অবশেষে জল্পনার অবসান। বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার যোগ দিলেন তৃণমূলে। নাটকীয়ভাবে নজরুল মঞ্চে বৈঠক করল তৃণমূল। সেখানেই জয়প্রকাশ মজুমদারের তৃণমূলে যোগ দিলেন। তৃণমূলের রাজ্য-সহ সভাপতি হলেন জয়প্রকাশ।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। উল্লেখ্য, সোমবারই লকেট চট্টোপাধ্যায় দেখা করেছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদারের সঙ্গে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সায়ন্তন বসু ও রিতেশ তিওয়ারিও।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্ভবত বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে বৈঠকেই শেষ পেরেকটা পোঁতা হয়েছিল। সোমবার সকালে আকস্মিক নজরুল মঞ্চের সামনে তৃণমূল নেতাদের পাশেই দেখা যায় জয়প্রকাশকে। আজ নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক। সেই বৈঠকে তাঁর উপস্থিতিই ঘটাল জল্পনার অবসান। উল্লেখ্য, বিজেপিও জয়প্রকাশকে দল থেকে বহিষ্কৃত করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, নিজের সঙ্গে ছেলেকে এনেও জয়প্রকাশ বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর পরিবারও আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণীত।
"কিন্তু কি করব - রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কিছুতেই এটা করতে দিচ্ছেন না। আমি অসহায়।" pic.twitter.com/CF4BzzIO5g
— Jay Prakash Majumdar (@jay_majumdar) March 5, 2022
সাময়িক বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার ‘নিজের কার্যসিদ্ধির জন্য’ তৃণমূলে গিয়েছেন বলে মনে করেন বিজেপি-র সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি, তিনি জানিয়েছেন, দলীয় নেতৃত্বের নীতির কারণেই দলত্যাগ হচ্ছে।
মঙ্গলবার লকেট বলেন, ‘আগেও দল ছেড়ে অনেক নেতা চলে গিয়েছেন। অনেক দিন ধরেই দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা আমরা দেখতে পাচ্ছি। যাতে এই পরিস্থিতির শিকার হয়ে দল ছেড়ে কেউ চলে না যান, তার জন্য তাঁদের সঙ্গে কথা বলা উচিত। দলের এই ভাঙন রোখা উচিত। সবাইকেই রোখা উচিত। আমাদের এখন সেই কাজটাই করতে হবে। কথা বলার পরেও যদি কেউ চলে যান, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়।’ লকেট আরও জানিয়েছেন, তাঁরা সকলেই জয়প্রকাশকে দল ছেড়ে তৃণমূলে যেতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু জয়প্রকাশ তা শোনেননি।
আরও পড়ুনঃ যুদ্ধের আঁচ ভারতে! পড়ছে শেয়ার বাজার, আরও চড়েছে সোনার দাম, কমেছে টাকার দাম!
আরও পড়ুনঃ ইউক্রেনে আবার সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার
- More Stories On :
- Jaiprakash Majumder
- TMC
- Joining
- New Post