বাংলা পক্ষ-র পশ্চিম বর্ধমান জেলার লড়াইয়ের ফলে বড়ো সাফল্য এল। এখন থেকে পোস্ট অফিসে বাংলা ভাষায় পরিষেবা পাওয়া যাবে। বাংলা পক্ষ কিছুদিন আগেই আসানসোল ও রানিগঞ্জ পোস্ট অফিসে ডেপুটেশন জমা দেয়। আজ পোস্ট বিভাগ বাংলায় পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে রানিগঞ্জ শাখার সম্পাদক দীপায়ন মুখার্জী, আসানসোল উত্তর শাখার সম্পাদক ঋষিক গাঙ্গুলি এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা সম্পাদক অক্ষয় বন্দ্যোপাধ্যায়।সমস্ত ব্যাংক, পোস্ট অফিস এবং বীমা পরিষেবায় বাংলা চাই, এই দাবিতে বাংলা পক্ষ-র লড়াই চলছে বাংলা জুড়ে। বাংলা পক্ষর পশ্চিম বর্ধমান জেলার এই সাফল্য, পুরো বাংলা পক্ষ সংগঠনকে আরও উজ্জীবিত করবে লড়াইয়ের ময়দানে।
আজ বড়দিন। টলিউড সুপারস্টার দেবের জন্মদিন। তার জন্মদিনের আগের দিন অর্থাৎ ২৪ ডিসেম্বর মুক্তি পেল ইচ্ছেপূরণের গল্প টনিক। টনিক নিয়ে কোন তারকা কি বললেন শুনে নিন।রুক্মিনী মৈত্রঃ আমার টনিক দেখার পর মনে হয়েছে দেবের সঙ্গে যদি শ্রেষ্ঠ কারোও জুটি হয় সেটা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সৌমিলী বিশ্বাসঃ নতুন বছরের একটা বড় উপহার আমাদের সকলের কাছে। অনেকদিন পর বাংলা সিনেমায় মন খুলে হাসলাম। খুব ভালো লাগলো এবং অসাধারণ অভিনয় দেখলাম পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দেব, শকুন্তলা বড়ুয়া প্রত্যেকেরই।রাজা চন্দঃ প্রথম কথা আমার একটা এক্সপেক্টেশন ছিল। সেটা ছাপিয়ে গেল টনিক। অভিজিতের জন্য শুভেচ্ছা। দেবের এই পারফরম্যান্স। পরাণদা অসাধারণ। আমার মনে হয় সমস্ত বাঙালির ছুটে এসে টনিক দেখা উচিৎ।ঈশা সাহাঃ ভালো লেগেছে যেরকম এক্সপেক্টেশন নিয়ে এসেছিলাম সেটা পূরণ হল। পরাণ দা-দেবের যে বন্ডিংটা দেখতে পেয়েছি সেটা ভীষণ ভালো। বেশ কিছু মজার মুহূর্ত দেখেছি। সব মিলিয়ে মজার ছবি, খুব পজিটিভ ছবি। আমি সিওর সবার খুব ভালো লাগবে।বাবুল সুপ্রিয়ঃ এক্সিলেন্ট অভিনয় দুজনের। তার মধ্যে স্ট্রং সোসাইটির জন্য মেসেজ আছে। বাবা-মায়ের প্রতি ভালোবাসা এবং এজ ইস জাস্ট আ নাম্বার। যতটা তারা চায় ততটাই আতদের দেওয়া যেতে পারে এই স্ট্রং মেসেজটা খুব সুন্দর করে দেওয়া হইয়েছে।
মুক্তি পেল টনিক। ইচ্ছেপূরণের গল্প নিয়ে এই ছবি। বড়পর্দায় পরিচালক অভিজিৎ সেনের এটা প্রথম কাজ। তাই টনিক নিয়ে খুব এক্সাইটেড তিনি। প্রিমিয়ারের দিন তাঁর কথাতেই উঠে এল সেই এক্সাইটমেন্ট।জনতার কথাঃ তোমার এটা ফার্স্ট ফিচার ফিল্ম। কেমন লাগছে? অভিজিৎঃ দারুণ লাগছে। টনিক আজ সিনেমাহলে মুক্তি পেল। এটা স্বাভাবিকভাবেই যেকোনো পরিচালকের বা প্রযোজকের,অভিনেতা-অভিনেত্রী বা কলাকুশলীর যারা টনিক সিনেমার সঙ্গে যুক্ত বা যেকোনো সিনেমার সঙ্গে যুক্ত তাদের ছবি রিলিজ হলে আলাদা একটা উত্তেজনা কাজ করে। মানুষ কেমনভাবে তাদের ছবিটা পছন্দ করছে সেটা ডেফিনেটলি তারা জানতে চায়। সেদিক থেকে আমিও খুব উৎসাহী। মানুষ ছবিটা কতটা ভালোবাসছে বা ছবিটা থেকে কতটা এন্টারটেন হচ্ছে সেটা দেখার জন্য। টনিক একটা ফ্যামিলি ফিল্ম। টনিক পরিবারের সবাই একসাথে বসে হইহই করে দেখার ছবি, মজার ছবি।জনতার কথাঃ পরাণ দা ও দেবের কেমিস্ট্রি নিয়ে কি বলবে?অভিজিৎঃ পরাণ দা ও দেবের অসাধারণ কেমিস্ট্রি এখানে দর্শকরা দেখতে পাবেন। সেটা সিনেমাহলে অলরেডি যে সকল দর্শক দেখেছেন এক কথায় বলছেন অসাধারণ। আমার খুবই ভালো লাগছে প্রথম দিনেই সাধারণ মানুষরা অনেক এনজয় করছেন। জনতার কথাঃ আজকে কি পরিচালক তাহলে লটারি জিতে গেল?অভিজিৎঃ সাধারণ মানুষ যখন আমাদের কাজ ভালোবাসেন, আশীর্বাদ করেন তখন আমাদের পরিশ্রম আর পরিশ্রম থাকে না। সেটাই আমাদের উৎসাহিত করে আরও ভালো কিছু করার জন্য। ল্টারি তো টনিক অলরেডি জিতে গেছে। কিন্তু আমরা চাইব সবাই মিলে সিনেমাহলে আসুন, সিনেমা দেখুন। আর একটা কথা বলবো বাঙালি ভ্রমণ ভালোবাসে। সেই ভ্রমণের একটা ভালো জায়গা আমরা তুলে ধরেছি এই টনিকে।
কলকাতার পরিচালকদের মধ্যে বর্তমানে একটি পরিচিত নাম পাভেল। বাবার নাম গান্ধীজি, রসোগোল্লা ছবির পরিচালকের হাতে বর্তমানে অনেক প্রোজেক্ট। তাঁর আসন্ন দুটি ছবি মন খারাপ ও কলকাতা চলন্তিকা। এই দুটি ছবিতে শুধু পরিচালনাই নয়, এর পাশাপাশি অভিনয় করতেও দেখা যাবে তাঁকে। আর তার জন্য রোগাও হয়েছেন।কলকাতার চলন্তিকা করতে কোনও অসুবিধা হয়নি জানিয়েছেন পাভেল। তবে মন খারাপ এর জন্য প্রায় ২৭ কেজির মতো ওজন ঝরিয়েছেন পরিচালক। ফলে যারা পাভেল কে এতদিন ধরে চেনেন তারা অন্য পাভেলকে দেখতে পাবেন। পাভেল তাঁর চরিত্র প্রসঙ্গে কলকাতার এক সংবাদমাধ্যম কে জানিয়েছেন, কলকাতা চলন্তিকার ক্যারেক্টারটা মন খারাপ-এর থেকে তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু চরিত্রটা আমার খুব প্রিয় এবং পছন্দের। তার অন্যতম কারণ চরিত্রটি একজন কবির। যেহেতু আমি ছোটবেলা থেকে লিটল ম্যাগাজিনের সঙ্গে যুক্ত এবং কবিতা লিখি, তাই আমি আমার সেই পুরনো বইমেলার দিনগুলোয় ফিরে যেতে পেরেছিলাম। তবে মন খারাপ-এর রোলটা একটু আলাদা। চরিত্রটা নিয়ে আপাতত বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। তবে চরিত্র আর আমার মধ্যে একটাই মিল রয়েছে। আমরা দুজনেই একটু রাগচটা।
মুক্তি পেল শীতের মরসুমে নতুন প্রেমের গান তোকে পাবো বলে ও তার জমজমাট মিউজিক ভিডিও। গানটি গেয়েছেন নবনীতা। নবনীতা ডেনমার্কের প্রবাসী বাঙালি এবং DENMARKS GOT TALENT এর সেমিফাইনালিস্ট ও বটে। তিনি ভারতের একজন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পীও। এই গানটির গীতিকার এবং সুরকার প্রাঞ্জল, যিনি টলিউডের বহু সিনেমার গান লিখেছেন। সম্প্রতি বুড়ো সাধু ছায়াছবির সংগীত পরিচালক ছিলেন। এর পাশাপাশি টেলিভিশনের বেশ কিছু ধারাবাহিকেও সংগীত পরিচালনা করেছেন যেমন ও গো নিরুপমা, রিমলি, মন ফাগুন ও সম্প্রতি গাঁটছড়া। মিউজিক ভিডিওটি পরিচালনা করেছেন জয়দীপ ব্যানার্জি। জয়দীপ klick এর জনপ্রিয় ওয়েবসিরিজ Chickflick এবং সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া Chickflick-2 এর পরিচালক এবং এ ছাড়াও বহু জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ এর লেখক ও তিনি। মুখ্য চরিত্রে আছেন টেলিভিশনের জনপরিয় মুখ ঐশ্বর্য সেন এবং মৃত্যুন্জয় ভট্টাচার্য ওরফে নীল। মিউজিক ভিডিওটির প্রযোজনার দায়িত্ব সামলেছেন নবনীতা ও মিল্কি ওয়ে ফিল্মস।
পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ দপ্তর ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাদের এই সিদ্ধান্ত জানালেন। বংলাপক্ষে-র তরফ থেকে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালানো হচ্ছিলো যাতে সরকারি বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তি ও নির্দেশিকা বাংলায় প্রকাশ করা হয়। বাংলাপক্ষের প্রথম সারির ব্যাক্তিত্ব কৌশিক মাঝি দাবি করেন তাদের আন্দোলনকে মান্যতা দিয়েই এই সিদ্ধান্ত। পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ দপ্তর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে তাদের ত্রৈমাসিক বিলের স্পট প্রিন্টিং এবার থেকে বাংলায় করার সিদ্ধান্ত নিলো। তবে এটা ঐচ্ছিক, স্পট মিটার রিডিং নেওয়ার পর তারা গ্রাহকের চাহিদা মতো বাংলা অথবা ইংরাজি তে প্রিন্ট করে দেবেন।বাংলাপক্ষের পক্ষ থেকে কৌশিক মাঝি জনতার কথা কে জানান গ্রাম বাংলার সাধরণ মানুষ ইংরাজি ভাষায় ততটা সড়্গড় নন, ইংরাজি ভাষায় বিল বোঝাটা তাদের পক্ষে খুব সমস্যার কারণ হ্যে ওঠে, সেই সমস্ত মানুষজনকে অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয় বিলটা বোঝা জন্য। এবার থেকে তাঁরা নিজেদের বিল নিজেরাই বুঝে নিতে পারবেন। আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি বিদ্যুৎ দপ্তরের এই সিদ্ধান্ত-কে। তিনি জনতার কথা কে আরও জানান যে বিদ্যুৎ দপ্তরের বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা ডব্লু বি এস ই ডি সি এল (WBSEDCL) -র চাকরি বহিরাগতরা দখল করে নিচ্ছিল দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার চাকরির পরীক্ষায় বাংলা ভাষার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হয়েছে। এর ফলে আরও বেশী করে বাংলার মানুষ এই দপ্তরে চাকরির সুবিধা পাবেন।তিনি সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে দাবী করেছেন, পশ্চিমবঙ্গ বাংলাপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে লাগাতার আন্দোলন চলিয়ে যাচ্ছেন সরকারি ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার ব্যবহার বাড়ানোর জন্য। তাঁদের দাবি, তাঁদের আন্দোলের ফলে কলকাতা মেট্রোরেলের স্মার্ট কার্ডে ও রেলের টিকিটে বাংলা ফিরে এসেছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৯০% ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চালু হয়েছে, বাংলার পুলিস কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষায় বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক হয়েছে (পরীক্ষা বাংলা ও নেপালী ভাষায় হয়), এছাড়া বাংলা জুড়ে বিভিন্ন ব্যাংকে ও পোস্ট অফিসে বাংলা ভাষায় পরিষেবার দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়ার ফলে নানা ব্যাংকের ফর্ম, এটিএমে বাংলা এসেছে। শিলিগুড়ি পোস্ট অফিস সহ অন্যান্য জায়গায় বাংলা ভাষায় পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চালু হয়েছে, ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েসন অফ বেঙ্গল এর প্রথম ডিভিশন ও দ্বিতীয় ডিভিশনে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চালু হয়েছে, বাংলা ভাষায় সাইনবোর্ড লেখা বাধ্যতামূলক করে আসানসোল কর্পোরেশনে আইন পাশ হয়েছে যাতে সমস্ত দোকান ও কোম্পানীতে এই নির্দেশ মানে। কৌশিক মাঝি আরও জানান তাঁদের আন্দোলের ফলে সমস্ত বেসরকারি চাকরি, ঠিকা কাজ ও টেন্ডারে ৯০% ভূমিপুত্র সংরক্ষণের দাবিতে বাংলা পক্ষর ক্রমাগত লড়াইয়ের ফলে নানা কারখানা ও কোম্পানীতে বাঙালিরা কাজ পাচ্ছে। তাঁরা বিধানসভায় আইন পাশের দাবিতে লড়াই চলাচ্ছেন। তিনি বলেন সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে অহিন্দি জাতির ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে সুপ্রীম কোর্টের রায়ের কপি বাংলা ভাষায় পাওয়া যাচ্ছে, বাংলার বিমানবন্দর গুলোয় বাংলায় ঘোষণা শুরু হয়েছে, ব্যাংকে চাকরির পরীক্ষা বাংলা সহ ভারতের ২২ টি সরকারি ভাষায় দেওয়ার সুযোগ এসেছে এবং সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং জয়েন্ট পরীক্ষা বাংলা ভাষায় দেওয়া যায়।কৌশিক মাঝি বলেন তাঁদের দাবি হিন্দি ভারতের রাষ্ট্রভাষা-এই মিথ্যে প্রচার বাংলা পক্ষর জোরালো প্রচারেই ধ্বংস হয়েছে। বাঙালির কাছে এখন এই সত্য পরিষ্কার -হিন্দি ভারতের রাষ্ট্রভাষা না, ভারতের কোনো রাষ্ট্রভাষা নেই। বহিরাগত নানা কোম্পানীতে কাজ করে বাঙালি হেনস্থার শিকার হলে, কাজ হারালে এবং বেতন না পেলে বাংলা পক্ষর চাপে নানা জায়গায় বাঙালি তার অধিকার ফিরে পাচ্ছে। রাজ্য সরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারি অধ্যাপক নিয়োগের চাকরির জন্য স্টেট ইলিজিবিলিটি (SET) পরীক্ষা প্রথমবার বাংলা ভাষায় দেওয়ার সুযোগ পাবে বাঙালি। এটা বাংলা পক্ষর আন্দোলনেরি ফসল। তিনি জানান বাংলা পক্ষর আন্দোলনে এমাজন (Amazon), ফ্লিপকার্ট (Flipkart) সহ নানা কোম্পানীর পরিষেবা বাংলায় পাওয়া যাচ্ছে। কোকোকলা (Coca-Cola), নেস্টলে (Nestle), বিসলেরি (Bisleri) সহ নানা বড় কোম্পানীর পণ্যের লেবেল বাংলা ভাষাই ছাপছে। তাদের উল্লেখযোগ্য দাবী বর্তমান বাংলার রাজনীতি আজ বাঙালিময়। বাঙালি জাতীয়তাবাদ বাংলার রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে তার কাণ্ডারী বাংলা পক্ষ।
৮১ বছর বয়স তাঁর। কিন্তু টনিক এ যেভাবে তিনি অভিনয় করেছেন তা সবাইকে মুগ্ধ করেছে। অনেকেই অবাক হয়েছেন ৮১ বছর বয়সে তিনি কিভাবে রিভার র্যা ফটিং করলেন। সেই পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবার সাইকেল চালালেন। তাও আবার ৫০ বছর পর। সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিও পোস্ট করে দেব। ক্যাপশনে লিখেছেন ক্যাপশনে লিখেছেন কাকা রাইডিং সাইকেল অলমোস্ট আফটার ফিফটি ইয়ার্স। টনিক নাম তো সুনা হোগা।সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করা ভিডিওতে কত দিন পর কাকা পরাণ সাইকেল চালিয়েছেন জিজ্ঞাসা করেন। পরাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, তা ১৯৬৭-এর আগে, ষাটের দশকে সাইকেল চালিয়েছি। ৬৫-৬৬ সালে চালিয়েছি। তারপর এই চালালাম। এরপরই পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সাইকেলের চাকায় যে পাম্প থাকে। পাম্প ছাড়া তো চলে না। দেবকে জড়িয়ে ধরে তিনি বলেন, পাশে দেব থাকলেই চাকার সাইকেল চলে। দেব সেইটা।অতনু রায়চৌধুরি ও প্রণব কুমার গুহর বেঙ্গল টকিজের প্রযোজনায় এবং দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চারসের সহ প্রযোজনায় আগামী ২৪ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে টনিক। দেব, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শকুন্তলা বড়ুয়া- তিন জনকে নিয়েই গল্পটা এগিয়েছে। এছাড়াও এই ছবিতে রয়েছেন সুজন মুখোপাধ্যায়, কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, রজতাভ দত্ত, বিশ্বনাথ বসু প্রমুখ। দেব জানিয়েছেন গল্পের দিক থেকে টনিক তার জীবনের সেরা ছবি।
২০১৮ সালে হামি বিপুল সাফল্য লাভ করে। সেদিক মাথায় রেখেই হামি-২ নিয়ে আসছে উইন্ডোজ প্রোডাকশন হাউস। পরিচালক ও অভিনেতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এই খবরটি জানিয়েছেন। তিনি হামি২-র লাল্টুর ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন,তৃতীয়বার লাল্টু। পদবী ও পেশা চমক রইল। কাল থেকে শ্যুটিং শুরু। আশীর্বাদ করুন যেন আপনাদের মন রাখতে পারি। সবার জন্য রইল অনেক হামি। গতকাল এই পোস্টটি তিনি করেন। অর্থাৎ আজ থেকে শুরু হল এই ছবির শুটিং। ২০২০ সালের মার্চ মাসে হামি-২র শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার জন্য শুটিং এর তারিখ পিছিয়ে যায়। অবশেষে ২০২১ এর শেষে এই ছবির শুটিং শুরু করল উইন্ডোজ প্রোডাকশন। এর আগে হামি তে ভুতুর বাবা লাল্টু বিশ্বাস এবং রামধনু তে লাল্টু দত্তর চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিবপ্রসাদ। ছাপোষা বাঙালির চরিত্রে তাকে দর্শকরা যথেষ্ট পছন্দ করেছেন। শোনা যাচ্ছে হামি তে যারা অভিনয় করেছেন হামি-২ তেও তারাই রয়েছেন। উইন্ডোজ প্রোডাকশনের ২০২২ এ অনেকগুলো ছবি তাদের পাইপলাইনে রয়েছে। ফেব্রুয়ারি- বাবা বেবি ও, ২০ মে - বেলা শুরু, ১৭ জুন - লক্ষ্মী ছেলে এবং সব ঠিক থাকলে, আগামী বছর বড়দিনে অর্থাৎ ২৩ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে হামি ২।
নো প্যানিক অনলি টনিক। অভিজিৎ সেনের পরিচালিত ছবি এবং বেঙ্গল টকিজের প্রযোজিত ও দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চারসের সহ-প্রযোজনায় টনিক মুক্তি পাচ্ছে আগামী ২৪ ডিসেম্বর। দেবের জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। জন্মদিনের ঠিক আগের দিন মুক্তি পাচ্ছে টনিক। টনিক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করেছেন দেব। ছবিতে দেখা যাচ্ছে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন এই টলি স্টার। পরনে একটা টিশার্ট। যেখানে লেখা নো প্যানিক অনলি টনিক। মূলত ইচ্ছেপুরণের গল্প বলবে টনিক। এখানে দেব একজন ট্র্যাভেল এজেন্সির কর্মী। দুই বয়স্ক দম্পতির ইচ্ছেপুরণ করবেন তিনি। যে চরিত্রে দেখা যাবে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও শকুন্তলা বড়ুয়া কে। এছাড়াও রয়েছেন সুজন মুখোপাধ্যায়, কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, রজতাভ দত্ত, বিশ্বনাথ বসু প্রমুখ। টনিক-এ পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কে একদম অন্যভাবে দেখবেন দর্শকরা। রিভার রাফটিং,প্যারা গ্ল্যাইডিং থেকে পাহাড়ে চড়া কিছুই বাদ নেই তার। এবারের দুর্গাপুজোয় মুক্তি পেয়েছে দেবের গোলন্দাজ। যে ছবিটি দর্শকমহলে বেশ সাড়া ফেলেছে। এবার পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাণের টনিক হয়ে নতুন্রুপে দেখা যাবে দেব কে। বেশ কিছুদিন আগে ছবির ট্রেলার লঞ্চের পর মিউজিক লঞ্চও হয়ে গেছে। দেব জানিয়েছেন গল্পের দিক থেকে টনিক তার জীবনের এখনও পর্যন্ত সেরা ছবি হতে চলেছে।
কান সিং সোধার প্রযোজনা সংস্থা KSS Productions and Entertainment প্রযোজিত আসন্ন ছবি ৮/১২ (বিনয় বাদল দীনেশ সাগা) ছবির ট্রেলার লঞ্চের সাংবাদিক সম্মেলন হয়ে গেল। বিবাদিবাগে, বিনয় বাদল দীনেশের প্রতিমূর্তির সামনে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রতিমূর্তিতে মাল্যদানের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। ৮/১২ (বিনয় বাদল দীনেশ সাগা) ছবির ট্রেলার লঞ্চ সেই বিশেষ দিনেই করা হয়, ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে যেদিন রাইটার্স বিল্ডিং-এ অনুপ্রবেশ করেন বিনয় বসু, বাদল গুপ্ত ও দীনেশ গুপ্ত এবং অত্যাচারী সিম্পসন সাহেবকে উপযুক্ত শাস্তি দেন ভারতবর্ষকে ব্রিটিশ শাসন মুক্ত করার জন্য। ৮/১২ ছবির মধ্যে দিয়ে যে সেই ঐতিহাসিক ঘটনাই পরিবেশিত হতে চলেছে দর্শকদের সামনে, ছবির ট্রেলারেই তা সুস্পষ্ট। এগারো ও হীরালাল খ্যাত পরিচালক অরুণ রায় পরিচালিত এই ছবিতে বিনয় বসু -র ভূমিকায় অভিনয় করেছে কিঞ্জল নন্দ। বাদল গুপ্ত-র ভূমিকায় অভিনয় করেছে অর্ণ মুখোপাধ্যায় ও দীনেশ গুপ্ত-র ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রেমো। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, খরাজ মুখোপাধ্যায়, শংকর দেবনাথ, দেবরাজ মুখোপাধ্যায়, অনুষ্কা চক্রবর্তী, গুলশনারা খাতুন প্রমুখ। ট্রেলার মুক্তির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছবির সব কলাকুশলীরা। প্রযোজক কান সিং সোধা, পরিচালক অরুণ , কিঞ্জল নন্দ, অর্ণ মুখোপাধ্যায়, রেমো, গুলশনারা খাতুন, অনুষ্কা চক্রবর্তী এবং ছবির সংগীত পরিচালক সৌম্য ঋত - র উপস্থিতিতে হয়ে গেলো ছবির ট্রেলার মুক্তির অনুষ্ঠান। ট্রেলার মুক্তির বিষয়ে বলতে গিয়ে প্রযোজক কান সিং সোধা জানালেন, এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে আমি গর্বিত। আমি গর্বিত এক ভারতীয় হিসেবে যে আমি আজকের এই বিশেষ দিনে এই মঞ্চে দাড়িয়ে বিনয় বসু, বাদল গুপ্ত ও দীনেশ গুপ্তের মতন প্রতঃস্মরণীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে পারছি। ১৯৩০ সালের আজকের দিনে রাইটার্স বিল্ডিং এ ব্রিটিশ পোশাক পরে অনুপ্রবেশ করে অত্যাচারী সিম্পসন কে হত্যা করেছিলেন বিনয় বদল দীনেশ। এই তিন তরুণ তাদের ব্যাক্তিগত স্বার্থের কথা ভাবেননি, ভাবেননি নিজেদের খুশির কথা, কেবল দেশকে পরাধীনতা থেকে অত্যাচার থেকে মুক্ত করতে নিজেদের প্রাণ বলিদান দিয়েছেন তারা। এই তিন বীরের বীরগাঁথা নিয়েই ৮/১২, আমি গর্বিত এই ছবির প্রযোজক হিসেবে, এমন তিনজন সংগ্রামী বীরের কাহিনী আমরা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারছি। এই ছবির সঙ্গে অনেক পরিশ্রম, অনেক আত্মত্যাগ জড়িয়ে আছে। আশা করি ছবির ট্রেলার সকলের ভালো লাগবে। আসন্ন বছরের জানুয়ারি মাসেই দর্শক বিনয় বদল দীনেশের বীরত্বের কাহিনী বড় পর্দায় দেখতে পাবেন বলে আশা করছি। ছবির পরিচালক অরুণ রায় জানান, ভারতবাসীর স্বাধীনতা অনেক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের ফসল। বিনয় বাদল দীনেশের আত্মবলিদানের কথা আমরা বর্তমানে অনেকেই প্রায় ভুলে গিয়েছি। ১৯৩০ সালে ৮ই ডিসেম্বর, রয়টার্স বিল্ডিং এ তাদের ঐতিহাসিক অনুপ্রবেশ - ই আমাদের ছবির মধ্যে দিয়ে পরিবেশিত হতে চলেছে। ট্রেলারে ও প্রকাশিত তারই ঝলক। আশা করি এই ট্রেলার আপনাদের ভালো লাগবে।বিবাদি বাগে কর্মরত পুলিশ কর্তাদের সামনেই লঞ্চ করা হয় এই ট্রেলার। তাদের মধ্যেই অন্যতম উচ্চ পদস্থ এক পুলিশ কর্তা জানালেন, ৮/১২ (বিনয় বাদল দীনেশ সাগা) ছবির এই ট্রেলার আমার মনে এক আশ্চর্য শিহরণ জাগিয়ে দিল।। ট্রেলার দেখতে দেখতে আমাদের প্রশিক্ষণের সময়ের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। এগারো ছবির সময় থেকেই অরুণ রায়ের ছবির ভক্ত আমি।।এই ছবির ট্রেলার দেখে আমি নিশ্চিত যে ভারতবাসী এই ছবি দীর্ঘ দিন মনে রাখতে চলেছে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর বড়পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে পরিচালক অরিন্দম ভট্টাচার্যের ছবি অন্তর্ধান। এই ছবিরই মিউজিক লঞ্চ হয়ে গেল দক্ষিণ কলকাতার একটি হোটেলে। অন্তর্ধান একটি সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার। হিমাচল প্রদেশের কসৌলীতে। ক্লাস এইটের এক মিষ্টি মেয়ে জিনিয়াকে নিয়েই গড়ে উঠেছে ছবির প্লট। এই চরিত্রে অভিনয় করেছে মোহর চৌধুরী। মা-বাবার সঙ্গে হিমাচলে থাকে জিনিয়া। মা-বাবার চরিত্রে রয়েছেন পরমব্রত এবং তনুশ্রী। সুখেই দিন কাটছিল তাদের। তবে, আচমকাই তাদের জীবনে নেমে আসে একটা বিপর্যয়। হঠাৎই কিডন্যাপ হয়ে যায় জিনিয়া। আর জিনিয়ার এই অন্তর্ধান রহস্যকে ঘিরেই ছবির গল্পটা এগিয়েছে। এই ছবির মিউজিক লঞ্চে পরিচালক জানালেন,যারা ঘরে বসে হিমাচল প্রদেশের স্বাদ পেতে চান তারা অন্তর্ধান দেখুন। অনেক থ্রিলার তো হয়। এই থ্রিলারটি অন্যান্য থ্রিলারগুলোর থেকে একদমই আলাদা। এই ছবিতে জিনিয়ার চরিত্রে অভিনয় করছেন মোহর চৌধুরী। অন্তর্ধানে তার চরিত্র নিয়ে মোহর জানালেন,আমার চরিত্রটা হল জিনিয়া। পরম্ব্রত ও তনুশ্রীর মেয়ে। এই ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট খুব কষ্ট করে হয়েছিল। এমনিতে আমার লম্বা চুল। এখানে চুল কেটে দেওয়া হয়েছিল। চশমা পরানো হয়েছিল। ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট যেরকম আস্তে আস্তে হয় সেইভাবেই হয়েছে। ভয়টা আস্তে আস্তে কেটেছে। এই ক্যারেক্টারটা নিয়ে বলতে পারবো যে একটা বাচ্চা যে হারিয়ে যাচ্ছে। এই ছবির গান নিয়ে রাতুল শঙ্কর জানালেন,অন্তর্ধানে আমি দুটো গান করেছি। একটা লালাবাঈ। উজ্জয়িনী গেয়েছে। অম্বরিশ মজুমদার লিখেছে। এটা একটা সফট নাম্বার। আরেকটি ট্র্যাক। যেটা সম্পূর্ণ আলাদা। আশা করি সবাই গানগুলো শুনবেন। হলে এসে ছবিটা দেখবেন। এই আশা করবো। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য অন্তরলীন, ফ্ল্যাট নম্বর-৬০৯ এর পর তৃতীয় ছবি অন্তর্ধান নিয়ে হাজির হয়েছেন পরিচালক। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় এই ছবির প্রমোশন হয়েছে। এখন ১০ ডিসেম্বর পর ছবিটি দর্শকদের কাছে কেমন ফিডব্যাক পায় সেটাই দেখার।
এতদিন সিনেমা থেকে মিউজিক ভিডিও সবেতেই দক্ষ হাতে পরিচালনার দায়িত্ব সামলেছেন শমীক রায় চৌধুরী। এবার অভিনেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ হতে চলেছে তার। পরিচালক অমর্ত্য সিনহার ছবি অসম্পূর্ণ তে অভিনেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করছেন শমীক। এটি একটি মনস্ত্বাত্তিক থ্রিলার ছবি। এক বিবাহ দম্পতি ও তার পাঁচ বছরের কন্যাসন্তান কে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে পুরো গল্পটা। ছবির গল্পে রয়েছে বিভিন্ন স্তর তাই সেভাবেই অভিনেতা-অভিনেত্রী নির্বাচন করেছেন পরিচালক। শমীকের বিপরীতে এই ছবিতে রয়েছেন শ্রেয়া ভট্টাচার্য। যিনি সম্প্রতি কনফিউজড পিকচারস-এর ওয়েব সিরিজ টাইম আপ এ অভিনয় করেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি অসম্পূর্ণর সংলাপ লিখেছেন শমীক। ছবির কাহিনি ও চিত্রনাট্যের দায়িত্ব সামলেছেন পরিচালক নিজেই।এই ছবিতে মিউজিকের দায়িত্বে রয়েছেন তমাল কান্তি হালদার। ছবির চিত্রগ্রাহক প্রসেনজিত কোলে। সম্পাদনা করছেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী পরিচালক প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য।
পরিচালক শান্তনু সিনহার তৃতীয় ছবি অনুরাগ। ৩৫ মিনিটের এই ছবিটির পোস্টার ও ট্রেলার লঞ্চ হয়ে গেল কলকাতা প্রেস ক্লাবে। উপস্থিত ছিলেন পরিচালক শান্তনু সিনহা, অভিনেতা দেবদূত ঘোষ, আনন্দ শঙ্কর চৌধুরী এবং অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্য্য।এই ছবির মূল বক্তব্য ভালবাসা থাকে চিরদিন। ছবির শুটিং হয়েছে বর্ধমানের মানগড় এলাকায়।টুডে সাইন প্রাইভেট লিমিটেড প্রযোজিত সাইন প্রোডাকশনের ছবি অনুরাগ নিয়ে অভিনেতা দেবদূত ঘোষ জানালেন, পরিচালক শান্তনু আমার বহুদিনের পরিচিত। আমরা হুইলচেয়ার নামে একটি ছবি শুরু করারপরিকল্পনা করেছিলাম। যে ছবিতে মূল অভিনেতা হিসেবে থাকার কথা ছিল কিংবদন্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু অনেক কারণে সেই ছবি হয়নি। পরবর্তীকালে শান্তনু এই ছোট ছবির গল্পটা শোনায়, আমি গল্পটা শুনেই রাজি হয়ে যায়। ছবিতে আমার চরিত্রটা দারুন ইন্টারেস্টিং এবং চ্যালেঞ্জিং। প্রথমত পুরো ছবিটাই আউটডোরে একটা আন এক্সপোজড পিকটোরিয়াল গ্রাম বাংলার ব্যাকড্রপে শুটিং হয়েছে। এবং আমার চরিত্রটা এক রাতে পাল্টাতে পাল্টাতে শেষ পরিনতি কি হয় সেই গল্পই শোনাবে। ছবির গল্প চিত্রনাট্য, সংলাপ পরিচালকের নিজের। সঙ্গীত রাজ নারায়ন দেবের। ব্যবহৃত হয়েছে রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুর। পরিচালক শান্তনু সিনহা জানালেন, ছবিটি প্রথমে বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে পাঠানো হবে এবং তারপর ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পাবে।
জল আনতে আর যায় না খুকুপদ্মদীঘি গেছে মজে,তোতাপাখী আজও ফিরে ফিরে আসেআতাগাছটির খোঁজে।চাঁদও ওঠে, ফুলও ফোটেশুধু কদমতলা ফাঁকা,হাতি, ঘোড়া নেইকো সেথানেইকো সোনামনির দেখা।খুকি আর বলেনা কথাকাঠবেড়ালির সাথে,পড়া,আঁকা,নাচের পরেখুকির সময় কোথায় হাতে।দামোদর শেঠ, নুটুবাবুরাবিদায় নিয়েছেন কবে,ভৃগুর দাদু থাকলে কেঁদে ভাসাতেনএ প্রজন্মের বাংলা বলা দেখে।চাঁদামামা আজও উঁকি মারেবাঁশবাগানের মাথায়,শ্লোক শুনতে আর পায় না সেকাজলা দিদির গলায়।বদলে গেছে অনেক কিছুসব হারানোর খেলায়,জমাট বেঁধে শুধু থাকবে স্মৃতিমনের মণিকোঠায়।এখন আমি অনেক বড়,অনেক কিছু বুঝি,জীবন মানে গড়িয়ে চলামেনে সময়সূচী।সময়ের সাথে পাল্লা দিতেচাহিদা ঊর্দ্ধগামী,হাজার ভাবনার ভিড়ের মাঝেহারিয়ে যাচ্ছি আমি।ঘুমপাড়ানি মাসি-পিসিএকবারটি এসো ফিরে,ঘুমের দেশে যাব আমিরাতের ছায়াপথটি ধরে।লেখকদীপক কুমার মণ্ডলআরও পড়ুনঃ পাবলিকআরও পড়ুনঃ বিকল্পআরও পড়ুনঃ প্রতীক্ষা
ডিসেম্বর মাস পড়তে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। ডিসেম্বরের পরেই বাঙালি আরও একটা নতুন বছর কে স্বাগত জানাবে। আর নতুন বছরেই তাদের ফ্যানদের জন্য খুশির খবর নিয়ে আসছেন টলিউডের হ্যাপি ক্যাপল রাজ-শুভশ্রী। দুবছরের অপেক্ষার পর অবশেষে মুক্তি পেতে চলেছে রাজ-শুভশ্রীর ছবি ধর্মযুদ্ধ। আগামী বছরের শুরুতে অর্থাৎ ২১ জানুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে ধর্মযুদ্ধ। ছবির নতুন পোস্টার শেয়ার করে শুভশ্রী লেখেন, ধর্মের লড়াই নাকি বেঁচে থাকার লড়াই? ২১শে জানুয়ারি, ২০২২ ধর্মযুদ্ধ আসছে বাংলার সমস্ত প্রেক্ষাগৃহে।বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতেই যে এই ছবিটা সেটা নাম দেখেই বোঝা যাচ্ছে। শুভশ্রী ছাড়াও পরিচালক রাজের এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় থাকছেন সোহম চক্রবর্তী, ঋত্বিক চক্রবর্তী, পার্নো মিত্র এবং স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। শুভশ্রী এই ছবিতে রয়েছেন মুন্নীর চরিত্রে, ঋত্বিক চক্রবর্তী, সোহম চক্রবর্তী, পার্নো মিত্রকে দেখা যাবে যথাক্রমে রাঘব,জাফর এবং শবনমের ভূমিকায়।এই বছর পুজোতে বেশ কয়েকটা বাংলা ছবি মুক্তি পেয়েছে। পুজোর পরেও মুক্তি পেয়েছে কয়েকটা বাংলা ছবি। বছর শেষ হতে চলেছে বাংলা ছবি মুক্তি দিয়ে। নতুন বছরটা আবার শুরু হচ্ছে ধর্মযুদ্ধ মুক্তির মাধ্যমে।
বাংলা ধারাবাহিক ও প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে বাঙালি জাতির সংস্কৃতি নষ্ট করার বিরুদ্ধে এবার পথে নামতে চলেছে ভারতের বাঙালি জাতির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষ।সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, জি বাংলা চ্যানেলের বেশ কিছু বাংলা ধারাবাহিক ও প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে ক্রমাগতভাবে হিন্দি গান জুড়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পর্বে। এছাড়া তাদের আরও অভিযোগ, বাংলা ও বাঙালি জাতির ইতিহাস বিকৃত করে দেখানো হচ্ছে করুণাময়ী রানি রাসমণি নামক ধারাবাহিকে। সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে এই পথ যদি না শেষ হয় নামক ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে যে করবা চৌত নামক প্রথা নাকি বাঙালি সমাজে প্রচলিত। এছাড়াও বাঙালি বৌ অবাঙালি বর এবং রাখিবন্ধন নামক ধারাবাহিকও এই তালিকায় আছে।বাংলা পক্ষ আরো জানিয়েছে যে জনপ্রিয় ক্রিকেটার পরিচালিত দাদাগিরি নামক অনুষ্ঠান, ডান্স বাংলা ডান্স এবং সারেগামাপা নামক অনুষ্ঠানেও অনিয়ন্ত্রিতভাবে হিন্দি গান বাজানো ও প্রচার চালানো হয়। সংগঠনের তরফ থেকে উত্তর ২৪ পরগনা শহরাঞ্চল জেলা শাখার সম্পাদক পিন্টু রায় সরাসরি বলেছেন, আমরা কখনোই হিন্দি গান বা হিন্দিভাষী কলাকুশলীদের বিরোধী নই আমরা কেবল বাঙালি সংস্কৃতির ওপর হিন্দি সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার চ্যানেল গুলির যে প্রবণতা তার বিরোধী।তিনি এও বলেন আমাদের জেলার অন্তর্গত রাজারহাটের ডিআরআর স্টুডিওতে এই সমস্ত ধারাবাহিক ও অনুষ্ঠান গুলির শুটিং হয় তাই ওখানে গিয়ে ডেপুটেশন প্রদান ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে রবিবার ২১শে নভেম্বর সকাল ১১ টায়।
জি বাংলা-সহ নানা বাংলা চ্যানেলের বেশ কিছু বাংলা ধারাবাহিক ও প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে ক্রমাগত ভাবে হিন্দি গান জুড়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পর্বে। এছাড়া আরো অভিযোগ বাংলা ও বাঙালি জাতির ইতিহাস বিকৃত করে দেখানো হচ্ছে করুণাময়ী রানী রাসমণি নামক ধারাবাহিকে। এই পথ যদি না শেষ হয় নামক ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে যে করবা চৌথ নামক প্রথা নাকি বাঙালি সমাজে প্রচলিত। এছাড়াও বাঙালি বৌ, অবাঙালি বর- এই কম্বিনেশন দেখানো হচ্ছে সর্বত্র, উল্টোটা নয় এবং রাখিবন্ধন নামক ধারাবাহিকও এই তালিকায় আছে।এছাড়া জনপ্রিয় ক্রিকেটার পরিচালিত দাদাগিরি নামক অনুষ্ঠান, ডান্স বাংলা ডান্স এবং সারেগামাপা নামক অনুষ্ঠানেও অনিয়ন্ত্রিতভাবে হিন্দি গান বাজানো ও প্রচার চালানো হয়।সংগঠনের তরফ থেকে উত্তর ২৪ পরগনা শহরাঞ্চল জেলা শাখার সম্পাদক পিন্টু রায় সরাসরি বলেছেন, আমরা কখনোই হিন্দি গান বা হিন্দি ভাষি কলাকুশলীদের বিরোধী নই। আমরা কেবল বাঙালি সংস্কৃতির ওপর হিন্দি সংস্কৃতি (নিম্ন রুচির উত্তর ভারতীয় সংস্কৃতি) চাপিয়ে দেওয়ার চ্যানেল গুলির যে প্রবণতা তার বিরোধী।তিনি এও বলেন, আমাদের জেলার অন্তর্গত রাজারহাটের ডিআরআর স্টুডিও তে এই সমস্ত ধারাবাহিক ও অনুষ্ঠান গুলির শুটিং হয় তাই ওখানে গিয়ে আমরা ডেপুটেশন প্রদান ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবো আগামী রবিবার ২১শে নভেম্বর সকাল ১১ টায়।তিনি আরও বলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ গর্গ চট্টোপাধ্যায় এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন এবং উপস্থিত থাকবে বাঙালি সুশীল সমাজ ও দর্শকদের সমর্থন।
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় লেখক রাধামাধব মণ্ডলের রেডস্টারের ক্যাম্প গল্প অবলম্বনে জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের জীবনকে ছবির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন পরিচালক মনদীপ সাহা। এই ছবিরই ট্রেলার মুক্তি পেল। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন অনামিকা চক্রবর্তী, সৌরভ দাস ও সঞ্জু। মুখ্য চরিত্রে সৌরভের এটাই প্রথম প্রোজেক্ট।এসএমডি এন্টারটেনমেন্টের ব্যানারে মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি। ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন অর্ণব ভৌমিক ও অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায়। পুরো ছবি জুড়ে রয়েছে গুলি, বোমা, বন্দুক, কান্নার ছাপ।এই ছবি প্রসঙ্গে পরিচালক মনদীপ সাহা জনতার কথা কে জানান,এটার কনসেপ্টটা তো রাধামাধব দার। ওর সাথে একদিন ছবি নিয়ে কথা বলছিলাম। রাধামাধব দা আমাকে বলে একটা কনসেপ্ট আছে শোন। শোনার পর আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। জঙ্গলমহলের বিষয়ে আমরা অল্পবিস্তর সকলেই জানি। ওই পটভূমির ওপর ছবি হবে এটা শোনার পর আমার অন্যরকম ভালোলাগা তৈরি হয়। তারপর কনসেপ্টটা নিয়ে আমি অর্ণব ও অনিন্দ্যর সঙ্গে বসি। গল্পটা দাঁড়িয়ে গেল। তারপর শুট শুরু হয়। শুটিং করতে গিয়ে অনেক প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে হয়েছিল জানালেন পরিচালক। তার কথায়,আফটার ফার্স্ট লকডাউন আমরা জঙ্গলমহলের যেসব জায়গায় শুট করতে চাইছিলাম সেখানে পারমিশন পাওয়া নিয়ে একটা সমস্যা হচ্ছিল। তারপর যদিও শুট করা যায়। জঙ্গলের মাঝে গিয়ে, পাহাড়ের চুড়ায় গিয়ে আমরা শুট করেছি। জল, খাবার ঠিকঠাক পাইনি তবুও আমরা ভালোবেসে ছবিটা করে গেছি। অভিনেতা সৌরভ দাস জানালেন,আমি মাওবাদীর ক্যারেক্টার প্লে করছি। এর আগে কখনও করিনি। ভীষণ এক্সাইটিং লাগছে এবং আশা করবো ছবিটা যেন দর্শকরা ভালোবাসেন। এই ছবিতে বাবার চরিত্রে দেখা যাবে টলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা অরিন্দম গাঙ্গুলি কে। তিনি তার চরিত্র নিয়ে জানালেন,ইস্কাবনের যে নায়ক তার বাবার চরিত্রে আমাকে দেখা যাবে। যদিও চরিত্রটা একটু অন্যধরণের। বাবা ছেলের বিয়ে দিয়ে আনার পর ছেলে মারা যায়। বৌমাকে চাকরি করিয়ে, অন্যরকম একটা রিস্ক নিয়ে বৌমার পাশে এসে দাঁড়ায়। চরিত্রটা ছোট কিন্তু ভালো। এই ছবির মাধ্যমেই বড়পর্দায় অভিষেক হচ্ছে ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অনামিকা চক্রবর্তীর। তিনি জানালেন,ফ্যান্টাস্টিক এক্সপিরিয়েন্স। আমাকে অনেক রিসার্চ করতে হয়েছে এবং ওদের লোকেদের সাথে অনেক কথা বলেছি। ওদের ভাষাটা ডেভেলপ করা খুব টাফ ছিল বাট আই ডিড ইট। সৌরভ দার সঙ্গে কাজ করার এক্সপিরিয়েন্স কেমন প্রশ্ন করাতেই অনামিকার মুখে একগাল হাসি পাওয়া গেল। জানালেন,আ হি ইস অ্যা ট্যালেন্ট। বাঞ্চ অফ এনার্জি। ফুল অফ এনার্জি। ভেরি পজিটিভ। ভেরি হেল্পফুল। মাই সিনিয়র। মাই টিচার।সঞ্জুর এই ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক হচ্ছে। তার চরিত্র প্রসঙ্গে জানালেন,আমার চরিত্র হচ্ছে একটা সিআরপিএফের চরিত্র। ক্যাপ্টেন সিড মুখার্জী। ও হাত চালাতে বেশি পছন্দ করে না। বুদ্ধি চালাতে বেশি পছন্দ করে। নিজের চরিত্র নিয়ে টলিউডের আরেক বর্ষীয়ান অভিনেতা সুমিত গাঙ্গুলি জানালেন,খুব ভালো লাগছে। যেকোনো চরিত্রই চ্যালেঞ্জ। এই চরিত্রটা অন্যধরণের একটা চরিত্র। আমি যে চরিত্র করে থাকি তার বাইরে একটা চরিত্র। ডিরেক্টর, প্রোডিউসার, লেখককে আমাকে এই চরিত্রে ভাবার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আমি একটা মিলিটারি মেজর জেনারেলের চরিত্রে রয়েছি। এই চরিত্রটা করে আমি খুব এনজয় করেছি।৬১ গড়পার লেনের পর অভিনেত্রী রুমা ভদ্রর এটা দ্বিতীয় ছবি হল রিলিজ করতে চলেছে। জনতার কথা কে অভিনেত্রী জানালেন,আমি মাওবাদীর চরিত্রে অভিনয় করছি। শ্যামলী ক্যারেক্টারের নাম। ওয়ার্কশপ করতে হয়েছিল ওদের ভাষাটা শেখার জন্য। শান্তনু দাস যিনি আমাদের ওয়ার্কশপ করাচ্ছিলেন তিনি টোটালি আমাদের গ্রুমিং করিয়েছিলেন। কীভাবে বলবো না বলবো। তাই শুট করার সময় বা আগে ভাষাটা বলতে অসুবিধা হয়নি।
২৫ ডিসেম্বর দেবের জন্মদিন। তার আগেই অনুরাগীদের জন্য খুশির খবর নিয়ে এলেন টলিউড সুপারস্টার দেব। ২৪ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে দেব অভিনীত ছবি টনিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবরটা জানিয়েছেন তারকা অভিনেতা। প্রযোজক অতনু রায়চৌধুরীর সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় টনিক তৈরি করছেন দেব। ছবিতে অভিনয় করেছেন দেব, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শকুন্তলা বড়ুয়া প্রমুখ।অনেকদিন আগেই ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিডের জন্য মুক্তির তারিখ পিছিয়ে যায়। অবশেষে সব অপেক্ষার অবসান হয়ে হলে মুক্তি পেতে চলেছে টনিক। পরিচালক অভিজিৎ সেনের ডেবিউ ছবি টনিক।ছবিতে এক ট্রাভেল এজেন্সির কর্মী দেব। দেবের কাকার ভূমিকায় রয়েছেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন প্রধান চরিত্রের সম্পর্কের সমীকরণই টনিক এর গল্প। এখানে দেব অভিনীত চরিত্রটির নামই টনিক। তিনি একজন ট্যুর প্ল্যানার। ঘুরতে নিয়ে যান বয়স্ক দুই মানুষকে। এরপরই তাঁরা জীবনের রসদ খুঁজে পান। মূলত ইচ্ছেপূরণেরই গল্প বলবে টনিক।
সব অপেক্ষার অবসান হল। রূপ প্রোডাকশনের ব্যানারে পরিচালক সৌম্যজিত আদকের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি অল্প হলেও সত্যি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল। ছবির প্রিমিয়ারে পরিচালক, অভিনেতা, অভিনেত্রী, প্রযোজক ছাড়াও উপস্থিত ছিল টলিউডের অন্যান্য অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। পরিচালক এই বিশেষ দিনে জানালেন,খুব ভালো লাগছে। এটা আমার প্রথম ফিচার ফিল্ম। অনেক গুণীজন, অনেক কাছের মানুষ এসেছেন এই সিনেমাটা দেখতে। আশা করছি ছবিটা দেখার পর মানুষ হনেস্ট ফিডব্যাক দেবে। ভালো, খারাপ সেটা আমরা নিয়েই এগিয়ে যাব। ছবির প্রযোজক অঙ্কিত দাস জানালেন,প্রথমেই বলি অল্প হলেও সত্যি একটা বন্ধুদেরকে নিয়ে বানানো। আমার মনে হয় অল্প হলেও সত্যি অলরেডি বাংলার মানুষের বুকে দাগ কেটেছে কারণ এটা আলাদা প্রেমের গল্প। সৌরভ একটা ক্যানসার পেশেন্ট। ক্যানসার পেশেন্ট হওয়া সত্ত্বেও যে ভালোবাসা, ওষুধ ছাড়াও যে ভালোবাসা দিয়ে তার রোগকে সাড়াচ্ছে সেটাই আমরা এই মুভিতে দেখাতে পেরেছি। আমরা আশাবাদী বাংলার মানুষ এবং প্রত্যেকজন যারা সিনেমা ভালোবাসে তারা এই মুভিটা পছন্দ করবে।ছবির প্রিমিয়ারে উপস্থিত ছিলেন এনা সাহা। তিনি জানালেন,খুব ভালো লাগছে। এটা ওর ফার্স্ট ফিচার ফিল্ম। ওকে অনেক বেস্ট উইশেস, অনেক ভালোবাসা। আমার বিশ্বাস ও একটা ভালো সিনেমা বানিয়েছে। আপনাদের রিকোয়েস্ট করবো হলে এসে সিনেমাটা দেখুন।