• ৬ পৌষ ১৪৩২, বৃহস্পতি ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Kolkata

রাজ্য

এবার সন্দেশখালির ঘটনার যৌথ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

সন্দেশখালির বেপাত্তা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহজাহান শেখের সন্ধানে এবার রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। বুধবার এই নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। নির্দেশ অনুযায়ী, এই বিশেষ তদন্তকারী দল প্রয়োজনে আধা সেনা ও রাজ্য পুলিশের সহযোগিতা নিতে পারবে। তদন্তকারী দলের মাথায় যৌথভাবে থাকবেন সিবিআইয়ের ও রাজ্যের এস পি পদমর্যাদার একজন করে অধিকারিক। এই তদন্তের উপর নজরদারি রাখবে আদালত।রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বা কেন্দ্র কোথাও সন্দেশখালি তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট জেলা আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। চূড়ান্ত রিপোর্টও হাইকোর্টের নির্দেশ ছাড়া জমা দেওয়া যাবে না।রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে তৃণণূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়েছিলেন ইডি গোয়েন্দারা। যা জানতে পেরেই ধুন্ধুমার বেঁধে যায় সেখানে। স্থানীয়রা মারধর চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের লক্ষ্য করে। ভাঙচুর করা হয় তাঁদের গাড়িও। এরপর মোট তিনটি এফআইআর হয় ন্যাজাট থানায়। তার মধ্যে একটি এফআইআর করে ইডি। একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ। তৃতীয় এফআইআরটি করেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়ির কেয়ারটেকর। হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক প্রথম দুটি এফআইআরের তদন্ত করবে সিট।রাজ্য জানিয়েছে তাদের তরফে বিশেষ তদন্তকারী দলে থাকবেন আইপিএস জসপ্রীত সিং। যদিও সিবিআইয়ের তরফে এখনও কোনও আধিকারিকের নাম ঘোষণা করা হয়নি। বৃহস্পতিবারের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ওই দিনই বিশেষ তদন্তকারী দল-কে তদন্তের অগ্রগতির সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে।মঙ্গলবার সন্দেশখালি মামলায় তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়ির চারদিকে নজরদারির জন্য সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। বুধবার রাজ্য হাইকোর্টে জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ১০টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। শাহজাহান মার্কেটেও ইন্সস্টল করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। এরপরই এজলাসে রাজ্য ও সিবিআই-ইডি বাকযুদ্ধ হয়। সিবিআই বলে ওসামা বিন লাদেনের মতো ভয়েস মেসেজ করছেন শাহজাহান অথচ পুলিশ তাঁকে খুঁজে পাচ্ছে না। ইডি তাতে সহমত পোষণ করে। এরপরই সন্দেশকালি মামলার তদন্তে পুলিশ-সিবিআই সিট গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেগুপ্ত।

জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
রাজ্য

বিহিত চাইতে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ অভিষেক, তিরে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও অমৃতা সিনহা

এবার একযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ দাবি করে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। এছাড়া, বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ থেকেও মামলা সরানোর আর্জি জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।নিয়োগ মামলা থেকে অভিষেকের সম্পত্তি- এছাড়াও আর্থ সামাজিক নানা বিষয়ে প্রকাশ্যে নিজের মতামত জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সন্দেশখালির ঘটনার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। বলেছিলেন, বাংলায় সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আইনশ়ৃঙ্খলার পরিস্থিতি মোটেই ভাল নয়। কেন কিছু বলছেন না রাজ্যপাল? এরপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল সম্পত্তির উৎস জানতে চেয়েছিলেন তিনি? বলেছিলেন, স্বচ্ছতা রাখতে অভিষেকের উচিত সোশাল মিডিয়ায় তাঁর সম্পত্তির হিসাব পোস্ট করা।বহু সময় বিচারপতির সেইসব মন্তব্য রাজ্যের শাসক দলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকের দাবি, এতে প্রভাব পড়ে মামলায়। এসবের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আবেদন, বিষয়ের বাইরে গিয়ে মামলার বিষয় নিয়ে আদালতের বাইরে মন্তব্য করা থেকে যেন বিরত থাকেন। সেই মর্মে যেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ নিয়েও সম্প্রতি শাসক দল প্রশ্ন তুলেছিল। তৃণমূলের মুখপাত্রদের মতে, মামলার প্রকৃত রায় এখনও অজানা। তার আগেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ থেকে মামলায় নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে। শীর্ষ আদালতে আবেদনে অভিষেক জানিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হোক যে তিনি যেন একটি বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেন। সেই বেঞ্চ নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা শুনবে। মূলত বিচারপতি সিনহার এজলাসে যে মামলাগুলি রয়েছে, সেই মামলাগুলি যাতে ওই বিশেষ বেঞ্চে যায়।

জানুয়ারি ১০, ২০২৪
রাজ্য

ভাইপোকে নজিরবিহীন কটাক্ষ সেলিমের, ভাষন শুনলেন বিমান, সূর্যকান্তরা

লোকসভা ভোটের আগে রবিবারের ব্রিগেড সমাবেশকে কার্যত অ্যাসিড টেস্টের মতোই ধরেছিল সিপিআইএম। ডিওয়াইএফআইয়ের ডাকে ২০০৮ সালের পর এটাই ছিল প্রথম ব্রিগেড সমাবেশ। ১৫ বছর পর ব্রিগেডে আজ সভা করল ডিওয়াইএফআই। দলের যুবদের ভাষণ মঞ্চের নীচে বসে শুনলেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা।মীনাক্ষীর পর রবিবাসরীয় ব্রিগেডের মঞ্চে বক্তা ছিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ডিওয়াইএফআইয়ের প্রাক্তন এই নেতা স্বভাবসিদ্ধ ঢঙেই শুরু থেকেই তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ শানাতে থাকেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে। নতুন শকুনির কাছে বাংলার কৃষ্টিকে বাজি ধরেছেন মমতা, মুখ্যমন্ত্রীকে বেনজির আক্রমণ শানিয়ে ঝাঝালো সুর সেলিমের গলায়। রাজ্য সিপিএমের শীর্ষ নেতার তুমুল কটাক্ষ থেকে বাদ পড়েননি সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ভাইপো নয়, ওটাকে ডেঁপো বলাই ভালো, ভরা মঞ্চে যারপরনাই টিপ্পনি সেলিমের।কী বললেন সেলিম? *১০০ দিনের কাজের টাকা নেই। পঞ্চায়েত ভোটে বললেন দিল্লি থেকে নিয়ে আসব।*কত খেলো, কত নিল বাংলার মানুষকে দেখাতে হবে।*সংসদে মোদী বলেছিলেন গর্ত খোঁড়ার কাজ। ভাতা বন্ধ করার কথা বলেছিলেন।*দিল্লি পারবে না, বাংলাকে বাঁচাতে এককাট্টা হোন।*যাঁরা চুরি করছে, রাজ্যের মানুষ তাঁদের শাস্তি চাইছে। যৌবনকে দেখে বলছে, তোমরা পারবে।*৫৬ নয়, ৩৫৬ নয়, মুষ্টিবদ্ধ হাত আপনারা যদি আকাশের দিকে তুলে ধরেন, মাথা উঁচু করে শপথ নেন, বাংলাকে বাঁচাতে, আমাদের শিল্প, কৃষ্টি, ঘর, মা-বোনদের ইজ্জত, ঐতিহ্য, ইতিহাস রক্ষার জন্য যদি এককাট্টা হন, কোনও দিল্লি পারবে না।*ভাইপো নয়। ভেঁপো। তার চেয়ে ডেঁপো বলাই ভালো। যখন সব বেঞ্চ বলল কিছু হবে না, তখন, তিনি চলে গেলেন দিল্লি। বললেন, দাদা পায়ে পড়ি রে, ভাইপোটাকে বাঁচা।*মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাউকে দেখবেন না।*পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও ফোন করেছিলেন। উনি ফোন বন্ধ করে দিয়েছিলেন।*তৃণমূলকর্মীদের বলছি, ওরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তাদের তুলবে। একটার পর একটা আইপিএস-এর অবসরের পরেও পুষছে।*চুরি দেখে রেগে যাচ্ছে রাজ্যের মানুষ। রেশন আইসিডিএস, চাকরির টাকা চুরি করছে। যারা মনে করেছিল নবান্নের অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে ৫৬ লাগবে। বামপন্থীরা বলেন ৫৬ নয় জনগণ পারেন এই সিস্টেম বদলাতে।

জানুয়ারি ০৮, ২০২৪
রাজ্য

নিউটাউনে অ্যাম্বুলেন্স এমার্জেন্সি সার্ভিস ১০২ চালকরা ধর্মঘটে

সকাল থেকেই সমস্ত জেলায় অ্যাম্বুলেন্স চালকরা ধর্মঘটের পথে। মূলত ১০২ অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা তাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে পথে নামেন। সকাল থেকেই পরিষেবা বন্ধ। মূলত তাদের দাবি চালক এবং তার সহযোগীদের বেতন বাড়াতে হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমার বেশি ডিউটি করানো যাবে না। ডিউটি করলেও অতিরিক্ত সময়ের বেতন দিতে হবে। বিভিন্ন অনৈতিক কারণে ২৬ জন ড্রাইভার এবং তার সহযোগীদেরকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের অভিলম্বে চাকরিতে বহাল করতে হবে। এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ কাজের দরুন অ্যাম্বুলেন্স চালকদের ক্ষয়ক্ষতি এবং মৃত্যু হচ্ছে সেই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।জি; ভি কে ই এম আর আই গ্রীন হেলথ সার্ভিস বেসরকারি সংস্থা ড্রাইভারদের নিযুক্তের সময় ১৫০০০ টাকা ট্রেনিং ফি বাবদ নেওয়া হয়, কিন্তু কেন এই ফি নেওয়া হচ্ছে? সেই বিষয়ে অবগত নন ড্রাইভাররা। একাধিক দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলনের পথে আজ সকাল থেকেই অ্যাম্বুলেন্স চালক ও সহযোগিরা।

জানুয়ারি ০৩, ২০২৪
রাজ্য

আগেভাগেই আদালতে ছুটলেন শুভেন্দু অধিকারী, নয়া লক্ষ্য কি?

আগামী ৭ জানুয়ারি নেতাই দিবসে নেতাই যেতে মরিয়া শুভেন্দু অধিকারী। অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতাকে মনে রেখে এবার প্রয়োজনীয় অনুমতির জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিরোধী দলনেতা। আদালত থেকে অনুমতি ও প্রয়োজনীয় নির্দেশের আর্জি জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে আগামী ৪ জানুয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর আবেদন মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে থাকাকালীন প্রতি বছর ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাইয়ে যেতেন। ২০২০ সালে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদান করেন। তারপর আর ওই দিনে নেতাই যেতে পারেননি তিনি। ২০২১ সালে নেতাই যাওয়ার পথে শুভেন্দুকে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ২০২২ সালে ঝিটকার জঙ্গলের কাছে পুলিশি ব্যারিকেড বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ফিরতে হয়েছিল বিরোধী দলনেতাকে। সেই অভিজ্ঞতাকে স্মরণ করে আর ঝুঁকি নিচ্ছেন না তিনি। আগেভাগেই তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিরোধী দলনেতা।

জানুয়ারি ০২, ২০২৪
রাজ্য

শিক্ষা দুর্নীতি মামলা: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত প্রক্রিয়া শুরু ইডির

শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত প্রক্রিয়ায় হাত দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল ইডি। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে এই তথ্য জানান ইডির আইনজীবী। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার আওতাধীন এমন ৮টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ওই ৮ সংস্থাগুলির শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যোগ রয়েছে বলে দাবি ইডির। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার সিইও পদে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র জেলবন্দি।এবার লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল ইডি। এই মামলায় ইডিকে আগেই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থা সম্পর্কে সব ধরনের তথ্য জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। একইসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আয়ের উৎস খুঁজে বের করতেও বলা হয়েছিল।লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের লেনদেন, সংস্থার উপভোক্তাদের নাম, ব্যাঙ্ক অ্যাকউন্টস ডিটেলস-সহ যাবতীয় তথ্য আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ইডিকে। সেই মতো ইডিও গত ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টে মুখবন্ধ খামে জবাব দিয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও বেশ কিছু নথি চেয়েছিল ইডি। তৃণমূল সাংসদ সেই তথ্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটদের আধিকারিকদের হাতে তুলে দিয়েছেন।মঙ্গলবার সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের প্রসঙ্গ ওঠে। প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকার আটটি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছে ইডি।

জানুয়ারি ০২, ২০২৪
রাজ্য

লক্ষ্য কন্ঠের গীতাপাঠে সাধুসন্ত থেকে বিজেপি নেতৃত্ব, বিবেকানন্দ নিয়ে সুকান্তর মন্তব্যে ঝড়

রবিবাসরীয় ব্রিগেডে ঐতিহাসিক লক্ষ্য কন্ঠের গীতা পাঠ অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধু-সন্তদের ঢল নেমে গিয়েছিল। ব্রিগেডে এদিন গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে বঙ্গ বিজেপির তাবড় নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। গীতা পাঠের কথা বলতে গিয়ে স্বামী বিবেকানন্দের প্রসঙ্গ টেনে এনেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এপ্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য ঘিরে বিরাট বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সুকান্ত মজুমদার স্বামী বিবেকানন্দকে অপমান করেছেন বলে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।সনাতন ধর্মের পীঠস্থান বাংলা। তবে বামেদের সময় সেটা বেলাইন হয়ে গিয়েছিল। গীতা পাঠের থেকে ফুটবল খেলা ভালো, যাঁরা এটা বলেছিলেন তাঁরা বামপন্থী প্রোডাক্ট।, বলেন সুকান্ত মজুমদার।বঙ্গ বিজেপি সভাপতির এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতায় সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। দলের রাজ্য সধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, সুকান্ত মজুমদার স্বামী বিবেকানন্দকে অপমান করেছেন। তিনি স্বামী বিবেকানন্দের বক্তব্যের অভিমুখ জানেন না, বোঝেনও না। স্বামী বিবেকানন্দ গীতা এবং ফুটবল খেলা নিয়ে যেটা বলেছিলেন তার সঙ্গে গীতাকে অপমানের কোনও প্রশ্নই নেই। তিনি কেন এটা বলেছিলেন সেটা যদি উনি বুঝতেন তাহলে বিজেপির মতো গরুর পার্টি করতে যেতেন না।কুণাল ঘোষ ছাড়াও রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যে বেজায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তাঁর কথায়, আমার দুর্ভাগ্য আমি যে বাংলায় বাস করি সেই বাংলায় একটা রাজনৈতিক দলের সভাপতির নাম সুকান্ত মজুমদার। যিনি বলেছেন গীতা পাঠের চেয়ে ফুটবল খেলা ভালো এটা যিনি বলেছেন তিনি বামপন্থী। তার মানে স্বামী বিবেকানন্দ বামপন্থী ছিলেন, এটা হল সুকান্ত মজুমদারের কথা। ইতিহাসের অ-আ-ক-খ জানে না। এই ধরনের অশিক্ষিত মানুষরা এসে যারা প্রকৃত ধর্ম প্রচারক তাঁদের অসম্মান করছেন।বেলা ১২.২০ মিনিটে শঙ্খধ্বনির মাধ্যমে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে এক লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। আজ গীতার ৫টি অধ্যায় পাঠ ব্রিগেডে। ময়দানে উপচে পড়া ভিড় সাধু-সন্ত থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ ও বিজেপি নেতাদের।কলকাতায় গীতা পাঠের নজরকড়া এই উদ্যোগে সামিল হতে না পারলেও অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আয়োজকদের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন নমো। রবিবার সকাল থেকেই কুয়াশার চাদরে ঢেকেছিল ব্রিগেডের ময়দান।

ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩
রাজ্য

অস্বস্তি বাড়ল বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামীর, তিনবার তলব সিআইডির

একটি সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার আইনজীবী স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক বিধবা মহিলা ও তাঁর কন্যা। ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি জমি সংক্রান্ত মামলায় অবৈধভাবে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ছিল বিচারপতির স্বামীর বিরুদ্ধে। সেই মামলার তদন্তে এক মাসে মোট তিনবার বিচারপতির স্বামীকে তলব করা হল। ১ ডিসেম্বরও সিআইডি দফতরের প্রতাপচন্দ্র দে-কে ঘণ্টা তিনেক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তারপর ফের গত শনিবার চলে ৯ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ। এরপর ফের ২২ ডিসেম্বর প্রতাপবাবুকে তলব করেছে সিআইডি। এছাড়া, তাঁর মোবাইলটিও জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।বিচারপতি সিনহার এজলাসে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার বিচার চলছে। সেই মামলাতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সংস্থা লিপস এম্ড বাউন্ডসের সম্পত্তি, আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি সিনহা। যার প্রেক্ষিতে ইডি আদালতে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা করেছে ইডি। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা চলছে। এসবের মধ্যেই বিতারপতির স্মামীকে বারংবার তলব ও মোবাইল জমার নির্দেশ আদতে চাপ বাড়ানোর কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে।বার অ্যান্ড বেঞ্চ (আইন সংক্রান্ত বিষয়ে খবরাখবর পরিবেশনকারী সংবাদমাধ্যম)-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, একটি জমি সংক্রান্ত বিষয়ে এক বিধবার সঙ্গে তাঁর কয়েক জন আত্মীয়ের বিরোধ ছিল। মামলা গড়ায় আদালতে। আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন, পৈতৃক সম্পত্তি থেকে তাঁকে বঞ্চিত করতে বাপের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। দাদা এবং অন্যান্য আত্মীয়দের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল বিধবার। তাঁকে হুমকি, মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজও প্রমাণ হিসাবে জমা করা হয় আদালতে। মামলাকারী বৃদ্ধা আত্মীয়দের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি অভিযোগ করেন।একটি অপরাধের মামলায় অবৈধ ভাবে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ উঠেছে বিচারপতি সিনহার আইনজীবী স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, দুটি মামলার তদন্ত যাতে বাধাপ্রাপ্ত হয়, তার সব রকম চেষ্টা করেছেন বিচারপতি সিনহার স্বামী। অভিযোগ করা হয় যে, ওই দুই মামলার প্রাথমিক তদন্তে এক জন অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ার পরেও তদন্তের গতি আটকে রয়েছে। হলফনামায় জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট তদন্তকারীকে এক বার ডেকে তিরস্কার এবং ভর্ৎসনা করেছেন বিচারপতি। তিনি নাকি বলেছেন, ওই দুটি দেওয়ানি মামলায় কেন ফৌজদারি মামলার তদন্ত হচ্ছে?মামলার প্রেক্ষিতে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পরে অবশ্য এই মামলায় বাড়তি পদক্ষেপ করা যাবে না বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট। তবে গত ১ ডিসেম্বর শীর্ষ আদালত জানিয়েছি, আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে পারবে পুলিশ। সেই সূত্রেই বিচারপতি স্বামীকে তলব করেছে সিআইডি।

ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩
রাজ্য

৪৭ দিনের মাথায় রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির প্রথম চার্জশিট, জ্যোতিপ্রিয়, বাকিবুর সহ ১০ জনের নাম

রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের ৪৭ দিনের মাথায় মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে ১৬২ পাতার চার্জশিট জমা করল ইডি। চার্জশিটে নাম রয়েছে ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের। কীভাবে রেশনের টাকা ঘুরপথে বেহাত হয়েছিল, আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। রেশন দুর্নীতি ১০০ কোটির বলে দাবি করে চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই মামলায় ৩০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় নিজে পাঁচটি কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন। একইভাবে মন্ত্রী ঘনিষ্ট রেশন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানও পাঁচটি কোম্পানির মালিক।চার্জশিটের সংক্ষিপ্তসারঃ*জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বাকিবুর রহমান সহ ১২ জনের *নাম রয়েছে চার্জশিটে।*রেশনে ১০০ কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৩১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।*বাকিবুরের কাছ থেকে প্রায় ৩০ কোটি টাকা গিয়েছে জ্যোতিপ্রিয়র কাছে।*জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা ২ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।*চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে ১০টি সংস্থার নাম। এর মধ্যে রয়েছে বাকিবুরের সংস্থা। এছাড়া ৫ সংস্থা রয়েছে জ্যোতিপ্রিয়র নিয়ন্ত্রণে।*চার্জশিটে এক আইএএস অফিসারের নাম সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। বালু খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ওই অফিসার খাদ্য দফতরে কর্মরত ছিলেন।*চার্জশিটে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্তও চলছিল রেশনের এই দুর্নীতি।*শুধুমাত্র ধান কেনার ক্ষেত্রেই সরকারের প্রায় ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। বাকিবুরের ২ সংস্থার মাধ্যমে এই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
রাজ্য

দিদির বাড়ি দেখে হিংসে করেন সলমন খান, বললেন চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে

কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথমবার হাজির মুম্বাইয়ের সুপারস্টার সলমন খান। ছিলেন না অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খানরা। এর আগে তাঁরা প্রতিবারই হাজির থাকবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন। এর আগে কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন সলমন। এবার বললেন সেই অভিজ্ঞতা।এবার চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির হয়েছেন অনিল কাপুর, শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁরা বক্তব্য রেখে ফেলেছেন। এদিন সলমন বলেন, কালীঘাটে দেখতে গিয়েছিলাম দিদির বাড়ি।এর আগে সাল্লু ভাই তথা ভাইজান এসেছিলেন কলকাতায়। সেদিন আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনে। পুরনো কথা তুলেই তিনি বললেন, আমি যখন এর আগে আমন্ত্রণ পেলাম তখন একটাই বিষয় মাথায় ঘুরছিল, যে গিয়ে এটাই দেখব দিদির বাড়ি আসলেই এত ছোট কিনা? আমার বাড়ির থেকে ছোট কিনা দেখতে গিয়েছিলাম। আমি আপনার সঙ্গে হিংসা করি দিদি। আমি সত্যিই ভাবিনি যে আপনার বাড়ি আমার থেকে ছোট হবে। এপ্রসঙ্গে অনিল কাপুরের বাংলোর কথাও বললেন।কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার বাড়ি এত ছোট যেন ভাবতেই পারেননি তিনি। বেশ অবাক হয়েছিলেন। বললেন, আমি খুব খুশি, যে সত্যি দিদির বাড়ি এত ছোট। এত ক্ষমতায় থেকেও তাঁর বাড়ি যে এত ছোট হবে, অবিশ্বাস্য! আমার হিংসা হয় দিদি। আমার আর বড় বাড়ির ইচ্ছে নেই।উল্লেখ্য, সলমন এই প্রথমবার এই অনুষ্ঠানে এসেছেন। আর বাংলার মানুষের উন্মাদনা দেখে তিনি আপ্লুত। সলমন খান বললেন, আমরা বাংলার কাছে বাঙালির কাছে ঋণী। এখানের মানুষরা অনেক কিছু দিয়েছেন। আমরা হিন্দি ছবির মানুষ হলেও বাংলার ট্যালেন্টকে কদর করি।

ডিসেম্বর ০৫, ২০২৩
রাজনীতি

কংগ্রেসে থেকেই বিদ্রোহ চালিয়ে যাচ্ছেন কৌস্তভ, মহুয়া ইস্যুতে অধীরের অবস্থানের কড়া সমালোচনা

এখনও কংগ্রেস ছাড়েননি। তবে দলে থেকে শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালিয়ে যাচ্ছেন অনবরত। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ইস্যুতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের ভূমিকায় চরম ক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। এর আগে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের পরেও প্রকাশ্যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সমালোচনা করেছিলেন কংগ্রেসের এই তরুণ তুর্কী।এর আগে দলীয় নেতৃত্ব কৌস্তভকে মুখপাত্র পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। যদিও কি জন্য তাঁকে সরানো হয়েছে সেই ব্যাখ্যা দেয়নি কংগ্রেস নেতৃত্ব। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বেশ কয়েকবার এক যোগে পদযাত্রা করেছেন কৌস্তভ। তবুও দল তাঁর বিরুদ্ধে কড়া কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এবার তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়ানোয় আবার শীর্ষ নেতৃত্বকে তাক করে বোমা ফাটালেন তিনি।কৌস্তভ বাগচী বলেন, মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়িয়েছে দলীয় নেতৃত্ব। এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও পাশে দাঁড়াতে হবে। তাঁদের যত রাজ্যের দুর্নীতি তাকে সমর্থন করতে হবে। একটা স্পষ্ট ভাব-ভালোবাসার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। কৌস্তভের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস কর্মীদের অবস্থা গিনিপিগের থেকেও খারাপ। এত পরীক্ষা নিরীক্ষা গিনিপিগদের নিয়েও হয় না। এবার থেকে চোরকে সাধু বলার অভ্যাস করতে হবে। তপন কান্দুর স্ত্রীকে দিয়ে শুরু করলে ভালো হয়। এই দায়িত্ব দলীয় নেতৃত্বকে নিতে হবে। চোরেদের সাধু বলানো। তৃণমূলীদের ভালো বলা এটা শুরু করতে হবে।এত ক্ষোভ প্রকাশের পরও কংগ্রেস নেতৃত্ব কৌস্তভের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়নি। আবার কৌস্তভও দলত্যাগ করে অন্য দলে যোগ দেননি। এখনও স্পষ্ট করেননি তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন কিনা। কিন্তু নানা সামাজিক ইস্যুতে মমতার বিরুদ্ধে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে পা মিলিয়েছেন কৌস্তভ। সামনেই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজনৈতিক মহলও। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রদেশ কংগ্রেসের সাংগঠনিক হালের আদৌ কি দশা তা নিয়ে বড় সংশয় দেখছে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

বাংলার ক্রীড়া কুলের দাদা-বন্ধু-ভালো মানুষের গল্পে শ্রদ্ধা অরুণ সেনগুপ্তকে

অরুণ সেনগুপ্তকে যে শুধু একজন নামজাদা ক্রীড়া সাংবাদিক ছিলেন, তাই নয়। ছিলেন আপাদমস্তক একজন ভদ্রলোক। ভালো মানুষ। অরুণ কারও কাছে বড়দা, কারও কাছে দাদা-বন্ধু বা কারও কাছে স্নেহের ভাইয়ের মতো। প্রয়াত অরুণ সেনগুপ্তর স্মরণ সভায় বারেবারে উঠে এল সেই প্রসঙ্গই। বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের স্মরণ সভায় উপচে পড়া ভিড়ে যেমন মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল-ফেডারেশন-আইএফএ কর্তারা ছিলেন, তেমনই ছিলেন ফুটবলাররা। ছিলেন অরুণের সঙ্গে কাজ করা অসংখ্য ক্রীড়া সাংবাদিকেরা। মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, অরুণের চলে যাওয়া আমার কাছে অঞ্জনদার (মিত্র) চলে যাওয়ার মতোই বেদনার। ময়দানের এক প্রকৃত বন্ধুকে হারালাম। ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারের কথায়, অরুণ ছিল এতটাই বিশ্বস্ত, যার কাছে মন খুলে সব কথা বলা যেত। এত বিশ্বস্ত বন্ধু আমি আর পাইনি। শ্রদ্ধা জানান আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত। যাঁর কথায়, অরুণ সেনগুপ্তই আমায় প্রথম শিখিয়েছিলেন, ময়দানে খেলোয়াড়রাই শেষ কথা। সারা জীবন সেটা মনে রাখব। শ্রদ্ধা জানান আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত, টেবল টেনিসের রবি চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন ফিফা রেফারি চিত্তদাস মজুমদার সহ অসংখ্য মানুষ। শ্রদ্ধা জানিয়েছে কলকাতা প্রেস ক্লাবও। ছিলেন অরুণবাবুর পরিবারের লোকজনও। বন্ধু ও দাদা অরুণকে নিয়ে নানা গল্প শোনান প্রাক্তন ফুটবলার সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, গৌতম ঘোষরা। শ্রদ্ধা জানান প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক গোলরক্ষক ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়। রঞ্জিজয়ী প্রাক্তন ক্রিকেটের অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এমন লড়াকু সাংবাদিক আমি খুব কম দেখেছি।কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের সঙ্গে অরুণ সেনগুপ্তর সম্পর্ক ছিল আজীবন। যখন সাংবাদিকতা করতেন, তখন মাঠ থেকে ফিরে এই তাঁবুই ছিল তাঁর কাজের জায়গা। ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচনেও জিতেছিলেন। কয়েক মাস আগে সিএসজেসি বিশেষ সম্মানও জানিয়েছে তাঁকে। বর্তমান ক্লাব প্রেসিডেন্ট শুভেন রাহা বলেন, অরুণদার আদর্শকে নিয়ে এগিয়ে চলাই হবে তাঁর প্রতি আমাদের সঠিক শ্রদ্ধাজ্ঞাপন।

নভেম্বর ৩০, ২০২৩
রাজ্য

লক্ষ্য ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন, ২৬শে কি করতে হবে ধর্মতলার সভায় জানিয়ে দিলেন অমিত শাহ

২১শে বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় টার্গেট বেধে দিয়েছিলেন। এবার অমিত শাহর নজরে ২৬-শের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোট। তবে, সেই টার্গেট সফল করেতে ২৪শের লোকসভা ভোটে কী করতে হবে বিজেপির ধর্মতলায়র সভা থেকে তা বাতলে দিলেন পদ্ম অমিত শাহ।এদিন মঞ্চে বক্তব্য দিতে উঠেই রবি ঠাকুর ও নেতাজিকে প্রণাম করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, ধর্মতলার পবিত্র জমিকে, বাংলার এই পবিত্র জমিকে শুরুতেই প্রণাম জানাই। এই মাটি দেশকে সর্বদা দিশা দেখিয়েছে। আমি শুরুতেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস, স্বামী বিবেকানন্দ, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, আশুতোষ মুখোপাধ্যায়কে প্রণাম জানাই।এরপরই লোকসভা ও বাংলার বিদানসভা ভোট নিয়ে মুখ খোলেন মোদীর ডেপুটি। বলেন, বাংলার ২ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ ভোট দিয়ে বিজেপিকে ৭৭টি আসনে জিতিয়েছিল। বাংলার মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে এখানে পরের সরকার ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার হবে। ২৬ সালে যদি বাংলায় পালাবদল ঘটাতে হয়, তাহলে ২৪ সালে এই রাজ্যে নরেন্দ্র মোদীকে জেতাতে হবে। কারণ, নরেন্দ্র মোদীর সরকার যে লক্ষ কোটি টাকা পাঠাচ্ছে, তা বাংলার সরকার লুটে নিচ্ছে।মঙ্গলবার বিধানসভা থেকে এই অধিবেশনের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। সেই প্রসঙ্গ এ দিন উঠে এসেছে অমিত শাহর বক্তব্যে। চ্যালেঞ্জের সুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দিদিকে বলছি, শুভেন্দুকে আপনি বিধানসভার বাইরে সাসপেন্ড করে বের করতে পারেন, কিন্তু বাংলার মানুষ বলছে, দিদি তোমার মেয়াদ শেষ হয়ে এসেছে।শিক্ষা, কয়লা, গরু, রেশন সহ নানা দুর্নীতি নিয়ে বলতে গিয়ে আমিত শাহ পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকদের নাম উচ্চারণ করেন। দাবি, দিদিকে বাংলাকে বরবাদ করে দিয়েছেন। যদি আপনার সাহস হয় জ্যোতিপ্রিয়, অনুব্রত, পার্থকে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করুন। আপনি পারবেন না। যে নিজে দুর্নীতিগ্রস্ত তারা এই রাজ্যকে দুর্নীতি মুক্ত করতে পারবে না। তৃণমূল সাংসদ সংসদকেও অপবিত্র করেছে।অনুপ্রবেশ এ রাজ্যে সব থেকে বেশি বলে অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর জন্য তৃণমূলকেই দায়ী করেছেন তিনি। বলেছেন, দুর্নীতি, অনুপ্রবেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রুখতে পারেননি। অনুপ্রবেশের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংসদ চলতে দিতেন না। সেই মমতা বন্দোপাধ্যায় এখন খোলাখুলি অনুপ্রবেশকারীদের আধার কার্ড দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে অসমের প্রসঙ্গ তুলে তাঁর দাবি, অসমে বিজেপি সরকার হয়েছে। সেখানে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়েছে।এ রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে বলতে গিয়ে বদলার কথা বলেছেন অমিত শাহ। বলেন, আমাদের ২১২ জন কার্যকর্তা খুন হয়েছেন। আমাদের কার্যকর্তারা আমাদের ভাই। পুরো দেশ এবং বাংলার এক একটি কার্যকর্তা এটার বদলা নেওয়ার জন্য তৈরি।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলার উন্নয়নের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ দিচ্ছেন। কিন্তু, অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বাংলার তৃণমূল সরকার। আর, সেই কারণেই বাংলার উন্নয়ন হচ্ছে না। দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গ উন্নয়নে পিছিয়ে পড়ছে, এই অভিযোগ তুলে বাংলার পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে অনুপ্রবেশকেই দায়ী করলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ। একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, ২০২৬ সালে বাংলায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এরাজ্যে সিএএ চালু হবে। কারণ, বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ চালু করতে ইচ্ছুক হলেও রাজ্যের তৃণমূল সরকার তা করতে দিচ্ছে না।সভাস্থলে উপস্থিত বিজেপি কর্মীদের শাহ প্রশ্ন করেন, অনুপ্রবেশ চলতে থাকলে কি বাংলার উন্নয়ন সম্ভব? কর্মীদের একাংশের সমস্বরে না উত্তর শোনার পর শাহ তোলেন অসমের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, অসমে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর সেখানে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এরাজ্যেও বিজেপি আসলে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে। বিজেপি সিএএ লাগু করবেই। সভায় ধর্মীয় মেরুকরণের বার্তা দিয়ে শাহ বলেন, প্রতিবেশী রাজ্য (বাংলাদেশ) থেকে যে হিন্দু ভাইয়েরা এসেছেন, এদেশের ওপর আমাদের যতটা অধিকার রয়েছে, তাঁদেরও ততটাই অধিকার আছে। এসব কথা বলেই অনুপ্রবেশ রুখে বাংলার উন্নয়ন করতে ২০২৪-এ ফের নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতায় ফেরানো আর ২০২৬-এ বাংলায় বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার ডাক দেন শাহ।

নভেম্বর ২৯, ২০২৩
রাজ্য

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের ফের স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

ফের কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করল ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশের জেরে আপাতত আটকে লিলুয়ায় বেআইনি নির্মাণ ভাঙার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ। আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশ বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে।উল্লেখ্য, এর আগে লিলুয়ার ওই বেআইনি নির্মাণ ভাঙার দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক মহিলা। সিঙ্গল বেঞ্চ ওই নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল। ডিভিশন বেঞ্চও ওই রায়ই পরবর্তী সময়ে বহাল রাখে।বালি পুরসভা বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গিয়েছিল। কিন্তু পুলিশের সাহায্য ছাড়া ওই নির্মাণ ভাঙা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন পুরকর্মীরা। ওই মামলার পরবর্তী শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেআইনি ওই নির্মাণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।গত শুক্রবার পুলিশকে নিয়ে বালি পুরসভার কর্মীরা ওই নির্মাণ ভাঙতে গিয়েছিলেন। তবে পুলিশের কাছে আদালতের লিখিত নির্দেশিকা না থাকায় বাসিন্দারা ওই নির্মাণ ভাঙতে দেননি। শেষমেশ গত শনিবার নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু হয়। মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানিতে মূল অভিযোগকারী অনুপস্থিত ছিলেন। আপাতত এক সপ্তাহের জন্য ওই নির্মাণ ভাঙার কাজে স্থগিতাদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

নভেম্বর ২৮, ২০২৩
রাজ্য

পারিবারিক বিবাদের জেরে স্ত্রীকে অ্যাসিড ছুড়ে মারল স্বামী

পারিবারিক বিবাদের জেরে সাত মাস ধরে বাপের বাড়িতে থাকা স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে ডেকে অ্যাসিড ছুড়ে মারল স্বামী। বাগুইআটি থানা এলাকার কেষ্টপুর রবীন্দ্র পল্লীর ঘটনা। আজ, সোমবার দুপুরে নিজের বাপের বাড়িতে থাকা মাধু দেকে স্বামী সঞ্জীব দে নিজের বাড়িতে ডাকেন এবং আচমকাই স্ত্রীর উপর মগে থাকা অ্যাসিড ছুড়ে মারেন স্বামী সঞ্জীব দে। মহিলার চিৎকারে আশেপাশে থেকে লোক ছুটে আসে এবং তাঁকে উদ্ধার করে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় বাগুইআটি থানার পুলিশকে।পুলিশ ঘটনার স্থলে এসে স্বামী সঞ্জীব দে কে আটক করেছে। সঞ্জীবের দাবি স্ত্রীর উপর অ্যাসিড হামলা করেনি সে আচমকাই অ্যাসিড তার গায়ে পড়ে গেছে। যদিও এই ঘটনায় জখম হয়েছেন স্বামী নিজেও। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে বাগুইআটি থানার পুলিশ। তাঁদের মধ্যে কেন এ ঘটনা ঘটলো খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

নভেম্বর ২৭, ২০২৩
রাজ্য

২১ জুলাইয়ের সমাবেশও তাহলে বন্ধ করতে হয়, ভিক্টোরিয়ার সামনে বিজেপির সভা নিয়ে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

ধর্মতলায় বিজেপির সভা নিয়ে বিরাট নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের। আগামী ২৯ নভেম্বর কলকাতায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। সেই সভায় অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। আজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চও সিঙ্গল বেঞ্চের আগের নির্দেশই বহাল রাখল। অর্থাৎ আগামী ২৯ নভেম্বর ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করতে আর বাধা নেই বিজেপির কাছে। গেরুয়া দলের ওই সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উপস্থিত থাকতে পারেন।হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের পরই এক্স-বার্তায় মমতা সরকারকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, পিসিমনি এবং ভাইপোর নির্দেশে গণতন্ত্রকে স্তব্ধ করার জন্য মমতার পুলিশের সম্মিলিত অপপ্রচেষ্টা কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় প্রধান বিচারপতি প্রত্যাখ্যান করেছেন। মমতা পুলিশ পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছিল, সেই কারণে মাননীয় প্রধান বিচারপতি ২১শে জুলাই তৃণমূলের (আঞ্চলিক) সমাবেশ নিষিদ্ধ করার ভাবনার কথা বলেছেন। কলকাতার হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজি-র পৃষ্ঠপোষকতায় ভারতীয় জনতা পার্টির মেগা সমাবেশ ২৯শে নভেম্বর একই জায়গায় অনুষ্ঠিত হবে, যেটিকে তৃণমূল তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বলে মনে করে। তৃণমূলের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ধর্মতলা চোলো।এর আগে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। সভার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। গত ২০ নভেম্বর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা শর্তসাপেক্ষে বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দেন। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। এবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চও বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দিয়েছে। তবে কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য, এমন আশঙ্কা করে ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছে বিজেপি।সিঙ্গল বেঞ্চের পর ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা রাজ্যের। যে যুক্তি দেখিয়ে আগামী ২৯ নভেম্বরের সভার অমুমতি বাতিল করেছিল কলকাতা পুলিশ, তা আর ধোপে টিকল না। এই ধরনের সভা করতে গেলে ২-৩ সপ্তাহ আগে পুলিশের অনুমতি নিতে হয়। সেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বিজেপি ২ বার সভার জন্য লালবাজারের অনুমতি চেয়েছিল বলে সূত্রের খবর। কিন্তু গেরুয়া দলের আবেদনে কান পাতেনি পুলিশ। সভার অনুমতি দেওয়া হয়নি।এবারও সভার অনুমতি বাতিল চেয়ে একাধিক যুক্তি দেখিয়েছিলেন রাজ্যের আইনজীবী। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের উদ্দেশ্যে তাঁর যুক্তি ছিল, ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে যে সভা হবে সেটা শহরের কেন্দ্রবিন্দু। শহর স্তব্ধ হয়ে যাবে। পাল্টা ২১ জুলাই ওই একই জায়গায় সভার কথা ওঠে। সেপ্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ওখানে ২১ জুলাই ছাড়া আর কোনও সভা হয় না।রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, বন্ধ করার হলে সব করতে হবে। সবাইকে সমান চোখে দেখতে হবে। তাহলে ২১ জুলাইয়ের সভা বন্ধ করে দিন। ২১ জুলাই তৃণমূল সভা করে। সেই সভা বাতিল হলে অন্যরাও আর সভা করতে চাইবে না। পশ্চিমবঙ্গে এটা নতুন কিছু নয়, কেউ সাধারণ মানুষকে নিয়ে ভাবেন না। সরকারী কর্মচারী, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, রাজনৈতিক দল সবাই রাস্তা আটকে সভা করে। পুলিশ অনুমতি দিয়ে দেয়। এমনকী এক্ষেত্রে তাঁর নিজেরও কয়েকটি অভিজ্ঞতার কথা এদিন জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

নভেম্বর ২৪, ২০২৩
রাজনীতি

তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সভাস্থলে বিজেপির সমাবেশ, থাকতে পারেন অমিত শাহ

অবশেষে আদালত থেকে কলকাতায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একুশে জুলাইয়ের সভাস্থলেই জনসভা করার অনুমতি আদায় করল রাজ্য বিজেপি। বারবার আবেদনের পরও, সভা করার আবেদন বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। অবশেষে সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট বিজেপিকে ২৯ নভেম্বর কলকাতায় সভা করার অনুমতি দিল। সোমবার মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চে। সেখানেই বিচারপতি মান্থার সভা করার অনুমতি দিয়েছেন।এই ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বলেন, আপনারা বলছেন যে অন্তত দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে সভার আবেদন করতে হয়। এখানে তো দুই সপ্তাহ আগেই আবেদন করা হয়েছে বলে দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু, তারপরও তো সিস্টেম জেনারেটেড মেসেজ পাঠিয়ে আবেদন নাকচ করা হয়েছে বলে দেখতে পাচ্ছি। আপনারা এভাবে যতই আটকাবেন, ততই সন্দেহ বাড়বে। এটি একটি স্বাধীন দেশ। এখানে এভাবে বাধা দেওয়া যায় না।আগামী বছরই লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যে সেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজ্য বিজেপিও কেন্দ্রীয় নেতাদের এনে এরাজ্যে সভা করাতে চাইছে। কিন্তু, বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসন অনুমতি দিচ্ছে না-বলে অভিযোগ। তারই মধ্যে ২৯ নভেম্বর, অমিত শাহকে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একুশে জুলাইয়ের সভার স্থানেই সভা করাতে চাইছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের কাছে বারবার আবেদন করার পরও অনুমতি দেয়নি। বাধ্য হয়েই আমাদের আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল। অবশেষে আদালত ২৯ নভেম্বর সভা করার জন্য অনুমতি দিয়েছে। তৃণমূলের তরফে সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, বিজেপিশাসিত রাজ্যে এয়ারপোর্ট থেকেই ঘাড়ধাক্কা দিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু, এখানে অনুমতি দেওয়ার জন্যই বিভিন্ন সময় বিজেপির নেতা-নেত্রীরা এরাজ্যে এসে সভা করে গিয়েছেন। তবে, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। প্রশাসন না-চাইলে, কাউকে অনুমতি না-দিতেই পারে।

নভেম্বর ২০, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

Exclusive: মিলার সতীর্থদের নিয়ে ডিনার সারলেন বন্ধুর রেস্তোরাঁয়, জাপানি খাবারে মজলেন ডি কক-মার্করামরা

বৃহস্পতিবারই ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে কলকাতায় পৌঁছেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, কাল অনুশীলন সারেনি। আজ দুপুরে ইডেনে প্রোটিয়াদের অনুশীলন রয়েছে।শুক্রবার রাতে দক্ষিণ কলকাতার মিন্টো পার্কে টাকি টাকি নামে এক রেস্তোরাঁয় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গেলেন একঝাঁক প্রোটিয়া ক্রিকেটার। মেন ইন ব্লু দের মুখোমুখি হওয়ার আগে জাপানি খাবারে মজলেন তাঁরা।সান্ধ্য কলকাতায় তখন ঝিরঝিরে বৃষ্টি নেমেছে। ইডেনের সবুজ গালিচা তখন ঢাকা হয়েছে কভার দিয়ে। বৃষ্টি মাথায় নিয়েও ইডেনের গেটের সামনে লাইফ মেম্বাররা টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। ক্লাব হাউসের প্রতিটি তলাতেই টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড়। সিএবি কর্তাদের ঘরে রাজ্যের মন্ত্রী, বিধায়ক থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের বিধায়কদের আনাগোনা।এ সব থেকে অনেকটাই দূরে, ফুরফুরে মেজাজে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকার যা পরিস্থিতি তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার সেমিফাইনালে ওঠা প্রায় নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছে। ইডেনে ভারতকে গ্রুপ পর্বের সবচেয়ে কঠিন ম্যাচের মোকাবিলা করতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকে কারা শেষ চারে যাবে তা ঠিক করে দেবে রবিবাসরীয় ইডেন।মাঠমুখো না হলেও স্ত্রী, বান্ধবী বা সন্তানদের নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার একঝাঁক ক্রিকেটার গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ যান মিন্টো পার্কের রেস্তরাঁটিতে। টাকি টাকি নামক রেস্তোরাঁটি জাপানি খাবারের জন্য বিখ্যাত। এই রেস্তরাঁর কর্ণধার রাজদীপ চক্রবর্তী ৭-৮ বছর ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ডেভিড মিলারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। রাজদীপের বাবা প্রাক্তন বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী, মা কৃষ্ণা চক্রবর্তী বিধাননগরের মেয়র।রাজদীপ জনতার কথাকে জানালেন, আইপিএলের আসরেই মিলারের সঙ্গে আলাপ। সেই থেকেই আমাদের বন্ধুত্ব, যা এখনও অটুট। আমাদের টাকি টাকি রেস্তরাঁয় সবরকম জাপানি খাবারই পাওয়া যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা এখানে আড়াই ঘণ্টা কাটিয়ে গিয়েছেন। মিলার ছাড়াও এসেছিলেন কুইন্টন ডি কক, রাসি ভ্যান ডার ডুসেন, এইডেন মার্করাম, হেইনরিখ ক্লাসেন, মার্কো জানসেন ও তাবরেজ শামসি।রবিবার ম্যাচ। ফলে সোমবারের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের রেস্তরাঁয় সময় কাটানোর ছবি বা ফুটেজ প্রকাশ করা যাবে না বলে শর্ত আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু রেস্তরাঁয় হাজির অত্যুৎসাহীদের সৌজন্যে সেই সব ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানা গিয়েছে, সু সি, সাশিমি-সহ প্রতিটি পদই দারুণ পছন্দ হয়েছে মিলারদের।

নভেম্বর ০৪, ২০২৩
কলকাতা

গাড়ি চালকের অবসরের দিনে মেট্রোকর্তার অদ্ভুত সম্মান প্রদান, যা শুনে আপনারও মন ছুঁয়ে যাবে

কার্তিকচন্দ্র মন্ডল জীবিকা নির্বাহের জন্য পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন গাড়ি চালানোকে। চাকরি হিসেবে তিনি ড্রাইভার পদে যুক্ত হয়েছিলেন কলকাতা মেট্রো রেলে। সেখানেই তিনি কলকাতা মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডির গাড়ি চালাতেন। স্বাভাবিকভাবে এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ মানুষের গাড়ি চালানায় যে বাড়তি সতর্কতা কিংবা নিয়মানুবর্তিতার প্রয়োজন, সে বিষয়কে মাথায় রেখে নিজের কাজ দায়িত্বশীলতার সাথে পালন করেছেন নিজের কর্মজীবনে। ফলস্বরূপ মেট্রোরেলের বিভিন্ন অফিসার এবং সহকর্মীদের স্নেহ ও ভরসার পাত্র হয়ে উঠেছিলেন তিনি। বিশেষ করে জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডির কাছের পাত্র হয়েছিলেন প্রতিদিন একসাথে যাওয়া-আসার সুবাদে। সেই কার্তিক মন্ডল কর্মজীবন থেকে অবসর নিলেন আজ, মঙ্গলবার। এই অবসরের দিনে আনুষ্ঠানিক বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠিত হয় মেট্রো রেল ভবনে। এদিন কার্তিকবাবুর কর্তব্যনিষ্ঠা এবং সময়ানুবর্তিতাকে সম্মান জানিয়ে বিদায়লগ্নে তাঁকে জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি নিজে গাড়ি চালিয়ে - কার্তিকবাবুকে পেছনে বসিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেন। অবসরের দিন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার থেকে এহেন সম্মান পেয়ে হতবাক কার্তিকবাবু। আনন্দ এবং গর্ব অনুভব করার প্রতিফলন ধরা পড়ছিল কার্তিকবাবুর অশ্রুসিক্ত চোখের এক কোণে। এই সম্মান ও ভালোবাসা তাঁর অবসরযাপনকালে স্মৃতির মণিকোঠায় অম্লান হয়ে থাকবে। চালকের প্রতি বিশেষ সম্মান জানানোয় মেট্রো রেলের কর্মীরা সাধুবাদ জানিয়েছেন পি উদয়কুমার রেড্ডিকে।মেট্রোরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শ্রী কৌশিক মিত্র এবিষয়ে জানিয়েছেন, কার্তিক চন্দ্র মন্ডল মেট্রোরেলের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় কুমার রেড্ডির গাড়ি চালানোর কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং তিনি তাঁর দায়িত্ব সাফল্যের সাথে পালন করেছেন। অবসরের দিন স্বয়ং জেনারেল ম্যানেজারের কার্তিকবাবুর প্রতি এহেন সম্মান প্রদর্শন এক দৃষ্টান্ত স্বরূপ।

নভেম্বর ০১, ২০২৩
রাজ্য

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের কড়া নির্দেশ, নিজাম প্যালেস ছুটলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি

নির্দেশ ছিল। শেষমেশ সেই নির্দেশ কার্যকরী করতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে পৌঁছেও গিয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গৌতম পালকে সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশ না মানলে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারিও ছিল। শেষমেশ নির্ধারিত সময়েই চতুর্থীর ভিড় ঠেলে নিজাম প্যালেসে পৌঁছান পর্ষদ সভাপতি।শুধু গৌতমবাবু নয়, পাশাপাশি পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজনে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে সিবিআই জেরা করতে পারেন বলে নির্দেশে উল্লেখ করা হয়।বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলে। ওএমআর শিট সংক্রান্ত মামলায় এদিন সিবিআইকে আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। জানা গিয়েছে, সেই রিপোর্টে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। উল্লেখ রয়েছে, এস বসু রায় এণ্ড কোম্পানি এমনভাবে ওএমআর শিট তৈরি করেছিল যাতে প্রার্থীর নাম, রোল নম্বর কোনও কিছু স্পষ্ট বোঝা না যায়। এমনকী পর্ষদের কাছে ওএমআর শিট সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হলেও তাঁরা নতুন প্রিন্ট করা কপিকেই ডিজিটাইজ ডাটা হিসাবে দাবি করছেন।এরপরই বিচারপতি জানান, সিবিআইয়ের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ওএমআর শিট দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন। এই দুর্নীতি সামনে আসার পরও বর্তমান বোর্ড সদস্যরা কীভাবে এস বসু রায় এণ্ড কোম্পানিকেই ওএমআর শিট তৈরির দায়িত্ব দিলেন? এ জন্যই পর্ষদ সভাপতিকে জিজ্ঞসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। তারপরই পর্ষদের বর্তমান সভাপতি গৌতম পাল ও সেক্রেটারি পার্থ কর্মকারকে আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেন বিচারপতি। ফলে গৌতম পালকে বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে হবে। নির্দেশে বলা হয়েছে, সিবিআই চাইলে সেক্রেটারিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। তারপর বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। যদি বোর্ড সদস্যেদের কেউ সহযোগিতা না করেন তাহলে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই।

অক্টোবর ১৮, ২০২৩
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • ...
  • 22
  • 23
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

বোমা বিষ্ফোরণে কেঁপে উঠলো ঢাকা, মৃত্যু এক, অপরাধ-হিংসা বেড়েই চলেছে বাংলাদেশে

ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার পর থেকে বাংলাদেশ উত্তপ্ত। তারপর ময়মনসিংহের দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করেছে জেহাদীরা। চট্টগ্রামে হিন্দু বাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। অতপর আজ, বুধবার ঢাকায় নিউ ইস্কাটনে ককটেল বোমা নিক্ষেপ করেছে দুষ্কৃতীরা। সেই বোমায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। ইউনূস সরকারের আমলে একের পর এক অপরাধ ঘটেই চলেছে। বড়সড় প্রশ্নের মুখে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব।প্রথম আলো সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া ককটেলের বিস্ফোরণে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে এটাকে বোমার বিস্ফোরণ বলেছিল।এ বিষয়ে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, রাত পৌনে ৮টার দিকে নিউ ইস্কাটনের বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ফটকের সামনে শক্তিশালী ককটেলের বিস্ফোরণ হয়। এ সময় ওই যুবক গুরুতর আহত হন। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।পুলিশের উপকমিশনার মাসুদ আলম জানান, নিহত ব্যক্তির নাম সিয়াম বলে জানা গেছে। তিনি সেখানে চা খেতে এসেছিলেন। ওপর থেকে ককটেল এসে তাঁর মাথার ওপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।এদিকে নির্বাচনে লড়াই করার প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলি। খালেদাপুত্র তারেক রহমানের আগামী কাল বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে সরকার। পাশাপাশি তাঁকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিএনপি নেতা-কর্মীরা। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিনি বাংলাদেশে ফিরছেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
বিদেশ

ঢাকায় ছাত্রনেতা ওসমান হাদী হত্যা, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অন্তর্বর্তী সরকারের একাংশের বিরুদ্ধে

ঢাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশি ছাত্রনেতা ও সাংস্কৃতিক সংগঠক শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্যুকে ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন পরই ওসমান হাদীর পরিবার সরাসরি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি অংশের বিরুদ্ধে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ভণ্ডুল করার উদ্দেশ্যে এই হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগ তুলেছে।২০২৪ সালের জুলাই মাসের বিদ্রোহের পর গড়ে ওঠা সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম ইনকিলাব মঞ্চএর মুখপাত্র ছিলেন শরীফ ওসমান হাদী। গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বিমানে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলেও ১৮ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।এই মৃত্যুর পর ঢাকায় সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। একাধিক জায়গায় জনতা বিশিষ্ট সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের অফিস লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।ওসমান হাদীর ভাই শরীফ ওমর হাদী ঢাকার শাহবাগে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, আপনারাই ওসমান হাদীকে হত্যা করেছেন, আর এখন সেই হত্যাকাণ্ডকে ইস্যু করে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছেন।ওমর হাদী জানান, তার ভাই ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন চেয়েছিলেন এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা নয় বরং একটি স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পক্ষে ছিলেন। তিনি দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, খুনিদের শাস্তি না হলে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হবে। সরকার এখনও পর্যন্ত আমাদের কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি ন্যায়বিচার না হয়, তবে বর্তমান ক্ষমতাসীনদেরও একদিন দেশ ছাড়তে হতে পারে। যেমনটি গত বছর গণবিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে ঘটেছিল। ওমর অভিযোগ করেন, কোনও সংস্থা বা বিদেশি প্রভুদের কাছে মাথা নত না করায় ওসমান হাদীকে হত্যা করা হয়েছে।দ্য ডেইলি স্টারএর প্রতিবেদনে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের দাবি করেছেন, এই হত্যাকাণ্ড জুলাইয়ের বিদ্রোহের অর্জন ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের উদ্দেশ্যে একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তার অভিযোগ, আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা শক্তি ও দেশের ভেতরের ফ্যাসিবাদী সহযোগীরা এই হত্যার সঙ্গে যুক্ত।বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না। তবে ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা স্পষ্ট করেছেন, ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার দিন তারা কোনও কর্মসূচি নেবেন না। একইসঙ্গে তারা আশা প্রকাশ করেছেন, তারেক রহমান তাদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাবেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
রাজ্য

সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

গত ১২ এপ্রিল, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সামশেরগঞ্জ থানা এলাকার জাফরাবাদ গ্রামের দুই বাসিন্দা হরগোবিন্দ দাস এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে উত্তেজিত জনতার একটি দল নৃশংসভাবে হত্যা করে। এই জোড়া খুনের মামলার তদন্তে গঠিত হয়েছিল একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর ১৩ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জমা পড়েছিল চার্জশিট।আজ রায় বেরিয়েছে মামলার। অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত ১৩ জন অভিযুক্তকেই দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি ঘোষণা করেছেন। এখানে একটি প্রাসঙ্গিক তথ্য, গণপিটুনিতে মৃত্যুর ধারায়(যা কয়েক বছর আগে চালু হওয়া নতুন ফৌজদারি বিধিতে ১০৩(২) ধারায় চিহ্নিত হয়েছিল) এটি দেশে দ্বিতীয় conviction.দণ্ডিত ১৩ জনের নাম হলো:১. দিলদার নদাব (২৮), ২. আসমাউল নদাব ওরফে কালু (২৭), ৩. এনজামুল হক ওরফে বাবলু (২৭), ৪. জিয়াউল হক (৪৫), ৫. ফেকারুল সেখ ওরফে মহক (২৫), ৬. আজফারুল সেখ ওরফে বিলাই (২৪), ৭. মনিরুল সেখ ওরফে মনি (৩৯), ৮. একবাল সেখ (২৮), ৯. নুরুল ইসলাম (২৩), ১০. সাবা করিম (২৫), ১১. হযরত সেখ ওরফে হযরত আলী (৩৬), ১২. আকবর আলী ওরফে একবর সেখ (৩০) এবং ১৩. ইউসুফ সেখ (৪৯)।এদের মধ্যে ৫ জনের নাম এফআইআর-এ ছিল। বাকিদের তদন্তে পাওয়া তথ্য এবং তাঁদের ভূমিকার ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওড়িশার ঝারসুগুডা, ঝাড়খণ্ডের পাকুড়, বীরভূমের পাইকর, হাওড়া, ফারাক্কা, সামশেরগঞ্জ এবং সুতি-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়।তদন্তের সময় সিসিটিভি (CCTV) ক্যামেরা থেকে প্রাথমিক সূত্র পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া গুগল ম্যাপস লোকেশন ভিজ্যুয়ালাইজেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে অভিযুক্তদের মোবাইলের সিডিআর (CDR) ম্যাপে প্লট করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে অপরাধের জায়গায় তাঁদের উপস্থিতি এবং প্রবেশ-প্রস্থানের পথ স্পষ্টভাবে প্রমাণ করা হয়েছে।অভিযুক্তদের হাঁটার ধরন বা গেইট প্যাটার্ন বিশ্লেষণ (Gait pattern analysis) করা হয়েছিল, যা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাওয়া ব্যক্তিদের হাঁটার ধরনের সাথে হুবহু মিলে গেছে। আদালত এই রায়ে ডিএনএ (DNA) প্রমাণের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন। অপরাধে ব্যবহৃত অস্ত্রে লেগে থাকা রক্তের ডিএনএ-র সাথে মৃত ব্যক্তিদের ডিএনএ মিলে গিয়েছে।এই মামলার সঙ্গে যুক্ত মিঠুন হালদার, ইন্সপেক্টর প্রসূন মিত্র এবং বিভাস চট্টোপাধ্যায়, এই তিন পুলিশ আধিকারিক দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে বলে অভিনন্দন জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ। মাত্র নয় মাসের মধ্যেই দোষীদের শাস্তি সুনিশ্চিত করার জন্য জঙ্গিপুর জেলা পুলিশকেও অভিনন্দন জানিয়েছে উর্দ্ধতন পুলিশ কর্তারা।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
কলকাতা

বাংলাদেশে হিন্দু খুনের প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা, বাংলা হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার

কলকাতার রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠল মঙ্গলবার। বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় একাধিক বিক্ষোভকারী আহত এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন-সহ একাধিক ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃংশস ভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। তাঁকে মারধর করে পোস্টে বেঁধে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী বাংলাদেশ পুলিশ স্বীকার করে দীপু কোনওরকম সাম্প্রদায়িক কথা বলেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকী বাংলাদেশ পুলিশ তাঁকে না রক্ষা করে হত্যাকারীদের হাতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ।বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্য়াচারের প্রতিবাদেই এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকরা হাইকমিশনের সামনে জমায়েত হতে শুরু করেন। প্রথমদিকে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বেগবাগান এলাকায় একাধিক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের মূল গেটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বারবার মাইকে সতর্কবার্তা দিয়ে জমায়েত ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ধস্তাধস্তি শুরু হলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। লাঠিচার্জের পর পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ এবং মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত বাহিনী। সাময়িকভাবে যান চলাচলও ব্যাহত হয়।পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা রক্ষা করা প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে আরও অবনতি না ঘটে, সেই কারণেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারী সংগঠনগুলির বক্তব্য, তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জের নিন্দা জানিয়ে তাঁরা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হাঁসখালি কাণ্ডে তৃণমূল নেতার ছেলে সহ তিনজনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা আদালতের

নদিয়ার হাঁসখালি গণধর্ষণ, খুন ও প্রমান লোপাটের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করে আদালত। গতকাল, সোমবার মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা সহ মোট ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর আজ রাণাঘাট আদালত অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করে। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে ব্রজ গয়ালী, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিক তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিদের সাজাও ঘোষণা করেছে আদালত। তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালীর পাঁচ বছর কারবাসের সাজা হয়েছে।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় অভিযুক্তদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এবং তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা নথি ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। মামলায় সরকারি কৌঁসুলি সওয়ালে জানান, অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে অপরাধে যুক্ত ছিল এবং তা প্রমাণ করতে পর্যাপ্ত তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করেছিল ২ জনকে। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে যায় সিবিআইয়ের ওপর।রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। রায় শোনার পর দোষী সাব্যস্ত হওয়া অভিযুক্তদের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। আদালতের এই সিদ্ধান্তে হাঁসখালি সহ গোটা নদিয়া জেলায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই মামলাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তদের মধ্যে শাসকদলের নেতা থাকায় তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হয়েছে। উচ্চতর আদালতে যাবেন বলে আসামী পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal