• ১৩ কার্তিক ১৪৩২, সোমবার ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Cricket

বিনোদুনিয়া

দুঃস্থদের জন্য ২২ গজে টলি তারকারা

অংশু বাচ এবং শিভা ক্রিয়েশন এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল কলকাতা সুপার ৫০ এর ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। মোট ৮ টা টিম, তার মধ্যে একটা টিমের সদস্যরা বাংলা টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র জগতের মানুষদের নিয়ে তৈরি৷ এছাড়া বাকি দলগুলিতে শিক্ষা, ক্রীড়া, রাজনীতি, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। কলকাতা সুপার ৫০ তে অংশগ্রহণ করেছেন বনি সেনগুপ্ত, জয়দীপ মুখার্জি, অংশু, রাজীব, জয়ী, সেলিব্রিটি ফটোগ্রাফার সুদীপ্ত চন্দ্র, সায়ন মুখার্জি, লিগাল কারিকুলাম এর প্রতিষ্ঠাতা প্রান্তিক চক্রবর্তী সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বিশেষ কারণ এই টুর্নামেন্টে একইসঙ্গে খেলেন ছেলেরা এবং মেয়েরা৷ মহিলা টিমের নেতৃত্বে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা রায়, যিনি ভারতের হয়ে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছেন। ৫০ বলের টুর্নামেন্টে ওভার হয় ৫ বলের। পেশাদার মহিলা টিম নেওয়া হয়েছিল। সিসিএল এর বেঙ্গল টিমের কোচ সুশীল স্যার কলকাতা সুপার ৫০ এর অন্যতম সদস্য৷ এই টুর্নামেন্টের বিষয়ে আয়োজক অংশু জানালেন, মজা করে একটা ভালো খেলা হবে বলেই টুর্নামেন্টটা করা। টলিউড সেলিব্রিটিদের নিয়ে একটা টিম তো রয়েছেই এছাড়া প্রত্যেকটা টিমে একজন করে সেলিব্রিটি আছেন। তবে এই টুর্নামেন্টের সবথেকে বড় কথা দুঃস্থদের পাশে দাঁড়ানো। ক্রিকেট টুর্নামেন্ট থেকে প্রাপ্ত সমস্ত অর্থ দেওয়া হল দুঃস্থ শিশুদের কল্যাণে এবং পথকুকুরদের দেখভালের জন্য৷

মার্চ ১৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌ডিআরএস নেব?‌ বিপক্ষ দলের ব্যাটারকেই জিজ্ঞাসা পাকিস্তান উইকেটকিপার রিজওয়ানের!‌

অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ৭১ ওভারে নৌমান আলির বল স্টিভ স্মিথের প্যাডে লাগতেই আউটের আবেদন জানান পাকিস্তান ক্রিকেটাররা। আম্পায়ার সেই আবেদনে সাড়া দেননি। পাকিস্তান উইকেটকিপার মহম্মদ রিজওয়ান এগিয়ে যান স্মিথের কাছে। তাঁকেই জিজ্ঞেস করেন ডিআরএস নেওয়া উচিত হবে কিনা। রিজওয়ানের কথা শুনে হাসিতে ফেটে পড়েন পাক অধিনায়ক বাবর আজম। হাসছিলেন স্মিথও। দারুণ মজার ঘটনার সাক্ষী থাকল পাকিস্তানঅস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্ট। লড়াইয়ের মাঝেও হালকা মেজাজে পাওয়া গেল দুই দেশের ক্রিকেটারদের। শেষ পর্যন্ত স্মিথ ৭২ রান করে হাসান আলির বলে ফাহিম আশরাফের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে দেখা গিয়েছিল রানের বন্যা। একই ছবি করাচিতে দ্বিতীয় টেস্টেও। এখানেও সেই রানের বন্যা অব্যাহত। রানের পাহাড়ে এবার অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় দিনের শেষে ৮ উইকেটে অস্ট্রেলিয়া তুলেছে ৫০৫। আগের দিনের ২৫১/৩ রান হাতে নিয়ে এদিন খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। উসমান খোয়াজা ১২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। নৈশপ্রহরী নাথান লায়ন কোনও রান না করেই অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয় দিন প্রথম ঘন্টাতে কোনও উইকেট তুলতে পারেননি পাকিস্তান বোলাররা।To DRS or not to DRS 🤔 #BoysReadyHain l #PAKvAUS pic.twitter.com/X3b9mp8uaF Pakistan Cricket (@TheRealPCB) March 12, 2022প্রথম জলপানের বিরতির সাফল্য পায় পাকিস্তান। নাথান লায়নকে (৩৮) তুলে নেন ফাহিম আশরাফ। এরপর ট্রেভিস হেডকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান উসমান খোয়াজা। ২৩ রান করে সাজিদ খানের বলে এলবিডব্লু হন হেড। উসমান খোয়াজাকেও তুলে নেন সাজিদ খান। ১৬০ রান করে তিনি বোল্ড হন। ২৮ রান করে নৌমান আলির বলে বোল্ড হন ক্যামেরন গ্রিন। এরপর অস্ট্রেলিয়াকে টানেন অ্যালেক্স ক্যারে ও মিচেল স্টার্ক। জুটিতে ওঠে ৯৮। জুটি ভাঙতে নিজেই বল হাতে তুলে নেন অধিনায়ক বাবর আজম। অ্যালেক্স ক্যারেকে তুলে নিয়ে তিনি দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন। ৯৩ রান করে আউট হন ক্যারে। মিচেল স্টার্ক ২৮ রান করে ক্রিজে রয়েছেন। পাকিস্তানের হয়ে ফাহিম আশরাফ ও সাজিদ খান ২টি করে এবং হাসান আলি, নৌমান আলি ও বাবর আজম ১টি উইকেট নিয়েছেন।

মার্চ ১৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

শ্রেয়সের ব্যাটে মান বাঁচল, বেঙ্গালুরু টেস্টে প্রথম দিনেই চালকের আসনে ভারত

দলের ব্যাটিং বিপর্যয় সামাল দিয়েও সেঞ্চুরি পেলেন না শ্রেয়স আয়ার। ৯২ রানে থেমে গেল তাঁর দুরন্ত ইনিংস। তবে তাঁর সৌজন্যেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে মান বাঁচাল ভারত। ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হল ২৫২ রানে। বেঙ্গালুরুর চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে নৈশালোকে গোলাপি বলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভারতশ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় টেস্ট। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় ভারত। নাটকীয়ভাবে রান আউট হয়ে ফিরে যান মায়াঙ্ক আগরওয়াল। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে এলবিডব্লুর জোরালো আবেদন ওঠে। রান নেওয়ার জন্য তিনি দৌড় শুরু করেন। রোহিত নন স্ট্রাইকিং প্রান্ত থেকে বেরিয়ে এসেও মায়াঙ্ককে ফিরিয়ে দেন। কিন্তু ক্রিজে ফিরতে পারেননি মায়াঙ্ক (৪)। তাঁকে রান আউট হয়ে ফিরতে হয়। রোহিত শর্মাও বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হননি। ১৫ রান করে তিনি লসিথ এম্বুলডেনিয়ার বলে আউট হন। ২৯ রানে ২ উইকেট হারায় ভারত। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান হনুমা বিহারি ও বিরাট কোহলি। দুজনেই বেশ সতর্কভাবে ব্যাট করছিলেন। কোহলির ব্যাট থেকে কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন শটও দেখা যায়। প্রবীন জয়বিক্রমার বলে হনুমা বিহারীকে এলবিডব্লু আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার নীতিন মেনন। রিভিউ নিএ সে যাত্রায় বেঁচে যান হনুমা। তবে নিজের ইনিংসকে দীর্ঘায়িত করতে পারেননি। ২৭ তম ওভারে সেই জয়বিক্রমার বলেই আউট হন হনুমা (৩১)। পরের ওভারেই ধনঞ্জয় ডিসিলভার বলে ফিরে যান কোহলি (২৩)। পরপর দুটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। ক্রিজে নেমে পাল্টা আক্রমণের রাস্তা বেছে নেন ঋষভ পন্থ। ২৬ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৩৯ রান করে এম্বুলডেনিয়ার বলে আউট হন তিনি। আগের ম্যাচের নায়ক রবীন্দ্র জাদেজাও (৪) এই ম্যাচে রান পাননি। তিনিও এম্বুলডেনিয়ার শিকার। একের পর এক উইকেট পড়লেও অন্যপ্রান্ত আগলে রাখেন শ্রেয়স আয়ার। অশ্বিন (১৩), অক্ষর প্যাটেলরাও (৫) খুব বেশিক্ষণ শ্রেয়সকে সঙ্গ দিতে পারেননি। অক্ষর আউট হওয়ার পর শ্রেয়স বেশি স্ট্রাইক নেওয়ার দিকে মনোযোগ দিয়েছিলেন। তাও শেষরক্ষা হল না। শেষদিকে সঙ্গী পাবেন না বুঝে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন। এগিয়ে গিয়ে প্রবীন জয়বিক্রমাকে বাউন্ডারির বাইরে ফেলতে গিয়ে স্টাম্পড হন শ্রেয়স। ৯৮ বলে তিনি করেন ৯২। ২৫২ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। এম্বুলডেনিয়া ৯৪ রানে ৩ উইকেট নেন। প্রবীণ জয়বিক্রমা ৮১ রানে নেন ৩ উইকেট। ধনঞ্জয় ডিসিলভা ২টি এবং সুরঙ্গা লাকমল ১টি উইকেট নেন।ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কাও চরম বিপর্যয়ে পড়ে। শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ধাক্কা দেন যশপ্রীত বুমরা। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই তুলে নেন কুশল মেন্ডিসকে (২)। এক ওভার পরেই ফেরান লাহিরু থিরিমানেকে (৪)। ডিমুথ করুণারত্নেকে (৪) তুলে নেন মহম্মদ সামি। ১৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। সেই চাপ থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারেনি। মিডল অর্ডারে কিছুটা লড়াই করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। ৮৫ বলে ৪৩ রান করে বুমরার বলে আউট হন। দিনের শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৮৬। নিরোসান ডিকওয়েলা ১৩ রানে ও লসিথ এম্বুলডেনিয়া ০ রানে ক্রিজে রয়েছেন। ভারতের হয়ে যশপ্রীত বুমরা ১৫ রানে ৩টি, মহম্মদ সামি ১৮ রানে ২টি ও অক্ষর প্যাটেল ২১ রানে ১টি উইকেট নিয়েছেন।

মার্চ ১২, ২০২২
বিনোদুনিয়া

দুঃস্থ শিশু ও পথ কুকুরদের কল্যাণে ২২ গজে টলি তারকারা

অংশু বাচ এবং শিভা ক্রিয়েশন এর উদ্যোগে ১৩ মার্চ হতে চলেছে কলকাতা সুপার ৫০ এর ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। মোট ৮টি টিম এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করছে। এর মধ্যে একটা টিমের সদস্যরা বাংলা টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র জগতের মানুষদের নিয়ে তৈরি৷ এছাড়া বাকি দলগুলিতে শিক্ষা, ক্রীড়া, রাজনীতি, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরা থাকবেন। কলকাতা সুপার ৫০ তে অংশগ্রহণ করেছেন বনি সেনগুপ্ত, জয়দীপ মুখার্জি, অংশু, রাজীব, জয়ী, সেলিব্রিটি ফটোগ্রাফার সুদীপ্ত চন্দ্র, সায়ন মুখার্জি, লিগাল কারিকুলাম এর প্রতিষ্ঠাতা প্রান্তিক চক্রবর্তী সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বিশেষ কারণ এই টুর্নামেন্টে একইসঙ্গে খেলবেন ছেলেরা এবং মেয়েরা৷ মহিলা টিমের নেতৃত্বে প্রিয়াঙ্কা রায়, যিনি আন্তর্জাতিক স্তরে বিশ্বকাপে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।এটা ৫০ বলের টুর্নামেন্ট। সাধারণত ক্রিকেট খেলায় একটি ওভারে ৬ টি বল হয়। কিন্তু এই খেলায় ৫ বলের ওভার হবে। পেশাদার মহিলা টিম নেওয়া হয়েছে। সিসিএল এর বেঙ্গল টিমের কোচ সুশীল স্যার কলকাতা সুপার ৫০ এর অন্যতম সদস্য। বিভিন্ন নামী সংস্থা এই ক্রিকেট টুর্নামেন্টের এর স্পনসর। ওয়াও মোমো, ওয়াও চায়না, আশা অডিও, ফিভার এফ এম এদের মধ্যে অন্যতম। আয়োজক অংশু জানিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর দাদা শিবা প্রত্যেক বছরই এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করেন। বছরের শুরুতেই টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা থাকলেও কোভিডের কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়। বহুদিন পরে সকলে একসঙ্গে খেলতে খেলতে কিছু আনন্দ উদযাপনের সুযোগ হবে। ক্রিকেট টুর্নামেন্ট থেকে প্রাপ্ত সমস্ত অর্থ দেওয়া হবে দুঃস্থ শিশুদের কল্যাণে এবং পথকুকুরদের দেখভালের জন্য।

মার্চ ১২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

বিশ্বরেকর্ড ঝুলনের, ক্যারিবিয়ানদের ১৫৫ রানে গুঁড়িয়ে মহিলা বিশ্বকাপে শীর্ষে ভারত

আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পর দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ভারতের। মহিলাদের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৫৫ রানে গুড়িয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছে গেলেন মিতালি রাজরা। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেন স্মৃতি মান্ধানা ও হরমনপ্রীত কাউর। এদিন আনিসা মহম্মদের উইকেট তুলে নিয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়ে গেলেন ঝুলন গোস্বামী। টপকে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার লিন ফুলস্টনকে। আগের দুটি ম্যাচে টপ অর্ডার ব্যাটিং নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত ছিলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক মিতালী রাজ। এদিন তাঁকে চিন্তামুক্ত করলেন স্মৃতি মান্ধানা ও হরমনপ্রীত কাউর। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে এদিন ভাল শুরু করেছিল ভারত। ওপেনিং জুটিতে ৬.৩ ওভারে ওঠে ৪৯ রান। যস্তিকা ভাটিয়া ৬টি চারের সাহায্যে ২১ বলে করেন ৩১। মিতালি রাজ ১১ বলে ৫ রান করে আউট হন। ২১ বলে ১৫ রান করেন দীপ্তি শর্মা। ১৩.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ৭৮। সেখান থেকে ৪২.৩ ওভার পর্যন্ত ভারতের ইনিংসকে টেনে নিয়ে যায় স্মৃতি মান্ধানা ও হরমনপ্রীত কাউর জুটি।ক্যারিবিয়ান বোলারদের ওপর দারুণ আধিপত্য দেখান স্মৃতি মান্ধানা ও হরমনপ্রীত কাউর। ৬৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ম করেন স্মৃতি। হরমনপ্রীতের হাফ সেঞ্চুরি আসে ৬১ বলে। ১০৮ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মান্ধানা, ৯টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে। হরমনপ্রীতের সেঞ্চুরি আসে ১০০ বলে, ৮টি চার ও ২দুটি ছয়ের সাহায্যে। ১৩টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ১১৯ বলে ১২৩ রান করে আউট হন স্মৃতি মান্ধানা। ১০টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে হরমনপ্রীত করেন ১০৭ বলে ১০৯। রিচা ঘোষ ৫, পূজা বস্ত্রকার ১০ ও ঝুলন গোস্বামী ২ রানে আউট হন। স্নেহ রানা ২ ও মেঘনা সিং ১ রানে অপরাজিত থাকেন। ৫০ ওভারে ভারত তোলে ৩১৭/৮। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আনিসা মহম্মদ ৫৯ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট দখল করেন। জয়ের জন্য ৩১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুম শুরু করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১২ ওভারে তোলে ১০০। ঝুলন গোস্বামী, মেঘনা সিং, দীপ্তি শর্মারা প্রমম দিকে ডিয়ান্ড্রা ডটিন ও হেইলি ম্যাথুজের সামনে সুবিধা করতে পারেননি। স্নেহ রানা বোলিং করতে এসে জুটি ভাঙেন। তিনি তুলে নেন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ডটিনকে। ৪৬ বলে ৬২ রান করে মেঘনা সিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ডটিন। এরপরই ধস নামে ক্যারিবিয়ান ইনিংসে। ৪০.৩ ওভারে ১৬২ রানেই গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হেইলি ম্যাথিউজ ৪৩ রান করেন। সাতজন ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছাতে পারেননি। স্নেহ রানা ২২ রানে ৩ উইকেট নেন। মেঘনা সিং ২৭ রানে ২ উইকেট পান। ঝুলন গোস্বামী, রাজেশ্বরী গায়কোয়াড় ও পূজা বস্ত্রকার একটি করে উইকেট নেন। এদিন আনিসা মহম্মদকে আউট করে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর রেকর্ড গড়লেন ঝুলন গোস্বামী। তাঁর উইকেট সংখ্যা ৪০। টপকে গেলেন লিন ফুলস্টনকে। তাঁর উইকেট সংক্যা ৩৯।

মার্চ ১২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে গোলাপি বল নিয়েই চিন্তা ভারতীয় শিবিরের

শনিবার বেঙ্গালুরুর চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে নৈশালোকে শুরু হচ্ছে ভারতশ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় টেস্ট। গোলাপি বলে খেলা হবে এই ম্যাচ। গোলাপি বলে এখনও সেভাবে সড়গড় হতে পারেননি ভারতীয় ক্রিকেটাররা। তাই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে যথেষ্ট চিন্তিত ভারতীয় শিবির। ম্যাচের আগের দিন সহঅধিনায়ক যশপ্রীত বুমরার মুখেই শোনা গেল সেই চিন্তার কথা। এখন পর্যন্ত গোলাপি বলে মাত্র তিনটি টেস্ট খেলেছে ভারত। দেশের মাঠে একটা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, আর একটা আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। দুটি টেস্টে সহজে জিতলেও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে গোলাপি বলের টেস্টে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল ভারতকে। মাত্র ৩৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বিরাট কোহলির দল। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুতে গোলাপি বলের টেস্টে মাঠে নামার আগে মানসিক প্রস্তুতির ওপর জোর দিচ্ছে ভারতীয় দল। ম্যাচের আগে বুমরা বলেন, পেশাদার ক্রিকেটারদের দ্রুত সব কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। গোলাপি বলে ফিল্ডিং করা একটা আলাদা রকমের অভিজ্ঞতা। যতটা সময় নিয়ে বল কাছে আসবে বলে মনে হয়, তার আগেই চলে আসে। দুপুরের দিকে বল বেশি স্যুইং হয় না। তবে বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে সুইং বেশি হয়। এই সব খুঁটিনাটি বিষয় মাথায় রেখে, আলোচনা করেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। গোলাপি বলে আমরা বেশি টেস্ট খেলিনি। যখন খেলেছি, তখন কঠিন পরিস্থিতিতেও খেলেছি। তাই কোনও মাপকাঠি চূড়ান্ত হয়নি। যেটুকু অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং অন্যদের কাছ থেকে ফিডব্যাক পেয়েছি তার ওপর ভিত্তি করে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, গোলাপি বলের সঙ্গে আমরা ফিল্ডিং, বোলিং, ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত নই। রোজ রোজ তো গোলাপি বলে ক্রিকেট খেলি না। তাই কী ধরনের পরিবর্তন করতে হবে, সেটা মাঠে নেমেই ঠিক করব। প্রথম একাদশ কী হবে, তা খোলসা করেননি বুমরা। ম্যাচের আগে বাইশ গজ দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। বুমরা বলেন, পিচের পরিস্থিতি দেখে ঠিক হবে কী কম্বিনেশন হওয়া উচিত। নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামব। অক্ষর প্যাটেল আগের সিরিজেও দলে ছিল। বল ও ব্যাট দুটোতেই দলে অবদান রাখে। প্রথম একাদশে জায়গা পাবে কিনা সেটা এখনও বলা সম্ভব নয়। তিন সিমার না তিন স্পিনারে নামা হবে তা পিচ দেখেই চূড়ান্ত হবে। এদিকে, বেঙ্গালুরু টেস্টে মাঠে নামার আগে বড় ধাক্কা শ্রীলঙ্কা শিবিরে। দ্বিতীয় টেস্টেও খেলতে পারবেন না দুষ্মন্ত চামিরা। তবে তাঁর থেকেও বড় ধাক্কা ফর্মে থাকা পাথুম নিসাঙ্কার ছিটকে যাওয়া। ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি ২০ আন্তর্জাতিকে তিনি ঝোড়ো ৭৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। শ্রীলঙ্কার এই ওপেনার মোহালি টেস্টেও অর্ধশতরান পেয়েছিলেন। প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন ৬১ রানে। কিন্তু পিঠের চোট তাঁকে ছিটকে দিল বেঙ্গালুরু টেস্ট থেকে। ভারত সফরে শ্রীলঙ্কার যে কয়েকজন কিছুটা সফল তাঁদের মধ্যে নিসাঙ্কা অন্যতম। শ্রীলঙ্কার অনভিজ্ঞ টেস্ট দলে নিসঙ্কার ব্যাটিং গড়ও ৪০-এর উপর। সিরিজে সমতা ফেরানোর লড়াইয়ে নামার আগে চোট সমস্যাও চ্যালেঞ্জ শ্রীলঙ্কার।

মার্চ ১১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌নিমন্ত্রিত হয়েও শচীনের বাড়িতে রান্না করে খেতে হয়েছিল শেন ওয়ার্নকে!‌

নিমন্ত্রিত হয়েও আমন্ত্রণকারীর বাড়িতে রান্না করে খাওয়া! এই রকম আজব ঘটনা কখনও শুনেছেন নাকি? হ্যাঁ, এমনটাই ঘটেছিল। তাও আবার শচীন তেন্ডুলকারের বাড়িতে। আর আমন্ত্রিত ব্যক্তির নাম শুনলে আরও চমকে যাবেন, শেন ওয়ার্ন। ঘটনাটা ঘটেছিল ১৯৯৮ সালে। ভারত সফরে এসেছিল অস্ট্রেলিয়া দল। বাইশ গজে যতই লড়াই থাকুক না কেন, মাঠের বাইরে শেন ওয়ার্নের সঙ্গে দারুণ বন্ধুত্ব ছিল শচীন তেন্ডুলকারের। সেই সিরিজে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে একটা ম্যাচ ছিল। অস্ট্রেলিয়া দল মুম্বইয়ে পৌঁছনোর পর শচীন নৈশভোজের জন্য ওয়ার্নকে তাঁর বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ওয়ার্ন নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে শচীনের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ওয়ার্ন কোনও একসময় শচীনকে বলেছিলেন, ভারতীয় খাবার তিনি পছন্দ করেন। তাই ভারতীয় খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল ওয়ার্নের জন্য। নৈশভোজের টেবিলেন বসে একটুকরো চিকেন মুখে তোলার পরই ওয়ার্ন চোখে সর্ষের ফুল দেখেছিলেন। তারপর শচীন লক্ষ্য করেন, তাঁর ম্যানেজারকে ওয়ার্ন কিছু বলছেন। শচীন যখন অন্যদের খাবার পরিবেশন করতে ব্যস্ত, তখন ওয়ার্ন নিজের খাবারের প্লেট টেবিলে রেখে শচীনের ম্যানেজারকে নিয়ে রান্নাঘরে ঢুকে যান। ম্যানেজারের সাহায্যে রান্নাঘরে গিয়ে নিজে রান্না করে তারপর ডিনার করেন। আসলে মশলাদার খাবার খেতে পারেননি ওয়ার্ন। তাই নিজেই রান্না করে খেয়েছিলেন। শচীন নিজেই এই ঘটনার কথা তুলে ধরেছিলেন।মাঠের মধ্যে বিপক্ষ ব্যাটারদের স্পিনে জালে ফেললেও দারুণ দিলদরিয়া ছিলেন শেন ওয়ার্ন। তাঁর মহানুভবতার কথা তুলে ধরেছেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। আর এই মহানুভবতা আবার ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের ওপর দেখিয়েছিলেন ওয়ার্ন। ইংল্যান্ড দল অ্যাশেজ সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিল। সিরিজের ফাঁকে ইংল্যান্ড ক্রিকেটাররা মেলবোর্নের অনতিদূরে একটা গল্ফ ক্লাবে গল্ফ খেলতে চেয়েছিলেন। টিম হোটেল থেকে ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের গল্ফ ক্লাবে নিয়ে যাওয়ার জন্য হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করেছিলেন শেন ওয়ার্ন। বিশাল অঙ্কের সেই হেলিকপ্টার ভাড়ার বিল ওয়ার্ন নিজেই মিটিয়েছিলেন। এমনকি গল্ফ ক্লাবের বিলও ওয়ার্ন মিটিয়েছিলেন। ওয়ার্নের এই ব্যবস্থাপনায় খুশি হয়ে ইংল্যান্ড শিবিরের পক্ষ থেকে ওয়ারনকে একটা বিশেষ উপহার দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বলেন, হেলিকপ্টার ভাড়া ও গল্ফ ক্লাবের বড় অঙ্কের বিল পাওয়ার পরে ওয়ার্নের রিঅ্যাকশন ছিল, ঠিক আছে। একবারের জন্যও ওয়ার্ন কিন্তু বলেনি, এই বিলটার জন্য কি ইংরেজ ক্রিকেটাররা ওকে টাকা দেবে! ও চুপচাপ বিল মিটিয়ে দেয়।

মার্চ ১১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‘‌দর্শকরা তোমার ঠুকঠুক ব্যাটিং দেখতে আসেনি, শচীনের শট দেখতে এসেছে’‌ সৌরভকে কেন একথা বলেছিলেন ওয়ার্ন?‌

২২ গজের লড়াইয়ে বিপক্ষের ক্রিকেটারদের অস্ট্রেলিয়ানরা স্লেজিং করবেন না, এটা হতেই পারে না। অসি ক্রিকেটারদের হাত ধরেই অন্য মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছিল ক্রিকেট মাঠের স্লেজিং। তবে অন্য ক্রিকেটারদের তুলনায় শেন ওয়ার্ন ছিলেন একটু অন্যরকম। খুব বেশি স্লেজিংয়ে মনোযোগ দিতেন না। তবু সৌরভ গাঙ্গুলিকে একবার তাঁর স্লেজিংয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল। ওয়ার্নের স্লেজিংয়ে উত্যক্ত হয়ে তাঁকে উইকেটও উপহার দিয়েছিলেন সৌরভ।১৯৯৯ সালে অ্যাডিলেডে ভারতঅস্ট্রেলিয়া টেস্ট ম্যাচ চলছিল। ক্রিজে ব্যাট করছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি ও শচীন তেন্ডুলকার। সৌরভ ছিলেন স্ট্রাইকিং এন্ডে, আর শচীন তখন ছিলেন ননস্ট্রাইকিং এন্ডে। ওয়ার্নের বলে জমাটি ডিফেন্স করছিলেন সৌরভ। শচীন ও সৌরভ জুটি ততক্ষণে সেঞ্চুরির পার্টনারশিপ করে ফেলেছে। জুটি ভাঙতে না পেরে সৌরভকে স্লেজিং করেছিলেন ওয়ার্ন। সৌরভ ডিফেন্স করেই পা দিয়ে বল সরিয়ে দিচ্ছিলেন। তা দেখে ওয়ার্ন সৌরভকে বলেছিলেন, পার্টনার, মাঠের এই ৪০ হাজার দর্শক তামার এই ঠুকঠুক ব্যাটিং দেখতে আর বলকে লাথি মারা দেখতে আসেনি। দর্শকরা শচীনের শট দেখতে এসেছে।ওয়ার্নের এই কথা শুনে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি সৌরভ। পাল্টা জবাব দিতে চেয়েছিলেন। ওয়ার্নের ওই কথা শুনে তিন বল পরেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে তাঁর বল বাউন্ডারির বাইরে ফেলতে চেয়েছিলেন সৌরভ। উইকেটের পেছনে থাকা অ্যাডাম গিলক্রিস্ট দুরন্ত স্টাম্পড করেন সৌরভকে। ওই ইনিংসে ১৭২ মিনিট ক্রিজে থেকে ১৩৩ বলে ৬০ রান করেছিলেন সৌরভ। আর শচীন ১৩৩ বলে করেছিলেন ৬১। তিনিও ওয়ার্নের শিকার হয়েছিলেন। ওয়ার্নের বলে ফরোয়ার্ড শট লেগে জাস্টিন ল্যাঙ্গার শচীনের ক্যাচ নিয়েছিলেন। ওই ইনিংসে ৯২ রানে ৪ উইকেট পেয়েছিলেন ওয়ার্ন। সৌরভ, শচীন ছাড়াও তিনি তুলে নিয়েছিলেন রাহুল দ্রাবিড় ও এমএসকে প্রসাদকে। গত শুক্রবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কিংবদন্তী লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন। তাঁর মৃত্যুর পর অনেকেই ওয়ার্নকে নিয়ে নানা রকম মন্তব্য করেছেন। কেই বলেছেন স্পিনের জাদুকর, কেউ আবার তাঁকে অবিহিত করেছেন মায়াবী ক্রিকেটার হিসেবে। কেউ বলেছেন থিয়েটার ছিলেন, কেউ আবার বলেছেন ব্লক ব্লাস্টার। বিশুদ্ধ বিনোদনকারী শব্দটি ক্রিকেটের ক্ষেত্রে প্রায়ই লেখা হয়ে থাকে। যা শেন ওয়ার্নের ক্ষেত্রে ছিল একেবারে ছিল যথার্থ সত্য। মাঠের মধ্যে কিংবা বাইরে, বিনোদনের ব্যাপারে তাঁর জুড়ি মেলা ভার।

মার্চ ০৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

বিশ্বকাপে রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়েও শুধুই দলের কথা ভাবছেন ঝুলন গোস্বামী

মহিলাদের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড তাঁরই দখলে। বিশ্বের প্রথম মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ উইকেটের মালিকও তিনিই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩০০ উইকেটও তাঁর দখলে। আরও একটা মাইলস্টোনের সামনে দাঁড়িয়ে ঝুলন গোস্বামী। আর মাত্র ২টি উইকেট পেলেই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর রেকর্ড চলে যাবে তাঁর দখলে। ২০০৫ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পান ঝুলন গোস্বামী। এখনও পর্যন্ত খেলেছেন ২৯টি ম্যাচ। ঝুলিতে ভরেছেন ৩৮ উইকেট। বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেটশিকারের রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার লিন ফুল্টস্টনের দখলে। তাংর সংগ্রহে রয়েছে ৩৯ উইকেট। বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নামছেন ঝুলন। এই ম্যাচে ২ উইকেট তুলে নিলেই ফুল্টস্টনকে টপকে যাবেন তিনি। ১৯৬টি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইতিমধ্যেই ২৪৭ উইকেট সংগ্রহ করেছেন ঝুলন। আড়াইশো উইকেটের মাইলস্টোনে পৌঁছতে আর মাত্র ৩ উইকেট প্রয়োজন ঝুলনের। বিশ্বের প্রথম মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে তিনি এই মাইলস্টোনে পৌঁছবেন। ৩৯ বছর বয়সেও তিনি যে ভাল ছন্দে রয়েছেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই বুঝিয়ে দিয়েছেন ভারতের এই অভিজ্ঞ জোরে বোলার। ২৬ রানে তুলে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্রেক থ্রু দেওয়ার জন্য দল তাঁর দিকেই তাকিয়ে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে ঝুলন অবশ্য ব্যক্তিগত রেকর্ড নিয়ে ভাবছেন না। তাঁর মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে দলের সাফল্য। এই নিউজিল্যান্ডের কাছে বিশ্বকাপ শুরুর আগে ১৪ ব্যবধানে সিরিজ হারতে হয়েছিল ভারতকে। বিশ্বকাপে জিততে মরিয়া ভারত। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নামার আগে ঝুলন বলেন, এই রেকর্ডের কথা আমার মাথাতেই ছিল না। আমার কাজ হল দলকে শুরুতেই ব্রেক থ্রু এনে দিয়ে ভালভাবে শুরু করা। দলের সাফল্যে অবদান রাখাটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ঝুলন আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে খেললে বেশ কয়েকটা ব্যক্তিগত মাইলস্টোনে পৌঁছনো সম্ভব। আমার ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটেছে। এই রেকর্ডগুলো আমাকে অনেক আনন্দ দিয়েছে। দলের জয়ে অবদান রাখতে পারাটাই আমার কাছে আসল। আমি দলের একজন সৈনিক। সুতরাং ব্যক্তিগত মাইলস্টোন আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়।

মার্চ ০৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

সম্প্রীতির অন্য ছবি, ছোট্ট ফাতিমা মিলিয়ে দিল ভারত–পাকিস্তানকে

ভারতের বিরুদ্ধে মহিলাদের বিশ্বকাপে ম্যাচ খেলার জন্য মাউন্ট মাউঙ্গানুইতে পাকিস্তান টিম বাস এসে দাঁড়াতেই একেএকে নেমে আসছিলেন পাক ক্রিকেটাররা। অধিনায়ক বিসমা মারুফের কোলে মাস ছয়েকের এক ফুটফুটে কন্যাসন্তান। অনেকেই অবাক চোখে দেখছিলেন। এইটুকু বাচ্চা নিয়ে বিশ্বকাপের আসরে! অবাক হওয়ারই কথা। ওই ফুটফুটে শিশুই ম্যাচের পর মিলিয়ে দিয়েছিল ভারতপাকিস্তানকে। ধরা পড়ে সম্প্রীতির এক অন্য ছবি। মন ভাল করে দেওয়ার এক অনন্য মুহূর্ত।পাকিস্তান টিম হোটেলেই বলুন কিংবা ড্রেসিংরুমে, অন্য আবহ এনে দিয়েছে অধিনায়ক বিসমা মারুফের ৬ মাসের ফুটফুটে কন্যাসন্তান ফাতিমা। গোটা দলের অনুপ্রেরণা। তাকে দেখেই ক্রিকেটাররা উজ্জীবিত। ছোট্ট ফাতিমাই এখন পাকিস্তান শিবিরের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। তাকে দেখার জন্য, খুনসুটি করার জন্য বিসমার ঘরে ছুটে আসেন অন্য ক্রিকেটাররা। পাক অধিনায়ক বলেন, দলের সতীর্থরা ওর সঙ্গে খেলা করার জন্য, আদর করার জন্য আমার ঘরে ছুটে আছে। দলের মধ্যে অন্যরকম এনার্জি এনে দিয়েছে আমার ছোট্ট মেয়ে। প্র্যাকটিসের পর অনেকেই আমার ঘরে ছুটে আসে। কয়েক ঘন্টা ওকে কাছে না পেলে খুব মিস করে। কেউ যদি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে তাহলে আমার ঘরে ফাতিমার সঙ্গে খেলা করে। ওকে কাছে পেলে সবাই রিল্যাক্স থাকে। কোনও বিষয়ের ওপর যেখন বেশি ফোকাস, চাপ তৈরি হয়। একজন শিশু কাছে থাকলে, সব চিন্তা দূর হয়ে যায়।Bismah Maroofs legacy will go far beyond her achievements on the field. In a society that often tells women to make choices between career and family, shes showing that you can have both! Such an inspiring person.pic.twitter.com/Vp7EB2iwKd Aatif Nawaz (@AatifNawaz) March 6, 2022ছোট্ট মেয়েকে সামলাতে কোনও সমস্যা হয়না বিসমার। মেয়ে ঘুম থেকে ওঠার আগেই প্র্যাকটিসে চলে যান। যদি কোনও দিন বিসমার প্র্যাকটিসে যাওয়ার আগেই বিসমা উঠে পড়ে, সামলানোর দায়িত্ব বিসমার মায়ের। অধিকাংশ দিনই প্র্যাকটিস থেকে ফেরার পর মেয়ের সঙ্গে দেখা হয় বিসমার। মাকে কাছে না পেলেও অস্বাভাবিক আচরণ করে না ছোট্ট ফাতিমা। তবে মা ফিরে এলে ছাড়তেই চায় না।চলতি বিশ্বকাপে বিসমা ছাড়াও আরও ৭ জন ক্রিকেটার খেলছেন, যাদের সন্তান রয়েছে। তবে পাকিস্তানী ক্রিকেটার হিসেবে তিনিই প্রথম, যিনি সন্তান জন্ম দেওয়ার পরও ক্রিকেট থেকে সরে যাননি। এই ব্যাপারে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পাকিস্তান কোচ ডেভিড হেম্প ও পাকিস্তান মহিলা ক্রিকেটের চেয়ারম্যান উরুজ মুমতাজ। ২০২১ সালের আগস্টে তিনি মা হন। তার আগেই কোচ ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মিসবা। তাঁদের কাছ থেকে দলে ফেরার আশ্বাস পেয়েছিলেন। মিসবা বলেন, বোর্ড এ ভাবে পাশে না দাঁড়ালে হয়তো ক্রিকেট ছাড়তে হত আমায়। এখন আমি মা-কে সব সময় সঙ্গে রাখি। জানি মেয়ে নিরাপদে রয়েছে। মা হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসা এক অসাধারণ অনুপ্রেরণা। গোটা বিশ্বের সমস্ত মহিলা ক্রীড়াবিদদের জন্যেই বিসমা মারুফ এক অনুপ্রেরণা।চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জেতার পর বিসমা মারুফ যখন ম্যাচ শেষে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন তখন দেখা যায় ড্রেসিংরুমের বাইরে বিসমার মেয়ের সঙ্গে খেলছেন ভারতীয় দলের সদস্যরা। কেউ গাল টিপছেন, কেউ আদর করছেন। বিসমা মারুফ এসে তাকে কোলে তুলে নেওয়ার পরও হরমনপ্রীত কউর, স্মৃতি মন্ধনা, একতা বিস্তদের দিকে হাসি হাসি মুখে চেয়ে ছিল খুদেটি। দেখেই বোঝা যাচ্ছিল তাঁকে ঘিরে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মাতামাতি বেশ উপভোগ করছেন পাক অধিনায়কের কন্যা।

মার্চ ০৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌টানা ৩ ম্যাচ জিতেই রনজি নক আউটে বাংলা

বছর দুয়েক আগে রনজি ফাইনালে উঠেও শেষরক্ষা হয়নি বাংলার। সৌরাষ্ট্রর কাছে হেরে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। করোনার জন্য মাঝে একটা মরশুম রনজি হয়নি। তাতেও যে ছন্দ নষ্ট হয়নি বাংলা শিবিরের, এই মরশুমেই প্রমাণ। টানা তিন ম্যাচ জিতে রনজি নক আউটে পৌঁছে গেল বাংলা। বরোদা, হায়দরাবাদের পর তৃতীয় ম্যাচে চণ্ডীগড়কে হারাল ১৫২ রানে। প্রথম দুই ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে নক আউটে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছিল বাংলা। হায়দরাবাদ যদি শেষ ম্যাচে বরোদার বিরুদ্ধে ৭ পয়েন্টসহ জিতত এবং বাংলা যদি চণ্ডীগড়ের কাছে হারত, তাহলেই অভিমন্যু ঈশ্বরণদের লিগ পর্ব থেকেই ছিটকে যেতে হত। সেই সুযোগ দেয়নি বাংলা শিবির। টানা ৩ ম্যাচ জিতে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে থেকে নক আউটে। চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে বাংলা তুলেছিল ৪৩৭। জবাবে ২০৬ রানে শেষ হয়ে যায় চণ্ডীগড়ের প্রথম ইনিংস। বাংলা দ৮ উইকেটে ১৮১ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করে। জয়ের জন্য ৪১৩ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় চণ্ডীগড়ের সামনে। ২৬০ রানে শেষ হয়ে যায় চণ্ডীগড়ের দ্বিতীয় ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে চণ্ডীগড়ের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন জশকরণ সিং (৬০)। অমৃত লুবানা করেন ৫৭। অধিনায়ক মনন ভোরা ৪০। বাংলার হয়ে ঈশান পোড়েল ৩টি, মুকেশ কুমার, নীলকন্ঠ দাস দুটি করে, সায়নশেখর মণ্ডল, শাহবাজ আমেদ ও অনুষ্টুপ মজুমদার ১টি করে উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা হন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। ম্যাচের পর বাংলার কোচ অরুণলাল বলেন, দুর্দান্ত জয় পেয়েছি। এই ম্যাচ না জিতলেও আমরা নক আউটে পৌঁছতাম। প্রতিটা ম্যাচেই ছেলেরা ভাল খেলেছে। বরোদার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৮৮ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পরও যেভাবে জয় পেয়েছিলাম তা ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল। সেই আত্মবিশ্বাস বাকি ম্যাচ জিততে সাহায্য করেছে। ধারাবাহিকতা দেখাতে পেরেছি। এখনই নক আউট নিয়ে ভাবছি না। বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ বলেন, প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে গ্রুপ শীর্ষে থেকে পরের পর্বে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরেও সকলে যে ভাবে জয়ের জন্য লড়াই করেছে সেটা অবিশ্বাস্য। কঠিন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ জেতা নক আউট পর্বে আমাদের সাহায্য করবে।

মার্চ ০৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

সি কে নায়ডু ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে বাংলার হয়ে দিল্লীতে খেলতে গেল বর্ধমানের প্রত্যন্ত গ্রামের যুবক 'সুমন'

ভারতে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট টুর্নামেন্ট গুলির অন্যতম সি কে নায়ডু ট্রফি। এইবছর অনুর্ধ্ব ২৫ সি কে নায়ডু টুর্নামেন্ট আগামী ১৭ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে দিল্লীতে। সেই টুর্নামেন্টে এবার বাংলা দলের হয়ে খেলার জন্য নির্বাচিত হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের যুবক সুমন দাস। এক অজ পাড়া গাঁয়ের যুবক সুমন বাংলা দলের হয়ে দিল্লীর ক্রিকেট ময়দান মাতাবে জেনে খুশি তাঁর কোচ, বাবা মা ও প্রতিবেশীরা।জামালপুর ব্লকের চকদিঘী পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত গ্রাম গুড়েঘর। সেই গ্রামের এক প্রান্তে বাড়ি বছর ২২ বয়সী যুবক সুমন দাসের। তাঁর বাবা বিপিনকৃষ্ণ দাহ হুগলীর দশঘরায় ছোটখাট একটি গহনার দোকান চালান। মা সুমিতা দাস সাধারণ গৃহবধূ। সুমনের লেখাপড়া জীবন শুরু হয় হরিপাল পানিশ্যাওলা ইন্দিরা স্মৃতি বিদ্যালয় থেকে। পরবর্তী সময়ে সিবিএসসি বোর্ডের অধীন উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে। সুমনের থেকে চার বছরের বড় দাদা শান্তনু এখন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে।ছোট বয়স থেকেই ক্রিকেট খেলার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় সুমনের। তখন থেকেই তাঁর জীবনের আইকন হয়ে ওঠে ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ও বর্তমান বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গোপাধ্যায়। বড় ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে সুমন অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরত কালেই পৌছে যায় জামালপুর নিবাসী ইস্টার্ন রেলের প্রাক্তন দক্ষ ক্রিকেট খেলোয়াড় অমল দাসের কাছে। অমল দাসের হাত ধরেই সে জামালপুরের সেলিমাবাদের মাঠে ক্রিকেটের অনুশীলন নেওয়া শুরু করে।সিএবি টিম লিস্টকিছুদিন কোচিং দেওয়ার পরেই অমল দাস বুঝে যান তাঁর ছাত্র সুমন যথেষ্টই প্রতিভা সম্পন্ন। উপযুক্ত তালিম পেলে সুমন যে ক্রিকেটের ময়দান দাপিয়ে বেড়াতে পারবে তা বুঝতে ভুল করেন নি অমল বাবু। তিনি তাঁর ছাত্র সুমনকে একজন দক্ষ ডান হাতি পেস বোলার হিসাবে গড়ে তোলার যাবতীয় প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। অমল দাসের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েই জেলা ও রাজ্য স্তরের বিভিন্ন ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ভালো পারফরমেন্স করতে শুরু করে সুমন। এবার সেই সুমনই বাংলা দলের সদস্য খেলোয়াড় হয়ে হয়ে দিল্লীর ময়দানে সি কে নায়ডু টুর্ণামেন্টে তাঁর ক্রীড়া দক্ষতা প্রকাশ ঘটাতে চলেছে বলে অমল দাস জানিয়েছেন।আত্মপ্রত্যয়ী সুমন এদিন সন্ধ্যাতেই দিল্লীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তার আগে রবিবার দুপুরে জনতার কথাকে তিনি বলেন, আমার স্বপ্ন বড় ক্রিকেটার হওয়ার। সেই স্বপ্ন পূরণের অন্যতম কাণ্ডারী আমার কোচ অমল দাস মহাশয়। উনি আমায় হাতে ধরে সফল পেস বোলার হওয়ার অনেক টিপস শিখিয়েছেন। অমল বাবুর সহযোগীতাতেই পাকাপাকি ভাবে বর্ধমানের নামজাদা ক্লাব শিবাজী সংঘের হয়ে খেলার সূযোগ পাই। মাঝে কিছু দিন প্রশিক্ষণের মাঠ নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ায় অমলবাবুর পরামর্শে কোচিং নিতে যাই ইস্টার্ন রেলের প্রাক্তন কোচ প্রদীপ মণ্ডলের চন্দননগরে ক্রিকেট এ্যাকাডেমিতে। প্রদীপ বাবুও তাঁর সর্বস্ব উজাড় করে দিয়ে আমায় বোলিং ও ব্যাটিংয়ের নানা দিক গুলি হাতে ধরে শিখিয়েছেন। কিছুদিন আগে সিএবি লিগের খেলায় কাস্টমসের হয়ে মহামেডান স্পোর্টিং এর বিরুদ্ধে খেলতে নেমে ৩৪ রান দিয়ে ৬ উইকেট পাই। তার পরেই শনিবার জানতে পারি আমি বাংলা ক্রিকেট দলের (সিএবি) হয়ে সি কে নায়ডু টুর্নামেন্টে খেলার জন্য বিবেচিত হয়েছি। সেখানে ১ মে পর্যন্ত টুর্নামেন্ট চলবে। সুমন আরো জানিয়েছে, আগামী দিনে রঞ্জী ট্রফি ও ভারতীয় ক্রিকেট দলে খেলার স্বপ্ন তার রয়েছে। সুমনের বামা ও মা জানিয়েছেন, বড় ক্রিকেটার হয়ে তাঁদের ছেলে দেশের মুখ উজ্জ্বল করুক এটা তাঁরাও চান। ঈশ্বরের কাছেও সেই প্রার্থনাই রাখছেন।

মার্চ ০৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

বিশ্বকাপে রেকর্ড বাংলার মেয়ে রিচা ও মিতালি'র, পাকিস্তানকে বিধ্বস্ত করল ভারত

ক্রিকেটে ভারতপাকিস্তান মানেই টানটান উত্তেজনা। গতবছর পুরুষদের টি২০ বিশ্বকাপে এই ছবিটা দেখা যায়নি। একপেশে ম্যাচে ভারতকে বিধ্বস্ত করেছিলেন বাবর আজমরা। বিরাট কোহলিদের সেই পরাজয়ের মধুর প্রতিশোধ নিলেন মিতালি রাজরা। মহিলাদের বিশ্বকাপের একপেশে ম্যাচে পাকিস্তানকে ১০৭ রানে উড়িয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল ভারত। একদিনের বিশ্বকাপে অভিষেক ম্যাচেই উইকেটের পেছনে পাঁচটি শিকার করে রেকর্ড গড়লেন বাংলার রিচা ঘোষ। একমাত্র মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে ৬টি বিশ্বকাপ খেলার অনন্য নজির গড়লেন ভারতের অধিনায়ক মিতালি রাজও। নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মাউঙ্গানুইতে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক মিতালি রাজ। শুরুটা ভাল হয়নি ভারতের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই আউট হন শেফালি ভার্মা (০)। এরপর স্মৃতি মান্ধানা ও দীপ্তি শর্মা জুটি দলকে টেনে নিয়ে যান। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে ৯২ রান তুলে চাপ কাটান। ৪০ রান করে বাইশতম ওভারের শেষ বলে আউট হন দীপ্তি। এরপরই ধস নামে ভারতের ইনিংসে। ২ ওভার পরেই আউট হন ওপর ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা। ৭৫ বলে তিনি করেন ৫২। স্মৃতি আউট হওয়ার পরপরই ফিরে যান হরমনপ্রীত কাউর (৫), রিচা ঘোষ (১), মিতালি রাজরা (৯)। একসময় ১১৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে যথেষ্ট চাপে পড়ে যায় ভারত। এরপর রুখে দাঁড়ান স্নেহ রানা ও পূজা বস্ত্রকার। পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে পাকিস্তান বোলারদের ছন্দ নষ্ট করে দেন। দুজনে মিলে জুটি বেঁধে তোলেন ১২৪। ৫৯ বলে ৬৭ রান করে আউট হন পূজা বস্ত্রকার। ৪৮ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন স্নেহ রানা। ৩ বলে ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন ঝুলন গোস্বামী। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ভারত তোলে ২৪৪/৭। ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের দুই ওপেনার সিদ্রা আমিন ও জাভেরিয়া খান ভারতের দুই প্রারম্ভিক বোলার ঝুলন গোস্বামী ও মেঘনা সিংয়ের আঁটোসাটো বোলিংয়ের সামনে একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি। পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তানের রান তোলার গতি খুবই মন্থর ছিল। পরের দিকে রানের গতি বাড়াতে গিয়ে রাজেশ্বরীকে উইকেট উপহার দেন জাভেরিয়া (১১)। আর পাকিস্তান অধিনায়ক বিসমা মারুফকে (১৫) তুলে নেন দীপ্তি শর্মা। ওমাইমা সোহেলকে (৫) ফেরান স্নেহ রানা। দ্বিতীয় স্পেলে বোলিং করতে এসে সিদ্রা আমিন (৩০) ও নিদা দারকে (৪) তুলে নেন ঝুলন গোস্বামী। এরপরই রাজেশ্বরীর দাপটে ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং। ৪৩ ওভারে ১৩৭ রানে গুটিয়ে পাকিস্তান। ৩১ রানে ৪ উইকেট নেন রাজেশ্বরী। ২৬ রানে ২ উইকেট নেন ঝুলন গোস্বামী। ২৭ রানে ২ উইকেট স্নেহ রানার। এদিকে, প্রথম উইকেটকিপার হিসেবে বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচেই পাঁচটি শিকার করে রেকর্ড গড়লেন রিচা শর্মা। উইকেটের পেছনে সিদ্রা আমিন, বিসমা মারুফ, নিদা দার ও নাশরা সান্ধুর ক্যাচ ধরেন। আলিয়া রিয়াজকে দুর্দান্ত স্টাম্পড করেন। অন্য কোনও ক্রিকেটারের এই নজির নেই। ৬টি বিশ্বকাপ খেলে নজির গড়েছেন মিতালি রাজও। ৫টি করে বিশ্বকাপ খেলার নজির রয়েছে নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ডেবি হকলে ও ইংল্যান্ডের শার্লট এডওয়ার্ডসের। তাঁদের রেকর্ড ভেঙে দিলেন মিতালি। মহিলা ও পুরুষ মিলিয়ে তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ৬টি বিশ্বকাপ খেলার নজির স্পর্শ করলেন। এই কৃতিত্ব রয়েছে জাভেদ মিয়াঁদাদ ও শচীন তেন্ডুলকারের।

মার্চ ০৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌কোহলির শততম টেস্টে নজর কাড়লেন জাদেজা, স্পর্শ করলেন ৬০ বছরের পুরনো রেকর্ড

ভারত-শ্রীলঙ্কা মোহালি টেস্টে সকলের নজর ছিল বিরাট কোহলির দিকে। এটাই ছিল কোহলির শততম টেস্ট। মাইলস্টোনের ম্যাচে প্রাক্তন অধিনায়কের ব্যাটে স্মরনীয় কিছু দেখতে চেয়েছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। শততম টেস্টে মাত্র ১ ইনিংস ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিলেন কোহলি। হাফসেঞ্চুরিও করতে পারেননি। যাবতীয় নজর কেড়ে নিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। স্পর্শ করলেন ভারতীয় ক্রিকেটের ৬০ বছরের পুরনো রেকর্ড। তাঁর দাপটেই তিনদিনের কম সময়ে শ্রীলঙ্কাকে ইনিংস ও ২২২ রানে হারিয়ে টেস্ট সিরিজে ১০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৫৭৪ রান তুলে ইনিংস সমাপ্তি ঘোষণা করেছিল ভারত। রবীন্দ্র জাদেজা ১৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। জবাবে দ্বিতীয় দিনের শেষে শ্রীলঙ্কা তোলে ৪ উইকেটে ১০৮ রান। পাথুম নিসাঙ্কা ২৬ ও চরিথ আসালঙ্কা ১ রানে ক্রিজে ছিলেন। এদিন দলের ১৬১ রানের মাথায় আসালঙ্কাকে (২৯) তুলে নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ধাক্কা দেন যশপ্রীত বুমরা। দুওভার পরেই নিরোসান ডিকওয়েলাকে (২) তুলে নেন রবীন্দ্র জাদেজা। একই ওভারে ফেরান সুরঙ্গা লাকমলকে (০)। লাকমল ফেরার পরপরই পরিস্কার হয়ে যায় যে, বেশিদুর এগোতে পারবে না শ্রীলঙ্কা। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির কিছুক্ষণ আগেই ১৭৪ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। পাথুম নিসাঙ্কা একা লড়াই করে ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন। ভারতের হয়ে বুমরা ও অশ্বিন ২টি করে উইকেট নেন। ব্যাট হাতে সাফল্যের পর বল হাতেও দু্র্দান্ত মুন্সিয়ানা দেখিয়ে ৪১ রানে ৫ উইকেট তুলে নেন রবীন্দ্র জাদেজা। ৬০ বছর পরে ভারতীয় ক্রিকেটে অনন্য নজির গড়লেন রবীন্দ্র জাদেজা। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ১৭৫ রান করেন তিনি। বল হাতে শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে ৪১ রানে ৫ উইকেট তুলে নেন। পর পর দুবলে বিশ্ব ফার্নান্ডো ও লাহিরু কুমারাকে আউট করে পাঁচ বছর পরে ফের টেস্টে এক ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন জাদেজা। একই টেস্টে ১৫০র বেশি রান ও ৫ উইকেটের কৃতিত্ব এর আগে রয়েছে দুই ভারতীয়র। ১৯৫২ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভিনু মানকড় এক টেস্টে করেছিলেন ১৮৪ রান ও বল হাতে ১৯৬ রানে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। তার ১০ বছর পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পলি উমরিগড় এক টেস্টে ১৭২ রান করেছিলেন ও ১০৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন। ভারতীয় হিসেবে রবীন্দ্র জাদেজা এই তালিকায় তৃতীয় ক্রিকেটার যিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন। ভারতীয়রা ছাড়া এই তালিকায় রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডেনিস অ্যাটকিনসন, গ্যারি সোবার্স ও পাকিস্তানের মুস্তাক মহম্মদ। প্রথম ইনিংসে ৪০০ রানে এগিয়ে যাওয়ায় শ্রীলঙ্কাকে ফলোঅন করায় ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসেও সেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় ওভারেই হারায় লাহিরু থিরিমানেকে (০)। তাঁকে তুলে নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সেই ধাক্কা আর সামলাতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে লড়াই করা পাথুম নিসাঙ্কা করনে মাত্র ৬ রান। তিনিও অশ্বিনের শিকার। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬০ ওভারে ১৭৮ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। নিরোসান ডিকওয়েলা ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ করেন ২৮, ধনঞ্জয় ডিসিলভা ৩০, আসালঙ্কা ২০। ভারতের হয়ে অশ্বিন ৪৭ রানে ৪টি ও জাদেজা ৪৬ রানে ৪টি উইকেট নেন। এদিন কপিলদেবের ৪৩১ টেস্ট উইকেটের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন অশ্বিন।

মার্চ ০৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌প্রথম টেস্টে চালকের আসনে ভারত, আবার বিতর্কে দ্রাবিড়

মোহালিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে দ্বিতীয় দিনেই চালকের আসনে ভারত। এদিন চা বিরতির পর ৮ উইকেটে ৫৭৪ রান তুলে ইনিংস সমাপ্তি ঘোষণা করেন রোহিত শর্মা। দুরন্ত ব্যাটিং রবীন্দ্র জাদেজার। ১৭৫ রানে অপরাজিত রইলেন তিনি। জবাবে দিনের শেষে ৪ উইকেটে ১০৮ রান। ভারতের ইনিংস ডিক্লেয়ার নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিতর্কে আবার নাম জড়িয়েছে হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের। তাঁর জন্যই নাকি দ্বিশতরান হাতছাড়া হয়েছে রবীন্দ্র জাদেজার।এদিন মোহালিতে ফিরে এল ২০০৪ সালে ২৯ মার্চের স্মৃতি। মুলতানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই টেস্টে ভারতের নেতৃত্বে ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। দ্বিতীয় দিন চা বিরতির সময় ভরতের রান ছিল ৫৮৮/৪। শচীন তেন্ডুলকার ১৬৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। চা বিরতির পর ৩৫ বলে ২৯ রান করার পরেও শচীনকে দ্বিশতরান করার সুযোগ দেননি অধিনায়ক দ্রাবিড়। যুবরাজ আউট হতেই ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেন। দ্রাবিড়। শচীন তখন ১৯৪ রানে অপরাজিত। দ্রাবিড় এখন ভারতের কোচ। এদিন জাদেজা যেভাবে ব্যাট করছিলেন, সেঞ্চুরি করতে বেশিক্ষণ সময় লাগত না। কিন্তু ভারতীয় থিঙ্কট্যাঙ্ক অপেক্ষা করেনি। ইনিংস ডিক্লেয়ারের সিদ্ধান্ত দ্রাবিড়ের মস্তিষ্কপ্রসূত। শচীন ও জাদেজার দ্বিশতরান থেকে বঞ্চিত হওয়ার নেপথ্যে থেকে গেলেন সেই রাহুল দ্রাবিড়। ১৮ বছর আগে তিনি ছিলেন অধিনায়ক আর এখন কোচ।আগের দিন ২২৮ রানের মাথায় ভারতের পঞ্চম উইকেট পড়েছিল। শ্রেয়স আয়ার ২৭ রানে আউট হওয়ার পর ঋষভ পন্থের সঙ্গে জুটি বাঁধেন রবীন্দ্র জাদেজা। দুজনের জুটিতে ওঠে ১০৪ রান। জাদেজাঅশ্বিন জুটিতে ওঠে ১৩০। ৬১ রান করে আউট হন অশ্বিন। ভারতের অষ্টম উইকেট পড়ে ৪৭১ রানের মাথায়। মাত্র ২ রান করে আউট হন জয়ন্ত যাদব। জাদেজামহম্মদ সামির নবম উইকেট জুটিতে ওঠে ১০৩। জাদেজা সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১৬০ বলে। ১৫০ রানে পৌঁছান ২১১ বলে। সামি ৩৪ বল খেলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। রবীন্দ্র জাদেজা অপরাজিত থাকেন ১৭৫ রানে। খেলেন ২২৮ বল। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ১৭টি চার ও ৩টি ছয়।চা বিরতির পর ইনিংস শুরু করে শ্রীলঙ্কা। ৪৮ রানে প্রথম উইকেট হারায়। লাহিরু থিরিমানেকে তুলে নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। থিরিমানে ৬০ বলে ১৭ রান করেন। করুণারত্নে ৭১ বলে ২৮ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার শিকার। ৩৯ বলে ২২ রান করে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ যসপ্রীত বুমরার বলে লেগ বিফোর হন।অশ্বিন ১৩ ওভারে ২১ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। রবীন্দ্র জাদেজা ৩০ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট। যশপ্রীত বুমরা ২০ রান দিয়ে ১টি উইকেট দখল করেছেন।

মার্চ ০৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

অভিমন্যু ঈশ্বরণদের সাম্প্রতিক ফর্ম আশা জাগাচ্ছে রনজিতে, টানা তৃতীয় জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলা

বছর দুয়েক আগে তীরে এসে তরী ডুবেছিল বাংলার। রনজি ফাইনালে উঠেও শেষরক্ষা হয়নি। সৌরাষ্ট্রের কাছে কাছে হেরে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল বাংলাকে। এবছর চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে কিনা, সময়ই বলবে। তবে অভিমন্যু ঈশ্বরণদের সাম্প্রতিক ফর্ম দেখে আশাবাদী হতেই পারেন বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা। বরোদা ও হায়দরাবাদকে প্রথম দুই ম্যাচে হারানোর পর চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধেও চালকের আসনে বাংলা। বাংলার ৪৩৭ রানের জবাবে চণ্ডীগড় প্রথম ইনিংসে শেষ ২০৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ১৮১ ইনিংস সমাপ্তি ঘোষণা করে বাংলা। জয়ের জন্য ৪১২ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে চণ্ডীগড় তুলেছে ১৪/২।প্রথম ইনিংসে ২৩১ রানে এগিয়ে যায় বাংলা। সুযোগ ছিল চণ্ডীগড়কে ফলোঅন করানোর। সেই রাস্তায় হাঁটেনি বাংলা। ব্যাটারদের প্র্যাকটিসের সুযোগ দিকেই আবার ব্যাট করতে নামে। প্রথম ইনিংসে চণ্ডীগড় যে বেশিক্ষণ লড়াই করতে পারবে না, দ্বিতীয় দিনের শেষেই ছবিটা পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল। ৬ উইকেটে ১৩৩ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল। অঙ্কিত কৌশিক ৩০ রানে ও গৌরব গম্ভীর ১১ রানে ক্রিজে ছিলেন। গৌরভ গম্ভীরকে (১৩) দিনের শুরুতেই তুলে নেন মুকেশ কুমার। দলের ২০৬ রানের মাথায় ঈশান পোড়েলের বলে অঙ্কিত কৌশিক আউট হন। তিনি করেন ৬৩। একই ওভারে শ্রেষ্ঠ নির্মোহিকে (০) তুলে নেন ঈশান। জশকরণদীপ সিংকে (৩১) তুলে নিয়ে চণ্ডীগড়কে ২০৬ রানে গুটিয়ে দেন শাহবাজ আমেদ। বাংলার হয়ে নীলকন্ঠ দাস ৩টি, মুকেশ কুমার, ঈশান পেড়েল ও সায়নশেখর মণ্ডল ২টি করে উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলা। নবম ওভারেই ফিরে যান অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন। তিনি মাত্র ১৪ রান করে আউট হন। বাংলার রান তখন ১৮। আর এক ওপেনার সুদীপ ঘরামি (১৩), তিন নম্বরে নামা ঋত্বিক রায়চৌধুরীও (৬) ব্যর্থ। ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলা। মনোজ তেওয়ারিও(১৩) রান পাননি। অনুস্টুপ মজুমদার (৪৩) কিছুটা লড়াই করেন। ১২০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলা। অভিষেক পোড়েল (৩৮) ও শাহবাজ আমেদ (৩২) কিছুটা লড়াই করেন। ৮ উইকেটে ১৮১ তুলে দ্বিতীয় ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করে বাংলা। জয়ের জন্য ৪১২ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে চণ্ডীগড়ও শুরুতে ধাক্কা খায়। সপ্তম ওভারে আর্সলান খানকে (৪) তুলে নেন মুকেশ কুমার। আর এক ওপেনার হারনুর সিংকে (১০) ফেরান ঈশান পোড়েল। দিনের শেষে চন্ডীগড় ২ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৪। শেষদিনে জয়ের জন্য বাংলার প্রয়োজন ৮ উইকেট।

মার্চ ০৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

সেঞ্চুরি হাতছাড়া সায়নশেখরের, টানা ৩ ম্যাচ জয়ের পথে বাংলা

এবছর রনজি ট্রফিতে দুরন্ত ছন্দে বাংলা। প্রথম দুটি ম্যাচে বরোদা ও হায়দরাবাদকে হারানোর পর চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধেও জয়ের পথে অভিমন্যু ঈশ্বরণরা। দ্বিতীয় দিনের শেষে চালকের আসনে বাংলা। বাংলার প্রথম ইনিংসে ৪৩৭ রানের জবাবে চণ্ডীগড় তুলেছে ৬ উইকেটে ১৩৩। এখনও পর্যন্ত ৩০৪ রানে পিছিয়ে রয়েছে চণ্ডীগড়। প্রথম দিনের ৩২৯/৬ রান হাতে নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলা। আগের দিন মনোজ তেওয়ারি ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন। এদিন মাত্র ১১ রান যোগ করে তিনি আউট হন। মনোজ যখন আউট হন, বাংলার রান ৩৫০/৭। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান সায়নশেখর মণ্ডল ও মুকেশ কুমার। জুটিতে ওঠে ৭২ রান। এই জুটিই বাংলাকে ৪০০ রানের গন্ডি পার করে দেন। ২৮ রান করে গুরিন্দার সিংয়ের বলে আউট হন মুকেশ কুমার। পরের বলেই ফেরেন ঈশান পোড়েল (০)। নীলকন্ঠ দাসও (১) বেশিক্ষণ ক্রিজে কাটাতে পারেননি। ফলে সঙ্গীর অভাবে সেঞ্চুরি অধরা থেকে যায় সায়নশেখর মণ্ডলের। ১৪২ বলে ৯৭ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। ৪৩৭ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলার ইনিংস। সেঞ্চুরি হাতছাড়া হলেও আক্ষেপ নেই সায়নশেখরের। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি চণ্ডীগড়ের। পঞ্চম ওভারে মুকেশ কুমারের বলে বোল্ড হন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলে আসা হার্নুর সিং (১৫)। এরপর চণ্ডীগড়কে টেনে নিয়ে যান অধিনায়ক মনন ভোরা ও আর্সলান খান। দুজনে ৫০ রানের জুটি গড়ে তোলেন। ১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানো চণ্ডীগড় ১০৫ রানের মাথায় হারায় ষষ্ঠ উইকেট। ৯৭ রানে পড়েছিল চতুর্থ উইকেটটি। মনন ৩৫, অমৃত লাল লুবানা ১০, জসকরন সোহি শূন্য ও গুরিন্দর সিং ৪ রানে আউট হন। অঙ্কিত কৌশিক ৩০ ও গৌরব গম্ভীর ১১ রানে অপরাজিত রয়েছেন। নীলকণ্ঠ দাস ১৪ ওভারে ৪টি মেডেন-সহ ২৫ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট দখল করেন। সায়নশেখর মণ্ডল ১০ রান দিয়ে ২টি উইকেট পান। মুকেশ কুমার পেয়েছেন ১টি উইকেট।

মার্চ ০৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌শততম টেস্টে বড় রান করতে ব্যর্থ কোহলি, পন্থের দাপটে ভারত ভাল জায়গায়

টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে রোহিত শর্মার প্রথম টেস্ট। মাইলস্টোনের ম্যাচ বিরাট কোহলিরও। মোহালিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জীবনের শততম টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন কোহলি। মাইলস্টোনের ম্যাচে অনেকেই কোহলির কাছ থেকে সেঞ্চুরি প্রত্যাশা করেছিলেন। তাঁর ভক্তদের হতাশ করলেন কোহলি। শততম টেস্টে বড় রান করতে ব্যর্থ। অধিনায়ক রোহিত শর্মাও নিজেকে মেলে ধরতে পারলেন না। তা সত্ত্বেও প্রথম দিনের শেষে বড় রান ভারতের। ৬ উইকেটে তুলল ৩৫৭। সৌজন্যে ঋষভ পন্থ। যদিএ ধৈর্য হারিয়ে মাত্র ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি পেলেন না ভারতীয় দলের এই উইকেটকিপার ব্যাটার। মোহালিতে আইএস বিন্দ্রা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। ভাল শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও রোহিত শর্মা। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৫২। এরপরই লাহিরু কুমারার বলে আউট হন রোহিত (২৯)। লোকেশ রাহুলের পরিবর্তে ওপেন করতে নামা মায়াঙ্ক আগরওয়াল ৩৩ রান করে এমবুলদেনিয়ার বলে লেগ বিফোর আউট হন। ৮০ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন ভারতের দুই ওপেনার।চেতেশ্বর পুজারার বিকল্প হিসেবে হনুমা বিহারিকে তিন নম্বরে সুযোগ দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। সুযোগের সদব্যবহার করলেন হনুমা। কোহলির সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে টেনে নিয়ে যান। জুটিতে ওঠে ৯০। শততম টেস্টে কোহলির দিকে তাকিয়েছিলেন সকলেই। অনেকেই ভেবেছিলেন, দীর্ঘদিন বড় রান না পাওয়া কোহলি ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জ্বলে উঠবেন। ভাল শুরু করেও শেষরক্ষা করতে পারেননি। এমবুলদেনিয়ার স্পিনে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হন কোহলি। ৭৬ বলে তিনি করেন ৪৫। এদিন টেস্ট ক্রিকেটে ৮০০০ রান পূর্ণ করেন তিনি। কোহলি যখন আউট হন ভারতের রান ১৭০। কোহলি আউট হওয়ার পরপরই ফেরেন হনুমা বিহারি। তিনি করেন ৫৮। শ্রেয়স আয়ারও (২৭) বড় রান পাননি।Listen in to what Virat Kohli has to say on his playing his landmark Test today. @Paytm #INDvSL | @imVkohli pic.twitter.com/MAtUcgJcVo BCCI (@BCCI) March 4, 2022৫ নম্বরে ক্রিজে নেমে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে ব্যাট করতে থাকেন ঋষভ পন্থ। ৭৩ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। এরপর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। লসিথ এমবুলদেনিয়ার ১ ওভারে নেন ২২। ম্যাচের দ্বিতীয় নতুন বলে সুরঙ্গা লাকমলের ওভারে বোল্ড হন ঋষভ। ৯টি ৪ ও ৪টি ৬য়ের সাহায্যে ৯৭ বলে ৯৬ রান করে ঋষভ। রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে জুটিতে তোলেন ১০৪। এই নিয়ে ৫ বার নব্বইয়ের ঘরে আউট হলেন ঋষভ। দিনের শেষে ভারত ৮৫ ওভারে তোলে ৩৫৭/৬। রবীন্দ্র জাদেজা ৪৫ ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন ১০ রানে ক্রিজে রয়েছেন।

মার্চ ০৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌শততম টেস্টের মাইলস্টোনের সামনে দাঁড়িয়ে এ কী কথা বললেন কোহলি!‌

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেই খেলা হয়ে যেত জীবনের শততম টেস্ট। চোটের জন্য সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট থেকে সরে দাঁড়ানোয় মাইলস্টোনে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি বিরাট কোহলির। অবশেষে শুক্রবার মোহালিতে আসছে সেই স্মরণীয় মুহূর্ত। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলতে নামছেন জীবনের শততম টেস্ট। ক্রিকেটজীবনের এই মাইলস্টোনের সামনে এসে দাঁড়িয়ে আপ্লুত কোহলি। অপেক্ষায় রয়েছেন কখন আসবে সেই সোনালী মুহূর্ত।জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানোর দিনও কোহলি ভাবেননি দেশের হয়ে ১০০ টেস্ট খেলতে পারবেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ওয়েবসাইটে এক সাক্ষাৎকারে কোহলি বলেন, দেশের হয়ে খেলাটাই আমার কাছে স্বপ্ন ছিল। ভাবিনি কোনও দিন ১০০ টেস্ট খেলতে পারব। ঈশ্বরের আশীর্বাদ থাকায় খেলতে পারছি। শততম টেস্ট যে শেষ পর্যন্ত খেলতে পারছি, তার জন্য আমি আপ্লুত। নিজের ফিটনেসের ওপর জোর দিয়েছি। এটা আমার পরিবার, কোচের কাছে গর্বের মুহূর্ত। প্রত্যেকে আমার জন্য খুশি এবং গর্বিত। কোহলি আরও বলেন, কী পাব, কী পাব না, তা নিয়ে কখনও ভাবিনি। সামনে যে সুযোগ এসেছে, সেটাই কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। বরাবরই লক্ষ্য থাকত বড় রান করার। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার আগে জুনিয়র ক্রিকেটে আমার ৭৮টা প্রচুর দ্বিশতরান ছিল। কখনও ছোট ইনিংস খেলার কথা ভাবিনি, যত বেশি সময় সম্ভব ব্যাট করতে চাইতাম। টেস্ট ক্রিকেটকেই আসল ক্রিকেট মনে করেন কোহলি। তাঁর মতে, ক্রিকেটারের দক্ষতা, প্রতিভার বিচার হয় টেস্ট ক্রিকেটেই। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরির কথা আজও চোখের সামনে ভাসছে কোহলির। তাঁর কথায়, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওদের মাটিতেই প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলাম। ওই দিনটারস কথা আমার কাছে সারাজীবন মনে থাকবে। আমার মতো একজন তরুণ ক্রিকেটারকে ওই সেঞ্চুরি অনেকটাই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল। ওই টেস্টের পর থেকেই আমি খেলায় আরও উন্নতি করতে শুরু করি। আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায়। টেস্ট ক্রিকেট খেলার জন্য অনেক পরিশ্রমও করতে হয়েছে বলে দাবি করেন কোহলি। তাঁর কথায়, হঠাৎ করে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে শুরু করিনি। এরজন্য আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। টেস্ট ক্রিকেট বাঁচিয়ে খেলাটাকে উপভোগ্য করে তোলার চেষ্টা করেছি বরাবর। টেস্ট ক্রিকেটের জন্য নিজের আত্মা এবং হৃদয় সমর্পণ করেছি।

মার্চ ০৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকের আগে কেন চাপে নেই রোহিত?‌

সাদা বলের ক্রিকেটে দুরন্ত ছন্দে রয়েছে ভারত। টি২০ ক্রিকেটে টানা তিনটি সিরিজ জিতেছে রোহিত শর্মার দল। গত বছরের শেষে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ দিয়ে শুরু। কিউয়িদের হোয়াইট ওয়াশ করার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও ৩০ ব্যবধানে জয়। মাঝে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও একদিনের সিরিজ জিতেছে ভারত। তবে ছন্দপতন লালবলের ক্রিকেটে। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে সিরিজ হারতে হয়েছে ভারতকে। ঘরের মাঠে সামনে এবার শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া রোহিত শর্মার দল।দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টেস্ট সিরিজে হেরে আইসিসির বিশ্ব টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে ভারত। পয়েন্টের পার্সেন্টেজের বিচারে রয়েছে পঞ্চম স্থানে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২০ ব্যবধানে না জিতলে আরও পিছিয়ে পড়তে হবে। ফাইনালে ওঠার জন্য ভারতের সামনে রয়েছে ৯টি টেস্ট। এই ৯টি টেস্টেই জেতার চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। অন্যদিকে, টি২০ সিরিজে বিধ্বস্ত হওয়ার পর টেস্ট সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া। গতবছর ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুই টেস্টের সিরিজ ১০ ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। তারপর ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান বিরাট কোহলিরা। প্রথম টেস্ট জিতে ইতিহাস তৈরির সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর সিরিজ জেতা হয়নি। বাকি দুটি টেস্টে জিতে সিরিজ জেতে প্রোটিয়ারা। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অভিষেক হতে চলেছে রোহিতের। তাঁর লক্ষ্য অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্টে ছাপ রাখতে। তবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শুধু দুটি টেস্টই নয়, লক্ষ্য সব টেস্ট জেতা। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্টে খেলতে নামার আগে চাপে নেই হিটম্যান রোহিত। দলের ওপর ভরসা করছেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয় ছাড়া কিছু ভাবছেন না ভারতীয় দলের অধিনায়ক। তিনি বলেন, দল হিসেবে আমরা খুব ভাল জায়গায় আছি। এরজন্য বিরাটকে কৃতিত্ব দিতে হবে। ক্যাপ্টেন হিসেবে দলটা তৈরি করেছে। ওর সাফল্যকে ধরে রেখে আমাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আমি শুধু জয়ের কথা ভাবছি।দীর্ঘদিন পর চেতেশ্বর পুজারা ও অজিঙ্কা রাহানেকে ছাড়াই খেলতে নামবে ভারত। এই দুই ব্যাটারের জায়গা সহজে ভরাট হবে না বলে মনে করছেন রোহিত। তাঁর কথায়, পুজারা, রাহানের পরিবর্ত যারাই দলে আসুক তাদের কাজটা সহজ হবে না। দলের জন্য রাহানে ও পুজারার অবদান কখনও ভোলার নয়। দলকে প্রচুর ম্যাচে জিতিয়েছে। ভারতকে ১ নম্বর টেস্ট দল করার পেছনে ওদের বড় অবদান রয়েছে। চেতেশ্বর পুজরার জায়গায় তিন নম্বরে শ্রেয়স আয়ারের খেলার সম্ভাবনা বেশি। অন্যদিকে রাহানের জায়গায় হনুমা বিহারি কিংবা শুভমান গিলের মধ্যে একজন। এছাড়া দীর্ঘদিন পর আবার টেস্ট ম্যাচে মাঠে নামতে চলেছেন রবীন্দ্র জাদেজা।

মার্চ ০৩, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 23
  • 24
  • ›

ট্রেন্ডিং

খেলার দুনিয়া

মান্ধানার রেকর্ডে কাঁপল বিশ্ব! ফাইনালে কি লেখা হবে নতুন ইতিহাস?

মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়াম যেন অপেক্ষা করছে ইতিহাসের জন্মের সাক্ষী হওয়ার। গ্যালারিতে ঢেউ তুলছে নীল সাগর। কোটি ভারতবাসীর নিশ্বাস যেন একসঙ্গে আটকে। কারণ, মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্য ২৯৯ রান ছুঁড়ে দিয়েছে ভারত। ৩০০-এর দোরগোড়াহাতের নাগালেই ছিল। কিন্তু যেই দুই ব্যাটারকে দেখার অপেক্ষায় ছিল সমর্থকেরা, সেই স্মৃতি মান্ধানা আর হরমনপ্রীতের ব্যাট আজ বড় কিছু লিখতে পারল না।সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮৯ রানের ইনিংসে আগুন ঝরিয়েছিলেন নকআউট কুইন হরমনপ্রীত। আজ ফাইনালে এসে থেমে গেলেন ২০ রানে। দুইটি বাউন্ডারি মারলেও নিজের সেরাটুকু দেখাতে পারলেন না অধিনায়ক। ফ্যানদের আশাহতাশার মিশেল রয়ে গেল মাঠ জুড়ে।তবু ভারতীয় ক্রিকেটের অন্য নক্ষত্র জ্বলল উজ্জ্বল আলোয়। স্মৃতি মান্ধানা ফাইনালে করলেন ৫৮ বলে ৪৫ রানহ্যাঁ, হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া। কিন্তু সেই সঙ্গেই গড়লেন এক বিশাল রেকর্ড। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ইতিহাসে এক সংস্করণে সর্বাধিক রান করার নজির ভাঙলেন তিনি। মিতালি রাজের ২০১৭ সালের ৪০৯ রানকে টপকে স্মৃতির সংগ্রহ এখন ৪৩৪।মান্ধানাশেফালি জুটি দারুণ ছন্দে এগোচ্ছিল। ১৭তম ওভারেই এল ভাঙন। ক্লোয়ি ট্রায়নের বল তুলে দিয়ে ক্যাচ ফিরিয়ে দিলেন ভারতীয় ওপেনার। আর ৩৮তম ওভারে ফিরে যান হরমনপ্রীত। দুজনই যদি আর কিছুক্ষণ উইকেটে দাঁড়াতে পারতেনস্টেডিয়ামের স্কোরবোর্ড হয়তো অন্য গল্প বলত।কিন্তু এখনও সব শেষ নয়। ভারতীয় স্পিন, দর্শকদের গর্জন, আর মাঠজুড়ে নীল আকাশএই তিন শক্তি কি এনে দেবে প্রথম নারী বিশ্বকাপ? চোখ রাখল ভারত।আজ রাতেই উত্তর।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

নীলে রাঙা দেশ! বিশ্বকাপফাইনালে শেফালি–ঝড়, ২৯৮ রান তুলে ইতিহাসের দোরগোড়ায় ভারত

ভারতের আকাশ আজ নীলের উৎসবে ঢেকে। নবি মুম্বইয়ের ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের মহারণে নামতেই যেন বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ল আবেগ। সেই বৃষ্টি ধুয়ে দিল শুধু মাটি নয়, যেন দেশের কোটি স্বপ্নকে। কারণ, আজ ইতিহাস লেখা সম্ভব উইমেন ইন ব্লু-র। হরমনপ্রীত কৌরদের কাঁধে ভারতীয় ক্রিকেটের অপূর্ণতা মুছার দায়িত্ব। আর ব্যাট হাতে সেই পথে বড় পদক্ষেপই রাখল ভারত।প্রথমে ব্যাট করে ভারত থামল ২৯৮ রানে। ৭ উইকেট হারিয়ে তোলা এই রানকে কি বিশ্বজয়ের রান বলা যায়? দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটারদের সাহসী ইনিংস, দর্শকদের গর্জন, আর মাঠজুড়ে নীল আবেগসব মিলিয়ে দিনটা ইতিহাসের পাতায় ওঠার অপেক্ষায়।ইনিংসের শুরুতেই স্মৃতি মন্ধানা ও শেফালি বর্মার ব্যাটে নজর কাড়া সূচনা। বৃষ্টিভেজা উইকেটে সতর্ক শুরু হলেও শিগগিরই বদলে গেল রঙ। বড় শট, নির্ভয়ে রান রোটেশনদুটিতেই সামনে শেফালি। এক সময় সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে পড়লেও শেষে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৮৭ রানে। কী দারুণ ইনিংস! তিন বছর ধরে ওয়ানডেতে হাফসেঞ্চুরি নেইএ কথা ভুলিয়ে দিলেন বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে। বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও প্রথমে জায়গা ছিল নাএকেবারে সিনেমার চিত্রনাট্য।স্মৃতি মন্ধানা ৪৫ রানে আউট হন। জেমাইমা রদ্রিগেসের ২৪ রান, অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের ২০যেখানে সবাই শুরু করেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি, সেখানে দুই ভারতীয় ভরসা দীপ্তি শর্মা ও রিচা ঘোষ সামলালেন ইনিংস। দীপ্তির অর্ধশতরান, আর রিচার দাপুটে ২৪ বলে ৩৪ রানে ভারত ৩০০ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। কয়েকটা শট আর সাহসে হয়তো ২৫-৩০ রান আরও বাড়ানো যেতসেটা নিয়েই এখন আলোচনা।এখন প্রশ্ন একটাইএই রান কি যথেষ্ট? স্পিন বোলিং আর দর্শকদের গর্জন কি দেশকে এনে দেবে প্রথম নারী বিশ্বকাপ? দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বলেই দিয়েছিলেন, এই পিচে রান তাড়া সহজ। তাই ম্যাচ এখন পুরোপুরি বোলারদের হাতে।স্টেডিয়ামের শব্দঅর্কেস্ট্রা, নীল পতাকার ঢেউ এবং লক্ষ মুখে একটাই ডাকচলো মেয়েরা! রোহিতবিরাটদের অসম্পূর্ণ গল্প কি এবার মেয়েরাই পূর্ণ করবেন?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

স্বপ্নভঙ্গের দাগ এখনও টাটকা! ফাইনালের আগে হরমনদের পাশে দাঁড়ালেন কোহলি-বুমরাহ-সূর্য

দুই বছর আগে ঠিক এই মঞ্চেই স্বপ্ন ভেঙেছিল ভারতীয় মহিলাদের। বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠে ট্রফি ছোঁয়ার এতটা কাছে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছিল খালি হাতে। সেই ব্যথা এখনও জাগ্রত। তাই ২০২৫এর আরেক মহাযুদ্ধের আগে হরমনপ্রীত কৌরদের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। সেই সঙ্গে পাশে দাঁড়িয়ে গেলেন ভারতীয় পুরুষ দলের তারকারাও। কোহলি, সূর্যকুমার যাদব থেকে শুরু করে জশপ্রীত বুমরাহসবাই একসুরে জানিয়ে দিলেন, ভয় নেই, এগিয়ে যাও।ফাইনাল ম্যাচের আগে BCCIর প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা গেল গৌতম গম্ভীরকে। শান্ত অথচ দৃঢ় কণ্ঠে গম্ভীর বললেন, ভারতীয় ক্রিকেট পরিবার ধন্যবাদ জানাচ্ছে মেয়েদের। তিনি বলেন, ফাইনাল উপভোগ করো, সাহসিকতার সঙ্গে খেলো। ভুল করলেও ভয় পেয়ো না। তোমরা ইতিমধ্যেই দেশকে গর্বিত করেছ। গম্ভীরের বার্তায় স্পষ্টচাপ নয়, আনন্দই দিক নির্দেশ করবে।অন্যদিকে বিরাট কোহলি ও সূর্যকুমার যাদবও বার্তা পাঠিয়েছেন। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার জন্য মহিলা দলের প্রশংসা করেছেন তাঁরা। সূর্য বলেছেন, নিজেদের মত করে খেলে যাও, টুর্নামেন্ট জুড়ে তোমরা অসাধারণ খেলেছ। এমনকি জশপ্রীত বুমরাহর কথায়ও একই সুর। অস্ট্রেলিয়া থেকে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, জীবনে অনেক ফাইনাল আসে না, তাই বাড়তি চাপ না নিয়ে নিজের সেরাটা দাও। নিজের খেলায় বিশ্বাস রাখো। ফল ঠিকই আসবে।২০১৭তে মিতালি রাজের দল, এরপর ২০২৩এ রোহিত শর্মাদের স্বপ্নভঙ্গভারতীয় পুরুষ ও মহিলা দল দুইই ফাইনালের যন্ত্রণা চেনেন। কিন্তু এবার প্রত্যাশা ভরা চোখে মানুষ অপেক্ষা করছে নতুন ইতিহাসের জন্য। ভারতীয় ক্রিকেটাররাও বিশ্বাস রাখছেন, হরমনপ্রীতস্মৃতিরিচাদের হাতেই এবার বিশ্বজয়ের গল্প লেখা হবে।দেশজুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। প্রত্যেক ভারতীয়র মনে একই প্রার্থনাএবার ট্রফি ফিরেই আসুক দেশের মাটিতে।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

নবি মুম্বইয়ে বৃষ্টি, ফাইনাল কি পিছিয়ে যাবে? দুশ্চিন্তায় ক্রিকেটপ্রেমীরা

ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে হরমনপ্রীত কৌরদের ভারত। নবি মুম্বইয়ের মাঠে আজই হওয়ার কথা ছিল বিশ্বজয়ের লড়াই। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু এমন উত্তেজনার দিনে ভাগ্য যেন একটু খারাপই খেলল টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে। দুপুর গড়াতেই নামল মৌসুমবহির্ভূত বৃষ্টি, আর সেই সঙ্গে থমকাল মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপের মহারণ।ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্রমাগত বৃষ্টি নামায় টস পর্যন্ত হয়নি। গ্যালারিতে বসা দর্শক থেকে শুরু করে টিভির সামনে বসা ক্রিকেটপ্রেমীরাসবাই এখন শুধু অপেক্ষা করছেন আকাশ পরিষ্কার হওয়ার।এখন প্রশ্ন একটাইযদি বৃষ্টি কমেই না? তবে কি বিশ্বকাপ ফাইনাল মাঠেই নামবে না? ভারতীয় সমর্থকদের মনে তাই উৎকণ্ঠা, আর চোখ ঝুলছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচ আজই শেষ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা হবে। প্রয়োজন হলে দুদলের ওভার কমিয়ে দেওয়া হবে। একই দিনে ফলাফল করতে হলে কমপক্ষে ২০ ওভার করে খেলতেই হবে দুদলকে। যদি বৃষ্টি সেই সুযোগও না দেয়, তবে প্রস্তুত আছে রিজার্ভ ডে।আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার রাখা হয়েছে চূড়ান্ত দিন। যদি আজ ম্যাচ অসম্পূর্ণ থাকে, সেখান থেকেই কাল আবার খেলা শুরু হবে। তবে যদি এক বলও না গড়ায় আজ, সোমবার পুরো ৫০ ওভারের নতুন ম্যাচ আয়োজনের সম্ভাবনাও রয়েছে। এই মুহূর্তে তাই ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের একটাই আশাআকাশটা একটু পরিষ্কার হোক, আর বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা যাক হরমনপ্রীত কৌরদের দাপট। সেমিতে দুরন্ত ফর্মে থাকা রিচা ঘোষ, স্মৃতি মন্ধানা, শেফালিসবাই প্রস্তুত ইতিহাস লেখার জন্য। বাকি শুধু মাঠে নামা।এদিকে স্টেডিয়ামের ছাদেও ঠাসা উত্তেজনা। কেউ মন্ত্রজপ করছেন, কেউ মোবাইলে আবহাওয়া আপডেট দেখছেন, আবার কেউ পতাকা হাতে বৃষ্টি থামার অপেক্ষায়। বিশ্বকাপের দিনই যদি বৃষ্টি আসে, তা কি মানা যায়? এখন সবই নির্ভর করছে আকাশের দিকে। ভারতীয়দের মনে একটাই স্বপ্নআজ হোক, কাল হোক, কিন্তু হাতে উঠুক সেই সোনার ট্রফি।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
দেশ

"অপারেশন সিঁদুর ভুলতে পারেনি পাকিস্তান-কংগ্রেস", নতুন করে বিস্ফোরক মন্তব্য মোদির

বিহারের আরায়ায় রবিবার নির্বাচনী প্রচারে এসে কংগ্রেস ও আরজেডিকে একযোগে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর বক্তব্যে বারবার উঠে এল জাতীয় নিরাপত্তা, কাশ্মীর, এবং অতীতের রাজনৈতিক সহিংসতার প্রসঙ্গ।মোদি বলেন, অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে পাকিস্তান ও কংগ্রেসদুই পক্ষই এখনও ধাক্কা সামলাতে পারেনি। পাকিস্তানে বিস্ফোরণের সময় কংগ্রেসের রাজপরিবারর ঘুম নষ্ট হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর মন্তব্যআমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সন্ত্রাসীদের ঘরে ঢুকে মারব। অপারেশন সিঁদুর সেই অঙ্গীকার পূরণ করেছে। সঙ্গে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন মোদি। বলেন, এটি তাঁর গ্যারান্টি ছিল এবং আজ তা বাস্তব।বিহার রাজনীতিতে মহাগঠবন্ধনের দিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস কখনওই তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ করতে চাইনি। কিন্তু আরজেডির চাপেই কংগ্রেসকে রাজি হতে হয়েছে। তাঁর ভাষায়আরজেডি বন্দুক ঠেকিয়ে কংগ্রেসকে সিএম প্রার্থী ঘোষণা করাতে বাধ্য করেছে।মোদি দাবি করেন, কংগ্রেস-আরজেডির মধ্যে গভীর বিরোধ আছে, এবং নির্বাচন শেষে তারা পরস্পরকে দোষারোপ করবে। তাই তাঁদের উপর আস্থা রাখা যায় না। মহাগঠবন্ধনের ইস্তেহারকে তিনি মিথ্যার আর প্রতারণার দলিল আখ্যা দেন। এনডিএর ঘোষণাপত্রকে বলেন সত্ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, যা বিহারের উন্নয়নের জন্য তৈরি।এদিন ১৯৮৪র শিখবিরোধী দাঙ্গার কথাও টেনে আনেন মোদি। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস আজও সেই সময়ের দোষীদের সম্মান দিচ্ছে। তিনি বলেনআরজেডির নাম জঙ্গলরাজের সঙ্গে জড়িত, আর কংগ্রেসের পরিচয় শিখ গণহত্যার সঙ্গে। বিহার ভোটমাঠে শেষ দফা প্রচারে তাই তীব্র হচ্ছে ভাষার লড়াই। একদিকে এনডিএর উন্নয়নের দাবি, অন্যদিকে পরিবর্তনের ডাকদুই পক্ষের জোর প্রচারের মধ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছে ভোটযুদ্ধের ময়দান।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ইতিহাস গড়তে নামছে হরমনদের বাহিনী, রিচা ঘোষে বুক বাঁধছে গোটা বাংলা

শুধু পুরুষ ক্রিকেট নয়মেয়েরাও পারে! ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের আত্মবিশ্বাস এখন আকাশছোঁয়া। আর মাত্র এক রাতের অপেক্ষা। রবিবারই ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে নামছে হরমনপ্রীত কউররা। শেষ লড়াই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। আর গোটা দেশ যেমন উত্তেজনায় ফুটছে, বাংলায় সেই উত্তেজনার কেন্দ্র শিলিগুড়ি। কারণ ফাইনালের মাঠে থাকছেন শহরেরই মেয়ে রিচা ঘোষ।বয়স মাত্র ২২। কিন্তু মন? যেন সহাস্য যোদ্ধা। এই বিশ্বকাপেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বে ঝড় তুলেছিলেন রিচামাত্র হাতে গোনা ডেলিভারি পেলে খেলেছিলেন ৯৪ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস। সেই ম্যাচে ভারত হেরে গেলেও, রিচার ব্যাটে আলোর রেখা দেখেছিল দেশ।সেই তারকার জন্য এখন বুক বেঁধে অপেক্ষা শিলিগুড়ির। শহরের রাস্তায় উত্তেজনা, দেওয়ালে পোস্টার, আর মানুষের মুখে একটাই প্রশ্নরিচা কেমন করবে কাল? শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ ইতিমধ্যেই বিগ স্ক্রিনে ফাইনাল দেখানোর আয়োজন করে ফেলেছে। শহরের একাধিক জায়গায় লাগানো হচ্ছে ফ্লেক্স, তৈরি হচ্ছে উৎসবের আবহ।রিচার পুরনো দিনেও আলো। ২০১৩১৪ সালে বাঘাযতীন ক্লাবের হয়ে খেলতেন সে সময়কার ছোট্ট মেয়ে রিচা। কোচ বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় এখন আগের সেই দৃঢ় আত্মবিশ্বাস মনে করছেন। তাঁর মুখে গর্বওকে প্রথম দিন থেকেই আলাদা লাগত। ব্যাট ধরার ভঙ্গি, শরীরী ভাষা, মনোভাবসবেতেই ছিল বড় খেলোয়াড়ের স্পষ্ট আভাস।একই কথা বলছেন রিচার বন্ধু ও প্রাক্তন সতীর্থ অঙ্কিতা মোহন্তও। তিনি স্মিতহাস্যে বলছেন, রিচা সব সিদ্ধান্ত খুব পরিষ্কারভাবে নেয়। আমাদের সময়ও ও পরামর্শ দিত। এখন দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ব্যাটে। আগামিকাল ও দেখাবেমেয়েরাও পারে!মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের ক্রিকেট সচিব ভাস্কর দত্ত মজুমদার আরও খোলামেলাআমাদের শহরের মেয়ে! তাই তো গর্ব। কাল গোটা শহর স্ক্রিনের সামনে এক হবে। রিচার জন্য শুভেচ্ছা।এখন শুধু অপেক্ষা ফাইনালের। শিলিগুড়ি, বাংলা আর ভারতসকলেরই চোখ এক ব্যাটে, এক মেয়ের উপর। ইতিহাস রচনার মুহূর্ত কি তাহলে আর কয়েক ঘণ্টা দূরেই?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
বিদেশ

চলন্ত ট্রেনে রক্তঝড়! যাত্রীদের উপর ছুরি হামলা, আতঙ্কে থমকাল ট্রেন

লন্ডনগামী একটি ট্রেনের ভিতর শনিবার রাতে তৈরি হল আতঙ্কের আবহ। হঠাৎই কয়েকজন যাত্রীর উপর ধারালো ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুষ্কৃতীরা। মুহূর্তেই চিৎকার, রক্ত, দৌড়ঝাঁপসব মিলিয়ে ট্রেনের কামরাটি পরিণত হয় বিভীষিকার দৃশ্যে। বাঁচার জন্য যাত্রীরা ছুটতে ছুটতে শৌচাগারে লুকিয়ে পড়েন। কেউ কেউ পা পিছলে পড়ে আহত হন। কামরার মেঝে রক্তে ভরে যায়।ঘটনাটি ঘটেছে কেমব্রিজের কাছে। রাত ৭টা ৩৯ মিনিট নাগাদ পুলিশ ফোন পায় ট্রেনে ছুরি নিয়ে হামলার খবর। খবর পেয়েই সশস্ত্র বাহিনী পৌঁছে যায় নিকটবর্তী স্টেশন হান্টিংডনে। এরপর ট্রেনটিকে মাঝপথেই থামানো হয়। স্টেশনে দাঁড়াতেই দৌড়ে ওঠে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। আতঙ্কগ্রস্ত যাত্রীদের নিরাপদে বার করে নিয়ে আসা হয়। অনেকে তখনও লুকিয়ে ছিলেন ট্রেনের বাথরুমে। পুলিশ তাঁদের একে একে উদ্ধার করে।প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এক নয়, একাধিক ব্যক্তি হাতে লম্বা ছুরি নিয়ে যাত্রীদের উপর হামলা চালায়। তাঁদের কথায়, আক্রমণকারী চলতে চলতে দৌড়ে এগিয়ে আসছিল, আর চারদিকে ছড়িয়ে ছিল রক্ত। আতঙ্কে সবাই পালাতে শুরু করে। ট্রেন থামতেই একজন হামলাকারী বড় ছুরি হাতে নেমে আসার চেষ্টা করে, কিন্তু পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে কাবু করে ফেলে।এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিকটবর্তী হাসপাতালে। যদিও ব্রিটিশ পুলিশ এখনও পর্যন্ত আহতের আনুষ্ঠানিক সংখ্যা জানাতে পারেনি, সূত্রের দাবিকমপক্ষে দশজন ছুরিকাহত।হঠাৎ এই হামলার উদ্দেশ্য এখনও পরিষ্কার নয়। সন্ত্রাস দমন বিভাগও তদন্তে নেমেছে। পুরো দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্ত করা হয়েছে। ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। তিনি বলেছেন, নিরীহ মানুষকে টার্গেট করে এমন হামলা বরদাস্ত করা হবে না।সাধারণ যাত্রার একটি রাত যে এমন রক্তাক্ত দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে, তা ভাবেননি কেউই। ব্রিটেনে এখন একটাই প্রশ্নট্রেনে এই হামলার পিছনে কারা, এবং কেন?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
দেশ

ভোটের উত্তাপে বিস্ফোরণ, গুলির আতঙ্ক! জন সূরজ পার্টির কর্মী খুনে ধরা জেডিইউ নেতা

বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এর আগেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। রাজনৈতিক আক্রমণপ্রতিআক্রমণের মাঝেই এবার সামনে এল রক্তাক্ত ঘটনা। প্রশান্ত কিশোরের দল জন সূরজ পার্টির কর্মী দুলারচন্দ যাদবের মৃত্যুর মামলায় গ্রেফতার হলেন ক্ষমতাসীন জেডিইউ-র মোকামা কেন্দ্রের প্রার্থী অনন্ত সিং। পটনা পুলিশের হাতে শনিবার, ১ নভেম্বর তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীকেও পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।ুীদুলারচন্দ যাদব গত বৃহস্পতিবার মোকামায় জন সূরজ পার্টির প্রার্থী পীযূষ প্রিয়দর্শীর সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। সেই ভরা সভাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। প্রথমে গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা শোনা গেলেও ময়নাতদন্তে প্রকাশগুলি নয়, গুরুতর শারীরিক আঘাত, বিশেষত পাঁজরের হাড় ভেঙে যাওয়া ও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।দুলারচন্দ অনেক দিন আরজেডি-র প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। লালু প্রসাদ যাদবের ঘনিষ্ঠ হিসেবেও পরিচিত। পরে PKর জন সূরজ পার্টিতে যোগ দেন।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সভার মাঝেই দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। সেই বিশৃঙ্খলার মধ্যেই ঘটে এই মৃত্যুর ঘটনা। এবং সে সময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন জেডিইউ প্রার্থী অনন্ত সিং।গ্রেফতারের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পীযূষ প্রিয়দর্শী বলেন, পুলিশ ঠিক কাজ করেছে। তবে এই পদক্ষেপ আরও আগে হওয়া দরকার ছিল। এটা কোনো হঠাৎ ঘটনা নয়। এফআইআর হওয়ার পরই গ্রেফতার হওয়া উচিত ছিল। দেরিতে হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এখন দেখার তদন্ত কতদূর এগোয়।অন্য দিকে গ্রেফতারির আগে অনন্ত সিং দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। প্রাক্তন সাংসদ সূরজভান সিংকে দায়ী করেন তিনি। উল্লেখ্য, সূরজভান সিংয়ের স্ত্রী বীণা দেবী এবার আরজেডি-র প্রার্থী।ঘটনার গুরুত্ব দেখে ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জেলা নির্বাচন আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আদর্শ আচরণবিধি কড়াভাবে বজায় রাখতে হবে এবং রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন বিন্দুমাত্র নষ্ট না হয়।বিহারের ভোটযুদ্ধ এখনও শুরুই হয়নি, আর তার আগেই রক্তঝরা সংঘর্ষে জর্জরিত রাজনৈতিক ময়দান। আগামীর দিনগুলো যে আরও উত্তপ্ত হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।

নভেম্বর ০২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal