• ৫ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২১ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Ration

কলকাতা

তৃণমূল কর্মচারী ফেডারেশনের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল শুভেন্দুকে

তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে শুভেন্দু অধিকারীর। এবার তৃণমূল কর্মচারী ফেডারেশনের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল শুভেন্দুকে। তার জায়গায় কর্মচারী সংগঠনের দায়িত্বে ফের ফিরিয়ে আনা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। প্রসঙ্গত ফেডারেশনের মেন্টরের দায়িত্বে প্রথমে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই। গত বছর জুনে শুভেন্দু অধিকারীকে এই দায়িত্বে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই শুভেন্দু অধিকারী নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে রয়েছেন বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ আসছিল। এদিন বিভিন্ন জেলার ফেডারেশন নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। তারপরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নবান্ন সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। আরও পড়ুন ঃ জয় হিন্দ সেতু উদ্বোধনে রেলকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তাঁর আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন সৌগত রায়। ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই শুভেন্দুর যা বক্তব্য তার সারমর্ম হল, কিছুই মেটেনি। এই পরিস্থিতিতে একসঙ্গে কাজ করা মুশকিল। তারপর থেকেই তাঁর সঙ্গে দলের দূরত্ব যে তৈরি হয়েছে, তা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
কলকাতা

জয় হিন্দ সেতু উদ্বোধনে রেলকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর

মাঝেরহাট সেতু অর্থাৎ জয় হিন্দ ব্রিজের উদ্বো্ধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল ৫টা ১৯ মিনিটে বোতাম টিপে ব্রিজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি। দুবছর পর চালু হতে চলেছে এই সেতু। এরপর ব্রিজের উপর নিজেই হেঁটে পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, রেল অনুমতি দিলে ৯ মাসেই চালু করা যেত ব্রিজ। রেলের কাছে বারবার দরবার করতে হয়েছে। রেল কেন আমাদের কাছ থেকে ৩৪ কোটি টাকা নিয়েছে? রেল কেন আমাদের থেকে টাকা নেবে? আমরা করব, আর নাম কিনবে ওরা? এমনকি টালা ব্রিজ ভাঙতেও টাকা নিয়েছে রেল। পাশাপাশি, সাধারণ মানুষের কাছে ব্রিজটির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, নিয়ম মেনে যাতায়াত, হেলমেটহীন অবস্থায় বাইক না চালানো-সহ একাধিক আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে যোগাযোগের জন্য উড়ালপুল বা সেতু কত উপকারী, তা জানিয়ে যে কটি ব্রিজ তৈরির কাজ চলছে কলকাতায়, সেসব আরেকবার উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। নেতাজিকে শ্রদ্ধাপ্রদর্শনে তাঁর বিখ্যাত স্লোগানের নামেই এই সেতুর নামকরণ করার কথা আবার স্মরণ করিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, নেতাজির পদতলে এভাবেই শ্রদ্ধা জানালাম। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ব্রিজ পরিদর্শনে ছিলেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম-সহ অনেক নেতা। আরও পড়ুন ঃ বাংলার কর্মসংস্থানের খতিয়ান তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী এদিন বিকেল থেকেই সাধারণ মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। জানা গিয়েছে, অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে তৈরি হওয়া মাঝেরহাট ব্রিজে উন্নততর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। অত্যাধুনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের নির্দশন হিসেবেই নির্মাণ করা হয়েছে ব্রিজে। অতিরিক্ত ওজন ব্রিজের উপর পড়লে জানিয়ে দেবে সেন্সর। এ ছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এই ব্রিজে। থাকছে একাধিক ক্যামেরা। কলকাতায় এই প্রথম কোনও সেতু কেবলের সহযোগে নির্মিত। সূত্রের খবর, সেতুটি সর্বোচ্চ ৩৮৫ মেট্রিক টন ভার নিতে পারবে। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬৩৬ মিটার। চওড়া ১৬ মিটার। ব্রিজ খুলে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের যাতায়াতে সুবিধা হবে ও সময় কিছুটা সাশ্রয় হবে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
কলকাতা

৬০ বছর অবধি কাজের দাবিতে বিক্ষোভ সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ারদের

স্থায়ী কাজ ও ৬০ বছর অবধি কাজের দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়াররা। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির ডাকে জেলার কর্মীরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। সংগঠনের তরফে রাজ্য সম্পাদক ওবায়দুল ইসলামের দাবি করেন , আমফানের সময়ে তারা কাজ করেছেন।করোনার প্রকোপে সবাই যখন ঘরে তারা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন।বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর সময়ে তারা মানুষকে পরিষেবা দেন।কিন্তু স্থায়ী কাজ না থাকায় তারা না ঘরকা না ঘাটকা। অন্য কাজেও মন দিতে পারেন না। তাদের আশা, মুখ্যমন্ত্রী তাদের দাবি শুনবেন।৬০ বছর অবধি কাজের দাবি জানিয়েছেন তারা।মাসে তারা তিরিশ দিন কাজ চান। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মধ্যে আমরা থাকতে পারছি না। আমাদের আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। বসিয়ে দিলে তাদের সংসার চলবে না। আরও পড়ুন ঃ প্রয়াত বিচারপতি অমিতাভ লালা আজ আমরা জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিতে এসেছি। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন, আমাদের ৬০ বছর পর্যন্ত কাজের ব্যবস্থা করে দিন। তাহলে আমরা আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব। সংগঠনের সহ সভাপতি পার্থ ঘোষ বলেন, এর আগে তারা তাদের দাবি নানাস্তরে জানিয়েছেন। কোনো কাজ হয়নি।দাবি না মানা হলে তারা নবান্নের সামনে গিয়ে আত্মহত্যা করবেন।বন্যা, অগ্নিকাণ্ডের সময়ে, বাড়ি ভেঙে পড়লেও তারা কাজে আসেন। তারা এবার স্থায়ীত্ব চান।

নভেম্বর ২৪, ২০২০
কলকাতা

সম্মান না পাওয়ায় তৃণমূল ভবনের সামনে বিক্ষোভ দলীয় কর্মীদের

দলে পর্যাপ্ত সম্মান পাচ্ছেন না , এই অভিযোগে শনিবার তৃণমূল ভবনের সামনে বিক্ষোভে সামিল হলেন দলীয় কর্মীরা। এদিন বেলার দিকে মেদিনীপুর থেকে দার্জিলিং বিভিন্ন প্রান্তের কয়েকশো কর্মী জড়ো হন তৃণমূল ভবনের সামনে। নিরাপত্তারক্ষীরাও তাঁদের সরাতে পারেননি। সারা দুপুর তৃণমূল ভবনের সামনের রাস্তা দুধারে তাঁরা অবস্থান করেন। কখনও কখনও স্লোগান তুলে বিক্ষোভও দেখান। বারবারই দাবি করতে থাকেন যে তাঁরা নেত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকেই সমস্যার কথা জানাবেন। আরও পড়ুন ঃ কেন্দ্রে এখন ফেক নিউজের সরকার চলছেঃ কাকলি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তাঁদের বক্তব্য, আমরা দলের বহু পুরনো কর্মী। কিন্তু তেমন গুরুত্ব পাচ্ছি না। ভোট কিংবা দলের অন্যান্য কাজে আমাদের ডাকা হচ্ছে না। তাই আমরা নেত্রীর কাছে জানতে এসেছি, এর কারণ কী। আমরা আবার ভোটের কাজ করতে চাই আগের মতো। আমাদের দলকে ফের ক্ষমতায় আনতে চাই।এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন সুব্রত বক্সি। তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন, অভিযোগের কথা শোনেন। তারপর জানান যে আগামী বৃহস্পতিবার তাঁদের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তিনি নিজে আলোচনায় বসবেন। সমস্ত শুনে সমাধানের চেষ্টা করবেন। এতে খানিকটা আশ্বস্ত হন দলীয় কর্মীরা। অবস্থান বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে ফিরে যান।

নভেম্বর ২১, ২০২০
কলকাতা

রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করতে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ

আদালতের নির্দেশের জেরে রবীন্দ্র ও সুভাষ সরোবরে নিষিদ্ধ ছটপুজো। রবীন্দ্র সরোবরের ৩ নম্বর গেটের সামনে শুক্রবার সকালে একদল পুণ্যার্থী জমা হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুজো করতে দেওয়ার দাবিতে সেখানে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয়রা। যদিও আদালতের নির্দেশের কথা উঠলে তারা জানান, পুণ্যার্থীদের দাবি, মাত্র ছঘণ্টার মধ্যে ছটপুজো সেরে নেওয়া সম্ভব। আর সামান্য সময়ে ছটপুজো করলে কোনও সমস্যা হবে না। রবীন্দ্র সরোবরে ঢোকার অনুমতি না মিললে মূল দরজার সামনেই ছটপুজো করা হবে বলে জানিয়ে দেন তারা। এছাড়াও তারা বলেছেন, প্রতি বছর এখানেই পুজো করেছেন তারা। তাদের পূর্বপুরুষরাও এখানে পুজো করেছেন। এভাবে তাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা বোঝাতে গেলে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। যাতে কেউ আদালতের নির্দেশ অমান্য করতে না পারেন তাই বিশাল পুলিশবাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। আরও পড়ুন ঃ অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে মুকুল রায়ের প্রসঙ্গত , গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে গতবারই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল রবীন্দ্র সরোবরের ছটপুজো। তারপর এই বছর সেপ্টেম্বর মাসে পরিবেশ আদালতের কাছে কেএমডিএ আবেদন করেছিল , শর্তসাপেক্ষে লেকে ছটপুজো করতে দেওয়া হোক। সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয় , কোনও শর্তেই লেকে ছটপুজোর অনুমতি দেওয়া যাবে না। গত ১০ তারিখ কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোর ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা চলছে, তা নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতই শেষ কথা বলবে। সেই মামলায় চূড়ান্ত নির্দেশ না দেওয়া হলে রবীন্দ্র সরোবরে এবং সুভাষ সরোবরে ছট পুজো নিষিদ্ধ। বিধিনিষেধ মেনে কেএমডিএ ছটপুজোর আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু আবেদন খারিজ হয় সেখানেও। এরপর এই দুই আদালতের রায়ের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে কেএমডিএ। এই আবেদনের শুনানি ২৩ তারিখ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ ছট পুজো হওয়ায় জরুরী ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার তিন বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হয়। কিন্তু একই রায় বহাল রাখে শীর্ষ আদালত।

নভেম্বর ২০, ২০২০
কলকাতা

ট্রেনে ও স্টেশনে প্রবেশের দাবিতে বিক্ষোভ হকারদের

অবিলম্বে ট্রেনে ও স্টেশনে প্রবেশাধিকার দিতে হবে হকারদের। তুলে নিতে হবে নিষেধাজ্ঞাও। মঙ্গলবার এই দাবিতে আইএনটিটিইউসি নেতা মানা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে শিয়ালদহ স্টেশন চত্ত্বরে এক বিশাল অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হলেন শতাধিক হকার। বিক্ষোভের পর স্টেশন মাস্টারের কাছে ডেপুটেশন জমা দেন মানা চক্রবর্তী ও অন্যান্য হকার ইউনিয়নের নেতারা। আরও ্পড়ুন ঃ দলিতদের প্রতি অত্যাচার এই রাজ্যে হয় নাঃ শশী পাঁজা মানা চক্রবর্তী বলেন, রেল প্রশাসনের মদতে শিয়ালদহ স্টেশনে নানাবিধ অসামাজিক কাজকর্ম চলছে। শিয়ালদহের ডিআরএম ও মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি জানাব। হকারদের অভিযোগ , নিয়ম ভেঙে কয়েকজন হকারকে স্টেশনে বসতে দেওয়া হচ্ছে। দাবি না মানা হলে ডিআরএম ও রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানকে ঘেরাও করা হবে। ্ডিসেম্বর মাসে হবে জঙ্গি আন্দোলনও। প্রসঙ্গত , দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সদ্য চালু হয়েছে রেল চলাচল। কিন্তু তবু স্টেশনে ব্রাত্য হকাররা। হকারদের বিষয়ে ্কোনও উচ্চবাচ্যই করছে না রেল।

নভেম্বর ১৭, ২০২০
কলকাতা

আগামী বুধবার থেকে রাজ্যে চলবে লোকাল ট্রেন

টানা আট মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে ঘুরতে চলেছে লোকাল ট্রেনের চাকা। বৃহস্পতিবার নবান্নে রেল এবং রাজ্য প্রশাসনের তরফে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ আগামী বুধবার থেকে হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশনে প্রতিদিন ৩৬২ টি লোকাল ট্রেন চালু হবে। এরপর ধাপে ধাপে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। সব স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াবে। এর জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে রেল ও রাজ্য সরকার। আগের মতো কাউন্টার থেকে টিকিট কেটেই ট্রেনে ওঠা যাবে। তবে মাস্ক বাধ্যতামূলক। কোভিড বিধি মেনে ট্রেন চালানো হবে। আরও পড়ুন ঃ কালীপুজোর মণ্ডপেও নো-এন্ট্রিঃ হাইকোর্ট কোন গেট দিয়ে যাত্রীরা স্টেশনে ঢুকবেন এবং কোন গেট দিয়ে বের হবেন তা আগে থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। এর জন্য আরপিএফ-জিআরপি একসঙ্গে কাজ করবে। প্রতিটি স্টেশনে থাকবে স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা। রাজ্যের পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে ছিলেন হাওড়া, শিয়ালদহ ও খড়্গপুরের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজাররা। প্রথমে বৈঠকে ঠিক হয়, গ্যালোপিং ট্রেন প্রথম ধাপে চালু হবে। কিন্তু, পরবর্তীকালে ঠিক হয়, সাধারণ নিত্যযাত্রীদের কথা মাথায় রেখে গ্যালোপিং নয়।

নভেম্বর ০৫, ২০২০
উৎসব

জল থেকে কাঠামো তোলার জন্য এজেন্সি নিয়োগ হাওড়া পুরনিগমের

বিজয়া দশমী থেকেই প্রতিমা নিরঞ্জন শুরু হয়েছে হাওড়ার বিভিন্ন ঘাটে। গঙ্গার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জলাশয় চিহ্নিত করা হয়েছে যেখানে প্রতিমা বিসর্জন হবে। বিসর্জনকে কেন্দ্র করে পুরনিগম একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গঙ্গায় ফেলা ছোট কাঠামোগুলি দ্রুত তোলার জন্য বিশেষজ্ঞ এজেন্সিকে এবার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিসর্জনের জন্য তাদের কাজে লাগানো হয়েছে। আরও পড়ুনঃ বিধি মেনেই হল সিঁদুর খেলা ও বিসর্জন জানা গিয়েছে , জলাশয়ের কাছাকাছি অস্থায়ীভাবে কাঠের ভ্যাট তৈরি করা হয়েছে। জলাশয় থেকে প্রতিমার কাঠামো ভ্যাটে ফেলার পরে সেই কাঠামো অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি , বড় কাঠামো জল থেকে তোলার জন্য হাইড্রা মেশিনের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ঘাটের থেকে আবর্জনা তোলার জন্য ই-রিক্সার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাওড়া পুরনিগমের দাবি , ইতিমধ্যেই প্রায় ৭৫ শতাংশ প্রতিমার কাঠামো জল থেকে তোলা সম্ভব হয়েছে। আজও কাঠামো তোলার কাজ চলছে।পুরকর্মীদের এই কাজে লাগানো হয়েছে।

অক্টোবর ২৭, ২০২০
উৎসব

এপিজি মেমোরিয়াল অ্যাসোসিয়েশনের পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করলেন মোদি

হাওড়ার ইছাপুরের এপিজি মেমোরিয়াল অ্যাসোসিয়েশনের ১৬তম বর্ষের পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার মহাষষ্ঠীর সকালে এই পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন প্রধানমন্ত্রীর এই ভার্চুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধন অনুষ্ঠান পুজো উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে সরাসরি দেখার ব্যবস্থা করা হয়। এদিন পুজো মন্ডপের বাইরে এবং ইছাপুর শিয়ালডাঙা চৌরাস্তা মোড়ে এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে উদ্বোধনের সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। তবে বৃষ্টির কারণে পুজো প্রাঙ্গনে সোশ্যাল ডিসট্যান্স মেনে দর্শকদের বসার ব্যবস্থা করা হয়। এদিন ক্লাব প্রাঙ্গনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু , বিজেপি নেতা মনোজ পান্ডে, জেলা সদর বিজেপির সভাপতি সুরজিৎ সাহা, সাধারণ সম্পাদক নবকুমার দে সহ দলের জেলার কর্মকর্তারা। এছাড়াও ৯৭২৭২৯৪২৯৪ এই নম্বরে মিসড কলের মাধ্যমে এর সরাসরি সম্প্রচার ঘরে বসেই সকলের জন্য দেখার ব্যবস্থা করা হয়। এদিন সকলকে দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। আরও পড়ুনঃ কবিগুরুর দুঃসময় কবিতাকে আশ্রয় করেই সেজে উঠেছে চেতলা অগ্রণীর মণ্ডপ এদিনের অনুষ্ঠান শেষে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, আজকে প্রথমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী বাঙালীর প্রধান উৎসবের সাথে যুক্ত হয়েছেন, এটা আপামর বাঙালির পক্ষে গর্বের বিষয়। তিনি আরো বলেন, মা দূর্গার হাতে অস্ত্র থাকবে না তা ঠিক নয়। তিনি অস্ত্রহীন দুর্গা ও মহরমের কারণে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন বন্ধ রাখা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করেন। এর সাথে আগামী নির্বাচন বা রাজনীতির কোন সম্পর্ক নেই বলেই জানান তিনি। এদিনের অনুষ্ঠান দেখতে বহু মানুষ জড়ো হন। মানুষের মধ্যে বিপুল আগ্রহ দেখা যায়।

অক্টোবর ২২, ২০২০
কলকাতা

একতার বার্তা দিয়ে ষষ্ঠীতে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করলেন নরেন্দ্র মোদি

প্রথমে আপনাদের সকলকে জানাই দুর্গাপুজো, কালীপূজো ও দীপাবলির আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বাংলার এই পবিত্র ভূমিতে সকলের মধ্যে আজ আমি আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। বাংলায় বিজেপির উদ্যোগে যে দুর্গাপুজো হচ্ছে ইজেডসিসিতে, সেই দুর্গাপুজোর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই পুজো পরিচালনা করছে বিজেপির মহিলা মোর্চা। ষষ্ঠীর দিন দুপুর বারোটায় দিল্লি থেকে এই পুজো্র উদ্বোধন করেন। এদিন উদ্বোধনের আগে মঞ্চে সংগীত পরিবেশন করেন বাবুল সুপ্রিয়। নৃ্ত্য পরিবেশন করেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর সম্প্রদায়। তিনি আরও বলেন, আমি আজ দিল্লিতে নয়, মা দুর্গার শক্তি এবং বাংলার মানুষের ভক্তি দেখে আমার মনে হচ্ছে যে আমি বাংলার পুণ্যভূমিতেই যেন আছি। বাংলার লোক আমাকে আজ ডেকেছে তাঁদের মধ্যে। মা দুর্গার পর্ব সারাদেশের এক একতার ও পূর্ণতার পর্ব। বাংলার মানুষ বরাবরই বুদ্ধিজীবী এবং দেশকে গর্বিত করে তুলেছে এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস আছে যে তারা ভারতকে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে । বাংলার দুর্গাপুজো ভারতকে পূর্ণতা ও রঙে ভরিয়ে তোলে। বাংলার ঐতিহাসিক সম্পদ এই পুজো। ভারতমাতার যে ছবি আমরা দেখি তা এই বাংলারই ছেলে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা। বাংলার মধ্যে একটা তাগিদ আছে, বাঙালিদের উৎসাহ দেশকে প্রগতির রাস্তা দেখিয়েছে। আগামী দিনেও দেশের গর্ব বৃদ্ধি করবে বাংলার মানুষ। মোদি বলেন , বাংলায় মা দুর্গাকে ঘরে ঘরে কন্যারূপে পুজো করা হয়। সেই জন্য সব কন্যাকেই দুর্গার মত সম্মান প্রদান করা দরকার। মা দুর্গার মত সকল মা চায় যে, আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে আর এটা তখনই সম্ভব যখন সকল চাষী বন্ধুরা আত্মনির্ভর হবে। মা দূর্গা সকলের মধ্যেই লক্ষী রূপে বিরাজ করেন।তাই সকলের জন্য নিঃস্বার্থভাবে, সম্পূর্ণ বিশ্বাসের সাথে কাজ করতে হবে। মা দুর্গা আর মা কালীর কাছে প্রার্থনা করি যেন আমরা প্রতি বছর এই ভাবে মায়ের পূজা আর সেবা করে যেতে পারি। মায়ের দেওয়া মাথায় কাপড় তুলে নেরে ভাই- স্বাধীনতা আন্দোলনে বিপ্লবীদের একত্রিত করেছিল। আমাদেরও একত্রিত হয়ে থাকতে হবে। আরও পড়ুনঃ ছাড়লেন এনডিএ , একুশে তৃণমূলের সঙ্গে জোট বেঁধে ভোট ময়দানে বিমল গুরুং তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে্র কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলার পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য, সংযোগ স্থাপনের উন্নতির জন্য লাগাতার কাজ করা হচ্ছে। কলকাতায় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডোর প্রকল্পের জন্যও সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মহিলাদের শক্তি বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। দেশের ২২ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়ানো হয়েছে। ১২ সপ্তাহ থেকে ২৬ সপ্তাহ করা হয়েছে। বেটি বাচাও বেটি পড়াও প্রকল্পে জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা, উজ্জ্বলা যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাংলায় কী কী কাজ হয়েছে, সেই পরিসংখ্যানও দেন তিনি। করোনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনার মধ্যে দুর্গাপুজো হচ্ছে। সকলে সংযতভাবেই পালন করছে। এটাই তো উচিত। আয়োজন সীমিত হোক, কিন্তু উৎসব অসীম। এটাই তো বাংলার পরিচয়, বাংলার চেতনা। এটাই আসল বাংলা। তবে আপনাদের সকলকে অনুরোধ আপনারা মাস্ক পরে, দূরত্ব বজায় রেখে নিয়ম পালন করুন নিষ্ঠা রেখেই।

অক্টোবর ২২, ২০২০
কলকাতা

পুলিশের প্রশংসা করে টুইট রাজ্যপালের

রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশের প্রশংসা করে বুধবার টুইট করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি এদিন তাঁর টুইটে লেখেন , সাহসী পুলিশকর্মীদের কুর্নিশ। তাঁরা যেভাবে পারিবারিক দায়িত্বকে তুচ্ছ প্রমাণ করে করোনার মতো মহামারী এবং আমফানের মতো প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে লড়াই চালাচ্ছে, তাঁদের নিঃস্বার্থ ত্যাগকে সম্মান জানাই। তবে টুইটের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের নিরপেক্ষতার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। প্রসঙ্গত , বিভিন্ন সময় টুইট করে রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন তিনি। এহেন রাজ্যপালেরই ফের পুলিশের প্রশংসা দেখে তাজ্জব প্রায় সকলেই।

অক্টোবর ২১, ২০২০
রাজ্য

মুখ্যমন্ত্রী হাইকোর্টের রায় বলবৎ হতে দেবেন কিনা , সন্দেহ আছে : অধীর

হাইকোর্টের রায়কে কতটা বাস্তবায়িত করবেন মুখ্যমন্ত্রী ও তার পুলিশ প্রশাসন , তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। বুধবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে নিজের ফেসবুক পেজে এমনই মন্তব্য করলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি আরও লেখেন, এই রায় বাস্তব রূপ তখনই পাবে যখন রাজ্যের আমলা পুলিশ এই আইনকে বলবৎ করার চেষ্টা করবে। মুখ্যমন্ত্রী হাইকোর্টের রায় রাজ্যে বলবৎ হতে দেবেন কিনা , তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ মানুষের জীবনের চেয়ে তার কাছে ভোটের অঙ্কটাই বড়। মুখ্যমন্ত্রীর সমালো্চনা করে আরও লেখেন , রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মানুষের ভোটের অঙ্কটাই বড়। তাই মহামারীর সময়েও যে টাকা মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবায় খরচ হতে পারতো , সেই বিপুল টাকা আগামী বছরের ভোটপুজোর জন্য ক্লাবগুলোকে দিলেন, সরকারি খাত থেকে।চিকিৎসার খরচ চালাতে না পেরে , বেডের অভাবে, চিকিৎসার অভাবে যেখানে প্রতিদিন রাজ্যে মানুষ মরছে। তিনি আরও বলেন , রাজ্য সরকার আসন্ন দুর্গোৎসবে মানুষের ভিড়ে সংক্রমণ কিভাবে আটকাবে তার কোনো পথ বাতলাতে পারেনি। আরও পড়ুনঃ হিঙ্গলগঞ্জের বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় তৃণমূল ও রাজ্য প্রশাসনকে তোপ দিলীপ, সায়ন্তনের রাজ্য সরকারের হাইকোর্ট কে বোঝানো উচিত ছিল পুজোয় ভিড়ে সংক্রমণ আটকাতে সরকার এই এই ব্যবস্থা নিয়েছে, কিন্তু সরকার তা বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে। উপরন্তু সরকার নিজেই স্বীকার করেছে করোনা গোষ্ঠী সংক্রমণ স্তরে চলে গেছে, এ অবস্থায় হাইকোর্ট এর কাছে এই বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণ বাঁচাতে আর কোনো পথ ছিল না। তিনি পশ্চিমবঙ্গবাসীদের অনুরোধ করেন , মনে রাখতে হবে উৎসবের থেকে জীবন আগে। আজকের উৎসবের আনন্দ আগামীকাল করোনার বিভীষিকায় না পরিণত হয়।

অক্টোবর ২১, ২০২০
রাজ্য

হিঙ্গলগঞ্জের বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় তৃণমূল ও রাজ্য প্রশাসনকে তোপ দিলীপ, সায়ন্তনের

তৃণমূল নেতা ও কর্মীদের মারধরের ফলে মারা গিয়েছেন বিজেপি নেতা রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল। এই অভিযোগ তুলে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর অভিযোগ, এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বিজেপি কার্যকর্তারা দলীয় কর্মীর দেহ আনতে গেলে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। অগণতান্ত্রিকভাবে মরদেহ নিয়ে চলে যায় পুলিশ। পুলিশের এই আচরণকে ধিক্কার জানিয়ে বসিরহাট জুড়ে তীব্র আন্দোলন ও পথ অবরোধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। প্রসঙ্গত , সো্মবার গভীর রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে মারা যায় বিজেপি কর্মী রবীন্দ্রনাথ মন্ডল (৫৩) । সে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জের বাসিন্দা। এই খুনের ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। আরও পড়ুনঃ করোনা সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে ১২৫ জায়গায় বৈদিক শান্তি যজ্ঞ ভারত সেবাশ্রমের জানা গেছে, বিজেপির কৃষি সুরক্ষা বিল ও আমফান দুর্নীতি নিয়ে যোগেশগঞ্জ এলাকায় একটি পথসভা হওয়ার কথা ছিল চলতি মাসের ১২ তারিখে। তবে বিশেষ কারণবশত, পুলিশি অনুমতি না পাওয়ায় ওই পথসভা বন্ধ হয়ে যায়। অভিযোগ, চলতি মাসের ১৩ তারিখে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সকালে বিজেপির দলীয় পতাকা ছিড়ে দিতে থাকে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের উপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। তাঁদের লোহার রড, ধারালো অস্ত্র, বাঁশ দিয়ে মারধর করে । এর ফলে ৫ জন বিজেপি কর্মী মারাত্মক জখম হয়। প্রথমে আহতদের যোগেশগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে তাঁদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে তাদের স্থানান্তরিত করা হয়। তার মধ্যে মঙ্গলচণ্ডী গ্রামের ২৩৪ নম্বর বুথের সহ সভাপতি বছর ৫৩-এর রবীন্দ্রনাথ মন্ডলকে মারাত্মক জখম অবস্থায় বসিরহাট জেলা হাসপাতাল থেকে কলকাতার এসএসকেএম-এ পাঠানো হয়। এরপর সোমবার রাতে কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনার জেরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের তরফ থেকে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। গোটা ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জড়িত বলে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃমমূল। এই ঘটনায় দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে বিজেপি কর্মীরা আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। হেমনগর কোস্টাল থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

অক্টোবর ২০, ২০২০
কলকাতা

রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে অ্যাম্বুল্যান্স ও বেডের পর্যাপ্ত ব্যবস্থার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্যে করোনার সংক্রমণ আরও বিপজ্জনক হতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদেরও। এই পরিস্থিতি সোমবার রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত বেডের ব্যবস্থা ও রাজ্যের নানা প্রান্তে পর্যাপ্ত সংখ্যায় অ্যাম্বুল্যান্স তৈরি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে পুজোর আগে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা হয়। ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, ডিজি, কলকাতা, হাওড়ার পুলিশ কমিশনার। এছাড়াও ছিলেন কলকাতা ও হাওড়া কর্পোরেশনের কমিশনার, বিপর্যয় মোকাবিলা এবং অন্যান্য দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। জেলাশাসক, পুলিশ সুপার-সহ অন্য প্রশাসনিক আধিকারিকরাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। আরও পড়ুনঃ বিভিন্ন দাবিতে ধর্মতলায় মিছিল বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের নবান্নের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে নিজে উপস্থিত না থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টেলিফোনে আরও একবার পুজোয় মাস্কের আবশ্যকতার কথাও উল্লেখ করেন। এছাড়া সকলে মাস্ক পরছেন কিনা সেদিকে পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের নজর রাখার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। তাছাড়া সকলকে পুজোয় ঠাকুর দেখার সময় মাস্ক (Mask) পরার কথাও বলেন তিনি। সকলে আদৌ মাস্ক পরছেন কিনা তা পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের সুনিশ্চিত করার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

অক্টোবর ১৯, ২০২০
রাজ্য

জেলা আদালত চালু না হওয়ায় হতাশ আলিপুরদুয়ারবাসী

২০১৮ সালে আলিপুরদুয়ারকে জেলা ঘোষণার পর জেলা প্রশাসনের সমস্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলে আধিকারিকদের নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু চালু হয়নি জেলা আদালত। আলিপুরদুয়ার বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুহৃদ মজুমদার জানান, জেলা ঘোষণার পর জেলা আদালত চালু করার জন্য মহকুমা শাসকের দপ্তরটিতে জেলা আদালতের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়। সাইনবোর্ডও লাগানো হয়। আরও পড়ুনঃ মিহির গোস্বামীকে নিয়ে বিশেষ মাথা ব্যথা নেই বিজেপিরঃ সায়ন্তন উচ্চ আদালতের প্রতিনিধি দল পরিদর্শণ করে জানায় যে এই পরিকাঠামো জেলা আদালত চালু করার জন্য সন্তোষজনক নয়। জেলা আদালত চালু করতে হলে নতুন ভবন নির্মাণ করতে হবে। সেই অনুযায়ী একটি সাততলা ভবনের প্ল্যান হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এর ফলে হতাশ আলিপুরদুয়ারবাসী।

অক্টোবর ১৮, ২০২০
রাজ্য

কয়েক দফা দাবিতে হাওড়া কর্পোরেশনে স্মারকলিপি প্রদান ডিওয়াইএফআইয়ের

হাওড়ায় পুর পরিষেবার হাল ফেরানো ও শূন্যপদে অবিলম্বে স্থায়ী নিয়োগের দাবি সহ কয়েক দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাওড়া কর্পোরেশন অভিযান করল বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। এদিন শতাধিক ডিওয়াইএফআই কর্মী- সমর্থক জেলা যুব কার্য্যালয়ের সামনে জমায়েত হন। সেখান থেকে মিছিল করে এসে পৌঁছন হাওড়া ময়দান চত্বরে। আরও পড়ুনঃ আমি ভালো আছি , মৃত্যুর গুজবে বিরক্ত হয়ে জানালেন রেজ্জাক সেখানে পুলিশ মিছিল আটকানোর চেষ্টা করলে ডিওয়াইএফআই কর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেড সরিয়ে পুরসভা ভবনের মূল গেটের সামনে চলে আসেন। সেখানে পুলিশ তাদের বাধা দিলে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। পুরসভার বন্ধ মূল ফটকে উঠে পড়েন কিছু সমর্থক। পরে ডিওয়াইএফআই -এর চার জনের এক প্রতিনিধি দল পুরসভায় এসে ডেপুটেশন জমা দেন।

অক্টোবর ১৫, ২০২০
কলকাতা

শহরের পুজো প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মণ্ডপ পরিদর্শন স্বয়ং নগরপালের

করোনা আবহে শহরের পুজোর প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে রাস্তায় নেমে পড়লেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা স্বয়ং। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ লালবাজার থেকে তিনি বের হন। সঙ্গে ছিলেন স্পেশাল কমিশনার জাভেদ শামিম।প্রথমে তিনি দেশপ্রিয় পার্ক-এর পুজো পরিদর্শন করেন। কথা বলেন পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের সঙ্গে। এদিন সব মিলিয়ে শহরের ছটি পুজোর প্রস্তুতি দেখবেন বলে তিনি ঠিক করেছেন। দেশপ্রিয় পার্ক থেকে তিনি সোজা চলে যান সুরুচি সঙ্ঘ। এরপর নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘ হয়ে কলেজ স্কোয়ার, মহম্মদ আলি পার্কে। আরও পড়ুনঃ ফের রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে কড়া চিঠি ধনকড়ের করোনার সময় কলকাতা পুলিশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অষ্টমীর অঞ্জলি, সন্ধিপূজা ও সিঁদুর খেলার সময় মণ্ডপে একসঙ্গে ১৫ থেকে ২৫ জনের বেশি যেন না থাকেন। এবিষয়ে এদিন পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে কথা বলেন নগরপাল। শুধু তাই নয়, প্রতিমা দর্শনের সময়ও যেন ৩০ থেকে ৫০ জনের বেশি মণ্ডপ প্রাঙ্গণে না থাকেন সেদিকটাতেও নজর রাখতে বলা হয়েছে। যদিও প্রতিটি মণ্ডপেরই আশপাশে পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকবে।

অক্টোবর ১৫, ২০২০
রাজ্য

দুর্গাপুজোর ‘গাইড ম্যাপে’র উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে মঙ্গলবার সুতাহাটার সুবর্ণজয়ন্তী ভবনে আয়োজিত সমন্বয় সভায় হাজির ছিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি দুর্গাপুজোর গাইড ম্যাপের উদ্বোধন করেন। পুজো কমিটিগুলোকে রাজ্য সরকারের ৫০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়। তিনি এদিন বলেন, পুজো উদ্যোক্তাদের সরকারি ১১ দফা নির্দেশাবলী মেনে চলা কাম্য। পুজোর সময় সকলকে তিনি সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলতে বলেন। এছাড়াও মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করার নির্দেশ দেন। জেলাতে মৃত্যুর হার রাজ্য ও দেশের তুলনায় অনেক কম। সুস্থতার হার এ রাজ্যে দেশের তুলনায় অনেক বেশি। আরও পড়ুনঃ রাজ্যে ৩ লক্ষ ছাড়িয়ে গেল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আমি নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলাম। বিধি মেনে ১৭ দিন পর এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছি। প্রসঙ্গত , দিন কয়েক আগে করোনা মুক্ত হয়ে শুভেন্দু অধিকারী যান তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে পুজো দিতে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী, জেলাশাসক পার্থ ঘোষ, পুলিশ সুপার সুনীল কুমার যাদব প্রমুখ।

অক্টোবর ১৪, ২০২০
কলকাতা

এবার ভার্চুয়ালি পুজো উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী

এবার কোভিড বদলে দিয়েছে সবকিছুই। তাই এবার সব পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন হবে নবান্ন থেকে। সোমবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী , আগামী ১৬ অক্টোবর উত্তর কলকাতার প্রতিমা ভার্চুয়ালি উদ্বোধন হবে। তার পরেরদিন অর্থাৎ ১৭ অক্টোবর দক্ষিণ কলকাতা এবং ১৮ অক্টোবর বেহালা ও যাদবপুরের প্রতিমা ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করা হবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন করোনা সংক্রমণ বাড়ছে,সংক্রমণ আটকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। পুজো প্যান্ডেলে যাওয়ার সময় মাস্ক পরুন। আরও পড়ুন ঃ বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড , পুড়ে ছাই প্লাস্টিক কারখানা তাঁর কথায় , প্রচুর মানুষ এই সময় কাজ হারিয়েছেন। অনেকেই আট মাস বাড়িতে বসে বসে ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছেন। তাই পুজো উপভোগ করুন। কিন্তু, বাড়ি থেকে বেরোবেন না। কোভিড প্রটোকল মেনে চলার জন্যও আবেদন করেন তিনি। মাইকে গানের পাশাপাশি কোভিড সতর্কতা জারির কথাও বলেছেন তিনি। পুজো কমিটিগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, মাস্ক না পরলে প্যান্ডেলে ঢুকতে দেবেন না। প্রয়োজনে প্যান্ডেলে ঢোকার সময় স্যানিটাইজার, মাস্ক দিন। ব্যবস্থাপনা দেখে বিশ্ববাংলা শারদ সম্মানে অতিরিক্ত পয়েন্ট দেওয়া হবে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, দিল্লিতে একটা পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে, অন্য রাজ্য তো দেয়ইনি, আমি কিন্তু দিলাম। বাংলায় পুজো হবে, কিন্তু সংক্রমণও আটকাতে হবে।

অক্টোবর ১২, ২০২০
কলকাতা

কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ, আটক ৩

মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে আটক বিজেপির তিন মহিলা কর্মী। জয় শ্রীরাম স্লোগানও তারা দিতে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিত পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ধরপাকড় শুরু করে দেয়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে বিক্ষোভে বসেন বিজেপি মহিলা মোর্চার সমর্থকরা। আরও পড়ুনঃ বর্তমান শিক্ষার হালহকিকত নিয়ে বিকল্প ইস্তেহার প্রকাশ এসএফআইয়ের বিক্ষোভকারীরা কালীঘাট মন্দিরে যাওযার দিকের রাস্তা দিয়ে ঢোকেন বলেই পুলিশ সূ্ত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে।এরপর বড় রাস্তার ওপরেই প্ল্যাকার্ড হাতে বসে পড়েন, তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ এসে তিন বিক্ষোভকারীকে সরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় ইতিমধ্যেই প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অক্টোবর ০৮, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

জলমগ্ন একাধিক গ্রাম, জল ছাড়ছে ডিভিসি, দুর্গাপুর ব্য়ারেজ পরিদর্শন সেচমন্ত্রীর

দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে মঙ্গলবার থেকে ভারি বৃষ্টিপাত চলছে। পাঞ্চেত, মাইথন থেকে জল ছাড়ার পরে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকেও যথারীতি জল ছাড়া শুরু হয়েছে। আজ, শুক্রবার ৪৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন। সেচমন্ত্রী মানস ভুইয়া দুর্গাপুর ব্যারাজের সংস্কারের কাজের পর চালু ব্যারাজ রাস্তা পরিদর্শনে আসেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। বর্ষা এসে গিয়েছে। ফলে বাকি যেসব কাজ রয়েছে তা বর্ষার পরেই শুরু হবে।দুর্গাপুর ব্যারাজের পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেচমন্ত্রী বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছাকৃত বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বারবার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের যে দায়িত্ব রয়েছে তা পালন করছে না এবং রাজ্যের হকের টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। তাই ড্রেজিং করা সম্ভব হচ্ছে না। রাজ্য ও ডিভিসির মধ্যে বারবার জল ছাড়া নিয়ে যে বিতর্ক দেখা দেয় তা নিয়ে কোন মন্তব্য না করে সেচমন্ত্রী বলেন, এই মুহুর্তে এই বিতর্কে যাব না। ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। মাঝে ছয় দিন প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল বলে কাজে কিছু অসুবিধা দেখা দিয়েছিল। তবু কাজ ৪৫ দিনের মধ্যেই শেষ করা গিয়েছে। হায়দ্রাবাদ থেকে রাবার সিল আসছে তা দিয়ে কাজ করা হবে।সেচমন্ত্রী বলেন, দেড় মাস দুর্গাপুর ব্যারাজে জল ধরে রাখা হয়। এরপরে দুর্গাপুর, মাইথন ও পাঞ্চেত নিয়ে একটি সেল গঠন করা হয়েছে এবং মনিটরিং করা হচ্ছে জল ছাড়া নিয়ে যেন মানুষের ক্ষতি না হয়। সেচমন্ত্রী বলেন, প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে এবং বিভিন্ন জেলা এবং ঝাড়খণ্ডের জল নামছে ফলে সমস্ত বিষয়ের উপরে নজর রাখা হয়েছে।তেনুঘাট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেচমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী, সেচ দপ্তরের কর্তারা এবং আমি নিজে বারবার কথা বলেছি। তেনুঘাটকে নিয়ন্ত্রণে রেখে অপারেট করা যায়।সেচমন্ত্রী একাধিকবার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং সেচ দপ্তর মাইথন, পাঞ্চেত এবং দুর্গাপুর ব্যারাজের জল ছাড়া নিয়ে নজর রেখেছেন । আজ ৪১ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। বন্যার যন্ত্রণা যাতে পেতে না হয় তার প্রতি সজাগ রয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা এবং আজ বাঁকুড়ায় আসছেন পরিস্থিতি নিয়ে আলচনা করতে। রাস্তার বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, পি ডাব্লু ডিকে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বৃষ্টি কমলেই।সেচমন্ত্রী ব্যারাজগুলির গভীরতা কমে যাওয়ার জন্য কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা না দেওয়ার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ১২ বছর ধরে কেন্দ্রের জলসম্পদ দপ্তর, প্রধানমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার দেখছি দেখছি করে পার করে দিচ্ছে কিন্তু রাজ্যের হকের টাকা দিচ্ছে না। সেচমন্ত্রী বিজেপি সরকারের বাংলাকে বঞ্চনা করার কথা তুলে ধরেন। বন্যার প্রসঙ্গে সেচমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রার্থনা করছি যেন বন্যার মুখে পড়তে না হয় কিন্তু দেড় মাস জল ধরে রাখা হয় আর তারপরে রয়েছে প্রচন্ড বৃষ্টি, ফলে জলের চাপ বাড়ছে, সেদিকেই নজর রাখতে হচ্ছে।দুর্গাপুর ব্যারাজের এক নম্বর গেটে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে । সাংবাদিকেরা এ নিয়ে সেচমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সেচমন্ত্রী বলেন, সব দিক নজরে রাখা হয়েছে, সংস্কার হবে। তিনি এরপরে আবার বলেন, কেন্দ্রিয় সরকারের কাছ হতে এক কানা কড়ির সাহায্য পাইনি। মুখ্যমন্ত্রী নিজের রাজ্যের কোষাগার থেকেই খরচ করে কাজ করছেন। তিনি এরপরেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন কিভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সীমিত আর্থিক ক্ষমতায় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার পরেও কাজ করে চলেছেন। সেচমন্ত্রী জোড়ের সাথে বলেন, একটা নয়া পয়সা কেন্দ্রের সরকার দেয় নি। তবু একের পর এক কাজ হচ্ছে এবং এটাও করা হবে।

জুন ২০, ২০২৫
রাজ্য

সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা পুরুলিয়ায়, মৃত্যু মিছিল

সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৯ জনের ৷ পুরুলিয়ায় ১৮ নম্বর জাতীয় সড়কের নামশোল এলাকায় আজ, শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি বোলেরোর সংঘর্ষে ঘটে। তার ফলেই জেরেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ৷ গাড়িতে থাকা ৯ জনেরই প্রাণ গিয়েছে ৷ এরা সকলেই ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা। বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরছিলেন বলে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার সকালে পুরুলিয়ার দিক থেকে চারচাকা বোলেরো গাড়িটি বলরামপুরের অভিমুখে যাচ্ছিল। সেই সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাককে সরাসরি ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বলরামপুর থানার পুলিশ। প্রথমে জখম সকলকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাঁশগড় ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় পুলিশ। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহতদের সকলকেই ঘোষণা করেন।

জুন ২০, ২০২৫
রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal