• ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Jagannath

রাজ্য

বাংলার পুরী: দীঘা জগন্নাথ মন্দির

দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হল বুধবার। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে তৈরী হয়েছে এই মন্দির। পর্যটন কেন্দ্র দীঘার অন্যতম নয়া আকর্ষণ এই মন্দিরটি। এটি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের স্থাপত্যশৈলীও অনুকরণ করা হয়েছে। মন্দিরে স্থাপিত হয়েছে জগন্নাথ দেব, বলভদ্র, দেবী সুভদ্রা-র মূর্তি।পুরীর জগন্নাথ মন্দিরটি কুড়ি একরের বেশি জায়গা জুড়ে বৃস্তিত। ৩০শে এপ্রিল, অক্ষয় তৃতীয়ার শুভদিনে মন্দিরটি উদ্বোধন হয়েছে। মন্দির উদ্বোধনের আগে থেকেই দীঘিয় উৎসবের মরসুমে শুরু হয়ে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 2018 সালে দিঘার এই জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের কথা ঘোষণা করেছিলেন। দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (DSDA) মন্দির নির্মাণের জন্য 20 একপ্রকার জমি প্রদান করেন।হাউজিং ইনফ্যাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন (HIDCO) কে এই মন্দির নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। 2022সালের অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ তিথিতে রাজ্য মন্ত্রী আখিল গিরি এই মন্দির নির্মাণ কাজের সূচনা করেন।মন্দিরের চূড়া প্রায় ৬৫মিটার (২১৩ফুট )। মন্দিরের মেঝেতে ভিয়েতনামের মার্বেল ব্যবহার করা হয়েছে। মন্দিরের মূল কাঠামোটি রাজস্থানের বোনসি পাহাড়ের বিখ্যাত লাল বেলেপাথর দিয়ে তৈরী।পুরীর মন্দিরের মতোই এখানে সিংহদ্বার, বাঘ্রদ্বার, হস্তিদ্বার, ও অশ্বদ্বার রয়েছে।দিঘার মনোরঞ্জন সমুদ্র সৈকতের কাছে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দির। এই মন্দিরটি দিঘাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।শতাব্দী পাল ঘোষ

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
দেশ

পুরীতে হোটেল বুকিংয়ের নামে ফেক ওয়েবসাইট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রতারণা

সাইবার প্রতারণার শিকার খোদ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। পুরী বেড়াতে যাওয়ার জন্যে অনলাইনে হোটেল বুক করে প্রতারণার শিকার বিচারপতি সোমশুভ্র ঘোষাল। ঘটনার তদন্ত শুরু করে রাজস্থান ও আরামবাগ থেকে মূল অভিযুক্ত সহ দুজনকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২০২২-এর ৮ অক্টোবর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোমশুভ্র ঘোষাল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেন, তিনি তাঁর পরিবার নিয়ে পুরীতে ঘুরতে যাওয়ার জন্যে অনলাইন মাধ্যমে একটি ৫ তারা হোটেল বুকিং করার চেষ্টা করেন। সেই সময় তাঁকে সেই হোটেলের বুকিং প্রসিডিউরের জন্যে একজন ফোন করে। সেখানে তাঁকে হোটেলে বুকিং করার জন্যে টাকা জমা করতে বলা হয় এবং একটি একাউন্ট ডিটেলস দেওয়া হয়। তিনি সেই একাউন্টে ৯২ হাজার টাকা ট্রান্সফার করেন। তবে কিছুদিন পরে ওই হোটেলে খোঁজ নিলে জানতে পারেন তাঁর নামে ওই হোটেলে কোনও বুকিং হয়নি। প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানতে পারে, ওই হোটেলের ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে এই প্রতারণা চক্র চালানো হচ্ছিল। এরপরই টাকা কোন অ্য়াকাউন্টে জমা পড়েছে সেই সূত্র ধরে রাজস্থানের ভরতপুর এলাকায় হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকেই এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত প্রেম চাঁদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতা নিয়ে আসা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরামবাগ থেকে আরও এক প্রতারক স্বর্ণদীপ রায়কে গ্রেফতার করা হয়।

জুন ১০, ২০২৪
উৎসব

উল্টোরথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, ঝলসে প্রাণ গেল ৬ জনের

উল্টোরথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল পড়শি রাজ্য ত্রিপুরার কুমারঘাটে। বিশেষ ডিজাইনে তৈরি সেই রথে অনেকে মানুষ সওয়ার হয়েছিলেন। রথের ভিতরে থাকা অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।। তবে মৃতের সংখ্যা এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।কীভাবে ঘটল এমন ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা? জানা গিয়েছে, রথের একটি লোহার অংশ আচমকা বৈদ্যুতিক তার স্পর্শ করে। অজান্তেই মুহূর্তে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন অনেকেই। সবার সামনে তাঁরা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে থাকেন একে একো। তাঁদের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতে দেখলেও কারও কিছু করার ছিল না সেই সময়। শুধু চোখের সামনে বিয়োগ যন্ত্রণা সহ্য করা ছাড়া।এরই মধ্যে রথে আগুন ধরে যায়। ওই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন লোকজন। জানা গিয়েছে, রথের দড়ি টানছিলেন যাঁরা, তাঁরা প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

জুন ২৮, ২০২৩
রাজ্য

পুরীতে জাল হোটেল বুকিংয়ের অনলাইন ফাঁদ, সতর্ক করল কলকাতা পুলিশ

বাঙালির ভ্রমণের অন্যতম প্রধান ডেস্টিনেশন জগন্নাথধাম পুরী। এই সিজনে পর্যটকদের ভীড় আরও বারবে। সেই পুরীতে অনলাইন হোটেল বুকিং নিয়ে সতর্ক করল কলকাতা পুলিশ। বুধবার কলকাতা পুলিশ ফেসবুক পোস্ট করে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছে। কিভাবে প্রতারণা চক্র সক্রিয় থাকে তা বোঝার জন্য টিপস দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।কি লিখেছে কলকাতা পুলিশ?পুরীতে ছুটি কাটাবেন? ভালো কথা। অনলাইনে খুঁজে পেতে হোটেলের ওয়েবসাইট বের করলেন। বুকিং সংক্রান্ত প্রশ্ন নিয়ে ওয়েবসাইটে দেওয়া হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর অথবা ইমেইল-এ যোগাযোগ করলেন। উত্তরও এলো, ঘর ভাড়া বাবদ ৫০ শতাংশ টাকা অগ্রিম পাঠাতে হবে। আপনি পাঠিয়ে দিলেন। কিন্তু পুরীতে নেমে হোটেলে পৌঁছে দেখলেন, আপনার নামে কোনও বুকিং তো হয়ইনি, ওই ৫০ শতাংশ টাকাও হোটেলের কাছে আসেনি। বস্তুত, আপনার অস্তিত্ব সম্পর্কেই জানে না তারা!পরে আপনি জানতে পারলেন, ওই ওয়েবসাইটটি জাল, এবং কিছু জালিয়াত দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে সেখানে দেওয়া ফোন নম্বর ও ইমেইল আইডি।কলকাতাবাসীর কাছে পুরীভ্রমণের জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে এই পুরীরই কিছু হোটেলের নাম করে এই ধরনের একাধিক জালিয়াতির অভিযোগ জমা পড়েছে লালবাজারের সাইবার থানায়। আমাদের তদন্ত তো চলছে বটেই, তবে এই সুযোগে অনলাইন লেনদেন সম্পর্কিত কিছু প্রাথমিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম: ১। ডোমেইন নেম, অর্থাৎ লিঙ্কটি খুঁটিয়ে দেখুন, হোটেল বা অন্যান্য পরিষেবা প্রদানকারীর নামের সঙ্গে সঙ্গতি আছে কিনা যাচাই করুন২। লিঙ্কে ক্লিক করার পর পেজ খুললে লিঙ্কের পাশে তালা চিহ্ন আছে কিনা দেখুন। এতে পেজটি সুরক্ষিত কিনা তা বোঝা যায়৩। ওয়েবসাইট চেকার এবং নিরাপদে ইন্টারনেটে বিচরণ করার প্রক্রিয়া অর্থাৎ সেফ ব্রাউজিং টুল ব্যবহার করুন৪। ওয়েবসাইটে বানান ভুল, কাঁচা হাতের ডিজাইন, ইত্যাদি দেখলে সাবধান হন৫। ওয়েবসাইটের বয়স অর্থাৎ ডোমেইন এজ যাচাই করতে অনলাইন সার্চ করুন৬। অবিশ্বাস্য ভালো কোনওরকম অফার দেখলে সাবধান হন৭। হোটেল বুকিংয়ের ক্ষেত্রে ওই হোটেলে থেকেছেন এমন গ্রাহকদের রিভিউ খুঁজুন, বা কোনও স্ক্যাম-এর রিপোর্ট আছে কিনা সার্চ করে দেখুন৮। শিপিং বা রিটার্ন পলিসি জাতীয় তথ্য ভালো করে পড়ুন৯। কী কী পেমেন্ট অপশন আছে তা ভালো করে দেখে নিন১০। নানারকম বিশ্বস্ততার পরিচয়, অর্থাৎ ট্রাস্ট সিগনাল, যেমন বিবিধ পুরস্কারের উল্লেখ ইত্যাদির দ্বারা প্রভাবিত হবেন না১১। ওয়েবসাইটে ভাইরাস স্ক্যান করুন

