• ৪ পৌষ ১৪৩২, মঙ্গলবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

TMC

রাজ্য

Attempt Murder: বিজেপি করায় দম্পতিকে মারধর করে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা, অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের

বিজেপি করার অপরাধে এক দম্পতিকে মারধর করে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠলো শাসক দলের লোকজনের বিরুদ্ধে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার পিন্ডিরা পঞ্চায়েতের কৈগড়িয়া গ্রামে। মারধরের বিষয়ে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী স্বপন দাস কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। কালনার তৃণমূল নেতৃত্ব যদিও ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে।আরও পড়ুনঃ ছাদ থেকে পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু, আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা?পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা গিয়েছে, স্বপন দাস কালনা ২ ব্লকের কৈগড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।স্বপনবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি বিজেপি পার্টি করেন। সেই কারণে রবিবার সকালে তিনি যখন কাজে যাচ্ছিলেন তখন তৃণমূলের ৬ জন তাঁর উপরে হামলা চালায়। স্বপনবাবু দাবি করেছেন, তাঁকে খুন করার উদ্দেশ্যেই লোহার রড, বাঁশের লাঠি দিয়ে মারধর করে তৃণমূলের দুস্কৃতিরা। সেই সময়ে তাঁর স্ত্রী বাঁধা দিতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। স্বপনবাবুর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীকে অর্ধনগ্ন করা হয়।এরপর তাঁদের পুড়িয়ে মারার জন্য কেরোসিন তেল নিয়ে আসে তৃণমূলের দুস্কৃতিরা। বাঁচার জন্য তাঁরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাঁদের উদ্ধার করেন।আরও পড়ুনঃ শ্রীময়ীর পোস্ট নিয়ে ধোঁয়াশাবিজেপির পূর্ব বর্ধমান কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, রাজ্য জুড়েই তৃণমূল সন্ত্রাস জারি রেখেছে। ওদের মন্ত্রীও এখন সেই সন্ত্রাসের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, স্বপন দাস ও তাঁর স্ত্রীকে মারধরের বিষয়ে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে জানানো হবে। বিজেপি কর্মীর এই অভিযোগ প্রসঙ্গে কালনা ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি প্রণব রায় বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এইসব অসত্য অভিযোগ আনা হচ্ছে।

জুলাই ১৯, ২০২১
রাজনীতি

বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর-লুট, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তৎপর হতেই গ্রেপ্তার চার

বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন ৪ ব্যক্তি। ধৃতরা হলেন রহিম শেখ, শেখ হারুন আলি, সামন্ত মণ্ডল ও নাসিরউদ্দিন মল্লিক ওরফে আনন্দ। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার দৈয়র গ্রামে ধৃতদের বাড়ি। সূত্রের খবর, এই হামলার ঘটনায় খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অপার্থিব ইসলামের নামও জড়িয়েছে। খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ শুক্রবার রাতে অপার্থিব ইসলাম বাদে চারজনকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ শনিবার চার ধৃতকেই পেশ করে বর্ধমান আদালতে। সূত্রের খবর, লুটপাট হওয়া সামগ্রী উদ্ধারের জন্য পুলিশ ধৃতদের হেপাজতে নেওয়ার আবেদন আদালতে জানায়নি। সিজেএম ধৃতদের বিচারবিভাীয় হেপাজতে পাঠিয়ে মঙ্গলবার ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন।পুলিশ জানিয়েছে, খণ্ডঘোষের দৈয়র গ্রামে বাড়ি বিজেপি সমর্থক আব্বাসউদ্দিন মিদ্যার। তাঁর অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশ হওয়ার পরদিন তৃণমূলের লোকজন তাঁর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। তাঁর বাড়ি থেকে ৩টি গরু, সোনার গয়না ও ৮০ হাজার টাকা লুট করা হয়। মারধরের ভয়ে ওই দিনই আব্বাসউদ্দিন ও তাঁর ছেলে ঘরছাড়া হন। হাইকোর্টের নির্দেশের পর পুলিশ আব্বাসউদ্দিন ও তাঁর ছেলেকে ঘরে ফিরিয়ে দেয়। অভিযোগ, এরপর ২৫ জুন সন্ধ্যায় তৃণমূলের লোকজন ফের তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়। ভয়ে ফের ঘরছাড়া হন আব্বাসউদ্দিন ও তাঁর ছেলে। তাঁদের না পেয়ে আব্বাসউদ্দিনের স্ত্রী আনুশা মিদ্যা ও মেয়ে রেহেনা খাতুনকে বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। আগের দিনের হামলায় আনুশার পা ভাঙে। দ্বিতীয় হামলার দিন সেই অবস্থার মধ্যেই তাঁকে ফের মারধর করা হয়। মারধরের পর তৃণমূলের লোকজন পালিয়ে যায়।জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের টিমকে আনুশা ঘটনার কথা জানানোর পাশাপাশি কমিশনের কাছেও অভিযোগ দায়ের করেন। কমিশন বিষয়টি দেখার জন্য জেলা গোয়েন্দা দপ্তরকে জানায়। গোয়েন্দা দপ্তরের নির্দেশে খণ্ডঘোষ থানা মামলা রুজু করে চার জনকে গ্রেপ্তার করে। হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশ আনুশা এবং তাঁর মেয়ের গোপন জবানবন্দি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নথিভুক্ত করায়।খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অপার্থিব ইসলাম যদিও দাবি করেছেন, হামলার অভিযোগ মিথ্যা। এখন বিজেপি ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের বদনাম করতে ওরা এখন বিভিন্ন জায়গা ঘুরে মিথ্য মামলা রুজু করছে। এ ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে।

জুলাই ১৭, ২০২১
কলকাতা

Sadhan Pandey: ভেন্টিলেশনে সাধন পাণ্ডে

ফের অসুস্থ তৃণমূল বিধায়ক সাধন পাণ্ডে (Sadhan Pandey)। সূত্রের খবর, শুক্রবার শ্বাসকষ্ট ও অস্বাভাবিক রক্তচাপের সমস্যা শুরু হয় মানিকতলার বিধায়কের। তড়িঘড়ি তাঁকে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কাশি ও ফুসফুসের গুরুতর সংক্রমণে ভুগছিলেন সাধন পাণ্ডে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর শারীরিক অবস্থায় আচমকা অবনতি হয়।আরও পড়ুনঃ বিহারে বিষমদের বলি ১৬জানা গিয়েছে, প্রবীণ তৃণমূল নেতা সাধনবাবু হার্টবিট এবং রক্তচাপ অস্বাভাবিক। তাছাড়া শ্বাসকষ্টেরও সমস্যা দেখা যায় তাঁর। এর পরই তাঁকে এদিন সন্ধেবেলা কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন আচ্ছন্ন অবস্থায় আইসিইউ-তে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। সংকটজনক হলেও আপাতত সাধনবাবুর শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল বলে খবর। জানা গিয়েছে, সাধন পাণ্ডের চিকিৎসার জন্য চার সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। সেখানে ফুসফুসরোগ বিশেষজ্ঞ ছাড়াও রয়েছেন এন্ডোক্রিনোলজিস্ট, মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরেই বিধায়কের সিওপিডি (COPD) রয়েছে। তাঁর ফুসফুস সম্পূর্ণ কাজ করে না। রয়েছে কিডনির সমস্যা।

জুলাই ১৭, ২০২১
রাজ্য

Human Skulls: বৃক্ষরোপণ করতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ, মিললো মানুষের মাথার আস্ত খুলি

বৃক্ষরোপণ করতে গিয়ে চক্ষু তো প্রায় চড়কগাছ। সেখানে মিললো মানুষের মাথার আস্ত খুলি। শুক্রবার বিকেলে হাওড়ার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। সেইসময় তৃণমূল কর্মীদেরই প্রথমে নজরে আসে বিষয়টি। পাওয়া যায় মানুষের আস্ত একটা খুলি।খবর রটে যেতেই দালালপুকুর সংলগ্ন ওই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন ছুটে আসেন। তৃণমূলের কর্মীরাই চ্যাটার্জিহাট থানায় খবর দেয়। এরপর পুলিশ আসে। খুলিটি পুলিশ উদ্ধার করে। এরপর আশপাশের এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়। শরীরের আর কোনও অংশ পাওয়া যায় কিনা তা তল্লাশি করে দেখা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এরপর একটি ব্যাগের মধ্য থেকে উদ্ধার হয় পচাগলা কিছু অংশ। যদিও পুলিশের দাবি, শুধু একটা মানুষের মাথার খুলি উদ্ধার হয়েছে। আর বাকি কিছু পাওয়া যায়নি। তবে ওই জনবহুল এলাকায় মানুষের মাথার খুলি কিভাবে এলো তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। খুলিটি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

জুলাই ১৭, ২০২১
রাজনীতি

Mukul -Suvendu: মুকুল রায়ের বিধায়কপদ খারিজ শুনানি: "এবার আদালতেরও আশ্রয় নেব", বললেন শুভেন্দু

দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরী করতে মরিয়া শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের শুনানিতে বিধানসভার অধ্যক্ষে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে হাজির ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন শুনানি চলে সাড়ে ৩ মিনিট। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৩০ জুলাই।আরও পড়ুনঃ পিএসি নিয়ে রাজনীতিকরণ-্এর বিরুদ্ধে রাজভবনে শুভেন্দু, প্রচার চলবে গোটা দেশেওঅধ্যক্ষের ঘর থেকে বেরিয়ে এসে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাঁর সদস্য পদ বাতিলের জন্য আবেদন করেছিলাম। এখানে ভূয়ো ভ্যাকসিন চলে, শাসকের আইন এখানেই চলে বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এখানে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরী হয় না। আমরা আইনের আশ্রয় নেব। তথ্যপ্রমান, অডিও, ভিডিও, টুইটার হ্যান্ডেল সব প্রমাণ রয়েছে দলত্যাগের। তৃণমূলের ১৪ জন সদস্যের মধ্য থেকেই তিনি পিএসি কমিটির চেয়ারম্যান হন।কৃষ্ণনগরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় তৃণমূল ভবনে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন। তারপর ৬৪ পাতার নথি বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে জমা দিয়ে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন করেন শুভেন্দু অধিকারী। তারই প্রেক্ষিতে শুক্রবার ছিল প্রথম শুনানি। অধ্যক্ষের ডাকা সেই শুনানিতে হাজির হয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর কাছে আরও নথি চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু।আরও পড়ুনঃ মুকুলই পিএসির চেয়ারম্যানএদিন বিরোধী দলনেতা বলেন, এর আগে দলবদলু এক বিধায়কের দলত্যাগের আবেদনের ২৩ বার শুনানি হয়েছিল। আগামী ৩০ জুলাই ফের শুনানিতে হাজির হলেও আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব। এরাজ্যে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরী করে ছাড়ব।

জুলাই ১৬, ২০২১
রাজ্য

CID: মঙ্গলকোট-কাণ্ডে তদন্তভার সিআইডি-র

মঙ্গলকোটে তৃণমূলের লাখুরিয়া অঞ্চল সভাপতি অসীম দাসকে খুনের ঘটনায় তদন্তভার হাতে নিল সিআইডি।আজই মঙ্গলকোটে ৫ সদস্যের সিআইডির একটি দল তদন্তে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঘটনায় দুই দলীয় কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, সোমবার লাখুড়িয়ায় নিজের বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন স্থানীয় তৃণমূল সভাপতি অসীম দাস। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁকে গুলি করা হয়। তৃণমূল নেতার মৃত্যুতে কার্যত বিজেপির বিরুদ্ধে সুর তোলে শাসক দল। যদিও সেই অভিযোগ বরাবর নস্যাৎ করে আসে গেরুয়া শিবির। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্পষ্টই জানান, তৃণমূলের লোকেরাই খুনের ঘটনায় জড়িত। পরবর্তীতে খোদ মৃত নেতার পরিবার দাবি করে, এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূলের বি গোষ্ঠী।জানা গিয়েছে, এদিন সিআইডির তদন্তকারীরা মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবেন। মূলত কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তা জানবার চেষ্টা করবেন। উল্লেখ্য এর আগেও অসীমবাবুকে আক্রমণ করা হয়েছিল। সেই চেষ্টা বৃথা যায়। সিআইডির দলটি ঘটনাস্থলেও যাবেন।

জুলাই ১৬, ২০২১
রাজ্য

Mangalkote: মঙ্গলকোটে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২ দলীয় কর্মীই

গুলি করে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার দলেরই দুই সক্রিয় কর্মী। ঘটনা জানাজানি হতেই বৃহস্পতিবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের রাজনৈতিক মহলে। গত সোমবার মঙ্গলকোটের লাখুরিয়া অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি অসীম দাসকে খুনের ধৃতরা হলেন সাবুল শেখ ও সামু শেখ। প্রথমজনের বাড়ি মঙ্গলকোটের কল্যাণপুর গ্রামে। অপর ধৃত মঙ্গলকোটের কোটালঘোষ গ্রামের বাসিন্দা। সাবুল ও সামু দুজনেই সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলে এলাকায় পরিচিত। ধৃত সাবুলের দাবি সে লাখুরিয়া অঞ্চল তৃণমূলের সহ-সভাপতি। পুলিশ দুই ধৃতকেই এদিন পেশ করে কাটোয়া মহকুমা আদালতে। তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী অফিসার এদিন দুই ধৃতকেই ১২ দিনের জন্য নিজেদের হেপাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান। বিচারক ধৃতদের ৭ দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ নিয়মে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসছে দ্য হান্ড্রেড ক্রিকেটমঙ্গকোটের লাখুড়িয়া অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি অসীম দাস গত সোমবার সন্ধ্যায় বাইকে চেপে সিউর গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে সিউর মোড়ে দুস্কৃতিরা অসীম দাসের বাইক দাঁড় করিয়ে খুব কাছ থেকে তার বুক লক্ষ করে গুলি চালিয়ে পালায়। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসক অসীম দাসকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর দিন মৃতর ছেলে সুনন্দ দাস অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের নামে মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর পুলিশের পাশাপাশি সিআইডির দলও ঘটনার তদন্তে নামে। খুনের ঘটনার তদন্তে বিশেষ তদন্ত কমিটি সিট গঠন করা হয়। এদিন রাজ্যের ফরেনসিক দলের বিশেষজ্ঞ চিত্রাক্ষ সরকার ও অভিজিৎ মাণ্ডির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্য সিউর এলাকার খুনের ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন। তাঁরা ঘটনাস্থল সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন। পাশাপাশি তাঁরা ওই দিনের ঘটনা পুনর্নির্মাণ করেন।আরও পড়ুনঃ কফি ডেটে যেতে চান শ্রীলেখা! কিন্তু কার সঙ্গে?অঞ্চল সভাপতি অসীম দাস খুন হওয়ার পর মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছিলেন খুনের ঘটনায় বিজেপি জড়িত। কিন্তু মৃতের পরিবারের লোকজনই সেই দাবিকে কার্যত নস্যাৎ করে দিয়েছিলেন। তাঁরা অভিযোগ করেছিল, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই অসীম দাস খুন হয়েছেন। বুধবার নিহত অসীম দাসের পরিবার সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, অপরাধীরা যে দলেরই হোক ছাড়া হবে না। পুলিশকে তিন দিনের মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।আরও পড়ুনঃ নতুন মেগা আসছে পিয়ালীরপুলিশ জানিয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ধৃত দুজনের বিরুদ্ধে মঙ্গলকোট থানায় আটটি করে অভিযোগ রয়েছে। মাদক পাচারের ঘটনায় দীর্ঘদিন জেলে ছিল খুনের ঘটনায় ধৃত সামু শেখ। মাস খানেক আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সামু গ্রামে ফেরে। পুলিশের দাবি জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত দুজনই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা কবুল করেছে। ঘটনার এই দুই ধৃত ছাড়াও আরও অনেকের জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে পুলিশ কর্তারা মনে করছেন।আরও পড়ুনঃ ইচ্ছে ছবির ১০ বছর, আবেগে ভাসলেন পরিচালকমঙ্গলকোট ব্লকের তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী এদিন যদিও দাবি করেন, সাবুল তাঁদের দলের কোনও পদাধিকারী নয়। সমর্থক হতে পারে। অপর ধৃত সামুর সঙ্গে বিজেপির যোগ রয়েছে। তবে বিজেপির সাংগঠনিক জেলা (কাটোয়া) সহ-সভাপতি রাণাপ্রতাপ গোস্বামী বলেন, আমরা ঘটনার পর থেকেই বলছিলাম তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। দুজন গ্রেপ্তার হওয়ার পর সেটাই পরিষ্কার হয়ে গেল।

জুলাই ১৫, ২০২১
রাজ্য

Galsi: গলসিতে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম আনিসুর মণ্ডল ওরফে কালো, চণ্ডীচরণ দাস ও শেখ নূর আলম। পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার বোলপুর গ্রামে চণ্ডীদাসের বাড়ি। অপর দুই ধৃত গলসির কড়কডাল গ্রামের বাসিন্দা। গলসি থানার পুলিশ বুধবার রাতে বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়।আরও পড়ুনঃ বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় জখম বিজেপি নেত্রীপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁশের তৈরি বসার মাচা ভেঙে দেওয়া নিয়ে বুধবার বিকালে কড়কডাল গ্রামে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ৪ মহিলা-সহ উভয়পক্ষে ১০ জন জখম হন।জখমদের মধ্যে ৭ জনকে পুরষা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। আঘাত গুরুতর থাকায় সেখান থেকে কয়েকজনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।আরও পড়ুনঃ কেন দ্বিতীয় বিয়ে করলেন না পূজা ভাট!আক্রান্ত শেখ নূর আলম পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন বিকাল ৪টে নাগাদ লাঠি, রড, শাবল প্রভৃতি নিয়ে তাঁর বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাঁর বোন, মা, স্ত্রী ও অন্যান্য আত্মীয়দের মারধর করার পাশাপাশি তারা তাঁর বাড়িতে থাকা ২ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে পালায়। অপরদিকে সফিকুল মল্লিকের অভিযোগ, ঘটনার দিন বিকাল সাড়ে ৪টে নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে খলসেগড় বাজারে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। তাঁর আর্তনাদ শুনে ভাই ছুটে আসেন। তাঁকেও মারধর করা হয়। দুই পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে গলসি থানার পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। সিজেএম ধৃতদের বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠিয়ে সোমবার ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন।

জুলাই ১৫, ২০২১
রাজ্য

তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যাকে মারধরে গ্রেপ্তার ২ বিজেপি কর্মী

তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যাকে মারধরের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন বিজেপির দুই কর্মী। ধৃতদের নাম মুক্তিপদ কোলে ও চরণ দাস। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার বেরুগ্রাম অঞ্চলের হৈবতপুর গ্রামে তাদের বাড়ি। জামালপুর থানার পুলিশ সোমবার রাতে বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনার জেরে হৈবতপুর গ্রামে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ চড়েছে। বেরুগ্রাম অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সেখ আব্দুস সালাম যদিও দাবি করেছেন, ধৃত দুইজনই তৃণমূলের কর্মী। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তাঁদের বিজেপি কর্মী তকমা দেওয়া হয়েছে।আরও পড়ুনঃ গুগল পিসেমশাই জন্মদিনের তারিখ ভুল বলছে মনামীরপুলিশ জানিয়েছে, জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা অঞ্জনা দলুই সোমবার রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ ১০০ দিনের কাজ নিয়ে এলাকার তৃণমূল কার্যালয়ে কয়েকজনের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন। অভিযোগ সেই সময় বিজেপির লোকজন রড, লাঠি প্রভৃতি নিয়ে তাঁদের উপর হামলা চালায়। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যাকে মারধর করা হয়। চোখে আঘাত লাগলে তিনি সংজ্ঞা হারান। তাঁর সোনার হার, কানের দুল ও মোবাইল খোয়া যায়। আক্রান্ত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করায় দলের কর্মীরা। ঘটনার কথা জানিয়ে ওই রাতেই অঞ্জনা দলুই জামালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিজেপির দুজনকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তকারী অফিসারের কাছে সপ্তাহে ১ দিন হাজিরা এবং অভিযোগকারী ও ঘটনার সাক্ষীদের ভীতি প্রদর্শন না করার শর্তে সিজেএম ধৃতদের জামিন মঞ্জুর করেছেন।

জুলাই ১৩, ২০২১
কলকাতা

Bhatpara: ভরসন্ধেয় ভাটপাড়ায় গুলি

ফের উত্তপ্ত ভাটপাড়া। মঙ্গলবার বিকেলে পুরসভা কম্পাউন্ডে চলল গুলি। পুরসভার ঠিক উল্টোদিকে রয়েছে ভাটপাড়া থানা। অভিযোগ উঠেছে, থানার নাকের ডগায় এক দুষ্কৃতী গুলি চালিয়ে চম্পট দিল, অথচ পুলিশ তাকে পাকড়াও করতে পারলো না! জানা গিয়েছে, পুরসভা কম্পাউন্ডে একটি বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম কাউন্টার আছে। সেখানে তৃণমূল কর্মী সৌরভ অধিকারীর সঙ্গে এক যুবকের বচসা চলছিল। বচসা থেকে দুপক্ষের মধ্যে মারপিট বেঁধে যায়। সৌরভকে বেধড়ক মারে ওই যুবক। এমনকী, সৌরভকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ওই যুবক। যদিও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান ওই তৃণমূল কর্মী।আরও পড়ুনঃ কাঁকুড়গাছিতে নিহত বিজেপি কর্মীর ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ হাইকোর্টেরআক্রান্ত তৃণমূল কর্মী সৌরভ অধিকারী ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর হিমাংশু সরকারের ছায়াসঙ্গী। ঘটনার সময় বিদায়ী কাউন্সিলর হিমাংশু সরকার পুরসভায় ছিলেন। আক্রান্ত সৌরভকে নিয়ে তিনি ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সৌরভকে ছেড়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গুলি কাণ্ডে জড়িত যুবকের পুলিশ খোঁজ চালাচ্ছে। যদিও ঘটনার কারণ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চায়নি আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী ও বিদায়ী কাউন্সিলর হিমাংশু সরকার। অভিযোগ উঠেছে, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কাজিয়ায় জেরেই মারপিট এবং গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। যদিও গোষ্ঠী দ্বন্দের তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য মুকসুদ আলম।

জুলাই ১৩, ২০২১
রাজ্য

Mongalkote: মঙ্গলকোটে শুটআউট -নিহত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

পূর্ব বর্ধমানে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গুলি করে খুন। বাইক দাঁড় করিয়ে কাছ থেকে গুলি চালিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। মৃত ব্যক্তির নাম অসীম দাস। পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের সিওর গ্রামে তাঁর বাড়ি। তিনি মঙ্গলকোটের লাখুরিয়া অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। গূলি লাগার পর রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন অসীমবাবু। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে মঙ্গলকোট হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।আরও পড়ুনঃ পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির অভিনব প্রতিবাদ, ডোঙার সাহায্যে জল সেচ তৃণমূল বিধায়কেরএদিকে, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গুলি করে মারার ঘটনা জানাজানি হতেই মঙ্গলকোটজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়েই মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী-সহ অন্য তৃণমূল নেতারা মঙ্গলকোট হাসপাতালে পৌঁছে যান। একইভাবে ঘটনার কথা জানার পর জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারাও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। দুষ্কৃতীদের খোঁজে পুলিশ পার্শ্ববর্তী জেলার সীমান্তে জোরদার নজরদারি চালানোর পাশাপাশি অভিযুক্তদের খোঁজে জোরদার তল্লাশি চালানো শুরু করেছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায় জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।আরও পড়ুনঃ তিন রাজ্যে বজ্রপাতে মৃত ৬৮, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীরজানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মত এদিন সন্ধ্যায় কাশেমনগর বাজার থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে একাই সিওর গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন অসীম দাস। পথে বাড়ির কাছেই সিওর মোড়ের কাছে কেউ দাদা বলে ডেকে অসীম দাসের মোটরসাইকেল দাঁড় করায়। এরপরেই খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। উত্তেজনা চরমে ওঠায় এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।আরও পড়ুনঃ ইংল্যান্ডের স্বপ্ন চুরমার করে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিতৃণমূল নেতা অসীম দাসকে খুনের ঘটনায় বিজেপির যোগসাজোস রয়েছে বলে দাবি করেছেন মঙ্গলকোটের তৃমূলের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী। একই অভিযোগ করে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের মুখপত্র দেবু টুডু বলেন, ভোটে হেরে যাওয়ার বদলা নিতে মঙ্গলকোটের বিজেপি কর্মীরা এখন সন্ত্রাস ও খুনের রাজত্ব কায়েম করতে চাইছে। খুনিরা কেউ পার পাবেনা বলে দেবু টুডু জানিয়েদেন। মঙ্গলকোট বিধানসভার পর্যবেক্ষক তথা বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন,অসীম দাস দক্ষ সংগঠক ছিলেন। বিজেপির লোকজনই পরিকল্পনা করে তাকে খুন করেছে। মৃতর পরিবারকে সমবেদনা জানাতে বুধবার মঙ্গলকোট যাচ্ছেন বলে অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন। যদিও বিজেপির বর্ধমান পূর্ব (গ্রামীণ) জেলা কমিটির সহ-সভাপতি অনীল দত্ত পাল্টা দাবি করেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। তা ধাপাচাপা দিতেই তৃণমূলের নেতারা বিজেপির দিকে আঙুল তুলছে। পুলিশ সঠিক তদন্ত করেলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে বিজেপি নেতা অনিল দত্ত মন্তব্য করেছেন।

জুলাই ১২, ২০২১
রাজ্য

Petrol Hike: পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির অভিনব প্রতিবাদ, ’ডোঙার' সাহায্যে জল সেচ তৃণমূল বিধায়কের

জ্বালানির আঁচে জ্বলছে গোটা দেশ। ১০০ পেরিয়েছে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম। ডিজেলের দামও ১০০ ছুঁইছুঁই। জ্বালানির এই অগ্নিমূল্যের প্রভাবে সংকট তীব্র হবে রাজ্যের কৃষিক্ষেত্র। সেচের কাজে পাম্প মেশিন ছেড়ে চাষিদের ফের ডোঙা ব্যবহারেই ফিরতে হবে। সোমবার রথযাত্রার দিন ডোঙায় জল সেচ করে নিজের চাষজমি কর্ষণ কাজের শুভারম্ভ ঘটিয়ে সেই বার্তাই দিলেন বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ মালিক। বিধায়কের এই বার্তা রাজ্যের শস্যগোলা বলে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষক মহলকেও ভাবিয়ে তুলেছে। তবে বিধায়কের এদিনের কর্মকাণ্ডকে নাটক বলেই মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব।বর্ধমান ২ ব্লকের গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের হাটকান্ডা গ্রামে বাড়ি বিধায়ক নিশীথ মালিকের। তাঁর পরিবারের সকলেই কৃষিজীবী। পরিবারের চাষবাস বিধায়ক নিজেই দেখেন । বরাবরই জমিতে নেমে চাষ-আবাদের কাজ তিনি নিজেই তদারকি করেন ।প্রতিবছরের মতো এবছরও রথযাত্রা উৎসবের দিন বিধায়ক নিশীথ মালিক তাঁদের পারিবাবিক চাষ জমির কর্ষণ কাজ শুরু করেন । এদিন বাড়িতে থাকা সাবেকি আমলের ডোঙা কাঁধে নিয়েই বিধায়ক জমির উদ্দেশ্যে রওনা নেন । বহুকাল পর ডোঙা নিয়ে নিশীথ মালিককে চাষের জমির দিকে যেতে দেখে এলাকার অন্য চাষিরা কার্যত তাজ্জব বনে যান । ডোঙা নিয়ে জমিতে পৌছে বিধায়ক নিশীথ মালিক প্রথমে ডোঙার সাহায্যে তাঁদের ধান জমিতে জল সেচ করেন। এর পরেই শুরু হয় তাঁর জমির কর্ষণ কাজ। কর্ষণ কাজ পুরোপুরি শেষ হবার পর জমিতে আউশ ধান রোয়ার কাজ শুরু হবে।বেশ কয়েক বছর ধরে পাম্প মেশিনের সাহায্যে জমিতে জল সেচ করে চাষাবাদের কাজ করে আসছেন নিশীথ মালিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু হঠাৎ করেই পাম্প মেশিন ছেড়ে বাবা ঠাকুরদার আমলের ডোঙা নিয়ে জমিতে কেন জল সেচ করতে হল? এই প্রশ্নের উত্তরে বিধায়ক নিশীথ মালিক বলেন, দেশে পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাস এখন অগ্নিমূল্য। পেট্রোলের লিটার প্রতি মূল্য ১০০ পার হবার পর এখন ডিজেলও ১০০ ছুঁইছুঁই । অগ্নিমূল্য জ্বালানি তেল পাম্প মেশিনে ভরে জল সেচ করে ধান চাষ করতে গেলে চাষের খরচ বহুগুণ বেড়ে যাবে। খরচ বেড়ে গেলে চাষিরা চাষ করেও লাভের মুখ দেখতে পাবেন না। নিশীথ বলেন, পেট্রোপণ্যের এমন মূল্য বৃদ্ধির কারণে তিনি বাবা ঠাকুরদার আমলে সেচের কাজে ব্যবহৃত ডোঙা দিয়েই তাই জমিতে সেচের কাজ সারলেন ।একই সঙ্গে তিনি জেলার কৃষিজীবী মহলকে এই বার্তাও দিলেন, কেন্দ্রে মোদি সরকারের দৌলতে পেট্রোল, ডিজেলের দাম এখন যে জায়গায় পৌঁছেছে তাতে সবাইকেই এবার সেই ডোঙা নিয়েই চাষের কাজে ফিরতে হবে । ডোঙা নিয়ে জমিতে জল সেচ করাটা একপ্রকার তাঁর পেট্রৌপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ বলেও এদিন বিধায়ক নিশীথ মালিক মন্তব্য করেন। তৃণমূল বিধায়কের এমন প্রতিবাদকে নাটক বলে বলে কটাক্ষ করেছেন জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি প্রবাল রায়। তিনি দাবি করেন, দেশের কৃষকদের স্বার্থের কথা কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন সরকার ভাবে বলেই কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠাচ্ছেন। কৃষকদের প্রতি দরদ থাকলে নাটক, প্রতিবাদ ছেড়ে এই রাজ্যের সরকার নিজেদের অংশের কর কমাচ্ছেন না কেন? পাল্টা সেই প্রশ্ন রেখেছেন জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি।

জুলাই ১২, ২০২১
রাজ্য

Nischinda: মহিলাকে কটুক্তির প্রতিবাদ করায় পঞ্চায়েত সদস্যাকে মারধরের অভিযোগ নিশ্চিন্দায়

প্রতিবাদীকে মারধর করার অভিযোগে উত্তেজনা নিশ্চিন্দায়। শনিবার রাতে এক গৃহবধুকে মদ্যপ অবস্থায় কটুক্তি করেছিল কয়েকজন দুষ্কৃতী। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করেন তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা। তার জেরেই রবিবার সকালে ওই দুষ্কৃতীরা এসে নিশ্চিন্দার সাঁপুইপাড়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যা রূপা মন্ডলকে বেধড়ক মারধর করে। বাদ যাননি তাঁর স্বামী মনোজ মন্ডলও। চারটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। পঞ্চায়েত সদস্যা নিশ্চিন্দা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার নিশ্চিন্দার পূর্ব আনন্দনগরে।রবিবার ওই পঞ্চায়েত সদস্যা অভিযোগ করেন, কিছু ছেলে মদ খেয়ে শনিবার রাতে পাড়ার এক মহিলাকে কটুক্তি করছিলো। আমি তার প্রতিবাদ করেছিলাম। তখনকার মতো ছেলেগুলি চলে গেলেও রবিবার সকালে আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে ওরা আমার উপর চড়াও হয়। আমার স্বামী বাধা দিতে গেলে ওকেও মারধর করে। দোকান ভাঙচুর করে। খুনের হুমকি দেয়। ওরা সব চকপাড়া এলাকার ছেলে। এই ঘটনার খবর পেয়ে এদিন সেখানে ছুটে যান ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক কল্যান ঘোষ। তিনি বলেন, দুষ্কৃতীদের কোন দল হয় না। এই দূষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। এলাকায় কোনওভাবেই দুষ্কৃতীরাজ বরদাস্ত করা হবে না। এই ঘটনার পরে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

জুলাই ১১, ২০২১
কলকাতা

Cyber Crime: পুলিশকর্তার মেয়েকে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট, গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতার ছেলে

পুলিশকর্তার মেয়ের ছবি দিয়ে নেটমাধ্যমে আপত্তিকর পোস্ট করার অভিযোগে বারাসত থেকে গ্রেপ্তার করা হল তৃণমূল নেতার ছেলেকে। ধৃতের নাম অর্কদীপ কুণ্ডু। তাঁর বাবা দীপক কুণ্ডু উত্তরপাড়া-কোতরং পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর।আরও পড়ুনঃ পায়েল মুখার্জীর হিন্দি সিনেমা বিশেষ সম্মানে ভূষিতখোদ পুলিশকর্তার মেয়ের মোবাইল নম্বর এবং ছবি ব্যবহার করে নেটমাধ্যমে অর্কদীপ আপত্তিকর পোস্ট করেছিল বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ ওঠে, ওই কাণ্ডের পর থেকে এই রাজ্য তো বটেই, ভিনরাজ্য, এমনকী, অন্য দেশের নম্বর থেকেও ফোন করে বিরক্ত করা হয় ওই তরুণীকে। তরুণীর দাবি, ফোন করে এবং মেসেজ পাঠিয়ে তাঁকে কুরুচিকর মন্তব্যও করা হয়। তার জেরে গত ১২ জুন বিধাননগর সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার প্রায় এক মাসের মাথায় শনিবার রাতে বারাসতের নবপল্লির একটি আবাসনে বিধাননগর কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম বিভাগ এবং বারাসত থানার পুলিশ যৌথভাবে হানা দেয়। ওই আবাসনেই অর্কদীপ আত্মগোপন করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

জুলাই ১১, ২০২১
রাজনীতি

Minister WB: বিজেপিকে রুখতে ঝাঁড়ফুক বা পানিপোড়া, নাহলে ৭০-৮০ ডিগ্রির দাওয়াই, হুঙ্কার রাজ্যের মন্ত্রীর

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়পেট্রোপণের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ভারতের কু-পুত্র বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। রবিবার নিজের বিধানসভা এলাকা পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রাম ও সাতগেছিয়া বাজার এলাকায় হওয়া দলের প্রতিবাদ কর্মসূচীতে যোগ দেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। সেই কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখতে উঠে নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপিকে কার্যত তুলোধনা করেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী। মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। সারা রাজ্যের পাশাপাশি এদিন পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মন্তেশ্বরের সাতগেছিয়া ও কুসুমগ্রামে প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয় । সেই কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এদিন আরও বলেন, সেই সব গ্রাম আমি চিনি যেখানে বিজেপির কর্মীরা অনেক মুসলমান বাড়ির সামনে কাঁফন রেখেছিল। যারা রেখেছিল তারাও মুসলমান। তাদেরও টুপি আছে, দাড়িও আছে।নামাজ তারাও পড়ে। তবে তারা কুড়ি হাজার টাকায় বিক্রি হয়ে গিয়েছে। সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ওইসব বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্য করে এরপরেই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমরা প্রথমে ওদের ঝাড়ফুঁক তেল ও পানি পোড়া দেব । তাতে যদি ঠিক হয়ে যায় তো ঠিক আছে। না হলে ৭০ ডিগ্রি বা ৮০ ডিগ্রির বিষয়টি পরে ভেবে দেখা হবে।পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে এইসব বিস্ফোরক মন্তব্য করার পাশাপাশি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ভারতের কু-পুত্র বলেও কটাক্ষ করেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর এমন বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সংবিধানের শপথ নেওয়া রাজ্যের একজন মন্ত্রী যে ভাষায় দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আপমান করছেন তা কার্যত নজিরবিহীন। একই সঙ্গে কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, মন্ত্রীর বক্তব্য থেকেই পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে এই রাজ্যে বিরোধীদের নিকেশ করতে চায় শাসক দল।তারই ইঙ্গিত স্বরুপ মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে ঝাড়ফুঁক, তেলপোড়া, পাণি পোড়া, ৭০ডিগ্রি, ৮০ডিগ্রির প্রসঙ্গ তুলেছেন। তবে এই সব হুঁশিয়ারী দিয়ে লাভ কিছু হবে না। কারণ দেশের আইনি শাসন ব্যবস্থা অনুযায়ী বিরোধীদেরও রাজনীতি করার ও মত প্রকাশের আধিকার রয়েছে।

জুলাই ১০, ২০২১
রাজ্য

Jago Bangla: ২১ জুলাই থেকে দৈনিক হচ্ছে তৃণমূলের মুখপত্র

তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগো বাংলা দৈনিক আকারে প্রকাশিত হতে চলেছে। ২১ জুলাই শহিদ দিবসের দিন নবরূপে জাগো বাংলার আত্মপ্রকাশ করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার এক টুইট বার্তায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নবরূপে জাগো বাংলার প্রকাশের কথা ঘোষণা করেছেন।২০১৫ থেকে তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলা সাপ্তাহিক আকারে প্রকাশ শুরু হয়। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল মানুষের জনসমর্থন পেয়ে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতাসীন হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার দলের সংবাদপত্রও সাপ্তাহিক থেকে দৈনিক হচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লিখেছেন, প্রথম থেকেই এই পত্রিকা বাংলার মানুষের মনের কথা তুলে ধরছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টিভঙ্গীর কথা অবিচল ভাবে তুলে ধরে বাংলার মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছে। এবার এই পত্রিকা নবকলবরে প্রকাশ হবে।Jago Bangla has resonated with the people of #Bengal ever since its inception. Delivering the vision of @MamataOfficial it has steadily made its way into the hearts of people pan-state.As @jago_bangla gets a fresh make over, stay tuned to find out more!#NaboRupeJagoBangla Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) July 10, 2021এখন জাগো বাংলার সম্পাদক তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দৈনিক সংবাদপত্রের মতোই এই কাগজে দেশ-বিদেশ, রাজ্য, খেলা সমস্ত বিষয়ই স্থান পাবে। এছাড়া দলের কর্মসূচিও থাকবে এই সংবাদপত্রে। বিশেষ করে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্প তুলে ধরা হবে। এরাজ্যে সিপিএমের মুখপত্র হিসাবে প্রকাশিত হয়ে আসছে গণশক্তি পত্রিকা। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে সাধারণের মধ্যে গণশক্তির জনপ্রিয়তাও যথেষ্ট কমে যায়।এবারেও ২১ জুলাই ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিনই তিনি নবরূপে জাগো বাংলার সূচনা করবেন। ইতিমধ্যে সোশাল মিডিয়ায় পত্রিকার প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের মতে, মুখপত্র দৈনিক প্রকাশ হওয়ার ফলে জনসংযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে।

জুলাই ১০, ২০২১
রাজনীতি

মুকুলের দলবদল, ৬৪ পৃষ্ঠার তথ্যপ্রমাণ অধ্যক্ষকে পাঠিয়েছেন শুভেন্দু

বিধানসভার পিএসি কমিটির চেয়ারম্যান হলেন কৃষ্ণনগরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়। তৃণমূল ভবনে তিনি প্রকাশ্যে দলনেত্রীর উপস্থিতিতে দলবদল করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। বিজেপির দাবি, পিএসি কমিটির যে ৬ জনের সদস্যের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছিল তাতে মুকুল রায়ের নাম ছিল না। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর হুঙ্কার, চেয়ারম্যান হয়েও সদস্যপদ টিকিয়ে রাখতে পারবেন না মুকুল রায়।মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ নিয়ে এদিনও হুঙ্কার ছেড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা বলেন, ইতিমধ্যে বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা হিসাবে আমি ৬৪ পৃষ্ঠা তথ্যপ্রমাণ সমৃদ্ধ অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করেছি। আগামী ১৬ তারিখ ২টোর সময় তিনি শুনানিতে ডেকেছেন। আমি আমার তথ্যপ্রমাণের সমর্থণে অধ্যক্ষের শুনানিতে থাকব। এটাও আমরা জানি, বিগত দিনে একজন বিধায়কের বিরুদ্ধে বামফ্রণ্ট পরিষদীয় দল অভিযোগ করেছিল। ২৩ বার হেয়ারিং হয়েছে, শুনানি শেষ হয়নি। ১৬ তারিখটা আসছে তারপর যেখানে গেলে বিচার হবে সেই বিচার ব্যবস্থার দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপির পরিষদীয় দল। আমার স্থির বিশ্বাস, যে মুকুল রায়কে চেয়ারম্যান করেছে তাঁর সদস্যপদ রাখতে পারবে না তৃণমূল কংগ্রেস।এদিকে এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ভোটাভুটি হলেও মুকুল রায় পিএসির চেয়ারম্যান হবে। যদিও একথাও বলেছিলেন মুকুল রায় তো বিজেপির সদস্য। কেন তিনি বিজেপি ছাড়লেন? সে বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৃণমূল ভবনে মুকুল রায় বলেছিলেন, পরে লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেবেন। এর আগে বহু বিধায়ক দলবদল করলেও বিধায়ক পদে থেকে গিয়েছেন। এবার যে তা হবে না সেই চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য, মুকুল রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। দল ছাড়ার সব প্রমাণ আছে।

জুলাই ০৯, ২০২১
রাজ্য

MGNREGA Work: শাসক দলের 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে' জামালপুরে বন্ধ ১০০ দিনের কাজ

অতিমারিতে গ্রামগঞ্জের গরিব মানুষের আর্থিক হাল ফেরাতে তাঁদের বেশী করে ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদন্দের জেরে তা পণ্ড হতে বসেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ২ পঞ্চায়েত এলাকায়। ১০০ দিনের কাজ পরিচালনা নিয়ে বুধবার এই পঞ্চায়েত এলাকার জোড়বাঁধে চরমে উঠে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘাত। দুপক্ষ সন্মুখ-সমরে অবতীর্ণ হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শেষ পর্যন্ত প্রশাসন বাধ্য হয় জোড়বাঁধে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দিতে। বিরোধীদের পাশাপাশি জব কার্ড শ্রমিকরাও এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন।আরও পড়ুনঃ ৯৬ বছর বয়সে মারা গেলেন হকির কিংবদন্তী কেশব দত্তসংঘাতের কারণ প্রসঙ্গে জামালপুরের তৃণমূল নেতা প্রদীপ পাল বলেন, জামালপুর ২ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান উদয় দাস নিজের মন মতো কিছু জবকার্ড শ্রমিককে দিয়ে ১০০ দিনের কাজ করাচ্ছে। অথচ জোড়বাঁধ সংসদ এলাকায় প্রায় দুশো জন জবকার্ড শ্রমিক রয়েছে। প্রদীপবাবুর আরও অভিযোগ, এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যকে কিছু না জানিয়েই উপপ্রধান বিভিন্ন কাজ করছে। এদিনও এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই জোড়বাঁধ এলাকায় ১০০ দিনের কাজ শুরু কর হয়। সেই খবর পেয়ে এলাকার অন্য জবকার্ড শ্রমিকরা বাঁধে গিয়ে আপত্তি তোলে। তা নিয়ে সংঘাত চরমে ওঠে। দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, মারামারির উপক্রম হয়। এই খবর পেয়ে জামালপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। কাজ না পাওয়া জবকার্ড শ্রমিকদের আপত্তিতে পরে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যা শর্মিলা দাস জানান, তাঁকে না জানিয়েই উপপ্রধান তাঁর সংসদ এলাকায় কিছু জবকার্ড শ্রমিক নিয়ে কাজ করাচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ নিয়ম বিরুদ্ধ কাজ। এমনটা চলতে দেবেন না বলে পঞ্চায়েত সদস্য শর্মিলা দাস এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন। আরও পড়ুনঃ দাম্পত্যে ইতি। বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত লাগান খ্যাত ভুবনেরযদিও এদিন জোড়বাঁধ এলাকায় থাকা ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজার উজ্জ্বল চক্রবর্তী দাবি করেন, নিয়ম মেনে মাষ্টাররোল তৈরী করে এদিন জোড়বাঁধ এলাকায় একশোজন জবকার্ড শ্রমিককে নিয়ে কাজ শুরু হয়। এলাকার কয়েকজন জোড়বাঁধে এসে নানা অজুহাত তুলে কাজ বন্ধ করে দেয়। আপত্তিকারীদের তৃণমূলের লোক বলে মানতে চাননি উজ্জ্বল বাবু। তিনি দাবি করেন,আপত্তিকারীরা সকলে বিজেপির সমর্থক। আরও পড়ুনঃ ছোট্ট ছুটির ঠিকানা সিঙ্গিসাপারভাইজার উজ্জ্বল চক্রবর্তী বলেন, গোটা বিষয়টি তিনি ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছেন। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান উদয় দাস এদিনের ঘটনা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। তবে তিনি সাফাই দিয়েছেন, সরকারি নিয়ম মেনেই পঞ্চায়েত কাজ করছে। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হতাশ জোড়বাঁধের জবকার্ড শ্রমিকরা বলেন, নেতায় নেতায় দ্বন্দ্বে যেন তাঁদের কাজ বন্ধ না হয় । তাঁরা যাতে বেশি করে ১০০ দিনের কাজ পান তার ব্যবস্থাই করুক প্রশাসন।আরও পড়ুনঃ শিব- পার্বতীর বিবাহ স্থলেবিজেপির জামালপুর বিধাসভার আহ্বায়ক জীতেন ডকাল বলেন, এদিন জোড়বাঁধে যা কিছু ঘটেছে তার সবটাই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আড়াল করতে তৃণমূলের এক গোষ্ঠী এখন অপর গোষ্ঠীকে বিজেপি বানিয়ে দিচ্ছে। এর থেকে বড় লজ্জার আর কিছু হতে পারে না। জোড়বাঁধ এলাকার মানুষ তৃণমূলের এইসব নাটক সন্মন্ধে ওয়াকিবহাল রয়েছেন বলে জীতেন বাবু মন্তব্য করেন।জামালপুর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার বলেন, ১০০ দিনের কাজ নিয়ে সমস্যার কথা শুনেছি। সমস্যা মিটিয়ে দ্রুত যাতে ১০০ দিনের শুরু হয় সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

জুলাই ০৭, ২০২১
রাজ্য

Human Rights : জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদের পূর্ব বর্ধমানে আসা নিয়ে তুঙ্গে তৃণমূল ও বিজেপির তর্জা

ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা নিয়ে খোঁজ খবর নিতে এই রাজ্য চষে বেড়াচ্ছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল। সোমবার কমিশনের প্রতিনিধিদন পূর্ব বর্ধমান জেলার ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে আসেন। বিমলজিত উপ্পল ও আই আর কুরিলসের নেতৃত্বাধীন কমিশনের প্রতিনিধি দল এদিন প্রথম বর্ধমান সার্কিট হাউসে পৌঁছান। সেখানে এক প্রস্থ বৈঠক সেরে তাঁরা বিকেলের দিকে সোজা পৌছে যান জামালপুর থানার নবগ্রামে। পরে সন্ধ্যায় তাঁরা রায়নার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।আরও পড়ুনঃ চূড়ান্ত ট্রায়ালে সাফল্য, ডেল্টা প্রজাতি রুখতে সক্ষম কোভ্যাক্সিন!ভোটের ফল প্রকাশের পর দিন অর্থাৎ গত ৩ মে নবগ্রামেই রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছিলেন দুই তৃণমূল কর্মী শাজাহান শা (৩০)ও বিভাস বাগ (২৭) এবং এক বিজেপি কার্যকর্তার মা কাকলি ক্ষেত্রপাল (৪৭)। একই দিনে নিহত হন রায়না থানার সমসপুর নিবাসী তৃণমূল সমর্থক গনেশ মালিক (৬০)। নবগ্রাম উড়িষ্যা পাড়ায় বিভাস বাগের বাড়ি। আর কাকলি ক্ষেত্রপালের বাড়ি পাশের পাড়া ষষ্ঠিতলায়। অপর নিহত সাজু শেখের বাড়ি জামালপুরের ভেড়িলি গ্রামে। নবগ্রামে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিল ১২ জন । তারা সকলেই এখন জামিনে মুক্ত। রায়নার সমসপুরের গনেশ মালিককে হত্যার ঘটনাতেও ৮ জন গ্রেপ্তার হন । দো-ভাষীকে সঙ্গে নিয়ে কড়া পুলিশ পাহারায় কমিশনের প্রতিনিধিরা এদিন জামালপুরের তিন নিহতের বাড়িতে পৌছান।আরও পড়ুনঃ বিপদসংকুল ও ভয়ঙ্কর সাচ পাস অভিযানের অভিজ্ঞতাজাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল গত ৩ মে নবগ্রামে নিহত হওয়া তিন জনের বাড়িতে গিয়ে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।পাশাপাশি ওইদিন নবগ্রামে কি ঘটনা ঘটেছিল তার সবিস্তার তথ্যও তাঁরা সংগ্রহ করেন। এরপর কমিশনের প্রতিনিধিরা রায়নার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।আরও পড়ুনঃ মেসি জাদুতে আচ্ছন্ন কোপা, শেষচারে আর্জেন্টিনানিহত বিভাষ বাগের স্ত্রী ঝর্ণা বাগ বলেন, সেদিন কী ঘটনা ঘটেছিল তা কমিশনের প্রতিনিধিরা তাঁর কাছে জানতে চান । বিভাষ বাগ কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাও জানতে চায় ।সরকারি কোনও সাহায্য পেয়েছে কিনা জানতে চাইলে ঝর্ণাদেবী কমিশণের প্রতিনিদিধের বলেন তিনি ৪ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য পেয়েছেন । একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার দাবিকমিশনের প্রতিনিধিদের কাছে রাখেন ঝর্ণাদেবী । তবে চাকরির বিষয়টি নিয়ে আশ্বাস কিছু মেলেনি বলে ঝর্ণাদেবী জানিয়েছেন । একইভাবে কাকলি ক্ষেত্রপাল ও শাজাহন শাহের বাড়িতে গিয়েও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সেদিনের ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করেন কমিশনের প্রতিনিধিরা।জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এই অতি সক্রিয়তা নিয়েই পূর্ব বর্ধমান জেলায় তুঙ্গে উঠেছে তৃণমূল ও বিজেপির রাজনৈতিক তর্জা। রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী তথা আসানসোল দক্ষিনের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলরবিবার কালনায় দলের কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ইস্যুকে সামনেএনে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়ান।আরও পড়ুনঃ দাম্পত্যে ইতি। বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত লাগান খ্যাত ভুবনেরতৃণমূল কংগ্রেস, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, ভোটের ফল প্রকাশের পর বর্ধমানসহ রাজ্য জুড়ে আক্রান্ত হচ্ছে বিজেপি কর্মীরা। আদালত নির্দেশ দেওয়ার পর এখন পুলিশ ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের বাড়ি পৌছে দিচ্ছে। অগ্নিমিত্রা দাবি করেন, নির্যাতনের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে আসা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের টিমও এই রাজ্যে ছাড়া পাচ্ছে না। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেশের প্রধানমন্ত্রীকে মানেন না , মানবাধিকার কমিশনকেও মানেন না। এখন আদালতকেও মানছেন না বলে অগ্নিমিত্রা পল কটাক্ষ করেন। বিজেপি নেত্রীর এহেন মন্তব্যের কঠোর বিরোধিতা করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।আরও পড়ুনঃ গানওয়ালার গান চুরির অভিযোগ, ক্ষোভপ্রকাশ সামাজিক মাধ্যমেতৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপত্র তথা পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু এই প্রসঙ্গে বলেন, বিধানসভা ভোটে পরজয়টা বিজেপির নেতা নেত্রীরা কিছুতেই মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না। সেই জন্য ওরা এখন নানা ভাবে রাজ্য সরকারের বদনাম করার জন্যে উঠেপড়ে লেগেছে । তাই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, মহিলা কমিশন, তপশিলি কমিশন এদের এই রাজ্যে পাঠাচ্ছে। দেবু টুডু দাবি করেন, এরা কোনও সরকারের নিরপেক্ষ কোনও এজেন্সি নয়। এরা রাজনৈতিক দল বিজেপির এজেন্সি মাত্র। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, মহিলা কমিশন, তপশিলি কমিশন শুধু বিজেপির দালালি করছে। ওরা শুধু বিজেপির নেতা কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলে চলে যাচ্ছে । প্রশাসনিক কোনও লেবেলের সঙ্গে কথা বলছে না , সাধারণ মানুষের সঙ্গেও কথা বলছে না। বিজেপি নেতাদের সঙ্গে সিটিং করে শুধু কাজ করছে । জাতীয় মানবাধিকার কমিশন , মহিলা কমিশন, তপশিলি কমিশন এ সবই বিজেপির শাখা সংগঠন বলে দেবু টুডু দাবি করেন । একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, ওদের কথা কে শুনবে।আরও পড়ুনঃ গলসিতে আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতিরতৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র দেবু টুডুর এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিতে কশুর করেনি জেলা বিজেপি নেতৃত্ব । বিজেপির পূর্ব বর্ধমান কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, দেবু টুডুর বক্তব্য থেকেই পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস আসলে দেশের সাংবিধানিক কোন ব্যবস্থাকেই মানে না। অগ্নিমিত্রা পল ঠিকই বলেছেন, এই রাজ্যে স্বৈরাচারী, অত্যাচারী সরকার চলছে। অন্যদিকে জেলা বিজেপির সহ- সভাপতি প্রবাল রায় বলেন , আজকে যিনি মুখ্যমন্ত্রী তিনি ও তাঁর দলের অন্য রাজ্য নেতারা সিপিএমের রাজত্ব কালে কথায় কথায় ৩৫৬ ধারা, মানবাধিকার কমিশন চাই ইত্যাদি ইত্যাদি বলতেন। এখন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তৃণমূলের নেতা, হার্মাদ ও জেহাদিদের আসল চরিত্র গুলি বুঝে আদালতকে জানাচ্ছে। এটাই তৃণমূলের বড্ড খারাপ লাগছে।

জুলাই ০৫, ২০২১
রাজনীতি

বিধানসভায় কৌশলী তৃণমূল, কড়া নির্দেশ বিধায়কদের

এবারের বিধানসভায় এক ঝাঁক নতুন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক রয়েছেন। সোমবার তৃণমূল কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে তাঁদের পাঠ দেওয়া হয়। পাশাপাশি সমস্ত বিধায়ক এদিন হাজির ছিলেন। দলীয় বিধায়কদের নানা ভাবে সতর্ক করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া নিয়ে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে দল। এবার এককভাবে বিজেপি ৭৭টি আসনে জয় পেয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুই সাংসদ পদত্যাগ করায় বিধায়ক সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৫-এ। কিন্তু এবার বিধানসভায় বাম-কংগ্রেসের কোনও বিধায়ক নেই। লড়াই সরাসরি। রাজ্যপালের বাজেট ভাষণের দিন বিজেপির ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ বুঝিয়ে দিয়েছে কোমর বেধে নামবেন শুভেন্দু অধিকারীরা। তাই বিশেষ কৌশল নিতে চলেছে তৃণমূল। জুঝতে গেলে পড়াশুনা দরকার তাও এদিন বিধায়কদের অবগত করেছে তৃণমূল।দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, নতুন বিধায়করা লাইব্রেরী ব্যবহার করুক, জানুক। তাঁরা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করুক। বুঝতে অসুবিধা হলে নেতৃত্বরা তাঁদের বুঝিয়ে দেবে। বিজেেপি বিধায়করা অধিবেশনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করলেও দলীয় বিধায়কদের সংযত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে নেতৃত্ব। কোনওভাবেই না জেনে বিধানসভায় কিছু বলা যাবে না। জেনে নিতে হবে। নির্দেশ দলের।এদিনের বৈঠকে বিধানসভায় সময়মত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে দলীয় নেতৃত্বে। পার্থবাবু বলেন, শেষ সময় পর্যন্ত থাকতে হবে। বিধানসভায় প্রতিদিন হাজির হতে হবে। পরিষদীয় বৈঠকে হাজির ছিলেন শোনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, নির্মল ঘোষ। বৈঠকে ছিলেন না মদন মিত্র। মুকুল রায় খাতায়কলমে বিজেপির বিধায়ক। তিনিও হাজির ছিলেন না পরিষদীয় সভায়।ভূয়ো ভ্যাকসিনের নায়ক ভূয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের ছবি প্রকাশ পেতেই বিড়ম্বনা বেড়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে নামতে হয়েছে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ওই ছবিকে হাতিয়ার করে ক্রমাগত তোপ দাগছে গেরুয়া শিবির। এবার সামাজিক কর্মসূচিতে বিধায়কদের যাওয়া নিয়ে কড়া বার্তা দিল দল। পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, কোন অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে আয়োজক সংস্থা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। কারা আসবেন সেখানে সেই তালিকা দেখে নিতে হবে। তারপর তাঁরা সেই অনুষ্ঠানে যেতে পারবেন।

জুলাই ০৫, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 32
  • 33
  • 34
  • 35
  • 36
  • 37
  • 38
  • ...
  • 55
  • 56
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন নেতৃত্বের সঙ্গে

একদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির পোস্টারবয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা করবেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও তাঁর এই বঙ্গসফরকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত ষশাহ হোক, এঁরা কেউ এখানে বিজেপির জয় এনে দিতে পারবেন না। আগেও নির্বাচনের আগে বারে বারে এসেছেন এবারও আসবেন। তবে ব্যর্থ হবেন বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে পৌঁছল বিহারের ৫৫টি বাইক, উদ্দেশ্য ঘিরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার বিহারের নম্বর প্লেটযুক্ত ৫৫টি পুরনো মোটরবাইক বর্ধমান জেলা বিজেপি দলীয় অফিসের ঠিকানায় এসে পৌঁছানোকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইকগুলি ট্রেন থেকে নামিয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের ইস্টার্ন রেলওয়ের পার্সেল অফিসের সামনে রাখা হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বর্ধমান রেল স্টেশনে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বাইকগুলির মালিকানা, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি এবং কেন শুধুমাত্র বিজেপির বর্ধমান জেলা অফিসের ঠিকানায় এই বাইক পাঠানো হয়েছে। তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন বিধায়ক।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে সুনীল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তির নামে এই ৫৫টি বাইক পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই বাইকগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই বাইক ব্যবহার করে বাইরের লোকজন বা দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এই ৫৫টি নয়, ২৩ জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০০ মোটর বাইক আসার কথা।বিধায়ক খোকন দাস স্পষ্ট ভাষায় জানান, এতগুলো বাইক বিহার থেকে কী উদ্দেশ্যে বাংলায় আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভোটের আগে এই বাইক ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। একই সঙ্গে তিনি রেল ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ও বাইকগুলির সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এই পরিবহণের বিস্তারিত জানাতে হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ না হলে বাইকগুলি পার্সেল অফিস থেকে ছাড়তে দেওয়া হবে না।অন্যদিকে, তৃণমূলের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় দলীয় কর্মীদের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিহারের ভোট শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস রাঢ়বঙ্গ জোনের কেন্দ্রীয় অফিস হওয়ায় এখানকার ঠিকানাতেই বাইক পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগেই এভাবেই বাইক আনা হয় এবং বিষয়টি জেনেও তৃণমূল অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। বাইক বিতর্কে প্রশাসনের ভূমিকা কী হয়, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে কৌতূহল।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এশিয়া কাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাত্রের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হার স্বীকার করেই শিরোপা হাতছাড়া করতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। মাত্র এক ইনিংসেই তিনি করে ফেলেন ১৭২ রান। উসমান খানের সঙ্গে ৯২ রানের এবং আহমেদ হুসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের দুটি বড় জুটিতে ভর করে দ্রুত ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় পাকিস্তানের ইনিংস ২৭০২৮০ রানের মধ্যেই থামতে পারত। কিন্তু মিনহাসের ব্যাটে ভর করেই ৪৩ ওভারের মধ্যেই ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে তাঁর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৩০২/৩ থেকে ৩২৭/৮ মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারালেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল।লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো পরিচিত নাম থাকলেও কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আশ্চর্যজনকভাবে দলের সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বর ব্যাটার দীপেশ দেবেন্দ্রনের ব্যাট থেকে। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।এই হার যেন সাম্প্রতিক সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঞ্চ ফাইনাল, ফলাফলও প্রায় একই রকম হতাশাজনক।উল্লেখযোগ্যভাবে, ফাইনালে ওঠার আগে টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছেই একমাত্র হেরেছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ নিজেদের ঝুলিতে ভরল পাকিস্তান। আর ফাইনালে বারবার হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে গেল ভারতীয় যুব দলের সামনে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিদেশ

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারে হামলার পরও অকুতোভয় কর্তৃপক্ষ, সন্ত্রাসের নিন্দার ঝড় বিশ্বের সর্বত্র

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠল ঢাকায় প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। দেশের দুটি প্রথম সারির সংবাদপত্রের দফতরে এই হামলার অভিযোগ সামনে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়েছে সাংবাদিক মহল, নাগরিক সমাজ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলির মধ্যে। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে নিন্দার ঝড় বয়েছে অন্যত্র।ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে আসার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। পরবর্তীতে হিংসা ছড়িয়ে পরে নানা জায়গায়। নৃশংস ভাবে হিন্দু যুবক খুন থেকে সংস্কৃতি সংগঠনের ওপর হামাল। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর ক্রমাগত হামলা চলতে থাকে।প্রাথমিক অভিযোগ অনুযায়ী, ঢাকায় অবস্থিত প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। তারা অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মীদের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। আগুন লাগিয়ে দেয় এই অফিসদুটিতে। যদিও এই ঘটনায় বড় ধরনের শারীরিক ক্ষতির খবর নেই, তবে আচমকা হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং কিছু সময়ের জন্য সংবাদকর্ম ব্যাহত হয়। সংবাদপত্র প্রকাশনা বন্ধ রাখতে হয়। বৃহস্পতিবার রাতে অনলাইন পোর্টালেও আর খবর আপলোড করা যায়নি।হামলার ঘটনার পরপরই বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সম্পাদকীয় মহল একে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে উল্লেখ করেছে। তাদের বক্তব্য, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি, আর সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা গভীর উদ্বেগজনক। এই দুই সংবাদপত্র গোষ্ঠীও জানিয়ে দেয় তারা ভয় পায় না। খবর প্রকাশ করতে কোনও পরোয় তারা করবে না। এমনকী দফতরের সামনে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করে।ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসনের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।এই ঘটনার পর প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হুমকি বা হামলার মাধ্যমে সত্য প্রকাশ থামানো যাবে না। তারা দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসনের কাছে।আন্তর্জাতিক স্তরেও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনা শুধু দুটি সংবাদপত্রের ওপর আঘাত নয়, বরং বাংলাদেশের সামগ্রিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলে দিল। এখন দেখার, প্রশাসনিক পদক্ষেপ কতটা দ্রুত ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

লাইভ মঞ্চে লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, ওসির ভূমিকা নিয়েও তদন্ত

লাইভ পারফরম্যান্স চলাকালীন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক মহল। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে একটি বেসরকারি স্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করতে গিয়ে এই ঘটনার মুখে পড়েন তিনি। ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যার নাম তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় ভগবানপুরের একটি বেসরকারি স্কুল প্রাঙ্গণে। অভিযোগ অনুযায়ী, লগ্নজিতা চক্রবর্তী যখন জাগো মা গানটি পরিবেশন করছিলেন, তখন অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ও ওই স্কুলের মালিক মেহবুব মল্লিক আচমকাই মঞ্চে উঠে আসেন। শিল্পীর অভিযোগ, তিনি গালিগালাজ করেন এবং চিৎকার করে বলেন, অনেক হয়েছে জাগো মা, এবার কিছু সেকুলার গান গাও। পাশাপাশি মারধরের হুমকি ও শারীরিকভাবে আক্রমণের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ।পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠলে অনুষ্ঠান কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। পরে লগ্নজিতা চক্রবর্তী ভগবানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, প্রথমে থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর মামলা রুজু হয় এবং অভিযুক্ত মেহবুব মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়।পূর্ব মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিতুন দে জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে ভগবানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং আরও এক পুলিশকর্মীর ভূমিকা নিয়েও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের গাফিলতির প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজাও তীব্র হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা অভিযোগ করেন, একজন শিল্পী কি গান গাইবেন, সেটাও শাসক দলের লোক ঠিক করে দিচ্ছে। এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি আরও দাবি করেন, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল। যদিও এই ঘটনার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।লাইভ মঞ্চে একজন শিল্পীর গান বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিয়ে ওঠা এই প্রশ্ন এখন আর শুধু ব্যক্তিগত অভিযোগে সীমাবদ্ধ নয়। সাংস্কৃতিক পরিসরে মতপ্রকাশের অধিকার, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব সব মিলিয়ে এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal