আইপিএলের প্রথম পর্বে একের পর এক ব্যর্থতায় নেতৃত্ব ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন দীনেশ কার্তিক। অধিনায়কের ব্যাটন তুলে দেওয়া হয়েছিল ইওয়িন মর্গানের হাতে। তাঁর নেতৃত্বেও যে কলকাতা নাইট রাইডার্স একটুও বদলায়নি, ইতিমধ্যেই প্রমানিত। দ্বিতীয় পর্বের শুরুতে পরপর দুটি ম্যাচ জিতলেও নাইটদের প্লে অফের ভাগ্য এখন অন্য দলের ওপর নির্ভর করছে। আর সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ অধিনায়ক ইওয়িন মর্গান। একে তো ব্যাটে রান নেই, তার ওপর নেতা হিসেবেও দলকে উজ্জীবিত করতে চূড়ান্ত ব্যর্থ।
আইপিএলে ৮ দলের অধিনায়কদের মধ্যে সবথেকে খারাপ হাল মর্গ্যানের। ১১ ইনিংসে তাঁর রান ২,০, ৮, ৭, ০, ০, ৪৭, ০, ৭, ২৯, ৭, ০। মোট ১০৯। গড় ১০.৯০, স্ট্রাইক রেট ১০০.৯২। আইপিএলে ইওয়িন মর্গ্যানের চেয়ে খারাপ গড় কোনও অধিনায়কের নেই। আইপিএলের অধিনায়ক হিসেবে খারাপ গড়ের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১২ সালের আইপিএলে হরভজন সিংয়ের ব্যাটিং গড় ছিল ১২। ২০০৯ সালে শেন ওয়ার্নের ১৩.৫। পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার পর মর্গ্যানের দশা সেগুলির চেয়েও খারাপ। তার উপর রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে অনেকের কাছেই চক্ষুশূল হয়েছেন। নাইট রাইডার্স অধিনায়কের একের পর এক ব্যর্থতায় তাঁকে সরানোর দাবিও ইতিমধ্যে উঠতে শুরু করেছে। অধিনায়ক মর্গ্যানের একর পর এক ব্যর্থতায় অস্বস্তি বাড়ছে নাইট শিবিরেও। মর্গ্যান কার্যত দলের বোঝা হিসেবেই প্রতিপন্ন হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়ার দাবিও উঠেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মর্গ্যানকে উদ্দেশ্য করে নানা কটাক্ষ ভেসে উঠেছে। কেউ কেউ টুইট করে বলেছেন যে, মর্গ্যান আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনির মতোই ইংল্যান্ডের মেন্টরের ভুমিকা পালন করুন। কেউ কেই আবার লিখেছেন, পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে মর্গ্যানের ব্যর্থতা দেখে নিশ্চিতভাবেই খুশি হবেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। হাইভোল্টেজ ম্যাচে স্টাম্প লক্ষ্য করে বল করে সামি ক্রিকেটীয় স্পিরিট ভেঙেছেন কিনা প্রশ্নও নাইট অধিনায়কের সামনে রেখেছেন নেটাগরিকরা। কেউ কেউ আবার মর্গ্যানের নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা আছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এরপরেও কি অধিনায়ক সরানোর পথে হাঁটবে নাইট রাইডার্স টিম ম্যানেজমেন্ট?