• ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, বৃহস্পতি ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

RS

কলকাতা

প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিকেই মান্যতা... হাইকোর্টের রায়ের পরেই বিস্ফোরক বিকাশ ভট্টাচার্য

৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বহাল রাখার রায়ের পর খুশির হাওয়া থাকলেও বিতর্ক থামেনি। এই রায়কে কেন্দ্র করে এখনও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর সাফ বক্তব্য, এই রায়ের ফলে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিই প্রশ্রয় পেল। তিনি বলেন, আপাতত চাকরি বাঁচলেও এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতের জন্য ভালো বার্তা নয়। আদালতে যে সমস্ত দুর্নীতির তথ্য পেশ করা হয়েছিল, সেগুলি আইনি ভাবে গ্রাহ্য না হলে আগামী দিনে দুর্নীতি আরও বাড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।অন্যদিকে সিপিএম ও বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র সুর চড়িয়েছেন আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান তিনি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যাঁরা একসময় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ভগবান বলে স্লোগান দিয়েছিলেন, তারাই আজ তাঁকে শয়তান বলছেন। তাঁর অভিযোগ, পুরো বিচারব্যবস্থাকে রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত করা হয়েছিল। সিপিএম-বিজেপির যোগসাজশেই বাংলায় শিক্ষকদের চাকরি নিয়ে এত বড় অশান্তি তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।প্রসঙ্গত, একক বেঞ্চের রায় খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে বহাল থাকছে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি। এই রায়ের পরেই প্রাথমিক শিক্ষক মহলে খুশির জোয়ার দেখা যায়। অনেকেই বলছেন, শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হল।রায়ের পর উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া দেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, আজ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে অভিনন্দন। তাঁর পোস্টেও উঠে আসে সত্যের জয়-এর কথা।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

শেষ পর্যন্ত জয় শিক্ষকদের! ৩২ হাজার চাকরি বাতিল নয়, রায় হাই কোর্টের

বত্রিশ হাজার শিক্ষকের চাকরি থাকবে, না কি যাবেএই প্রশ্নে দীর্ঘ দিন ধরেই উদ্বেগে ছিলেন শিক্ষক মহল। অবশেষে সেই জল্পনার অবসান ঘটল। আজ দুপুর দুটোর কিছু পরে রায় ঘোষণা করল কলকাত হাইকোর্ট। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্র ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা যাবে না। আদালতের পর্যবেক্ষণ, দীর্ঘ ৯ বছর পর চাকরি বাতিল হলে তার বড় সামাজিক ও পারিবারিক প্রভাব পড়বে। বিচারপতিরা বলেন, যাঁরা এতদিন ধরে কাজ করছেন, তাঁদের পরিবারের কথা ভাবতেই হবে। যাঁরা পরীক্ষায় সফল হননি, তাঁদের জন্য গোটা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা যায় না।এর আগে ২০২৩ সালের ১২ মে তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই সময় পুরো ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া নিয়েই গুরুতর প্রশ্ন তোলা হয়। বলা হয়, গোটা নিয়োগ ব্যবস্থাতেই গলদ ছিল।আজ ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আদালত কোনও রকম রোমিং এনকোয়ারি চালাতে পারে না। যাঁরা এতদিন ধরে শিক্ষকতা করছেন, তাঁদের পড়ানোর মান নিয়েও কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। সেই সময় যাঁরা পরীক্ষক ছিলেন তাঁরা টাকা নিয়ে বাড়তি নম্বর দিয়েছেন, এমন কোনও অকাট্য প্রমাণও সামনে আসেনি। তাই গোটা ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াকেই ভুয়ো বলে দাগানো যায় না বলে মন্তব্য করে আদালত। এ দিন আরও বলা হয়, যাঁরা এই মামলা করেছিলেন তাঁরা কেউই তখন চাকরি করতেন না। ফলে যাঁরা পাশ করেননি, তাঁদের জন্য গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা যুক্তিযুক্ত নয়। এই যুক্তিতেই একক বেঞ্চের আগের রায় খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।রায় ঘোষণার পর শিক্ষক মহলে স্বস্তির হাওয়া। এক শিক্ষক অমিত সাহা বলেন, সত্যের জয় হয়েছে। আমরা কোনও টাকা দিইনি। আমাদের অনেকেরই হোমলোন রয়েছে, সন্তান রয়েছে। এই চাকরি চলে গেলে অনেকের সামনে বেঁচে থাকার পথটাই বন্ধ হয়ে যেত বলে তিনি জানান।এই মামলার সূত্রপাত হয় ২০১৪ সালে প্রকাশিত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি থেকে। তারপর টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে দুদফায় নিয়োগ হয়। তাতে প্রায় ৪২ হাজার ৫০০ জন শিক্ষক নিয়োগ পান। পরে সেই নিয়োগে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ২০১৬ সালের নিয়োগে আইন মানা হয়নি, সংরক্ষণ নীতি উপেক্ষা করা হয়েছে, কোনও নির্বাচন কমিটি ছিল না, থার্ড পার্টি এজেন্সি দিয়ে প্যানেল তৈরি করা হয়েছিল, অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়নি, কাট অফ মার্কস নিয়ে স্পষ্ট তথ্য ছিল না, শূন্য পদের চেয়ে বেশি নিয়োগ হয়েছে এবং ন্যূনতম যোগ্যতা না থাকা প্রার্থীরাও চাকরি পেয়েছেনএমন একগুচ্ছ অভিযোগ আদালতে তোলা হয়।যদিও রাজ্য সরকার ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ শুরু থেকেই দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। রাজ্যের দাবি ছিল, কোনও আর্থিক দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিছু প্রক্রিয়াগত ত্রুটি হয়েছিল, তবে পরে তা সংশোধন করা হয়েছে। আজ আদালতের রায়ে শেষ পর্যন্ত সেই যুক্তিকেই গুরুত্ব দেওয়া হল। ফলে দীর্ঘ অনিশ্চয়তার অবসান ঘটল ৩২ হাজার শিক্ষকের জীবনে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

বুধবারই সিদ্ধান্ত! ৩২ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ কি তবে চূড়ান্ত?

শেষ হল প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। গত ১২ নভেম্বর এই মামলার শুনানি হয়েছিল কলকাকা ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রায়দান সেই সময় স্থগিত রেখেছিলেন। অবশেষে বুধবার এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।২০১৬ সালে SSC-এর নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। সেই সময় সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট, পরে সেই রায় বহাল রাখে Supreme Court of India। এরপর প্রাথমিকে নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় তৎকালীন বিচারপতি Abhijit Gangopadhyay ২০২৩ সালে প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন। যদিও তিনি বলেছিলেন, শিক্ষকরা স্কুলে যেতে পারবেন এবং তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বহাল রাখার কথাও বলা হয়েছিল।২০১৪ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এবং ২০১৬ সালে প্রায় ৪২,৫০০ শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। সেই পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। মামলাকারীদের দাবি ছিল, ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। অন্য দিকে পর্ষদের বক্তব্য, কিছু ক্ষেত্রে ভুল হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তা পরে সংশোধন করা হয়েছে।এরপর একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলাটি যায় ডিভিশন বেঞ্চে। সেই সময় বিচারপতি Subrata Talukdar ও বিচারপতি Supratim Bhattacharya একক বেঞ্চের চাকরি বাতিলের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন। তবে তাঁরা নতুন করে নিয়োগ শুরু করার নির্দেশও দিয়েছিলেন। পরে রাজ্য সরকার ও পর্ষদ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। শীর্ষ আদালত মামলাটি আবার হাইকোর্টে ফেরত পাঠায় এবং দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মামলা শুনেই এবার রায় ঘোষণা করতে চলেছে বর্তমান ডিভিশন বেঞ্চ।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
কলকাতা

করদাতা কমল বাংলায়! অমিতের খোঁচা—অভিষেকের কড়া পালটা

পশ্চিমবঙ্গেই করদাতার সংখ্যা কমে গিয়েছেএই তথ্য ঘিরে সরাসরি আক্রমণ করেছেন বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য। তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, রাজ্যে শিল্প নেই, কাজের সুযোগ কম এবং তাই আয়ও কম হচ্ছে; মোদী সরকারের আয়কর ছাড়ের সুবিধা গ্রহণ করায় বাংলায় করদাতা কমেছেএটাকে তিনি মোদী সরকারের উপহার হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বিষয়টি সামনে চলে আসার পর বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ি সাংবাদিক বৈঠক করে এ নিয়ে কথা বলেন।বিধায়ক অশোক দাবি করেন, ২০২৪-২৫ সালের অ্যাসেসমেন্টে করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি মাত্র ২ লাখ হয়েছে, আগের বছরে যা ছিল ৩ লাখঅর্থাৎ বাড়তি সংখ্যা কমেছে। তিনি বলেন, মোদী সরকার ইনকাম ট্যাক্সে ছাড় দেয়ায় মধ্যবিত্তদের কর কমেছে, তাই ট্যাক্স রিলিফ পাওয়া নিয়েই এই পতন হয়েছে।দুইপাশেই পালটা দাবি ও প্রতিক্রমা তুঙ্গে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসকল হিসেব তুলে ধরে বলেছেন, গত সাত বছরে কেন্দ্রীয় সরাসরি ও পরোক্ষ কর যোগ করে বাংলা থেকে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব সংগ্রহ করা হয়েছেমোট প্রায় ৬ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ওই সময়ে কেন্দ্র থেকে বাংলায় ফেরত দেওয়া বকেয়া প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা। অভিষেকের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১৭১৮ থেকে ২০২৩২৪ অর্থবর্ষ পর্যন্ত কন্ট্রিবিউশন ক্রমানুসারে বেড়েছে; ২০১৭১৮ সালে রাজ্য দিয়েছে ৬৩,৪০৭ কোটি, ২০১৮১৯ এ ৮৪,৪১৯ কোটি, ২০১৯২০ এ ৮৪,০১৫ কোটি, ২০২০২১ এ ৮০,০০৪ কোটি, ২০২১২২ এ ১,০১৭৬৭৩ কোটি, ২০২২২৩ এ ১,১৩,৬২১ কোটি এবং ২০২৩২৪ এ ১,২২,৯৮৮ কোটি টাকা।অভিষেকের তথ্যে ফের অমিত মালব্য রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেনআর এতে রাজনীতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূলের রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার পালটা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে পিছিয়ে রাখার চেষ্টাই করছে; বাংলায় শিল্প প্রতিষ্ঠা না করতে নানা কৌশল চালানো হচ্ছে। তিনি যুক্তি দেখান যে অনেক ক্ষেত্রে এমএসএমই-তে বাংলা এগিয়ে আছে এবং অমিতবাবুর আঙুল তোলা তথ্য মিথ্যা মন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে। তাঁর শব্দে, বাংলা থেকে কত ট্যাক্স নেওয়া হচ্ছে, সেটা আগে খতিয়ে দেখতে হবে।রাজনৈতিক তর্ক-ঝগড়ার মাঝেই সাধারণ মানুষ, শিল্প এবং চাকরির বাজার নিয়েও যে প্রশ্ন তুলেছে এই বিতর্ক, তা স্পষ্ট। আগামী দিনে কর-সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যান এবং কেন্দ্ররাজ্য আর্থিক লেনদেন নিয়ে আরও তৎপরতার সম্ভাবনা দেখছেন সব পক্ষই।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
কলকাতা

৭ হাজার ২৯৩ ‘দাগি’র পুরো নাম প্রকাশ করতেই হবে, SSC-কে কড়া নির্দেশ

নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতেই ফের মামলার মুখে পড়ল এসএসসি। অযোগ্য প্রার্থীরা কীভাবে আবার পরীক্ষায় বসছে, তা নিয়েই মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্ট-এ। এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা আবারও কড়া নির্দেশ দিলেন। বুধবারের মধ্যেই ৭ হাজার ২৯৩ জন দাগি বা অযোগ্য প্রার্থীর পুরো তালিকা প্রকাশ করতে হবে এসএসসি-কে।এটা এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বার শীর্ষ আদালত ও হাইকোর্ট এসএসসি-কে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করতে বলেছিল। সেই মতো কিছু তালিকা প্রকাশও করা হয়েছিল। পরে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবার দাগি প্রার্থীদের নাম উঠে আসায় নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়।বিচারপতি অমৃতা সিনহা আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন, অযোগ্যদের নাম, অভিভাবকের নাম, রোল নম্বর-সহ সব তথ্য প্রকাশ করতে হবে। সেই মতে গত ২৭ নভেম্বর এসএসসি ১ হাজার ৮০৬ জন নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক-শিক্ষিকার নাম প্রকাশ করে, যাঁরা তখন চাকরি করছিলেন।কিন্তু এ দিন আদালত জানায়, এসএসসি যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তা সম্পূর্ণ নয়। এসএসসি আগেই জানিয়েছিল মোট অযোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা ৭ হাজার ২৯৩ জন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শুধু গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র ৩ হাজার ৫১২ জন এবং ১ হাজার ৮০৬ জন শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ হয়েছে। বাকি সবার সম্পূর্ণ তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি।এ বার আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, আউট অফ প্যানেল, র্যাঙ্ক জাম্প এবং ওএমআর মিস ম্যাচএই সব ধরনের অনিয়মে যুক্ত মোট ৭ হাজার ২৯৩ জনের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতেই হবে। শুধু তাই নয়, নিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে পুরোপুরি স্বচ্ছ হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্যানেল প্রকাশের পর যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের তালিকাও আগামী শুনানিতে আদালতে জমা দিতে হবে।এই ৭ হাজার ২৯৩ জনের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মীদুপক্ষই। অনেকেই তখন চাকরি করছিলেন, আবার কেউ কেউ তালিকায় থাকলেও চাকরিতে যুক্ত ছিলেন না। তবে এবার আদালত সকলেরই সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে আবারও চাকরি কেলেঙ্কারি নিয়ে চরম রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
রাজ্য

টানা এসআইআর কাজেই কি প্রাণ গেল আরও এক বিএলও-র? মুর্শিদাবাদে মৃত্যু ঘিরে তীব্র বিতর্ক

ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনের কাজ করতে গিয়েই কি আরও এক প্রাণ ঝরল? মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে এক বিএলও-র আকস্মিক মৃত্যু ঘিরে সেই প্রশ্নই ঘুরছে চারদিকে। বৃহস্পতিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দিঘা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক তথা বিএলও জাকির হোসেনের। দিনের পর দিন স্কুলের দায়িত্বের পাশাপাশি ভোটার তালিকা সংশোধনের অতিরিক্ত কাজ সামলাতে গিয়েই শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনিএমনই অভিযোগ পরিবারের।পরিবারের সদস্যদের দাবি, গত কয়েকদিন ধরেই টানা মাঠ পর্যায়ে এসআইআর-এর কাজ করছিলেন জাকির হোসেন। সকাল থেকে রাত অবধি ভোটার লিস্ট সংশোধনের কাজে ব্যস্ত থাকতেন। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎই বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন তিনি। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।এই ঘটনার পরেই ফের রাজ্যজুড়ে প্রশ্ন উঠছেএসআইআর প্রক্রিয়ার বাড়তি চাপেই কি একের পর এক অসুস্থ হচ্ছেন, এমনকি প্রাণ হারাচ্ছেন বিএলও-রা? সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার ফ্রেজারগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা এক বিএলও ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। তার আগে কোন্নগরের এক বিএলও একইভাবে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।মুর্শিদাবাদের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত চারজন বিএলও-র মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এর আগে বর্ধমানে এক মহিলা বিএলও ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পরে মালবাজার ও নদিয়ায় দুই বিএলও আত্মঘাতী হন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ক্ষেত্রেও পরিবারগুলির বক্তব্য ছিলঅতিরিক্ত কাজের চাপ ও মানসিক চাপই এই ঘটনার পিছনে অন্যতম কারণ।বারবার সামনে আসছে একই অভিযোগভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করতে গিয়ে বিশ্রামের সুযোগ পাচ্ছেন না বিএলও-রা। মাঠে নেমে ঘরে ঘরে যাচ্ছেন, তার সঙ্গে স্কুলের নিয়মিত দায়িত্বও সামলাতে হচ্ছে। ফলে শারীরিক ক্লান্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানসিক চাপ।এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে ক্রমবর্ধমান মৃত্যু ও অসুস্থতার ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে প্রশাসনের অন্দরেও। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, কোনও বিএলও-র মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর অসুস্থ হলে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। কিন্তু শুধু আর্থিক সাহায্যেই কি ফিরবে হারানো প্রাণ? সেই প্রশ্নই এখন ঘুরছে মানুষের মুখে মুখে।খড়গ্রামের এই মৃত্যুর ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্কুলের সহকর্মী থেকে পড়ুয়াদের অভিভাবকসবারই চোখে জল। একজন নিষ্ঠাবান শিক্ষক ও দায়িত্ববান কর্মীকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। একইসঙ্গে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে অন্যান্য বিএলও কর্মীদের মধ্যেও।এসআইআর-এর কাজ যত এগোচ্ছে, ততই যেন বাড়ছে আতঙ্ক। কাজের পরিমাণ কমানো হবে কি না, বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হবে কি নাএই সব প্রশ্নের উত্তর এখন রাজ্য প্রশাসনের দিকেই তাকিয়ে।

নভেম্বর ২৮, ২০২৫
দেশ

দিল্লির বুকে আন্তর্জাতিক অস্ত্র চক্র! চিন-তুরস্ক থেকে পাকিস্তান হয়ে ঢুকত মারাত্মক অস্ত্র

দিল্লির বিস্ফোরণের আতঙ্ক এখনো কাটেনি। তার মধ্যেই রাজধানীতে ফের বড় সাফল্যের দাবি করল দিল্লি পুলিশ। তদন্তকারীদের হাতে উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক অস্ত্র পাচারের এক ভয়ংকর চক্রের হদিশ। চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, এই চক্র শুধু দেশীয় নয়এর শিকড় গভীরভাবে ছড়ানো ছিল চিন, তুরস্ক আর পাকিস্তান পর্যন্ত।তদন্তে উঠে এসেছে বিস্ময়কর তথ্য। লরেন্স বিষ্ণোই, বাম্বিহা গ্যাং, গোগি-হিমাংশু ভাইদের মতো কুখ্যাত অপরাধচক্র এই নেটওয়ার্কের নিয়মিত ক্রেতা ছিল। তাদের হাতে পৌঁছনো অস্ত্রগুলির উৎস ছিল চিন ও তুরস্ক। সেগুলি প্রথমে পাকিস্তানে ঢুকত, পরে আইএসআইয়ের সাহায্যে পাঞ্জাব সীমান্ত পেরিয়ে ড্রোনের মাধ্যমে চলে আসত ভারতে। এরপরে তা ছড়িয়ে পড়ত দিল্লিসহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে।গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে রোহিনী এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে মনদীপ ও দলবিন্দর নামে দুই ব্যক্তিকে প্রথমে ধরে ফেলে পুলিশ। তাদের কাছে অস্ত্র লেনদেন চলাকালীনই হানা দেয় ক্রাইম ব্রাঞ্চ। পরে সেই জিজ্ঞাসাবাদ থেকেই খুলতে শুরু করে আরও অন্ধকার দিক। জানা যায়, পিস্তলের বড় চালান এসেছে পাকিস্তান-পাঞ্জাব সীমান্ত দিয়ে। এর সূত্র ধরে উত্তরপ্রদেশের বাগপতের রোহন তোমরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি অজয় নামে আরেকজনের নাম উঠে এসেছে, যার খোঁজে তল্লাশি চলেছে। এই চারজনের ঘাঁটি ছিল পাঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশ জুড়ে।পুরো ঘটনায় ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১০টি অত্যাধুনিক পিস্তল। এর মধ্যে পাঁচটি তুরস্কে তৈরি, তিনটি চিনেরযেগুলি সাধারণত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনের অস্ত্রভাণ্ডারে দেখা যায়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, যে ড্রোন রুট দিয়ে অস্ত্র ঢুকত, সেটি ব্যবহার করা হত একাধিকবার। প্রতিবার ২-৩ কেজি ওজন বহন করত সেই ড্রোন। সন্দেহ, আরও বহু চালান আগেই দেশে ঢুকে পড়েছে।এই সাফল্যকে অত্যন্ত বড় বলে দাবি করছে দিল্লি পুলিশ। কারণ, নভেম্বরের ১০ তারিখ লালকেল্লার কাছে ভয়ংকর বিস্ফোরণে ১৩ জন প্রাণ হারানোর পর থেকেই রাজধানী জুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি রয়েছে। সেই ঘটনার পর অস্ত্র পাচার, নাশকতা এবং আন্তর্জাতিক গ্যাং যুক্ত থাকার সন্দেহ আরও জোরালো হয়েছিল। নতুন তথ্য উঠে আসায় রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ফের আঁটসাঁট করা হচ্ছে।দিল্লি পুলিশের বক্তব্য, এই চক্র শুধু অপরাধ নয়, বরং পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে চলছিল। তদন্তকারীরা মনে করছেন, বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে এই নেটওয়ার্কের কোনও যোগাযোগ আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হবে।রাজধানীতে যখন আতঙ্ক চরমে, ঠিক তখনই এই আন্তর্জাতিক অস্ত্র চক্র ভেঙে দেওয়া নিঃসন্দেহে বড় সাফল্য। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছেদেশের ভেতরে এত বড় অস্ত্র নেটওয়ার্ক এতদিন কীভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠল?

নভেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

চার নাবালিকার পাচারের চেষ্টা—তার পরেই ফের তিন ছাত্রী নিখোঁজ! শিলিগুড়িতে আতঙ্ক

বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল তিন নাবালিকা। কিন্তু তারা সেই পার্টিতে আর পৌঁছইনি। তারপর থেকেই তাদের খোঁজ মিলছে না। নিখোঁজ হওয়ার দুদিন কেটে গেলেও তিন স্কুলছাত্রীর কোনও হদিস নেই। ফলে শিলিগুড়ি জুড়ে তৈরি হয়েছে প্রবল উদ্বেগ।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, শহরের মাটিগাড়ার গেটবাজার এলাকার একাধিক সিসিটিভিতে তিনজনকে শেষবার দেখা গিয়েছে। সেই সূত্র ধরে ওই এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি শিলিগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় চলেছে সার্চ অপারেশন। এর মধ্যেই উঠছে আশঙ্কাএরা কি কোনও পাচারচক্রের খপ্পরে পড়েছে?এই আশঙ্কা আরও জোরালো কারণ, মাত্র কয়েক দিন আগেই জ্যোৎস্নাময়ী স্কুলের সামনে থেকে চার নাবালিকাকে পাচারের চেষ্টা হয়েছিল। পরে তাদের উদ্ধার করা হয়। পরপর দুটি ঘটনায় শহরে আতঙ্ক বাড়ছে, এবং অভিভাবকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে নতুন করে অস্বস্তি।নিখোঁজ তিনজনের বয়স ১৪ বছর। তারা কবি সুকান্ত হাই স্কুলের ছাত্রী এবং শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চানন কলোনির বাসিন্দা। পরিবারগুলি প্রধাননগর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছে। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রাকেশ সিং জানিয়েছেন, একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। নাবালিকাদের খোঁজে তদন্ত চলছে। সম্ভাব্য সব সূত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে।পুরসভার মেয়র গৌতম দেবও ঘটনাটি নিয়ে স্পষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বারবার স্কুলছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় সাধারণ মানুষের প্রশ্নশহরে কি কোনও অজ্ঞাতপরিচয় মহিলাদের মাধ্যমে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কিশোরীদের? প্রশাসন কি আরও সতর্ক হওয়া উচিত নয়?কবি সুকান্ত হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রিশিন বিশ্বাস জানান, এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বুধবার তারা কেউ স্কুলে আসেনি। আমরা পরে শুনলাম তারা নিখোঁজ। প্রশাসন যদি আরও সতর্ক নজরদারি করে, তা হলে ভালো হয়।এখন দেখার, সিসিটিভিতে ধরা পড়া সেই শেষ মুহূর্তের সূত্র ধরে কত দ্রুত তিন নাবালিকাকে উদ্ধার করতে পারে পুলিশ। উদ্বিগ্ন শহর আজ একটাই প্রশ্ন করছেকোথায় গেল মেয়েগুলো?

নভেম্বর ২১, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

বিতর্ক ভুলে বিশ্বসুন্দরী! মিস ইউনিভার্স ২০২৫—মেক্সিকোর ফাতিমা বোশের মাথায় উঠল ৪৪ কোটির মুকুট

বিশ্বসুন্দরীর মুকুট এবার উঠল মেক্সিকোর তরুণী ফাতিমা বোশের মাথায়। থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত মিস ইউনিভার্স ২০২৫ প্রতিযোগিতার শেষ মঞ্চে এগিয়ে থাকা প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে নতুন বিশ্বসুন্দরী হলেন তিনি। তাঁর ঠিক পিছনে প্রথম রানার-আপ হন থাইল্যান্ডের প্রাভিনার সিংহ, দ্বিতীয় রানার-আপ ভেনিজুয়েলার স্টেফানি আবাসালি, তৃতীয় রানার-আপ ফিলিপাইনের মা. আটিসা মানালো এবং চতুর্থ রানার-আপ হন আইভরি কোস্টের অলিভিয়া ইয়াস।শুরু থেকেই বিতর্কে ঘেরা ছিল এ বছরের প্রতিযোগিতা। আয়োজক দেশ থাইল্যান্ডকে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করতে রাজি না হওয়ায় মিস ইউনিভার্স থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল ডিরেক্টর নবত ইটসরাগ্রিসিল ফাতিমাকে প্রকাশ্যে ডাম্বহেড বলে অপমান করেন। নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে মঞ্চ ছাড়েন ফাতিমা। তাঁর পথ অনুসরণ করে আরও কয়েকজন প্রতিযোগীও বেরিয়ে যান। এই নিয়েই তৈরি হয় তীব্র উত্তেজনা। এমনকি আয়োজকের মন্তব্যযাঁরা থাকতে চান, বসে পড়ুননিয়ে আরও বিতর্ক ছড়ায়। পরে তিনি ক্ষমা চান, এবং প্রতিযোগিতা নতুন করে পথ পায়। সেই প্রতিযোগিতাতেই শেষমেশ সেরা হয়ে ইতিহাস গড়লেন ফাতিমা।২৫ বছর বয়সী ফাতিমা বোশ শুধুই র্যাম্পের মুখ নন। তিনি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার, যিনি আমেরিকা এবং ইটালিতে পড়াশোনা করেছেন। ছোটবেলায় তাঁর ডিসলেক্সিয়া এবং ADHD ধরা পড়ে, কিন্তু কোনও বাধা তাঁকে থামাতে পারেনি। পাশাপাশি তিনি টেকসই ফ্যাশন নিয়ে কাজ করেন এবং টাবাসকো থেকে প্রথম মিস মেক্সিকো হিসেবে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। উৎসবের মরশুমে প্রতি বছর তিনি স্থানীয় অনকোলজি হাসপাতালের শিশুদের জন্য খেলনা সংগ্রহ অভিযান পরিচালনা করেন।মিস ইউনিভার্সের মুকুট শুধু গৌরব নয়এটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এক বছরের প্রচুর দায়িত্ব এবং সুবিধা। ফাতিমা এবার পাচ্ছেন ২,৫০,০০০ ডলার, অর্থাৎ প্রায় ২.২ কোটি টাকা। পাশাপাশি তাঁর ব্যক্তিগত কার্যক্রম, ভ্রমণ এবং ব্র্যান্ড উদ্যোগে ব্যয় করতে প্রতি বছর ৫০,০০০ ডলার বেতন পাবেন। পুরো এক বছর তিনি থাকবেন নিউইয়র্কে একটি বিলাসবহুল বাড়িতেযার মূল্য কত, তা আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। আর তাঁর মাথায় থাকা মুকুটটির দাম প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ প্রায় ৪৪ কোটি টাকা।বিতর্ক, অপমান, ওয়াকআউটসব ছাপিয়ে আজ তিনি বিশ্বসুন্দরী। মিস ইউনিভার্সের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রামেও লেখা হয়েছে, আজ এক তারা জন্ম নিল।সত্যিই যেন আরও কিছুটা উজ্জ্বল হয়ে উঠল বিশ্ব, ফাতিমা বোশের বিজয়ের আলোয়।

নভেম্বর ২১, ২০২৫
দেশ

ডাক্তারি পড়ুয়াদের দলে দলে পলায়ন! বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কি আল ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়?

দিল্লির ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর হঠাৎই আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে আল ফলাহ ইউনিভার্সিটি। এতদিন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচিত ছিল মেডিক্যাল ও রিসার্চ পড়ানোর জন্য। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু ছাত্রছাত্রী এখানে এসে ডাক্তারি পড়তেন। আধুনিক অবকাঠামো আর উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য আল ফলাহ ছিল জনপ্রিয় নাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে যে গোপনে চলত মগজধোলাই, জঙ্গি কার্যকলাপ ও সন্দেহজনক বৈঠকতা সামনে আসতেই চমকে গিয়েছে সবাই।বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে আতঙ্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে পড়ুয়ারা একে একে প্রতিষ্ঠান ছেড়ে পালাচ্ছেন। গত দুদিনেই প্রায় ৪৫ জন মেডিক্যাল ছাত্রছাত্রী এবং বেশ কয়েকজন অধ্যাপক টিসি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলেও বহু অভিভাবক বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তাঁদের সন্তানদের নিয়ে চলে গিয়েছেন। সবাই একটাই প্রশ্ন তুলছেনআল ফলাহ ইউনিভার্সিটি ভবিষ্যতে আদৌ চালু থাকবে তো? তদন্ত চলাকালীন আরও বড় কোনও ঘটনা সামনে আসবে কি?বিস্ফোরণের তদন্তে যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছেআদিল, মুজাম্মিল ও শাহিনএই তিনজনই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছেদিল্লি বিস্ফোরণে মৃত্যু হওয়া চিকিৎসক উমর নবিও এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাক্তন ছাত্র। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘরে বসেই হত গোপন বৈঠক, যেখানে পরিকল্পনা করা হত জঙ্গি সংযোগের নানা কাজ।এখন তদন্তকারীরা খুঁজে দেখছেন, এই চিকিৎসকদের কাছে এত টাকা কোথা থেকে আসত, কারা পাঠাত, আর কারা এই মডিউলকে চালাচ্ছিল। মঙ্গলবার ইডির দল আল ফলাহ ইউনিভার্সিটিতে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালিয়েছে। তল্লাশির পর গ্রেফতার করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা জাওয়াদ আহমেদ সিদ্দিকিকে। অভিযোগজঙ্গি মডিউলের সঙ্গে তাঁর সংযোগ ছিল এবং তিনি নেপথ্য থেকে বহু কাজ পরিচালনা করতেন।পুরো ঘটনায় আতঙ্কিত ছাত্রছাত্রী এবং তাঁদের পরিবার। যে বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে একসময় ছিল স্বপ্ন, আজ সেখানে তৈরি হয়েছে ভয়, সন্দেহ আর অজানা ভবিষ্যতের আশঙ্কা।

নভেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

জঙ্গি ঘাঁটির অভিযোগে তোলপাড়! অর্থ জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তার আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা

দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে নতুন মোড়। জেহাদি যোগ ও মানি লন্ডারিং অভিযোগে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকিকে গ্রেপ্তার করল ইডি। আর্থিক লেনদেনে বড় গরমিলের হদিশ।দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্ত শুরু হওয়ার পরই নজরে আসে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরমহল। জেহাদি কার্যকলাপের অভিযোগে আগে থেকেই বিতর্কে ছিল এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এবার সেই সন্দেহ আরও গভীর করল তাদের আর্থিক লেনদেনের গরমিল। দীর্ঘদিনের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ইডি শেষ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকিকে।দিল্লি বিস্ফোরণের পর থেকেই গোয়েন্দাদের সন্দেহের তালিকায় ছিল হরিয়ানার এই আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়। অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটিজ প্রতিষ্ঠানটিকে সাসপেন্ডও করে। তার পরই দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ প্রতারণা এবং জালিয়াতির দুটি আলাদা এফআইআর দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ছাত্র ভর্তির নামে জাল ডকুমেন্ট, বেআইনি স্বীকৃতি এবং অন্যায় আর্থিক লেনদেন চলছিল বহুদিন ধরে।ঠিক সেই অভিযোগের সূত্র ধরেই মঙ্গলবার সকালে ইডি একযোগে দিল্লি এবং আরও ২৫টি জায়গায় তল্লাশি চালায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা জাভেদ সিদ্দিকিকে সারা দিন ধরে জেরা করা হয়। নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাওয়া এবং আর্থিক নথিতে অসংগতি ধরা পড়তেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইডি।এদিকে বিস্ফোরণের পর ফরিদাবাদে কয়েকজন চিকিৎসকের গ্রেপ্তারি এবং দেশজুড়ে জঙ্গি যোগে একাধিক ডাক্তার আটক হওয়ার পর আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আরও ঘনঘন সামনে এসেছে। আত্মঘাতী জঙ্গি উমর-উল-নবির সঙ্গেও আল ফালাহর যোগ পাওয়া গেছে বলে সূত্রের দাবি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে একটি জঙ্গি নেটওয়ার্ক সক্রিয় ছিল, যেখানে চিকিৎসক থেকে ছাত্রঅনেকেই যুক্ত ছিল।সব মিলিয়ে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সন্দেহের মেঘ ঘনায়মান। আর্থিক জালিয়াতি, মানি লন্ডারিং, বেআইনি স্বীকৃতি, জেহাদি কার্যকলাপসব অভিযোগ একে একে সামনে আসতে শুরু করেছে। তদন্তের প্রথম পর্যায়েই প্রতিষ্ঠাতা গ্রেপ্তার হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

নভেম্বর ১৯, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

শেষ জন্মদিনে স্ত্রীর কান্নাভেজা পোস্ট! ‘জন্মজন্মান্তরে আমাদের গল্প লিখব…’ জুবিনকে গরিমার শেষ চিঠি

প্রয়াণের পর প্রথম জন্মদিন। আজ ৫৩ বছরে পা দিতে পারতেন জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গ। তাঁর অকালমৃত্যুর ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি কেউইবিশেষত অসমের মানুষ। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া। স্বামীর জন্মদিনে অদেখা একগুচ্ছ ছবি সোশালে পোস্ট করে আবেগে ভাসলেন তিনি। ছবির ক্যাপশনে লিখলেনজন্মজন্মান্তরে আমি আমাদের কাহিনী লিখে যাব। ভালো থেকো জুবিন। সেই কয়েকটি লাইনে যেন গরিমার মনের সব কথা ফুটে উঠল। শুধু স্ত্রী নন, জীবনের বহু লড়াইয়ে জুবিনের সবচেয়ে কাছের বন্ধু, ছায়াসঙ্গীও ছিলেন গরিমা।গত মাসেই জুবিনের শেষ সিনেমা রই রই বিনালের মুক্তির জন্য নিরন্তর লড়াই করেছিলেন গরিমা। একদিকে গায়কের মৃত্যুর রহস্য নিয়ে যখন অসম জুড়ে ক্ষোভ আর বিক্ষোভ, তখন সেই চাপের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তবুও শেষ কাজটি স্বামীর নামে সম্পূর্ণ করার জেদ ছাড়েননি তিনি।জন্মদিনে প্রিয় বন্ধুর স্মৃতিতে ডুবে গেলেন সঙ্গীত পরিচালক জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। সোশালে তিনি লিখলেন, শুভ জন্মদিন আমার প্রিয় বন্ধু। কিছু মানুষ কখনও আমাদের ছেড়ে যান না, সঙ্গেই থেকে যান। তুমি তেমনই। তোমার সুরে তুমি বেঁচে থাকবে। তোমাকে আজ খুব মনে পড়ছে।জুবিনের মৃত্যু নিয়ে রহস্য এখনও কাটেনি। সিঙ্গাপুরে নর্থ ইস্ট ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে গিয়ে ঘটে যায় বিপদ। স্কুবা ডাইভিং করার সময় হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। পরদিনই ছিল তাঁর পারফরম্যান্স, কিন্তু তার আগেই হারিয়ে গেলেন অসমের তারকা। আজ তাঁর জন্মদিনে সেই ঘটনাই নতুন করে কষ্ট দিচ্ছে অনুরাগীদের। মনে পড়ছে গায়কের হাসি, গান আর অকৃত্রিম মায়াভরা উপস্থিতি।আজকের দিনটা তাই শুধুই জন্মদিন নয়অসমের মানুষের কাছে আজ স্মরণ, বেদনা আর গভীর ভালোবাসার দিন। জুবিন নেই, কিন্তু তাঁর সুর, তাঁর গল্প, তাঁর স্মৃতি আজও ভেসে বেড়ায় অনুরাগীদের হৃদয়ে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

২৫ জায়গায় একযোগে তল্লাশি, জেরা চেয়ারম্যান— আল ফালাহ নিয়ে কেন এত সন্দেহ?

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই নতুন নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলছে। এবার সরাসরি তদন্তকারীদের নজর গিয়ে পড়ল ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। মঙ্গলবার সকাল হতেই ইডি দিল্লির অফিসে হানা দিয়ে শুরু করে তল্লাশি। শুধু দিল্লি নয়, আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত মোট ২৫টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালাচ্ছেন আধিকারিকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকির বাড়িতেও পৌঁছে যায় ইডি। সেখানেই তাঁকে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নে জেরা করা হচ্ছে বলে খবর।আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে পিএমএলএ আইনে মামলা রুজু হয়েছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক লেনদেনের বড় অংশই পরিষ্কার নয়। এমনকী কিছু টাকা বেআইনি কাজে বা জঙ্গি তৎপরতার চক্রে ঢুকে গিয়েছে কি না, সেদিকেও নজর দিচ্ছে ইডি। কারণ বিস্ফোরণকাণ্ডে ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক চিকিৎসকের নাম উমর-উন-নবি, ডক্টর মুজাম্মিল, ডক্টর শাহীন সইদসহ আরও কয়েকজন। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, এই চিকিৎসকদের অ্যাকাউন্টে যে মোটা অঙ্কের লেনদেন ধরা পড়েছে, তা কোনওভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে গেছে কি না। যদি গিয়ে থাকে, তা কী উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল, তারও উত্তর খুঁজছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।শুধু ইডিই নয়, আলাদা ভাবে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশের আর্থিক দুর্নীতিদমন শাখা। অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থাও পরিস্থিতি খুব কাছ থেকে নজর রাখছে। ফলে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে একের পর এক প্রশ্ন আরও ঘনীভূত হচ্ছে।দিল্লির লালকেল্লার সামনে ১০ নভেম্বর ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তদন্তে নেমেছে এনআইএ। তারই মাঝেই বিশ্ববিদ্যালয়-সংক্রান্ত আর্থিক যোগসূত্র সামনে আসায় তদন্তকারীদের সন্দেহ আরও গভীর হয়েছে। বিস্ফোরণের পরবর্তী তদন্ত এখন একেবারে নতুন দিকের দিকে মোড় নিচ্ছে, এবং তাতে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা এখন তদন্তের কেন্দ্রে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

হাওয়া অফিস নয়, গোয়েন্দারা বলছেন—আল-ফালাহ এখন ‘হাই আলার্ট’ এলাকায়

দিল্লির লালকেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই নতুন নতুন চমক সামনে আসছে। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ যে তথ্য উঠে এসেছে, তা হল আত্মঘাতী জঙ্গি উমর-উল-নবি আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই গোটা তদন্তের মোড় ঘুরে যায়। কারণ গত চার দিনে একের পর এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি, এবং তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গেই কোনও না কোনওভাবে জুড়ে রয়েছে আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। এই সংযোগই এখন সবচেয়ে বড় ধাঁধা।দিল্লি পুলিশ ও এনআইএর সন্দেহ আরও বেড়েছে কারণ যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই উচ্চশিক্ষিত চিকিৎসক। কিন্তু অভিযোগ বলছে তাঁদের আড়ালে চলত নাশকতার পরিকল্পনা, বিস্ফোরক পরিবহন, লজিস্টিক তৈরি থেকে শুরু করে জঙ্গিদের আর্থিক সহায়তা পর্যন্ত। এই তথ্য সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠছেতাহলে কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আড়ালেই তৈরি হতো জঙ্গি মডিউল?আরও ভয়ঙ্কর প্রশ্নএটা কি কেবল কয়েকজনের কাজ? নাকি কোনও সংগঠিত নেটওয়ার্ক কাজ করত ক্যাম্পাসের মধ্যে? তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, আল-ফালাহ মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই কড়া নজরদারিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস থেকে নথি জব্দ করা হয়েছে, হঠাৎ গায়েব হয়ে যাওয়া ১৫ জন চিকিৎসকের ফোনও ট্রেস করা হচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতির পাশাপাশি নাশকতায় জড়িত থাকার সন্দেহও প্রবল হচ্ছে।দিল্লি বিস্ফোরণের দিন গাড়িতে থাকা ডঃ উমর নাকি হাওয়ালা রুটে পেয়েছিলেন ২২ লক্ষ টাকাএই তথ্য তদন্তকে আরও জটিল করে তুলেছে। টাকা কোথা থেকে এল, কে পাঠাল, কেনই বা পাঠানো হলসবই এখন তদন্তের বড় প্রশ্ন।সমগ্র ঘটনাকে ঘিরে আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সাধারণ ছাত্রছাত্রী থেকে স্থানীয় মানুষ সকলের মধ্যেই আতঙ্কশিক্ষার জায়গায় কীভাবে গড়ে উঠল এমন বিপজ্জনক চক্র?

নভেম্বর ১৬, ২০২৫
দেশ

১৩ দিন আল ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে লুকিয়ে ছিল ঘাতক গাড়ি! উমর নবীর ছক ফাঁস

দিল্লির রেড ফোর্ট বিস্ফোরণ কাণ্ডে উঠে আসছে রোমহর্ষক তথ্য। তদন্তে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত Hyundai i20 গাড়িটি প্রায় ১৩ দিন ধরে লুকিয়ে রাখা ছিল হরিয়ানার আল ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেই! সূত্রের খবর, ২৯ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত সেই গাড়িটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্কিং লটেই দাঁড়িয়ে ছিল। আর এই সময়েই তৈরি হচ্ছিল ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা।তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গাড়িটি কেনা হয়েছিল ২৯ অক্টোবরই। পরের দিনই দূষণ পরীক্ষার (PUC) জন্য একবার বাইরে নেওয়া হয়, তারপর ফের এনে রেখে দেওয়া হয় ঠিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল বিভাগের পাশে, যেখানে আগে থেকেই দাঁড়িয়ে ছিল ডাক্তার মুজাম্মিলের সহযোগী শাকিলের গাড়ি। CCTV ফুটেজে দেখা গিয়েছে, এই ১১ দিনের মধ্যে বারবার কয়েকজন যুবক গাড়িটির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছিলেন।তদন্তকারীদের মতে, এটা যে একেবারে পূর্বপরিকল্পিত সন্ত্রাস ছক, তা নিয়ে আর কোনও সন্দেহ নেই। আল ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই বিস্ফোরকের জোগান হয়েছে সেই বিষয়ে প্রায় নিশ্চিত গোয়েন্দারা। এখন তাঁদের প্রশ্ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবের কেমিক্যাল থেকেই কি তৈরি হয়েছিল সেই মারাত্মক বিস্ফোরক, নাকি বাইরের জঙ্গি নেটওয়ার্ক থেকে এনে সেখানে মজুত করা হয়েছিল বিপুল পরিমাণ সামগ্রী?প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে আরও বিস্ফোরক তথ্য। মনে করা হচ্ছে, এই পুরো পরিকল্পনার মূল মস্তিষ্ক শুধু ড. উমর নবি নন, তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন অধ্যাপক মুজাম্মিলও। কিন্তু মুজাম্মিল গ্রেফতার হওয়ার পরই আতঙ্কে পড়ে যান উমর। তাঁর ধারণা হয়, আর বেশি দিন আল ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্কিং লটে গাড়ি রেখে নিরাপদ থাকা সম্ভব নয়। আর সেই আতঙ্কেই ১০ নভেম্বর সকালে দ্রুত গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তিনি গন্তব্য দিল্লি।সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, গাড়ির ভিতরে উমরের সঙ্গে ছিলেন আরও তিনজন। তাঁদের অস্তিত্বও মিলেছে তদন্তে। গাড়িটি ছিল বিস্ফোরক বোঝাই। পথজুড়ে গাড়ির গতি ছিল ভয়ঙ্কর দ্রুত।হরিয়ানা থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে রাজ্য সীমান্তের বদরপুর টোল প্লাজায় গাড়িটি ধরা পড়ে। টোল কর্মীদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, সোমবার সকাল ৮টা ১৩ মিনিটে ২৫ নম্বর টোল গেট দিয়ে দিল্লিতে প্রবেশ করে উমরের গাড়ি। টোলের ২৬ নম্বর গেটটিতে ইমার্জেন্সি লেখা বোর্ড থাকা সত্ত্বেও সেখানে ঢোকার চেষ্টা করেছিল গাড়িটি। কর্মীরা বাধা দিলে পাশের গেট দিয়ে প্রবেশ করে উমর। টোল প্লাজার কর্মীদের কথায়, রাস্তা ছিল ব্যস্ত, কিন্তু গাড়ির গতি এতটাই বেশি ছিল যে, মুহূর্তে চোখের আড়ালে চলে যায়।তদন্তকারীরা বলছেন, এত দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গাড়ি লুকিয়ে রাখা, মুজাম্মিলের যোগসূত্র, এবং তারপর আতঙ্কে পালানো সব মিলিয়ে এটা যে একটি ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস মডিউলের অংশ, তা এখন স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

নভেম্বর ১২, ২০২৫
রাজ্য

আত্মার অনুজ্ঞা: ‘বন্দে মাতরম’-এর ১৫০ বছর পূর্তি উদযাপিত হল বর্ধমানের বিদ্যালয়ে

আজকের দিনটি ইতিহাসের এক অনন্য অধ্যায় স্মরণ করাল। ১৮৭৫ সালের ৭ নভেম্বরএক শতাব্দী ও অর্ধকাল আগে, ৩৭ বছর বয়সী এক সাহিত্যিক তাঁর অন্তরের অনুজ্ঞায় লিখে ফেলেছিলেন একটি গানবন্দে মাতরম, সুজলাং সুফলাং মলয়জশীতলাং। নৈহাটির সেই নীরব প্রেরণা থেকেই জন্ম নিয়েছিল এমন এক স্তব, যা শতবর্ষ পেরিয়েও অনুরণিত আজও ভারতবাসীর হৃদয়ে।সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, এই গানটিকে সাত বছর পরে তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস আনন্দমঠ-এ অন্তর্ভুক্ত করেন, যা স্বাধীনতা সংগ্রামের পথে ভারতীয়দের একত্রিত করেছিল এক মহৎ আহ্বানেদেশমাতৃকার বন্দনায়। ভারত সরকার পরবর্তীতে একে জাতীয় স্তোত্রের মর্যাদা প্রদান করে।আজ, বর্ধমানের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে সাড়ম্বরে পালিত হল এই ঐতিহাসিক রচনার ১৫০ বছর পূর্তি।বিদ্যালয়ের প্রাত্যহিক সম্মেলনে শিক্ষক দীপ্তসুন্দর মুখোপাধ্যায় স্মরণ করালেন,কোন জাতি দেশকে মা রূপে, কোন জাতি পিতা রূপে সম্বোধন করে। বন্দে মাতরম-এর এই দুই শব্দে যে ভারতমাতার বন্দনা করা হয়েছে, তাঁর স্নেহচ্ছায়ায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল আসমুদ্রহিমাচল ভারতবাসী। প্রথম স্তবকটি সংস্কৃত ভাষায় রচিত হওয়ায় এটি সর্বজনগ্রাহ্য ও সর্বজনাদৃত হতে পেরেছে।বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক, রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ ড. সুভাষচন্দ্র দত্ত বলেন,বন্দে মাতরম এমন এক উচ্চারণ যা আমাদের ছোটবেলাকে দেশপ্রেমে উষ্ণ করেছিল। আজও এই উচ্চারণ আমাদের অনুপ্রাণিত করে সেই মহত্তম দেশনায়কদের দেখানো পথে এগিয়ে যেতে।উৎসব উপলক্ষে বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় দেশাত্মবোধক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, দেশপ্রেমমূলক কবিতা আবৃত্তি ও শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সঙ্গীত অনুষ্ঠান। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রতিধ্বনিত হয় সেই অমর আহ্বানবন্দে মাতরম।

নভেম্বর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

হুমায়ুনের গর্জনে কেঁপে উঠল মুর্শিদাবাদ, রাজনীতি কি বদলে যাবে ৪৮ ঘণ্টায়?

ভরতপুরে তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর এক সমাবেশে তীব্র কণ্ঠে দলের অভ্যন্তরীণ অবস্থা নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন। তিনি নাম না করে কান্দির তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব সরকারের উপর আক্রমণাত্মক তিরস্কার করলেন এবং বলে দিলেন, লুঠ করে খেয়ে নেতা হবে, আর ভোটের সময় তিন নম্বরএইসব আমাদের সহ্য করবে না। ভরতপুর পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন সভায় দাঁড়িয়ে হুমায়ুন আরও বলেন, আমি প্রকাশ্যে বলছি, যদি দল মনে করে আমার মতো অসভ্য ব্যক্তিদের দরকার নেই, তবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দেখিয়ে দেব কিভাবে মুর্শিদাবাদের রাজনীতির রং পাল্টে যায়।সাম্প্রতিকে হুমায়ুনের বন্দরঝাঁপনা নতুন কিছু নয়। কিছুদিন আগে তিনি দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলে নতুন দল গড়ার কথাও করেছিলেন; পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেও তার বিরোধী মনোভাব থামেনি। তৃণমূল শৃঙ্খলাকমিটির একটি বৈঠকও হয়েছে হুমায়ুনকে নিয়ে। সভায় তিনি অনানুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্বকে সম্মান দিয়ে সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানান, কিন্তু সঙ্গে সতর্কও করেনআমাদের লেজে পা দিলে, আমরাও ছোবল মারতে জানি। তিনি বলেন, অনেকদিন ধরে বাধ্য হয়ে অনেক কিছু সহ্য করা হয়েছে; এখন কেউ যদি তাদের উপরে হাত তোলে, তারা জবাবে চুপ থাকবে না।হুমায়ুন অভিযোগ করে বলেন, ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে টাকা বিনিময়ে, সালার ও ভরতপুরের ওসিকে ব্যবহার করে গণনাকেন্দ্রে অরাজকতা সৃষ্টি করে কত লোক নির্বাচিত হয়েছে, আমরা জানি। দুঃখজনক বিষয়, আজও তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই; তারা শুধু জমি লুট করতেছে। আমি কাউকে এখানে লুট করে খেতে দেব না। তাঁর এই তীব্র অভিযোগে কান্দি ও বহরমপুরের রাজনৈতিক সূত্রগুলি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।কান্দির তৃণমূল বিধায়ক তথা বহরমপুরের মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অপূর্ব সরকারের নাম সরাসরি না করেই হুমায়ুন বলেন, নেতাগিরি করব আর ভোটের বেলায় তিন নম্বর থাকবকান্দিতে তিন নম্বর, বহরমপুর পুরসভায় তিন নম্বর, তারা আমাদের নেতা হবেআমরা তা মেনে নেব না। সভায় তিনি আরো জোর দিয়ে বলেন, আমরা কাউকে আগে আঙুল দেখাব না, কিন্তু যদি আমাদের উপরে কেউ এক আঙুল তুলেন, আমরা দুই আঙুল তুলব; ইট ছুঁড়লে পাথরে জবাব দেব।হুমায়ুনের এই ভাষ্য তৃণমূলের ভেতরে নতুন উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। স্থানীয় নেতারা বলছেন, এমন অবস্থায় দলের শৃঙ্খলা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি; অন্যদিকে হুমায়ুন সমর্থকরা মনে করছেন, ন্যায় ও স্থায়ী নেতৃত্ব না দিলেই মুর্শিদাবাদের রাজনীতি বদলে যাবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের অভ্যন্তরীণ তর্ক ও চ্যালেঞ্জ সাধারণত নির্বাচনী মরসুমে উষ্মা পায় এবং কোথাও না কোথাও সমাধানের পথও বের হয়তবে সেই প্রক্রিয়া বাধাহীন হবে কিনা, তা সময়ই বলবে।বর্তমানে মুর্শিদাবাদের রাজনীতির মেজাজ উত্তপ্ত। হুমায়ুনের প্রতিশ্রুত ৪৮ ঘণ্টা রাজনৈতিক মহলে বিশেষভাবে নজরকাড়া হবেদল কি দ্রুত উদ্যোগ নেবে নাকি পরিস্থিতি আরও গরম হবে, তা এখন দেখার বিষয়। সাধারণ মানুষের নজরও এখন ওই ঘটনায়। যারা রাজনীতির টানে নেই, তারা বলছেন, উন্নয়ন ও শান্তি প্রাধান্য হওয়া দরকার; পক্ষপাত-আক্রমণ বাড়লে এলাকার সেবা-বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

নভেম্বর ০৬, ২০২৫
কলকাতা

সিসিটিভি, নিরাপত্তা কর্মী, অধ্যাপক নিয়োগ—দায়িত্ব নিয়ে বড় ঘোষণা যাদবপুরের উপাচার্য চিরঞ্জীবের

অবশেষে আড়াই বছরের অপেক্ষার অবসান। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে পেল স্থায়ী উপাচার্য। দায়িত্ব নিলেন অধ্যাপক চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। বহু উত্তাল অধ্যায়ের পরে, এই ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এটি নতুন শুরুর বার্তা। দায়িত্বভার গ্রহণ করেই তিনি জানিয়ে দিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা, নিরাপত্তা এবং অধ্যাপক নিয়োগই তাঁর অগ্রাধিকার।সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ চিরঞ্জীব বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছতেই তাঁকে স্বাগত জানান অধ্যাপক, আধিকারিকরা। দায়িত্ব নিয়ে তিনি বলেন, পঠনপাঠনের মান উন্নত করতে হলে অধ্যাপক নিয়োগ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। রাজ্য সরকারের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করব। চেষ্টা করছি ডিসেম্বরে সমাবর্তন আয়োজন করা যায় কি না। তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাটিউট নিয়ে সকল মহলের সঙ্গে কথা বলবেন।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্প্রতি প্রশ্নের মুখে পড়েছিল। কিছুদিন আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ির উপর হামলা এবং ক্যাম্পাসের ভিতরে ঝিলে পড়ে এক ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনা কলঙ্ক লেপেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে। সেই অবস্থার মধ্যেই রাজ্য সরকার যাদবপুরের দুই ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত ৭৪টি সিসিটিভি বসানোর জন্য অর্থ মঞ্জুর করে। চিরঞ্জীব জানিয়েছেন, দ্রুত এই কাজ শুরু হবে। তাঁর কথায়, শুধু সিসিটিভি নয়, নিরাপত্তার জন্য আরও কর্মী নিয়োগের বিষয়েও সরকারের সঙ্গে আলোচনা করব।সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সম্প্রতি রাজ্যের ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। ইতিমধ্যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছেন অধ্যাপক আশুতোষ ঘোষ। এবার যাদবপুরও পেল নেতৃত্ব। শিক্ষাঙ্গনের আশানতুন উদ্যোগে পুরনো সুনাম ফিরিয়ে এনে আবারও দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সারিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে যাদবপুর।

নভেম্বর ০৪, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদে উল্টো হাওয়া, অধীরের উপস্থিতিতে কংগ্রেসের যোগদান সভায় ভিড়

দলের আদর্শে আস্থা রেখে এবং সর্বভারতীয় কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হয়ে আজ প্রায় ১০০০জন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করলেন।জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এই যোগদান সভায় ফারাক্কার বিশিষ্ট সমাজসেবী সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাও অধীর চৌধুরীর হাত থেকে কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে দলে যোগ দেন ।এই প্রসঙ্গে অধীর রঞ্জন চৌধুরী আজ বলেন, দিন দিন মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে কেবলমাত্র রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস দলই বিজেপি - আরএসএসকে মোকাবেলা করতে পারে। তাই তাঁরা আমাদের প্রতি আস্থা রেখে কংগ্রেসে যোগদান করছেন। আগামিদিনে আমরা প্রতিটি ব্লক ও মহকুমায় ভোটার অধিকার সম্মেলন শুরু করব এবং বিজেপি ও তৃণমূলের ভোট চুরির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলব।উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস সভাপতি ও প্রাক্তন মন্ত্রী মনোজ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, এই বিশাল যোগদান আগামী দিনে জেলার কংগ্রেস সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করবে।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫
বিদেশ

ইউক্রেনে বিধ্বংসী হামলা রাশিয়ার! ভয়াবহ আগুনে জ্বলে খাক জেলেনস্কির অফিস, পরপর মৃত্যু

রাশিয়ার নতুন আক্রমণের পর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের একটি প্রশাসনিক ভবনে ভয়াবহ আগুন লেগেছে বলে জানিয়েছেন কিয়েভ সামরিক প্রশাসনের প্রধান টিমার তাকাচেঙ্কো। আগুন লাগার পর পেচেরস্কি জেলার ওই ভবন থেকে ঘন ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়, যা ইউক্রেনীয় সরকারের কেন্দ্রীয় ভবনের কাছাকাছি অবস্থিত।ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া সভিরিডেনকো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, এই প্রথমবার রুশ হামলায় কোনো সরকারি ভবনের ছাদ ও উপরের তলা ক্ষতিগ্রস্ত হলো। কিয়েভে এই আক্রমণে তিনজন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে একটি শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৮ জন, এবং সরকারি ভবন ছাড়াও একাধিক স্থাপনায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে।কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিটসকো জানান, প্রথমে ড্রোন হামলা এবং পরবর্তীতে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের ফলে ভবনে আগুন ধরে যায়। জরুরি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, আক্রান্ত একটি আবাসিক ভবনের চারটির মধ্যে দুটি তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সভিয়াতোশিনস্কি জেলায় নয়তলা একটি ভবনের কয়েকটি অংশ ধসে পড়েছে। এছাড়া, ধ্বংসাবশেষ পড়ে ১৬ তলা ও দুটি নয়তলা ভবনে আগুন লাগে। তাকাচেঙ্কোর মতে, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবেই বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করেছে।অন্যদিকে, ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ক্রেমেনচুকে একাধিক বিস্ফোরণে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন মেয়র ভিতালি মালেটস্কি। একই অঞ্চলের ক্রিভি রিহ শহরে রুশ হামলায় পরিবহন ব্যবস্থা ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হলেও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সামরিক প্রশাসনের প্রধান ওলেকজান্ডার ভিলকুল।

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৫
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 31
  • 32
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

ইউরোপের সঙ্গে যে কোনও মুহূর্তে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত! ভারত সফরের আগে কঠোর বার্তা পুতিনের

আগামী ৪ ডিসেম্বর নয়াদিল্লি সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতেই তাঁর এই সফর। তবে দিল্লি সফরের আগেই ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ইউরোপের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন পুতিন।তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, রাশিয়া ইউরোপের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চায় না। তিনি আগেও বহুবার এই কথা বলেছেন বলে দাবি করেন। তবে একই সঙ্গে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যদি ইউরোপ হঠাৎ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে, তাহলে তাঁরা এখনই তার জন্য প্রস্তুত। পুতিনের এই মন্তব্য ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।এ দিকে রাশিয়ার সরকারের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছে, পুতিনের ভারত সফরের মূল লক্ষ্য দুদেশের বিশেষ ও ঘনিষ্ঠ কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করা। তাঁর কথায়, ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্ক গভীর ঐতিহাসিক বোঝাপড়ার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে।এই সম্মেলনে প্রতিরক্ষা, জ্বালানি এবং বাণিজ্য সংক্রান্ত নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। বিশ্বের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই বৈঠককে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
রাজ্য

ভোটার তালিকায় মৃত্যু রহস্য! ৩ দিনে ২২০৮ থেকে নেমে এল মাত্র ২৯

প্রথমে সামনে এসেছিল ২২০৮টি এমন বুথের নাম, যেখানে ২০০২ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে একজন ভোটারেরও মৃত্যু হয়নি বলে দেখানো হয়েছিল। এই তথ্য সামনে আসতেই জোর শোরগোল শুরু হয়। প্রশ্ন ওঠে, এত বছরে কি সত্যিই ওই সব বুথে একজনও মারা যাননি? এরপর বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট চায় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে জেলার আধিকারিকরা। তারপর থেকেই অস্বাভাবিক গতিতে নামতে শুরু করে এই ধরনের বুথের সংখ্যা।সোমবার যেখানে এমন বুথের সংখ্যা ছিল ২২০৮, মঙ্গলবার তা নেমে আসে ৪৮০-এ। আর বুধবার সেই সংখ্যাই আরও কমে দাঁড়ায় মাত্র ২৯-এ। প্রথম দিনের হিসেবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এমন বুথের সংখ্যা ছিল ৭৬০। বুধবার সেই সংখ্যা নেমে আসে ২০-এ। নতুন তথ্য অনুযায়ী, জলপাইগুড়িতে রয়েছে ১টি, মালদহে ৪টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২০টি, হাওড়ায় ১টি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১টি ও পুরুলিয়ায় ২টি এমন বুথ, যেখানে এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত ভোটারের নাম নেই।জেলাশাসকদের রিপোর্ট বলছে, বৃহস্পতিবারের মধ্যেই এই সংখ্যাও শূন্যে নেমে যেতে পারে। এই দ্রুত বদলে যাওয়া তথ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। বিরোধীদের বক্তব্য, যদি অবজারভার না আসতেন এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে তথ্য সংশোধনের নির্দেশ না দেওয়া হত, তাহলে কি এই ভুলগুলো ধরা পড়ত? এই পরিবর্তনের গতি ও ধরন নিয়েই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।এদিকে বুধবার পর্যন্ত কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০ লক্ষ ফর্ম জমা পড়েনি। মঙ্গলবার এই সংখ্যাটা ছিল ৪২ লক্ষ। ডিজিটাইজেশনের হার ইতিমধ্যেই ৯৮ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২২ লক্ষ, ঠিকানা বদল করা ভোটার ১৭.৫ লক্ষ, নিখোঁজ ভোটার ৪ লক্ষ এবং ডুপ্লিকেট ভোটারের সংখ্যা ১.২ লক্ষ বলে জানানো হয়েছে। ভোটার তালিকা সংশোধন ঘিরে এই বিপুল পরিবর্তন ও অস্বাভাবিক পরিসংখ্যান প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
বিদেশ

বিজেপির সঙ্গে বন্ধুত্ব চান ইমরান, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ চাইছেন আসিম মুনির! বিস্ফোরক মন্তব্য পাক প্রধানমন্ত্রীর বোনের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির ভারতের সঙ্গে পুরো মাত্রার যুদ্ধ চাইছেন বলে তীব্র অভিযোগ তুললেন জেলবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বোন আলিমা খান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম Sky News-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আসিম মুনির একজন চরমপন্থী ইসলামপন্থী ও রক্ষণশীল নেতা। তাঁর এই মানসিকতার কারণেই বারবার ভারতের সঙ্গে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। আলিমা খানের কথায়, ইমরান খান একেবারে উদারমনস্ক মানুষ এবং তিনি সব সময় ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চান, এমনকি বিজেপির সঙ্গেও তিনি সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী ছিলেন।আলিমা বলেন, আসিম মুনির যেভাবে ধর্মীয় চরমপন্থায় বিশ্বাস করেন, তাতে যাঁরা ইসলামি ভাবধারায় বিশ্বাসী নন, তাঁদের বিরুদ্ধেই তিনি লড়াইয়ে নামতে চান। তাঁর অভিযোগ, এই কারণেই মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চরমে ওঠে। তিনি আরও বলেন, ইমরান খান পশ্চিমের কাছে একটি বড় সম্পদ। তাই পশ্চিমা দেশগুলির এখন উচিত আরও জোরদার ভাবে তাঁর মুক্তির জন্য চাপ সৃষ্টি করা।এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন কিছুদিন আগেই ইমরানের আর এক বোনকে আদিয়ালা জেলে তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তার ঠিক পরই ইমরান নিজেও সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ভাষায় আক্রমণ করেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আসিম মুনির মানসিক ভাবে অসুস্থ এক স্বৈরাচারী শাসক। জেলের ভিতরে তাঁর সঙ্গে কিছু হলে তার সম্পূর্ণ দায় সেনাপ্রধানের বলেও অভিযোগ করেন ইমরান খান।ইমরান আরও দাবি করেন, তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে মিথ্যা মামলায় জেলে আটকে ভয়াবহ মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির মতোই তাঁকে রাখা হয়েছে, এমনকি পশুর থেকেও খারাপ আচরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আসিম মুনির দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহ দিচ্ছেন, যার জেরে আজ পাকিস্তানে জঙ্গিবাদ ভয়াবহ আকার নিয়েছে।কাশ্মীর নিয়ে আসিম মুনিরের আগের একাধিক কড়া মন্তব্য এবং ইসলাম বনাম হিন্দু বিভাজনের বক্তব্য থেকেই সংঘাতের আগুন আরও ছড়িয়েছে বলে মত বিশেষ মহলের। তার পরই ভয়াবহ হামলা, পাল্টা ভারতের সামরিক অভিযানে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন করে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সেই আবহেই এবার পাকিস্তানের অন্দরে সেনাপ্রধান ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাজনীতি আরও অস্থির হয়ে উঠল।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
দেশ

বিমান ধরতে এসে চূড়ান্ত ভোগান্তি! দিল্লি-মুম্বই থেকে বেঙ্গালুরু—সব জায়গায় ইন্ডিগো ফ্লাইট বাতিল... কী হল

প্রযুক্তিগত ত্রুটি, বিমানবন্দরের অতিরিক্ত ভিড় এবং বিভিন্ন পরিচালনাগত সমস্যার জেরে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ইন্ডিগো। গত দুদিন ধরে দেশজুড়ে একের পর এক ফ্লাইট বাতিল ও দীর্ঘ বিলম্বে বিমানবন্দরে আটকে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী।বুধবার দুপুর পর্যন্ত একাধিক বড় বিমানবন্দরে শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে অন্তত ৩৩টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে বাতিল হয়েছে ৫১টিরও বেশি বিমান। হায়দরাবাদেও আগমন ও প্রস্থান মিলিয়ে ১৯টি ইন্ডিগো ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বিশাখাপত্তনম, গোয়া, আমদাবাদ, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, মাদুরাই, হুবলি, ভোপাল ও ভুবনেশ্বর থেকে হায়দরাবাদের উড়ানও বাতিল করা হয়েছে।বেঙ্গালুরুর কেমপেগওডা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বুধবার একদিনেই ৪২টি ঘরোয়া ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে ২২টি ছিল আগমন এবং ২০টি ছিল প্রস্থান। দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, গোয়া, কলকাতা ও লখনউগামী একাধিক ফ্লাইট এই বিপর্যয়ের তালিকায় রয়েছে। গত কয়েক দিনে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে ইন্ডিগোর বহু যাত্রী এক থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত দেরির অভিযোগ তুলেছেন।সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২ ডিসেম্বর ইন্ডিগোর মাত্র ৩৫ শতাংশ ফ্লাইট সময়মতো উড়তে পেরেছিল এবং ১ ডিসেম্বর সেই হার ছিল ৪৯.৫ শতাংশ। এই অবস্থায় যাত্রীদের ক্ষোভ চরমে উঠেছে।এই পরিস্থিতিতে ইন্ডিগো এক বিবৃতিতে জানায়, গত দুদিন ধরে তাদের পরিষেবা সারা দেশজুড়ে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে এবং এর জন্য তারা যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চায়। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রযুক্তিগত ছোটখাটো সমস্যার পাশাপাশি শীতকালীন সময়সূচির পরিবর্তন, খারাপ আবহাওয়া, বিমান চলাচলে অতিরিক্ত চাপ এবং ক্রুদের নতুন কাজের সময়সীমার নিয়ম চালু হওয়ায় একসঙ্গে বহু সমস্যা তৈরি হয়েছে।পরিস্থিতি সামাল দিতে আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য সাময়িকভাবে কিছু ফ্লাইটের সময়সূচি বদলানো হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। সংস্থা জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের বিকল্প ব্যবস্থা বা টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। যাত্রীদের বিমানবন্দরে রওনা হওয়ার আগে অনলাইনে নিজেদের ফ্লাইটের অবস্থা দেখে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।সূত্রের খবর, নতুন ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশন নিয়ম চালু হওয়ার পর থেকেই ইন্ডিগো তীব্র পাইলট সংকটে ভুগছে। এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহে ক্রুদের বিশ্রামের সময় বেড়েছে, রাতের কাজের সময় বদল হয়েছে এবং রাতে অবতরণের সংখ্যাও কমানো হয়েছে। এই নিয়ম চালু করেছে DGCA Delhi High Court-এর নির্দেশ অনুসারে। এর আগে এই নিয়মের বিরোধিতা করেছিল ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়া।বর্তমানে এই বিমানসংস্থা প্রতিদিন প্রায় ২১০০টি ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালায়। তার বড় অংশই রাতে পরিচালিত হয়। ফলে ক্রু সংকটের প্রভাব আরও মারাত্মক হয়ে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
বিদেশ

ঋণের চাপে দেশের পতাকাবাহী বিমান সংস্থাই বিক্রি! পাকিস্তানে তোলপাড়

ঋণ আর আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত পাকিস্তানকে এবার তাদের জাতীয় বিমান সংস্থা বিক্রি করতেই হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের চাপে পাকিস্তান সরকার আর্থিক কড়াকড়ির পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে। সেই শর্তের অংশ হিসেবেই পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স বা Pakistan International Airlines-এর ৫১ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী Shehbaz Sharif জানিয়েছেন, আগামী ২৩ ডিসেম্বর এই নিলাম অনুষ্ঠিত হবে এবং তা সরাসরি সমস্ত সংবাদমাধ্যমে দেখানো হবে। ইসলামাবাদে দরপত্রদাতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এই ঘোষণা করেন। নিলামে অংশ নেওয়ার জন্য চারটি সংস্থাকে আগাম অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সেনা-নিয়ন্ত্রিত ফাউজি ফাউন্ডেশনের অধীন ফাউজি ফার্টিলাইজার কোম্পানিও।এই বিক্রির পেছনে রয়েছে আইএমএফ-এর ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্যাকেজ। সেই প্যাকেজের অন্যতম শর্ত হল পিআইএ বেসরকারিকরণ। পাকিস্তানের বেসরকারিকরণমন্ত্রী জানিয়েছেন, চলতি বছরে সরকার প্রায় ৮৬ বিলিয়ন টাকা বেসরকারিকরণ থেকে আয় করার লক্ষ্য নিয়েছে। পিআইএ বিক্রি হলে সরকারের ভাগে যাবে একটি অংশ, বাকি থাকবে সংস্থার মধ্যেই।শোনা যাচ্ছে, গত দুই দশকে এটি হবে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় বেসরকারিকরণ উদ্যোগ। যে চারটি সংস্থা এই দৌড়ে রয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে লাকি সিমেন্ট কনসোর্টিয়াম, আরিফ হাবিব কর্পোরেশন কনসোর্টিয়াম, ফাউজি ফার্টিলাইজার কোম্পানি ও এয়ার ব্লু।ফাউজি ফার্টিলাইজার মূলত ফুজি ফাউন্ডেশনের অংশ, যা পাকিস্তানের অন্যতম বড় কর্পোরেট গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। দেশের সেনাপ্রধান আসিম মুনির এই সংস্থার পরিচালন পর্ষদে সরাসরি না থাকলেও সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তাঁর প্রভাব রয়েছে বলেই মনে করা হয়।পাকিস্তানের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দেশটি নিয়মিত নতুন ঋণ নিয়ে পুরনো ঋণ শোধ করছে। ২০২৩ সালে পাকিস্তান প্রায় ঋণখেলাপির মুখে দাঁড়িয়ে পড়েছিল। প্রতিরক্ষা খাতে বিপুল খরচ দেশটির আর্থিক ভাঁড়ার আরও ফাঁকা করেছে। আইএমএফের ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ অনুমোদিত হয়। তার মধ্যে ১ বিলিয়ন ডলার তখনই দেওয়া হয়, বাকি টাকা তিন বছরে পর্যায়ক্রমে দেওয়ার কথা।পিআইএ-এর পতন শুরু হয় ২০২০ সালে। সেই সময় সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্যপাকিস্তানের ৩০ শতাংশের বেশি পাইলট ভুয়ো লাইসেন্স নিয়ে বিমান চালাচ্ছিলেন। এর জেরে শতাধিক পাইলটকে বসিয়ে দেওয়া হয়। ইউরোপ, ব্রিটেন ও আমেরিকা পিআইএ-র উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ফলে সংস্থার আয় ভয়াবহভাবে পড়ে যায়।এর সঙ্গে যোগ হয় অতিরিক্ত কর্মী, রাজনৈতিক নিয়োগ, স্বজনপোষণ, দুর্নীতি এবং ভয়াবহ অপব্যবস্থা। একই বছর করাচিতে পিআইএ বিমানের ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়, যা সংস্থার সংকটকে আরও গভীর করে তোলে। মেরামতি, তদন্ত এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য বিপুল অর্থ খরচ করতে গিয়ে পিআইএ পুরোপুরি আর্থিক দেউলিয়ায় পৌঁছয়।আজ পিআইএ শুধু একটি বিমান সংস্থা নয়, পাকিস্তানের ভেঙে পড়া অর্থনীতির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘ দিনের অব্যবস্থা, দুর্নীতি আর ভুল সিদ্ধান্তই এক সময়ের গর্বের সংস্থাকে এই অবস্থায় এনে ফেলেছে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিকেই মান্যতা... হাইকোর্টের রায়ের পরেই বিস্ফোরক বিকাশ ভট্টাচার্য

৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বহাল রাখার রায়ের পর খুশির হাওয়া থাকলেও বিতর্ক থামেনি। এই রায়কে কেন্দ্র করে এখনও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর সাফ বক্তব্য, এই রায়ের ফলে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিই প্রশ্রয় পেল। তিনি বলেন, আপাতত চাকরি বাঁচলেও এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতের জন্য ভালো বার্তা নয়। আদালতে যে সমস্ত দুর্নীতির তথ্য পেশ করা হয়েছিল, সেগুলি আইনি ভাবে গ্রাহ্য না হলে আগামী দিনে দুর্নীতি আরও বাড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।অন্যদিকে সিপিএম ও বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র সুর চড়িয়েছেন আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান তিনি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যাঁরা একসময় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ভগবান বলে স্লোগান দিয়েছিলেন, তারাই আজ তাঁকে শয়তান বলছেন। তাঁর অভিযোগ, পুরো বিচারব্যবস্থাকে রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত করা হয়েছিল। সিপিএম-বিজেপির যোগসাজশেই বাংলায় শিক্ষকদের চাকরি নিয়ে এত বড় অশান্তি তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।প্রসঙ্গত, একক বেঞ্চের রায় খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে বহাল থাকছে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি। এই রায়ের পরেই প্রাথমিক শিক্ষক মহলে খুশির জোয়ার দেখা যায়। অনেকেই বলছেন, শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হল।রায়ের পর উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া দেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, আজ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে অভিনন্দন। তাঁর পোস্টেও উঠে আসে সত্যের জয়-এর কথা।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
বিদেশ

‘ভারত না ভাঙলে শান্তি নেই’— বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনা কর্তার মন্তব্যে নতু করে চাঞ্চল্য

ভারত ভেঙে টুকরো টুকরো না হলে বাংলাদেশে কখনও পুরোপুরি শান্তি আসবে নাএমনই উসকানিমূলক মন্তব্য করে তীব্র বিতর্কে জড়ালেন বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাকর্তা আবদুললাহি আমান আজমি। তিনি এক সময় অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ছিলেন। তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা।সম্প্রতি তিনি ঢাকা প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, ভারত নাকি বরাবরই Bangladesh-এর ভিতরে অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি করেছে। তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অশান্তি হয়েছিল, তার জন্যও তিনি সরাসরি ভারতকে য়ী করেন।প্রাক্তন এই সেনাকর্তার আরও অভিযোগ, শেখ মুজিবর রহমান সরকারের সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি গঠিত হয়েছিল। তাদের সশস্ত্র শাখা শান্তি বাহিনীকে ভারত আশ্রয়, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, সেই কারণেই ওই দীর্ঘ সময় জুড়ে পাহাড়ি এলাকায় রক্তপাত চলেছিল।জানা গিয়েছে, আবদুল্লাহিল আমান আজমি বরাবরই ভারতবিরোধী মন্তব্যের জন্য পরিচিত। সমাজমাধ্যমেও তিনি নিয়মিত ভারতবিরোধী পোস্ট করেন। তাঁর এই বিতর্কিত বক্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক ধীরে ধীরে আবার স্বাভাবিক হওয়ার পথে।উল্লেখ্য, তিনি প্রয়াত জামাত প্রধান গুলাম আজমের ছেলে। গুলাম আজম ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

নতুন এসএসসি পরীক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন! ফের অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত হাই কোর্টের

নতুন করে এসএসসি যে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছে, তার ভবিষ্যৎ নিয়েই ফের অনিশ্চয়তার কথা উঠে এল কলকাতা হাই কোর্টে। আদালতের পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে, এই পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেলেও শেষ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ নির্ভর করবে মামলার রায়ের উপর। আগেও এই বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তিনি বলেছিলেন, এই পরীক্ষার ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখন কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না।এ দিন এসএসসির মেধার ভিত্তিতে অতিরিক্ত দশ নম্বর দেওয়ার মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা স্পষ্ট করে জানান, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পেলেও মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সেই চাকরির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত থাকবে। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দেয়, কমিশনকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই বিষয়ে প্রার্থীদের স্পষ্ট ভাবে জানাতে হবে।প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সেই রায় বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্টেও। এরপর এসএসসি নতুন করে যে পরীক্ষা নিয়েছে, সেই পরীক্ষার বিষয়টিও এখন আদালতে বিচারাধীন। বুধবার সেই মামলারই শুনানি ছিল।এই মামলায় অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়ার বিষয়টিও আদালতের নজরে আসে। শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করেছিল, তারা কখনও বলেনি যে নতুন পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতিতে ফ্রেশারদের অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আদালত শুধু এটুকুই চেয়েছিল, কোনও অযোগ্য পরীক্ষার্থী যেন পরীক্ষায় বসতে না পারে এবং পুরো প্রক্রিয়াটি দুর্নীতিমুক্ত হোক। রাজ্য যখন পুরনো ও নতুন প্রার্থী মিলিয়ে একসঙ্গে পরীক্ষা নিয়েছে, তার দায়ও রাজ্যেরই বলে মন্তব্য করা হয়। তবে যোগ্য প্রার্থীরা যেন কোনও ভাবেই সমস্যায় না পড়েন, সেই বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।এদিকে এসএসসি নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের যে নতুন পরীক্ষা নিয়েছে, সেখানে পুরনো প্রার্থীদের পাশাপাশি নতুনরাও অংশ নেন। কিন্তু পরে ভেরিফিকেশনের সময় দেখা যায়, অতিরিক্ত ১০ নম্বরের কারণে বহু নতুন প্রার্থী যাচাই প্রক্রিয়াতেই ডাক পাননি। ফলে নতুন পরীক্ষার ভবিষ্যৎ এবং নিয়োগ নিয়ে ফের বড় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal