সৎ, ভদ্র ক্রিকেটার হিসেবে দারুণ জনপ্রিয় ছিলেন ভারতের প্রাক্তন জোরে বোলার জাগাভাল শ্রীনাথ। খেলার সময় কোনও ক্রিকেটারের সঙ্গে অশোভনীয় আচরণ তাঁকে কখনও করতে দেখা যায়নি। সততাই ছিল তাঁর চরিত্রের অন্যতম দিক। খেলা ছাড়ার পর এখন ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করেন। সেখানেও সততা, নিরপেক্ষতা দেখিয়ে চলেছেন শ্রীনাথ। শ্রীনাথের সততার জন্যই ছাড় পেল না তার ক্রিকেটের আঁতুরঘর বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম।
ভারত–শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজে দ্বিতীয় টেস্ট আয়োজনের দায়িত্ব ছিল বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের। গোলাপি বলে দিনরাতে টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। টেস্টের প্রথম ঘন্টা থেকেই বল ঘুরতে শুরু করেছিল। চিন্নাস্বামীর উইকেটে ব্যাটসম্যানদের খেলা যথেষ্ট কঠিন ছিল। পরের দিকে উইকেটের কিছুটা উন্নতি হলেও ব্যাট ও বলের লড়াই অসম হয়ে উঠেছিল। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইশ গজ দেখে সন্তুষ্ট হতে পারেননি ম্যাচ রেফারি জাগাভাল শ্রীনাথ। ম্যাচের পর আইসিসি–র কাছে কড়া রিপোর্ট দিতে পিছপা হননি তিনি। আইসিসি–কে দেওয়া রিপোর্টে চিন্নাস্বামীর উইকেটকে সাধারণের থেকেও খারাপ বলে উল্লেখ করেন শ্রীনাথ। শ্রীনাথের রিপোর্টের ভিত্তিতে চিন্নাস্বামীর উইকেট ‘বিলো–অ্যাভারেজ’ রেটিং পেয়েছে।
আইসিসি–র কাছে ম্যাচ রেফারি জাগাভাল শ্রীনাথ যে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন, তাতে তিনি লিখেছেন, ‘চিন্নাস্বামীর উইকেটে প্রথম দিন থেকেই বল ঘুরেছে। খেলার প্রতিটা সেশনে সেই ঘূর্ণি বেড়েছে। এই উইকেটে ব্যাট ও বলের ভাল লড়াই হওয়া সম্ভব ছিল না।’ শ্রীনাথের রিপোর্টের ভিত্তিতে চিন্নাস্বামীর পিচকে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে।
আইসিসির নিয়মে বলা রয়েছে, ম্যাচ রেফারির মতে যে স্টেডিয়ামের পিচ বিলো–অ্যাভারেজ, সেই স্টেডিয়াম একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পাবে। যে পিচ খারাপ এবং খেলার একেবারেই অনুপযুক্ত, সেখানে যথাক্রনে তিন ও পাঁচ ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হবে। এই ডিমেরিট পয়েন্টের মেয়াদ পাঁচ বছর। যদি কোনও স্টেডিয়ামে এভাবে পাঁচ বা তার বেশি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়, তাহলে সেই স্টেডিয়ামের ওপর এক বছরের জন্য কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে আইসিসি।
আরও পড়ুনঃ জয় ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস সবচেয়ে দুর্দান্ত অভিনয় শিল্পীদের স্বীকৃতি দিল
আরও পড়ুনঃ রং খেলতে বেরিয়ে খুন ঝাড়গ্রামের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী
- More Stories On :
- Cricket
- India
- Sri Lanka
- Bengaluru Test
- Javagal Srinath