• ৯ পৌষ ১৪৩২, শনিবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

MI

রাজ্য

শহর কলকাতার নানা পথ ঘুরে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী কেন্দ্রীয় হাসপাতালে

কলকাতার সারা রাস্তা ঘুরিয়ে শেষমেশ জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল স্কুল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূলের মহাসচিব এবং রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। টানা ২৭ঘন্টা জেরা করার আজ শনিবার সকালে তৃণমূলের মহাসচিবকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর নাকতলার বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা শহরের নানা রাস্তা ঘুরিয়ে নিয়ে আসা হয় জোকা কেন্দ্রীয় সরকারের অধিনস্ত ইএসাআই হাসপাতালে। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল সল্টলেকের সিজিও কম্পলেক্স-এ নিয়ে যাওয়া হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সুত্রের খবর, এরপর ইডির তরফে দিল্লিতে যোগাযোগ করে সেখানকার নির্দেশেমত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্বাস্থ পরীক্ষার জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রতিবেদন প্রাকাশের মুহুর্ত অবধি তৃণমূলের মহাসচিব এবং রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছেন।

জুলাই ২৩, ২০২২
রাজ্য

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে টানা ২৬ ঘন্টা ইডির তদন্তকারীরা, বাড়ল ঘনিষ্ঠের বাড়িতে টাকা উদ্ধারের পরিমান

পেরিয়ে গেল ২৬ ঘন্টা। এখনও রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ইডির তল্লাশি চলছে। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে মন্ত্রীকে। রাতভর অভিযান করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এদিকে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে ২১ কোটি টাকা, ৫০ লক্ষ টাকার গহনাসহ বিভিন্ন নথি উদ্ধার করেছে। ইডি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে টাকার পাহাড় মিলেছে। এই টাকা ও গহনার সঙ্গে এসএসসি দুর্নীতি মামলার যোগ রয়েছে বলে মনে করছে ইডি।সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সহযোগিতা করছে না। শনিবার সকালে ফের অসুস্থ বোধ করেন মন্ত্রী। চিকিতসকদের একটা দল পার্থর বাড়িতে যায়। বাড়িতে পাহারায় রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রয়েছে নেতাজিনগর থানার পুলিশ। তল্লাশি চলাকালীন তদন্তকারীদের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। শেষমেশ ইডি কী সিদ্ধান্তে পৌঁছয় সেদিকে নজর রাখছে অভিজ্ঞ মহল।এদিকে তৃণমূলের মহাসচিবের বাড়িতে ইডি হানা দেওয়ায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। যদিও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ টুইট করে জানিয়ে দিয়েছে টাকা উদ্ধারের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই। তাছাড়া এই ঘটনায় যাঁদের নাম আসছে তাঁদের বা তাঁদের আইনজীবীরা এর জবাব দেবেন। টুইটে কুণাল লিখেছেন, ইডি যে টাকা উদ্ধার করেছে, তার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। এই তদন্তে যাদের নাম এসেছে, এসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেওয়ার দায়িত্ব তাঁদের বা তাঁদের আইনজীবীদের। কেন দলের নাম জড়িয়ে প্রচার চলছে, দল নজর রাখছে। যথাসময়ে বক্তব্য জানাবে।

জুলাই ২৩, ২০২২
রাজ্য

টানা ১৫ ঘন্টা পার্থর বাড়িতে ইডি, চলছে তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদ, দায় নেবে না তৃণমূল

সকাল সাড়ে ৮টায় রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ৮ জনের ইডি আধিকারিকের দল সেখানে বিভিন্ন নথি উদ্ধার করে। জিজ্ঞাসাবাদ করে মন্ত্রীকে। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ আরেকজন ইডির আধিকারিক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢোকে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যাও বাড়ানো হয়। এর পাশাপাশি কলকাতা পুলিশ রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে। আইনজীবীরা পার্থর বাড়িতে অপেক্ষা করছেন কথা বলার জন্য। এরই মাঝে দুপুরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। চিকিৎসক এসে মন্ত্রীকে পরীক্ষা করেন।ইডি যে টাকা উদ্ধার করেছে, তার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। এই তদন্তে যাদের নাম আসছে, এসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেওয়ার দায়িত্ব তাঁদের বা তাঁদের আইনজীবীদের। কেন দলের নাম জড়িয়ে প্রচার চলছে, দল নজর রাখছে। যথাসময়ে বক্তব্য জানাবে। Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) July 22, 2022এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে বস্তা বস্তা টাকা উদ্ধার হয়েছে। টাকার পরিমান ২০ কোটি টাকার বেশি বলে জানিয়েছে ইডি। মনে করা হচ্ছে এবিষয়ে মন্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডির আধিকারিকরা। টানা ১৫ ঘন্টা মন্ত্রীর বাড়িতে ইডির তল্লাশি অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, তদন্তে যাঁদের নাম, তাঁরাই জবাব দেবে। অর্থাৎ দল এবিষয়ে দায় ঝেড়ে ফেলল বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল।

জুলাই ২২, ২০২২
রাজ্য

মোবাইলে নিষেধাজ্ঞা কলকাতা পুলিসের, আর ফোন নিয়ে সরকারি ডিউটি করা যাবে না

পুলিসের ফোন ব্যবহার বিধিনিষেধ নিয়ে কড়া নির্দেশিকা লালবাজারের। কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির অনুপ্রবেশ ঘিড়ে তুলকালাম পুলিস মহলে। হাফিজুল মোল্লা নামে এক ব্যক্তির অনুপ্রবেশের পর থেকেই পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। সরকার বিরোধী শিবির বাম, বিজেপি ও কংগ্রেস প্রশ্ন তোলে, যেখানে জেড ক্যাডাগড়ি ভুক্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত, সেখানে রাজ্যের সাধরণ মানুষের কথা যত কম বলা যায় ত্তি ভালো। তাঁর পরবর্তি সময়ে কলকাতা পুলিস বেশ কিছু কড়া সিদ্ধান্ত নেয়। তাঁর মধ্যে প্রথমেই তারা নজর দেয় নবান্নের নিরাপত্তায়। তখন তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো, রাজ্যের প্রধান করণ নবান্নতে এর পর থেকে কর্তব্যরত কোনও পুলিশকর্মী মোবাইল ফোন নিয়ে ডিউটি করতে পারবেন না। তাঁদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন জমা রেখে ডিউটি করতে হবে। সেই নিয়মই বলবত থাকে মুখ্যমন্ত্রীর বসতবাড়ি কালীঘাটেও।নবান্ন বা কালিঘাটের মুখ্যমন্ত্রীর বারিতে থেমে না থেকে কলকাতা পুলিস এবার আরও কড়া ব্যবস্থা নিল। মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশ ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ব্যবহারে আরও কঠোর নিয়ম জারি করল। তাঁরা জানিয়েছে, কর্তব্যরত অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার আর করা যাবে না। লালবাজার সুত্রে জানা যায়, বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিসকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেখা গেলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আরও জানা গেছে কেউ যদি, কিউআরটি/এইচআরএফএস, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ বা সেন্ট্রি ডিউটিতেও থাকে তাহলেও মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না।মঙ্গলবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার পুলিসের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিয়ে বেশ কিছু কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, কিছুদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির অনুপ্রবেশের পর পুলিসি ব্যবস্থার প্রতি সাধরণ মানুষের প্রশ্ন জাগতেই এতটা তৎপরতা। সেই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে সর্বস্তরে এক বড় প্রশ্ন ওঠে।লালবাজার সুত্রে জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা থাকবেন, তাঁদেরও মোবাইল ব্যবহার নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে। এদিনের লালবাজারের এই নির্দেশিকা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সেই ঘটনার প্রতিফলন বলে ভাবছে অভিজ্ঞ মহল।

জুলাই ২০, ২০২২
বিনোদুনিয়া

জেলবন্দি সরকারি আধিকারিকের সাথে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করার অপরাধে মুম্বাই থেকে গ্রেপ্তার চিত্র পরিচালক

জেলে বন্দী সরকারি অফিসারের (IAS) সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছবি শেয়ার করায় মঙ্গলবার মুম্বাই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে চলচ্চিত্র নির্মাতা অবিনাশ দাসকে গ্রেফতার করেছে আহমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চ।আহমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চ সুত্রে খবর, অবিনাশ দাস গ্রেফতার হওয়া ঝাড়খণ্ড ক্যাডারের আইএএস অফিসার পূজা সিংঘলর সাথে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের একটি ছবি তাঁর সামাজিক মাধ্যম টুইটারে শেয়ার করেছিলেন এবং সেখানে ক্যাপশন দিয়েছিলেন যে, অফিসারের গ্রেপ্তারের আগে ছবিটি তোলা হয়েছিল।উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) অর্থ পাচারের অভিযোগে আইএএস অফিসার পূজা সিংঘলকে গ্রেপ্তার করেছিল। ইডি অফিসারদের সিংঘলের বাড়ি থেকে নগদ বাজেয়াপ্ত করার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।চলচ্চিত্র নির্মাতা অবিনাশ দাসঅবিনাশ দাস, মুম্বাইয়ে এক ব্যস্ততম চিত্র পরিচালক। তিনি আনারকলি অফ আরা মত জনপ্রিয় ছবির পরিচালনা করেছেন। এছাড়াও রাত বাকি, সি, রানওয়ে লুগাই ছবি গুলির পরিচালনা করেছেন।এফআইআর অনুসারে, দাস মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এবং শাহের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য ৮ মে, ২০২২-এ অমিত শাহের একটি পাঁচ বছর আগের ছবি শেয়ার করেছিলেন। অবিনাশ দাসের বিরুদ্ধে আইপিসি ৪৬৯ ধারা (জালিয়াতি), আইটি আইনের ৬৭ ধারা এবং জাতীয় সম্মানের অবমাননা প্রতিরোধ আইন, ১৯৭১-এর ধারাগুলির অধীনে মামলা করা হয়। দাসকে আগামীকাল আহমেদাবাদ মেট্রো কোর্টে পেশ করা হবে।

জুলাই ২০, ২০২২
রাজ্য

'বাংলা' না 'পশ্চিমবঙ্গ', বল পৌছালো সংসদে, প্রস্তাবের প্রাপ্তি স্বীকার কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের

নামটা মানের উদ্দেশ্য নয় - লোকে বড় বড় চুল রাখে ঝুঁটি ধরে টানবার জন্য নয়। বিখ্যাত লেখকের এই বক্র উক্তি অনেক কিছুই ভাবার অবকাশ দেয়। সব নামের মানে থাকবে যেমন আশা করা অন্যায়, তেমনি মানে খুঁজে ব্যঙ্গক্তি করাও সমীচীন নয়। কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন হতেই পারে, আতর আলি গায়ে আতরের গন্ধ খুঁজতে গিয়ে বিফল হওয়ার সমূহ সম্ভবনা থাকতে পারে। ঠিক তেমনই উত্তর পাড়া তে দক্ষিণ পাড়া খুঁজতে গিয়ে হয়রান হওয়ার সম্ভবনাও থাকে।ঠিক তেমনি এক নাম-র লড়াই বাংলায়। পশ্চিমবঙ্গের নাম বাংলাই পরিবর্তনের লড়াই অনেক পুড়ানো। রাজ্যের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা প্রতিনিধিদের দীর্ঘদিনের আক্ষেপ, রাজ্যের নাম পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) হওয়াতে ইংরাজি অক্ষর W শেষের দিকে বলে বাংলার প্রতিনিধিরা শেষের দিকে বলার সুযোগ পেতেন। রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগে বহুবার অভিযোগ জানিয়েছেন, সংসদে যখনই রাজ্যের প্রতিনিধিরা বা মমতা নিজেই কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যগুলির মধ্যে কোনও বৈঠকে বক্তব্য রাখার কথা থাকতো তখনই পশ্চিমবঙ্গের নাম সর্বদা তালিকার নীচে উপস্থিত হত। এখন রাজ্যের নাম পরিবর্তন হয়ে বাংলা হলে ইংরাজি B অনেক আগে হওয়াতে পশ্চিমবঙ্গ-র প্রতিনিধিরা অনেকটা সামনের দিকে বলার সুযোগ পাবেন।২০১৬-এর ২৯ আগস্ট রাজ্য বিধানসভা পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন করে ইংরেজিতে বেঙ্গল, বাংলায় বাংলা এবং হিন্দিতে বাঙ্গাল করার প্রস্তাব পাস করা হয়েছিল। তিনটি ভিন্ন ভাষায় তিনটি নাম রাখার প্রস্তাবটিকে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র দপ্তর প্রত্যাখ্যান করে। ঠিক তার দুই বছর পর ২০১৮-র ২৬ জুলাই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা সেই প্রত্যাখ্যাত বিলটি পরিবর্তন করে পশ্চিমবঙ্গ থেকে তিনটি ভিন্ন ভাষায় রাজ্যের নাম পরিবর্তন করে বাংলা করার বিল পাস করে।মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের নামকরণ বাংলা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যে প্রস্তাব পাঠিয়েছে, সেটির তারা প্রাপ্তি স্বীকার করেছে। কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই সংসদকে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে এই প্রস্তাব তাঁরা পেয়েছেন।নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে তিনটি ভাষায় অর্থাৎ বাংলা, ইংরেজি এবং হিন্দিতে রাজ্যের বাংলা নামকরণের জন্য একটি প্রস্তাব এসেছে। রাই লোকসভায় লিখিত উত্তরে বলেছেন যে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক সারা দেশে শহরগুলির নাম পরিবর্তনের জন্য গত পাঁচ বছরে প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলিতে অনাপত্তি শংসাপত্র (NOC) দিয়েছে।সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের (AITC) সাংসদ সাইদা আহমেদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে জানতে চান, সারা দেশে বিভিন্ন শহরের নাম পরিবর্তনের অনুমোদন পাওয়ার জন্য ঠিক কতগুলি প্রস্তাব এসেছে? তিনি আরও জানতে চান সরকার কি হেরিটেজ স্থানের নাম পরিবর্তন ক্ষেত্রে পুর্বতন নির্দেশিকাগুলি সংশোধন করেছে কিনা।নিত্যানন্দ রাই সেই প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন যে, হেরিটেজ জায়গাগুলির নাম পরিবর্তনের জন্য মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সেরকম কোনও নির্দেশিকা নেই। তিনি আরও জানান, ২০১৭-তে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজমুন্দ্রির নাম পরিবর্তন করে রাজামহেন্দ্রভারম করা হয়। ২০১৮ তে, ঝাড়খণ্ডের নগর উন্টারির নাম পরিবর্তন করে শ্রী বংশীধর নগর করা হয়।ওই একই বছরে, মধ্যপ্রদেশ নগর পঞ্চায়েত শহর বীরশিংপুর পালি পরিবর্তন করে মা বিরাসিনী ধামএ পরিণত হয়। ২০১৮ তেই, এক উল্লখযোগ্য নাম পরিবর্তন হল, উত্তরপ্রদেশের কুম্ভ শহর এলাহাবাদের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় প্রয়াগরাজ।মন্ত্রী সংসদকে জানান, ২০২১-এ মধ্যপ্রদেশের হোশাঙ্গাবাদ নগরর নাম পরিবর্তন করে নর্মদাপুরম এবং বাবাই শহরের নাম পরিবর্তন করে মাখন নগর করা হয়। ২০২২ এ, পাঞ্জাবের শহর শ্রী হরগোবিন্দপুরের নাম পরিবর্তন করে শ্রী হরগোবিন্দপুর সাহেব রাখা হয়। রাই আরও জানান যে নসরুল্লাগঞ্জ নগরের নাম পরিবর্তন করে ভৈরুন্ডা করার একটি প্রস্তাব ২৫ এপ্রিল, ২০২২-এ মধ্যপ্রদেশ সরকারের কাছ থেকে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক পেয়েছে।

জুলাই ১৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

কৃষ্ণার পরিবর্ত হিসেবে রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলা ফুটবলারকে নিল এটিকে মোহনবাগান

রবিবারই রয় কৃষ্ণার বেঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কথা প্রকাশ্যে এসেছে। তার ২৮ ঘন্টার মধ্যেই রয় কৃষ্ণার বিকল্প খঁুজে নিল এটিকে মোহনবাগান। রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা ফুটবলারকে সই করিয়ে চমক বাগান কর্তাদের। সামনের মরশুমে সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে খেলতে দেখা যাবে ২০১৮ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলা স্ট্রাইকার দিমিত্রি পেত্রাতোসকে সই করাল এটিকে মোহনবাগান।রয় কৃষ্ণ ও ডেভিড উইলিয়ামস এই মরসুমে দল ছেড়েছেন। এই দুজন দল ছাড়ায় একজন ভালমানের স্ট্রাইকারের খোঁজে ছিলেন বাগান কর্তারা। যিনি আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবেও খেলতে পারেন। দিমিত্রি পেত্রাতোসকে দিয়ে কাজ সিদ্ধ করতে পারবেন এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। এই অস্ট্রেলিয়ার আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার ছাড়া ফরোয়ার্ডেও খেলতে পারদর্শী। সৌদি আরবের ক্লাব আল ওয়েদা থেকে দিমিত্রি পেত্রাতোসকে সই করাল এটিকে মোহনবাগান। যদিও গত মরসুমে তিনি আল ওয়েদার জার্সিতে খেলেননি। আল ওয়েদা থেকে তিনি লোনে এ লিগের ক্লাব ওয়েস্টার্ন সিডনি ওয়ান্ডারার্সে খেলেছিলেন।২০১০-১১ মরসুমে সিডনি ফুটবল ক্লাবের হয়ে পেশাদার ফুটবলজীবন শুরু করেন দিমিত্রি। এরপর যোগ দেন মালয়েশিয়ার ক্লাব কেলান্তানে। ২০১২১৩ মরশুম কেলান্তানের হয়ে খেলার পর এ লিগের দল ব্রিসবেন রোয়ার তাঁকে সই করায়। ২০১৩ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ব্রিসবেনের হয়েই খেলেন দিমিত্রি। ২০১৭ সালে কোরিয়া লিগের দল উলসান হুন্ডাই সই করায় তাঁকে। ৬ মাস খেলে ওই বছরই দিমিত্রি যোগ দেন নিউক্যাসেল জেটসে। ২০১৭ থেকে ২০২০ পর্যন্ত নিউক্যাসেল জেটসে খেলার পর তিনি সৌদি আরবের ক্লাব আল ওয়েদায় সই করেন। সেখান থেকেই গত বছর লোনে খেলেন ওয়েস্টার্ন সিডনি ওয়ান্ডারার্সে। সিডনি থেকে এবার তিনি এটিকে মোহনবাগানে।He comes from Australia, hes played in Korea and Saudi Arabia! 🤩Mariners, give a warm welcome to Dimitrios Petratos, our new number 9! 💚️#ATKMohunBagan #JoyMohunBagan #AmraSobujMaroon pic.twitter.com/WBuLoc00Rh ATK Mohun Bagan FC (@atkmohunbaganfc) July 18, 2022অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে সিনিয়র দলে তাঁর অভিষেক হয় ২০১৮ সালে। এখনও পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি ম্যাচ তিনি খেলেছেন। রাশিয়া বিশ্বকাপে ২৩ জনের দলে থাকলেও প্রথম একাদশে সুযোগ পাননি। তাঁর বাবা অ্যাঞ্জেলো খেলেছেন সিডনি অলিম্পিক্স এফসির হয়ে। ইতিমধ্যেই নতুন মরসুমের জন্য পাঁচ বিদেশি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে এটিকে মোহনবাগানে। ষষ্ঠ বিদেশি হিসেবে এলেন দিমিত্রি। নিজের দীর্ঘ ফুটবল কেরিয়ারে ক্লাবের জার্সিতে হোক কিংবা দেশের হয়ে স্ট্রাইকার, অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার বা উইঙ্গার বিভিন্ন পজিশনে খেলেছেন তিনি।

জুলাই ১৮, ২০২২
রাজনীতি

'কাজ করতে গেলে ক্ষমতার দরকার', মিঠুন খুশি ২১-এর বিধানসভার ফলে

হায়দরাবাদে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পরই মহাগুরু মিঠুনের কলকাতা আসাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে জোর শোরগোল শুরু হয়েছে। সোমবার মিঠুনের আসাকে কেন্দ্র করে বিজেপির রাজ্য কার্যালয়েও ভিড় ছিল নেতা-কর্মীদের। লোকসভা ভোটের প্রচারের পর এই প্রথম কলকাতায় পা রাখলেন বিজেপি নেতা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। মিঠুন বলেন, আমি রাজনীতি করি না। মানুষনীতি করি। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। প্রশ্ন করা হয়েছিল কেউ বলছে ২৪-এ কেউ বলছে ২৬-এ মমতা সরকার চলে যাবে। মিঠুনের স্পষ্ট জবাব, এ নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। তবে নির্বাচন পরবর্তী হিংসাতে খুব কষ্ট পেয়েছে বলে জানিয়েছেন কিংবদন্তী অভিনেতা। তাঁর কথায়, রাজনীতি থাকবে রাজনীতির জায়গায়। কেন হিংসা হবে। ২০২১ বিধানসভায় বিজেপির ফলাফল প্রসঙ্গে মিঠুন বলেন, আমি খুব খুশি ৩ থেকে ৭৭ হয়েছে। ৫৫ লক্ষ থেকে ২ কোটি ২৮ লক্ষ ভোট পেয়েছে বিজেপি। এটা সায়েন্স। প্রথমবারেই বাজিমাত হয়ে যাবে। তাতে নিরাশ হওয়ার কারণ নেই। বিজেপি একটা জায়গা তৈরি করেছিল। ওর থেকে ভাল জায়গা হয়েছে। তবে সেই সময় কর্মীরা আরও উৎসাহ পেলে ভাল হত বলে মনে করেন একাধিকবার জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা।ব্যক্তিগত ভাবে মানুষের জন্য় অনেক কাজ করেছেন বলে দাবি করেছেন সুপারস্টার। তবে তাঁর জন্য ক্ষমতার দরকার বলে তিনি মনে করেন। মিঠুন বলেছেন, মানুষের জন্য কাজ করতে গেল পাওয়ারের দরকার। কাজ করতে চাইলেও পারি না। আমাদের সরকার থাকলে মানুষের জন্য আরোও কাজ করতে পারব।

জুলাই ০৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌জুলাইয়েই সুখবর পেতে চলেছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা, চুড়ান্ত হবে ইমামির সঙ্গে চুক্তি

আশার আলো দেখতেই পারেন লালহলুদ সমর্থকরা। অবশেষে ইমামির সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের চুক্তি সংক্রান্ত জট কাটতে চলেছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সামনের মাসের প্রথম দিনেই ইমামির সঙ্গে চুক্তিপত্রে সই হতে পারে। এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে ইমামির এক শীর্ষকর্তা। মাসখানেক আগে নবান্নে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উপস্থিতিতে লগ্লি করা নিয়ে ইমামি ও ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের মধ্যে প্রাথমিক কথা হয়েছিল। তারপর লালহলুদ কর্তাদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন ইমামির কর্তারা। বৈঠকের পর ইমামির পক্ষ থেকে চুক্তির একটা খসড়া ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে পাঠানো হয়। সেই খসড়ায় ইমামি ক্লাবের ৮০ শতাংশ স্বত্ব দাবি করে। চুক্তির খসড়া ক্লাবে আসার পর ইস্টবেঙ্গল কর্তারা ইমামির কাছে অনুরোধ করেন, ৮০ শতাংশের পরিবর্তে কিছু কম সত্ব নিজেদের কাছে রাখার। লালহলুদ কর্তাদের সেই অনুরোধে রাজি হয়েছেন ইমামির কর্তারা। তাঁরা ৭৬ শতাংশ শেয়ার নিজেদের কাছে রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের কাছে। সূত্রের খবর, লালহলুদ কর্তারাও ইমামির প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন। আগের দুই লগ্নিকারী সংস্থা কোয়েস ও শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের সংঘাত হয়েছিল স্পোর্টিং রাইটস নিয়ে। ওই দুই সংস্থাকেই পুরো স্পোর্টিংস রাইটস দেওয়া হয়েছিল। ইমামির হাতে কোনও স্পোর্টিং রাইটস তুলে দেওয়া হচ্ছে না। শুধু ক্লাবের ৭৬ শতাংশ সত্ব থাকবে। ইমামি গ্রুপের পক্ষ বলা হয়েছে, আমরা একটি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে আবদ্ধ হতে চলেছি। দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা সঠিক পথেই এগোচ্ছে। সমর্থকরা খুব তাড়াতাড়ি ভাল খবর পাবেন। আমরা আমাদের সেরাটা করার চেষ্টা করছি। যদিও দুই পক্ষের কোনও কর্তা সরকারিভাবে সত্ব নিয়ে মুখ খোলেননি। চুক্তি সাক্ষরিত না হওয়ায় গঠনের প্রক্রিয়া এখনও পুরোদমে শুরু করেনি ইস্টবেঙ্গল। দল বদলের বাজারে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে লালহলুদ। ইমামি গ্রুপের ডিরেক্টর আদিত্য আগরওয়াল আগেই জানিয়েছিলেন, চুক্তি স্বাক্ষরের পরেই তাঁরা দল গঠন শুরু করবেন। ক্লাব এবং লগ্নিকারী সংস্থার সদস্যদের নিয়ে কোম্পানি গঠন হবে এবং তারাই দলগঠন করবেন।

জুন ২৮, ২০২২
রাজ্য

নতুন গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত গলসি, নজর রাখছে জেলা নেতৃত্ব

নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব এবং তার জেরে অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগ ঘিরে তেতে উঠেছে গলসি ১ ব্লকের রাজনৈতিক পারদ। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে তাতে রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা বড় বিপদে পড়তে পারে শাসক তৃণমূল। এমনকি ওই ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির কাজকর্ম শিকেয় উঠতে পারে।রাজনৈতিক মহলের দাবি, দিন দুয়েক আগে শাসকদলের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পেছনে দলেরই কোন্দল রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, কাজ না করে তৃণমূল পরিচালিত গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি অনুপ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারের টাকা পাওয়ার অভিযোগ তুলে সবর হয়েছেন ওই সমিতিরই সদস্য-সদস্যাদের একাংশ, বেশ কয়েকজন কর্মাধ্যক্ষ সহ খোদ সভাপতি রোকেয়া বেগমও। যদিও লিখিত কোন অভিযোগ নেই। তবে তাঁদের দাবি, ঠিকাদার কোন কাজ না করেই দুদফায় কাজের অনুমোদিত সমস্ত অর্থ তুলে নিয়েছে। আর তা হয়েছে ঠিকাদার অনুপবাবুর ঘনিষ্ঠ বলে। আর এই অভিযোগকে ঘিরে সরগরম গলসির রাজনীতি। কিন্তু সেই সব অভিযোগ উড়িয়ে অনুপবাবুর পাল্টা দাবি, যা হয়েছে সব নিয়ম মেনেই হয়েছে। ঘোলাজলে মাছ ধরতে নেমে দলের ভাবমূর্তি, প্রাশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছেন অভিযোগকারীরা। কিন্তু, দলের জেলা নেতৃত্ব জানেন কোথায় কি হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, গলসি ১ ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকলেও তার তীব্রতা সব থেকে বেশি দেখা যাচ্ছে গত এক মাসধরে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, দলের আদিগোষ্ঠীর পরিবর্তে নতুন গোষ্ঠী মাথা চড়া দিয়েছে ওই ব্লকে। ফলে দিন যত যাচ্ছে ততই নতুন গোষ্ঠীর কোন্দল প্রকাশে চলে আসছে। এলাকায় কোন গোষ্ঠী আধিপত্য বিস্তার করবে, তা নিয়েই নতুন গোষ্ঠী-বিরোধ। যার এক দিকে রয়েছেন ব্লক তৃণমূল প্রাক্তন সভাপতি তথা জেলা সহ সভাপতি জাকির হোসেন এবং তাঁর অনুগামীরা। অন্য দিকে, পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি অনুপ চট্রোপাধ্যায় ও তাঁর গোষ্ঠী।স্থীনায় সূত্রে খবর, গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতিতে আধিপত্য রয়েছে অনুপবাবুর। আর সভাপতি রোকেয়া সহ বেশ কয়েকজন কর্মাধ্যক্ষ আর সদস্য রয়েছেন জাকিরের দিকে। কিন্ত এমনটা ছিল না। মাস পাঁচেক আগেও জাকিরের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিল অনুপ। আর তাঁদের সঙ্গে বিরোধ চলছিল দলের ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায়ের। এলাকার রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দলের ওই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ চলছে। তারই জেরে মারপিট, পার্টি অফিস ভাঙচুর, বোমাবাজির একাধিক অভিযোগ উঠছে দুই পক্ষের বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দারাও এই লড়াইয়ে তিতিবিরক্ত ছিলেন। কিন্ত নতুন করে জাকির আর অনুপের কোন্দল দলকে ভাবিয়ে তুলেছে। বিশেষ করে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমান সফরের আগেই গলসির এই দুই নেতার দ্বন্দ্ব ঘুম ছুটিয়েছে জেলা নেতৃত্বের।কিন্তু কেন এমন হলো?রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাকির আর অনুপের দূরত্ব বেড়েছে পারাজ-শিল্ল্যা রোডের উপর পঞ্চায়েত সমিতির টোল নিয়ে। তাঁদের দাবি, ওই টোল নিজের ঘনিষ্ঠদের পাইয়ে দেওয়ার জন্য উঠে-পরে লেগেছিলেন জাকির হোসেন। কিন্তু, পঞ্চায়েত সমিতি নিয়ম মেনে দরপত্র ডেকে দেওয়াতে তা হয়নি। এরপর যত দিন গড়িয়েছে ততই দূরত্ব বেড়েছে জাকির আর অনুপের। সম্প্রতি পারাজে কাঠের সেতুর উপর টোল আদায় বন্ধ করেছে প্রশাসন। যে কাঠের সেতুর উপর অবৈধভাবে টোল নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল জাকিরের অনুগামীদের বিরুদ্বে। এই টোল আদায় বন্ধ করার পেছনে অনুপ কলকাটি নেড়েছে বলে মনে করছেন জাকিরের অনুগামীরা। ফলে জাকির আর অনুপের সম্পর্ক পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, দলের ভেঙে দেওয়া গলসি ১ ব্লক সভাপতি পদে দুজনই দৌড়ঝাঁপ করছেন। আর সেই দৌড়ে অনুপকে পেছনে ফেলতে জাকির গোষ্ঠী অনুপ ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারকে কাজের আগে টাকা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে সবর হয়েছেনে, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।জেলাস্তরে এক নেতার বক্তব্য, গলসির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অবৈধ বালি খাদান চালানো, বৈধ বালি খাদান থেকে টাকা তোলার অভিযোগ ছিলই। তারপরে নতুন করে এমন সব অভিযোগ আসছে যা দলকে ভাবিয়ে তুলছে। তবে দল এইসব বেনিয়ম বরদাস্ত করবে না। আগামীতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তৃণমূলের জেলা শীর্ষ জানিয়ে দিয়েছে।

জুন ২৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

চুক্তিপত্রে সই না হওয়া পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলে বিনিয়োগ করবে না ইমামি

শ্রী সিমেন্টের পর এবার ইমামি। লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে জট কিছুতেই কাটছে না। প্রাথমিক কথা হওয়ার প্রায় মাসখানেক পর ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের কাছে পৌঁছেছে ইমামির চুক্তির খসড়া। চুক্তিপত্র দেখে সই করতে বেঁকে বসেছেন লালহলুদ কর্তারা। এবার শুরু হয়েছে শেয়ার নিয়ে দর কষাকষি।ইমামি যে চুক্তিপত্র পাঠিয়েছে তাতে ৮০ শতাংশ শেয়ার চেয়েছে তারা। লালহলুদ কর্তারা এই পরিমান শেয়ার ছাড়তে রাজি নন। তাঁরা ইমামির সঙ্গে শেয়ার নিয়ে দর কষাকষির খেলায় নেমেছে। সূত্রের খবর, ইস্টবেঙ্গল কর্তারা ৫০ শতাংশ শেয়ার নিজেদের কাছে রাখতে চান। পাশাপাশি তাঁদের দাবি, ক্লাবের ৪ জন কর্তাকে বোর্ড অফ ডিরেক্টরে রাখতে হবে। লালহলুদ কর্তাদের দ্বিতীয় দাবিটা মেনে নিতে রাজি ইমামি। কিন্তু শেয়ারের ব্যাপারে তারা অনড়। ১০ জন সদস্যকে নিয়ে বোর্ড অফ ডিরেক্টর গঠন করা হবে। ১০ জন সদস্যের মধ্যে ৬ জন থাকবে ইমামির ও ৪ জন ইস্টবেঙ্গলের। চুক্তির খসড়া লালহলুদ তাঁবুতে পৌঁছনোর পর ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যান মজুমদার ইমামিকে একটা চিঠি লিখেছেন। সেই চিঠিতে তিনি আবেদন জানিয়েছেন, দল গঠন প্রক্রিয়া দ্রুত সেরে ফেলার জন্য। প্রাকারান্তে তিনি চুক্তি নিয়ে ইমামির ওপর চাপ তৈরি করতে চাইছেন। চিঠিতে লালহলুদ সচিব লিখেছেন, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সামনে একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলাম। দল গঠনের প্রক্রিয়া যদি গতি না পায় তাহলে গত দুই তিন বছরের মতো আবার আমাদের লক্ষ্য অপূর্ণ থাকবে এবং ফুটবলপ্রেমীদের হতাশা ছাড়া আর কিছুই দেওয়া যাবে না। তাই চুক্তির প্রক্রিয়া সমান্তরালে চলুক যাতে দল গঠনের প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি শেষ করা যায়।সূত্রের খবর, এই সপ্তাহে চুক্তিপত্রে সই হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। সামনের মাসের প্রথম সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করার পরই চুক্তিতেই সই করতে চান ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। এদিকে, ইমামি কর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন, চুক্তিপত্রে সই না হওয়া পর্যন্ত তারা বিনিয়োগ করতে রাজি নয়।

জুন ২২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

তিরির বিকল্প খুঁজে নিল এটিকে মোহনবাগান, আসছেন এ–লিগ কাঁপানো ডিফেন্ডার

চুক্তি নিয়ে এখনও ডামাডোল চলছে ইস্টবেঙ্গলে। ইমামির সঙ্গে জটিলতা ক্রমশ বাড়ছে। সামনের মরশুমের জন্য দলগঠন প্রক্রিয়া অথৈ জলে। এই অবস্থায় নিজেদের আরও গুছিয়ে নিচ্ছে এটিকে মোহনবাগান। রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামসদের বিকল্পর সন্ধান চললেও তিরির পরিবর্ত খুঁজে নিল। সামনের মরশুমে সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে খেলতে দেখা যাবে অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্ডার ব্রেন্ডন মাইকেল হামিলকে। এশিয়ান কোটার বিদেশি হিসেবে তাঁকে দলে নেওয়া হচ্ছে। হামিলের সঙ্গে সবুজমেরুণ কর্তাদের কথাবার্তা চূড়ান্ত শুধুমাত্র চূক্তিপত্রে সই হওয়া বাকি।এটিকে মোহনবাগানের হয়ে এএফসি কাপে গোকুলাম এফসির বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে হাঁটুতে মারাত্মক চোট পান স্প্যানিশ ডিফেন্ডার তিরি। ২০২৩এর জানুয়ারির আগে তাঁকে আর পাওয়া যাবে না। এই মরশুমে আইএসএলে তাঁকে আর পাওয়া যাবে না ধরে নিয়েই তিরির বিকল্প ফুটবলারের সন্ধানে ছিলেন বাগান কর্তারা। বেশ কয়েকজন ডিফেন্ডারের বায়োডাটা দেখে তাঁরা যোগাযোগ করেন ব্রেন্ডন হামিলের এজেন্টের সঙ্গে। এটিকে মোহনবাগানের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান হামিল।২৯ বছর বয়সী ব্রেন্ডন হামিলের জন্ম সিডনিতে। ২০১০ সালে মেলবোর্ন হার্ট এফসিতে পেশাদার ফুটবলজীবন শুরু করেন। এই ক্লাবের জার্সি গায়ে ২ বছর কাটান। তারপর যোগ দেন কোরিয়ার কেলিগের ক্লাব সিগনাম এফসিতে। ২০১৩ সালে সই করেন কেলিগেরই গাংওয়ান এফসিতে। পরের বছর আবার নিজের দেশে ফিরে আসেন ব্রেন্ডন হামিল। যোগ দেন ওয়েস্টার্ন সিডনি ওয়ান্ডারার্সে। টানা ৫ বছর এই ক্লাবের জার্সি গায়ে খেলেন। ২০১৯এ আবার ক্লাব বদল। এবার ওয়েস্টার্ন সিডনি ওয়ান্ডারার্স ছেড়ে সই করেন ওয়েস্টার্ন ইউনাইটেড এফসিতে। গতবছর জুলাইতে যোগ দেন মেলবোর্ন ভিকট্রিতে। সেখান থেকেই এটিকে মোহনবাগানে আসছেন ব্রেন্ডন মাইকেল হামিল।

জুন ২২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ক্ষিপ্ত প্রাক্তন ফুটবলাররা, কড়া চিঠি ইস্টবেঙ্গলকে

ইমামির সঙ্গে চুক্তি জটে এখনও আটকে রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের দলগঠন প্রক্রিয়া। গত বছরের মতো পরিস্থিতিতে পড়তে হবে না তো? আশঙ্কার প্রাক্তন ফুটবলাররা। ক্লাবকে যাতে কলঙ্কের মুখে পড়তে না হয়, সেজন্য আসরে নামলেন তাঁরা। কড়া চিঠি পাঠালেন ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যান মজুমদারকে।নতুন লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে প্রাথমিক কথা হওয়ার পর প্রায় একমাস কেটে গেছে। দলগঠন প্রক্রিয়া এখনও সেভাবে এগোয়নি। যার জন্য বিরক্ত হয়ে পড়েছেন প্রাক্তন ফুটবলারদের কমিটি। সোমবার প্রাক্তন ফুটবলারদের পক্ষ থেকে প্রশান্ত ব্যানার্জি, বিকাশ পাঁজি, মিহির বসু, কৃষ্ণেন্দু রায় এবং সুমিত মুখার্জি ক্লাবকে একটি চিঠি পাঠিয়ে তাঁদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।ইস্টবেঙ্গল সচিবকে দেওয়া চিঠিকে প্রাক্তন ফুটবলাররা লিখেছেন, ইস্টবেঙ্গলের অগুণিত সমর্থকদের মতো আমরাও চিন্তিত ক্লাবের ভবিষ্যত নিয়ে। ইমামির সঙ্গে প্রাথমিক কথা হওয়ার পর ২৪-২৫ দিন পার হয়ে গেছে। এখনও চুক্তিপত্রে সই হয়নি। নতুন ফুটনলারের সঙ্গেও চুক্তি হয়নি। এই অবস্থায় আমরা চাই ক্লাব এবং ইনভেস্টারের যৌথ উদ্যোগে এ বছর ইস্টবেঙ্গল তার পুরনো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনুক। ক্লাবের সাবেক কর্তাদের প্রাক্তন ফুটবলাররা এ-ও বুঝিয়ে দিয়েছে কোনও ভাবেই হাতের সামনে পাওয়া ফুটবলার সই করিয়ে কোনও মতে আইএসএল-এ নামা চলবে না। তাতে ক্লাবের ঐতিহ্য ক্ষুন্ন হবে। তাঁরা বলেছেন, আপনারা তখনই টিম নামান যখন আইএসএলের উপযুক্ত টিম করতে পারবেন। আর যদি না পারেন তবে লোক দেখানো টিম নামিয়ে ক্লাবের ইতিহাসকে কালিমালিপ্ত করবেন না। তা হলে কলকাতা লিগ, ডুরান্ড কাপ, আইএফএ শিল্ড খেলুন কিন্তু এ ভাবে আইএসএলে খেলবেন না। আইএসএলে খেলতে হলে আইএসএলের মতো করেই খেলুন। নতুন মরসুমের দল গঠনের ক্ষেত্রে ক্লাবের অনুরোধে আই লিগ এবং সন্তোষ ট্রফি দেখে বেশ কিছু প্রতিভাবান ফুটবলারের একটি তালিকা ক্লাবের হাতে তুলে দিয়েছিল এই প্রাক্তন ফুটবলারদের কমিটি। এ দিন সেই ব্যপারে কত দূর ক্লাব এগিয়েছে সেই বিষয়েও জানতে চেয়েছেন এই কিংবদন্তি প্রাক্তনীরা।

জুন ২০, ২০২২
রাজ্য

বিজেপির বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বাংলা পক্ষর মহামিছিল

বাংলা পক্ষ বঙ্গভঙ্গ চক্রান্তের বিরুদ্ধে কলেজ স্ট্রিট থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মহামিছিল করল। মিছিলে হাজার হাজার বাঙালি উপস্থিত ছিল। বাংলার উত্তর দিকের জেলাগুলোকে বাংলা থেকে ভাগ করে আলাদা রাজ্য অথবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার চক্রান্ত করছে বাংলা ও বাঙালির শত্রু বিজেপি-আরএসএস। এরই প্রতিবাদে কলেজষ্ট্রিট থেকে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় পর্যন্ত এক মহা মিছিল সংগঠিত করে বাংলা পক্ষ।মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. গর্গ চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি, চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস, মনন মণ্ডল, শোয়েব আমিন, অমিত সেন, কালাচাঁদ চট্টোপাধ্যায়, মনোজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সম্পাদক প্রবাল চক্রবর্তী, কলকাতা জেলার সম্পাদক অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, হাওড়া জেলার সম্পাদক জয়দীপ দে, হুগলী জেলার সম্পাদক দর্পণ ঘোষ, উত্তর চব্বিশ পরগণা শহরাঞ্চলের সম্পাদক পিন্টু রায়, উত্তর চব্বিশ পরগনা শিল্পাঞ্চলের সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ, পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সম্পাদক অক্ষয় বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তর চব্বিশ পরগণা গ্রামীনের সম্পাদক দেবাশিষ মজুমদার, বাঁকুড়ার জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য নাথ, পূর্ব বর্ধমানের সম্পাদক জুয়েল মল্লিক, পূর্ব মেদিনীপুরের সম্পাদক সুতনু পণ্ডিত, বাংলা শ্রমিক পক্ষর অভিজিৎ কুন্ডু প্রমূখ।গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা বাংলা ভাগের চক্রান্ত ব্যর্থ করবোই। বাংলা পক্ষর মিছিল থেকে প্রমাণ হল বাঙালি জেগে গেছে। এবং বিজেপি চক্রান্ত করছে আমার মুখ বন্ধ করে দেওয়ায় জন্য, বাংলা থেকে আমাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য। বিজেপি বাংলা থেকে আমাকে সরিয়ে দিতে পারে কিন্তু আমার হৃদয় থেকে বাংলাকে সরাতে পারবেনা। তিনি আরও বলেন, একটি জাতিকে দুর্বল করে দেওয়ার সবথেকে সহজ উপায় হল তার মাতৃভূমিকে টুকরো টুকরো করে দেওয়া। ভূমিপুত্রদের ঐক্য ধ্বংস করে দেওয়া। জাতি হিসাবে বাঙালি টুকরো টুকরো হলে লাভ বাঙালি বিদ্বেষীদের। বাংলার উত্তরের জেলাগুলো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলে গোটা এলাকার জমি, অর্থব্যবস্থা, পুলিশ সবই কেন্দ্রের হাতে চলে যাবে। হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী কেন্দ্রীয় সরকার এনআরসি করে ভূমিপুত্রদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে তাদের নিজের মাতৃভূমি থেকে বেদখল করে, তাদের জমি দোকান সম্পত্তি রাখার অধিকার কেড়ে নিয়ে ইউ পি -বিহার-ঝাড়খণ্ড-রাজস্থান থেকে বহিরাগত ঢুকিয়ে এলাকার ভূমিপুত্রদের ওপর অত্যাচার চালাবে। উত্তরের জেলাগুলোর প্রাকৃতিক সম্পদ তুলে দেবে তাদের পছন্দের গুজরাট, রাজস্থানের পুঁজিপতিদের হাতে। সেখানে সম্পূর্ণ গুরুত্বহীন করে দেওয়া হবে বাঙালি সহ ভূমিপুত্রদের।কৌশিক মাইতি বলেন, গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের উপর আঘাত হানলে বাংলার প্রতিটি জেলা বাংলার প্রতিটি ঘরে প্রতিবাদের আগুন জ্বলবে। তিনি আরও বলেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার তিস্তার জল বাংলাদেশে পাঠিয়ে বাংলার উত্তরের জেলাগুলোকে শ্মশানে পরিণত করতে চায়। বাংলার সরকার রাজি না হওয়ায় এখনও পর্যন্ত কেন্দ্র তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বাংলার উত্তরের জেলাগুলোকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করতে পারলে দিল্লি তিস্তার জল সহজেই বাংলাদেশে পাঠাতে পারবে। এখনও পর্যন্ত এই চক্রান্ত আটকে রেখেছে বাংলার সরকার। কিন্তু বাংলা ভাগ হলে উত্তরের জেলাগুলোর প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ আর বাংলার সরকারের হাতে থাকবে না। বিপন্ন হয়ে যাবে উত্তরের জেলাগুলোর বাঙালি সহ ভূমিপুত্রদের অস্তিত্ব।বাংলা পক্ষ প্রথম দিন থেকে বিজেপির এই বঙ্গভঙ্গ চক্রান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। এর আগে গোর্খাল্যান্ড তৈরি করে বাংলাকে দু-টুকরো করার ষড়যন্ত্র করেছিল বিজেপি-আরএসএস। সেই সময়ও বাংলা পক্ষ গোটা রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ, পথ সভা প্রতিবাদ সংগঠিত করেছিল।

জুন ১৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

সেমিফাইনালেই স্বপ্ন শেষ, আত্মতুষ্টির খেসারত দিতে হল বাংলাকে

কোয়ার্টার ফাইনালে ঝাড়খণ্ডের বাধা টপকানোর পর ফাইনালের স্বপ্ন দেখেছিল বাংলা। ব্যাটারদের দুরন্ত ফর্মই আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল বাংলা শিবিরকে। ভেবেছিল মধ্যপ্রদেশের বাধাও অনায়াসে টপকে যাবে। কিন্তু স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল। আত্মতুষ্টির খেসারত দিতে হল বাংলাকে। যেমনটা ঘটেছিল ২০১৪ সালে। আলুরে সেমিফাইনালেই শেষ হয়ে গেল অভিমন্যু ঈশ্বরণের দলের রনজি অভিযান। বাংলাকে ১৭৪ রানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল মধ্যপ্রদেশ। তাদের সামনে এবার মুম্বই। জয়ের জন্য ৩৫০ রানের লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছিল বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল। চতুর্থ দিনের শেষে বাংলার রান ছিল ৪ উইকেটে ৯৬। পরাজয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ম্যাচের শেষ দিনের খেলায় ব্যাঘাত ঘটায় বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে মাঠ ভিজে থাকায় খেলা শুরু হয়েছিল নির্ধারিত সময়ের অনেকটাই দেরিতে। দিনের দ্বিতীয় বলেই অনুষ্টুপ মজুমদারের উইকেট তুলে নেন গৌরব যাদব। অনুষ্টুপ মজুমদার ২৬ বলে ৮ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। এরপর শাহবাজ আমেদকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। যদিও দুজনে মিলে জুটিতে ৩৮ রানের বেশি তুলতে পারেননি।চুয়ান্নতম ওভারের প্রথম বলেই অভিমন্যুকে তুলে নেন কুমার কার্তিকেয়। ১৫৭ বলে ৭৮ রান করে বোল্ড হন বাংলার অধিনায়ক। এদিন প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৫ হাজার রানের গণ্ডি টপকে গেলেন অভিমন্যু। খেললেন ৭২ ম্যাচ। অভিমন্যু যখন আউট হন বাংলার রান তখন ৬ উইকেটে ১৩৫। ২ ওভার পরেই সায়নশেখর মণ্ডল আউট হন। ৬ বলে মাত্র ১ রান করে তিনি সারাংশ জৈনের বলে এলবিডব্লু হন। ৫৯.২ ওভারে বাংলার অষ্টম উইকেট পড়ে। ১৩ বলে ৫ রান করে আউট হন প্রদীপ্ত প্রামানিক। তিনি কার্তিকেয়র পঞ্চম শিকার। ৬৩.৪ ওভারে আকাশ দীপ (১১ বলে ২০) আউট হন গৌরব যাদবের বলে। বাংলার রান তখন ১৭১। ১ ওভার পরেই মুকেশ কুমারকে (৪ বলে ৪) তুলে নিয়ে বাংলার ইনিংস শেষ করে দেন গৌরব যাদব। ১৭৫ রানে গুটিয়ে যায় বাংলার ইনিংস। ৮২ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন শাহবাজ আমেদ। ৬৭ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট নেন কুমার কার্তিকেয়া। প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট। গৌরব যাদব ১৯ রানে নেন ৩ উইকেট। সারাংশ জৈন নেন ২ উইকেট। ম্যাচের সেরা হয়েছেন হিমাংশু মন্ত্রী।

জুন ১৮, ২০২২
রাজ্য

এসএসসি দুর্নীতিঃ সময়ের আগেই প্রথম কিস্তির টাকা জমা মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতার

আদালতের নির্দেশে আগেই মন্ত্রীকন্যা চাকরি খুইয়েছেন। তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল দুই কিস্তিতে টাকা ফেরত দেওয়ার। নির্দিষ্ট তারিখও জানিয়ে দিয়েছিল আদালত। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানিয়ে দিলেন। শুক্রবার অঙ্কিতা আদালতে জানিয়েছেন, সময়ের আগে দ্বিতীয় কিস্তির টাকাও দিয়ে দেবেন। উল্লেখ্য, সময়ের আগেই দিয়েছেন প্রথম কিস্তির টাকা।রাজ্যে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত একাধিক মামলা চলছে কলকাতা আদালতে। একইসঙ্গে একাধিক মামলায় সিবিআই তদন্ত চলছে। এরইমধ্যে মে মাসে এসএসসি চাকরিপ্রার্থী ববিতা সরকারের দায়ের করা মামলায় চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন অঙ্কিতা অধিকারী। মন্ত্রী কন্যা ৪১ মাস যা বেতন পেয়েছেন তা দুই কিস্তিতে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিস্তির তারিখ নির্ধারিত হয়েছিল ৭ জুন ও ৭ জুলাই। মন্ত্রী কন্যা এদিন আদালতে জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রথম কিস্তির টাকা জমা দিয়েছেন। গত ৬ জুন ডিমান্ড ড্রাফটের মাধ্যমে ৭ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা অঙ্কিতা ফেরত দিয়েছেন।

জুন ১৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

আসল মন্ত্রীর ব্যাটে চাপ কাটিয়ে উঠল বাংলা

এভাবেও ফিরে আসা যায়! বাংলাকে না দেখলে সত্যিই বিশ্বাস করা কঠিন। স্কোর বোর্ডে কোনও রান যোগ হওয়ার আগেই প্রথম ওভারেই দুজন ব্যাটার সাজঘরে। চতুর্থ ওভারে আরও একজন। ১৬ ওভারের মধ্যে ৫৪ রানে ৫ উইকেট। সেখান থেকে দিনের শেষে ৫ উইকেটে ১৯৭। বাংলার এই প্রত্যাবর্তনের নায়ক মন্ত্রীমশাই মনোজ তেওয়ারি ও শাহবাজ আমেদ। এই দুই ব্যাটারের সৌজন্যে চাপ কাটিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস বাংলার।দিনের শুরুতে বাংলাকে অবশ্য চাপে ফেলেছিল মধ্যপ্রদেশের দুই ব্যাটার হিমাংশু মন্ত্রী ও পুনীত দুবে। দলকে বড়ে রানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ৩২৩ রানের মাথায় জুটি ভাঙেন শাহবাজ আমেদ। পুনীত দুবেকে তুলে নেন। ৩৭ বলে ৩৩ রান করে আউট হন পুনীত। এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছিলেন পুনীত। তিনি আউট হওয়ার ৪ ওভার পরেই হিমাংশু মন্ত্রীকে তুলে নেন মুকেশ কুমার। ৩৩৭ বলে ১৬৫ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন হিমাংশু। তিনি উইকেটের পেছনে অভিষেক পোড়েলের হাতে ক্যাচ দেন। শেষ পর্যন্ত ১০৫.৩ ওভারে ৩৪১ রানে গুটিয়ে যায় মধ্যপ্রদেশের ইনিংস। বাংলার হয়ে মুকেশ কুমার ৬৬ রানে ৪টি ও শাহবাজ আমেদ ৮৬ রানে ৩ উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন আকাশ দীপ। ১টি উইকেট নেন প্রদীপ্ত প্রামানিক।ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চূড়ান্ত বিপর্যয়ে পড়ে বাংলা। ব্যর্থ দুই ওপেনার অভিষেক রমন (০) এবং সুদীপ কুমার ঘড়ামি (০)। প্রথম ওভারেই কুমার কার্তিকেয়ার বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন বাংলার এই দুই ব্যাটার। চতুর্থ ওভারে সারাংশ জৈনর বলে রজত পতিদারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন অনুষ্টুপ মজুমদার। অধিনায়ক অভিমূন্য ঈশ্বরণ ২২ রান করে আউট হন পুনীত দুবের বলে। অভিষেক পোড়েলকেও (৯) পুনীত দুবে। ৫৪ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলা। এরপর রুখে দাঁড়ান মনোজ তেওয়ারি ও শাহবাজ আমেদ। অসমাপ্ত জুটিতে দুজনে তুলেছেন ১৪৩ রান। এই জুটিই স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাংলাকে। দিনের শেষে মনোজ ৮৪ রানে ও শাহবাজ ৭২ রানে ক্রিজে রয়েছেন।

জুন ১৫, ২০২২
রাজ্য

গাড়ি ভাঙছে, গাড়ি পুড়ছে, আইন-শৃঙ্খলা হাতের বাইরে, সেনা নামানো হোকঃ শুভেন্দু

বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র নুপুর শর্মার মন্তব্যের প্রতিবাদে এদিনও হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ জারি ছিল। প্রতিবাদ কার্যত তান্ডবে পরিনত হয়। গাড়ির পর গাড়ি ভেঙে-পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উলুবেড়িয়ায় বিজেপির কার্যালয় পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। ডোমজুর থানা আক্রান্ত হয়েছে। এই ঘটনা সামলাতে সেনা নামানোর আর্জি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।গতকাল, বৃহস্পতিবার হাওড়ায় জাতীয় সড়কে অবরোধের জেরে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছিল। এদিন রীতিমোত তান্ডব চালায় বিক্ষোভকারীরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। গতকাল অবরোধের ফলে রাস্তায় সন্তান প্রসব করার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবাদের নামে বিশৃঙ্খলা চলছে। যা নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। কেন রাজ্য সরকার প্যারামিলিটারি ও মিলিটারিকে নামাল না। আমি সিপিএমের সব কথার নিন্দা করেও বলব, রিজানুরের সময় মিটিলারি ডেকে তৎকালীন মুখ্যসচিব মানুষের সম্পত্তি রক্ষা করেছিলেন।শুভেন্দুর বক্তব্য, উলবেড়িয়াসহ হাওড়ায় কয়েকশো গাড়ি ভাঙা হয়েছে, গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। গোটা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। বিরোধী দলনেতা হিসাবে রাজ্যপালকে একাধিক ভিডিও পাঠিয়েছি। টুইট করেছি। এখন ইমেল করে আর্মি নামিয়ে মানুষের জীবন সম্পত্তি রক্ষা করতে অনুরোধ করেছি। বিক্ষোভকারীদের মূল লক্ষই বিজেপি। তৃণমূলের উসকানি আছে। বিজেপির জেলা কার্যলয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। নির্বাচন পরবর্তী হামলার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এসএসসি দুর্নীতির অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

জুন ১০, ২০২২
বিনোদুনিয়া

বঙ্গ সাহিত্য পত্রিকার আন্তর্জাতিক সাহিত্য মিলন বাসর

কলকাতার কৃষ্ণপদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ভবনে বিশ্ববঙ্গ বাংলা সাহিত্য একাডেমি অনুমোদিত বঙ্গ সাহিত্য পত্রিকা পরিবারের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল আন্তর্জাতিক সাহিত্য মিলন বাসর। বাংলাদেশ থেকে এই মিলন বাসরে অংশ নেন কবি বিশ্বজিৎ মণ্ডল এবং কবি ও গীতিকার ইভা মণ্ডল। ওমান থেকে এসে এই মিলন বাসরের মান বাড়িয়ে দেন কবিবন্ধু মলয় দত্ত এবং রাখী দত্ত। তামিলনাড়ু থেকে এই মনোগ্রাহী অনুষ্ঠানে যোগ দেন বদরুল হোসেন লস্কর, সম থেকে এই সাহিত্য মিলন বাসরে যোগ দিলেন কবি ইকবাল হোসেন খাঁন কবি অজয় সেনগুপ্ত এবং নাট্যকার সঞ্জয় সেনগুপ্ত মহাশয় রায়গঞ্জ থেকে কি শিক্ষক এবং জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত বিপ্লব কুমার মণ্ডল মহাশয়, কলকাতা নিবাসী কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিক পরীক্ষিৎ মান্না, সর্বোপরি বাংলাদেশ বর্ডার সুদূর হিলি থেকে কবি কনক কান্তি সরকার, কবি সুব্রত লাহিড়ী এবং কবিভাই বাপ্পা দাস।বাঁকুড়া নিবাসী মাননীয়া রঙ্গনা পালের সম্পাদনায় বুলু পাল, কবিতা ঘোষ, শিল্পী সাহা, নবনীতা সরকার, রুবী গুপ্তা এবং মল্লিকা চ্যাটার্জি রায় এর অভিভাবকত্বে প্রদান করা হলো কবিরত্ন, সাহিত্য রত্ন, নবরত্ন, বঙ্গের আভরণ, দৈনিক সাহিত্য সম্মাননা, ছান্দোসিক কবি ও প্রভাত আলোক সাথী সম্মাননা। উন্মোচিত হল বঙ্গ সাহিত্য পত্রিকা পরিবারের প্রথম বর্ষের কাব্য সংকলন সকল গুণীজনের উপস্থিতিতে। সম্মাননার অবসরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবি, সাহিত্যিকদের জোয়ারে মুখরিত ছিলো অনুষ্ঠান মঞ্চ। প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করেও সংস্কৃতির টানে মিলিত হলেন কবি, সাহিত্যিকরা।

জুন ১০, ২০২২
বিনোদুনিয়া

মাইকেল বোসের প্রদর্শনীতে ফুটে উঠেছে নারীর যন্ত্রণা

শিল্পী মাইকেল বোস তার চিত্রশিল্পের মাধ্যমে বহু বিশিষ্ট মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন। চিত্রশিল্পী হিসাবে তাঁর একাধিক একক চিত্রপ্রদর্শনী হয়েছে।মাইকেল বোসের নতুন একক চিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে একাডেমিতে। বুধবার ৮ জুন এই চিত্র প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়ে গেল উপস্থিত ছিলেন শিল্পী দেবব্রত চক্রবর্তী, শিল্পী বিমল কুন্ডু, শিল্পী মলয় দাস, শিল্পী পার্থসারথি নাথ, শিল্পী পৃথ্বীশ সিকদার, শিল্পী বাদল পাল, সমাজসেবী দেবলীনা রায় চৌধুরী, সমাজসেবী শ্যামাদাস, সমাজসেবী সুজিত কুমার ঘোষ, কবি ফুল্লোরা মুখোপাধ্যায়, অভিনেত্রী সুভদ্রা মুখার্জি প্রমুখ।এই একক চিত্র প্রদর্শনী নিয়ে মাইকেল বোস জনতার কথা কে জানালেন, এটা আমার ১৮ তম একক চিত্র প্রদর্শনী। ৮ তারিখ শুরু হয়েছে, ১৪ তারিখ পর্যন্ত প্রর্দশনীটি চলবে। মোট ২২টি পেন্টিং রয়েছে। সবকটা আঁকাতেই নারীদের কষ্ট তুলে ধরা হয়েছে। মর্ডান ইন্ডিয়ান আর্টিস্ট সিক্স বইটিরও আনুষ্ঠানিক প্রকাশ পেল।

জুন ০৯, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 20
  • 21
  • 22
  • 23
  • 24
  • 25
  • 26
  • ...
  • 99
  • 100
  • ›

ট্রেন্ডিং

দেশ

দীপু দাস খুনের পর অমৃত মণ্ডল, বাংলাদেশের জটিল পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে ভারত

ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির মৃত্যুকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে পদ্মাপারের দেশে। এই পরিস্থিতিতে আবারও আক্রান্ত হচ্ছেন সংখ্যালঘুরা। একের পর এক হিন্দু যুবককে খুনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। ইউনূস প্রশাসনকে কড়া বার্তা দিয়ে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।২০২৪ সালের অগস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। পরে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি। সেই সময়েও হিন্দু-সহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল। তখনই ভারত বাংলাদেশ সরকারকে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিয়ে সতর্ক করেছিল।এবার ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের নতুন করে হিংসা ছড়িয়েছে। ময়মনসিংহে দীপু দাস নামে এক হিন্দু যুবককে মারধরের পর জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ভারতে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রাজবাড়ি জেলায় অমৃত মণ্ডল ওরফে সম্রাট নামে আরও এক যুবককে পিটিয়ে খুন করা হয়। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, ওই যুবক তোলাবাজি ও সন্ত্রাস চালাত। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সেই ক্ষোভ থেকেই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়।বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর চলতে থাকা হিংসা নিয়েই বৃহস্পতিবার সরব হয় নয়াদিল্লি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, হিন্দু যুবক দীপু দাসের হত্যার তীব্র নিন্দা করছে ভারত। তিনি জানান, বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ-সহ সংখ্যালঘুদের উপর একের পর এক হিংসার ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই সমস্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে বলে ভারত আশা করছে।বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও জানান, বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে ভারত। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের উপর প্রায় ২ হাজার ৯০০টির বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছে বলেও দাবি করেন তিনি। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন রয়েছে। সেই নির্বাচন যেন অবাধ ও স্বচ্ছভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সে বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেছে ভারত।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
কলকাতা

৪৬ মৃত্যুর দায় কার? নির্বাচন কমিশনকে দুষে বিজেপির পাল্টা আক্রমণ

এসআইআর-এর শুনানি শুরুর ঠিক আগেই ফের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, এসআইআর পর্বে রাজ্যে যে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, তার দায় সম্পূর্ণভাবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের উপর বর্তায়। তৃণমূলের দাবি, এসআইআর নিয়ে তৈরি হওয়া আতঙ্কই এই মৃত্যুগুলির কারণ।তৃণমূল যখন নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় তুলছে, তখন পাল্টা আক্রমণে নামল বিজেপি। বিজেপি নেতা তাপস রায় তৃণমূলের অভিযোগকে যুক্তিহীন বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, কোনও পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর অনেক সময় পড়ুয়ারা আত্মহত্যা করে। তাই বলে কি পরীক্ষা নেওয়া বা ফল প্রকাশ বন্ধ করে দেওয়া উচিত? তাঁর বক্তব্য, কোনও মৃত্যু যদি আকস্মিক বা অন্য কোনও কারণে হয়, তা অবশ্যই দুঃখজনক। কিন্তু তার দায় কোনও প্রক্রিয়ার উপর চাপানো যায় না।তাপস রায় আরও বলেন, পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না হলে অনেক ছাত্রছাত্রী চরম সিদ্ধান্ত নেয়। তাই বলে কি পরীক্ষা নেওয়াই বন্ধ করে দেওয়া হবে? তাঁর দাবি, একই যুক্তি এসআইআর-এর ক্ষেত্রেও খাটে।উল্লেখ্য, এসআইআর পর্বে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একের পর এক মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। সেই সব ক্ষেত্রে মৃতদের পরিবার এবং শাসকদলের তরফে দাবি করা হয়েছে, এসআইআর সংক্রান্ত নোটিস ও আতঙ্কের জেরেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বা আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁরা।শনিবার থেকেই শুরু হচ্ছে এসআইআর-এর শুনানি। তার ঠিক আগের দিনই মুর্শিদাবাদ থেকে আসে আরও এক মৃত্যুর খবর। পরিবারের দাবি, বাবার পদবির সঙ্গে ছেলের পদবি না মেলায় এসআইআর-এর নোটিস এসেছিল। সেই বিষয়টি নিয়ে মানসিক চাপে পড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। একই রকমভাবে বীরভূমের সাঁইথিয়াতেও এক ভোটারের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে।এই সমস্ত মৃত্যুর জন্য বরাবরই নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুনানি পর্ব শুরু হওয়ার আগে ফের সেই ইস্যুকেই সামনে আনল শাসকদল। তার প্রেক্ষিতেই বিজেপির তরফে এই পাল্টা যুক্তি তুলে ধরলেন তাপস রায়।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
রাজ্য

এসআইআর শুনানির আগে বড় মোড়, মতুয়াদের ভোটাধিকার নিয়ে স্পষ্ট কমিশন

রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে এসআইআর-এর শুনানি। তার ঠিক আগের দিন মতুয়াদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিল, নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে সিএএ সার্টিফিকেট গ্রাহ্য করা হবে। ফলে মতুয়া সম্প্রদায়ের বহু মানুষের দীর্ঘদিনের ধন্দ কাটল।নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁদের নাম খসড়া ভোটার তালিকায় নেই, তাঁরা নতুন করে ফর্ম ৬ পূরণ করে আবেদন করতে পারবেন। পরে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হলে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা হবে। এই ক্ষেত্রেও সিএএ নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট লিঙ্ক ডকুমেন্ট হিসেবে দেখানো যাবে।এতদিন প্রশ্ন ছিল, মতুয়ারা কি নো ম্যাপিং ভোটারের আওতায় পড়বেন? আর পড়লে ২০০২ সালের কোন নথি তাঁরা দেখাবেন? কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, যেহেতু সিএএ নাগরিকত্বের সার্টিফিকেটে প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য থাকে, তাই ম্যাপিংয়ের ক্ষেত্রে ওই সার্টিফিকেটই লিঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ অনলাইনে ফর্ম পূরণের সময় এবার থেকে এই সার্টিফিকেটও গ্রহণযোগ্য হবে।তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বলেন, নির্বাচন কমিশন বলছে সার্টিফিকেট গ্রাহ্য হবে, কিন্তু আধার কার্ডকে কেন মানা হচ্ছে না, তা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে।অন্যদিকে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ইতিমধ্যেই প্রায় ৭০ হাজার মানুষ সিএএ-তে আবেদন করে নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট পেয়েছেন। তাঁদের ভোটার তালিকায় নাম থাকবেই। তাঁর দাবি, বাংলাদেশি হিন্দু শরণার্থীদের পাশে বিজেপিই রয়েছে।উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতেই সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিল, নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়ার পরেই ভোটাধিকার পাওয়া যাবে। শুধু আবেদন করলেই ভোটার তালিকায় নাম ওঠানো যাবে না। প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ জানায়, আগে নাগরিক হতে হবে, তার পরেই ভোট দেওয়ার অধিকার মিলবে।এই নির্দেশের পর থেকেই মতুয়াদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। কারণ অনেকেই সিএএ-তে আবেদন করেছেন এবং তাঁদের মোবাইলে নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট সংক্রান্ত মেসেজও এসেছে। কিন্তু সেই সার্টিফিকেট শুনানিতে আদৌ গ্রহণযোগ্য হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। বিশেষ করে মতুয়াদের প্রায় ৯০ শতাংশই শুনানির নোটিস পাওয়ায় উদ্বেগ আরও বেড়েছিল।এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বাংলা সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মতুয়াদের উদ্দেশে বার্তা দেন। তিনি বলেন, প্রত্যেক মতুয়া ও নমঃশূদ্র পরিবারের পাশে কেন্দ্রীয় সরকার রয়েছে। মর্যাদার সঙ্গে ভারতে থাকার অধিকার তাঁদের আছে এবং বিজেপি ক্ষমতায় এলে তাঁদের জন্য আরও কাজ করা হবে।এই সব কিছুর মধ্যেই শুনানির ঠিক আগে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে মতুয়াদের জন্য বড় স্বস্তি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে কমিশন স্পষ্ট করেছে, সিএএ সার্টিফিকেট তখনই গ্রহণযোগ্য হবে, যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নতুন করে ফর্ম ৬ পূরণ করে আবেদন করবেন।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
কলকাতা

“এখন যুদ্ধের সময়”—এসআইআর আবহে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলকে চাঙ্গা করলেন অভিষেক

এসআইআর-এর শুনানি শুরুর আগেই তৃণমূলের অন্দরে কার্যত নির্বাচনী সুর বেঁধে দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দলের নেতৃত্বের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, এখন পরিস্থিতি যুদ্ধের মতো। বৈঠকে তিনি বারবার যুদ্ধ শব্দটি ব্যবহার করেন এবং বিপক্ষ হিসেবে বিজেপিকেই চিহ্নিত করেন।অভিষেক বলেন, আগে মানুষ ঠিক করত কে সরকার গড়বে, আর এখন সরকার ঠিক করতে চাইছে কারা ভোট দেবেন। তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট ছিল বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর। কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মাথা নত করলে কেবল মায়ের কাছেই নত করব, আর কারও কাছে নয়।২০২৬ সালের বিধানসভা ভোট আর খুব দূরে নয়। এসআইআর ঘিরে তৈরি হওয়া আবহেই কার্যত ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেই প্রেক্ষিতেই ২০২১ সালের নির্বাচনের মডেলকেই সামনে আনতে চাইছেন অভিষেক। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঠাসা কর্মসূচি, একেবারে বুথ স্তরে গিয়ে মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগএই কৌশলের উপর জোর দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকেই শুরু হচ্ছে তৃণমূলের উন্নয়নের সংলাপ কর্মসূচি। প্রায় ৮০ হাজার বুথে ঘুরে ঘুরে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরবেন দলের কর্মীরা। বুথ স্তরে জনসংযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বাড়িতে গিয়ে কথাবার্তা বলার মতো কর্মসূচির কথাও উঠে এসেছে বৈঠকে।একদিকে যখন এই কর্মসূচি চলবে, অন্যদিকে সমান্তরালভাবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলকে চাঙ্গা রাখতে এবং ভোটের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করতেই এই দ্বিমুখী কৌশল বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।বৈঠকে অভিষেক আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিরোধীরা হারছে এবং বিজেপি জিতছে। এই পরিস্থিতিতে এক মুহূর্তও শিথিলতা দেখালে বিপক্ষ সুযোগ নেবে। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, এখন বিশ্রামের সময় নয়, এখন লড়াইয়ের সময়। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে দলের কর্মীদের মনোবল বাড়াতেই এই কঠোর বার্তা দিয়েছেন তিনি।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
কলকাতা

বাংলাদেশ ইস্যুতে বিক্ষোভ, পুলিশের দাবি খারিজ করে জামিন দিল আদালত

বাংলাদেশে দীপু হত্যার প্রতিবাদের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছিল কলকাতাতেও। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শহর। সেই ঘটনার জেরে গ্রেফতার হওয়া ১২ জন বিক্ষোভকারীকে শুক্রবার শর্তসাপেক্ষে জামিন দিল আলিপুর আদালত। তিন হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।এই ঘটনায় মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এর মধ্যে সাত জন আগেই জামিন পেয়েছিলেন। শুক্রবার বাকি ১২ জনের জামিন মঞ্জুর হওয়ায় এই মামলায় ধৃত সকলেই আপাতত মুক্তি পেলেন।মঙ্গলবার বেকবাগানে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনের অফিসের সামনে তীব্র বিক্ষোভ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। অভিযোগ ওঠে, বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে কুশপুতুল পুড়িয়ে ছুড়ে মারেন। এই ঘটনায় আট জন পুলিশকর্মী আহত হন। হাই কমিশনের বাইরে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে বলে পুলিশের অভিযোগ।এই ঘটনার পর মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়। সেদিন আদালত ১২ জন পুরুষ অভিযুক্তকে দুদিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। শুক্রবার ফের তাঁদের আদালতে পেশ করা হয়।এদিন আদালতে পুলিশ ১২ জন অভিযুক্তের ১২ দিনের পুলিশি হেফাজত চায়। পুলিশের দাবি ছিল, ধৃতদের সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সরকারি আইনজীবী জানান, তদন্তে ইতিমধ্যেই ১১ জন সাক্ষীর বয়ান সংগ্রহ করা হয়েছে। পুলিশের উপর হামলার প্রমাণ হিসেবে ইনজুরি রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়েছে।সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য, বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা জরুরি। তাঁর দাবি, একই সংগঠন ফের বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। এতে আবার অশান্তি ছড়ালে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর প্রভাব পড়তে পারে। পুলিশকে এমনভাবে মারধর করা হয়েছে যে, হাসপাতালে থেকে ছাড়া পেলেও চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা এখনই কাজে যোগ দিতে পারবেন না।তিনি আরও জানান, হাই কমিশনের বাইরে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং কুশপুতুল পুড়িয়ে পুলিশের দিকে ছুড়ে মারা হয়েছে। সেদিন একই ঘটনা হাই কমিশনের ভিতরেও ঘটতে পারত বলেও আদালতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এমনকি শুক্রবারও একই সংগঠন ফের কর্মসূচিতে নেমেছে বলে দাবি করে পুলিশ।অন্যদিকে অভিযুক্তদের আইনজীবী আদালতে বলেন, খুনের চেষ্টার ধারা যুক্ত করা হলেও তার স্বপক্ষে কোনও নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ নেই। তিনি প্রশ্ন তোলেন, দুদিনের তদন্তে খুনের চেষ্টার কোনও প্রমাণ আদৌ পুলিশ পেয়েছে কি না।সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত ১২ জন অভিযুক্তকে শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করে।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশে হিন্দু খুনের প্রতিবাদে কড়া সিদ্ধান্ত, হোটেলে ‘নো এন্ট্রি’ বাংলাদেশিদের

বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। দেশজুড়ে নৈরাজ্যের আবহে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর একের পর এক হামলার অভিযোগ উঠছে। দীপু চন্দ্র দাসের হত্যার পর এবার অমৃত মণ্ডল নামে আরও এক হিন্দু যুবককে খুন করা হয়েছে বলে খবর। প্রতিবেশী দেশের এই ঘটনায় আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল ভারত সরকার। এবার সেই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হল সাধারণ মানুষও।বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে কড়া সিদ্ধান্ত নিলেন মালদহ ও শিলিগুড়ির হোটেল ব্যবসায়ীরা। তাঁদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য নো এন্ট্রি বোর্ড ঝুলবে হোটেলগুলিতে। দেশের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোটেল মালিকেরা।হোটেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে বাংলাদেশি নাগরিকদের হোটেলে ঘর দেওয়া হবে না। তবে মানবিকতার কারণে যাঁরা মেডিক্যাল ভিসায় চিকিৎসার জন্য ভারতে আসছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেওয়া হচ্ছিল। এবার সেই ছাড়ও তুলে নেওয়া হল। মেডিক্যাল ভিসা বা স্টুডেন্ট ভিসায় আসা বাংলাদেশিদেরও আর হোটেলে জায়গা দেওয়া হবে না।হোটেল মালিক সংগঠনগুলির দাবি, বাংলাদেশে যেভাবে সংখ্যালঘুদের উপর নির্মম অত্যাচার চলছে এবং কিছু মহল থেকে শিলিগুড়ি করিডর ও সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হুমকির মতো মন্তব্য করা হচ্ছে, তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সেই কারণেই আর কোনও ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। শিলিগুড়ির একাধিক হোটেলে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।এই বিষয়ে হোটেল মালিক সংগঠনের এক প্রতিনিধি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সেখানে যা ঘটছে এবং যে ধরনের মন্তব্য সামনে আসছে, তার প্রতিবাদ হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত। সংগঠনের অধীনে থাকা ১৮২টি হোটেল ছাড়াও আরও ৩০ থেকে ৪০টি হোটেল একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।উল্লেখ্য, গত বছরও বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হলে এবং হিন্দুদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠার পর কলকাতা ও শিলিগুড়ি-সহ একাধিক জায়গায় বাংলাদেশি নাগরিকদের হোটেলে ঘর না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এবার ফের সেই একই পথে হাঁটলেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
কলকাতা

ভোটার তালিকা যাচাইয়ে বড় পদক্ষেপ, সকাল ১১টা থেকে কলকাতায় শুনানি

রাত পোহালেই শুরু হতে চলেছে এসআইআর-এর দ্বিতীয় ধাপ। শনিবার সকাল ১১টা থেকে কলকাতায় শুরু হবে শুনানি। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধাপে প্রায় ৩২ লক্ষ ভোটারকে ডাকা হতে পারে। প্রথম পর্যায়ে মূলত যাঁদের নাম ভোটার তালিকায় নো ম্যাপিং হিসেবে চিহ্নিত, তাঁদের কাছেই নোটিস পাঠানো হয়েছে।শুনানির সময় ভোটারদের কাছে প্রয়োজনীয় নথিপত্র চাওয়া হবে। জমা দেওয়া নথি দেখে সন্তুষ্ট না হলে সেগুলি আরও ভালো করে খতিয়ে দেখবেন আধিকারিকরা। প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় আটটি করে জায়গায় শুনানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। একাধিক স্কুল ও সরকারি অফিসে এই শুনানি হবে।শুনানির দায়িত্বে থাকবেন ইআরও এবং এইআরও পদমর্যাদার আধিকারিকরা। একটি ভেন্যুতে এক দিনে সর্বাধিক ১৫০ জন ভোটারের শুনানি নেওয়া হবে। কলকাতায় বেলতলা গার্লস স্কুল, আলিপুর মাল্টিপারপাস গার্লস স্কুলে শুনানি হবে। এছাড়াও লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ, লরেটো ডে স্কুল, মর্ডান হাইস্কুল ফর গার্লস, মৌলনা আজাদ মেমোরিয়াল গার্লস হাইস্কুল, ভবানিপুর গার্লস হাইস্কুল এবং হরিমোহন ঘোষ কলেজে শুনানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলাতেও একইভাবে শুনানি চলবে। তবে কোনও পৌরসভা বা পঞ্চায়েত অফিসে শুনানির ব্যবস্থা রাখা হয়নি।শুনানিতে হাজির হওয়ার সময় ভোটাররা কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের দেওয়া পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে পারবেন। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার দেওয়া পরিচয়পত্রও গ্রহণযোগ্য। এছাড়া পেনশন পেমেন্ট কার্ড, ১৯৮৭ সালের আগে ইস্যু হওয়া পরিচয়পত্র বা শংসাপত্র, জন্মের সার্টিফিকেট, ভারতের পাসপোর্ট, মাধ্যমিক স্তরের সার্টিফিকেট, স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাগত নথি, রাজ্যের দেওয়া স্থায়ী বাসিন্দার শংসাপত্র, জাতিগত শংসাপত্রও দেখানো যেতে পারে। যেখানে এনআরসি চালু হয়েছে, সেখানকার শংসাপত্রও গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি রাজ্য বা স্থানীয় প্রশাসনের তৈরি ফ্যামিলি রেজিস্টার, সরকারি জমির নথি বা বাড়ির দলিলও দেখানো যেতে পারে।নির্দিষ্ট দিনে কোনও ভোটার যদি শুনানিতে হাজির হতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে চিন্তার কারণ নেই। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, উপযুক্ত এবং বিশ্বাসযোগ্য কারণ দেখাতে পারলে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
কলকাতা

নতুন বছরের আগে চমক! গেরুয়া শিবির ছেড়ে মমতার দলে পার্নো মিত্র

নতুন বছর আসার আগেই রাজনৈতিক জীবনে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পার্নো মিত্র। শুক্রবার বিজেপি ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন তিনি। কলকাতার তৃণমূল ভবনে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখান অভিনেত্রী।দল বদলের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্নো জানান, এই দিনটি তাঁর কাছে খুবই বিশেষ। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বড়দিন ছিল, আর শুক্রবার তাঁর কাছে আরও বড় দিনের মতো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তিনি নতুন পথচলা শুরু করছেন। সেই পথেই তিনি এগোতে চান দিদি ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে।পার্নো স্পষ্ট করে জানান, ছয় বছর আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অনেক আশা নিয়ে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বুঝেছেন, যেভাবে তিনি ভেবেছিলেন সেভাবে বিষয়গুলি এগোয়নি। তাই নিজের ভুল শুধরে নেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, মানুষ ভুল করতেই পারে, কিন্তু সেই ভুল সংশোধন করাটাই আসল।২০১৯ সালের জুলাই মাসে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন পার্নো মিত্র। বরাহনগর কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে তিনি বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন। সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন তাপস রায়। তবে সময়ের সঙ্গে রাজনৈতিক সমীকরণ বদলেছে। বর্তমানে বরাহনগর কেন্দ্রের বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।দলবদলের আগে থেকেই বিজেপি নিয়ে পার্নোর অসন্তোষের কথা শোনা যাচ্ছিল ঘনিষ্ঠ মহলে। শেষ পর্যন্ত সেই অসন্তোষই যে সিদ্ধান্তে রূপ নিল, তা এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গেল। রাজনৈতিক মহলের মতে, অভিনেত্রীর এই পদক্ষেপ আগামী দিনে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন আলোচনা তৈরি করবে।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal