তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রিপুরা সফরের আগেই ছেঁড়া হল তৃণমূলের বেশ কিছু হোর্ডিং ও ব্যানার। সেগুলিতে অভিষেক ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও ছিল। এই ঘটনায় সরাসরি বিজেপি-র দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল। ত্রিপুরার তৃণমূল সভাপতি আশিস লাল সিং জানিয়েছেন, অভিষেককে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরের বাইরে বেশ কিছু হোর্ডিং ও ব্যানার লাগানো হয়েছিল। রাতের অন্ধকারে সেগুলি ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এয়ারপোর্ট থেকে পোলো গ্রাউন্ড হোটেল পর্যন্ত রাস্তার দু'ধারের সমস্ত ফেস্টুন- ব্যানার ছিঁড়ে দিয়েছে। আজ, সোমবার সকাল থেকে আমরা ফের ব্যানার লাগাতে শুরু করেছি। এভাবে ত্রিপুরায় তৃণমূলকে আটকাতে পারবে না।' তিনি জানিয়েছেন, এদিন বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে দুটি অলিম্পিক পদক, ইতিহাসে পিভি সিন্ধু
উল্লেখ্য, ত্রিপুরাজুড়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি বাড়াচ্ছে তৃণমূলও। গত শুক্রবারই সে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, বিধায়ক-সহ সাত জন নেতা-নেত্রী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এই অবস্থায় অভিষেকের ত্রিপুরা সফরের দিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। তার আগেই এই হোর্ডিং, ব্যানার ছেঁড়ার ঘটনায় আরও উত্তাপ বাড়ল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। সোমবার ত্রিপুরা পৌঁছে বেলা ১২টায় ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেবেন অভিষেক। তার পর দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ আগরতলার একটি হোটেলে সাংবাদিক বৈঠক করবেন তিনি। এই বৈঠক উপলক্ষে ত্রিপুরায় থাকা তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা ইতিমধ্যেই আগরতলা পৌঁছে গিয়েছেন।
গত কয়েক দিন ধরে ক্রমাগত উত্তাপ বাড়ছে ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলে। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক-এর ২৩ কর্মীকে আগরতলার হোটেল বন্দি করে রাখার ঘটনায় বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে আইপ্যাক-এর কর্মীদের তলবও করে আগরতলা পুলিশ। যদিও আগাম জামিন নিয়েছেন তাঁরা। এর মধ্যেই আগরতলায় গিয়েছেন ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও ব্রায়েন এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদার। যদিও হোটেলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি তাঁদের।
- More Stories On :
- Abhishek Bannerjee
- Tripura visit
- Banner
- Rucksuck