মান বাঁচালেন ঋষভ, উত্তেজক পরিসমাপ্তির দিকে তৃতীয় টেস্ট
দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে কেপ টাউনে কি আদৌও ইতিহাস তৈরি করতে পারবে ভারত? তবে দুই দেশের তৃতীয় টেস্ট যে উত্তেজক পরিসমাপ্তির দিকে এগোচ্ছে, সেকথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। জয়ের জন্য ২১২ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলেছে ১০১/২। জয়ের জন্য প্রয়োজন আরও ১১১ রান। আর ইতিহাস তৈরি করতে গেলে ভারতকে তুলতে হবে ৮ উইকেট। পেন্ডুলামের মতো দুলছে ম্যাচের ভাগ্য। তৃতীয় টেস্টে ভারতকে লড়াইয়ে ফেরানোর কৃতিত্ব দাবি করতেই পারেন ঋষভ পন্থ। জোহানেসবার্গে তাঁর আউট হওয়ার ধরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। অনেক সমালোচনা হজম করতে হয়েছিল ঋষভকে। এদিন দায়িত্বশীল ব্যাটিং। ১৩৯ বলে অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস খেলে দলকে লড়াইয়ের প্ল্যাটফর্ম এনে দেন ভারতের এই উইকেটকিপারব্যাটার। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের সংগ্রহ ১৯৮। তার মধ্যে ঋষভের একারই ১০০। বাকি ৯ ব্যাটার মিলে তোলেন ৭০। শ্রীযুক্ত অতিরিক্তর দৌলতে আসে ২৮। তিনিই ভারতীয় ইনিংসের তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ১৪৩ বল খেলে তিনি করেন ২৯। আগের দিনের ৫৭/২ রান হাতে নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে ভারত। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই জানসেনের বলে ফিরে যান পুজারা (৯)। পরের ওভারেই রাবাডা তুলে নেন রাহানেকে (১)। এরপর ভারতকে টেনে নিয়ে যান বিরাট কোহলি ও ঋষভ পন্থ। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির সময় ভারতের রান ছিল ১৩০/৪। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির কিছুক্ষণ পর কোহলি (২৯) আউট হতেই ধস নামে ভারতীয় শিবিরে। একের পর এক উইকেট পড়তে থাকলেও দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান ঋষভ। টেল এন্ডারদের সঙ্গে নিয়ে তিনি সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষ পর্যন্ত ১৯৮ রানে গুটিয়ে যায় ভারতের ইনিংস। মার্কো জানসেন ৩৬ রানে ৪টি, রাবাডা ৫৩ রানে ও এনগিডি ৩৩ রানে ৩ টি করে উইকেট নেন। দুই ইনিংস মিলিয়ে ভারত এগিয়ে যায় ২১১ রানে। জয়ের জন্য ২১২ রানে লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে অষ্টম ওভারেই ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এইডেন মার্করামকে (১৬) তুলে নেন মহম্মদ সামি। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকাকে টেনে নিয়ে যান অধিনায়ক ডিন এলগার ও কিগান পিটারসেন। দুজনে মিলে ৭৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। এলগারকে (৩০) তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন বুমরা। এলগার আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দিনের খেলার পরিসমাপ্তি ঘটে। কিগান পিটারসেন ৪৮ রান করে ক্রিজে রয়েছেন।