• ১২ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Ipl

খেলার দুনিয়া

I‌PL : আবার পুরনো মেজাজে ধোনি, ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংস

কিং ইজ ব্যাক। আবার ফিনিশারের ভুমিকায় মহেন্দ্র সিং ধোনি। গত বছর আইপিএলের প্লে অফে পৌঁছাতে না পারার যন্ত্রণা মিটিয়ে নিলেন ক্যাপ্টেন কুল। স্নায়ুযুদ্ধে বাজিমাত করলেন। সাত নম্বরে নেমে তিনটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে দলকে জেতালেন মাহি। দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৪ উইকেটে হারিয়ে আইপিএলের ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংস।টস জিতে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ব্যাট করতে পাঠান চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাঁর ধারণা ছিল শুরুর দিকে ব্যাট করা কঠিন হবে। জোরে বোলাররা বাইশ গজ থেকে সাহায্য পাবেন। ধোনির সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে দেন দিল্লি ক্যাপিটালসের ব্যাটসম্যানরা। ৩ ওভারে ৩২ রানে পৌঁছে যায় দিল্লি ক্যাপিটালস। এর পরেই ধাক্কা খায় দিল্লি। চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে জস হ্যাজেলউডের বলে আউট হন শিখর ধাওয়ান। ৭ রান করে তিনি উইকেটের পেছনে ধোনির হাতে ক্যাচ দেন। পঞ্চম ওভারে শার্দুল ঠাকুরকে আক্রমণে নিয়ে আসেন ধোনি। শার্দূলের প্রথম ওভারেই পৃথ্বী শ দুটি ছক্কা মারেন। এই ওভারে ওঠে ১৪। ৫ ওভারে দিল্লি ক্যাপিটালসের রান দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৫০। শার্দুল ঠাকুর ২ ওভারে দিয়েছিলেন ২৮ রান। ষষ্ঠ ওভারে দ্বিতীয় উইকেট হারায় দিল্লি ক্যাপিটালস। হ্যাজেলউডের বলে আউট হন শ্রেয়স আয়ার (১)। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি অক্ষর প্যাটেল। ১১ বলে ১০ রান করে তিনি মঈন আলির বলে আউট হন। অন্যপ্রান্তে একের পর এক উইকেট পড়লেও ঝড় অব্যাহত ছিল পৃথ্বী শর ব্যাটে। একাদশ ওভারের দ্বিতীয় বলে তিনি আউট হন। ৩৪ বলে ৬০ রান করেন পৃথ্বী। এরপর দিল্লিকে ২০ ওভারে ১৭২/৫ রানে পৌঁছে দেন ঋষভ পন্থ ও শিমরণ হেটমায়ের। ২৪ বলে ৩৭ রান করে আউট হন হেটমায়ের। ঋষভ ৩৫ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন। জস হ্যাজলউড ৪ ওভারে ২৯ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন। মঈন আলি চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৭ রান খরচ করে একটি উইকেট পান। শার্দুল ঠাকুর ৩ ওভারে দেন ৩৬ রান, দীপক চাহার ৩ ওভারে ২৬, কেউই উইকেট পাননি। ব্র্যাভো এক উইকেট পেলেও ৩ ওভারে ৩১ রান খরচ করেন।জয়ের জন্য ১৭৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় চেন্নাই সুপার কিংস। ডুপ্লেসি প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে ১ রান করে এনরিখ নরকিয়ার বলে বোল্ড হন। এরপরই দলকে শক্ত ভিতে দাঁড় করিয়ে দেয় ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও রবিন উথাপ্পার জুটি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এদিন ১০০ রান যোগ করেন ঋতুরাজ ও উথাপ্পা। ১৩.৩ ওভারে ৪৪ বলে ৬৩ রান করে টম কারানের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন উথাপ্পা। উথাপ্পা ফেরার পর ৮ বলের ব্যবধানে ৬ রানের মধ্যে আরও দুটি উইকেট হারায় চেন্নাই। ১৪তম ওভারের তৃতীয় বলে উথাপ্পাকে আউট করার পর ষষ্ঠ বলে শার্দুল ঠাকুরকে শূন্য রানে আউট করেন কারান। ১৪.৪ ওভারে শ্রেয়স ও কাগিসো রাবাডার যুগলবন্দিতে রান আউট হন অম্বাতি রায়ুডু। তিনি ১ রান করেন। এই সময় ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। যদিও পাল্টা লড়াই চালাতে থাকেন ঋতুরাজ ও মঈন আলি। ১৮.১ ওভারে ঋতুরাজ গায়কোয়াড় আবেশ খানের বলে আউট হন। পাঁচটি চার ও দুটি ছয়ের সাহায্যে ৫০ বলে ৭০ রান করেন ঋতুরাজ। এরপর মঈনের সঙ্গে যোগ দেন ধোনি। ফিনিশারের ভুমিকায় চেনা ঝলক দেখা গেল ক্যাপ্টেন কুলের ব্যাটে। শেষ ওভারে জেতার জন্য দরকার ছিল ১৩। টম কারানের প্রথম বলে মঈন আলি (১২ বলে ১৬) আউট হন। শার্দুলকে শেষ বলে আউট করায় কারানের সামনে ছিল হ্যাটট্রিকের হাতছানি। হ্যাটট্রিক বাঁচান ধোনি। অবশেষে দুই বল বাকি থাকতে চার মেরে দলকে ফাইনালে তুলে দিলেন ধোনি (৬ বলে অপরাজিত ১৮)। ১৯.৪ ওভারে ১৭৩/৬ তুলে ফাইনালে পৌঁছে যায় চেন্নাই।

অক্টোবর ১১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Sakib-Knight Riders : এলিমিনেটর ম্যাচের আগে বড় ধাক্কা নাইটদের, পাবে না সাকিবকে

আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে বড় ধাক্কা কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে এলিমিনেটর ম্যাচে নাইট রাইডার্স পাবে না দলের গুরুত্বপূর্ণ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। নাইটদের মতো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সও পাবে না ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও দুষ্মন্ত চামিরাকে। তবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের থেকেও নাইটদের কাছে ধাক্কাটা জোরালো। কারণ হাসারাঙ্গা ও চামিরা প্রথম একাদশের পরিকল্পনায় নেই। অন্যদিকে, দুরম্ত ছন্দে থাকা সাকিব আল হাসান অন্যতম বড় ভরসা ছিলেন নাইটদের কাছে। দুই দলের মধ্যে যদি কোনও দল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে কিংবা ফাইনালে ওঠে তাহলেও এই তিন জনের মধ্যে কেউ খেলতে পারবেন না। আর সপ্তাহখানেক পরেই শুরু হতে চলেছে টি২০ বিশ্বকাপ। সাকিব আল হাসান যেমন বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে রয়েছেন, তেমনই শ্রীলঙ্কা দলে রয়েছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও দুষ্মন্ত চামিরা। বিশ্বকাপ শুরুর আগে দুই দেশই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। এই তিন ক্রিকেটারকে জাতীয় শিবিরে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশের ক্রিকেট বোর্ড। ফলে আইপিএলে আর খেলতে পারবেন না এই তিন ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কার দুই ক্রিকেটারকে না পেলেও খুব একটা ক্ষতি হবে না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরের। তবে সাকিবের না থাকাটা অবশ্যই বড় ধাক্কা কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে। আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে সাকিব নাইট রাইডার্সের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছেন। দুটি ম্যাচেই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। আন্দ্রে রাসেল খেলতে না পারলে তিনি অলরাউন্ডার হিসেবে দলের অন্যতম ভরসা। টি২০ বিশ্বকাপ শুরুর আগে রাসেল হয়তো ঝুঁকি নেবেন না। সাকিব ও মুস্তাফিজুর রহমানকে রবিবারই বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দিতে বলা হয়েছে। ১২ ও ১৪ অক্টোবর শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সাকিবদের মতোই হাসারাঙ্গা ও চামিরা দুষ্মন্তকে জাতীয় শিবিরে যোগ দিতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও পাপুয়া নিউ গিনির বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কা। ১৮ অক্টোবর নামিবিয়ার বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কার প্রথম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচ।

অক্টোবর ১০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IPL : এলিমিনেটরে নাইট রাইডার্সের সামনে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর

প্লে অফের ছাড়পত্র আগেই এসে গিয়েছিল। গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে জিতলেও দ্বিতীয় স্থানে শেষ করা কার্যত অসম্ভব ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরের কাছে। কারণ নেট রান রেটে চেন্নাই সুপার কিংস এতটাই এগিয়ে, তাঁদের টপকে যাওয়া কঠিন ছিল। শীর্ষে থাকা দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ১৮ পয়েন্টে শেষ করলেও ৩ নম্বরেই সন্তুষ্ট থাকতে হল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরকে। এলিমিনেটরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে খেলবে বিরাট কোহলির দল। এদিন দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ব্যাট করতে পাঠান রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক বিরাট কোহলি। দারুণ শুরু করেন দিল্লির দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান এবং পৃথ্বী শ। জুটিতে ওঠে ৮৮ রান। ৩১ বলে ৪৩ রান করে আউট হন শিখর ধাওয়ান। এরপর পৃথ্বী শ ৩৫ বলে ৪৮ রান করে ফিরে যান। দিল্লির দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর ম্যাচে ফিরে আসে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। মিডল অর্ডারে ঋষভ পন্থ (৮ বলে ১০) ও শ্রেয়স আয়ার (১৮ বলে ১৮) বড় রান তুলতে ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত হেটমায়েরের ২২ বলে ২৯ রানের সৌজন্যে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান তোলে দিল্লি ক্যাপিটালস।জয়ের জন্য ১৬৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। ইনিংসের পঞ্চম বলেই আউট হন দেবদত্ত পাড়িক্কল (০)। তৃতীয় ওভারে ফিরে যান অধিনায়ক বিরাট কোহলি (৪)। এবি ডিভিলিয়ার্সও (২৬ বলে ২৬) বড় রান করতে ব্যর্থ হন। এরপর দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে থাকেন শিকর ভরত ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। শেষ বলে জয়ের জন্য রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের দরকার ছিল ৫ রান। ৬ মেরে দলকে জেতান ভরত। ৫২ বলে ৭৮ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। ৩৩ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৬৬ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ২০ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম স্থানে শেষ করল দিল্লি ক্যাপিটালস। চেন্নাই সুপার কিংস ১৮ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। একই পয়েন্ট নিয়ে নেট রান রেটে পিছিয়ে থেকে বিরাট কোহলির ব্যাঙ্গালোর তৃতীয় স্থানে শেষ করল। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স রয়েছে করল চতুর্থ স্থানে।

অক্টোবর ০৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌IPL Match : শেষ ম্যাচে সূর্য–ঈশানের তাগিদেও লাভ হল না মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের

ভারতীয় টি২০ বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই নাকি আইপিএলে সেভাবে তাগিদ দেখা যায়নি ঈশান কিশান ও সূর্যকুমার যাদবের। এই নিয়ে মুখ খুলেছিলেন সুনীল গাভাসকার। এই দুই ব্যাটসম্যান যখন তাগিদ দেখালেন, প্লে অফের লড়াই থেকে বহুদুরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। লিগের শেষ ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠলেন সূর্যকুমার ও ঈশান। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ৪২ রানে জিতল ঠিকই, তবুও প্লে অফের টিকিট জোগাড় করতে পারল না। সানরাইর্সের বিরুদ্ধে টস জিতে ব্যাট করতে নেমেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। লক্ষ্য ছিল বড় ব্যবধানে সানরাইজার্সকে হারিয়ে প্লে অফের টিকিট যদি জোগাড় করা যায়। শুরু থেকেই ঝড় তোলেন দুই ওপেনার ঈশান কিষান ও রোহিত শর্মা। ওপেনিং জুটিতে ৫.২ ওভারে ওঠে ৮০। এরপরই রশিদ খানের বলে আউট হন রোহিত (১৩ বলে ১৮)। ৩ নম্বরে নেমে হার্দিক পান্ডিয়াও (৮ বলে ১০) সুবিধা করতে পারেননি। তাঁকে ফেরান জেসন হোল্ডার। অন্যদিকে ঝড় অব্যাহত থাকে ঈশান কিষানের ব্যাটে। শেষ পর্যন্ত ৩২ বলে ৮৪ রান করে তিনিই উমরান মালিকের বলে আউট হন। ঈশানের ইনিংসে রয়েছে ১১টি ৪ ও ৪টি ৬। পোলার্ড (১২ বলে ১৩), নিশাম (০), ক্রূণাল পান্ডিয়া ৯৯), কুল্টারনাইলরা (৩) ব্যর্থ হলেও নিজেকে মেলে ধরেন সূর্যকুমার যাদব। শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে ৮২ রান করে আউট হন তিনি। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৩৫ রান তোলে মুম্বই। জয়ের জনন্য ২৩৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দুই ওপেনার জেসন রয় (২১ বলে ৩৪) ও অভিষেক শর্মা (১৬ বলে ৩৩)। চোটের জন্য কেন উইলিয়ামসন খেলতে পারেননি। তাঁর পরিবর্তে হায়দরাবাদকে নেতৃত্ব দেন মণীশ পাণ্ডে। সাতটি চার ও দুটি ছক্কার সাহায্যে তিনি ৪১ বলে ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন। তবু দলকে জেতাতে পারেননি মিডল অর্ডারের বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতায়। প্রিয়ম গর্গ করেন ২১ বলে ২৯। ঋদ্ধিমান সাহাকে এদিন নয় নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানো হয়। ঋদ্ধি করেন ২। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৯৩ তোলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। যশপ্রীত বুমরা, নাথান কুল্টারনাইল ও জিমি নিশাম দুটি করে উইকেট দখল করেন।

অক্টোবর ০৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌IPL : রাজস্থানকে উড়িয়ে কার্যত প্লে অফে নাইট রাইডার্স

কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্লে অফের ভাগ্য অনেক আশাআশঙ্কায় ভুগছিল। রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হারলেই অনিশ্চিত ভবিষ্যতে ডুবে যেত নাইটরা। তাকিয়ে থাকতে হত মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচের দিকে। আশঙ্কা ছিল রাজস্থান হয়তো নাইটদের প্লে অফের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু মর্গ্যান ব্রিগেডের সামনে কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারল না সঞ্জু স্যামসনের দল। একেবারে অসহায় আত্মসমর্পন। রাজস্থান রয়্যালসকে ৮৬ রানে উড়িয়ে কার্যত প্লে অফের টিকিট জোগাড় করে নিল নাইট রাইডার্স। নেট রান রেট এমন জায়গায় নিয়ে গেল, শেষ ম্যাচে মুম্বইয়ের পক্ষে টপকে যাওয়া অসম্ভব। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে নাইট টিম ম্যানেজমেন্টের চিন্তা ছিল আন্দ্রে রাসেলকে নিয়ে। অনেক চেষ্টা করেও মাঠে নামার মতো অবস্থায় নিয়ে আসা যায়নি এই অলরাউন্ডারকে। তবে রাসেলের অভাব বুঝতে দিল না নাইট রাইডার্সের ব্যাটসম্যানদের সম্মিলিত প্রয়াস। আলাদা করে অবশ্য শুভমান গিল ও বেঙ্কটেশ আয়ারের কথা বলতেই হবে। এই দুই ওপেনারের দাপটেই বড় রানের প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়ে যায় নাইটদের।টস জিতে নাইট রাইডার্সকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ১০.৪ ওভারে ওপেনিং জুটিতে ৭৯ রান তোলেন শুভমান ও বেঙ্কটেশ। ৩৫ বলে ৩৮ রান করে রাহুল তেওয়াটিয়ার বলে আউট হন বেঙ্কটেশ। পরের ওভারেই ফিরে যান নীতীশ রানা (৫ বলে ১২)। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান শুভমান ও রাহুল ত্রিপাঠী। ৪৪ বলে ৫৬ রান করে ক্রিস মরিসের বলে আউট হন শুভমান। ত্রিপাঠীকে (১৪ বলে ২১) ফেরান চেতন সাকারিয়া। এরপর নাইটদের ১৭১/৪ রানে পৌঁছে দেন দীনেশ কার্তিক (১১ বলে অপরাজিত ১৪) ও অধিনায়ক ইওয়িন মর্গ্যান (১১ বলে অপরাজিত ১৩)। শারজার এই উইকেটে ১৭২ রানের লক্ষ্য যথেষ্ট কঠিন। তার ওপর প্রথম ওভারে উইকেট হারালে অসম্ভব হয়ে পড়ে। ৪ বলের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় রাজস্থান। রাজস্থানকে প্রথম ধাক্কা দেন সাকিব। ইনিংসের তৃতীয় বলে তিনি তুলে নেন যশস্বী জয়সোয়ালকে (০)। পরের ওভারের প্রথম বলেই সঞ্জু স্যামসনকে (১) ফেরান শিবম মাভি। এরপর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে রাজস্থানের। একসময় ৩৫ রানে ৭ উইকেট পড়ে যায়। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব হয়নি রাজস্থানের। শেষ পর্যন্ত ১৬.১ ওভারে ৮৫ ওভারে গুটিয়ে যায় রাজস্থানের ইনিংস। সর্বোচ্চ রান করেন রাহুল তেওয়াটিয়া (৩৬ বলে ৪৪)। নাইট রাইডার্সের হয়ে শিবম মাভি ২১ রানে ৪টি, ফার্গুসন ১৮ রানে ৩ উইকেট নেন।

অক্টোবর ০৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IPL: হাঁটুর চোটে কাবু বরুণ চক্রবর্তী, তাহলে কি টি২০ বিশ্বকাপ দলে চাহাল?‌

প্রায় একমাস হতে চলল টি২০ বিশ্বকাপের দল ঘোষণা হয়েছে। বিশ্বকাপ দলে রয়েছে একাধিক চমক। কিন্তু দল নিয়ে একেবারেই স্বস্তিতে নেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বিশ্বকাপে হার্দিক পান্ডিয়া আদৌও বোলিং করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তার মাঝেই চিন্তা বাড়িয়েছে বরুণ চক্রবর্তী। তামিলনাড়ুর এই রহস্যময় স্পিনার কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ভাল ফর্মে থাকলেও হঠাৎ তাঁকে ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ভারতীয় বোর্ড সুত্রে জানা গেছে হাঁটুর চোট নিয়েই আইপিএলে খেলে যাচ্ছেন বরুণ চক্রবর্তী। চোটের ব্যাথা আরও বেড়েছে। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও অনিশ্চিত এই রহস্যময় স্পিনার। এই অবস্থায় টি২০ বিশ্বকাপের আগে তিনি কতটা ফিট হয়ে উঠতে পারবেন তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বরুণ চক্রবর্তীর হাঁটুতে ভালই যন্ত্রণা হচ্ছে। এই আবস্থায় তাঁকে বিশ্বকাপের দলে রাখাটা বেশ ঝুঁকি হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন ভারতীয় বোর্ডের কর্তারা। আপাতত বরুণ চক্রবর্তীর হাঁটুর ব্যাথা কমানোর দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। তাঁর এই হাঁটুর চোট সারাতে বেশ কয়েকদিনের রিহ্যাবের প্রয়োজন বলে মনে করছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মেডিকেল টিম। ১০ অক্টোবরের পর টি২০ বিশ্বকাপের দলে আর বদল করা যাবে না। তার আগেই বরুণকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নির্বাচকদের। এই রহস্যময় স্পিনার যাতে ২৪ অক্টোবর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলতে পারেন তা নিশ্চিত করতে বরুণের চোটের ব্যাপারে নজর রাখছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মেডিক্যাল টিম। বোর্ডের মেডিকেল টিম সবসময় সর্বক্ষণ যোগাযোগ রেখে চলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স মেডিকেল টিমের সঙ্গে।বরুণ চক্রবর্তীর জন্য আলাদা স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং চার্ট তৈরি করে দিয়েছে ভারতীয় দলের মেডিকেল টিম ও ফিজিও। সেই মতোই আপাতত কন্ডিশনিং করছেন বরুণ। বরুণকে ফিল্ডিংয়ের সময় ডাইভ দিতেও নিষেধ করা হয়েছে। তিনি কোথায় ফিল্ডিং করবেন তাও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, আইপিএলের ম্যাচে কোটার পুরো ওভার বল করার জন্য বরুণকে ব্যাথা নিরোধক ইঞ্জেকশন নিয়ে মাঠে নামতে হচ্ছে। তাসত্ত্বেও মাঠে তাঁর চলাফেরার অস্বস্তি নজর এড়াচ্ছে না। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মেডিকেল টিম যদি মনে করে বরুণকে বিশ্বকাপের দলে রাখা ঠিক হবে না, তাহলে বিশ্বকাপের দরজা খুলে যেতে পারে যুজবেন্দ্র চাহালের।শুধু বরুণ চক্রবর্তীকে নিয়েই নয়, হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়েও চিন্তা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। আইপিএলে এখনও বোলিং করেননি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের এই অলরাউন্ডার। টি২০ বিশ্বকাপে আদৌও তিনি বোলিং করতে পারবেন কিনা নিশ্চিত নয়। হার্দিকের মতোই সূর্যকুমার যাদবও ব্যাট হাতে চেনা ছন্দে নেই। এই অবস্থায় চিন্তা বাড়াচ্ছে বরুণ চক্রবর্তীর চোট।

অক্টোবর ০৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IPL Match : রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে প্লে অফের লড়াইয়ে থাকল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স

প্লে অফের ছাড়পত্রের জন্য দুই দলের কাছেই ছিল ডু অর ডাই লড়াই। রাজস্থান রয়্যালসকে ৮ উইকেটে হারিয়ে প্লে অফের লাইফ লাইন পেল গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। অন্যদিকে, প্লে অফের স্বপ্ন শেষ রাজস্থান রয়্যালস। মুম্বইয়ের জয়ে অবদান রখলেন দলের বোলাররা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ রাজস্থানে ব্যাটসম্যানরা। এদিন কুইন্টন ডিককের জায়গায় ইশান কিশান, ক্রূনাল পান্ডিয়ার পরিবর্তে জিমি নিশামকে প্রথম একাদশে সুযোগ দিয়েছিল মুম্বই টিম ম্যানেজমেন্ট। এবছর আইপিএলে প্রথম সুযোগ পেয়েই দুর্দান্ত বোলিং করেন জিমি নিশাম। নিজের প্রথম বলেই উইকেট নেন। পাশাপাশি রাজস্থান রয়্যালসকে বেঁধে রাখার দায়িত্বও কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। ব্যাট করতে নেমে অবশ্য ভাল শুরু করেছিল রাজস্থান। ৩.৩ ওভারে ওঠে ২৭। রাজস্থানকে প্রথম ধাক্কা দেন কুল্টারনাইল। তুলে নেন যশস্বী জয়সোয়ালকে (১২)। এরপরই যশপ্রীত বুমরা তুলে নেন এভিন লুইসকে (১৯ বলে ২৪)। বুমরার বলে এলবিডব্লু হন তিনি। ডিআরএস নিয়েও বাঁচতে পারেননি। আগের ম্যাচে এভিন লুইস, যশস্বী জয়সোয়াল, শিবম দুবে, সঞ্জু স্যামসনদের দুরন্ত ব্যাটিং। আর মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ। রাজস্থানের মিডল অর্ডারে ধস নামান কুল্টারনাইল (৪/১৪০ ও জিমি নিশাম (৩/১২)। সঞ্জু স্যামসন (৩) ও শিবম দুবেকে (৩) তুলে নেন নিশাম। কুল্টারনাইল ফেরান গ্লেন ফিলিপকে (৪)। ৯.৪ ওভারে ৫০ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে বড় রানের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় রাজস্থান রয়্যালসের। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ৯০ রান তুলতে সমর্থ হয় সঞ্জু স্যামসনের দল। যশপ্রীত বুমরা নেন ২ উইকেট। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সামনে লক্ষ্যটা একেবারেই কঠিন ছিল না। রোহিত শর্মাদের কাছে একটাই চ্যালেঞ্জ ছিল যতটা সম্ভব কম ওভারের মধ্যে লক্ষ্যে পৌঁছে নেট রান রেট বাড়িয়ে নেওয়া। শুরুটা অবশ্য ততটা ভাল হয়নি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। ৩.২ ওভারে ২৩ রান তোলার ফাঁকেই হারাতে হয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার (১৩ বলে ২২)। সূর্যকুমার যাদব (৮ বলে ১৩) এদিনও ব্যর্থ। তবে ২ ম্যাচ পর প্রথম একাদশে ফিরে দুর্দান্ত ব্যাট করেন ইশান কিশান। ৩টি ৬ এবং ৫টি ৪এর সাহায্যে ২৫ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৮.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৯৪ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।

অক্টোবর ০৫, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Sunil G‌‌avaskar : বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়ায় তাগিদের অভাব সূর্য–ইশানের?‌

শেষ পর্যন্ত এবছর আইপিএলে প্লে অফের টিকিট জোগাড় করতে পারবে তো রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স? অনিশ্চয়তায় ভরা রোহিতদের ভাগ্য। গ্রুপ লিগের শেষ দুটি ম্যাচ শুধু জিতলেই হবে না, বাকি দলগুলির দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে। এইরকম কঠিন পরিস্থিতিতে কেন পড়তে হয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে? বেশ কয়েকটি কারণ সামনে এসে পড়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হল অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়ার বল করতে না পারা। পাশাপাশি সূর্যকুমার যাদব, ইশান কিশানের মতো ব্যাটারদের ব্যর্থতাও রয়েছে। এই কারণগুলির দিকে আলোকপাত করেছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাসকার। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ব্যর্থতা প্রসঙ্গে গাভাসকার বলেন, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে সবথেকে বড় ধাক্কা হল হার্দিক পান্ডিয়ার বোলিং করতে না পারা। ওকে দলে নেওয়া হয়েছে অলরাউন্ডার হিসেবে। দলে থেকে যদি বোলিং না করে কেবলমাত্র ছয় কিংবা সাত নম্বরে ব্যাট করে তাহলে অধিনায়কের কাছে সমস্যার ব্যাপার। ছয় কিংবা সাত নম্বরে একজন অলরাউন্ডারের কথাই ভাবা হয়। হার্দিক বোলিং না করায় অধিনায়কের কাছে বিকল্প কমে যাচ্ছে। শুধু মুম্বইয়ের কাছে নয় ভারতীয় দলের কাছেও ওর বোলিং না করাটা বড় ধাক্কা। টি২০ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়া দুই ক্রিকেটার সূর্যকুমার যাদব ও ইশান কিশানের পারফরমেন্সেও সন্তুষ্ট নন গাভাসকার। তাঁর মতে টি২০ বিশ্বকাপে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে যাওয়ায় এই দুই ক্রিকেটারের মধ্যে তাগিদের অভাব দেখা দিচ্ছে। গাভাসকার বলেন, সুর্যকুমার ও ইশানকে আইপিএলে অনেকটাই রিল্যাক্স মনে হচ্ছে। এই দুই ক্রিকেটার কিছু অপ্রয়োজনীয় শট খেলছে। ওরা যে ভারতীয় দলের ক্রিকেটার সেটা বোঝাতে গিয়েই এই ধরণের বড় শট খেলার চেষ্টা করছে। শট নির্বাচনের ব্যাপারে সূর্যকুমার ও ইশানকে আরও সতর্ক হতে হবে। পাশাপাশি গাভাসকার আরও মনে করছেন, শট বাছাইয়ে ভুল হচ্ছে বলেই সূর্যকুমার ও ইশান রান পাচ্ছেন না। সূর্য এবারের আইপিএলের ১২ ম্যাচে ২২২ রান করেছেন। গড় ১৮.৫০, সর্বাধিক ৫৬। ইশান কিশান ৮ ম্যাচে মাত্র ১০৭ রান করেছেন। কিশান তো মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের প্রথম একাদশেই ঠাঁই পাচ্ছেন না। সূর্যকুমার একটা ম্যাচে কিছুটা সফল হয়েছেন।

অক্টোবর ০৫, ২০২১
খেলার দুনিয়া

I‌PL : চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে শীর্ষে উঠে এল দিল্লি ক্যাপিটালস

প্লে অফের ছাড়পত্র আগেই এসে গেছে। সোমবার দুবাইয়ে শীর্ষ স্থান দখলের লড়াইয়ে নেমেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস ও চেন্নাই সুপার কিংস। দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে ম্যাচটা আরও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ হারলেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সামনে দ্বিতীয় স্থানে ওঠার সুযোগ এসে যেত। বিরাট কোহলিদের সেই সুযোগ দিলেন না ঋষভ পন্থরা। চেন্নাই সুপার কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে শীর্ষ স্থানে উঠে এল দিল্লি ক্যাপিটালস। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রবিবার যে উইকেটে খেলা হয়েছিল, সেই উইকেটেই এদিন ম্যাচ ছিল দিল্লি ও চেন্নাইয়ের। আগের দিন মন্থর উইকেটে বড় ইনিংস গড়তে পারেনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। হায়দরাবাদের ১১৫ রান টপকাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। সেই উইকেটে চেন্নাই সুপার কিংসও বড় রান তুলতে ব্যর্থ। টস জিতে ধোনির দলকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান ঋষভ পন্থ। আনরিখ নর্টিয়ের প্রথম ওভারে ১৬ রান তোলেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও ফাফ ডুপ্লেসি। আবেশ খানের পরের ওভারে ওঠে ১০। ২ ওভারে চেন্নাই তোলে ২৬। এরপরই থমকে যায় রান তোলার গতি। তৃতীয় ওভারে আউট হন ডুপ্লেসি (১০)। এক ওভার পরেই ফিরে যান ঋতুরাজ গায়কোয়াড় (১৩)। উথাপ্পা (১৯), মঈনরা (৫) ব্যর্থ হলেও দলকে টেনে নিয়ে যান অম্বাতি রায়ুডু। ৪৩ বলে ৫৫ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। ধোনি ২৭ বলে করেন ১৮। ২০ ওভারে ১৩৬/৫ তোলে চেন্নাই সুপার কিংস। অক্ষর প্যাটেল ১৮ রানে ২ উইকেট নেন। নর্টিয়ে, আবেশ খান ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন ১টি করে উইকেট পান। ব্যাট করতে নেমে দিল্লিও শুরুতেই ধাক্কা খায়। ১২ বলে ১৮ রান করে ফিরে যান পৃথ্বী শ। শ্রেয়স আয়ারও (২) রান পাননি। ঋষভ পন্থ (১৫) ও রিপল প্যাটেল (১৮) কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। একের পর এক উইকেট পড়লেও শিখর ধাওয়ান একদিক ধরে রেখে লড়াই চালিয়ে যান। ৩৫ বলে ৩৯ রান করে তিনি শার্দূল ঠাকুরের বলে আউট হন। ১৩৭ রান তুলতেও একসময় চাপে পড়ে যায় দিল্লি ক্যাপিটালস। শেষ পর্যন্ত দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন শিমরণ হেটমায়ের। ১৮ বলে ২৮ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। ২ বল বাকি থাকতে বাউন্ডারি মেরে দলকে জয় এনে দেন কাগিসো রাবাডা। এই জয়ের ফলে দিল্লি ক্যাপিটালসের পয়েন্ট ১৩ ম্যাচে ২০। চেন্নাই সুপার কিংসের ১৩ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট। ধোনিরা যদি শেষ ম্যাচে হেরে যান এবং বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর যদি দুটি ম্যাচেই জয়লাভ করে তাহলেই তিনে নেমে যেতে হবে চেন্নাই সুপার কিংসকে।

অক্টোবর ০৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Hardik Pandya : বিশ্বকাপে আদৌও বল করতে পারবেন?‌ হার্দিককে নিয়ে প্রশ্ন

আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপে অলরাউন্ডার হিসেবে হার্দিক পান্ডিয়ার ওপর ভরসা করেছেন নির্বাচকরা। অথচ তাঁকে নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠে গেছে প্রশ্ন। টি২০ বিশ্বকাপে আদৌও কি বল করতে পারবেন এই ভারতীয় অলরাউন্ডার?পিঠে চোটের জন্য আইপিএলে পরপর দুটি মরশুমে বোলিং করতে দেখা যায়নি হার্দিক পান্ডিয়াকে। দেশের হয়ে সাম্প্রতিককালে যে কটা ম্যাচ খেলেছেন, হাতো গোনা কয়েক ওভার বোলিং করেছেন। আইপিএলে নামার আগে শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েও উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স করতে পারেননি হার্দিক। ব্যাটে রান ছিল না। বল হাতেও হতাশই করেছেন তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিক ও একটি টি২০-তে। কোনওটিতেই কোটার পুরো ওভার তিনি বল করেননি। ব্যাট হাতেও ফর্ম বলার মতো নয়। তবুও তাঁকে অলরাউন্ডার হিসেবে পুরো ফিট বলে দাবি করে বিশ্বকাপের দলে রেখেছেন নির্বাচকরা। চলতি আইপিএলে তাঁকে বল হাতে না দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন।মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হেড কোচ মাহেলা জয়বর্ধনে কিছুদিন আগে জানিয়েছিলেন, বোলার হার্দিককে এখনই ব্যবহার করা যাবে না। হার্দিকের ওয়ার্কলোডের কথা ভেবেই নাকি এই সিদ্ধান্ত। ভারতীয় দলের এই অলরাউন্ডার আইপিএলের ম্যাচে বোলিং করতে না পারলেও অবশ্য নেটে বোলিং করছেন। হার্দিক নিজেও বলেছেন, খুব শীঘ্রই ম্যাচে বোলিং করবেন। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপে তিনি ব্যাটসম্যান না অলরাউন্ডার কোন ভূমিকায় থাকবেন তা স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই অলরাউন্ডার হিসেবে হার্দিককে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন শার্দুল ঠাকুর ও দীপক চাহার। কলকাতা নাইট রাইডার্সের ভেঙ্কটেশ আয়ারও সুযোগ পেয়ে নিজেকে মেলে ধরেছেন। রাজস্থান রয়্যালসের শিবম দুবেও অলরাউন্ডার হিসেবে বিশেষজ্ঞদের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছেন। টি২০ বিশ্বকাপের দলে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত পরিবর্তন করা যাবে। কিন্তু ভারতীয় বোর্ড সূত্রের খবর, হার্দিককে টি২০ বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ দেওয়া হবে না। কারণ এখনই দীপক চাহার, শার্দুল ঠাকুর, ভেঙ্কটেশ আয়ারদের ওপর ভরসা করতে পারছেন না নির্বাচকরা। নির্বাচকরা চাইছেন, ব্যাটসম্যান হিসেবেই দলে থাকুন হার্দিক। প্রয়োজন হলে তাঁকে দিয়ে ২৩ ওভার বল করানো যেতে পারে। আগামী বছর টি২০ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে নতুন অধিনায়কের সঙ্গে অনেক নতুন মুখ দেখা যেতে পারে।

অক্টোবর ০৪, ২০২১
টুকিটাকি

Garlic: বহু সংকটের সহজ সমাধান রসুন

বহুগুণা রসুন। মাছ, মাংস, তরিতরকারি যা-ই রাঁধুন না কেন, রসুন লাগবে! হেঁশেলের নিত্য প্রয়োজনীয় এই উপাদান সাধারণত রান্নার স্বাদ বাড়াতে মশলা হিসাবেই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এর বাইরেও রসুন যে নানা কাজে লাগতে পারে, তা জানেন কি? রসুনের এই রকমই অজানা কয়েকটি ভূমিকার কথাই রইল এখানে।১) হজমের সমস্যা:হজমের সমস্যায় ভোগেন? ওষুধ না খেয়ে ভরসা রাখুন রসুনে। ১ কোয়া রসুন থেঁতো করে নিন। এ বার সেটি একটি চামচে রেখে উপরে আধ চা চামচ মধু ছড়িয়ে রোজ সকালে খালি পেটে খান। উপকার পাবেনই।২) ব্রণর সমস্যা: মুখে ব্রণর সমস্যায় জেরবার? তাতেও মুশকিল আসান হতে পারে এক টুকরো রসুন। রসুনের প্রদাহ নিরোধক উপাদান ব্রণর ব্যথা সারায়। এমনকী, ত্বকের ছিদ্রে থাকা ব্যাক্টিরিয়াও তাড়ায়। তাই ব্রণ সারাতে এক কোয়া রসুন কেটে নিয়ে ব্রণর জায়গায় ঘষুন।৩) খুশকি তাড়াতে:মাথার ত্বকে খুশকি হয়েছে? খুশকি তাড়িয়ে চুলের চিটচিটে ভাব দূর করবে রসুনই। কয়েক কোয়া রসুন থেঁতো করে তার সঙ্গে একটু মধু ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার মিশ্রণটি মাথার ত্বকে লাগিয়ে হাল্কা মালিশ করে ১৫ মিনিট রাখুন। তার পর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিন।৪) মশা তাড়াতে:মশা মারতে কামান দাগতে হবে না। ঘরে চাই সামান্য রসুন। রসুনের ৬-৮টি কোয়া ভাল করে থেঁতো করে সামান্য জল দিয়ে সিদ্ধ করতে দিন। হাল্কা আঁচে মিশ্রণটি রাখুন। ঠান্ডা করে ছেঁকে স্প্রে বোতলে ভরে নিন। ঘরের যে যে জায়গায় মশার উৎপাত বেশি, সেখানে স্প্রে করুন এই মিশ্রণ।৫) ব্যথা নিরাময়ে:হাতে কাঠ বা কাচের কুচি ঢুকে গিয়েছে? খুব ছোট এই জিনিসেও কিন্তু প্রবল ব্যথা হয়। এটি বার করা বেশ শক্ত। তবে ঘরোয়া উপায়েই রয়েছে সমাধান। কাচ বা কাঠের কুচি ঢুকে যাওয়া জায়গাটির উপর আধখানা রসুন দিয়ে ভাল করে ব্যান্ডেজ করে নিন। কিছুক্ষণ পর নিজে থেকেই বেরিয়ে আসবে কাচের কুচি।

অক্টোবর ০৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

I‌PL : শুভমানের ব্যাটে প্লে অফের অক্সিজেন পেল কলকাতা নাইট রাইডার্স

আইপিএলের প্রথম পর্বে তেমন ছন্দে ছিলেন না শুভমান গিল। তাঁকে নিয়ে চারিদিকে সমালোচনা শোনা যাচ্ছিল। ডু অর ডাই ম্যাচে জ্বলে উঠল শুভমানের ব্যাট। আর তাতেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জয় কলকাতা নাইট রাইডার্সের। কেন উইলিয়ামসনের দলকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্লে অফের লাইফ লাইন পেল ইওয়িন মর্গ্যানের দল। অন্য দলগুলির তুলনায় কিছুটা হলেও সুবিধাজনক জায়গায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। শুরুতেই ধাক্কা খায়। ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই টিম সাউদির ওভারে এলবিডব্লুউ হয়ে ফিরে যান ঋদ্ধিমান সাহা (০)। চতুর্থ ওভারে আউট জেসন রয় (১০)। দলকে টানার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তিনি ২৬ রান করে আউট হন। প্রিয়ম গর্গ করেন ২১। মন্থর উইকেট ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলারদের আঁটোসাটো বোলিংয়ের জন্য সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটারদের কাছে রান তোলার কাজ কঠিন হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১১৫ রান তোলে হায়দরাবাদ। দীর্ঘদিন পর প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়ে দুরন্ত বল করেন নাইট রাইডার্সের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সুনীল নারাইন, বরুণ চক্রবর্তীরাও ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। জয়ের জন্য ১১৬ রানের লক্ষ্য খুব একটা কঠিন হওয়ার কথা ছিল না। তবে নাইট রাইডার্সের কাছে কঠিন হয়ে যায় মন্থর উইকেট ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বোলারদের দুরন্ত প্রত্যাবর্তনে। ম্যাচের ফয়সালা শেষ ওভারে হল উইকেটের কারণেই। ৪.৪ ওভারে দলের ২৩ রানের মাথায় জেসন হোল্ডারের বলে আউট হন ভেঙ্কটেশ আয়ারকে। ১৪ বলে ৮ রান করেন তিনি। সপ্তম ওভারের চতুর্থ বলে রশিদ খান ফেরান রাহুল ত্রিপাঠিকে। তিনি ৬ বলে ৭ রান করেন। এরপর নীতীশ রানা ও শুভমান গিল দলকে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ১৬.৩ ওভারে গিল যখন আউট হন তখন নাইট রাইডার্সের জিততে প্রয়োজন ছিল ২২ রান। শুভমান গিলের উইকেটটি পান সিদ্ধার্থ কৌল। ১০টি চারের সাহায্যে ৫১ বলে ৫৭ রান করেন শুভমান। ১৮তম ওভারের শেষ বলে নীতীশ রানা ৩৩ বলে ২৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এরপর দলকে জয়ের দিকে টেনে নিয়ে যান দীনেশ কার্তিক ও ইওয়িন মর্গ্যান। কার্তিকের বাউন্ডারিতেই নাইটদের জয় নিশ্চিত হয়। ১২ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন দীনেশ কার্তিক। ৪ ওভারে ৩২ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন জেসন হোল্ডার। উইকেট না পেলেও অভিষেক ম্যাচে গতিতে নজর কাড়েন জম্মু ও কাশ্মীরের পেসার উমরান মালিক। নাইট রাইডার্সের যে নেট রান রেট রয়েছে তাতে শেষ ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসকে হারালেই শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করে।

অক্টোবর ০৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IPL Match : পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স

প্লে অফের লড়াইয়ে দুই দলের কাছেই ম্যাচটা ছিল খুবই গুরুত্বপূ্র্ণ। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের তুলনায় পাঞ্জাব কিংসের কাছে গুরুত্ব অনেক বেশি। হারলেই প্লে অফের লড়াই থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়বে লোকেশ রাহুলের দল। অন্যদিকে, জিতলেই আরও একবার প্লে অফ নিশ্চিত। শেষ পর্যন্ত বাজিমাত বিরাট কোহলিদের। পাঞ্জাব কিংসকে ৬ রানে হারিয়ে প্লে অফের টিকিট জোগাড় করে ফেলল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স অধিনায়ক বিরাট কোহলি। পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে শুরুটা খারাপ করেননি বিরাট কোহলি ও দেবদত্ত পাড়িক্কল। ওপেনিং জুটিতে ৯.৩ ওভারে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স তোলে ৬৮। হেনরিকসের বলে কোহলি (২৪ বলে ২৫) আউট হন। পরের বলেই হেনরিকস তুলে নেন ক্রিশ্চিয়ানকে (০)। এক ওভার পরেই হেনরিকসের বলেই আউট হন দেবদত্ত পাড়িক্কল (৩৮ বলে ৪০)। পরপর ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। রান তোলার গতি কমে যায়। এরপরই শুরু হয় ম্যাক্সওয়েলের ঝড়। এবি ডিভিলিয়ার্সের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান ম্যাক্সওয়েল। জুটিতে ওঠে ৭৩ রান। ১৮ বলে ২৩ রান করে রান আউট হন ডিভিলিয়ার্স। ১৮.২ ওভারে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের রান তখন ১৪৬। শেষ ওভারে ৩ উইকেট হারায় বিরাট কোহলির দল। ৩৩ বলে ৫৭ রান করে আউট হন ম্যাক্সওয়েল। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৪ তোলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরজয়ের জন্য ১৬৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন পাঞ্জাব কিংসের দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ওপেনিং জুটিতে ১০.৪ ওভারে ওঠে ৯১। তখন মনে হচ্ছিল পাঞ্জাবের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। লোকেশ রাহুল (৩৫ বলে ৩৯) ফিরতেই ধস পাঞ্জাব কিংসের ইনিংসে। নিকোলাস পুরান (৩), মায়াঙ্ক আগরওয়াল (৪২ বলে ৫৭), এইডেন মার্করাম (১৪ বলে ২০), সরফরাজ খানরা (০) দ্রুত আউট হয়ে যাওয়ায় চাপে পড়ে যায় পাঞ্জাব। সেই চাপ থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারেনি। শাহরুখ খান (১১ বলে ১৬), মোজেস হেনরিকসরা (৯ বলে ১২) চেষ্টা করেও দলকে জয়ের সরণিতে পৌঁছে দিতে পারেননি। ২০ ওভারে ১৫৮/৬ রানে থেকে যায় পাঞ্জাব কিংসের ইনিংস। একই সঙ্গে প্লে অফের স্বপ্নও ক্রমশ ফিকে হয়ে গেল। ১৩ ম্যাচে ১০ পয়েন্টেই আটকে রইল পাঞ্জাব কিংস। প্লে অফে যেতে গেলে শুধু শেষ ম্যাচ জিতলেই হবে না, অন্য ম্যাচের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে পাঞ্জাবকে। অন্যদিকে, ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করল বিরাট কোহলির দল।

অক্টোবর ০৩, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌টি২০ ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে পারলেন না ঋতুরাজ

শেষ হয়েও হইল না শেষ। খাদের কিনারা থেকে উঠে এসে প্লে অফের লড়াইয়ে দারুণভাবে টিকে রইল রাজস্থান রয়্যালস। লিগ টেবিলেনর শীর্ষে থাকা চেন্নাই সুপার কিংসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে জমিয়ে দিল আইপিএলের প্লে অফের লড়াই। যদিও সঞ্জু স্যামসনের দলের কাছে কাজটা যথেষ্ট কঠিন। কারণ নেট রান রেটে রাজস্থান রয়্যালস অনেকটাই পিছিয়ে। প্লে অফের ছাড়পত্র পেতে গেলে বাকি ম্যাচগুলোতে শুধু জিতলেই হবে না, অন্যদলগুলির দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে। ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের টি২০ কেরিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি জেতাতে পারল না চেন্নাইকে।রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে চেন্নাই সুপার কিংস যে হারতে পারে, কল্পনারও অতীত ছিল। কিন্তু ক্রিকেট যে মহান অনিশ্চয়তার খেলা। ২০ ওভারে ১৮৯/৩ রান তুলে রাজস্থানের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল চেন্নাই। ১৫ বল বাকি থাকতে অবলীলায় সেই রান তুলে সঞ্জু স্যামসনরা বুঝিয়ে দিলেন তাঁদেরও ক্ষমতা আছে চেন্নাইকে হারানোর। টস জিতে চেন্নাইকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন সঞ্জু স্যামসন। ভাল শুরু করেছিলেন চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার ডুপ্লেসি ও ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। ১৯ বলে ২৫ রান করে আউট হন ডুপ্লেসি। সুরেশ রায়না (৩), মঈন আলি (২১), অম্বাতি রায়ডুরা (২) ব্যর্থ হলেও দুর্দান্ত ব্যাট করেন ঋতুরাজ। আইপিএলের প্রথম পর্বে একের পর এক ম্যাচে ব্যর্থ হলেও তাঁর ওপর ভরসা হারাননি ধোনি। অধিনায়করে আস্থার মর্যাদা দিয়েই চলেছেন ঋতুরাজ। ৯টি বাউন্ডারি ও ৫টি ছয়ের সাহায্যে ৬০ বলে ১০১ রানে তিনি অপরাজিত থাকেন। ইনিংসের শেষ বলে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে আইপিএল তথা টি২০ কেরিয়ারে প্রথম শতরানটি পান ঋতুরাজ। এই ইনিংস খেলার ফাঁকে চলতি আইপিএলে সর্বাধিক রানের মালিক হয়ে কমলা টুপি নিজের দখলে নিলেন। রবীন্দ্র জাদেজা অপরাজিত থাকেন ১৫ বলে ৩২ রান করে। জাদেজা ৪টি চার ও ১টি ছয় মারেন।জয়ের জন্য ১৯০ রানের লক্ষ্য একেবারেই সহজ ছিল না রাজস্থানের সামনে। কিন্তু শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান রাজস্থানের দুই ওপেনার এভিন লুইস (১২ বলে ২৭) ও যশস্বী জয়সোয়াল (২১ বলে ৫০)। ওপেনিং জুটিতে ৫.১ ওভারে ওঠে ৭৭। পরপর দুই ওপেনার ফিরে গেলেও চাপে পড়েনি রাজস্থান। দুরন্ত ব্যাট করে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন তরুণ ক্রিকেটার শিবম দুবে। তিনি ৪২ বলে ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন। গ্লেন ফিলিপ ৮ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ২৪ বলে করেন ২৮। ১৭.৩ ওভারে ১৯০/৩ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় রাজস্থান। ১২ ম্যাচে রাজস্থানের পয়েন্ট ১০।

অক্টোবর ০২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IPL: নেতা হিসেবে চূড়ান্ত ব্যর্থ, মর্গ্যানকে সরানোর জোরালো দাবি উঠল

আইপিএলের প্রথম পর্বে একের পর এক ব্যর্থতায় নেতৃত্ব ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন দীনেশ কার্তিক। অধিনায়কের ব্যাটন তুলে দেওয়া হয়েছিল ইওয়িন মর্গানের হাতে। তাঁর নেতৃত্বেও যে কলকাতা নাইট রাইডার্স একটুও বদলায়নি, ইতিমধ্যেই প্রমানিত। দ্বিতীয় পর্বের শুরুতে পরপর দুটি ম্যাচ জিতলেও নাইটদের প্লে অফের ভাগ্য এখন অন্য দলের ওপর নির্ভর করছে। আর সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ অধিনায়ক ইওয়িন মর্গান। একে তো ব্যাটে রান নেই, তার ওপর নেতা হিসেবেও দলকে উজ্জীবিত করতে চূড়ান্ত ব্যর্থ। আইপিএলে ৮ দলের অধিনায়কদের মধ্যে সবথেকে খারাপ হাল মর্গ্যানের। ১১ ইনিংসে তাঁর রান ২,০, ৮, ৭, ০, ০, ৪৭, ০, ৭, ২৯, ৭, ০। মোট ১০৯। গড় ১০.৯০, স্ট্রাইক রেট ১০০.৯২। আইপিএলে ইওয়িন মর্গ্যানের চেয়ে খারাপ গড় কোনও অধিনায়কের নেই। আইপিএলের অধিনায়ক হিসেবে খারাপ গড়ের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১২ সালের আইপিএলে হরভজন সিংয়ের ব্যাটিং গড় ছিল ১২। ২০০৯ সালে শেন ওয়ার্নের ১৩.৫। পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার পর মর্গ্যানের দশা সেগুলির চেয়েও খারাপ। তার উপর রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে অনেকের কাছেই চক্ষুশূল হয়েছেন। নাইট রাইডার্স অধিনায়কের একের পর এক ব্যর্থতায় তাঁকে সরানোর দাবিও ইতিমধ্যে উঠতে শুরু করেছে। অধিনায়ক মর্গ্যানের একর পর এক ব্যর্থতায় অস্বস্তি বাড়ছে নাইট শিবিরেও। মর্গ্যান কার্যত দলের বোঝা হিসেবেই প্রতিপন্ন হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়ার দাবিও উঠেছে।সোশ্যাল মিডিয়ায় মর্গ্যানকে উদ্দেশ্য করে নানা কটাক্ষ ভেসে উঠেছে। কেউ কেউ টুইট করে বলেছেন যে, মর্গ্যান আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনির মতোই ইংল্যান্ডের মেন্টরের ভুমিকা পালন করুন। কেউ কেই আবার লিখেছেন, পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে মর্গ্যানের ব্যর্থতা দেখে নিশ্চিতভাবেই খুশি হবেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। হাইভোল্টেজ ম্যাচে স্টাম্প লক্ষ্য করে বল করে সামি ক্রিকেটীয় স্পিরিট ভেঙেছেন কিনা প্রশ্নও নাইট অধিনায়কের সামনে রেখেছেন নেটাগরিকরা। কেউ কেউ আবার মর্গ্যানের নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা আছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এরপরেও কি অধিনায়ক সরানোর পথে হাঁটবে নাইট রাইডার্স টিম ম্যানেজমেন্ট?

অক্টোবর ০২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IPL: পাঞ্জাব কিংসের কাছে হেরে প্লে অফের জটিল সমীকরণের সামনে নাইট রাইডার্স

শেষ পর্যন্ত প্লে অফের ছাড়পত্র পাবে তো কলকাতা নাইট রাইডার্স? ইওয়িন মর্গানের দলের ওপর অনিশ্চয়তার মেঘ ঘনিয়ে এসেছে। আর এই মেঘের ঘনঘটা তৈরি করে দিয়েছে লোকেশ রাহুলের পাঞ্জাব কিংস। শুক্রবার পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে জিতলেই প্লে অফের দিকে অনেকটাই এগিয়ে যেত নাইটরা। কিন্তু ৫ উইকেটে হেরে দিল্লি ক্যাপিটালসের প্লে অফের রাস্তা পরিস্কার করে দেওয়ার পাশাপাশি পাঞ্জাব কিংসের সম্ভাবনাও তৈরি করেছে। আর নিজেদের ভবিষ্যত ঠেলে দিয়েছে অনিশ্চয়তার দিকে।পাঞ্জাব কিংসের কাছে হেরে প্লে অফের জটিল সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই মুহূর্তে ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে নাইটরা। পাঞ্জাব কিংসেরও ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট। কিন্তু নেট রান রেটে পাঞ্জাব ও মুম্বইয়ের থেকে এগিযে নাইটরা। চেন্নাই সুপার কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালস ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে প্লে অফে। চেন্নাইয়ের ১১ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট। দিল্লির ১১ ম্যাচে ১৬। এই দুটি দলকে বাকি দলগুলি ধরতেই পারবে না। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট। প্লে অফের ছাড়পত্র পেতে গেলে লিগের বাকি দুটি ম্যাচ জিততেই হবে নাইটদের। পাশাপাশি তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলির দিকে। নাইটদের এত জটিল সমীকরণের সামনে পড়তে হত না, যদি পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিততে পারত। শুক্রবার লোকেস রাহুলের অধিনায়কোচিত অর্ধশতরানের পর শাহরুখ খানের ছক্কায় নাটকীয় শেষ ওভারে জয় পাঞ্জাবের। তিন বল বাকি থাকতে নাইটদের ৫ উইকেটে হারিয়ে আইপিএলের পয়েন্ট তালিকায় পাঁচে উঠে এসে প্লে অফের লড়াই জমিয়ে দিয়েছে পাঞ্জাব কিংস। ভেঙ্কটেশ আয়ারের শেষ ওভারে দরকার ছিল ৫ রান। প্রথম বলে এক রান নেন শাহরুখ খান। দ্বিতীয় বলে আউট হন লোকেশ রাহুল। চারটি চার ও দুটি ছয়ের সাহায্যে ৫৫ বলে ৬৭ রান করে আউট হন তিনি। তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জেতান শাহরুখ। একটি চার ও দুটি ছয় মেরে ৯ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন।জয়ের জন্য ১৬৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে দারুণ ছন্দে শুরু করেন পাঞ্জাব কিংসের দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল। তিনটি চার ও তিনটি ছক্কার সাহায্যে ২৭ বলে ৪০ রান করেন ময়াঙ্ক আগরওয়াল। ৭০ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পড়ে পাঞ্জাবের। নিকোলাস পুরাণ ৭ বলে ১২ রান করে বরুণ চক্রবর্তীর দ্বিতীয় শিকার। ১৫.৩ ওভারে আউট হন এইডেন মার্করাম, তিনি করেন ১৬ বলে ১৮। দীপক হুডা চার বলে ৩ রান করে আউট হন। ১৬.৩ ওভারে হুডা আউট হওয়ার পর পাঞ্জাবের স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১৩৪।শেষ দুই ওভারে জেতার জন্য পাঞ্জাবের প্রয়োজন ছিল ১২ বলে ১৫ রান। ১৯তম ওভারে বল করতে আসেন শিবম মাভি। প্রথম বলে চার মারেন লোকেশ রাহুল। পরের বলে কোনও রান হয়নি। তৃতীয় বলে লোকেশ রাহুলের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে তালুবন্দি করেন রাহুল ত্রিপাঠি। তিনি পরিষ্কারভাবে ক্যাচ নেওয়ার কথা বললেও আম্পায়াররা তৃতীয় আম্পায়ারের দ্বারস্থ হন। যদিও রিপ্লেতে দেখা যায় বল ত্রিপাঠির হাতে জমা পড়ার আগে মাটি স্পর্শ করেছিল। ফলে জীবন পান রাহুল। যদিও এই আউট নিয়ে আম্পায়ারিংয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ১৯তম ওভারের শেষ বলে রাহুল চার মারায় শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাঞ্জাবের প্রয়োজন ছিল ৫ রান। তিন বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় পাঞ্জাব কিংস। বরুণ চক্রবর্তী দুটি উইকেট নেন ৪ ওভারে ২৪ রানের বিনিময়ে। একটি করে উইকেট নেন শিবম মাভি, সুনীল নারিন ও আয়ার।টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কলকাতা নাইট রাইডার্স করেছিল ৭ উইকেটে ১৬৫। সর্বাধিক ৬৭ রান করেন ভেঙ্কটেশ আয়ার। রাহুল ত্রিপাঠি ৩৪ ও নীতীশ রানা ৩১ রান করেন। অর্শদীপ সিং ৩২ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট দখল করেন। রবি বিষ্ণোই দুটি এবং মহম্মদ শামি একটি উইকেট দখল করেন। পাঞ্জাব কিংস কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারিয়ে দেওয়ায় চলতি আইপিএলের দ্বিতীয় দল হিসেবে প্লে অফে জায়গা পাকা হয়ে গেল দিল্লি ক্যাপিটালসের।

অক্টোবর ০২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে গেলে গভীর সঙ্কটে গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স

এবারের আইপিএলে প্লে অফের ছাড়পত্র পাবে না গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স? আশঙ্কার কালো মেঘ ঘনিয়ে এসেছে রোহিত শর্মার দলের ওপর। শনিবার দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে ৪ উইকেটে হেরে গভীর সঙ্কটে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ব্যাটারদের ব্যর্থতাই ডুবিয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে।টস জিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে ব্যাট হাতে নিজেকে একেবারেই মেলে ধরতে পারেননি রোহিত শর্মা। এদিনও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। দ্বিতীয় ওভারেই আবেশ খানের বলে রাবাডার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন রোহিত (৭)। কুইন্টন ডিকক (১৯) ও সূর্যকুমার যাদব (৩৩) সাময়িক প্রতিরোধ গড়ে তুললেও যথেষ্ট ছিল না। দুজনকেই তুলে নেন অক্ষর প্যাটেল। সৌরভ তেওয়ারি করেন ১৫। তিনিও অক্ষর প্যাটেলের শিকার। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মিডল অর্ডারে ভাঙন ধরান অক্ষর। ৪ ওভারে ২১ রানে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। আবেশ খানও দুর্দান্ত বোলিং করেন। ১৫ রানে তিনি নেন ৩ উইকেট। এই দুই বোলারের দাপটে ২০ ওভারে ১২৯/৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।দিল্লির জয় অবশ্য সহজে আসেনি। জয়ের জন্য ১৩০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়। ১৫ রান ওঠার ফাঁকেই ফিরে যান দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান (৮) ও পৃথ্বী শ (৬)। ৯ রান করে কুল্টারনাইলের বলে বোল্ড হন স্টিভ স্মিথ। এরপর দলকে কিছুটা টেনে নিয়ে যান অধিনায়ক ঋষভ পন্থ (২২ বলে ২৬) ও শ্রেয়স আয়ার। অক্ষর প্যাটেল (৯), শিমরণ হেটমায়েররা (১৫) দ্রুত ফিরে গেলে চাপে পড়ে যায় দিল্লি। এরপর অবিচ্ছেদ্য জুটিতে দলের জয় নিশ্চিত করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও শ্রেয়স আয়ার। শ্রেয়স আয়ার ৩৩ বলে ৩৩ এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন ২১ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার শেষ ওভারের প্রথম বলে ছয় মেরে ম্যাচ জেতান অশ্বিন।শনিবার মুম্বইয়র বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগেই প্লে অফ নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালসের। ১১ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রইল দিল্লি। নেট রান রেটে চেন্নাই সুপার কিংসের থেকে পিছিয়ে ঋষভরা পন্থরা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে রইল ষষ্ঠ স্থানে। প্লে অফে ওঠা কঠিন হয়ে পড়ল রোহিতদের সামনে।

অক্টোবর ০২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IPL 2021: চূড়ান্ত ধারাবাহিকতা দেখিয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করল চেন্নাই সুপার কিংস

এক নম্বরের সঙ্গে লিগ টেবিলে শেষে থাকা দলের লড়াই। শীর্ষে থাকা দলই যে ফেবারিট সে কথা বলাই বাহুল্য। প্রত্যাশামতোই সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করল চেন্নাই সুপার কিংস। আর কোনও জটিল সমীকরণ প্লে অফ থেকে ছিটকে দিতে পারবে না ধোনি ব্রিগেডকে। ১১ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট পেয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে রইল চেন্নাই সুপার কিংস। টস জিতে এদিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হারানোর কিছু ছিল না। শুধু নিজেদের প্রমান করার তাগিদ। সেই প্রমান করার ম্যাচেও জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যানরা। একমাত্র ব্যতিক্রম ঋদ্ধিমান সাহা। তিনি রুখে না দাঁড়ালে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছতে পারত না সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। চতুর্থ ওভারেই তারা প্রথম উইকেট হারায়। আগের ম্যাচে রান পাওয়া জেসন রয় এদিন মাত্র ২ রান করে জস হ্যাজেলউডের বলে আউট হন। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও (১১) এদিন ব্যর্থ। প্রিয়ম গর্গ করেন ৭। ৪৬ বলে ৪৪ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার বলে ধোনির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ঋদ্ধিমান। অভিষেক শর্মা ও আব্দুল সামাদ দুজনেই করেন ১৮। রশিদ খান ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৪ রান তোলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। জস হ্যাজেলউড ২৪ রানে ৩টি এবং ডোয়েন ব্র্যাভো ১৭ রানে ২ উইকেট নেন।চেন্নাইয়ের যা ব্যাটিং শক্তি তাতে ১৩৫ রানের লক্ষ্য খুব একটা কঠিন হওয়ার কথা ছিল না। তার উপর দূর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন চেন্নাইয়ের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের কথা বলতে হবে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন। ওপেনিং জুটিতে ফাফ ডুপ্লেসির সঙ্গে তোলেন ৭৫। ৩৮ বলে ৪৫ রান করে জেসন হোল্ডারের বলে ঋতুরাজ আউট হন। ১৭ বলে ১৭ রান করে রশিদ খানের বলে বোল্ড হন মঈন আলি। ৩৬ বলে ৪১ রান করে হোল্ডারের বলে আউট হন ডুপ্লেসি। সুরেশ রায়নাও (২) হোল্ডারের শিকার। এরপর দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন অম্বাতি রায়ুডু (অপরাজিত ১৭) ও ধোনি (১১)। ১৯.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩৯ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় চেন্নাই।

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IPL 2021: প্লে অফের দিকে এগিয়ে গেল রয়্যাল চ্যালঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর

বুধবার আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস ও রয়্যাল চ্যালঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। দু-দলের কাছেই এই ম্যাচ ছিল oiগুরুত্বপূর্ণ। রাজস্থানের বিরুদ্ধে জিতলেই প্লে অফ নিশ্চিত হয়ে যেত কোহলিদের। অন্যদিকে প্লে অফের আশা টিকিয়ে রাখতে রাজস্থান রয়্যালসকে জিততেই হত। ৭ উইকেটে জিতে প্লে অফের দিকে এগিয়ে গেল রয়্যাল চ্যালঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।আরও পড়ুনঃ রোহিতকে পরপর দুটি বিশ্বকাপে নেতৃত্বে দেখতে চান গাভাসকারটস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বিরাট কোহলি। দুই দলেই একটি করে পরিবর্তন করে মাঠে নামে। চোট সরিয়ে প্রথম একাদশে ফেরেন রাজস্থানের কার্তিক ত্যাগী। আর রয়্যাল চ্যালঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর দলে অভিষেক জয় জর্জ গার্টনের। আগের ম্যাচে লিগ তালিকার সবথেকে নিচে থাকা সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হেরে প্লে অফের লড়াইয়ে পড়ে রাজস্থান। তাই এদিনের ম্যাচ তাদের জিততেই হত। চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নেমেছিল সঞ্জু স্যামসন ব্রিগেড।ভাল শুরু করেছিল রাজস্থানের দুই ওপেনার এভিন লুইস ও যশস্বী জয়সোয়াল। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৭৭। ২২ বলে ৩১ রান করে ক্রিশ্চিয়ানের বলে আউট হন লুইস ৩৭ বলে ৫৮ রান করেন। লুইস যখন আউট হন তখন রাজস্থানের রান ১১ ওভারে ১০০। এরপরই ধস নামে রাজস্থানের ইনিংসে। ১১৭ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে বড় রানের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় রাজস্থানের। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন করেন ১৯। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান তোলে রাজস্থান। হর্শল প্যাটেল ৩টি, যুজবেন্দ্র চাহাল ও শাহবাজ আমেদ ২টি করে উইকেট পান।আরও পড়ুনঃ ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণের সামনে দাঁড়িয়ে কেন চিন্তিত মিতালিরা?জয়ের জন্য ১৫০ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ভাল শুরু করে রয়্যাল চ্যালঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৪৮। দেবদত্ত পড়িক্কল ১৭ বলে ২২ রান করে মুস্তাফিজুরের বলে বোল্ড হন। এরপর অধিনায়ক বিরাট কোহলি ২০ বলে ২৫ রান করে রান আউট হন। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান এস ভরত ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৩৫ বলে ৪৪ রান করে আউট হন ভরত। দলকে জয়ের লক্ষ্যে পোঁছে দেন ম্যাক্সওয়েল। ৩০ বলে ৫০ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। ১৭.১ ওভারে ১৫৩/৩ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় রয়্যাল চ্যালঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
রাজ্য

Betting: বেটিং চক্র বন্ধের দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ কালনার বাসিন্দারা

বেটিং চক্রের খপ্পরে পড়ে ইতিমধ্যেই নিঃস্ব হয়েছে বহু পরিবার। এমনকী সর্বস্বান্ত হয়ে অনেকে আত্মহননের পথও বেছে নিয়েছেন। তার পরেও বেটিং চক্রের রমরমা বন্ধ না হওয়ায় মঙ্গলবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন পূর্ব বর্ধমানের কালনার বাসিন্দারা। বেটিং চক্রের ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে এদিন কালনার মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়ে তাঁরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আর্জি জানিয়েছেন। বেটিং চক্রের বিরুদ্ধে কালনার বাসিন্দারা সরব হওয়ায় নড়ে চড়ে বসেছে প্রশাসন।আইপিএল টুর্নামেন্ট চলাকালীন রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানেও সক্রিয় হয়েছিল বেটিং চক্র। জেলার মেমারি থানার পুলিশ বর্ধমান ও মেমারির বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ওই সময়ে চক্রের বেশ কয়েকজন পাণ্ডাকে গ্রেপ্তার করেছিল। তারপরেও বেটিং চক্র এই জেলায় যে সক্রিয় রয়েছে তা কালনার বাসিন্দাদের আনা অভিযোগ থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।গণস্বাক্ষর সম্বলিত লিখিত অভিযোগে কালনার বাসিন্দারা মহকুমা শাসককে জানিয়েছেন, আইপিএল টুর্নামেন্ট চলাকালীন বেটিং চক্রের খপ্পরে পড়ে কালনা মহকুমার বহু পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। সর্বস্বান্ত হয়ে অনেক মানুষের জীবন গিয়েছে। ওই সময়ে যারা আইপিএল বেটিং চক্র চালিয়েছিল তারাই এখন আবার নতুন ফন্দি এঁটে বেটিং চক্র চালাচ্ছে। এর ফলে আবার অনেক পরিবার নিঃস্ব হবে ,অনেকের প্রাণ যাবে। কালনা মহকুমা ও তার আশপাশ এলাকায় বেটিং চক্র চালাচ্ছে এমন ১৮ জনের নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে বাসিন্দারা মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ অনুযায়ী বেটিং চক্র চালানোর ঘটনায় জড়িতরা মূলত কালনা ও কালনার যোগীপাড়া, বারুইপাড়া, জাপট ও কাঁশাড়িপাড়ার বাসিন্দা। এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন ও কালনা মহকুমায় বেটিং চক্রের সক্রিয়তা বন্ধের আর্জিও মহকুমা শাসককে জানিয়েছেন বাসিন্দারা। বেটিং চক্রের সক্রিয়তা বন্ধে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয় সেদিকেই এখন তাঁরা তাকিয়ে রয়েছেন।মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ পত্রকালনার মহকুমা শাসক সুরেশ কুমার জগৎ এবিষয়ে বলেন ,অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের বিষয়টি পুলিশকে জানানো হবে।

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • 13
  • 14
  • 15
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

লালগোলা রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রথযাত্রা, রাস্তায় মানুষের ঢল

সীমন্তের গঞ্জ শহর লালগোলা রাজবাড়ির রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার মানুষের বড় উন্মাদনা। ফলে রাজবাড়ির রথের রশি টানতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন সাধারন মানুষ থেকে ভক্তগন। নিয়ম মেনে রাজবাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে পুজাপাঠের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথ বাজারে মাসির বাড়ি পৌঁছয় জগন্নাথ দেব। সেই সঙ্গে রাজ বাড়ির রথকে ঘিরে বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস পরিনত হল সম্প্রীতির মহোৎসবে। রাজপরিবার সুত্রে জানা যায়, পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে তৈরি করান লালগোলার মহারাজা মহেশ নারায়ণ রায়। অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে জানা যায়। লালগোলা রাজ পরিবারের কূল দেবতা দধিমানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয়। রথের দিন তাঁকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়, সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি। রথ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে। সাকার্স রথমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। শিশু কিশোরদের জন্য বসে হরেক কিসিমের নাগরদোলা। মহিলাদর জন্য সংসারের টুকিটাকি থেকে আধুনিক রেস্তোরাঁ। যেখানে পাওয়া যায় ভিন রাজ্যের খাবারের হরেক পদ। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অজয় ঘোষ বলেন , লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে। ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন।রথের কদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি লালগোলাতে ফেরেন বিবাহিত মহিলারা। এখানেই লালগোলার রথের বিশেষ মাহাত্ম্য। এদিকে রথের দঁড়িতে টান দিতে অন্যান্যদের সঙ্গে সমবেত হন সারজামান শেখ, সাহিল শেখ, ফিরোজ হোসেনদের মতো অনেকেই। তাদের দাবি, রাজ বাড়ির রথের সঙ্গে এলাকার মানুষের শেকড়ের সম্পর্ক। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে থেকেও বড় হয়ে ওঠে ভাবের আদান প্রদান,সম্প্রদায়ের মেল বন্ধন। তাছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় সব মানুষ মেতে ওঠেন সমান ভাবে। লালগোলা রাজবাড়ির রথের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথ কে ঘিরে জেলার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। নশিপুর রাজবাড়ির রথের ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। রথের মেলায় রকমারি ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যায়। ফলে গাছ প্রেমী মানুষের আকর্ষণ রয়েছে নশিপুর রাজবাড়ি মেলার প্রতি।

জুন ২৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতার 'ল কলেজে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ, গ্রেফতার ৩, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

কসবা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র নেতা মনজিৎ মিশ্র সহ অন্যান্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্ত জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখার্জি। মনজিৎ মিশ্র ওই ল কলেজের প্রাক্তনী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিল এবং বাকি দুজন সেখানকার পড়ুয়া। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো হয় ২৫ জুন, বুধবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষিতার মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিও রেকর্ডিং করে ভয় দেখায় অভিযোগকারীরা। পরবর্তীতে ধর্ষিতা যাতে অভিযোগ না জানান, তার জন্যও নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় এবং অভিযোগের এফআইআর কপিতে অভিযুক্তদের নাম দেওয়ার বদলে তাদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অভিযোগ লেখা হয়। এমন ঘটনা বোধহয় কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ঘটা সম্ভব। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। বিজেপির দাবি, কসবার গণধর্ষণের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা নয়, এটি অভয়া ধর্ষণ কান্ডের পর এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার আবারও এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে ছোটখাটো বলে উপেক্ষা করেন, যা রাজ্যে এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাঁর এই মনোভাব পুলিশ প্রশাসনকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে অপরাধীরা নির্ভয়ে এই ধরনের কাজ করে। রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কলকাতার মতো শহরে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কার্যালয় রয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ বোধ করবে?২০২৪ সালে আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। রাজ্য সভাপতি সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আরজি করের ঘটনায়ও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। এখনও তিনি একই ভুল করছেন।পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখায়, যার ফলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ অপরাধীদের ধরা, কিন্তু তারা শাসক দলের নেতাদের সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত।এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বারবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয় ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী । মনোজ ভার্মা থেকে শুরু করে বিনীত গোয়েল এবং বাকি সব পুলিশ দিঘায় রয়েছে । পুরো কলকাতা পুলিশকে নিয়ে চলে গিয়েছে ওখানে। দিঘায় তো লোকই হয়নি৷ তাই জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। বিজেপি এই বিষয়টা নিয়ে লড়বে। খুব বড় পদক্ষেপ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সরকারকে উচিত শাস্তি দেওয়া উচিত।এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পা ৷ তিনি বলেন, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। অভয়ার ঘটনার পরে দশ মাসও কাটেনি আজকে আরেক অভয়া বোনের গণধর্ষণ হয়ে গেল। এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার।এদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ল কলেজের ঘটনাকে ঘৃণ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্তরা কেউ তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসিপির নেতৃত্বে নেই। দলের সঙ্গে এখন তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আর অভিযুক্তদের সঙ্গে নেতাদের ছবি প্রসঙ্গে তৃমূলের দাবি, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহু অপরাধীদের ছবি দেখা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

রথযাত্রা ও জিলিপি বাংলার সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ

রথ দেখতে গিয়ে কলা না বেচলেও জিলিপি খাননা এরকম মানুষ মেলা ভার। রথযাত্রা ও জিলিপির সম্পর্কটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়, রথযাত্রা মানেই একটি উৎসব, আর এই উৎসবের অনিবার্য অংশ হচ্ছে জিলিপি।কেন রথযাত্রায় জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ?ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: জিলিপি একটি বহু পুরনো ও জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ভোগ ও প্রসাদে মিষ্টির ব্যবহার প্রচলিত, এবং জিলিপি তার মধ্যে একটি প্রধান আইটেম।উৎসবের আনন্দে শামিল হওয়া: রথযাত্রার দিন সকালে বা রথ টানার পর জিলিপি খাওয়ার প্রথা বহু জায়গায় প্রচলিত। এটি যেন রথের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।জাগন্নাথদেবের ভোগ: ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের জন্য যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়, তাতে নানা রকমের মিষ্টির মধ্যে জিলিপির মতো মিষ্টিও থাকে (যদিও সেখানে জিলিপিকে স্থানীয়ভাবে অন্য নামে ডাকা হতে পারে)।লোকাচার ও বাজার সংস্কৃতি: বাংলার বিভিন্ন মেলাতে যেমন রথের মেলা হয়, সেখানে জিলিপি ও অন্যান্য মিষ্টি খাবার বিক্রি হয় ব্যাপকভাবে। এটি এক ধরনের লোকাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে রথ মানেই জিলিপি!রথ ও জিলিপির সম্পর্ক হলো উৎসব, ভক্তি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। রথ টানার পর একগাদা গরম জিলিপি খাওয়ার আনন্দ বাঙালির হৃদয়ে বিশেষভাবে গেঁথে আছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal