নিউটাউন আইটি সেক্টারের বহুতল বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ মেরে আত্মহত্যার চেষ্টা। আশঙ্কা জনক অবস্থায় নিউটাউনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আইটি কর্মীর নাম দৈপায়ন ভট্টাচাৰ্য (৪০)। ছয় তলা থেকে ঝাঁপ মারে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে কি কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা খতিয়ে দেখছে টেকনোসিটি থানার পুলিশ।আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনো কারণ আছে মৃত্যুর পিছনে সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দেউচা পাঁচামি কয়লখনির অগ্রগতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়ে গেল সল্টলেকে। বুধবারের এই বৈঠকে বীরভূমের জেলাশাসক ছাড়া আদিবাসী সংগঠনের নেতৃত্ব হাজির ছিলেন। আদৌ প্রকল্পে কি কাজ করা হবে তা নিয়ে অবগত করা হয় আদিবাসী সমাজের নেতৃত্ববর্গকে। এই কয়লাখনি নিয়ে ইতিমধ্যে আদিবাসীদের একাংশ সেখানে বিরোধিতায় নেমেছে। ডব্লিউবিপিডিসিএলের চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর পিবি সেলিম জানিয়েছেন, দেউচা পাঁচামি নিয়ে বাইরের কিছু লোক ভুল তথ্য দিচ্ছেন, বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। সেটাকে ক্লারিফাই করার জন্য রাজ্যের আদিবাসী যে বড় সংগঠন রয়েছে তাদের ১০ জন প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করা হয়। মাইনিং নিয়ে যারা টেকনিক্যাল এক্সপার্ট রয়েছেন তারাও ছিলেন এই বৈঠকে। কিভাবে মাইনিং করতে চাইছে,দেউচা পাঁচামি নিয়ে কি পরিকল্পনা রয়েছে, সেই বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে জানানো হলো। এই বৈঠকে করে বুঝলাম অনেক কিছু ভুল ধারণা, মিথ্যা ধারণা তৈরি হয়েছে প্রকল্প নিয়ে। সেগুলো পরিস্কার করতে পেরেছি। ওখানে ওপেন কাস্ট মাইনিং হচ্ছে না, যখন এটা হচ্ছে না তখন উচ্ছেদের কোন প্রশ্ন নেই। তিনি আরও জানিয়েছেন, আপাতত ৩২৬ একরে কাজ হবে, তার মধ্যে ১২ করে কাজ শুরু হয়েছে। এই ৩২৬ একরে না কোন বসতি না কোন জঙ্গল আছে। এখানে আন্ডারগ্রাউন্ড মাইনিং হবে। এই আন্ডারগ্রাউন্ড মাইনিং এমন হবে যাতে উচ্ছেদ কোন না হয় এটা পরিষ্কার করে দেওয়া হল।এই বৈঠকে হাজির ছিলেন বীরভূমের জেলশাসক বিধান রায়। তিনি জানিয়েছেন, আদিবাসী সংগঠনের একটা ইউনাইটেড ফোরাম আছে তাদেরকে নিয়ে আমরা বসে ছিলাম। তার কারণ, চারিদিকে এটা নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। যে উচ্ছেদ হয়ে যাবে আদিবাসীদের এখানে অত্যাচার করা হচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলো সব মিথ্যা, সেগুলো নিয়ে আজকে ইউনাইটেড ফোরাম এসেছিল আমাদের কাছে। প্রাথমিক যে ফার্স্ট ফেজ, সেটা ৩২৬ একর। যেখানে ১০৪ একর হচ্ছে আমাদের ভেস্টেড ল্যান্ড আর বাকি ২২২ এখন হচ্ছে প্রাইভেট ল্যান্ড। প্রাথমিক কাজ ১২ একর দিয়ে শুরু হয়েছে। এই ৩২৬ একরের মধ্যে ফার্স্ট ফেজে কোন ধরনের কোন বনভূমি নেই, কোথাও কোনো বসতি নেই সুতরাং উচ্ছেদের যে বিষয়গুলি মিথ্যাচার করা হচ্ছে সেগুলো সরবই বা মিথ্যা। এখানে আন্ডারগ্রাউন্ড মাইনিং হবে সেটা আমরা বুঝিয়ে দিলাম উনারাও বুঝেছেন।ইউনাইটেড ফোরাম অল আদিবাসী অর্গানাইজেশনের কর্ণধার রামদাস কিসকু জানান, আজ এখানে আসার উদ্দেশ্য একটাই ছিল। সরকার যে কয়লা খনিটা করতে চাইছেন সেটা ওপেন না আন্ডারগ্রাউন্ড, বিভিন্ন প্যাকেজ থেকে আরম্ভ করে কিভাবে হচ্ছে তার ডিটেলস জানার জন্য আজকে এখানে এসেছিলাম। সরকারি অর্ডার সহ সরকার কি করতে চাইছেন, সেটা পরিষ্কারভাবে আমাদের কাছে ছিল না। সেটা জানার জন্যই এসেছিলাম। আমাদের মনের মধ্যে যে প্রশ্ন একটা খনি করতে গেলে আদিবাসী উচ্ছেদ বা গ্রাম উচ্ছেদ হচ্ছে কিনা কি কি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এগুলো আমরা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন রকম ভাবে প্রশ্ন করেছি, আধিকারিকরা উত্তর দিয়েছেন। কাগজ এবং বাস্তব দুটো আলাদা, আমরা ওই এলাকায় আবার ভিজিট করব এলাকার মানুষ কি বলতে চাইছেন, আজকে যেটা শিখলাম সেটা আমরা বলব, ওনাদের বক্তব্য আমরা শুনবো তারপরে সে সিদ্ধান্ত মানুষই বলবে।বিতান চন্দ্র টুড (ওয়ার্কিং কনভেনার) জানান, বাইরে যেভাবে আমরা শুনেছি, আমরা বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে যেভাবে আমাদের কাছে বিষয়টা এসেছে আর এখানে এসে যা তথ্য পাচ্ছি তার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে বলে আমাদের মনে হয়েছে। সুতরাং কোনটা ঠিক কোনটা বেঠিক সেটা স্পটে গিয়েই আমরা বুঝতে পারবো।
২০২৬ বিধানসভা ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। রাজ্যে পুরো দস্তুর নির্বাচনী দৌত্য় শুরু হয় গিয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গতকাল ছিলেন দিল্লিতে, এদিন রাজ্য বিধানসভা চত্বর একেবারে হুলস্থূল। আবারও শুভেন্দুর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমোকে ফের চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেতা। সেই সঙ্গে তাঁর সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নেওয়া হলেও বিধানসভার চলতি অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু।মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, বিরোধী দলনেতাকে ৯ মাস বাইরে রেখেছেন। আর তো দুটো সেশন আছে। একটা বাদল অধিবেশন ও আর একটা শীতকালীন অধিবেশন। তারপরে তো দুদিনের ভোট অন অ্যাকাউন্ট। তারপরে নির্বাচন। তারপর আপনারা প্রাক্তন। কেজরিওয়াল যেখানে.. মমতাও যাবেন সেখানে। আমরা কোনও সম্প্রদায়ের বিরোধী নই। আমরা তৃণমূলের নীতির বিরোধী।এদিকে আজই শুভেন্দু অধিকারীর সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে কাগজ ছোঁড়ার প্রতিবাদে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, বিশ্বনাথ কারক এবং বঙ্কিম ঘোষকে চলতি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারীর সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অধ্যক্ষ। তবে বিরোধী দলনেতা এদিন জানিয়েছেন তাঁর সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হলেও বাকিদের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হয়নি। সেই কারণেই চলতি অধিবেশনে তিনি যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছেন।এদিনই শুভেন্দু অধিকারীর আমন্ত্রণে বিধানসভায় যান বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। খড়্গপুরের প্রাক্তন বিধায়ককে এদিন বিধানসভায় যেতেই তাঁকে স্বাগত জানাতে এগিয়ে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে পুষ্পস্তবক দিয়ে বিধানসভায় স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। বিধানসভায় হৈ হট্টগোল নিয়ে শুভেন্দু বলেন, আমাদের বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ জানতে চেয়েছিল, সাঁইথিয়া শহরে কেন ইন্টারবনেট বন্ধ। সেই প্রশ্নেই যত রাগ শাসক শিবিরের। বিধানসভা গেটে প্ল্যকার্ড নিয়ে বিক্ষোভও দেখান শুভেন্দু অধিকারীরা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ২ যুবক মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি নিয়ে সেক্টর ফাইভের দিক থেকে নিউটাউনের দিকে আসিছল। তখন বলাকা আবাসনের কাছে অত্যন্ত বেপরোয়া হবে গাড়ি চালাচ্ছিল বলে এলাকার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে। গাড়িটি একটা গাড়িকে ধাক্কাও মারে। ওই দুজনকে পুলিশ আটক করে নিয়ে আসে গাড়িসহ। দুই অভিযুক্তকে যখন থানায় কর্মরত অবস্থায় ডিউটি অফিসার সাব ইন্সপেক্টর পদমর্যাদা নাম জিজ্ঞাসা করে তখন ওই মহিলা অফিসারের গায়ে হাত দিয়ে মারধর করে এবং পোশাকের দড়ি ধরে টানাটানি করে। এরপরেই পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত দুই যুবককে এদিন বারাসাত আদালতে তোলা হয়।
বিশ্ববরেন্য ফুটবলার পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঘটে গেল খুনের ঘটনা। প্রয়াত খ্যাতনামা এই ফুটবল কোচের পরিবারের দুই পরিচারকের মধ্যে ঝগড়া বিতন্ডা থেকেই ঘটে যায় খুন। এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মদের আসরে খুন হয়েছে বলে খবর। রান্না ঘরের ছুরি দিয়ে এলোপাথারি কোপ। দুই পরিচারকের মধ্যে বচসা। আর তার ছেড়েই খুন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করল বিধান নগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। প্রাক্তন ফুটবলার PK ব্যানার্জীর বাড়িতই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সল্টলেকে জিডি ব্লকের ২৭৩ নম্বর বাড়িতে মদের আসর বসে। সেখানেই দুই পরিচারকের মধ্যে ঝামেলা হয়। ঝামেলা চলাকালীন বরুন ঘোষ রান্নাঘর থেকে একটি ছুরি নিয়ে এসে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে গোপীনাথ মুহুরিকে। বিধান নগর মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এর পরে খবর যায় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশের কাছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বরুণ ঘোষকে গ্রেফতার করে। তবে কি কারণে এই ঝামেলা, সেই বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
হুলস্থুল কাণ্ড যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে, শিক্ষা মন্ত্রীর গাড়ির চাকার হওয়া খুলে দিল ছাত্রছাত্রীরা একেবারে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। আটকে পড়লেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বাম ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তুমুল ধস্তাধস্তি চলে। ক্যাম্পাসের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খলতা। অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেওয়া হয়েছে। মূলত, ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিকে কেন্দ্র করে এই উত্তেজনা। ঘটনার সূত্রপাত শনিবার দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ভাষণ চলাকালীন সেখানে ঢুকে পড়ে বাম সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের কয়েকজন সদস্য। তারপর চেয়ার ভাঙচুর, ধাক্কাধাক্কির জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন অধ্যাপকদের অনেকেই বলে অভিযোগ। ব্রাত্যের গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেওয়া হয়। চোর-চোর এবং গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়। মন্ত্রীর গাড়ির বেনেটেও উঠে পড়ে ছাত্ররা। ওয়েবকুপার বার্ষিক সভা শুরুর আগে ছাত্র ভোট চেয়ে সভাগৃহের বাইরে এসএফআইয়ের সদস্যরা হোর্ডিং, পোস্টার টাঙিয়ে দিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার দাবি জানাতে থাকেন। এরপরই ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির জন্য টিএমসিপি (TMCP) প্রতিবাদ করতেই দুই ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে বচসা বেঁধে যায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তিন নাম্বার গেট দিয়ে ওয়েব কুপার মিটিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয় শিক্ষামন্ত্রীকে। ছাত্র বিক্ষোভে আটকে থাকা অবস্থায় ব্রাত্য বসু বলেন, এটাই হচ্ছে এই সব (বাম-অতিবাম) ছাত্র সংগঠনের গণতন্ত্র। এরাই রাস্তায় নেমে অসভ্যতা করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধৈর্যে বিশ্বাস করেন। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন। আমরা সহিষ্ণুতার পাঠ জানি। আমি ওদের বললাম আপনারা দুজন আসুন। ওরা বলল চল্লইস জন যাব। আর এতজন মিলে কথা হয়। এরপরই ওরা বাধা দেয়। আমাদের প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে যাতে পুলিশ ডাকি। কিন্তু সেটা করব না।দুপক্ষের হাতাহাতির ঘটনায় বেশ কয়েকজন পড়ুয়া ও অধ্যাপক আহত হয়েছেন বলেই খবর। এদিকে বৈঠক ছেড়ে বেরোনোর সময় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়িতে ভাংচুর চালানো হয়। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে গাড়ির কাঁচ। যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ড-এ অবস্থান SFI-এর। এদিকে গোটা ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েন শিক্ষামন্ত্রী। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় SSKM হাসপাতালে। সেখানে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেঁড়ে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ আজকের হামলাকে প্রাণঘাতী হামলা বলে উল্লেখ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এক পোস্টে লিখেছেন, তৃণমূলের সৌজন্য মানে দুর্বলতা নয়। গায়ে হাত দেবে কেন? শাসক বলে সংযত নিশ্চয় থাকা উচিত। কিন্তু বাঁদরামি সীমা পার করলে উপযুক্ত জবাব দেওয়া উচিত।
আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিল CBI। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার জমা দেওয়া সেই স্ট্যাটাস রিপোর্টে আরও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত স্পষ্ট। আরজি করের ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা করছে সিবিআই। স্ট্যাটাস রিপোর্টেও এই আশঙ্কার উল্লেখ রয়েছে। এদিকে, আরজি করের নির্যাতিতার ন্যায়বিচার চেয়ে দিল্লিতে সিবিআই অধিকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা।আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত এখনও জারি রয়েছে। আগামী ১৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডের পরবর্তী শুনানি রয়েছে। তার আগে শিয়ালদহ আদালতে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর, সেই রিপোর্টে আরজি করের ঘটনায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত স্পষ্ট। এক্ষেত্রে তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগের তদন্ত এখনও চালিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। এ ব্যাপারে দ্রুত চার্জশিট পেশ করা হবে বলেও তারা জানিয়েছে। তবে টালা থানার প্রাক্তন ওসি-র মোবাইল ফোনের সিম এখনই ফেরত দেওয়া যাবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছে সিবিআই। সেক্ষেত্রে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা করছেন তদন্তকারীরা। সিবিআইয়ের সেই আশঙ্কাকে মান্যতা দিয়েছে আদালত।এদিকে আরজি করের নির্যাতিতা তরুণীর বাবা-মা ন্যায়বিচারের দাবিতে দিল্লিতে সিবিআই অধিকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছেন। আরজি করের তরুণী মৃত্যুর ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত।
নিউটাউনে নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ। অভিযোগ এক রংমিস্ত্রির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত রংমিস্ত্রি গ্রেফতার। গ্রেফতার করল ইকোপার্ক থানার পুলিশ।নয় বছরের নাবালিকা শ্লীলতাহানির ঘটনায় তার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত বাড়ির রঙ মিস্ত্রিকে গ্রেপ্তার করেছে বিধাননগর কমিশনারেটের ইকোপার্ক থানার পুলিশ। ধৃত কওসার আলি ওরপে বাপি (৩২)। যুবক পেশায় রঙ মিস্ত্রি। সে ইকোপার্ক থানার যাত্রাগাছি-ঘুনি এলাকার বাসিন্দা। বুধবার বিকেলে ওই এলাকা থেকেই অভিযুক্ত বাপিকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দিনকয়েক ধরে নির্যাতিতা নাবালিকার টিয়া বাগানের বাড়িতে রঙের কাজ করছিল বাপি। বুধবার সকালেও সে কাজে গিয়েছিল। নিচের ঘরে রঙের কাজ করছিল। সে সময় নাবালিকার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যরা বাইরে বেরিয়েছিলেন। তখন নির্জন বাড়ির সুযোগ পেয়ে ওই নাবালিকাকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ির উপরের চারতলার ঘরে ডেকে নিয়ে যায় বাপি। অভিযোগ, সেখানেই বাড়ির রঙ মিস্ত্রির কাছে শ্লীলতাহানির শিকার হয় নাবালিকা। দুপুরের দিকে পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ফিরে এলে কান্নাকাটি জুড়ে দেয় নাবালিকা। এরপর পরিবার অভিযুক্ত বাড়ির রঙ মিস্ত্রির বিরুদ্ধে ইকোপার্ক থানায় যৌন হেনস্থার একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়, আজ বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে বারাসত আদালতে পাঠিয়ে দেয়।
একের পর এক হাড়হিম ঘটনা। মঙ্গলবার এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকলো কলকাতার কুমোরটুলি। দুই মহিলা একটি ট্রলিব্যাগে মুণ্ডহীন দেহ নিয়ে গঙ্গায় ফেলার চেষ্টা করেন। সেই সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হয়, তাঁরা হাতেনাতে পাকড়াও করেন ট্রলি ব্যাগ সমেত দুই মহিলাকে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয়রা পুলিশের খবর দেয়, দুই মহিলাকে আটক করে পুলিশ। ধৃতরা প্রথমে দাবি করেছিল দেহটি কুকুরের। যদিও এলাকাবাসীদের অভিযোগ, ট্রলিব্যাগে যে দেহ পাওয়া গিয়েছে সেটি একজন মহিলার। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে ওই ব্যাগে কার দেহ ছিল? ব্যাগ খুলতেই আঁতকে ওঠেন পুলিশ ও স্থানীয়রা। ঘটনার তদন্ত শুরু করতেই এবার খুন হওয়া মহিলার পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। মৃতের নাম সুমিতা ঘোষ। অন্যদিকে যে দুই মহিলাকে আটক করা হয়েছে তাদের নাম ফাল্গুনী ঘোষ এবং আরতি ঘোষ। মৃত সুমিতা ঘোষ অভিযুক্ত ফাল্গুনী ঘোষের সম্প্রকে পিসি শাশুড়ি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সকাল ৭টা নাগাদ ট্যাক্সি করে গঙ্গার ঘাটে আসেন মাস্ক পরা দুই মহিলা। ভারী ব্যাগ টেনে ঘাটে আনতে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। মহিলারা দাবি করেন, ব্যাগে পোষ্য কুকুরের মৃতদেহ রয়েছে। খবর যায় উত্তর বন্দর থানায়। পুলিশ এসে ট্রলিব্যাগ খুলতেই ভিতরে মেলে পচাগলা রক্তাক্ত দেহ।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, ফাল্গুনি-সুমিতাদের বাড়ি মধ্যমগ্রামে। গতকাল রাতে মা-মেয়ের সঙ্গে পিসি শাশুড়ির বিবাদ হয়। তার জেরে ভারী কিছু দিয়ে পিসি শাশুড়ির মাথায় আঘাতের জেরেই মৃত্যু বলে মনে করা হচ্ছে। জেরায় মা-মেয়ে জানিয়েছেন, ট্রলিব্যাগে দেহ পুরে তাঁরা মধ্যমগ্রাম স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠেন। এরপর কুমোরটুলি ঘাটে এনে ব্যাগ সমেত দেহ গঙ্গায় ফেলার ছক ছিল। তবে স্থানীয়দের দাবি, ওই মহিলাদের কাছে মিলেছে শিয়ালদা-হাসনাবাদ শাখার কাজিপাড়া স্টেশনের টিকিট। বারাসাতের কাছে কাজিপাড়া থেকেই কি এসেছিলেন মহিলারা?
সাত সকালে কেঁপে উঠল কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলি। আজ সকালে ঘড়িতে তখন ঠিক সকাল ৬ টা ১০। ভমিকম্প হল বাংলা ও ওড়িশার বিস্তীর্ণ এলাকায়। রিখটার স্কেলে পরিমাপ ৫.৫। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির করা পোস্টে উল্লেখ, ভূমিকম্পের উৎস স্থল বঙ্গোপসাগরের গভীরে। ১৯.৫২ উত্তর অক্ষাংশ, ৮৮.৫৫ পূর্ব দ্রাঘিমাংস ও ৯১ কিমি গভীরতায়। এদিনের ভূমিকম্পের উৎসস্থল কলকাতার অদূরেই। কলকাতা থেকে দূরত্ব ৩০১ কিলোমিটার। ওড়িশা থেকে ১৭৫ কিলোমিটার পূর্বে সমুদ্রে ওই কম্পনের উৎসস্থল বলে জানা যাচ্ছে। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৫। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ওড়িশাতেও এই কম্পন অনুভূত হয়েছে। শুধুমাত্র পূর্ব ভারতেই নয়, বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। উৎসস্থলের গভীরতা ছিল ৯১ কিলোমিটার। ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। গত জানুয়ারিতে তিব্বতের ভূমিকম্পেই কেঁপে উঠেছিল কলকাতা সহ সারা বাংলা। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.১। পাহাড়ী এলাকায় প্রায়সই ভূমিকম্প হয়, তবে এবার কম্পনের উৎস সমুদ্রের গভীরে। তবে এখনও পর্যন্ত সুনামির সতর্কতা জারি হয়নি। জানা গিয়েছে, কলকাতা, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। গতকালই উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ ও হিমাচল প্রদেশের মান্ডি এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তারও আগে দিল্লি কেঁপে ওঠে কম্পনে। পর পর গত কয়েকদিন ধরেই ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে দেশের বহু এলাকায়।
গতকাল গভীর রাতে চিংড়িঘাটা থেকে জামশেদপুরের কুখ্যাত গ্যাংস্টার মনোজ বিবার ও বিশাল বিবারকে গ্রেফতার করল বিধান নগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল ধৃত এই দুই ভাই জামশেদপুরে এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে তাতে জখম হন ওখানকার ব্যবসায়ী। ঘটনার পর গা ঢাকা দিতে কলকাতায় চলে আসে। প্রথমে ট্রেনে করে সাঁতরাগাছিতে নামে সেখান থেকে তাদের গন্তব্য ছিল নিউটাউনে তার পরিচিত এক ব্যক্তির বাড়ি। কিন্তু চিংড়িঘাটার কাছে তাদের গতিবিধির সন্দেহজনক মনে হয়। বিধাননগর দক্ষিণ থানার টহলদারি গাড়ি নাকা চেক করছিল সেই সময়। সেই সময় পালানোর চেষ্টা করে এই দুই ভাই। সেখান থেকে অগ্নেয়াস্ত্র সহ মনোজ বিবর ও বিশাল বিবরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে তাদের সঙ্গে আর কেউ ছিল কিনা এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে বিধান নগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই বিধাননগর পুলিশের পক্ষ থেকে জামশেদপুর পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং তাদেরকে জামশেদপুর পুলিশের হাতে তুলে দেবে বিধান নগর পুলিশ, এমনটাই সূত্রের খবর। ফের ভিনরাজ্যের দুষ্কৃতী এখানে ধরা পড়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পরেছে রাজ্য পুলিশের।
আত্মহত্যা না খুন? ট্যাংরার বাড়ি থেকে তিন মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারের পর এটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন। মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই সন্দেহ ক্রমশ বাড়ছিল ৷ খুনের অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর সেই সন্দেহ আরও ঘণীভূত হয়। এদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর দেখা গেল সেই সন্দেহই কার্যত সত্যি হল৷ খুনই করা হয়েছে ট্যাংরার রোমি দে, সুদেষ্ণা দে ও এক নাবালিকাকে ৷বুধবার ট্যাংরা থানা এলাকার এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে তিন মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷ সেই তিনজন রোমি-সুদেষ্ণা ও এক নাবালিকার দেহের ময়নাতদন্ত হয় বৃহস্পতিবার ৷ সেখানে ওই নাবালিকার শরীরে বিষ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান (জয়েন্ট সিপি-ক্রাইম) রূপেশ কুমার ৷ তিনি বলেন, ওই নাবালিকার শরীরে বিষ মিলেছে ।কলকাতা পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী রোমির দুই হাতের কবজির শিরা কাটা ছিল ৷ তাঁর গলা বাঁদিক থেকে ডানদিকে কাটা হয় ৷ রোমির হাতের শিরা যখন কাটা হয়, তখন তিনি বেঁচেছিলেন ৷ সুদেষ্ণাকেও একইভাবে হত্যা করা হয় ৷ অন্যদিকে নিহত নাবালিকার বুক, দুই পা, ঠোঁট-সহ বিভিন্ন অংশে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। মাথাতেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে৷ পাকস্থলিতেও রক্তক্ষরণের প্রমাণ মিলেছে ৷ এছাড়া পাকস্থলিতে সামান্য পরিমাণে আংশিকভাবে হজম হওয়া খাবার, হলুদ ও সাদা দানাজাতীয় পদার্থ মিলেছে। যার গন্ধ অনেকটা ওষুধের মতো ৷ময়নাতদন্তের পাশাপাশি ফরেনসিক তদন্তেও একাধিক তথ্য উঠে এসেছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বাড়ি থেকে রক্তমাখা জামাকাপড় উদ্ধার হয়েছে ৷ বেসিনে রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে ৷ ফলে তদন্তকারীদের ধারনা, অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয় ৷ তার পর রক্তমাখা জামাকাপড় বাড়িতে রেখে সাফসুতরো হয়ে বেরিয়ে যান৷এক্ষেত্রে মূল প্রশ্ন হল, খুন কে করল? আপাতত এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ ৷ সন্দেহের তির প্রাথমিকভাবে দুই ভাই প্রণয় দে ও প্রসূন দের ওপর৷ কারণ, আত্মহত্যার যে তত্ত্ব বুধবার পুলিশকে দিয়েছিলেন এই দুই ভাই, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর অনেকটাই ভুল বলেই তদন্তকারীরা মনে করছে৷বৃহস্পতিবার ওই পরিবারের গাড়ির চালক কৈলাস দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ ৷ তার পরই তদন্তকারীদের ধারণা, পুরো ঘটনাই পূর্ব পরিকল্পিত৷ কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দাদের কৈলাস কী জানিয়েছেন? পুলিশ সূত্রে খবর, কৈলাস সোমবার শেষবার ডিউটিতে এসেছিলেন ৷ সকালে বাচ্চাদের স্কুলে ছেড়ে আসেন। পরে সন্ধ্যায় টিউশনে ছেড়ে আসতে যান তিনি। পরে তিনি বাড়ি চলে আসেন।মঙ্গলবার তাঁকে আসতে বারণ করা হয়, পুলিশকে জানিয়েছে কৈলাস৷ কৈলাস সাড়ে ১৫হাজার টাকা বেতন পেতেন ৷ সেই টাকা পেতেও এতদিন কোনও সমস্যা হয়নি ৷ এছাড়া দে পরিবারের কারখানার কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলে আর্থিক অনটনের বিষয়ে কোনও তথ্য মেলেনি ৷ ফলে ঋণের যে বিষয়টি বুধবার সামনে এসেছিল, সেটাও সঠিক নয় বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা ৷এর আগে ট্যাংরায় এই তিনজনের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করল পুলিশ। মৃত গৃহবধূ সুদেষ্ণা দে-র বাবার দাবি, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। ট্যাংরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তার ভিত্তিতেই অজ্ঞাতপরিচয়ের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিনভর পাওনাদাররা ডাকাডাকি করলেও কেউ দরজা খোলেনি বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারীর? এখানেই বড় প্রশ্ন, তাহলে মহিলাদের মৃত্যু কি আরও আগেই হয়েছে? রহস্য ক্রমশ বাড়ছে।কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানিয়েছিলেন, সুইসাইড নোট কিছু আমরা পাইনি। আসলে কারণ কী, কেন মারা গেছে, সেটা পোস্টমর্টেম থেকে বোঝা যাবে। ভিসেরার কেমিক্যাল পরীক্ষাও গুরুত্বপূর্ণ। ৩জন মহিলা মারা গেলেন! তিনজন পুরুষ এখনও বেঁচে! এটাও বড় রহস্য।মৃত গৃহবধূ সুদেষ্ণা দে-র বাবার দাবি, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। ট্যাংরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তার ভিত্তিতেই অজ্ঞাতপরিচয়ের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ব্য়বসায়ে ক্ষতির ফলেই এমন ঘটনা, সেই প্রশ্নও উঠছে। নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে? খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।
ভারতের লিডিং রাইডশেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম উবের, শিয়ালদহ থেকে নিউ টাউন পর্যন্ত একটি নতুন উবের শাটেল রুট চালু করলো যা ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ থেকে শুরু করে ১৩ মার্চ, ২০২৫ পর্যন্ত পাওয়া যাবে। পরিষেবাটি মেট্রোর লাস্ট মেইল ট্রাভেলের ক্ষেত্রে সেক্টর-ফাইভ থেকে নিউ টাউন লাইন প্রসারিত করতে এবং শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক, সেক্টর ফাইভ লাইনে অস্থায়ী সাসপেনশনের ফলে প্রভাবিত যাত্রীদের স্বস্তি দেবে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে উবের এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবহণ বিভাগের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি মউ অনুসারে কলকাতা প্রথম ভারতীয় শহর হয়ে ওঠেছে যেখানে উবের শাটেল চালু করছে। পরিষেবার দারুণ প্রতিক্রিয়া সরকারকে অস্থায়ী মেট্রো সাসপেনশনের ফলে তৈরি সমস্যা কমানোর জন্য একটি অতিরিক্ত রুটের অনুরোধ করতে শুরু করা হয়েছে।ঘোষণার বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাননীয় মন্ত্রী-পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেছেন, পরিবহণ অপশনগুলিকে বাড়ানো এবং একটি নির্ঝঞ্ঝাট দৈনিক যাতায়াত নিশ্চিত করা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জন্য একটি অগ্রাধিকার৷ নতুন উবের শাটেল রুট যাত্রীদের একটি নিরাপদ, সুবিধাজনক বিকল্প, যা উবেরের প্রতিক্রিয়া এবং কলকাতায় গতিশীলতা উন্নত করার প্রতিশ্রুতির একটি প্রশংসনীয় অংশ ।নতুন রুটটিতে প্রতিদিন সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ১১টা এবং বিকাল ৪টে থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ১৫ মিনিটের অন্তর বাস চলবে। যাত্রীরা উবের অ্যাপের মাধ্যমে সিট প্রি-বুক করতে পারেন, যাতে কোনও দাঁড়ানো যাত্রী ছাড়াই নিশ্চিত আসন নিশ্চিত করা যায়। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বাসগুলিতে লাইভ ট্র্যাকিং, উবেরের ২৪x৭ সেফটি লাইন এবং অন্যদিকে অ্যাপ-নির্ভর নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকবে, যা একটি আরামদায়ক এবং নির্ভরযোগ্য রাইড প্রদান করবে।কলকাতায় পরিষেবা চালানোর বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে, ভারতের উবের শাটলের প্রধান অমিত দেশপান্ডে বলেছেন, কলকাতায় উবের শাটেল চালু করার পর থেকে, যাত্রীদের কাছ থেকে ব্যাপকভাবে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। এই সম্প্রসারণে আমাদের বিশ্বাস করার জন্য আমরা পরিবহণ দফতরের কাছে কৃতজ্ঞ। নতুন রুটের মাধ্যমে, আমরা মেট্রো বন্ধের সময় তার ব্যবধান পূরণ করার লক্ষ্য রাখি এবং প্রতিদিনের যাত্রীদের জন্য একটি দারুণ বিকল্প প্রদান করি। আগে থেকে থাকা উবের শাটেল নেটওয়ার্ক কলকাতার সমস্ত আবাসিক জেলা এবং কিছু আশেপাশের এলাকা যেমন ব্যারাকপুর, বারাসাত এবং সোনারপুরকে কভার করে। শিয়ালদহ থেকে নিউ টাউন পর্যন্ত নতুন রুটে যাত্রীদের দারুণ সংযোগ থাকবে।কিভাবে একটি উবের শাটেল ট্রিপ বুক করবেন:● উবের অ্যাপটি খুলুন এবং উপলব্ধ অপশনগুলি থেকে শাটেল সিলেক্ট করুন● আপনার পিকআপ এবং ড্রপঅফ লোকেশন লিখুন● আপনার রুট এবং প্রস্থানের সময় সিলেক্ট করুন● রিকয়েস্ট সিলেক্ট করুন এবং আপনার শাটেল ট্রিপ নিশ্চিত করুন ● আপনার ড্রাইভার এবং গাড়ির তথ্য সহ একটি পুশ নোটিফিকেশন পান● আপনার নির্ধারিত যাওয়ার কমপক্ষে ৫ মিনিট আগে পিকআপ লোকেশনে যান● শাটেলে চড়তে ড্রাইভারকে আপনার কিউ আর কোড দেখানএই রুটের প্রতিটি উবের শাটেল বাসে ২৪ থেকে ৪৩ জন যাত্রী বসতে পারবেন, উবের প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্থানীয় ফ্লিট পার্টনারদের দ্বারা পরিচালিত হবে।
সাতসকালেই খাস কলকাতায়, ভয়ঙ্কর ঘটনা, তুমুল চাঞ্চল্য। ট্যাংরায় একই পরিবারের তিনজনের রহস্যমৃত্যু। পথ দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে মিলল এই তিন মহিলার মৃতদেহের খোঁজ। দুর্ঘটনায় তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে খবর। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিন ভোরে একটি গাড়ি রুবি হাসপাতালের মোড় থেকে অভিষিক্তার মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি ইএম বাইপাসের উপর কবি সুকান্ত মেট্রো স্টেশনের পিলারে ধাক্কা মারে। ঘটনার তদন্তে নেমে ট্যাংরার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তিন মহিলার নিথর দেহ। আদৌ দুর্ঘটনা না আত্মহত্যার চেষ্টা তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বাড়িতে কোনও ঘটনা ঘটিয়ে তাঁরা গাড়িতে বাইরে বেরিয়ে ছিল কিনা সেই প্রশ্নও উঠছে।পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কীভাবে মৃত্যু? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতদের হাতের শিরাকাটা অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। তিনটে ঘর থেকে তিনজনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, তিন জনের মধ্যে একজনের স্বামী দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশ সূত্রে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে ব্যবসায়িক ক্ষতির কারণে তিনজনই আত্মঘাতী হয়েছেন। আত্মহত্যা না খুন, সব দিকটাই তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ জোগার করা হচ্ছে। তদন্ত নিয়ে মুখে না খুললেও পুলিশের দৃঢ়় ধারনা ওই পরিবারের নিজেদের মধ্যে বড় কোনও সমস্যা আছে।
আমি বাংলার গান গাই- খ্যাতনামা সঙ্গীত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়(Pratul Mukhopadhyay) প্রয়াত। দীর্ঘ দিন ধরে এসএসকেএম (SSKM)-এ ভর্তি ছিলেন সৃজনশীল বর্ষীয়াণ শিল্পী। মত্যুকালে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের বয়স হয়েছিল ৮২। ১৯৪২ সালে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলা সঙ্গীত জগৎ। তাঁর প্রয়াণের খবর পেয়েই হাসপাতালে যান দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ইন্দ্রনীল সেন শনিবার দুপুর ২টো থেকে বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত শিল্পীর দেহ রাখা ছিল রবীন্দ্রসদনে। সঙ্গীত জগত থেকে রাজনৈতিক মহল, সাধারাণ মানুষ এসেছিলেন প্রয়াত শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতে। উপস্থিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়াত শিল্পীর স্ত্রী সর্বাণী মুখোপাধ্যায়কে সমবেদনা জানান মুখ্যমন্ত্রী। শিল্পী দেহদানের অঙ্গীকার করে গিয়েছিলেন। শিল্লীকে রবীন্দ্রসদনে গান স্যালুট দেওয়া হয়। তারপর শিল্পী নিশ্বর দেহর এসএসকেএম হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন-ডিঙ্গা ভাসাও সাগরে সাথীরে / ডিঙ্গা ভাসাও সাগরেপূবের আকাশ রাঙ্গা হল সাথী / ঘুমায়োনা আর, জাগো রে।প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠের মূর্ছনায় বাংলা সঙ্গীত জগত প্রাণবন্ত ও মুগ্ধ। তাঁর বাদ্যহীন কণ্ঠের জাদুতে বাক্রুদ্ধ সমগ্র সঙ্গীত জগত সেই আধুনিক বাংলা গানের খ্যাতনামা শিল্পী, গীতিকার প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে আমি শোকস্তব্ধ। আজ রবীন্দ্র সদনে তাঁর প্রতি জানালাম শেষ শ্রদ্ধা। আমি যেমন তাঁর একজন গুণমুগ্ধ ভক্ত, তেমনই তিনিও আমার খুব কাছের মানুষ। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা এবং সঙ্গীত জগতে তাঁর সুরেলা কণ্ঠের গায়কি আজীবন থেকে যাবে আমাদের মননে। আজ পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে গান স্যালুটের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানায় আপামর বাঙালি। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
তরুণীর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়াল নিউটাউনে। লোহার ব্রিজের কাছে একটি জঙ্গলের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় তরুণীর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ। ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তাঁকে এখানেই খুন করা হয়েছে কিনা বা অন্য জায়গায় খুন করে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে, তা থকিয়ে করে দেখছে পুলিশ। স্থানীয়রা ওই তরুণীকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নিউটাউন থানার পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য় পাঠিয়েছে পুলিশ। ওই এলাকার আশপাশ নির্জন, শুনশান। পাশে খাল বয়ে যাচ্ছে, রয়েছে ঝোপঝাড়। সেখানকার সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পরিবারের তরফে দেহ সনাক্ত করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হওয়ার পর রাত ১০টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় ওই নাবালিকা। একটি চিঠি লিখে যায়। তারপরই পরিবারের লোকজন খোঁজ শুরু করে। জানায় নিউটাউন থানায়।
ছুটি নিয়ে বিবাদ। তার জেরেই যত কাণ্ড। এবার অফিসে ছুটি নিয়ে নিজের সহকর্মীদের উপর ছুরি চালালেন এক ব্যক্তি। ছুরির কোপে এক পুলিশকর্মীও গুরুতর জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। নিউটাউনের কারিগরি ভবনের ওই ঘটনার পর সেই রক্তমাখা ছুরি নিয়ে প্রকাশ্য রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকেন। এমনকী পুলিশকর্মীরা তাঁকে থামতে বললে ছুরি উঁচিয়ে হুমকি দিতে দেখা যায় সরকারি ওই কর্মচারীকে। অবশেষে তাঁকে পাকড়াও করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ছুরিটিও।বৃহস্পতিবার নিউটাউনের কারিগরি ভবনে ধুন্ধুমার কাণ্ড। জানা গিয়েছে, ছুটি নিয়ে বিবাদের জেরেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন ওই ব্যক্তি। তার ছুটির আবেদন বাতিল হয়ে যাওয়ায় মেজাজ ঠিক রাখতে পারেননি ওই ব্যক্তি। ছুরি দিয়ে আঘাত করে বসেন অফিসেরই তিন সহকর্মীকে। ঘটনাস্থলে থাকা এক পুলিশকর্মীও তাঁর ছুরির কোপে গুরুতর জখম হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ঘটনার পর রক্তমাখা সেই ছুরি নিয়েই প্রকাশ্য রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বেরিয়ে যান ঋষ্টপুষ্ট চেহারার ওই ব্যক্তি। তাঁকে থামতে বললে উল্টে হাতে থাকা ছুরি উঁচিয়ে পুলিশকর্মীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন,একদম এগোবেন না, চালিয়ে দেব। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি মানসিক অবসাদে ভুগছেন। তারই জেরে তিনি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তবে ছুরিটি তিনি কোথা থেকে পেলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
কলকাতার নগর দায়রা আদালতের গ্রাউন্ড ফ্লোরে এক বিচারকের দেহরক্ষীর মৃত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার সকাল ৭ টা নাগাদ আদালত ভবনের নিচের তলায় চেয়ারে বসা অবস্থায় গোপাল নাথের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। এদিকে এই ঘটনার পরেই হেয়র স্ট্রিট থানার পুলিশ তদন্তে পৌঁছোয়। লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ ঘটনার তদন্ত করছে। তাঁর দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয় একটি নাইন এমএম পিস্তল। সেটি তাঁরই সার্ভিস রিভলবার বলে জানা গিয়েছে। সেই পিস্তলে একটি গুলি কম রয়েছে বলে খবর। তার কপালে গুলির আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করছেন পুলিশ। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানানো যাবে না বলেই তাঁরা জানিয়েছেন। দেহরক্ষীর বাড়ি মালদা। আত্মহত্যা না খুন, সব দিকটা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ব্যক্তিগত কোনও সমস্যায় জড়িয়ে ছিলেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বহুতল হেলে পড়ে যাওয়ার খবর মিলেই চলেছে। কলকাতা পুরসভা, বিধাননগর পৌর নিগমের পর দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে দক্ষিণদাঁড়িতে পাঁচ তলা বিল্ডিং হেলে পড়ার ঘটনা ঘটলো। এর আগে শুধু কলকাতা নয়, হাওড়া ও কামারহাটিতেও বহুতল আবাসন হেলে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণদাঁড়ির ৪৭ নম্বর পাঁচতলা বহুতল আবাসনটি পাশের বাড়ির ওপর হেলে পড়েছে। বিপজ্জনকভাবে বাড়ি হেলে যাওয়ার ঘটনায় আতঙ্কিত ওই বহুতলের আবাসিকরা। সারা জীবনের উপার্জিত অর্থ দিয়ে এক টুকরো মাথার ছাদ কিনেছিলেন। আর সেই ছাদ টুকু চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, আদৌ কি জমির ওপর বহুতলটি বৈধভাবে গড়ে উঠেছিল? আদৌ কি মাটি পরীক্ষা করা হয়েছিল? প্রশ্ন উঠেছ এই বিল্ডিংটির ডেভেলপার রবি গুপ্তা কি রাজ্যের কোনও মন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ?
গিল্ডের বইমেলায় স্থান পায়নি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাঁদের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে হাইকোর্টে। বই মেলায় স্টল দিয়ে থাকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। ২০২৪-এর সেপ্টেম্বরে গিল্ড সিদ্ধান্ত নেয় এবার থেকে কোনও সংগঠনকে স্টল দেওয়া হবে না। সেই নিয়ম অনুসারে বাতিল হয়ে গিয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের স্টলের আবেদন। খারিজ করেছে হাইকোর্টও। তবে তাঁদের নয়া আবেদনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ না লিখে বিশ্ব হিন্দু বার্তা লেখায় এবার তাদের স্টল দেওয়া হচ্ছে। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার গিল্ডের সভাপতি ত্রিদীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমাদের বলা হচ্ছে আমরা নাকি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বিরোধী। বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে স্টল দিচ্ছে না গিল্ড। ওরা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। ওটা আদালত খারিজও করে দিয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা কোনও সংগঠনকে স্টল দেব না। ভারতীয় জনবার্তাকে দিয়েছি, বিজেপিকে দিইনি। আমরা জাগো বাংলাকে দিয়েছি, তৃণমূল কংগ্রেসকে দিইন। গণশক্তিতে দিয়েছি, সিপিএমকে দিইনি। কংগ্রেস বার্তাকে দিয়েছি, কংগ্রেসকে দিইনি। ঠিক সেই ভাবে বলেছিলাম বিশ্ব হিন্দু বার্তা নামে আবেদন করুন। কিন্তু ইগোর লড়াই। গিল্ড অটোনমাস বডি। সার্বিক সহযোগিতায় থাকে সরকার। সরকারের সরসারি সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয়। সরকার পাশে থাকেন।কিন্তু একই সংগঠনের কর্তারা ভিন্ন নামে আবেদন করলে স্টল মিলছে, সেকথা জানালেন খোদ গিল্ড কর্তা। অর্থাৎ তাদের পত্রিকা বা প্রকাশনা বিভাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন, আমরা ওদের জানাই আপনারা দয়া করে বিশ্ব হিন্দু বার্তা নামে স্টল নিতে পারেন। তখন সম্মত হন। গতকাল ওদের প্রতিনিধি এসে বিশ্ব হিন্দু বার্তা নামে আবেদন করেন। আগের আবেদনের ধারাবাহিক হিসাবে। আমরা সেটা গ্রহণ করি। তারপর ওদের ফর্ম দিই। আজ, বিশ্ব হিন্দু বার্তাকে আমরা অত্যন্ত ভালো জায়গা দিয়েছি। ২৪৯ নম্বর স্টল। সেখানে বিশ্ব হিন্দু বার্তা থাকছে। এটা রাজনীতির জায়গা নয়। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিশ্ব হিন্দু বার্তা বইমেলায় অংশগ্রহণ করছে। ২০২৪-এর ২৫ সেপটেম্বরে গিল্ড সিদ্ধান্ত নয় কোনও সংগঠনকে দেব না, তাদের মুখপাত্র বা প্রকশনা বিভাগকে দেব।