নভেম্বর ৩০, ২০২২
দেশ

করোনা ভ্রুকুটি এড়িয়ে দেশ জুড়ে মহাসমারোহে পালিত রথযাত্রা, পুরী'র জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার কিছু না জানা কথা

দুবছর করোনা বিধিনিষেধ থাকায় জগ্ননাথ দেবের রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হলেও ভক্তশূন্য ছিল পুরী। ২০২০-তে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সমুদ্র শহর পুরীতে কার্ফু জারি করে হয়েছিল। রথযাত্রায় জনসমাগম আটকাতে ওই নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। পুরীর মানুষও সেই দিন রাস্তায় বের হতে পারেননি। যাঁরা বেড়াতে গিয়েছিলেন তাঁদের হোটেল ছেড়ে বেরোতে পারেননি। শুধুমাত্র সেবায়িতরা রথ নিয়ে প্রভু জগন্নাথদেব, বলরাম ও সুভদ্রাকে পৌঁছে দিয়েছেন গুন্ডিচা মন্দিরে। ভক্ত সমাগম যাতে না হতে পারে সেজন্যই এই কার্ফু জারি করা হয়েছিলো প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এবারে সেইরকম কোনও নিধিনিষেধ নেই। সেই কারনেই বাঁধভাঙ্গা ভক্তসমাগম দেবশহর পুরীতে।পুরাণ-এ কথিত আছে একদা সুভদ্রা তাঁর ভাই কৃষ্ণ ও বলরামের কাছে নগর ঘুরিয়া দেখার জন্য জোড়াজুড়ি করেন। বোনের অনুরোধে সুভদ্রার দুই ভাই ও বোনকে সাথে নিয়ে রথে করে নগর পরিভ্রমণের জন্য বের হন। তাঁদের ভ্রমণকালে রথ থেকে নেমে গুন্ডিচায় মাসির বাড়ি যান। সেখানে সাত দিন থাকেন তাঁরা। সাত দিনের নগর যাত্রা পূর্ণ করে বোন সুভদ্রাকে নিয়ে পুরী ফিরে আসেন জগন্নাথ ও বলরাম। বিভিন্ন মতবাদের সাথেসাথে জনশ্রুতি অনুযায়ী এই ঘটনার পর থেকেই পুরী তে রথযাত্রার আয়োজন করা হয়ে আসছে। জাতি ধর্মের উর্ধে উঠে পুরীর রথযাত্রা বিশ্ববন্দিত। পুরীর সাথেসাথে দেশের বিভিন্ন জায়গায় রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। কলকাতায় ইস্কন মন্দির, মাহেশ, মহিষাদল, হুগলির গুপ্তিপাড়া ছাড়াও বহু জায়গায় সাড়ম্বরে রথযাত্রার আয়োজন করা হয়।জগন্নাথ দেবের রথ এই জায়গায় এসে স্বাভাবিক ভাবে থমকে যায়জগন্নাথদেবের নগর যাত্রার সময় মন্দির থেকে কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পর এক জায়গায় দাঁড়িয়ে যায়। শত চেষ্টাতেও সেখান থেকে নাড়ানো যায়না তাঁর রথকে। কথিত আছে ইসলাম ধর্মবলম্বী এক জগন্নাথ ভক্তের সমাধির সামনে এসে দেবতার কিছুক্ষণের জন্য স্তব্দ হয়ে যায়। প্রচলিত লোককথা অনুযায়ী দেবতার সেই ভক্তের নাম সালবেগ। কোনও এক সময় তিনি জগন্নাথ দেবতার দর্শনের জন্য মন্দির পৌঁছতে পারেননি তিনি। সালবেগ মৃত্যুর পর ধার্মিক প্রথা অনুযায়ী তাঁকে সমাধিস্ত করা হয়। তাঁর এই সমাধির সামনে এসে জগন্নাথের রথ কোনও এক অদৃশ্য বলে নিজে থেকেই দাঁড়িয়ে পড়ে। প্রবল বলপ্রয়োগ করেও কিছুক্ষণের জন্য রথের চাকা এক ইঞ্চি ঘোরানো যায় না। রথে উপস্থিত সকলে মিলে সালবেগের আত্মার উদ্দেশে শান্তি কামনা করলে রথ আসতে আসতে আবার এগোতে শুরু করে। সেই ঘটনা পরম্পরায়, তার পর থেকেই প্রত্যেক বছর সালবেগের সমাধিতে রথ থামানো শুরু হয়।প্রত্যেক দেবতার রথের নাম ও বৈশিষ্ঠমন্দিরে তিন দেবতা একসাথে বিরাজমান হলেও, জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা তিনটি পৃথক রথে করে নগর পরিভ্রমণে বের হন। তাঁদের প্রত্যকের রথের নাম ও আকৃতি ভিন্ন। জগন্নাথের রথের নাম নন্দীঘোষ, এটি বাকি দুটি রথের থেকে উঁচু হয়। এর উচ্চতা প্রায় ৪৫.৬ ফুট। পূর্বে অষ্টাদশ সিদ্ধির পরিচয়জ্ঞাপক ১৮টি চাকা থাকলেও এখন এই রথে ১৬টি চাকা থাকে। নন্দীঘোষ রথের মাথায় যে কাপড়ের ধ্বজা থাকে তার নাম ত্রৈলোক্যমোহিনী ও তার রশির নাম শঙ্খচূড় নাগিনী। রথের দ্বারপাল হলেন ব্রহ্মা ও ইন্দ্র। নন্দীঘোষ রথে উপস্থিত নয়জন পার্শ্ব দেব উপস্থিত থাকেন তাঁরা হলেন, নারায়ণ, বরাহ, গোবর্ধন, নৃসিংহ, কৃষ্ণ/গোপীকৃষ্ণ, রাম, ত্রিবিক্রম, হনুমান ও রুদ্র। এবং এই দেবতাদের সাথে থাকেন ধ্যানমগ্ন ঋষিবণ ব্যাসদেব, নারদ, দেবল, পরাশর, শূক, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র ও মরীচি। রথের উপরিভাগ লাল ও হলুদ কাপড়ে মোড়া থাকে। এই রথের কালো রঙের চারটি ঘোড়ার নাম যথাক্রমে শঙ্খ, বলহাকা, শ্বেতা, হরিদশ্ব। রথের সারথি হলেন মাতলি ও রক্ষক গরুড়। তাঁর রথের কলসের নাম হিরন্ময়। নন্দীঘোষ নির্মাণে ছোট বড় মিলিয়ে সর্বমোট ৮৩২টি কাঠের টুকরো লাগে।ভাই বলরামের রথের নাম তালধ্বজ। যার উচ্চতা প্রায় ৪৫ ফুট। এই রথে জগ্ননাথ দেবের রথের থেকে ২টি চাকা কম থাকে, তালধ্বজ রথে চাকার সংখ্যা ১৪টি। রথের ধ্বজার নাম উন্মনী এবং রশির নাম বাসুকী নাগ। তালধ্বজ রথে নয় জন পার্শ্বদেবতা থাকেন, তাঁরা হলেন গণেশ, কার্তিক, সর্বমঙ্গলা, প্রলম্ব, হলায়ুধ, মৃত্যুঞ্জয়, নাটেশ্বর, মহেশ্বর ও শেষদেব। রথের দ্বারপাল হলেন রুদ্র ও সাত্যকি। রথের সারথি মাতলি এবং রক্ষক বাসুদেব। এই রথের শ্বেতবর্ণের চারটি ঘোড়ার নাম তীব্র, ঘোড়া, দীর্ঘশর্মা, ও স্বর্নাভ। সুদর্শন চক্রের পাশে দুটি পাখির (কাকাতুয়া) নাম যথা স্বধা এবং বিশ্বাস। রথটি সবুজ ও লাল কাপড়ে মোড়া থাকে। ৭৬৩টি ছোট বড় কাঠের টুকরো দিয়ে নির্মিত এই তালধ্বজ। বোন সুভদ্রার রথের নাম দর্পদলন, প্রায় ৪৪.৬ ফুটের উচ্চতা এই রথটির। মোট চাকার সংখ্যা ১২, যা বলরামের রথের থেকে ২টি কম। রথের ধ্বজার নাম নাদম্বিক এবং রশির নাম স্বর্ণচূড় নাগ। ধ্বজার পাশে যে দুটি পাখি থাকে তাঁদের নাম শ্রুতি ও স্মৃতি। রথটি কালো ও লাল কাপড়ে মোড়া থাকে। দেবী সুভদ্রার রথযাত্রায় নজন পার্শ্বদেবী হলেন যথাক্রমে চন্ডী, চামুণ্ডা, মঙ্গলা, উগ্রতারা, বনদুর্গা, শূলিদুর্গা, শ্যামাকালী, বিমলা ও বরাহি। দ্বারপালিকা ভূদেবী ও শ্রীদেবী। সারথি অর্জুন এবং রক্ষক জয়দুর্গা। লাল রঙের চারটি ঘোড়ার নাম রচিকা, মোচিকা জিতা ও অপরাজিত। রথটি তৈরিতে মোট ৫৯৩টি টুকরো কাঠ লাগে।রথ নির্মান পক্রিয়া রথ নির্মাণের প্রতিটা ধাপের জন্য দিন নির্দিষ্ট করা থাকে।সেই নিয়মনীতির অন্যথায় করা যাবে না কোনও ভাবেই। ঠিক করা আছে নির্দিষ্ট সূত্রধর, চিত্রকর, শিল্পী ও কারিগর। অজ্ঞাত কোনও এক কালে মহারাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন প্রত্যেক বছর তিনটি রথকে নতুন ভাবে নিয়ম রীতি মেনে নির্মাণ ও সমস্ত প্রথা এবং উৎসবের যে প্রবর্তন করেছিলেন, আজও পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে সেই ভাবেই সমস্ত বিষয়গুলি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।প্রত্যেক বছর রথ নির্মাণের জন্য কাঠ সংগ্রহ শুরু হয় মাঘমাসের বসন্ত পঞ্চমী থেকে তিথি থেকে। সেই কাঠ আনা হয় দশপল্লা জেলার রণপুর জঙ্গল থেকে। প্রথমে রথের জন্য কাঠ দিতেন রণপুরের মহারাজা। পরবর্তীকালে তাঁর আত্মীয় সুত্রে সেই কাঠের স্বত্ব নিয়ে কাঠের জোগান দিতেন দশপল্লার রাজা। এখন গড়জাত-রাজ্য ওড়িশার অন্তর্গত হওয়ায় রথের কাঠ সরবরাহ করে থাকে ওড়িশা সরকার। তিনটি রথেরই নির্মানকার্য শুরু হয় প্রতিবছর বৈশাখমাসের শুক্লা তৃতীয়া অর্থাৎ অক্ষয়তৃতীয়ার পুণ্য তিথিতে এবং শেষ হয় নেত্রোৎসব তথা জগন্নাথ বিগ্রহের চক্ষুদান বা চক্ষু অঙ্কনের দিন।#BadaDanda is filled with sea of devotees for the spiritual journey of the Holy Trinity. #ଜୟଜଗନ୍ନାଥ#JaiJagannatha 🙏🏻 #ରଥଯାତ୍ରା୨୦୨୨ #RathaJatra2022 pic.twitter.com/gGDw2c7tJ9 Naveen Patnaik (@Naveen_Odisha) July 1, 2022জগন্নাথ মন্দিরের সামনে পূর্বদিকে আছে অরুণ স্তম্ভ। এখান থেকে গুণ্ডিচা মন্দির পর্যন্ত বিস্তৃত রাজপথের নাম বড়দাণ্ড। এই রাস্তার পাশেই নির্মাণ করা হয় তিনটি রথ তিনটি। প্রত্যেক রথে নির্মান করার জন্য নির্দিষ্ট করা আছে সূত্রধর, চিত্রকর অন্যান্য আরও শিল্পী ও কারিগর। যেহেতু এই কাজ ছাড়া অন্য কোনও কাজ করতে পারেন না সেই কারনে এদের প্রত্যেকের আয়ের জন্য জন্য দেয়া আছে যথেষ্ট পরিমাণে দেবত্ত্ব সম্পত্তি। তারা তাঁদের নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিক সময়ে পালন করে থাকেন যথা সময়ে।

জুলাই ০১, ২০২২
দেশ

ফের খুলতে চলেছে জগন্নাথ মন্দিরের দরজা, খুশি পুন্যার্থী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা

করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্ধ হয়েছিল পুরীর জগন্নাথ মন্দির। ফের খুলতে চলেছে হিন্দুদের এই তীর্থ ক্ষেত্র। আগামি ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ভক্তদের জন্য ফের খুলে দেওয়া হবে মহাপ্রভূর মন্দির। কেবল কোভিডটিকার দুটি ডোজ নেওয়া আছে শুধু তাঁরাই মন্দিরে করোনা বিধি মেনে প্রবেশ করতে পারবেন। শুক্রবারই মন্দির খোলার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে খুশি পুন্যার্থীীা। পুরীর কালেক্টর সমর্থ ভার্মা মন্দির খোলার কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, প্রতি রবিবার জীবণুমুক্তকরণের জন্য জগন্নাথদেবের মন্দির বন্ধ থাকবে। রবিবার ছাড়া সপ্তাহের অন্যান্য দিন মন্দির খোলা থাকবে। কোভিড পরিস্থিতিতে এর আগেও মন্দির বন্ধ রাখতে হয়েছে। এবারও করোনা বিধি মেনে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে।জানা গিয়েছে, শহরের বাইরে ভক্ত অর্থাৎ বহিরাগত পুন্যার্থীরা মন্দিরের পূর্বদিকের দরজা দিয়ে প্রবেশ করবেন। স্থানীয়রা জগন্নাথ মন্দিরে ঢুকবেন পশ্চিমদিকের দরজা দিয়ে। পুরী প্রশাসনের কারফিউ বিধি মেনে ও করোনার পরিস্থিতি বিবেচনা করে মন্দির ভক্তদের জন্য খোলা-বন্ধ হবে। এই মন্দির খোলার খবরে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে। পর্যটকের দেখা না মেলায় পুরী শহরের অর্থনৈতিক অবস্থার হাল বেশ খারাপ।

জানুয়ারি ২৯, ২০২২
দেশ

Puri: খুলছে পুরীর মন্দির, কী কী নিয়ম মানতে হবে জানুন

ভক্তদের দর্শন দেবেন প্রভু জগন্নাথ। আগামী ১৬ অগস্ট থেকে খুলছে পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির। প্রথমে ১৬ অগস্ট থেকে শুধুমাত্র স্থানীয়দের জন্য খোলা হচ্ছে মন্দির। সবার জন্য খোলা হবে ২৩ অগস্ট থেকে। বুধবার শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। তবে মন্দিরে ঢুকতে গেলে মানতে হবে অনেক নিয়ম। তৈরি করা হয়েছে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোটোকল বা এসওপি।আরও পড়ুনঃ বুমরা, সামির ঝড়ে বেসামাল ইংল্যান্ড, গুটিয়ে গেল ১৮৩ রানেমন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, পুণ্যার্থীদের হয় টিকাকরণের সংশাপত্র, নয়তো কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে। প্রতি সপ্তাহে শনি ও রবিবার বন্ধ থাকবে মন্দির। কারণ ওই দুদিন পুরীতে লকডাউন থাকে। শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান কৃষ্ণ কুমার বলেন, আমরা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোটোকল তৈরি করেছি। সেই নিয়ম মানতে হবে। মন্দিরের বাইরে কিয়স্ক তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ভক্তদের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট বা টিকাকরণের সংশাপত্র দেখাতে হবে। শনি ও রবিবার ছাড়াও বিশেষ বিশেষ দিনে ভিড় এড়াতে মন্দির বন্ধ থাকবে। মন্দির দর্শনের সময়ও নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভগবান দর্শন করা যাবে। ভক্তদের মন্দিরের ভিতরে ভোগ প্রদান করতে বা প্রদীপ জ্বালাতে নিষেধ করা হয়েছে। মন্দিরের মধ্যে কোনও বিগ্রহ স্পর্শ করতেও নিষেধ করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পরে গত ২৪ এপ্রিল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল জগন্নাথ মন্দির। রথযাত্রা উপলক্ষেও ভক্তদের উপস্থিত থাকার অনুমতি ছিল না।

আগস্ট ০৫, ২০২১
সম্পাদকীয়

Rathayatra: 'পথ ভাবে আমি দেব রথ ভাবে আমি'....

পথ ভাবে আমি দেব রথ ভাবে আমি,মূর্তি ভাবে আমি দেব-হাসে অন্তর্যামী।রথের চাকা গড়িয়ে চলে, জীবনের সঙ্গে ঘড়ির কাঁটার মত। কিন্তু কে সত্য? জগৎ না ব্রহ্ম? সেটা নিয়ে আজও বড় সন্দিহান এই ঘোর কলির আমরা। অর্থাৎ এই অখন্ড মন্ডলাকার জগৎ সংসারের উৎকৃষ্ট জীব মানুষ।জগতের নাথ কিন্তু ব্রহ্ম হতে কিট পরমানু সর্বভূতে প্রেমময় হয়ে বিরাজমান। তাঁর কিন্তু জাত-পাত, বর্ণ, ধর্ম নিয়ে কোনও বিভেদ নেই। যত চিন্তা মানুষের। আমাদের ভাবা উচিত আজ এই মহামারী, অসহিষ্ণুতা, অবিমৃষ্যকারিতা, অদূরদর্শিতা মনুষ্য সমাজকে অবক্ষয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে, তার কারণ আমরা সবাই সেই দক্ষ বাজিগরের হাতের পুতুলের খেলায় এই মোহময় মায়ার চক্রে শুধু নেচে চলেছি ধ্বংসের দিকে। তাকিয়ে দেখছি, শুনছি, বুঝছি কিন্তু নেশাগ্রস্তের মতো মত্ত অসহায়। সবাই তো মত্ত, হাত কে ধরবে? হাতটা নিঃসংকোচে নির্দ্বিধায় নিঃষ্কাম ভাবে ধরার কেউ নেই। সবাই তো আমরা মোহময় বাসনা, কামনা আর ক্রোধের দ্বারা বশীভূত। সকলই তোমার ইচ্ছা... বলে কুকাজ, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, অপদার্থতা আর নিজের আত্ম অহং-এ লিপ্ত। আজ বড় প্রয়োজন আত্মসমীক্ষার, অহংবোধের ইতি টানার আর আমিত্বের বিসর্জন দেওয়ার। কবে সম্ভব হবে সেটা জানা নেই, আদৌ আমরা পারবো কি?তাই এই রথযাত্রা প্রাক্কালে জগতের নাথের কাছে এটাই পার্থনা ত্রাহিমম আমাদের সমস্ত অপরাধ, অবিবেচকের মত কাজ আর নানা অসভ্যতাকে তুমি নিজগুণে ক্ষমা করে দিও কারণ আমরা তো রিপু জয়ী মৃত্যুঞ্জয়ী নই, শুধু জ্ঞানপাপী। ওম নমহঃ ভগবতে বাসুদেবায় নমহঃ ওম হরিনারায়ণ প্রভু জগন্নাথ দেবায় নমহঃজয় জগ্ননাথ।। জয় জগ্ননাথ।। জয় জগ্ননাথ।।

জুলাই ১১, ২০২১
নিবন্ধ

Jagannath: রথের রশি টানতে না পারার অক্ষমতায় বেদনাতুর শিক্ষক জগন্নাথ, এ এক মর্মস্পর্শী সংগ্রামের কাহিনী

জন্মের সময় থেকেই দুটি হাত নেই। সেই কারণে সাধ থাকলেও প্রভু জগন্নাথ দেবের রথের রশি টানতে পারেন না প্রতিবন্ধী জগন্নাথ বাউরী। পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের এই জগন্নাথ রথের দিন প্রভু জগন্নাথদেব স্মরণে ব্রতী হন ঠিকই । তবে দুই হাত না থাকার কারণে রথের রশি টানতে না পারাটা রথের দিনে তাঁকে বড়ই বেদনাতুর করে তোলে।আরও পড়ুনঃ মাতৃ দিবস ও রবীন্দ্রনাথআউসগ্রাম ১ ব্লকের বেরেন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলুটি গ্রামে বাড়ি বছর আটত্রিশের জগন্নাথ বাউরীর। তিনি বাড়ির বড় ছেলে। তাঁর ছোট ভাইয়ের নাম বলরাম। জগন্নাথ বাবু জানান, জন্মের সময় থেকেই তাঁর দুটি হাত নেই। তখন থেকেই তাঁদের গ্রামের লোকজন প্রভু জগন্নাথ দেবের সঙ্গে তাঁর তুলনা করতে শুরু করে। এমনকি তাঁর বাবা লক্ষণচন্দ্র বাউরী ও মা সুমিত্রা বাউরীও মনে করতেন প্রভু জগন্নাথ দেবের আশীর্বাদে একদিন তিনি নিজের পায়ে দাঁড়াবেন। তাঁকে স্কুলে ভর্তি করার জন্য শৈশবে তাঁর বাবা নিয়ে যান বেলুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভূতনাথ পাল মহাশয় তাঁর বাবাকে বলেন, প্রভু জগন্নাথ দেবকে স্মরণ করে তোমার ছেলের নাম রাখ জগন্নাথ। তাঁর বাবা প্রধান শিক্ষক মহাশয়ের সেই কথা মেনে নেন। এরপর থেকে জগন্নাথ বাউরী নামেই তাঁর পরিচিতি হয়। ওই নামেই প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু হয় তাঁর লেখাপড়া জীবন।আরও পড়ুনঃ উইম্বলডনের নতুন রানি অ্যাশলে বার্টি, তৈরি করলেন অন্য নজিরযুগ বদলের সঙ্গে তাল মিলিয়েই বদলেছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ধরন ধারন। কিন্তু বিশ্বাস ও ভক্তি ভাবে কোনও বদল আসেনি বাউরী পরিবারে । দিন আনা দিন খাওয়া বাউরী পরিবারের সকলে আজও সব কাজে তাই প্রভু জগন্নাথ দেবের প্রতি ভরসা রেখেই চলেন। একসময়ে জগন্নাথবাবুর বাবা ও মা ক্ষেতমজুরির কাজ করে বহু কষ্টে সংসার চালাতেন। জগন্নাথ বাবু জানান, তাঁর পা ধরে পায়ে পেন্সিল গুঁজে দিয়ে তাঁকে বাংলা ও ইংরেজি অক্ষর লেখা শিখিয়েছিলেন বেলুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভূতনাথ পাল। পায়ে করে লেখা শিখতে পারার পরেই তাঁর লেখাপড়া শেখার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়। এরপর থেকে শত কষ্টের মধ্যেও তিনি লেখাপড়া চালিয়ে যান। সাফল্যের সঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি বেসিক ট্রেনিং কোর্সে ভর্তি হন। ট্রেনিং সম্পূর্ণ হওয়ার পর তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরি পান।বিগত প্রায় ১২ বছেররও বেশী সময়কাল ধরে তিনি আউসগ্রামের জয়কৃষ্ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। জগন্নাথ বাবু বলেন ,পায়ের আঙুলে চক পেনসিল গুঁজে নিয়ে তিনি পায়ে করেই বোর্ডে লিখে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের পড়া বোঝান । তা নিয়ে কোনও অবিভাবক বা পড়ুয়া কেউ কোনদিন আপত্তি তোলেনি। বরং তাঁরা তাঁর পড়ানোটাকেই মান্যতা দিয়েছেন।বিদ্যালয়ের সহকর্মী ছাত্র-ছাত্রীরাও সকলে তাদের প্রিয় জগন্নাথ স্যারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।আরও পড়ুনঃ আন্তর্জাতিক টেনিসে ঐতিহাসিক সাফল্য বাঙালি তরুণেরশিক্ষক জগন্নাথ বাউরী তাঁর সংসার জীবনের দায়দায়িত্বও যথাযথ ভাবে পালন করেন। স্ত্রী লক্ষী বাবা-মা-ভাই-বোন সকলকে নিয়ে এখন জগন্নাথ বাবুর ভরা সংসার। এই বাউরী পরিবার রথযাত্রা উৎসবের দিনটি ভক্তি সহকারে পালন করেন। জগন্নাথ বাউরী আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, প্রভু জগন্নাথ দেবের দুটি হাত নেই। একইভাবে জন্মের পর থেকে তাঁরও দুটি হাত নেই। তিনি দেবতা জগন্নাথ দেব হতে না পারলেও তাঁর শারীরিক গঠন জগন্নাথ দেবের মতই। তাই জ্ঞান হবার পর থেকে প্রভু জগন্নাথ দেবকে তিনি তাঁর আরাধ্য দেবতা বলে মেনে আসছেন। সেই কারণেই প্রতিবছর তিনি রথযাত্রা উৎসবের দিনে প্রভু জগন্নাথ দেবের প্রার্থনা করেন। জগন্নাথবাবুর আক্ষেপ, দুটি হাত নেই বলে আমি রথের রশি টানতে পারি না। এই বিষয়টি আমাকে বড়ই ব্যথিত করে। সাধ থাকলেও রথের রশি টানার বাসনা হয়তো এই জীবনে আর পূরণ হবেে না।

জুলাই ১২, ২০২১
দেশ

Lord Jagannath: ভক্তদের অনুপস্থিতিতে শুরু জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা

গতবছর করোনার (Corona Pandemic) প্রথম ঢেউয়ের কারণে ইতিহাসে প্রথমবার ভক্তদের ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছিল পুরীর (Puri) জগন্নাথ দেবের (Lord Jagannath) স্নানযাত্রা। বছর ঘুরতেও ছবিটা বদলাল না। দেশজুড়ে টিকাকরণ শুরু হলেও আছড়ে পড়েছে মারণ ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। আর তাই রথযাত্রার আগে রীতি মেনে এবারেও জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার আয়োজন করা হলেও, তাতে থাকছেন না কোনও ভক্ত। এমনকী, রাজ পরিবারের ঘনিষ্ঠ কর্মচারী কোভিডে আক্রান্ত হওয়ায় থাকবেন না পুরীর গজপতি রাজা দিব্যসিংহ দেবও। যদিও প্রস্তুতিতে কোনও খামতি নেই। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রীতি মেনে সমস্ত কিছুর আয়োজন শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, স্নানযাত্রায় অনূর্ধ্ব ৫০০ জন সেবায়েত কোভিড-পরীক্ষা করিয়ে আচার সম্পন্ন করার অনুমতি পেয়েছেন।আরও পড়ুনঃ রাজ্যে দ্রুত উপনির্বাচনের আর্জি মুখ্যমন্ত্রীরকথিত আছে, জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে স্বয়ম্ভু মনুর যজ্ঞের প্রভাবে আবির্ভূত হয়েছিলেন প্রভু জগন্নাথ। তারপর এই পূণ্যতিথিটিকে জগন্নাথদেবের জন্মদিন হিসেবে পালন করার নির্দেশ দেন মনু। সেই জন্মদিন উপলক্ষে পৌরাণিক কাল থেকে এই বিশেষ স্নান উৎসব পালিত হয়ে আসছে আজও। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম পূর্ণিমাতেই জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার আয়োজন করা হয়। এদিন গর্ভগৃহ থেকে মূর্তি তুলে এনে স্নান মণ্ডপে স্থাপন করা হয়। সেখানেই সুগন্ধি জল দিয়ে স্নান করানো হয় জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে। স্নানের পাশাপাশি চলে মূর্তির সাজসজ্জা-অলঙ্করণ ইত্যাদি। ১০৮ ঘড়া জলে স্নানের পরেই জ্বরে কাবু হয়ে পড়েন জগন্নাথদেব। তাই এইসময় গৃহবন্দি অবস্থায় থাকেন। রথ পর্যন্ত বিশ্রাম নেন। তাই ভক্তরা জগন্নাথ দেবের দর্শন পান না। এই কয়েকদিন পুজোও হয় না তাঁর। রীতিমত কম্বল চাপা দিয়ে পড়ে থাকেন জগতের নাথ। তবে রথযাত্রার দিন রাজবেশে রথে করে তিনি যাবেন মাসির বাড়িতে। এ বার তা সম্পন্ন হবে ১২ জুলাই।তবে তার আগে এই স্নান যাত্রার আয়োজনে কোথাও কোনও খামতি রাখেনি মন্দির প্রশাসন। ইতিমধ্যে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। মন্দির চত্বরে যেমন কোনও ভক্ত প্রবেশ করতে পারবেন না, তেমনই জগন্নাথ দেবের স্নান দেখতেও কেউ উপস্থিত থাকতে পারবেন না। যদিও, জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা গোটা বিশ্বে লাইভ স্ট্রিম করা হবে বলে জানিয়েছে পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, রাজা দিব্যসিংহ দেবের অনুপস্থিতিতে তাঁরই এক প্রতিনিধি হিসেবে নির্দিষ্ট রীতি পালন করে সোনার ঝাড়ু দিয়ে স্নানবেদী পরিষ্কার করবেন বলেই খবর। কারণ কোভিডবিধি মেনে আপাতত নিভৃতাবাসে রয়েছেন রাজা দিব্যসিংহ দেব। এদিকে, ১৪৭৫টি আইসক্রিমের কাঠি দিয়ে জগন্নাথ দেবের মূর্তি বানিয়ে তাক লাগালেন ওডিশার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ নায়েক। তাঁর কীর্তি দেখে অবাক নেটিজেনরাও।

জুন ২৪, ২০২১
রাজনীতি

বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নিশীথ-জগন্নাথ

যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে রাজ্য বিধানসভায় বিধায়ক পদে ইস্তফা দিলেন বিজেপির দুই সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও নিশীথ প্রামাণিক। বুধবার দুপুরে একসঙ্গে বিধানসভায় গিয়ে ইস্তফা দিয়ে আসেন বিজেপির দুই সাংসদ তথা বিধায়ক। দলের নির্দেশেই বিধায়ক পদ ছেড়ে সাংসদ পদে বহাল থাকার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।নিয়ম অনুযায়ী এক ব্যক্তি একই সঙ্গে সাংসদ এবং বিধায়ক পদে থাকলে ৬ মাসের মধ্যে কোনও একটি পদ তাঁকে ছাড়তে হয়। সেই নিয়ম মেনেই বিধায়ক পদ ছাড়লেন তাঁরা। যদিও এই সিদ্ধান্তের জন্য বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে গেরুয়া শিবিরের দুই সাংসদকে। বিরোধীরা বলছেন, এভাবে ইস্তফা দিয়ে মানুষের বিশ্বাস ভেঙেছেন দুই বিজেপি সাংসদ। দুই বিধায়কের ইস্তফার অর্থ, ওই দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ভোটের এই ব্যাপক খরচ কে দেবে? প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও বিধানসভা ভোটে দাঁড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এ বিষয়ে অবশ্য এদিন সাফাই দিয়ে বিজেপির দুই নেতা বলছেন, এটা পুরোপুরি দলের সিদ্ধান্ত। আগের বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ক ছিল মাত্র ৩ জন। পরিষদীয় রাজনীতিতে সেভাবে কারও অভিজ্ঞতা ছিল না। সাংসদদের অনেকের সেই অভিজ্ঞতা থাকায় দল তাঁদের প্রার্থী করেছিল। বিজেপির দুই নেতা স্বীকার করে নিয়েছেন, দলের ফলাফল আশানুরূপ হয়নি। তাই দলের সিদ্ধান্ত মেনেই ইস্তফা দিয়েছেন তাঁরা। তবে, বিজেপির দুই সাংসদের দাবি, উপনির্বাচনে আরও বড় ব্যবধানে জিতবে গেরুয়া শিবির। ভোটের পর তৃণমূল যেভাবে বেলাগাম হিংসা চালাচ্ছে, মানুষ তারই জবাব দেবে।

মে ১২, ২০২১
রাজনীতি

চার্জশিটে নাম তৃণমূলের ষড়যন্ত্রেই, দাবি বিজেপি সাংসদের

লোকসভা নির্বাচনে জেতার পর থেকে উন্নয়নমুখী কর্মধারাকে স্তব্ধ করে দিতেই আমার বিরুদ্ধে একের পর এক জঘন্য ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে তৃণমূল। তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের সিআইডি চার্জশিটে নাম থাকার প্রসঙ্গে এমন দাবি করলেন নদিয়ার রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর তিনি বলেন, আমি এতে ভীত নই, আজীবন আমি মানুষের পাশে থেকে মানুষের জন্য কাজ করে যাব, এটাই আমার শপথ। এদিন বগুলাতে বিজেপি নদীয়া জেলা দক্ষিণ, ৩৮ নং জেড. পি-র উদ্যোগে রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ। তৃণমূল থেকে অনেকেই এদিন সাংসদের হাত থেকে বিজেপির পতাকা নেন। বগুলা বেনফিস মার্কেটে আয়োজিত এই সভায় অন্য বক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক আশিসকুমার বিশ্বাস-সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ। জগন্নাথবাবু আরও বলেন, সীমাহীন দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে আজ তৃণমূল দলটি। আর রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে এদের দলদাসে পরিণত হয়েছে বলেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। মানুষ সুবিচার পাচ্ছেন না। সম্প্রতি কৃষ্ণগজ্ঞ বিধায়ক সভা কেন্দ্রের প্রয়াত বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের মামলায় আদালতে পুলিসের চার্জশিট দাখিল সংক্রান্ত বিষয়ে মন্তব্য প্রসঙ্গে কথা গুলি বলেন, সাংসদ জগন্নাথ সরকার। সেবা সপ্তাহ উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে আয়োজিত রক্তদান শিবিরে রক্তদাতা ছিলেন ৮৬ জন। এদিন মুড়াগাছা কলোনির দাপুটে সিপিআইএম নেতা অমরেশ ঢালির নেতৃত্বে এলাকার ১৬টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করে। মামজোয়ান গ্ৰামের ৩০টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেয়। সবমিলিয়ে এলাকার তৃণমূল, সিপিআইএম এবং কংগ্রেস দল ছেড়ে প্রায় চার শতাধিক কর্মী-সমর্থক এদিন বিজেপি শিবিরে যোগদান করেন বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা ডা. দুলালচন্দ্র বিশ্বাস।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

চন্দননগরে একই পরিবারের ৩ সদস্যের রহস্যমৃত্যু, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

চন্দননগর, ৩০ মে: হুগলির চন্দননগরে বৃহস্পতিবার সকালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো স্থানীয় বাসিন্দারা। একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের কর্তা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের কিশোর পুত্র। সূত্রের খবর, এদিন সকালে চন্দননগরের শ্রীপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সকালবেলা দরজা না খোলায় সন্দেহ জাগে প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।সূত্রের খবর, বুধবার ভোর ২টার দিকে চন্দননগর থানা কোলুপুকুর গড়েরধর এলাকায় তিন পরিবারের সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা প্রতিমা ঘোষ (৪৬) এবং তার মেয়ে পৌষালী ঘোষ (১৩) এর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিমার স্বামী বাবলু ঘোষ (৬২) কে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে যে বাবলু একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করত। তবে, কিছু সময়ের জন্য, সে টোটো (তিন চাকার গাড়ি) চালানো শুরু করে এবং অবশেষে তার বাড়িতেই একটি ছোট দোকান শুরু করে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি হয় আত্মহত্যা, নয়তো পরিকল্পিত খুন। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। বাড়ির ভিতরে কোনোরকম লুটপাটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীদের অনেকেই জানিয়েছেন, পরিবারটি সদ্য আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল এবং কিছুদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার ফরেনসিক তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ পরিবারের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।চন্দননগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছিআত্মহত্যা, পারিবারিক কলহ, অথবা বাইরের কোনো দুষ্কৃতীর হাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

আইসিকে কদর্য ভাষা অনুব্রতর, FIR, শেষমেশ ক্ষমা প্রার্থনা

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। সেই অডিওর শোনা যাচ্ছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য অনুব্রত মণ্ডল বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। দুদিন আগে এই অডিও ক্লিপটি যে কোনও কারণেই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরেই জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার বোলপুর রানা মুখোপাধ্যায় বৈঠক ডেকে আইসি লিটন হালদারকেও ডেকে পাঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর এসডিপিও রিকি আগরওয়াল সহ চার পুলিশ কর্তা। উল্লেখ্য, গতকালই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাগরিক কমিটির ডাকে বোলপুর থানায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। অভিযোগ, আইসি লিটন হালদার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তোলাবাজি অর্থ দাবি করেন। অনুব্রত মণ্ডলকেও, এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে কোন বক্তব্য জনসমক্ষে আসেনি। অনুব্রতর কদর্য বক্তব্য সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই তীব্র নিন্দা হয় বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি বিজেপির রাজ্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব শাসকদলকে আক্রমণ করার হাতিয়ার পেয়ে যায়। একইসঙ্গে তৃণমূল দল থেকে নিজস্ব হ্যান্ডেলে অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনার নিন্দা করা হয়। বলা হয় যে, অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তার সঙ্গে আমাদের দল সম্পূর্ণ দ্বিমত প্রকাশ করছে। এবং এই মন্তব্যকে ও সমর্থন করছে না। পাশাপাশি, দল তাকে নির্দেশ দেয় যে আগামী চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে দল শোকজ নোটিশ জারি করবে। ইতিমধ্যে, পুলিশের তরফে একটি মুখবন্ধ খামে চিঠি এসে পৌঁছায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। অন্যদিকে, বোলপুর থানায় বিএনএস এর ৭৫, ১৩২, ২২৪ ও ৩৫১ ধারায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। পাশাপাশি, অডিও ক্লিপটি কিভাবে ভাইরাল হল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানান, বীরভূমের পুলিশ সুপার আমানদীপ সিং। অবমাননাকর মন্তব্যের তদন্ত শুক্রবার বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডল একটি ভিডিও বার্তায় সকলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, যে নানুরের শিঙ্গিতে তার এক দলীয় কর্মীর পা ভেঙে গুড়ো করে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে তিনি আইসিকে দেখার অনুরোধ করেন। অনুব্রত বলেন, যে নুরুল নামে সেই দলীয় কর্মী গুরুতর অবস্থায় আহত হন। তারপর সেখান থেকে তাকে ফোন করা হয়। রাত্রি দশটায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ফোনে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর, তিনি আইসিকে বলেন যে, ওই আহত ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করুন। একইভাবে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও আইসিকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইসি তাকে একটি খারাপ কথা বলেন। যেটা তিনি আর বলতে চাইছেন না। তার পক্ষে (অনুব্রতর) এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত হয়নি। তিনি ক্ষমা চাইছেন।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদী, শিক্ষা থেকে হিংসা উঠে এল ভাষণে

২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলিপুরদুয়ারের জনসভায় কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ, মালদার হিংসার কথা, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ বলেও উল্লেখ করেছেন মোদী।বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদায় যা হল তা এখানকার সরকারের নির্মমতা। দাঙ্গায় গরিব মা-বোনেদের জীবনভরের পুঁজি লুঠ হয়ে গেল। তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে, গুন্ডাদের খোলামেলা ছুট দিয়ে রেখেছে সরকার। সরকারে থাকা লোকজন, পার্টির লোকজন মানুষের ঘর চিহ্নিত করে জ্বালাচ্ছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। এখানে কী পরিস্থিতি চলছে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। সরকার এভাবে চালাতে হয়? গরিব মানুষের উপর অত্যাচার হলেও সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। সব কিছুতেই এখানে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বাংলার মানুষেরও আর তৃণমূলের সরকারের উপর ভরসা নেই। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ একাধিক সংকটে জেরবার বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একের পর এক ইস্যু তুলে ধরতে থাকেন নরেন্দ্র মোদী। এই ইস্যুতেও তৃণমূল পরিচালিত সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী। তাঁর কথায়, সংকটে জেরবার বাংলা। প্রথম সংকট, একদিকে হিংসা-অরাজকতা চলছে। দ্বিতীয়, মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার চলছে। তৃতীয়ত, যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে, কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। চতুর্থত, বেপরোয়া দুর্নীতি চলছে। পঞ্চম সংকট হল, এই রাজ্যের গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে শাসকদলের রাজনীতি।এরই পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যা করেছে, সারা ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের লোকেদেরও তুমুল আক্রোশ ছিল। আপনাদের সেই আক্রোশ আমি ভালোই বুঝেছি। জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুর মোছানোর দুঃসাহস দেখিয়েছিল। আমাদের বীর সেনারা ওদের সিঁদুরের শক্তি কী সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা জঙ্গি ঘাটি ধ্বংস করেছি। পাকিস্তান এটা কল্পনাও করতে পারিনি। জঙ্গিদের ঠিকানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন শিক্ষা পাবে পাকিস্তান কল্পনাও করেনি। সন্ত্রাসের লালন পালন করে পাকিস্তান। ১৯৪৭-এর পর থেকেই ভারতে সন্ত্রাস পাকিস্তানের। বাংলাদেশে পাকিস্তানের অত্যাচার ভোলবার নয়। তিনবার পাকিস্তানকে ঘরে ঢুকে মেরেছে ভারত।SSC-এর নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এই রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। শাসকদল তৃণমূলের তাবড় নেতা-মন্ত্রী পাহাড়-প্রমাণ এই দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বেনজির নিশানা করেছেন নমো।প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, তৃণমূলের নেতারা এত বড় পাপ করেও নিজেদের ভুল মানতে নারাজ। হাজার-হাজার পরিবারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলা হয়েছে। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেও তৃণমূলের নেতারা মানতে নারাজ। বাংলায় হাজার-হাজার শিক্ষকের কেরিয়ার বরবাদ। এখানকার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে। কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। বেপরোয়া দুর্নীতি নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার মানুষের বিশ্বাস কমছে।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবির! সাধুবাদ মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের

মেয়ের প্রথম বছরের জন্মদিনের মাধ্যমে মালদা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকের রক্ত সংকট মেটানোর বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলেন দাস পরিবার। বুধবার সকাল থেকেই বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম বছরের এই জন্মদিনকে ঘিরেই ধুমধাম ভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকার দাস পরিবার। বাড়ির সামনেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় দাস পরিবারের পক্ষ থেকে। আর এই রক্তদান শিবিরের প্রথম রক্তদাতা হিসাবে ছোট্ট এক বছরের আদিক্সা দাসের বাবা দেবাশীষ দাস স্বেচ্ছায় রক্তদান দিয়ে কর্মসূচি সূচনা করেন। এদিন এই জন্মদিন উপলক্ষে বিকেল পর্যন্ত দেবাশীষবাবুর আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। দেবাশীষবাবুর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ , স্বাস্থ্য দপ্তর এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটি খুব ভালো উদ্যোগ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন , নানান রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলি মাঝে মধ্যেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছেন। এদিন ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকায় এক বছরের ছোট্ট আদিক্সা দাসের জন্মদিন উপলক্ষেই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তাঁর বাবা দেবাশীষ দাস। সঙ্গ দিয়েছিলেন দেবাশিষবাবুর স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস। এদিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে ভ্রাম্যমান ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের একটি বড় গাড়ি ছোট্ট মেয়ে আদিক্সা দাসের বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হয়। সেই ভ্রাম্যমান গাড়িতেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী দেবাশিষবাবুর পুরাটুলি এলাকায় নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। পরিবারের একমাত্র মেয়ে আদিক্সার জন্মদিনে এমন পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে নিয়েছিলেন দেবাশিষবাবু এবং তার স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস । আর সেটা কার্যত বাস্তবে করে দেখালেন। ব্যবসায়ী দেবাশিষ দাস বলেন, মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত রোগীর আত্মীয়েরা এক ইউনিট রক্তের জন্য কিভাবে ব্লাড ব্যাংকে ছোটাছুটি করছে। মাঝেমধ্যেই দেখি মেডিকেল কলেজের রক্তের সংকট রোগীদের হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। আমিও একসময় হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। তাই এদিন মেয়ের জন্মদিনে এমন ভাবেই স্বেচ্ছায় রক্তদানের শিবির করেছি। আমার আত্মীয় পরিজন বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই এগিয়ে এসে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছবি দাস জানিয়েছেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ । আমার এলাকার দাস পরিবার তাদের বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন । তাদের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এভাবেই সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।

মে ২৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বিশ্বের তারকা ফুটবলার ইয়ামালকে মনে আছে? বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবে ১০ নম্বর জার্সির মালিক ১৭ বছরেই

মনে আছে লামিল ইয়ামালের কথা? গত বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের নাবালক তারকা ফুটবলার। জার্মানীর মাঠ কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ইয়ামাল। আগামী ২০৩১ পর্যন্ত ইয়ামাল লা লিগাতে বার্সেলোনার হয়েই খেলবেন। এই বয়সে মাল্টি মিলিয়নের চুক্তি হয়েছে বার্সেলোনার সঙ্গে ইমামালের। লা লিগাতে এই মরসুমে নিজে শুধু ১৮টি গোল করেননি, গোল করতে সহায়তা করেছেন আরও ১৩টি ক্ষেত্রে। বিপক্ষের ডিফেন্সে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেন এই স্পেনের এই ফুটবলার। খ্যাতি পয়েছেন গত জার্মানী বিশ্বকাপে। স্পেনের দলে প্রয়োজনীয় ফুটবলার ছিলেন তিনি। জার্মানী শ্রম আইন অনুযায়ী ফাইন দিয়েও তাকে দলে রেখেছিল স্পেন। তার ফায়দাও পেয়েছিল তারা। এবার বার্সেলোনার সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছে প্রতি মরসুমে তিনি পাবেন বেসিক হিসাবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বোনাস নিয়ে ২০ মিলিয়নে দাঁড়াতে পারে। বার্সেলোনার হয়ে তিনি ইতিমধ্যে মোট ১০৬টি গোল করেছেন। মাত্র ১৭ বছরবয়েস ইয়ামাল যে অর্থ পাচ্ছেন তা যে কারও কাছে বড় স্বপ্ন। তা আগে কেউ পায়নি। তাছাড়া এই মরসুমে ইয়ামাল দলের ১০ নম্বর জার্সি পরবেন।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় গিয়ে তান্ডব, গ্রেফতার গুণধর ছেলে, ধুন্ধুমার কাণ্ড

শুরু মেমারিতে, যার শেষ হল বনগাঁতে। গুনধর ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বাবা-মাকে নৃশংস ভাবে খুন করে পালিয়েছিল বনগাঁয়। সেখানে গিয়ে এলোপাথারি ছুরি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জখম করেছে। তাকে জোর করে বের করার জন্য থানা আক্রমণ করেছে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। ধুন্ধুমার কাণ্ড। বুধবার সকালে গলার নলি কাটা অবস্থায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ মা ও বাবার রক্তাত মৃতদেহ। মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫) ও মমতাজ পারভীন (৫৫)। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকায়। জোড়া খুনের খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে মৃত দম্পতির ছেলে বাড়িতে না থাকায় পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। তবে এটা যে খুনের ঘটনা তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের পর বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হয়েছিল। সেই কারণে গোটা নানা জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। রাতে দিকে এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ে সীমান্ত এলাকায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির ছেলে হুমায়ূন কবির বাইরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতো। হুমায়ুনের মানসিক সমস্যা আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাছাড়া বাড়ির সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক উধাও বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বনগাঁ খান শরীফে ঢুকে বেশ কয়েকজনের ওপরে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বনগাঁ খান শরীফের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সংখ্যালঘুরা। জানা গিয়েছে, একদল বনগাঁ থানায় এসে আসামিকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে এবং বনগাঁ থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনগাঁর এসপি দীনেশ কুমার। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, আক্রমণকারী যুবকের নাম হুমায়ন কবির। বয়স ৩৫ বছর, বাড়ি বর্ধমানের মেমারি। আজ সকালে এই ব্যক্তি তার বাবা-মাকে খুন করে এখানে এসেছে। তারা ছুরির আঘাতে চার জন আহত হয়েছে। এদিকে থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আঘাত পেয়েছেন একজন কনস্টেবল ও একজন এএসআই। এদিকে রাতেই মেমারি থানার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে বনগাঁ থানায়।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, যুবকের মাথা ফাটিয়ে, হাত কেটে দিল গৃহবধূ

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের উপরে আক্রমণ ও তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁয়। প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে যুবকের চার বছরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, ব্লেড দিয়ে হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। শুধু যুবকের উপর হামলা করেই থামেনি প্রতিবেশী ওই গৃহবধূ। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূ তাদের বাড়ির খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে এবং বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার সভাইপুর এলাকায়। সোমবার বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবক। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত গৃহবধূকে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।

মে ২৮, ২০২৫
রাজ্য

গভীর রাতে বোমাবাজি ও গুলি হরিহরপাড়ায়, জখম এক, গ্রেফতার ৪

সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, ওই রাতে একদল দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন শেখ ওরফে কালুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।গুলিতে তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই এই হামলা বলে প্রাথমিক অনুমান। উল্লেখযোগ্য যে, দুই পক্ষই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বলে এলাকাবাসীর দাবি।এই ঘটনায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।হরিহরপাড়া থানার নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধারসহ চার জনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানো হলো। ধৃতদের তিনজনের বাড়ি নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় একজনের বাড়ি চোয়া এলাকায়

মে ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal