• ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, সোমবার ২৪ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Marriage

রাজ্য

শোভন–রত্নার ডিভোর্স মামলা খারিজ, কী জানাল আদালত?

কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র ও রাজনীতিবিদ শোভন চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক দায়ের করা বিবাহবিচ্ছেদ (ডিভোর্স) মামলা খারিজ হয়েছে আলিপুর আদালতে। পাশাপাশি, স্ত্রীর (রত্না চট্টোপাধ্যায়) একসঙ্গে থাকার আবেদনটিও বাতিল করা হয়েছে। আইনি বিবাহবিচ্ছেদ না হলে, দাম্পত্যে আইনি বিচ্ছিন্ন অবস্থাই গণ্য হবে।২০১৭ সাল থেকে মামলাটি চলছে, দীর্ঘ আট বছর পর আদালতের এই রায় এসেছে।শোভন চট্টোপাধ্যায় তার আবেদনপত্রে রত্নার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনেছিলেনযেমন: সন্তানদের দেখাশোনা না করা, অর্থ/সম্পত্তি তছনছ করা, মানহানির অভিযোগকিন্তু এসব প্রমাণ করতে পারেননি আদালতে। তাই রায় ফিরে গেছে।অন্যদিকে, রত্নার একসঙ্গে থাকার দাবি বা আবেদনের ক্ষেত্রেও আদালত সাড়া দেয়নি।ফলে সে দাবি খারিজ হয়েছে। আলিপুর আদালতের বিচারক স্পষ্ট জানিয়েছেন, যে শোভনের অভিযোগ আইনগতভাবে প্রমাণ যোগ্য নয়; তাই ডিভোর্স দেওয়া হবে না। একইসঙ্গে, সেপারেট থাকার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেনআইনে বিবাহিত আবারও একসাথে থাকার নির্দেশ নেই। একটি বাংলা সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছেডিভোর্সের আবেদনে যে যুক্তিগুলো দাখিল করা হয়েছিল, তাতে আদালত সন্তোষজনক প্রমাণ না পাওয়ায় শোভন এবং রত্নার বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকার রায় দিয়েছেন।

আগস্ট ২৯, ২০২৫
রাজ্য

'অরুণিমা'র ছটায় স্কুল ড্রপআউট, বাল্যবিবাহ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মাতৃত্বের সংকট থেকে অন্ধকার দূরীকরণ লড়াই

পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ এবং বেশ কিছু শহরতলি অঞ্চলে এক নতুন সামাজিক সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে - স্কুলছুট মেয়েদের সংখ্যা বাড়ছে, যা পরোক্ষভাবে বাল্যবিবাহ এবং অল্পবয়সে সন্তান ধারণের হারকেও উদ্বুদ্ধ করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই তিনটি বিষয় একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত এবং রাজ্যের নারী-স্বাস্থ্যের পাশাপাশি সামগ্রিক উন্নয়নকেও প্রতিকূলভাবে প্রভাবিত করছে।রাজ্যের কিছু জেলার ৮ম শ্রেণি বা ১০ম শ্রেণির পর মেয়েদের স্কুলছুট হয়ে পড়ার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। আর্থিক অনটন, পরিবারের পুরাতন সামাজিক ধারণা, এবং বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাব, এই সবই এর পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে (NFHS-5) অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ অঞ্চলে এখনও প্রতি তিনটি মেয়ের মধ্যে একটি মেয়ে ১৮ বছরের আগেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। অনেক ক্ষেত্রে পরিবার স্কুলছুট মেয়েদের দায় মনে করে, এবং যত দ্রুত সম্ভব তাদের বিবাহ দিয়ে দিতে চায়।এই বাল্যবিবাহের পরিণতি হিসেবে ১৬-১৮ বছরের বহু কিশোরী মা হয়ে উঠছে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সম্পূর্ণ প্রস্তুত না থাকা অবস্থায় মাতৃত্ব গ্রহণের ফলে বাড়ছে মাতৃমৃত্যুর হার, অপুষ্ট শিশু জন্ম এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য জটিলতা। সমাজতাত্ত্বিক ও শিশু অধিকারকর্মীরা বলছেন, স্কুলশিক্ষার অকাল সমাপ্তি মানে শুধু পড়াশোনার শেষ নয়এটা একসময়ে সেই কিশোরীর আত্মবিশ্বাস, স্বাস্থ্য, স্বপ্ন, এমনকি জীবনের নিরাপত্তার পরিণতিও নির্ধারণ করে দেয়।বিশেষজ্ঞরা বলছেন কন্যাশ্রী ও সবলা মতো সামাজিক প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার চালু করেছে, অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রকল্পগুলি তথ্যের অভাবে সর্বস্তরে পৌঁছায় না। বিদ্যালয়স্তরে মনোবিদ ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালানো অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। ঠিক সেই সমস্যার গভীরে গিয়ে তার গুরুত্ব বুঝে জেলার সদর শহর থেকে ২৫ কিমি দুরে এক প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের এক শিক্ষিকার লড়াইকে সম্বর্ধিত করল স্থানীয় প্রশাসন।১৭ জুলাই, বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি-২ ব্লকের পাহাড়হাটী বাবুরাম গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অরুণিমা মুখোপাধ্যায়কে মেমারি-২ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাল্যবিবাহ-রোধ, স্কুলছুট মেয়েদের আবার পড়াশোনার আবহে ফিরিয়ে আনা ও স্কুলের মেয়েদের বিভিন্ন ভাবে প্রশিক্ষিত করা এবং সার্বিক শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য সম্বর্ধিত করা হয়। অরুণিমা নিজে একজন প্রথিতযশা নৃত্য শিল্পী। কত্থক নৃত্যে রাজ্যস্তরে বহু গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে সুনিপুণ নৃত্যকলা পরিবেশন করেছেন। বর্তমানে তাঁর স্কুল বাবুরাম গার্লস হাই স্কুলে-ই তাঁর ধ্যানজ্ঞান শিক্ষিকা অরুণিমা মুখোপাধ্যায় জনতার কথাকে বলেন, আমি পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি দুই নম্বর ব্লকের অন্তর্গত পাহাড়হাটি বাবুরাম গার্লস হাইস্কুলের একজন শিক্ষিকা। গত আট বছর ধরেই আমি স্কুল ছুট এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করে চলেছি সক্রিয়ভাবে। তিনি আরও বলেন, পাহাড়হাটি বাবুরাম গার্লস হাইস্কুলে একটি কন্যাশ্রী আনন্দ ক্লাব গঠন করেছি। তার সদস্যরা আমাদেরই ছাত্রী। তাদেরকে নিয়ে নিরলসভাবে এই কাজটি করে চলেছি। অরুণিমা বলেন, প্রান্তিক পরিবার এবং গরিব পরিবারের মেয়েরা যেহেতু বাল্যবিবাহে বেশি জড়িয়ে পড়ছে, তাই তাদেরকে স্কুল শ্রেণীকক্ষে ফিরিয়ে আনা আমার মূল লক্ষ্য এবং পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে আমি সচেতন করার চেষ্টা করে চলেছি। চাইল্ড ম্যারেজ এবং চাইল্ড প্রেগনেন্সির ক্ষেত্রে তাদের মেয়ের জীবনটা কতখানি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে পরবর্তীকালে সেটা বোঝানোর চেষ্টা করছি। অনেকজনকেই ফিরিয়ে আনতে পেরেছি ক্লাসরুমে। তিনি জানান, মেমারি-২ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে সম্বর্ধনা পেয়েছি এতে আমি খুবই আনন্দিত এবং আপ্লুত। এই পুরস্কার আমাদের লড়াইকে আরও জোড়ালো করতে সাহায্য করবে। অরুণিমা জানান, এই কাজে আমি সবসময়ই মেমারি-২ নম্বর ব্লক প্রশাসন, এসআই অফিস, বিজুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতকে পাশে পাচ্ছি। সর্বোপরি আমার পাহাড়হাটি বাবুরাম গার্লস হাইস্কুলের সহকর্মী ও বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সকল সদস্যদের পাশে পাচ্ছি। অরুণিমা বলেন, আমাদের এই লড়াই যাঁদের সাহায্য ছাড়া সম্ভব হত না সেই ছাত্রীদের সাহায্য সবচেয়ে বেশী পাচ্ছি। তারা নিজেদের মধ্যেই সচতেনতা প্রসার করছে সেটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় পাওনা এবং খুবই আনন্দের বিষয়। তিনি জানান, একজন শিক্ষিকা ও বিদ্যালয়ের প্রধান হিসাবে এটা আমার প্রাথমিক দায়িত্ব। তিনি অঙ্গীকার করেন, সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন ও শিক্ষা ও সচতেনতা বাড়ানোর এই প্রয়াস তাঁর অব্যহত থাকবে।

জুলাই ১৯, ২০২৫
রাজ্য

জার্মানী গিয়ে চুপিসারে বিয়ে সেরেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, পাত্র কে?

তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র সুদূর জার্মানী গিয়ে বিয়ে করেছেন। ওড়িশার প্রাক্তন বিজু জনতা দলের (বিজেডি) সাংসদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পিনাকী মিশ্রের গলায় মালা দিয়েছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। দুজনেই ডিভোর্সী। এক মাস আগে চুপিসারে এই বিয়ে সেরেছেন মহুয়া-পিনাকী।গত ৩০ মে একটি সাধারণ অনুষ্ঠানে তাঁরা বিয়ে করেছেন। কৃষ্ণনগরের দুই বারের তৃণমূল সাংসদ এর আগে লার্স ব্রোসনকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু পরে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। তিনি বিদেশী বড় সংস্থায় কাজ করেছেন। ৫০ বছর বয়সী মহুয়া নগদ অর্থের বিনিময়ে জিজ্ঞাসা করেছেন, যার ফলে লোকসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে লোকসভা থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে উপহার এবং নগদ অর্থ গ্রহণ করেছিলেন। তার পার্লামেন্ট লগইন আইডি শেয়ার করার এবং তার পক্ষে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার বিনিময়ে। ১৯৭৪ সালে আসামের কাছাড় জেলায় জন্ম মহুয়া মৈত্রের। চা চাষীদের পরিবারে বেশ সচ্ছলভাবে বেড়ে ওঠেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের একটি কলেজ থেকে অর্থনীতি ও গণিতে ডিগ্রি অর্জন করেন। কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে আসার পর তিনি প্রথমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি ২০০৮ সালে প্রথম কংগ্রেসে যোগ দেন, যেখানে দল তাকে রাহুল গান্ধীর আম আদমি কা সিপাহি (সাধারণ মানুষের সৈনিক) বুথ-স্তরের প্রচারণার নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দেয়। মৈত্রের স্বামী পিনাকী মিশ্র ওড়িশার একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৯৬ সালে পুরী থেকে কংগ্রেসের সাংসদ হন। একজন প্রবীণ আইনজীবী হিসেবে তিনি পরবর্তীতে নবীন পট্টনায়েকের বিজেডিতে যোগ দেন এবং ২০০৯ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে পুরীতে আবার জয়লাভ করেন এবং দিল্লিতে দলের মুখ হন।

জুন ০৬, ২০২৫
রাজ্য

বনগাঁয় নাবালিকার বিয়ে আটকাল পুলিশ, কেন হচ্ছিল এমন গোপন আয়োজন?

একেবারে গোপন করে অন্যত্র তোরজোড় চলছিল নাবালিকার বিয়ের। কিন্তু শেষমেশ সেই বিয়ে আটকে গেল। বসিরহাটের হাসনাবাদের নবম শ্রেণীর এক নাবালিকাকে বনগাঁয় ছেলের বাড়িতে এনে বিয়ের ব্যবস্থা করেছিল দুই পরিবার। আজ তাদের বিয়ের কথা ছিল। বিয়ে উপলক্ষে সেজে উঠেছিল ছেলের বাড়ি। কিন্তু আজ দুপুরে সেই বিয়েই আটকে দিল বনগাঁ থানার পুলিশ ও পৌর প্রশাসন। ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত নাবালিকার বিয়ের ব্যবস্থা করবে না বলে ওই দুই পরিবার প্রশাসনকে মুচলেখা দিল। মেয়ের পরিবারের দাবি, দুবছর আগে বাবা মারা গিয়েছে, বাড়িতে অসুস্থ দাদা। কোনওরকমে দিন গুজরান করেন মা। মায়ের আয়ে সংসার চলে না। তাই বাধ্য হয়ে মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করেছে তাঁরা। ছেলের পরিবারের দাবি, ছেলের বিয়ের জন্য মেয়ে দেখছিলাম। অসহায় গরিব পরিবারের মেয়ে দেখে বিয়ে দিতে রাজি হয়েছিলাম। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত এই বিয়ে হবে না। প্রশাসনের অনুমতি থাকলে দুই পরিবারের মধ্যে যাতায়াত থাকবে।

মার্চ ০৬, ২০২৫
রাজনীতি

কাউন্সিলরকে 'বিয়ের প্রস্তাব' ঘিরে বিরাট বিবাদ গড়াল থানা পর্যন্ত, পাল্টা অভিযোগ তৃণমূল নেতার

দলেরই কাউন্সিলরকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ শেষমেশ এলাকারই দাপুটে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, তা থানা পর্যন্ত গড়িয়েছে। তরুণী কাউন্সিলর তাঁর এই অভিযোগ দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। এদিকে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল নেতা। উল্টে তাঁর দলেরই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগণার রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডের।এই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এলাকারই তৃণমূল নেতা প্রতীক দের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ করেছেন তিনি। পাপিয়া বলেন, প্রতীক দে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। বিভিন্নভাবে আমাকে অপদস্থ করেছেন। আমি প্রতিবাদ করতে গেলে প্রতীক দে ও তাঁর সঙ্গীরা আমাকে ওয়ার্ড থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়। আমার বাড়ির সামনে গালিগালাজ করে ও আমাকে পদত্যাগ করতে বলে। আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে। গভীর রাতে আমার বাড়িতে হামলার প্রমাণ আছে আমার কাছে। আমি সেই ভিডিও দলের উচ্চ নেতৃত্বকে পাঠিয়েছি। প্রতীক দে আমাকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা করে ভাগ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। আমি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করি। স্থানীয় প্রশাসনকে আমি বিষয়টি জানিয়েছি।যদিও কাউন্সিলরের তোলা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা প্রতীক দে। তাঁকে ফাঁসাতেই কাউন্সিলরের এই অভিযোগ বলে পাল্টা দাবি তাঁর। এব্যাপারে দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কিংবা প্রশাসনের তদন্তেই আস্থা রয়েছে তাঁর।তৃণমূল নেতা প্রতীক দের কথায়, অভিযোগ যে কেউ করতেই পারেন। ওঁর অভিযোগের কি সত্যতা আছে সেটা ওঁকেই প্রমাণ করতে হবে। দলের উচ্চ নেতৃত্ব ওঁকে ডেকেছিল উনি যাননি। দল তদন্ত করুক। আমি যে কোনও তদন্তের জন্য তৈরি আছি। আমাকে অপদস্থ করার চেষ্টা হচ্ছে। ওয়ার্ড কমিটিকে মাসে ১ লক্ষ টাকা করে পৌরমাতা তুলে দিতে বলেছিলেন। টাকা না তুলে দিলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি পর্যন্ত উনি দিয়েছেন। গত তিন মাস ধরে পার্টি অফিসে দলের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। পার্টিকর্মীদের সঙ্গে ওঁর বিরোধিতা তৈরি হয়েছে।

ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩
রাজ্য

বর্ধমানের বর ও বাংলাদেশের কনে, কাঁটাতার টপকে ঘর বেঁধেও হল না শেষরক্ষা

কথায় আছে বর্ধমানের বর আর বরিশালের কনে। এই জুটি ছিল নাকি সেরা জুটি। সোশাল মিডিয়ার বদান্যতায় জোরালো হয়েছে প্রেমের বাঁধন। দালাল চক্র ধরে কাঁটাতার পেরিয়ে বর্ধমানে এসে প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রেমিকা। কিন্তু দুজনেই এখন শ্রীঘরে। অভিযোগ, বেআইনি ভাবে এদেশে এসেছেন প্রেমিকা নূরতাজ আক্তার মিম।প্রেমিকের টানে কাঁটাতার টপকে অবৈধ ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে বিয়েটাও সেরে ফেলেছিল পড়শি দেশের প্রেমিকা। কিন্তু সংসার আর জমে উঠল না। অভিযোগের পরিপেক্ষিতে বর্ধমান থানার পুলিশ প্রেমিক ও প্রেমিকা দুজনকেই গ্রেপ্তার করেছে। ধৃত প্রেমিকা নূরতাজ আক্তার মিম। আর প্রেমিক বর্ধমান শহরের তেঁতুলতলা এলাকার যুবক শেখ সামিম।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ১৮-এর প্রেমিকা নূরতাজ আক্তার মিমের বাড়ি বাংলাদেশের নারায়নগঞ্জ জেলার এনায়েতনগরে। বর্ধমানের তেঁতুলতলার ২২ বছরের যুবক শেখ সামিমের সঙ্গে ফেসবুকের বন্ধুত্বের সম্পর্ক প্রেমের সম্পর্ক রূপ নেয়। তারপর থেকেই প্রেমিকের টানে ভারতে আসার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে নূরতাজ। মাস তিনেক আগে বাংলাদেশের এনায়েতনগর থেকে বনগাঁ বর্ডার পৌছে যায় অষ্টাদশি নূরতাজ। দালাল ধরে এর পর সে অবৈধ ভাবে বর্ডার পার হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। অভিযোগ, এই কাজেও নাকি তাঁকে সাহায্য করে প্রেমিক সামিম। বর্ডার টপকেই নূরতাজ তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে বর্ধমানের উদ্দশ্যে রওনা হয়। তেঁতুলতলায় প্রেমিকের বাড়িতেই সে ওঠে। সেখানে মুসলিম শরিয়ত অনুযায়ী তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু আইনের গেরোয় তাঁদের সংসারে আপাতত ছেদ পড়েছে।এদিন দুজনকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হলে বিচারক দুজনের জামিন নামাঞ্জুর করে জেল হেপাজতে পাঠিয়ে দেয়। ১ জুলাই ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

জুন ২৬, ২০২৩
রাজ্য

‘ভ্রান্তিবিলাস’ র পুনঃনির্মান! বর্ধমানে একই দিনে দুই যমজ বোন বিয়ে করলেন দুই যমজ ভাইকে!

জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে। তিন বিধাতা নিয়ে। বিধির বিধানেই বোধহয় এই অসামান্য সমাপতন। একেবারে পালটি ঘরে বিয়ে দুই যমজ বোনের। পাত্র দুজনেও যমজ ভাই। আবার দু তরফেরই বাড়ি একই বিধানসভার এলাকায়। পাত্রীরা ভাতারের। পাত্ররা কুড়মুনের।সেক্সপিয়রের কমেডি অফ এররস থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে একসময় সিনেমা, যাত্রা, থিয়েটারে প্রচুর কাহিনী তৈরি হয়েছে। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যসাগরের লেখা ভ্রান্তিবিলাস নিয়ে বাংলা ও হিন্দিতে দুটি ছায়াছবি হয়েছে। হয়েছে টেলিফিল্ম। বাস্তবেও যে এমনটা হতে পারে তা ভাবাই আশ্চর্যের। কিন্তু ঠিক তেমনটাই ঘটল পূর্ব বর্ধমানের ভাতার এলাকায়। দুই যমজ বোন মালা বদল করল দুই যমজ ভাইয়ের সাথে। একেবারে চার নয় আট হাত এক হল একই ছাদনাতলায়। এ ঘটনা চমকপ্রদ বলেই ভাইরাল সমাজ মাধ্যমেও। তাঁদের পোশাকের মিল ও দেখার মত, দুই পাত্র পরেছিলেন নিল রঙ্গের পাঞ্জাবী আর নববধূদ্বয়ের পড়নে ছিন একই রঙ্গের বেনারসি। নববধূর ওড়না থেকে মাথার মুকুটটি পর্যন্ত ছিল একই।যমজ বোনের একই দিনে বিয়ে! তাও আবার যমজ ভাইয়ের সাথে? খুঁজে খুঁজে তা সম্ভব করেছেন নিজেরাই! কিভাবে হলো সম্ভব? রবিবার বিয়ে হয়েছে ওই দুই বোনের। সদ্য কলেজ শেষ করেছে দুইবোন, এবার তো তাদের বিয়ের পালা। এই দুইবোন সব সময় ছোট থেকে এক সাথে থেকেছে। তারা একে অপরকে ছাড়তে রাজি নয়। বাড়ির লোকেরা ভেবেছিলেন একই বাড়িতে বিয়ে দেওয়া হবে তাদের। কিন্তু এ যে মেঘ না চাইতেই জল। শুধু এক বাড়ির ছেলে নয়, কাকতালীয় ভাবে পাত্ররাও যমজ। মেয়েদের নাম অর্পিতা এবং পারমিতা। দুই বরের বাড়িও আবার পুর্ব বর্ধমান জেলারই কুড়মুন এলাকায়। সেটাও ভাতার বিধানসভা এলাকায়। তাদের নামেও আবার বেশ মিল। দুই ভাইয়ের নাম লব এবং কুশ। তাই সব যখন মিলেই গেল তখন মিলে গেল ওদের ভাগ্য।সামাজিক মাধ্যমে অনেকে মজা করে বলছেন, বিবাহিত জীবনে আবার চিনতে অসুবিধা হবে না তো! তা নিয়ে তাঁরা একেবারেই চিন্তিত নন। এই অদ্ভুত জুটি নিয়ে সাড়া পড়েছে এলাকায়। একেই বোধহয় বলে পালটি ঘরে বিয়ে। গত দুদিন ধরে সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল এই বিয়ের ছবি। একই ছাদের তলায় এখন একই চেহারার দু ভাই। যারা এখন ভায়রা। আর দুই বোন। এখন থেকে যারা দুই জা। চারদিকে ছড়িয়ে গেছে এই আশ্চর্য বিয়ের কাহিনী।

ডিসেম্বর ০৭, ২০২২
রাজ্য

চাইল্ড লাইনের তৎপড়তায় আটকালো নাবালিকার বিবাহ

চাইল্ড লাইনের সহযোগিতায় এক নাবালিকার বিয়ে রুখলো প্রশাসন। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার পূর্ব বর্ধমানের মেমারির মণ্ডলগ্রামে। এক নাবালিকা পাশের গ্রাম একটা যুবকের সঙ্গে বিয়ে করে তার বাড়িতে চলে যায়। এরপরে চাইল্ড লাইনের কাছে সেই খবর আসে। শনিবার চাইল্ড লাইনের আধিকারিক মেমারি ২ নম্বর ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক এবং মেমারি থানার সাতগেছিয়া পুলিশ ফাঁড়ি আধিকারিকদের সহযোগিতায় ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে ফিরিয়ে দেন।নাবালিকা মেয়েটিকে বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে, অপ্রাপ্ত বয়সে বয়সে বিবাহের কুফল বিষদে বোঝান চাইল্ড লাইন টিমের সদস্যরা। পাশাপাশি ১৮ বছরের আগে তার বিয়ে দেওয়া না হয় সে বিষয়ে তার পরিবারকে বোঝান উপস্থিত আধিকারিক।

ডিসেম্বর ০৫, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে কঙ্কালেশ্বরী কালিমন্দির প্রাঙ্গনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন ১০১ জোড়া পাত্রপাত্রী

বর্ধমানের কঙ্কালেশ্বরী কালিমন্দির প্রাঙ্গনে রবিবার রাতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন ১০১ জোড়া পাত্রপাত্রী। এই মহাযজ্ঞের আয়োজন করেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। কাউন্সিলর থাকাকালীন তিনি কঙ্কালেশ্বরী কালিবাড়ি গণবিবাহ কমিটির মাধ্যমে এই গণবিবাহ শুরু করেন। এটা নবমতম বর্ষ। এদের মধ্যে ১৪ জোড়া মুসলিম বাকিরা সবাই হিন্দু। নিজের নিজের ধর্মের নিয়ম মেনেই বিয়ে হল তাদের।এদিনের বিয়ের আসরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও চন্দ্রনাথ সিনহা। ছিলেন জেলা সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সাংসদ সুনীল মণ্ডল, সাংসদ অসিত মাল, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই চন্দ্র সাহা, জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, জেলার পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন। ছিলেন বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় সহ আরো একঝাঁক বিধায়ক।গণবিবাহ হলেও আয়োজনের খামতি ছিল না। সকাল থেকেই কাঞ্চননগর সহ শহরে ছিল সাজোসাজো রব। বেশ সুন্দর করে মণ্ডপ সাজানো হয়। ছিল আলোকসজ্জা আর সাউণ্ড সিস্টেম।বেলা গড়াতেই টোটো চেপে হাজির হন বরসহ বরযাত্রীরা। তেমনি কনের বাড়ির লোকেরাও হাজির হন। উপস্থিত ছিলেন পুরোহিত ও কাজীরা। যেমন তেমন করে বিয়ে কিন্তু হয়নি। আয়োজকরা সব খরচ দিয়েছেন। পাত্র ওঁ পাত্রীকে দেওয়া হয়েছে সোনার আংটি আর নাকছাবি। যৌতুক হিসাবে দেওয়া হয়েছে কালার টিভি, বিছানা, সাইকেল, সেলাই মেশিন থেকে আরো অনেক দানসামগ্রী। আর দেওয়া হয়েছে জীবন বিমার পলিসি। দেওয়া হয়েছে চাল, আলু, আটা থেকে একমাসের মত রেশন। এছাড়াও পাত্রপক্ষ ও কনেপক্ষের পঞ্চাশজন আত্মীয়ের ভুরিভোজের ব্যবস্থা ও ছিল।

ডিসেম্বর ০৫, ২০২২
রাজ্য

অভিনব অঙ্কনে বাল্যবিবাহ রোধে প্রচার সরকারি আধিকারিকের

বাল্যবিবাহ তৃতীয় বিশ্বের এক ভয়ানক ব্যাধি। এর কু-প্রভাব সুদুরপ্রসারী। সাধারণভাবে বাল্যবিবাহ হল অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই মানুষের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ভাবে বা বিনা অনুষ্ঠানের বিবাহ। বর্তমান ভারতবর্ষে বিবাহের জন্য ছেলেদের আইনত বয়স হতে হবে ২১ বৎসর, এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮। ১৯৩০ এ বিবাহের জন্য নুন্যতম বয়স ছিল ছেলেদের ১৮ ও মেয়েদের ১৪। ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৪৯ এ মেয়েদের ক্ষেত্রে বয়স বেড়ে হল ১৫। ১৯৭৮ এ এই নিয়ম আবার পরিবর্তন হয়ে বর্তমান নিয়ম লাঘু হয়।বাল্যবিবাহে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের উপরই যথেষ্ট প্রভাব পড়ে। তবে মেয়েরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বিশেষত নিম্ন আর্থসামাজিক পরিস্থিতির কারণে মেয়েদের বাল্য বয়সেই বিবাহ দেওয়ার প্রবণতা অনেক যায়গায় দেখা যায়। যে যে কারণে বাল্যবিবাহ হয় তাঁর মধ্যে অন্যতম, দারিদ্রতা, পণপ্রথা (যৌতুক), কিছু সামাজিক প্রথা, ধর্মীয় ও সামাজিক চাপ, অঞ্চলভিত্তিক রীতি, অবিবাহিত থাকার শঙ্কা, নিরক্ষরতা এবং মেয়েদের উপার্জনে অক্ষম ভাবা।স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, অল্প বয়সে মেয়েদের বিবাহ দিলে, তাঁরা স্বাভাবিক কারণেই অল্প বয়সেই সন্তান ধারণ করে। ওই বয়সে সন্তান প্রসব করানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সেটা শিশু ও মা উভয়ের জন্যই। তাঁরা আরও জানান, স্বল্প বয়সে মা হওয়ার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই বাচ্চা পুষ্টির অভাবে ভোগে। মায়েরও একই সমস্যা হতে পারে। এর ফলে খুব অল্প বয়সে বার্ধক্য নেমে আসে।২০১৯ এ এক কেন্দ্রীয় সমীক্ষায় দেখা গেছে, পশ্চিমবঙ্গে ২৪ থেকে ২৫ বছরের বয়সী মেয়েদের মধ্যে ৪১.৬০ শতাংশের বিয়ে হয়েছে ১৮-র কম বয়সে। কেন্দ্রীয় পরিবার ও স্বাস্থ্য পরিষেবা মন্ত্রকের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় জানা গেছে কলকাতা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, বীরভূমের মতো জেলায় উদ্বেগজনক ভাবে বাল্য বিবাহের হার বাড়ছে। এবং কন্যাশ্রীর মতো জনমুখী প্রকল্প সত্ত্বেও দেশে বাল্যবিবাহে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গই।বাল্যবিবাহের কুপ্রভাব নিয়ে সারা দেশ জুড়ে নানা ভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে। কোনও ক্ষেত্রে সরকারের তরফ থেকে, কোথাও বা সেচ্ছাসেবী সংস্থা দ্বারা, আবার ব্যক্তিগত উদ্যোগেও এর বিরুদ্ধে প্রচার চলছে। তেমনই এক অভিনব প্রচার সামাজিক মাধ্যমে সাড়া ফেলে দিয়েছে। পুর্ব-বর্ধমান জেলার বর্ধমান-১ ব্লকের অধিকর্তা অভিরূপ ভট্টাচার্য তাঁর সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। ছবিটিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এগিয়ে যাও বড় হও বক্তব্যকে তুলে ধরে তিনি বলতে চেয়েছেন, স্বল্প বয়সে বিয়ে না করে একটি মেয়ের অনেক কিছুই করার আছে।তিনি তাঁর সামাজিক মাধ্যমে তাঁর এই প্রয়াস সমন্ধে লিখেছেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক অপরাধ। যেকোনো মূল্যে বাল্যবিবাহ নির্মূল করতে হবে। বাল্য বিবাহের খারাপ প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমার দ্বারা করা একটি খুব দ্রুত চিত্রকর্ম।অভিরূপ ভট্টাচার্য তাঁর ছবির মাধ্যমে বলতে চেয়েছেন, মেয়েরা শুধুমাত্র সন্তান প্রসবের যন্ত্র নয়। একটা মেয়ে সে পাইলট হতে পারে, হতে পারে চিকিৎসক, একজন আইএএসও হতে পারে, হতে পারে শিক্ষক, জগৎ বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী হতে পারে, যোগদান করতে পারে পুলিস প্রশাসনে, বা পি ভি সিন্ধু, মিরাভাই চানু-র মত উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে উঠতে পারে ক্রীড়াক্ষেত্রে। তিনি এটাই হয়ত বলতে চেয়েছেন যে, বিবাহ ছাড়াও অনেক কিছুই করা যায় যা করলে সমাজ মনে রাখবে। অভিরূপ ভাট্টাচার্যের এই পোস্টারে কন্যাশ্রীর প্রকল্পের অবয়ব অঙ্কনের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন যে, প্রকল্পকটিকে জাতিসংঘ সমাদর করে পুরস্কৃত করার পিছনে এক সুদুর প্রসারি ভাবনা আছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে দেশের মধ্যে সবচেয়ে তৎপর পশ্চিমবঙ্গ।বাল্য বিবাহের প্রবণতা থেকে দূরে রাখতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুটি জনমুখী প্রকল্প বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। হয়ে উঠেছে, প্রথমটি রুপশ্রী, এই প্রকল্পে একটি মেয়ে তাঁর বিবাহের সময় এককালীন মোটা টাকার অনুদান পায় সরকারের থেকে। এক্ষেত্রে মেয়ের বয়স অবশ্যই ১৮ উর্ধ হতে হবে। আরেকটি মেয়েদের পড়াশোনার সুবিধার্থে কন্যাশ্রী। দুটি প্রকল্পেরই মূল লক্ষ্য বাল্য বিবাহ রোধ। বিশেষজ্ঞদের ধারনা এই দুই প্রকল্পের সুবিধা পেতে মেয়েরা স্কুল ও কলেজ মুখী হয়ে উঠবে।

আগস্ট ১০, ২০২২
রাজ্য

দুর্গাপুরের তিন গৃহবধূ মানবিকতার অনন্য নজির গড়লেন, এক মন ভাল করা কাহিনী

খুনোখুনি, আগুন, তোলাবাজি, ভাতের হোটেলে মদ এমন নানা খবরে ক্লান্ত বাঙালি। দুর্গাপুরের তিন নারীর মানবিক উদ্যোগ কিন্তু মন ভালো করে দিয়েছে সারা বাংলাকে। ওই তিন গৃহবধু মানবিকতার অনন্য নজির গড়েছেন। শনিবার দুস্থ মূক ও বধির মহিলার বিয়ের ব্যবস্থা করেছে দুর্গাপুরের তিন গৃহবধু। নগরনিগমের প্রান্তিকা সংলগ্ন মন্দিরে দুই বিশেষভাবে সক্ষম পাত্র-পাত্রীর চার হাত এক করে দিয়েছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, পাত্রী সম্পূর্ণ ভাবে মূক ও বধির। পাত্রের রয়েছে কথা বলার সমস্যা। দুর্গাপুরের তিন গৃহবধুর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। বিধাননগরের মনি চৌধুরী, সেপকোর বাসিন্দা শম্পা গিরি ও বেনাচিতির বুলু মন্ডল এই বিবাহের সম্পূর্ণ খরচ বহণ করেন।জানা গিয়েছে, শম্পা গিরি তাঁর দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের কাছ থেকে জানতে পারেন ৩৪ বছর বয়সী রাখী যাদব সম্পূর্ণরূপে মূক ও বধির। বাবা মারা যাওয়ার পর গোঁসাইনগরের ঘর বিক্রি করে মায়াপুরে একটি ভাড়া ঘরে মা-মেয়ে কোনরকমে দিনযাপন করছিলেন। আর্থিক সংকটের কারণে বিবাহযোগ্যা কন্যার বিয়ে হচ্ছিল না। একইসঙ্গে মেয়ে বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন হওয়ায় সেভাবে তাঁকে কেউ বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিল না। এই কথা শোনামাত্র শম্পাদেবী তাঁর দুই বন্ধু মনি চৌধুরী ও বুলু মণ্ডলকে বিষয়টা জানান। শোনামাত্রই তিন বন্ধু পাত্র খোঁজার কাজ শুরু করে দেন। বিয়ের আসর কোথায় হবে, তার সমস্ত খরচ তাঁরা খরচ করবে বলেও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। যেমন ভাবা তেমনই কাজ। তিন গৃহবধূর প্রচেষ্টায় অবশেষে দুর্গাপুরের বেনাচিতির সুভাষ পল্লির বাসিন্দা ৩৬ বছর বয়সী মুন্না যাদবকে পাত্র হিসাবে খোঁজ মেলে। পাত্রীর সঙ্গে বিবাহের ব্যবস্থা করা হয়। তাঁদের প্রান্তিকা সংলগ্ন মন্দিরে বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। যাবতীয় খরচা বহন করেন তিন বন্ধু। আগামী দিনেও দম্পতির পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন তাঁরা।মনি চৌধুরী বলেন, আমরা বন্ধুরা মিলে সারা বছর ধরেই সামাজিক কাজে যুক্ত থাকি। আমাদের লক্ষ্য দুস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। এই দুস্থ মূক ও বধির কন্যার কথা শুনতে পেয়ে আমরা এককথায় পাশে থাকার জন্য রাজি হয়ে যাই। বুলু মণ্ডলের বক্তব্য, এই কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পেরে আমরা খুব খুশি।

জুলাই ০৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

হোটেলের এক ঘরে থেকে প্রেম! ইংল্যান্ড মহিলা দলে সমকামী বিয়ে

অ্যামি সাদারওয়েট-লিয়া তাহুহু এবং মারিজেন কাপ-ডেন ভ্যান নিয়েকার্কের পর ক্রিকেটে ফের নজির। আবার সমকামী বিয়ে। সমকামী বিবাহে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ইংল্যান্ডের মহিলা দলের দুই ক্রিকেটার ক্যাথরিন ব্রান্ট এবং নাতালিয়া স্কিভার। ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের ও দুই পক্ষের পরিবারের উপস্থিতিতে পরিণয় সপন্ন হল। পাঁচ বছর সম্পর্কে থাকার পর চার হাত এক করলেন ইংল্যান্ডের মহিলা ক্রিকেট দলের এই দুই ক্রিকেটার। নতুন এই জুটিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড। ইংল্যান্ড ক্রিকেটের তরফ থেকে টুইটে নতুন দম্পত্তিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ইংল্যান্ড ক্রিকেট লিখেছে, আমাদের আন্তরিক শুভেচ্ছ ক্যাথেরিন ব্রান্ট এবং ন্যাট স্কিভারকে যারা সপ্তাহন্তে বিবাহ সম্পন্ন করেছে।ব্রিটেনে আয়োজিত ২০১৭ আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপ জয়ী ইংল্যান্ড দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন স্কিভার এবং ব্রান্ট। নিউজিল্যান্ডে আয়োজিত ২০২২ মহিলা বিশ্বকাপ দলেও ছিলেন এই দুই ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফাইনালে ১২১ বলে ১৪৮ রান করেন স্কিভার। তবুও তাঁর ইনিংস কাজে আসেনি। অজি বাহিনীর কাছে হেরে রানার্স হয় ২০১৭ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নদের।এক বছর সম্পর্কে থাকার পরে ২০১৮ সালে স্কিভার ও ব্রান্ট বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ২০১৯ সালের অক্টোবরে ব্রান্টের সঙ্গে এনগেজমেন্টের কথা ঘোষণা করেন স্কিভার। বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। সেই সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের টি২০ সিরিজ হওয়ার কথা ছিল। সিরিজের মাঝেই বিয়ে করবেন ভেবেছিলেন স্কিভার ও ব্রান্ট। তখন থেকেই এই বিয়ে নিয়ে তুমুল উৎসাহ ছিল ইংল্যান্ড দলে স্কিভার-ব্রান্টের সতীর্থদের। কিন্তু কোভিডের কারণে তা পিছিয়ে যায়। এত দিনে তা সম্পন্ন হল।জাতীয় দলে স্কিভারের অনেক আগে থেকে খেলছেন ব্রান্ট। তিনি সমকামী হলেও সতীর্থের সঙ্গে তাঁর প্রেম হবে, এ কথা ভাবেননি আগে। কিন্তু স্কিভার জাতীয় দলে ঢোকার পরে দুজনের একে অপরকে ভাল লাগে। প্রথমের দিকে দল সফরে গেলে হোটেলে একই ঘরে থাকতেন স্কিভার ও ব্রান্ট। ফলে তাঁদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। ২০১৭ সালে তাঁদের সম্পর্কের কথা দলের অন্যদের বলেন ব্রান্ট। গোটা দল খুশিতে মেতে ওঠে। কেউ তাঁদের অন্য নজরে দেখেননি। সবাই সব সময় তাঁদের সমর্থন করেছেন বলেই জানিয়েছেন ব্রান্ট। তাঁদের বিয়ে নিয়ে উৎসাহ বরং সতীর্থদেরই বেশি ছিল।২৯ বছরের স্কিভার এখনও খেলা চালিয়ে যেতে চাইলেও ৩৬ বছরের ব্রান্ট এ বার সংসার করতে চান। দীর্ঘ দিন ধরে পিঠের চোটে ভুগছেন তিনি। তাই আর বেশি দিন খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন না বলেই জানিয়েছেন। বিয়ের পরেই ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চান ব্রান্ট। তাতে স্কিভারের কোনও সমস্যা নেই। বরং তিনি খুশি, যে সংসার সামলানোর কেউ থাকবে। অন্য দম্পতিদের মতো সন্তান নেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। তবে সেটা কবে সেই বিষয়ে এখনও কিছু ভাবেননি দুই ক্রিকেটার।

মে ৩১, ২০২২
বিবিধ

মানুষের সঙ্গে তালে তালে নৃত্য দেশি কুকুরের, দেখুন সেই মজার ভাইরাল ভিডিও

কুকুরের ড্যান্স নিয়ে উত্তাল সোশাল মিডিয়া। যে সে কুকুর নয় একেবারে দেশি কুকুর। এই কুকুরের নৃত্য দেখে সোশাল মিডিয়ায় মানুষজন এতটাই মেতেছে যে লক্ষ লক্ষ ভিউ হয়েছে এই ড্যান্সের ভিডিওর। আপনি দেখলেও মোহিত হয়ে যাবেন।ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে কোনও অনুষ্ঠান বাড়ি চলছিল। সেখানে একটু দেশি কুকুর অন্যদের সঙ্গে নিজের তালে তালে নেচে চলেছেন। কুকুরটি পিঠে কালো রং,পায়ের দিকটা লালছে। এই কুকুরের ড্যান্স দেখলে যে কেউ অবাক হতে বাধ্য। কুকুরটির নৃত্য দেখলে মনে হতে পারে সে বোধহয় নাচের প্রশিক্ষণ নিয়েছে। বক্সে গান বাজছে আর আনন্দে আত্মহারা হয়ে চার পায়ের সঙ্গে দেহের তাল মিলিয়ে নেচেই চলেছে কুকুরটি। নিজেও মজা পেয়েছে। দেখুন সেই মজার ভিডিও।

মে ০৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ঘিয়ে রঙের পাঞ্জাবি, মেরুণ রঙের জহর কোট, কেমন লাগল ‘‌বুড়ো’‌ বর অরুণলালকে?‌

সোমবার রাতে কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে আনু্ষ্ঠানিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হল বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক তথা হেড কোচ অরুণলালের। এদিন বিয়ের আসরে কনে বুলবুল সাহা সেজেছিলেন কারুকার্য করা মেরুণ রঙের লেহঙ্গায়। গায়ে প্রচুর গহনা। অন্যদিকে, বর অরুণলাল সেজেছিলেন ঘিয়ে রঙের পাঞ্জাবির ওপর মেরুণ রঙেল জহর কোটে। দীর্ঘদিনের বান্ধবী বুলবুল সাহার সঙ্গে রবিবারই পরিবারের লোকজনের সামনে রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়ে গিয়েছিল অরুণলালের। সেই রেজিস্ট্রি বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে বুলবুল সাহা লেখেন, এখন থেকে আমি মিসেস লাল। আমাদের পাশে থাকার জন্য পরিবারের সদস্যদের এবং বন্ধুবান্ধবদের অসংখ্য ধন্যবাদ। পরে তিনি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, অরুণলালকে দীর্ঘদিন ধরে চিনি। ওর সঙ্গে আমার দারুণ বন্ধুত্ব। সেই বন্ধুত্বে সম্পর্ক এবার পরিনতি পেল। অরুণ খুবই ভাল মনের মানুষ। ওর সরলতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। অরুণের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পেরে দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। প্রথম স্ত্রীর ইচ্ছেতেই বুলবুলকে বিয়ে করলেন অরুণলাল। বাংলার হেড কোচ যখন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তখন থেকেই পাশে ছিলেন বুলবুল। পাশে থেকে সবসময় উৎসাহ জোগাতেন। অরুণলালের দেখাশোনার দায়িত্বও তিনি কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। অরুণলালের প্রথম স্ত্রীও অসুস্থ। তাঁর দেখাশোনার দায়িত্বও স্বেচ্ছায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন বুলবুল। দীর্ঘদিন ধরেই অরুণলালের ছায়াসঙ্গী তিনি। অতীতে বাংলা দল বাইরে খেলতে গেলে প্রায়শই সঙ্গী হতেন বুলবুল। ভবিষ্যতেও যাবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। বুলবুল বলেন, অরুণের সঙ্গে আমি সব জায়গায় যেতে চাই। সিএবি যদি অনুমতি দেয়, তাহলে বাংলা দলের সঙ্গেও যাব। আপাততস দুরে কোথাও মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার পরিকল্পনা নেই অরুণলালবুলবুল লালের। আপাতত বাংলার রনজি কোয়ার্টার ফাইনালই পাখির চোখ বাংলার হেড কোচের। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত হবে কোয়ার্টার ফাইনাল। সেখানেই মধুচন্দ্রিমা সেরে নিতে চান অরুণলালবুলবুল জুটি। এদিন বিয়ের অনুষ্ঠান সেরে অরুণলাল বলেন, বেঙ্গালুরুতে বাংলা রনজি কোয়ার্টার ফাইনাল হবে। সেখানেই বুলবুলকে নিয়ে যাব। ওখানেই মধুচন্দ্রিমা হবে।

মে ০২, ২০২২
বিনোদুনিয়া

বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন প্রান্তিক-অঙ্কিতা

দুজনের ১০ বছরের বন্ধুত্ব। তবে সেই বন্ধুত্বে শিলমোহর পড়ল দুজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর। জানা গেছে গত ডিসেম্বর মাসেই অঙ্কিতা বিয়ের প্রস্তাব দেন প্রান্তিককে। ক্যাটরিনা-ভিকির বিয়ে নিয়ে শপিং মলের কফি শফে আলোচনার ফাঁকে অঙ্কিতা বলে দেন, তোকে আমি বিয়েটা করতে পারি। প্রান্তিক উত্তরে জানান আমার বেশ কয়েকদিন ছুটি আছে, তাহলে কি বিয়েটা করবি? শপিং মলের পার্কিং-এ কথাটা বলেই দেন অভিনেতা। তারা বিয়ে সারলেন চুপিসারে। শহরের কোলাহল থেকে দূরে পাহাড়ে গিয়ে চার হাত এক হল দুই তারকার। তবে বিয়েটা হয়েছে গত জানুয়ারি মাসে। এতদিন পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সুখবর শেয়ার করে নিলেন তারা। এই তারকা জুটির ঘনিষ্ঠ বন্ধু সোহিনী সরকারও হাজির ছিলেন বিয়ের অনুষ্ঠানে। বিয়ের দিন সাদা পোশাকে সেজেছিলেন দুজনে। অঙ্কিতার মাথার লাল ওড়নাতে তাকে আরো সুন্দরী লাগছিল। বিয়ের পর দুজনে একসঙ্গে থাকেন না। পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থাকেন দুজনে। বিয়ের পর যে বর-বউকে একইসঙ্গে থাকতে হবে বিশ্বাস করেন না দুজনে। এমনকি সিঁদুর পরতেই হবে এটাতেও বিশ্বাস করেন না অঙ্কিতা। তিনি জানিয়েছেন ইচ্ছে হলে তবেই সিঁদুর পরবেন। আসলে বিয়ের প্রচলিত ধ্যান ধারণায় বিশ্বাসী নন দুজনের কেউই।

এপ্রিল ২২, ২০২২
রাজ্য

'সন্তান পুত্র বা কন্যা-মাতা কোন ভাবেই দায়ী নন’, বিয়ের অতিথিদের এই পাঠ দিলেন শিক্ষক বাবা

একমাত্র কন্যা অদিতির বিয়ের আয়োজনে কোন খামতি রাখেননি বাবা। ফুল,মালা ও আলোক রোশনাইয়ে নিখুঁত ভাবে সাজানো হয় বিয়ে বাড়ি।বুধবার সারাটা দিন বিয়ে বাড়ি ভরে থাকে সানাইয়ের সুর মুর্ছনায়। এতকিছুর মধ্যেও ওই বিয়ে বাড়িতে সবথেকে বেশী নজরকাড়া ছিল পাত্রীর শিক্ষক বাবা শ্যামাপ্রসাদ দাসের দেওয়া সচেতনতার পাঠ। তিনি বিয়ে বাড়িতেই কন্যা সন্তান নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা তুলে ধরা বড়বড় ফ্লেক্স টাঙিয়েছেন। তাতে উল্লেখ থাকে সন্তান হোক পুত্র বা কন্যা-মাতা কোন ভাবেই দায়ী না।নিজের মেয়ের বিয়েতে শুধু এই বার্তা দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি শ্যামাপ্রসাদ বাবু। তিনি রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারির আকারে বিয়ে বাড়ির মূল ফটকে পোস্টার লাগিয়ে দিয়ে উপহার সামগ্রী নিয়ে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাখেন। বুধবার রাতে বিয়ে বাড়ির অন্দরে প্রবেশের পর এইসব চাক্ষুষ করে অতিথিরা কার্যত থমকে দাঁড়িয়ে যেতে বাধ্য হন। তবে তাঁরা পাত্রীর বাবার এমন ভাবানার তারিফ না করেও পারেননি।শ্যামাপ্রসাদ দাসের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে।তিনি যখন ছোট ছিলেন তখন তাঁদের পারিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা তেমন ছিল না। তবুও সমস্ত প্রতিকুলতাকে জয় করে মা সরস্বতীদেবীর প্রেরনায় লেখাপড়া চালিয়ে যান মেধাবী ছাত্র শ্যামাপ্রসাদ।বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করে সাফল্যের সঙ্গে তিনি স্নাতক হন। পরে তিনি স্কুল শিক্ষকতার চাকরি পান। এরপর সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরে। তবে শ্যামাপ্রসাদ বাবুর জীবনে বড় অঘটন ঘটে যায় কয়েক বছর আগে।হঠাৎতই দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান শ্যামাপ্রসাদ বাবুর স্ত্রী কাকলীদেবী। তখন তাঁর একমাত্র কন্যা অদিতি অনেক ছোট। শ্যামাপ্রসাদ বাবু নিজেই একদিকে পিতা ও অন্যদিকে মাতার ভূমিকা নিয়ে তাঁর কন্যার যাবতীয় দায় দায়িত্ব পালন করেন। বাবার বিজ্ঞান প্রীতিকে অনুসরণ করে অদিতিও সম্প্রতি কলকাতার সিটি কলেজ থেকে বিএসসি পাশ করে । এরই মধ্যে অদিতির সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে মালদার মথুরাপুর নিবাসী পেশায় ইঞ্জিনিয়ার যুবক স্বর্ণাঙ্কু সাহার। মেয়ের পছন্দের পাত্রকেই নিজের জামাই করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শ্যামাপ্রসাদ বাবু। বুধবার বিয়ের দিনেও মেয়ের ভাব ভালবাসার বিষয়টি তিনি একেবারে লিখিত ভাবেই সাজিয়ে গুছিয়ে জনসমক্ষে তুলে ধরেন।সন্তান হোক পুত্র বা কন্যা-মাতা কোন ভাবেই দায়ী না।একমাত্র কন্যার বিয়ের দিনই কেন বিয়ে বাড়িতে কন্যা সন্তান জন্মানোর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা তুলে ধরলেন? এর উত্তরে শ্যামাপ্রসাদবাবু বলেন, বিজ্ঞান ভিত্তিক কি কারণে সন্তান পুত্র বা কন্যা হয়ে জন্মায় তা বহু মানুষের কাছেই অজানা রয়ে আছে। তার কারণে এখনকার যুগেও বহু মানুষ মনে করেন কন্যা সন্তান জন্মানোর দায় শুধু মাত্র মায়ের। তাই কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য মায়েদের নির্যাতন হজম করতে হয়। কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার অপরাধে অনেক মায়ের প্রাণ খোয়ানোর মত ঘটনায় ঘটছে। অথচ বিজ্ঞান বলছে,সন্তান পুত্র হোক বা কন্য তার জন্য মাতা কোন ভাবেই দায়ী নয় । অন্ধ ধারনা থেকে মানুষ্য সমাজমুক্ত হতে না পারলে কোন কন্যা সন্তানের বাবা মা তাঁদের মেয়ের বিয়ে দিয়ে দুশ্চিন্তা মুক্ত হয়ে থাকতে পারবেন না। তাই মেয়ের বিয়েতে বিজ্ঞানের এই পাঠ সবার সমক্ষে তুলে ধরেছেন বলে শ্যামাপ্রসাদ বাবু জানান। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, কোভিড অতিমারির জেরে দেশের বর্তমান আর্থসামাজিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে তিনি তাঁর মেয়ের বিয়েতে উপহার সামগ্রী নিয়ে আসার ব্যাপারে নিয়েধাজ্ঞা জারি করেছেন বলে জানান।বিয়ে বাড়িতে সবার উপলব্ধির জন্য শ্যামাপ্রসাদ বাবু বিজ্ঞানের যে পাঠ দিয়েছেন ,তাঁকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন তাঁর মেয়ে অদিতি ও জামাই স্বর্ণাঙ্কু। তাঁরা বলেন, এটাতো বিজ্ঞান সম্মত ভাবেই প্রমানিত সন্তান পুত্র বা কণ্যা যাই হোক- তার জন্য মাতা কোন ভায়েই দায়ী নন। এর কারণ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অদিতি বলেন, নবম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইতেই আমরা পড়েছি আমাদের মানব শরীরে ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম আছে । তার মধ্যে একজোড়া ক্রোমোজোম হল সেক্স ক্রোমোজোম ।সেটা আমাদের মায়ের শরীরে XX। আর বাবার শরীরে XY। এই সেক্স ক্রোমোজোম-ই সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণে সহায়তা করে। বৈজ্ঞানিক ভাবেই এটা প্রমানিত যে বাবা ও মায়ের শরীরে থাকা অর্ধেক অর্ধেক ক্রোমোজোম সন্তান পেয়ে থাকে। সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণের ক্রোমোজোম যদি আমরা ধরি তাহলে বাবার শরীর থেকে আসতে পারে X বা Y এর মধ্যে যে কোন একটি। মাতার শরীরে X ছাড়া যেহেতু অন্য আর কোন ক্রোমোজোম ভ্যারিয়েন্ট থাকে না তাই মায়ের শরীয় থেকে আসে শুধুমাত্র একটি X ক্রোমোজোম। তাই সন্তান যে হবে তাঁর সেক্স ক্রোমোজোম XX বা XY হতে পারে। ওই সন্তান পুত্র বা কন্যা যাই হোক তার জন্য মাতার কোন ভূমিকা থাকে না। পুরুষের ইচ্ছাতে এর সমস্ত কিছু না হলেও বৈজ্ঞানিক ভাবে বলা হয়েছে সন্তান পুত্র বা কন্যা যাই হোক তার পিছনে মূখ্য ভূমিকা পুরুষেরই থাকে। এত কিছু বৈজ্ঞানিক প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও মাতার জরায়ু থেকে সন্তান জন্ম নেয় বলে কন্যা সন্তান জন্মালেই মায়েদের দায়ী করা হয়। মানুষের এই ভুল ধারণা ভাঙতে তাঁর বাবা বিয়ে বাড়িতে আগত সব অতিথিকে যে পাঠ দিয়েছেন সেটা যথেষ্টই সময়োপযোগী ও যুক্তি সঙ্গত বলে অদিতি দাবি করেছে। জামাই স্বর্ণাঙ্কু বলেন, শনিবার বৌভাতের দিন তিনি মালদার বাড়িতে অতিথিদের একই পাঠ দেবেন। তার পিছনে উদ্দেশ্য একটাই থাকবে কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়া মায়েদের লাঞ্ছনা গঞ্জনা থেকে মুক্তি দেওয়া। বুধবার অদিতির বিয়েতে উপস্থিত থাকা অতিথি অঞ্জন মুখোপাধ্যায় ও যুথিকা দাস বলেন, কন্যার বিয়েতে কন্যা সন্তানের জন্ম নিয়ে কন্যার বাবার এমন বিজ্ঞান ভিত্তিক পাঠদান কার্যতই নজিরবিহীন। ওই পাঠদান থেকে শিক্ষা নিয়ে সবাই সচেতন হলে সমাজেই মঙ্গল হবে ।

মার্চ ১১, ২০২২
রাজ্য

নাবালিকা ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করিয়ে তাঁকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে নিয়ে গেল পুলিশ

বিনাপণে বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার আগের রাতে নাবালিকা মেয়েকে বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে দিয়েছিল বাবা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ঘটনার খবর পেয়েই পূর্ব পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার পুলিশ দ্রুত বেরোয়া গ্রামে পৌছে নাবালিকা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর বিয়ে রেখে দেয়। তার কারণে নিরুপায় হয়ে বউ ছাড়াই টোপর হাতে নিয়ে ওই রাতেই নিজের বাড়ি ফিরে যেতে হয় বর বাবাজীবনকে। আর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শ্বশুরবাড়ি যেতে না হওয়ায় সোমবার মহানন্দেই মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিল ভাতারের মাহাতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।ছাত্রীটি এদিন জানিয়েছে, মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার জন্য সে রবিবার রাতে পড়াশুনা করছিল। পরীক্ষা না দিয়ে ছাদনাতলায় বিয়ের পিঁড়িতে বসার কোনও চিন্তাভাবনা তার মাথাতেই ছিল না। একপ্রকার জোর করেই ওই দিন তাঁকে বিয়ের পিঁড়িতে বসার জন্য বাধ্য করা হচ্ছিল। তবে অবশ্য ভাতার থানার ওসি সৈকত মণ্ডলের জন্য তা আর কেউ করতে পারেনি। তাই এদিন ভালোভাবেই মাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষা দিতে পেরেছি বলে ছাত্রী জানিয়েছে। নাবালিকা ওই ছাত্রী আরও জানিয়েছে,পড়াশুনা ছেড়েদিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসার স্বপ্ন সে দেখেনা। লেখাপড়া শিখে নিজেকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করারই তাঁর এখন একমাত্র লক্ষ্য। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাতারের বেরোয়া গ্রামেরওই ছাত্রীরা দুই বোন। সে ছোট। তাঁর দিদির বিয়ে হয়ে গেছে। তাদের বাবা জনমজুরির কাজ করেন ৷ মা গৃহবধু। মাহাতা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ছাত্রীটি । তাঁর সিট পড়েছে এরুয়ার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। যে যুবক রবিবার তাঁকে বিয়ে করতে টোপর মাথায় দিয়ে হাজির হয়েছিল তার বাড়ি বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি থানার তালিত গ্রামে। ছাত্রীর মা এদিন বলেন, আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। বড় মেয়ের বিয়েতে অনেক ধারদেনা হয়ে গেছে। ছোট মেয়ের বিয়ে নিয়ে চিন্তায় ছিলাম।তালিতের পাত্রটিও খারাপ ছিলনা । তার বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর যখন আমাদের ছোট মেয়েকে বিনাপণে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয় আমরা রাজি হয়ে যাই । তবুও আমরা অনুরোধ করেছিলাম মাধ্যমিক পরীক্ষার পর বিয়ে সম্পন্ন করার জন্য। কিন্তু পাত্রপক্ষ শর্ত রেখেছিল রবিবার রাতেই বিয়ে দিতে হবে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা মাধ্যমিক পরীক্ষার আগের দিন রাতে বিয়ের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম ।তবে মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়ার পুলিশ রাতে আমার বাড়িতে পৌছে বিয়ে বন্ধ করিয়ে দেয় । ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দিতে পারবোনা বলে পুলিশের কাছে মুচলেখাও লিখে দিয়েছেন বলে ছাত্রীর অভিভাবকরা জানিয়েছেন। এই ঘটনার কথা জেনে ওই ছাত্রী সহপাঠীরা ভাতার থানার পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।

মার্চ ০৭, ২০২২
রাজ্য

বিয়ে বাড়ির আরোহী বাহী চারচাকা গাড়িতে লরির ধাক্কা -মৃত ২ জখম ৩

বেপরোয়া ভাবে চলা লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল চারচাকা গাড়ির দুই আরোহীর। জখম হয়েছে আরও তিন জন। সোমবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার তক্তিপুরে মেমারি মালডাঙা সড়ক পথে।পুলিশ জানিয়েছে ,মৃতরা হল প্রকাশ বাগ (৩০) ও তার ভাই তাপস বাগ (২৬)। জখম রূপচাঁদ মান্ডি ,শিবু টুডু ও দীপঙ্কর কুন্ডুকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। মৃত ও জখমরা সকলেই মেমারির কালিবেলে এলাকার বাসিন্দা। দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ঘাতক লরির খোঁজ শুরু করেছে।পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চারচাকা গাড়ির পাঁচ আরোহী রবিবার জামালপুর থানার পাঁচড়ার ভেরিলি গ্রামে বিয়েবাড়ি গিয়েছিলেন। সেখান থেকে এদিন সকালে তাঁরা চারচাকা গাড়িতে চড়ে মেমারির কালিবেলে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন।পথে তক্তিপুর এলাকায় মেমারি গামি দ্রুত গতীর একটি লরি চারচাকা গাড়িটিতে সজোরে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়।এই দুর্ঘটনায় চারচাকা গাড়ির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চারচাকা গাড়ির চালক প্রকাশ বাগের। বাকি আরোহী তাপস বাগ, রূপচাঁদ মান্ডি শিবু টুডু ও দীপঙ্কর কুন্ডুকে উদ্ধার করে মেমারি গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রকাশ বাগের ভাই তাপস কে মৃত ঘোষণা করেন।জখদের শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

মার্চ ০৭, ২০২২
বিনোদুনিয়া

সাতপাকে বাঁধা পড়লেন অভিনেত্রী মেঘনা ও শুভজিৎ

সাত পাকে বাঁধা পরলেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেঘনা মুখার্জি। বিয়ে করলেন শুভ্রজিৎ ব্যানার্জি কে। বিয়ের আসর বসেছিল গোলপার্কের ঘোষবাড়িতে। বিশেষ দিনে হাজির হন ছোটপর্দার অনেক তারকা। টলিউডের জনপ্রিয় জুটি নীল-তৃণা থেকে উপস্থিত হন জীবন সাথী ত্রিশূল ধারাবাহিকের অনেকেই। যমুনার ঢাকী খ্যাত অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্যও বিয়েবাড়ি আলোকিত করেন। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অতিথিদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে।জীবন সাথী ধারাবাহিকের সকলে জানালেন, ওদের বিবাহিত জীবন যেন সুখের হয়। খুব আনন্দ করে কাটাক। লাভ ইউ বোথ। গড ব্লেস ইউ বোথ।বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ মেঘনা - শুভ্রজিৎমেঘনার বর্তমান ধারাবাহিক ত্রিশূলের অভিনেত্রীরা জানান, আমরা এতদিন ধরে খুব এক্সাইটেড ছিলাম। মেঘনাকে ও শুভজিৎ কে অনেক অনেক শুভকামনা। খুব ভালো থাকুক ওরা। ওদেরকে দেখেই যেন আমরা ভালো থাকতে পারি।তারকার বিয়ে। তাই এলাহি আয়োজন ছিল। স্টার্টারে গন্ধরাজ চিকেন ফ্রাই থেকে শুরু করে ছিল দইবড়া, ড্রাই চিলি, ফিস, দইবড়া, বেবিকরণ, কোল্ডড্রিঙ্কস, কফি ছাড়াও আরও আইটেম। ডিনারে ছিল ভেটকি পাতুঋ, পোলাও, মটন কষার মটন সুস্বাদু সব ডিশ। সবমিলিয়ে মেঘনার বিয়ের একটা আলাদাই পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। আর এই পরিবেশে সবাই মেঘনার মধুর মিলনের সাক্ষী থাকল।

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২
বিনোদুনিয়া

বিয়ের ১০ বছর কাটালেন পায়েল-দ্বৈপায়ন

বিয়ের পর ১০টা বছর একসঙ্গে কাটিয়ে দিলেন অভিনেতা দ্বৈপায়ন দাস ও অভিনেত্রী পায়েল দে। সেই আনন্দ সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন পায়েল। দ্বৈপায়নের সঙ্গে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করে তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, শুভ ১০ ..শুভ হোক প্রতিদিন ...আসো আমরা একসঙ্গে এইভাবে সময়টা যেন কাটাতে পারি। ...হাসতে থাকো..অনেক ভালোবাসি তোমাকে... খুব শুভ বিবাহ বার্ষিকী . এই পোস্টে অনেকেই ভালোবাসার কমেন্টে ভরিয়ে দিয়েছেন। সঙ্গীতশিল্পী মনস্বিতা ঠাকুর কমেন্ট করে লিখেছেন, দুজনকেই শুভ বিবাহবার্ষিকী। অভিনেতা দেব চ্যাটারজি লিখেছেন, শুভ বিবাহবার্ষিকী , খুব খুব ভালো থেকো তোমরা আজীবন। অনেক শুভেচ্ছা, ভালোবাসা। এছাড়া বিশেষ দিনে তিনি আরও অনেক ভালোবাসা পেয়েছেন। চৈতালি দাশগুপ্ত কমেন্টে লিখেছেন, অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা নিস্পায়ল-গোগোল।বর্তমানে কালারস বাংলায় সোনা রোদের গান ধারাবাহিকে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন পায়েল। তাঁর বিপরীতে রয়েছেন সৌম্য ব্যানারজি। প্রতিদিন রাত ৮টায় এই ধারাবাহিকটি টেলিকাস্ট করা হয়।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • ›

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

অনলাইন অ্যাপের দুনিয়া থেকে মৃত্যু! আদর্শ হত্যায় কলকাতায় হইচই, পুলিশের হাতে বড় তথ্য

কলকাতার কসবা এলাকায় হোটেল ঘিরে রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বড় সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশ। বীরভূমের দুবরাজপুরের বাসিন্দা ও পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট আদর্শ লোসাল্কার খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর দুই সঙ্গী ধ্রুব মিত্র ও কমল সাহাকে। দুজনকেই শনিবার গভীর রাতে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়। পুলিশি তদন্তে তাঁদের ভূমিকাই সবচেয়ে সন্দেহজনক বলে উঠে এসেছে।শুক্রবার সন্ধ্যায় আদর্শ কসবার ওই হোটেলে ওঠেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এক তরুণী এবং এক যুবক। জানা গিয়েছে, ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে আলাপ হয় আদর্শের। নিজের ফোন থেকেই অ্যাপ ব্যবহার করে হোটেলের চতুর্থ তলার দুটি রুম বুক করেন তিনি। আদর্শ একা নিজের রুমে ঢোকেন, আর অপর রুমে চেক ইন করেন ওই তরুণী ও ধৃত যুবক।পরে তরুণী প্রথমে আদর্শের রুমে যান। কিছুক্ষণ পর সেখানে যোগ দেন অপর যুবকও। পুলিশ সূত্রে মিলেছে, টাকার লেনদেনকে কেন্দ্র করে আদর্শের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয়। পরিস্থিতি দ্রুত হাতাহাতিতে গড়ায়। পরে আদর্শকে অচেতন অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে হোটেল থেকেই সটকে পড়ে দুই সঙ্গী।শনিবার হোটেলের স্টাফরা দরজা না খুলতেই সন্দেহ করেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখা যায়, মেঝেতে পড়ে আছে আদর্শের নিথর শরীর। তাঁর পা দড়ি দিয়ে বাঁধা। রুম থেকে উদ্ধার হয় অব্যবহৃত কন্ডোম। শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন লক্ষ করা যায়।ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে স্পষ্ট হয়েছে, শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে আদর্শকে। রিপোর্টে আরও পাওয়া গেছে, ঘটনার আগে তিনি মদ্যপান করেছিলেন। ধৃতদের জেরায় উঠে এসেছে তাঁরা নাকি ভয় পেয়ে পা বেঁধেছিলেন, যাতে আদর্শ উঠে তাঁদের আক্রমণ না করতে পারেন। তবে পুলিশের মতে, ধৃতদের এই দাবি সম্পূর্ণ সন্দেহজনক এবং প্রত্যেকটি বক্তব্য খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে।কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অনলাইন ডেটিং প্ল্যাটফর্মকে কেন্দ্র করে প্রতারণা বা ব্ল্যাকমেলিংয়ের মতো কোনও ব্যান্ড সক্রিয় কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুনের উদ্দেশ্যে নাকি অর্থ বা অন্য কোনও কারণে তাঁদের পরিকল্পনাসেটিও তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ দিক হয়ে উঠেছে।এই রহস্যময় খুনে পুরো শহরজুড়েই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। প্রশ্ন উঠছেঅ্যাপে পরিচয়ের ফাঁদে আরও কেউ কি জড়িয়ে পড়েছেন? তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

‘গোপন চাপ’ ফাঁস করলেন বিএলওরা! ভোটার তালিকায় নাম তুলতে রাজনৈতিক দবাব? চাঞ্চল্য কমিশনে

পরতে-পরতে বাড়ছে বিস্ময়। পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক বিএলও-র মৃত্যু, আর তার মাঝেই সামনে এলো অন্য এক অভিযোগযে চাপের কথা এতদিন কেউ খোলাখুলি বলছিলেন না, সেই গোপন চাপ-এর অভিযোগ তুললেন বিএলও ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী নয়, সরাসরি নির্বাচন কমিশনের দোরগোড়ায় গিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়ে উঠে এল এই বিস্ফোরক অভিযোগ।স্বপন মণ্ডল জানান, কমিশনের প্রশাসনিক চাপ, ডেডলাইন, ডেটা এন্ট্রিএসবের বাইরে আরও এক অদৃশ্য চাপ চেপে বসেছে জেলার পর জেলা। মালদহ থেকে তাঁকে ফোন করে জানানো হয়, কিছু ব্যক্তি বাবা বা ঠাকুমার পরিচয় দেখিয়ে একসঙ্গে চারপাঁচজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করানোর জন্য বিএলওদের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন। অথচ তাদের সঙ্গে ২০০২ সালের তালিকাভুক্ত ব্যক্তির কোনও প্রকৃত সম্পর্কই নেই। কারা সেই মানুষ? কেনই বা এমনভাবে তালিকা ভরানোর চেষ্টা? স্বপনবাবু সরাসরি কোনও দলের নাম উল্লেখ না করলেও তাঁর ইঙ্গিত, রাজনৈতিক চাপ যে রয়েছে, তা স্পষ্ট। আরও বড় অভিযোগএই কাজে নাকি কিছু ERO-ও পরোক্ষে জড়িত।কমিশন আগেই জানিয়ে দিয়েছে, ফর্মে কোনও ভুল হলে দায় যাবে সরাসরি বিএলওদের ঘাড়েই। ফলে একদিকে কমিশনের কড়াকড়ি, অন্যদিকে অদৃশ্য চাপমাঝখানে দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছে সাধারণ স্কুলশিক্ষক থেকে শুরু করে গ্রাম-শহরের মাঠে নেমে থাকা হাজার হাজার বুথ লেভেল অফিসার। তাই বিএলওদের দাবি, ফর্ম আপলোডের আগে অ্যাপেই একটি রিমার্কস কলাম রাখতে হবে, যেখানে তারা সন্দেহ বা আপত্তি লিখে রাখতে পারবেন। সিইও দফতর নাকি এই প্রস্তাবে ইতিমধ্যে সম্মতি দিয়েছে।রাজ্যে ইতিমধ্যেই এসআইআর আতঙ্কে তিন বিএলও-র অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে তীব্র ক্ষোভ। এর মধ্যেই আবার উঠল রাজনৈতিক চাপ-এর অভিযোগ। রাজ্য সরকার মৃতদের পরিবারকে দুলক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করলেও স্বপন মণ্ডল তা সরাসরি ভিক্ষা বলে কটাক্ষ করেন। তাঁর দাবিএ রকম চাপের মধ্যে কাজ করলে আরও মৃত্যু অনিবার্য। উপরন্তু ERO-রা অহেতুক ২৫ তারিখের ডেডলাইন চাপিয়ে দিয়ে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে বলেও সরব তিনি।এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছেএসআইআর কি ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি করছে, নাকি উল্টে প্রশাসনিক-রাজনৈতিক চাপে ক্লান্ত সাধারণ শিক্ষকদের জীবনই বিপন্ন করে তুলছে? বিএলওদের দাবি, এইভাবে চাপের মধ্যে কাজ চললে, তালিকার ভুল যেমন বাড়বে, তেমনই বাড়বে মৃত্যুর সংখ্যা।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
দেশ

“৪ রাত ঘুমোননি, ফোনে ফোনে হুমকি”—এসআইআরের অতিরিক্ত চাপে প্রাণ গেল দুই স্কুলশিক্ষকের

মধ্যপ্রদেশে মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পরপর দুই স্কুলশিক্ষকের মৃত্যুতে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দুজনই বুথ লেভেল অফিসার (BLO) হিসাবে এসআইআর-এর দায়িত্বে ছিলেন। পরিবার ও সহকর্মীদের অভিযোগঅতিরিক্ত কাজের চাপ, অমানবিক ডেডলাইন এবং বারবার সাসপেন্ড করার ভয় দেখানোই মৃত্যুর মূল কারণ। বাংলায় যেভাবে এসআইআর-এর আতঙ্ক ছড়িয়েছে, ঠিক তেমনই পরিস্থিতি এবার মধ্যপ্রদেশেও তৈরি হয়েছে।রাইসেন জেলার বাসিন্দা রমাকান্ত পান্ডে মন্দিদীপ এলাকায় বিএলও হিসেবে কাজ করতেন। তাঁর স্ত্রী রেখা পান্ডে জানিয়েছেন, গত চার রাত রমাকান্ত একটুও ঘুমোননি। ফোনে ফোনে এসআইআরের কাজ নিয়ে তাগাদা, ডেডলাইন মেটানোর চাপ এবং সাসপেন্ড হওয়ার আতঙ্কে তিনি মানসিকভাবে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে একটি অনলাইন মিটিং চলাকালীন আচমকাই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন তিনি। আর ওঠেননি।এর ঠিক এক দিন পর, দামোহ জেলার সীতারাম গোন্দ (৫০)-র মৃত্যু হয়। তিনি রঞ্জরা ও কুড়াকুড়ান গ্রামে এসআইআর-এর দায়িত্বে ছিলেন। সেদিন ভোটারের এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করতে গিয়েই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে জব্বলপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শুক্রবার রাতেই মৃত্যু হয়। তাঁর সহকর্মীরা জানান, প্রায় ১৩০০ জন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করে আপলোড করতে হত তাঁকে, কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় প্রচণ্ড মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন তিনি।এর আগেও মধ্যপ্রদেশের আরেক শিক্ষক ভুবন সিং চৌহানের মৃত্যু হয়েছিল। তিনিও BLO ছিলেন এবং কিছুদিন আগে দায়িত্বে ত্রুটির অভিযোগে সাসপেন্ড হয়েছিলেন। পরিবার অভিযোগ করে, এসআইআরের কাজের চাপই তাঁর মৃত্যু ডেকে এনেছে।এই ঘটনাগুলি সামনে আসতেই শিক্ষক মহলে ক্ষোভ বেড়েছে। বাংলায় ইতিমধ্যেই একাধিক BLO-র মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, BLO-দের উপর অতিরিক্ত চাপ বন্ধ করতে হবে। ঠিক একই অভিযোগ এবার মধ্যপ্রদেশেও দেখা যাচ্ছে।এসআইআর সংক্রান্ত কাজ দেশজুড়ে কী পরিস্থিতি তৈরি করছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ডেডলাইন, স্ট্রেস, ভয় এবং অনবরত চাপসব মিলিয়ে BLO-দের উপর যে মানসিক ও শারীরিক প্রভাব পড়ছে, তারই করুণ পরিণতি তুলে ধরল মধ্যপ্রদেশের দুটি মৃত্যু।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
বিদেশ

বিমানবন্দরের মাথার ওপর ঘোরাফেরা ড্রোন, মুহূর্তে বন্ধ সব ফ্লাইট! তদন্তে সেনা-পুলিশ

নেদারল্যান্ডসের আইন্দহোভেন বিমানবন্দরে হঠাৎ করেই দেখা মিলল একাধিক ড্রোনের। আর সেই দৃশ্য চোখে পড়ে যেতেই মুহূর্তে থমকে গেল বিমানবন্দরের সম্পূর্ণ বিমান চলাচল। শনিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ নেদারল্যান্ডসের ব্যস্ত এই বিমানবন্দরে ড্রোন দেখা যাওয়ার পরেই চরম সতর্কতা জারি করা হয়। পরিস্থিতি যে কতটা গুরুতর ছিল, তা বোঝা যায় ডাচ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রুবেন ব্রেকেলমান্সের বিবৃতি থেকে। তিনি এক্স-এ জানান, ডিফেন্স কাউন্টার-ড্রোন ইউনিট, পুলিশ এবং সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যেই এলাকায় মোতায়েন হয়েছে এবং যে কোনও মুহূর্তে হস্তক্ষেপের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।আইন্দহোভেন বিমানবন্দরটি সাধারণ যাত্রীবাহী বিমান ছাড়াও সামরিক উড়ানের কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। সেই কারণেই ড্রোনের উপস্থিতিকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, ঠিক কোথা থেকে এবং কী উদ্দেশ্যে ড্রোনগুলি উড়ছিল। তার আগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিমান ওঠানামা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়।এর আগের দিনও একই ধরনের ড্রোন দেখা গিয়েছিল ভলকেল এয়ারবেসের আকাশে। সেই সময় ডাচ সেনা সরাসরি গুলি চালিয়ে ড্রোন নামানোর চেষ্টা করে। ফলে টানা দুই দিন ধরে ড্রোন দেখা যাওয়ায় বিষয়টি আরও রহস্যজনক হয়ে উঠেছে। শুধু নেদারল্যান্ডস নয়, সাম্প্রতিক সপ্তাহে ইউরোপের আরও বেশ কয়েকটি দেশে বিমান চলাচলে ড্রোনের কারণে বিঘ্ন ঘটে। ডেনমার্ক, নরওয়েসহ একাধিক দেশের বিমানবন্দরেও এমন ঘটনা ন্যাটোকে নতুন করে চিন্তায় ফেলেছে।এটিই প্রথম নয়। এ বছরের সেপ্টেম্বরেই পোল্যান্ড ও রোমানিয়ার আকাশে রুশ ড্রোন আটক করা হয়েছিল। এমনকি তিনটি রুশ যুদ্ধবিমান এস্তোনিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশ করায় ন্যাটোর সতর্কবার্তা আরও জোরালো হয়। ফলে আইন্দহোভেনের এই ঘটনা সেই আশঙ্কাকে আরও ঘনীভূত করছে।যদিও ড্রোন দেখা গেলেই বিমানবন্দর বন্ধ করতে হয়, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। তবে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, ড্রোন দেখা গেলে বিমান ওঠা-নামা সাময়িক বন্ধ রেখে পরিস্থিতি যাচাই করা হয়, যাতে কোনও সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়ানো যায়। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি হলেও, সুরক্ষার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেয় সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।এখন তদন্তের মূল লক্ষ্যএই ড্রোনগুলি কি শুধুই সাধারণ ব্যক্তি বা গ্রুপের অপকর্ম, নাকি এর পেছনে রয়েছে আন্তর্জাতিক গুপ্তচরবৃত্তি বা নাশকতার বড় কোনও চক্র? ডাচ প্রশাসন ও সেনা এখন সেই সম্ভাবনাই সব দিক থেকে খতিয়ে দেখছে।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
বিদেশ

তুরস্ক-যোগ, কাতার-যোগ—হামাসের ‘আন্তর্জাতিক জাল’ ভাঙার দাবি মোসাদের

ইউরোপ জুড়ে হামাসের গোপন জঙ্গি নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার দাবি করল ইসরায়েলের গোপনচর সংস্থা মোসাদ। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জটিল ও সমন্বিত অভিযানের মাধ্যমে এই জঙ্গি কাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। জার্মানি, অস্ট্রিয়া-সহ একাধিক দেশে অভিযানের ফলে ধরা পড়েছে বহু জঙ্গি-সহযোগী এবং উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল অস্ত্রভাণ্ডার। মোসাদের দাবি, এই অস্ত্রগুলি ইসরায়েল এবং ইউরোপে অবস্থিত ইহুদি সংগঠনগুলির উপর হামলা চালানোর জন্যই লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। নির্দেশ পেলেই হামলার প্রস্তুতি ছিল বলেই মনে করছে ইসরায়েল।অভিযোগ, হামাসের ইউরোপের নেটওয়ার্ক তৈরিতে তুরস্কের কিছু সদস্যও ভূমিকা নিয়েছিল। তাদের মাধ্যমে পরিকল্পিত হামলার সূত্র মিলেছে। শুধু তাই নয়, কাতারে থাকা হামাস নেতৃত্বও ইউরোপের জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে সরাসরি যুক্তএমন দাবি করেছে মোসাদ।অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় গত সেপ্টেম্বর একটি বিশেষ অভিযানে বড় সাফল্য মেলে। সেখানে লুকিয়ে রাখা ছিল বিস্ফোরক, হ্যান্ডগান-সহ একাধিক অস্ত্র। তদন্তে উঠে আসে, এই অস্ত্রগুলি ছিল হামাস সদস্য মোহাম্মদ নাইমের। তিনি হামাসের শীর্ষ নেতা বাসেম নাইমের ছেলে। অভিযোগ, বাবা ও ছেলের যৌথ নির্দেশেই ইউরোপে তৈরি হচ্ছিল গোপন জঙ্গি নেটওয়ার্ক। কাতারে তাদের বৈঠকের তথ্যও পেয়েছে তদন্তকারীরা।মোসাদের দাবি, ৭ অক্টোবর গাজায় হামলার পর থেকেই হামাস নতুন করে ইউরোপ-সহ বিভিন্ন দেশে জঙ্গি পরিকাঠামো গড়ে তুলতে উঠে পড়ে লাগে। ইরান ও ইরানপন্থী সংগঠনগুলির মতোই ইউরোপে সেল তৈরি, সদস্য সংগ্রহ এবং অস্ত্র মজুতের কাজ চলছিল বহুদিন ধরেই। বহুবার অস্বীকার করলেও, কাতার-নির্ভর হামাস নেতৃত্বের সন্ত্রাসে জড়িত থাকার প্রমাণ আগেও মিলেছে বলে দাবি ইস্রায়েলের।বর্তমানে বহু দেশের যৌথ তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছে, ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়া এবং তুরস্ক-সহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে হামাসের আর কে কে এই নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
কলকাতা

হোটেল রুমে যুবকের দেহ, সঙ্গে কন্ডোম! খুনের পর টাকাও উধাও? তদন্তে দগ্ধ লালবাজার

কসবাকাণ্ডের তদন্ত আরও জটিল আকার নিচ্ছে। লালবাজারের হোমিসাইড শাখা সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের আগে অনলাইনে বুক করা হয়েছিল দুটি ঘর। মৃত যুবক আদর্শ লোসালকাকে যেভাবে পাওয়া গিয়েছে, তা দেখে তদন্তকারীদের অনুমানতাকে নির্মমভাবে খুনের পর দেহ সরানো হয়েছে। ঘরের মেঝেতে খাটের ঠিক নিচে উল্টে পড়ে ছিল তার দেহ। পা বাঁধা ছিল তোয়ালে দিয়ে। মাথায় গভীর আঘাতের চিহ্ন।বীরভূমের দুবরাজপুরের বাসিন্দা ৩৩ বছরের আদর্শ শুক্রবার রাতেই কসবার হোটেলে ঢুকেছিলেন তিনজনের সঙ্গে। হোটেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দলে ছিলেন এক মহিলা ও দুই পুরুষ। ভোরবেলা মহিলা এবং এক ব্যক্তি হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে যান। পরে রুম পরিষ্কার করতে গিয়ে কর্মীরা দেখেন মেঝেতে রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে কন্ডোম। যা দেখে তদন্তকারীরা মনে করছেন, খুনের পিছনে ব্যক্তিগত সম্পর্ক বা আর্থিক বিরোধদুটোই সমান ভাবে সম্ভব।হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা আধার কার্ড জমা দিয়েছিল। কিন্তু কার্ডগুলি আসল কি না, তা এখন যাচাই করছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, খুনের পর আদর্শের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়েছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হোটেলের দুই পুরনো কর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।অক্টোবরের শেষ দিকেই পার্ক স্ট্রিটের একটি হোটেল থেকে বক্স খাটের ভেতর থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনার সঙ্গেও অদ্ভুত মিল নিয়ে ফের আতঙ্ক ছড়িয়েছে শহরে। সেদিনও তিন যুবক রুম নিয়েছিলেন, পরে দুজন পালিয়ে যান। এবার আর এক হোটেল থেকে মিলল যুবকের দেহ। তদন্তকারীদের মতে, দুটি ঘটনার মধ্যে কোনও যোগ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে। কসবার এই মৃত্যু এখন শহরজুড়ে নতুন রহস্যের জন্ম দিয়েছে।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
দেশ

উত্তর প্রদেশে ‘অপারেশন ডিটেনশন’! যোগীর কড়া নির্দেশ—একটিও অনুপ্রবেশকারী রেহাই নয়

উত্তর প্রদেশে অনুপ্রবেশ রুখতে এবার অভূতপূর্ব কড়াকড়ি শুরু করল যোগী আদিত্যনাথ সরকার। মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেনরাজ্যে বেআইনিভাবে থাকা কোনও ভিনদেশি নাগরিক বা অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়লে তাকে আর খোলা সমাজে রাখা যাবে না। সঙ্গে-সঙ্গে পাঠাতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে। প্রতিটি জেলাকেই অস্থায়ী ডিটেনশন সেন্টার তৈরির প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।যোগীর বক্তব্য, জাতীয় নিরাপত্তা এবং সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা করা রাজ্য সরকারের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। কোনও বেআইনি কাজ বা অনুপ্রবেশ কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। তাঁর স্পষ্ট বার্তাযে কোনও সন্দেহজনক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতেই হবে।রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, জেলার প্রশাসনকে দ্রুত এলাকার বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা তৈরি করতে হবে। ধরা পড়লে তাদের আগে ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর পরিচয় যাচাইয়ের পর আইনানুগভাবে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরই জেলাশাসকরা নড়েচড়ে বসেছেন। তাঁদের মন্তব্য, অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়লেই সরাসরি ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হবে এবং ভেরিফিকেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে থাকবেন।এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ডিটেক্ট অ্যান্ড ডিপোর্ট-এর কথা বলেছিলেন। অনুপ্রবেশকারীদের দেশছাড়া করতে সারাদেশে কঠোর নীতি নেওয়ার ডাক দিয়েছিলেন তিনি। এবার সেই পথেই হেঁটে উত্তর প্রদেশে প্রতিটি জেলায় ডিটেনশন সেন্টার তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হল। ফলে রাজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আরও শক্তি বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
দেশ

স্কুলে পড়ুয়াদের কয়েক কদম দূরেই ২০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার! কী পরিকল্পনা ছিল

জম্মু-কাশ্মীর ও দিল্লির পর এবার পাহাড়ে নাশকতার আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে। উত্তরাখণ্ডের আলমোড়া জেলার সুল্ত এলাকায় একটি সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের পাশের ঝোপে ১৬১টি জিলেটিন স্টিক ও বিস্ফোরকভর্তি প্যাকেট উদ্ধার হওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মোট ২০ কেজিরও বেশি বিস্ফোরক কোথা থেকে এল, কারা এনে লুকিয়ে রাখলতা নিয়ে তদন্তে নেমে পড়েছে পুলিশ, বম্ব স্কোয়াড ও গোয়েন্দারা। জেলার প্রশাসন ইতিমধ্যেই অ্যালার্ট জারি করেছে।স্কুলের প্রিন্সিপাল সুভাষ সিং প্রথমে বিষয়টি খেয়াল করেন। ঝোপে সন্দেহজনক কয়েকটি প্যাকেট দেখে তিনি কোনও ঝুঁকি না নিয়ে সরাসরি পুলিশে ফোন করেন। মুহূর্তের মধ্যে দুটি পুলিশ টিম স্কুলঘেরা এলাকা কর্ডন করে। তৎক্ষণাৎ ডগ স্কোয়াড ও বম্ব স্কোয়াডকে ডাকা হয়। পুলিশ কুকুরই সবচেয়ে আগে ঝোপ থেকে জিলেটিন স্টিকের উপস্থিতি টের পায়। আরও ২০ মিটার দূর থেকে মিলেছে বিস্ফোরকভর্তি আরও কয়েকটি প্যাকেট। পরে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড সেগুলিকে সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যায়।সাম্প্রতিক দিনে ধারাবাহিকভাবে বিস্ফোরকে ভরা প্যাকেট উদ্ধার হওয়ায় আরও উদ্বেগ বেড়েছে। এর আগে হরিয়ানার ধাউজ গ্রাম থেকে প্রায় ৩ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার হয়েছিল, যা দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছিল। ফলে পাহাড়ে মিলল এই বিস্ফোরকএমন তথ্য গোয়েন্দাদের আরও সতর্ক করে তুলেছে।জিলেটিন স্টিক সাধারণত পাহাড়ে পাথর ভাঙতে বা খনিতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু স্কুলের পাশে, সে-ও আবার ঘন ঝোপে লুকিয়ে থাকা এত বিপুল বিস্ফোরকের উপস্থিতি সন্দেহকে আরও গভীর করছে। চারটি বিশেষ তদন্তকারী টিম তৈরি করা হয়েছে। তারা খতিয়ে দেখছেকোথা থেকে আসল এই বিস্ফোরক, কারা নিয়ে এল, এর লক্ষ্য ছিল কোন জায়গা, এবং বড়সড় নাশকতার ছক কি সত্যিই তৈরি হচ্ছিল।এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা আলমোড়া জেলায়। পাহাড়ে জঙ্গি-মদতের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না তদন্তকারীরা।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal