• ১২ পৌষ ১৪৩২, মঙ্গলবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Ban

কলকাতা

বিজেপির নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল কলকাতা ও হাওড়া

বিজেপির নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কলকাতা ও হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা নাগাদ বিজেপির নবান্ন অভিযান শুরু হয়। শহরের বিভিন্ন অংশ থেকে মিছিল নবান্নের দিকে আসতে শুরু করে। মিছিলের শুরুতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কলকাতার হেস্টিংস ও সাঁতরাগাছি৷ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ বিজেপির। কাঁদাতে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। এছাড়াও মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে জলকামানের মাধ্যমে রঙিন জল ব্যবহার করা হয়৷ এদিকে এদিন এই মিছিলের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ। সাঁতরাগাছিতে মিছিল থেকে পাল্টা পাথরও ছোঁড়া হয়। অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। হেস্টিংসে বহু বিজেপি কর্মী আহত হন৷ হেস্টিংস মোড়ে বসে পড়েন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ বিজেপির নেতানেত্রীরা৷ অপরদিকে হাওড়া ময়দান এলাকায় মিছিল লক্ষ্য করে বোমা মারার অভিযোগ উঠেছে। এখানেও অশান্ত হয়ে ওঠে এলাকা। একটি বহুতলের ছাদ থেকে বোমা মারার অভিযোগ উঠছে।প্রসঙ্গত, এদিন সকালে সাঁতরাগাছি থেকে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শুরু হয় বিজেপির নবান্ন অভিযান। বাঁশের ব্যারিকেডের সামনে মিছিল এলে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। সামনে থাকেন রাজু। সেই সময় জলকামান থেকে রঙিন জল স্প্রে শুরু করে পুলিশ। এর জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। শুরু হয় রক্তবমি।পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে থাকায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাসের ধারের হাসপাতালে।এছাড়াও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বিজেপি নেতা তাপস ঘোষ। আহত হয়েছেন অরবিন্দ মেনন, সায়ন্তন বসু ও জ্যোতির্ময় মাহাতো। দিলীপ ঘোষে্র নেতৃত্বে একটি মিছিল হাওড়া ব্রিজে উঠতেই বাধা দেয় পুলিশ। শুরু হয় লাঠিচার্জ। দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, তাঁর উপরও লাঠিচার্জ করা হয়। পড়ে যান তিনি। জখম হন বেশ কয়েকজন কর্মী। তাঁদের পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। অন্যদিকে পুলিশের কিয়স্ক ভাঙচুর চালানো হয় হাওড়া ময়দানে। বোমাবাজিও করা হয় বলে অভিযোগ। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় সেখানেও। দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, কলকাতাকে গোটা দেশের থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরদিকে হেস্টিংস মোড়ে দ্বিতীয় সেতুতে ওঠার মুখেই পুলিশের ব্যারিকেড। হেস্টিংসের মিছিলকে আটকায় পুলিশ। জলকামান থেকে জল ছেটানো হয়। লাঠি উচিয়ে মিছিলকে তাড়া করে পুলিশ। কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এদিন তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, দুর্নীতিমুক্ত করতে পুরো রাজ্য সরকারের স্যানিটাইজেশন হোক। রাজ্য সরকার ঘাবড়ে গিয়েছে। বেহালা, ভবানীপুর, ডানকুনিতে বিজেপি কর্মীদের আটকেছে পুলিশ। লাঠিচার্জ করছে। তৃণমূল কার্যকর্তাদের মতো কাজ করছে পুলিশ। তৃণমূল সরকার ঘাবড়ে গিয়েছে। গণতন্ত্র বাঁচাও, বাংলা বাঁচাওয়ের দাবিতে এই আন্দোলন চলবে।

অক্টোবর ০৮, ২০২০
কলকাতা

আজ নবান্ন অভিযান হবেইঃ সৌমিত্র খাঁ

আজ বিজেপির নবান্ন অভিযান। কিন্তু বুধবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে, এবার বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার নবান্ন বন্ধ থাকছে। এই দুদিন পুরো নবান্ন স্যানিটাই্জ করা হবে। প্রসঙ্গত, প্রতি সপ্তাহে শনিবার রুটিনমাফিক নবান্ন জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের এই দুদিন নবান্নে না আসার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বিজেপির কর্মসূচির সঙ্গে নবান্ন বন্ধ করে স্যানিটাই্জ করার কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা, স্বাভাবিকভাবেই মাথাচাড়া দিচ্ছে সেই প্রশ্ন। এবিষয় তৃণমূলের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কিন্তু প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিজেপি যুব মোর্চা সভাপতি সৌমিত্র খাঁ বলেন, তৃণমূল সরকার নবান্ন বন্ধ করলেও আগামীকাল নবান্ন অভিযান হবেই। বিজেপি এই অপদার্থ সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামবেই। বিভিন্ন জেলা থেকে প্রচুর কর্মী ও সমর্থক এই কর্মসূচিতে উপস্থিত হবেন। নবান্ন বন্ধ রেখেও কোনও লাভ হবে না। এই প্রসঙ্গে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন সরকার বুঝে গেছেন জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। পুলিশ দিয়ে এইভাবে শুধু সরকার চালানো যায় না। কর্মসূচি হবে যতদূর যেতে দেবে সেখানে গিয়ে প্রয়োজনে সভা করা হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যদি রাজ্য ছেড়ে চলে যান তাহলে কি আন্দোলন বন্ধ হয়ে যাবে? নবান্ন অভিযানে ঘেরাও করা হবে কর্মসূচি করা হবে সেখানে বাধা দিলে সংঘর্ষের বিষয় আসছে। অনুমতির কোনো পরোয়া করিনা কালকে দলীয় যা কার্যক্রম আছে সেটা করা হবে জানিয়ে দিলেন সায়ন্তন বসু।

অক্টোবর ০৭, ২০২০
রাজ্য

পথশ্রী প্রকল্পের টেন্ডার নিয়ে যেন গন্ডগোল না হয়ঃ মুখ্যমন্ত্রী

চেন্নাই-মুম্বই থেকে লরি আসে। এই লরির চাকায় জীবাণু ছড়াচ্ছে। যেমন কাপড়জামা, বাজারের থলি থেকে ছড়ায়। তেমন হলে মাঝেমধ্যে চাকার ফরেন্সিক পরীক্ষাও করা যেতে পারে। বুধবার ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি এই বিষয়ে বলতে গিয়ে আরও বলেন, বাইরের রাজ্য থেকে আসা লরি ড্রাইভারদের যদি ধাবায় বসে খেতে হয়, সেক্ষেত্রে কোভিড বিধি মেনে পুরোপুরি স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা করতে হবে। এই পুরো বিষয়টি নজরে রাখার জন্য প্রশাসনকে বলেন তিনি। মমতা বলেন,এখানে অনেককেই দেখছি মাস্ক ব্যবহার করছেন না। তাদের বলছি মাস্ক পরুন। যাঁরা গরীব, টাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে পারছেন না, তাঁদের সবাইকে মাস্ক কিনে দেওয়ার জন্য সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ দেন তিনি। এছাড়াও তিনি বলেন, পথশ্রী প্রকল্পের কাজে বাধা দেবেন না। টেন্ডার নিয়ে কোনও গন্ডগোল যেন না হয়। সব পঞ্চায়েত, সব রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বলছি। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে কেউ টাকা চাইলে সোজা থানায় যান। সরকার জনগণের। কোনও রাজনৈতিক দলের নয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ঝাড়গ্রামে অনেক কাজ হয়েছে। তা সত্ত্বেও যারা বড় বড় কথা বলছেন তারা আগে নিজেরা একটু কাজ করে দেখান। নির্বাচনের আগে যাতে নতুন করে ঝাড়গ্রামে কোনও অশান্তির পরিবেশ তৈরি না হয় সেদিকে নজর রাখুন। এছাড়াও এদিন মাটির সৃষ্টি প্রকল্প নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। কমপক্ষে ৫ লক্ষ মানুষ কাজ পাবেন। এছাড়াও তিনি ঘোষণা করেন, ঝাড়গ্রামে সাংবাদিকদের জন্য ভবন তৈরি হবে। ভবনের জন্য পাঁচ কাটা জমি দেওয়া হয়েছে । খরচ দেবে রাজ্য সরকার।

অক্টোবর ০৭, ২০২০
রাজ্য

‘কোমরে দড়ি বেঁধে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে পেটাব’, হুমকি সৌমিত্র খাঁয়ের

এক বছরের মধ্যে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে কোমড়ে দড়ি বেঁধে পেটাব। ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে এমনই কুরুচিকর মন্তব্য করলেন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। এর আগেও তিনি বিভিন্ন বিষয় এমনই কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। রাজ্যে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের সময় এসেছে বলেও দাবি করেন তিনি। শমীক ভট্টাচার্যের উপর ডায়মন্ডহারবারে আক্রমণের ঘটনার কড়া নিন্দা করেন তিনি। টিটাগড়ে মণীশ শুক্লা খুনের বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ভবানীভবন থেকে মণীশকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এফআইআরে যাদের নাম আছে অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে।

অক্টোবর ০৭, ২০২০
রাজনীতি

হাথরসকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ বিকেলে প্রতিবাদ মিছিল মুখ্যমন্ত্রীর

করোনা আবহে আজ উত্তরপ্রদেশের হাথরস ইস্যুতে কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদ মিছিল করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতিতে এই প্রথম প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। শনিবার বিকেল ৪টায় মিছিল বিড়লা প্লানেটোরিয়াম থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে। শুক্রবার হাথরসে ঢুকতে গিয়ে বাধা পায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। অভিযোগ, মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েনকে। উত্তরপ্রদেশের হাথরসে দলিত তরুণীর গণধর্ষণে মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্ধ আপামর জনতা। তারওপর যোগী সরকারের কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ আরও বাড়ছে। স্থানীয় জেলাশাসক হুমকি দিয়েছেন ওই পরিবারকে। এমনটাই অভিযোগ। কংগ্রেসে নেতা রাহুল গান্ধীকে মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এর আগে টুইটে উত্তরপ্রদেশের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার পথে নেমে প্রতিবাদ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অক্টোবর ০২, ২০২০
রাজ্য

অসমাপ্ত কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ মমতার

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। কোভিড পরিস্থিতিতেও উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উন্নয়নের কাজ খতিয়ে দেখতেই এই সফর মমতার। উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্তাদের মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ১০০ শতাংশ কাজ চাই। চা শ্রমিকদের জন্য করলেন বিশেষ ঘোষণা। আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে মানুষের উন্নয়নের কাজে কেনও গাফিলতি না হয় এবং দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ইনস্পেক্টর রাজ বেশি চলছে। জনস্বার্থে কাজ বেশি চাই। খোলনলচে সব বদলে দেব। ১০০ পার্সেন্ট কাজ চাই, ১০০ পার্সেন্ট অভিযোগের সমাধান করতে হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে দুই জেলার সব কাজ শেষ করার জন্য ডিএম-এসডিও-বিডিওদের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের অর্থদপ্তর টাকা দেওয়া সত্ত্বেও অনেক জায়গায় কাজ হচ্ছে না বলে রিপোর্ট পেয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী জেলা সভাধিপতিদের নির্দেশ দেন ডিএম-বিডিওদের সঙ্গে কথা বলে অসমাপ্ত কাজগুলি শেষ করুন। বুধবার দার্জিলিং, কোচবিহার ও কালিম্পংয়ের রিভিউ বৈঠক করবেন মমতা। এদিন চা বাগানের গৃহহীন শ্রমিকদের জন্য চা সুন্দরী প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, চা বাগানের গৃহহীন শ্রমিকদের বাড়ি বানিয়ে দেবে সরকার। চা সুন্দরী প্রকল্পে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ আগামী ২ মাসের মধ্যে শুরু হবে। তিন বছরের মধ্যে প্রকল্প সম্পূর্ণ করা হবে। উত্তরবঙ্গে ৩৭০টি চা বাগানে প্রায় ৩ লক্ষ শ্রমিক রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রথম পর্যায়ে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের মোট ৭টি চা বাগানের ৩,৬৯৪টি পরিবার এই প্রকল্পের বাড়ি পাবেন। আলিপুরদুয়ারে ৫টি চা বাগানের ২,৬৪১ টি পরিবার রয়েছে। আর জলপাইগুড়িতে ২টি চা বাগানে ১,০৫৩টি পরিবার থাকছে। তিনশো কামতাপুরি আন্দোলনকারী রাজ্যের উদ্যোগে মূল স্রোতে ফিরছে। এদিন ১৩০ জন কেএলও অ্যাক্টিভিস্ট ও লিংকম্যান মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বাকি ১৬১ জন আগামীকাল, বুধবার ফিরবেন। এদিন জল্পেশ মন্দিরের পুরোহিত বিজয় চক্রবর্তীর হাতে পুরোহিত ভাতা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০
রাজনীতি

একুশের ভোটে মা-বোনেদের উপবাস করার ডাক দিলেন কেন শান্তনু?

সাম্প্রদায়িক শক্তির বিষদাঁত ভেঙে একুশের ডাক তৃতীয় মা-মাটি-মানুষ সরকার প্রতিষ্ঠার। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ যেমন মহান আল্লাহ্-র প্রতি সম্মান জানিয়ে সকলের মঙ্গল কামনায় এক মাস রোজা রাখেন, তেমনই হিন্দু মা-বোনেরা সন্তানের মঙ্গল কামনায় নানা ব্রত পালন করেন উপবাস করে। সকলের আশা একটাই, মঙ্গল কামনা করা। একুশের ভোট এবার বাংলার মঙ্গল কামনা করা। মমতাময়ী মা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে সকলকে আগলে রেখে ভালো কাজ চালিয়ে যেতে পারেন, অশুভ শক্তিকে পরাস্ত করে তা নিশ্চিত করতে হবে। সে কারণে সকাল সকাল ভোট দিয়ে তারপর সকলে তৃপ্তি করে জলখাবার খাবেন, ভোট দেওয়া অবধি সকলে উপোস রাখুন বাংলা তথা জননেত্রীর মঙ্গল কামনায়। মঙ্গলবার ২৯ অক্টোবর হুগলির খানাকুলে এ কথা বলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মজীবনে বেশ কিছু বছর এখানে কাটানো শান্তনুর কাছে খানাকুল এক অন্য আবেগের জায়গা। এখানকার মানুষের কাছেও শান্তনু যেন ঘরের ছেলে। মিছিল হোক বা সভা, হাতের তালুর মতো চেনা খানাকুলে এলেই একটা নস্ট্যালজিয়া কাজ করে। এখানকার মানুষও সেই ভালোবাসার টানে জনসভায় এসে ঠায় বসে সভা শুনলেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে। কাউকে সভার জন্য নিয়ে আসা হয়নি। বিশেষভাবে সক্ষম এক ব্যক্তি এসেছিলেন শান্তনুকে ফুলের তোড়া হাতে নিয়ে। তাঁকে মঞ্চে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিয়ে জড়িয়ে ধরলেন শান্তনু। ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরাও শান্তনুকে সংবর্ধনা প্রদান করলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি হওয়ার জন্য। খানাকুল ১ নম্বর ব্লকের এই প্রতিবাদ সভায় বিজেপি ছেড়ে অনেকেই জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব ও শান্তনুর হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা নিলেন। শান্তনু বলেন, মসজিদ দেখলে যেমন বোঝা যায় এখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ থাকেন, মন্দির দেখলে যেমন হিন্দুদের উপস্থিতির কথা আমাদের সহজেই মনে আসে, ঠিক সেভাবেই দাঙ্গা হলে প্রথমেই মনে আসে বিজেপির কথা। কৃষি বিল আইনে রূপায়িত করায় কেন্দ্রকে বিঁধে শান্তনু বলেন, ইংরেজ আমলে নীল চাষিদের মতো অবস্থার কথা মনে করাচ্ছে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ। তাঁদের আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়ে হাত শক্ত করা হচ্ছে পুঁজিপতিদের। কৃষকদের দেখতে হবে তাঁদের উৎপাদিত পণ্য ৫ টাকায় কিনে মলে মোড়কে রেখে ১০০ টাকায় বিক্রি করা হবে। জিনিসপত্রের দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে কেউ জানে না। বিজেপির অপপ্রচার রুখতে পুজোর আগেই কৃষকদের সচেতন করতে শান্তনু বিশেষ উদ্যোগ নিতে চলেছেন।

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
কলকাতা

নতুন মুখ্য সচিব কে? ঘোষণা মমতার

রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা অবসর গ্রহণ করছেন বুধবার ৩০ সেপ্টেম্বর। তাঁর স্থলাভিষিক্ত কে হচ্ছেন তা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গ সফর শুরুর আগে সোমবার ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি টুইটে জানান, ১ অক্টোবর থেকে রাজ্যের পরবর্তী মুখ্য সচিব হবেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে তিনি অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (স্বরাষ্ট্র এবং তথ্য ও সংস্কৃতি)-এর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। আলাপনের জায়গায় স্বরাষ্ট্র সচিব হয়ে আসছেন বর্তমান অর্থ সচিব এইচ কে দ্বিবেদী। অর্থ সচিব হবেন মনোজ পন্থ। রাজীব সিনহাকে ওইদিন থেকেই তিন বছরের জন্য রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান পদে বসানো হচ্ছে। সকলকে আগাম শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
রাজ্য

মানবিকে আনন্দাশ্রু পদ্মদিদির নয়নে

মানবিক করল সাধপূরণ, মানবিক-এই ঝরল আনন্দাশ্রু। পদ্মদিদির নয়নে। পদ্মরানি দাস, সকলের প্রিয় পদ্মদিদি। এক্ষেত্রে মানবিক কোনও সরকারি প্রকল্প নয়, বরং নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। ৪২ বছর ধরে বামবিরোধী আন্দোলন বা কর্মসূচিতে পদ্মদিদি নেই, এটা হয়নি হুগলির চুঁচুড়ায়। হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নির্মল দাসের স্ত্রী পদ্মরানি দাস। প্রথমে কংগ্রেস, পরে তৃণমূল কংগ্রেসের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে ছুটে গিয়েছেন নানা সভায়, মিছিলে। অথচ পদ্মরানির খবর কেউ রাখেননি। না সাংসদ, না মন্ত্রী, না বিধায়ক, না জনপ্রতিনিধি। দলের একনিষ্ঠ কর্মী। মুখ ফুটে সরকারি সাহায্যের জন্য কারও কাছে বলেননি। কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা? না, এতদিন কেউ কিচ্ছুটি করেননি। নির্মলবাবু বার্ধক্যের ভারে কাজ করতে অপারগ। একমাত্র সন্তানও বিশেষভাবে সক্ষম। ফলে ষাটোর্ধ্ব মলিন কাপড় পরিহিতা পদ্মদিদির সংসার যাতে চলে তার ব্যবস্থা করেন দলীয় কর্মীরা। কিন্তু পরিবারের মাথার উপর ছাদ নেই, ভগ্নপ্রায় বাড়ি। ফুটো ত্রিপলে কি বৃষ্টির জল আটকায়? তবু এতো প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও দলের কর্মসূচি মিস করেন না আদর্শে অবিচল পদ্মদিদি। দলের একনিষ্ঠ এই প্রবীণা কর্মীর এই কষ্টের মধ্যে জীবনযাপন নজর এড়ায়নি তৎকালীন তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। তিনি বিষয়টি জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের তৎকালীন সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানান। শান্তনু সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেন দলের ওই প্রবীণা কর্মীর পাশে তৃণমূল যুব কংগ্রেস কর্মীরা থাকবেন। অসহায় পরিবারের জন্য আগে মাথার উপর ছাদ তৈরি করে দিতে হবে। এই বিষয়ে দেবাশিসবাবুকেই অগ্রণী ভূমিকা নিতে বলেন শান্তনু। নীরবেই সেই কাজ শুরু করে দেন তৃণমূল যুব কংগ্রেস কর্মীরা। কেউ দিয়েছেন ইট, কেউ সিমেন্ট, কেউ টাকা। তা দিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বাড়ি, নামটিও ভারী সুন্দর মানবিক। দশকের পর দশক ধরে কুঁড়েঘরে দিনযাপনে অভ্যস্ত পদ্মদিদির পরিবার রবিবার ২৭ সেপ্টেম্বর প্রবেশ করল মানবিকে। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন মানবিক উদ্যোগে যুক্ত থেকে দলের প্রবীণ কর্মীকে সম্মান জানাতে পেরে যেমন তৃপ্তি পেয়েছেন তৃণমূল যুব কংগ্রেস কর্মীরা, তেমনই আবেগাপ্লুত পদ্মদিদি বললেন, এমন উপকার কোনওদিন ভুলব না। আজকালকার রাজনীতিতে পদ্মরানি দাস দৃষ্টান্ত। তেমনভাবেই আজকালকার দিনে রাজনীতির সঙ্গে যুক্তদের দুর্নীতি-সহ নানা কারণে সাধারণ মানুষ যেমন বাঁকা চোখে দেখেন, সেখানে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ আশা জাগায়। মানুষের পাশে নিঃস্বার্থভাবে থাকতে পারা দেবাশিসবাবুর মতো মানুষজনের এমন উদ্যোগ তাই রাজনৈতিক মহলের কাছেও একটা দৃষ্টান্ত হয়ে রইল। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় মানবিক-এর সামনে দাঁড়িয়েই বলছিলেন, মানুষের পাশে থাকার আদর্শ আমরা শিখেছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই। রং না দেখে মানুষের আপদ-বিপদ, সুখ-দুঃখের শরিক হতে আমাদের বারবার বলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জনসেবার সেই আদর্শকে পাথেয় করে যেভাবে দেবাশিস মুখোপাধ্যায় ও তৃণমূল যুব কংগ্রেস কর্মীরা এই পরিবারের পাশে রয়েছে তা শুধু প্রশংসনীয়ই নয়, খুব তৃপ্তির। দলের প্রবীণ কর্মীদের এভাবে সম্মান প্রদান সত্যিই আমাদের দলনেত্রীর নির্দেশকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করার দৃষ্টান্তস্বরূপ।

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
খেলার দুনিয়া

ইস্টবেঙ্গল আইএসএলে কী নামে? ঘোষণা নীতার

এই দিনটার প্রতীক্ষাতেই ছিলেন বিশ্বের তামাম ইস্টবেঙ্গল ভক্ত। রবিবার ২৭ সেপ্টেম্বর এবারের আইএসএলের একাদশ দল হিসেবে ইস্টবেঙ্গল এফসি-কে স্বাগত জানিয়েছেন ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপার্সন নীতা আম্বানি। এক প্রেস বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, ইস্টবেঙ্গল ও দলের লক্ষ লক্ষ সমর্থকদের আইএসএলে স্বাগত জানাই, এটা খুব আনন্দের ও গর্বের মুহূর্ত। ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের (বর্তমানে এটিকে মোহনবাগান) মতো ক্লাব আইএসএলে আসায় বাংলায় ফুটবল প্রতিভার বিকাশ-সহ দেশের ফুটবলে সীমাহীন সম্ভাবনার পথ প্রশস্ত হলো। ভারতীয় ফুটবলে বাংলার প্রভূত অবদান রয়েছে। এর সঙ্গে রাজ্য তথা দেশে প্রতিযোগিতামূলক ও বলিষ্ঠ ফুটবল ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্যে আইএসএলের ক্রমবর্ধমান পদাঙ্ক আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে নীতার ঘোষণায় একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, ইনভেস্টরের নাম ইস্টবেঙ্গলের আগে বসছে না। আইএসএলে লাল হলুদ খেলবে ইস্টবেঙ্গল নামেই।

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
কলকাতা

দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলিকে ৫০হাজার টাকা, বিদ্যুতে ৫০ শতাংশ ছাড়সহ একাধিক ঘোষনা মুখ্যমন্ত্রীর

করোনা আবহে দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তাদের নানা সাহায্যের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি একাধিক নিয়ম মানার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। করণ কোনওরকম ভাবে উৎসবের আবহে করোনা সংক্রমণ না ছড়ায়। এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দুর্গাপুজো সমন্বয় কমিটির সভা বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পুজো উদ্যোক্তাদের নানাবিধ নির্দেশের কথা জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, এবার রাজ্য সরকার পুজো কমিটিগুলোকে ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্য দেবে। তাছাড়া পুজো অনুমতির ক্ষেত্রেও একগুচ্ছ ছাড় ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ফায়ার ব্রিগেডের অনুমতি একেবারেই বিনামূল্যে মিলবে। পুরসভা এবার কোনও কর নেবে না। সিইএসসি, রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর ৫০% ছাড় দেবে।এককথায় দুর্গাপুজোয় কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও করোনা মেকাবিলায় নানাবিধ নির্দেশ ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতি প্যান্ডেলে স্যানিটাইজার এবং মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তৃতীয়ার দিন রাত থেকে একাদশীর দিন পর্যন্ত প্রতিমা দর্শণ করা যাবে। এছাড়া করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সচেতন করার জন্য ক্লাবগুলিকে মাইকে ঘোষণা করতে হবে। প্যান্ডেল খোলামেলা করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, যদি চালা ঢাকা থাকে সে ক্ষেত্রে চারিপাশটা খুলতে হবে। চারিপাশ ঢাকা থাকলে চালা খোলা রাখতে বলেছেন। এক কথায় কোনভাবেই যাতে উৎসবের দিনগুলো করোনা সংক্রমণ না ছড়ায় সে ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাছাড়া অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ এবং সিঁদুরখেলা নিয়েও বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বেশি ভিড় করা যাবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি। এবার আর রেড রোড কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তবে এ দিনের বৈঠকে নাম না করে গেরুয়া শিবিরের সমালোচনা করতেও ছাড়েননি তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুজো না হলে এক কথা বলবে পুজো হলে আর এরকম অপবাদ চাপাবে। অতএব তাঁদের কোনওরকম সুযোগ দেওয়া যাবে না। কারণ পুজো নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। শকুনের দৃষ্টিতে তারা তাকিয়ে আছে। এবারে রাজ্যে মোট ৩৭ হাজার দুর্গাপুজো হচ্ছে তার মধ্যে কলকাতায় প্রায় আড়াই হাজার পুজো হবে। রাজ্য পুলিশ এলাকায় পুজোর সংখ্যা ৩৪ হাজার ৪৩৭, এছাড়া ১৭০৬টি মহিলা পরিচালিত পুজো রয়েছে।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০
কলকাতা

মারণ রোগের বিরুদ্ধে ঋত্ত্বিকার লড়াইয়ে সহযোদ্ধা যুবযোদ্ধারা

রক্তদান জীবনদান। বহু পরিচিত এই কথাকে মাথায় রেখে ফুটফুটে শিশুর কঠিন জীবন সংগ্রামে তার সহযোদ্ধা হলো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলার যুবশক্তি কর্মসূচিতে সামিল যুবযোদ্ধারা। ঋত্ত্বিকা দত্ত। বয়স ৯ বছর ৭ মাস। ফুটফুটে এই শিশুকে লড়াই চালাতে হচ্ছে মারণ রোগের সঙ্গে। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা চলছে। ২৫০ ইউনিট রক্ত দরকার। প্রতি সপ্তাহে দরকার ২০ ইউনিট রক্ত। রক্ত জোগাড়ে হিমশিম খাচ্ছেন ঋত্ত্বিকার বাবা। পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাধ্যমে এই খবর পৌঁছায় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি নির্দেশ দেন যুবযোদ্ধাদের মধ্যে থেকেই রক্তদাতা খুঁজে বের করতে। শুধু নির্দেশ দিয়েই ক্ষান্ত হননি শান্তনু। বৃষ্টি মাথায় করেই সৌরভ ও ২৫ জন যুবযোদ্ধাকে নিয়ে শান্তনু বুধবার ২৩ সেপ্টেম্বর পৌঁছে যান কলকাতার ওই হাসপাতালে। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। ছোট্ট ঋত্ত্বিকার হাতে উপহার তুলে দিয়ে মিঠুনবাবু ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। আশ্বাস দেন, রক্ত নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না। ঋত্ত্বিকা যতদিন না সুস্থ হচ্ছে, চিকিৎসকরা যতদিন রক্ত দিতে বলবেন সেই দায়িত্ব আমরা নিলাম। শান্তনুর এই প্রশংসনীয় মানবিক উদ্যোগ যেন আরও একবার দেখিয়ে দিল অভিষেকের বাংলার যুবশক্তি কর্মসূচির সার্থকতা।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
বিবিধ

শান্তনুর হাত ধরে সিটু ছেড়ে যোগ তৃণমূলের ইউনিয়নে

মঙ্গলবার ২২ সেপ্টেম্বর হুগলি জেলার জাঙ্গিপাড়ায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ এমপ্লয়িজ অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কর্মিসভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তাঁর হাত ধরেই সিটু ছেড়ে তৃণমূলের ইউনিয়নে যোগ দেন বহু কর্মী।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
কলকাতা

রাজ্যপালের চিঠির জবাব মুখ্যমন্ত্রীর জোড়া চিঠিতেই

ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। সোমবার ২১ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠি মঙ্গলবার ২২ সেপ্টেম্বর টুইটারে পোস্ট করে ফের রাজ্যের সমালোচনায় মুখর রাজ্যপাল। কৃষকদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বেগ কুমিরের কান্না বলেও কটাক্ষ। এদিন টুইটারে রাজ্যপাল লেখেন, পশ্চিমবঙ্গের ৭০ লক্ষ চাষি ৮৪০০ কোটি টাকার সুবিধা পেলেন না কেন? পিএম-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে কেন যোগ দিলেন না? যোগ দিলে আজ প্রত্যেক চাষিভাইয়ের ব্যাঙ্কে ১২ হাজার টাকা জমা পড়ত। মুখ্যমন্ত্রী মহোদয়া আপনার কুমির কান্নায় চাষির দুঃখ ঘুচবে না!! পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া দেশের চাষিরা পিএম-কিষাণ প্রকল্পে প্রভূত সুবিধা পেয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ৯২ হাজার কোটি টাকা চাষিদের দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের চাষিদের প্রতি এই অবিচার আপনার সংকীর্ণ রাজনীতি ও দুর্বল অর্থনীতির পরিচায়ক?? এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অকর্মণ্যতার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষিত ৩.৫ লক্ষ কোটির করোনা প্যাকেজের মধ্যে ৩০ হাজার কোটি টাকাও পায়নি পশ্চিমবঙ্গ। আশা করব, মুখ্যমন্ত্রী মহোদয়া পিএম-কিষাণের সুবিধা যাতে বাংলার চাষিরা পান সেজন্য পদক্ষেপ করবেন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে লেখা মুখ্যমন্ত্রীর দুটি চিঠি প্রকাশ করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি ও আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প রাজ্যে চালু না করা নিয়ে বিজেপি ও রাজ্যপালের বক্তব্য খণ্ডন করা হয়েছে চিঠি দুটিতেই। কেন্দ্রের ওই দুই প্রকল্পের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে যেমন পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, তেমনই ওই দুই প্রকল্পের আগে চালু হওয়া রাজ্যের প্রকল্পগুলি কোথায় এগিয়ে তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা রয়েছে। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, কিষান সম্মান নিধি চালুতে আপত্তি নেই রাজ্যের। তবে কেন্দ্র এই প্রকল্প চালুর অনেক আগেই বাংলায় চালু হয়েছে কৃষকবন্ধু প্রকল্প। এতে কৃষকদের সঙ্গে ভাগচাষিরাও উপকৃত হচ্ছেন। তাঁদের ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে কারও মৃত্যু হলে ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। ৭৩ লক্ষ কৃষক ও ভাগচাষি এই প্রকল্পের আওতায় আছেন। শস্যবিমার পুরো প্রিমিয়াম রাজ্য সরকার দেয়, কোনও কৃষককে তা দিতে হয় না। এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে নানা সুবিধা কৃষকদের প্রদান করা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও পিএম কিষান নিধি প্রকল্পের সুবিধা উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব যদি রাজ্যের বরাদ্দ অর্থ রাজ্য সরকারকে সরাসরি দেওয়া হয়। তাহলে রাজ্যের ব্যবস্থাপনাতেই ওই প্রকল্পের সুবিধা কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। হর্ষ বর্ধনকে একই দিনে পাঠানো চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, রাজ্যে সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা হয়। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় এসেছেন সাড়ে ৭ কোটি মানুষ। বেসরকারি হাসপাতালে জটিল অসুখের চিকিৎসায় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিমার ব্যবস্থা রয়েছে। সারা দেশে স্বাস্থ্যসাথীর মতো আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পেও চিকিৎসার খরচের ১০০ শতাংশ সরকারের বহনের পক্ষে সওয়াল করে বিরোধীদের আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী ভোঁতা করে দিলেন বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
রাজনীতি

রাতভর সংসদে অবস্থান, বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়ে মোদীকে বেনজির আক্রমণ মমতার

কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিল নিয়ে দেশজুড়ে লাগাতার আন্দোলনের ডাক দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবাসরীয় রাজ্যসভাকে ব্ল্যাক সানডে আখ্যা দিয়ে সোমবার ২১ সেপ্টেম্বর তিনি নরেন্দ্র মোদীকে হিটলার, উলঙ্গ রাজা বলেও বেনজির আক্রমণ করেন। এদিন নবান্ন থেকেই দলের মহিলা শাখার সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, করোনা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বিজেপি মিটিং, মিছিল করে করোনা বাড়িয়ে চলেছে। করোনা আবহে কৃষকদের মরোনা বিল এনেছে। এর প্রতিবাদে আন্দোলন সংগঠিত করতে হবে। আজ রাতভর ডেরেক, দোলা-সহ ৮ সাংসদকে সাসপেনশনের প্রতিবাদে সংসদে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে রাতভর অবস্থান চলছে। বিভিন্ন বিরোধী দল রয়েছে। আমি বেশ কয়েকবার তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সলিডারিটি জানিয়েছি। কৃষকদের জন্য কথা বলতে গিয়ে সাংসদরা সাসপেন্ড হলেও আমি তাঁদের জন্য গর্বিত। তৃণমূলের মহিলা শাখা মঙ্গলবার মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসবে। পরশু দলের ছাত্র সংগঠন এবং তারপর ক্ষেতমজুর ও কিষানদের সংগঠনকেও পর্যায়ক্রমে পথে নামার নির্দেশ দিয়ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হিটলারের কায়দায় দেশ চালানো হচ্ছে। ফ্যাসিজম চলছে। রাজ্যসভায় ওদের সাংসদরা ছিল না, প্রয়োজনীয় সংখ্যাও ছিল না। বিলের বিরোধিতায় ডিভিশন চাওয়া যেতেই পারে। কিন্তু তা না করে জোর করে ধ্বনি ভোটে কৃষি বিল পাশ করানো হলো। করোনা ঠেকাতে পারল না, এবার দেশকে দুর্ভিক্ষের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দেশে দুর্ভিক্ষ, ফুড প্যানডেমিক ডেকে আনতে চাইছে মোদী সরকার। ১৯৪৩-এর মন্বন্তরকে মনে করাচ্ছে। জিনিসের দাম বাড়বে, কৃষকরা দাম পাবেন না, আত্মহত্যা বাড়বে। কালকের ঘটনা নিন্দার যোগ্য। শুধু সাসপেন্ড নয় সাংসদদের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবও নিয়েছে! বিজেপির আবার নিন্দা প্রস্তাব! সারা দেশের মানুষ ছিঃ ছিঃ বলবে। বলবে এই সরকারের থাকার দরকার নেই। কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত চলছে। আলু, পেঁয়াজ বাইরে পাঠিয়ে দিচ্ছে। রোজকার জনজীবনে যে খাদ্যসামগ্রীগুলি লাগে সেগুলিকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। জিনিসের দাম বাড়লে এ সব মনিটরিং করতাম। এখন রাজ্যের সেই সব ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে চলে গিয়েছে। করোনার সময় অর্ডিন্যান্স এনেছে এ বিষয়ে। একজনই বসে সব চালাবে। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, মজুতদার, ফোঁড়েদের সুবিধা করে দিচ্ছে। কৃষকদের পাশাপাশি শ্রমিকদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করছে। যখন তখন শ্রমিকরা কাজ হারাবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সমস্ত রাজনৈতিক দলকে আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে তৃণমূল কংগ্রেস পিছনের সারিতে থাকবে। সামনের সারিতে থাকবেন মানুষ। অন্য দলগুলিকেও এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিবাদ করলেই ওরা দেশদ্রোহী বলে দেয়। সীতারাম ইয়েচুরিদের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক মতাদর্শগত ফারাক আছে। কিন্তু দিল্লিতে যারা দাঙ্গা করল তাদের নাম বাদ দিয়ে কেন বিরোধী দলের নেতাদের নাম চার্জশিটে রাখা হলো। বাংলা আন্দোলন, নবজাগরণের ভূমি। ছাত্রসমাজকেও এগিয়ে আসতে হবে। তাঁদের নিয়ে জেইই, নিটে কী না করল কেন্দ্র! আবার নাকি দুর্গাপুজোর মধ্যে নেট পরীক্ষা নেবে! আমরাই প্রথম প্রতিবাদ করেছি। কাঁসর-ঘণ্টা বাজিয়ে বলব এই বিজেপি সরকার আর নেই দরকার।সব রাজনৈতিক দলগুলো এক হয়েছে কৃষক ইস্যুতে। আগামী দিন শ্রমিক ইস্যুতেও সব রাজনৈতিক দলগুলি এক হবে। শ্রমিকদের ওপর বজ্রাঘাত ও কৃষকদের ওপর প্রত্যাঘাত চলছে। সর্বস্তরের মানুষকে প্রতিবাদে সামিল হতে আহ্বান জানাচ্ছি। চন্দ্রিমার নেতৃত্বে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস কয়েকজনকে নিয়ে হলেও কাল গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বসে ধরনা দেবে। কাল মহিলারা, পরশু ছাত্ররা, তারপর দিন আমাদের ক্ষেত মজুর কিষান সংগঠন পথে নামবে। বিজেপি মজুতদার, কালোবাজারিদের সরকার হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন মমতা। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর গলায় ছিল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর সুরের প্রতিধ্বনি, উলঙ্গ রাজা তোমার কাপড় কোথায়?

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
দেশ

সাংসদ সাসপেন্ড, সরব তৃণমূল

রাজ্য সরকারের কৃষি বিলের প্রতিবাদ করার ফল হাতেনাতে পেয়েছেন দুই তৃণমূল সাংসদ-সহ আপ, কংগ্রেস ও সিপিআইএমের মোট আটজন সাংসদ। শাস্তি হিসেবে আগামী সাত দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের। যার অর্থ সংসদের বাদল অধিবেশনের বাকি দিনগুলি আর তাঁরা উপস্থিত থাকতে পারবেন না। এরপরই সাসপেনশনের প্রতিবাদে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লেখেন, কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করতে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ৮ সাংসদ সাসপেন্ড হওয়ার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। এতে সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রকাশ দেখা গেল, যারা গণতান্ত্রিক নীতি, আদর্শের প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধাশীল নয়। তবে আমরা নত হবো না। সংসদ থেকে রাস্তায় নেমে সর্বত্র এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস টুইটে লিখেছে, আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসের আগেই বিজেপি গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। রাজ্যসভায় যে ঘটনা ঘটেছে তা অবিশ্বাস্য। নিষ্ঠুরভাবে বিরোধী দলের নেতাদের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর একনায়কতন্ত্র আর বিজেপির গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে প্রতিবাদে মুখর হতে হবে। তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আট সাংসদকে সাসপেনশনের প্রতিবাদে টুইটে লিখেছেন, রাজ্যসভায় যা হয়েছে তা সাংবিধানিক রীতিবিরুদ্ধ। কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া কৃষি নীতি কৃষকদের স্বার্থের পরিপন্থী। তারই প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিরোধীরা। কিন্তু বিরোধী সাংসদদের ভোটাধিকার কেড়ে নিল কেন্দ্র। এভাবে বিজেপি গণতন্ত্রকে হত্যাই করল। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র টুইটে লেখেন, সংসদীয় রীতি-নীতির তোয়াক্কা না করে বুলডোজ করিয়ে কৃষি বিল রাজ্যসভায় পাশ করাল কেন্দ্র। রাজ্যসভায় প্রয়োজনীয় সংখ্যা নেই বলেই কি ভোটাভুটিতে না গিয়ে জোর করে ধ্বনি ভোটে বিলগুলি পাশ করানো হলো? সকলকে জাগ্রত হতে হবে, সংসদে জঙ্গলের রাজত্ব চলতে পারে না। গণতন্ত্র ও আইনি বিধানকে সাসপেন্ড করে বিজেপি সংসদে বিরোধী কণ্ঠস্বরকেই সাসপেন্ড করতে চাইছে। সাংসদদের সাসপেনশনের প্রতিবাদে সংসদের ভিতরে চলা তুমুল বিক্ষোভে দফায় দফায় রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। গান্ধী মূর্তির সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন বিরোধী দলের সাংসদরা। সবমিলিয়ে কৃষি বিল নিয়ে সংসদ যে আগামী দিনগুলিতেও উত্তপ্ত হবে তা সহজেই অনুমেয়।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
বিবিধ

ইটভাটার শিশুদের পোলিও টিকা খাওয়ালেন শান্তনু

আজ রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর পোলিও টিকা খাওয়ানোর দিন। এদিন বলাগড়ের বিভিন্ন ইটভাটায় ঘুরে নিজে হাতে শিশুদের পোলিও টিকা খাওয়ালেন হুগলি জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। শিশুদের মধ্যে লজেন্স, চকোলেটও বিলি করলেন। সেইসঙ্গে শিশু ও তাদের অভিভাবকদের করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে সুরক্ষিত ও সতর্ক থাকতে হবে সে ব্যাপারগুলি সহজবোধ্যভাবে বুঝিয়েও দিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরাও।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
রাজনীতি

বিজেপি কর্মী খুন, উত্তেজনা ময়না-সবং-এ

পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাকচার বিজেপি কর্মী দীপক মন্ডলকে বোমা মেরে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জানা গিয়েছে, ময়নার বাকচায় ওই বিজেপি কর্মীর বাড়ি হলেও পাশেই সবং-এ গিয়েছিল নৈশ ফুলবল খেলা দেখতে। সেখানেই বোমার আঘাতে ঘটনাস্থলেই বিজেপি কর্মী দীপক মন্ডলের মৃত্যু হয়েছে। এলাকায় তীব্র উত্তেজনা রয়েছে। বিজেপির অভিযোগ বেশ কিছু দিন ধরেই দীপক মন্ডল ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তবে তাঁরা ভাবতে পারেনি এভাবে বোমা মেরে খুন করে দেবে। তখন নৈশ ফুটবল খেলা চলছিল। হঠাৎ বাইক বাহিনী এসে দীপককে ঘিরে বোমা ছুড়তে থাকে। বোমার আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দীপকের। যদিও তৃণমূলের বক্তব্য, নিজেদের কাছে বোমা মজুত ছিল। তা ফেটেই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশি তদন্তেই সঠিক তথ্য উঠে আসবে।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
রাজ্য

মুখ্যমন্ত্রীর জবাব চাইলেন মুকুল-পুত্র

আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি একক সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েই বাংলায় ক্ষমতায় আসবে। সেটা বুঝে রাজ্য থেকে জেলাস্তরে অনেকেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিতে যোগাযোগ করছেন। সেবা সপ্তাহ উদযাপনের শেষ দিনে রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর হুগলির শ্রীরামপুরে এক রক্তদান শিবিরে এসে এমন দাবিই করলেন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়ে সদ্য রাজ্য কমিটির সদস্য শুভ্রাংশু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাবদিহি চেয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তোলার আগে তিনি বলুন কেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলো রাজ্য সরকার রূপায়িত করছে না? আগে তার জবাব দিন তারপরে তো বঞ্চনার প্রশ্ন। তিনি বলেন, বিলগ্নীকরণ নিয়েও তৃণমূল-সহ বিরোধী দলগুলি মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। শিল্প বিলগ্নীকরণ তো নতুন নয়, ২০০৯ সালে কংগ্রেস সরকারের আমলেও বহু শিল্প বিলগ্নীকরণ হয়েছে। আর বিলগ্নীকরণ মানে তো পুরোপুরি বেচে দেওয়া নয়, এটা মানুষকে বুঝতে হবে। এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হুগলি জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামল বসু-সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
রাজ্য

পিছোল মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর

প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কায় পিছিয়ে গেল মমতার উত্তরবঙ্গ সফর। এর আগে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ২১ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গ সফরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে ঝড় বৃষ্টির আভাসের কারণে আপাতত পিছিয়ে যাচ্ছে মমতার ওই সফর। জানা গিয়েছে, ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গ সফরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সমস্ত প্রশাসনিক বৈঠক করা হবে শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায়। জেলাশাসক, জেলা পুলিশসুপার, স্বাস্থ্য আধিকারিক, মহকুমাশাসকসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা বৈঠকে হাজির থাকবেন। উন্নয়নের খতিয়ান দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাছাড়াও উত্তরবঙ্গের করোনা পরিস্থিতির কি হাল তা নিয়েও তিনি খোঁজখবর নেবেন। জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ সফরকালে বেশ কিছু প্রকল্পের শিলান্যাস করার কথা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 63
  • 64
  • 65
  • 66
  • 67
  • 68
  • 69
  • 70
  • 71
  • 72
  • ›

ট্রেন্ডিং

দেশ

দৃশ্যমানতা প্রায় শূন্য, কুয়াশার চাদরে ঢাকা দিল্লি, অচল জনজীবন

ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢেকে গিয়েছে দেশের রাজধানী দিল্লি। দৃশ্যমানতা নেমে এসেছে প্রায় শূন্যে। তার জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কুয়াশার কারণে বাতিল করা হয়েছে ১২৮টি বিমান পরিষেবা। পাশাপাশি প্রায় ২০০টি উড়ানের সময়সূচি বদল করা হয়েছে। ব্যাহত হয়েছে রেল চলাচলও। বহু দূরপাল্লার ট্রেন দেরিতে চলছে। সব মিলিয়ে চরম অস্বস্তিতে রাজধানীবাসী।আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল ৭টায় দিল্লির বাতাসের গুণগত মান বা একিউআই ছিল ৪০৩, যা ভয়ানক খারাপ বলে ধরা হয়। ঘন কুয়াশার জেরে দিল্লি বিমানবন্দরের আশপাশে দৃশ্যমানতা নেমে আসে মাত্র ১২৫ মিটারে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে মৌসম ভবনের তরফে দিল্লিতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এদিন দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছয় ২২ ডিগ্রিতে।রবিবার থেকেই মৌসম ভবন পূর্বাভাস দিয়েছিল, দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে আগামী কয়েক দিন ঘন কুয়াশা থাকবে। হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় এবং উত্তরপ্রদেশে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কুয়াশার দাপট চলবে বলে জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সকালবেলায় অপ্রয়োজনে বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গাড়ি চালানোর সময় ফগ লাইট ব্যবহার এবং অত্যন্ত সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।কুয়াশার প্রভাব পড়েছে রেল পরিষেবাতেও। সকাল থেকেই শতাধিক ট্রেন নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে চলছে। রবিবার সন্ধ্যা থেকেই নয়ডা ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায়। দৃশ্যমানতা মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ায় এবং তীব্র ঠান্ডার কারণে জেলা প্রশাসন ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সমস্ত স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেছে।এদিকে কুয়াশার সঙ্গে সঙ্গে লাফিয়ে বেড়েছে দূষণের মাত্রাও। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লির গড় একিউআই ৪০৩। আনন্দ বিহারে একিউআই পৌঁছেছে ৪৫৯, যা সবচেয়ে খারাপ। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একিউআই ছিল ৩১৭, আইআইটি দিল্লিতে ৩৬২, লোধি রোডে ৩৫৯ এবং চাঁদনী চকে ৪২৩। দূষণ ও কুয়াশার এই জোড়া আঘাতে দিল্লিতে শ্বাস নেওয়াই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২৫
বিদেশ

জামাতের সঙ্গে হাত মেলাতেই ভাঙনের শুরু, এনসিপিতে একের পর এক পদত্যাগ

রবিবার প্রকাশ্যেই জামাতের সঙ্গে নির্বাচনী জোটের ঘোষণা করেছিল জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি। কিন্তু সেই ঘোষণার পরদিনই দলটির অন্দরে শুরু হয়ে গেল প্রবল অশান্তি। জামাতের সঙ্গে জোট মানতে না পেরে এখনও পর্যন্ত অন্তত পাঁচজন শীর্ষ নেতা পদত্যাগ করেছেন। পাশাপাশি, জামাতের সঙ্গে জোটের বিরোধিতা করে প্রায় ৩০ জন নেতা এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে চিঠি দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।রবিবার জামাতের আমির শফিকুর রহমান জানান, গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের দল এনসিপি এবং কর্নেল অলি আহমেদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি জামাতের নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিয়েছে। পরে এনসিপির তরফ থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এই ঘোষণার পরেই দলের ভিতরে অসন্তোষ প্রকাশ্যে আসে এবং একের পর এক নেতা পদত্যাগ করেন।যদিও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, এই পদত্যাগে এনসিপির উপর বড় কোনও প্রভাব পড়বে না। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে নাহিদ ইসলাম বলেন, জামাতের সঙ্গে জোট নিয়ে দল অনড় অবস্থানেই রয়েছে। তাঁর দাবি, দলের অধিকাংশ কেন্দ্রীয় নেতা এই জোটকে সমর্থন করছেন।এদিকে পদত্যাগ করা নেতাদের বক্তব্য, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সমঝোতা দলের আদর্শ ও নীতিগত অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সেই কারণেই তারা দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রথমে পদত্যাগ করেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব মির আরশাদুল হক। এরপর ঢাকা-৯ আসনের প্রার্থী ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাজনুভা জাবিন, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ এবং ফেনি-৩ আসনের প্রার্থী আবুল কাশেম দল ছাড়েন। যদিও তাসনিম জারা জানিয়েছেন, তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়বেন।এনসিপির প্রাক্তন যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনুভা জাবিন ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে জানিয়েছেন, জামাতের সঙ্গে জোট কোনও তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং ধাপে ধাপে সাজানো একটি রাজনৈতিক পরিকল্পনার অংশ। এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে।এর মধ্যেই নতুন দল গড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন মাহফুজ আলম। ফেসবুক পোস্টে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এনসিপি-জামাত জোটের সঙ্গে তিনি থাকবেন না। পাশাপাশি বিকল্প রাজনৈতিক মঞ্চ গড়ার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।প্রসঙ্গত, কয়েক মাস ধরেই নাহিদ ইসলাম দাবি করে আসছিলেন যে এনসিপি এককভাবে নির্বাচন লড়বে। সেই অনুযায়ী প্রথমে ১২৫টি আসনে প্রার্থীও ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট গঠনের কথা জানানো হয় এবং জামাতের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এনসিপি জামাতের কাছে ৫০টি আসন দাবি করলেও শেষ পর্যন্ত ৩০টির বেশি আসন ছাড়তে রাজি হয়নি জামাত। এই পরিস্থিতিতে দলের বহু ছাত্রনেতার মধ্যেই ক্ষোভ তৈরি হয়। জোট ঘোষণার পর সেই ক্ষোভই প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২৫
কলকাতা

শুনানি বন্ধ করে দিলেন বিধায়ক, নির্বাচন কমিশনের বড় নির্দেশে নতুন মোড়

আজ, সোমবার এসআইআর শুনানির তৃতীয় দিন। সকাল থেকেই শুনানি কেন্দ্রে বিএলএ-২ দের প্রবেশাধিকার দেওয়া নিয়ে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। বিধায়ক অসিত মজুমদার শুরু থেকেই বিএলএ-২ দের ঢোকার দাবিতে সরব হন। এক পর্যায়ে তিনি শুনানি বন্ধ করে দেন বলেও অভিযোগ ওঠে।এই ঘটনার মধ্যেই নির্বাচন কমিশন কড়া নির্দেশ জারি করে। কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এসআইআর শুনানির সময় বিএলএ-২ রা ভিতরে ঢুকতে পারবেন না। কমিশনের গাইডলাইন অনুযায়ী তাঁদের শুনানিকেন্দ্রের বাইরে থাকতে হবে। প্রয়োজন হলে বাইরে ক্যাম্প করে বসতে পারবেন বিএলএ-২ রা।উল্লেখ্য, রবিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিএলএ-দের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে তিনি বিএলএ-দের শুনানিতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন এবং প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ের কথাও বলেন। এরপর থেকেই এই বিষয়ে তৎপরতা বাড়ে।সোমবার অসিত মজুমদার দাবি করেন, কোনও লিখিত নির্দেশ না আসা পর্যন্ত শুনানি হতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, লিখিত নির্দেশ দিলে তবেই তিনি সরে যাবেন। এই নিয়ে বিডিও-র সঙ্গে তাঁর তর্কাতর্কি হয়। পরে শুনানি বন্ধ করে দিয়ে নিজের অফিস থেকে এসডিও-কে ফোন করে বিষয়টি জানান তিনি।বিধায়কের দাবি, সাধারণ মানুষের নাম যদি তালিকা থেকে বাদ যায়, সে ক্ষেত্রে বিএলএ-রাই সাহায্য করতে পারবেন। তাই তাঁদের উপস্থিতি জরুরি।সকালভর এই বচসা চলার পর নির্বাচন কমিশন হস্তক্ষেপ করে। কমিশনের তরফে জানানো হয়, নিয়ম অনুযায়ী বিএলএ-২ রা শুনানির ভিতরে বসতে পারেন না। সেই কারণেই তাঁদের বাইরে রেখেই শুনানি চালাতে হবে। হুগলির জেলা শাসককে অবিলম্বে শুনানি শুরু করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।যদিও এই সিদ্ধান্তে অনড় তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক দলের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, পুরনো সমস্ত নিয়ম ভেঙে নতুন নিয়ম তৈরি করছে নির্বাচন কমিশন। তাঁর বক্তব্য, কোনও সমস্যা হলে বিএলএ-২ রা আপত্তি জানাবেন, সেটাই তাঁদের অধিকার। এভাবে তাঁদের অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না।তিনি আরও বলেন, নিয়ম বদল হলে তার জন্য সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হয়। শুধু হোয়াটসঅ্যাপে নির্দেশ পাঠিয়ে নিয়ম বদল করা যায় না বলেও দাবি করেন তিনি।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

হার মানলেন মারণ রোগের কাছে, প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবণী বণিক

সপ্তাহের প্রথম দিনেই টেলিপাড়ায় নেমে এল গভীর শোক। দীর্ঘদিনের মারণ রোগের কাছে হার মানলেন জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী শ্রাবণী বণিক। ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছিল। সেই কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে সব চেষ্টা ব্যর্থ করে সোমবার হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শ্রাবণী।শ্রাবণী বণিক বাংলা টেলিভিশনের এক পরিচিত মুখ ছিলেন। লালকুঠি, রাঙা বউ, গোধূলি আলাপ, সোহাগ চাঁদ-সহ একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। বড়পর্দাতেও কাজ করেছেন শ্রাবণী। আলো ও চাঁদের বাড়ি ছবিতে তাঁর অভিনয় নজর কেড়েছিল।জনপ্রিয়তা থাকলেও আর্থিক দিক থেকে খুব সচ্ছল ছিলেন না অভিনেত্রী, এমনটাই জানা যায়। ক্যানসারের চিকিৎসা ছিল অত্যন্ত ব্যয়বহুল। মাসখানেক আগেই শ্রাবণীর ছেলে অচ্যুত সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আবেগঘন পোস্ট করে মায়ের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, মাকে বাঁচাতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন এবং সকলের সামান্য সাহায্যও তাঁদের কাছে অমূল্য।গত নভেম্বর মাসে সেই আবেদন করা হলেও বছর শেষ হওয়ার আগেই না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন শ্রাবণী বণিক। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ টেলিপাড়া। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন পরিচালক বাবু বণিক। তিনি বলেন, শ্রাবণীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কেবল কাজের ছিল না, তা বন্ধুত্বে পরিণত হয়েছিল। শ্রাবণীর এত দ্রুত চলে যাওয়া তিনি মানতে পারছেন না বলেও জানান। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করেছেন তিনি।শ্রাবণী বণিকের প্রয়াণে বাংলা টেলিভিশন জগতে তৈরি হল এক অপূরণীয় শূন্যতা।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২৫
রাজ্য

ফোন ধরেননি দু’দিন, তারপর মিলল ঝুলন্ত দেহ— হোমগার্ডের রহস্যমৃত্যুর পরেই উধাও সাব ইনসপেক্টর

ক্যানিং থানার পুলিশ কোয়ার্টারের একটি ঘর থেকে উদ্ধার হল ২২ বছরের হোমগার্ড গুলজ়ান পারভিন মোল্লা ওরফে রেশমির ঝুলন্ত দেহ। রবিবার সকালে এই ঘটনার পর গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। রেশমি ক্যানিং থানাতেই হোমগার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বছর দুয়েক আগে ভাঙড়ে খুন হন তাঁর বাবা রশিদ মোল্লা। বাবার মৃত্যুর পর তাঁর চাকরি দেওয়া হয়েছিল বড় মেয়েকে। এবার সেই মেয়ের মৃত্যুকে ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।পরিবারের অভিযোগ, ক্যানিং থানার সাব-ইন্সপেক্টর সায়ন ভট্টাচার্যের সঙ্গে রেশমির বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের কথা জানাজানি হতেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। এই অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর জেলা পুলিশ।ঘটনার পরই বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপারের নির্দেশে সাসপেন্ড করা হয়েছে ক্যানিং থানার সাব-ইন্সপেক্টর সায়ন ভট্টাচার্যকে। তাঁর বিরুদ্ধে আলাদা করে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশের অনুমান, রেশমির রহস্যমৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই তিনি পলাতক হয়েছেন।তদন্তে গতি আনতে ছয় সদস্যের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করা হয়েছে। এই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রূপান্তর সেনগুপ্ত।পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ডিউটি শেষ করে ক্যানিং থানার পিছনে থাকা একটি কোয়ার্টারে গিয়েছিলেন রেশমি। তারপর থেকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরিবারের লোকজন বারবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। শনিবারও সারাদিন একইভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়, কিন্তু কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। এতে পরিবারের উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়।শেষ পর্যন্ত রবিবার পরিবারের লোকজন ক্যানিং থানায় আসেন। রেশমির বোন রুকসানা খাতুন থানার কোয়ার্টারের দিকে যান। দরজা খুলতেই তিনি হতবাক হয়ে যান। সিলিং ফ্যান থেকে ওড়না জড়ানো অবস্থায় ঝুলছিল রেশমির দেহ। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার শুরু করেন তিনি। তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা।রেশমির মৃত্যু আত্মহত্যা না কি খুন, তা নিয়েই এখন জোর তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং তদন্তের অগ্রগতির দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা এলাকা।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২৫
দেশ

‘তিনি সাজাপ্রাপ্ত আসামি!’ কুলদীপ সেঙ্গারের মুক্তিতে রাশ টানল সুপ্রিম কোর্ট

উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে বড় মোড়। বিজেপির বহিষ্কৃত প্রাক্তন বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের জামিনে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির অবকাশকালীন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে এই মুহূর্তে মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে আপাতত জেলমুক্তি হচ্ছে না কুলদীপ সেঙ্গারের। এই সিদ্ধান্তে স্বস্তি পেয়েছেন উন্নাও-কাণ্ডের নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার।উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে উন্নাও ধর্ষণ মামলায় নিম্ন আদালত কুলদীপ সেঙ্গারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয়। তবে গত মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট সেই সাজা মকুব করে তাঁকে জামিন দেয়। সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। সোমবার শুনানিতে শীর্ষ আদালত জানায়, দিল্লি হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্ত দেশের আইনশৃঙ্খলা ও বিচারব্যবস্থা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মন্তব্য করে, দেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এ ধরনের মামলায় অত্যন্ত সতর্কতা প্রয়োজন।শুনানির সময় সিবিআইয়ের তরফে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি আদালতকে জানান, দিল্লি হাইকোর্ট কুলদীপ সেঙ্গারকে পকসো আইনের আওতায় আনেনি এই যুক্তিতে যে তিনি জনপ্রতিনিধি ছিলেন না। কিন্তু পকসো আইনের সংজ্ঞা এই ব্যাখ্যাকে সমর্থন করে না বলেও জানান তিনি।সলিসিটর জেনারেলের যুক্তি ছিল, পকসো আইনে জনপ্রতিনিধি বলতে কেবল পদবির কথা বলা হয়নি। অভিযুক্ত ব্যক্তি সমাজে নির্যাতিত শিশুর তুলনায় কতটা ক্ষমতাশালী, সেটাই মূল বিষয়। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, কুলদীপ সেঙ্গার একজন প্রভাবশালী বিধায়ক ছিলেন এবং এলাকায় তাঁর দাপট ছিল।এই যুক্তি শোনার পর প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, দিল্লি হাইকোর্টের এই ব্যাখ্যা মানলে পরিস্থিতি হাস্যকর হয়ে দাঁড়াবে। তাঁর মন্তব্য, তাহলে একজন পুলিশ কনস্টেবল জনপ্রতিনিধি হয়ে যাবেন, কিন্তু কোনও বিধায়ক বা সাংসদ নন।তবে অভিযুক্তের পক্ষের বক্তব্য না শুনে সাধারণত কোনও ট্রায়াল কোর্ট বা হাইকোর্টের দেওয়া জামিনে স্থগিতাদেশ দেয় না সুপ্রিম কোর্ট। সেই কারণেই কুলদীপ সেঙ্গারের পক্ষের বক্তব্য জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানির দিকে এখন তাকিয়ে গোটা দেশ।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২৫
বিদেশ

ফের ভারতকে নিশানা! শাহবাগ থেকে ২৪ দিনের আল্টিমেটাম ইনকিলাব মঞ্চের

আবার ভারতকে লক্ষ্য করে কড়া সুরে সরব হল বাংলাদেশের ইনকিলাব মঞ্চ। গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ওসমান হাদির স্বপ্ন পূরণ করতেই তারা এই পথে নেমেছে বলে দাবি সংগঠনের। রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ঢাকার শাহবাগ মোড়ে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি থেকে একাধিক দাবি ঘোষণা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাব। সেই সঙ্গে এই দাবিগুলি পূরণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ২৪ দিনের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।ইনকিলাব মঞ্চের প্রধান দাবি, হাদির হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত প্রত্যেককে অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আবদুল্লাহ আল জাবের বক্তব্য, যারা হাদিকে খুন করেছে, যারা এই হত্যার পরিকল্পনা করেছে কিংবা যারা সহায়তা করেছে, তাদের সকলের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।এই দাবির পাশাপাশি ইনকিলাব মঞ্চের বক্তব্যে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে ভারতবিরোধী অবস্থান। ঢাকার বুকে নিহত ওসমান হাদি তাঁর বক্তব্যে যেভাবে বারবার ভারতবিরোধিতা তুলে ধরতেন, ঠিক সেই সুরই শোনা গিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চের দাবির মধ্যেও। সংগঠনের দাবি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হলে দেশে কর্মরত ভারতীয় নাগরিকদের ওয়ার্ক পারমিট বা কাজের অনুমতি বাতিল করতে হবে।তৃতীয় দাবিতে আরও একধাপ এগিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। ইনকিলাব মঞ্চ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দাবি জানিয়েছে, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লিগের যেসব নেতা-কর্মী বর্তমানে নয়াদিল্লিতে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁদের যদি ফেরত না দেওয়া হয়, তা হলে আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে হবে।চতুর্থ দাবিতে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে থাকা হাসিনা-পন্থীদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে সংগঠনটি। এই চার দফা দাবি পূরণের জন্য ইউনূস সরকারকে মোট ২৪ দিনের সময় দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।উল্লেখ্য, ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে গত শুক্রবার দুপুর থেকেই শাহবাগ মোড়ে টানা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে ইনকিলাব মঞ্চ। শনিবার রাতে আবদুল্লাহ আল জাব এই আন্দোলন দেশজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার ডাক দেন। সেই আহ্বানের জেরে সোমবার দুপুর দুটো থেকে শাহবাগের পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২৫
দেশ

এসি কামরায় আগুনের লেলিহান শিখা, মাঝরাতে ট্রেন থামিয়ে প্রাণ বাঁচানোর লড়াই

চলন্ত দূরপাল্লার ট্রেনের এসি কামরায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। পুড়ে ছাই হয়ে গেল পরপর দুটি কোচ। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক যাত্রীর। সোমবার ভোরে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার কথা জানায় রেলমন্ত্রক। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের টাটানগর থেকে কেরলের এর্নাকুলামগামী এক্সপ্রেস ট্রেনটি বড় দুর্ঘটনার মুখে পড়ে অন্ধ্র প্রদেশের আনাকাপালি জেলার কাছে।ঘটনাটি ঘটে গভীর রাতে। তখন রাত প্রায় ১টা। নিজের গতিতে ছুটে চলছিল এর্নাকুলামগামী ট্রেনটি। হঠাৎই চালকের নজরে আসে একটি কোচ থেকে আগুনের শিখা উঠছে এবং তা পাশের কোচের দিকে ছড়িয়ে পড়ছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন থামিয়ে দেন চালক। দ্রুত যাত্রীদের নামিয়ে আনা হয় এবং আগুন লাগা কোচগুলি থেকে উদ্ধার শুরু হয়।রেল আধিকারিকদের মতে, আগুন লাগা কোচে মোট ৮২ জন যাত্রী ছিলেন। পাশের কোচে ছিলেন আরও ৭৬ জন। প্রায় সকলকেই নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও একজন যাত্রীকে বাঁচানো যায়নি। আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় চন্দ্রশেখর সুন্দরম নামে এক যাত্রীর।রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে ট্রেনের বি১ এসি কোচে আগুন লাগে। সেখান থেকে দ্রুত তা বি২ কোচে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন যাতে গোটা ট্রেনে ছড়িয়ে না পড়ে, সে কারণে এম১ কোচ থেকে আগুন লাগা অংশ আলাদা করে দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে বড়সড় বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল বাহিনী। চারটি দমকল ইঞ্জিনের তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে ততক্ষণে দুটি এসি কোচ সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।এই অগ্নিকাণ্ড কীভাবে ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal