• ১১ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

RS

কলকাতা

থ্যালাসেমিয়া সচেতনতায় শহর জুড়ে বিভিন্ন রূপে সত্যজিতের চরিত্ররা

৮ মে আন্তর্জাতিক থ্যালাসেমিয়া দিবস। সারা বিশ্ব জুড়ে এই ব্যাধির বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে নানা কর্মসূচী নেওয়া হয়ে থাকে। পিছিয়ে থাকেনা আমাদের শহর কলকাতাও।শহরের এক অতি পরিচিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশনও সামিল হন এমনিতেই এই বিশাল কর্মযজ্ঞে। এমনিতেও সারা বছর ধরে এই সংগঠন বিভিন্ন ধরণের সচেতনতামূলক কর্মসূচীর আয়োজন করে থাকে।এবছর ৩ মে থেকে শুরু হচ্ছে নানা কর্মসূচী। তবে সব থেকে চমক হল এবছরের সচেতনতার প্রচার পরিকল্পনায়। শহর জুড়ে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতায় নেমেছেন সত্যজিৎ রায়ের ছবির চরিত্রেরা। দেবীর শর্মিলা ঠাকুর, জলসাঘরের ছবি বিশ্বাস, মহানগরের মাধবী মুখোপাধ্যায়, গুপি গাইন বাঘা বাইন এর রবি-তপেশ, সোনার কেল্লার সৌমিত্র, আগন্তুকের উৎপল দত্ত আরো অনেকে। প্রচারে এই চরিত্রেরা থ্যালাসেমিয়া নিয়ে সচেতনতার নানা কথা বলছেন। ছবির থিম, কখনো ডায়ালগকে মাথায় রেখে বানানো হয়েছে নানা রকমের স্লোগান। ঠিক যেন এই চরিত্র গুলো আমাদের মতো রক্ত মাংসের মানুষ হয়ে পথে নেমেছে।সত্যজিৎ ও থ্যালাসেমিয়া২ মে সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবার্ষিকী। সদ্য শতবার্ষিকী হয়েছে। তিনি শিশুদের জন্য অনেক কাজ করেছেন। গল্প লেখা থেকে শুরু করে, ছবি বানানো, সন্দেশ পত্রিকার সম্পাদনা, নানা রকম ইলাসট্রেশন করা। অথচ একটু অসচেতনতার জন্য সেই শিশুরাই থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়। এ যেন সেই সব থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের পক্ষ থেকেই এই বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতাকে স্মরণ। ক্যাপশন গুলো লিখেছেন তারাই।সত্যজিৎ ও থ্যালাসেমিয়াসেরাম থ্যালাসেমিয়া প্রিভেনশন ফেডারেশন এর সম্পাদক সঞ্জীব আচার্য জানিয়েছেন, সত্যজিতের ছবি খুব পপুলার। চরিত্রগুলোও ভীষণ জনপ্রিয়।এই ধরনের চরিত্র গুলোকে যদি প্রচারের মাধ্যমে আনা যায় তাহলে লোকের চোখে বেশি করে পড়বে। সেক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়ানোর আমাদের যে লক্ষ সেটা সফল হবে। সত্যজিৎ বাবু তাঁর সৃষ্টিতে অমর। এখানে তাঁর সৃষ্টি সমাজে থ্যালাসেমিয়ার মতো একটা ব্যাধি সম্পর্কে সচেতনতার অংশ হয়ে উঠল এতে সামগ্রীক ভাবে প্রচারটা অনেক বেশি করে লোকের চোখে পড়লো। এছাড়া থাকছে ডাক্তারদের সম্মাননা প্রদান জীবনদেবতা সম্মান, রক্তদান শিবির সহ নানা কর্মসূচী।

মে ০১, ২০২২
কলকাতা

তিলোত্তমায় দেখা মিলল কালবৈশাখীর, বজ্রবিদ্যুসহ ঝড়-বৃষ্টি দুই ২৪ পরগনাতেও

অবেশেষ দেখা মিলল কালবৈশাখীর। সাপ্তাহের শেষে শনিবাসরীয় সন্ধ্যাতেই কলকাতায় আচমকা ধুলো উড়তে শুরু করে। কালবৈশাখীতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে মহানগরবাসী। বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ায় যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে কল্লোলিনী কলকাতা। কালবৈশাখীর ঝড়ে গ্রীষ্মের দহণ এদিন যেন নিমিষে উধাও হয়ে যায়।সোমবার কলকাতায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তার আগেই প্রকতি সদয় হল তিলোত্তমা কলকাতার প্রতি। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও বৃষ্টি হয়েছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানেও এদিন বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা নামে। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলাতে স্বস্তি এসেছে। এদিন কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি চলে।হাঁসফাঁস গরমে স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি দিতে বাধ্য হয় রাজ্য সরকার। এদিকে গরমের ছুটি ঘোষণার পর দিন থেকেই প্রকৃতি সদয় হতে শুরু করে। এদিন হঠাৎ ঝড়-জলে অফিস ফেরত মানুষজন বিপাকে পড়ে। তবু বৃষ্টিতে খুশিই হয়েছেন তাঁরা। পূবালি হাওয়ার জেরে রাজ্যে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করছে বলে জানিয়ে ছিল হাওয়া অফিস।

এপ্রিল ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

মালোকাই চ্যানেল জয় করে এশিয়া মহাদেশে ইতিহাস সৃষ্টি করলো বাংলার জলকন্যা সায়নী

ইংলিশ চ্যানেলের পর এবার মার্কিন মুলুকের মালোকাই চ্যানেল জয় করে ইতিহাস সৃষ্টি করলো বাংলার জলকন্যা সায়নী দাস। শুধু ভারত নয়, এশিয়া মহাদেশের মহিলা সাঁতারু হিসাবে সায়নী-ই প্রথম মালোকাই চ্যানেল জয়ের নজির সৃষ্টি করলেন। জয়ের পর সেখানেই ভারতের জাতীয় পতাকা তুলে ধরেন সায়নী।শুক্রবার সকালে সুদূর মার্কিন মুলক থেকে ফোন করে মেয়ের সেই ইতিহাস সৃষ্টির কথাই সংবাদ মাধ্যম কে জানান সায়নীর বাবা তথা কোচ রাধেশ্যাম দাস। মহিলা সাঁতারু হিসাবে সায়নী এই নিয়ে চার চারটি চ্যানেল জয়ের দৃষ্টান্ত তৈরি করতে পারায় উচ্ছশিত সায়নির পরিবার ও দেশের সাঁতারু মহল।সায়নীর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরের বারুই পাড়ায়। ছোট বয়স থেকেই বাবা রাধেশ্যাম দাসের হাত ধরে সাঁতারে হাতে খড়ি হয় সায়নীর। তার পর থেকে কঠিন অনুশীলনের মধ্য দিয়ে সায়নী নিজেকে কার্যত জলকন্যা হিসাবেই গড়ে তোলেন। রটনেষ্ট ও ক্যাটলিনা চ্যানেল জয়ের পর ২০১৭ সালে সায়নী ইংলিশ চ্যানেল জয়ের দৃষ্টান্ত তৈরী করে। আর এবার সায়নী মালোকই চ্যানেল জয় করে ইতিহাস সৃষ্টি করলো।পাইলটের সাথে সায়নিরাধেশ্যাম দাস জানিয়েছেন, মালোকাই চ্যানেল জয়ের স্বপ্ন নিয়ে সায়নী টানা দুবছর কঠিন অনুশীলন চালিয়ে যায়। তার পর মালোকাই চ্যানেল জয়ের লক্ষ্যে ২৯ শে মার্চ মেয়ে সায়নীকে নিয়ে তিনি মার্কিন মুলুকে পা রাখেন। এপ্রিল মাসের প্রথম দুসপ্তাহের মধ্যে মালোকাইয়ের জলে নামার কথা থাকলেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে সায়নী জলে নামতে পারেননি। ওই সময়ে হাওয়ার গতীবেগ প্রতি ঘন্টায় ৩৫-৪৫ কিমি থাকায় জলের ঢেউ ২ মিটারের উপরে থাকছিল। তাই তখন মালোকাইয়ের জলে নামা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।সায়নীর পাইলটও ভালো আবহাওয়ার জন্য একটু অপেক্ষা করতে বলেন। সায়নী তাঁর পাইলটের বক্তব্য মেনে নেয়। কারণ ২০১৭ সালে ইংলিশ চ্যানেলে নামার আগে সায়নীকে এই ধরনের প্রতিকূল আবহাওয়া জনিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল।বাবা মা ও দলের সাথেরাধেশ্যাম বাবু আরও জানান, আবহাওয়া প্রতিকুল থাকার সময়টা মালোকাইয়ের জলে সায়নী নামতে না পারলেও অনুশীলন বন্ধ করে নি। আমেরিকার হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে টানা বাইশ দিন থাকাকালীনও সায়নী কঠিন অনুশীলনে চালিয়ে যায়। মালোকাই চ্যানেল সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বিল গোডিং সায়নীকে দায়িত্ব নিয়ে অনুশীলন করান। আর পাইলট ম্যাথিউ বাকম্যান আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতির উপর নজর রেখে চলেন। পরে অনুকুল আবহাওয়া পরিস্থিতি তৈরি হলে ২৮ এপ্রিল ভারতীয় সময় সকাল ১০ টা নগাদ সায়নী মালোকইয়ের জলে নামে। তার পর থেকে টানা ১৯ ঘন্টার বেশী সময় সাঁতার কেটে সায়নী মালোকাই চ্যালেন জয়ের লক্ষে পৌছে যায় বলে রাধেশ্যাম বাবু এদিন জানিয়েছেন। সায়নী জানিয়েছে, মালোকাই চ্যানেল জয় করার লক্ষ ছিল তাঁর। সেই জয় তিনি পেয়েছেন। একই সঙ্গে সায়নী জানান, এই জয় তিনি উৎসর্গ করেছেন দেশের সকল ক্রীড়া প্রেমী মহিলাদের উদ্দেশ্যে।

এপ্রিল ২৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

দুরন্ত উমরানের ৫ উইকেট, তবু দলকে জেতাতে ব্যর্থ

গুজরাট টাইটান্সের গতিকে টেক্কা দিলেও বাজিমাত করতে পারল না সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আইপিএলের ফিরতি সাক্ষাৎকারেও শেষ হাসি গুজরাট টাইটান্সর। আইপিএলে জীবনের প্রথমবার ৫ উইকেট নিয়েও দলকে জেতাতে পারলেন না উমরান মালিক। গুজরাট ৫ উইকেটে হারাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে। প্রথম পর্বের হারের মধুর প্রতিশোধ। গতি দিয়ে গুজরাটের ব্যাটারদের নক আউট করে দিয়েও শেষরক্ষা করতে পারলেন না উমরান মালিক। ২৫ রানে ৫ উইকেট নেন।জয়ের জন্য ১৯৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিল গুজরাট টাইটান্স। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে তুলে ফেলে ৫৯। অষ্টম ওভারে প্রথম ধাক্কা খায় গুজরাট। গতিতে পরাস্ত করে দ্বিতীয় বলে শুভমান গিলকে তুলে নেন উমরান মালিক। ২৪ বলে ২২ রান করে বোল্ড হন শুভমান। এক ওভার পরেই হার্দিককেও (৬ বলে ১০) ফেরান উমরান। পরপর ২ উইকেট হারালেও লড়ে যান ঋদ্ধিমান সাহা। আগের ম্যাচগুলোতে ব্যর্থ হলেও ঋদ্ধি এদিন জ্বলে ওঠেন। ২৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারেননি। উমরান মালিকের ১৫৩ কিমি গতির ডেলিভারি ঋদ্ধির স্টাম্প ছিটকে দেয়। ১১ টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৮ বলে ৬৮ রান করে আউট হন ঋদ্ধি। ডেভিড মিলারও (১৯ বলে ১৭) উমরানের বলে বোল্ড হন। মিলারের আউটের ধাক্কা সামলাতে পারেনি গুজরাট। পরের ওভারেই অভিনব মনোহরকে (০) তুলে নেন উমরান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য গুজরাটের দরকার ছিল ২২ রান। মার্কো জনসেনের প্রথম বলে ৬ মারেন রাহুল তেওয়াটিয়া। পরের বলে ১ রান। তৃতীয়, পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে তিনটি ৬ মেরে দলকে জেতান রশিদ খান (১১ বলে অপরাজিত ৩১)। ২১ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন রাহুল তেওয়াটিয়া। দুই দলের প্রথম সাক্ষাৎকারে গুজরাট টাইটান্সকে হারিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রতিশোধের ম্যাচে টস জিতে হায়দরাবাদকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় হায়দরাবাদ। তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে হায়দরাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের (৫) অফ স্টাম্প ছিটকে দেন মহম্মদ সামি। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে আবার ধাক্কা সামির। এবার তুলে নেন ক্রমশ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠা রাহুল ত্রিপাঠীকে (১০ বলে ১৬)। এরপরই রুখে দাঁড়ান অভিষেক শর্মা ও এইডেন মার্করাম। দারুণ ছন্দে রয়েছেন অভিষেক শর্মা। চলতি আইপিএলে দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি করে তিনি দলকে বড় ইনিংসের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেন। মার্করামের সঙ্গে জুটিতে তোলেন ৯৬। আলজেরি জোশেফ দ্বিতীয় স্পেলে বোলিং করতে এসে জুটি ভাঙেন। তুলে নেন অভিষেককে। ৬টি চার ও ৩টি ছয়ের সাহায্যে ৪২ বলে ৬৫ রান করে তিনি আউট হন।এদিনও ব্যর্থ পুরান (৫ বলে ৩)। মহম্মদ সামির বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে গিয়ে লং অনে শুভমান গিলের হাতে ধরা পড়েন। পরের ওভারেই মার্করামকে তুলে নেন যশ দয়াল। ৪০ বলে ৫৬ রান করে তিনি ডেভিড মিলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। চোট সারিয়ে এদিন প্রথম একাদশে ফিরেছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ব্যাট হাতে তিনিও দলকে নির্ভরতা দিতে পারেননি। মাত্র ৩ রান করে তিনি রান আউট হন। শেষ ওভারে ঝড় তোলেন শশাঙ্ক সিং। ৬ বলে ২৫ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। গতি দিয়ে এদিন হায়দরাবাদের ব্যাটারদের কাবু করতে পারেননি সামি (৩/৩৯), জোশেফ (১/৩৫), ফার্গুসনরা (০/৫২)।

এপ্রিল ২৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

সামিদের গতিকে টেক্কা দিয়ে বাজিমাত সানরাইজার্স হায়দরাবাদের

গতির বিরুদ্ধে গতির লড়াই। একদিকে মহম্মদ সামি, লকি ফার্গুসন, আলজেরি জোশেফ। অন্যদিকে উমরান মালিক, মার্কো জানসেন, টি নটরাজনরা। শুরুতে ধাক্কা দিয়েও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বড় রান আটকাতে পারলেন মহম্মদ সামিরা। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৫ রান তুলল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মহম্মদ সামিদের গতিকে টেক্কা দিয়ে বাজিমাত অভিষেক শর্মা, এইডেন মার্করাম, শশাঙ্ক সিংদের।দুই দলের প্রথম সাক্ষাৎকারে গুজরাট টাইটান্সকে হারিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। বুধবার মাঠে নামার আগে চলতি আইপিএলে ওই একটা ম্যাচেই হারতে হয়েছিল হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাট টাইটান্সকে। প্রতিশোধের ম্যাচে টস জিতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। গুজরাট এদিন উইনিং কম্বিনেশন ধরে রাখলেও প্রথম একাদশে একটা পরিবর্তন করে মাঠে নেমেছিল। জগদীশ সুচিথের জায়গায় ওয়াশিংটন সুন্দর।ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে হায়দরাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের (৫) অফ স্টাম্প ছিটকে দেন মহম্মদ সামি। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে আবার ধাক্কা সামির। এবার তুলে নেন ক্রমশ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠা রাহুল ত্রিপাঠীকে (১০ বলে ১৬)। এরপরই রুখে দাঁড়ান অভিষেক শর্মা ও এইডেন মার্করাম। দারুণ ছন্দে রয়েছেন অভিষেক শর্মা। চলতি আইপিএলে দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি করে তিনি দলকে বড় ইনিংসের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেন। মার্করামের সঙ্গে জুটিতে তোলেন ৯৬। আলজেরি জোশেফ দ্বিতীয় স্পেলে বোলিং করতে এসে জুটি ভাঙেন। তুলে নেন অভিষেককে। ৬টি চার ও ৩টি ছয়ের সাহায্যে ৪২ বলে ৬৫ রান করে তিনি আউট হন।এবছর নিলামে নিকোলাস পুরানের পেছনে বড় অর্থ লগ্নি করেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সেভাবে অবদান রাখতে পারছেন না। এদিনও ব্যর্থ পুরান (৫ বলে ৩)। মহম্মদ সামির বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে গিয়ে লং অনে শুভমান গিলের হাতে ধরা পড়েন। পরের ওভারেই মার্করামকে তুলে নেন যশ দয়াল। ৪০ বলে ৫৬ রান করে তিনি ডেভিড মিলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। চোট সারিয়ে এদিন প্রথম একাদশে ফিরেছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ব্যাট হাতে তিনিও দলকে নির্ভরতা দিতে পারেননি। মাত্র ৩ রান করে তিনি রান আউট হন। শেষ ওভারে ঝড় তোলেন শশাঙ্ক সিং। ৬ বলে ২৫ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। গতি দিয়ে এদিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটারদের কাবু করতে পারেননি সামি (৩/৩৯), জোশেফ (১/৩৫), ফার্গুসনরা (০/৫২)।

এপ্রিল ২৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ডেথ ওভার বোলিংয়ে বুমরাদের পেছনে ফেলে দিয়েছেন এই তরুণ জোরে বোলার

ডেথ ওভার বোলিংয়ে দারুণ সুনাম আছে যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সামি, ভুবনেশ্বর কুমারদের। কিন্তু চলতি আইপিএলে তাঁদেরও পেছনে ফেলে দিয়েছেন এক অখ্যাত তরুণ জোরে বোলার। অথচ একসময় পাঞ্জাবের বয়সভিত্তিক দলেই সুযোগ পাচ্ছিলেন না। বাবা পরামর্শ দিয়েছিলেন দেশ ছেড়ে কানাডায় চলে যেতে। সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করে নিজের কেরিয়ার তৈরি করতে। রাজি হননি তরুণ অর্শদীপ। বাবার পরামর্শ অগ্রাহ্য করে ভারতীয় ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পথে।ছোট থেকেই ক্রিকেটই ছিল ধ্যানজ্ঞান। বাবা ছেয়েছিলেন ছেলে হকি খেলোয়াড় হোক। কিন্তু অর্শদীপের ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ দেখে বাবা আর জোরাজুরি করেননি। কিন্তু স্থানীয় পর্যায়ে ভাল খেলেও পাঞ্জাবের বয়সভিত্তিক দলে সুযোগ পাচ্ছিলেন না। ২০০৭ সাল। বাবা পরামর্শ দিয়েছিলেন কানাডার ব্র্যাম্পটনে দিদির কাছে চলে যেতে। রাজি হননি অর্শদীপ। বাবার কাছে একবছর সময় চেয়ে নেন। এক বছরের মধ্যে পাঞ্জাবের অনূর্ধ্ব ১৯ দলে সুযোগ। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি অর্শদীপ সিংকে। সুযোগ এসে যায় অনূর্ধ্ব ১৯ ভারতীয় দলেও। ২০১৮ অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপেও দলে ছিলেন। কিন্তু সেভাবে খেলার সুযোগ পাননি। তাংকে বসিয়ে খেলানো হয়েছিল ঈশান পোড়েল, কমলেশ নাগরকোটিদের। আইপিএলে তাঁরাই এখন ডাগ আউটে বসে। আর বাইশ গজ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন অর্শদীপ সিং।২০১৯ সাল থেকেই পাঞ্জাব কিংসের জার্সি গায়ে খেলছেন এই তরুণ জোরে বোলার। ওই বছর খুব বেশি খেলার সুযোগ পাননি। মাত্র ৩টি ম্যাচ খেলেছিলেন। উইকেট তুলে নিয়েছিলেন ৩টি। পরের বছর ৮ ম্যাচে ৯ উইকেট। তবে গত বছর আইপিএলে রীতিমতো নজর কাড়েন ১২ ম্যাচে তুলে নেন ১৮ উইকেট। এবছর আইপিএলের মেগা নিলামের আগে অর্শদীপকে ধরে রেখেছিল পাঞ্জাব কিংস। টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার মর্যাদা দিচ্ছেন।চলতি আইপিএলে ডেথ ওভারের বোলিংয়ে কৃপনতার দিক দিয়ে তারকা বোলারদের পেছনে ফেলে দিয়েছেন অর্শদীপ সিং। সোমবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচ পর্যন্ত ডেথ ওভারে তাঁর ইকনমি ৫.৬৬। অর্শদীপ ডেথ ওভারের বোলিংয়ে পেছনে ফেলে দিয়েছেন সুনীল নারাইন, যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সামি, ভুবনেশ্বর কুমারদের। ডেথ ওভারে সুনীল নারাইনের ইকনমি ৬.০০। অন্যদিকে ডেথ ওভার বিশেষজ্ঞ যশপ্রীত বুমরার ইকনমি ৮.১৬। মহম্মদ সামির ৮.৪০, ভুবনেশ্বর কুমারের ৮.৫০। শেষ ৪ ওভারে ৩০ বল করার পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে অর্শদীপ সিংই সেরা।সোমবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ডেথ ওভারে তাঁরই বোলিংই পাঞ্জাব কিংসের জয়ের পথ প্রশস্ত করেছিল। চেন্নাই ইনিংসের ১৭তম ওভারে অর্শদীপের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। তাঁর ওই ওভারে তাঁর ওই ওভারে মাত্র ৭ রান তুলতে সক্ষম হয় চেন্নাই। ১৯ তম ওভারেও ৭ রান দেন অর্শদীপ। অর্থাৎ ২ ওভারে মাত্র ১৪ রান। এতেই জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় চেন্নাইয়ের। মহেন্দ্র সিং ধোনি, রবীন্দ্র জাদেজার মতো ফিনিশাররাও জ্বলে উঠতে পারেননি অর্শদীপের বোলিংয়ের সামনে।

এপ্রিল ২৬, ২০২২
রাজ্য

টানা শিলা বৃষ্টি জঙ্গিপুরে, গরমে স্বস্তি কিন্তু কপালে চিন্তার ভাঁজ আম-লিচু চাষিদের

দক্ষিণবঙ্গ বৃষ্টির জন্য হা-পিত্যেস করে বসে আছে। শুক্রবার সকালে আকাশের মুখভাড়ে আশার আলো দেখা যাচ্ছিল। সকালের পরই প্রচন্ড দাবদাহে বাড়ির বাইরে বের হওয়াই দায় হয়ে পড়ে। এদিকে শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের ওসমানপুরে লাগতার শিলা বৃষ্টি পড়ছে। অঝোর ধারায় বৃষ্টি চলছে সেখানে।এদিনের শিলাবৃষ্টিতে আম, লিচুর প্রভুত ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে গাছ থেকে অসংখ্য ছোট আম পড়ে গিয়েছে। ক্ষতি হয়েছে লিচুর। গত কয়েক দিন ধরেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিলেও গরমে হাঁসফাস অবস্থা দক্ষিণবঙ্গে। পুকুর-ডোবা প্রায় শুকিয়ে গিয়েছে। এক ফোটা বৃষ্টির আশায় দিন গুনছে বাংলার আমআদমি।পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগদান করতে বর্ধমান থেকে জঙ্গীপুর থেকে ড্যান্স কোরিওগ্রাফার তপন বাউড়ি বলেন, প্রবল বৃষ্টিতে গরম থেকে স্বস্তি মিলেছে। কিন্তু আম, লিচুর সর্বনাশ হয়ে গেল। টানা শিলাবৃষ্টির ফলে চাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

এপ্রিল ২২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

সুনীল নারাইন যেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের সুব্রত ভট্টাচার্য

কলকাতা ময়দানে ফুটবলে একটা সময় প্রায়ই শোনা যেত ঘরের ছেলে। সুব্রত ভট্টাচার্য, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, সত্যাজিৎ চ্যাটার্জি থেকে কৃশানু দে, বিকাশ পাঁজিদের নামের সঙ্গে ঘরের ছেলের তকমা সেঁটে গিয়েছিল। কিন্তু ক্রিকেটে? ক্রিকেটে আবার ঘরের ছেলে হয় নাকি? নিলামে কোন ক্রিকেটারকে কোন দল নেবে, কেউ বলতে পারবে না। তবে একটানা খেলতে খেলতে অনেকেই ঘরের ছেলে হয়ে গেছেন। যেমন চেন্নাই সুপার কিংসে মহেন্দ্র সিং ধোনি, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সে বিরাট কোহলি। তেমনই কলকাতা নাইট রাইডার্সে যেন ঘরের ছেলে হয়ে গেছেন সুনীল নারাইন। এক দশক ধরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সি গায়ে খেলছেন এই ক্যারিবিয়ান তারকা। অন্য কোনও দলে যাওয়ার পরিকল্পনাও নেই। নাইট রাইডার্সে খেলেই আইপিএল থেকে অবসর নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সুনীল নারাইনের। সোমবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে নাইট রাইডার্সের জার্সি গায়ে ১৫০ তম আইপিএল ম্যাচ খেলে ফেললেন সুনীল নারাইন। একই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে এই কৃতিত্ব অর্জন করতে পেরে তিনি গর্বিত। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে নারাইনের হাতে ১৫০ লেখা জার্সি তুলে দেন দলের হেড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। ২০১২ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সে যোগ দেন সুনীল নারাইন। টানা ১০ বছর একই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলছেন। আইপিএলে খুব কম বিদেশিই রয়েছেন যারা দীর্ঘদিন একই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলছেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে এতদিন খেলতে পেরে আপ্লুত সুনীল নারাইন। ১৫০ ম্যাচের মাইলস্টোনে পৌঁছে এই ক্যারিবিয়ান তারকা বলেন, যতদিন আইপিএল খেলব, কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়েই খেলতে চাই। আমি দলের সিইও ভেঙ্কি মাইসোরকে সবসময় বলে এসেছি, আমাকে নিশ্চয় আর অন্য কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলতে হবে না। নাইট রাইডার্স থেকেই শুরু করেছি, এখানেই শেষ করব। বিদেশি ক্রিকেটাররা একটা ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে বেশিদিন খেলার সুযোগ পায় না। সেই দিক দিয়ে আমি সৌভাগ্যবান। কলকাতা নাইট নাইট রাইডার্সে কাটানো সময়গুলো আমার কাছে খুবই মহামূল্যবান। নাইট রাইডার্সের জার্সি গায়ে রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচের আগে ১৪৭ উইকেন নেন সুনীল নারাইন। সোমবার রাজস্থানের বিরুদ্ধে তাঁর হাত ধরেই ব্রেক থ্রু আসে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের ১০ বছর জীবনে তাঁকে সমস্যাতেও পড়তে হয়েছে। ২০২০ সালে তাংর বিরুদ্ধে চাকিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। পরে নিজের বোলিং অ্যাকশন বদল করতে বাধ্য হন। শুধু বল হাতেই নয়, ব্যাট হাতেও দলকে ভরসা দিয়েছেন সুনীল নারাইন। দলকে দুবার আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। বহু বিপদে দলকে উদ্ধার করেছেন। ঠিক যেন মোহনবাগানের সুব্রত ভট্টাচার্য।

এপ্রিল ১৮, ২০২২
রাজ্য

বঙ্গ বিজেপিতে একাধিক শীর্ষ নেতার পদত্যাগ, রহস্য খুঁজছেন কেন্দ্রীয় সম্পাদক

বঙ্গবিজেপি থেকে একাধিক শীর্ষ পদাধিকারী পদত্যাগ করায় রহস্য খুঁজছেন দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষ রাজ্য সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। জেলা সভাপতি সম্পর্কে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন গৌরিশংকর ও বহরমপুরের বিধায়ক সুব্রত মৈত্র। এই প্রসঙ্গে ফেসবুক পোস্টে প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরা লিখেছেন যাঁরা মাটি কামড়ে পড়ে রইল তাঁরা পদত্যাগ করছেন। অন্যদিকে যাঁদের এতদিন গুরুত্ব দেওয়া হল তাঁরা দল ছেড়ে চলে গেলেন। তাঁর কথায়, রাজ্য থেকে দূরে গিয়ে সংগঠনের কাজ করতে চাইছেন অনেকেই।গৌরীশংকর ঘোষ জেলায় মন্ডল সভাপতি নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, জেলা পদাধিকারী, বিধানসভার প্রার্থী, দুই বিধায়ক, জেলা অবজার্ভার, জোন অবজার্ভারের উপস্থিতিতে ৫১টি মন্ডলে সর্বসম্মত মন্ডল সভাপতি স্থির হয়েছিল। পরে দেখা ১৮ জন মন্ডল সভাপতিকে নিজের ইচ্ছেমত পরিবর্তন করেছেন জেলা সভাপতি। পুরো বিষয়টা সংগঠনের রাজ্য সংগঠন মন্ত্রী ও জেলা সভাপতিকে লিখিত ও মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু বিষয়টিকে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তাই আমার মনে হয়েছে রাজ্য সম্পাদক পদে থাকার কোনও যৌক্তিকতা আমার নেই। গৌরীশঙ্করবাবু রাজ্য সভাপতিকে এই মর্মে লিখে পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। যদিও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।গৌরীশঙ্কর ঘোষের মতো রাজ্য কর্মসমিতির সদস্য বাণী গঙ্গোপাধ্যায়, দীপঙ্কর চৌধুরীও দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলে রাজ্য সভাপতির কাছে পদত্যাগের ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন। একসঙ্গে একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব পদত্যাগ করায় তোলপাড় রাজ্য বিজেপি। আসানসোল লোকসভা ও বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের পর রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্বের অকর্মন্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এদিন পদত্যাগ প্রসঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বকে ব্যাঙ্গ করলেন অনুপম হাজরা।ফেসবুকে অনুপম লিখেছেন...আসল রহস্যটা কিকেন এতগুলো ইস্তফা একসঙ্গে, সেটা রাজ্য বিজেপির খুব গুরুত্ব সহকারে বিচার-বিশ্লেষণ করা উচিত !!!আমি যতদূর জানি গৌরীশংকর বাবু একজন ভালো সংগঠক !!! যাদেরকে এতদিন গুরুত্ব দেয়া হলো তারা সব দল ছেড়ে চলে গেছে, আর যারা এতদিন মাটি কামড়ে পড়ে ছিলো, তারা ইস্তফা দিচ্ছেন !!!আর এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা আমার মতো, যারা বঙ্গ-বিজেপির অসময়ে -----...মানে যখন পশ্চিমবঙ্গে মানুষ বিজেপিতে যোগ দিতে ভয় পেত অর্থাৎ বঙ্গ-বিজেপির সুসময়ে যোগ দেওয়া রাজিব-সব্যসাচী এবং কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মত জামাই আদর খাওয়া মানুষদের বিজেপিতে আসার অনেক আগে....------ বিজেপিতে যোগদান করে, রাস্তায় নেমে যথেষ্ট পরিমাণে আন্দোলনও করেছিলো যখন অন্যদের মাঠে নেমে আন্দোলন করতে দেখা যেত না, তৃণমূলের কাছ থেকে যথেষ্ট পরিমাণে পুলিশ কেসও খেয়েছে আর এখন প্রতিনিয়ত দাদা মাঠে নামুন, আপনাদের আর আন্দোলনে দেখা যায় না কেন? শুধু সোশ্যাল মিডিয়াতে লেকচার দিলে হবে ?? - এই ধরনেরপ্রশ্নের সম্মুখীন হন.......কিন্তু তবুও রাজ্য বিজেপি থেকে দূরে, দিল্লিতে বা অন্য রাজ্যে পার্টির কাজ করতেই বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করে !!!....আসল রহস্যটা কি ???!!!

এপ্রিল ১৭, ২০২২
রাজ্য

'ডান্ডা দিয়ে ঠান্ডা করে দেব', তৃণমূল ব্লক সভাপতির হুমকি ভিডিও ভাইরাল

হাঁসখালি থেকে বোলপুর-শান্তিনিকেতনসহ রাজ্যের নানা প্রান্তে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে তোলপাড়। ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় মিছিল করে সিপিএম। এরপরই তৃণমূল কংগ্রেসের ভগবানগোলা এক নম্বর ব্লক প্রেসিডেন্ট আফরোজ সরকারের হুমকি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিও-তে স্পষ্ট শোনা যায়, তিনি বলছেন, ডান্ডা দিয়ে ঠান্ডা করে দেব। (যদিও এই ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি জনতার কথা)।আফরোজ সরকারকে ওই ভিডিও-তে বলতে শোনা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরানো যাবে না। রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছে। আমরা আছি। ধর্ষণ হলে বড়বাবু, এসপিকে বলব গ্রেফতার করার কথা। প্রমান দেখাক ধর্ষণ করেছে। সিপিএম একটা মিছিল বের করে দিয়েছে। যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে তাহলে ঠান্ডা করে দেব। তার জন্য ডান্ডার দরকার। বেশি যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাপারে উল্টোপাল্টা কথা বলে তবে ডান্ডা দিয়ে ঠান্ডা করে দবে। আমি পদের ভয় করি না। যুব সভাপতিসহ নানা পদে ছিলাম, সিপিএম যদি উল্টোপাল্টা বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ছেলে আছি আফরোজ সরকার। এমন ঠান্ডা করে দেব বাড়ি থেকে বের হতে পারবে না।তৃণমূল ব্লক সভাপতির এই হুমকির পর সুড় চড়িয়েছে বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, হুমকি ছাড়া কথাই বলছেন না তৃণমূলীরা। এমন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে সিপিএম।

এপ্রিল ১৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

বঞ্চনার মোক্ষম জবাব, নাইট রাইডার্সকে তছনছ করে দিলেন এই স্পিনার

যাবতীয় বঞ্চনার জবাব। পুরনো দলের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠলেন কুলদীপ যাদব। তাঁর দাপটেই টানা ২ ম্যাচ হারের পর জয়ে ফিরল দিল্লি ক্যাপিটালস। নাইট রাইডার্সকে হারাল ৪৪ রানে। ৩৪ রানে ৪ উইকেট তুলে নিলেন কুলদীপ। টস জিতে দিল্লি ক্যাপিটালসকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। শুরু থেকেই ঝড় তুলে উমেশ যাদব, রসিক সালাম দার, প্যাট কামিন্সদের ছন্দ নষ্ট করে দেন দিল্লির দুই ওপেনার। ৪ ওভারেই ৫০ রান পূর্ণ হয়ে যায় দিল্লির। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ওঠে ৬৮। চলতি আইপিএলে এটা তৃতীয় সর্বোচ্চ। সবথেকে বেশি তুলেছে চেন্নাই সুপার কিংস (৭৩/১) লখনউর বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঞ্জাব কিংসের (৭২/২)। পাঞ্জাব তুলেছিল চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে। সবকটিই মুম্বইয়ের ব্রাবোর্ন স্টেডিয়ামে। ওয়ার্নারের তুলনায় পৃথ্বী শ বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন। ২৭ বলে তিনি হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে জ্বলে ওঠা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন পৃথ্বী। নাইটদের বিরদ্ধে আগের ৫ ইনিংসে তাঁর রান ৮২,৬৬,১৪,৯৯,৬২।নাইট রাইডার্সকে ব্রেক থ্রু এনে দেন বরুণ চক্রবর্তী। নবম ওভারের চতুর্থ বলে তাঁর গুগলিতে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হন পৃথ্বী (২৯ বলে ৫১)। পৃথ্বীর ইনিংসে রয়েছে ৭টা ৪ এবং ২টি ৬। ৯.৫ ওভারে ১০০ রান পূর্ণ হয় দিল্লির। এদিন ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে তিন নম্বরে উঠিয়ে নিয়ে এসেছিলেন ঋষভ পন্থ। দারুণ শুরুও করেছিলেন। ১৪ বলে ২৭ রান করে আন্দ্রে রাসেলের বলে উমেশ যাদবের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ঋষভ আউট হওয়ার পরের বলেই ফেরেন ললিত যাদব (১)। তিনি সুনীল নারাইনের বলে এলবিডব্লু হন। নারাইনকে তুলে মারতে গিয়ে পরিবর্ত ফিল্ডার রিঙ্কু সিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন রভম্যান পাওয়েল (৮)। ৪৫ বলে ৬১ রান করে উমেশ যাদবের বলে ফিরে যান ওয়ার্নার। পরপর ৪ উইকেট হারিয়ে রান তোলার গতি অনেকটাই কমে যায় দিল্লি ক্যাপিটালসের।পরের দিকে ঝড় তোলেন অক্ষর প্যাটেল (১৪ বলে অপরাজিত ২২) ও শার্দুল ঠাকুর (১১ বলে অপরাজিত ২৯)। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ২১৫/৫ তোলে দিল্লি। সুনীল নারাইন ২১ রানে ২ উইকেট নেন। উমেশ যাদব ৪ ওভারে দেন ৫৮। তুলে নেন ১ উইকেট। জয়ের জন্য ২১৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি কলকাতা নাইট রাইডার্সের। ৩৮ রানের মধ্যে ফিরে যান দুই ওপেনার ভেঙ্কটেশ আয়ার ও অজিঙ্কা রাহানে। এদিন শুরুটা ভাল করেছিলেন ভেঙ্কটেশ। ৮ বলে ১৮ রান করে তিনি খলিল আহমেদের বলে অক্ষর প্যাটেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।এদিনও ব্যর্থ রাহানে। ১৪ বলে মাত্র ৮ রান করে খলিল আহমেদের বলে শার্দুল ঠাকুরের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। আনরিখ নোখিয়ার পরিবর্তে এদিন খলিল আহমেদকে খেলায় দিল্লি টিম ম্যানেজমেন্ট। সুযোগের দারুন সদব্যবহার করেন খলিল। ৩৮ রানে ২ উইকেট হারানোর পর নাইট রাইডার্সকে টেনে নিয়ে যান নীতিশ রানা ও অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। জুটিতে ওঠে ৬৯ রান। নীতিশকে (২০ বলে ৩০) তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন ললিত যাদব।পুরনো দলের বিরুদ্ধে নাইট রাইডার্সকে দারুন টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন শ্রেয়স। এগিয়ে এসে কুলদীপকে মারতে গিয়ে স্টাম্পড হন তিনি। ৩৩ বলে ৫৪ করেন শ্রেয়স। শ্রেয়স আয়ার আউট হওয়ার পরপরই ধস নামে নাইট রাইডার্স ইনিংসে। পরপর ফিরে যান সাম বিলিংস (১৫), প্যাট কামিন্স (৪), সুনীল নারাইন (৪), উমেশ যাদব (০)। দলের ষষ্ঠদশ ও নিজের চতুর্থ ওভারে কামিন্স, নারাইন ও উমেশকে ফেরান কুলদীপ। ৪ ওভারে ৩৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নাইট রাইডার্সের মেরুদন্ড ভেঙে দেন। আন্দ্রে রাসেল ২১ বলে করেন ২৪। ১৯.৪ ওভারে ১৭১ রানে গুটিয়ে যায় নাইট রাইডার্সের ইনিংস।

এপ্রিল ১০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

নির্বাসনের মুখে পড়া বাংলার শাহবাজই ভরসা দিচ্ছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সকে

কয়েকবছর আগে সিএবি কর্তাদের অন্তর্কলহের শিকার হতে হয়েছিল এই শাহবাজ আমেদকে। আদৌও তিনি বাংলার ক্রিকেটার কিনা, তা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল সিএবি। শাহবাজের খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা। বেশ কিছুদিন মাঠের বাইরে কাটাতে হয়েছিল। বহিরাগত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আবার ক্লাব ক্রিকেটে ফেরা। সময়টা দুঃস্বপ্নের মতো কেটেছিল শাহবাজের। মনে হয়েছিল ক্রিকেটজীবনই শেষ হতে চলেছে। ফিরে যেতে চেয়েছিলেন হরিয়ানার গ্রামের বাড়িতে। ভেবেছিলেন ক্রিকেট ছেড়ে ইঞ্জিনিয়ারিংকেই পেশা হিসেবে বেছে নেবেন। আবার ফিরে যাবেন প্রিয় ক্যালকুলাসে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মুক্তি। আর আজ তিনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোর সংসারে নায়ক।ক্রিকেটার না হলে অন্যখাতে বইত শাহবাজের জীবন। হয়তো নামী কোনও সংস্থায় ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি নিয়ে পড়ে থাকতেন। সে সব কিছুই হয়নি। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে হরিয়ানার ফরিদাবাদের পালোয়াল থেকে বাবামার হাত ধরে পাড়ি দিয়েছিলেন কলকাতায়। ৭ বছর আগে দলের মিডল অর্ডারে ভারসাম্য আনার জন্য এমন একজন ব্যাটসম্যান খুঁজছিলেন কলকাতার তপন মেমোরিয়ালের কোচ ধর্মেন্দ্র সিং, যিনি বোলিংও করতে পারেন। হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে এক পরিচিত শাহবাজ আমেদের ব্যাটিংয়ের ভিডিও পাঠিয়েছিলেন। পছন্দ হয় ধর্মেন্দ্রর। একদিন বাবামাকে সঙ্গে নিয়ে পালোয়াল থেকে কলকাতায় হাজির হন শাহবাজ। দুদিন নেটে দেখেই সই করানোর সিদ্ধান্ত। ধর্মেন্দ্র সিংয়ের হুগলির শ্রীরামপুরের বাড়িই হয়ে ওঠে স্থায়ী আস্তানা।ক্লাবের হয়ে প্রথম ম্যাচেই সাফল্য। বল হাতেও যে তিনি সমান দক্ষ সেদিনই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন শাহবাজ। আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। তপন মেমোরিয়ালের হয়ে প্রথম বছর সাফল্য। পরের মরশুমে বড় ক্লাবের প্রস্তাব সত্ত্বেও থেকে যান তপন মেমোরিয়ালেই। যে ক্লাব তাঁকে কলকাতা ময়দানে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে তার প্রতি আনুগত্য দেখাতে কার্পন্য করেননি। ছোট ক্লাব থেকে বাংলা দলে সুযোগ পাওয়ার নজির তেমন নেই। শাহবাজ সেদিক দিয়ে ব্যতিক্রম। কোনও বয়সভিত্তিক বাংলা দলে না খেলেও সরাসরি সিনিয়র দলে।সিএবি কর্তাদের কাজিয়ায় একসময় বাংলায় খেলা অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল শাহবাজের। তিন বছর আগে শাহবাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তিনি বহিরাগত। তপন মেমোরিয়ালের হয়ে ক্লাব ক্রিকেটে খেলার অধিকার নেই। মাস চারেকের জন্য নির্বাসিত। গঠিত হয় তদন্ত কমিটি। তিনি যে হরিয়ানা ছেড়ে স্থায়ীভাবে শ্রীরামপুরে বসবাস করছেন প্রমাণ হয়ে যায়। উঠে যায় নির্বাসন। সুযোগ পান বাংলা দলে। ২০১৮১৯ মরশুমে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে রনজি অভিষেক। তার আগে বাংলার হয়ে খেলে ফেলেছিলেন বিজয় হাজারে ট্রফি। যে দলের বিরুদ্ধে রনজি অভিষেক, সেই হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ২০২০র রনজি ট্রফিতে হ্যাটট্টিক।হরিয়ানায় হোমটাউন হলেও এখন বাংলাই তাঁর ঘরবাড়ি। শাহবাজের মুখে প্রায়শই শোনা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বাংলায় আছি। এখন বাংলাই আমার কাছে সবকিছু, আমার ভবিষ্যত। ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছি। নিজে স্পিনার হলেও শাহবাজের প্রিয় বোলার বেন স্টোকস। তবে ভারতীয়দের মধ্যে ভাল লাগে রবীন্দ্র জাদেজাকে। জাদেজা ভারতীয় দলে যেরকম ভূমিকা পালন করেন, বাংলার হয়ে তেমন ভূমিকা পালন করতে চান শাহবাজ। তাঁর লড়াকু মানসিকতা দারুণ পছন্দ করেন বাংলার কোচ অরুণলাল। বিরাট কোহলিও শাহবাজের লড়াকু মানসিকতার ওপর আস্থা রেখেছিলেন। ক্যালকুলাস তাঁর খুবই পছন্দের বিষয়। অঙ্ক কষতে গেলে মাথা ঠান্ডা রাখতে হয়। মঙ্গলবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে নেমেছিলেন। ২৬ বলে ৪৫ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে দলকে জয়ের মুখে পৌঁছে দিয়েছিলেন। তাঁর ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ বিশেষজ্ঞরা। ম্যাচের পর শাহবাজ বলছিলেন, খুব কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ব্যাট করতে গিয়েছিলাম। আমার দক্ষতার ওপর অধিনায়ক আস্থা রেখেছিল, এতেই আমি খুশি। দীনেশ কার্তিক আমার চাপ কমিয়ে দিয়েছিল। শাহবাজ আরও বলেন, প্র্যাকটিস চালিয়ে যাচ্ছি। সেটা হলে দলের পক্ষেই ভালো। তবে কঠিন পরিস্থিতি থেকে দলের জয় নিশ্চিত করায় অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে। ঠিক করেছিলাম, স্পিনারদের উইকেট দেব না। শিশির পড়ায় বল ব্যাটে আসছিল, তাই জোরে বোলারদের আক্রমণের রাস্তা বেছে নিই। দীনেশ কার্তিকের ঝোড়ো ব্যাটিং মোমেন্টাম তৈরি করে দেয়। ম্যাচের বয়স বাড়তেই খেলাও ক্রমে সহজ হয়ে যায়। ট্রেন্ট বোল্ট ১৮তম ওভার করতে আসার আগে আরসিবির ৩ ওভারে ২৮ দরকার ছিল। শাহবাজ প্রথম বলে রান পাননি, পরের তিনটি বলে চার, ছয় ও দুই রান নেন, পঞ্চম বলে আউট হন। ট্রেন্ট বোল্ট বাঁহাতি হওয়ায় সুবিধা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন শাহবাজ। বলেন, বড় শট নিতেই হতো। সেটা পারায় লক্ষ্যের দিকে আমরা আরও এগিয়ে যাই। দলকে জিতিয়ে আসতে না পারার জন্য আক্ষেপ রয়েছে শাহবাজের। হর্ষল প্যাটেল শাহবাজকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, আরও লম্বা ইনিংসের সাক্ষী থাকতে চাই আমরা। বিরাট কোহলিও শাহবাজের ইনিংসের প্রশংসা করেছেন। বাংলার অলরাউন্ডারের প্রশংসা করেছেন অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসিও। তিনি বলেন, শাহবাজ বড় শট খেলতে পারদর্শী। বল হাতেও তিনি কার্যকরী ভূমিকা নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের আইপিএলে ২ ম্যাচে ২টি এবং গত মরশুমে ১১ ম্যাচে ৭টি উইকেট নিয়েছিলেন শাহবাজ।

এপ্রিল ০৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

বাংলার শাহবাজ আমেদের দাপটে দারুণ জয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের

পুরনো দলের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠলেন যুজবেন্দ্র চাহাল। তবু জয় এল না রাজস্থান রয়্যালসের। সঞ্জু স্যামসনের দলকে ৪ উইকেট হারাল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের জয়ের নায়ক শাহবাজ আমেদ ও দীনেশ কার্তিক। দুরন্ত ব্যাটিং করে দলকে জয় এনে দিলেন। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রাতের দিকে শিশির খুব সমস্যা তৈরি করছে। বোলারদের বল গ্রিপ করতে দারুণ সমস্যা হচ্ছে। সেকথা মাথায় রেখে এদিন টস জিতে রাজস্থান রয়্যালসকে ব্যাট করতে পাঠান রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি। শুরুটা ভাল হয়নি রাজস্থানের। দ্বিতীয় ওভারেই যশস্বী জয়সোয়ালকে হারায়। আগের ম্যাচে রান পাননি যশস্বী। এদিনও ব্যর্থ। মাত্র ৪ রান করে ডেভিড উইলির বলে বোল্ড হন। যশস্বী ব্যর্থ হলেও এদিন আবার রানে ফিরলেন দেবদত্ত পাড়িক্কল। জস বাটলারের সঙ্গে তিনি দলকে টেনে নিয়ে যান। প্রথম দিকে ডেভিড উইলি, মহম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপদের দাপটে রাজস্থান রয়্যালসের রান তোলার গতি ছিল কম। পরের দিকে বাটলার ও পাড়িক্কল কিছুটা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। দুজনে মিলে জুটিতে তোলেন ৭০।দশম ওভারের শেষ বলে দেবদত্ত পাড়িক্কলকে তুলে নেন হর্ষাল প্যাটেল। তাঁর আউট নিয়ে অবশ্য নাটক তৈরি হয়েছিল। দেবদত্ত পাড়িক্কলের ক্যাচ ধরেছিলেন বিরাট কোহলি। পেছন দিকে ঝুঁকে ক্যাচ ধরে তিনি মাটিতে পড়ে যান। কোহলির এই দুরন্ত ক্যাচ দেখে দর্শকরা হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছিলেন। দেবদত্ত পাড়িক্কলও সাজঘরের দিকে হাঁটা দিয়েছিলেন। তখনই মাঠের বাইরে দেবদত্তকে আটকান আম্পায়ার। আসলে, আম্পায়ার প্রথমে নো বল পরীক্ষা করছিলেন। পরে ক্যাচ বৈধ কিনা পরীক্ষা করেন। ২৯ বলে ৩৭ রান করে আউট হন দেবদত্ত। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনও (৮ বলে ৮) এদিন রান পাননি। সঞ্জু আউট হওয়ার পর রাজস্থানকে টেনে নিয়ে যান বাটলার ও শিমরণ হেটমায়ের। আগের ম্যাচের মতো এদিনও দুরন্ত ব্যাট করেন বাটলার। প্রথম দিকে দেখেশুনে খেললেও পরের দিকে ঝড় তোলেন। দুবার জীবন পেয়ে শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন। ৩১ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন হেটমায়ের। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৯/৩ তোলে রাজস্থান রয়্যালস। হর্ষাল প্যাটেল ১৮ রানে ১ উইকেট নেন। ডেভিড উইলি ও হাসারাঙ্গাও নেন ১টি করে উইকেট। ব্যাট করতে নেমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ভাল শুরু করেছিল। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে তোলে ৪৮/০। সপ্তম ওভারে প্রথম উইকেট হারায়। ডুপ্লেসিকে তুলে নেন যুজবেন্দ্র চাহাল। ২০ বলে ২৯ রান করেন ডুপ্লেসি। আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ অনুজ রাওয়াত এদিন ২৫ বলে ২৬ রান করে নভদীপ সাইনির বলে আউট হন। বিরাট কোহলি (৫), ডেভিড উইলি (০) রান পাননি। ডুপ্লেসিকে চাহাল তুলে নিতেই ধস রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সে। কোহলিকে (৫) রান আউট করেন চাহাল (২/১৫)। পরের বলেই উইলিকে (০) তুলে নেন। রাদারফোর্ডকে (৫) তুলে নিয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সকে ব্যাকফুটে পাঠিয়ে দেন রেন্ট বোল্ট। শাহবাজ আমেদ (২৬ বলে ৪৫) ও দীনেশ কার্তিকের (২৩ বলে অপরাজিত ৪৪) দুরন্ত ব্যাটিং চাপ কাটিয়ে দেয়। শাহবাজ আউট হলেও অপরাজিত থেকে দলকে জয় এনে দেন দীনেশ কার্তিক। তবে জয়ের রান আসে হর্ষাল প্যাটেলের (৪ বলে অপরাজিত ৯) ব্যাট থেকে। ৫ বল বাকি থাকতে ১৭৩/৬ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।

এপ্রিল ০৫, ২০২২
রাজ্য

পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্তা বর্ধমান জিআরপিতে, জোর করে টাকা নেওয়ারও অভিযোগ

পাঞ্জাব থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্তা ও জোর করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠলো জিআরপির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ভোরে লুধিয়ানা থেকে বর্ধমান স্টেশনে নামেন ৬ জন পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁরা মালদার কাঞ্চননগরের বাসিন্দা।তাঁদের অভিযোগ, স্টেশনের বাইরে বসে থাকার সময় জিআরপি থানায় ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একজন লক্লার্ক মাস্ক না পড়ার জন্য তাদের প্রত্যেককে ৪৫০ টাকা ফাইন করে। সেই ছবি তাঁরা নিজেদের মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করে। সেই ভিডিওতে দেখা যায় টাকা নেওয়ার সময় গালিগালাজ করছেন জিআরপির লক্লার্ক ওই শ্রমিকদের।শ্রমিকদের অভিযোগ, টাকা দিলেও তাঁদের এর জন্য কোনও রসিদ দেওয়া হয়নি। সামসুল হক নামে ওই লক্লাকের এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া নিতে গেলে বাধা দেওয়া হয়।

এপ্রিল ০৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ভেঙে গেল রহস্য মেয়ের হৃদয়, ছবি ভাইরাল, কে সেই রহস্যময়ী?‌

সোমবার আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ম্যাচ চলছিল। ক্রমশ পরাজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ডাগ আউটে বাড়ছিল হতাশা। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে দল যখন নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে, তখন টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ছিল এক মহিলার করুণ মুখ। এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ ভাইরাল হয়েছে।কে এই মহিলা? সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কই বা কী? এই নিয়ে সকলের দারুণ কৌতুহল। এই মহিলা কিন্তু যে সে মহিলা নন। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অন্যতম মালিক কাব্য মারান। সান গ্রুপের কর্ণধার কালানিধি মারানের মেয়ে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দয়ানিধি মারানের ভাতিজি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অন্যতম মালিক। দলের সিইও। কাব্য মারান নিজে সান মিউজিকের সঙ্গে যুক্ত। ২০১৮ সালের আইপিএলে তাঁকে প্রথম ক্রিকেট মাঠে দেখা যায়। নিজের দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে চিয়ার করার সময় তাঁকে প্রথম টিভিতে দেখা যায়। চেন্নাই থেকে এমবিএ শেষ করার পর কাব্য মারান তাঁর বাবা কালানিধি মারানের ব্যবসায় যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ক্রিকেটকে দারুণ ভালোবাসেন কাব্য। এছাড়া তিনি দলের সিইওর দায়িত্বও পালন করেন।Bechari bacchi ko engineering churwa kar ipl team ke peeche phasa diya 😢. #FamilyPressure #SRHvsLSG #TATAIPL pic.twitter.com/1hWMWVCzxk Shivansh𓃵 ( KEI STAN 𓃵❤️) (@sher_singh_18) April 4, 2022গতবছর আইপিএলে একেবারেই ভাল ফল করতে পারেনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এবছরও শুরুটা যথেষ্ট হতাশাজনক। দুটি ম্যাচে এখনও জয় পায়নি এই ফ্র্যাঞ্চাইজি। সোমবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ম্যাচ ছিল লখনউও সুপার জায়ান্টেস সঙ্গে। হায়দরাবাদের পরাজয়ের পর দলের সমর্থকরা দারুণ হতাশ। দলের অন্যতম মালিকের একটা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে হতাশায় একটা মেয়ের মুখের করুণ অবস্থা।সোমবার লখনউও সুপার জায়ান্টের সঙ্গে দারুণ লড়াই করেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। একটা সময় মনে হচ্ছিল জিতেও যেতে পারে। কিন্তু ম্যাচের শেষদিকে মোড় ঘুরে যায়। শেষ ওভারে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে লখনউও সুপার জায়ন্টসকে ১২ রানে ম্যাচ জেতান ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার জেসন হোল্ডার। এই পরাজয়ের পর কাব্য মারানের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হচ্ছে।কাব্য যখনই মাঠে থাকেন, টিভি ক্যামেরা তাঁর দিকে তাক করে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও লখনউ সুপার জায়ান্টস ম্যাচেও তেমনই ঘটেছিল। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে দল যখন নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে, তখন টিভি ক্যামেরায় কাব্যর করুণ মুখ ধরা পড়েছিল। কাব্যর এই করুণ মুখ দেখে তাঁর ভক্তরাও হতাশ হয়ে পড়েছিল। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দল যতক্ষণ লড়াইয়ে ছিল, তাঁকে খুশি দেখাচ্ছিল। কিন্তু দল যতই পরাজয়ের কাছাকাছি আসে, তাঁর মুখও করুণ হতে শুরু করে। কাব্যের করুণ মুখ মোটেও পছন্দ হয়নি ভক্তদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় কাব্যের এক ভক্ত লিখেছেন, তিনি অবশ্যই আরও ভালোর যোগ্য। কেন উইলিয়ামসন, আব্দুল সামাদ, অভিষেক শর্মা, উমরান মালিক, নিকোলাস পুরান, রাহুল ত্রিপাঠি, এইডেন মার্করাম, দয়া করে কাব্যকে খুশি করুন।

এপ্রিল ০৫, ২০২২
দেশ

ত্রিপুরা তৃণমূলে অশনি সংকেত, বিক্ষুব্ধরা কি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন?

তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন ভিন রাজ্যে তাঁরা শুধু লড়াই করতে যাবেন না, ক্ষমতা দখল করাই তাঁদের লক্ষ্য। ইতিমধ্যে গোয়া বিধানসভায় নির্বাচন হয়েছে। মহুয়া মৈত্রের মতো লোকসভায় ভাষন দিয়ে তোলপাড় করা নেত্রীসহ অনেকের উপরই গুরুদায়িত্ব ছিল গোয়াতে। প্রার্থীও দিয়েছিল তৃণমূল। একটিও আসন জোটেনি ঘাসফুল শিবিরের। সূত্রের খবর, এবার পরশি রাজ্য ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিস্তারে বড়সড় সমস্যা তৈরি হয়েছে। ৬ এপ্রিল ত্রিপুরায় দলের মহামিছিলে কারা পা মেলাবেন তাতেও সংশয় রয়েছে।বাঙালি অধ্যুষিত ত্রিপুরাতে তৃণমূল অনেক বছর আগেই অভিযান শুরু করেছিল। তবে ২০২১-এ বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্যের পর ফের ত্রিপুরা অভিযান শুরু করে ঘাসফুল শিবির। এরাজ্য থেকে দলে দলে নেতৃত্বস্থানীয়রা ত্রিপুরায় যাতায়াত শুরু করে। পুরসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের ফসল একজন মাত্র কাউন্সিলরের জয়। সেই জয়ী সুমন পালও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, ত্রিপুরা তৃণমূলের বড় অংশই এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছে। ত্রিপুরা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি আশিসলাল সিং দীর্ঘ কয়েক মাস দলীয় সংগঠনের সংস্পর্শেই ছিলেন না। তাঁর সঙ্গে কেউ যোগাযোগও করতে পারেননি। বিজেপি বিধায়ক আশিস দাস মাথা ন্যাড়া করে তৃণমূলে যোগ দেন। হইচই পড়ে যায় ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলে। সেই আশিস দাসও তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাজকর্মে চরম ক্ষুব্ধ। তাঁর ক্ষোভের প্রকাশ তিনি ফেসবুকেও স্পষ্ট লিখেছেন। এবার প্রশ্ন হল তৃণমূলের ওই অংশ কী তাহলে দলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করতে চলেছেন? সারা ত্রিপুরায় এমন জল্পনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।দীর্ঘ দিন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন আশিসলাল সিং। পুরভোটের সময় বিজেপি তাঁর ওপর হামলা করে বলে অভিযোগ। তারপর তিনি দিল্লির দুটি নার্সিংহোমে দীর্ঘ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিছু দিন ছিলেন বিদেশেও। তিনি অন্তরালে চলে যান। দলের সঙ্গে কেন তিনি দীর্ঘ সময় যোগাযোগ রাখেননি? তাহলে তিনিও কী দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কার্যকলাপ মেনে নিতে পারছেন না? সেই প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে ত্রিপুরা তৃণমূলের অন্দরমহলে। ত্রিপুরা তৃণমূলে কান পাতলেই শোনা যাবে দলের বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বকে অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। সব থেকে বড় প্রশ্ন, এভাবেই যদি পরশি রাজ্যে সংগঠন চলতে থাকে তাহলে দলের বিক্ষুব্ধ অংশ কী নতুন কোনও সিদ্ধান্ত নেবে?রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০২৩-এ ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছেন না দলের বড় অংশ। সেক্ষেত্রে বড়সড় দলবদলের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। তবে তাঁরা কোন দলে যাবেন তা-ও চর্চার বিষয়। বিজেপিতে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণই। সিপিএম-কংগ্রেসে যোগ দেওয়াতেও সমস্যা রয়েছে। যদিও রাজনীতিতে কিছুই অসম্ভব নয়। তবে তিপ্রা মথা এই মুহূর্তে সেখানে উদীয়মান শক্তি। তাহলে কী ওই সংগঠনের নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তৃণমূলের একাংশ? তা নিয়েও জোরদার জল্পনা চলছে ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলে।

এপ্রিল ০৪, ২০২২
রাজ্য

সারা ভারত আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় জিমনাস্টিক প্রতিযোগীতায় স্বর্ণ ও রৌপ্য পদক জয় রাজমিস্ত্রির মেয়ে রোজিনার

সরা ভারত আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় জিমনাস্টিক প্রতিযোগীতায় অংশনিয়ে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করলো পূর্ব বর্ধমানের কন্যা রোজিনা মির্জা। ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটি অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এই প্রতিযোগীতা ২৯ মার্চ শুরু হয় পাঞ্জাবের অমৃতসরে। সেখানেই ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় চুড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগীতা। প্রতিযোগীতায় সার্বিক ভাবে দ্বিতীয় স্থান লাভ করার জন্য বঙ্গতনয়া রোজিনা রৌপ্য পদক লাভ করেছে। এছাড়াও টেবিল ভল্টে প্রথম স্থান অর্জন করা ও টিম চাম্পিয়ান হওয়ার জন্যেও রোজিনা দুটি স্বর্ণ পদক ও ট্রফি লাভ করেছে। রোজিনার এই সাফল্যে খুশি তাঁর কোচ, পরিবার পরিজন ও গুরুনানক দেব ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। রোজিনা মির্জার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের রায়নার নাড়ুগ্রাম পঞ্চায়েতের শংকরপুর গ্রামে। তাঁর বাবা মির্জা কাশেম আলী পেশায় রাজমিস্ত্রী। মা সাবিলা মির্জা সাধারণ গৃহবধূ। কাশেম আলীর তিন মেয়ের মধ্যে রোজিনা সবার ছোট। ছোট বয়স থেকেই রোজিনার জিমনাস্টিক্সের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। তখন সে তাঁর কাকা মির্জা হাসেম আলীর সহযোগীতা নিয়ে গ্রামের মাঠে জিমনাস্টিক অনুশীলন করতো। ওই সময়েই জিমনাস্টিকে তাঁর প্রতিভার প্রকাশ ঘটতে শুরু করে। রোজিনা গ্রামের স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করে। এর পর পরিবারের লোকজন তাঁকে কলকাতার সুকান্তনগর বিদ্যানিকেতনে ভর্তি করেন। সেখানে পড়াশুনার পাশাপাশি রোজিনা কলকাতার সাই (Aports Authority of India) জিমনাস্টিকের কোচিং নেওয়াও শুরু করে। কঠোর অনুশীলন চালিয়ে গিয়ে স্কুল জীবনেই রোজিনা জিমনাস্টিকে ৪ বার বেঙ্গল চাম্পিয়ান হয়। পরে ২০১৫ সালে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে রোজিনা স্বর্ণ পদক ছিনিয়ে নিয়ে আসে। কলকাতার স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর সেখানকার কলেজে বি, প্রথম বর্ষে ভর্তি হয় রোজিনা। কলকাতায় অনুশীলন করার সময়ে সে পায়ে গুরুতর চোট পায়। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর পায়ের চিকিৎসা চলে। তার কারণে তাঁর কলেজ যাওয়াও বন্ধ হয়ে থাকে। পায়ের চোট পুরোপুরি সারলে তারপর ২০২০ সালে রোজিনা পাঞ্জাবের গুরুনানক দেব ইউনিভার্সিটি অধীন অমৃতসরে খালসা কলেজে বি এ প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়। পাঞ্জাবে থেকে পড়াশুনা চালিয়ে যাবার পাশাপাশি সেখানে কোচের তত্বাবধানে রোজিনা জিমনাস্টিকের অনুশীলনও চালিয়ে যাচ্ছে।রোজিনা জানিয়েছে, ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটি অ্যাসোসিয়েশন সরা ভারত আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় জিমনাস্টিক প্রতিযোগীতার আয়োজন করে। ২৯ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অমৃতসরে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রতিযোগীতায় দেশের ১৯২ টি বিশ্ববিদ্যালয়েয় প্রতিযোগীরা অংশ নেয়। রোজিনা জানায় সেই প্রতিযোগীতায় আর্টিস্টিক জিমনাস্টিকে সে মহিলা বিভাগে গুরুনানক দেব ইউনিভার্সিটির য়ে প্রতিনিধিত্ব করে। সেই প্রতিযোগীতায় সার্বিক ভাবে সে দ্বিতীয় স্থান লাভ করে রৌপ্য পদক ও ট্রফি পায়। এছাড়াও টেবিল ভল্টে স্বর্ণ পদক ও টিম চাম্পিয়ান হওয়ার জন্যে আরও একটি স্বর্ণ পদক ও ট্রফি পয়েছে বলে রোজিনা মির্জা জানিয়েছে। সর্বভারতীয় স্তরের প্রতিযোগীতায় পদক প্রাপ্তিতে রোজিনা যথেষ্টই খুশি। তবে এখন তাঁর লক্ষ দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে পদক ছিনিয়ে আনা।

এপ্রিল ০৪, ২০২২
সম্পাদকীয়

আলিয়ার ভাইরাল ভিডিও, শিক্ষাঙ্গনে অবহেলিত শিক্ষা ও রাজনীতিকরণ

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় রাজ্যের শিক্ষামহল। ভিডিও ভাইরাল হতে শোরগোল পড়ে যায় সবমহলেই। নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজ্যজুড়ে। ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত গিয়াসুদ্দিন মন্ডলকে। প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যের শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে। ঘটনা ভাইরাল হওয়ার পর তৃণমূল ছাত্র পরিষদ জানিয়ে দিয়েছে, ওই ছাত্রকে তাঁরা তিন বছর আগেই সাসপেন্ড করে দিয়েছে। কিন্তু মূল প্রশ্ন হল ভিডিও ভাইরাল না হলে ওই ঘটনা কী সামনে আসত? নাকি ওই অভিযুক্ত গ্রেফতার হত?একজন উপাচার্যকে চেয়ারে বসিয়ে যে ভাষায় কথা বলা হয়েছে তা কোনও সমাজ বরদাস্ত করতে পারে না বলেই শিক্ষামহলের বক্তব্য। তাহলে কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, এই প্রশ্নই সর্বস্তরে। এর আগে রায়গঞ্জ কলেজ, ভাঙর কলেজসহ নানা কলেজে অবান্তর ঘটনা ঘটেছে। এবারও মাত্রা ছাড়ায়েছে। কলেজে ছাত্র রাজনীতি অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যাওয়ার ফলে ছাত্র সংসদের নির্বাচনই বন্ধ রেখেছে রাজ্য সরকার, এমনই মনে করছেন শিক্ষামহল। তবে শিক্ষাঙ্গনে গুন্ডারাজ যে কমেনি তার হাতে-নাতে প্রমান এই আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা। কোনও সভ্যজগতে কোনও একজন সাধারণ মানুষের সঙ্গেও কী এই ঘটনা ঘটানো যায়? প্রশ্নটা শুধু শিক্ষাঙ্গন নয়। এভাবে হেয়, অপমান করার সাহস কোথা থেকে পায়? বর্বরতার চূড়ান্ত।কোনও ঘটনা ঘটলেই হাত ধুয়ে নিতে উঠে-পড়ে লোকজন। যে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তার নিন্দার কোনও ভাষা হতে পারে না। বাম আমলের মতো এখনও রাজনীতির হাত থেকে রেহাই পায়নি শিক্ষাক্ষেত্র। উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও বিস্তর প্রশ্ন রয়েছে। বামেদের সময়েও ছিল। লবির লোক ছাড়া নাকি উপাচার্যই হওয়া যায় না বলে অভিযোগ। শিক্ষার মান সেখানে প্রশ্নের মুখে পড়তে বাধ্য। শিক্ষাক্ষেত্রে শাসন সেখানে থাকতে পারে না। শিক্ষাঙ্গন প্রকৃতই যেদিন রাজনীতিকরণ মুক্ত হবে সেদিন সুস্থ শিক্ষাব্যবস্থা সম্ভব। এই অভব্য ছাত্রসমাজের পিছনে কে বা কারা রয়েছে। সেই সব খতিয়ে দেখলে কেঁচো খুড়তে কেউটে বের হবেই। প্রথমত ছাত্রসমাজকে অহেতুক রাজনীতিতে অপব্যবহার তার সঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কে কার লোক। অতএব চিৎকার, চেঁচামেচি জুড়ে কিছু হবে না। নিন্দা করে কোনও লাভ হবে না। একমাত্র সিস্টেমের বদলই পারে শিক্ষাঙ্গণে প্রকৃত মানুষ তৈরি করতে। অন্যায় রাজনীতিকরণ বন্ধ না হলে কেউ ঘটনা নিয়ে হাত ধুয়ে ফেলবে, একদল নিন্দার ঝড় তুলবে। কাজের কাজ কিছুই হবে না।

এপ্রিল ০৩, ২০২২
রাজ্য

২ বছর পর রাজ্য থেকে উঠছে সমস্ত করোনা বিধিনিষেধ

দীর্ঘ দু-বছর পর বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে রাজ্যে করোনার সমস্ত বিধিনিষেধ উঠে গেলো। করোনার গ্রাফ নিম্নমুখী হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে সমস্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন। করোনার প্রকোপ কমতে শুরু করার পর থেকে ধাপে ধাপে সমস্ত বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে এতদিন রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বহাল ছিল কড়াকড়ি। এই সময়ে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ ও যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ছিল।তবে এবার আর কোনও বিধিনিষেধই থাকছে না।আবারও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে রাজ্য।করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলিয়ে ওঠার পর থেকেই দেশে নিম্নমুখী সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত করোনাবিধি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। দেশজুড়ে জারি থাকা মহামারি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।এবার সেই পথেই হাঁটল রাজ্য।তবে করোনার বিধিনিষেধ উঠলেও মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

মার্চ ৩১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

কেন জরিমানার কবলে উইলিয়ামসন?‌ তাঁর আউট নিয়ে তীব্র বিতর্ক

গত বছর আইপিএলে একেবারেই ভাল করতে পারেনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এবছর ভাল দল গড়ে সাফল্য পাওয়াই মূল লক্ষ্য ছিল। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই হারতে হয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে। সঞ্জু স্যামসনের রাজস্থান রয়্যালস সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে উড়িয়ে দিয়েছে ৬১ রানে। হারের পাশাপাশি আরও একটা বড় ধাক্কা খেয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দলের মন্থর বোলিংয়ের জন্য ১২ লক্ষ টাকা জরিমানা হয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের।এবারের আইপিএলে অবশ্য কেন উইলিয়ামসনকে প্রথম জরিমানার কবলে পড়তে হয়নি। এর আগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মারও মন্থর বোলিংয়ের জন্য জরিমানা হয়েছে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওভার শেষ করতে পারেনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তাই দলের অধিনায়ককে জরিমানার কবলে পড়তে হয়েছিল। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অধিনায়ক উইলিয়ামসনও একই অপরাধে অভিযুক্ত।আইপিএলের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২৯ মার্চ পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে আইপিএল ২০২২এর ম্যাচে স্লো ওভার রেটের কারণে জরিমানা করা হয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে। ন্যূনতম ওভার রেটের ব্যাপারে যেহেতু এটা দলের প্রথম ভুল তাই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে ১২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দ্বিতীয়বার আবার একই অপরাধ হলে, আরও বড় শাস্তি পেতে হবে উইলিয়ামসনকে।এদিকে, রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে উইলিয়ামসনের আউট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তাঁর ক্যাচ নিয়ে সন্দেহ থাকা সত্ত্বেও উইলিয়ামসনকে যেভাবে আউট দিয়েছেন আম্পায়ার, বেশ অসন্তুষ্ট হায়দরাবাদ শিবির। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের বলে উইলিয়ামসনের ক্যাচ ধরার জন্য ঝাঁপিয়েছিলেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। বল তাঁর গ্লাভস থেকে বেরিয়ে যায়। সেই বল ধরেন দেবদত্ত পাড়িক্কল। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, দেবদত্তর হাতে জমা পড়ার আগে বল মাটি স্পর্শ করেছে।উইলিয়ামসনের বিতর্কিত ক্যাচের ব্যাপারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ হেড কোচ টম মুডি বলেন, উইলিয়ামসনকে আউট দেওয়ায় আমরা অবাক হয়ে যাই। টিভিতে রিপ্লে দেখার পর সন্দেহ আরও ওটা আউট নয়। যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেটা সবাই দেখেছে।

মার্চ ৩০, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • ...
  • 30
  • 31
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

লালগোলা রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রথযাত্রা, রাস্তায় মানুষের ঢল

সীমন্তের গঞ্জ শহর লালগোলা রাজবাড়ির রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার মানুষের বড় উন্মাদনা। ফলে রাজবাড়ির রথের রশি টানতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন সাধারন মানুষ থেকে ভক্তগন। নিয়ম মেনে রাজবাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে পুজাপাঠের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথ বাজারে মাসির বাড়ি পৌঁছয় জগন্নাথ দেব। সেই সঙ্গে রাজ বাড়ির রথকে ঘিরে বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস পরিনত হল সম্প্রীতির মহোৎসবে। রাজপরিবার সুত্রে জানা যায়, পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে তৈরি করান লালগোলার মহারাজা মহেশ নারায়ণ রায়। অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে জানা যায়। লালগোলা রাজ পরিবারের কূল দেবতা দধিমানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয়। রথের দিন তাঁকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়, সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি। রথ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে। সাকার্স রথমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। শিশু কিশোরদের জন্য বসে হরেক কিসিমের নাগরদোলা। মহিলাদর জন্য সংসারের টুকিটাকি থেকে আধুনিক রেস্তোরাঁ। যেখানে পাওয়া যায় ভিন রাজ্যের খাবারের হরেক পদ। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অজয় ঘোষ বলেন , লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে। ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন।রথের কদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি লালগোলাতে ফেরেন বিবাহিত মহিলারা। এখানেই লালগোলার রথের বিশেষ মাহাত্ম্য। এদিকে রথের দঁড়িতে টান দিতে অন্যান্যদের সঙ্গে সমবেত হন সারজামান শেখ, সাহিল শেখ, ফিরোজ হোসেনদের মতো অনেকেই। তাদের দাবি, রাজ বাড়ির রথের সঙ্গে এলাকার মানুষের শেকড়ের সম্পর্ক। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে থেকেও বড় হয়ে ওঠে ভাবের আদান প্রদান,সম্প্রদায়ের মেল বন্ধন। তাছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় সব মানুষ মেতে ওঠেন সমান ভাবে। লালগোলা রাজবাড়ির রথের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথ কে ঘিরে জেলার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। নশিপুর রাজবাড়ির রথের ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। রথের মেলায় রকমারি ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যায়। ফলে গাছ প্রেমী মানুষের আকর্ষণ রয়েছে নশিপুর রাজবাড়ি মেলার প্রতি।

জুন ২৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতার 'ল কলেজে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ, গ্রেফতার ৩, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

কসবা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র নেতা মনজিৎ মিশ্র সহ অন্যান্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্ত জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখার্জি। মনজিৎ মিশ্র ওই ল কলেজের প্রাক্তনী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিল এবং বাকি দুজন সেখানকার পড়ুয়া। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো হয় ২৫ জুন, বুধবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষিতার মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিও রেকর্ডিং করে ভয় দেখায় অভিযোগকারীরা। পরবর্তীতে ধর্ষিতা যাতে অভিযোগ না জানান, তার জন্যও নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় এবং অভিযোগের এফআইআর কপিতে অভিযুক্তদের নাম দেওয়ার বদলে তাদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অভিযোগ লেখা হয়। এমন ঘটনা বোধহয় কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ঘটা সম্ভব। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। বিজেপির দাবি, কসবার গণধর্ষণের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা নয়, এটি অভয়া ধর্ষণ কান্ডের পর এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার আবারও এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে ছোটখাটো বলে উপেক্ষা করেন, যা রাজ্যে এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাঁর এই মনোভাব পুলিশ প্রশাসনকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে অপরাধীরা নির্ভয়ে এই ধরনের কাজ করে। রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কলকাতার মতো শহরে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কার্যালয় রয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ বোধ করবে?২০২৪ সালে আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। রাজ্য সভাপতি সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আরজি করের ঘটনায়ও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। এখনও তিনি একই ভুল করছেন।পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখায়, যার ফলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ অপরাধীদের ধরা, কিন্তু তারা শাসক দলের নেতাদের সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত।এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বারবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয় ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী । মনোজ ভার্মা থেকে শুরু করে বিনীত গোয়েল এবং বাকি সব পুলিশ দিঘায় রয়েছে । পুরো কলকাতা পুলিশকে নিয়ে চলে গিয়েছে ওখানে। দিঘায় তো লোকই হয়নি৷ তাই জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। বিজেপি এই বিষয়টা নিয়ে লড়বে। খুব বড় পদক্ষেপ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সরকারকে উচিত শাস্তি দেওয়া উচিত।এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পা ৷ তিনি বলেন, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। অভয়ার ঘটনার পরে দশ মাসও কাটেনি আজকে আরেক অভয়া বোনের গণধর্ষণ হয়ে গেল। এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার।এদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ল কলেজের ঘটনাকে ঘৃণ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্তরা কেউ তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসিপির নেতৃত্বে নেই। দলের সঙ্গে এখন তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আর অভিযুক্তদের সঙ্গে নেতাদের ছবি প্রসঙ্গে তৃমূলের দাবি, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহু অপরাধীদের ছবি দেখা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

রথযাত্রা ও জিলিপি বাংলার সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ

রথ দেখতে গিয়ে কলা না বেচলেও জিলিপি খাননা এরকম মানুষ মেলা ভার। রথযাত্রা ও জিলিপির সম্পর্কটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়, রথযাত্রা মানেই একটি উৎসব, আর এই উৎসবের অনিবার্য অংশ হচ্ছে জিলিপি।কেন রথযাত্রায় জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ?ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: জিলিপি একটি বহু পুরনো ও জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ভোগ ও প্রসাদে মিষ্টির ব্যবহার প্রচলিত, এবং জিলিপি তার মধ্যে একটি প্রধান আইটেম।উৎসবের আনন্দে শামিল হওয়া: রথযাত্রার দিন সকালে বা রথ টানার পর জিলিপি খাওয়ার প্রথা বহু জায়গায় প্রচলিত। এটি যেন রথের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।জাগন্নাথদেবের ভোগ: ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের জন্য যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়, তাতে নানা রকমের মিষ্টির মধ্যে জিলিপির মতো মিষ্টিও থাকে (যদিও সেখানে জিলিপিকে স্থানীয়ভাবে অন্য নামে ডাকা হতে পারে)।লোকাচার ও বাজার সংস্কৃতি: বাংলার বিভিন্ন মেলাতে যেমন রথের মেলা হয়, সেখানে জিলিপি ও অন্যান্য মিষ্টি খাবার বিক্রি হয় ব্যাপকভাবে। এটি এক ধরনের লোকাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে রথ মানেই জিলিপি!রথ ও জিলিপির সম্পর্ক হলো উৎসব, ভক্তি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। রথ টানার পর একগাদা গরম জিলিপি খাওয়ার আনন্দ বাঙালির হৃদয়ে বিশেষভাবে গেঁথে আছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal