• ১৪ কার্তিক ১৪৩২, সোমবার ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Final

খেলার দুনিয়া

মান্ধানার রেকর্ডে কাঁপল বিশ্ব! ফাইনালে কি লেখা হবে নতুন ইতিহাস?

মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়াম যেন অপেক্ষা করছে ইতিহাসের জন্মের সাক্ষী হওয়ার। গ্যালারিতে ঢেউ তুলছে নীল সাগর। কোটি ভারতবাসীর নিশ্বাস যেন একসঙ্গে আটকে। কারণ, মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্য ২৯৯ রান ছুঁড়ে দিয়েছে ভারত। ৩০০-এর দোরগোড়াহাতের নাগালেই ছিল। কিন্তু যেই দুই ব্যাটারকে দেখার অপেক্ষায় ছিল সমর্থকেরা, সেই স্মৃতি মান্ধানা আর হরমনপ্রীতের ব্যাট আজ বড় কিছু লিখতে পারল না।সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮৯ রানের ইনিংসে আগুন ঝরিয়েছিলেন নকআউট কুইন হরমনপ্রীত। আজ ফাইনালে এসে থেমে গেলেন ২০ রানে। দুইটি বাউন্ডারি মারলেও নিজের সেরাটুকু দেখাতে পারলেন না অধিনায়ক। ফ্যানদের আশাহতাশার মিশেল রয়ে গেল মাঠ জুড়ে।তবু ভারতীয় ক্রিকেটের অন্য নক্ষত্র জ্বলল উজ্জ্বল আলোয়। স্মৃতি মান্ধানা ফাইনালে করলেন ৫৮ বলে ৪৫ রানহ্যাঁ, হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া। কিন্তু সেই সঙ্গেই গড়লেন এক বিশাল রেকর্ড। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ইতিহাসে এক সংস্করণে সর্বাধিক রান করার নজির ভাঙলেন তিনি। মিতালি রাজের ২০১৭ সালের ৪০৯ রানকে টপকে স্মৃতির সংগ্রহ এখন ৪৩৪।মান্ধানাশেফালি জুটি দারুণ ছন্দে এগোচ্ছিল। ১৭তম ওভারেই এল ভাঙন। ক্লোয়ি ট্রায়নের বল তুলে দিয়ে ক্যাচ ফিরিয়ে দিলেন ভারতীয় ওপেনার। আর ৩৮তম ওভারে ফিরে যান হরমনপ্রীত। দুজনই যদি আর কিছুক্ষণ উইকেটে দাঁড়াতে পারতেনস্টেডিয়ামের স্কোরবোর্ড হয়তো অন্য গল্প বলত।কিন্তু এখনও সব শেষ নয়। ভারতীয় স্পিন, দর্শকদের গর্জন, আর মাঠজুড়ে নীল আকাশএই তিন শক্তি কি এনে দেবে প্রথম নারী বিশ্বকাপ? চোখ রাখল ভারত।আজ রাতেই উত্তর।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

নীলে রাঙা দেশ! বিশ্বকাপফাইনালে শেফালি–ঝড়, ২৯৮ রান তুলে ইতিহাসের দোরগোড়ায় ভারত

ভারতের আকাশ আজ নীলের উৎসবে ঢেকে। নবি মুম্বইয়ের ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের মহারণে নামতেই যেন বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ল আবেগ। সেই বৃষ্টি ধুয়ে দিল শুধু মাটি নয়, যেন দেশের কোটি স্বপ্নকে। কারণ, আজ ইতিহাস লেখা সম্ভব উইমেন ইন ব্লু-র। হরমনপ্রীত কৌরদের কাঁধে ভারতীয় ক্রিকেটের অপূর্ণতা মুছার দায়িত্ব। আর ব্যাট হাতে সেই পথে বড় পদক্ষেপই রাখল ভারত।প্রথমে ব্যাট করে ভারত থামল ২৯৮ রানে। ৭ উইকেট হারিয়ে তোলা এই রানকে কি বিশ্বজয়ের রান বলা যায়? দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটারদের সাহসী ইনিংস, দর্শকদের গর্জন, আর মাঠজুড়ে নীল আবেগসব মিলিয়ে দিনটা ইতিহাসের পাতায় ওঠার অপেক্ষায়।ইনিংসের শুরুতেই স্মৃতি মন্ধানা ও শেফালি বর্মার ব্যাটে নজর কাড়া সূচনা। বৃষ্টিভেজা উইকেটে সতর্ক শুরু হলেও শিগগিরই বদলে গেল রঙ। বড় শট, নির্ভয়ে রান রোটেশনদুটিতেই সামনে শেফালি। এক সময় সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে পড়লেও শেষে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৮৭ রানে। কী দারুণ ইনিংস! তিন বছর ধরে ওয়ানডেতে হাফসেঞ্চুরি নেইএ কথা ভুলিয়ে দিলেন বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে। বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও প্রথমে জায়গা ছিল নাএকেবারে সিনেমার চিত্রনাট্য।স্মৃতি মন্ধানা ৪৫ রানে আউট হন। জেমাইমা রদ্রিগেসের ২৪ রান, অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের ২০যেখানে সবাই শুরু করেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি, সেখানে দুই ভারতীয় ভরসা দীপ্তি শর্মা ও রিচা ঘোষ সামলালেন ইনিংস। দীপ্তির অর্ধশতরান, আর রিচার দাপুটে ২৪ বলে ৩৪ রানে ভারত ৩০০ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। কয়েকটা শট আর সাহসে হয়তো ২৫-৩০ রান আরও বাড়ানো যেতসেটা নিয়েই এখন আলোচনা।এখন প্রশ্ন একটাইএই রান কি যথেষ্ট? স্পিন বোলিং আর দর্শকদের গর্জন কি দেশকে এনে দেবে প্রথম নারী বিশ্বকাপ? দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বলেই দিয়েছিলেন, এই পিচে রান তাড়া সহজ। তাই ম্যাচ এখন পুরোপুরি বোলারদের হাতে।স্টেডিয়ামের শব্দঅর্কেস্ট্রা, নীল পতাকার ঢেউ এবং লক্ষ মুখে একটাই ডাকচলো মেয়েরা! রোহিতবিরাটদের অসম্পূর্ণ গল্প কি এবার মেয়েরাই পূর্ণ করবেন?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

স্বপ্নভঙ্গের দাগ এখনও টাটকা! ফাইনালের আগে হরমনদের পাশে দাঁড়ালেন কোহলি-বুমরাহ-সূর্য

দুই বছর আগে ঠিক এই মঞ্চেই স্বপ্ন ভেঙেছিল ভারতীয় মহিলাদের। বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠে ট্রফি ছোঁয়ার এতটা কাছে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছিল খালি হাতে। সেই ব্যথা এখনও জাগ্রত। তাই ২০২৫এর আরেক মহাযুদ্ধের আগে হরমনপ্রীত কৌরদের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। সেই সঙ্গে পাশে দাঁড়িয়ে গেলেন ভারতীয় পুরুষ দলের তারকারাও। কোহলি, সূর্যকুমার যাদব থেকে শুরু করে জশপ্রীত বুমরাহসবাই একসুরে জানিয়ে দিলেন, ভয় নেই, এগিয়ে যাও।ফাইনাল ম্যাচের আগে BCCIর প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা গেল গৌতম গম্ভীরকে। শান্ত অথচ দৃঢ় কণ্ঠে গম্ভীর বললেন, ভারতীয় ক্রিকেট পরিবার ধন্যবাদ জানাচ্ছে মেয়েদের। তিনি বলেন, ফাইনাল উপভোগ করো, সাহসিকতার সঙ্গে খেলো। ভুল করলেও ভয় পেয়ো না। তোমরা ইতিমধ্যেই দেশকে গর্বিত করেছ। গম্ভীরের বার্তায় স্পষ্টচাপ নয়, আনন্দই দিক নির্দেশ করবে।অন্যদিকে বিরাট কোহলি ও সূর্যকুমার যাদবও বার্তা পাঠিয়েছেন। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার জন্য মহিলা দলের প্রশংসা করেছেন তাঁরা। সূর্য বলেছেন, নিজেদের মত করে খেলে যাও, টুর্নামেন্ট জুড়ে তোমরা অসাধারণ খেলেছ। এমনকি জশপ্রীত বুমরাহর কথায়ও একই সুর। অস্ট্রেলিয়া থেকে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, জীবনে অনেক ফাইনাল আসে না, তাই বাড়তি চাপ না নিয়ে নিজের সেরাটা দাও। নিজের খেলায় বিশ্বাস রাখো। ফল ঠিকই আসবে।২০১৭তে মিতালি রাজের দল, এরপর ২০২৩এ রোহিত শর্মাদের স্বপ্নভঙ্গভারতীয় পুরুষ ও মহিলা দল দুইই ফাইনালের যন্ত্রণা চেনেন। কিন্তু এবার প্রত্যাশা ভরা চোখে মানুষ অপেক্ষা করছে নতুন ইতিহাসের জন্য। ভারতীয় ক্রিকেটাররাও বিশ্বাস রাখছেন, হরমনপ্রীতস্মৃতিরিচাদের হাতেই এবার বিশ্বজয়ের গল্প লেখা হবে।দেশজুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। প্রত্যেক ভারতীয়র মনে একই প্রার্থনাএবার ট্রফি ফিরেই আসুক দেশের মাটিতে।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

নবি মুম্বইয়ে বৃষ্টি, ফাইনাল কি পিছিয়ে যাবে? দুশ্চিন্তায় ক্রিকেটপ্রেমীরা

ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে হরমনপ্রীত কৌরদের ভারত। নবি মুম্বইয়ের মাঠে আজই হওয়ার কথা ছিল বিশ্বজয়ের লড়াই। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু এমন উত্তেজনার দিনে ভাগ্য যেন একটু খারাপই খেলল টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে। দুপুর গড়াতেই নামল মৌসুমবহির্ভূত বৃষ্টি, আর সেই সঙ্গে থমকাল মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপের মহারণ।ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্রমাগত বৃষ্টি নামায় টস পর্যন্ত হয়নি। গ্যালারিতে বসা দর্শক থেকে শুরু করে টিভির সামনে বসা ক্রিকেটপ্রেমীরাসবাই এখন শুধু অপেক্ষা করছেন আকাশ পরিষ্কার হওয়ার।এখন প্রশ্ন একটাইযদি বৃষ্টি কমেই না? তবে কি বিশ্বকাপ ফাইনাল মাঠেই নামবে না? ভারতীয় সমর্থকদের মনে তাই উৎকণ্ঠা, আর চোখ ঝুলছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচ আজই শেষ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা হবে। প্রয়োজন হলে দুদলের ওভার কমিয়ে দেওয়া হবে। একই দিনে ফলাফল করতে হলে কমপক্ষে ২০ ওভার করে খেলতেই হবে দুদলকে। যদি বৃষ্টি সেই সুযোগও না দেয়, তবে প্রস্তুত আছে রিজার্ভ ডে।আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার রাখা হয়েছে চূড়ান্ত দিন। যদি আজ ম্যাচ অসম্পূর্ণ থাকে, সেখান থেকেই কাল আবার খেলা শুরু হবে। তবে যদি এক বলও না গড়ায় আজ, সোমবার পুরো ৫০ ওভারের নতুন ম্যাচ আয়োজনের সম্ভাবনাও রয়েছে। এই মুহূর্তে তাই ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের একটাই আশাআকাশটা একটু পরিষ্কার হোক, আর বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা যাক হরমনপ্রীত কৌরদের দাপট। সেমিতে দুরন্ত ফর্মে থাকা রিচা ঘোষ, স্মৃতি মন্ধানা, শেফালিসবাই প্রস্তুত ইতিহাস লেখার জন্য। বাকি শুধু মাঠে নামা।এদিকে স্টেডিয়ামের ছাদেও ঠাসা উত্তেজনা। কেউ মন্ত্রজপ করছেন, কেউ মোবাইলে আবহাওয়া আপডেট দেখছেন, আবার কেউ পতাকা হাতে বৃষ্টি থামার অপেক্ষায়। বিশ্বকাপের দিনই যদি বৃষ্টি আসে, তা কি মানা যায়? এখন সবই নির্ভর করছে আকাশের দিকে। ভারতীয়দের মনে একটাই স্বপ্নআজ হোক, কাল হোক, কিন্তু হাতে উঠুক সেই সোনার ট্রফি।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ইতিহাস গড়তে নামছে হরমনদের বাহিনী, রিচা ঘোষে বুক বাঁধছে গোটা বাংলা

শুধু পুরুষ ক্রিকেট নয়মেয়েরাও পারে! ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের আত্মবিশ্বাস এখন আকাশছোঁয়া। আর মাত্র এক রাতের অপেক্ষা। রবিবারই ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে নামছে হরমনপ্রীত কউররা। শেষ লড়াই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। আর গোটা দেশ যেমন উত্তেজনায় ফুটছে, বাংলায় সেই উত্তেজনার কেন্দ্র শিলিগুড়ি। কারণ ফাইনালের মাঠে থাকছেন শহরেরই মেয়ে রিচা ঘোষ।বয়স মাত্র ২২। কিন্তু মন? যেন সহাস্য যোদ্ধা। এই বিশ্বকাপেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বে ঝড় তুলেছিলেন রিচামাত্র হাতে গোনা ডেলিভারি পেলে খেলেছিলেন ৯৪ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস। সেই ম্যাচে ভারত হেরে গেলেও, রিচার ব্যাটে আলোর রেখা দেখেছিল দেশ।সেই তারকার জন্য এখন বুক বেঁধে অপেক্ষা শিলিগুড়ির। শহরের রাস্তায় উত্তেজনা, দেওয়ালে পোস্টার, আর মানুষের মুখে একটাই প্রশ্নরিচা কেমন করবে কাল? শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ ইতিমধ্যেই বিগ স্ক্রিনে ফাইনাল দেখানোর আয়োজন করে ফেলেছে। শহরের একাধিক জায়গায় লাগানো হচ্ছে ফ্লেক্স, তৈরি হচ্ছে উৎসবের আবহ।রিচার পুরনো দিনেও আলো। ২০১৩১৪ সালে বাঘাযতীন ক্লাবের হয়ে খেলতেন সে সময়কার ছোট্ট মেয়ে রিচা। কোচ বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় এখন আগের সেই দৃঢ় আত্মবিশ্বাস মনে করছেন। তাঁর মুখে গর্বওকে প্রথম দিন থেকেই আলাদা লাগত। ব্যাট ধরার ভঙ্গি, শরীরী ভাষা, মনোভাবসবেতেই ছিল বড় খেলোয়াড়ের স্পষ্ট আভাস।একই কথা বলছেন রিচার বন্ধু ও প্রাক্তন সতীর্থ অঙ্কিতা মোহন্তও। তিনি স্মিতহাস্যে বলছেন, রিচা সব সিদ্ধান্ত খুব পরিষ্কারভাবে নেয়। আমাদের সময়ও ও পরামর্শ দিত। এখন দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ব্যাটে। আগামিকাল ও দেখাবেমেয়েরাও পারে!মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের ক্রিকেট সচিব ভাস্কর দত্ত মজুমদার আরও খোলামেলাআমাদের শহরের মেয়ে! তাই তো গর্ব। কাল গোটা শহর স্ক্রিনের সামনে এক হবে। রিচার জন্য শুভেচ্ছা।এখন শুধু অপেক্ষা ফাইনালের। শিলিগুড়ি, বাংলা আর ভারতসকলেরই চোখ এক ব্যাটে, এক মেয়ের উপর। ইতিহাস রচনার মুহূর্ত কি তাহলে আর কয়েক ঘণ্টা দূরেই?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

T-20 ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি ভারত, ইংল্যান্ডকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিল রোহিতরা

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে টি টোয়েন্টি ফাইনালে রোহিতদের ভারত। এবার সামনে শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে ফাইনালের লড়াই জোরদোর হবে বলেই মনে করছে অভিজ্ঞমহল। ভারতের ১৭১ রান তাড়া করতে নেমে ৮ বলে ৫ রান করে জসপ্রিত বুমরাহর বলে ফিরে যান ওপেনার ফিল সল্ট। অপর ওপেনার তথা উইকেটকিপার-অধিনায়ক জস বাটলার অক্ষর প্যাটেলের বলে ঋষভ পন্থের হাতে ধরা পড়েন। বাটলার ১৫ বলে ৪টে চার সহযোগে ২৩ রান করেছেন। অক্ষর প্যাটেলের বলে বিনা রানে ফিরে যান জনি বেয়ারস্টো। অক্ষর প্যাটেলের বলে মঈন আলিকে স্ট্যাম্পড করেন ঋষভ পন্থ। ৪ বলে ২ রান করে কুলদীপ যাদবের বলে এলবিডব্লিউ হন সাম কুরান। কুলদীপ যাদবের বলে বোল্ড হন হ্যারি ব্রুক। তার আগে ব্রুক ৩টে চার সহযোগে ১৯ বলে ২৫ রান করেছেন। ৫ বলে ১ রান করে কুলদীপ যাদবের বলে এলবিডব্লিউ হন ক্রিস জর্ডান। ২ বলে ২ রান করা আদিল রশিদকে রান আউট করেন সূর্যকুমার যাদব। তার মধ্যেই চেষ্টা করছিলেন জোফ্রা আর্চার। তিনি ১টি চার ও ২টি ছয়-সহ ১৫ বলে ২১ রান করেন। এই সময় জসপ্রিত বুমরাহর বলে এলবিডব্লিউ হন আর্চার। যার জেরে ১৬.৪ ওভারে ১০ উইকেটে ১০৩ রানে থেমে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস।প্রত্যাশা ছিলই। বিশেষজ্ঞরা বলছিলেন, ভারতের লুকোনো অস্ত্র। তার ওপর গায়ানার স্পিনার সহায়ক পিচ। আর তাতেই কবজির মোচড়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামিয়ে দিলেন ভারতের স্পিনার কুলদীপ যাদব। ৪ বলে ২ রান করে কুলদীপ যাদবের বলে এলবিডব্লিউ হন সাম কুরান। কুলদীপ যাদবের বলে বোল্ড হন হ্যারি ব্রুক। তার আগে ব্রুক ৩টে চার সহযোগে ১৯ বলে ২৫ রান করেছেন। ৫ বলে ১ রান করে কুলদীপ যাদবের বলে এলবিডব্লিউ হন ক্রিস জর্ডান। কুলদীপ যাদবের বলেই রান নেওয়ার সময় রান আউট হন লিয়াম লিভিংস্টোন। তিনি ১৬ বলে ১১ রান করেছেন।ইংল্যান্ড ১০ ওভার ১ বলে ছয় উইকেট হারিয়েছে। ৮ বলে ৫ রান করে জসপ্রিত বুমরাহর বলে ফিরে গিয়েছেন ওপেনার ফিল সল্ট। অপর ওপেনার তথা উইকেটকিপার-অধিনায়ক জস বাটলার অক্ষর প্যাটেলের বলে ঋষভ পন্থের হাতে ধরা পড়েছেন। বাটলার ১৫ বলে ৪টে চার সহযোগে ২৩ রান করেছেন। অক্ষর প্যাটেলের বলে বিনা রানে ফিরে যান জনি বেয়ারস্টো। অক্ষর প্যাটেলের বলে মঈন আলিকে স্ট্যাম্পড করেন ঋষভ পন্থ। ৪ বলে ২ রান করে কুলদীপ যাদবের বলে এলবিডব্লিউ হন সাম কুরান। কুলদীপ যাদবের বলে বোল্ড হন হ্যারি ব্রুক। তার আগে ব্রুক ৩টে চার সহযোগে ১৯ বলে ২৫ রান করেছেন। ৫ বলে ১ রান করে কুলদীপ যাদবের বলে এলবিডব্লিউ হন ক্রিস জর্ডান।২০ ওভারে ৭ উইকেটে ভারত তুলল ১৭১ রান। সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি ৬টি চার ও ২টি ছয় সহযোগে ওই রান করেন। সহ-অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া করেছেন ১টি চার ও ২টি ছয় সহযোগে ১৩ বলে ২৩ রান। ক্রিস জর্ডানের বলে হার্দিকের ক্যাচ নেন সাম কুরান। হার্দিক আউট হতেই নেমেছিলেন শিবম দুবে। কিন্তু, তিনি প্রথম বলেই বিনা রানে মুখ দেখিয়ে ফিরে যান। জর্ডানের বলে দুবের ক্যাচ নেন জস বাটলার। একটি ছয়-সহ ছয় বলে ১০ রান করে ক্রিস জর্ডানের বলে ফিল সল্টের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান অক্ষর প্যাটেল।

জুন ২৮, ২০২৪
খেলার দুনিয়া

ভারতীয় জার্সির রং গেরুয়া! বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে বড় প্রশ্ন মমতার

আগামী রবিবারব বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মহাজজ্ঞ। চ্যাম্পিয়ন হতে আর একটি ম্যাচ দূরে ভারতীয় ক্রিকেট দল। বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ খেলতে রবিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে নামবে রোহিতের নেতৃত্বে ভারতীয় দল। এই অবস্থায় শুক্রবার ভারতীয় দলের জার্সি নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।পোস্তায় শুক্রবার ব্যবসায়ী সমিতির জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই স্বৈরাচারী মনভাব নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেন তিনি। সেই প্রসঙ্গেই রং নিয়ে রাজনীতির বিষয়টি তোলেন তিনি। বলেন, এখন তো সব গেরুয়া বানিয়ে দিচ্ছে।এই প্রসঙ্গেই বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সির রঙের বিষয়টি টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, আমরা আমাদের ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য গর্বিত। আমি বিশ্বাস করি ভারতীয় ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়ন হবে। ওদেরও গেরুয়া বানিয়ে দিয়েছে। ওরা যে ড্রেস করে প্র্যাকটিস করে, সেটা গেরুয়া করে দিয়েছে। ওরা তো নীল রংয়ের জার্সি পরে ম্যাচ খেলে।মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন নিয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, উনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, গেরুয়া রং নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। রাজ্যবাসীর মাথা হেঁট করে দিচ্ছেন। এবার তো মুখ্যমন্ত্রী জাতীয় পতাকায় কেন গেরুয়া রং ব্যবহার হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলবেন।বিশ্বকাপের ম্যাচে এবার ভারতীয় দল চিরাচরিত নীল রঙের জার্সি পড়ে খেলছে। তবে, তাদের প্র্যাকটিস জার্সি ও কিটের রঙ গেরুয়া। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক হয়েছে। কেন হঠাৎ প্র্যাকটিস জার্সি ও কিটের রঙ পাল্টানো হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। অনেকেই দাবি করেছেন, কেন্দ্রের শাসক দলের প্রভাব ও বিসিসিআই সচিব তথা অমিত শাহর পুত্র জয় শাহর অঙ্গুলি হেলনেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্র্যাকটিস জার্সি ও কিটের রঙ গেরুয়া হয়েছে।

নভেম্বর ১৭, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

রোডস-গিবসের দেশের খেলোয়াড়দের ফিল্ডিংয়ের দৈনদশায় "চোকার্স" তকমা এবারেও ঘুচলো না।

১৯৯৯-এর বিশ্বকাপ সুপার সিক্সের লড়াইয়ে, অস্ট্রেলিয়া ২৭২ রান তারা করছিল, তখন ক্যাপ্টেন স্টিভ ওয়াঘ ৫৬ রানে ব্যাট করছিলেন। স্টিভ মিড-উইকেটে হার্শেল গিবসকে একটি সহজ সুযোগ দেন। গিবস ক্যাচটি ধরে সেলিব্রেশন করতে গিয়ে বলটি মাটিতে ফেলে দেন। তার পর স্টিভ ওয়াঘ ১২০ রানে অপরাজিত থেকেম্যাচটি জিতে ফেরেন। জানা যায় স্টিভ ওই ওভার শেষে গিবসে বলেছিলেন তুমি ক্যাচ মাটিতে ফেলনি, বিশ্বকাপ তোমার হাত থেকে পড়ে গেল। স্টিভের এই কথাটি-ই সত্য হয়। অস্ট্রেলিয়া ১৯৯৯ এর বিশ্বকাপ লাভ করে।বড় ম্যাচে চোকার্স তকমা এবারেও গেল না। ২০২৩-র বিশ্বকাপে অনবদ্য শুরু করে সাদামাটা ভাবে বিদায় নেলসন মেন্ডেলার দেশের। ৩ উইকেটে জিতে আমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ভারতের সামনে অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার ২১১ রান দেখে যতটা সহজে অস্ট্রেলিয়া জিতে যাবে মনে হচ্ছিল ততটাই কঠিন ভাবে জিততে হল অস্ট্রেলিয়াকে। হাঁটুর ওপর বল না ওঠা ইডেনের পিচ সেমিফাইনালের যোগ্য নয় বলে বিশেষজ্ঞরা বলতে শুরু করেছেন। এই নিয়ে পাচবার সেমিফাইনালে উঠে পাঁচ বারই হারতে হল দক্ষিণ আফ্রিকাকে।➡️ From 24/4 in the 12th over➡️ To 212 all outDavid Millers 💯 has given the South Africa bowlers something to defend.Read the live match report📝⬇️#CWC23 #SAvAUS https://t.co/qayvEZNW7J ICC (@ICC) November 16, 2023মেঘলা আকাশ, শিরশিরে হাওয়া থা সত্তেও টসে জিতে কেন প্রথম ব্যাটিং নিলেন তার ব্যখা পাওয়া গেল না। তিন তিনটে পেস বোলার থাকা টিম স্বাভাবিক ভাবেই ওই পরিবেশে টসে জিতে প্রথম বোলিং করবে স্টাই প্রত্যাশিত। মাত্র ২১২ রানে শেষ হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ডেভিড মিলারের অনবদ্য ১০১ রান ও হেনরিক ক্লাসেন ৪৭ রান ইনিংস বাদ দিলে অস্ট্রেলিয়ার বোলিংয়ের সামনে আত্মসমর্পন করল আফ্রিকার সিংহরা।অধিনায়ক বাভুমা শূন্য দিয়ে শুরু, অবসরের ঘোষণা করে বিশ্বকাপ খেলতে এসে কুইন্টন ডিকক সারা প্রতিযোগিতায় দারুণ ফর্মে ব্যার্থ সেমিফাইনালে, করেন মাত্র ৪ রান। ব্যর্থ তিন নম্বরে নামা ভ্যান ডার ডুসেনও, তিনি করেন ৬। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের দাপটে ১১.৫ ওভারে ২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা।২৪ রানে ৪ উইকেট পরে যাওয়ার পর দলের হাল ধরেন হেনরিখ ক্লাসেন এবং ডেভিড মিলার। পঞ্চম উইকেটের জুটিতে তাঁরা দুজনে যোগ করেন ৯৫ রান। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার মিচেল স্টার্ক, তিনি ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিলেন। হ্যাজলউড -ও খুব ভালো বল করেন, তিনি ১২ রানে ২ উইকেট নিলেন। অস্ট্রেলিয় অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ৫১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন। ২১ রানে ২ উইকেট নিলেন ট্র্যাভিড হেড।টি২০ ক্রিকেটের আবির্ভাব হওয়ার পর ৫০ ওভারের ম্যাচে ২১৩ রান খুব-ই সামান্য টার্গেট বলেই মনে করা হয়। এই ২১৩ রান তুলতে যঠেষ্ট-ই বেগ পেতে হল অস্ট্রেলিয়াকে। এক সময় ম্যাচ ৫০-৫০ হয়ে গেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা সময় মত ক্যাচ গুলো ধরতে পারলে এই ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতেই পারতো। হল না তার সবচেয়ে বড় কারণ দক্ষিণ আফ্রিকা আজ কমপক্ষে ৪টি সহজ ক্যাচ ছাড়েন, এই পর্যায়ের খেলায় যা অমার্জনীয় অপরাধ।

নভেম্বর ১৬, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

শেষ ৩০ মিনিট ১০ জনে খেলেই ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন! বাগানিরা "সেই মাঠেই বদলা নিল"!

সবুজ মেরুন ব্রিগেড ডুরান্ডের গ্রুপ লিগে হারের মধুর বদলা নিলো ফাইনালে। চিরশত্রু ইস্টবেঙ্গলের কাছে লিগের ম্যাচে সাড়ে চার বছর অপরাজিত থেকে হারতে হয়েছিল মোহনবাগানকে। আজ রবিবাসরীয় ফাইনালের ডার্বিতে সেই লাল-হলুদকেই পরাজিত করে ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন হল সবুজ-মেরুন। এটি মোহনবাগানের ১৭ তম ডুরান্ড খেতাব। ইস্টবেঙ্গলকে টপকে মোহনবাগানই এই খেতাবের সর্বোচ্চ দাবিদার। এত দিন ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যৌথ ভাবে ১৬ বার ডুরান্ড কাপ জিতেছিল মোহনবাগান। টিকেটের চূড়ান্ত অব্যবস্তা, টিকিটের হাহাকার, দীর্ঘদিন পর দুই প্রধান ফাইনালে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী সব মিলিয়ে রবিবারের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন এক অস্ত্রবিহীন যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল।সাড়ে চার বছর ধরে টানা আটটি ম্যাচে হারের ধাক্কা কাটিয়ে লাল হলুদ ডুরান্ডের লিগ পর্বের ডার্বিতে জয়ের মুখ দেখে সমর্থকরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু সেই জয়ের রেশ কাটতে না কটতেই চিংড়ির কাছে পড়াজিত ইলিশ। মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই যে ডার্বির মুকুট লাল হলুদের মাথায় গিয়েছিল তা আবার পাল তোলা নৌকা মশালর থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেলো।ঠিক যেন রূপকথা, জয় মোহনবাগান 💚️#MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন pic.twitter.com/TNpEi1D1IJ Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) September 3, 2023খেলার ৬০ মিনিটের মাথায় লাল কার্ড দেখেন মোহনবানের অনিরুদ্ধ। লাল হলুদের বাম দিকের মাঝমাঠের প্লেয়ার যেখানে দাঁড়ায় ঠিক সেই জায়গায় ইস্টবেঙ্গালের সিভেরিয়ো একটি উচু বল হেডে ক্লিয়ার করতে গিয়েছিলেন। ঠিক সে সময়-ই আচমকা বলের নাগাল পেতে অনিরুদ্ধ তাঁর ডান পা ওপরে তুললে সিভেরিয়োর মুখে লাগে। অনিচ্ছাকৃত ভুল হলেও ঐ ঘটনাতে মারাত্মক চোট পেতে পারতেন লাল হলুদ খেলোয়াড়। ফুটবলের নিয়মে এটি অমার্জনীয় অপরাধ। রেফারি অনিরুদ্ধকে হলুদ কার্ড দেখান, কিন্তু ওটি তাঁর দ্বিতীয় হলুদ কার্ড হওয়ায় রেফারি তাঁকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠের বাইরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তখনো খেলার ৩০ মিনিট বাকি। ফলাফল গোলশূন্য, ম্যচের ফল যেকোনো দিকেই যেতে পারে। বীনা মেঘে বজ্রপাত হয় বাগান শিবিরে, তখন বাগান গ্যালারীতে শ্মশানের নিস্তব্ধতা।মোহনবাগানের হয়ে একমাত্র জয়সুচক গোলটি করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। ১০ জন হয়ে যাওয়ার পরও ইস্টবেঙ্গল সেইভাবে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়াতে ব্যার্থ হয়। ম্যাচের শেষ আধ ঘণ্টা সেই ভাবে বোঝাই গেলো না যে মোহনবাগান দশ জনে খেলছে। টানা আটটি ডার্বি জেতার পর হেরে গিয়ে আবার ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে যেটুকু সুতো ছেড়েছিল আবার গুটিয়ে নিলো মেরিনার্সরা।প্রথমার্ধে থেকেই দুদলের খেলাই উদ্দেশহীন লেগেছে। কোন আক্রমণ-ই সেইভাবে গোলমুখে দানা বাঁধলো না। দেখা গেলো না গোল লক্ষ করে জোরালো কোন শট। সৃজনশিলতা ও সৃষ্টিশীলতা যেমন ছিলো না তেমনই খেলায় প্রান প্রতিষ্টা করতে ব্যর্থ দুই দল-ই। দুই দলেরই দূর্বলতম জায়গা রক্ষণ। তাই যেকোনো আক্রমণ দেখেই মনে হচ্ছিল এই বুঝি গোল হয়ে গেলো। দুই দলই একাধিক গোলের সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেনি।১৭তম ডুরান্ড জয় 💚️#MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন pic.twitter.com/REQZe95DAZ Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) September 3, 2023এইরকম হাইভোল্টেজ ম্যাচ গোল শুন্য থাকলে যা হওয়া উচিত তাই হচ্ছিল। দুই দলই বলের থেকে বেশী শরীরে ধাক্কা মারা পছন্দ করছিল। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচ ক্রমশ শারীরিক ফুটবলে পর্যবসিত হয়ে ওঠে। বুমোস, বোরহা, ক্রেসপো তিন তিন জন হলুদ কার্ড দেখে ফেলেন। ধাক্কাধাক্কি, ঠেলাঠেলি, হাতাহাতির চুড়ান্ত পরিণতি অনিরুদ্ধ থাপা-র লাল কার্ড। তবে শেষ হাসি সবুজ-মেরুন-ই হাঁসে। দশ জনে হয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই মোহনবাগানের হয়ে জয়সূচক গোল করে যান পেত্রাতোস। অজি তারকার একক প্রচেষ্টার গোলেই শেষমেশ ডার্বি এবং ডুরান্ড জয় পায় বাগান।দশ জনে হয়ে যাওয়ার পরেও মোহনবাগানকে আক্রমণের রাস্তা থেকে সরে আসতে দেননি কোচ ফেরান্দো। পরিবর্ত খেলোয়াড় হিসাবে সেই সময় যেকোনও কোচই রক্ষণ বিভাগের খেলোয়াড় নামিয়ে খেলাটার গতি মন্থর করে দিতে চাইবে। বাগান কোচ ফেরান্দো তখন বুমোসের পরিবর্ত হিসাবে কামিংসকে নামান। অন্যদিকে লিস্টন কোলাসোকে নামান আশিক-কে তুলে নিয়ে। ফেরান্দো-র সেই সিদ্ধান্তগুলি কতটা সঠিক ছিলো তার প্রমান মিলে গেলো ১০ জন হবার ১০ মিনিট বাদেই।চিরকাল রেলায় আছে থাকবে মোহনবাগান 💚️#MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন pic.twitter.com/of6f1pSOq2 Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) September 3, 2023খেলার ৭০ মিনিটে গোল পাবার পর মোহনবাগান তাঁদেরকে নিজেদের অর্ধে গুটিয়ে নেন। ১০ জনে খেলেও শেষমেশ ২০ মিনিট তাঁরা কোনও অঘটন ঘটাতে দেননি। লাল হলুদ খেলোয়াররা একের পর এক সুযোগ তৈরি করলেও আসল কাজ করতে ব্যর্থ হয়। মোহনবাগানের রক্ষণ ভেদ করতে তাঁরা পারেননি। সেমিফাইনাল ম্যাচ জিতে মোহনবাগানিদের স্লোগান এই মাঠেই বদলা নেব শেষমেশ সত্যি হল।

সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

রবিবারের মহারণে মুখোমুখি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী, "এই মাঠেই বদলা নেব" স্লোগানে মেতেছে মেরিনার্স

১৯ বছর আগে ২০০৪-এ শেষ বারের মত ডুরান্ডের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল কোলকাতার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল। দুরন্ত ভাবে টুর্নামেন্টে ফিরে আসা ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান রবিবারের ফাইনালের মহারণে মুখোমুখি। গ্রুপ পর্বে লাল-হলুদের কাছে হারের জ্বালা মেটাতে মরীয়া মেরিনার্সের নতুন স্লোগান এই মাঠেই বদলা নেব। সারা মাঠে বাগান সমর্থকদের হাতে এই স্লোগান লেখা প্লাকার্ড কিন্তু লাল-হলুদ শিবিরে শিহরণ তুলে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। ফিনিক্স পাখির মতো জ্বলে ওঠা ইস্টবেঙ্গলের এখন রক্তের স্বাদ পাওয়া বাঘ। বহুদিনের ট্রফির ক্ষরা কাটাবার জন্য মরীয়া লাল-হলুদ শিবির ও।সল্টলেক স্টেডিয়ামে রবিবার আবার একটা ডার্বি ম্যাচ হতে যাচ্ছে। প্রথম সেমিফাইনালের ইস্টবেঙ্গলের ধারা বজায় রেখে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মোহনবাগানও পিছিয়ে পড়ে ম্যাচ জিতল। গোয়াকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে ডুরান্ডের ফাইনালে উঠল তারা। উল্লেখ্য, প্রথম সেমিফাইনালে পাহাড়ি দল নর্থইস্টকে ট্রাইবেকারে পরাজিত করে ইতিমধ্যে ফাইনালে উঠে গেছে ইস্টবেঙ্গল।প্রথমঅর্ধের খেলার ১০ মিনিট সেভাবে খুঁজে পাওয়া যায়নি সবুজ-মেরুন কে। শুরু থেকেই খেলায় আধিপত্য ছিল গোয়ার। মাঝমাঠ থেকে ছোট ছোট পাস খেলে আক্রমণে উঠছিল তারা। খেলার শুরুতেই দুবার ইস্টবেঙ্গলের বক্সে ঢুকে পরেও গোল করতে ব্যার্থ হয় গোয়া। বারংবার আক্রমনের ফলে বেসামাল হতে থাকে বাগান রক্ষণ। ফলও পেয়ে যায় গোয়া হাতেনাতে। প্রথমার্ধের ২২ মিনিটের মাথায় নোয়া সাদাউই করা গোলে এগিয়ে যায় তারা। বাগান খেলোয়াড় হুগো বুমোসের মিস পাস ধরে সামনে অরক্ষিত যায়গা পেয়ে টানা দৌড়ে দ্বিতীয় পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠান গোয়ার নোয়া সাদাউই। বাগানের দুই ডিফেন্ডার হেক্টর ইয়ুস্তে ও শুভাশিস বসু চোখে সেক্ষেত্রে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না।খেলার গতির বিরুদ্ধে ৪২ মিনিটে মাথায় ম্যাচে ফিরে আসে মোহনবাগান। গোয়ার একটি গোলমুখী আক্রমণ প্রতিহত করে প্রতি আক্রমণ থেকে সাহাল আব্দুল সামাদ ডান দিক থেকে বক্সে ঢোকার মুখে তাঁকে অবৈধভাবে বাঁধা দেন গোয়ার রক্ষণভাগের খেলোয়াড়। সামনেই ছিলেন রেফারি, পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব করেননি। যদিও এই গোল নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে। টিভি রিপ্লেতে দেখে মনে হচ্ছিল গোয়ার ডিফেন্ডার বাশ দিয়েছেন বক্সের বাইরে। সেই একই দাবি গোয়ার ফুটবলারেরা ও অফিসিয়ালরা লাইন্সম্যান ও রেফারির কাছে করেন। কিন্তু রেফারি তাঁদের আবেদনে কর্নপাত করেননি। তিনি পেনাল্টির সিদ্ধান্তে অবিচল থাকেন। পেনাল্টি থেকে গোল করে কামিংস ম্যাচে সমতা ফেরান।দেখা হচ্ছে রবিবার! 💚️#MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন pic.twitter.com/F223NUyGti Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) August 31, 2023মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো দ্বিতীয়ার্ধে তাঁদের দলে একটি পরিবর্তন করেন। বুমোসকে তুলে নিয়ে তিনি পরিবর্ত হিসাবে আর্মান্দো সাদিকুকে নামান। এতে বাগানেরর আক্রমণভাগ আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। পরিবর্তনের সাথে সাথে ফল মেলে, খেলায় প্রবলভাবে ফিরে আসে সবুজ ব্রিগেড। ক্রমশ দানা বাঁধতে তাঁদের আক্রমণ। ম্যাচের ৬০ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় বাগান। সন্দেশ জিঙ্ঘনের বক্সের বাইরে মিস পাস করে বসেন, বল পেয়ে যান পরিবর্ত খেলোয়াড় সাদিকু। বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে জালে বল জড়িয়ে দেন।গোল খেয়ে আক্রমণের ঝাঁঝ ক্রমশ বাড়াতে থাকে গোয়া। গোলের সুযোগও তৈরি হলেও গোল করতে ব্যর্থ হয় গোয়া। ২-১ এগিয়ে থাকায় এগিয়ে যাওয়ায় ফেরান্দো কিছুটা রক্ষণাত্মক স্টেটেজিতে চলে যান। তিনি ব্রেন্ডন হামিলকে পরিবর্ত হিসাবে নামিয়ে রক্ষণভাগকে আরও আঁটসাঁটও করে দেন। গোয়া যেমন মরিয়া হয়ে গোল শোধ করে অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মরিয়া চেষ্টা করছিল, বাগান তখন চিনের প্রাচীরের মত বজ্র আঁটুনি দিয়ে প্রতিহত করছিলো গোয়ার আক্রমণ। ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের আশা, দীর্ঘদিনের ট্রফির ক্ষরা, গ্রুপ পর্বে জয়লাভ সব কিছু মাথায় রেখেও ইতিহাস কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ নিচ্ছে না। এর আগে কোলকাতার এই দুই প্রধান একই গ্রুপে খুব কমবারই ছিল। ১৯৯৩ এ দার্জিলিং গোল্ড কাপে একই গ্রুপে ছিল ইস্টবেঙ্গল আর মোহনবাগান। গ্রুপের খেলায় ইস্টবেঙ্গল ২-১ পরাজিত করে বাগানকে। ফাইনালে বদলা নেয় মোহনবাগান। ট্রাইব্রেকারে ম্যাচ জিতে নেয় ট্রফি ঘরে তোলে মোহনবাগান। ২০২৩ সালেও তাঁরা একই গ্রুপে! ১৯৩৩-র পুনরাবৃত্তি? না নতুন করে ইতিহাস রচনা? তাকিয়ে আছে খেলাপাগোল বাঙ্গালী।

আগস্ট ৩১, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে মোহনবাগান, জিতেও রক্ষণ নিয়ে চিন্তা থেকেই গেলো বাগানের

ডুরান্ড সেমিফাইনালে মোহনবাগান। মুম্বাই সিটি এফসি কে হারিয়ে ডুরান্ডের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলো মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। সেমিফাইনালে তাঁরা ৩-১ গোলে জয়লাভ করে। মোহনবাগানের হয়ে গোল করেন জেসন কামিন্স, মনবীর সিংহ ও আনোয়ার আলি। আগস্টের ৩১ শে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল ম্যাচে খেলবে মোহনবাগান। মুম্বাই সিটি এফসি হয়ে একমাত্র গোলটি করেন হর্হে দিয়াস।মুম্বাই সিটি এফসি প্রতি আক্রমনে বার বার ঝড় তুলে মোহনবাগানের রক্ষণ নিয়ে জোর প্রশ্ন চিহ্ন তুলে দিয়েছে। মাঝমাঠ ও ফরোয়ার্ড নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকা গেলেও, বাগানের রক্ষণভাগ নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকেই গেলো। আনোয়ার আলি দলের শেষ গোলটি করলেও তাঁর ভুলে একটি গোল মোহনবাগান খেয়ে যেতেও পারত।Anwar Air Ali 💚️#MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন pic.twitter.com/epm7B6BrI3 Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) August 27, 2023মুম্বাই এফসি বরাবরই মোহনবাগানের কাছে একটা বড় গাঁট। সে জাতীয় লিগ হোক কি আইএসএল বা ডুরান্ড। রবিবার ডুরান্ড কোঃ ফাইনালে যুবভারতী স্টেডিয়ামে খেলার শুরুতেই এগিয়ে যায় মোহনবাগান। খেলার সাত মিনিটের মাথাতেই পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। পেনাল্টি বক্সের ভিতরে কামিন্স মুম্বাই এফসি গোলকিপারকে টপকে গোলে বল ঠেলার মুহুর্তে মুম্বই এফসি গোলকিপার ফুর্বা লাচেনপা তাঁকে অবৈধ ভাবে বাধা দেন। সামনেই ছিলেন রেফারি, কোন বিলম্ব না করে পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে মোহনবাগানের হয়ে তাঁর তৃতীয় গোলটি করেন অস্ট্রেলিয়ার স্ট্রাইকার কামিন্স।এগিয়ে যাওয়ার সেলিব্রেশন রেশ কাটতে না কাটতেই ২৮ মিনিটের মাথায় খেলায় সমতা ফেরাই মুম্বই। রক্ষণের ভুলে গোল খেয়ে বসে মোহনবাগান। বক্সের বাঁ দিকে নিজেদের ওয়ান টু ওয়ান পাস খেলে গ্রেগ স্টুয়ার্ট এবং অ্যালবার্ট নগুয়েরা, সেখান থেকে বল ধরে নগুয়েরা বক্সের মাঝামাঝি বল ভাসান। বাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইথের বল ধরতে ঝাঁপালে তাঁর হাতে লেগে বল যায় মুম্বাই এফসি-র দিয়াসের কাছে। তিনি চেস্ট ট্রাপ করে বল জালে জড়িয়ে দেন। ফলাফল ১-১ হয়ে যায়।INTO THE SEMIS! 🔥💚️#MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন pic.twitter.com/fMkhHX1wWX Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) August 27, 2023মুম্বাই এফসি ১-১ ফলাফল বেশীক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি। আবার এগিয়ে যায় মোহনবাগান। কর্নার থেকে ভাসানো বল মুম্বইয় এসসি রক্ষণভাগের খেলোয়াড় বিপন্মুক্ত করার চেষ্টা করলে বল চলে যায় বাগানের হুগো বুমোসের কাছে। তিনি সে বলে ধরে বক্সে ওপর ভাসিয়ে দেন অরক্ষিত অবস্থায় থাকা মনবীরকে। হেডে বল জালে পাঠাতে কোন ভুল করেননি হুগো। এগিয়ে গিয়ে আক্রমণের ঝড় তোলে মোহনবাগান আক্রমণভাগ। প্রথমার্ধের শেষের দিকে বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যার্থ হয় তাঁরা।দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ প্রতি-আক্রমণে জমে ওঠে খেলা। দুই দলই আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ায়। মুম্বই এফসি খেলোরাররা মরিয়া হয়ে ওঠে গোল পরিশোধ করার জন্য। কয়েকটি সুযোগ পেলেও গোল করে খেলায় সমতা ফেরাতে ব্যার্থ হয় তাঁরা। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৩ মিনিটে গোল করে আবার এগিয়ে যায় মোহনবাগান। এবার গোলদাতা আনোয়ার। মুম্বইয়ের ডিফেন্ডারকে ধোঁকা দিয়ে ডানদিকের দিয়ে বল নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন কেরলের ফুটবলার আশিক। বল গোললাইন পেরনোর আগেই ব্যাকপাস বাড়ান একেবারে অরক্ষিত যায়গায় থাকা আনোয়ারকে। নিখুঁত হেডে গোলকিপারকে কোনও সুযোগ না দিয়ে বল জালে পাঠাতে কোনও ভুল করেননি। আনোয়ার গোলটি করলেও এই গোলের ক্ষেত্রে পুর্ণ কৃতিত্ব আশিকের, তাঁর পাঠানো পাশে একেবারে ঠিকানা লেখা ছিলো বলে ক্রীড়া বিশেষজ্ঞদের মত।মুম্বাই এফসি গোলের ব্যবধান কমানোর মরিয়া চেষ্টা করলেও মোহনবাগানের গোলমুখ খুলতে তাঁরা সমর্থ হয়নি। তাঁদের মরিয়া প্রচেষ্টায় অনেক সময় মুম্বাইয়ের রক্ষণভাগ অরক্ষিত হয়ে উঠছিলো। মোহনবাগান প্রতি-আক্রমণে সাদিকু এবং মনবীর সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত।

আগস্ট ২৭, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

খেললেন, খেলালেন, গোল করলেন। শেষ বিশ্বকাপকে স্মরণীয় করে রাখতে মাঠে উজার করে দিলেন মেসি

তিনি ফুটবলের রাজকুমার নন, রাজাও নন। তিনি ফুটবলের শিল্পী। পায়ের বলটাকে তুলি ভেবে সবুজ গালিচা তে আপন মনে ছবি আঁকেন। সেই শিল্পী কাতার ফিফা বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচের শুরুতেই পেনাল্টিতে গোল দিয়ে কোনঠাসা করে দিলেন বিপক্ষকে। আর্জেন্টিনা ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে পরাজিত করায় পৌঁছে গেলো বিশ্বকাপের ফাইনালে।এই লাতিন আমেরিকান ফুটবলের দেশটি শেষ তিনটি বিশ্বকাপের মধ্যে দুবার ফাইনালে উঠলো। এটি নিয়ে তাঁরা মোট ছয়বার বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রতিদ্বন্দিতা করবে। আর্জেন্টিনা ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ তে চাম্পিয়ান এবং ১৯৩০, ১৯৯০ এবং ২০১৪ সালে রানার-আপ হয়।লুসাইল স্টেডিয়ামে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ম্যচের শুরু থেকেই বিদ্যুৎ গতিতে আক্রমণ শানিয়ে গেছে আর্জেন্টিনা। তাঁদের আক্রমণের ঝাঁজে বেসামাল হয়ে পরে ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণভাগ। ২২ বছর বয়সী জুলিয়ান আলভারেজ দুটি গোল করেন এবং ৩৪ মিনিটে লিওনেল মেসি পেনাল্টি থেকে প্রথম গোলটি করেন।পেনাল্টি থেকে গোল করার সাথে সাথে লিওনেল মেসির বিশ্বকাপে গোলসংখ্যা বেড়ে হয় ১১, যারফলে গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে পেছনে ফেলে একজন আর্জেন্টিয়ান হিসাবে তালিকায় একেবারে প্রথম স্থানে নিয়ে যায়। এই ম্যাচটি মেসির ২৬তম বিশ্বকাপ ম্যাচ, তিনি জার্মান কিংবদন্তি লোথার ম্যাথাউসের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডে ছুঁয়ে ফেলেন।আর্জেন্টিনা সমর্থকেরা উদ্বেগে রেখেছিলো মেসির বাম হ্যামস্ট্রিং-এ চোট, খেলার বিভিন্ন সময়ে ছোট খাটো আঘাত লাগলেও সেরকম কিছু অঘটন ঘটেনি। চোট আঘাতে জর্জরিত হওয়া সত্ত্বেও তার খেলায় এর কোনও প্রভাব বুঝতে দেননি বিশ্ব ফুটবলের এই শিল্পী। খেলার প্রথম আধঘণ্টা সমানে সমানে টক্কর দেয় ক্রোয়েশিয়া। বেশ কয়েকটি গোলের সুজোগ-ও তাঁরা করে ফেলে। শেষ ১৫ মিনিটে খেলার ছবিটাই বদলে দেয় আর্জেন্টিনা। মুহুর্মুহু আক্রমণে নাজেহাল করে তোলে ক্রয়েশিয়াকে। বিশ্বকাপ ছবার সেমিফাইনাল খেলে ছবারই জয়লাভ করে তাঁরা।এখনও পর্যন্ত কাতার বিশ্বকাপে যতগুলো ম্যাচ খেলেছেন এল এন-১০ সব প্রতিপক্ষ-ই তাঁকে জোনাল মার্কিংয়ে রেখেছিল, বাদ যাইনি ক্রোয়েশিয়াও। মেসি পায়ে বল এলেই পায়ের ওপর ঝাঁপিয়ে পরছিল তিন থেকে চার জন ফুটবলার। এসব করেও মেসিকে বেশিক্ষণ বন্দি রাখতে পারলেন না ক্রোট রা। বার বার বামদিক ডানদিক করে দিশেহারা করে দিলেন প্রতিপক্ষকে। ম্যচ যত এগোল মেসি সারা মাঠে তার বাম পা টিকে তুলির মত ব্যবহার করে রংবাহারি করে দিলেন সবুজ গালিচা। তিনি রক্ষণ ভাগ চিরে পাস দিয়ে একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করলেন। সতীর্থকে দিয়ে গোল করলেন। নিজে গোল করালেন। শেষ বাঁশি না বাজা অবধি নিজেকে নিঁগড়ে দিলেন। তাঁর শেষ বিশ্বকাপকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য যেনো সব কিছু বাজি রাখতে তৈরি তিনি।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

বিশ্বকাপ ফুটবলের মহারণে কখন, কোন সময়ে কোয়ার্টার ফাইনালে কোন দল খেলবে, দেখে নিন একনজরে

ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপে আগামী কাল, শুক্রবার( ৯ ডিসেম্বর, রাত ৮.৩০টা) থেকে শুরু হচ্ছে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্ব। এই পর্বে মোট ৮টি দল অংশ নেবে। প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে অংশ নেবে ব্রাজিল ও ক্রোয়েশিয়া। এশিয়া থেকে কোনও দেশ কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারেনি। যদিও নকআউটে খেলেছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। কোয়ার্টার ফাইনালে একমাত্র আফ্রিকান দল টিকে রয়েছে, মরোক্কো। পাঁচটি দল ইউরোপের, ফ্রান্স, ক্রোয়েশিয়া, নেদারল্যান্ড, পর্তুগাল, ইংল্যান্ড। লাতিন আমেরিকার দুই বড় দল ব্রাজিল ও আর্জেন্তিনা তো রয়েছে। কোন দিন, কোন সময়ে, কে কার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ খেলবে তার সূচি নিম্নে দেওয়া হল।এক নজরে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচঃ(ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড টাইম)প্রথম ম্যাচঃব্রাজিল বনাম ক্রোয়েশিয়া, ৯ ডিসেম্বর, রাত ৮.৩০টাদ্বিতীয় ম্যাচঃনেদারল্যান্ড বনাম আর্জেন্তিনা, ১০ ডিসেম্বর, রাত ১২.৩০টাতৃতীয় ম্যাচঃমরক্কো বনাম পর্তুগাল, ১০ ডিসেম্বর, রাত ৮.৩০টাচতুর্থ ম্যাচঃইংল্যান্ড বনাম ফ্রান্স, ১১ ডিসেম্বর, রাত ১২.৩০টাএবারের বিশ্বকাপে একাধিক তথাকথিত বড় দল অপেক্ষাকৃত সাধারণ দলের কাছে হেরে গিয়েছে। বিদায় নিয়েছে স্পেনের মতো হেভিওয়েট দল। তবে এখনও মেসি, এমবাপে, ক্রিশ্চানো রোনাল্ডোর মতো তারকারা রয়েছে। ফুটবল বোদ্ধাদের নজরে এখন আর কোনও অঘটন ঘটে কিনা সেদিকে। আফ্রিকার একমাত্র দল মরোক্কো আর কোনও বড় দলকে বেগ দেয় কিনা সেটাও দেখার।

ডিসেম্বর ০৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারবে?‌ জটিল অঙ্কের সামনে এটিকে মোহনবাগান

কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার স্বপ্ন আদৌও পূরণ হবে কিনা, এটিকে মোহনবাগানকে নিয়ে উঠে গিয়েছিল প্রশ্ন। ইমামি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে না জিতলে কার্যত ডুরান্ড থেকে বিদায় হয়ে যেত সবুজমেরুণ শিবিরের। ডার্বি জয় কিছুটা হলেও অক্সিজেন দিয়ে গেছে জুয়ান ফেরান্দোর দলকে। ডার্বি জিতলেও এখন শেষ আটে যাওয়া চূড়ান্ত নয় এটিকে মোহনবাগানের। সামনে রয়েছে নানা জটিল অঙ্ক।এই মুহূর্তে ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ বির লিগ টেবিলে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এটিকে মোহনবাগান। সোমবার রাজস্থান ইউনাইটেডকে ৫১ ব্যবধানে উড়িয়ে গ্রুপের প্রথম দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে মুম্বই সিটি এফসি। ৩ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৭। গ্রুপে তিনটি দলের সামনে এখনও ৭ পয়েন্টে পৌঁছনো সম্ভব। এই তিনটি দল হল এটিকে মোহনবাগান, রাজস্থান ইউনাইটেড ও ইন্ডিয়ান নেভির। তিন দলেরই পয়েন্ট এই মুহূর্তে ৪ করে। গোল পার্থক্যে অবশ্য বাকি দুই দলের থেকে এগিয়ে রয়েছে এটিকে মোহনবাগান। গ্রুপের অন্য দল ইমামি ইস্টবেঙ্গলের ৩ ম্যাচে পয়েন্ট ২। তারা রয়েছে পঞ্চম স্থানে। চারটি দলেরই একটি করে ম্যাচ বাকি। বুধবার এটিকে মোহনবাগান খেলবে ভারতীয় নৌ সেনা দলের বিরুদ্ধে। মুম্বই সিটি এফসির খেলা বাকি ইমামি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে। অন্যদিকে রাজস্থান ইউনাইটেড শেষ ম্যাচে খেলবে ভারতীয় নৌ সেনার বিরুদ্ধে। এটিকে মোহনবাগান যদি বুধবার ভারতীয় নৌ সেনার বিরুদ্ধে জেতে, তাহলে ৭ পয়েন্টে শেষ করবে। রাজস্থান ইউনাইটেড যদি নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতীয় নৌ সেনাকে হারায়, তাহলে তারাও ৭ পয়েন্টে শেষ করবে। দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে তখন ডুরান্ড কাপের নিয়ম অনুযায়ী মুখোমুখি লড়াইয়ের ফল দেখা হবে। রাজস্থান ইউনাইটেডের কাছে হেরেছিল জুয়ান ফেরান্দোর দল। ফলে বুধবার ভারতীয় নৌ সেনার বিরুদ্ধে জিতলেই হবে না, রাজস্থান ইউনাইটেডভারতীয় নৌ সেনা দলের ম্যাচের ফলের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে এটিকে মোহনবাগানকে। বুধবার ভারতীয় নৌ বাহিনীর সঙ্গে ড্র করলেও কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ থাকবে জুয়ান ফেরান্দোর দলের সামনে। সেক্ষেত্রে শেষ ম্যাচে ভারতীয় নৌ বাহিনীর কাছে হারতে হবে রাজস্থান ইউনাইটেডকে। এটিকে মোহবাগান ও ভারতীয় নৌ বাহিনীর পয়েন্ট সমান সমান হয়ে যাবে। তখন গোলপার্থক্য দেখা হবে। আর ভারতীয় নৌ বাহিনীর কাছে হারলে শেষ আটের স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে জুয়ান ফেরান্দোর দলের সামনে।

আগস্ট ৩০, ২০২২
বিনোদুনিয়া

আবৃত্তি শিল্পী সংস্থা'-র আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র আবৃত্তি প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে ব্যাপক সাড়া

২৮ শে জুন মঙ্গলবার রবীন্দ্রসদনে আবৃত্তি শিল্পী সংস্থা আয়োজিত আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র আবৃত্তি প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হল। আবৃত্তি নিয়েই আবৃত্তিশিল্পী সংস্থার পথ চলা চুরু ২০১৫ সালে। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বিশাল ভাবনা চিন্তার চাষ শুরু হয়েছিল বহু আগে থেকেই আগে। সারা বিশ্ব যখন আতিমারির কবলে আটকে পড়েছিল সেই সময় আবৃত্তিশিল্পী সংস্থা অনলাইনের মাধ্যমে শুরু করেছিল আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র আবৃত্তি প্রতিযোগিতা। ভারত তথা বিশ্বের বহুপ্রান্তীয় সংস্কৃতিমনস্ক মানুষ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল। সংখ্যাটা ছিল ৪১৬৪ জন। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকেও বহু প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিল। বিভিন্ন পর্যায়ের শেষে গত ২৮ জুন চূড়ান্ত পর্বে ছিলেন তিনটে বিভাগে মোট ১৯ জন প্রতিযোগী।এদিন চূড়ান্ত পর্বের বিচারকের আসন অলংকৃত করেছিলেন স্বনামধন্য বাচিক শিল্পী প্রণতি ঠাকুর, রত্না মিত্র, সুকুমার ঘোষ। উদ্বোধন করা হয় গাছে জল সিঞ্চন এবং কবিগুরুর বিভিন্ন কথার মালা গাঁথা হয় গাছটিতে। উপস্থিত ছিলেন আবৃত্তি শিল্পী সংস্থার সভাপতি সতীনাথ মুখোপাধ্যায়, সহ সভাপতি মধুমিতা বসু, কর্ণধার জয়ন্ত ঘোষ এবং বিচারকরা। প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই মেন্টরদের সংবর্ধনা দেওয়া হয। এছাড়াও যে সমস্ত প্রতিযোগী সেমিফাইনালে উঠেছিলেন তাঁদেরকেও সংবর্ধিত করা হয়। কবি দিধিতি চক্রবর্তী এবং কবি মনীষা যুগ্ম সম্পাদনায় আবৃত্তি শিল্পী সংস্থার নিজস্ব পত্রিকা কন্ঠকথার তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়। প্রতিযোগিতায় তিনটি বিভাগ ছিল ক-খ-গ, ক বিভাগে প্রথম হয় তৃষিত চক্রবর্তী (চিত্তরঞ্জন), দ্বিতীয়- পরিযায়ী চ্যাটার্জী (পুরুলিয়া), তৃতীয় - প্রমীতি পন্ডা ( পাটুলী)। খ বিভাগে প্রথম হয় সৃজা রায় ( পুরুলিয়া), দ্বিতীয় - শ্রীপর্ণা সিং (মুর্শিদাবাদ), এবং তৃতীয় -সোমশ্রী দেব ( হুগলি)। গ বিভাগ প্রথম- রীতি সেন(দক্ষিণ দিনাজপুর), দ্বিতীয়- স্বাগতা মির্জা (মুর্শিদাবাদ), তৃতীয়- সুশ্বেতা চক্রবর্তী ( উত্তর ২৪ পরগণা)। অনুষ্ঠানের শেষে সমস্ত প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।এইদিন সংস্থার নিজস্ব প্রযোজনা ছিল শতাধিক শিল্পীর কন্ঠে হে মোর চিত্ত পূণ্যতীর্থ কবিতাটি। দীর্ঘ সময় ধরে অনলাইন থেকে শুরু করে অফলাইনে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মানের আবৃত্তি প্রতিযোগিতা এবং তার গ্রান্ড ফিনালে - এই ভাবনা বাস্তবায়িত হয়েছে জয়ন্ত ঘোষের তত্বাবধানে।

জুন ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

সেমিফাইনালেই স্বপ্ন শেষ, আত্মতুষ্টির খেসারত দিতে হল বাংলাকে

কোয়ার্টার ফাইনালে ঝাড়খণ্ডের বাধা টপকানোর পর ফাইনালের স্বপ্ন দেখেছিল বাংলা। ব্যাটারদের দুরন্ত ফর্মই আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল বাংলা শিবিরকে। ভেবেছিল মধ্যপ্রদেশের বাধাও অনায়াসে টপকে যাবে। কিন্তু স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল। আত্মতুষ্টির খেসারত দিতে হল বাংলাকে। যেমনটা ঘটেছিল ২০১৪ সালে। আলুরে সেমিফাইনালেই শেষ হয়ে গেল অভিমন্যু ঈশ্বরণের দলের রনজি অভিযান। বাংলাকে ১৭৪ রানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল মধ্যপ্রদেশ। তাদের সামনে এবার মুম্বই। জয়ের জন্য ৩৫০ রানের লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছিল বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল। চতুর্থ দিনের শেষে বাংলার রান ছিল ৪ উইকেটে ৯৬। পরাজয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ম্যাচের শেষ দিনের খেলায় ব্যাঘাত ঘটায় বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে মাঠ ভিজে থাকায় খেলা শুরু হয়েছিল নির্ধারিত সময়ের অনেকটাই দেরিতে। দিনের দ্বিতীয় বলেই অনুষ্টুপ মজুমদারের উইকেট তুলে নেন গৌরব যাদব। অনুষ্টুপ মজুমদার ২৬ বলে ৮ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। এরপর শাহবাজ আমেদকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। যদিও দুজনে মিলে জুটিতে ৩৮ রানের বেশি তুলতে পারেননি।চুয়ান্নতম ওভারের প্রথম বলেই অভিমন্যুকে তুলে নেন কুমার কার্তিকেয়। ১৫৭ বলে ৭৮ রান করে বোল্ড হন বাংলার অধিনায়ক। এদিন প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৫ হাজার রানের গণ্ডি টপকে গেলেন অভিমন্যু। খেললেন ৭২ ম্যাচ। অভিমন্যু যখন আউট হন বাংলার রান তখন ৬ উইকেটে ১৩৫। ২ ওভার পরেই সায়নশেখর মণ্ডল আউট হন। ৬ বলে মাত্র ১ রান করে তিনি সারাংশ জৈনের বলে এলবিডব্লু হন। ৫৯.২ ওভারে বাংলার অষ্টম উইকেট পড়ে। ১৩ বলে ৫ রান করে আউট হন প্রদীপ্ত প্রামানিক। তিনি কার্তিকেয়র পঞ্চম শিকার। ৬৩.৪ ওভারে আকাশ দীপ (১১ বলে ২০) আউট হন গৌরব যাদবের বলে। বাংলার রান তখন ১৭১। ১ ওভার পরেই মুকেশ কুমারকে (৪ বলে ৪) তুলে নিয়ে বাংলার ইনিংস শেষ করে দেন গৌরব যাদব। ১৭৫ রানে গুটিয়ে যায় বাংলার ইনিংস। ৮২ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন শাহবাজ আমেদ। ৬৭ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট নেন কুমার কার্তিকেয়া। প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট। গৌরব যাদব ১৯ রানে নেন ৩ উইকেট। সারাংশ জৈন নেন ২ উইকেট। ম্যাচের সেরা হয়েছেন হিমাংশু মন্ত্রী।

জুন ১৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

রুডকে স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে ফরাসি ওপেন জিতে নিলেন নাদাল

তিনিই যে ক্লে কোর্টের রাজা, আবার প্রমান করে দিলেন রাফায়েল নাদাল। ক্যাসপার রুডকে স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে জিতে নিলেন কেরিয়ারের ১৪তম ফরাসি ওপেন খেতাব। ফরাসি ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে গেলেন ২২ তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাবে।সাম্প্রতিককালে নরওয়ের ক্যাসপার রুড ক্লে কোর্টে দারুন দাপট দেখাচ্ছেন। অনেকেই ভেবেছিল, ফরাসি ওপেনের ফাইনালে রাফায়েল নাদালকে বেগ দেবেন। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারলেন না। নাদালের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি রুড। এবারের ফরাসি ওপেনে নাদাল খেলতে নেমেছিলেন পঞ্চম বাছাই হিসেবে। নরওয়ের রুড ছিলেন অষ্টম বাছাই। নরওয়ের প্রথম টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে এই প্রথম কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল খেললেন নাদাল-ভক্ত রুড। ৩৬ বছরের নাদাল সবচেয়ে বেশি বয়সের টেনিস তারকা হিসেবে জিতলেন ফরাসি ওপেন খেতাব। ৫০ বছর আগে স্পেনের আন্দ্রে জিমেনো ফরাসি ওপেন খেতাব জিতেছিলেন ৩৪ বছর বয়সে। ২০০৫ সালে ১৯ বছর বয়সে নাদাল প্রথমবার ফরাসি ওপেন খেতাব জিতেছিলেন। তখন এই রুডের বয়স ছিল মাত্র ৬। রুড মালোর্কায় রাফায়েল নাদালের আকাদেমিতে প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন। গুরুর বিরুদ্ধে গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল খেলা তাঁর কাছে স্বপ্নপূরণ বলেও জানান তিনি।প্রথম দুটি সেট নাদাল ৬-৩, ৬-৩ ব্যবধানে জিতে নেন। প্রথম সেটে নাদাল একটা সময় ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে যান। শেষ অবধি ৪৮ মিনিটে তিনি ৬-৩ ব্যবধানে জিতে নেন প্রথম সেট। ঠাণ্ডা আবহাওয়া, হাওয়াও দিচ্ছিল। দ্বিতীয় সেট চলাকালীন রোদ ওঠে। একটা সময় দ্বিতীয় সেটে রুড ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু নাদাল নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে এরপরই টানা পাঁচটি গেম জিতে নেন। দ্বিতীয় সেটে নাদাল মাত্র পাঁচটি আনফোর্সড এরর করেন। তৃতীয় সেটেও অসাধারণ দাপট দেখালেন রাফা। তৃতীয় সেটে রুডকে দাঁড়াতেই দেননি। আগাগোড়া দুরন্ত সার্ভেই বাজিমাত করেন ক্লে কোর্ট কিং রাফা। তৃতীয় সেট নাদাল জিতে নেন ৬-০ ব্যবধানে। এদিন রাফা বনাম রুডের ফাইনাল চলল ২ ঘণ্টা ১৮ মিনিট ধরে। এই জয়ের ফলে রোলাঁ গারোয় নাদাল জিতলেন ১১২টি ম্যাচ, হেরেছেন মাত্র তিনটিতে। ম্যাচ দেখতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফিলিপ এবং নরওয়ের রাজপুত্র হাকন। পাশাপাশি বসেই তাঁরা দেখলেন ক্লে কোর্টের রাজার শ্রেষ্ঠত্ব।

জুন ০৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

দুরন্ত বোলিং ও নেতৃত্ব, হার্দিক পান্ডিয়াই ব্যাকফুটে পাঠিয়ে দিল রাজস্থানকে

চলতি আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের ফাইনালে ওঠার পেছনে সবথেকে বেশি অবদান জস বাটলারের। একার হাতেই দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ফাইনাল বৈতরণী পার হওয়ার জন্য তাঁর দিকেই তাকিয়ে ছিল গোটা দল। ফইনালে জ্বলে উঠতে পারলেন না জস বাটলার। বাকিরাও দায়িত্ব নিতে পারলেন না। হার্দিক পান্ডিয়ার দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল রাজস্থান রয়্যালস। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলল ১৩০/৯। আগের ম্যাচে আমেদাবাদের বাইশ গজে দ্বিতীয় ইনিংসে স্পিনারদের সাহায্য পেতে দেখেছিলেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। সেকথা মাথায় রেখে এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। মহম্মদ সামি ও যশ দয়ালের প্রথম দুই ওভারে তেমন সুবিধা করতে পারেননি রাজস্থানের দুই ওপেনার জস বাটলার ও যশস্বী জয়সোয়াল। আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে গিয়ে যশ দয়ালকে উইকেট তুলে দেন যশস্বী। ১৬ বলে ২২ রান করে তিনি সাই কিশোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। যশস্বী আউট হওয়ার পর বাটলারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। রাজস্থানের স্ট্র্যাটেজি ছিল বাটলার ইনিংস গড়ার দিকে নজর দেবেন, বাকি ব্যাটাররা আক্রমণের রাস্তায় যাবেন। কিন্তু সঞ্জুকে ঝড় তোলার সুযোগে দেননি গুজরাট টাইটান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে সঞ্জুকে (১১ বলে ১৪) তুলে নেন। ব্যাট করতে নেমে দেবদত্ত পাড়িক্কলও হার্দিক, রশিদ খানদের বিরুদ্ধে একেবারেই সাবলীল ছিলেন না। পাড়িক্কল ক্রিজে আসতেই রশিদকে আক্রমণে নিয়ে আসেন হার্দিক। সাফল্যও পান। পাড়িক্কলকে (২) তুলে নেন রশিদ। আইপিএলের শুরু থেকেই ব্যাট হাতে বোলারদের শাসন করে গেছেন জস বাটলার। তাঁর ব্যাটিংয়ের বৈশিষ্ট্য হল শুরুর দিকে খুব বেশি আক্রমণের রাস্তায় হাঁটেন না। ইনিংস গড়ার দিকে নজর দেন। পরের দিকে ঝড় তোলেন। এদিন অবশ্য তাঁকে ঝড় তোলার সুযোগ দেননি হার্দিক পান্ডিয়া। হার্দিকের অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বল ব্যাটের কানায় লাগিয়ে ঋদ্ধিমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বাটলার। ৩৫ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। বাটলার আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজস্থান রয়্যালসের বড় রানের ইনিংস গড়ার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। শিমরন হেটমায়ার (১১), রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৬), ট্রেন্ট বোল্টরা (১১) দায়িত্ব নিতে পারেননি। দুরন্ত বোলিং করে ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন হার্দিক। ১৮ রানে ১ উইকেট নেন রশিদ খান। ২০ রানে ২ উইকেট নেন সাই কিশোর।

মে ২৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

আইপিএলে চতুর্থ সেঞ্চুরি!‌ ঝড় তুলে রাজস্থানকে ফাইনালে তুললেন বাটলার

চলতি আইপিএলে চতুর্থ সেঞ্চুরি। অপরাজিত রইলেন ১০৬ রানে। দুরন্ত বাটলারের ঝড়ে উড়ে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে আইপিএলের ফাইনালে রাজস্থান রয়্যালস। সামনে আবার সেই গুজরাট টাইটান্স। প্রথম কোয়ালিফায়ারে হারের মধুর প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ।এলিমিনেটরে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারিয়ে ফাইনালের স্বপ্ন দেখেছিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু তাঁদের সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দেওয়ার জন্য তৈরি ছিল সঞ্জু স্যামসনের দল। গুজরাট টাইটান্সের কাছে হার মেনে নিতে পারেনি রাজস্থান রয়্যালস। ডেভিড মিলারের হাতে এক ওভারে পরপর তিনটি ছক্কা খাওয়াটাও হজম হয়নি প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর। এদিন দুরন্ত বল করে ২২ রানে নেন ৩ উইকেট। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে প্রায়াশ্চিত্য করে গেলেন। ওবেদ ম্যাকয়ও গুজরাটের বিরুদ্ধে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ফাফ ডুপ্লেসির দলের বিরুদ্ধে সব পুষিয়ে দিলেন। তিনি ২৩ রানে নেন ৩ উইকেট। এই দুই বোলারের দাপটেই প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৭/৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। সর্বোচ্চ রান করেন রজত পতিদার (৪২ বলে ৫৮)।রাজস্থান রয়্যালসের যা ব্যাটিং শক্তি, জয়ের জন্য ১৫৮ রানের লক্ষ্য খুব একটা কঠিন ছিল না। তার ওপর লিগ পর্বে শেষ তিন ম্যাচের ব্যর্থতা কাটিয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ারে ছন্দ ফিরে পেয়েছেন জস বাটলার। আগের ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই এদিন শুরু করেন রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক। শুরু থেকেই চেপে বসেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বোলারদের ওপর। যশস্বী জয়সোয়ালও ভাল শুরু করেছিলেন। ওপেনিং জুটিতে ৫ ওভারে ওঠে ৬১। এরপরই ফিরে যান যশস্বী জয়সোয়াল। ১৩ বলে ২১ রান করে তিনি জস হ্যাজেলউডের বলে বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।যশস্বী আউট হলেও বাটলারের ঝড় অব্যাহত থাকে। মাত্র ২৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ২১ বলে ২৩ রান করে আউট হন সঞ্জু স্যামসন। হাসারাঙ্গাকে স্টেপ আউট করে মারতে গিয়ে তিনি স্টাম্পড হন। ১৫ ওভারের চতুর্থ বলে হাসারাঙ্গাকে ৬ মেরে চলতি আইপিএলে ৮০০ রান পূর্ণ করেন বাটলার। এক বল পরেই হাসারাঙ্গাকে আবার ৬ হাঁকিয়ে ৮৮ রানে পৌঁছে যান তিনি। জয় থেকে যখন ১০ রান দুরে তখনই আউট হন দেবদত্ত পাড়িক্কল। ১২ বলে ৯ রান করে হ্যাজেলউডের বলে তিনি সাজঘরে ফেরেন। নিজের ছন্দ ধরে রেখে এরপর সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন জস বাটলার। ৬০ বলে ১০৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১১ বল বাকি থাকতেই ১৬১/৩ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় রাজস্থান।

মে ২৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

খলনায়ক সজল বাগ, টাইব্রেকারে হেরে সন্তোষে রানার্স বাংলা

৫ বছরের খরা কাটিয়ে বাংলা কি আবার জাতীয় ফুটবলে সেরার তকমা ছিনিয়ে নিতে পারবে? সম্ভাবনা তৈরি করেও শেষরক্ষা হল না। অতিরিক্ত সময়ে প্রথমে এগিয়ে গিয়েও হারতে হল বাংলাকে। টাইব্রেকারে ৫৪ ব্যবধানে জিতে সপ্তমবার সন্তোষ ট্রফি জিতল কেরালা। ২৯ বছর পর জাতীয় ফুটবলে আবার সেরার তকমা ছিনিয়ে নিল কেরালা। এবছর সন্তোষ ট্রফিটে অন্যতম ফেবারিট হিসেবেই শুরু করেছিল কেরালা। একটা ম্যাচেও না হেরে ফাইনালে উঠে এসেছিল। কোয়ার্টার ফাইনাল গ্রুপ লিগে বাংলার বিরুদ্ধেও জিতেছিল। সেমিফাইনালে কর্ণাটকের মতো দলকে উড়িয়ে দিয়েছিল ৭৩ ব্যবধানে। একদিকে দারুণ ছন্দে, তার ওপর ঘরের মাঠে ম্যাচ। স্বভাবতই ফাইনালে বাংলার বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকে মাঠে নেমেছিল কেরালা। ঘরের মাঠে দর্শক সমর্থন নিয়ে বাংলার বিরুদ্ধে ফাইনালেও দারুণ শুরু করেছিল। বাংলাও কিন্তু কোনও অংশে পিছিয়ে ছিল না। মনে হচ্ছিল গ্রুপ পর্যায়ে হারের প্রতিশোধ ফাইনালেই নেবেন মনোতোষ চাকলাদাররা। ম্যাচের ৫ মিনিটেই বাংলার সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল। নবি হোসেনের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। কেরালাও পিছিয়ে ছিল না। তারাও বারবার আক্রমণে উঠে এসে বাংলার রক্ষণকে বিব্রত করছিল। ৩৩ মিনিটে বাংলার ডিফেন্সের ভুলে ফাঁকায় বল পেয়েও বাইরে মারেন কেরলের ভিগনেশ। এক মিনিট পরেই দক্ষতার শীর্ষে উঠে নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে বাংলার পতন রোধ করেন গোলকিপার প্রিয়ন্ত সিং। ৩৭ মিনিটে মহিতোষ রায়ের দুরন্ত শট দারুণ দক্ষতার সঙ্গে বাঁচান কেরালার গোলকিপার ভি মিধুন। প্রথমার্ধে আক্রমণ প্রতি আক্রমণে খেলা জমে উঠলেও কোনও দল গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য কেরালার আধিপত্য বাংলার তুলনায় বেশি ছিল। ৫৯ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ারো সুযোগ এসেছিল কেরালার সামনে। বাংলার গোলকিপার প্রিয়ন্ত সিংকে একা পেয়েও বাইরে মারেন জিজো জোশেফ। অবশেষে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ৯৭ মিনিটে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা সুপ্রিয় পন্ডিতের সেন্টার থেকে দুরন্ত হেডে গোল করে বাংলাকে এগিয়ে দেন দিলীপ ওরাঁও। ম্যাচের একেবারে শেষলগ্নে কেরালার হয়ে সমতা ফেরান বিবিন অজয়ন। অবশেষে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকার ছিল নাটকে ভরা। দুই দলই টাইব্রেকার চলাকালীন গোলকিপার বদল করে। টাইব্রেকারে বাংলার হয়ে গোল করেন দিলীপ ওরাঁও, বাবলু ওরাঁও, তন্ময় ঘোষ এবং গোলকিপার প্রিয়ন্ত সিং। বাইরে মারেন সজল বাগ। কেরালার পঞ্চম শটের সময় বাংলা গোলকিপার বদল করে। কেরালা পাঁচটি শটেই গোল করে।

মে ০২, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

খেলার দুনিয়া

মান্ধানার রেকর্ডে কাঁপল বিশ্ব! ফাইনালে কি লেখা হবে নতুন ইতিহাস?

মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়াম যেন অপেক্ষা করছে ইতিহাসের জন্মের সাক্ষী হওয়ার। গ্যালারিতে ঢেউ তুলছে নীল সাগর। কোটি ভারতবাসীর নিশ্বাস যেন একসঙ্গে আটকে। কারণ, মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্য ২৯৯ রান ছুঁড়ে দিয়েছে ভারত। ৩০০-এর দোরগোড়াহাতের নাগালেই ছিল। কিন্তু যেই দুই ব্যাটারকে দেখার অপেক্ষায় ছিল সমর্থকেরা, সেই স্মৃতি মান্ধানা আর হরমনপ্রীতের ব্যাট আজ বড় কিছু লিখতে পারল না।সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮৯ রানের ইনিংসে আগুন ঝরিয়েছিলেন নকআউট কুইন হরমনপ্রীত। আজ ফাইনালে এসে থেমে গেলেন ২০ রানে। দুইটি বাউন্ডারি মারলেও নিজের সেরাটুকু দেখাতে পারলেন না অধিনায়ক। ফ্যানদের আশাহতাশার মিশেল রয়ে গেল মাঠ জুড়ে।তবু ভারতীয় ক্রিকেটের অন্য নক্ষত্র জ্বলল উজ্জ্বল আলোয়। স্মৃতি মান্ধানা ফাইনালে করলেন ৫৮ বলে ৪৫ রানহ্যাঁ, হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া। কিন্তু সেই সঙ্গেই গড়লেন এক বিশাল রেকর্ড। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ইতিহাসে এক সংস্করণে সর্বাধিক রান করার নজির ভাঙলেন তিনি। মিতালি রাজের ২০১৭ সালের ৪০৯ রানকে টপকে স্মৃতির সংগ্রহ এখন ৪৩৪।মান্ধানাশেফালি জুটি দারুণ ছন্দে এগোচ্ছিল। ১৭তম ওভারেই এল ভাঙন। ক্লোয়ি ট্রায়নের বল তুলে দিয়ে ক্যাচ ফিরিয়ে দিলেন ভারতীয় ওপেনার। আর ৩৮তম ওভারে ফিরে যান হরমনপ্রীত। দুজনই যদি আর কিছুক্ষণ উইকেটে দাঁড়াতে পারতেনস্টেডিয়ামের স্কোরবোর্ড হয়তো অন্য গল্প বলত।কিন্তু এখনও সব শেষ নয়। ভারতীয় স্পিন, দর্শকদের গর্জন, আর মাঠজুড়ে নীল আকাশএই তিন শক্তি কি এনে দেবে প্রথম নারী বিশ্বকাপ? চোখ রাখল ভারত।আজ রাতেই উত্তর।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

নীলে রাঙা দেশ! বিশ্বকাপফাইনালে শেফালি–ঝড়, ২৯৮ রান তুলে ইতিহাসের দোরগোড়ায় ভারত

ভারতের আকাশ আজ নীলের উৎসবে ঢেকে। নবি মুম্বইয়ের ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের মহারণে নামতেই যেন বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ল আবেগ। সেই বৃষ্টি ধুয়ে দিল শুধু মাটি নয়, যেন দেশের কোটি স্বপ্নকে। কারণ, আজ ইতিহাস লেখা সম্ভব উইমেন ইন ব্লু-র। হরমনপ্রীত কৌরদের কাঁধে ভারতীয় ক্রিকেটের অপূর্ণতা মুছার দায়িত্ব। আর ব্যাট হাতে সেই পথে বড় পদক্ষেপই রাখল ভারত।প্রথমে ব্যাট করে ভারত থামল ২৯৮ রানে। ৭ উইকেট হারিয়ে তোলা এই রানকে কি বিশ্বজয়ের রান বলা যায়? দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটারদের সাহসী ইনিংস, দর্শকদের গর্জন, আর মাঠজুড়ে নীল আবেগসব মিলিয়ে দিনটা ইতিহাসের পাতায় ওঠার অপেক্ষায়।ইনিংসের শুরুতেই স্মৃতি মন্ধানা ও শেফালি বর্মার ব্যাটে নজর কাড়া সূচনা। বৃষ্টিভেজা উইকেটে সতর্ক শুরু হলেও শিগগিরই বদলে গেল রঙ। বড় শট, নির্ভয়ে রান রোটেশনদুটিতেই সামনে শেফালি। এক সময় সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে পড়লেও শেষে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৮৭ রানে। কী দারুণ ইনিংস! তিন বছর ধরে ওয়ানডেতে হাফসেঞ্চুরি নেইএ কথা ভুলিয়ে দিলেন বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে। বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও প্রথমে জায়গা ছিল নাএকেবারে সিনেমার চিত্রনাট্য।স্মৃতি মন্ধানা ৪৫ রানে আউট হন। জেমাইমা রদ্রিগেসের ২৪ রান, অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের ২০যেখানে সবাই শুরু করেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি, সেখানে দুই ভারতীয় ভরসা দীপ্তি শর্মা ও রিচা ঘোষ সামলালেন ইনিংস। দীপ্তির অর্ধশতরান, আর রিচার দাপুটে ২৪ বলে ৩৪ রানে ভারত ৩০০ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। কয়েকটা শট আর সাহসে হয়তো ২৫-৩০ রান আরও বাড়ানো যেতসেটা নিয়েই এখন আলোচনা।এখন প্রশ্ন একটাইএই রান কি যথেষ্ট? স্পিন বোলিং আর দর্শকদের গর্জন কি দেশকে এনে দেবে প্রথম নারী বিশ্বকাপ? দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বলেই দিয়েছিলেন, এই পিচে রান তাড়া সহজ। তাই ম্যাচ এখন পুরোপুরি বোলারদের হাতে।স্টেডিয়ামের শব্দঅর্কেস্ট্রা, নীল পতাকার ঢেউ এবং লক্ষ মুখে একটাই ডাকচলো মেয়েরা! রোহিতবিরাটদের অসম্পূর্ণ গল্প কি এবার মেয়েরাই পূর্ণ করবেন?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

স্বপ্নভঙ্গের দাগ এখনও টাটকা! ফাইনালের আগে হরমনদের পাশে দাঁড়ালেন কোহলি-বুমরাহ-সূর্য

দুই বছর আগে ঠিক এই মঞ্চেই স্বপ্ন ভেঙেছিল ভারতীয় মহিলাদের। বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠে ট্রফি ছোঁয়ার এতটা কাছে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছিল খালি হাতে। সেই ব্যথা এখনও জাগ্রত। তাই ২০২৫এর আরেক মহাযুদ্ধের আগে হরমনপ্রীত কৌরদের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। সেই সঙ্গে পাশে দাঁড়িয়ে গেলেন ভারতীয় পুরুষ দলের তারকারাও। কোহলি, সূর্যকুমার যাদব থেকে শুরু করে জশপ্রীত বুমরাহসবাই একসুরে জানিয়ে দিলেন, ভয় নেই, এগিয়ে যাও।ফাইনাল ম্যাচের আগে BCCIর প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা গেল গৌতম গম্ভীরকে। শান্ত অথচ দৃঢ় কণ্ঠে গম্ভীর বললেন, ভারতীয় ক্রিকেট পরিবার ধন্যবাদ জানাচ্ছে মেয়েদের। তিনি বলেন, ফাইনাল উপভোগ করো, সাহসিকতার সঙ্গে খেলো। ভুল করলেও ভয় পেয়ো না। তোমরা ইতিমধ্যেই দেশকে গর্বিত করেছ। গম্ভীরের বার্তায় স্পষ্টচাপ নয়, আনন্দই দিক নির্দেশ করবে।অন্যদিকে বিরাট কোহলি ও সূর্যকুমার যাদবও বার্তা পাঠিয়েছেন। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার জন্য মহিলা দলের প্রশংসা করেছেন তাঁরা। সূর্য বলেছেন, নিজেদের মত করে খেলে যাও, টুর্নামেন্ট জুড়ে তোমরা অসাধারণ খেলেছ। এমনকি জশপ্রীত বুমরাহর কথায়ও একই সুর। অস্ট্রেলিয়া থেকে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, জীবনে অনেক ফাইনাল আসে না, তাই বাড়তি চাপ না নিয়ে নিজের সেরাটা দাও। নিজের খেলায় বিশ্বাস রাখো। ফল ঠিকই আসবে।২০১৭তে মিতালি রাজের দল, এরপর ২০২৩এ রোহিত শর্মাদের স্বপ্নভঙ্গভারতীয় পুরুষ ও মহিলা দল দুইই ফাইনালের যন্ত্রণা চেনেন। কিন্তু এবার প্রত্যাশা ভরা চোখে মানুষ অপেক্ষা করছে নতুন ইতিহাসের জন্য। ভারতীয় ক্রিকেটাররাও বিশ্বাস রাখছেন, হরমনপ্রীতস্মৃতিরিচাদের হাতেই এবার বিশ্বজয়ের গল্প লেখা হবে।দেশজুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। প্রত্যেক ভারতীয়র মনে একই প্রার্থনাএবার ট্রফি ফিরেই আসুক দেশের মাটিতে।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

নবি মুম্বইয়ে বৃষ্টি, ফাইনাল কি পিছিয়ে যাবে? দুশ্চিন্তায় ক্রিকেটপ্রেমীরা

ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে হরমনপ্রীত কৌরদের ভারত। নবি মুম্বইয়ের মাঠে আজই হওয়ার কথা ছিল বিশ্বজয়ের লড়াই। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু এমন উত্তেজনার দিনে ভাগ্য যেন একটু খারাপই খেলল টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে। দুপুর গড়াতেই নামল মৌসুমবহির্ভূত বৃষ্টি, আর সেই সঙ্গে থমকাল মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপের মহারণ।ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্রমাগত বৃষ্টি নামায় টস পর্যন্ত হয়নি। গ্যালারিতে বসা দর্শক থেকে শুরু করে টিভির সামনে বসা ক্রিকেটপ্রেমীরাসবাই এখন শুধু অপেক্ষা করছেন আকাশ পরিষ্কার হওয়ার।এখন প্রশ্ন একটাইযদি বৃষ্টি কমেই না? তবে কি বিশ্বকাপ ফাইনাল মাঠেই নামবে না? ভারতীয় সমর্থকদের মনে তাই উৎকণ্ঠা, আর চোখ ঝুলছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচ আজই শেষ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা হবে। প্রয়োজন হলে দুদলের ওভার কমিয়ে দেওয়া হবে। একই দিনে ফলাফল করতে হলে কমপক্ষে ২০ ওভার করে খেলতেই হবে দুদলকে। যদি বৃষ্টি সেই সুযোগও না দেয়, তবে প্রস্তুত আছে রিজার্ভ ডে।আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার রাখা হয়েছে চূড়ান্ত দিন। যদি আজ ম্যাচ অসম্পূর্ণ থাকে, সেখান থেকেই কাল আবার খেলা শুরু হবে। তবে যদি এক বলও না গড়ায় আজ, সোমবার পুরো ৫০ ওভারের নতুন ম্যাচ আয়োজনের সম্ভাবনাও রয়েছে। এই মুহূর্তে তাই ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের একটাই আশাআকাশটা একটু পরিষ্কার হোক, আর বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা যাক হরমনপ্রীত কৌরদের দাপট। সেমিতে দুরন্ত ফর্মে থাকা রিচা ঘোষ, স্মৃতি মন্ধানা, শেফালিসবাই প্রস্তুত ইতিহাস লেখার জন্য। বাকি শুধু মাঠে নামা।এদিকে স্টেডিয়ামের ছাদেও ঠাসা উত্তেজনা। কেউ মন্ত্রজপ করছেন, কেউ মোবাইলে আবহাওয়া আপডেট দেখছেন, আবার কেউ পতাকা হাতে বৃষ্টি থামার অপেক্ষায়। বিশ্বকাপের দিনই যদি বৃষ্টি আসে, তা কি মানা যায়? এখন সবই নির্ভর করছে আকাশের দিকে। ভারতীয়দের মনে একটাই স্বপ্নআজ হোক, কাল হোক, কিন্তু হাতে উঠুক সেই সোনার ট্রফি।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
দেশ

"অপারেশন সিঁদুর ভুলতে পারেনি পাকিস্তান-কংগ্রেস", নতুন করে বিস্ফোরক মন্তব্য মোদির

বিহারের আরায়ায় রবিবার নির্বাচনী প্রচারে এসে কংগ্রেস ও আরজেডিকে একযোগে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর বক্তব্যে বারবার উঠে এল জাতীয় নিরাপত্তা, কাশ্মীর, এবং অতীতের রাজনৈতিক সহিংসতার প্রসঙ্গ।মোদি বলেন, অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে পাকিস্তান ও কংগ্রেসদুই পক্ষই এখনও ধাক্কা সামলাতে পারেনি। পাকিস্তানে বিস্ফোরণের সময় কংগ্রেসের রাজপরিবারর ঘুম নষ্ট হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর মন্তব্যআমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সন্ত্রাসীদের ঘরে ঢুকে মারব। অপারেশন সিঁদুর সেই অঙ্গীকার পূরণ করেছে। সঙ্গে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন মোদি। বলেন, এটি তাঁর গ্যারান্টি ছিল এবং আজ তা বাস্তব।বিহার রাজনীতিতে মহাগঠবন্ধনের দিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস কখনওই তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ করতে চাইনি। কিন্তু আরজেডির চাপেই কংগ্রেসকে রাজি হতে হয়েছে। তাঁর ভাষায়আরজেডি বন্দুক ঠেকিয়ে কংগ্রেসকে সিএম প্রার্থী ঘোষণা করাতে বাধ্য করেছে।মোদি দাবি করেন, কংগ্রেস-আরজেডির মধ্যে গভীর বিরোধ আছে, এবং নির্বাচন শেষে তারা পরস্পরকে দোষারোপ করবে। তাই তাঁদের উপর আস্থা রাখা যায় না। মহাগঠবন্ধনের ইস্তেহারকে তিনি মিথ্যার আর প্রতারণার দলিল আখ্যা দেন। এনডিএর ঘোষণাপত্রকে বলেন সত্ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, যা বিহারের উন্নয়নের জন্য তৈরি।এদিন ১৯৮৪র শিখবিরোধী দাঙ্গার কথাও টেনে আনেন মোদি। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস আজও সেই সময়ের দোষীদের সম্মান দিচ্ছে। তিনি বলেনআরজেডির নাম জঙ্গলরাজের সঙ্গে জড়িত, আর কংগ্রেসের পরিচয় শিখ গণহত্যার সঙ্গে। বিহার ভোটমাঠে শেষ দফা প্রচারে তাই তীব্র হচ্ছে ভাষার লড়াই। একদিকে এনডিএর উন্নয়নের দাবি, অন্যদিকে পরিবর্তনের ডাকদুই পক্ষের জোর প্রচারের মধ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছে ভোটযুদ্ধের ময়দান।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ইতিহাস গড়তে নামছে হরমনদের বাহিনী, রিচা ঘোষে বুক বাঁধছে গোটা বাংলা

শুধু পুরুষ ক্রিকেট নয়মেয়েরাও পারে! ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের আত্মবিশ্বাস এখন আকাশছোঁয়া। আর মাত্র এক রাতের অপেক্ষা। রবিবারই ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে নামছে হরমনপ্রীত কউররা। শেষ লড়াই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। আর গোটা দেশ যেমন উত্তেজনায় ফুটছে, বাংলায় সেই উত্তেজনার কেন্দ্র শিলিগুড়ি। কারণ ফাইনালের মাঠে থাকছেন শহরেরই মেয়ে রিচা ঘোষ।বয়স মাত্র ২২। কিন্তু মন? যেন সহাস্য যোদ্ধা। এই বিশ্বকাপেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বে ঝড় তুলেছিলেন রিচামাত্র হাতে গোনা ডেলিভারি পেলে খেলেছিলেন ৯৪ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস। সেই ম্যাচে ভারত হেরে গেলেও, রিচার ব্যাটে আলোর রেখা দেখেছিল দেশ।সেই তারকার জন্য এখন বুক বেঁধে অপেক্ষা শিলিগুড়ির। শহরের রাস্তায় উত্তেজনা, দেওয়ালে পোস্টার, আর মানুষের মুখে একটাই প্রশ্নরিচা কেমন করবে কাল? শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ ইতিমধ্যেই বিগ স্ক্রিনে ফাইনাল দেখানোর আয়োজন করে ফেলেছে। শহরের একাধিক জায়গায় লাগানো হচ্ছে ফ্লেক্স, তৈরি হচ্ছে উৎসবের আবহ।রিচার পুরনো দিনেও আলো। ২০১৩১৪ সালে বাঘাযতীন ক্লাবের হয়ে খেলতেন সে সময়কার ছোট্ট মেয়ে রিচা। কোচ বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় এখন আগের সেই দৃঢ় আত্মবিশ্বাস মনে করছেন। তাঁর মুখে গর্বওকে প্রথম দিন থেকেই আলাদা লাগত। ব্যাট ধরার ভঙ্গি, শরীরী ভাষা, মনোভাবসবেতেই ছিল বড় খেলোয়াড়ের স্পষ্ট আভাস।একই কথা বলছেন রিচার বন্ধু ও প্রাক্তন সতীর্থ অঙ্কিতা মোহন্তও। তিনি স্মিতহাস্যে বলছেন, রিচা সব সিদ্ধান্ত খুব পরিষ্কারভাবে নেয়। আমাদের সময়ও ও পরামর্শ দিত। এখন দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ব্যাটে। আগামিকাল ও দেখাবেমেয়েরাও পারে!মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের ক্রিকেট সচিব ভাস্কর দত্ত মজুমদার আরও খোলামেলাআমাদের শহরের মেয়ে! তাই তো গর্ব। কাল গোটা শহর স্ক্রিনের সামনে এক হবে। রিচার জন্য শুভেচ্ছা।এখন শুধু অপেক্ষা ফাইনালের। শিলিগুড়ি, বাংলা আর ভারতসকলেরই চোখ এক ব্যাটে, এক মেয়ের উপর। ইতিহাস রচনার মুহূর্ত কি তাহলে আর কয়েক ঘণ্টা দূরেই?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
বিদেশ

চলন্ত ট্রেনে রক্তঝড়! যাত্রীদের উপর ছুরি হামলা, আতঙ্কে থমকাল ট্রেন

লন্ডনগামী একটি ট্রেনের ভিতর শনিবার রাতে তৈরি হল আতঙ্কের আবহ। হঠাৎই কয়েকজন যাত্রীর উপর ধারালো ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুষ্কৃতীরা। মুহূর্তেই চিৎকার, রক্ত, দৌড়ঝাঁপসব মিলিয়ে ট্রেনের কামরাটি পরিণত হয় বিভীষিকার দৃশ্যে। বাঁচার জন্য যাত্রীরা ছুটতে ছুটতে শৌচাগারে লুকিয়ে পড়েন। কেউ কেউ পা পিছলে পড়ে আহত হন। কামরার মেঝে রক্তে ভরে যায়।ঘটনাটি ঘটেছে কেমব্রিজের কাছে। রাত ৭টা ৩৯ মিনিট নাগাদ পুলিশ ফোন পায় ট্রেনে ছুরি নিয়ে হামলার খবর। খবর পেয়েই সশস্ত্র বাহিনী পৌঁছে যায় নিকটবর্তী স্টেশন হান্টিংডনে। এরপর ট্রেনটিকে মাঝপথেই থামানো হয়। স্টেশনে দাঁড়াতেই দৌড়ে ওঠে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। আতঙ্কগ্রস্ত যাত্রীদের নিরাপদে বার করে নিয়ে আসা হয়। অনেকে তখনও লুকিয়ে ছিলেন ট্রেনের বাথরুমে। পুলিশ তাঁদের একে একে উদ্ধার করে।প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এক নয়, একাধিক ব্যক্তি হাতে লম্বা ছুরি নিয়ে যাত্রীদের উপর হামলা চালায়। তাঁদের কথায়, আক্রমণকারী চলতে চলতে দৌড়ে এগিয়ে আসছিল, আর চারদিকে ছড়িয়ে ছিল রক্ত। আতঙ্কে সবাই পালাতে শুরু করে। ট্রেন থামতেই একজন হামলাকারী বড় ছুরি হাতে নেমে আসার চেষ্টা করে, কিন্তু পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে কাবু করে ফেলে।এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিকটবর্তী হাসপাতালে। যদিও ব্রিটিশ পুলিশ এখনও পর্যন্ত আহতের আনুষ্ঠানিক সংখ্যা জানাতে পারেনি, সূত্রের দাবিকমপক্ষে দশজন ছুরিকাহত।হঠাৎ এই হামলার উদ্দেশ্য এখনও পরিষ্কার নয়। সন্ত্রাস দমন বিভাগও তদন্তে নেমেছে। পুরো দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্ত করা হয়েছে। ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। তিনি বলেছেন, নিরীহ মানুষকে টার্গেট করে এমন হামলা বরদাস্ত করা হবে না।সাধারণ যাত্রার একটি রাত যে এমন রক্তাক্ত দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে, তা ভাবেননি কেউই। ব্রিটেনে এখন একটাই প্রশ্নট্রেনে এই হামলার পিছনে কারা, এবং কেন?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
দেশ

ভোটের উত্তাপে বিস্ফোরণ, গুলির আতঙ্ক! জন সূরজ পার্টির কর্মী খুনে ধরা জেডিইউ নেতা

বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এর আগেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। রাজনৈতিক আক্রমণপ্রতিআক্রমণের মাঝেই এবার সামনে এল রক্তাক্ত ঘটনা। প্রশান্ত কিশোরের দল জন সূরজ পার্টির কর্মী দুলারচন্দ যাদবের মৃত্যুর মামলায় গ্রেফতার হলেন ক্ষমতাসীন জেডিইউ-র মোকামা কেন্দ্রের প্রার্থী অনন্ত সিং। পটনা পুলিশের হাতে শনিবার, ১ নভেম্বর তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীকেও পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।ুীদুলারচন্দ যাদব গত বৃহস্পতিবার মোকামায় জন সূরজ পার্টির প্রার্থী পীযূষ প্রিয়দর্শীর সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। সেই ভরা সভাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। প্রথমে গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা শোনা গেলেও ময়নাতদন্তে প্রকাশগুলি নয়, গুরুতর শারীরিক আঘাত, বিশেষত পাঁজরের হাড় ভেঙে যাওয়া ও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।দুলারচন্দ অনেক দিন আরজেডি-র প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। লালু প্রসাদ যাদবের ঘনিষ্ঠ হিসেবেও পরিচিত। পরে PKর জন সূরজ পার্টিতে যোগ দেন।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সভার মাঝেই দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। সেই বিশৃঙ্খলার মধ্যেই ঘটে এই মৃত্যুর ঘটনা। এবং সে সময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন জেডিইউ প্রার্থী অনন্ত সিং।গ্রেফতারের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পীযূষ প্রিয়দর্শী বলেন, পুলিশ ঠিক কাজ করেছে। তবে এই পদক্ষেপ আরও আগে হওয়া দরকার ছিল। এটা কোনো হঠাৎ ঘটনা নয়। এফআইআর হওয়ার পরই গ্রেফতার হওয়া উচিত ছিল। দেরিতে হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এখন দেখার তদন্ত কতদূর এগোয়।অন্য দিকে গ্রেফতারির আগে অনন্ত সিং দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। প্রাক্তন সাংসদ সূরজভান সিংকে দায়ী করেন তিনি। উল্লেখ্য, সূরজভান সিংয়ের স্ত্রী বীণা দেবী এবার আরজেডি-র প্রার্থী।ঘটনার গুরুত্ব দেখে ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জেলা নির্বাচন আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আদর্শ আচরণবিধি কড়াভাবে বজায় রাখতে হবে এবং রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন বিন্দুমাত্র নষ্ট না হয়।বিহারের ভোটযুদ্ধ এখনও শুরুই হয়নি, আর তার আগেই রক্তঝরা সংঘর্ষে জর্জরিত রাজনৈতিক ময়দান। আগামীর দিনগুলো যে আরও উত্তপ্ত হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।

নভেম্বর ০২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal