• ১২ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Ipl

টুকিটাকি

চুল ঝরছে? ত্বকে সমস্যা? বাড়িতে কর্পূর থাকলে একাধিক সমস্যার সমাধান

আমাদের দেশে প্রাচীন কাল থেকেই পুজো-পাঠে আর খাবারের সুগন্ধ বাড়াতে কর্পূরের ব্যবহার করা হয়। চোখ বন্ধ করেও শুধু মাত্র গন্ধেই কর্পূর চেনা যায়। তবে শুধু পুজো-পাঠ বা খাবারের সুগন্ধ বাড়াতেই নয়, বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রেও প্রাচীন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় যুগ যুগ ধরে কর্পূর ব্যবহার করা হয়। আজ জেনে নেওয়া যাক কর্পূরের কয়েকটি অজানা, আশ্চর্য ব্যবহার...১. কর্পূরের ট্যাবলেট ঘরের কোনায় কোনায় ছড়িয়ে দিন। কর্পূরের গন্ধে মশা ঘর ছেড়ে পালাবে।২. ঘরের দুর্গন্ধ কাটাতে কর্পূরের ট্যাবলেট ঘরের কোনায় কোনায় ছড়িয়ে দিন। দেখবেন এটি রুম ফ্রেশনারের কাজ করবে।৩. সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে গেলে বা বুকে কফ জমে গেলে কর্পূরের সাহায্য নিতে পারেন। কর্পূরের গন্ধে বন্ধ নাক ছেড়ে যাবে। সরষের তেল বা নারিকেল তেলের সঙ্গে আন্দাজ মতো কর্পূর মিশিয়ে সামান্য গরম করে নিন। উষ্ণ অবস্থাতেই এই তেলের মিশ্রণটি বুকে, পিঠে ভাল করে মালিশ করতে পারলে দ্রুত আরাম পাওয়া যাবে।৪. অতিরিক্ত চুল ঝরা রোধ করতে আর খুশকির সমস্যা দূর করতে কর্পূর একেবারে অব্যর্থ একটি উপাদান। নিয়মিত মাথায় মাখার তেলের সঙ্গে কর্পূরের গুঁড়ো মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারলে চুল ঝরার পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে। চুলে শ্যাম্পু করার আগে এই তেলের মিশ্রণ মাথার তালুতে আর চুলের গোড়ায় মাখতে পারলে খুশকির সমস্যাও দ্রুত কমবে।৫. ব্রণ ও ব্রণর দাগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে কর্পূর অত্যন্ত কার্যকরী! কয়েক ফোঁটা কর্পূর এসেনশিয়াল অয়েল বা কর্পূরের গুঁড়ো এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল, নারকেল তেল বা আমন্ড তেলের সঙ্গে মিশিয়ে কয়েক দিন কেখে দিন। এ বার ওই তেল ব্রণ আক্রান্ত ত্বকে ভাল করে মালিশ করতে পারলে ব্রণর সমস্যা দ্রুত কমবে, সেই সঙ্গে ব্রণর দাগও ফিকে হয়ে যাবে।৬. ত্বকের চুলকানি বা র্যাশের সমস্যায় কর্পূর অত্যন্ত কার্যকরী। এক টুকরো ভোজ্য কর্পূর সামান্য জলের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকের আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে, কিছু ক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের চুলকানি বা র্যাশের সমস্যা দ্রুত কমে যাবে। তবে খেয়াল রাখবেন, কখনওই কাটা বা ক্ষত স্থানে কর্পূর ব্যবহার করবেন না। কারণ কর্পূর রক্তের সঙ্গে মিশে গেলে শরীরে বিষক্রিয়া হতে পারে।৭. ছারপোকা তাড়াতে কর্পূর অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। ছারপোকার সমস্যা থেকে মুক্ত পেতে প্রথমে বিছানার চাদর ধুয়ে, তোষক, ম্যাট্রেস সব দীর্ঘ ক্ষণ রোদে দিন। এর পর একটি বড় কর্পূরের টুকরো কাপড়ে মুড়ে বিছানা ও ম্যাট্রেসের মাঝে রেখে দিন। কর্পূরের গন্ধে ছারপোকারা বিছানার ধারেকাছেও ঘেঁষবে না।৮. বাড়িতে পিঁপড়ের উপদ্রব বেড়েছে? তাহলে এই সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই পেতে বাজার চলতি ক্ষতিকর কীটনাশকের পরিবর্তে জলের সঙ্গে কর্পূর মিশিয়ে ঘরের কোনায় কোনায় ছড়িয়ে দিন। কর্পূরের ঘন্ধে পিঁপড়ে ঘর ছেড়ে পালাবে।

এপ্রিল ১৮, ২০২১
কলকাতা

করোনা নিয়ন্ত্রণে একগুচ্ছ পরিকল্পনা হাওড়া জেলা প্রশাসনের

উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে হাওড়ার করোনা পরিস্থিতি। লাফিয়ে লাফিয়ে উর্ধগামী হাওড়া পুর এলাকার করোনা সংক্রমণের গ্রাফ। পরিস্থিতি দেখে উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন নিচ্ছে একাধিক পদক্ষেপ। হাওড়া প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, গত বছর লকডাউনের পর থেকে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, ধাপে ধাপে সেগুলি প্রায় সবই ফিরিয়ে আনা হবে। তবে এবার কোনও রাস্তা বা বড় এলাকা ধরে কন্টেইনমেন্ট জোন নয়, এবার করা হবে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন। কোনও বাড়ি বা আবাসন থেকে পাঁচজন বা তার বেশি সংখ্যক করোনা আক্রান্তের খবর এলে সেই আবাসন বা নির্দিষ্ট কয়েকটি বাড়িকে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করে নজরদারির আওতায় আনা হবে। এছাড়াও আবার চালু করা হচ্ছে টেলিমেডিসিন ব্যবস্থা। এছাড়া বাজারহাট, জনবহুল এলাকাগুলি একদিন অন্তর জীবাণুমুক্ত করা, সেফ হোম পরিষেবা ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ধাপে ধাপে এই কাজগুলি শুরু হয়ে যাবে। হাওড়া জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ আধিকারিক এই খবর জানিয়েছেন। হাওড়া শহরে সংক্রমণের বাড়াবাড়ির কথা মাথায় রেখে নেওয়া হচ্ছে আরও কিছু ব্যবস্থা। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন বাজারের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের তোড়জোড় চলছে। এক-দুদিনের মধ্যে সেই বৈঠক সেরে কীভাবে নিয়ন্ত্রিতভাবে বাজারগুলি চালু করা যায় এবং ক্রেতা-বিক্রেতারা করোনা বিধি মেনে চলেন, সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। হাওড়ার মঙ্গলাহাটে প্রতি সপ্তাহে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হচ্ছে। আগের মতো সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত মঙ্গলাহাটের বেচাকেনা চলছে। সেখানে অনেকেই মাস্ক পরার বিষয়ে কোনও তোয়াক্কা করছেন না। এই বিশাল পাইকারি হাটেও কীভাবে করোনা বিধি চালু করা যায় বা পরিস্থিতি অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ লাগু করা যায়, সেই বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে প্রশাসন। রাজ্য সরকারের প্রকাশিত করোনা সংক্রান্ত বুলেটিন থেকে জানা যাচ্ছে, গত ১১ এপ্রিল ২৯৩ জন, ১০ এপ্রিল ২৮৯ জন এবং ৯ এপ্রিল ২২৩ জন নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। মাসখানেক আগেও এই দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ৩০-৪০ এর মধ্যে ছিল। এই কদিনে যেভাবে তা বেড়ে গেল, এখনই তা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আগামী মাসখানেকের মধ্যে সংক্রমণের সব রেকর্ড ছাপিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। সূত্রের খবর, ১১ এপ্রিলের তথ্য অনুযায়ী হাওড়ার প্রায় ১৮০০ সক্রিয় করোনা রোগীর মধ্যে প্রায় ১৪০০ জনই হাওড়া পুরসভা এলাকার। তাই শহর নিয়েই আপাতত উদ্বেগ বেশি রয়েছে প্রশাসনের। বালিটিকুরি হাসপাতালকে ইতিমধ্যে করোনা হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করে অতিরিক্ত ৬০০ শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়েছে সত্যবালা আইডি হাসপাতালও। সব ধরনের পরিকল্পনা ঠিকঠাক কার্যকর হলে আগামী সপ্তাহ তিনেকের মধ্যে সংক্রমণের হার কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে মনে করছে জেলা প্রশাসন।

এপ্রিল ১৬, ২০২১
বিবিধ

বহুগুণসম্পন্ন কমলালেবু, জেনে নিন নানাবিধ উপকারিতা

কমলালেবুর রস বা জুস খেতে সকলেই পছন্দ করেন। এতে একদিকে যেমন আছে ভিটামিন সি, তেমনই আছে খনিজও। ফলে রোজকার খাদ্য তালিকায় যদি এই ফলটা থাকে তাহলে শুধু ক্যালোরি নয়, একসঙ্গে অনান্য অনেক সমস্যার সমাধান করে দেবে কমলালেবুর রস।বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি প্রতিদিন কমলালেবুর রস খাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে ওবেসিটি, ডায়াবেটিসের মতো দৈহিক সমস্যা দূরে রাখা সম্ভব হবে। শুধু তাই নয় মস্তিষ্ক গঠনেও সাহায্য করে কমলালেবু। পাশাপাশি কমলালেবুতে ফ্যাট থাকে না, ক্যালোরির পরিমাণও অত্যন্ত কম। তাই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কমলালেবুর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তবে মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত এই ফল খেলে পেটে ব্যথা, ডায়েরিয়া, বদহজম হতে পারে। অন্যদিকে, হার্ট ও কিডনির রোগে যাঁদের হাই পটাশিয়াম যুক্ত খাবারের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তাঁদের অবশ্যই কমলালেবু খাওয়ার আগে পুষ্টিবিদদের সঙ্গে আলোচনা করে তবে খেতে হবে।কমলালেবুর গুণাগুণ:১. কমলালেবুতে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি এবং হেসপিরিডিন যা উচ্চচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এতে প্রাকৃতিক উপাদান হিসাবে থাকা ফ্ল্যাভনোয়েড শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা নিয়ে থাকে।২. ক্যানসার প্রতিরোধে কমলালেবুর জুড়িমেলা ভার। ত্বক, মুখের ভিতর, ব্রেস্ট, ফুসফুস, পাকস্থলী ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে কমলালেবু। লিউকোমিয়া প্রতিরোধেও কমলালেবুর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। গবেষণায় জানা দিয়েছে, কমলালেবুতে আরও একটি উপাদান থাকে যাকে বলে লিমোনেন । এই উপাদান ক্যানসার রোধে খুবই উপযোগী।৩. কমলালেবুতে ভিটামিন সি, কোলিন, পটাশিয়াম, ডায়েটারি ফাইবার থাকে। যা স্ট্রোক, এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। ফলে যাঁদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তাঁরা চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো কমলালেবু খেতে পারেন।৪. প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান অর্থাৎ ভিটামিন সি থাকায় নানা ধরনের সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে কমলালেবু।৫. যাঁদের কিডনিতে পাথরের সমস্যা রয়েছে তাঁদের কাছে কমলালেবু খুবই উপকারী এক ফল। নিয়মিত তা খেতেই পারেন। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে।

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১
স্বাস্থ্য

এক টমেটোর হাজারো গুণ, শুনলে আপনিও চমকে যাবেন

লাল টুকটুকে রূপের বাহার দেখে মন তো ভুলবেই। সুস্বাস্থ্যও বজায় থাকবে।এমন কোনও খাবার পেলে সকলেই চোখ ভরে দেখবেন ও মন ভরে খাবেন। টমেটো হচ্ছে তেমনই একটি সবজি, যা স্বাদে ও স্বাস্থ্যে একেবারে একে অপরকে টেক্কা দেয় বললেই চলে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, টমেটোতে এমন গুণ আছে যা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ফলে মানুষের হার্ট সতেজ ও চাঙ্গা থাকে। মারণ রোগ ক্যানসারের হাত থেকেও রক্ষা করতে পারে টমেটো।টমেটোর মধ্যে কোনওরকম চর্বি জাতীয় উপাদান নেই। তাই এটি খেলে ওজন বাড়ারও সম্ভাবনা নেই। উলটে শরীরে ভিটামিন সির জোগান বাড়বে। টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এতে যেমন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। আর করোনার এই সময় তা কতটা জরুরি, সেকথা তো সবারই জানা। হাড়ের জোর বাড়ানোর ক্ষমতাও রয়েছে টমেটোতে। এতে থাকা লাইকোপিনের উপস্থিতিতে আবার ত্বকের জেল্লাও বাড়ে।কাঁচা খান বা পাঁকা, স্যুপ খান বা চাটনি বা সস, যেভাবে ইচ্ছা টমেটো খেতেই পারেন। কিন্তু এত গুণের পরিমাণ জেনে আবার যথেচ্ছ পরিমাণে খেয়ে ফেলবেন না। পেটের সহ্য করার ক্ষমতা বুঝে তবেই স্বাদের কথা ভাববেন।

ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে প্লে অফ ম্যাচে কেন খেললেন না ঋদ্ধিমান?‌ 

গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে বহুবার চোট পেয়ে দলের বাইরে ছিটকে গেছেন। আবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের জন্য আইপিএলে প্লে অফে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ম্যাচ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য বাড়তি ঝুঁকি নিলেন না বাংলার এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ব্যাট করার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লেগেছিল ঋদ্ধিমানের। ব্যাট হাতে ৮৭ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন। পরে অবশ্য গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনে দাঁড়াননি। তাঁর পরিবর্তে কিপিং করেছিলেন শ্রীবৎস গোস্বামী। দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচের পর আরও দুটি ম্যাচ খেলেন ঋদ্ধি। চোট কিছুটা বেড়েছে। তাই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোর ম্যাচে ঝুঁকি নিলেন না। টিম ম্যানেজমেন্টও চায়নি ঋদ্ধিকে খেলাতে। যদি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ফাইনালে ওঠে আর ঋদ্ধির চোটের যদি উন্নতি হয় তাহলে তিনি ফাইনালে খেলবেন।

নভেম্বর ০৬, ২০২০
খেলার দুনিয়া

কোন ব্যাটে খেলে সাফল্য পেলেন ঋদ্ধি?‌ 

মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচের ওপর নির্ভর করছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্লে অফের ভাগ্য। এক বাঙালী ক্রিকেটারের হাতেই কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিদায় ঘন্টা বেজেছে। বিষয়টা এইভাবে দেখছেন না ঋদ্ধিমান সাহা। নাইট রাইডার্সের বিদায়ের প্রসঙ্গ উঠতেই তিনি বলেন, কলকাতা একসময় আমার হোম টিম ছিল। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামার সময় কলকাতা আবেগ আমার মনে কাজ করেনি। এখন আমি হায়দরাবাদের ক্রিকেটার। দলকে প্লেঅফে তুলতে পেরে তৃপ্ত। একটা ম্যাচে মিডল অর্ডারে মন্থর ব্যাটিং করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। বেশ কয়েকটা ম্যাচ বসে থাকার পর ওপেনিংয়ে সুযোগ। ওপেন করতে যাওয়ার আগে টিম ম্যানেজমেন্টের আলাদা কোনও নির্দেশ ছিল না বলে জানান ঋদ্ধি। তাঁকে নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলতে বলা হয়েছিল। ব্যাট করতে নামার আগে সূর্যকুমার যাদবকে স্ট্যাম্পড করেছিলেন। ক্রুনাল পান্ডিয়ার ক্যাচ ধরেছিলেন। এই দুটি শিকারের মধ্যে সূর্যকে স্টাম্পড করাটাকেই এগিয়ে রাখছেন ঋদ্ধি। রনজি ফাইনালের ব্যাটেই মঙ্গলবার খেলেছেন। আবার সাফল্য। প্রথম একাদশ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর ফিরে এসে তিন ম্যাচে রান করেছেন ৮৭, ৩৯ ও অপরাজিত ৫৮। এই তিনটি ইনিংসের মধ্যে প্রথমটাকেই এগিয়ে রেখেছেন ঋদ্ধি। তাঁর কথায়, দল থেকে বাদ পড়ে ফিরে এসে সুযোগ কাজে লাগিয়েছিলাম। ওই ইনিংসটাই সবথেকে বেশি তৃপ্তি দিয়েছে।

নভেম্বর ০৪, ২০২০
খেলার দুনিয়া

দিল্লি–বেঙ্গালুরু প্লে অফে, ঝুলে রইল কলকাতার ভাগ্য

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোর ১৫২/৭ (২০ ওভার) দিল্লি ক্যাপিটালস ১৫৪/৪ (১৯ ওভার) দিল্লি ক্যাপিটালস ৬ উইকেটে জয়ী ধারাবাহিকতা দেখিয়েও নিজেদের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত ঝুলে ছিল দিল্লি ক্যাপিটালসের প্লে অফের ভাগ্য। সোমবার মাটে নামার আগে প্লে অফের ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল না। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করল দিল্লি। হেরেও প্লে অফে চলে গেল বেঙ্গালুরু। অন্যদিকে নাইট রাইডার্সের প্লে অফের ভাগ্য ঝুলে রইল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচের ওপর। এদিন টসে জিতে বেঙ্গালুরুকে ব্যাট করতে পাঠান শ্রেয়াস আয়ার। পঞ্চম ওভারেই ধাক্কা খায় বেঙ্গালুরু। ফিলিপেকে (১২) ফেরান রাবাডা। দেবদত্ত পাড়িক্কল ও বিরাট কোহলি দলকে টেনে নিয়ে যান। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ফেরান কোহলিকে (২৯)। অর্ধশতরান করার পর নর্টিয়ের বলে বোল্ড হন দেবদত্ত পাড়িক্কল (৫০) ও মরিসকে (০)। রাবাডা ফেরান শিবম দুবেকে (১১ বলে ১৭)। বেঙ্গালুরুর বড় ভরসা ডিভিলিয়ার্স (৩৫)। আউট হতেই বড় রানের স্বপ্ন শেষ বেঙ্গালুরুর (১৫২/৭)। ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে পৃথ্বী শর (৬ বলে ৯) উইকেট হারায় দিল্লি। তবে দলকে চাপে পড়তে দেননি শিখর ধাওয়ান ও অজিঙ্ক রাহানে। তাঁদের ৮৮ রানের পার্টনারশিপ দিল্লির জয়ের প্ল্যাটফর্ম গড়ে দেয়। শিখর ধাওয়ানকে (৫৪) তুলে নেন শাহবাজ আমেদ। শ্রেয়াস আয়ারকেও (৭) তিনি ফেরান। রাহানেকে (৪৬ বলে ৬০) ফেরান ওয়াশিংটন। দিল্লি তখন প্রায় জয়ের দোরগোড়ায়। ১৯ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দিল্লি (১৫৪/৪)।

নভেম্বর ০২, ২০২০
খেলার দুনিয়া

‌নিজেদের প্লে অফের ভাগ্য কার হাতে ছেড়ে দিলেন নাইট অধিনায়ক মর্গ্যান?‌

রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে জয়টাইপ্লে অফের জন্য নাইট রাইডার্সের কাছে লাইফলাইন। তবে আদৌও প্লে অফের ছাড়পত্র পাবে কিনা নির্ভর করছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদমুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচের ওপর। হায়দরাবাদ হারলেই প্লে অফের টিকিট এসে যাবে ইওন মর্গ্যানদের হাতে। নিজেদের হাতে কিছু নেই। ঈশ্বরের ওপরই নিজেদের ভাগ্য ছেড়ে দিয়েছেন নাইট রাইডার্স অধিনায়ক। প্লে অফের প্রসঙ্গে মর্গ্যান বলেন, রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে রান রেটের বিষয়টা আমাদের মাথায় ছিল। তার আগে আমাদের জয়টা জরুরি ছিল। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে আমাদের এর বেশি কিছু করার ছিল না। সবকিছু ঈশ্বরের হাতে ছেড়ে দিয়েছি। রবিবার জয়ের জন্য বোলারদের প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন মর্গান। তিনি বলেন, দলের সামগ্রিক বোলিং খুবই ভাল হয়েছে। এক কথায় বলতে গেলে অসাধারণ। বোলাররা নিজেদের সেরাটা দিয়েছিল। রাজস্থান ব্যাটসম্যানরা জবাব দিতে পারেনি। পাওয়ার প্লের মধ্যে ৪ উইকেট হারালে যে কোনও দলের পক্ষে ম্যাচে ফেরা কঠিন হয়ে যায়। রাজস্থানও ম্যাচে ফিরতে পারেনি। ১৯১ রান জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল বলে মনে করছেন মর্গান। তিনি বলেন, উইকেট খুবই ভাল ছিল। ১০ থেকে ১৫ ওভারের মধ্যে আমরা বেশ কয়েকটা উইকেট হারিয়েছিলাম। তবে শেষটা ভাল হওয়ায় বড় রানে পৌঁছতে পেরেছিলাম।

নভেম্বর ০২, ২০২০
খেলার দুনিয়া

রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে প্লে অফের লাইফলাইন পেল নাইট রাইডার্স

সংক্ষিপ্ত স্কোর: কলকাতা ১৯১/৭, ২০ ওভারে। রাজস্থান ১৩১/৯, ২০ ওভারে। কলকাতা ৬০ রানে জয়ী। প্লেঅফের লড়াইয়ে থাকতে গেলে জেতা ছাড়া কোনও রাস্তা ছিল না কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়্যালসের সামনে। রাজস্থানকে ৬০ রানে হারিয়ে প্লে অফের স্বপ্ন বেঁচে রইল কলকাতার। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও জ্বলে উঠতে পারলেন না আন্দ্রে রাসেল। শুভমান গিল (২৪ বলে ৩৬), রাহুল ত্রিপাঠী (৩৪ বলে ৩৯) ও মর্গানদের (৩৫ বলে অপরাজিত ৬৮) দাপটে ২০ ওভারে ১৯১/৭ তোলে নাইট রাইডার্স। ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই নীতীশ রানাকে (০) তুলে নিয়ে নাইটদের চাপে ফেলে দিয়েছিলেন জোফ্রা আর্চার। শুভমান ও রাহুলের ৭২ রানের জুটি বড় রানের ভিত গড়ে দিয়েছিল। সুনীল নারাইন (০) ব্যর্থ। কার্তিকের (০) খারাপ সময় অব্যাহত। ৪ ম্যাচ পর প্রথম একাদশে ফিরে বড় রান পেলেন না রাসেল (১১ বলে ২৫)। ১৯২ রানের লক্ষ্য সহজ ছিল না রাজস্থানের সামনে। কামিন্সের প্রথম বলেই ছয় হাঁকিয়ে শুরু করেছিলেন উথাপ্পা। প্রথম পাঁচ বলে ওঠে ১৯। শেষ বলে উথাপ্পাকে (২ বলে ৬) তুলে নেন কামিন্স। এক ওভার পরে আবার কামিন্সের ধাক্কা। স্টোকসকে (১১ বলে ১৮) ফেরান। ওভারের শেষ বলে স্মিথকেও (৪ বলে ৪) ফেরান কামিন্স। সঞ্জু স্যামসনকে (৪ বলে ১) তুলে নেন শিবম মাভি। পরের ওভারে আবার কামিন্সের (৪/৩৪) ধাক্কা। ফেরান রিয়ান পরাগকে (৭ বলে ০)। ৫ ওভারের মধ্যে সেরা ৫ ব্যাটসম্যানকে হারায় রাজস্থান। বাটলার (২২ বলে ৩৫) ও তেওয়াটিয়া (২৭ বলে ৩১) কিছুটা লড়াই করেন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৩১/৯ তোলে রাজস্থান।

নভেম্বর ০১, ২০২০
খেলার দুনিয়া

সুনীল নারাইনকে নিয়ে কী বলল নাইট রাইডার্স কর্তৃপক্ষ?‌

দলের সেরা অস্ত্রের বিরুদ্ধে বল ছোঁড়ার অভিযোগ। প্রায় দেড়দিন চুপচাপ ছিল। অবশেষে সুনীল নারাইনের ব্যাপারে মুখ খুলল কলকাতা নাইট রাইডার্স টিম ম্যানেজমেন্ট। নারাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ায় নাইট কর্তৃপক্ষ অবাক। দলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আবু ধাবিতে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর অফিসিয়ালরা সুনীল নারাইনের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ এনে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ওর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় আমরা অবাক। নারাইন ২০১২ থেকে আইপিএলে ১১৫টা ম্যাচ খেলেছে। ২০১৫তে ওর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে রিপোর্ট জমা পড়ার পন ৬৮টা ম্যাচ খেলে ফেলেছে। ওই সময় আইসিসির অনুমোদিত সংস্থা নারাইনের বোলিং অ্যাকশনের ছাড়পত্র দিয়েছিল। এই মরশুমেও নারাইন ছটা ম্যাচ খেলে ফেলেছে। এতদিন ম্যাচ অফিসিয়ালরা কোনও অভিযোগ তোলেননি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আইপিএলের এই পর্যালোচনা প্রক্রিয়াকে সম্মান করি। এই বিষয় নিয়ে অতীতে আমরা সবসময় সহযোগিতা করে এসেছি। ভবিষ্যতেও করব। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসবে। আইপিএল পরিচালকবর্গ যেভাবে সহযোগিতা করে আসছে তা প্রশংসনীয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ও কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচের পর আইপিএলের পক্ষ থেকে নারাইনের সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন নিয়ে একটি বিবৃতি পাঠানো হয়েছিল। সেই বিবৃতিতে লেখা ছিল, আইপিএলের সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন নিয়ম মেনে ফিল্ড আম্পায়াররা সুনীল নারাইনের বিরুদ্ধে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। তাঁকে সতর্কিত করা হয়েছে। তবে প্রতিযোগিতায় বোলিং করতে পারবেন। দ্বিতীয়বার অভিযোগ জমা পড়লে বোলিং করতে দেওয়া হবে না।

অক্টোবর ১২, ২০২০
খেলার দুনিয়া

১০ বছর আগের স্মৃতিই ভরসা চেন্নাই সুপার কিংসের

চেন্নাই সুপার কিংস শিবিরের স্মৃতিতে ভেসে উঠছে ১০ আগের ছবি। শুরুতে একের পর এক পরাজয়। শেষদিকে প্রতিটা ম্যাচেই অগ্নিপরীক্ষায় নামতে হয়েছিল ধোনির দলকে। সেখান থেকে চ্যাম্পিয়ন। এবছর চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে কিনা সময়ই বলবে, তবে চেন্নাইয়ের অবস্থা যে সঙ্কটজনক, সেকথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। আপাতত ৭ ম্যাচে ২টিতে জয়। ৪ পয়েন্ট পেয়ে গ্রুপ লিগে ৭ নম্বরে। প্লে অফে যেতে গেলে বাকি ৭ ম্যাচের মধ্যে ৬টিতে জিততে হবে। এই অবস্থায় বুধবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে অগ্নিপরীক্ষায় নামছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। হায়দরাবাদের কাছে হার মানেই একটা লাইফ লাইন কমে যাওয়া। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে চেন্নাই টিম ম্যানেজমেন্ট চিন্তিত ব্যাটসম্যানদের ফর্ম নিয়ে। এখনও জ্বলে উঠতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। ওপেনিংয়ে শেন ওয়াটসন ও ফাপ ডুপ্লেসি কয়েকটা ম্যাচে ভাল শুরু করলেও মিডল অর্ডার ভরসা জোগাতে পারেনি। ধোনির অবস্থাও যথেষ্ট খারাপ। ব্যাটে রান নেই। তঁার মুখেও বারবার শোনা গেছে ব্যাটিং নিয়ে চিন্তার কথা। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব না নিলে আবার ভুগতে হবে চেন্নাইকে।

অক্টোবর ১২, ২০২০
কলকাতা

কোভিড রোগীদের জন্য একাধিক জনমুখী পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের

ফের করোনা আক্রান্ত মানুযের কথা চিন্তা করে পুজো্র আগে জনমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করল রাজ্য সরকার। কলকাতা ও শহরতলিতে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কোভিড টেস্ট করাতে গেলে এখন সাধারণ মানুষকে দিতে হয় ২২৫০। কিন্তু রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে , এই বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলিতে এখন থেকে টেস্ট করাতে গেলে লাগবে ১৫০০। এছাড়াও রাজ্য সরকার ও কলকাতা পুরসভা বিনামূল্যে রাজ্যের সকল কোভিড রোগীকে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দেয়। কিন্তু যে সকল কোভিড রোগী বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হন , তাদের জন্যও অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া কমানো দরকার। রাজ্য সরকার সেই সংক্রান্ত রেগুলেটরি কমিশনের কাছে অনুরোধ করছে , অবিলম্বে পুজো্র আগেই বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া সহনশীল স্তরে নামিয়ে আনা হোক। আরও পড়ুনঃ স্পা-এর আড়ালে মধুচক্র , ধৃত টেলি অভিনেতা সহ ১৬ এছাড়াও গত ১০ অক্টোবর হাওড়ার এএসআই বালটুকরিতে ইতিমধ্যেই কোভিড রোগীদের ৪৮ টি শয্যা্র ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলকাতার এম আর বাঙুরে সো্মবার থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য চালু হল ৫৬ টি শয্যা। আরও ৪৯৬ টি শয্যা আগামী দু থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে চালু হবে। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন কোভিড হাসপাতালে ২৪৭৫ জন নার্স শীঘ্রই নিযুক্ত করা হবে। পুজোর সময় প্রশাসনের জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত অফিসার ও আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

অক্টোবর ১২, ২০২০
খেলার দুনিয়া

দিল্লিকে হারিয়ে শীর্ষে পৌঁছে গেল মুম্বই

সংক্ষিপ্ত স্কোর:‌ দিল্লি ২০ ওভারে ১৬২/‌৪, শিখর ধাওয়ান অপরাজিত ৬৯ (‌৫২)‌, ক্রুনাল ২/‌২৬। মুম্বই ১৯.‌৪ ওভারে ১৬৬/‌৫। ডিকক ৫৩ (‌৩৬), সূর্যকুমার ৫৩ (‌৩২)‌, রাবাডা ২/‌২৮‌। মুম্বই ৫ উইকেটে জয়ী। লিগ টেবিলের শীর্ষে ছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। দ্বিতীয় স্থানে মুম্বই ইন্ডিয়ানস। দিল্লিকে হারিয়ে রোহিত শর্মারা শীর্ষে পৌঁছতে পারে কিনা সেটাই ছিল দেখার। দিল্লির বিজয়রথ থামিয়ে ৫ উইকেটে জিতে শীর্ষে উঠে গেল মুম্বই। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে দুটি পরিবর্তন করে খেলতে নেমেছিল দিল্লি। ঋষভ পন্থের জায়গায় অজিঙ্কা রাহানে, শিমরন হেটমেয়ারের জায়গায় অ্যালেক্স ক্যারে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠতে পারলেন না দিল্লি ক্যাপিটালসের ব্যাটসম্যানরা। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম ওভারেই পৃথ্বীকে (‌৩ বলে ৪)‌ হারায় দিল্লি। সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারলেন না রাহানে ১৫ (‌১৫)‌। শিখর ধাওয়ান (‌৫২ বলে অপরাজিত ৬৯)‌ ও শ্রেয়স আয়ারই (‌৩৩ বলে ৪২) দিল্লিকে টেনে নিয়ে যান। ২০ ওভারে দিল্লি তোলে ১৬২/‌৪। ‌ ব্যাট করতে নেমে মুম্বইও শুরুতে ধাক্কা খায়। পঞ্চম ওভারে আউট হন রোহিত শর্মা (‌১২ বলে ৫)‌। কুইন্টন ডিকক (‌৩৬ বলে ৫৩)‌ ও সূর্যকুমার যাদব (‌৩২ বলে ৫৩)‌ দলকে টেনে নিয়ে যান। ইশান কিশান করেন ১৫ বলে করেন ২৮। হার্দিক পান্ডিয়া ব্যর্থ (০‌)‌। দ্রুত কয়েকটা উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় মুম্বই। শেষ পর্যন্ত ২ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যান রোহিতরা।

অক্টোবর ১১, ২০২০
খেলার দুনিয়া

এই কাজটি আবার করলে আইপিএলে বল করতে পারবেন না সুনীল নারাইন oi

শেষ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করে দলকে জয় এনে দিলেও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচের দিনটা ভাল কাটল না সুনীল নারাইনের। আবার তাঁর বিরুদ্ধে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ উঠল। তবে আইপিএলে তিনি বোলিং করতে পারবেন। আবার যদি অভিযোগ ওঠে সেক্ষেত্রে তাঁকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন কমিটির কাছ থেকে ছাড়পত্র নিয়ে এসে বোলিং করতে হবে। ২০১৪ সাল থেকেই বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সমস্যায় রয়েছেন নারাইন। ওই বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাঁর বিরুদ্ধে দু–দুবার অভিযোগ উঠেছিল। অ্যাকশন শোধরানোর জন্য ২০১৫ বিশ্বকাপেও খেলতে পারেননি। ২০১৫ আইপিএলেও আবার সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ ওঠে। ওই বছর নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর বোলিং নিষিদ্ধ হয়। ২০১৬–র এপ্রিলে আইসিসি বোলিং অ্যাকশন ত্রুটিমুক্ত ঘোষণা করলেও ভারতে অনুষ্ঠিত টি২০ বিশ্বকাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন নারাইন। ২০১৮–র মার্চে পাকিস্তান সুপার লিগে আবার তাঁর বিরুদ্ধে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ ওঠে। এরপর অ্যাকশন ঠিক করার জন্য কার্ল ক্রো–র শরণাপন্ন হন নারাইন। কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁকে ইংল্যান্ডের লিস্টারের এক বায়োমেকানিস্টের কাছেও পাঠিয়েছিল। বোঝাই যাচ্ছে এখনও পুরোপুরি ত্রুটিমুক্ত হননি এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার।

অক্টোবর ১১, ২০২০
খেলার দুনিয়া

নাইটদের জয়েও কাঁটা নারিনের হলুদ কার্ড

হলুদ কার্ড দেখে এখন লাল কার্ডের আশঙ্কা। ফুটবলের পরিভাষাতেই বোঝানো যেতে পারে সুনীল নারিনের অবস্থা। কিংস ইলেভেন ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস জয়ের পরেও নাইটদের কাঁটা এখন নারিনের বোলিং অ্যাকশন। শনিবারের ম্যাচে আইপিএলের সন্দেহজনক বেআইনি বোলিং অ্যাকশন সংক্রান্ত নিয়ম মেনে নারিনের অ্যাকশন নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন আম্পায়াররা। তবে এখনও টুর্নামেন্টে বোলিং করতে পারবেন। তবে ফের এমন রিপোর্ট জমা পড়লে বোর্ডের বোলিং অ্যাকশন কমিটির ছাড়পত্র না পাওয়া অবধি হাত ঘোরাতে পারবেন না কেকেআরের ট্রাম্প কার্ড, এই ক্যারিবিয়ান বিস্ময় স্পিনার।

অক্টোবর ১১, ২০২০
খেলার দুনিয়া

"ম্যাচ অফ দ্যা মিলিমিটার" : শেষ বলে ২ রানে নাটকীয় জয় নাইটদের

সংক্ষিপ্ত স্কোর নাইট রাইডার্স: ২০ ওভারে ১৬৪/৬(কার্তিক ৫৮ (২৯), শুভমান ৫৭ (৪৭), অর্শদীপ ১/ ২৫। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব : ২০ ওভারে ১৬২/৫ রাহুল ৭৪ (৫৮), মায়াঙ্ক ৫৬ (৩৯), প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা ৩/২৯, নারাইন ২/২৮। ম্যাচে ফল : নাইট রাইডার্স ২ রানে জয়ী। "ম্যাচ অফ দ্যা মিলিমিটার"। কলকাতা নাইট রাইডার্স ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ম্যাচ এভাবেই অভিহিত করা যেতে পারে। সুবিধাজনক জায়গা থেকেও জয় অধরা থেকে গেল পাঞ্জাবের। শেষ বলে ২ রানে নাটকীয় জয় নাইটদের। ম্যাচে বারবার পট পরিবর্তন। শুরুটা ভাল না হলেও নাইটরা ১৬৪/৬ রানে পৌঁছয় শুভমান গিল ও দীনেশ কার্তিকের সৌজন্যে। শুভমান করেন ৫৭, কার্তিক ২৯ বলে ৫৮। চতুর্থ উইকেটের জুটিতে দুজনে বলেন ৮২। ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে কিংস ইলেভেন। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ১১৫। একসময় ২ উইকেটে রান ছিল ১৪৪। এরপরই ম্যাচ ঘুরে যায়। নারাইনের শেষ ২ ওভারই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। শেষ বলে ৬ হলে ম্যাচ সুপার ওভারে যেত। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের শট বাউন্ডারি লাইনের কয়েক মিলিমিটার আগে পড়ল। ৬ হল না ৪ হল। মিলিমিটারেই জিতে ৩ নম্বরে উঠে এল নাইট রাইডার্স।

অক্টোবর ১০, ২০২০
রাজ্য

জাতীয় সড়কের বেহাল সার্ভিস রোডে মাছ ছেড়ে দিয়ে প্রতিবাদ তৃণমূল যুব'র

২ নম্বর ব্লকের জাতীয় সড়কের খানাখন্দে ভরা সার্ভিস রোড। এই সার্ভিস রোডটি দুর্গাপুরের ওল্ড কোর্ট মোড়ের পাশেই অবস্থিত। আর এই ভাঙাচোরা রাস্তার জন্য প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে দুর্ঘটনা। সোমবার এই খানাখন্দে ভরা দুই নম্বর জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোডে মাছ ছেড়ে দিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নামল দুই নম্বর ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। ওল্ড কোর্ট মোড়ে এদিন অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন তৃণমূল যুব কর্মী- সমর্থকরা। দলের যুব শাখার পশ্চিম বর্ধমান জেলার নেতা রূপেশ যাদব বলেন, কেন্দ্রের এসব ব্যাপারে কোনও তাপ-উত্তাপ নেই, শুধু রাজনীতি করতেই ব্যস্ত।বিজেপি সরকারের এই ধরণের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনা।

অক্টোবর ০৫, ২০২০
খেলার দুনিয়া

ধোনির ভুলে বড় রান পৃথ্বীর, আবার হার চেন্নাইয়ের

সংক্ষিপ্ত স্কোর: দিল্লি ২০ ওভারে ১৭৫/৩ (পৃথ্বী ৬৪, পন্থ ৩৭, ধাওয়ান ৩৫, চাওলা ২/৩৩)। চেন্নাই ২০ ওভারে ১৩১/৭ (ডুপ্লেসি ৪৩, রাবাডা ৩/২৬, নর্টিয়ে ২/২১)। মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো পোড়খাওয়া উইকেটকিপারও তাহলে ভুল করে। যার মাশুল দিতে হল চেন্নাই সুপার কিংসকে। দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে হার ৪৪ রানে। পরপর ২ ম্যাচে হার ধোনি ব্রিগেডের। ম্যাচের প্রথম ওভারে দীপক চাহারের দ্বিতীয় বল দিল্লি ওপেনার পৃথ্বী শর ব্যাটের ভেতরের কানা ছুঁয়ে ধোনির হাতে পৌঁছয়। ধোনি বুঝতে পারেননি বল ব্যাটে লেগেছে। কোনও আবেদন করেননি। ধোনির ভুল কাজে লাগিয়ে বড় রান পৃথ্বীর। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ধোনি। ওপেনিং জুটিতে ৯৪ তোলেন পৃথ্বী ও শিখর ধাওয়ান। পীযূশ চাওলা তুলে নেন শিখর ধাওয়ানকে (২৭ বলে ৩৫)। এক ওভার পরেই ফেরান পৃথ্বীকে (৪৩ বলে ৬৩)। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান শ্রেয়শ আয়ার (২২ বলে ২৬) ও ঋষভ পন্থ (২৫ বলে ৩৭)। ২০ ওভারে ১৭৫/৩ তোলে দিল্লি। চেন্নাই সুপার কিংসের শুরুটাও ভাল হয়নি। ওয়াটসন (১৬ বলে ১৪) অক্ষর প্যাটেলের বলে ফিরে যান। নর্টিয়ে তুলে নেন মুরল বিজয়কে (১৫ বলে ১০)। ঋতুরাজও ব্যর্থ (৫), কেদার যাদব করেন ২৬। ডুপ্লেসি (৩৫ বলে ৪৩) ফিরতেই চাপে পড়ে যায় চেন্নাই। ক্যাপ্টেন ধোনি করেন ১২ বলে ১৫। ২০ ওভারে চেন্নাই তোলে ১৩১/৭।

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
খেলার দুনিয়া

রাহুলের একার রানই তুলতে না পেরে বিরাট হার

লোকেশ রাহুলে মাত বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। দুবাইয়ে শোচনীয়ভাবে ৯৭ রানে হারল কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের কাছে। টস জিতে রান তাড়া করার সিদ্ধান্ত নেন বিরাট। অধিনায়কের ব্যাটিং তাণ্ডবে তিন উইকেটে ২০৬ তোলে কিংস ইলেভেন। ১৪টি চার ও ৭টি ছক্কার সুবাদে ৬৯ বলে ১৩২ করে অপরাজিত থাকেন রাহুল। এই আইপিএলের প্রথম শতরান, সেই সঙ্গে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান কোনও ভারতীয়র ব্যাট থেকে। নতুন বলে উমেশ যাদব, ডেল স্টেনরা চূড়ান্ত ব্যর্থ, পরের ম্যাচে বাদ পড়লেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। জবাবে খেলতে নেমে ৩ ওভার বাকি থাকতে ১০৯ রানে অল আউট হয়ে যায় আরসিবি। তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে ৫ বল খেলে মাত্র ১ রানে যখন অধিনায়ক বিরাট ফেরেন স্কোরবোর্ডে তখন চার রানে তিন উইকেট। শেষ ৭ উইকেট পড়ে ৫৬ রানে। ওয়াশিংটন সুন্দর ৩০ ও এবি ডি ভিলিয়ার্স ২৮ করায় তিন অঙ্কের রানে পৌঁছায় আরসিবি। অশ্বিন ও বিষ্ণোই তিনটি করে, কটরেল ২টি, সামি ও ম্যাক্সওয়েল ১টি করে উইকেট পান। বিপক্ষকে ১৮০-তে বেঁধে ফেলা গেলে ফল অন্যরকম হতে পারত বলে মনে করেন বিরাট। পরিকল্পনা প্রয়োগে খামতি ও ভুলত্রুটি শুধরে পরের ম্যাচ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর আরসিবি ক্যাপ্টেন। দলগত সংহতিতেই জয় বলে জানিয়ে বিষ্ণোইয়ের প্রশংসা করেছেন রাহুল। নিজের ব্যাটিং নিয়ে উদ্বেগ থাকায় ম্যাচের আগের দিন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন বলে জানান কিংস অধিনায়ক।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০
খেলার দুনিয়া

নাইটদের বিরুদ্ধে কেন কাহিল হয়ে পড়েছিলেন রোহিত?‌

নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ৫৪ বলে ৮০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন রোহিত শর্মা। দীর্ঘক্ষণ উইকেটে কাটিয়ে তিনি যে কাহিল হয়ে পড়েছিলেন, স্বীকার করে নিয়েছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক। রোহিত দাবি করেছেন, সংযুক্ত আরব আমীরশাহীর পরিবেশে লম্বা ইনিংস খেলা সম্ভব নয়। শরীর থেকে অনেককিছু নিংড়ে নেয়। রোহিত বলেন, ‘‌আবু ধাবিতে গরম ও আদ্রতা অনেকটাই বেশি। এইরকম পরিবেশে দীর্ঘক্ষণ উইকেটে কাটিয়ে লম্বা ইনিংস খেলা যথেষ্ট কঠিন। শরীর থেকে অনেক কিছু বার করে নেয়। নাইটদের বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ের সময় শেষদিকে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম।’‌ তিনি আরও বলেন, ‘‌একজন সেট ব্যাটসম্যানের শেষ পর্যন্ত উইকেটে থাকা প্রয়োজন। আমি সেই চেষ্টা করছিলাম।’‌ দীর্ঘদিন ক্রিকেটের বাইরে থাকায় মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছিল বলে রোহিত দাবি করেন। তবে দীর্ঘক্ষণ উইকেটে থাকতে পেরে তিনি দারুণ খুশি।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • 13
  • 14
  • 15
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

লালগোলা রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রথযাত্রা, রাস্তায় মানুষের ঢল

সীমন্তের গঞ্জ শহর লালগোলা রাজবাড়ির রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার মানুষের বড় উন্মাদনা। ফলে রাজবাড়ির রথের রশি টানতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন সাধারন মানুষ থেকে ভক্তগন। নিয়ম মেনে রাজবাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে পুজাপাঠের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথ বাজারে মাসির বাড়ি পৌঁছয় জগন্নাথ দেব। সেই সঙ্গে রাজ বাড়ির রথকে ঘিরে বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস পরিনত হল সম্প্রীতির মহোৎসবে। রাজপরিবার সুত্রে জানা যায়, পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে তৈরি করান লালগোলার মহারাজা মহেশ নারায়ণ রায়। অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে জানা যায়। লালগোলা রাজ পরিবারের কূল দেবতা দধিমানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয়। রথের দিন তাঁকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়, সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি। রথ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে। সাকার্স রথমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। শিশু কিশোরদের জন্য বসে হরেক কিসিমের নাগরদোলা। মহিলাদর জন্য সংসারের টুকিটাকি থেকে আধুনিক রেস্তোরাঁ। যেখানে পাওয়া যায় ভিন রাজ্যের খাবারের হরেক পদ। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অজয় ঘোষ বলেন , লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে। ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন।রথের কদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি লালগোলাতে ফেরেন বিবাহিত মহিলারা। এখানেই লালগোলার রথের বিশেষ মাহাত্ম্য। এদিকে রথের দঁড়িতে টান দিতে অন্যান্যদের সঙ্গে সমবেত হন সারজামান শেখ, সাহিল শেখ, ফিরোজ হোসেনদের মতো অনেকেই। তাদের দাবি, রাজ বাড়ির রথের সঙ্গে এলাকার মানুষের শেকড়ের সম্পর্ক। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে থেকেও বড় হয়ে ওঠে ভাবের আদান প্রদান,সম্প্রদায়ের মেল বন্ধন। তাছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় সব মানুষ মেতে ওঠেন সমান ভাবে। লালগোলা রাজবাড়ির রথের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথ কে ঘিরে জেলার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। নশিপুর রাজবাড়ির রথের ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। রথের মেলায় রকমারি ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যায়। ফলে গাছ প্রেমী মানুষের আকর্ষণ রয়েছে নশিপুর রাজবাড়ি মেলার প্রতি।

জুন ২৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতার 'ল কলেজে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ, গ্রেফতার ৩, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

কসবা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র নেতা মনজিৎ মিশ্র সহ অন্যান্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্ত জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখার্জি। মনজিৎ মিশ্র ওই ল কলেজের প্রাক্তনী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিল এবং বাকি দুজন সেখানকার পড়ুয়া। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো হয় ২৫ জুন, বুধবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষিতার মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিও রেকর্ডিং করে ভয় দেখায় অভিযোগকারীরা। পরবর্তীতে ধর্ষিতা যাতে অভিযোগ না জানান, তার জন্যও নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় এবং অভিযোগের এফআইআর কপিতে অভিযুক্তদের নাম দেওয়ার বদলে তাদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অভিযোগ লেখা হয়। এমন ঘটনা বোধহয় কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ঘটা সম্ভব। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। বিজেপির দাবি, কসবার গণধর্ষণের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা নয়, এটি অভয়া ধর্ষণ কান্ডের পর এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার আবারও এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে ছোটখাটো বলে উপেক্ষা করেন, যা রাজ্যে এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাঁর এই মনোভাব পুলিশ প্রশাসনকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে অপরাধীরা নির্ভয়ে এই ধরনের কাজ করে। রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কলকাতার মতো শহরে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কার্যালয় রয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ বোধ করবে?২০২৪ সালে আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। রাজ্য সভাপতি সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আরজি করের ঘটনায়ও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। এখনও তিনি একই ভুল করছেন।পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখায়, যার ফলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ অপরাধীদের ধরা, কিন্তু তারা শাসক দলের নেতাদের সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত।এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বারবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয় ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী । মনোজ ভার্মা থেকে শুরু করে বিনীত গোয়েল এবং বাকি সব পুলিশ দিঘায় রয়েছে । পুরো কলকাতা পুলিশকে নিয়ে চলে গিয়েছে ওখানে। দিঘায় তো লোকই হয়নি৷ তাই জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। বিজেপি এই বিষয়টা নিয়ে লড়বে। খুব বড় পদক্ষেপ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সরকারকে উচিত শাস্তি দেওয়া উচিত।এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পা ৷ তিনি বলেন, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। অভয়ার ঘটনার পরে দশ মাসও কাটেনি আজকে আরেক অভয়া বোনের গণধর্ষণ হয়ে গেল। এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার।এদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ল কলেজের ঘটনাকে ঘৃণ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্তরা কেউ তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসিপির নেতৃত্বে নেই। দলের সঙ্গে এখন তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আর অভিযুক্তদের সঙ্গে নেতাদের ছবি প্রসঙ্গে তৃমূলের দাবি, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহু অপরাধীদের ছবি দেখা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

রথযাত্রা ও জিলিপি বাংলার সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ

রথ দেখতে গিয়ে কলা না বেচলেও জিলিপি খাননা এরকম মানুষ মেলা ভার। রথযাত্রা ও জিলিপির সম্পর্কটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়, রথযাত্রা মানেই একটি উৎসব, আর এই উৎসবের অনিবার্য অংশ হচ্ছে জিলিপি।কেন রথযাত্রায় জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ?ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: জিলিপি একটি বহু পুরনো ও জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ভোগ ও প্রসাদে মিষ্টির ব্যবহার প্রচলিত, এবং জিলিপি তার মধ্যে একটি প্রধান আইটেম।উৎসবের আনন্দে শামিল হওয়া: রথযাত্রার দিন সকালে বা রথ টানার পর জিলিপি খাওয়ার প্রথা বহু জায়গায় প্রচলিত। এটি যেন রথের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।জাগন্নাথদেবের ভোগ: ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের জন্য যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়, তাতে নানা রকমের মিষ্টির মধ্যে জিলিপির মতো মিষ্টিও থাকে (যদিও সেখানে জিলিপিকে স্থানীয়ভাবে অন্য নামে ডাকা হতে পারে)।লোকাচার ও বাজার সংস্কৃতি: বাংলার বিভিন্ন মেলাতে যেমন রথের মেলা হয়, সেখানে জিলিপি ও অন্যান্য মিষ্টি খাবার বিক্রি হয় ব্যাপকভাবে। এটি এক ধরনের লোকাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে রথ মানেই জিলিপি!রথ ও জিলিপির সম্পর্ক হলো উৎসব, ভক্তি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। রথ টানার পর একগাদা গরম জিলিপি খাওয়ার আনন্দ বাঙালির হৃদয়ে বিশেষভাবে গেঁথে আছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal