• ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, বুধবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Cricket

খেলার দুনিয়া

সম্মান রক্ষার ম্যাচে মুম্বইয়ের কাছে লজ্জার হার ধোনিদের

সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে চূড়ান্ত অসম্মানিত ধোনি ব্রিগেড। আইপিএলের প্রায় গুরুত্বহীন ম্যাচে রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে হারতে হল ৫ উইকেটে। অঙ্কের বিচারে প্লে অফের যাওয়ার ক্ষীণ সম্ভাবনা ছিল চেন্নাইয়ের। স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে গেলে জিততেই হত চেন্নাইকে। কিন্তু জ্বলে উঠতে পারলেন না ধোনিরা। চূড়ান্ত ব্যাটিং বিপর্যয় পরাজয়ের দিকে ঠেলে দিল চেন্নাইকে। ড্যানিয়েল স্যামস, যশপ্রীত বুমরা, রিলে মেরেডিথদের বোলিংয়ের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেন না ডেভন কনওয়ে, ঋতুরাজ গায়কোয়াররা।টস জিতে এদিন চেন্নাইকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। দ্বিতীয় বলেই ধাক্কা চেন্নাই সুপার কিংসের। ড্যানিয়েল স্যামসের বল কনওয়ের প্যাডে লাগে। উইকেটে পড়ে লেগ স্টাম্পের বাইরে যাচ্ছিল। তা সত্ত্বেও আম্পায়ার চিরা রবিকান্তরেড্ডি কনওয়েকে লেগ বিফোর আউট দেন। ওই সময় স্টেডিয়ামে বিদ্যুৎ ছিল না। তাই ডিআরএসের সুবিধা নিতে পারেননি কনওয়ে (০)। ওই ওভারের চতুর্থ বলে মইন আলিকেও (০) তুলে নেন স্যামস। পরের ওভারে আবার দুর্ভাগ্যের শিকার চেন্নাই সুপার কিংস। এবার বুমরার শিকার রবিন উথাপ্পা (১)। তাঁকে এলবিডব্লু আউট দেন ক্রিস গাফানি। সেই বিদ্যাউৎ বিভ্রাটের জন্য উথাপ্পাও ডিআরএস নিতে পারেননি।পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই ফর্মে থাকা ঋতুরাজ গায়কোয়াড়কে (৭) তুলে নেন ড্যানিয়েল স্যামস। ১৭ রানে ৪ উইকটে হারিয়ে চূড়ান্ত ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে চেন্নাই। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেননি। অম্বাতি রায়ুডু (১০) ও শিবম দুবেকে (১) তুলে নিয়ে চেন্নাইয়ের মিডল অর্ডারে ধস নামান রিলে মেরেডিথ। ডোয়েন ব্র্যাভো (১২) ও সিমরনজিৎ সিংকে (২) তুলে নেন কুমার কার্তিকেয়া। মহেশ থিকসানাকে (০) ফেরান রমনদীপ সিং। একের পর এক উইকেট পড়তে থাকলেও লড়াই চালিয়ে যান মহেন্দ্র সিং ধোনি। যদিও দলকে ১০০ রানের গন্ডি পার করে দিতে পারেননি। ১৬ ওভারে ৯৭ রানে গুটিয়ে যায় চেন্নাই। ৩৩ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন ধোনি। ১৬ রানে ৩ উইকেট নেন ড্যানিয়েল স্যামস। জয়ের জন্য ৯৮ রানের লক্ষ্য মোটেই কঠিন ছিল না মুম্বইয়ের কাছে। কম রানের পুঁজি নিয়েও দারুণ লড়াই শুরু করেন চেন্নাই বোলাররা। প্রথম ওভারেই ঈশান কিশনকে (৬) তুলে নেন মুকেশ চৌধুরী। ২ ওভার পরেই রোহিত শর্মাকে (১৮) ফেরান সিমরনজিত সিং। পঞ্চম ওভারে এক বলের ব্যবধানে ড্যানিয়েল স্যামস (১) ও ট্রিস্টান স্টুবাসকে (০) তুলে নিয়ে মুম্বইকে চাপে ফেলে দেন মুকেশ চৌধুরী। ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারায় মুম্বই। এরপর মুম্বইকে টানেন ঋত্বিক সোকেন ও তিলক ভার্মা। ঋত্বিক (১৮) আউট হওয়ার পর মুম্বইকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন তিলক (অপরাজিত ৩৪) ও টিম ডেভিড (অপরাজিত ১৬)। ১৪.৫ ওভারে ১০৩/৫ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় মুম্বই।

মে ১২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

লখনউকে হারিয়ে বাজিমাত, প্লে অফের টিকিট গুজরাটের

লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ৬২ রানে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে আইপিএলের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলল গুজরাট টাইটান্স। দুরন্ত বোলিং করে গুজরাটকে জয় এনে দিলেন রশিদ খান, সাই কিশোর, মহম্মদ সামিরা। জয়ের জন্য লখনউ সুপার জায়ান্টসের সামনে খুব বড় রানের টার্গেট রাখতে পারেনি গুজরাট টাইটান্স। মনে হচ্ছিল ১৪৪ রানের লক্ষ্য খুব সহজেই অতিক্রম করে যাবে লখনউ সুপার জায়ান্টস। কিন্তু অন্যরকম ভেবেছিলেন মহম্মদ সামিরা। বোলারদের দাপটে কম রানের পুঁজি নিয়ে দারুনভাবেই ম্যাচে ফিরে আসে গুজরাট টাইটান্স। মহম্মদ সামি, যশ দয়ালদের দাপটে শুরুর দিকে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি লখনউ সুপার জায়ান্টসের টপ অর্ডার ব্যাটাররা। কুইন্টন ডিকককে তুলে নিয়ে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে প্রথম ধাক্কা দেন যশ দয়াল। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে সাই কিশোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ডিকক। ১০ বলে ১১ রান করেন তিনি। পরের ওভারেই লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে তুলে নেন মহম্মদ সামি। শুরু থেকেই সামির বিরুদ্ধে স্বচ্ছন্দে ছিলেন না রাহুল। ১৬ বলে মাত্র ৮ রান করে তিনি উইকেটের পেছনে ঋদ্ধিমান সাহার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ষষ্ঠ ওভারে আবার ধাক্কা লখনউ সুপার জায়ান্টসের। এবার করণ শর্মাকে (৪) তুলে নেন যশ দয়াল। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে ৩৩ রানে ৩ উইকেটে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় লখনউ সুপার জায়ান্টস। অষ্টম ওভারের তৃতীয় বলে ক্রুনাল পান্ডিয়াকে (৫) তুলে নিয়ে চাপ আরও বাড়িয়ে দেন রশিদ খান। আয়ুশ বাদনিকে (৮) তুলে নেন সাই কিশোর। দ্বাদশ ওভারে মার্কাস স্টইনিস (২) ও জেসন হোল্ডারকে (১) হারিয়ে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি লখনউ সুপার জায়ান্টস। ১৩.৫ ওভারে ৮২ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। সর্বোচ্চ রান দীপক হুডার ৩৭। দুরন্ত বোলিং করে ২৪ রানে ৪ উইকেট নেন রশিদ খান। ৭ রানে ২ উইকেট সাই কিশোরের। এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গুজরাট। আগের দুটি ম্যাচে দলকে ভাল শুরু এনে দিয়েছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমান গিল। এদিন অবশ্য নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি ঋদ্ধি (৫)। প্রথম একাদশে ফিরে ম্যাথু ওয়েডও (১০) ব্যর্থ। ব্যর্থতার তালিকায় এদিন নাম লেখান গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াও (১১)। মাঝের ওভারগুলিতে দারুণ বোলিং করেন আবেশ ও ক্রূণাল পান্ডিয়া। এই দুই বোলারের জন্যই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার সুযোগ পাননি গুজরাটের ব্যাটাররা। ডেভিড মিলার (২৪ বলে ৩৬), রাহুল তেওয়াটিয়া (১৬ বলে অপরাজিত ২২), শুভমান গিলদের (৪৯ বলে অপরাজিত ৬৪) সৌজন্যে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৪৪ রান তোলে গুজরাট। ২৬ রানে ২ উইকেট নেন আবেশ খান। ১৮ রানে ১ উইকেট মহসীনের। ৪১ রানে ১ উইকেট নেন জেসন হোল্ডার।

মে ১১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

দুরন্ত মহসীন,আবেশরা, গুজরাটের মান বাঁচালেন শুভমান

দুই দলই প্লে অফের পথে পা বাড়িয়েই রেখেছে। মঙ্গলবার যে দলই জিতবে, প্লে অফের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলবে। শীর্ষস্থান দখলের লড়াইয়ে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে বড় রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে ব্যর্থ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৪৪ তুলল গুজরাট টাইটান্স। দুর্দান্ত বোলিং করে হার্দিক পান্ডিয়াদের আটকে রাখলেন আবেশ খানরা। হাফ সেঞ্চুরি করে গুজরাটের মান বাঁচালেন শুভমান গিল।চলতি আইপিএলে নিজেদের প্রথম সাক্ষাতে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে গুজরাত টাইটান্স ২ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে। এদিন অবশ্য জ্বলে উঠতে পারলেন না হার্দিকরা। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গুজরাট। আগের দুটি ম্যাচে দলকে ভাল শুরু এনে দিয়েছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমান গিল। এদিন অবশ্য নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি ঋদ্ধি। মহসীন খান, দুষ্মন্ত চামিরার সামনে বেশ অসহায় লাগছিল তাঁকে।গুজরাটকে এদিন প্রথম ধাক্কা দেন মহসীন খান। তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে তুলে নেন ঋদ্ধিকে। ১১ বলে ৫ রান করে আবেশ খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ঋদ্ধি। এক ওভার পরেই ম্যাথু ওয়েডকে তুলে নেন আবেশ খান। ৭ বলে ১০ রান করেন ওয়েড। প্রথম একাদশে ফিরে নিজেকে মেলে ধরতে পারলেন না এই অস্ট্রেলিয়ান উইকেটকিপারব্যাটার। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াও এদিন ব্যর্থ। ১৩ বলে ১১ রান করে তিনিও আবেশ খানের শিকার। মাঝের ওভারগুলিতে দারুণ বোলিং করেন আবেশ ও ক্রূণাল পান্ডিয়া। এই দুই বোলারের জন্যই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার সুযোগ পাননি ডেভিড মিলার ও শুভমান গিল। ১৫.৪ বলে ১০০ রানে পৌঁছয় গুজরাট টাইটান্স।এরপর ডেভিড মিলারকে তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন জেসন হোল্ডার। ২৪ বলে ২৬ রান করে আয়ূশ বাদোনির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মিলার। মিলার আউট হওয়ার পর শুভমান ও রাহুল তেওয়াটির ওপর দায়িত্ব ছিল দলকে বড় রানে পৌঁছে দেওয়ার। যদিও গুজরাটের এই দুই ব্যাটারকে আক্রমণাত্মক হওয়ার সুযোগ দেননি মহসীন খান, আবেশ খানরা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৪৪ রানে থেমে যায় গুজরাটের ইনিংস। ৪৯ বলে ৬৩ রান করে অপরাজিত থাকেন শুভমান। ১৬ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন রাহুল তেওয়াটিয়া। ২৬ রানে ২ উইকেট নেন আবেশ খান। ১৮ রানে ১ উইকেট মহসীনের। ৪১ রানে ১ উইকেট নেন জেসন হোল্ডার।

মে ১০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

কনওয়ের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে দিল্লির সামনে বড় রানের চ্যালেঞ্জ চেন্নাইয়ের

চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট ছিল দিল্লি ক্যাপিটালসের। অন্যদিকে, ১০ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট চেন্নাই সুপার কিংসের। এদিন মাঠে নামার আগে প্লে অফের ক্ষীণ সম্ভাবনা ছিল চেন্নাইয়ের। হারলেই সম্ভাবনা শেষ। এই পরিস্থিতিতে জ্বলে উঠল চেন্নাই সুপার কিংস। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে তুলল ২০৮।টস জিতে চেন্নাইকে ব্যাট করতে পাঠান দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। দারুণ শুরু করেন দুই ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ে। দিল্লির বোলারদের কোনও রকম সুযোগ না দিয়ে ওপেনিং জুটিতে তুলে ফেলেন ১০.৫ ওভারে ১১০। একাদশ ওভারের শেষ বলে ঋতুরাজকে তুলে নিয়ে চেন্নাইকে প্রথম ধাক্কা দেন আনরিখ নর্টিয়ে। ৩৩ বলে ৪১ রান করে তিনি অক্ষর প্যাটেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।ঋতুরাজ আউট হলেও ডেভন কনওয়েকে টলাতে পারেননি দিল্লির বোলাররা। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। শতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন চেন্নাইয়ের এই ওপেনার। দারুণ ছন্দে রয়েছেন। ১৭তম ওভারে খলিল আহমেদের তৃতীয় বলে উইকেটের পেছনে ঋষভ পন্থের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন কনওয়ে। ৪৯ বলে ৮৭ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে দলের বড় রানের ভিত গড়ে দেন। কনওয়ের ইনিংসে রয়েছে ৭টি চার ও ৫টি ছয়। ক্রিডে নেমে ঝড় তোলেন শিবম দুবে। ১৯ বলে ৩২ রান করে তিনি মিচেল মার্শের বলে আউট হন।অম্বাতি রায়ুডু এদিনও রান পাননি। ৬ বলে ৫ রান করে তিনি খলিল আমেদের বলে আউট হন। এরপর ক্রিজে নেমে নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তিনিই দলকে ২০০ রানের গন্ডি পার করে দেন। ৮ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন ধোনি। ৪ বলে ৯ রান করেন মইন আলি। ৪০ রানে ৩ উইকেট নেন নর্টিয়ে। ২৮ রানে ২ উইকেট নেন খলিল আহমেদ। ১টি উইকেট নেন মিচেল মার্শ।

মে ০৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

কোহলিকে নিয়ে আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মিম, ‘‌এক বলের খদ্দের’‌

সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ভুত যেন কিছুতেই মাথা থেকে নামাতে পারছেন না বিরাট কোহলি। কেন উইলিয়ামসনের দলের বিরুদ্ধে আবার এক বলের খদ্দের! সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে এদিনও প্রথম বলেই সাজঘরে। এই নিয়ে চলতি আইপিএলে তৃতীয়বার গোল্ডেন ডাকের শিকার কোহলি। দুঃসময় যেন কিছুতেই কাটছে না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের প্রাক্তন অধিনায়কের।আগের ম্যাচে রান পেলেও চেনা ছন্দে ছিলেন না বিরাট কোহলি। এদিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ওপেন করতে নেমে আবার তিনি প্রথম বলেই আউট। উইলিয়ামসনের দলের বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষাতেও বিরাটকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল গোল্ডেন ডাক নিয়ে। এই নিয়ে তৃতীয়বার চলতি আইপিএলে তিনি প্রথম বলে শূন্য রানে আউট হলেন।শ্রেয়স গোপালের পরিবর্তে এদিন জগদীশা সুচিথকে প্রথম একাদশে সুযোগ দেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তাঁকে দিয়েই আক্রমণ শুরু করেছিলেন উইলিয়ামসন। সুচিথ প্রথম বলটিই রেখেছিলেন লেগস্টাম্পে। বিরাট কোহলি সহজ ক্যাচ তুলে দেন কেন উইলিয়ামসনের হাতে। স্পিনারকে সামলাতে গিয়ে আবার নিজের উইকেট দিয়ে বসেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের প্রাক্তন অধিনায়ক। এর আগে লখনউ সুপার জায়ান্টস ও সানরাইজার্স হায়দরাদের বিরুদ্ধে গোল্ডেন ডাকের শিকার হয়েছিলেন কোহলি।চলতি আইপিএলে একেবারেই ছন্দে নেই বিরাট কোহলি। ১২ ম্যাচে করেছেন ২১৬ রান। সর্বোচ্চ ৫৮। তিনবার গোল্ডেন ডাকের শিকার। একটাই হাফ সেঞ্চুরি। গড় ১৯.৬৩, স্ট্রাইক রেট ১১১.৩৪। ১২ ম্যাচে মোট ১৯৪টি বল খেলেছেন বিরাট। মেরেছেন ২০টি বাউন্ডারি ও চারটি ওভার বাউন্ডারি। এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে কোহলির কী দুরাবস্থা।এদিন এক মাইলস্টোনের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন কোহলি। আর ১ রান করলেই আইপিএলে প্রথম ব্যাটার হিসেবে সাড়ে ৬ হাজার রান করার নজির গড়তেন বিরাট। এই নিয়ে আইপিএলে ৮ বার তিনি শূন্য রানে আউট হলেন। যার মধ্যে ৬টি গোল্ডেন ডাক এবং তার তিনটিই চলতি আইপিএলে। উল্লেখ্য, পাঁচ বছর পর এবারের আইপিএলে প্রথম গোল্ডেন ডাক নিয়ে ফিরতে হয়েছিল বিরাটকে, সেই সংখ্যা আরও দুটি বেড়ে গেল। দলের নবম ম্যাচ থেকে ওপেন করছেন, আজ ফিরলেন শূন্য হাতেই। নির্বিষ বলে উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিরাট নিজেও যে হতাশ তা তাঁর অভিব্যক্তিতে স্পষ্ট। মুখে হতাশার হাসি নিয়েই ড্রেসিংরুমে ফিরলেন। বিরাট ফেরার পর রজত পাতিদার ও ফাফ দু প্লেসি ১০৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। মাঝেমধ্যেই ক্যামেরায় দেখানো হচ্ছিল বিরাটকে। তাঁর মতো হতাশ কোহলি-ভক্তরাও। আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে মিমের ছড়াছড়ি, এক বলের খদ্দের।

মে ০৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

হাসারাঙ্গার দুরন্ত বোলিংয়ে প্লে অফের পথে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স

সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৬৭ রানে উড়িয়ে প্লে অফের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ফাফ ডুপ্লেসির দল। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের জয়ের নায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ১৮ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে সানরাইজার্সের ইনিংসে ভাঙন ধরান তিনি। বিরাট কোহলির ব্যর্থতার দিনে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সকে বড় রানে পৌংছে দিয়েছিলেন ফাফ ডুপ্লেসি ও দীনেশ কার্তিক।রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে এদিন সানরাইজার্স অধিনায়ক উইলিয়ামসন নতুন বল তুলে শ্রীলঙ্কান স্পিনার জগদীশা সুচিথের হাতে। সুচিথ প্রথম বলটাই রেখেছিলেন লেগস্টাম্পে। কেন উইলিয়ামসনের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন বিরাট কোহলি। আবার গোল্ডেন ডাকের শিকার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের প্রাক্তন অধিনায়ক। চলতি আইপিএলে এই নিয়ে তিনবার।কোহলি শূন্যরানে আউট হলেও বড় রান থেকে আটকানো যায়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে। শুরুর ধাক্কা দারুণভাবে সামলে দেন অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি ও রজত পতিদার। ১০৫ রানের জুটি বড় রানের ভিত গড়ে দেয় রয়্যাল ক্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। ১২.২ ওভারে সেই জগদীশা সুচিথের হাত ধরেই ব্রেক থ্রু পায় সানরাইজার্স হায়করাবাদ। রজত পতিদারকে তুলে নেন সুচিথ। ৩৮ বলে ৪৮ রান করে আউট হন পতিদার। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান ডুপ্লেসি ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ২৪ বলে ৩৩ রান করে কার্তিক ত্যাগীর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ম্যাক্সওয়েল।ম্যাক্সওয়েল আইট হওয়ার পর ক্রিজে নেমে ঝন তোলেন দীনেশ কার্তিক। আগের কয়েকটা ম্যাচে তিনি রান পাননি। এদিন সব সুদেআসলে মিটিয়ে নিলেন। ৮ বলে ৩০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে পৌঁছে দেন ১৯২/৩ রানে। ডুপ্লেসি ৫০ বলে ৭৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে জগদীশা সুচিথ ৩০ রানে ২ উইকেট নেন।বড় রানের লক্ষ্য নিয়ে জিততে গেলে শুরুটা ভাল হওয়া দরকার। সেটাই এদিন করতে পারেনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রথম ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। বিরাট কোহলির মতো সানরাইজার্স অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও গোল্ডেন ডাকের শিকার। তিনি অবশ্য শাহবাজ আমেদের দুরন্ত থ্রোতে রান আউট হন। ওভারের পঞ্চম বলে অভিষেক শর্মাকে (০) তুলে নেন ম্যাক্সওয়েল। উইলিয়ামসনের মতো ডুপ্লেসিও শুরুতে স্পিন আক্রমণ নিয়ে এসেছিলেন। তাতেই বাজিমাত। ১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সানরাইজার্স। সেই চাপ থেকে আর বার হতে পারেনি।Our bowlers have been brilliant again through the middle overs. 💪🏻Lets bag those ✌🏻 points now. 👊🏻#PlayBold #WeAreChallengers #IPL2022 #Mission2022 #RCB #ನಮ್ಮRCB #GoGreen #ForPlanetEarth #SRHvRCB pic.twitter.com/4D7hzmvEem Royal Challengers Bangalore (@RCBTweets) May 8, 2022১ রানে ২ উইকেট হারানোর পর রাহুল ত্রিপাঠী কিছুটা লড়াই করেন। অন্যপ্রান্তে একের পর এক উইকেট থাকলেও তিনি দলকে টেনে নিয়ে যান। এইডেন মার্করাম (২৭ বলে ২১), নিকোলাস পুরানরা (১৪ বলে ১৯) কিছুটা সাহায্য করেন। শেষ পর্যন্ত ৩৭ বলে ৫৮ রান করে হ্যাজেলউডের বলে আউট হন ত্রিপাঠী। সানরাইজার্সের বাকি আর কোনও ব্যাটার দুঅঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। দুরন্ত বোলিং করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মিডল অর্ডারে ভাঙন ধরান ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ৪ ওভারে ১টা মেডেন সহ ১৮ রানে ৫ উইকেট তুলে নেন তিনি। ১৭ রানে ২ উইকেট পান হ্যাজেলউড। ১৯.২ ওভারে ১২৫ রানে গুটিয়ে যায় সানরাইজার্সের ইনিংস।

মে ০৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

মরণবাঁচন ম্যাচে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ কলকাতা নাইট রাইডার্স

জায়ান্টসকে কম রানে বেঁধে রাখতে পারল না কলকাতা নাইট রাইডার্স।প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে লখনউ সুপার তোলে ৭ উইকেটে ১৭৬। প্লে অফের লড়াইয়ে টিকে থাকতে গেলে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে জেতা ছাড়া রাস্তা ছিল না কলকাতা নাইট রাইডার্সের সামনে। অথচ এইরকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে কাফ মাসলসে চোটের জন্য ছিটকে যান নাইট রাইডার্সের বোলিংয়ের অন্যতম ভরসা স্তম্ভ উমেশ যাদব। চলতি আইপিএলে ১০ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে বোলারদের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর তালিকায় ৬ নম্বরে রয়েছেন উমেশ যাদব। শুরুর দিকে তাঁর অভাব বুঝতে দেননি টিম সাউদি, সুনীল নারাইনরা। পরে অবশ্য ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি।ব্যাট করতে নেমে এদিন শুরুতেই ধাক্কা খায় লখনউ সুপার জায়ান্টস। প্রথম ওভারেই কোনও বল না খেলেই রান আউট হয়ে ফিরে যান লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুল (০)। শুরুর ধাক্কা চমৎকারভাবে সামাল দেন কুইন্টন ডিকক ও দীপক হুডা। দুজনের জুটিতে ওঠে ৭১। অষ্টম ওভারে জুটি ভাঙেন সুনীল নারাইন। তুলে নেন কুইন্টন ডিকককে। ২৯ বলে ৫০ রান করে আউট হন ডিকক। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৪টি চার ও ৩টি ছয়। ১৩ তম ওভারে দীপক হুডাকে তুলে নেন আন্দ্রে রাসেল। ২৭ বলে ৪১ রান করে শ্রেয়স আয়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন দীপক হুডা।২ ওভার পরেই ক্রূণাল পান্ডিয়াকে তুলে নেন সেই রাসেলই। ২৭ বলে ২৫ রান করেন ক্রূণাল। ১৫ ওভারে লখনউ সুপার জায়ান্টসের রান ছিল ১২২/৪। এই সময় মনে হচ্ছিল বড় রানে পৌঁছতে পারবে না লখনউ সুপার জায়ানন্টস। মার্কাস স্টয়নিসের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৭৬/৭ রানে পৌঁছয় লখনউ সুপার জায়ান্টস। ১৪ বলে ২৮ রান করেন স্টয়নিস। শিবম মাভির এক ওভারে ৩টি ৬ মারেন তিনি। ১৮ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন আয়ূষ বাদোনি। ৪ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন জেসন হোল্ডার। ২২ রানে ২ উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল। ১টি করে উইকেট নেন টিম সাউদি, শিবম মাভি ও সুনীল নারাইন।

মে ০৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে প্লে অফের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল রাজস্থান রয়্যালস

শনিবার আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্লে অফের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল রাজস্থান রয়্যালস। প্রথমে ব্যাট করে বোর্ডে বড় রান তুলেও শেষরক্ষা করতে পারল না পাঞ্জাব কিংস। মায়াঙ্ক আগরওয়ালের দলকে হারিয়ে ১৪ পয়েন্টে পৌঁছে গেল রাজস্থান রয়্যালস।এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাঞ্জাব কিংস। জনি বেয়ারস্টো ও শিখর ধাওয়ান দারুণ শুরু করেন। ওপেনিং জুটিতে ৪ ওভারে ওঠে ৪৭। ষষ্ঠ ওভারে শিখর ধাওয়ানকে (১৬ বলে ১২) তুলে নিয়ে পাঞ্জাবকে প্রথম ধাক্কা দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দলের ৮৯ রানের মাথায় আউট হন ভানুকা রাজাপক্ষ। ১৮ বলে ২৭ রান করে তিনি যুজবেন্দ্র চাহালের বলে বোল্ড হন। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে এদিনও বড় রান করতে পারলেন না পাঞ্জাব কিংস অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ১৩ বলে ১৫ রান করে তিনি চাহালের বলে আউট হন। একই ওভারে চাহাল তুলে নেন জনি বেয়ারস্টোকে। বেশ কয়েকটা ম্যাচে ব্যর্থতার পর অবশেষে এদিন রান পেলেন ইংল্যান্ডের এই ওপেনার। ৪০ বলে ৫৮ রান করেন তিনি।বাটলার যখন আউট হন তখন ১৪.৪ ওভারে পাঞ্জাব কিংসের রান ১১৯/৪। মনে হচ্ছিল বড় রানে পৌঁছতে পারবে না পাঞ্জাব কিংস। শেষ ৫ ওভারে ঝড় তোলেন জিতেশ শর্মা, লিয়াম লিভিংস্টোনরা। ১৪ বলে ২২ রান করে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে বোল্ড হন লিভিংস্টোন। ১৮ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন জিতেশ শর্মা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৯ তোলে পাঞ্জাব কিংস। এদিন রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে নজরকাড়া বোলিং করেন যুজবেন্দ্র চাহাল। ২৮ রানে তিনি নেন ৩ উইকেট। জয়ের জন্য ১৯০ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান রয়্যালসও ভাল শুরু করেছিল। ৪ ওভারেই তুলে ফেলে ৪৬। ঝড় তোলা জস বাটলারকে তুলে রাজস্থানকে প্রথম ধাক্কা দেন কাগিসো রাবাডা। ১৬ বলে ৩০ রান করে বাটলার আউট হন। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন এদিন বড় রান করতে ব্যর্থ। ১২ বলে ২৩ রান করে তিনি আউট হন। ৮৫ রানে ২ উইকেট হারানোর পর রাজস্থানকে টেনে নিয়ে যান যশস্বী জয়সোয়াল ও দেবদত্ত পাড়িক্কল। জুটি ওঠে ৫৬। পাঞ্জাব কিংসকে ব্রেক থ্রু এনে দেন অর্শদীপ সিং। যশস্বী জয়সোয়ালকে তুলে নেন। ৪১ বলে ৬৮ রান করেন যশস্বী।এরপর শিমরন হেটমায়ারের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান দেবদত্ত পাড়িক্কল। ৩২ বলে ৩১ রান করে অর্শদীপের বলে পাড়িক্কল আউট হলেও রাজস্থান রয়্যালসকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন শিমরন হেটমায়ার। ১৬ বলে ৩১ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। ২ বল বাকি থাকতে ১৯০/৪ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় রাজস্থান। ২৯ রানে ২ উইকেট নেন অর্শদীপ সিং।

মে ০৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

হারের হ্যাটট্রিক হায়দরাবাদের, জিতে প্লে অফের লড়াই জমিয়ে দিল দিল্লি

জয়ের সরণিতে ফেরা হল না সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। এই নিয়ে টানা ৩ ম্যাচে হার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। অন্যদিকে, জিতে প্লে অফের লড়াই জমিয়ে দিল দিল্লি। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে হারল ২১ রানে। দিল্লির ২০৭/৩ রানের জবাবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তোলে ১৮৬/৮।বড় রানের লক্ষ্য নিয়ে জিততে গেলে শুরুটা ভাল হওয়া জরুরি। এদিন সেটাই করতে পারেনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দ্বিতীয় ওভারেই ফর্মে থাকা অভিষেক শর্মাকে তুলে নিয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে প্রথম ধাক্কা দেন খলিল আহমেদ। ৬ বলে মাত্র ৭ রান করে আউট হন অভিষেক। ২ ওভার পর আবার ধাক্কা সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। এবার আনরিখ নরটিয়ের শিকার সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ১১ বলে ৫ রান করে তিনি উইকেটের পেছনে ঋষভ পন্থের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। চাপ কাটানোর চেষ্টা করেন রাহুল ত্রিপাঠি ও এইডেন মার্করাম। আগের ম্যাচে রান পাননি রাহুল ত্রিপাঠি। এদিনও দলকে টানতে ব্যর্থ হন। ১৮ বলে ২২ রান করে মিচেল মার্শের বলে আউট হন। ৭ ওভারের মধ্যে ৩৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।Undefeated at Brabourne, and the 𝒋𝒐𝒔𝒉 continues to be 𝒉𝒊𝒈𝒉 🙌#YehHaiNayiDilli | #IPL2022 | #DCvSRH#TATAIPL | #IPL | #DelhiCapitals pic.twitter.com/ZPPO8NlHEt Delhi Capitals (@DelhiCapitals) May 5, 2022এরপর পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন মার্করাম। কুলদীপ যাদবের ওপর বেশি নির্দয় ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২৫ বলে ৪২ রান করে তিনি খলিল আহমেদের বলে আউট হন। নিকোলাস পুরান আউট হতেই জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। ৩৪ বলে ৬২ রান করেন পুরান। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৮৬/৮ তোলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ৩০ রানে ৩ উইকেট নেন খলিল আহমেদ।এদিন টস জিতে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ব্যাট করতে পাঠান সানরাইজার্স অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। শুরুটা ভাল হয়নি দিল্লির। বোর্ডে কোনও রান যোগ হওয়ার আগেই সাজঘরে ফিরে যান এদিন প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়া মনদীপ সিং। মাত্র ৫ বল খেলে তিনি কোনও রান না করে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে আউট হন। মিচেল মার্শও (১০) ব্যর্থ। ক্রিজে নেমে ঝড় তুলেছিলেন ঋষভ পন্থ। ১টি চার ও ৩টি ছয়ের সাহায্যে ১৬ বলে ২৬ রান করে তিনি শ্রেয়স গোপালের বলে বোল্ড হন।এরপর বাইশ গজে দাপট ডেভিড ওয়ার্নার ও রভম্যান পাওয়েলের। উমরান মালিকরা গতি দিয়ে কাবু করতে পারেননি এই দিল্লির এই দুই ব্যাটারকে। এই দুজনের সামনে একেবারে অসহায় হয়ে পড়েন উমরান মালিক, কার্তিক ত্যাগীরা। ওয়ার্নার ও পাওয়েল জুটিতে ওঠে ১২২ রান। ৫৮ বলে ৯২ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে ওয়ার্নার অপরাজিত থাকেন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ১২টি চার ও ৩টি ছয়। রভম্যান পাওয়েল। ৩৫ বলে ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। পাওয়েল মারেন ৩টি চার ও ৬ টি ছয়। এদিন ৪ ওভারে ৫২ রান দেন উমরান মালিক। ঝুলিতে কোনও উইকেট ভরতে পারেননি।

মে ০৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

দুরন্ত ওয়ার্নার-পাওয়েল, বড় রান তুলে হায়দরাবাদকে চ্যালেঞ্জ দিল্লির

এদিন আইপিএলে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও দিল্লি ক্যাপিটালস। দুই দলের কাছেই ছিল জয়ের সরণিতে ফেরার লড়াই। ডেভিড ওয়ার্নার ও রভম্যান পাওয়েলের দাপটে বড় রান তুলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল দিল্লি ক্যাপিটালস। নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলল ২০৭/৩।দুই দলই এদিন প্রথম একাদশে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করে মাঠে নেমেছিল। দিল্লি ক্যাপিটালস দলে আজ ৪ পরিবর্তন। পৃথ্বী শ, অক্ষর প্যাটেল, চেতন সাকারিয়া ও মুস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় মনদীপ সিং, খলিল আহমেদ, রিপল প্যাটেল ও আনরিখ নরকিয়া। অন্যদিকে, সানরাইজার্স হায়দরাবাদে তিনটি পরিবর্তন। মার্কো জানসেন, ওয়াশিংটন সুন্দর ও টি নটরাজনের পরিবর্তে খেলছেন কার্তিক ত্যাগী, শন অ্যাবট ও শ্রেয়স গোপাল।এদিন টস জিতে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ব্যাট করতে পাঠান সানরাইজার্স অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। পৃথ্বী শ-র জায়গায় ওপেন করতে নেমে নিজেকে মেলে ধরতে পারলেন না মনদীপ সিং। মাত্র ৫ বল খেলে তিনি কোনও রান না করে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে আউট হন। মিচেল মার্শও (১০) দলকে নির্ভরতা দিতে পারেননি। শন আবটের বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ দেন মার্শ। ক্রিজে নেমে ঝড় তুলেছিলেন দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। কিন্তু তাঁর ঝড় বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ১টি চার ও ৩টি ছয়ের সাহায্যে ১৬ বলে ২৬ রান করে তিনি শ্রেয়স গোপালের বলে বোল্ড হন। একের পর এক উইকেট পড়লেও রানের গতি কমেনি দিল্লি ক্যাপিটালসের। আর সেটা ডেভিড ওয়ার্নার ও রভম্যান পাওয়েলের দাপটে। আগের ম্যাচের ব্যর্থতা পুষিয়ে দেওয়ার জন্যই যেন এদিন মাঠে নেমেছিলেন ওয়ার্নার। শন আবট, উমরান মালিকরা গতি দিয়ে কাবু করতে পারেননি এই অসি ওপেনারকে। রভম্যান পাওয়েলও অন্যপ্রান্তে ঝড় তোলেন। দিল্লির এই দুই ব্যাটারের সামনে একেবারে অসহায় হয়ে পড়েন উমরান মালিক, কার্তিক ত্যাগীরা। ওয়ার্নার ও পাওয়েল জুটিই দিল্লিকে বড় রানে পৌঁছে দেয়। এই জুটিতে ওঠে ১২২ রান। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি পেলেন না ওয়ার্নার। ৫৮ বলে ৯২ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে তিনি অপরাজিত থাকেন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ১২টি চার ও ৩টি ছয়। অন্যদিকে, ওয়ার্নারের থেকে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন রভম্যান পাওয়েল। ৩৫ বলে ৬৭ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। পাওয়েল মারেন ৩টি চার ও ৬ টি ছয়। এদিন ৪ ওভারে ৫২ রান দেন উমরান মালিক। ঝুলিতে কোনও উইকেট ভরতে পারেননি। ১টি করে উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার ও শ্রেয়স গোপাল।

মে ০৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌ঋদ্ধিমানের পাশে দাঁড়িয়ে বোরিয়াকে কড়া শাস্তি ভারতীয় বোর্ডের

সাংবাদিক বোরিয়া মজুমদার ও ঋদ্ধিমান সাহার মধ্যে বিতর্কে ঋদ্ধিমানের পাশে দাঁড়াল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। জাতীয় দলের উইকেটকিপারকে সোশ্যাল মিডিয়ায় হুমকি দেওয়ার জন্য বোরিয়া মজুমদারকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ ভারতীয় বোর্ডের অনুমোদিত কোনও প্রতিযোগিতায় তিনি ২ বছর প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি কোনও ক্রিকেটারের সাক্ষাৎকারও নিতে পারবেন না। এই বছেরের ১৯ ফেব্রুয়ারি টুইট করে ঋদ্ধিমান সাহা জানান, এক সাংবাদিক তাঁকে সাক্ষাৎকার না দেওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় যদিও সেই সাংবাদিকের নাম তিনি প্রকাশ করেননি। টুইটে তিনি লিখেছিলেন, এতদিন জাতীয় দলে খেলার পর এই প্রতিদান পেলাম। সাক্ষাৎকার না দেওয়ার জন্য আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। একজন সম্মানীয় সাংবাদিকের কাছ থেকে এই রকম ব্যবহার পাচ্ছি। এই পর্যায়ে এখন সাংবাদিকতা এসে দাঁড়িয়েছে। টুইটের সঙ্গে তিনি ওই সাংবাদিকের হোয়টস্যাপ চ্যাটের স্ক্রিন শট দেন ঋদ্ধিমান। যদিও তিনি সেই সাংবাদিকের নাম প্রকাশ্যে নিয়এ আসেননি। এরপর দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা ঋদ্ধিকে সমর্থন করে তাঁর পাশে দাঁড়ান। বীরেন্দ্র শেহবাগ থেকে শুরু করে হরভজন সিং, ইরফান পাঠানরা ঋদ্ধির কাছে অনুরোধ করেন তাঁকে হুমকি দেওয়া সাংবাদিকের নাম প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে। শত অনুরোধ সত্ত্বেও ঋদ্ধি সেই সাংবাদিকের নাম প্রকাশ্যে নিয়ে আসেননি। এরপর আসরে নামে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বোর্ড কর্তারা ঋদ্ধিমানকে ডেকে পাঠিয়ে পুরো বিষয়টি জেনে তদন্ত কমিটি গঠন করে। এই তদন্ত কমিটিতে ছিলেন বোর্ডের সহসভাপতি রাজীব শুক্ল, কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল এবং অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য প্রভতেজ সিং। তদন্ত কমিটির সামনে হাজিরা দিয়ে ঋদ্ধি তাঁকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টা তথ্যপ্রমাণসহ জানান। এই কমিটি ঋদ্ধিমানের দেওয়া সমস্ত তথ্য যাচাই করে এবং বোরিয়া মজুমদারকে দুই বছরের জন্য নির্বাসিত করে।বোর্ডের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, বোর্ডের তদন্ত কমিটি ঋদ্ধিমান সাহা ও বোরিয়া মজুমদারের সঙ্গে কথা বলেছে। দুজনের তথ্যপ্রমাণ যাচাই করে বোরিয়া মজুমদারকে দোষী সাব্যাস্ত করা হয়েছে। বোরিয়া মজুমদার ২ বছর ভারতের কোনও স্টোডিয়ামে প্রবেশ করতে পারবে না। বোর্ডের নথিভূক্ত কোনও ক্রিকেটারের সাক্ষাৎকার নিতে পারবে না। বোর্ড অনুমোদিত সংস্থায় ২ বছর প্রবেশ করতে পারবে না।

মে ০৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

নাইট রাইডার্সকে ভেন্টিলেশনে ঠেলে দিলেন প্রাক্তনী কুলদীপ

গত বছর আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্লে অফের ছাড়পত্র জোগাড় করে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এ মরশুমে সেই সম্ভাবনা যথেষ্ট ক্ষীণ। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে এদিন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হারল ৪ উইকেটে। টানা ৫ ম্যাচ হেরে প্লে অফের রাস্তা যথেষ্ট কঠিন করে ফেলল নাইটরা। নাইটদের ভেন্টিলেশনে ঠেলে দিলেন কুলদীপ যাদব। দুরন্ত বোলিং করে নাইটদের ব্যাটিংকে তছনছ করে দেন।দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে এদিন শুরুটা ভাল হয়নি নাইট রাইডার্সের। নাইট শিবির থেকেও প্রত্যাঘাত এসেছিল দারুণভাবেই। ১৪৬ রান হাতে নিয়ে ম্যাচ জিততে গেলে বোলারদের জ্বলে ওঠাটা জরুরি। প্রথম বলেই পৃথ্বী শকে (০) তুলে নিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালস শিবিরে চ্যালেঞ্জটা ছুঁড়ে দিয়েছিলেন উমেশ যাদব। নিজের বলেই তিনি পৃথ্বীর ক্যাচ নেন। পরের বলেই আরও একটা উইকেট পেতে পারতেন উমেশ। তাঁর বল মিচেল মার্শের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে উইকেটকিপার বাবা ইন্দ্রজিতের সামনে পড়ে বেরিয়ে যায়। প্রথম ওভারেই ওঠে ১১। দ্বিতীয় ওভারে আবার ধাক্কা খায় দিল্লি ক্যাপিটালস। নাইট রাইডার্সের জার্সি গায়ে আইপিএলের অভিষেক ম্যাচেই দলকে দারুণ ব্রেক থ্রু এনে দেন ২০ বছর বয়সী তরুণ জোরে বোলার হর্ষিত রানা। তুলে নেন মিচেল মার্শকে। ফ্লিক করতে গিয়ে ডিফ স্কোয়ার লেগে ভেঙ্কটেশ আয়ারের হাতে সহজ ক্যাচ দেন মার্শ (৭ বলে ১৩)। ১৭ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। পরিস্থিতি দারুণভাবে সামাল দেন ললিত যাদব ও ডেভিড ওয়ার্নার। গতবছর সানরাইজার্স হায়দরাবাদ জার্সি গায়ে নিজেকে একেবারেই মেলে ধরতে পারেননি ডেভিড ওয়ার্নার। এবছর নিলামে দিল্লি ক্যাপিটালস তাঁকে তুলে নেয়। দিল্লির জার্সি গায়ে প্রথম ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তারপর থেকেই দারুণ ছন্দে এই অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার। নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে এদিনও দারুণ চাপ সামলালেন। ললিত যাদবকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে উমেশ যাদব বল করতে এসে ওয়ার্নার (২৬ বলে ৪২) ও ঋষভ পন্থকে (২) তুলে নেন। অন্যদিকে ললিত যাদবকে (২২) ফেরান সুনীল নারাইন। পরপর ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দিল্লি। চাপ কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত দলকে জয় এনে দেন অক্ষর প্যাটেল (১৭ বলে ২৪) ও রভম্যান পাওয়েল (১৬ বলে অপরাজিত ৩৩)। ১ ওভার বাকি থাকতে ১৫০/৬ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় দিল্লি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কুলদীপ যাদবের ঘূর্ণির সামনে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটাররা। যদিও নাইট শিবিরে প্রথম ধাক্কা দেন চেতন সাকারিয়া। দ্বিতীয় ওভারে তিনি অ্যারন ফিঞ্চের (৩) স্টাম্প ছিটকে দেন। এদিন লোয়ার অর্ডার থেকে ওপেনিংয়ে তুলে নিয়ে আসা হয়েছিল ভেঙ্কটেশ আয়ারকে (৬)। তিনিও দলকে নির্ভরতা দিতে ব্যর্থ। অষ্টম ওভারে পরপর দুবলে বাবা ইন্দ্রজিৎ (৬) ও সুনীল নারাইনকে (০) তুলে নিয়ে নাইটদের মিডল অর্ডারে ভাঙন ধরান কুলদীপ যাদব। জ্বলে ওঠার মুখে অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারকেও (৩৭ বলে ৪২)। তুলে নেন। পরের বলেই ফেরান রাসেলকে (০)। নীতিশ রানা (৩৪ বলে ৫৭) ও রিঙ্কু সিংয়ের (১৬ বলে ২৩) সৌজন্যে ১৪৬/৯ রানে পৌঁছয় নাইট রাইডার্স। ১৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন কুলদীপ।

এপ্রিল ২৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

দুরন্ত উমরানের ৫ উইকেট, তবু দলকে জেতাতে ব্যর্থ

গুজরাট টাইটান্সের গতিকে টেক্কা দিলেও বাজিমাত করতে পারল না সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আইপিএলের ফিরতি সাক্ষাৎকারেও শেষ হাসি গুজরাট টাইটান্সর। আইপিএলে জীবনের প্রথমবার ৫ উইকেট নিয়েও দলকে জেতাতে পারলেন না উমরান মালিক। গুজরাট ৫ উইকেটে হারাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে। প্রথম পর্বের হারের মধুর প্রতিশোধ। গতি দিয়ে গুজরাটের ব্যাটারদের নক আউট করে দিয়েও শেষরক্ষা করতে পারলেন না উমরান মালিক। ২৫ রানে ৫ উইকেট নেন।জয়ের জন্য ১৯৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিল গুজরাট টাইটান্স। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে তুলে ফেলে ৫৯। অষ্টম ওভারে প্রথম ধাক্কা খায় গুজরাট। গতিতে পরাস্ত করে দ্বিতীয় বলে শুভমান গিলকে তুলে নেন উমরান মালিক। ২৪ বলে ২২ রান করে বোল্ড হন শুভমান। এক ওভার পরেই হার্দিককেও (৬ বলে ১০) ফেরান উমরান। পরপর ২ উইকেট হারালেও লড়ে যান ঋদ্ধিমান সাহা। আগের ম্যাচগুলোতে ব্যর্থ হলেও ঋদ্ধি এদিন জ্বলে ওঠেন। ২৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারেননি। উমরান মালিকের ১৫৩ কিমি গতির ডেলিভারি ঋদ্ধির স্টাম্প ছিটকে দেয়। ১১ টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৮ বলে ৬৮ রান করে আউট হন ঋদ্ধি। ডেভিড মিলারও (১৯ বলে ১৭) উমরানের বলে বোল্ড হন। মিলারের আউটের ধাক্কা সামলাতে পারেনি গুজরাট। পরের ওভারেই অভিনব মনোহরকে (০) তুলে নেন উমরান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য গুজরাটের দরকার ছিল ২২ রান। মার্কো জনসেনের প্রথম বলে ৬ মারেন রাহুল তেওয়াটিয়া। পরের বলে ১ রান। তৃতীয়, পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে তিনটি ৬ মেরে দলকে জেতান রশিদ খান (১১ বলে অপরাজিত ৩১)। ২১ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন রাহুল তেওয়াটিয়া। দুই দলের প্রথম সাক্ষাৎকারে গুজরাট টাইটান্সকে হারিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রতিশোধের ম্যাচে টস জিতে হায়দরাবাদকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় হায়দরাবাদ। তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে হায়দরাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের (৫) অফ স্টাম্প ছিটকে দেন মহম্মদ সামি। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে আবার ধাক্কা সামির। এবার তুলে নেন ক্রমশ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠা রাহুল ত্রিপাঠীকে (১০ বলে ১৬)। এরপরই রুখে দাঁড়ান অভিষেক শর্মা ও এইডেন মার্করাম। দারুণ ছন্দে রয়েছেন অভিষেক শর্মা। চলতি আইপিএলে দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি করে তিনি দলকে বড় ইনিংসের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেন। মার্করামের সঙ্গে জুটিতে তোলেন ৯৬। আলজেরি জোশেফ দ্বিতীয় স্পেলে বোলিং করতে এসে জুটি ভাঙেন। তুলে নেন অভিষেককে। ৬টি চার ও ৩টি ছয়ের সাহায্যে ৪২ বলে ৬৫ রান করে তিনি আউট হন।এদিনও ব্যর্থ পুরান (৫ বলে ৩)। মহম্মদ সামির বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে গিয়ে লং অনে শুভমান গিলের হাতে ধরা পড়েন। পরের ওভারেই মার্করামকে তুলে নেন যশ দয়াল। ৪০ বলে ৫৬ রান করে তিনি ডেভিড মিলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। চোট সারিয়ে এদিন প্রথম একাদশে ফিরেছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ব্যাট হাতে তিনিও দলকে নির্ভরতা দিতে পারেননি। মাত্র ৩ রান করে তিনি রান আউট হন। শেষ ওভারে ঝড় তোলেন শশাঙ্ক সিং। ৬ বলে ২৫ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। গতি দিয়ে এদিন হায়দরাবাদের ব্যাটারদের কাবু করতে পারেননি সামি (৩/৩৯), জোশেফ (১/৩৫), ফার্গুসনরা (০/৫২)।

এপ্রিল ২৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ঘুরে দাঁড়াতে গত বছরের পারফরমেন্সই প্রেরণা নাইটদের কাছে

প্রথম ৪ ম্যাচে ৩টিতে জয়। তারপর টানা ৪ ম্যাচে হার। ৮ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে লিগ টেবিলে অষ্টম স্থানে রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। টানা ৪ ম্যাচে পরাজয় পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে নাইট রাইডার্সের। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের মুখোমুখি হচ্ছে শ্রেয়স আয়ারের দল। প্লে অফের সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতে গেলে জিততেই হবে নাইট রাইডার্সকে।কঠিন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা অতীতে রয়েছে নাইট রাইডার্সের। গত বছর আইপিএলে প্রথম পর্বে ৭ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ২টিতে জয় পেয়েছিল। শেষ ৭ ম্যাচের মধ্যে ৫টিতে জিতে প্লে অফের টিকিট জোগাড় করে নিয়েছিল নাইটরা। সেই ঘটনা প্রেরণা হয়ে উঠতে পারে নাইটদের কাছে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে গত বছরের উদাহরণ তুলে ধরেছেন নাইট রাইডার্স অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। তাঁর আশা এবছরও তেমন কিছু ঘটাতে পারবে দল। সতীর্থদের ওপর আস্থা হারাচ্ছেন না শ্রেয়স আয়ার।দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে নাইট অধিনায়ক বলেছেন, প্রথম ৪ ম্যাচের মধ্যে আমরা তিনটিতে জিতেছিলাম। তারপর ছন্দ হারিয়েছি। সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক হয়নি। আশা করছি দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে দল ছন্দে ফিরবে। দিল্লির বিরুদ্ধে জিতলেই আমাদের থামানো কঠিন হবে। সতীর্থদের ওপর ভরসা আছে। আশা করছি দিল্লির বিরুদ্ধেই দল ঘুরে দাঁড়াবে। ইডেন গার্ডেন্সে প্লে অফ খেলার দিকেও তাকিয়ে নাইট রাইডার্স অধিনায়ক।দিল্লি ক্যাপিটালস ও নাইট রাইডার্স, দুই দলের কাছেই এই ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে দল এই ম্যাচ থেকে ২ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারবে, প্লে অফের লড়াইয়ে তারাই অক্সিজেন পেয়ে যাবে। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে অবশ্য কিছুটা হলেও নাইটরা এগিয়ে রয়েছে। দুই দলের ৩০ বার সাক্ষাৎকারের মধ্যে কলকাতা নাইট রাইডার্স জিতেছে ১৬ ম্যাচে। ১৩টি ম্যাচ জিতেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। একটা ম্যাচে কোনও ফলাফল হয়নি।দুই দলই অবশ্য সমস্যা নিয়েই বৃহস্পতিবার মাঠে নামতে চলেছে। নাইট রাইডার্স যেমন এখনও প্রথম একাদশ তৈরি করে উঠতে পারেনি। একই অবস্থা দিল্লি ক্যাপিটালসেরও। নাইটদের সবথেকে বড় মাথাব্যাথা হয়ে দাঁড়িয়েছে রহস্যময় স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীর ফর্ম। তাংর রহস্য ধরে ফেলেছেন বিপক্ষের ব্যাটাররা। দলের ব্যাটারদেরও ধারাবাহিকতার অভাব। সাম বিলিংস, শেলডন জ্যাকসনরাও দলকে ভরসা দিতে ব্যর্থ। ওপেনিং জুটি ক্লিক করছে না। সুনীল নারাইনকে দিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। তিনিও ব্যর্থ। দিল্লির বিরুদ্ধে হয়তো ভেঙ্কটেশ আয়ারকে আবার ওপেনিংয়ে ফেরানো হতে পারে।

এপ্রিল ২৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

দুরন্ত ধাওয়ান, রানের শিখরে পাঞ্জাব কিংস

দুরন্ত ছন্দে শিখর ধাওয়ান। একই দিনে তিনটি মাইলস্টোন করার করার সঙ্গে সঙ্গে দলকে টেনে নিয়ে গেলেন। তাঁর দুরন্ত ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮৭ রান তুলল পাঞ্জাব কিংস। ৫৯ বলে ৮৮ রান করে অপরাজিত থাকেন শিখর ধাওয়ান।মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে এদিন মুখোমুখি হয়েছিল পাঞ্জাব কিংস ও চেন্নাই সুপার কিংস। প্লে অফে যাওয়ার জন্য দুই দলের কাছেই এদিনের ম্যাচ ছিলই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এদিন মাঠে নামার আগে ৭ ম্যাচ খেলে পাঞ্জাব কিংসের পয়েন্ট ছিল ৬। চেন্নাই সুপার কিংসের পয়েন্ট ছিল ৪। অষ্টম স্থানে থাকা পাঞ্জাবের পরেই চেন্নাই সুপার কিংস রয়েছে নবম স্থানে।এদিন টস জিতে পাঞ্জাব কিংসকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় চেন্নাই সুপার কিংস। পাঞ্জাবের প্রথম উইকেট পড়ে ৩৭ রানের মাথায়। ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে (২১ বলে ১৮) তুলে নেন মহেশ থিকসানা। এরপরই দলকে দারুণভাবে টেনে নিয়ে যান শিখর ধাওয়ান ও ভানুকা রাজাপক্ষে। নিজের ২০০ তম আইপিএল ম্যাচে দারুণভাবে জ্বলে ওঠেন শিখর ধাওয়ান। চেন্নাই সুপার কিংসের বোলারদের কোনও রকম সুযোগ তিনি এদিন দেননি। ভানুকা রাজাপক্ষর সঙ্গে জুটিতে শিখর ধাওয়ান তোলেন ১১০ রান। এই জুটিই পাঞ্জাব কিংসের বড় রানের প্ল্যাটফর্ম গড়ে দেয়।১৭.২ ওভারের মাথায় ডোয়েন ব্র্যাভোর বলে শিবম দুবের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ভানুকা রাজাপক্ষে। ৩২ বলে তিনি করেন ৪২। এক ওভার পরেই লিয়াম লিভিংস্টোনকেও তুলে নেন ডোয়েন ব্র্যাভো। ৭ বলে ১৯ রান করেন লিভিংস্টোন। শিখর ধাওয়ানকে অবশ্য থামাতে পারেননি চেন্নাই সুপার কিংসের বোলাররা। শেষ দিকে ঝড় তুলে ৫৯ বলে ৮৮ রান করে অপরাজিত থাকেন ধাওয়ান। ৯টি বাউন্ডারি ও ২টি ছক্কার সাহায্যে তিনি এই রান করেন। ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হন জনি বেয়ারস্টো। ৩ বলে তিনি করেন ৬। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮৭ রান তোলে পাঞ্জাব কিংস।এদিন ৩৭ বলে চলতি আইপিএলে দ্বিতীয় তথা আইপিএল কেরিয়ারে ৪৬ তম হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শিখর ধাওয়ান। চলতি আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ধাওয়ান করেছিলেন ৪৩। এরপর নাইট রাইডার্স ম্যাচে ১৬, লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ৩৩, গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে ৩৫, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৭০ রান করেন। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচে ৮ ও দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৯ রানে আউট হয়েছিলেন। তারপর আজ দুরন্ত হাফ সেঞ্চুরি।

এপ্রিল ২৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

খোলা চিঠি, বিরাট কোহলিকে এ কী পরামর্শ দিলেন এক ভক্ত!

চলতি আইপিএলে ব্যাটে রান নেই বিরাট কোহলির। হতাশ কোহলিভক্তরা। চারিদিকে সমালোচনার ঝড়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই কোহলিকে নিয়ে মিম ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ কেউ আবার লিখেছেন, এক বলের খদ্দের। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভক্ত আবার কোহলিকে উদ্দেশ্য করে খোলা চিঠি লিখেছেন।কোহলির উদ্দেশ্যে ওই ভক্ত লিখেছেন, বিরাট ভাই, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের তাড়াহুড়ো এবং মুম্বাইয়ের প্রচণ্ড উত্তাপ একটানা ম্যাচ খেলতে অনেক সমস্যা তৈরি করছে। এই সবের মাঝে, করোনার কারণে দলগুলির জন্য তৈরি বায়ো বাবলটিও একটি কঠিন বিষয়, যেখানে আপনি আপনার পরিবার এবং কাছের মানুষদের থেকে দূরে রয়েছেন। করোনার মাঝামাঝি সময়ে অনেকেই এমন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও আপনি একটানা ক্রিকেট খেলছেন, যেটা একটা দারুণ ব্যাপার।কিন্তু আইপিএলের এই মরশুমে ব্যাট নিয়ে যা হয়েছে তা দেখার মতো নয়। টানা দুই ম্যাচে গোল্ডেন ডাকে আউট হওয়া কোনও ব্যাটারের জন্য সাধারণ ব্যাপার নয়। আমরা ক্রিকেট ভক্ত, আমরা সমালোচক, আমরা দুঃখ বোধ করি, কিন্তু আমরা জানি আপনি নিশ্চয়ই এর থেকেও বেশি কষ্ট, কষ্ট ও যন্ত্রণা ভোগ করছেন।এই ঘটনা শুধু চলতি আইপিএলের কথা নয়। এটা ২০১৯ সাল থেকে চলছে। যখন আপনি আপনার শেষ আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করেছিলেন। আপনার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটজীবন যখন শুরু হয়েছিল, তখন থেকেই সেঞ্চুরির ঝাপটা ছিল। তখন সবাই বলত এই ছেলেটা একদিন শচীন তেন্ডুলকারের রেকর্ড ভাঙবে। তখন আমরা বিশ্বাস করিনি। কিন্তু আপনি আমাদের সকলকে ভুল প্রমাণ করেছেন।পরপর দুই ম্যাচে প্রথম ম্যাচেই গোল্ডেন ডাকে আউট হওয়া কোনও ব্যাটারের জন্য সাধারণ ব্যাপার নয়। বিশেষ করে আপনার মতো ব্যাটারের জন্য তো নয়ই। ২০১৯ এবং ২০২২ এর মধ্যে যা কিছু ঘটেছে তা সেই বিশ্বাসের ভিত্তিকে নাড়িয়ে দিয়েছে। সবকিছু সবসময় এক রকম থাকে না, সকাল হলে সন্ধ্যাও হবে। ব্যাটার ভালো ফর্মে থাকলে খারাপ সময়ও আসবে। যা আপনার প্রিয়জনরা অনুভব করছেন।আপনাকে আর আগের মতো মাঠের মধ্যে আবেগে ভাসতে দেখা যায় না। আপনার অধিনায়কত্ব চলে যাওয়ার পর এটি আরও দৃশ্যমান হয়েছে। সেই রকম উৎসাহ, সেই রকম আবেগ মাঝে মাঝে মাঠে দেখা যায়। কিন্তু রানের জন্য ক্ষুধার্ত বিরাটকে আর প্রতিপক্ষ দলে দেখা যাচ্ছে না। খারাপ ফর্মের চেয়েও, এটি একজন ভক্তের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ, আমরা যে রাজা কোহলিকে চিনি তা হারিয়ে গেছে।টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী, যিনি দীর্ঘদিন ধরে আপনার সাথে কাজ করেছেন এবং আরও অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছেন যে আপনার বিরতি নেওয়া উচিত। লম্বা বিরতি. বর্তমান যুগে যে সমস্ত ক্রিকেট হচ্ছে তার মাঝে আপনি ঘন ঘন বিরতি নিচ্ছেন। তবে এটা একটা সিরিজ, কয়েকটা ম্যাচ, তার মধ্যেও আপনি একটা অ্যাড ফিল্মের শুটিংয়ে ব্যস্ত। এই পর্বটি শেষ করতে, আপনার রবি শাস্ত্রী এবং অন্য সবার কথা শোনা উচিত, সম্ভবত এটি আরও ভাল প্রমাণিত হবে।আপনাকে অবশ্যই বিজ্ঞাপন ফিল্মের জগৎ থেকে বিরতি নিতে হবে, ক্রিকেট মাঠ থেকে দূরে। যেখানে শুধু আপনি, আপনার স্ত্রী, কন্যা এবং পরিবারের সদস্যরা আছেন। জনগণের তাড়াহুড়ো বা আমাদের মতো ভক্তরাও নয় যারা আপনার প্রতিটি কাজের উপর নজর রাখছে। এই বিরতি সম্ভবত আপনার ফর্ম, আপনার মনোবল এবং ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য একটি লাইফলাইন হবে। যাই হোক, একটা কথা প্রচলিত আছে যে সিংহ যখন দুই পা পিছিয়ে যায় তার মানে এই নয় যে সে হেরে যাচ্ছে, বরং সে তার লক্ষ্যের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।এই আইপিএলে এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচে ১১৯ রান করেছেন। আমরা যদি সমস্ত ইনিংসের দিকে তাকাই, আপনার স্কোর হল ৪১, ১২, ৫, ৪৮, ১, ১২, ০, ০। প্রথম ম্যাচে আপনাকে রান করতে দেখে আশা জাগে এবং মনে হয়েছিল এই আইপিএলে ইতিহাস তৈরি হবে। কিন্তু ইতিহাসের ভাষা বদলে গেছে। এটা একজন আন্তর্জাতিক স্তরের ব্যাটারের সঙ্গে ঘটে। কিন্তু আপনি আলাদা এবং আপনি যেভাবে আউট হন এবার সেটা একেবারেই আলাদা। আপনি রানে ফিরবেন আমরা নিশ্চিত। আমাদের থেকে আপনি নিজের ওপর বেশি বিশ্বাস রাখুন।

এপ্রিল ২৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

একই দিনে তিনটি মাইলস্টোন! এ কী করলেন শিখর ধাওয়ান!

চলতি আইপিএলে একই দিনে তিনটি মাইলস্টোন। দুর্দান্ত নজির গড়লেন শিখর ধাওয়ান। এদিন চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ২০০ তম আইপিএল ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন শিখর ধাওয়ান। এটা একটা মাইলস্টোন। আর আইপিএলে ২০০ তম ম্যাচ খেলার দিনেও আরও দুটি নজির গড়লেন পাঞ্জাব কিংসের এই ওপেনার। এদিন তিনি আইপিএলে ৬০০০ রানের সীমা অতিক্রম করে গেলেন। বিরাট কোহলির পর দ্বিতীয় ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। শুধু তাই নয়, টি২০ ক্রিকেটে ৯০০০ রানের মাইলস্টোনেও পৌঁছে গেলেন শিখর ধাওয়ান। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার পর তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন।টি২০ ক্রিকেটে বিরাট কোহলির মোট রান ১০৩৯২। আর রোহিত শর্মা টি২০ ক্রিকেটে করেছেন ১০০৪৮ রান। চলতি আইপিএলেই তিনি এই মাইলস্টোনে পৌঁছেছেন। আর শিখর ধাওয়ান সোমবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ৯ হাজার রানের মাইলস্টোনে পৌঁছলেন। এদিন মহেশ থিকসানাকে স্লগসুইপ করে ছক্কা মেরে টি২০ ক্রিকেটে ৯ হাজার রানে পৌঁছন শিখর ধাওয়ান।চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আইপিএলে ৪৫টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন শিখর ধাওয়ান। সবথেকে বেশি হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড ডেভিড ওয়ার্নারের দখলে। তিনি করেছেন ৫২টি হাফ সেঞ্চুরি। হাফ সেঞ্চুরির দিক দিয়ে শিখর ধাওয়ান রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। সবথেকে বেশি বাউন্ডারি মারার রেকর্ড অবশ্য পাঞ্জাব কিংসের এই ওপেনারের দখলে। তিনি মোট ৬৭৫টি বাউন্ডারি মেরেছেন। ২০১৯ সাল থেকে আইপিএলের প্রতিটা সংস্করণে ৫০০র বেশি রান করেছেন শিখর ধাওয়ান। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে চলতি আইপিএলে ৭ ম্যাচে শিখর ধাওয়ানের সংগ্রহ ছিল ২১৪ রান। সর্বাধিক ৭০। গড় ৩০.৫৭, স্ট্রাইক রেট ১২৬.৬৩। আইপিএলে শিখরের দুটি সেঞ্চুরি রয়েছে শিখর ধাওয়ানের। দুটিই সেঞ্চুরিই এসেছিল ২০২০ সালে। এবছরও খুব একটা খারাপ ফর্মে নেই। বছরের শেষদিকে অস্ট্রেলিয়ায় টি২০ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। বাকি ম্যাচগুলিতে ধারাবাহিকভাবে রানের মধ্যে থাকলে আবার জাতীয় দলে জায়গা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হবে ধাওয়ানের।

এপ্রিল ২৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

কুলদীপ–অক্ষরদের কাছে দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠলেন বাটলার, শীর্ষে রাজস্থান

শেষ ওভারে দিল্লির জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩৬। ওবেদ ম্যাকয়ের প্রথম তিন বলে তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে লড়াই জমিয়ে দিয়েছিলেন রভম্যান পাওয়েল। কিন্তু ২০ রানের বেশি তুলতে পারেননি। জয়ের জন্য ২২৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ২০৭ রানে থেমে যায় দিল্লি ক্যাপিটালস। ১৫ রানে জিতে লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছল রাজস্থান রয়্যালস। তবে ওয়াংখেড়ের দর্শকরা এদিন দুর্দান্ত ম্যাচের সাক্ষী থাকল। রাজস্থান রয়্যালস ও দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচ ছিল মূলত রাজস্থানের ব্যাটারদের সঙ্গে দিল্লির বোলারদের লড়াই। বলা ভাল জস বাটলারের সঙ্গে দিল্লির বোলারদের। কুলদীপ যাদব, মুম্তাফিজুর রহমান, অক্ষর প্যাটেলদের উড়িয়ে দিলেন জস বাটলার। বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করে আবার সেঞ্চুরি বাটলারের। ৬৫ বলে করেন ১১৬। চলতি আইপিএলে তৃতীয় শতরান। একই সঙ্গে আইপিএলে তাঁর মোট সেঞ্চুরির সংখ্যা দাঁড়াল ৪। স্পর্শ করলেন ডেভিড ওয়ার্নার ও শেন ওয়াটসনকে। নিজের শেষ ৮ আইপিএল ইনিংসের চারটিতেই সেঞ্চুরি বাটলারের।এদিন টস জিতে রাজস্থান রয়্যালসকে ব্যাট করতে পাঠান দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। দিল্লি বোলারদের কোনও রকম সুযোগ দেননি রাজস্থানের দুই ওপেনার জস বাটলার ও দেবদত্ত পাড়িক্কল। চলতি আইপিএলে স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন বাটলার। এদিন ললিত যাদবের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ইংল্যান্ডের এই ওপেনার। দেবদত্ত পাড়িক্কলও নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরেন। তাঁর হাফ সেঞ্চুরি আসে ৫০ বলে। রাজস্থানের এই দুই ওপেনার সবথেকে বেশি নির্দয় ছিলেন কুলদীপ যাদবের ওপর। শেষ পর্যন্ত ৩৫ বলে ৫৪ রান করে খলিল আমেদের বলে এলবিডব্লুউ হন দেবদত্ত পাড়িক্কল। বাটলার ও দেবদত্তর প্রথম দিকে বাটলার খুব বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন না। হাফ সেঞ্চুরি করার পর রীতিমতো ঝড় তোলেন। পরের ৫০ আসে ২১ বলে। অর্থাৎ ৫৭ বলে সেঞ্চুরি। আইপিলে মোট ৪ সেঞ্চুরির মালিক হলেন বাটলার। চলতি মরশুমে ৩টি। শেষ পর্যন্ত ৬৫ বলে ১১৬ রান করে তিনি মুস্তাফিজুরের বলে ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। সঞ্জু স্যামসনও ক্রিজে নেমে ঝড় তোলেন। ১৯ বলে ৪৬ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটে ২২২ রান তোলে রাজস্থান রয়্যালস। জয়ের জন্য ২২৩ রানের লক্ষ্য মোটেই সহজ ছিল না দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে। তবে দারুণ শুরু করে দলকে আশা জাগিয়েছিলেন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও পৃথ্বী শ। ওপেনিং জুটিতে ৪.২ ওভারে ওঠে ৪৩। এরপরই ধাক্কা। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর বলে ফিরে যান ওয়ার্নার। ১৪ বলে তিনি করেন ২৮। পরের ওভারেই আউট সরফরাজ খান (১)। পৃথ্বী শ এবং অধিনায়ক ঋষভ পন্থ দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এই সময় মনে হচ্ছিল চাপ কাটিয়ে দিল্লি হয়তো জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারে। দশম ওভারের শেষ বলে পৃথ্বীকে (২৭ বলে ৩৭) তুলে নিতেই চাপে পড়ে যায় দিল্লি। এক ওভার পরে অধিনায়ক ঋষভ (২৪ বলে ৪৪) ফিরতেই জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় দিল্লির। অক্ষর প্যাটেল (১), শার্দূল ঠাকুররা (১০) দলকে নির্ভরতা দিতে পারেননি। ললিত যাদব (২৪ বলে ৩৭) ও রভম্যান পাওয়েল (১৫ বলে ৩৬) চেষ্টা করেছিলেন। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২০২৭ তুলতে সমর্থ হয় দিল্লি। ২২ রানে ৩ উইকেট নেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। ৩২ রানে ২ উইকেট রবিচন্দ্রন অশ্বিনের।

এপ্রিল ২৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

টানা ৭ ম্যাচে হার, কেন এই হাল মুম্বইয়ের?‌ রহস্য ফাঁস

চলতি আইপিএলে পরপর ৭ ম্যাচে হেরে রেকর্ড গড়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আর এই টানা হারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স শিবিরে দলের ভেতরের খবর বাইরে এসে পড়েছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স শিবির এখন ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ড্রেসিংরুমের পরিবেশ একেবারেই ভাল নয়। এমনই জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ক্রিস লিন। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের ডিওওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স রবীন্দ্র জাদেজার চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে তিন উইকেটে হেরেছে। শেষ ওভারে ৪ বলে ১৬ রান নিয়ে জয়দেব উনাদকাট চেন্নাইয়ের রাম তাড়া করার চাপ ধরে রাখতে পারেননি। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ফিনিশারের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। রোহিত অ্যান্ড কোম্পানি আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে টানা ৭ ম্যাচ হেরেছে। কেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের এই রকম বিপর্যয়? মুম্বই শিবিরের অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ক্রিস লিন মনে করছেন, ড্রেসিংরুমের পরিবেশ খারাপ হওয়ার কারণেই দলের এই হাল। ক্রিস লিন ২০২০ ও ২০২১ আইপিএলেও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের অংশ ছিলেন। তাঁর মতে, মুম্বই শিবিরে ক্রিকেটারদের মধ্যে নানা মত পার্থক্য রয়েছে।এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটের অনুষ্ঠানে ক্রিস লিন বলেছেন, জেতাটা একটা অভ্যাস আর হারটাও একটা অভ্যাস। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ব্যাট, বল, মাঠে এবং মানসিকভাবে সমস্যায় পড়েছে। দেখে মনে হচ্ছে গোটা দলের সেট আপে সর্বত্র দলাদলি রয়েছে। তিনি আরও বলেন, যখন দল একেবারে টেবিলের নীচের দিকে থাকবে, তখন অধিনায়কের মতো বাকিরা, কাইরন পোলার্ডও মিড অন বা মিড অফ থেকে দৌড়ে আসবে, সাহায্য করবে। কিন্তু মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের মধ্যে এটা দেখিনি। কারণ তারা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হতে শুরু করেছে এবং তারা কেবল মাঠে নামতে চায়। এটা ভাল লক্ষণ নয়। আমার মনে হয় এই মুহূর্তে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দলের পরিবেশ ভাল জায়গায় রয়েছে। এই মুহূ্র্তে রোহিত শর্মার দল পয়েন্ট তালিকায় সকলের শেষে রয়েছে। প্লে অফে যেতে গেলে বাকি ম্যাচগুলোতে জিততেই হবে। যা খুবই কঠিন। এই পরিস্থিতিতে ২৪ এপ্রিল রবিবার মুম্বইয়েরে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে লোকেশ রাহুলের নেতৃত্বাধীন লখনউ সুপার জায়ান্টদের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে।

এপ্রিল ২২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

আইসক্রিমে বান!‌ রুটিতে চকোলেট ও নান্দু সস!‌ সঙ্গে চিকেন!‌ এ কোন ভারতীয় ক্রিকেটারের মেনু?‌

ভারতীয় ক্রিকেটে ডায়েট ও ফিটনেসের ব্যাপারে একটা শৃঙ্খলা তৈরি করেছিলেন প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। আধুনিক ক্রিকেটে বয়স ও ডায়েট একটা অন্য প্যারামিটার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ভারতীয় ড্রেসিংরুমে এমন দুজন ক্রিকেটার রয়েছেন, যারা ডায়েটের ধার ধারেন না। ডায়েটের ব্যাপারে তাঁদের শৃঙ্খলার কোনও বালাই নেই। তাঁরা অনায়াসে আইসক্রিমে বান ডুবিয়ে খেতে পারেন। রুটির ওপরে চকোলেট ও নান্দু সস মাখাতে পারেন। ভেবে অবাক হয়ে যাচ্ছেন, এমনও ক্রিকেটার ভারতীয় দলে রয়েছেন? অবাক হওয়ার কিছু নেই। এটাই ঘটনা। এই দুই ক্রিকেটার হলেন ঈশান কিশান ও ঋষভ পন্থ। ডায়েটের কোনও ধার ধারেন না ভারতীয় দলের এই দুই ক্রিকেটার।ফিটনেসের জন্য ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি দীর্ঘদিন জাঙ্ক ফুট ত্যাগ করেছেন। অথচ তাঁরই সংসারে অন্য গল্প। বিরাট কোহলির যুগে, ভারতীয় দল ফিটনেসের দিক থেকে ব্যাপকভাবে উন্নতি করেছে। তার মানে এই নয় যে ভারতীয় দলের সব ক্রিকেটারই ডায়েটের ব্যাপারে বিরাট কোহলির মতো সমান কঠোর। ঈশান কিশান ও ঋষভ পন্থের ডায়েটের বিষয়টা প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন জাতীয় দলে তাঁদেরই সতীর্থ সূর্যকুমার যাদব। ঈশান কিশান এবং ঋষভ পন্থ খাবারে যে অদ্ভুত সংমিশ্রণ ঘটান, তা যে কারও ঠোঁটে লেগে থাকতে পারে।সূর্যকুমার যাদব তাঁর বিখ্যাত ইউ টিউব শো ব্রেকফাস্ট উইথ চ্যাম্পিয়নসএ অভিনেতা এবং টেলিভিশন ও ক্রিকেট উপস্থাপক গৌরব কাপুরকে ঈশান কিশান ও ঋষভ পন্থের অদ্ভুত ডায়েটের কথা বলেছিলেন। সূর্যকুমার বলেন, ঋষভ পন্থ এবং ঈশান কিশান যদি এক জায়গায় হাজির হয়, তাহলে ওদের খাবার অন্য উচ্চতায় পৌঁছে যায়। ওরা অনায়াসে যা কিছু খেতে পারে। একটি বান আইসক্রিমে ডুবিয়ে খায়। রুটির ওপর চকোলেট আইসক্রিম রাখে, তার ওপরে নন্দোর সস রাখে। শুধু তাই নয়, মুরগির মাংসও সঙ্গে থাকে। এই সংমিশ্রণটা হল ওদের চোখে একটি বার্গার। ওইভাবে সাজিয়ে ওরা আমাকে বলে, এটা খাও। তুমি আগামীকাল রান করবে। এই নতুন জিনিস ওরা শুরু করেছে। দুজনেরই পরিচ্ছন্ন হৃদয়, একেবারে বিশুদ্ধ আত্মা। ওদের সাথে সময় কাটাতে দারুণ মজা পাবেন।মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে খেলার সুবাদে ঈশান কিশানকে দীর্ঘদিন ধরেই জানেন সূর্যকুমার। জাতীয় দলে একসঙ্গে থাকার সুবাদে ঋষভ পন্থকেও ভালভাবে চেনেন। ঈশানকে বেশ ব্যক্তিত্ববান বলে মনে হয়েছে সূর্যকুমারের। দলের মধ্যে সবসময় ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করে রাখেন ঈশান। সূর্যর কথায়, ইশান আমার দলের সেরা বন্ধুদের একজন। বিশেষ করে যখন দল একটি ম্যাচ হেরেছে, সিগন্যাল বাউন্সের মতো ঈশান এক বিষয় থেকে অন্য বিষয়ে বাউন্স করে। প্র্যাকটিসের সময় আমি কোচকে বলেছিলাম, আমি শুধুমাত্র ওর সঙ্গে প্র্যাকটিস করতে চাই। যখনই আমরা একসাথে ব্যাট করি, স্কোরবোর্ডের দিকে তাকাই না যতক্ষণ না আমাদের তাড়া করতে হয়। আমরা ক্রিকেট ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলি। যেমন, আজকে যদি আমরা ম্যাচ জিততে পারি তাহলে আমরা ব্রাউনি আইসক্রিম অর্ডার করব। দারুণ মজা করি।

এপ্রিল ২০, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 24
  • 25
  • ›

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

বুধবারই সিদ্ধান্ত! ৩২ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ কি তবে চূড়ান্ত?

শেষ হল প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। গত ১২ নভেম্বর এই মামলার শুনানি হয়েছিল কলকাকা ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রায়দান সেই সময় স্থগিত রেখেছিলেন। অবশেষে বুধবার এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।২০১৬ সালে SSC-এর নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। সেই সময় সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট, পরে সেই রায় বহাল রাখে Supreme Court of India। এরপর প্রাথমিকে নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় তৎকালীন বিচারপতি Abhijit Gangopadhyay ২০২৩ সালে প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন। যদিও তিনি বলেছিলেন, শিক্ষকরা স্কুলে যেতে পারবেন এবং তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বহাল রাখার কথাও বলা হয়েছিল।২০১৪ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এবং ২০১৬ সালে প্রায় ৪২,৫০০ শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। সেই পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। মামলাকারীদের দাবি ছিল, ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। অন্য দিকে পর্ষদের বক্তব্য, কিছু ক্ষেত্রে ভুল হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তা পরে সংশোধন করা হয়েছে।এরপর একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলাটি যায় ডিভিশন বেঞ্চে। সেই সময় বিচারপতি Subrata Talukdar ও বিচারপতি Supratim Bhattacharya একক বেঞ্চের চাকরি বাতিলের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন। তবে তাঁরা নতুন করে নিয়োগ শুরু করার নির্দেশও দিয়েছিলেন। পরে রাজ্য সরকার ও পর্ষদ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। শীর্ষ আদালত মামলাটি আবার হাইকোর্টে ফেরত পাঠায় এবং দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মামলা শুনেই এবার রায় ঘোষণা করতে চলেছে বর্তমান ডিভিশন বেঞ্চ।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
কলকাতা

মোদী গেলে বিজেপি শেষ, মমতা থাকলে তৃণমূল অজেয়—কল্যাণের বিস্ফোরক মন্তব্য

বিজেপিতে যেমন নরেন্দ্র মোদি সবার মূল মুখ, তেমনই তৃণমূলে একমাত্র মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনই মন্তব্য করলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, যত দিন মোদী রয়েছেন, তত দিন বিজেপি টিকে থাকবে। ঠিক সেই ভাবেই যত দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, তত দিন তৃণমূলকে কেউ নড়াতে পারবে না। কল্যাণের কথায়, দল চলে মমতার নামেই, বাকিরা কী বলছেন, তাতে দলের কিছু আসে যায় না।মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত মন্তব্যে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, মোদী থাকলে যেমন পদ্মফুল ফুটবে, তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে তৃণমূলকে কেউ ঠেকাতে পারবে না। আগেও একাধিকবার তিনি বলেছেন, তাঁর কাছে একমাত্র নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্য কিছু তাঁর মাথায় থাকে না।তৃণমূলের অন্দরে নবীন ও প্রবীণ নেতৃত্ব নিয়ে টানাপোড়েন নতুন নয়। এক সময় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নিয়ে বক্তব্য রাখায় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তখন অনেকেরই মত ছিল, এতে তৃণমূলের অন্দরের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সেই সময় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রবীণ নেতাদের অবস্থান বারবার আলোচনায় এসেছে।এই প্রসঙ্গে বিজেপির সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূলে এখনও এমন অনেক প্রবীণ নেতা রয়েছেন, যাঁরা সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন। অন্য দিকে, তৃণমূলের মুখপাত্রের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখই আসলে তৃণমূলের মুখএ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
কলকাতা

করদাতা কমল বাংলায়! অমিতের খোঁচা—অভিষেকের কড়া পালটা

পশ্চিমবঙ্গেই করদাতার সংখ্যা কমে গিয়েছেএই তথ্য ঘিরে সরাসরি আক্রমণ করেছেন বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য। তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, রাজ্যে শিল্প নেই, কাজের সুযোগ কম এবং তাই আয়ও কম হচ্ছে; মোদী সরকারের আয়কর ছাড়ের সুবিধা গ্রহণ করায় বাংলায় করদাতা কমেছেএটাকে তিনি মোদী সরকারের উপহার হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বিষয়টি সামনে চলে আসার পর বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ি সাংবাদিক বৈঠক করে এ নিয়ে কথা বলেন।বিধায়ক অশোক দাবি করেন, ২০২৪-২৫ সালের অ্যাসেসমেন্টে করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি মাত্র ২ লাখ হয়েছে, আগের বছরে যা ছিল ৩ লাখঅর্থাৎ বাড়তি সংখ্যা কমেছে। তিনি বলেন, মোদী সরকার ইনকাম ট্যাক্সে ছাড় দেয়ায় মধ্যবিত্তদের কর কমেছে, তাই ট্যাক্স রিলিফ পাওয়া নিয়েই এই পতন হয়েছে।দুইপাশেই পালটা দাবি ও প্রতিক্রমা তুঙ্গে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসকল হিসেব তুলে ধরে বলেছেন, গত সাত বছরে কেন্দ্রীয় সরাসরি ও পরোক্ষ কর যোগ করে বাংলা থেকে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব সংগ্রহ করা হয়েছেমোট প্রায় ৬ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ওই সময়ে কেন্দ্র থেকে বাংলায় ফেরত দেওয়া বকেয়া প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা। অভিষেকের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১৭১৮ থেকে ২০২৩২৪ অর্থবর্ষ পর্যন্ত কন্ট্রিবিউশন ক্রমানুসারে বেড়েছে; ২০১৭১৮ সালে রাজ্য দিয়েছে ৬৩,৪০৭ কোটি, ২০১৮১৯ এ ৮৪,৪১৯ কোটি, ২০১৯২০ এ ৮৪,০১৫ কোটি, ২০২০২১ এ ৮০,০০৪ কোটি, ২০২১২২ এ ১,০১৭৬৭৩ কোটি, ২০২২২৩ এ ১,১৩,৬২১ কোটি এবং ২০২৩২৪ এ ১,২২,৯৮৮ কোটি টাকা।অভিষেকের তথ্যে ফের অমিত মালব্য রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেনআর এতে রাজনীতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূলের রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার পালটা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে পিছিয়ে রাখার চেষ্টাই করছে; বাংলায় শিল্প প্রতিষ্ঠা না করতে নানা কৌশল চালানো হচ্ছে। তিনি যুক্তি দেখান যে অনেক ক্ষেত্রে এমএসএমই-তে বাংলা এগিয়ে আছে এবং অমিতবাবুর আঙুল তোলা তথ্য মিথ্যা মন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে। তাঁর শব্দে, বাংলা থেকে কত ট্যাক্স নেওয়া হচ্ছে, সেটা আগে খতিয়ে দেখতে হবে।রাজনৈতিক তর্ক-ঝগড়ার মাঝেই সাধারণ মানুষ, শিল্প এবং চাকরির বাজার নিয়েও যে প্রশ্ন তুলেছে এই বিতর্ক, তা স্পষ্ট। আগামী দিনে কর-সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যান এবং কেন্দ্ররাজ্য আর্থিক লেনদেন নিয়ে আরও তৎপরতার সম্ভাবনা দেখছেন সব পক্ষই।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
রাশিফল

আজকের দিনে 'মীন' রাশির জাতকের "নথিতে সুবিধা"। আজ মঙ্গলবার আপনার কেমন যাবে জেনে নিন

২ ডিসেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার, আপনার রাশিচক্র অনুযায়ী দিনটি কেমন কাটবে তা জানতে নিচে প্রতিটি রাশির জন্য সংক্ষিপ্ত রাশিফল দেওয়া হলো:🐏 মেষ (Aries): নতুন দায়িত্ব আসবে।🐂 বৃষ (Taurus): কেনাকাটায় আনন্দ।👥 মিথুন (Gemini): মিটিং সফল।🦀 কর্কট (Cancer): মানসিক চাপ কমান।🦁 সিংহ (Leo): আয়ের সুযোগ।🌾 কন্যা (Virgo): সঙ্গীর সমর্থন।⚖️ তুলা (Libra): সংযোগ বাড়বে।🦂 বৃশ্চিক (Scorpio): পুরনো কাজ এগোবে।🏹 ধনু (Sagittarius): ভাগ্য সহায়।🐐 মকর (Capricorn): কাজে মনোযোগ দিন।🌊 কুম্ভ (Aquarius): পরিচিত বাড়বে।🐟 মীন (Pisces): নথিতে সুবিধা।যে কোনও সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য যোগাযোগ করুনঃ শ্রী সূপর্ণ (জ্যোতিষী)যোগাযোগঃ ৯৮৩০০৬৫২৪০, ওয়েবসাইটঃ www.srisuparna.com

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
কলকাতা

৭ হাজার ২৯৩ ‘দাগি’র পুরো নাম প্রকাশ করতেই হবে, SSC-কে কড়া নির্দেশ

নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতেই ফের মামলার মুখে পড়ল এসএসসি। অযোগ্য প্রার্থীরা কীভাবে আবার পরীক্ষায় বসছে, তা নিয়েই মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্ট-এ। এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা আবারও কড়া নির্দেশ দিলেন। বুধবারের মধ্যেই ৭ হাজার ২৯৩ জন দাগি বা অযোগ্য প্রার্থীর পুরো তালিকা প্রকাশ করতে হবে এসএসসি-কে।এটা এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বার শীর্ষ আদালত ও হাইকোর্ট এসএসসি-কে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করতে বলেছিল। সেই মতো কিছু তালিকা প্রকাশও করা হয়েছিল। পরে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবার দাগি প্রার্থীদের নাম উঠে আসায় নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়।বিচারপতি অমৃতা সিনহা আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন, অযোগ্যদের নাম, অভিভাবকের নাম, রোল নম্বর-সহ সব তথ্য প্রকাশ করতে হবে। সেই মতে গত ২৭ নভেম্বর এসএসসি ১ হাজার ৮০৬ জন নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক-শিক্ষিকার নাম প্রকাশ করে, যাঁরা তখন চাকরি করছিলেন।কিন্তু এ দিন আদালত জানায়, এসএসসি যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তা সম্পূর্ণ নয়। এসএসসি আগেই জানিয়েছিল মোট অযোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা ৭ হাজার ২৯৩ জন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শুধু গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র ৩ হাজার ৫১২ জন এবং ১ হাজার ৮০৬ জন শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ হয়েছে। বাকি সবার সম্পূর্ণ তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি।এ বার আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, আউট অফ প্যানেল, র্যাঙ্ক জাম্প এবং ওএমআর মিস ম্যাচএই সব ধরনের অনিয়মে যুক্ত মোট ৭ হাজার ২৯৩ জনের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতেই হবে। শুধু তাই নয়, নিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে পুরোপুরি স্বচ্ছ হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্যানেল প্রকাশের পর যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের তালিকাও আগামী শুনানিতে আদালতে জমা দিতে হবে।এই ৭ হাজার ২৯৩ জনের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মীদুপক্ষই। অনেকেই তখন চাকরি করছিলেন, আবার কেউ কেউ তালিকায় থাকলেও চাকরিতে যুক্ত ছিলেন না। তবে এবার আদালত সকলেরই সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে আবারও চাকরি কেলেঙ্কারি নিয়ে চরম রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
কলকাতা

ভুয়ো নাম ঢোকানোর অভিযোগের পরই কি কমিশনের ইউ-টার্ন? বদলে গেল পুরো সিস্টেম

৯৯ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়ে গিয়েছে। তবুও এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে একের পর এক অভিযোগ উঠে চলেছে। এক দিকে সোমবার বিএলও-দের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। অন্য দিকে বিজেপি ও বিরোধীদের অভিযোগ, ব্লক লেভেল অফিসারদের উপর চাপ দিয়ে ভুয়ো নাম ঢোকানোর চেষ্টা চলছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার থেকেই বিএলও অ্যাপে আনা হল বড় বদল।এখন পর্যন্ত এনুমারেশন ফর্ম সংগ্রহ করার পর বিএলও-রা সেই তথ্য অ্যাপে এন্ট্রি করতেন। কিন্তু একবার এন্ট্রি হয়ে গেলে আর সংশোধনের কোনও সুযোগ ছিল না। মঙ্গলবার থেকে সেই নিয়ম বদলে যাচ্ছে। এবার অ্যাপে যুক্ত করা হল এডিট অপশন। অর্থাৎ কোনও ভুল হলে এবার বিএলও-রা নিজেরা সংশোধন করতে পারবেন, পাশাপাশি ইআরও-রাও সেই তথ্য এডিট করতে পারবেন।সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের আসার পরেই এই বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগের চাপেই কি এই বদল? সেই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ বিরোধীদের দাবি ছিল, জোর করে ভুয়ো নাম এন্ট্রি করানো হচ্ছে বিএলও-দের দিয়ে।সোমবার রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজে সিইও দফতরে গিয়ে এই অভিযোগ জানান। তিনি বলেন, বিএলও-দের থেকে ওটিপি নিয়ে আইপ্যাক-এর লোকেরা বেআইনিভাবে নাম ঢোকাচ্ছে। তাঁর নেতৃত্বেই বিজেপির প্রতিনিধিরা সেদিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে ডেপুটেশন দেন।এই অভিযোগের পরই নির্বাচন কমিশন বিএলও অ্যাপে এই গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নতুন ব্যবস্থায় ভুল ধরার পাশাপাশি সংশোধনের সুযোগ থাকায় এবার নাম এন্ট্রি নিয়ে স্বচ্ছতা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
কলকাতা

CEO দফতরের সামনে নজিরবিহীন ধুন্ধুমার! মুখোমুখি বিএলও আর বিজেপি বিধায়করা

সোমবার সকাল থেকেই কলকাতার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরের সামনে তুমুল উত্তেজনার ছবি ধরা পড়ল। একেবারে নজিরবিহীন পরিস্থিতি তৈরি হয়। একদিকে তৃণমূলপন্থী বিএলও-দের একাংশ স্মারকলিপি জমা দিতে দফতরের সামনে জমায়েত করেন। ঠিক সেই সময় পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিজেপি বিধায়করা সেখানে পৌঁছন। শুরু হয় স্লোগান আর পাল্টা স্লোগান। মুহূর্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।বিএলও-দের দাবি ছিল, এসআইআর-এর কাজে যুক্ত থাকা মৃত কর্মীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং সাত দিনের সময়সীমা বাড়িয়ে অন্তত দুমাস করতে হবে। তাঁরা স্মারকলিপি দিতে এসেছিলেন। সকাল থেকেই ওই এলাকায় পুলিশের বিশাল বাহিনী মোতায়েন ছিল। বিএলও-রা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করতেই সেখানে পৌঁছে যান বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়। পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। সেই ব্যারিকেড টপকে অনেকেই সামনে চলে আসেন।এই উত্তপ্ত অবস্থার মধ্য দিয়েই বিজেপি বিধায়করা ভিতরে প্রবেশ করেন। তাঁরা প্রায় দেড় ঘণ্টা ভিতরে ছিলেন এবং মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল-এর সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দেন। ভিতরে থেকেই ফেসবুক লাইভও করা হয়। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ তুলে বলেন, ২৬, ২৭ এবং ২৮ নভেম্বরের ভোটার তালিকার সব এন্ট্রি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অডিট করাতে হবে।বিধায়করা বাইরে বেরোতেই পরিস্থিতি আরও তপ্ত হয়ে ওঠে। শুভেন্দুকে ঘিরে বিএলও-রা স্লোগান দিতে থাকেন। সেই সময় গাড়িতে ওঠার আগে শুভেন্দু গাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে হাত তুলে পাল্টা চোর চোর স্লোগান দেন। মুহূর্তে ভিড় আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। গোটা পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খায় পুলিশ।রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতার এই ধরনের প্রকাশ্য স্লোগান রাজ্যের রাজনীতিতে বিরল। দিনভর মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরের সামনে কার্যত রাজনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্রের ছবি দেখা গেল।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
রাজ্য

SIR-এর আতঙ্কের মাঝেই বড় স্বস্তি! নদিয়ায় বাংলাদেশি দম্পতির হাতে ভারতীয় নাগরিকত্ব

কেন্দ্র সরকার আগেই জানিয়েছিল, বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম শরণার্থী ছাড়া হিন্দু-সহ অন্যান্য ধর্মের শরণার্থীরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলে নাগরিকত্ব পাবেন। ভোটার তালিকার বিশেষ পরিমার্জন বা SIR ঘিরে যখন রাজ্য জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ, ঠিক সেই সময় নদিয়ার রানাঘাটে এক বাংলাদেশি দম্পতির হাতে এসে পৌঁছল ভারতীয় নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট। তা পেয়ে স্বস্তিতে বুক ভরেছে তাঁদের।নদিয়ার তাহেরপুর থানার কামগাছি জয়পুর এলাকার বাসিন্দা লাতুরাম সিকদার ও তাঁর স্ত্রী পদ্ম সিকদার কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন। লাতুরাম বাংলাদেশের সনাতনপুরে থাকতেন, আর পদ্ম থাকতেন পন্ডিতপুর এলাকায়। কট্টরপন্থীদের অত্যাচারের ভয়ে তাঁরা সীমান্ত পেরিয়ে নদিয়ায় চলে এসে বসবাস শুরু করেন। তাঁদের কাছে আগে থেকেই আধার কার্ড ছিল।চলতি বছরে বাংলায় SIR শুরু হলে তাঁরা চিন্তায় পড়ে যান, কারণ ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম ছিল না। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা Citizenship Amendment Act অনুযায়ী ক্যাম্পে গিয়ে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। তাঁরা ১০ অক্টোবর আবেদন করেছিলেন এবং ১৯ নভেম্বর হাতে পান নাগরিকত্বের শংসাপত্র।নাগরিকত্ব পেয়ে পদ্ম সিকদার বলেন, তাঁরা খুব খুশি এবং কেন্দ্র যে পদ্ধতিতে আবেদন করতে বলেছে, সকলকে সেই নিয়ম মেনে আবেদন করার অনুরোধ জানান। লাতুরাম সিকদার বলেন, তাঁরা এক কাপড়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে এসেছিলেন প্রায় ৩৫-৩৬ বছর আগে। এখানেই বড় হয়েছেন, এখানেই তাঁদের সংসার। SIR শুরু হওয়ার পর ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিলেন, তবে কেন্দ্রীয় সরকার যে আশ্বাস দিয়েছিল, সেই অনুযায়ী আবেদন করেই তাঁরা নাগরিকত্ব পেয়ে গেলেন। এখন ভোট দেওয়ার অধিকারও পেলেন তাঁরা।এই বিষয়ে রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চ্যাটার্জি বলেন, শুরু থেকেই তাঁরা জানিয়েছিলেন আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এই দম্পতি নাগরিকত্ব পেয়েছেন, ভবিষ্যতে যাঁরা আবেদন করবেন, তাঁরাও নাগরিকত্ব পাবেন।উল্লেখ্য, এর আগেও জঙ্গি হামলায় নিহত বিতান অধিকারীর স্ত্রী ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। নদিয়ার এই দম্পতির নাগরিকত্ব পাওয়ার ঘটনায় নতুন করে আশা দেখছেন অনেক শরণার্থী পরিবার।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal