মেষ/ARIES: পরাজয় হতে পারে।বৃষ/TAURUS: শুভ যোগাযোগ হতে পারে।মিথুন/GEMINI: মনে কষ্ট পেতে পারেন।কর্কট/CANCER: বিষন্নতা আসতে পারে।সিংহ/LEO: অর্থলাভ করতে পারেন।কন্যা/VIRGO: চাকরিক্ষেত্রে অশান্তি হতে পারে।তুলা/ LIBRA: মিথ্যাপবাদ পেতে পারেন।বৃশ্চিক/Scorpio: মনোমালিন্য হতে পারে।ধনু/SAGITTARIUS: বন্ধু সমাগম হতে পারে।মকর/CAPRICORN: শত্রুদ্বারা ক্ষতি হতে পারে।কুম্ভ/AQUARIUS: সমাজসেবায় ব্যস্ত থাকতে পারেন।মীন/ PISCES: রোগমুক্ত হতে পারেন।
পরীক্ষা কেন্দ্রে টুকলি করা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিরোধ। তার জেরেই পরীক্ষাকেন্দ্র চত্বরে অন্য পরীক্ষার্থীদের মারধোরে জখম হল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তাঁর নাম শুভম ঘোষ। মঙ্গলবার ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষা শেষে এই ঘটনাটি ঘটে পূ্ব বর্ধমানের কাটোয়া-২ ব্লকের অগ্রদ্বীপ ইউনিয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। মাথায় আঘাত লাগায় চিকিৎসার জন্য পরীক্ষার্থী শুভম ঘোষ কে উদ্ধার করে এদিন নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার পরেই পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে সরব হন অভিভাবকরা।অভিভাবকরা জানিয়েছেন, কাটোয়া মহকুমার মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্র মধ্যে একটি হল অগ্রদ্বীপ ইউনিয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়। এই পরীক্ষা সেন্টারে অগ্রদ্বীপ সুবোধ চৌধুরী শিক্ষানিকেতন, মাখালতোড় উচ্চবিদ্যালয় সহ আসপাশের কয়েকটি স্কুল মিলে মোট ২৭৬ জন পড়ুয়া মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। মাখালতোড় উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র শুভম ঘোষ অগ্রদ্বীপের পলাশির বাসিন্দা। শুভম জানিয়েছে,পরীক্ষা শেষে হবার পর সে বাইরে বের হয়। তখনই সে দেখে সুবোধ চৌধুরী শিক্ষানিকেতন স্কুলের বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী তার এক বন্ধুকে ঘিরে ধরে ব্যাপক মারধর করছে। তা দেখে সে বন্ধুকে বাঁচাতে যাই। তখন মারধোরে জড়িতরা তাঁর বন্ধুকে ছেড়ে দিয়ে তাঁর উপর চড়াও হয়ে মারধর করতে শুরু করে। তাকে মাটিতে ফেলে এলোপাথাড়ি পেটাতে শুরু করে। পরীক্ষাকেন্দ্র চত্ত্বরে থাকা সিভিক ভলান্টিয়াররা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।মারধোরের কারণ প্রসঙ্গে শুভম জানায়,পরীক্ষাকেন্দ্রে টুকলি করা নিয়ে কয়েকদিন ধরে সুবোধ চৌধুরী শিক্ষানিকেতনের পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁর ওই বন্ধুর ঝামেলা ঝামেলা চলছিল। আর টুকলি বিবাদ তৈরি হওয়ায় সুবোধ চৌধুরী শিক্ষানিকেতনের পরীক্ষার্থীরা এদিন পরীক্ষা শেষে হামলা মারধোর শুরু করে দেয়। আক্রান্ত শুভমের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা এদিনের ঘটনা বিষয়ে অগ্রদ্বীপ পুলিস ফাঁড়িতে অভিযোগ জানিয়েছেন। কাটোয়া মহকুমা শিক্ষাদপ্তরের এ-আই শেখর মণ্ডল বলেন,ঘটনাটি নিয়ে ওই স্কুলের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আইএসএলের লিগ পর্যায়ের শেষ ম্যাচে এটিকে মোহনবাগানের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েও শেষরক্ষা করতে পারল না জামশেদপুর এফসি। দ্বিতীয় পর্বের সেমিফাইনালে কেরালা ব্লাস্টার্সের সঙ্গে ড্র করে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিতে হল জামশেদপুরকে। প্রথম পর্বের সেমিফাইনালে কেরালা ব্লাস্টার্স জিতেছিল ১০ ব্যবধানে। দ্বিতীয় পর্বের সেমিফাইনালের ফল ১১। দুই পর্ব মিলিয়ে ২১ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে পৌঁছে গেল কেরালা ব্লাস্টার্স। ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলেও লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকার জন্য এফএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ পাবে জামশেদপুর এফসি। এটাই তাদের কাছে একমাত্র সান্তনা। প্রথম পর্বের সেমিফাইনালে হারায় এদিন জেতা ছাড়া রাস্তা ছিল না লিগ পর্যায়ে এটিকে মোহনবাগানকে হারিয়ে লিগ শিল্ড জেতা জামশেদপুর এফসির। কিন্তু ম্যাচের শুরুটা দেখে মনে হচ্ছিল কেরালা ব্লাস্টার্সের তাগিদ যেন বেশি। ম্যাচের প্রথম থেকেই জামশেদপুর এফসির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্স। ২ মিনিটেই গোলের সুযোগ তৈরি হয়েছিল। আলভারো ভাসকোয়েজ জামশেদপুর এফসি গোলকিপার টিপি রেহেনেশকে একা পেয়েও বল বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দেন। ৬ মিনিটে আবার গোল করার মতো সুযোগ এসেছিল কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে। এবার নষ্ট করেন আয়ূষ অধিকারী। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার ফল পায় কেরালা ব্লাস্টার্স। ম্যাচের ১৮ মিনিটে এগিয়ে যায়। আলভারো ভাসকোয়েজের কাছ থেকে বল পেয়ে কেরালাকে এগিয়ে দেন আদ্রিয়ান লুনা। ৩৬ মিনিটে ড্যানিয়েল চিমা কেরালা ব্লাস্টার্সের জালে বল জড়ালেও অফসাইডের কারণে সেই গোল বাতিল হয়ে যায়। প্রথমার্ধে এই একটি আক্রমণ ছাড়া জামশেদপুর এফসির পক্ষে বলার মতো কিছু ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মরিয়া হয়ে ওঠে জামশেদপুর এফসি। কারণ কেরালা গোল করায় ফাইনালে যেতে গেলে তাদের ২ গোলের ব্যবধানে জিততে হত। ৫০ মিনিটে সমতা ফেরায় জামশেদপুর এফসি। গ্রেগ স্টুয়ার্টের কাছ থেকে বল পেয়ে ড্যানিয়েল চিমা শট নিলে প্রতিহত হয়। ফিরতি বলে গোল করেন প্রণয় হালদার। পরের মিনিটেই আবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্স। আলভারো ভাসকোয়েজের পুশ গোললাইন থেকে বাঁচান এল সাবিয়া। ম্যাচের শেষ দিকে চাপ রাখলেও আর গোল করতে পারেনি জামশেদপুর এফসি। ২০১৬র পর আবার আইএসএল ফাইনালে কেরালা ব্লাস্টার্স।
এতদিন স্কুলের বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের চাল কম দেওয়ার অভিযোগ তুলে আসছিলেন অভিভাবকরা। এবার ঘটলো এর ঠিক উল্টোটাই। প্রাইমারি স্কুলে মিড ডে মিলের চাল কম দেওয়ার অভিযোগ তুলে সোচ্চার হলেন খোদ শিক্ষকরাই। বৃহস্পতিবার এমন নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে। মিড ডে মিলের চাল কম দেওয়া নিয়ে এদিন সরবরাহকারী সংস্থার বিরুদ্ধে ভাতারের বিডিওর কাছে অভিযোগও জানিয়েছেন কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এমন ঘটনা শেরগোল ফেলে দিয়েছে ভাতারের প্রশাসনিক মহল ও স্কুল পড়ুয়াদের অভিভাবক মহলে।প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মিড ডে মিলের চাল কম দেওয়া হচ্ছে বলে এদিন অভিযোগ তোলেন ভাতারের বরগুনা ও ভাতার অঞ্চলের বেশকিছু প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। বিডিওকে লিখিত অভিযোগে তাঁরা জানিয়েছেন, ভাতার সমবায় সমিতি থেকে প্রাথমিক স্কুল গুলি মিড ডে মিলের চাল আসে। প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে চাল থাকার কথা। কিন্তু সরবরাহকারী সংস্থা মিড ডে মিলের চালের যে সব বস্তা স্কুলে দিয়ে গেছে তাতে ৪ থেকে ১০ কেজি কম চাল কম রয়েছে এদিন পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের জন্য চাল দিতে গিয়ে বিষয়টি তাঁদের নজরে আসে বলে শিক্ষকা অভিযোগ করেছেন। তার পরেই তাঁরা মিড ডে মিলের চাল স্কুলে কম দেওয়ার বিষয়টি বিডিওর গোচরে আনার সিদ্ধান্ত নেন। দুপুরে বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে শিক্ষকরা ঘটনার তদন্ত করে সরবরাহকারী সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের আর্জি জানান।ভাতার ব্লকে ৮৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ওই সব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অভিযোগ, বেশ কয়েকমাস যাবৎ সরবরাহকারী সংস্থা কম ওজনের মিড ডে মিলের চালের বস্তা স্কুলে স্কুলে সরবরাহ করেছে। প্রথমে বিষয়টি সবাই বুঝে উঠতে পারেন নি। অতিমারির প্রভাব কমে যাওয়ায় স্কুল পুরোপুরি চালু হতেই বস্তায় চাল কম থাকার বিষয়টি সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে পরিস্কার হয়ে যায়। বলগোনা দক্ষিণপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক উজ্জ্বল নন্দী ও প্রতাপ দত্ত বলেন, আমরা চাই ব্লক প্রশাসন এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে চাল সরবরাহকারী সংস্থার বিরুদ্ধে যথাপোযুক্ত ব্যবস্থা নিক। নয়তো মিড ডে মিলের চাল কম হওয়ার জন্য অভিভাবকরা শিক্ষকদের ভুল বুঝবেন।বিডিও অরুণ কুমার বিশ্বাস জনিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভাতার সমবায় সমিতির তরফে কেউ-ই বিষয়টি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে কোন প্রতিক্রিয়া দিতে অস্বীকার করেন।
আইএসএলের প্রথম পর্বের সেমিফাইনালে হায়দরাবাদ এফসির কাছে হেরে ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন মরীচিকা হয়ে দাঁড়িয়েছে এটিকে মোহনবাগানের সামনে। তবু স্বপ্ন দেখেই চলেছেন সবুজমেরুণ কোচ জুয়ান ফেরান্দো। ফাইনালে যেতে গেলে এটিকে মোহনবাগানকে কমপক্ষে ৩ গোলের ব্যবধানে জিততেই হবে। ফেরান্দোর বিশ্বাস, তাঁর দলের সেই ক্ষমতা আছে। ৯০ মিনিটের মধ্যে ৩ গোলের ব্যবধানে ম্যাচ জিতে ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। অনেকের কাছে মনেই হতেই পারে, অলীক স্বপ্ন দেখছেন সবুজমেরুণ কোচ। কিন্তু এটা মাথায় রাখতে হবে, ফুটবলে সবই সম্ভব। ৩ গোলে পিছিয়ে পড়েও যেমন ম্যাচে ফেরা যায়, আবার ৩ গোলের ব্যবধানেও জেতা যায়। সবকিছুই নির্ভর করে ফুটবলারদের সেই দিনের পারফরমেন্সের ওপর। জুয়ান ফেরান্দোর মতে, সবদিন খারাপ যেতে পারে না। হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় পর্বের সেমিফাইনালে তাঁর দল ঘুরে দাঁড়াবেই। ম্যাচের আগের দিন সবুজমেরুণ কোচ বলেন, ফুটবলে সব কিছুই সম্ভব। তবে হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে আমাদের কাজটা সোজা নয়। তবে একেবারে অসম্ভবও মনে করছি না। জিততে গেলে আক্রমণাত্মক খেলা ছাড়া রাস্তা নেই এটিকে মোহনবাগানের সামনে। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে, অতিআক্রমণাত্মক হতে গিয়ে আবার গোল খেয়ে না বসে। তাই সবদিক মাথায় রেখেই পরিকল্পনা তৈরি করতে হচ্ছে জুয়ান ফেরান্দোকে। তিনি বলেন, আক্রমণাত্মক খেলতে গেলে আমাদের ডিফেন্ডারদের বাড়তি চাপ নিতে হবে। তবে হায়দরাবাদ কীভাবে খেলে সেটাও দেখতে হবে। আমাদের নিজেদের পরিকল্পনার ওপর বেশি জোর দিতে হবে। নিজেদের খেলার ওপর বাড়তি ফোকাস করতে হবে। ডেভিড উইলিয়ামস, হুগো বোমাস, মনবীর সিংরা পুরো ফিট নন। হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে জয়ের জন্য রয় কৃষ্ণা, লিস্টন কোলাসোদের দিকেই তাকিয়ে এটিকে মোহনবাগান কোচ। আগের ম্যাচে রয় কৃষ্ণাকে উইঙ্গারে খেলিয়ে সাফল্য পেয়েছিলেন জুয়ান ফেরান্দো। দ্বিতীয় পর্বের সেমিফাইনালেও সেই পরিকল্পনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ডেভিড উইলিয়ামসকে সামনে এগিয়ে দিতে পারেন সবুজমেরুণ কোচ। ঘুরে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে ফেরান্দো বলেন, নিজেদের ওপর আস্থা রাখতে হবে। ৯০ মিনিটে ৩ গোল হতেই পারে। এই মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামতে হবে।
মেষ/ARIES: প্রতিবেশী বিবাদ হতে পারে।বৃষ/TAURUS: কর্মসূত্রে ভ্রমণ করতে পারেন।মিথুন/GEMINI: বিপদাশঙ্কা রয়েছে।কর্কট/CANCER: দ্বিমুখী আয় হতে পারে।সিংহ/LEO: বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে।কন্যা/VIRGO: দায়িত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে।তুলা/ LIBRA: শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।বৃশ্চিক/Scorpio: নৈরাশ্য দেখা দিতে পারে।ধনু/SAGITTARIUS: হঠাৎ প্রাপ্তি হতে পারে।মকর/CAPRICORN: আত্মীয় কলহ হতে পারে।কুম্ভ/AQUARIUS: মানসিক ক্ষোভ হতে পারে।মীন/ PISCES: অলসতায় ক্ষতি হতে পারে।
মেষ/ARIES: মনোরথ সিদ্ধি হতে পারে।বৃষ/TAURUS: উৎপাদন হ্রাস পেতে পারে।মিথুন/GEMINI: সন্তান পীড়া দিতে পারে।কর্কট/CANCER: ছলচাতুরীর দ্বারা প্রতারিত হতে পারেন।সিংহ/LEO: মানহানি হতে পারে।কন্যা/VIRGO: মাতৃবিরোধ করতে পারেন।তুলা/ LIBRA: রাজনৈতিক সংঘর্ষ হতে পারে।বৃশ্চিক/Scorpio: বিবাদে মনকষ্ট হতে পারে।ধনু/SAGITTARIUS: বন্ধুর সহায়তা লাভ করতে পারেন।মকর/CAPRICORN: ভ্রমণকালীন বিপদ হতে পারে।কুম্ভ/AQUARIUS: মনোবাসনা পূরণ হতে পারে।মীন/ PISCES: গুহ্যরোগে কষ্ট পেতে পারেন।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ৭১ ওভারে নৌমান আলির বল স্টিভ স্মিথের প্যাডে লাগতেই আউটের আবেদন জানান পাকিস্তান ক্রিকেটাররা। আম্পায়ার সেই আবেদনে সাড়া দেননি। পাকিস্তান উইকেটকিপার মহম্মদ রিজওয়ান এগিয়ে যান স্মিথের কাছে। তাঁকেই জিজ্ঞেস করেন ডিআরএস নেওয়া উচিত হবে কিনা। রিজওয়ানের কথা শুনে হাসিতে ফেটে পড়েন পাক অধিনায়ক বাবর আজম। হাসছিলেন স্মিথও। দারুণ মজার ঘটনার সাক্ষী থাকল পাকিস্তানঅস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্ট। লড়াইয়ের মাঝেও হালকা মেজাজে পাওয়া গেল দুই দেশের ক্রিকেটারদের। শেষ পর্যন্ত স্মিথ ৭২ রান করে হাসান আলির বলে ফাহিম আশরাফের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে দেখা গিয়েছিল রানের বন্যা। একই ছবি করাচিতে দ্বিতীয় টেস্টেও। এখানেও সেই রানের বন্যা অব্যাহত। রানের পাহাড়ে এবার অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় দিনের শেষে ৮ উইকেটে অস্ট্রেলিয়া তুলেছে ৫০৫। আগের দিনের ২৫১/৩ রান হাতে নিয়ে এদিন খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। উসমান খোয়াজা ১২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। নৈশপ্রহরী নাথান লায়ন কোনও রান না করেই অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয় দিন প্রথম ঘন্টাতে কোনও উইকেট তুলতে পারেননি পাকিস্তান বোলাররা।To DRS or not to DRS 🤔 #BoysReadyHain l #PAKvAUS pic.twitter.com/X3b9mp8uaF Pakistan Cricket (@TheRealPCB) March 12, 2022প্রথম জলপানের বিরতির সাফল্য পায় পাকিস্তান। নাথান লায়নকে (৩৮) তুলে নেন ফাহিম আশরাফ। এরপর ট্রেভিস হেডকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান উসমান খোয়াজা। ২৩ রান করে সাজিদ খানের বলে এলবিডব্লু হন হেড। উসমান খোয়াজাকেও তুলে নেন সাজিদ খান। ১৬০ রান করে তিনি বোল্ড হন। ২৮ রান করে নৌমান আলির বলে বোল্ড হন ক্যামেরন গ্রিন। এরপর অস্ট্রেলিয়াকে টানেন অ্যালেক্স ক্যারে ও মিচেল স্টার্ক। জুটিতে ওঠে ৯৮। জুটি ভাঙতে নিজেই বল হাতে তুলে নেন অধিনায়ক বাবর আজম। অ্যালেক্স ক্যারেকে তুলে নিয়ে তিনি দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন। ৯৩ রান করে আউট হন ক্যারে। মিচেল স্টার্ক ২৮ রান করে ক্রিজে রয়েছেন। পাকিস্তানের হয়ে ফাহিম আশরাফ ও সাজিদ খান ২টি করে এবং হাসান আলি, নৌমান আলি ও বাবর আজম ১টি উইকেট নিয়েছেন।
মেষ/ARIES: অর্থদণ্ড হতে পারে।বৃষ/TAURUS: শত্রুবশীভূত হতে পারে।মিথুন/GEMINI: মোকদ্দমায় জয় হতে পারে।কর্কট/CANCER: রমণীপ্রীতি জন্মাতে পারে।সিংহ/LEO: কর্মে অগ্রগতি হতে পারে।কন্যা/VIRGO: ধনবৃদ্ধি পেতে পারে।তুলা/ LIBRA: জুয়ায় ক্ষতি হতে পারে।বৃশ্চিক/Scorpio: উচ্চশিক্ষায় সাফল্য লাভ করতে পারেন।ধনু/SAGITTARIUS: সহকর্মী বিরোধ করতে পারে।মকর/CAPRICORN: হতাশা হতে পারে।কুম্ভ/AQUARIUS: অসৎপথে উপার্জন করতে পারেন।মীন/ PISCES: অবৈধ প্রণয় করতে পারেন।
রাজ্যে দুই আসনে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। শনিবার,আসানসোল লোকসভা এবং বালিগঞ্জ বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১২ এপ্রিল, মঙ্গলবার ভোট হবে এই দুই আসনে। গণনা হবে ১৬ এপ্রিল, শনিবার। একই দিনে ছত্রিশগড় বিহার এবং মহারাষ্ট্রের একটি করে বিধানসভা আসনেও ভোট নেওয়া হবে। ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যাওয়ায় ওই সব এলাকায় এদিন থেকে জারি হয়ে গেল নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি।২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে আসানসোল থেকে জিতেছিলেন বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়। পরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর বাবুল সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেন। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা তা গ্রহণ করেন। ফলে আসানসোল লোকসভা শূন্য হয়। সেই কেন্দ্রের উপনির্বাচন বকেয়া ছিল।বালিগঞ্জের বিধায়ক ছিলেন প্রবীণ নেতা তথা মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। গত বছর নভেম্বরে কালীপুজোর দিন সন্ধেবেলা তিনি প্রয়াত হন। সুব্রতবাবুর প্রয়াণের কারণে বালিগঞ্জ আসনেও ভোট করতে হত। এদিন বাংলার একটি লোকসভা ও একটি বিধানসভার উপনির্বাচন ঘোষণা করে দিল কমিশন।কমিশন সূত্রে খবর আসানসোলের ১০০% বুথকেই উত্তেজনা প্রবন বুথ বলেই চিহ্নিত করা হয়েছে।
লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান হাতছাড়া করে এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো পাখির চোখ করেছিলেন আইএসএল জেতা। তাঁর সেই স্বপ্নে কাঁটা বিছিয়ে দিল হায়দরাবাদ এফসি। আইএসএল দ্বিতীয় সেমিফাইনালে প্রথম পর্বের ম্যাচে নিজামের শহরের এই দলের কাছে ৩১ ব্যবধানে হেরে ফাইনালের রাস্তা কঠিন হয়ে গেল এটিকে মোহনবাগানের কাছে। কোচ জুয়ান ফেরান্দোর একটা ভুলই ম্যাচ থেকে ছিটকে দিল সবুজমেরুণ শিবিরকে।জুয়ান ফেরান্দো চেয়েছিলেন প্রথম পর্বের ম্যাচেই ফাইনালের রাস্তা পরিস্কার করতে। সেই লক্ষ্যেই শুরু করেছিল সবুজমেরুণ ব্রিগেড। ম্যাচের শুরু থেকেই এটিকে মোহনবাগানের প্রাধান্য ছিল। সুযোগও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি জনি কাউকো, রয় কৃষ্ণারা। তবে গোলের জন্য সবুজমেরুণকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ম্যাচের ১৭ মিনিটে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। মাঝমাঠ থেকে বাঁদিকে লম্বা বল বাড়ান জনি কাউকো। বল ধরে বাঁদিক ধরে এগিয়ে গিয়ে নীচু সেন্টার করেন লিস্টন কোলাসো। বাঁপায়ের ফ্লিকে বল জালে পাঠান রয় কৃষ্ণা। চলতি মরশুমে তেমন ছন্দে না থাকলেও আসল সময়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছেন ফিজির এই স্ট্রাইকার। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আধিপত্য থাকলেও গোলসংখ্যা বাড়াতে পারেনি এটিকে মোহনবাগান। অন্যদিকে হায়দরাবাদ এফসি সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু সবুজমেরুণের আঁটোসাঁটো রক্ষণের জন্য সফল হতে পারছিল না। অবশেষে প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে সবুজমেরুণ ডিফেন্সের ক্ষনিকের মনোসংযোগের অভাবে সমতা ফেরায় হায়দরাবাদ এফসি। কর্ণার থেকে জটলার মধ্যে বল পেয়ে চার ডিফেন্ডারের মাঝখান থেকে গোল করে সমতা ফেরান সেই বার্থোলোমিউ ওগবেচে। বিরতিতে যাওয়ার আগে এই গোলটাই মনোবল বাড়িয়ে দেয় হায়দরাবাদ এফসির। দ্বিতীয়ার্ধে এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দোর একটা ভুল সিদ্ধান্তই ম্যাচে ফেরায় হায়দরাবাদ এফসিকে। লেনি রডরিগেজকে তুলে নেওয়ায় মাঝমাঠে অনেকটা ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়। সেই সুযোগটা দারুণ ভাবে কাজে লাগায় হায়দরাবাদ। ৫৮ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে সিভেরিওর উদ্দেশ্যে বাড়ান ওগবেচে। তিরি ও সন্দেশের যৌথ ট্যাকেলে বল ছিটকে যায় মহম্মদ ইয়াসিরের কাছে। বাঁপায়ের দুরন্ত শটে দলকে এগিয়ে দেন ইয়াসির। মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় হায়দরাবাদ এফসি। বাঁদিক থেকে ইয়াসিরের কর্ণারে হেডে ৩১ করেন সিভেরিও। ৭৫ মিনিটে হুগো বোমাসের মাইনাস থেকে গোল করার সুযোগ এসেছিল জনি কাউকোর সামনে। কিন্তু তিনি কাজে লাগাতে পারেননি। শেষদিকে ব্যবধান কমানোর মরিয়া চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি এটিকে মোহনবাগান।
আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পর দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ভারতের। মহিলাদের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৫৫ রানে গুড়িয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছে গেলেন মিতালি রাজরা। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেন স্মৃতি মান্ধানা ও হরমনপ্রীত কাউর। এদিন আনিসা মহম্মদের উইকেট তুলে নিয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়ে গেলেন ঝুলন গোস্বামী। টপকে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার লিন ফুলস্টনকে। আগের দুটি ম্যাচে টপ অর্ডার ব্যাটিং নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত ছিলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক মিতালী রাজ। এদিন তাঁকে চিন্তামুক্ত করলেন স্মৃতি মান্ধানা ও হরমনপ্রীত কাউর। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে এদিন ভাল শুরু করেছিল ভারত। ওপেনিং জুটিতে ৬.৩ ওভারে ওঠে ৪৯ রান। যস্তিকা ভাটিয়া ৬টি চারের সাহায্যে ২১ বলে করেন ৩১। মিতালি রাজ ১১ বলে ৫ রান করে আউট হন। ২১ বলে ১৫ রান করেন দীপ্তি শর্মা। ১৩.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ৭৮। সেখান থেকে ৪২.৩ ওভার পর্যন্ত ভারতের ইনিংসকে টেনে নিয়ে যায় স্মৃতি মান্ধানা ও হরমনপ্রীত কাউর জুটি।ক্যারিবিয়ান বোলারদের ওপর দারুণ আধিপত্য দেখান স্মৃতি মান্ধানা ও হরমনপ্রীত কাউর। ৬৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ম করেন স্মৃতি। হরমনপ্রীতের হাফ সেঞ্চুরি আসে ৬১ বলে। ১০৮ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মান্ধানা, ৯টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে। হরমনপ্রীতের সেঞ্চুরি আসে ১০০ বলে, ৮টি চার ও ২দুটি ছয়ের সাহায্যে। ১৩টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ১১৯ বলে ১২৩ রান করে আউট হন স্মৃতি মান্ধানা। ১০টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে হরমনপ্রীত করেন ১০৭ বলে ১০৯। রিচা ঘোষ ৫, পূজা বস্ত্রকার ১০ ও ঝুলন গোস্বামী ২ রানে আউট হন। স্নেহ রানা ২ ও মেঘনা সিং ১ রানে অপরাজিত থাকেন। ৫০ ওভারে ভারত তোলে ৩১৭/৮। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আনিসা মহম্মদ ৫৯ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট দখল করেন। জয়ের জন্য ৩১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুম শুরু করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১২ ওভারে তোলে ১০০। ঝুলন গোস্বামী, মেঘনা সিং, দীপ্তি শর্মারা প্রমম দিকে ডিয়ান্ড্রা ডটিন ও হেইলি ম্যাথুজের সামনে সুবিধা করতে পারেননি। স্নেহ রানা বোলিং করতে এসে জুটি ভাঙেন। তিনি তুলে নেন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ডটিনকে। ৪৬ বলে ৬২ রান করে মেঘনা সিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ডটিন। এরপরই ধস নামে ক্যারিবিয়ান ইনিংসে। ৪০.৩ ওভারে ১৬২ রানেই গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হেইলি ম্যাথিউজ ৪৩ রান করেন। সাতজন ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছাতে পারেননি। স্নেহ রানা ২২ রানে ৩ উইকেট নেন। মেঘনা সিং ২৭ রানে ২ উইকেট পান। ঝুলন গোস্বামী, রাজেশ্বরী গায়কোয়াড় ও পূজা বস্ত্রকার একটি করে উইকেট নেন। এদিন আনিসা মহম্মদকে আউট করে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর রেকর্ড গড়লেন ঝুলন গোস্বামী। তাঁর উইকেট সংখ্যা ৪০। টপকে গেলেন লিন ফুলস্টনকে। তাঁর উইকেট সংক্যা ৩৯।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড রাজধানীতে। শুক্রবার মধ্যরাতে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে গেল কমপক্ষে ৬০টি কুঁড়েঘর। আগুনে পুড়ে এখনও অবধি ৭ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার মধ্যরাতে দিল্লির গোকুলপুরী-তে একটি বস্তি এলাকায় আচমকাই আগুন লাগে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় একের পর এক বাড়িতে আগুন ধরে যায়। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই দমকলের ১৩টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ভোররাত অবধি চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি টুইট করে বলেন, আজ ভোরেই অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েছি। আমি ঘটনাস্থলে যাব এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে ব্য়ক্তিগতভাবে দেখা করব।सुबह सुबह ये दुःखद समाचार सुनने को मिला। मैं स्वयं वहाँ जाकर पीड़ित लोगों से मिलूँगा। https://t.co/rcsN6yIse6 Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) March 12, 2022ইতিমধ্যেই বাসিন্দাদের সুরক্ষিতভাবে উদ্ধার করে আনা হয়েছে। তবে অগ্নিকাণ্ডে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভস্মীভূত হয়ে যাওয়া ঝুপড়িগুলির মধ্যে আর কোনও দেহ পড়ে রয়েছে কি না, তা খুঁজে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, কমপক্ষে ৩০ থেকে ৬০টি ঝুপড়ি পুড়ে গিয়েছে। পুলিশের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার দেবেশ কুমার মাহলা জানান, শুক্রবার রাত একটা নাগাদ গোকুলপুরীর একটি বস্তিতে আগুন লাগার খবর লাগে। সঙ্গে সঙ্গে দমকলের তরফে ১৩টি ইঞ্জিন পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও দমকল বিভাগের শীর্ষকর্তারা। রাতভর আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। শনিবার ভোর ৪টে নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে ধ্বংসস্তূপের মাঝে এখনও ছোট ছোট আগুন, যাকে ফায়ার পকেট বলা হয়, তা থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
মেষ/ARIES: পরোপকারে ব্যয়।বৃষ/TAURUS: মানসিক অশান্তি হতে পারে।মিথুন/GEMINI: বাক্যের অপব্যয় করতে পারেন।কর্কট/CANCER: পরিশ্রম বৃদ্ধি পেতে পারে।সিংহ/LEO: মানসিক কষ্ট পেতে পারেন।কন্যা/VIRGO: সৎ বন্ধুলাভ করতে পারেন।তুলা/ LIBRA: বিলাসিতা করতে পারেন।বৃশ্চিক/Scorpio: খ্যাতিলাভ করতে পারেন।ধনু/SAGITTARIUS: জনসেবায় শ্রমদান করতে পারেন।মকর/CAPRICORN: সৌজন্য প্রদর্শন করতে পারেন।কুম্ভ/AQUARIUS: হঠাৎপ্রাপ্তি হতে পারে।মীন/ PISCES: মজুতদারদের লাভ হতে পারে।
এটিকে মোহনবাগানকে হারিয়ে সবুজমেরুণ শিবিরের লিগ উইনার্স শিল্ড জয়ের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিয়েছিল জামশেদপুর এফসি। এবার তাদের স্বপ্নের পথেও কাঁটা বিছিয়ে দিল কেরালা ব্লাস্টার্স। আইএসএলের প্রথম পর্বের সেমিফাইনালে ১০ ব্যবধানে জিতে জামশেদপুর এফসির ফাইনালে ওঠার রাস্তা কিছুটা হলেও কঠিন করে তুলল কেরালা। এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জয়ে আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল জামশেদপুর এফসি। ম্যাচের শুরুর দিকে তারই প্রতিফলন ছিল। পরের দিকে কেরালা ব্লাস্টার্স আস্তে আস্তে খেলায় ফিরে কঠিন লড়াইয়ের সামনে ফেলে দেয় জামশেদপুর এফসিকে। এদিন ৪২৩১ ছকে খেলা শুরু করেছিল জামশেদপুর এফসি। অন্যদিকে কেরালা ব্লাস্টার্স শুরু করেছিল ৪৪২ ছকে। শুরু থেকেই কেরালা ব্লাস্টার্সের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে জামশেদপুর এফসি। ম্যাচের ১০ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত জামশেদপুর। গোলকিপার টিপি রেহেনেশের লম্বা ফ্রিকিক হেডে বক্সের মধ্যে নামিয়ে দেন সেইমিনলেন ডঙ্গেল। সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়ে যান লালহলুদের বাতিল ঘোড়া ড্যানিয়েল চিমা। কিন্তু তিনি বল জালে রাখতে পারেননি। মিনিট দশেক পর আরও একটা সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ড্যানিয়েল চিমা। প্রণয় হালদারের কাছ থেকে বল পেয়ে তিনি তিনকাঠি ভেদ করতে পারেননি। ম্যাচের ২৫ মিনিটে ধাক্কা খায় জামশেদপুর এফসি। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন লেন। এরপরই আস্তে আস্তে মাঝমাঠে খেলা ধরে নেয় কেরালা ব্লাস্টার্স। আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায়। ৩৮ মিনিটে সুফলও পায়। থ্রো ইন পেয়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্স। আলভারো ভাজকোয়েজ যখন থ্রো করতে যান, তখন দৌড় শুরু করেন সাহাল সামাদ। তাঁকে দৌড় শুরু করতে দেখেই সাহালের মাথার ওপর দিয়ে থ্রো করেন আলভারো। লালমাওয়ামা বল বিপদমুক্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বল চলে যায় সাহালের পায়ে। তিনি এগিয়ে আসা রেহেনেশের মাথার ওপর দিয়ে চিপ করে বল জালে পাঠান। প্রথমার্ধে ১০ ব্যবধানেই এগিয়ে থাকে কেরালা ব্লাস্টার্স। গোল ধরে রাখার জন্য দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মরিয়া ছিল কেরালা ব্লাস্টার্স। অন্যদিকে, সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে জামশেদপুর এফসি। কিন্তু কেরালার আঁটোসাঁটো রক্ষণ ভেদ করতে পারছিলেন না ড্যানিয়েল চিমারা। ৬৫ মিনিটে চিমাকে তুলে জর্ডন মারেকে নামান জামশেদপুর কোচ। ৮১ মিনিটে জিতেন্দ্র সিংকে তুলে ইশান পান্ডিতাকে নামিয়ে আক্রমণ লোক বাড়ান। তাতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। প্রথম পর্বের সেমিফাইনালে হার স্বীকার করতে হল জামশেদপুর এফসিকে।
স্বপ্ন ছিল আইএসএলের লিগ শিল্ড জিতে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার ছাড়পত্র জোগাড় করা। লিগের শেষ ম্যাচে জামশেদপুর এফসির কাছে হেরে সে স্বপ্নের জলাঞ্জলি। সামনে আইএলএল খেতাব। আপাতত এটাই পাখির চোখ করছে এটিকে মোহনবাগান শিবির। সেই লক্ষ্য নিয়ে শনিবার হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে প্রথম পর্বের সেমিফাইনালে নামছে সবুজমেরুণ ব্রিগেড। ফাইনালে ওঠার জন্য দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচের ওপর নির্ভর করতে চান না এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। তাঁর লক্ষ্য প্রথম পর্বের সেমিফাইনালেই ফাইনালের রাস্তা পরিস্কার করে নেওয়া।হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে প্রথম পর্বের সেমিফাইনালে নামার আগে লিগ পর্যায়ের শেষ ম্যাচে জামশেদপুর এফসির কাছে হার মাথায় রাখছেন না জুয়ান ফেরান্দো। তাঁর কাছে ওই ম্যাচ এখন অতীত। অতীত ভুলে সামনের দিকে তাকাতে চান এটিকে মোহনবাগান কোচ। লিগ পর্যায়ে হায়দরবাদ এফসি একটা ম্যাচেও হারাতে পারেনি এটিকে মোহনবাগানকে। এমনকি সেই দুটি ম্যাচের কথাও মাথায় রাখছেন না জুয়ান ফেরান্দো। হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে প্রথম পর্বের সেমিফাইনালে মাঠে নামার আগে তিনি বলেন, ওরা লিগে দুটো ম্যাচে আমাদের হারাতে পারেনি বলে আমরা বাড়তি সুবিধা নিয়ে মাঠে নামব, এটা ভাবার কোনও কারণ নেই। আমার মনে হয় না আগের ম্যাচগুলিতে কেমন খেলেছি তার প্রভাব সেমিফাইনালে পড়বে। হায়দরাবাদ আমাদের হারাতে পারেনি বলে তার কোনও সুবিধা আমরা পাব না। একটা ভাল দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামছি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।আইএসএলে লিগ টেবিলের শীর্ষে না পৌঁছতে পারলেও ফুটবলারদের মোটিভেশনের অভাব হবে না বলে মনে করছেন জুয়ান ফেরান্দো। তিনি বলেন, লিগশিল্ড এখন আমাদের কাছে অতীত। এখন সেমিফাইনাল ও পরে ফাইনাল আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। পরে এএফসি কাপ আছে। ফলে ফুটবলারদের মোটিভশনের অভাব নেই। ফাইনালে ওঠার জন্য দুই পর্বের সেমিফাইনালে লড়তে হবে। এই প্রসঙ্গে জুয়ান ফেরান্দো বলেন, আমাদের সামনে এখন দুটো ম্যাচ। প্রতি ম্যাচই জিততে হবে, এমনই মানসিকতা রয়েছে আমাদের দলে। দুটো ম্যাচে আলাদা পরিকল্পনা নেই। দুটো ম্যাচই আমাদের জিততে হবে, এমনই ভাবনা আছে। এমন নয় যে সামনে কুড়িটা ম্যাচ আছে সামলে নেওয়া যাবে। তাই প্রতিটি মুহূর্তে মনংযোগ নিখুঁত থাকতে হবে এবং সারা ম্যাচে ফোকাসড থাকাটা খুবই জরুরি। দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন বিপক্ষ শিবিরের একসময় প্যারিস সাঁ জাঁয় খেলা বার্থোলোমিউ ওগবেচে। এই মুরুত্তে ১৭ ম্যাচে ১৭ গোল করে আইএসএলে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন। তাঁকে আটকাতে আলাদা পরিকল্পনা করেছেন এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। তিনি বলেন, ওকে নিয়ে অবশ্যই পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু সেটা এখন বলা যাবে না। তবে সত্যি বলতে, আমরা শুধু নিজেদের খেলা নিয়েই ভাবছি। কী ভাবে নিজেদের পায়ে বল রাখতে হবে, জায়গা বের করতে হবে, আক্রমণে উঠতে হবে। কালকের ম্যাচে আমাদের পরিকল্পনা এ রকমই। তবে নিজের দলের স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতা ভাবাচ্ছে জুয়ান ফেরান্দোকে। একটাই স্বস্তি, সেমিফাইনালে হায়দররাবাদের বিরুদ্ধে হুগো বোমাসকে তিনি পাবেন।
মেষ/ARIES: ষড়যন্ত্রের শিকার হতে পারেন।বৃষ/TAURUS: আশাতীত লাভ করতে পারেন।মিথুন/GEMINI: প্রফুল্লতা পেতে পারেন।কর্কট/CANCER: মানহানির শিকার হতে পারেন।সিংহ/LEO: ক্ষতি হতে পারে।কন্যা/VIRGO: আকস্মিক বাধা পেতে পারেন।তুলা/ LIBRA: সাফল্যের ইঙ্গিত পেতে পারেন।বৃশ্চিক/Scorpio: ব্যুৎপত্তিলাভ করতে পারেন।ধনু/SAGITTARIUS: বদলির সম্ভাবনা রয়েছে।মকর/CAPRICORN: পরীক্ষায় সাফল্য পেতে পারেন।কুম্ভ/AQUARIUS: পরিচারিকা দ্বারা ক্ষতি হতে পারে।মীন/ PISCES: শ্রীবৃদ্ধি হতে পারে।
করোনা অতিমারির কারণে প্রায় দুবছর বন্ধ ছিল স্কুল। অতিমারির প্রভাব শিথিল হবার পর স্কুল খুললে দেখা যায় অনেক পড়ুয়া আর স্কুলমুখী হচ্ছে না। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রেও সেই একই চিত্র উঠে এল পূর্ব বর্ধমান জেলায়। অ্যাডমিট কার্ড পেয়েও এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে পা-ই রাখলো না জেলার ১০৩১ জন পরীক্ষার্থী। তার মধ্যে রয়েছে মেমারির রসিকলাল স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের ১৪ পরীক্ষার্থী ,বর্ধমানের তেজগঞ্জ হাইস্কুলে ৮ জন পরীক্ষার্থী ও কাটোয়ার একটি স্কুলের ১১ জন পরীক্ষার্থী।মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের এই ভাবে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি হতবাক করেছে জেলার শিক্ষক মহলকেও। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় কেন এত সংখ্যক পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকলো তার তথ্য অনুসন্ধান ভীষণ জরুরী বলেই মনে করছেন শিক্ষকরা।জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা দফতরের দেওয়া তথা অনুযায়ী এই বছর খাতায় কলমে জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৫ হাজার ৪৪৯ জন। তার মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ২৪ হাজার ১৩৮ জন ও ছাত্রী সংখ্যা ৩১ হাজার ৩১৫ জন। এই পরিসংখ্যায়ন থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে যে এবছর ছাত্রের তুলনায় ৭ হাজার বেশী ছাত্রীর নাভ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী হিসাবে নথিভুক্ত হয়েছে।সোমবার থেকে শুরু হয়েছে এই বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা।কিন্তু পরীকার প্রথ দিন থেকে ছাত্র ও ছাত্রী মিলিয়ে ১০৩১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে পা-ই রাখলো না। পরীক্ষায় না বসার ক্ষেত্রে অবশ্য ছাত্রীর তুলনায় ছাত্ররা এগিয়ে রয়েছে।শিক্ষাবিদদের একাংশ মনে করছেন, করোনা অতিমারির কারণে অনেক পরীক্ষার্থীর অভিভাবকদের কাজ চলে গিয়েছে। অভিভাবকরা রেজগারহীন হয়ে পড়েছেন। সংসার টানতে ওইসব পরিবারের পড়ুয়াদেরও কাজে যেতে হয়েছে। আবার অনেক পড়ুয়া স্কুল বন্ধ থাকায় সংসারের আর্থিক দুরাবস্থা কাটাতে নানা জায়গায় কাজে চলে যায়। অনেক নাবালিকা ছাত্রীর আবার বিয়েও হয়ে গিয়েছে।এছাড়াও অনেকে ভেবে ছিল এই বছরও হয়তো পরীক্ষার পরিবর্তে আভ্যন্তরীণ মূল্যায়ণে পাশ করার সুযোগ মিলবে। কিন্তু তা না হওয়ায় পরীক্ষারফর্ম পূরণের পরে অনেক পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্র মুখো হয়নি।এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহকারী সভাধীপতি দেবু টুডু বলেন,রাজ্য সরকার পড়ুয়াদের নানাবিধ সহায়তা পবার ব্যবস্থা করেছে।তার পরেও একাংশ পরীক্ষার্থীর এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় না বসার কি কারণ থাকতে পারে তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।
অবসর প্রসঙ্গে ঝুলন গোস্বামীর মুখে বারবার একটা কথাই শোনা গেছে, যতদিন উপভোগ করব, খেলব। অবসর নিয়ে ভাবছি না। বয়সটা তাঁর কাছে কোনও বাধা আবার প্রমাণ করে দিলেন। বৃহস্পতিবার নিউজিল্যন্ডের কেটি মার্টিনের উইকেট তুলে নিয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী অস্ট্রেলিয়ার লিন ফুলস্টনের রেকর্ড স্পর্শ করলেন ঝুলন। দুজনেরই বিশ্বকাপে ৩৯টি করে উইকেট। রেকর্ড স্পর্শ করলেও দলকে জেতাতে ব্যর্থ ঝুলন। নিউজিল্যান্ডের কাছে ৬২ রানে হারতে হল ভারতকে। মূলত ব্যাটিং বিপর্যয়ের জন্যই হারতে হল ভারতকে।টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠান মিতালি রাজ। লক্ষ্য ছিল কম রানের মধ্যে বিপক্ষকে গুটিয়ে দেওয়ার। কিন্তু তাঁর সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৬০ রান তোলে কিউয়িরা। যদিও শুরুটা ভাল হয়নি নিউজিল্যান্ডের। তৃতীয় ওভারেই রান আউট হয়ে ফিরে যান সুজিয়ে বেটস (৫)। অধিনায়ক সোফিয়ে ডিভাইন (৩৫) যখন আউট হন, নিউজিল্যান্ডের রান তখন ৫৪। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান আমিলিয়া কের এবং অ্যামি স্যাটার্থওয়েট। দুজনের জুটিতে ওঠে ৬৭। কেরকে (৫০) তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়। সর্বাধিক ৭৫ রান করেন স্যাটার্থওয়েট। ৪১ রানের কার্যকারী ইনিংস খেলেন উইকেটরক্ষক কেটি মার্টিন। ভারতের হয়ে সর্বাধিক চার উইকেট নেন পূজা বস্ত্রকার। ২টি উইকেট পান রাজেশ্বরী গায়েকোয়াড়। ১টি উইকেট নেন দীপ্তি শর্মা। স্লগ ওভারে বোলিং করতে কেটি মার্টিনকে তুলে নিয়ে লিন ফুলস্টনের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড স্পর্শ করেন ঝুলন গোস্বামী। আর একটি উইকেট পেলেই মহিলা বিশ্বকাপের ইতিহাসে একক ভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির অধিকারি হবেন কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার।ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে ভারত। স্মৃতি মান্ধানা (৬), দীপ্তি শর্মারা (৫) রান পাননি। ইয়াস্তিকা ভাটিয়া করেন ২৮। অধিনায়ক মিতালি রাজ এবং হরমনপ্রীত কাউরের সৌজন্যে কিছুটা রুখে দাঁড়ায় ভারত। মিতালি (৩১) আউট হওয়ার সঙ্গেই আবার ধস নামে ভারতীয় ইনিংসে। একা লড়াই করেন হরমনপ্রীত কাউর। ৬৩ বলে ৭১ রান করেন তিনি। রিচা ঘোষ মাত্র একবল খেলেই আউট হন। স্নেহ রানা (১৮), পূজা বস্ত্রকাররা (৬) রান পাননি। ঝুলন করেন ১৫। ৪৬.৪ ওভারে ১৯৮ রানে গুটিয়ে যায় ভারতের ইনিংস।
বাংলার মেডিকেল কলেজগুলিতে নিটের মাধ্যমে ছাত্র ভর্তিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এবছরও বাংলার ডাক্তারি কলেজে অবৈধভাবে বহিরাগত ঢোকানো ও জাল কাস্ট সার্টিফিকেটের কারনে বাংলার ছেলেমেয়েদের ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন কিভাবে ধ্বংস হচ্ছে। বহিরাগত স্বার্থে ডোমিসাইল-বি চলছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অমান্য করে। বাংলার কাস্ট সার্টিফিকেট ও ডোমিসাইল সার্টিফিকেট জলের দরে বিকোচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে বাংলা ও বাঙালি, বিস্ফোরক দাবি বাংলা পক্ষের।সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে নিট এর মাধ্যমে মেডিক্যালে ছাত্র ভর্তি হয়। যে রাজ্যে মেডিক্যাল-এ যত আসন আছে তার ৮৫% সেই রাজ্যের অধিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। এবং ১৫% সর্বভারতীয় ছাত্র ছাত্রী দের জন্য সংরক্ষিত। বাংলা পক্ষের শীর্ষ পারিষদ কৌশিক মাইতির দাবি, বাংলার যে ৪৫০০ মেডিক্যালে আসন আছে তার ৮৫% আসনে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিসগড়, রাজস্থান সহ অনান্য রাজ্য থেকে আসা ছেলে মেয়েরা বাংলা থেকে ভুয়ো ডোমিসিয়াল-বি ও তপসিল সংসাপত্র বানিয়ে বাংলার ছেলে মেয়েদের আসনে ভাগ বসাচ্ছে। তাঁর আরও দাবি এই চক্রে স্বাস্থ দপ্তরের আধিকারিক সহ অনেক কেষ্ট-বিষ্টু জড়িত।তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বারংবার বিভিন্ন সভা সমাবেশে মেডিক্যালে ডোমিসিয়াল-বি বিল তুলে দেওয়ার কথা বলেছেন, কিন্তু স্বাস্থ্য দপ্তর তাঁর নির্দেশ কোনওভাবেই কর্নপাত করেনি। কৌশিক বাবু বর্তমান স্বাস্থ্য সচিবের দিকে মুলত তাঁর অভিযগের তীর নিক্ষেপ করেছেন। তিনি দীপ্ত কন্ঠে বলেছেন এবারে যে দুর্নীতি হয়েছে তা সবকিছুকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। বাংলা পক্ষ এর শেষ দেখে ছাড়বে, প্রয়োজনে আইনগত সবরকম ব্যবস্থা তাঁরা নেবেন।কৌশিক মাইতি বলেন, প্রথম লিস্টে নাম না থাকা প্রায় ৭০ জন ভিন রাজ্যের প্রার্থীর নাম ইতিমধ্যে দ্বিতীয় লিস্টে লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে। তিনি জানান এরা সবাই রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখন্ড, মধ্যপ্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্যের অধিবাসী। ভুয়ো ডোমিসিয়াল-বি সার্টিফিকেট বের করে বেআইনি পথে এখানে ঢুকছে। তাঁর দাবী, একজন অন্য রাজ্যের তালিকায় জেনেরাল কাস্ট-এ আছেন এবং বাংলার মেডিক্যাল-এ সিডিউল কাস্ট (SC) তালিকায় ঢুকলো কিভাবে। কিভাবে বাংলায় কাস্ট সার্টিফিকেট জালিয়াতি হচ্ছে? কৌশিক মাইতি জানান, এর পুরো তথ্য তাঁদের কাছে আছে। প্রয়োজনে আদালতে পেশ করবেন।বাংলা পক্ষ আপামর বাঙালি জনসাধরণের কাছে আবেদন রেখেছেন, তাঁরা যেনও চোখ খোলা রাখেন, তাহলেই দেখতে পাবেন কি ভাবে বাংলায় কাজ করা কিছু অপদার্থ ভিন রাজ্যের আমলার মদতে বাঙালির ছেলেদের ভবিষ্যৎ ভুলুন্ঠিত হচ্ছে। তাঁরা সমগ্র বাঙালি দের এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন। কৌশিক মাইতি বলেন, স্বাস্থ্য ভবন জানিয়েছিল, ফর্ম ফিলাপের সময় যারা পশ্চিমবঙ্গ চয়েস দেবে তারাই রাজ্য কোটায় আবেদন করতে পারবে। তাহকে উত্তরপ্রদেশ সহ ভিন্ন রাজ্যের তালিকায় থাকা কেউ বাংলার তালিকায় ঢুকলো কিভাবে?বাংলা পক্ষের তরফ থেকে বেশ কিছু প্রার্থীর নাম উল্লেখ করে দাবি করেছেন একই ছেলে/মেয়ের নাম পশ্চিমবঙ্গের ও উত্তরপ্রদেশের বা অন্য রাজ্যের মেডিকেলের লিস্টে স্থানীয় হিসাবে আছে। তাঁদের অভিযোগ, কি করে একই ব্যক্তি একই সাথে দুই রাজ্যের ডমিসিয়াল হতে পারে? তাঁদের দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাখন ডোমিসিয়াল-বি বিল বাতিলের পক্ষে মত দেন তখন কি করে স্বাস্থ সচিব সহ কিছু আমলা এই বিলটিকে এখনও বাতিল না করার সাহস দেখান? কে এর পিছনে? কি তাঁদের উদ্দেশ্য? বাংলা পক্ষ্যের ইঙ্গিত খুব স্পষ্ট। কৌশিক মাইতি একটি লিস্ট দেখিয়ে বলেন, এই ছেলে মেয়ে গুলো সব আমাদের রাজ্যেও কাউন্সেলিং করিয়েছে ডোমিসিয়াল-বি দিয়ে আবার নিজের রাজ্যেও আবেদন করেছেন। যদি এরা ভর্তি হয় সরকারি মেডিকেল কলেজ গুলোতে, তাতে তো আমাদের রাজ্যের ছেলে মেয়েদের আসন সংখ্যা কমে যাবে। যদি এদের দ্বিতীয় লিস্ট-র পর এদেরকে বাদ দেওয়াও হয় ভেরিফিকেশন এর সময়, আর যদি সিট গুলো ফিরে আসে মপ-আপ-রাউন্ড (Mop Up Round) এর জন্য তবুও ক্ষতি, কারণ তখন আমাদের যারা অন্য কোনো ডেন্টাল কিংবা প্রাইভেট কলেজে এ অ্যাডমিশন নেবে সিট না থাকায় তারা আর মপ-আপ-রাউন্ড (Mop Up Round) এ বসতে পারবে না নিয়মানুযায়ী। আর যদি এরা শুধুমাত্রই প্রাইভেট কলেজের স্টেট কোটা গুলো নেয় তবুও ক্ষতি। কারণ স্টেট কোটা রাজ্যের ছেলে মেয়েদের জন্য। ডোমিসিয়াল লাগে। এরা যদি প্রাইভেট এর স্টেট কোটা গুলো দখল করে তাহলে আমাদের এখানে স্টুডেন্ট গুলো চান্স পাবে না। আর যদি ডোমিসিয়াল-বি লাগিয়ে এখানে সরকারি মেডিকেল কলেজ এ ঢোকে তখন ও পাবে না।