• ৬ পৌষ ১৪৩২, বৃহস্পতি ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Kolkata

কলকাতা

১৯০ লোকাল ট্রেন বাতিল করল পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশন

শিয়ালদহ-ক্যানিং - ২৪সোনারপুর-ক্যানিং - ৭শিয়ালদহ - লক্ষ্মীকান্তপুর -২৫শিয়ালদহ-বজবজ - ২৯শিয়ালদহ - সোনারপুর - ১১সোনারপুর-বারুইপুর - ২শিয়ালদহ - বারুইপুর - ১৬শিয়ালদহ - নৈহাটি - ২লক্ষ্মীকান্তপুর - বারুইপুর - ৩শিয়ালদহ - ডায়মন্ড হারবার - ৩০লক্ষ্মীকান্তপুর - নামখানা - ১৯শিয়ালদহ-হাসনাবাদ - ২০সার্কুলার রেল - ২সব মিলিয়ে ১৯০ লোকাল আপাতত বাতিল করল পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশন।দীপক নিগম, শিয়ালদহ রেল ডিভিশন, DRM বলেন,কলকাতায় ঝড়ের সম্ভাবনা আছে৷ এমারজেন্সি কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। একাধিক পাম্প নিয়ে আসা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে। বিভিন্ন স্টেশনের গাছ ট্রিম করা হয়েছে।স্টেশন বিল্ডিংয়েই যেন থাকেন যাত্রীরা৷ সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ তার জন্য পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে ঘোষণা হবে৷ কেউ যেন প্ল্যাটফর্ম শেডে না থাকে।ক্যানিং, ডায়মন্ড হারবার, নামখানা, কাকদ্বীপে সিগন্যাল বিভাগের সিনিয়র আধিকারিকরা থাকবেন। এখানে মেডিক্যাল টিম থাকবে।মোটরম্যানদের বলা হয়েছে, হাওয়ার বেগ বুঝে কন্ট্রোল রুমে জানাতে৷ যাতে ট্রেন নিয়ন্ত্রণ করা যায়৷ বিজ্ঞাপন বোর্ড বারবার পরীক্ষা করা হয়েছে।শিয়ালদহ সাউথে আগামীকাল রাত আটটায় শেষ ট্রেন ছাড়বে৷ এরপর বন্ধ থাকবে ২৫ তারিখ সকাল দশটা অবধি৷ দক্ষিণ শাখার যে সব ট্রেন শিয়ালদহ আসবে তাদের প্রান্তিক স্টেশন থেকে শেষ ট্রেন সন্ধ্যা সাতটায় ছাড়বে৷ আবার পরের দিন সকাল নটায় ছাড়বে৷ ঝড়ের সময়ে কোনও ট্রেন লাইনে রাখা হবে না।সেন্ট্রাল কন্ট্রোল অফিস থেকে সব নজরদারি হবে৷কৌশিক মিত্র, মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক, পূর্ব রেল বলেন,১৯০ লোকাল ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে৷ দক্ষিণ শাখায় সবচেয়ে বেশি লোকাল বাতিল থাকছে।দীপক নিগম, ডিআরএম জানিয়েছেন, কানেকটিভি যথাযথ রাখার জন্য রেল নিজে থেকেই কথা বলেছে ফোন প্রভাইডারদের সাথে৷ একটা হেল্পলাইন নাম্বার খোলা হচ্ছে৷ তবে আগামীকাল ট্রেন বন্ধ হবার আগে, যাত্রী চাহিদা দেখে অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হবে।

অক্টোবর ২৪, ২০২৪
রাজ্য

কেন রাখা হয় ঘূর্ণি ঝড়ের নাম? এই তালিকায় কোন কোন দেশ রয়েছে?

বাংলা ও ওড়িষা উপকূল লন্ডভন্ড করতে দাঁনা বাঁধতে চলেছ দানা{ প্রবল আশঙ্কায় উপকূল অঞ্চলের বাসিন্দারা{ সতর্ক রাজ্য় সরকরাও{ ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি সম্ভবত বুধবারের মধ্যে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এবং বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম রাখা হয়েছে দানা।আইএমডি লিখেছে যে নিম্নচাপ মঙ্গলবার সকালের মধ্যে গভীর নিম্নচাপ এবং বুধবারের মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে, পরের দিন সকালে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের কাছে যাওয়ার জন্য উত্তর-পশ্চিমে এগোবে। ঘূর্ণিঝড়টি বৃহস্পতিবার রাতে এবং শুক্রবার সকালে পুরী এবং সাগর দ্বীপের মধ্যে ল্যান্ডফল করবে বলে আশা করা হচ্ছে, ঝড়ের গতিবেগ হবে প্রতি ঘন্টায় ১২০ কিমি, এমনই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।আগস্টের শেষ দিকে আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় আসনার পর দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে উত্তর ভারত মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড় দানা দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়। আরবি ভাষায় দানা নামের অর্থ উদারতা এবং এই অঞ্চলে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের নিয়ম অনুসারে কাতার এটি বেছে নিয়েছে। কীভাবে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয় এবং তাদের নাম বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোন নিয়ম অনুসরণ করা হয়?ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখে কারা?২০০০ সালে, WMO/ESCAP (বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা/ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক) নামক দেশগুলির একটি দল, যা বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড নিয়ে গঠিত, সিদ্ধান্ত নেয়। এই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে। প্রতিটি দেশ পরামর্শ পাঠানোর পর, WMO/ESCAP প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোন (PTC) তালিকা চূড়ান্ত করেছে।WMO/ESCAP ২০১৮ সালে আরও পাঁচটি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং ইয়েমেন। ২০২০ সালের এপ্রিলে আইএমডি দ্বারা প্রকাশিত ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা এই দেশগুলি সরবরাহ করেছিল - ১৩টি দেশের প্রতিটি থেকে ১৩টি পরামর্শ।ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখার কারণ কী?ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ মানুষের পক্ষে মনে রাখা সহজ করে তোলে, সংখ্যা এবং প্রযুক্তিগত পদের বিপরীতে। সাধারণ মানুষ ছাড়াও, এটি বিজ্ঞানী, মিডিয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকেও সাহায্য করে। একটি নাম দিয়ে, এটি স্বতন্ত্র ঘূর্ণিঝড় শনাক্ত করা, এর পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা, মানুষকে প্রস্তুত হতে এবং বিভ্রান্তি দূর করার জন্য দ্রুত সতর্কবার্তা প্রচার করা সহজ। একটি অঞ্চলে একাধিক সাইক্লোনিক সিস্টেম।

অক্টোবর ২৩, ২০২৪
রাজ্য

ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল আশঙ্কা, চূড়ান্ত প্রস্তুতি রাজ্যের

ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্য সরকার। উপকূল অঞ্চলের ৫ জেলা সহ মোট ৭ জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার প্রবল আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে রাজ্য সরকারও। মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সবরকম ভাবে সরকার প্রস্তুত রয়েছে সরকার। উপকূলের এলাকাগুলি থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে আনার কাজ চলছে। উপকূলবর্তী এলাকার পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও বাড়তি সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাগুলিতে মাইকিং করছে প্রশাসনের কর্মীরা।ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায ইতিমধ্যেই রাজ্য ও জেলা স্তরে ২৪ ঘন্টার কন্ট্রোল রুম চালু করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আধিকারিকদের সর্বক্ষণ পরিস্থিতির ওপর কড়া নজরদারি রাখবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামিকাল, বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছ। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় সতর্কতামূলক একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, হুগলি, হাওড়া এবং কলকাতায় সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ২৪ অক্টোবর রাত থেকে ২৫ অক্টোবর সকালের মধ্যে পুরী থেকে সাগরদ্বীপের মাঝে কোনও এক জায়গায় ল্যান্ডফল হতে পারে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানার। ল্যান্ডফলের সময় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার তুমুল সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলের জেলাগুলিতে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে শহর কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামেও।

অক্টোবর ২৩, ২০২৪
কলকাতা

ধর্মতলা চত্বরে মিছিল, মিটিং, জমায়েতে পুলিশের নিষেধাজ্ঞায় বিতর্ক, কাল শুনানি হাইকোর্টে

ধর্মতলা চত্বরে মিছিল, মিটিং, জমায়েত নিষিদ্ধ। কেসি দাস থেকে ভিক্টোরিয়া পর্যন্ত এলাকায় ৫ জন একসঙ্গে থাকতে পারবে না। বৌবাজার থানা ও হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞা। মূলত রাজনৈতিক কর্মসূচির ওপর এই নিষেধাজ্ঞা বলে জানা গিয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে আগামী ৬০ দিনের জন্য়। এর আগেও নাকি এমন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে লালবাজার দাবি করছে। এদিকে কলকাতা পুলিশের এই নির্দেশিকা নিয়ে তোলপাড় রাজনৈতিক ও চিকিৎসক মহল। ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিশের এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজনৈতিক দল থেকে চিকিৎসক সংগঠন। তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোশাল মিডিয়ায় সুকান্ত মজুমদার কলকাতা পুলিশের ওই নির্দেশিকা পত্র পোস্ট করে লিখেছেন, আগামী দুইমাস ব্যাপী ধর্মতলা সংলগ্ন কে. সি. দাস ক্রসিং থেকে ভিক্টোরিয়া হাউজ পর্যন্ত এলাকায় সমস্ত জমায়েত এবং মিটিং-মিছিলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো কলকাতা পুলিশ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদে এত ভয় কেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার? মাননীয়া ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রীর রাজত্বে আগেই সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার বাজেয়াপ্ত হয়েছে, এবার প্রতিবাদ কর্মসূচিতেও বারবার বাধাদানের অপচেষ্টা! কিসের এত ভয় নব নিযুক্ত অপদার্থ পুলিশ কমিশনারের?আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার পর থেকে রাজ্যজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে। রাতদখলের কর্মসূচিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ে। সেই আন্দোলন এখনও চলছে। জেলাগুলির পাশাপাশি কলকাতা শহরেও বিভিন্ন সংগঠন, রাজনৈতিক দল নিজেদের মতো করে বিক্ষোভ-আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে লালবাজারের এই নির্দেশিকায় বিতর্ক ছড়িয়েছে রাজ্যজুড়ে। আদালতে গিয়েছে রাজনৈতিক দল থেকে চিকিৎসক সংগঠনগুলি।

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪
রাজ্য

আরজি কর কাণ্ডের জের, নতুন পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা, বদলি স্বাস্থ্য দফতরেও

গতকাল জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠকে বিনীত গোয়েলকে সরানেরা কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো সরানো হল তাঁকে। কলকাতা পুলিশের নতুন কমিশনার হচ্ছেন মনোজ ভার্মা। ১৯৯৮ ব্যাচের আইপিএস অফিসার মনোজ ভার্মাকেই বিনীত গোয়েলের জায়গায় কলকাতা পুলিশের দায়িত্বে অনলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার ছিলেন মনোজ ভার্মা। সেই সঙ্গে নতুন ADG হলেন জ্ঞানবন্ত সিং। স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের ADG পদে যাচ্ছেন বিনীত গোয়েল।গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বিনীত গোয়েলকে সরিয়ে কলকাতা পুলিশের দায়িত্বে নতুন কাউকে আনা হবে। সেই মতো মনোজ ভার্মাকে কলকাতা পুলিশের নতুন পুলিশ কমিশনার করা হয়েছে। ১৯৯৮ ব্যাচের আইপিএস অফিসার মনোজ ভার্মা। তিনি রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) পদে নিযুক্ত ছিলেন। এর আগে কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। এবার তিনি পুলিশ কমিশনার।দক্ষ পুলিশকর্তা হিসেবে বরাবরই নিজের পরিচয় দিয়েছেন মনোজ ভার্মা। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে উত্তাল পরিস্থিতির সময় এই মনোজ ভার্মাকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ২০১৯ সাল পর্যন্ত দার্জিলিংয়ের আইজি ছিলেন মনোজ ভার্মা। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের ফি দিনের গন্ডগোল সামলানোর দায়িত্বও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মনোজ ভার্মার কাঁধেই সঁপেছিলেন। এবার কলকাতা পুলিশের দায়িত্বে আনা হল দুঁদে এই আইপিএস অফিসারকে।অফিসারকে। বিনীত গোয়েলকে পাঠানো হয়েছে এডিজি STF পদে পাঠানো হয়েছে। এর আগেও এসটিএফে কাজ করেছেন বিনীত গোয়েল। নতুন এডিজি আইবি হলেন জ্ঞানবন্ত সিং। DC নর্থ অভিষেক গুপ্তকেও বদলি করা হয়েছে। EFR সেকেন্ড ব্যাটেলিয়নের CO পদে আনা হয়েছে তাঁকে। অভিষেক গুপ্তর জায়গায় নতুন DC নর্থ দীপক সরকার। এডিজি (আইশৃঙ্খলা) পদে আনা হল জাভেদ শামিমকে। আরজি কর কাণ্ডের জেরে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের চাপে বদল স্বাস্থ্য দফতরেও। পুলিশের পাশাপাশি জুনিয়ার ডাক্তারদের দাবি মেনে সরিয়ে দেওয়া হল স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে। কৌস্তভ নায়েককে সরিয়ে স্বাস্থ্য অধিকর্তা পদে আবা হয়েছে স্বপন সোরেনকে। সেই সঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস হালদারকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা পদে থাকা দেবাশিস হালদারকে বদলি করা হচ্ছে জনস্বাস্থ্য স্পেশাল অফিসার অন ডিউটি পদে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা পদে থাকা কৌস্তভ নায়েককে ইনস্টিটিউট অফ হেলথ অ্যান্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ারে অধিকর্তা পদে পাঠানো হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪
রাজ্য

১৪ বছরেও চাকরির পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়নি, কড়া নির্দেশ বিচারপতির

মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী তিনদিনের মধ্যে ২০১০ সালের পরীক্ষার ফলপ্রকাশ করতে হবে তাঁদের। ১৪ বছর আগে পরীক্ষা হওয়ার পর এখনও তার ফল বেরোয়নি! এতেই বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। কমিশনের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, কোনও পরীক্ষার ফল বের করতে ১৪ বছর লাগে কি? ২০১০ সালে গ্ৰুপ ডি-তে তিন হাজার শূন্যপদে পরীক্ষা হয়েছিল। অন্তত ১ লক্ষ পরীক্ষার্থী সেই পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে সেই পরীক্ষায়।দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষার ফল না বেরোনোয় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় চাকরিপ্রার্থীরা। আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ ফলপ্রকাশের দিনক্ষণ বেঁধে দিয়েছিল। সেই সময়সীমা দুদিনের মধ্যেই শেষ হবে। তার আগে মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিলেন, তিনদিনের মধ্যেই সে ফলপ্রকাশ করতে হবে মাদ্রাসা কমিশনকে।

সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪
রাজ্য

'পুজোয় ফিরুন, উৎসবে ফিরুন', সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর

আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে উত্তাল বাংলা। প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে সারা দেশ। নজিরবিহীন প্রতিবাদের সাক্ষী থেকেছে গোটা বিশ্ব। আমেরিকা, গ্রেট ব্রিটেন সহ একাধিক দেশে আরজি কর কাণ্ডে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এসবের মাঝে মুখ্যমন্ত্রীর বড় বার্তা, পুজোয় ফিরুন, উৎসবে ফিরুন, সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর।আরজি কর আবহে জেলা থেকে কলকাতা, পুজোর অনুদান ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে একাধিক ক্লাব। এনিয়ে নবান্ন থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে মমতা বলেন, যে সব পুজো কমিটি সরকারি অনুদান নেবে না, তাদের বাদ দিয়ে নতুন পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়া হবে। পাশাপাশি আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাম-বামের চক্রান্তের তত্ত্বের পক্ষেও এদিন জোরালো সওয়াল করেন তিনি। পুজোর সময় বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে আধিকারিকদের এদিন নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল দেশ। সেই ঘটনার জেরে রাজ্য সরকারের তরফের দেওয়া পুজোর অনুদান ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছে কিছু পুজো কমিটি। তার মাঝে নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, যে সব পুজো কমিটি সরকারি অনুদান নেবে না, তাদের বাদ দিয়ে নতুন পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়া হবে। এদিকে আরজি কর কাণ্ডে আন্দোলনরত জুনিয়ার ডাক্তারদের আগামীকাল বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।এদিন নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা আরজি কর ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন,আরজি কর কাণ্ডে কুৎসা চলছে। মেয়ের স্মৃতিতে ভাল কাজ করতে হলে বলবেন, এই কথা বলেছিলাম। পরিবারকে কোন টাকা দেওয়া হয়নি। প্রমাণ দিতে হবে কোথায় টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পালটা নির্যাতিতার পরিবারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, সিবিআইকে আরজি কর নিয়ে সমস্ত নথি দেওয়া হয়েছে। রাস্তা আটকে প্রতিবাদ করলে সকলেরই অসুবিধা হয়। পুজোয় ফিরুন, উৎসবে ফিরুন সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর।

সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২৪
রাজ্য

"বদলা নয়, বদল চাই," বদলে গেল, স্লোগান সংশোধন করে হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেত্রী মমতার

২০১১ থেকে বলে আসছেন বদলা নয়, বদল চাই। এবার ডায়ালগ একটু সংশোধন করতে চাইলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার অন্যরকম চাইছেন। ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের কথা টেনে ফোঁস করার নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় কর্মীদের। বুধবার বিজেপির ডাকা বনধের দিন মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে বক্তব্য রাখছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, আরজি করের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি রাজনীতি করছে। লাশের নোংরা রাজনীতি করছে। বাংলার মানুষের কাছে তাদের চেহারা উন্মোচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, বাংলায় আগুন লাগানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।বাংলায় আগুন জ্বললে দিল্লিতে আপনার(মোদির) চেয়ারটাও টলিয়ে দেব। পাশাপাশি অভিষেকের সুরেই ধর্ষণের বিরুদ্ধে জোরালো আইন আনার পক্ষেও সওয়াল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।আগামী শুক্রবার তৃনমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের কলেজের গেটে গেটে আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসির দাবিতে প্রতিবাদে সামিলের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এর পাশাপাশি আগামী শনিবার ব্লকে ব্লকে মিছিলের ডাক দিয়েছেন তিনি।টিএমসিপির মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, আরজি করে যে বোনটি নির্যাতিতা হয়েছে , দেশের সব প্রান্তের মেয়েরা যেভাবে নির্যাতিতা হচ্ছে, আমি সকল নির্যাতিতাদের জন্য আজকের দিনটি উৎসর্গ করছি। আমরা বিচার চাই, ওরা লাশ চাই। ওরা আন্দোলনকে জল ঢেলে দিতে চাইছে। আসল উদ্দেশ্য থেকে সরে যাচ্ছে।এদিকে, আজ ১২ ঘন্টার বাংলা বন্ধের ডাক দিয়েছিল বিরোধী বিজেপি। এদিন বন্ধের বিরোধিতা করে মমতা বলেন, কেরল হাইকোর্ট, বোম্বে হাইকোর্ট বন্ধকে নিষিদ্ধ করেছে। বাংলায় বন্ধের কোন স্থান নেই। আরজি কর প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৯ তারিখ ঝাড়গ্রাম থেকে ফিরছিলাম, ১০ সকালে পৌঁছে যা যা করনীয় সব করা হয়েছে। আরজি করে যা ঘটেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। যাতে দেরি না হয়, কোন ভুল না হয় তার জন্য সব রকম চেষ্টা সরকারের তরফে করা হয়েছে। আমি সাত দিনের মধ্যে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে ফাঁসি চেয়েছিলাম। যারা ধর্ষক তাদের একটাই শাস্তি হওয়া দরকার তা হল ফাঁসি। কিছু মোদি মিডিয়া বিজেপির অশান্তিকে প্রমোট করছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে আগামী সপ্তাহে বিধান সভার বিশেষ অধিবেশন ডেকে ধর্ষণে্র ঘটনায় ফাঁসির সাজা আনার বিষয়ে বিল আনবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। আরজি কর কাণ্ডের প্রসঙ্গে জুনিয়ার ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে বলেন, জুনিয়ার ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোন অ্যাকশন নেয়নি সরকার। দিল্লিতে বিজেপি সরকার ডাক্তারদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল। আরজি কর প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমি শনিবার পর্যন্ত সময় চেয়েছিলাম। মঙ্গলবারের মধ্যে আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। আজ ১৬ দিন কেটে গিয়েছে। এত দিন কী করছে সিবিআই? কোথায় গেল বিচার? পাশাপাশি তিনি স্লোগান তোলেন, বিচার চাই বিচার চাই জবাব দাও সিবিআই, ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই জবাব চাই সিবিআই। এরপাশাপাশই আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কাজে যোগদানের বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আগস্ট ২৮, ২০২৪
রাজ্য

ঝাড়খন্ডে বৃষ্টি বাড়লেই আশঙ্কা, ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

নাগারে বৃষ্টি চলছে রাজ্য জুড়ে। গত কয়েকদিন ধরেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে জেলায়-জেলায়। জলমগ্ন জেলাগুলি। কলকাতা বিমানবন্দরে ঢোকার রাস্তা কোমর অবধি জল দেখা গিয়েছে। এদিকে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে, তারই জেরে এই টানা দুর্যোগ। তবে এখনই এই দুর্যোগ থেকে নিস্তারের সম্ভাবনা নেই। অন্তত এমনই মনে করছে আবহাওয়া দফতর। আগামী কয়েকদিনে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে।জেলায় জেলায় দফায় দফায় মাঝারি কোথাও ভারী অতিভারী বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন দশা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জেলায় নিচু এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছে। রাজ্যে প্রায় সব জেলাতেই এই বৃষ্টি চলছে। প্রবল বৃষ্টির জেরে জল ছাড়তে শুরু করেছে জলাধারগুলিও। জল ছাড়ছে DVC। তারই জেরে জলাধার লাগোয়া জেলাগুলিতে বানভাসি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। ডিভিসির জল নিয়ে প্রতিবছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন।এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি একদিকে ঝাড়খণ্ড এবং অন্যদিকে সিকিম এবং ভুটানেও বৃষ্টি চলছে। ঝাড়খণ্ডের বৃষ্টির জেরেও এরাজ্যের পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বানভাসি হতে পারে একাধিক জেলা। অন্যদিকে সিকিম, ভুটানের টানা বৃষ্টির জেরে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক। চলতি বর্ষায় এই প্রথম এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গ। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই শহর কলকাতার দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় নিচু এলাকাগুলিতে জল জমেছে। কোথাও কোথাও পাম্প বসিয়ে জল বের করতে দেখা যাচ্ছে পুরসভাগুলিকে। জল সরাতে নেতাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও পাম্প ব্যবহার করতে হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের যা পূর্বাভাস তাতে করে শীঘ্রই এই দুর্যোগ থেকে মুক্তির সম্ভাবনা নেই।তবে বৃষ্টি এভাবে চলতেই থাকলে বড়সড় বিপদের আশঙ্কা বাড়ছে। একটানা এই দুর্যোগের শেষ কবে? সেব্যাপারে এখনও পর্যন্ত যুৎসই কোনও উত্তর দেয়নি হাওয়া অফিস। আপাতত এই সপ্তাহের পুরো সময়টাতেই রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির এই দাপট জারি থাকবে। তবে ঝাড়খন্ডে বৃষ্টি বাড়লেই দক্ষিণবঙ্গে আশঙ্কা বাড়বে।

আগস্ট ০৩, ২০২৪
কলকাতা

কলকাতায় তিনতলা বাড়ি ভেঙে চাপা পড়ে মৃত্যু, কি দিয়ে বানিয়েছিল এই বাড়ি?

কলকাতায় বাড়ির ছাদ ভেঙে বিপর্যয়। এবার বাগুইআটিতে তিনতলা বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হল ওই বাড়িরই বাসিন্দা এক কিশোরের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জানা গিয়েছে, একেই বাড়ি তৈরির সঠিক দ্রব্যসামগ্রী ব্য়বহার করা হয়নি, নেওয়া হয়নি পুরসভার অনুমতি। তারওপর টানা বর্ষণ। যার ফলে এই দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে একটানা বৃষ্টি চলছে। বৃহস্পতিবার দিনভর বৃষ্টির পর রাতের দিকে বাগুইআটি অশ্বিনীনগরে আচমকা একটি তিনতলা বাড়ির ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ে। ঘটনার সময় নীচের ঘরে ছিলেন ধ্রুবজ্যোতি মণ্ডল নামে ওই কিশোর। ছাদের চাঙর কিশোরের মাথার উপর ভেঙে পড়ে। বৃহস্পতিবার রাতে ৬ ঘন্টার চেষ্টার অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনার পরে বিশাল সিমেন্টের চাঙরের নিচেই চাপা পড়ে ছিল ওই কিশোর। অভিযোগ, খবর পাওয়ার পর বহুক্ষণ পর এলাকায় বিপর্যয় মোকাবিলার দল পাঠায় প্রশাসন। উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা সেই বাড়ির ভিতরে ঢুকে সিমেন্টের চাঙর সরিয়ে উদ্ধার করে ওই কিশোরকে। কিন্তু কেন ভেঙে পড় তিনতলার ওই অংশ।স্থানীয়দের দাবি, এই বাড়িটির ছাদ ঢালাইতে লোহার রড দেওয়া হয়নি। বাঁশ বা কঞ্চি দিয়ে ঢালাই করা হয়েছিল। পাথরের বদলে ইঁটের টুকরোও দেখা গিয়েছে ভাঙা অংশে। এই বাড়িটি ভেঙে নতুন করে করার কথা ছিল। তার আগেই ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটলো। স্থানীয়দের আরও বক্তব্য, মৃত কিশোরের বাবা নিষেধ করা হয়েছিল ওই ভাবে ঢালাই দিতে, তিনি তা শোনেননি। তারই পরিণতিতে প্রাণ গেল কিশোরের। অন্যদিকে, হাওড়ার সালকিয়ায় টানা বৃষ্টির জেরে জমা জলে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু চহয়েছে এক তরুণীর। বৃহস্পতিবার রাতে বোনকে সঙ্গে নিয়ে বন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন সালকিয়ার তাঁতি পাড়ার বাসিন্দা পূরবী দাস। তাঁদের বাড়ির সামনেই জল জমে ছিল। জমা জলে কোনওভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ওই তরুণী। বাবার সামনেই এই ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই তরুণীর বাড়ির সামনে একটি বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে। সেই খুঁটি থেকে কোনওভাবে একটি তার বেয়ে পড়েছিল রাস্তার জলে। তা থেকেই ওই তরুণী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আগস্ট ০২, ২০২৪
কলকাতা

কলকাতায় মেট্রো যাত্রীদের জন্য বিরাট সুখবর, জানতে হলে এই খবর আগে পড়ুন

কলকাতার চতুর্দিকে মেট্রো পরিষেবার বহর বাড়ছে। অরেঞ্জ লাইনেও এবার মেট্রো চালুর সময় এগিয়ে এসেছে। বেড়েছে মেট্রোর সংখ্যা। মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেছেন, কবি সুভাষ ও হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্টেশনের মধ্যে পরিষেবার সংখ্যা ও পরিষেবার সময় দুটোই বাড়তে চলেছে আগামী ৫ অগাস্ট অর্থাৎ সোমবার থেকে। এখন দৈনিক ৪৮ টি পরিষেবা এই লাইনে চলে। ওই দিন থেকে মোট ৭৪ টি মেট্রো পরিষেবা (৩৭ আপ ও ৩৭ ডাউন)এই লাইনে চালানো হবে। পরিষেবাগুলি পাওয়া যাবে ২০ মিনিট অন্তর। এমনকি শনিবারেও এই মেট্রো পরিষেবা পাওয়া যাবে। জানা গিয়েছে, প্রথম মেট্রো পরিষেবা কবি সুভাষ ও হেমন্ত মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু হবে সকাল ৯ টার বদলে সকাল ৮ টায়। আর দিনের শেষ মেট্রো পরিষেবা এই দুই স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে বিকেল ৪:৪০ এর বদলে রাত ৮ টায়। রবিবার দিন কোনও পরিষেবা চলবে না।প্রথম পরিষেবা-কবি সুভাষ থেকে: সকাল ৯ টার পরিবর্তে সকাল ৮ টায়হেমন্ত মুখোপাধ্যায় থেকে: সকাল ৯ টার পরিবর্তে সকাল ৮ টায়শেষ পরিষেবা--কবি সুভাষ থেকে: বিকেল ৪:৪০ এর পরিবর্তে রাত ৮ টায়হেমন্ত মুখোপাধ্যায় থেকে: বিকেল ৪:৪০ এর পরিবর্তে রাত ৮ টায়

জুলাই ৩০, ২০২৪
কলকাতা

নিউ টাউনে মাথার খুলি সহ কঙ্কাল উদ্ধার, চাঞ্চল্য

মাটি খুঁড়লেই কোথাও কিছু না কিছু মিলছে। এর আগে পূর্ব বর্ধমানে মানুষের কঙ্কাল মিলেছিল। এবার নিউটাউন। কোথা থেকে এল এই কঙ্কাল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।নিউ টাউন থানার অন্তর্গত তারুলিয়া সেকেন্ড লেনে নর্দমার পাশ থেকে মাথার খুলি ও কঙ্কাল উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার সকালে স্থানীয় লোকজন একটি খোলা কালো প্লাস্টিক থেকে মাথার খুলি ও হাড়গোড় বেরিয়ে আছে। এমন দৃশ্য় দেখে তাঁরা খবর দেন নিউ টাউন থানায়। নিউটন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই কঙ্কাল উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কঙ্কাল সেখানে কি করে এলো তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

জুলাই ১৮, ২০২৪
রাজ্য

কয়লাঘাটের ভুলে যাওয়া ইতিহাস: নাম জড়িয়ে সিরাজউদ্দৌলার, পূর্ব রেলের উত্তরাধিকার

হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত কয়লাঘাট ভবনটি একটি ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক যা পূর্ব রেলওয়ের বিবর্তনের নীরব সাক্ষী। কিন্তু খুব কম লোকই জানেন যে কয়লাঘাট নামটি আসলে কিলাঘাট অর্থাৎ কেল্লার ঘাট নামটির একটি বিবর্তন, যার নিজস্ব একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে।কিলাঘাট স্ট্রিট বলতে ঘাট থেকে কিলা (কেল্লা) বা পুরাতন ফোর্ট যাওয়ার রাস্তাটিকে বোঝায়, যার মধ্যে বর্তমানে জেনারেল পোস্ট অফিস, রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, ফেয়ারলি প্লেস, কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট, শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া এবং কাস্টমস হাউস অবস্থিত।কিলা ঘাট স্ট্রিট শহর এবং ভারতের ইতিহাসে ব্যাপক পরিবর্তনের সাক্ষী। যখন পুরোনো কেল্লার অস্তিত্ব ছিল, তখন স্ট্র্যান্ড রোডের অস্তিত্ব ছিল না। কিলা ঘাট বা তীরগুলি শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া অফিস এবং আজকের কাস্টমস হাউসের মাঝামাঝি কোথাও অবস্থিত। ১৭৫৬ সালে বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলা কলকাতা আক্রমণ করলে এই ঘাটটি দুর্গ খালি করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। ১৭৫৬ সালের পরে, ব্রিটিশরা অনুভব করেছিল যে জায়গাটি আক্রমণের বিরুদ্ধে তেমন নিরাপদ নয় এবং তাই দুর্গটি বর্তমান ময়দানে (তৎকালীন গোবিন্দপুর) স্থানান্তরিত করে।কয়লাঘাট ভবনটি ১৯ শতকের শেষের দিকে ইস্ট ইন্ডিয়া রেলওয়ের কয়লা ডিপো হিসাবে নির্মিত হয়েছিল। ইস্ট ইন্ডিয়া রেলওয়ের কার্যক্রম সম্প্রসারণের সাথে সাথে কয়লাঘাট ভবনটি বেশ কয়েকটি সংস্কার ও সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে যায়।১৯৫২ সালে, ইস্ট ইন্ডিয়া রেলওয়ে জাতীয়করণ করা হয় এবং কয়লাঘাট ভবনটি নবগঠিত পূর্ব রেল অঞ্চলের একটি অংশে পরিণত হয়।কয়লাঘাট ভবনটি পূর্ব রেলের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষ্য বহন করে। কয়লা ডিপো হিসাবে এর সূচনা থেকে ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক হিসাবে বর্তমান অবস্থা পর্যন্ত, বিল্ডিংটি এই অঞ্চলের পরিবহণ নেটওয়ার্কের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।

জুলাই ১৩, ২০২৪
কলকাতা

কলকাতার পর সল্টলেকেও চরম অমানবিকতার নজির, মোবাইল চোরের দাগ লাগিয়েই পিটিয়ে খুন

কলকাতার বৌবাজারের পর সল্টলেক। একটা গণপিটুনি গতকাল রাতে, আরেকটা আজ ভোরে। ১২ ঘন্টার মধ্যে দুই সভ্যনগর কলকাতা ও সল্টলেকে দুজনকে পিটিয়ে খুন করা হল। দুটি ক্ষেত্রেই মোবাইল চুরির সন্দেহে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। দ্বিতীয় গণপিটুনি হয়েছে সল্টলেক ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা এলাকার পোলেনাইটে। মৃতের নাম প্রসেন মন্ডল (২২)।পুলিশ সূত্রে খবর, আজ শনিবার ভোর বেলায় করুণাময়ীর কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে থানায় খবর যায় এক ব্যক্তি একটি যুবককে নিয়ে এসেছে মৃত অবস্থায়। এবং যে নিয়ে এসেছে তাকে আটকে রেখেছে। এর পর পুলিশ গিয়ে তাঁকে আটক করে নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে, আজ ভোর বেলায় মোবাইল চুরির অভিযোগে তাকে ওই অভিযুক্ত, তার ছেলে ও এক বন্ধু মারধর করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি দুজনের খোঁজ পায় তাদেরকেও আটক করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশ এর বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে।ধৃতরা হল তপন সরকার, হরসিত সরকার ও শ্রীদাম মন্ডল।

জুন ২৯, ২০২৪
কলকাতা

কোরপান শাহের অমানবিকতার স্মৃতি ফিরল কলকাতায়, গণপিটুনিতে খুন, অভিযোগ ছাত্রাবাসের আবাসিকদের বিরুদ্ধে

১৬ নভেম্বর ২০১৪। ২৮ জুন ২০২৪। প্রায় ১০ বছরের ব্য়বধানে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। ১০ বছর আগে চোর সন্দেহে কোরপান শাহকে এনআরএসের হবু চিকিৎসকরা পিটিয়ে মেরে দিয়েছিল। হাওড়ার এই যুবক ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন। শুক্রবার রাতে ফের কলকাতায় বৌবাজারে মোবাইল চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠলো হস্টেলের আবাসিকদের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ১৫ জনকে গ্রেফৎতার করেছে কলকাতা পুলিশ। ছাত্রদের মানবিকতা নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। পড়ুয়ারাই যদি এমন অসহিষ্ণু হয় তাহলে সমাজে সর্বনাশ হওয়ার কোনও বাকি থাকে, এই মতবাছেলেধরা গুজব নিয়ে তোলপাড় চলছে বেশ কিছু দিন ধরেই। তার জেরে একাধিক গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে মূলত কলকাতা লাগায়ো উত্তর ২৪ পরগণায়। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে পূর্ব বর্ধমান ও দক্ষিণ ২৪ পরগণাতেও ঘটেছে। তবে কোনও ক্ষেত্রেই যাঁরা আক্রমণের শিকার হয়েছেন তাঁরা কেউই দোষী তো নয়ই একেবারে সাধারণ মানুষ বা ভবঘুরে-ভারসাম্যহীন। এবার খাস কলকাতায় ঘটে গেল মানবিকতার চরম বিপর্যয়। চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে বউবাজার এলাকার একটি ছাত্রাবাসের আবাসিকদরে বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, পুলিশ এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ, খুন, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা বিভিন্ন কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়া। হস্টেল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৬টি ব্যাট, একটি লাঠি। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করার কাজ করছে পুলিশ। সিসি ট্যাম্পারিংয়েরও অভিযোগ উঠেছওই যুবক মোবাইল চুরি করেছে বলে সন্দেহ করে বউবাজারে ছাত্রাবাসের আবাসিক ছাত্ররা। অভিযোগ, ব্যাট, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারা হয় ওই যুবককে। তাতে মৃত্যু হয়েছে তার। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম ইরশাদ আলম, বয়স ৪৭। তিনি চাঁদনিচক এলাকায় একটি টিভি সারাইয়ের দোকানে কাজ করতেন। জানা গিয়েছে, ওই হোস্টেলের এক আবাসিক ছাত্রের একটি মোবাইল ফোন খোয়া যায়। শুক্রবার সকালে হস্টেলের পাশেই একটি দোকানের মালিক ছাত্রদের জানান, এক ব্যক্তি ওই চত্ত্বরে ঘোরাফেরা করছেন। ছাত্রাবাসের পাশেই রয়েছেন একটি নামি মিষ্টির দোকান। সেখান থেকে টেনে হিঁচড়ে ছাত্ররা ওই যুবককে হস্টেলে তুলে নিয়ে যায়। সেখানেই তাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেই অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছায় বউ বাজার থানার পুলিশ। পরে ঘটনাস্থলে আসে মুচিপাড়া থানার পুলিশ। এরপর আহত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসকরা ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কোরপান শাহ প্রাণ দিয়েই বোঝাতে পারেনি শহর কলকাতা কতটা অমানবিক। ছাত্র সমাজ কতটা অমানসিকতার নজির গড়তে পারে। বউবাজারের ছাত্রাবাসের আবাসিকরা প্রমাণ করল ছাত্র সমাজ শুধু সমাজ গড়ে না, অন্ধকার সমাজ গড়তেও সাহায্য় করে। এই গণপিটুনির ঘটনায় ধিক্কার জানাচ্ছে সমাজের সমস্ত মহল।

জুন ২৯, ২০২৪
রাজ্য

সরকারি জমি দখল করে হয়েছিল প্রাক্তন মন্ত্রীর অফিস, ভেঙে গুড়িয়ে দিল পুলিশ

বিধানসভায় খাতায়কলমে বিধায়ক রয়ে গিয়েছেন জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিবও ছিলেন। যদিও তাঁর পদ চলে যাওয়ার পর আর কেউ মহাসচিব পদে বসেননি। এবার সেই প্রাক্তন মন্ত্রী, বিধায়কের শেষ চিহ্নও মুছে গেল মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। বেহালায় ফুটপাত দখল করে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অফিস বৃহস্পতিবার ভাঙা পড়ল। বেহালার ম্যান্টনে সেই অফিস ভাঙা হয়েছে কার্যত ফুটপাত দখলমুক্ত করতেই।কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি জমি দখলমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন নবান্ন থেকে। তার পর থেকেই তৎপর পুলিশ-প্রশাসন। অনেকদিন ধরেই অভিযোগ ছিল, রাস্তা দখল করে বেহালা পশ্চিমের বিধায়কের কার্যালয় তথা পার্টি অফিস তৈরি করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই ফুটপাত-রাস্তা দখলমুক্ত করার অভিযানে নেমেছে পুলিশ-প্রশাসন। তার মধ্যেই ভাঙা পড়ল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অফিস।ওই পার্টি অফিসে নিয়মিত বসতেন বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক। সেখানে সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা শুনতেন পার্থবাবু। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই সেই অফিস নিয়ে বিস্তর অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। ২০২২ সালের ২৩ জুলাই পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে তৃণমূলের অফিসটি। এবার স্মৃতি থেকেও মুছে গেল সেটি।এই ইস্যুতে শাসক-বিরোধী তরজা শুরু হয়েছে। বেহালার সিপিএম নেতা কৌস্তভ চট্টোপাধ্যায় বলনে, সাধারণ মানুষের অভিযোগে চাপে পড়ে প্রশাসনকে ভাঙতে বাধ্য করেছে। পাল্টা তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেনের দাবি, এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন। দল, রং না দেখে ব্যবস্থা নেয়। তৃণমূল কোনও অন্যায়কে সমর্থন করে না। করবেও না{

জুন ২৮, ২০২৪
রাজ্য

হকার উচ্ছেদ নিয়ে ফের হুঙ্কার মুখ্যমন্ত্রীর, বেঁধে দিলেন রাস্তা পরিষ্কারের সময়

হকার উচ্ছেদ আমাদের লক্ষ্য নয়, তবে সবটাই করতে হবে নিয়ম মেনে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বেআইনি হকার উচ্ছেদ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা, কাউন্সিলরদের একাংশকেও কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি একমাস সময় দিয়েছেন হকারদের।মমতা বলেছেন, হকারদের আমি এক মাস সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে সব গোছাতে শুরু করুন। রাস্তা পরিষ্কার রাখতে হবে। আমাদের সার্ভে চালু থাকবে। আপনাদের কোথায় জায়গা দেওয়া যায়, তা সরকার দেখবে। গোডাউনের ব্যবস্থাও করবে। কিন্তু রাস্তা দখল করা যাবে না।এবার হকার উচ্ছেদ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বেআইনি হকার উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছে পুলিশ প্রশাসন। রীতিমতো বুলডোজার চালিয়ে বেআইনি দখলদারি ভেঙে দিচ্ছে প্রশাসন। তা নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভও দানা বেঁধেছে চূড়ান্তভাবে। মুখ খুলেছে বিরোধীরাও। এ প্রসঙ্গেই সাংবাদিক বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতা-কাউন্সিলরদের একাংশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একজন হকার চারটে করে ডালা বসাচ্ছে। এসব চলবে না.. কাউন্সিলর এসব চোখে দেখেও দেখেন না। গড়িয়াহাটে হাঁটার জায়গাই নেই। কাউকে বেকার করে দেওয়ার অধিকার আমার নেই। হাতিবাগানে রাস্তা দখল হয়ে গেছে। কাউন্সিলরদের দোষ আছে। ভাবছে মাসে মাসে চাঁদা পেলাম, আর রাস্তা দিয়ে দিলাম। প্রথমে বসাচ্ছেন পরে বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ করতে যাবেন। যে কাউন্সিলরের এলাকায় এসব হবে তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে। ডাবগ্রাম ফুলবাড়িতে তৃণমূল নেতাও গ্রেফতার হয়েছে।তিনি আরও বলেন, সরকারি জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হলে কোর্টে চলে যাচ্ছে। আদালতকে বোঝাতে আমরা ব্যর্থ। পুলিশ নেতাদের টাকা দিয়ে বেআইনি পার্কিং জোন। সবচেয়ে বেশি পার্কিং রয়েছে বিজেপির। হাওড়ায় যে যেখানে পারছে লুঠ করে নিচ্ছে। পুলিশের লোভ বেড়ে গেছে আজকাল। লোভ বেশি ভালো নয়। লোভ সম্বরণ করুন। পুলিশ, নেতারা সবচেয়ে বেশি দায়ী। কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না। হকারদের থেকে টাকা তোলা বন্ধ করুন নেতারা। বহিরাগতদের জায়গা দেওয়া হবে না।এদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, সাহস থাকলে রাজাবাজার, গার্ডেনরিচ, মেটিয়াব্রুজ, পার্কসার্কাসে হকার উচ্ছেদ করুক। আগে তো বলেছিলেন টুল আর টেবিল নিয়ে বসতে। এখন গরীবের উচ্ছেদ চলছে গরীব হকারদের। এদিকে বাংলা পক্ষ সরব হয়েছে বাঙালি ভূমিপুত্রদের উচ্ছেদ করায়।

জুন ২৭, ২০২৪
রাজ্য

আদৌ কি বন্ধ হচ্ছে ব্রিটানিয়ার তারাতলা ইউনিট, অমিত মিত্রকে ফোন করে কি জানালেন সংস্থার কর্তা?

ব্রিটানিয়া হল বাংলার আবেগ। ব্রিটানিয়ার কলকাতার কারখানা বন্ধের খবরে গোটা বাঙালি সমাজ যেন অতীত রোমন্থন করতে শুরু করে দিয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার ব্রিটানিয়া কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ড বরুণ বেরি মুখ্যমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা অমিত মিত্রকে ফোন করেছেন। তারপরেই সেই ফোনালাপ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। কলকাতার তারাতলায় প্রায় ১০০ বছরের পুরনো ব্রিটানিয়া বিস্কুট কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর নিয়ে গতকাল রাজ্যজুড়ে তোলপাড় হয়েছে। বাংলার আরেক আবেগের নাম ব্রিটানিয়া বিস্কুট। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন আমিত মিত্র, ব্রিটানিয়া কোম্পানি এ রাজ্য থেকে অন্যত্র সরে যাচ্ছে না বা বন্ধও হচ্ছে না। অমিত মিত্র বলেন, বরুন বেরি আমাকে জানিয়েছেন, ভারতবর্ষের মধ্যে এরাজ্যে ব্রিটানিয়ার সবচেয়ে বড় বাজার। শুধু তাই নয় মিস্টার বেরি বলেছেন,পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ব্রিটানিয়া কোম্পানি ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাই ব্রিটানিয়া কোম্পানির ফুল টিম পশ্চিমবঙ্গে এসে সরকারের সঙ্গে এবিষয়ে আলোচনায় বসবেন।অমিত মিত্র আরও বলেন, এ রাজ্যে ব্রিটানিয়া কোম্পানি ১০০০ থেকে ১২০০ কোটি টাকার প্রোডাকশন করে। ভারতের মধ্যে সব থেকে বড় মার্কেট ওদের এরাজ্যে। ব্রিটানিয়া কোম্পানির ভারতের মধ্যে রেজিস্টার্ড অফিস এই পশ্চিম বাংলাতেই রয়েছে। শেয়ার হোল্ডারদের বৈঠকও এই বাংলাতেই হয়। অমিত মিত্র জানিয়েছেন, ব্রিটানিয়া কোম্পানি মুম্বই ও চেন্নাইয়ের প্ল্যান্ট এর আগেই বন্ধ করে দিয়েছে। ১৯৪৭ সালে তারাতলায় এই কোম্পানিটি গড়ে উঠেছিল। করোনাকালের আগে ব্রিটানিয়া কোম্পানির কর্ণধাররা রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন আলোচনায় বসার জন্য। পরে করোনার কারণে তা আর সম্ভব হয়নি। তাই ব্রিটানিয়া কোম্পানির আরও গুণগত মান বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে আবার আলোচনায় বসতে চলেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্থিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র। অভিজ্ঞ মহলের মতে, করোনা কালের মিটিং এখনও সম্ভব হয়নি। এদিকে ব্রিটানিয়ার তারাতলা ইউনিটের কর্মীদের ভিআরএস দিতে চলেছে সংস্থা। তবে তারাতলা ইউনিটের কারখানা থাকবে না স্টক পয়েন্ট করবে তা এখন নিশ্চিত করে জানায়নি সংস্থা। তবে এই বন্ধের খবর উত্তাল হয়েছে বাংলা। এখনও ২৪ বছরের লিজচুক্ত রয়েছে বন্দরের সঙ্গে। পার্মানেন্ট কর্মীদের সরিয়ে চুক্তি ভিত্তিক কর্মীদের কাজ করাতে বলে মনে করছে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।

জুন ২৫, ২০২৪
রাজনীতি

২০২৬ লক্ষ্যঃ অ্যাকশন শুরু- দলীয় নেতৃত্ব ও পুরসভা, পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অভিযোগ মমতার

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার ২৪ ঘন্টার মধ্য়েই হকার অভিযানে নামল রাজারহাট থানার পুলিশ। থানার আশেপাশে রাস্তার হকারদের রাস্তা দখল করে বসা যাবে না বসে সতর্ক করে দিয়েছে। এবার সারা রাজ্য়ে নানা ধরনের অভিযান চলবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। চলতি লোকসভা নির্বাচনে শহরাঞ্চল মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে ঘাসফুল শিবির থেকে। বেশিরভাগ পুর এলকায় জয় পয়েছে বিজেপি। তাই এখন থেকেই তৃণমূল নেত্রী ময়দান পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করতে নেমেছেন। নিজেই দলীয় নেতৃত্ব ও পুরসভা, পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অভিযোগ তুলেছেন।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বাংলার আইডেন্টিটি নষ্ট হচ্ছে। রাজ্য সরকারের জমি বেঁচে দিচ্ছে। পুরসভাগুলির কোনও পারফর্মেন্স নেই। পুলিশ ও আধিকারিকরা টাকা খেয়ে জমি বিক্রি করে দিচ্ছেন। ভ্য়াট, আবর্জনা নিয়মিত পরিস্কার হয় না। রাস্তায় আলো জ্বলেই যাচ্ছে জ্বলেই যাচ্ছে। কলের জল পরেই যাচ্ছে। টাকা কোথা থেকে আসছে। এটা লজ্জা মিউটেশন অনলাইন করা হলেও কাজ সময়মতো হচ্ছে না। যখন তখন ট্য়াক্স বাড়িয়ে দিচ্ছে। যখন তখন লোক নিয়োগ করে দিচ্ছে। অনলাইন এড়িয়ে অনুমতি। টাকার বিনিময়ে পুরসভার জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। সরকারি জমি নষ্ট হচ্ছে। তদন্ত করতে চিফ সেক্রেটারিকে অর্ডার দিচ্ছি। আমি জানতে চাই না কে বা কারা করেছে, কারা আছে। সরকারি সম্পত্তি বাইরের লোক টাকার বিনিময়ে কিনছে। সরাকারি জমি জখল করে মাল্টিস্টোরেড বিল্ডিং হচ্ছে। রাজ্য সরকারের রাস্তা সংরক্ষণ হচ্ছে না। বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রী, জেলর, এসিডও, ডিএম, আইসি কাউকে ছেড়ে কথা বলেননি মমতা।দলের মন্ত্রীকেও বিঁধেছেন মমতা। তিনি বলেন, সল্টলেক, রাজারহাটের জমি দখল করা হচ্ছে। সুজিত(দমকলমন্ত্রী) কম্পিটিশন করে বাইরের লোক বসাচ্ছে। সল্টলেকের কাউন্সিলররা কাজ করে না। রাস্তা ঝাড় দেয় না এবার আমাকে ঝাড় দিতে হবে। কলকাতায় পুলিশ চোখে ঠুলি দিয়ে বসে আছে। হাওড়ার চারজন বিধায়ক সুবিধা নিচ্ছে। বালি পুরসভার অবস্থাও খুব খারাপ। নমিনেটেড ৫ জন ভাবছে এটা তাঁদের সম্পত্তি। লোকাল টেন্ডার হবে না। এবার সেন্ট্রালই হবে। ডেভেলপমেন্ট বোর্ডগুলিতে ৪০০-৫০০ জন লোক রেখে দিয়েছে। কারও মাথা টিপছে কারও পা টিপছে। দীঘা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি আছে। কোনও দরকার আছে। সরকারের লোক নেই কাজে লাগাও। হলদিয়া ডেভেলপ অথরিটিও তাই। আমাদের লোকেরা ভাবছে উনি তো ভুলে যাবেন। অফিসার ভাবেন আমি তো ২ বছর থাকবে। কোনওমতে কেটে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, এবার রিভিউ কমিটি হবে। ভিডিল্য়ান্স, এডিজি ল এন্ড অর্ডার, সিআইডি, ডাইরেক্টর অব সিকিউরিটিসহ অন্যরা থাকবে। যে দাবি করার কথা বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমের সেই দাবি করছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান অভিযোগ করছেন, পুকুর ভরাট হচ্ছে। তা দখল করে বাড়ি হয়ে যাচ্ছে। কন্ট্রাক্টর, প্রমোটার রাজ চলছে। খাল বিক্রি করে দিচ্ছে। অবৈধ নির্মান চলছেই। আকাশ সমান বাড়ি হচ্ছে। এমনকী নবান্নের পাশে হচ্ছে। রথীন চক্রবর্তী অনুমতি দিয়েছে। ফুটপাত দখল বেড়ে যাচ্ছে। পুলিশ ও পুরসভা দেখছে না। যারা দেখবে না তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হবে।সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন মমতা। তাঁর দাবি, বিজেপিকে ভাগ দিচ্ছে অফিসাররা। তাঁরা মোটা টাকা তুলছে বাংলা থেকে। গরুর টাকা সব থেকে বেশি খায় বিজেপি। কয়লার টাকা, বালি, পাথার সব থেকে বেশি টাকা খায় বিজেপি। টাকা যায় পুলিশের মাধ্যমে। ওভারলোডিং ট্রাক টলছে। এতে আমাদের কিছু কিছু লোক আছে। তাদের ইডি, সিবিআই ভয় দেখায। টাকা তোলার মাস্টার চাই না। আমি জনসেবক চাইছি। এখানে কারও কথা শুনবো না।

জুন ২৫, ২০২৪
রাজ্য

যাত্রীদের সুবিধার্থে অভূতপূর্ব উদ্যোগ পূর্ব রেলের, শিয়ালদহ শাখার যাত্রীরা এখবর আগে পড়ুন

যাত্রীদের জন্য সুখবর, শিয়ালদহ স্টেশনে ১, ২ ও ৫ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে ১২ কোচের EMU লোকাল চালু শুরু হয়েছে এবং আর কয়েক দিন এর এর মধ্যে ৩, ৪ নম্বর প্লাটফর্ম সম্পসারণের কাজ শেষ হয়ে গেলেই এই দুটি প্লাটফর্ম থেকেও ১২ কোচের লোকাল ছাড়বে। ভারতের ব্যস্ততম রেলস্টেশনগুলির এর মধ্যে অন্যতম স্টেশন শিয়ালদহ। এখান দিয়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ যাত্রীর যাতায়াত। পূর্ব রেল সর্বদা শিয়ালদা স্টেশনের পরিষেবাকে উন্নত থেকে থেকে উন্নততর করার প্রচেষ্টা করে চলেছে। এই প্রচেষ্টারে নব তম সংযোজন শিয়ালদা স্টেশনের জন্য অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং কেবিনের প্রতিস্থাপন।শিয়ালদহ ডিভিশনে প্রায় ৮৯২টি লোকাল ট্রেন চলাচল করে প্রতিদিন। কিন্তু প্লাটফর্মে দৈর্ঘ্য কম থাকার জন্য শিয়ালদহ স্টেশনে এক থেকে পাঁচ নম্বর প্লাটফর্ম পর্যন্ত ১২ কোচের ট্রেন চালানো যেত না। পূর্বে ৬ এবং ৭ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে ১২ কোচের এমু লোকাল চলতো বলেই যাত্রীরা বিভিন্ন ভাবে অসন্তোষ প্রকাশ করতেন। কিন্তু পূর্ব রেল সর্বদা যাত্রী স্বছন্দের কথা মাথায় রেখেই ১ থেকে ৫ নম্বর প্লাটফর্মের সম্প্রসারণ করেছে। এর মধ্যে ৩ ও ৪ নম্বর প্লাটফর্ম সম্পসারণ খুব তাড়াতাড়ি শেষ হবে। এর ফলে যাত্রীরা আরও স্বাচ্ছন্দের সঙ্গে লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবে।১২ কোচের ট্রেন হওয়ার ফলে একটি ট্রেনে যত সংখ্যক যাত্রীকে নিয়ে যাওয়া হতো তার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী স্বাচ্ছন্দে যাতায়াত করতে পারবে। খুব দ্রুততার সঙ্গে ১, ২ ও ৫ নম্বর প্লাটফর্ম সম্পসারণের কাজ শেষ হওয়ায় এই প্লাটফর্মগুলি থেকে ১২ কোচের লোকাল চালানো সম্ভব হচ্ছে। বর্তমানে ৯ কোচের পরিবর্তে ১২ কোচের ট্রেন চলার ফলে প্রতি ট্রেনে প্রায় ১০০০ জন অতিরিক্ত যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে ।পূর্বে ১, ২ ও ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে যেসব ট্রেন ছাড়ত, সেগুলো ছিল ৯ কোচের। শিয়ালদহ রেলওয়ে স্টেশনের যাত্রী পরিষেবায় ১, ২ও ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ১২ কোচের ট্রেন চালু হওয়ার ফলে যাত্রীদের যাতায়াত আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় এবং সহজসাধ্য হয়েছে। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে বারাসাত, বারাকপুর, শান্তিপুর, নৈহাটি, শ্যামনগর, বনগাঁও, ডানকুনি, সোদপুর, খড়দহ সহ বিভিন্ন স্থানের যাত্রীরা যাতায়াত করে থাকেন।৯ কোচের ট্রেনে বিধাননগর ও দমদম স্টেশন থেকে যাত্রীদের উঠতে অনেক অসুবিধা হতো, তবে ১২ কোচের ট্রেন চালু হওয়ার ফলে তাদের উঠতে এবং বসতে সুবিধা হয়েছে। যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা এই পরিবর্তনে খুবই খুশি এবং সন্তুষ্ট। এছাড়াও, ৯ কোচের ট্রেনের থেকে ১২ কোচের ট্রেনে সিট সংখ্যা ২৫ % বেশি হওয়ায় যাত্রীদের যাতায়াতে আরও সুবিধা হবে।পূর্ব রেলওয়ের জনসংযোগ বিভাগের মুখপাত্র শ্রী কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, পূর্ব রেলওয়ে নির্ভরযোগ্য ও যাত্রী-কেন্দ্রিক রেল পরিষেবা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ১, ২ ও ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ১২ কোচের ট্রেন চালু হওয়ার ফলে যাত্রীরা আরও সুবিধাজনক এবং নিরাপদ ভ্রমণ করতে পারবে।

জুন ২৩, ২০২৪
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 22
  • 23
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

বোমা বিষ্ফোরণে কেঁপে উঠলো ঢাকা, মৃত্যু এক, অপরাধ-হিংসা বেড়েই চলেছে বাংলাদেশে

ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার পর থেকে বাংলাদেশ উত্তপ্ত। তারপর ময়মনসিংহের দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করেছে জেহাদীরা। চট্টগ্রামে হিন্দু বাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। অতপর আজ, বুধবার ঢাকায় নিউ ইস্কাটনে ককটেল বোমা নিক্ষেপ করেছে দুষ্কৃতীরা। সেই বোমায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। ইউনূস সরকারের আমলে একের পর এক অপরাধ ঘটেই চলেছে। বড়সড় প্রশ্নের মুখে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব।প্রথম আলো সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া ককটেলের বিস্ফোরণে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে এটাকে বোমার বিস্ফোরণ বলেছিল।এ বিষয়ে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, রাত পৌনে ৮টার দিকে নিউ ইস্কাটনের বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ফটকের সামনে শক্তিশালী ককটেলের বিস্ফোরণ হয়। এ সময় ওই যুবক গুরুতর আহত হন। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।পুলিশের উপকমিশনার মাসুদ আলম জানান, নিহত ব্যক্তির নাম সিয়াম বলে জানা গেছে। তিনি সেখানে চা খেতে এসেছিলেন। ওপর থেকে ককটেল এসে তাঁর মাথার ওপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।এদিকে নির্বাচনে লড়াই করার প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলি। খালেদাপুত্র তারেক রহমানের আগামী কাল বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে সরকার। পাশাপাশি তাঁকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিএনপি নেতা-কর্মীরা। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিনি বাংলাদেশে ফিরছেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
বিদেশ

ঢাকায় ছাত্রনেতা ওসমান হাদী হত্যা, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অন্তর্বর্তী সরকারের একাংশের বিরুদ্ধে

ঢাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশি ছাত্রনেতা ও সাংস্কৃতিক সংগঠক শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্যুকে ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন পরই ওসমান হাদীর পরিবার সরাসরি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি অংশের বিরুদ্ধে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ভণ্ডুল করার উদ্দেশ্যে এই হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগ তুলেছে।২০২৪ সালের জুলাই মাসের বিদ্রোহের পর গড়ে ওঠা সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম ইনকিলাব মঞ্চএর মুখপাত্র ছিলেন শরীফ ওসমান হাদী। গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বিমানে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলেও ১৮ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।এই মৃত্যুর পর ঢাকায় সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। একাধিক জায়গায় জনতা বিশিষ্ট সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের অফিস লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।ওসমান হাদীর ভাই শরীফ ওমর হাদী ঢাকার শাহবাগে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, আপনারাই ওসমান হাদীকে হত্যা করেছেন, আর এখন সেই হত্যাকাণ্ডকে ইস্যু করে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছেন।ওমর হাদী জানান, তার ভাই ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন চেয়েছিলেন এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা নয় বরং একটি স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পক্ষে ছিলেন। তিনি দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, খুনিদের শাস্তি না হলে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হবে। সরকার এখনও পর্যন্ত আমাদের কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি ন্যায়বিচার না হয়, তবে বর্তমান ক্ষমতাসীনদেরও একদিন দেশ ছাড়তে হতে পারে। যেমনটি গত বছর গণবিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে ঘটেছিল। ওমর অভিযোগ করেন, কোনও সংস্থা বা বিদেশি প্রভুদের কাছে মাথা নত না করায় ওসমান হাদীকে হত্যা করা হয়েছে।দ্য ডেইলি স্টারএর প্রতিবেদনে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের দাবি করেছেন, এই হত্যাকাণ্ড জুলাইয়ের বিদ্রোহের অর্জন ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের উদ্দেশ্যে একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তার অভিযোগ, আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা শক্তি ও দেশের ভেতরের ফ্যাসিবাদী সহযোগীরা এই হত্যার সঙ্গে যুক্ত।বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না। তবে ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা স্পষ্ট করেছেন, ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার দিন তারা কোনও কর্মসূচি নেবেন না। একইসঙ্গে তারা আশা প্রকাশ করেছেন, তারেক রহমান তাদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাবেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
রাজ্য

সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

গত ১২ এপ্রিল, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সামশেরগঞ্জ থানা এলাকার জাফরাবাদ গ্রামের দুই বাসিন্দা হরগোবিন্দ দাস এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে উত্তেজিত জনতার একটি দল নৃশংসভাবে হত্যা করে। এই জোড়া খুনের মামলার তদন্তে গঠিত হয়েছিল একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর ১৩ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জমা পড়েছিল চার্জশিট।আজ রায় বেরিয়েছে মামলার। অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত ১৩ জন অভিযুক্তকেই দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি ঘোষণা করেছেন। এখানে একটি প্রাসঙ্গিক তথ্য, গণপিটুনিতে মৃত্যুর ধারায়(যা কয়েক বছর আগে চালু হওয়া নতুন ফৌজদারি বিধিতে ১০৩(২) ধারায় চিহ্নিত হয়েছিল) এটি দেশে দ্বিতীয় conviction.দণ্ডিত ১৩ জনের নাম হলো:১. দিলদার নদাব (২৮), ২. আসমাউল নদাব ওরফে কালু (২৭), ৩. এনজামুল হক ওরফে বাবলু (২৭), ৪. জিয়াউল হক (৪৫), ৫. ফেকারুল সেখ ওরফে মহক (২৫), ৬. আজফারুল সেখ ওরফে বিলাই (২৪), ৭. মনিরুল সেখ ওরফে মনি (৩৯), ৮. একবাল সেখ (২৮), ৯. নুরুল ইসলাম (২৩), ১০. সাবা করিম (২৫), ১১. হযরত সেখ ওরফে হযরত আলী (৩৬), ১২. আকবর আলী ওরফে একবর সেখ (৩০) এবং ১৩. ইউসুফ সেখ (৪৯)।এদের মধ্যে ৫ জনের নাম এফআইআর-এ ছিল। বাকিদের তদন্তে পাওয়া তথ্য এবং তাঁদের ভূমিকার ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওড়িশার ঝারসুগুডা, ঝাড়খণ্ডের পাকুড়, বীরভূমের পাইকর, হাওড়া, ফারাক্কা, সামশেরগঞ্জ এবং সুতি-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়।তদন্তের সময় সিসিটিভি (CCTV) ক্যামেরা থেকে প্রাথমিক সূত্র পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া গুগল ম্যাপস লোকেশন ভিজ্যুয়ালাইজেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে অভিযুক্তদের মোবাইলের সিডিআর (CDR) ম্যাপে প্লট করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে অপরাধের জায়গায় তাঁদের উপস্থিতি এবং প্রবেশ-প্রস্থানের পথ স্পষ্টভাবে প্রমাণ করা হয়েছে।অভিযুক্তদের হাঁটার ধরন বা গেইট প্যাটার্ন বিশ্লেষণ (Gait pattern analysis) করা হয়েছিল, যা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাওয়া ব্যক্তিদের হাঁটার ধরনের সাথে হুবহু মিলে গেছে। আদালত এই রায়ে ডিএনএ (DNA) প্রমাণের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন। অপরাধে ব্যবহৃত অস্ত্রে লেগে থাকা রক্তের ডিএনএ-র সাথে মৃত ব্যক্তিদের ডিএনএ মিলে গিয়েছে।এই মামলার সঙ্গে যুক্ত মিঠুন হালদার, ইন্সপেক্টর প্রসূন মিত্র এবং বিভাস চট্টোপাধ্যায়, এই তিন পুলিশ আধিকারিক দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে বলে অভিনন্দন জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ। মাত্র নয় মাসের মধ্যেই দোষীদের শাস্তি সুনিশ্চিত করার জন্য জঙ্গিপুর জেলা পুলিশকেও অভিনন্দন জানিয়েছে উর্দ্ধতন পুলিশ কর্তারা।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
কলকাতা

বাংলাদেশে হিন্দু খুনের প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা, বাংলা হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার

কলকাতার রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠল মঙ্গলবার। বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় একাধিক বিক্ষোভকারী আহত এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন-সহ একাধিক ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃংশস ভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। তাঁকে মারধর করে পোস্টে বেঁধে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী বাংলাদেশ পুলিশ স্বীকার করে দীপু কোনওরকম সাম্প্রদায়িক কথা বলেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকী বাংলাদেশ পুলিশ তাঁকে না রক্ষা করে হত্যাকারীদের হাতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ।বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্য়াচারের প্রতিবাদেই এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকরা হাইকমিশনের সামনে জমায়েত হতে শুরু করেন। প্রথমদিকে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বেগবাগান এলাকায় একাধিক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের মূল গেটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বারবার মাইকে সতর্কবার্তা দিয়ে জমায়েত ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ধস্তাধস্তি শুরু হলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। লাঠিচার্জের পর পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ এবং মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত বাহিনী। সাময়িকভাবে যান চলাচলও ব্যাহত হয়।পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা রক্ষা করা প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে আরও অবনতি না ঘটে, সেই কারণেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারী সংগঠনগুলির বক্তব্য, তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জের নিন্দা জানিয়ে তাঁরা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হাঁসখালি কাণ্ডে তৃণমূল নেতার ছেলে সহ তিনজনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা আদালতের

নদিয়ার হাঁসখালি গণধর্ষণ, খুন ও প্রমান লোপাটের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করে আদালত। গতকাল, সোমবার মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা সহ মোট ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর আজ রাণাঘাট আদালত অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করে। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে ব্রজ গয়ালী, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিক তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিদের সাজাও ঘোষণা করেছে আদালত। তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালীর পাঁচ বছর কারবাসের সাজা হয়েছে।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় অভিযুক্তদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এবং তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা নথি ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। মামলায় সরকারি কৌঁসুলি সওয়ালে জানান, অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে অপরাধে যুক্ত ছিল এবং তা প্রমাণ করতে পর্যাপ্ত তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করেছিল ২ জনকে। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে যায় সিবিআইয়ের ওপর।রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। রায় শোনার পর দোষী সাব্যস্ত হওয়া অভিযুক্তদের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। আদালতের এই সিদ্ধান্তে হাঁসখালি সহ গোটা নদিয়া জেলায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই মামলাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তদের মধ্যে শাসকদলের নেতা থাকায় তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হয়েছে। উচ্চতর আদালতে যাবেন বলে আসামী পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal