• ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bangladesh

কলকাতা

রোহিঙ্গা ভোটার নিয়ে বিজেপির দাবি ভুয়ো? কমিশনের নাম করে পাল্টা অভিষেক

অনুপ্রবেশকারী ভোটার ইস্যুতে ফের বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, বিজেপির তোলা অভিযোগ নির্বাচন কমিশন নিজেই খারিজ করে দিয়েছে। বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ভোটার তালিকার সামারি রিভিশন বা এসএসআর প্রক্রিয়ায় সাধারণত দেড় থেকে দুই শতাংশ মৃত ভোটারের নাম বাদ যায়, এটা নতুন কিছু নয়।অভিষেকের বক্তব্য, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ক্লেম অ্যান্ড অবজেকশন পর্ব শেষ হওয়ার পরে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তখনই স্পষ্ট হবে কার নাম থাকছে আর কার নাম বাদ যাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি যে এক কোটি বা দেড় কোটি রোহিঙ্গা ভোটারের গল্প ছড়াচ্ছে, তা নির্বাচন কমিশনই নাকচ করে দিয়েছে।তিনি আরও বলেন, যদি সত্যিই কোথাও অনুপ্রবেশকারী বা রোহিঙ্গা ভোটার থাকে, বিজেপি সেই তালিকা প্রকাশ করুক। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, দেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব যাঁর হাতে, সেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তাঁর অধীনে থাকা বিএসএফ ও সিআরপিএফ তখন কী করছিল? সীমান্তে নজরদারি যদি ঠিকমতো হয়, তা হলে এত অনুপ্রবেশ ঘটছে কীভাবে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।অনুপ্রবেশ ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই সরব। বিজেপির দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে দেশছাড়া করা হবে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকায় এমন ছবি সামনে এসেছে, যেখানে একাধিক বাংলাদেশি নাগরিককে বাক্স-প্যাটরা নিয়ে সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা বিএসএফ-এর অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।এই আবহেই এসআইআর-এর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেই তালিকা থেকে প্রায় ৫৪ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশি জাহাজের ধাক্কা! ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে মিলল দুই মৎস্যজীবীর দেহ

বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষের পর গভীর সমুদ্রে ডুবে যাওয়া মৎস্যজীবীদের ট্রলার থেকে মিলল আরও দুজনের দেহ। নামখানার উপকূলে টেনে আনা দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলার থেকে ভোররাতে উদ্ধার হয় নিখোঁজ দুই মৎস্যজীবীর দেহ। তাঁদের নাম রঞ্জন দাস ও সঞ্জীব দাস। এখনও তিন জন মৎস্যজীবীর কোনও খোঁজ মেলেনি। তাঁদের নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে।উদ্ধার হওয়া দেহ দুটি পাওয়া গিয়েছে ট্রলার এফবি পারমিতা-১১-এর কেবিনের ভিতর থেকে। মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃত রঞ্জন দাসের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে। সঞ্জীব দাস কাকদ্বীপের বাসিন্দা। ট্রলারের কেবিনে আর কোনও নিখোঁজ মৎস্যজীবী আটকে রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হলেও আর কোনও দেহ পাওয়া যায়নি।গত রবিবার ১৬ জন মৎস্যজীবী নিয়ে ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলসীমানার কাছে আচমকাই ট্রলারটি ডুবে যায়। সেই সময় ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং আশপাশের অন্য ট্রলারের মৎস্যজীবীদের তৎপরতায় ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়।উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, একটি বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজ ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের ট্রলারে ধাক্কা মারে এবং তারপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। যদিও এই অভিযোগ বাংলাদেশ নৌসেনার পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে।দুর্ঘটনার পর পাঁচ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের খোঁজে গতকাল গভীর রাতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে নামখানার উপকূলে টেনে আনা হয়। সেখান থেকেই এদিন উদ্ধার হয় দুজনের দেহ। প্রিয়জনের দেহ ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতদের পরিবার। এখনও নিখোঁজ তিন মৎস্যজীবীর খোঁজে দ্রুত তল্লাশির দাবি জানিয়েছেন তাঁদের পরিজনরা।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
দেশ

বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি! ওড়িশায় বর্ধমানের চার যুবককে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেনস্তা

ওড়িশায় ফুলগাছের চারা বিক্রি করতে গিয়ে অপমান ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর চার যুবক। অভিযোগ, বাংলা ভাষায় কথা বলার কারণে তাঁদের বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্কে পরিবারগুলি।পাণ্ডবপাড়ার বাসিন্দা সাহাবুদ্দিন শেখ, বাপন শেখ, সাগর শেখ ও শাহজাহান শেখ নিয়মিত ভিনরাজ্যে গিয়ে ফুলগাছের চারা বিক্রি করেন। এ বার ওড়িশার খুরদা রোডে পৌঁছতেই বিপত্তি। স্থানীয় কিছু লোক বাংলায় কথা বলতে শুনেই তাঁদের বাংলাদেশি বলে দাবি করে। চারজনের কাছেই বৈধ পরিচয়পত্র থাকলেও তাতে কর্ণপাত হয়নি। অভিযোগ, তাঁদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেব, এমন হুমকিও দেওয়া হয়।সাহাবুদ্দিনের ভাই সিরু শেখ বলেন, পুলিশ তাঁদের থানায় নিয়ে যাওয়ার পর সেখানকার বিজেপি-সমর্থক কয়েকজন চেপে ধরে দাদাদের নিজেদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করতে থাকে। প্রচণ্ড হেনস্তা করা হয়।এই খবর পূর্বস্থলী পৌঁছতেই তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় স্থানীয় থানার মাধ্যমে খুরদা রোড থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপরেই যুবকদের মুক্তি মেলে। বিধায়ক বলেন, বাঙালি দেখলেই বিজেপির নেতৃত্বে হেনস্তা করা হচ্ছে। যোগাযোগ করে ওদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে।ঘটনার পর ভিনরাজ্যে যেতে ভয় পাচ্ছেন এখানকার চারা বিক্রেতারা। নার্সারি মালিকদের বক্তব্য, ওড়িশায় ফুলের চারা ভালো বিক্রি হয়। কিন্তু এ ঘটনার পর কেউ আর যেতে রাজি নন। ফুলচাষি হেকমত আলি খাঁ বলেন, বাংলা বললেই অপমান। তাই বিজেপি-শাসিত রাজ্যে যেতে ভয় লাগছে। এতে আমাদের বড় সমস্যা তৈরি হচ্ছে।যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব বলছে, অভিযোগ সত্যি কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তাঁদের দাবি, এমন ঘটনা সম্পর্কে কোনও তথ্য তাঁদের কাছে নেই।

ডিসেম্বর ১২, ২০২৫
বিদেশ

এক রাতেই দূতাবাসে উধাও রাষ্ট্রপতির ছবি! সাহাবুদ্দিনের বিস্ফোরক অভিযোগ—‘আমাকে কোণঠাসা করা হয়েছে’

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তাল। অপমান সহ্য করতে না পেরে নিজের পদ ছেড়ে দিতে চাইছেন দেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পরই তিনি ইস্তফা দিতে চান বলে জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস তাঁকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করেছেন এবং কোণঠাসা করে রেখেছেন।রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, তিনি দায়িত্ব পালন করছেন শুধুমাত্র সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে। কিন্তু তিনি পদ ছাড়তে আগ্রহী। তাঁর কথায়, গত সাত মাসে ইউনূস একবারও তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি। রাষ্ট্রপতির জনসংযোগ বিভাগও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বড় অপমান, গত সেপ্টেম্বর হঠাৎই বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস ও কনস্যুলেট থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়।সাহাবুদ্দিন বলেন, এক রাতেই সব দূতাবাস থেকে আমার ছবি উধাও হয়ে গেল। মানুষ ভুল বার্তা পেল যে হয়তো রাষ্ট্রপতিকে সরানো হচ্ছে। এটা ভীষণ অপমানের। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি লিখিতভাবে জানালেও ইউনূস কোনও ব্যবস্থা নেননি। তাঁর অভিযোগ, তাঁর কণ্ঠরোধ করা হয়েছে।২০২৩ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতির পদে আসেন সাহাবুদ্দিন। যদিও এই পদটি মূলত প্রতীকী, প্রকৃত ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার হাতে। কিন্তু ২০২৪ সালের ছাত্র-গণ অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর, রাষ্ট্রপতিই ছিলেন একমাত্র সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকেই ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে তাঁকে পাশ কাটানোর অভিযোগ উঠছে।তবে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। সেনাপ্রধান স্পষ্ট বলেছেন, তাঁর সামরিক ক্ষমতা নেওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই। বরং তিনি চান দেশে গণতন্ত্র ফিরুক।বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই বক্তব্য যে নতুন ঝড় তুলেছে, তা বলাই যায়।

ডিসেম্বর ১২, ২০২৫
রাজ্য

তিন থেকে চার বছর ধরে লক্ষীর ভাণ্ডারের সুবিধা! এবার বাক্সবন্দি সংসার নিয়ে বাংলাদেশে ফেরার পালা

ব্যাগে বন্দি গোটা সংসার। আর দুচোখে আতঙ্ক। SIR শুরু হওয়ার পর থেকেই এই দৃশ্য বারবার দেখা গিয়েছে সীমান্তে। বৃহস্পতিবার ছিল SIR-এর ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ দিন, আর সেই দিনও বদলাল না স্বরূপনগরের হাকিমপুর সীমান্তের ছবি। আবারও দেখা গেল বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার হুড়োহুড়ি।বাংলাদেশের বাসিন্দা সামাদ গাজি ৩৪ বছর আগে ভারতে ঢুকেছিলেন ধামাখালি দিয়ে। আগে নোংরা কুড়ানোর কাজ করতেন, পরে কাঁটাতার টপকে চলে আসেন এ দেশে। এবার SIRএর আতঙ্কে তিনি ফিরছেন নিজের দেশে। তাঁর মতোই সীমান্তে ভিড় করেছেন আরও অনেকে।স্বরূপনগরেরই আরেক অনুপ্রবেশকারী মহম্মদ মইদুল শেখ তিন বছর আগে এসেছিলেন কাজের খোঁজে। ভাঙাচোরা কাজ, মাটি খোঁড়াএইসব কাজেই দিন চলত। মাঝেমধ্যেই ধরপাকড় হওয়ায় তাঁর বাবা দেশে ফিরে যান। মইদুল বললেন, এখানে আর একা কী করব? তাই আমিও ফিরে যাচ্ছি।এর আগে এই সীমান্তেই বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি জানিয়েছিলেন, তাঁদের কাছে আধার কার্ড আছে। কেউ কেউ আবার নিজেই স্বীকার করেছিলেন যে তাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সাহায্যও পেয়েছেন। যেমন বাংলাদেশ থেকে আসা রোকেয়া বিবি জানিয়েছেন, তিন-চার বছর ধরে তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন। দুয়ারে সরকার-এর ক্যাম্পে গিয়ে নাকি তাঁর নাম করে দেওয়া হয়েছিল।আরেক বাংলাদেশি, আনোয়ারা বিবি জানিয়েছেন, তিনি দুই-তিন বার ভোটও দিয়েছেন। স্বরূপনগরে অপেক্ষায় থাকা আল আমিন মোল্লা বলেন, তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর আধার কার্ডও ছিল। যাওয়ার সময় নাকি নিউটাউনে দিয়ে এসেছেন।আট দিন মিলিয়ে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলেছে SIR-এর ফর্ম জমা। বৃহস্পতিবার, শেষ দিনেও হাকিমপুর সীমান্তে দেখা গেল একই আতঙ্কদেশ ছাড়তে মরিয়া অনুপ্রবেশকারীদের লম্বা লাইন এবং পরপর পাওয়া স্বীকারোক্তি।

ডিসেম্বর ১২, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানোর পর অবশেষে দেশে ফেরা! অন্তঃসত্ত্বা সোনালির বিস্ফোরক অভিযোগ দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে

বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়ে অবশেষে নিজের দেশে ফিরলেন মালদহের অন্তঃসত্ত্বা সোনালি খাতুন এবং তাঁর আট বছরের ছেলে। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে থাকা স্বামী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা এখনও বাংলাদেশেই আটকে রয়েছেন। দেশে ফিরেই সোনালি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, বাংলাদেশে আট মাসেরও বেশি সময় তাঁরা চরম কষ্টে ছিলেন এবং দিল্লি পুলিশের হাতে অমানবিক অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। তাঁর কথায়, আমরা বহুবার অনুরোধ করেছিলাম। তবুও বিএসএফ দিয়ে আমাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হল।সোনালি এখনও আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেননি। জানিয়েছেন, আর কোনওদিনও দিল্লি ফিরতে চান না। স্বামী-সহ বাকিরা ফিরতে না পারায় দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সোনালির পরিবারের বাকি সদস্যদেরও দ্রুত ভারতে ফিরিয়ে আনা উচিত।উল্লেখ্য, কাজের খোঁজে দিল্লিতে গিয়েছিলেন বীরভূমের পাইকর এলাকার সোনালি বিবি ও সুইটি বিবিদের পরিবার। অভিযোগ, তাঁদের কাছে বৈধ ভারতীয় নথি থাকা সত্ত্বেও ১৭ জুন দিল্লি পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। কারণতাঁরা বাংলা ভাষায় কথা বলছিলেন, এবং সেই কারণেই তাঁদের বাংলাদেশি বলে সন্দেহ করা হয়। ঠিক সেই সন্দেহের জেরেই ২৬ জুন ছজনকে অসম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হয়।সেই সময় সোনালি ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা। বাংলাদেশে ঢোকার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ তাঁদের অনুপ্রবেশকারী বলে ধরে এবং মামলা রুজু করে। একশোরও বেশি দিন তাঁরা স্থানীয় সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন। অবশেষে সোমবার ওই মামলায় জামিন পান সকলেই।ঘটনা পৌঁছে যায় সুপ্রিম কোর্টে। আদালত স্পষ্ট জানায়, যেহেতু অন্তঃসত্ত্বা সোনালিকে দিল্লি থেকেই তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাই তাঁকে ও তাঁর সন্তানকে দেশে ফিরিয়ে আনতেই হবে। সরকারের পক্ষ থেকে আইনজীবী কপিল সিব্বাল ও সঞ্জয় হেগড়ে আরও জানান, সোনালির স্বামী ও পরিবারের সদস্যরাও বাংলাদেশে রয়েছেনতাঁদেরও ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা জরুরি। সিলিসিটর জেনারেল এ বিষয়ে আলাদা নির্দেশ চাইতে পারেন বলেও উল্লেখ করেন। তবে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তুষার মেহতা দাবি করেন, সোনালি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশি, মানবিক কারণেই শুধু সোনালি ও তাঁর ছেলেকে দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এখনও জটিলই রয়ে গিয়েছে। সোনালি দেশে ফিরলেও তাঁর স্বামী ও পরিবার কবে ফিরবেন, সেই দুশ্চিন্তা আরও বাড়ছে।

ডিসেম্বর ০৬, ২০২৫
দেশ

উত্তর প্রদেশে বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা ঢোকার আশঙ্কা! রাতারাতি অ্যাকশন যোগী প্রশাসনের

উত্তর প্রদেশে যাতে কোনও বাংলাদেশি বা রোহিঙ্গা ঢুকতে না পারে, সেই লক্ষ্যেই আরও কঠোর পদক্ষেপ নিল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। কেন্দ্রীয়ভাবে ভোটার তালিকার পরিমার্জন চললেও, একই সঙ্গে রাজ্যে অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করতে আলাদা নির্দেশিকা জারি করেছে প্রশাসন। কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী সব জেলার প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবার সেই নির্দেশের ভিত্তিতেই জেলাস্তরে শুরু হয়েছে অভিযান।প্রশাসন জানিয়েছে, এই বাংলাদেশি উচ্ছেদ অভিযানে কোনও আবেগের জায়গা নেই। সরকারের বিবৃতিতে পরিষ্কার বলা হয়েছে, এটি জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়, যেখানে কোনও ছাড় দেওয়া যাবে না। আরও জানানো হয়েছে, সংগঠিত বাংলাদেশি চক্রের খোঁজ মিলেছে এবং রাজ্যের নানা জেলায় বহু বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যেই অনেককে আটক করেছে এটিএস।তবে এখানেই অভিযান শেষ নয়। যোগী সরকারের বক্তব্য, রাজ্যের সর্বস্তর থেকে এই চক্রগুলিকে নির্মূল করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতেও কোনও অনুপ্রবেশকারী সংগঠিত হয়ে উঠতে না পারে।সম্প্রতি অনুপ্রবেশ রুখতে ডিটেনশন সেন্টার তৈরির ঘোষণাও করেছে উত্তর প্রদেশ সরকার। ধরা পড়লেই বিদেশি নাগরিকদের রাখা হবে এই ক্যাম্পে। এই বিষয়ে সব জেলার জেলাশাসকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ আটকাতে নতুন করে কড়াকড়ি চালু হলেও, এসআইআর-এর কাজের ক্ষেত্রে উত্তর প্রদেশ এখনও যথেষ্ট পিছিয়ে রয়েছে এমনটাই মনে করছেন অনেকে।

ডিসেম্বর ০৬, ২০২৫
বিদেশ

‘ভারত না ভাঙলে শান্তি নেই’— বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনা কর্তার মন্তব্যে নতু করে চাঞ্চল্য

ভারত ভেঙে টুকরো টুকরো না হলে বাংলাদেশে কখনও পুরোপুরি শান্তি আসবে নাএমনই উসকানিমূলক মন্তব্য করে তীব্র বিতর্কে জড়ালেন বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাকর্তা আবদুললাহি আমান আজমি। তিনি এক সময় অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ছিলেন। তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা।সম্প্রতি তিনি ঢাকা প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, ভারত নাকি বরাবরই Bangladesh-এর ভিতরে অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি করেছে। তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অশান্তি হয়েছিল, তার জন্যও তিনি সরাসরি ভারতকে য়ী করেন।প্রাক্তন এই সেনাকর্তার আরও অভিযোগ, শেখ মুজিবর রহমান সরকারের সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি গঠিত হয়েছিল। তাদের সশস্ত্র শাখা শান্তি বাহিনীকে ভারত আশ্রয়, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, সেই কারণেই ওই দীর্ঘ সময় জুড়ে পাহাড়ি এলাকায় রক্তপাত চলেছিল।জানা গিয়েছে, আবদুল্লাহিল আমান আজমি বরাবরই ভারতবিরোধী মন্তব্যের জন্য পরিচিত। সমাজমাধ্যমেও তিনি নিয়মিত ভারতবিরোধী পোস্ট করেন। তাঁর এই বিতর্কিত বক্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক ধীরে ধীরে আবার স্বাভাবিক হওয়ার পথে।উল্লেখ্য, তিনি প্রয়াত জামাত প্রধান গুলাম আজমের ছেলে। গুলাম আজম ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
রাজ্য

SIR-এর আতঙ্কের মাঝেই বড় স্বস্তি! নদিয়ায় বাংলাদেশি দম্পতির হাতে ভারতীয় নাগরিকত্ব

কেন্দ্র সরকার আগেই জানিয়েছিল, বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম শরণার্থী ছাড়া হিন্দু-সহ অন্যান্য ধর্মের শরণার্থীরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলে নাগরিকত্ব পাবেন। ভোটার তালিকার বিশেষ পরিমার্জন বা SIR ঘিরে যখন রাজ্য জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ, ঠিক সেই সময় নদিয়ার রানাঘাটে এক বাংলাদেশি দম্পতির হাতে এসে পৌঁছল ভারতীয় নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট। তা পেয়ে স্বস্তিতে বুক ভরেছে তাঁদের।নদিয়ার তাহেরপুর থানার কামগাছি জয়পুর এলাকার বাসিন্দা লাতুরাম সিকদার ও তাঁর স্ত্রী পদ্ম সিকদার কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন। লাতুরাম বাংলাদেশের সনাতনপুরে থাকতেন, আর পদ্ম থাকতেন পন্ডিতপুর এলাকায়। কট্টরপন্থীদের অত্যাচারের ভয়ে তাঁরা সীমান্ত পেরিয়ে নদিয়ায় চলে এসে বসবাস শুরু করেন। তাঁদের কাছে আগে থেকেই আধার কার্ড ছিল।চলতি বছরে বাংলায় SIR শুরু হলে তাঁরা চিন্তায় পড়ে যান, কারণ ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম ছিল না। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা Citizenship Amendment Act অনুযায়ী ক্যাম্পে গিয়ে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। তাঁরা ১০ অক্টোবর আবেদন করেছিলেন এবং ১৯ নভেম্বর হাতে পান নাগরিকত্বের শংসাপত্র।নাগরিকত্ব পেয়ে পদ্ম সিকদার বলেন, তাঁরা খুব খুশি এবং কেন্দ্র যে পদ্ধতিতে আবেদন করতে বলেছে, সকলকে সেই নিয়ম মেনে আবেদন করার অনুরোধ জানান। লাতুরাম সিকদার বলেন, তাঁরা এক কাপড়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে এসেছিলেন প্রায় ৩৫-৩৬ বছর আগে। এখানেই বড় হয়েছেন, এখানেই তাঁদের সংসার। SIR শুরু হওয়ার পর ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিলেন, তবে কেন্দ্রীয় সরকার যে আশ্বাস দিয়েছিল, সেই অনুযায়ী আবেদন করেই তাঁরা নাগরিকত্ব পেয়ে গেলেন। এখন ভোট দেওয়ার অধিকারও পেলেন তাঁরা।এই বিষয়ে রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চ্যাটার্জি বলেন, শুরু থেকেই তাঁরা জানিয়েছিলেন আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এই দম্পতি নাগরিকত্ব পেয়েছেন, ভবিষ্যতে যাঁরা আবেদন করবেন, তাঁরাও নাগরিকত্ব পাবেন।উল্লেখ্য, এর আগেও জঙ্গি হামলায় নিহত বিতান অধিকারীর স্ত্রী ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। নদিয়ার এই দম্পতির নাগরিকত্ব পাওয়ার ঘটনায় নতুন করে আশা দেখছেন অনেক শরণার্থী পরিবার।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
রাজ্য

২০০২ সালের মৃত ভোটারের ফর্মে নিজের নাম তুলতে গিয়ে গ্রেফতার বাংলাদেশী যুবক

হুগলির ডানকুনি পৌরসভার মাথুরডাঙি এলাকায় প্রকাশ্যে ধরা পড়ল ভোটার তালিকায় ভয়ঙ্কর গণ্ডগোলের ঘটনা। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম থাকা মৃত ব্যক্তি মহসিন খানের এনুমারেশন ফর্ম ব্যবহার করে নিজের নাম তালিকায় তুলতে চেয়েছেন বাংলাদেশি যুবক নাদিম। ২০১৫ সালে মারা যাওয়া মহসিন খানের ফর্ম নিয়েই ভোটার কার্ড বানানোর চেষ্টা এবং এসআইআর প্রক্রিয়ায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করেন নাদিম। ঘটনার সত্যতা জেনে মহসিন খানের আত্মীয় মইদুল খান নাদিমকে স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে তুলে দেন।বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে নাদিমকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। নাদিম দাবি করেছেন, তিনি ১৫ বছর ধরে ডানকুনিতে বসবাস করছেন। চার হাজার টাকার বিনিময়ে মৃত মহসিন খানের এনুমারেশন ফর্ম সংগ্রহ করে নিজে ছবি লাগিয়ে জমা দিয়েছেন। বর্তমানে পুলিশ এফআইআর দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তারা খুঁজছে, এই কেলেঙ্কারিতে আর কারা জড়িত এবং কীভাবে মৃত ব্যক্তির ভোটার কার্ড ব্যবহার করে এসআইআর তালিকায় নাম তোলার চেষ্টা করা হয়েছিল।এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে রীতিমতো ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ভোটার তালিকায় অনৈতিক হস্তক্ষেপ, বিদেশি নাগরিকদের হস্তক্ষেপ এবং রাজনৈতিক প্রভাবের অভিযোগ উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গে ফের ভোট সংক্রান্ত এ ধরনের প্র্যাকটিস নতুন রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

নভেম্বর ২৭, ২০২৫
বিদেশ

সজীব-পুতুলও দণ্ডিত! তিন মামলায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে জেল

ঢাকার আদালত বুধবার একটি চাঞ্চল্যকর রায় ঘোষণা করে। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির তিনটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ২১ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। প্রতিটি মামলায় তাঁকে ৭ বছর করে সাজা দেওয়া হয়েছে। একই মামলায় তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া তাঁর কন্যা সায়েমা ওয়াজেদ পুতুলও একটি মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করবেন।এই তিন মামলায় মোট ৪৭ জনকে আসামি করা হলেও ব্যক্তি হিসেবে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩। এই তালিকায় শুধু শেখ হাসিনা, জয় ও পুতুলই নয়, রয়েছেন হাসিনার শাসনকালের বিভিন্ন মন্ত্রী ও আমলারা। প্রাক্তন গৃহ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এবং গৃহ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সহকারী সচিব পূরবী গোলদারও এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।মামলার সূত্র অনুযায়ী, ঢাকার পূর্বাচলের নতুন শহর প্রকল্পের প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি এবং সম্পদের অবৈধ ব্যবহারই মূল অভিযোগ। এছাড়া দেশ ছাড়ার পরও নানা গুরুতর অভিযোগের মুখে পড়েছেন শেখ হাসিনা। এর মধ্যে রয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র আন্দোলনের ওপর গুলি চালানো, মানবতাবিরোধী কার্যকলাপ এবং আয়নাঘর সংক্রান্ত দুর্নীতি। কিছু অভিযোগে তথ্য গোপন করে কর ফাঁকির কথাও বলা হয়েছে।বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি মহম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মহম্মদ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী এই রায়ে মন্তব্য করেন যে, দোষ প্রমাণিত হওয়ায় সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। তবে আওয়ামি লীগ ইতিমধ্যেই এই বিচারের বিরোধিতা করেছে। তারা অভিযোগ করেছে, ক্যাঙারু আদালতের নামে বিচার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ প্রভাবিত এবং যেখানে আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ নেই, তা কখনই ন্যায়বিচার হতে পারে না।এই রায় ঘিরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই রায়ের ফলে রাজনৈতিক মহলে দুশ্চিন্তা এবং বিতর্ক আরও বাড়বে।

নভেম্বর ২৭, ২০২৫
রাজ্য

FIP–এ বায়োমেট্রিক ধরে ফেলল সব! বহু বাংলাদেশির কাছে মিলল ভারতীয় নথিও

পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকা জুড়ে ফের তীব্র হল BSFএর নজরদারি। গত মাত্র সাতআট দিনের মধ্যেই স্বরূপনগরের হাকিমপুর ও তারালি সীমান্ত থেকে অন্তত ১৭২০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। অবৈধভাবে ভারত প্রবেশের অভিযোগেই তাঁদের প্রত্যাবর্তন। সীমান্ত জুড়ে এই সংখ্যাটি প্রশাসনকে নতুন করে ভাবাচ্ছে।BSF এবং পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক। কেউ কাজের সন্ধানে, কেউ আত্মীয়ের কাছে, আবার কেউ পাচারকারীর মাধ্যমে দালাল চক্রের হাত ধরে অবৈধভাবে এইপারে এসেছিলেন। ধরা পড়ার পর তাঁদের প্রত্যেককে নিয়ে যাওয়া হয় নির্দিষ্ট সুরক্ষা কেন্দ্রে, যেখানে প্রথমেই ফরেনার্স আইডেন্টিফিকেশন পোর্টালে তাঁদের বায়োমেট্রিক, ফেসিয়াল ও ডেমোগ্রাফিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এই সমস্ত তথ্য পাঠানো হচ্ছে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের কাছে, যেখানে খতিয়ে দেখা হচ্ছেভারতে এসে কেউ কোনও অপরাধে যুক্ত ছিলেন কি না।পুলিশি ক্লিয়ারেন্স মেললেই তাঁদের বাংলাদেশে ফেরানো হচ্ছে। আর সেখানেই সামনে আসছে আরও উদ্বেগজনক তথ্য। বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকের কাছ থেকে একাধিক ভারতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার হয়েছেআধার, ভোটার আইডি, এমনকি প্যান কার্ডও। ফলে সীমান্তের দালাল নেটওয়ার্ক ঠিক কতটা গভীরভাবে কাজ করছে, তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে। এসব নথির উৎস খতিয়ে দেখার পাশাপাশি আধার কর্তৃপক্ষের কাছেও পাঠানো হচ্ছে তথ্য।BSFএর দাবি, হাকিমপুর ও তারালি এলাকায় গত কয়েক দিনে নজিরবিহীনভাবে বেড়ে গিয়েছে অনুপ্রবেশের ঘটনা। একদিকে অসম, অন্যদিকে নদীপথ ও সবুজ সীমানাসব মিলিয়ে সীমান্তের অনেক অংশে নজরদারি কঠিন হয়ে পড়ছে। তবে BSFএর ধারাবাহিক অভিযানেই মাত্র এক সপ্তাহে ১৭২০ জনকে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়েছে।কেন এত বড় সংখ্যায় বাংলাদেশি নাগরিক ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছেনতার কারণ খুঁজতে এখন মাঠে নেমেছে গোয়েন্দা সংস্থাও। প্রশাসনের আশঙ্কা, সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের পাশাপাশি পাচারকারী ও মানবব্যবসায়ী চক্রও সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে।

নভেম্বর ২২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

৫০ রান শেষ দুই ওভারে! ভয়ংকর মেহরব, তারপর সুপার ওভার ড্রামা—তবু জয় বাংলাদেশের

দোহায় রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপে শুক্রবার এমন এক ম্যাচ দেখা গেল, যা শেষ বল পর্যন্ত দর্শকদের নাড়িয়ে দিল। ভারত A এবং বাংলাদেশ Aদুটি দলই ১৯৪ রান করায় ম্যাচ গড়াল সুপার ওভারে। কিন্তু সুপার ওভারের শেষ বলেই ভারত A-র কপালে জুটল পরাজয়। আর ফাইনালের টিকিট তুলে নিল বাংলাদেশ A।পুরো ম্যাচে নাটক যেন থামতেই চাইছিল না। শেষ ওভারের শুরুতে ভারতকে প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। এর আগে ১৯তম ওভারে বাংলাদেশের রিপন মন্ডল মাত্র পাঁচ রান দিয়ে রামনদীপ সিং-কে ফিরিয়ে ম্যাচে দারুণ চাপ তৈরি করেন। শেষ তিন বলে প্রয়োজন আট রান। তখনই ঘটে ম্যাচের প্রথম বড় ভুললং-অফ থেকে জিশান আলম একটি সহজ ক্যাচ ফেলে দেন, আর সেটি ছুঁয়ে চারও হয়ে যায়। সেই চারেই ম্যাচে ফের আশা জাগে ভারত শিবিরে। কিন্তু আশুতোষ শর্মা পরের বলেই বোল্ড হয়ে ফেরেন।শেষ বলে চার না তুললে হার নিশ্চিততবু ভারত অলৌকিকভাবে পেয়ে যায় টাই করার সুযোগ। হর্ষ দুবে লং-অনে বল পাঠিয়ে ইতিমধ্যেই এক রান নিয়েছিলেন, দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে প্রায় থেমে যান। কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলির অবিশ্বাস্য ভুলস্টাম্পে দৌড়োতে না গিয়ে তিনি নরম আন্ডার-আর্ম থ্রো মারতে গিয়ে মিস করেন, পিছনে কেউ ছিল না ব্যাক-আপে। ভারত সেই সুযোগে নিয়ে নেয় তিন রান, আর তাতেই ম্যাচ টাই।সুপার ওভারে আবার অচেনা সিদ্ধান্ত ভারত শিবিরে। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারা বৈভব সূর্যবংশীকে ওপেন করানো হল না। ব্যাট করতে নামেন জিতেশ শর্মা। রিপন মন্ডল দুরন্ত ইয়র্কার ফেলে তাঁকে প্রথম বলেই বোল্ড করেন। অন্য ব্যাটার আশুতোষের ব্যাটেও ইয়র্কার সামলানো গেল নাসোজা উঠল এক্সট্রা কভারের হাতে। সুপার ওভারে ভারত তুলল মাত্র এক রান।বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল মাত্র দুই রান। প্রথম বলেই সুয়াশ শর্মা উইকেট নিলেও, দ্বিতীয় বলটি গুগলি ভুল লেন্থে হয়ে ওয়াইডসেই এক রানেই বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয়। ভারত A-র জন্য শেষ হয় এক ব্যর্থ প্রচারণাযেখানে তারা পাকিস্তান A-এর কাছে হারার পর ওমানের বিরুদ্ধেও সমস্যায় পড়েছিল।এর আগেই ভারত A বোলিংয়ে বড় ভুল করে ফেলে। বাংলাদেশের শেষ দুই ওভারে ওঠে ৫০ রান! মেহরব মাত্র ১৮ বলে ৪৮* করেনএর মধ্যে নামন ধিরের বলে এক ওভারে ২৮ রান। হাবিবুর রহমানের ৬৫ রান দলকে মজবুত ভিত্তি দেয়।চেজে বৈভব সূর্যবংশীর ১৫ বলে ৩৮ রানে ভারতের আশা জাগলেও মাঝপথে ছন্দ হারাতে থাকে দল। প্রিয়াংশ আর্য (৪৪) ও জিতেশ শর্মা (৩৩) চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ ওভারের সেই চাপ, ভুল সিদ্ধান্ত আর সুপার ওভারে দুর্বল ব্যাটিংসব মিলিয়ে ভারত A ছিটকে যায় টুর্নামেন্ট থেকে।এমন নাটকীয় লড়াইয়ের শেষে বাংলাদেশ A-র জয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে দীর্ঘদিন থাকবে। আর ভারত A হয়তো ভাবতেই থাকবেসেই মিসড থ্রো আর সুপার ওভারের ভুল সিদ্ধান্তই কিনা শেষ পর্যন্ত বড় দাম চুকিয়ে দিল।

নভেম্বর ২১, ২০২৫
বিদেশ

হাসিনার অনুপস্থিতিতেই মৃত্যুদণ্ড? রাষ্ট্রসংঘের কড়া প্রশ্ন বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থাকে

জুলাই বিক্ষোভে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, সেই রায়ের বিরুদ্ধে এবার সরব হল রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন। আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠছেএই বিচার কি আদৌ ন্যায়সঙ্গত? সব মিলিয়ে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে তৈরি বিচারব্যবস্থা ও তাঁর ক্যাঙারু আদালত বলতে শুরু করেছেন অনেকেই। কারণ, আদালত ঘোষণার আগেই যেন স্ক্রিপ্ট লিখে ফেলা হয়েছিলহাসিনা ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ফাঁসির সাজা।রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের মুখপাত্র রবিনা সামদাসানি এক বিবৃতিতে জানান, এই রায় নিয়ে তাদের গভীর উদ্বেগ রয়েছে। তাঁর কথায়, গত বছরের বিক্ষোভ দমনের সময় যে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল, সেই ঘটনার সঠিক বিচার অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশের আদালতের বিচারপ্রক্রিয়া সম্পর্কে রাষ্ট্রসংঘের হাতে যথেষ্ট তথ্য নেই। তবুও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিচার হওয়া উচিতএটাই তাঁদের বার্তা।রবিনা আরও বলেন, অভিযুক্ত শেখ হাসিনা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। অনুপস্থিতিতেই তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রসংঘ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়যে পরিস্থিতির মধ্যেই হোক না কেন, তারা এমন বিচারকে সমর্থন করে না। তাঁদের আশা, বাংলাদেশ সত্যিকারের ন্যায়বিচারকে গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি সামলাবে।রাষ্ট্রসংঘের পাশাপাশি হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থার মহাসচিব অ্যাগনেস কালামার্ড একেবারে সরাসরি মন্তব্য করেছেনজুলাই বিক্ষোভের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সত্যিই ভয়াবহ ছিল, কিন্তু সেই অপরাধের বিচার হতে হবে সুষ্ঠুভাবে। এই বিচারপক্রিয়া না সঠিক, না আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে হয়েছে। তাঁর কথায়, মৃত্যুদণ্ড এমনিতেই অত্যন্ত নিষ্ঠুর, অমানবিক ও অপমানজনক শাস্তি। আধুনিক কোনও ন্যায়বিচার ব্যবস্থায় মৃত্যুদণ্ডের জায়গাই নেই।সব মিলিয়ে, আন্তর্জাতিক সমাজের একাংশের চোখে পুরো বিচার ব্যবস্থাটাই এখন প্রশ্নের মুখে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেই এই রায় আরও অস্থিরতা বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
বিদেশ

ফাঁসি! মানবতা বিরোধী অপরাধে দোষী শেখ হাসিনা—বাংলাদেশে নজিরবিহীন রায়

বাংলাদেশের রাজনীতি যেন মুহূর্তে ঝড়ের চোখে ঢুকে গেল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সোমবার ঘোষণা করল সেই রায়, যার জন্য দেশজুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে ছিলমানবতা বিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আদালত তিনটি ধারায় তাঁকে দোষী ঘোষণা করে সরাসরি ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে। সেই সঙ্গে একই অপরাধে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও। বাংলাদেশ পুলিশের প্রাক্তন আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও দোষী প্রমাণিত হয়েছেন গণহত্যার মামলায়।রায় ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আদালত চত্বরের বাইরে এক অদ্ভুত নীরবতা নেমে আসে। তারপরই শুরু হয় দেশজোড়া তাণ্ডব। ঢাকার রাস্তায় বিক্ষোভ, ককটেল বিস্ফোরণ, আগুন লাগানোসব মিলিয়ে যেন বিস্ফোরণের মতো ছড়িয়ে পড়ে খবরটি। আদালতে ৪৫৩ পাতার রায় পড়তে সময় লাগলেও, রায়ের অভিঘাত সরাসরি গিয়ে লাগে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে।আদালত জানায়, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার সময় একাধিক গণহত্যা, নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বহু সাক্ষ্য-প্রমাণ, ভিডিও ফুটেজ, গোপন নথি আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক স্পষ্ট করে বলেন, এটি ইতিহাসে নথিবদ্ধ হওয়ার মতো অপরাধ। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে।প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও একই ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের সাবেক আইজি আবদুল্লাহ আল-মামুনও দোষী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। আদালতের মন্তব্যতিনজনের সমন্বিত ভূমিকার কারণেই এই ভয়াবহ ঘটনাগুলো দেশের নাগরিকদের জীবনে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে।রায়ের পরই ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ, সেনা ও র্যাব নামানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রায় ঘিরে প্রচুর বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আওয়ামী লিগ সমর্থকেরা রায়কে রাজনৈতিক প্রতিশোধ বলে দাবি করেছেন, অন্যদিকে সরকার সমর্থকেরা বলছেনএটা ইতিহাসের বিচার।বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশে যে ঝড় চেপে বসেছে, তার রেশ এখন শুধুই রাস্তায় নয়সরাসরি দেশের ভবিষ্যতের ওপরও পড়ে যাচ্ছে।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
বিদেশ

শেখ হাসিনার পরিবারের ইতিহাস এবার মুছে ফেলবে কে? ধানমন্ডি ৩২-এ রহস্যময় তৎপরতা

বাংলাদেশে যেন ইতিহাসের এক ভয়াবহ পুনরাবৃত্তি। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী মামলার ৪৫৩ পাতার রায় পড়া চলছে আদালতে, আর ঠিক সেই সময়েই ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ির সামনে দেখা গেল দুটি পে-লোডার। দৃশ্যটি ছড়িয়ে পড়তেই মুহূর্তে তোলপাড় বাংলাদেশ। প্রশ্ন উঠলঅন্তর্বর্তী ইউনূস সরকার কি তবে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সমস্ত চিহ্ন মুছে ফেলতে চাইছে?পুলিশ সূত্রে পাওয়া তথ্য আরও উদ্বেগ বাড়ায়। জানা গেছে, ধানমন্ডির বাড়ির যে অংশ এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতেই এই পে-লোডার আনা হয়েছিল। কিন্তু বাড়ির দিকের পুলিশি ব্যারিকেডে আটকে যায় তারা। এরপরই তাঁদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এলাকায় তখন উত্তেজনা টগবগ করছে।এদিকে কয়েক মিনিটের মধ্যেই পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সেনা ও পুলিশের কার্যত মুখোমুখি সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ব্যারিকেড তুলে বিক্ষোভ থামাতে চাইলে ক্ষুব্ধ জনতা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। দুটি পক্ষের সংঘর্ষে বহু বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর।পটভূমিটা আরও জটিল। ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট আওয়ামী লিগ সরকারের পতনের পর, এবং শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাতের অন্ধকারে পে-লোডার এনে ভেঙে ফেলা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি-বিজড়িত এই ৩২ নম্বর বাড়ি। পরে তাতে আগুন লাগানো হয়। দেশজুড়ে সেই ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। আর এবার আবারও, ঠিক রায়ের দিন, পে-লোডার নিয়ে বাড়ির সামনে হাজির হওয়ায় সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে।শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। ঢাকার রাস্তায় ককটেল বোমা ফাটছে, সিলেট-ময়মনসিংহ-কুষ্টিয়া মিলিয়ে সাতটি বাস, ভ্যান, এমনকি অ্যাম্বুল্যান্সেও আগুন ধরানো হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার বাড়িতেও হামলা হয়েছে। নিষিদ্ধ আওয়ামী লিগ রবিবার থেকেই সারাদেশে শাটডাউন ডেকেছে।অবস্থা এতটাই ভয়ংকর যে ৫৫ হাজার পুলিশকে মোতায়েন করতে হয়েছে। সেনা ও বিজিবি নেমেছে রাস্তায়। প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছেকোথাও আগুন লাগানো বা ককটেল ছোড়া দেখা গেলে সরাসরি গুলি চালানো হবে।এমতাবস্থায় ধানমন্ডি ৩২-এ পে-লোডারের উপস্থিতি শুধু উত্তেজনা নয়এক ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকেতও বয়ে আনছে। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির অবশিষ্টাংশ ভাঙার চেষ্টা আসলে প্রতীকীদেশের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারটিকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার আরেক প্রচেষ্টা কি? রায় ঘোষণার মাঝেই এমন দৃশ্য পুরো বাংলাদেশকে নতুন করে টালমাটাল করেছে।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
বিদেশ

রায়ের আগেই হুঙ্কার শেখ হাসিনার, “আওয়ামী লিগকে শেষ করা এত সহজ নয়”

রায় ঘোষণার আগে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য এই প্রথম। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতা বিরোধী অপরাধ মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে হঠাৎই প্রকাশ্যে এল শেখ হাসিনার একটি অডিয়ো বার্তা। সেই অডিয়ো এখন ঝড় তুলেছে বাংলাদেশজুড়ে। বার্তায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সোজাসাপ্টা জানিয়ে দেন, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তার একটিও সত্যি নয়। বরং তিনি রায়কে কোনও গুরুত্বই দিতে নারাজ।অডিয়ো বার্তায় হাসিনার গলা দৃঢ়। তিনি বলেন, আমার কিছুই যায় আসে না। আল্লাহ আমায় প্রাণ দিয়েছেন, আল্লাহই সেই প্রাণ নেবেন। মানুষ আমার বিচার করবে, আদালতের এই রায় নয়। তাঁর কথায় স্পষ্ট, এই মামলাকে তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল বলেই মনে করছেন।হাসিনা মনে করেন, বর্তমানে দেশের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের নেতৃত্বে থাকা মহম্মদ ইউনূসই নেপথ্যে। তাঁর অভিযোগ, অন্তর্বর্তী সরকার নাকি পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লিগকে ধ্বংস করতে চাইছে। হাসিনার বক্তব্য, এটা এত সহজ নয়। আওয়ামী লিগ তৃণমূলের দল, কোনও শক্তির পকেট থেকে তৈরি হয়নি। এই মন্তব্যের পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।অডিয়োতে সমর্থকদের উদ্দেশে কৃতজ্ঞতাও জানান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। সাম্প্রতিক প্রতিবাদ মিছিল প্রসঙ্গে বলেন, এগুলো স্বতঃস্ফূর্ত। মানুষ আমাদের বিশ্বাস দিয়েছে। এই দুর্নীতিপরায়ণ, খুনি ইউনূস আর তাঁর দোসরদের এবার সাধারণ মানুষই চেনাবে, বাংলাদেশ কীভাবে ফিরে দাঁড়ায়।এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন ইউনূস ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে জোর করে বা ক্ষমতা প্রয়োগ করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সরানো অপরাধ। অথচ অন্তর্বর্তী সরকার নাকি সুপরিকল্পনা করেই সেই কাজ করেছে। তাঁর দাবি, পুরো উদ্দেশ্যই ছিল দেশে বিশৃঙ্খলা ছড়ানো।নিজের নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা বলেন হাসিনা। বলেন, আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকব। আবার মানুষের জন্য কাজ করব। বাংলাদেশের মাটিতে আমি বিচার করব।সবশেষে মানবতা বিরোধী মামলার অভিযোগ নিয়েই মন্তব্য করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায় স্পষ্ট ক্ষোভআমি ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছি। আর আমাকে মানবাধিকারের অপরাধী বলা হচ্ছে? এটাই কি বিচার?পুরো অডিয়োটি ছড়িয়ে পড়তেই বাংলাদেশে আলোড়ন পড়ে যায়। রায় ঘোষণার প্রাক্কালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর এমন চ্যালেঞ্জিং সুর রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। এখন নজর আদালতের রায়ের দিকেতার পর বাংলাদেশ রাজনীতির গতিপথ কোনদিকে মোড় নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

‘কাগজ নেই, তাই ফিরছি’—এসআইআর শুরু হতেই সীমান্তে তিনশো বাংলাদেশির ভিড়

ভারতবাংলাদেশ সীমান্তের হাকিমপুর চেকপোস্টে সোমবার সকাল থেকেই ভিড় জমেছে শয়ে-শয়ে মানুষের। কারও হাতে ট্রলি ব্যাগ, কারও মাথায় বোঁচকা, আবার কেউ লোটা-কম্বল বেঁধে দাঁড়িয়ে কাতর চোখে তাকিয়ে রয়েছেন সীমান্তের দিকে। প্রত্যেকের একটাই লক্ষ্যযত তাড়াতাড়ি সম্ভব সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়া। কারণ হিসেবে অনেকেই সরাসরি জানাচ্ছেন, এসআইআর-এর ভয়ে আর থাকতে সাহস পাচ্ছেন না ভারতে।বছরের পর বছর কোনও নথিপত্র ছাড়াই রুটি-রুজির খোঁজে ভারতেই বসতি গেড়ে ছিলেন অনেক বাংলাদেশি। কেউ কলকাতার বিরাটিতে, কেউ চিনারপার্কে, কেউ আবার উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় গৃহকর্মী, দিনমজুর বা ছোটখাটো কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালাচ্ছিলেন। কিন্তু বারোটি রাজ্যজুড়ে এবং পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও এসআইআর প্রক্রিয়া এগিয়ে চলায় আচমকাই তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে তাঁদের মধ্যে। আর সেই আতঙ্কই যেন এখন তাঁদের ঠেলে দিচ্ছে সীমান্ত অভিমুখে।সোমবার সকাল থেকে দেখা যায়, স্বরূপনগর থানার অন্তর্গত হাকিমপুর সীমান্তে ভিড় জমছে শতাধিক বাংলাদেশির। দুপুরে সেই সংখ্যা তিনশো ছাড়িয়ে যায়। পুরুষ, মহিলা, কোলের শিশুসবাই মিলে বাড়ির আসবাবপত্র, কাপড়চোপড়, হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। তাঁদের সামনে কাঁটাতারের বেড়া, আর পেছনে অনিশ্চয়তায় ভরা অস্থায়ী জীবনের স্মৃতি।এরই মধ্যে সীমান্তে মোতায়েন ১৪৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের বিএসএফ জওয়ানরা তাঁদের আটকে নথিপত্র খতিয়ে দেখছেন। যাঁরা বৈধ কাগজ দেখাতে পারছেন না, তাঁদের সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেই এগোচ্ছেন জওয়ানরা। স্থানীয় মানুষ এই দৃশ্য দেখে বিস্মিত, অনেকেই বলছেনএ রকম দৃশ্য বহু বছর পর দেখা গেল। যে বাংলাদেশিরা এতদিন গোপনে ভারতেই বসবাস করছিলেন, তাঁরা এবার নিজেরাই দেশে ফিরে যেতে চাইছেন।সাবিনা পারভিন নামে এক মহিলার কথায় উঠে এসেছে সেই আতঙ্কের ছবিটা। তিনি বললেন, বাংলাদেশেই আমার বাড়ি। কিন্তু বিরাটিতে থাকতাম। কোনও কাগজপত্র নেই। বেআইনিভাবেই ছিলাম। আরও এক ব্যক্তি স্বীকার করলেন, তিনি চিনারপার্কে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। বললেন, আধারকার্ড নেই। বাংলায় এসেছিলাম পেটের দায়ে। এখন ভয় লাগছে, তাই ফিরে যাচ্ছি।সীমান্ত এলাকা জুড়ে এখন এক ধরনের চাপা উত্তেজনা। কেন এত মানুষ হঠাৎ দেশছাড়া হয়ে ফিরতে চাইছেন, তা নিয়ে নানা মহলে জোর আলোচনা। স্থানীয়দের চোখের সামনে একটি বড় পরিবর্তনের ছবিযে সীমান্ত দিয়ে একসময় বেআইনিভাবে ঢুকতেন বাংলাদেশিরা, আজ সেখানে দেখা যাচ্ছে উল্টো স্রোত। এসআইআর প্রক্রিয়ার আতঙ্কে এবার তাঁরা নিজের দেশেই ফেরার চেষ্টা করছেন।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
বিদেশ

বাংলাদেশে দাউদাউ করে জ্বলছে গ্রামীণ ব্যাঙ্ক! ইউনূস কি চরম জনঅসন্তোষের মুখে?

বাংলাদেশ জুড়ে এখন যেন ছড়িয়ে পড়ছে আগুনের লেলিহান শিখা, আর সেই আগুনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূস। তাঁর তৈরি গ্রামীণ ব্যাঙ্কের একের পর এক শাখায় লাগানো হচ্ছে আগুন। কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গ্রামীণ ব্যাঙ্কে যেভাবে অগ্নিসংযোগ চলছে, তা বাংলাদেশজুড়ে তীব্র আলোড়ন তৈরি করেছে। কোথাও জানালা ভেঙে পেট্রোল ঢেলে আগুন, কোথাও পুরো শাখাই পুড়ে ভস্মীভূত।সর্বশেষ ঘটনা রাজনগরে। মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার টেংরাবাজার শাখা সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে উত্তেজিত জনতার অগ্নিসংযোগে। ভবনের ভিতরের নথি, চেয়ার-টেবিল, কাগজসবই ধ্বংস। স্থানীয়দের মতে, হামলাকারীরা পরিকল্পিতভাবে ভোররাতে এসে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়।এর আগে বগুড়ার শেরপুর হাইওয়ে গাড়ীদহের গ্রামীণ ব্যাঙ্ক শাখায়ও জনতার তাণ্ডব নেমে আসে। সেখানে ব্যাঙ্কের সামনে জমে ওঠা ক্ষুব্ধ জনতা আগুন ধরিয়ে দেয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, বগুড়া দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। তাই এই আগুনের ভিতরে রাজনৈতিক রঙ রয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও তীব্র হচ্ছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে আরও একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। চান্দুরা শাখায় গভীর রাতে জানালা ভেঙে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে স্থানীয়দের দ্রুত হস্তক্ষেপে, যদিও ব্যাঙ্কের ভেতরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ও আসবাবপত্র পুড়ে নষ্ট হয়েছে। ভল্টে থাকা টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলেই জানা গেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ, তবে আতঙ্ক এখনো কাটেনি।নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূস ২০০৬ সালে দারিদ্র্য দূরীকরণে বড় ভূমিকা রাখা গ্রামীণ ব্যাঙ্ক মডেলের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত হয়েছিলেন। ক্ষুদ্রঋণের ধারণা বিশ্ববাসীর কাছে শেখায় এই ব্যাঙ্কই। কিন্তু আজ সেই ব্যাঙ্কই কেন জনরোষের কেন্দ্র, কেন একের পর এক শাখায় অগ্নিসংযোগএই প্রশ্নই এখন সবচেয়ে বড়। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, জনরোষ, কিংবা সরকারের প্রতি আস্থা সংকটসব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে।বাংলাদেশে আগুন শুধু ব্যাঙ্ক ভবনে নয়, ছড়িয়ে পড়ছে রাজনীতিতেও। ইউনূস কি আসলেই জনঅসন্তোষের নিশানায়? নাকি এই আগুনের আড়ালে রয়েছে আরও গভীর রাজনৈতিক খেলা? পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে, এখন সেই দিকেই তাকিয়ে দেশবাসী।

নভেম্বর ১৬, ২০২৫
রাজ্য

চার বছর ধরে ভুয়ো আধারে ভারতবাস! বাংলাদেশে ফিরতে গিয়ে গ্রেফতার যুবক

পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে। বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যে বহু বাংলাদেশি বছরের পর বছর ধরে ভুয়ো পরিচয়ে বসবাস করছে। বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা SIR শুরু হতেই বাড়ছে আতঙ্ক, আর এই আতঙ্কেই চোরাপথে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে ধরা পড়লেন এক যুবক। তাঁর নাম দুর্জয় রায়, বয়স আঠাশ। কোচবিহারের হলদিবাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।শুক্রবার দুপুরে সিঞ্জারহাট এলাকায় ঘুরতে থাকা সন্দেহজনক ওই যুবককে প্রথমে লক্ষ্য করেন স্থানীয়রা। তাঁর গতিবিধি দেখে সন্দেহ হলে খবর দেওয়া হয় দেওয়ানগঞ্জ আউট পোস্টে। পুলিশ এসে প্রশ্ন করতেই দুর্জয় স্বীকার করেন, তাঁর বাড়ি বাংলাদেশে। এরপরই তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।হলদিবাড়ি থানার তদন্তে সামনে আসে আরও তথ্য। দুর্জয়ের বাড়ি বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার মর্দিয়া গ্রামে। চার বছর আগে চোরাপথে ভারতে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় হোটেলে ও চা বাগানে কাজ করতেন। ভারতে ঢোকার পর তিনি আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টসবই তৈরি করে ফেলেছিলেন। তাঁর কাছ থেকে মোবাইল ফোন, আধার-প্যান, ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড, কিছু টাকা উদ্ধার হয়েছে।তদন্তে জানা গেছে, SIR শুরু হতেই তাঁর উপর চাপ বাড়তে থাকে। আশঙ্কা হয়, ধরা পড়ে যাবেন। তাই দালালের মাধ্যমে কাঁটাতার পার করে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। সেই মতো তিনি হলদিবাড়ি পৌঁছলেও শেষমেশ পুলিশের জালে ধরা পড়ে যান।গ্রেফতার হওয়ার পর দুর্জয় বলেন, বছর চারেক আগে এখানে ঘুরতে এসেছিলাম। তারপর কাজ করতাম হোটেল, চা বাগানে। পুলিশের দাবি, SIR শুরুর পর চোরাপথে বাংলাদেশে পালাতে গিয়ে এর আগেও বেশ কয়েকজনকে ধরা হয়েছে। দুর্জয়ের গ্রেফতার এই তালিকায় নতুন সংযোজন।এই ঘটনার পর আবারও সামনে এল রাজ্যের সীমান্তনিরাপত্তা এবং অনুপ্রবেশের প্রশ্ন। অভিযোগ, চোরাপথ ব্যবহার করে বহু অনুপ্রবেশকারী এখনও এপারে-ওপারে যাতায়াত করছে, আর তাঁদের অনেকেই আর্থিক দালাল ও নেটওয়ার্কের মারফত ভুয়ো নথি তৈরি করেও ফেলছে সহজেই।

নভেম্বর ১৫, ২০২৫
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

কোমা থেকে উঠে গ্রেফতার! বন্ডাই বিচ হামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৫৯ অভিযোগ

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নতুন মোড়। কোমা থেকে জেগে উঠে ২৪ বছরের অভিযুক্ত নবীদ আক্রমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে ৫৯টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫টি খুনের মামলা।গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদিদের হনুক্কা উৎসব চলাকালীন বন্ডাই বিচে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। সেই হামলায় নবীদ আক্রম এবং তাঁর বাবা সাজিদ আক্রম জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। পুলিশের পাল্টা অভিযানে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাজিদ আক্রম। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নবীদকে। দীর্ঘদিন কোমায় থাকার পর সম্প্রতি তাঁর জ্ঞান ফেরে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্ঞান ফিরতেই হাসপাতালের শয্যাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, নবীদ মানসিক ভাবে স্থিতিশীল এবং আইনি প্রক্রিয়া বোঝার মতো অবস্থায় ছিলেন। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের কমিশনার জানান, চিকিৎসকের অনুমতির পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সতর্ক করা হয়েছে আইনি অধিকার সম্পর্কে।খুনের অভিযোগ ছাড়াও নবীদের বিরুদ্ধে খুনের উদ্দেশ্যে আঘাত করা, নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী প্রতীক প্রকাশ, এবং কোনও ভবনের কাছে বিস্ফোরক রাখার অভিযোগও আনা হয়েছে। বুধবার হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।এই হামলায় প্রাণ হারান মোট ১৫ জন। ১৯৯৬ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ গণগুলি চালনার ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। নিহতদের স্মরণে বন্ডাই প্যাভিলিয়নে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হন। ইতিমধ্যেই নিহতদের শেষকৃত্যের কাজ শুরু হয়েছে।এই ঘটনার জেরে বন্ডাই বিচে নববর্ষের সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের জন্য নির্ধারিত সিডনির সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক ডান্স পার্টিও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।এই হামলার প্রথম চিহ্নিত নিহত ব্যক্তি ছিলেন রাব্বি এলি শ্ল্যাঙ্গার। তাঁর শেষকৃত্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। বন্ডাইয়ের চাবাদ কেন্দ্রের রাব্বি লেভি উলফ বলেন, এই মৃত্যু ইহুদি সমাজের কাছে অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি জানান, এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় শুধু ইহুদি সমাজ নয়, গোটা অস্ট্রেলিয়া এবং বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ গভীরভাবে মর্মাহত।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

রোহিঙ্গা ভোটার নিয়ে বিজেপির দাবি ভুয়ো? কমিশনের নাম করে পাল্টা অভিষেক

অনুপ্রবেশকারী ভোটার ইস্যুতে ফের বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, বিজেপির তোলা অভিযোগ নির্বাচন কমিশন নিজেই খারিজ করে দিয়েছে। বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ভোটার তালিকার সামারি রিভিশন বা এসএসআর প্রক্রিয়ায় সাধারণত দেড় থেকে দুই শতাংশ মৃত ভোটারের নাম বাদ যায়, এটা নতুন কিছু নয়।অভিষেকের বক্তব্য, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ক্লেম অ্যান্ড অবজেকশন পর্ব শেষ হওয়ার পরে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তখনই স্পষ্ট হবে কার নাম থাকছে আর কার নাম বাদ যাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি যে এক কোটি বা দেড় কোটি রোহিঙ্গা ভোটারের গল্প ছড়াচ্ছে, তা নির্বাচন কমিশনই নাকচ করে দিয়েছে।তিনি আরও বলেন, যদি সত্যিই কোথাও অনুপ্রবেশকারী বা রোহিঙ্গা ভোটার থাকে, বিজেপি সেই তালিকা প্রকাশ করুক। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, দেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব যাঁর হাতে, সেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তাঁর অধীনে থাকা বিএসএফ ও সিআরপিএফ তখন কী করছিল? সীমান্তে নজরদারি যদি ঠিকমতো হয়, তা হলে এত অনুপ্রবেশ ঘটছে কীভাবে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।অনুপ্রবেশ ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই সরব। বিজেপির দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে দেশছাড়া করা হবে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকায় এমন ছবি সামনে এসেছে, যেখানে একাধিক বাংলাদেশি নাগরিককে বাক্স-প্যাটরা নিয়ে সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা বিএসএফ-এর অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।এই আবহেই এসআইআর-এর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেই তালিকা থেকে প্রায় ৫৪ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশি জাহাজের ধাক্কা! ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে মিলল দুই মৎস্যজীবীর দেহ

বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষের পর গভীর সমুদ্রে ডুবে যাওয়া মৎস্যজীবীদের ট্রলার থেকে মিলল আরও দুজনের দেহ। নামখানার উপকূলে টেনে আনা দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলার থেকে ভোররাতে উদ্ধার হয় নিখোঁজ দুই মৎস্যজীবীর দেহ। তাঁদের নাম রঞ্জন দাস ও সঞ্জীব দাস। এখনও তিন জন মৎস্যজীবীর কোনও খোঁজ মেলেনি। তাঁদের নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে।উদ্ধার হওয়া দেহ দুটি পাওয়া গিয়েছে ট্রলার এফবি পারমিতা-১১-এর কেবিনের ভিতর থেকে। মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃত রঞ্জন দাসের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে। সঞ্জীব দাস কাকদ্বীপের বাসিন্দা। ট্রলারের কেবিনে আর কোনও নিখোঁজ মৎস্যজীবী আটকে রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হলেও আর কোনও দেহ পাওয়া যায়নি।গত রবিবার ১৬ জন মৎস্যজীবী নিয়ে ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলসীমানার কাছে আচমকাই ট্রলারটি ডুবে যায়। সেই সময় ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং আশপাশের অন্য ট্রলারের মৎস্যজীবীদের তৎপরতায় ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়।উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, একটি বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজ ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের ট্রলারে ধাক্কা মারে এবং তারপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। যদিও এই অভিযোগ বাংলাদেশ নৌসেনার পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে।দুর্ঘটনার পর পাঁচ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের খোঁজে গতকাল গভীর রাতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে নামখানার উপকূলে টেনে আনা হয়। সেখান থেকেই এদিন উদ্ধার হয় দুজনের দেহ। প্রিয়জনের দেহ ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতদের পরিবার। এখনও নিখোঁজ তিন মৎস্যজীবীর খোঁজে দ্রুত তল্লাশির দাবি জানিয়েছেন তাঁদের পরিজনরা।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

খসড়া ভোটার তালিকায় গরম রাজ্য রাজনীতি, নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের জরুরি বৈঠক

খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের একদিনের মধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন। এই খসড়া তালিকা থেকে ৫৮ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই দিনই ভবানীপুরে তৃণমূলের বুথ লেভেল এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কলকাতায় দলের বিএলএ-দের নিয়ে বড় বৈঠক করতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।আগামী ২২ ডিসেম্বর কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই বৈঠক হবে। সেখানে কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া ও হুগলির একাংশের বিএলএ-দের ডাকা হয়েছে। খসড়া ভোটার তালিকা ঘিরে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি ও অভিযোগের মধ্যেই এই বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।এসআইআর প্রক্রিয়ায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সেই বিষয়ে শুরু থেকেই দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকা সংশোধনের এই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির বিএলএ-দের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিএলও-দের সঙ্গে তাঁরাই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করেন। কোনও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ পড়ছে কি না, সেদিকেই নজর রাখেন তাঁরা।খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হুগলির ডানকুনি পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরকেও খসড়া ভোটার তালিকায় মৃত দেখানো হয়েছে বলে দাবি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল।আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত শুনানি শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। প্রয়োজনে খসড়া তালিকায় নাম থাকা ভোটারদেরও শুনানিতে ডাকা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সে জন্য আগেভাগেই তৎপর হয়েছে তৃণমূল।কমিশনের শুনানি শুরুর ঠিক আগের দিন কলকাতার বিএলএ-দের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে হাওড়া ও হুগলির কিছু অংশের বিএলএ-রাও থাকবেন। নেতাজি ইন্ডোরের এই বৈঠক থেকে বিএলএ-দের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

আরজি কর মামলায় বড় মোড়! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুনানি ফিরল কলকাতা হাইকোর্টে

আরজি কর মামলার শুনানি এবার থেকে হবে কলকাতা হাইকোর্টে। এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালত মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আগে দেওয়া সমস্ত নির্দেশ ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না, তা এখন থেকে নজরে রাখবে কলকাতা হাইকোর্ট।সুপ্রিম কোর্ট এদিন সিবিআই-কে নতুন করে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, সেই তথ্য নির্যাতিতার পরিবারকে জানাতেও বলা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আরজি কর সংক্রান্ত মামলাটি হাইকোর্টের কোনও একটি ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠাতে হবে।উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভিতরে এক তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় সঞ্জয় রাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তবে নির্যাতিতার মা-বাবার দাবি, এই ঘটনায় একা সঞ্জয় নয়, আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে।মঙ্গলবারও সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, শিয়ালদহ আদালতে যেসব সওয়াল-জবাব হয়, তার পরের দিনই সেই অনুযায়ী রায়ের কপি পাওয়া যায়। কিন্তু সিবিআই সেই নথিগুলিকে গুরুত্ব দেয় না। তাঁর অভিযোগ, সাত মাস ধরে হাইকোর্টে মামলা চললেও এখনও ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়নি। শুনানি শুরু হলে সিবিআইকে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।নির্যাতিতার পরিবার আরও দাবি করেছে, এই ঘটনায় বহু মানুষ জড়িত। তাঁদের বক্তব্য, ডিএনএ রিপোর্টেই সেই বিষয়টি স্পষ্ট। একজন মহিলার ডিএনএর সঙ্গে আরও ছজন পুরুষের ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে। পরিবার জানে, তাঁরা কারা। এখন তাঁদের একটাই দাবি, সিবিআই সঠিক ভাবে তদন্ত করুক এবং সব দোষীদের সামনে আনুক।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হল না শুভেন্দুকে, ফের উত্তপ্ত রাজনীতি

যুবভারতী স্টেডিয়াম কাণ্ডের পর ফের উত্তেজনা। বুধবার সকালে স্টেডিয়ামে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঢুকতে না পেরে তিনি ফিরে যান। তাঁর অভিযোগ, যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।এদিন বেলা বারোটা নাগাদ শুভেন্দু অধিকারী একাধিক বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে যুবভারতী স্টেডিয়ামে পৌঁছন। কিন্তু গেটের বাইরে দাঁড়িয়েই থাকতে হয় তাঁদের। ঢোকার অনুমতি মেলেনি। এর আগেই রাজ্য সরকারের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের শীর্ষ পুলিশ কর্তারা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে চলে যান বলে সূত্রের খবর।ঘটনাস্থলেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্য সরকার যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, তা তাঁরা মানেন না। সেই কারণেই বিষয়টি আদালতে গিয়েছে। তাঁর দাবি, তদন্ত কমিটি রাজ্য সরকারের প্রভাবমুক্ত হওয়া উচিত। কারণ এই ঘটনায় মূল অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই। তাঁর অভিযোগ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পুলিশের ছিল, অথচ সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি ক্রীড়া দফতরের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ তোলেন তিনি।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শীর্ষ পুলিশ কর্তা পীযূষ পান্ডের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল যুবভারতী স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে। সেই দলে ছিলেন জাভেদ শামিম, সুপ্রতীম সরকার ও মুরলীধর শর্মা। তাঁরা প্রথমে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে যান, পরে স্টেডিয়ামে পৌঁছে গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন। তাঁদের পরিদর্শনের পরই যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে।স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যপালকেও আগে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাজ্যপালের সঙ্গে যদি এমন আচরণ করা যায়, তাহলে বিরোধী দলনেতার ক্ষেত্রেও তা করা হতে পারে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, দরজা বন্ধ করে সবাই ভিতর থেকে পালিয়ে গিয়েছে।উল্লেখ্য, ঘটনার দিন শনিবার সন্ধ্যাতেও রাজ্যপাল যুবভারতী স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। সেবারও গেট বন্ধ থাকায় তাঁকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যেতে হয়। পরদিন ফের স্টেডিয়ামে যান রাজ্যপাল। যুবভারতী কাণ্ডকে কেন্দ্র করে ক্রমশ রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়ছে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ফের চাকরি বাতিল! পাহাড়ে ৩১৩ শিক্ষক ছাঁটাইয়ের নির্দেশ হাইকোর্টের

ফের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাহাড় এলাকায় বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ৩১৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।এর আগে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ছাব্বিশ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রেখেছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বড় সিদ্ধান্ত নিল আদালত।এই মামলাটি জিটিএ-র নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত। অভিযোগ, সেখানে নিয়ম ভেঙে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়ায়। পাশাপাশি বিনয় তামাং এবং তৃণমূল যুব নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। আদালতে জানানো হয়, যোগ্যতার তোয়াক্কা না করেই নিয়োগ করা হয়েছে।মামলার শুনানিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। আগেই যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষকদের আলাদা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে এই মামলার তদন্তের জন্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে রাজ্য সরকার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। তবে ডিভিশন বেঞ্চও বিচারপতি বসুর রায় বহাল রাখে। এরপর মামলা পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে। সেখান থেকে ফের মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরে আসে।বুধবার শুনানিতে বিচারপতি বসু নির্দেশ দেন, অবিলম্বে এই ৩১৩ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধ করতে হবে। আদালতে তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্য সরকার কেন এদের দায়িত্ব বহন করবে এবং এদের শিক্ষাগত যোগ্যতাই বা কী। প্রাথমিক ভাবে এই মামলার কাজে সিআইডি-কে দিয়ে তদন্ত চালানোর নির্দেশও দেন তিনি।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
বিদেশ

‘ইথিওপিয়া সিংহের দেশ, গুজরাটও তাই’—বিদেশের মাটিতে মোদীর আবেগঘন বার্তা

ইথিওপিয়ার সংসদের যৌথ অধিবেশনে ঐতিহাসিক ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভাষণে তিনি ভারত ও ইথিওপিয়ার মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। ইথিওপিয়াকে সিংহের দেশ বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সেখানে নিজেকে ঘরের মানুষের মতো অনুভব করছেন। কারণ তাঁর নিজের রাজ্য গুজরাটও সিংহের জন্যই পরিচিত।এই সফরে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. আবি আহমেদের হাত থেকে গ্র্যান্ড অনার নিশান অব ইথিওপিয়া সম্মানে ভূষিত হন নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন, ভারত ও ইথিওপিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এবার কৌশলগত অংশীদারিত্বের স্তরে উন্নীত করা হল।প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে পহেলগাঁওয়ে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার পর ইথিওপিয়ার পাশে থাকার জন্য দেশটিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দুই দেশের অবস্থান এক এবং এই সহযোগিতা ভারতের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান।নরেন্দ্র মোদী আরও জানান, গণতন্ত্র, উন্নয়ন এবং গ্লোবাল সাউথের শক্তি হিসেবে উঠে আসার ক্ষেত্রে ভারত ও ইথিওপিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি এক। ডিজিটাল পরিকাঠামো, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং আফ্রিকা স্টিল মাল্টিপ্লায়ার ইনিশিয়েটিভ-এর মতো উদ্যোগে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়বে বলেও জানান তিনি।এই ভাষণের মাধ্যমে ভারত-ইথিওপিয়া সম্পর্ক যে নতুন উচ্চতায় পৌঁছল, তা কূটনৈতিক মহলে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal