতৃত্ব। পাঁচজনের প্রতিনিধি দল গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেয়।রাজ্যে কংগ্রেসের সভাপতি শুভঙ্কর সরকার জানান, আমরা ধন্যবাদ জানাব সরকার স্মার্ট মিটার বসানোর প্রকল্প তুলে নিয়েছে। সরকার ভয় পেয়ে তুলেছে না চার পা পিছিয়ে গেল আরও দশ পা এগোনোর জন্য। সামনে নির্বাচনে আছে। কালীগঞ্জের উপনির্বাচন আছে। এখানে ভয় পেয়ে কি সরকার পিছলো এটা আমরা জানতে চাই। কারণ, কেন্দ্রীয় সরকার প্রাইভেট এজেন্সির মাধ্যমে মিটারগুলো সাপ্লাই করছে। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে রাজ্য সরকার বোঝাপড়া করছেন না কেন? ৫০০০০ অলরেডি পরিবার যাদের জোর করে এই স্মার্ট মিটার লাগানো হয়েছে। এই পরিবারগুলোর কি হবে। এই মিটার বন্ধ করার নির্দেশ এসেছে কিন্তু সেটা পার্মানেন্ট কি? এই বিষয়গুলো কেউ জানে। এই পঞ্চাশ হাজার পরিবার কার কাছে যাবে, সরকারের কোন নোটিফিকেশন নেই আবার এটা চালু হবে কিছুদিন পর সেটাও কেউ কিছু বলছে না। ৫০ হাজারের মিটারের কি হবে এটা কর্তৃপক্ষকে বিদ্যুৎমন্ত্রীকে রাজ্য সরকারকে বলতে হবে। রাজ্য সরকার দরকার হলে সর্বদলীয় কমিটির মিটিং ডাকুন। তার কারণ সেটা মানুষের ওপর একটা কালো আইন হিসাবে চালানোর চেষ্টা চলছে। যাদের বসালেন এবার খুলবে কে? পুরনো মিটারটা দেবে কে? এগুলো কিন্তু পুরো অস্বচ্ছ। বিষয়টি তাই বিদ্যুৎ মন্ত্রীকে বলব এগুলোকে ক্লিয়ার করুন। তাই আজকে প্রতি কি প্রতিবাদ হিসেবে এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়।

জুন ১০, ২০২৫
রাজ্য

চায়ের দোকানে খুন, গ্রেফতার তৃণমূলের উপ-প্রধানের দুই ভাই

পূর্ব আক্রোশ বসত এক ব্যক্তিকে রড দিয়ে পিটিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম মোহাম্মদ বাবলু (৪৫)। তাঁর বাড়ি রঘুনাথগঞ্জ থানার গিরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতলাটোলা গ্রামে। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। এদিন বাড়ির পাশের চায়ের দোকানে বসে ছিলেন বাবলু। আচমকাই কয়েকজন দুষ্কৃতী রড দিয়ে আঘাত করে। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে জঙ্গি পুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। গত লোকসভা নির্বাচনে ওই এলাকার একটি বুথে তৃণমূল কম ভোট পায়, তা নিয়ে এলাকায় গন্ডগোল বাধে। সেই গন্ডগোলের জেরে এখনও অনেকেই বাড়ি ছাড়া। পূর্বের আক্রোশ বসে এই হামলা বলে দাবি করা হয়েছে। ওই ওয়ার্ডে কংগ্রেস বেশি ভোট পাওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের কিছু মাস্তান তাদের ধমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। খুনের ঘটনায় উপপ্রধানের অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। বাবলু শেখের খুনের ঘটনায় পুলিস উপপ্রধান কারু শেখের দুই ভাই তানজিল শেখ ও আসগার শেখ ওরফে হারু শেখকে গ্রেপ্তার করে। দুইজনকে এদিন ১০ দিনের পুলিস হেফাজতের আবেদন জানিয়ে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।

জুন ১০, ২০২৫
রাজ্য

মিনি চিটফান্ড! টাকা ডাবলের প্রলোভনে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ

১৩ মাসে টাকা তিন ডবলের বেশি আসার প্রলোভনে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার শিকার সাধারণ মানুষ। টাকার দাবিতে ব্যবসায়ীর বাড়িতে প্রাপকরা। ঘটনাস্থলে গাইঘাটা থানার পুলিশ । উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার পাঁচপোতা এলাকার ইমারত দ্রব্যের ব্যবসায়ী সঞ্জয় বিশ্বাস। তিন বছর আগে এলাকা থেকে আমেরিকান ডলারের মাধ্যমে কেউকে ১৩ মাসে টাকা তিন ডবল তো কেউকে ১৩ মাসে ডবল টাকা দেবেন বলে কয়েক লক্ষ টাকা তোলেন । প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এলাকা থেকে সঞ্জয় প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা তুলেছেন। টাকা প্রাপকদের দাবি ১৩ মাসে টাকা তিন ডবল হবে, প্রতি মাসে তাদেরকে টাকা দেওয়া হবে বলে টাকা নিয়েছিল সঞ্জয়। প্রথম দিকে কিছু টাকা তারা পেয়েছেন। কিন্তু তিন মাস চলার পরেই বন্ধ হয়ে যায় টাকা দেওয়া। তিন বছর ধরে তারা টাকা না পেয়ে আজ সঞ্জয় বিশ্বাসের ইমারত দ্রব্যের দোকানে এসে টাকার দাবি করেন। পরবর্তীতে এই খবর পৌঁছায় গাইঘাটা থানার পুলিশের কাছে । ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় গাইঘাটা থানার পুলিশ। যদিও এই বিষয়ে সঞ্জয় বিশ্বাসের কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সংবাদ মাধ্যমে সঙ্গে কথা বলতে চাননি সঞ্জয়ের স্ত্রীও।

জুন ১০, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, অভিযোগ অস্বীকার বিধায়কের

বিজেপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠলো বর্ধমানে। অভিযোগ, হামলাকারীরা বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বাড়িতে চড়াও হয়ে বিজেপি কর্মীদের মারধর করার পাশাপাশি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুঠপাট চালায়। তখন বিজেপির কার্য্যকারিনী কমিটির বৈঠকও চলছিল। বর্ধমান শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের রথতলা এলাকায় হওয়া এই ঘটনায় এলাকার বিধায়ক খোকন দাসের নাম জড়িয়েছে। বর্ধমান শহরের ৫ নম্বর মণ্ডল সভাপতি শুভঙ্কর রায়, মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক অসিত হালদার সহ আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিজেপি নেতা তথা বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের নেতৃত্বে বিশাল লামা, মনোজ ওরাও,পুনা ভাংরা ও পবন সিং সোমবার বর্ধমান জেলা বিজেপি দফতরে এসে পৌঁছান। এরপর আহত বিজেপি কর্মীদের দেখতে তারা সেখান থেকে চলে যান স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে । আহতদের কাছ থেকে হামলার ঘটনার সবিস্তার শুনে বিজেপি প্রতিনিধিরা ক্ষোভ ব্যক্ত করেন। শঙ্কর ঘোষ বলেন, শাসকদলের দুস্কৃতীরা চরম অন্যায় করছে। বিজেপির সংগঠন বিস্তারে ভয় পেয়ে তারা এসব করছে।ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি জেলা যুবমোর্চার সম্পাদক দেবজ্যোতি সিনহার অভিযোগ, বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক খোকন দাসের বাড়ির শহরের রথতলা এলাকায়। বিধায়কের বাড়ির কাছেই বাড়ি রথতলা এলাকায় ৫ নম্বর মণ্ডলের মণ্ডল বিজেপি সভাপতি শুভঙ্কর রায়ের। রবিবার সন্ধ্যায় সেখানেই বুথ স্বশক্তিকরণ ও অপারেশন সিঁদুরের সফলতার কথা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া নিয়ে বিজেপি কর্মীরা বৈঠক করছিলেন।বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, বৈঠকের শেষদিকে হঠাৎ করেই বিধায়ক খোকন দাসের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের নেতৃত্বে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি মণ্ডল সভাপতি শুভঙ্কর রায়ের বাড়িতে চড়াও হয়। তারা বিজেপি কর্মীদের মারধর করে। এমনকি মণ্ডল সভাপতির বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটতরাজও চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনায় মণ্ডল সভাপতি সহ আরও বেশ কয়েকজন বিজেপিকর্মী আহত হন। চিকিৎসার জন্য তাদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। খবর পেয়ে রাতেই বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি সামাল দেয় । তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিত দাসের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। বিজেপি নেতৃত্ব আইনের দ্বারস্থ হলে প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। বিজেপি বাজার গরম করার জন্যই তৃণমূলের নামে এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে বলে প্রসেনজিত দাস মন্তব্য করেছেন। আর বিধায়ক খোকন দাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি রাতে ঝামেলার কথা শুনেছি। ওদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা। আমরা ওর মধ্যে নেই। মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। আমাদের কেউ হামলা করেনি। আর শুভঙ্কর রায় তো বাংলাদেশী। ওই একমাত্র এখানে থাকে। ওর গোটা পরিবার থাকে বাংলাদেশে। কি করে নাম তোলালো তা বুঝতে পারছি না। বিধায়কের এই বক্তব্যের পাল্টা জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, নিজে বাংলাদেশি বলেই হয়তো বিধায়ক খোকন দাস সবাইকে বাংলাদেশি বানিয়ে দিতে চাইছে।

জুন ০৯, ২০২৫
স্বাস্থ্য

দিনের পর দিন কাজ করেও বেতন জোটেনি, শেষমেশ অবস্থান-বিক্ষোভ মালদা মেডিক্যাল কলেজে

দিনের পর দিন বেতন না মেলায় অবশেষে ক্ষোভ দানা বাঁধলো মেডিক্যাল কলেজের শতাধিক অস্থায়ী কর্মীদের মধ্যে। কাজ করেও তাঁদের বেতন জোটেনি। বকেয়া বেতন মেটানোর দাবিতে সোমবার সকাল থেকেই কর্মবিরতির ডাক দিলেন মালদা মেডিকেল কলেজের শতাধিক অস্থায়ী কর্মী। এদিন সকাল থেকেই মেডিকেল কলেজের ট্রমা কেয়ার ভবনের সামনের অবস্থান-বিক্ষোভে বসে পড়েন অস্থায়ী কর্মীরা। যতক্ষণ পর্যন্ত বেতন সমস্যা না মেটানো হবে ততক্ষণ কর্মবিরতি চলবে বলেও সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন অবস্থান-বিক্ষোভে সামিল হওয়া অস্থায়ী কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, পরিশ্রম করেও প্রতিমাসে নিয়ম করে বেতন মিলছে না। এই মেডিকেল কলেজের হাউসকিপিং, নিরাপত্তারক্ষী সহ বিভিন্ন বিভাগে প্রায় ১৮১ জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। ১৪ ঘণ্টারও বেশি কাজ করেন প্রত্যেকেই। কিন্তু বেতনের সময় এলেই আর নিয়ম করে তা দেওয়া হচ্ছে না। অধিকাংশ অস্থায়ী কর্মীদের ছয় মাসের বেতন মেলেনি। আবার কেউ চার মাস এবং তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে এব্যাপারে গণস্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি দেওয়া হলেও কোনওরকম সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তাই নিজেদের বকেয়া বেতনের দাবিতে এদিন কর্মবিরতির ডাক দিয়ে এভাবে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছে। এদিন বিক্ষোভকারী এক অস্থায়ী কর্মী অম্লান মিশ্র বলেন, আমি নিজে ছয় মাস ধরে বেতন পাইনি। অথচ মেডিকেল কলেজের প্রতিদিনই ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা ডিউটি করছি। আমার মতো শতাধিক অস্থায়ী কর্মী মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছে না। অথচ আমরা কর্তব্যে কোনও সময় গাফিলতি করি না। মালদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ পার্থ প্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, নির্দিষ্ট একটি এজেন্সির মাধ্যমেই ওই অস্থায়ী কর্মীরা কাজ করেন। এখানে মেডিকেল কলেজের কোনও হাত নেই। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।

জুন ০৯, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমানে বিকট শব্দে বিষ্ফোরণ, মৃত ১, জখম বহু

কারখানার ব্রয়লার বিষ্ফোরণে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। এই ঘটনায় জখম ১১ জন। বর্ধমানের পালিতপুরে একটি স্পঞ্জ আয়রন কারখানায় ভয়াবহ বিষ্ফোরণে ১ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি ১১জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আহতদের প্রথমে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাদের অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।পূর্ব বর্ধমানের পালিতপুর দেওয়ানদিঘিতে বেশ কয়েকটি স্পঞ্জ আয়রণ ও রড তৈরির কারখানা রয়েছে। এই কারখানাগুলি অনেক সময় পরিবেশ বিধি মানে না বলেও অভিযোগ। জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে এনএন ইস্পাত নামে একটি কারাখানার ব্রয়লারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।কারখানার সিকিউরিটি ম্যানেজার অনুপ দত্ত জানিয়েছে, হঠাৎই ব্রয়লারে বিস্ফোরণ ঘটে। এর তীব্রতায় চালা ভেঙে একজন ড্রাইভার দুর্ঘটনাস্থলেই মারা যান। বাকি আহত ১১ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কারখানার শ্রমিক পরমবীর যাদব বলেন, এই শ্রমিকদের অনেকেই ভিন রাজ্যের। কীভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটল তা বুঝে উঠতে পারেননি তারা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

জুন ০৯, ২০২৫
রাজ্য

স্মার্ট মিটার বসানো নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা রাজ্যের, পুরো বাতিলের দাবি অ্যাবেকার

বিগত বছরের শেষ থেকেই রাজ্যের নানা জায়গায় স্মার্ট মিটার বসাতে শুরু করে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর। এই মিটার বসানো নিয়ে নানা মহল থেকে প্রতিবাদ শুরু হয়। বাধাও দেওয়া হয় বিভিন্ন জায়গা থেকে। শেষমেশ স্মার্ট মিটার নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর। আপাতত গৃহস্থ বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানোর প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।সোমবার বিদ্যুৎ দফতরের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পরীক্ষামূলকভাবে বেশ কিছু বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানো শুরু হয়েছিল। তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু অভিযোগ আসার কারণে আপাতত সেই কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্মার্ট মিটারের অস্বাভাবিক বিল নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নানা অভিযোগ ওঠে। নানা জায়গায় বিদ্যুৎ দফতর ঘেরাও পর্যন্ত হয়। অবশেষে পিছু হঠার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।অল বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন (অ্যাবেকা)-এর সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস বলেন, রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর থেকে আজ এক প্রেস বিবৃতি দিয়ে স্মার্ট মিটার সম্পর্কে যা জানানো হয়েছে তা হতাশাজনক। গৃহস্থে যাদের অন্যায় জবরদস্তি করে স্মার্ট মিটার লাগানো হয়েছে সেগুলো খোলার বিষয়ে কোনও বক্তব্য নেই। কমার্শিয়াল, ক্ষুদ্রশিল্পে ও গৃহস্থে যাদের এই স্মার্ট মিটার লাগানো হয়েছে সেগুলো খুলে নিতে হবে। সামগ্রিক গ্রাহকদের টাকা লুট করার যন্ত্র স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার প্রকল্প বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত অ্যাবেকার আন্দোলন চলবে।

জুন ০৯, ২০২৫
স্বাস্থ্য

দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের

করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত, দেশে সক্রিয় কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৬,১৩৩ জনে পৌঁছেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬জন কোভিড-১৯ আক্রান্তের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কর্ণাটকে দুজন, কেরালায় তিনজন এবং তামিলনাড়ুতে একজন।রবিবার পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রাজ্য কেরালা। সেখানে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১,৯৫০ জনে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, এর পরেই রয়েছে গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ এবং দিল্লি। রাজধানীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ জন নতুন কোভিড-১৯ আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। যার ফলে সংখ্যাটি ৬৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, আজ সকাল পর্যন্ত দেশজুড়ে ৭৫৩ জন রোগীর নিরাময় হয়েছে।ভারতে করোনার বর্তমান বৃদ্ধির কারণ হল নতুন ওমিক্রন উপ-ভেরিয়েন্ট যেমন JN.1, NB.1.8.1, LF.7, এবং XFC। এগুলোর সংক্রমণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হালকা লক্ষণ দেখা গেছে। WHO বর্তমানে এগুলোকে পর্যবেক্ষণাধীন রূপ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে। এখনও উদ্বেগের বিষয় নয়, তবে সতর্কতা প্রয়োজন। ইতিমধ্যে, কোভিড-১৯ এর জন্য দায়ী ভাইরাস SARS-CoV-2 অদৃশ্য হয়ে যায়নি।

জুন ০৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal