• ৪ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২১ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Ration

রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
নিবন্ধ

৮ জুন শুধুই কি একটা আন্তর্জাতিক নারী দিবস? এ লড়াই যেন অনন্তকালের

আজকের দিন শুধু একটা আন্তর্জাতিক নারী দিবস নয়, এটি নারী শক্তির জয়যাত্রা, অগ্রগতির প্রতীক এবং এক অবিরাম সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি। প্রতি বছর ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।একবিংশ শতাব্দীর এই যুগে নারী দিবস কেবল অধিকার আদায়ের স্লোগান নয়, এটি নারীদের বহুমুখী অবদানকে উদযাপন করার একটি মঞ্চ। আজকের নারী শুধু ঘরের চার দেওয়ালে আবদ্ধ নন, তিনি মহাকাশচারী, বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, রাষ্ট্রনেতা, শিল্পী এবং আরও অনেক কিছু। প্রযুক্তি প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে নারীরা নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছেন, নিজেদের দক্ষতা ও মেধা দিয়ে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো নারীদের কণ্ঠস্বরকে আরও শক্তিশালী করেছে, তাদের অভিজ্ঞতা ও সংগ্রামকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছে।চ্যালেঞ্জগুলো এখনও বিদ্যমান।তবে এই অগ্রগতির মাঝেও কিছু কঠোর বাস্তবতা থেকে যায়। বিশ্বের বহু জায়গায় আজও নারীরা বৈষম্য, সহিংসতা এবং অসমতার শিকার। সাইবারবুলিং, লিঙ্গভিত্তিক ডিজিটাল বিভাজন এবং অনলাইনে হয়রানি বর্তমান যুগের নতুন চ্যালেঞ্জ। কর্মক্ষেত্রে মজুরি বৈষম্য, কাঁচের ছাদ ভেঙে উচ্চ পদে পৌঁছাতে না পারা এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণে পিছিয়ে থাকাও এখনও বড় সমস্যা। গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত, অনেক নারী এখনও শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং স্বাস্থ্যসেবার অভাবে ভুগছেন।আজকের নারী দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে। শুধু আইন প্রণয়ন করলেই হবে না, সেগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। পুরুষ ও নারী উভয়কেই এই সমতার আন্দোলনে যুক্ত হতে হবে। শিক্ষা, সচেতনতা এবং লিঙ্গ সংবেদনশীলতা বাড়াতে হবে সমাজের প্রতিটি স্তরে।এই নারী দিবসে আমাদের ভাবতে হবে: কীভাবে আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল বিশ্ব তৈরি করতে পারি, যেখানে প্রতিটি নারী নিরাপদে, স্বাধীনভাবে এবং সমানভাবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করতে পারবে? কীভাবে আমরা প্রযুক্তির শক্তিকে ব্যবহার করে নারীদের ক্ষমতায়ন করতে পারি এবং অনলাইন সহিংসতা থেকে তাদের রক্ষা করতে পারি? আজকের দিনে নারীর ক্ষমতায়ন মানে শুধু অফলাইনে নয়, অনলাইনেও তাদের সমানাধিকার নিশ্চিত করা।লিঙ্গ সমতা: কেবল নারীর সমস্যা নয়, সমাজের অগ্রগতির চালিকাশক্তিআমরা প্রায়শই লিঙ্গ সমতাকে কেবল নারীদের সমস্যা হিসেবে দেখি। কিন্তু আজকের দিনে এটি স্পষ্ট যে, লিঙ্গ সমতা শুধুমাত্র নারীর অধিকারের প্রশ্ন নয়, এটি একটি উন্নত, স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধ সমাজ গঠনের চাবিকাঠি। যখন নারীরা শিক্ষার সুযোগ পায়, কর্মক্ষেত্রে সমান অংশীদারিত্ব পায় এবং রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নেয়, তখন পুরো সমাজ লাভবান হয়।অর্থনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেলে জিডিপি বাড়ে, পরিবারে সচ্ছলতা আসে। শিক্ষায় নারীর বিনিয়োগ ভবিষ্যত প্রজন্মকে আরও সচেতন ও সক্ষম করে তোলে। নেতৃত্ব পদে নারীদের উপস্থিতি আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং কার্যকর নীতি নির্ধারনে সহায়তা করে।আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমাদের এই বার্তাটি জোরে বলতে হবে: লিঙ্গ সমতা কোনও বিশেষ লিঙ্গের জন্য নয়, এটি মানবজাতির সামগ্রিক অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য। পুরুষদেরও এই সমতার সংগ্রামে সমান অংশীদার হতে হবে। তাদের সচেতনতা, সমর্থন এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া সত্যিকারের পরিবর্তন সম্ভব হয় না। আসুন, আমরা এমন একটি সমাজ গড়ি যেখানে প্রতিটি লিঙ্গ তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা নিয়ে বিকশিত হতে পারবে।মানসিক স্বাস্থ্য এবং নারী: নীরব সংগ্রাম যা দেখা জরুরিআন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমরা নারীদের বাহ্যিক অর্জন নিয়ে কথা বলি। কিন্তু প্রায়শই তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের নীরব সংগ্রামগুলো উপেক্ষিত হয়। সমাজের চাপ, কর্মজীবনের ভারসাম্য বজায় রাখার চ্যালেঞ্জ, পারিবারিক দায়িত্ব এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার শিকার হওয়ার কারণে নারীরা মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং বিষন্নতায় বেশি ভোগেন।অনেক সমাজে আজও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা হয় না। যা নারীদের সাহায্য চাইতে বাধা দেয়। শক্তিশালী নারী হওয়ার সামাজিক প্রত্যাশা তাদের ভেতরের কষ্টকে আড়াল করে রাখে। এই নারী দিবসে আমাদের উচিত এই নীরব সংগ্রামকে প্রকাশ্যে আনা।আমাদের এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেখানে নারীরা তাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সকলের জন্য সহজলভ্য করতে হবে এবং এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। একজন নারী শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার পাশাপাশি মানসিকভাবেও যেন সুস্থ থাকেন। তা নিশ্চিত করা আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব। কারণ একজন সুস্থ মনের নারীই একটি সুস্থ সমাজের ভিত্তি।

জুন ০৭, ২০২৫
দেশ

ভারতীয় সেনার অভূতপূর্ব সাফল্যের অনুপ্রেরণা, দুদিনে একই হাসপাতালে ১৭ জন নবজাতকের নাম রাখা হল সিঁদুর

পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার জবাব পাকিস্তানের মাটিতে প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন সিঁদুর। ভারতের সেনাবাহিনী প্রবল পরাক্রমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে এই অপারেশন সিঁদুর- এর থেকে অনুপ্রেরণা থেকে ১৭ জন নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে সিঁদুর। ওই পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী এবং দেশকে সম্মান জানিয়ে ১৭ জন সদ্যোজাত মেয়ের নাম সিঁদুর রাখা হচ্ছে। সংবাদসংস্থা পিটিআই- কে উত্তরপ্রদেশের কুশিনগর মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডক্টর আর কে শাহি জানিয়েছেন, ১০ এবং ১১ মে- এর মধ্যে, ২ দিনে অন্তত ১৭ জন্য নবজাতক কন্যার নাম রাখা হয়েছে সিঁদুর।পহেলগাঁওতে ২৬ জন পর্যটককে নৃশংস হত্যার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছিল গোটা দেশ। শেষমেশ গত ৭ মে রাতে এয়ার স্ট্রাইক করে ভারত। ২৫ মিনিটের নিখুঁত অপারেশনে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা লস্কর-ই-তৈবা, হিজবুল মুজাহিদিন, জইশ-ই-মহম্মদের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে খান খান করে দেয় ভারত। তাতে ১০০-রও বেশি পাকজঙ্গি নিহত হয়। পহেলগাঁও হামলা, কান্দাহারের বিমান অপহরণের মতো ঘটনায় জড়িতরা এই নিহতে তালিকায় আছে। মাসুদ আজহারের ভাই আবদুল রউফ আজহারও সহ ওই পরিবারের ১০জন নিহত হয়েছে ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতে।

মে ১৩, ২০২৫
দেশ

পাকিস্থানে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধবংস, জম্মু সহ দেশের বহু শহরে ব্ল্যাক আউট, ৩টে পাক যুদ্ধবিমান ভূপাতিত

অপারেশন সিন্দুরের পর লাহোরে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করে পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারত। পহেলগাঁওয়ে বর্বরোচিত জঙ্গি হামলার জবাবে ভারত অপারেশন সিন্দুর-এর মাধ্যমে তার যোগ্য জবাব দিয়েছে। ভারত গতকাল পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে নির্ভুল হামলা চালানো হয়। সন্ধ্যের পর থেকে জম্মু-কাশ্মীর ও গুজরাটের বহু শহর ব্ল্যাক আউট করা হয়েছে। জম্মুতে ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে পাকিস্তান। দুটি যুদ্ধ বিমান গুলি করে ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ৭ ও ৮ মে মধ্য রাতে পাকিস্তান ভারতের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে। অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, চণ্ডীগড়, ভুজ সহ ১৫টি শহরে এই হামলার চেষ্টা করা হয়। তবে, ভারতের কাউন্টার ইউএএস (Unmanned Aerial System) ও এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা সফলভাবে এই আক্রমণগুলিকে প্রতিহত করে। এদিকে ভারতের পাল্টা পদক্ষেপে লাহোরে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লাহোরে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এই তথ্য নিশ্চিত করে। অন্যান্য সীমান্তবর্তী এলাকাতেও বিস্ফোরণের খবর আসে। লাহোরে এয়ার ডিসেন্স সিস্টেম গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কুপওয়ারা, বারামুল্লা, উরি, পুঞ্চ, মেন্ধার ও রাজৌরি সেক্টরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মর্টার শেল নিক্ষেপে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জন নিরীহ নাগরিকের। তাদের মধ্যে রয়েছেন ৩ জন মহিলা ও ৫ জন শিশু। পাশাপাশি সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান ৭ মে রাতে অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথালা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, বাথিন্ডা, চণ্ডীগড়, এবং ভুজ-এর মতো উত্তর ও পশ্চিম ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থান লক্ষ্য করে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী সেই হামলাগুলি সফলভাবে প্রতিহত করে।

মে ০৮, ২০২৫
দেশ

জৈশ এ মহম্মদের মাথা মাসুদ আজহারের ডেরায় আক্রমণ, তাঁর পরিবারের ১৪ জন নিহত

অপারেশন সিন্দুরের সবচেয়ে বড় লক্ষ্যবস্তু ছিল বাহাওয়ালপুরে অবস্থিত জইশ-ই-মোহাম্মদের সদর দপ্তর, যার নেতৃত্বে ছিলেন কুখ্যাত সন্ত্রাসী মাসুদ আজহার। আজহারকে শেষবার বাহাওয়ালপুরে সংগঠনটির মাদ্রাসার কাছে দেখা গিয়েছিল, যেখানে ওই মাদ্রাসাটি একটি নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করত, পাশাপাশি সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য তহবিল সংগ্রহের উৎসও ছিল। ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলি হাফিজ সাইদের লস্কর-ই-তৈয়বার সাথে সম্পর্কিত মুরিদকেতে সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সহ এই মাদ্রাসাটি ধ্বংস করে দিয়েছে। সূত্রের খবর, মাসুদ আজহারের পরিবারের ১৪জন সদস্য নিহত হয়েছেন। তাঁর ভাই এি হামলায় মারা গেছেন বলে খবর। প্রাথমিক অনুমান অনুসারে প্রায় ৭০ জন জঙ্গিকে নির্মূল করা হয়েছে এবং ভারতীয় ভূখণ্ডে আক্রমণ চালানোর জন্য ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। ভারতীয় বাহিনীও পাকিস্তানের বিমান হামলার প্রতিশোধমূলক লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে, পাকিস্তানি F-16 এবং JF-17 যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে, যার মধ্যে একটি JF-17 ,আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহার করে ভূপাতিত করা হয়েছে।প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়ন অনুসারে, এই হামলার আকার এবং নির্ভুলতা ভারতের নিরাপত্তা নীতিতে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। এটি প্রথমবারের মতো অভিযানগুলিকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সীমাবদ্ধ রাখার পরিবর্তে ভারত পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডের গভীরে, পাঞ্জাব প্রদেশে, আক্রমণ করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন যে এই পদক্ষেপটি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ভারত সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদকে মেনে নেবে না এবং তার নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

মে ০৭, ২০২৫
দেশ

পহেলগাঁওয়ের বদলা নিল ভারত, পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা

অবশেষে চরম বদলা নিল ভারত। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পাল্টা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে গুড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনা। একেবারে বেছে বেছে নির্দষ্ট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে বিধ্বংসী হামলা চালানো হয়েছে। ভারত এই অপারেশনের নাম দিয়েছে অপারেশন সিন্দুর। এই বদলার খবর ভারতীয় সেনার তরফেই প্রকাশ করা হয়েছে।ভারত পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে তার মধ্যে ৪টি পাকিস্তানের পাঞ্জাবের বাহাওয়ালপুর এবং মুরিদকে এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মুজাফফরাবাদ এবং কোটলিতে। এই সমস্ত এলাকাই সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি। এদিকে জম্মু বিভাগের কমিশনারের জারি করা নির্দেশ অনুযায়ী, আজ, ৭ মে (বুধবার) জম্মু, সাম্বা, কাঠুয়া, রাজৌরি এবং পুঞ্চ জেলায় সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বিশেষ করে পুঞ্চ জেলায় নিরাপত্তা সতর্কতা জারি হওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে পুঞ্চ জেলার সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয় আজ, ৭ মে ২০২৫, বন্ধ থাকবে।আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গর্বিত।OperationSindoor হল পহেলগামে আমাদের নিরীহ ভাইদের নৃশংস হত্যার প্রতি ভারতের প্রতিক্রিয়া। ভারত এবং তার জনগণের উপর যে কোনও আক্রমণের উপযুক্ত জবাব দিতে মোদী সরকার বদ্ধপরিকর। ভারত সন্ত্রাসবাদকে তার মূল থেকে নির্মূল করতে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।এদিকে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটিতে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পাকিস্তানি বাহিনীর আন্তঃসীমান্ত গোলাবর্ষণে জম্মু ও কাশ্মীরে কমপক্ষে সাতজন নাগরিক নিহত এবং ৩৮ জন আহত হয়েছেন। পাক গোলাবর্ষণে মেন্ধরে একজন এবং পুঞ্চে ৬ জন নিহত হয়েছেন। ২০২৫ সালের ৬-৭ মে রাতে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বিপরীতে আন্তর্জাতিক সীমান্তের পোস্ট থেকে কামান থেকে গোলাবর্ষণ সহ নির্বিচারে গুলিবর্ষণ শুরু করে। এই তথ্য জানিয়েছেন উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডের জনসংযোগ কর্মকর্তা (প্রতিরক্ষা) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুনীল বারাতওয়াল।

মে ০৭, ২০২৫
রাজ্য

মালদা বালি চুরি আটকাতে প্রশাসন তৎপর, মূল পাচারকারী অধরা

বেআইনিভাবে মহানন্দা নদীর চর থেকে বালি চুরির অভিযোগে অভিযান চালালো জেলা প্রশাসন । বৃহস্পতিবার সকালে ইংরেজবাজার থানার পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে মালদার সদর মহকুমা শাসক পঙ্কজ তামাং সহ প্রশাসনের কর্তারা এই অভিযানের সামিল হয়। অভিযানের সময় কয়েকটি বালি বোঝায় ট্রাক্টর আটক করেছে পুলিশ। যদিও বেআইনিভাবে এই বালি পাচারের ঘটনায় শীস মহম্মদ এক কারবারি কে ধরতে পারে নি পুলিশ । অভিযানের আগাম খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাই বলে অভিযোগ।এদিন সকালে ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুর এলাকার মহানন্দা নদীর ঘাটে বেআইনি বালি পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা।প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়পুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই প্রকাশ্যে চলছিল বালি লুটের কারবার। দিনভর নদীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল জেসিবি আর ট্রাক্টর। সবমিলিয়ে দৈনিক বিপুল টাকার কারবার চলার অভিযোগ ওঠে। যদুপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুর এলাকায় স্থানীয়ভাবে মহানন্দার ঘাটটি মেলা ঘাট নামে পরিচিত। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে নদীবক্ষ থেকে জেসিবি দিয়ে তোলা হচ্ছে বালি। এরপর ট্রাক্টরে বোঝাই করে নিয়ে গিয়ে জমা করা হচ্ছে খানিক দূরে প্রায় নির্জন এলাকায়। এখানে বিপুল পরিমাণ বালির মজুত ভান্ডার দেখে সহজেই বোঝা সম্ভব কি বিপুল পরিমাণ বালি লুট হচ্ছে নদী থেকে। উচ্চমানের না হলেও এই ধুস বালির চাহিদা প্রচুর। নতুন বাড়ি তৈরির সময় ভিত থেকে রাস্তা নির্মাণ বহু ক্ষেত্রেই এই বালির ব্যবহার হয়। যা প্রতি টলি পিছু সাতশো থেকে এক হাজার টাকা হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এদিন মালদার সদর মহকুমা শাসক পঙ্কজ তামাং জানিয়েছেন, বিভিন্ন স্তর থেকে রায়পুর এলাকার মহানন্দা নদীর চরের বালি পাচারের অভিযোগ উঠেছিল । সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন সকালে ইংরেজবাজার থানার পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে অভিযান চালানো হয়। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা উঠে এসেছে। এই নদীর চরে বেআইনিভাবে বালিশ পাচারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট এলাকার শীস মহম্মদ নামে একজন ব্যক্তির জড়িত রয়েছে বলেও জানতে পেরেছি। যদিও তাকে খোঁজ করে পাওয়া যায় নি । এদিন কয়েকটি বালি বোঝায় ট্রাক্টর আটক করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক তথা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক দেবাহুতি ইন্দ্র জানিয়েছেন, রাজস্ব ফাঁকি দিয়েই বেআইনিভাবে নদীর চরের বালি পাচারের অভিযোগ উঠেছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন প্রশাসনিক ভাবে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জরিমানার পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এপ্রিল ১১, ২০২৫
রাজ্য

রং তোলার ভয়ে যারা দোল খেলেন না তাদের জন্য, দোলের রং তোলার সহজ উপায়

নানারকম দোলের রং মেখে সারা মুখে এক কিম্ভুতকিমাকার দশা। স্নানের সময় বার বার সাবান দিয়ে ধুয়েও কোনও ভাবে যাচ্ছেই না, বেশী ত্বক ঘসার জন্য ত্বকে জ্বালা, অফিস যেতে সমস্যা। না! রং তোলা মোটেই খুব কঠিন বিষয় নয়। আমাদের হাতের কাছেই থাকা কয়েকটা উপাদান দিয়ে অতি সহজেই ত্বকের রং তুলে ফেলা যায়। কিন্তু এগুলির অনেকই আবার ত্বকের জন্য ততটা নিরাপদ নয়। তা হলে? দেখে নেওয়া যাক, রং তোলার কিছু সহজ প্রক্রিয়া, যারা ক্ষতি তো করবেই না, বরং এগুলিতে উপকার হবে ত্বকের।পাতিলেবুঃ একটু হালকা রং তোলার জন্য পাতিলেবুর বিকল্প নেই। লেবু, মধু, জলপাই তেল আর হলুদ আছে এমন ফেস প্যাক ব্যবহার করে রং তুললে ত্বকের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য ফিরে আসে। ত্বকের নমনীয়তাও বাড়ে। এছাড়া পাতিলেবুর রস তুলো দিয়ে ত্বকে বুলিয়ে নিয়ে ৩-৪ মিনিট রেখে জলে ধুয়ে নিয়ে রঙের প্রলেপ অনেকটা হালকা হয়।ডিমঃ রং খেলার নাম করে মাথায় ডিম ফাটানোর রেওয়াজ আজকের নয়। অনেকেরই দাবি, এতে চুলের উপকার হয়। কথাটা খুব একটা ভুলও নয়। চুলের এবং মাথার ত্বকের রং তুলতে ডিমের হলুদ অংশ খুবই পারদর্শী। ডিমের হলুদ অংশ রং লাগা জায়গাগুলিতে মাখিয়ে রেখে, পরে তা হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে তুলে ফেললেই হল। রং পরিষ্কার।বিয়ারঃ পানীয় হিসেবে দোলের দিনে এটি অনেকেরই পছন্দ। কিন্তু শুধুমাত্র পানীয় হিসেবে নয়, এটিকে রং তোলার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যেতে পারে। চুলের রং আর মুখের রং তুলতে বিয়ার ব্যবহার করা যেতেই পারে। এতে চুলের এবং ত্বকের উভয়েরই উপকার হয়। শুধু বিয়ার দিয়ে রং সাফ করার আগে, এক বোতল এই পানীয়ের সঙ্গে এক চামচ পাতি লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারলে ভাল হয়।হোলির বা দোলের রং সহজে তুলতে অলিভ অয়েল অতি উপকারী উপাদান। যারা আলিভ অয়েল যগার করতে পারবেন না তারা অলিভের পরিবর্তে নারকেল তেল ও ব্যবহার করতে পারেন। রং খেলার আগে তেল মেখে নিলে রং সহজে উঠে যায় এবং ত্বকের ক্ষতিও হয় না।এখানে রং খেলার পর সেটি তোলার জন্য অলিভ অয়েল ব্যবহারের কিছু উপায় দেওয়া হলোঃরং খেলার আগেরং খেলার আগে ভালো করে অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল হাতে, পায়ে, এবং মুখে লাগিয়ে নিন। রং খেলার পরঃরং খেলার পর সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার আগে, অলিভ অয়েল দিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। ত্বকের জন্য প্যাকঃরং তোলার জন্য দই, বেসন, হলুদ গুঁড়ো, অলিভ অয়েল এবং লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে লাগাতে পারেন।চুলের জন্যঃচুলের রং তুলতে ডিমের সাদা অংশ বা নারকেলের দুধ ব্যবহার করতে পারেন।ত্বকের যত্নঃরং তোলার পর ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে ভুলবেন না।বিঃদ্রঃ ত্বকে এই উপাদানের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকলে এই ধরনের উপকরণ ব্যবহারের করবেন না।

মার্চ ১৫, ২০২৫
রাজ্য

সল্টলেকের EZCC তে পালিত হল বঙ্গনারী শক্তি।

সল্টলেকের EZCC তে পালিত হল বঙ্গনারী শক্তি। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভা নেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। নারী নিজেই একজন শক্তি। আমরা পিছনে তাকালে দেখতে পাই বিভিন্ন নারীদের কথা যারা সমাজ পরিবর্তন করেছে। পশ্চিমবঙ্গে নারীরা শক্তি হলেও সেই শক্তিকে ভেঙে দেয়া হচ্ছে। তাদের সম্মানকে ভুলন্ঠিত করা হচ্ছে। সেই জন্য আমরা সেলফ ডিপেন্স এর উপর জোর দিচ্ছে। যে সমাজ নারীদেরকে ভুলোনিত করার চেষ্টা করছে তাদের আমরা আইডেন্টিফাই করছি। আমরা আগামী দিনে আরো বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে পা বাড়াবো। নারীদের যেভাবে সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অনেক রকমের আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে

মার্চ ০৮, ২০২৫
রাজ্য

ফুল দিয়ে সাজিয়ে-গুছিয়ে হাসপাতালেই নার্সিং স্টাফের আইবুড়ো ভাত! বিতর্ক বীরভূমে

নার্সিং স্টাফের আইবুড়ো ভাত খাওয়া নিয়ে তোলপাড় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। আইবুড়ো ভাত খাওয়ার ছবি রীতিমতো সামাজিক সাধ্যমে ভাইরাল। আবার এই অনুষ্ঠান হয়েছে হাসপাতালের পুরুষ বিভাগে। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, হাসপাতালে এইরকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা ঠিক হয়নি। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে নার্সিং স্টাফরা রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুরুষ বিভাগে সহকর্মীর আইবুড়ো ভাতের আয়োজন করে। টেবিলের মধ্যে ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল পঞ্চব্যঞ্জন রান্না। চলে ভুঁড়িভোজ। সেই ছবি সমাজ মাধ্যমে আপলোড করতেই মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।প্রশ্ন হচ্ছে, রোগী পরিষেবা দেওয়ার পরিবর্তে নার্সের পোশাক পরে এই ধরনের অনুষ্ঠান করা যায়? যেখানে হাসপাতালে রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার কথা সেখানে কাজ বন্ধ রেখে আইবুড়ো ভাত! কোন নার্স এনিয়ে মুখ খোলেননি। তবে হাসপাতালে ভারপ্রাপ্ত সুপার ঈশ্বর চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই ধরনের কোনও অনুষ্ঠান হাসপাতাল চত্বরে করা যায় না। বিষয়টা জেনে তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতালের জয়েন্ট নার্সিং সুপারিন্টেনডেন্ট মুনমুন মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনাদের কাছেই শুনলাম। তদন্ত করে দেখা হবে।

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতায় হেলে পড়েছে বহুতল, আতঙ্কিত এলাকাবাসী, অভিযোগ বিস্তর

এটা কংক্রিটের বাড়ি না ল্যাতপ্যাতে কলাগাছ।দক্ষিণ কলকাতার বাঘাযতীনে আস্ত চারতলা ফ্ল্যাটবাড়ি একদিকে হেলে পড়েছে। এই চারতলা একদিকে হেলে পড়াকে কেন্দ্র করে চূড়ান্ত শোরগোল পড়ে যায় গিয়েছে এলাকায়। বাড়ি হেলে পড়া দেখেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে গিয়েছে কলকাতা পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দল। পুলিশ সূত্রে জানা খবর, ওই বহুতলটিতে বাসিন্দারা না থাকায় বিরাট বিপদ এড়ানো গিয়েছে। তবে চারতলা ওই ফ্ল্যাটবাড়ি হেলে পড়ার ঘটনায় এলাকায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিন্মমানের কাঁচামাল দিয়ে বহুতলটি তৈরি হয়েছে।বাঘাযতীনে এই বহুতলটির প্রতিটি ফ্লোরে দুটি করে ফ্ল্যাট রয়েছে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই বহুতলটিতে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হচ্ছিল। সেই কারণেই আপাতত বহুতলের বাসিন্দারা থাকছিলেন না। বহুতলটিতে আগে থেকেই বেশ কিছু জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছিল। রক্ষণাবেক্ষণের কাজের আগে বহুতলের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানো হয়েছিল। সেই কারণেই বিরাট বিপদ এড়ানো গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। হরিয়ানার একটি সংস্থা জ্যাক লাগিয়ে বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণর কাজ করছিল। কলকাতা পুরসভার ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যাসাগর কলোনিতে অবস্থিত বাঘাযতীনের ওই ফ্ল্যাটবাড়িটি। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ওই ফ্ল্যাটটি নির্মাণ করেছিল প্রোমোটার। নিম্নমানের কাঁচামাল দিয়ে তৈরি হয়েছিল ফ্ল্যাটবাড়িটি। ফ্ল্যাট তৈরির অনুমোদন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি বাড়িটি মেরামতের জন্য় পুরসভা থেকে কোনও অনুমতি নেয়নি বলে জানা গিয়েছে।

জানুয়ারি ১৪, ২০২৫
কলকাতা

চক্র রেলের যাত্রী পরিষেবার গৌরবময় ৪০ বছর

রেলওয়ে হল কলকাতায় পরিবহণের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য যোগাযোগ মাধ্যম। শহরের উত্তর ও দক্ষিণ শহরতলির জন্য লাইফলাইন। শিয়ালদহ ডিভিশনের চক্র রেল (বৃত্তাকার রেল) যাত্রী পরিচালনের প্রশংসিত ৪০ বছর পূর্ণ করেছে। এটি কলকাতা মেট্রোপলিটন রেলওয়ে ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যার ১৭০ বছরেরও বেশি সময়ের একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। কলকাতায় সার্কুলার রেলওয়ে লাইনের ধারণাটি প্রথম ১৯ শতকের শেষের দিকে কল্পনা করা হয়েছিল। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা এবং ক্রমবর্ধমান শহুরে বিস্তৃতির সাথে, এটি পরিবর্তিত হয়েছিল। শহরের কেন্দ্রস্থলের সঙ্গে শহরতলির সংযোগ স্থাপনের জন্য আরও কিছু পরিবহন ব্যবস্থা প্রয়োজনের কথা মাথায় ছিল রেলের। এই রেলে চড়লে গঙ্গার মনোরম পরিবেশ উপলব্ধি করা যায়।সার্কুলার রেলওয়ে নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছিল ১৯৫০এর দশকে। কলকাতার আশেপাশের শিল্পাঞ্চলে পরিবেশন করার জন্য সার্কুলার রেলওয়ে লাইন প্রস্তুত করতে এবং শহরের প্রধান রেলওয়ে ব্যবস্থাকে কমানোর জন্য পূর্ব রেলওয়ে দ্বারা প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছিল। ১৯৮৪ সালে সার্কুলার রেলওয়ে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়। সার্কুলার রেলওয়ের সিগন্যালিং সিস্টেমটিও ধীরে ধীরে ট্রেন স্টাফ এবং টিকিট সিস্টেম থেকে রঙিন আলোর সংকেত সহ আধুনিক ইন্টারলকিং-এ বিবর্তিত হয়েছে। সার্কুলার রেলওয়ে ট্র্যাক ডাউন যুগের পুরো নেটওয়ার্কের বিদ্যুতায়নের সাথে উন্নত করা হয়েছে। এখন সার্কুলার রেলওয়ে লুপের উপর ইএমইউ লোকালগুলি নির্বিঘ্ন চলাচলের ফলে যাত্রীদের সংখ্যা যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ৬৫,০০০ জনেরও বেশি যাত্রী প্রতিদিন সার্কুলার রেলওয়ে যাত্রার সুবিধা পাচ্ছেন। যার মধ্যে মোট ২৭টি লোকাল ট্রেন দমদম জং., টালা, মাঝেরহাট, বালিগঞ্জ রুটে এবং ১৩টি দম দম জং., বিধাননগর রোড, স্যার গুরুদাস ব্যানার্জি হল্ট, পার্কে চলছে। সার্কাস, বালিগঞ্জ রুটটি কলকাতা শহরের কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক এলাকাকে ঘিরে সমগ্র সার্কুলার রেলওয়ে লুপ সম্পূর্ণ করে।গত এক দশকে সার্কুলার রেলওয়েতে যাত্রী সংখ্যা ২০০% বৃদ্ধির সাথে সার্কুলার রেলওয়ে যাত্রী সেবা ৪০টি গৌরবময় বছর পূর্ণ করেছে। পূর্ব রেলওয়ে আজ সকালে কলকাতা স্টেশন থেকে EMU স্পেশাল ট্রেনের একটি স্মারক চালানোর সাথে প্রিন্সেপ ঘাট স্টেশনে একটি স্বচ্ছ ভারত সাংস্কৃতিক উৎসব এবং ফটো প্রদর্শনীর মাধ্যমে কলকাতা সার্কুলার রেলওয়েতে যাত্রী পরিচালনের ৪০ গৌরবময় বছর স্মরণ করতে প্রস্তুত।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
উৎসব

বেঙ্গল প্রেস ক্লাবের রাখীবন্ধন উৎসব, ব্যাপক সাড়া বর্ধমানে

রাখীবন্ধন উৎসব পালন করল বেঙ্গল প্রেস ক্লাব। সোমবার বর্ধমানের বিজয় তোরণের সামনে এই অনুষ্ঠান হয়। এদিন কার্জনগেট চত্বরে বেঙ্গল প্রেস ক্লাবের পক্ষে রাখী পড়ানো হয় বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসকে। পাশাপাশি পথচলতি জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল সাধারণ মানুষের হাতে রাখী পড়িয়ে মিষ্টিমুখ করানো হয়। এই উৎসবে বর্ধমান শহরে ব্যাপক সাড়া পড়ে। বুধবার সকাল ৮টা থেকেই উৎসবের শুরু হয়ে যায়। বেঙ্গল প্রেস ক্লাবের সভাপতি বিজয়প্রকাশ দাস ও সাধারণ সম্পাদক সৌগত সাঁই বলেন, রাখীবন্ধন সামাজিক বন্ধনের অঙ্গীকার। এই উৎসব জাতপাত, ধর্ম বর্ণ, প্রাদেশিকতা সব কিছুর উর্দ্ধে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাখীবন্ধন উৎসবকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ নয়। চাই ঐক্য। এই অনুষ্ঠানে বেঙ্গল প্রেস ক্লাবের পরিবারের সদস্যরাও অংশ নেন।

আগস্ট ১৯, ২০২৪
রাজ্য

রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্তের বিলাসবহুল হোটেল নিউদিঘায়! তদন্তে ইডি

রেশন দুর্নীতি মামলায় নয়া নয়া তথ্য উঠে আসছে চমকে দেওয়ার মতো। দুবাই যোগ আগেই জানা গিয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের তদন্ত করছে সিবিআই ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর, এবার এই রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার দেগঙ্গার তৃণমূল নেতার বিলাসবহুল হোটেলের খোঁজ মিলেছে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায়। তদন্ত করছে ইডি। রেশন দুর্নীতিতে জেলবন্দি রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান, শাহজাহান শেখ. বণগাঁর তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্য। ফের রেশন দুর্নীতি নিয়ে তেড়ে ফুঁড়ে উঠেছে ইডি। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ট রাকিবুল ইসলামের মামাতো ভাই এর হোটেলের সন্ধান মিলল দিঘায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে উত্তর ২৪পরগনার তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমান বিদেশ ও তার দাদা আলিফ নুর রহমান মুকুল।সূত্রের খবর, আলিফ নুরের বিলাসবহুল হোটেল রয়েছে নিউ দিঘায়। এই হোটেলের উদ্বোধনে টলিউড অভিনেতা এসেছিল বলে জানা গিয়েছে। এই হোটেল কাদের জানতে চাওয়া হলে সেখানকার কোনও কর্মী কথা বলতে চাননি। হোটেলের ম্যানেজার কাজে ব্যাস্ততা দেখিয়ে মুখ খোলেননি। অভিযুক্ত দুজনই ইডির হেফাজতে রয়েছে।

আগস্ট ০৩, ২০২৪
রাজ্য

হকার উচ্ছেদ নিয়ে ফের হুঙ্কার মুখ্যমন্ত্রীর, বেঁধে দিলেন রাস্তা পরিষ্কারের সময়

হকার উচ্ছেদ আমাদের লক্ষ্য নয়, তবে সবটাই করতে হবে নিয়ম মেনে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বেআইনি হকার উচ্ছেদ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা, কাউন্সিলরদের একাংশকেও কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি একমাস সময় দিয়েছেন হকারদের।মমতা বলেছেন, হকারদের আমি এক মাস সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে সব গোছাতে শুরু করুন। রাস্তা পরিষ্কার রাখতে হবে। আমাদের সার্ভে চালু থাকবে। আপনাদের কোথায় জায়গা দেওয়া যায়, তা সরকার দেখবে। গোডাউনের ব্যবস্থাও করবে। কিন্তু রাস্তা দখল করা যাবে না।এবার হকার উচ্ছেদ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বেআইনি হকার উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছে পুলিশ প্রশাসন। রীতিমতো বুলডোজার চালিয়ে বেআইনি দখলদারি ভেঙে দিচ্ছে প্রশাসন। তা নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভও দানা বেঁধেছে চূড়ান্তভাবে। মুখ খুলেছে বিরোধীরাও। এ প্রসঙ্গেই সাংবাদিক বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতা-কাউন্সিলরদের একাংশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একজন হকার চারটে করে ডালা বসাচ্ছে। এসব চলবে না.. কাউন্সিলর এসব চোখে দেখেও দেখেন না। গড়িয়াহাটে হাঁটার জায়গাই নেই। কাউকে বেকার করে দেওয়ার অধিকার আমার নেই। হাতিবাগানে রাস্তা দখল হয়ে গেছে। কাউন্সিলরদের দোষ আছে। ভাবছে মাসে মাসে চাঁদা পেলাম, আর রাস্তা দিয়ে দিলাম। প্রথমে বসাচ্ছেন পরে বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ করতে যাবেন। যে কাউন্সিলরের এলাকায় এসব হবে তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে। ডাবগ্রাম ফুলবাড়িতে তৃণমূল নেতাও গ্রেফতার হয়েছে।তিনি আরও বলেন, সরকারি জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হলে কোর্টে চলে যাচ্ছে। আদালতকে বোঝাতে আমরা ব্যর্থ। পুলিশ নেতাদের টাকা দিয়ে বেআইনি পার্কিং জোন। সবচেয়ে বেশি পার্কিং রয়েছে বিজেপির। হাওড়ায় যে যেখানে পারছে লুঠ করে নিচ্ছে। পুলিশের লোভ বেড়ে গেছে আজকাল। লোভ বেশি ভালো নয়। লোভ সম্বরণ করুন। পুলিশ, নেতারা সবচেয়ে বেশি দায়ী। কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না। হকারদের থেকে টাকা তোলা বন্ধ করুন নেতারা। বহিরাগতদের জায়গা দেওয়া হবে না।এদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, সাহস থাকলে রাজাবাজার, গার্ডেনরিচ, মেটিয়াব্রুজ, পার্কসার্কাসে হকার উচ্ছেদ করুক। আগে তো বলেছিলেন টুল আর টেবিল নিয়ে বসতে। এখন গরীবের উচ্ছেদ চলছে গরীব হকারদের। এদিকে বাংলা পক্ষ সরব হয়েছে বাঙালি ভূমিপুত্রদের উচ্ছেদ করায়।

জুন ২৭, ২০২৪
রাজনীতি

২০২৬ লক্ষ্যঃ অ্যাকশন শুরু- দলীয় নেতৃত্ব ও পুরসভা, পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অভিযোগ মমতার

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার ২৪ ঘন্টার মধ্য়েই হকার অভিযানে নামল রাজারহাট থানার পুলিশ। থানার আশেপাশে রাস্তার হকারদের রাস্তা দখল করে বসা যাবে না বসে সতর্ক করে দিয়েছে। এবার সারা রাজ্য়ে নানা ধরনের অভিযান চলবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। চলতি লোকসভা নির্বাচনে শহরাঞ্চল মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে ঘাসফুল শিবির থেকে। বেশিরভাগ পুর এলকায় জয় পয়েছে বিজেপি। তাই এখন থেকেই তৃণমূল নেত্রী ময়দান পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করতে নেমেছেন। নিজেই দলীয় নেতৃত্ব ও পুরসভা, পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অভিযোগ তুলেছেন।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বাংলার আইডেন্টিটি নষ্ট হচ্ছে। রাজ্য সরকারের জমি বেঁচে দিচ্ছে। পুরসভাগুলির কোনও পারফর্মেন্স নেই। পুলিশ ও আধিকারিকরা টাকা খেয়ে জমি বিক্রি করে দিচ্ছেন। ভ্য়াট, আবর্জনা নিয়মিত পরিস্কার হয় না। রাস্তায় আলো জ্বলেই যাচ্ছে জ্বলেই যাচ্ছে। কলের জল পরেই যাচ্ছে। টাকা কোথা থেকে আসছে। এটা লজ্জা মিউটেশন অনলাইন করা হলেও কাজ সময়মতো হচ্ছে না। যখন তখন ট্য়াক্স বাড়িয়ে দিচ্ছে। যখন তখন লোক নিয়োগ করে দিচ্ছে। অনলাইন এড়িয়ে অনুমতি। টাকার বিনিময়ে পুরসভার জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। সরকারি জমি নষ্ট হচ্ছে। তদন্ত করতে চিফ সেক্রেটারিকে অর্ডার দিচ্ছি। আমি জানতে চাই না কে বা কারা করেছে, কারা আছে। সরকারি সম্পত্তি বাইরের লোক টাকার বিনিময়ে কিনছে। সরাকারি জমি জখল করে মাল্টিস্টোরেড বিল্ডিং হচ্ছে। রাজ্য সরকারের রাস্তা সংরক্ষণ হচ্ছে না। বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রী, জেলর, এসিডও, ডিএম, আইসি কাউকে ছেড়ে কথা বলেননি মমতা।দলের মন্ত্রীকেও বিঁধেছেন মমতা। তিনি বলেন, সল্টলেক, রাজারহাটের জমি দখল করা হচ্ছে। সুজিত(দমকলমন্ত্রী) কম্পিটিশন করে বাইরের লোক বসাচ্ছে। সল্টলেকের কাউন্সিলররা কাজ করে না। রাস্তা ঝাড় দেয় না এবার আমাকে ঝাড় দিতে হবে। কলকাতায় পুলিশ চোখে ঠুলি দিয়ে বসে আছে। হাওড়ার চারজন বিধায়ক সুবিধা নিচ্ছে। বালি পুরসভার অবস্থাও খুব খারাপ। নমিনেটেড ৫ জন ভাবছে এটা তাঁদের সম্পত্তি। লোকাল টেন্ডার হবে না। এবার সেন্ট্রালই হবে। ডেভেলপমেন্ট বোর্ডগুলিতে ৪০০-৫০০ জন লোক রেখে দিয়েছে। কারও মাথা টিপছে কারও পা টিপছে। দীঘা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি আছে। কোনও দরকার আছে। সরকারের লোক নেই কাজে লাগাও। হলদিয়া ডেভেলপ অথরিটিও তাই। আমাদের লোকেরা ভাবছে উনি তো ভুলে যাবেন। অফিসার ভাবেন আমি তো ২ বছর থাকবে। কোনওমতে কেটে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, এবার রিভিউ কমিটি হবে। ভিডিল্য়ান্স, এডিজি ল এন্ড অর্ডার, সিআইডি, ডাইরেক্টর অব সিকিউরিটিসহ অন্যরা থাকবে। যে দাবি করার কথা বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমের সেই দাবি করছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান অভিযোগ করছেন, পুকুর ভরাট হচ্ছে। তা দখল করে বাড়ি হয়ে যাচ্ছে। কন্ট্রাক্টর, প্রমোটার রাজ চলছে। খাল বিক্রি করে দিচ্ছে। অবৈধ নির্মান চলছেই। আকাশ সমান বাড়ি হচ্ছে। এমনকী নবান্নের পাশে হচ্ছে। রথীন চক্রবর্তী অনুমতি দিয়েছে। ফুটপাত দখল বেড়ে যাচ্ছে। পুলিশ ও পুরসভা দেখছে না। যারা দেখবে না তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হবে।সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন মমতা। তাঁর দাবি, বিজেপিকে ভাগ দিচ্ছে অফিসাররা। তাঁরা মোটা টাকা তুলছে বাংলা থেকে। গরুর টাকা সব থেকে বেশি খায় বিজেপি। কয়লার টাকা, বালি, পাথার সব থেকে বেশি টাকা খায় বিজেপি। টাকা যায় পুলিশের মাধ্যমে। ওভারলোডিং ট্রাক টলছে। এতে আমাদের কিছু কিছু লোক আছে। তাদের ইডি, সিবিআই ভয় দেখায। টাকা তোলার মাস্টার চাই না। আমি জনসেবক চাইছি। এখানে কারও কথা শুনবো না।

জুন ২৫, ২০২৪
দেশ

নতুন হাওয়া আসুক - "মেরা পহেলা ভোট দেশ কে লিয়ে"

আজ বাদে কাল দেশে লোকসভা নির্বাচন হবে। কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচনের দিন ঘোষণা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। তারপরেই নির্বাচনী প্রচারের ভরা জোয়ারে ভাসবে দেশ। তবে রাজনৈতিক দল গুলির তাল ঠোকাঠুকি জোর কদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। এর মাঝে দেশের যে প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক ভূখণ্ডে সুষ্ঠ ভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবে সেই নির্বাচন কমিশনের তৎপরতা ও তুঙ্গে উঠেছে। এবার নির্বাচন কমিশনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য দেশের যুবশক্তিকে ভোটদানে উৎসাহিত করা।এবারের নির্বাচনে যারা প্রথমবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন তারাও যাতে দলে দলে ইভিএম মুখি হন তার জন্য এক অভিনব প্রচার শুরু করেছে কমিশন। এই প্রচার পরিকল্পনার নাম মেরা পহেলা ভোট দেশ কে লিয়ে। শুধু ভোট দেওয়াই নয় আনুমানিক দু কোটি নতুন ভোটার দের মধ্যে সামাজিক কর্তব্য বোধ ও দেশের জন্য গর্ব বোধ তৈরি করা ও এই প্রচারাভিযানের লক্ষ্য। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গিয়েছে যে অল্প বয়সী দের মধ্যে রাজনীতি সম্পর্কে অনাগ্ৰহ তৈরি হয়েছে। তারা সরাসরি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে উৎসাহ পাচ্ছেন না। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যদি নতুন রক্ত সঞ্চালিত না হয় তাহলে তার কাঠামোয় নানান ত্রুটি দেখা যাবে। এর ফলে দেশের গণতান্ত্রিক পরিসর ক্রমশ সংকুচিত হবে।এখন Digital মাধ্যমের যুগ। তরুণ প্রজন্ম এই মাধ্যমে নিজেদের প্রকাশ করতে সাচ্ছন্দ বোধ করেন। তাই এই প্রচারাভিযানে মঞ্চে যদি কম বয়সীরা আসতে থাকেন তাহলে হয়তো তাঁদের মধ্যে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া আগ্ৰহ বাড়তে পারে। ভারতের মতো বৈচিত্র্যময় দেশে আর্থিক ও সামাজিক বৈষম্য কে অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে Digital মাধ্যমে জনপ্রিয়তার একটি প্রধান কারণ এই মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরে মানুষ-ই অংশ নিতে পারেন। তাই ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের এই প্রচারাভিযানে বিপুল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।কমিশনের প্রচারাভিযানে দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের যুক্ত করায় এই প্রচার দুরন্ত গতি পেয়েছে। জনপ্রিয় ক্রিকেটার, ফুটবলার, ক্রীড়াবিদ ও সামাজিক মাধ্যমে প্রভাবশালীরা প্রচারে যুক্ত হওয়ায় এক নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। কমিশনের ভোটদানের হার বাড়ানোর লক্ষ্যে এই প্রচারে যে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে তা যদি ইভিএমে এসে পৌঁছায় তা যে দেশের গণতান্ত্রিক স্বাস্থের পক্ষে সুলক্ষণ হবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তরুণ প্রজন্ম মানেই নতুন চিন্তা নতুন পথ। দেশের রাজনৈতিক পরিসরে সাম্প্রতিক কালে যে দূষণ চোখে পড়ছে তার হয়তো নতুন হাওয়ায় পরিশোধিত হবে এই আশা করাই যায়।এবারের নির্বাচনে কমিশনের আরেকটি লক্ষ্য হল ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযুক্তিকরন। এই লক্ষ্যে সম্প্রতি কমিশন কেন্দ্রের কাছে ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে সংশোধনী আনার জন্য প্রস্তাব দেয়। একই সঙ্গে ভোটারদের নাম নথিভুক্ত করার ফর্মেও পরিবর্তন আনার অনুরোধ করেছে কমিশন। কমিশনের বক্তব্য কোনো ভোটার যদি তাঁর আধার কার্ড সংযুক্ত করতে না চান তার জন্য কারণ দর্শানোর সুযোগ রয়েছে এই ফর্মে। কমিশন তাই ফর্ম থেকে এই অপশনটি বাদ দিতে বলেছে। তবে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক কমিশনের এই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার H S Brahma ঘোষণা করেন চলতি মাস থেকেই ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড সংযুক্তিকরনের কাজ শুরু হবে। ভোটার তালিকা থেকে ভুয়ো নাম এবং ডুপ্লিকেট নাম বাদ দেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো। তবে আধার কার্ড সংযুক্তিকরন বাধ্যতামূলক নয় বলেও জানিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার Brahma । তবে শুরু হলেও ওই বছরের অগাষ্ট মাসে সুপ্রিমকোর্টের এক নির্দেশের ফলে সংযুক্তিকরনের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। দেশের শীর্ষ আদালত তার নির্দেশে সরকারের খাদ্য সুরক্ষার মতো প্রকল্পগুলি ছাড়া আধার কার্ড বাধ্যতামুলক নয়। ২০১৮ সালে একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট আধার কার্ডের সাংবিধানিক গ্ৰাহ্যতা রয়েছে বলে জানানোর পরে কমিশন নির্বাচনী আইন সংশোধনের জন্য কেন্দ্রের কাছে ফের আবেদন জানান। এবার কেন্দ্রীয় সরকার সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে The Election Laws (Amendment) Bill 2021 সংসদে পাশ করায়। এই bill পাশ হওয়ার পরে ২০২২ সাল থেকে কমিশন ফের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড সংযুক্তিকরনের কাজ শুরু করে। এই লক্ষ্যে নতুন 6B Form চালু হয়। তবে সেই Form য়ে দুটি অপশন রয়েছে। একটি হল আধার কার্ডের নম্বর সংযুক্ত করা এবং অপর টি হল আধার কার্ড নেই বলে জানানো।এই পরিস্থিতিতে তেলেঙ্গানার কংগ্রেস নেতা G Nilanjan সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। মামলায় তাঁর আবেদন যদি কোন ব্যক্তি আধার কার্ড সংযুক্তি না চান তাহলে ফর্মে তাঁর জন্য সেই অপশন রাখা হোক। এই মামলার কারণে গতবছরের ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন কমিশন আবার ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন সংশোধনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানায়। অনেকেই মনে করছেন ভোটার দের আধার কার্ড সংযুক্তিকরনের ফলে তার নাগরিকত্ব প্রমানের সহায়ক হবে। যদিও আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমান নয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। দেশের নাগরিক হিসেবে কারা পরিচিত হবেন তা নিয়ে হাওয়ায় নানান কথা ভাসছে। এই অবস্থায় কমিশনের এই প্রচেষ্টা কোন পথে যাবে তার উত্তর ভবিষ্যতের গর্ভে রয়েছে।

মার্চ ১০, ২০২৪
রাজ্য

হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ শঙ্কর আঢ্যর বিরুদ্ধে, আদালতে দাবি ইডির

রেশন দুর্নীতির তদন্তে চাঞ্চল্যকর দাবি করল ইডি। দুর্নীতির জাল কতদূর বিস্তৃত, সেটাই এখন তদন্তকারীদের নজরে। শনিবার আদালতে ইডি দাবি করেছে, রেশন দুর্নীতির মাধ্যমে নূন্যতম ১০ হাজার কোটি টাকা লুঠ হয়েছে। রেশন দুর্নীতির অভিযোগে শ্রীঘরে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শুক্রবার গভীর রাতে বনগাঁ থেকে জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করে ইডি। এদিন তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। সেখানে একের পর এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আইনজীবী। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, শঙ্কর আঢ্যর কোম্পানির মাধ্যমে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা রেশন দুর্নীতি বলে তথ্য তুলে ধরেছেন ইডি কর্তারা। হাওলা রুটে এই টাকা বিদেশে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি তাঁদের।ইডি-র দাবি, তদন্তে ইতিমধ্যে ৯০টি ফরেক্স কোম্পানির (বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার সংস্থা) নাম মিলেছে। যার মাধ্যমে রাজ্যের রেশনের টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। ২ হাজার কোটি টাকা দুবাই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি ইডির। এই টাকা দেশ বিরোধী কাজে লেগেছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।আদালতে ইডির দাবি, হাসপাতালে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়ের সঙ্গে চিঠির চালাচালি করে যোগাযোগ রেখেছিলেন শঙ্কর আঢ্য। যা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিঠি থেকে জানা গিয়েছে। ওই চিঠিতে শঙ্কর আঢ্যর নাম রয়েছে। রেশন দুর্নীতিতে কার কাছ থেকে কত টাকা নিতে হবে এবং কত টাকা দিতে হবে, সেই চিঠিতে তার উল্লেখ রয়েছে।আদালতে ইডির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শঙ্করের আইনজীবী জানিয়েছে, তাঁর মক্কেল বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার বৈধ ব্যবসা করেন। যা বেআইনি নয়। যথাযথ নিয়ম মেনেই ব্যবসা করা হয়।

জানুয়ারি ০৬, ২০২৪
রাজ্য

এসএসকেএম হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী মমতার কাঁধে ছোট্ট অস্ত্রোপচার

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডান কাঁধে ছোট্ট অস্ত্রোপচার করা হয়েছে শুক্রবার। এই অস্ত্রোপচারের পর তিনি সুস্থই রয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই খবর জানান এসএসকেএম হাসপাতালের ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিট নাগাদ হাসপাতাল থেকে বের হন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার এসএসকেএমে এসেছিলেন কলকাতার মেয়র ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।রশুক্রবার দুপুরে রুটিন চেকআপের জন্য এসএসকেএমে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক পরীক্ষার সময়ে চিকিৎসকেরা তাঁর ডান কাঁধে পুরনো চোটের জায়গায় অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন বোধ করেন। তার পরেই উডবার্ন ব্লকের ওটিতে মুখ্যমন্ত্রীর ডান কাঁধে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মণিময়। তিনি বলেছেন, রুটিন চেক আপের জন্য এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। চেকআপের সময় তাঁর ডান কাঁধে ছোট্ট অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন বোধ করেন চিকিৎসকেরা। পুরনো চোটের জায়গাতেই ওই অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। উডবার্ন ওটিতে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এখন চিকিৎসকদের সঙ্গে চা-পান করছেন তিনি।এদিকে শুক্রবার এসএসকেএমে ঢোকার সময়ে মমতা জানান, রুটিন চেক আপের জন্যই এসেছেন। তাঁর শরীর একেবারেই ঠিক আছে। তিনি বলেন, শরীর ঠিক রয়েছে। পা চেকআপ করাতে এসেছি। আমি হাঁটছি। সবই ঠিক রয়েছে। রোজ বিশ হাজার স্টেপ করছি। এমনিতে সময় পাই না। শুধু এক্স-রে করাতে এসেছি। এর পর তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের নতুন বছরের শুভেচ্ছাও জানান। এও জানান, এগুলো বলে মানুষকে বিরক্ত করার কোনও মানে হয় না। এখন সকলে সময়টা উপভোগ করুন।এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে স্পেন এবং দুবাই সফর সেরে এসএসকেএমে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিদেশে থাকাকালীন বাঁ পায়ের হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন। ব্যস্ত কর্মসূচি থাকায় বিদেশ সফরে পায়ের চিকিৎসা করাতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতায় ফেরার এক দিন পরেই নিজের পায়ের চিকিৎসা করাতে যান তিনি।গত ২৭ জুন জলপাইগুড়ি থেকে আকাশে ওড়ার পরই দুর্যোগের মধ্যে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার। বৈকুণ্ঠপুরের জঙ্গলের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় প্রবল ঝড়-বৃষ্টির মুখে পড়ে ওই হেলিকপ্টারটি। দুর্ঘটনা এড়াতে বিমানের জরুরি অবতরণ করানো হয় সেবকে, বায়ুসেনার ঘাঁটিতে। সেখানেই কপ্টার থেকে তড়িঘড়ি নামতে গিয়ে কোমরে এবং পায়ে চোট পান মমতা। সেই সময় থেকেই এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। যে কারণে কয়েক দিন হাসপাতালে ভর্তিও থাকতে হয়েছিল তাঁকে। জুন মাসে যে পায়ে চোট পেয়েছিলেন তিনি, পরে বিদেশ সফরে সেই পায়েই চোট পেয়েছিলেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল। তাঁর পায়ের আঘাতের ভুল চিকিৎসা হয়েছিল এসএসকেএমে, একথা বলেছিলেন স্বয়ং মমতা। যদিও এসএসকেএমের তরফে সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩
কলকাতা

লেকটাউন যেন মিনি পার্কস্ট্রিট, সৌজন্যে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু

বড়দিন লেকটাউন পরিণত হয় মিনি পার্কস্ট্রিটে। রীতিমতো টেক্কা দিচ্ছে পার্ক স্ট্রিটকে। রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর তত্ত্বাবধানে শ্রীভূমি স্পোটিং ক্লাবের ব্যবস্থাপনায় লেকটাউন পরিণত হল মিনি পার্কস্ট্রিটে। বছরের শেষ কটা দিন আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে শহরবাসী। পার্কস্ট্রিটে অ্যালেন পার্কে ভিড় জমান লক্ষ লক্ষ মানুষ। সেই ভিড় এবার লেকটাউন শ্রীভূমিতে।গত কয়েক বছর ধরে লেকটাউনে শুরু হয়েছে পৌষ পার্বন উৎসব। সেই উৎসব রবিবার সন্ধ্যায় উন্মোচন হল সুজিত বসুর হাত ধরে। এদিন এক বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রার মাধ্যমে উৎসবের সূচনা করেন মন্ত্রী। শোভাযাত্রায় সান্তা ক্লজ থেকে শুরু করে বাঙালিদের পিঠেপুলি সবই সামিল। এক কথায় বড়দিনের প্রাক্কালে আলোয় সেজে উঠেছে শ্রীভূমি।

ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

জলমগ্ন একাধিক গ্রাম, জল ছাড়ছে ডিভিসি, দুর্গাপুর ব্য়ারেজ পরিদর্শন সেচমন্ত্রীর

দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে মঙ্গলবার থেকে ভারি বৃষ্টিপাত চলছে। পাঞ্চেত, মাইথন থেকে জল ছাড়ার পরে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকেও যথারীতি জল ছাড়া শুরু হয়েছে। আজ, শুক্রবার ৪৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন। সেচমন্ত্রী মানস ভুইয়া দুর্গাপুর ব্যারাজের সংস্কারের কাজের পর চালু ব্যারাজ রাস্তা পরিদর্শনে আসেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। বর্ষা এসে গিয়েছে। ফলে বাকি যেসব কাজ রয়েছে তা বর্ষার পরেই শুরু হবে।দুর্গাপুর ব্যারাজের পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেচমন্ত্রী বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছাকৃত বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বারবার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের যে দায়িত্ব রয়েছে তা পালন করছে না এবং রাজ্যের হকের টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। তাই ড্রেজিং করা সম্ভব হচ্ছে না। রাজ্য ও ডিভিসির মধ্যে বারবার জল ছাড়া নিয়ে যে বিতর্ক দেখা দেয় তা নিয়ে কোন মন্তব্য না করে সেচমন্ত্রী বলেন, এই মুহুর্তে এই বিতর্কে যাব না। ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। মাঝে ছয় দিন প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল বলে কাজে কিছু অসুবিধা দেখা দিয়েছিল। তবু কাজ ৪৫ দিনের মধ্যেই শেষ করা গিয়েছে। হায়দ্রাবাদ থেকে রাবার সিল আসছে তা দিয়ে কাজ করা হবে।সেচমন্ত্রী বলেন, দেড় মাস দুর্গাপুর ব্যারাজে জল ধরে রাখা হয়। এরপরে দুর্গাপুর, মাইথন ও পাঞ্চেত নিয়ে একটি সেল গঠন করা হয়েছে এবং মনিটরিং করা হচ্ছে জল ছাড়া নিয়ে যেন মানুষের ক্ষতি না হয়। সেচমন্ত্রী বলেন, প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে এবং বিভিন্ন জেলা এবং ঝাড়খণ্ডের জল নামছে ফলে সমস্ত বিষয়ের উপরে নজর রাখা হয়েছে।তেনুঘাট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেচমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী, সেচ দপ্তরের কর্তারা এবং আমি নিজে বারবার কথা বলেছি। তেনুঘাটকে নিয়ন্ত্রণে রেখে অপারেট করা যায়।সেচমন্ত্রী একাধিকবার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং সেচ দপ্তর মাইথন, পাঞ্চেত এবং দুর্গাপুর ব্যারাজের জল ছাড়া নিয়ে নজর রেখেছেন । আজ ৪১ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। বন্যার যন্ত্রণা যাতে পেতে না হয় তার প্রতি সজাগ রয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা এবং আজ বাঁকুড়ায় আসছেন পরিস্থিতি নিয়ে আলচনা করতে। রাস্তার বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, পি ডাব্লু ডিকে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বৃষ্টি কমলেই।সেচমন্ত্রী ব্যারাজগুলির গভীরতা কমে যাওয়ার জন্য কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা না দেওয়ার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ১২ বছর ধরে কেন্দ্রের জলসম্পদ দপ্তর, প্রধানমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার দেখছি দেখছি করে পার করে দিচ্ছে কিন্তু রাজ্যের হকের টাকা দিচ্ছে না। সেচমন্ত্রী বিজেপি সরকারের বাংলাকে বঞ্চনা করার কথা তুলে ধরেন। বন্যার প্রসঙ্গে সেচমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রার্থনা করছি যেন বন্যার মুখে পড়তে না হয় কিন্তু দেড় মাস জল ধরে রাখা হয় আর তারপরে রয়েছে প্রচন্ড বৃষ্টি, ফলে জলের চাপ বাড়ছে, সেদিকেই নজর রাখতে হচ্ছে।দুর্গাপুর ব্যারাজের এক নম্বর গেটে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে । সাংবাদিকেরা এ নিয়ে সেচমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সেচমন্ত্রী বলেন, সব দিক নজরে রাখা হয়েছে, সংস্কার হবে। তিনি এরপরে আবার বলেন, কেন্দ্রিয় সরকারের কাছ হতে এক কানা কড়ির সাহায্য পাইনি। মুখ্যমন্ত্রী নিজের রাজ্যের কোষাগার থেকেই খরচ করে কাজ করছেন। তিনি এরপরেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন কিভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সীমিত আর্থিক ক্ষমতায় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার পরেও কাজ করে চলেছেন। সেচমন্ত্রী জোড়ের সাথে বলেন, একটা নয়া পয়সা কেন্দ্রের সরকার দেয় নি। তবু একের পর এক কাজ হচ্ছে এবং এটাও করা হবে।

জুন ২০, ২০২৫
রাজ্য

সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা পুরুলিয়ায়, মৃত্যু মিছিল

সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৯ জনের ৷ পুরুলিয়ায় ১৮ নম্বর জাতীয় সড়কের নামশোল এলাকায় আজ, শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি বোলেরোর সংঘর্ষে ঘটে। তার ফলেই জেরেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ৷ গাড়িতে থাকা ৯ জনেরই প্রাণ গিয়েছে ৷ এরা সকলেই ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা। বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরছিলেন বলে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার সকালে পুরুলিয়ার দিক থেকে চারচাকা বোলেরো গাড়িটি বলরামপুরের অভিমুখে যাচ্ছিল। সেই সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাককে সরাসরি ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বলরামপুর থানার পুলিশ। প্রথমে জখম সকলকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাঁশগড় ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় পুলিশ। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহতদের সকলকেই ঘোষণা করেন।

জুন ২০, ২০২৫
রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal