• ২৯ কার্তিক ১৪৩২, মঙ্গলবার ১৮ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Suicide

রাজ্য

ফর্ম না–পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ, পূর্ব পুটিয়ারিতে বৃদ্ধার মৃত্যুর পর আলোচনায় প্রশাসনিক বিভ্রান্তি

কলকাতার পূর্ব পুটিয়ারিতে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগতে থাকা এক বৃদ্ধা আগুনে পোড়া অবস্থায় প্রাণ হারালেনএমনই দাবি করেছেন তাঁর পরিবার। মৃতার নাম যমুনা মণ্ডল, বয়স ৬৭। পরিবার জানিয়েছে, বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এলাকায় ভোটার এনুমারেশন ফর্ম বিলি হচ্ছিল। আশপাশের বাড়িগুলিতে ফর্ম পৌঁছোলেও তাঁদের বাড়িতে পৌঁছায়নি। সেই কারণেই যমুনা দেবী অস্বাভাবিক আতঙ্কে ভুগছিলেন।যমুনার ছেলে মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল বলেন, তাঁর মায়ের আগে থেকেই স্নায়ুর সমস্যা ছিল। ফর্ম না পাওয়ায় উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়। গত শনিবার তাঁরা অবশেষে এনুমারেশন ফর্ম পান। কিন্তু তাতেও যমুনা দেবীর ভয়ের অবসান হয়নি বলে দাবি পরিবারের। সোমবার সকালে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।এদিকে দক্ষিণ দমদম থেকেও সামনে এসেছে আর-একটি মর্মান্তিক ঘটনা। সেখানকার আরএন গুহ রোডের বাসিন্দা বৈদ্যনাথ হাজরা, বয়স ৪৬, কয়েকদিন ধরে এসআইআরসংক্রান্ত দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, বৈদ্যনাথ বাবুর ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল নাএই বিষয়টি তাঁকে মানসিকভাবে অস্থির করে তুলছিল। দুদিন আগে গভীর রাতে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তাঁর মোবাইল ফোন বাড়িতেই পড়ে ছিল। পরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। আজ তাঁর দেহ উদ্ধার হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, এসআইআরনিয়ে তৈরি হওয়া ভয়ই তাঁকে চরম পদক্ষেপে ঠেলে দিয়েছে।এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভয় ও বিভ্রান্তির অভিযোগ উঠছে। এই ঘটনাগুলিকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে দায়ী করেছে। আবার বিজেপির অভিযোগ, আতঙ্ক ছড়িয়ে ভোট রাজনীতি করছে রাজ্যের শাসকদলই।ঘটনাগুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠেছে। কিন্তু দুই পরিবারের মর্মান্তিক ক্ষতি পাহাড়প্রমাণ প্রশ্ন তুলছেএসআইআরসম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে এত ভয় ও বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে কেন, এবং এই আশঙ্কা দূর করতে প্রশাসনের আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন কি না।(মানসিক চাপ বা সংকটে থাকলে যেকোনও সময় কিরণ ১৮০০-৫৯৯-০০১৯ হেল্পলাইনে সাহায্য পাওয়া যায়।)

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
রাজ্য

এসআইআর আতঙ্কে ফের মৃত্যু! ভোটার লিস্টে নাম থেকেও আত্মঘাতী জলপাইগুড়ির কমলা রায়

রাজ্যজুড়ে চলছে এসআইআর প্রক্রিয়া। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিলি করছেন বিএলওরা। আর এই সময়েই ফের আতঙ্কের ছায়া জলপাইগুড়িতে। অভিযোগ, এসআইআর-এর ভয়ে আত্মঘাতী হলেন এক মহিলাকমলা রায়। বয়স ৫৩। বাড়ি বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা জলপাইগুড়ির সাতকুড়ায়। তাঁর পরিবার সরাসরি দাবি করেছে, বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারেএই আশঙ্কা দিন দিন বাড়ছিল। সেই আতঙ্কই শেষ পর্যন্ত ওঁকে গ্রাস করল।পরিবার জানিয়েছে, প্রায় ৪০ বছর আগে কমলা রায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসেন। তারপর থেকেই সাতকুড়া এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন। তাদের বক্তব্য, কমলার নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ছিল। আধার কার্ড, ভোটার কার্ডসব বৈধ নথিই ছিল তাঁর হাতে। কিন্তু তবুও তিনি ক্রমশ মনে ভয় জমাচ্ছিলেনএসআইআর কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তাঁকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে কি না, এই আশঙ্কাতেই নাকি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই আতঙ্ক থেকেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন কমলা।ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ও শাসক দলের নেতৃত্ব ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের দাবি, এসআইআর শুরু হওয়ার পর থেকেই কমলা রায় আতঙ্কে ছিলেন। এই ভয়ই তাঁকে দুর্বল করে দেয়। আমরা সবরকমভাবে পরিবারের পাশে থাকব।পুলিশ ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। তদন্ত চলছে মানসিক চাপে এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কারণ খুঁজে বের করতে।উল্লেখ্য, এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই জলপাইগুড়ির আমবাড়িতে একইভাবে আত্মঘাতী হন ভুবনচন্দ্র রায় নামে এক প্রৌঢ়। তাঁর অভিযোগ ছিল, পরিবারের অন্য সবার ফর্ম এসআইআর-এ পৌঁছালেও তাঁর মেয়ের ফর্ম আসেনি। সেই আতঙ্কেই চরম পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি। পরপর দুই মৃত্যুতে জেলায় এসআইআর নিয়ে অস্বস্তি আরও বেড়েছে।

নভেম্বর ১৫, ২০২৫
দেশ

অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, তার, জ্বালানি—গাড়ির ভেতরেই বিস্ফোরণের কারখানা! চাঞ্চল্যকর তথ্য

লালকেল্লার কাছে যে বিস্ফোরণ ঘটেছিল, তার তদন্তে এবার উঠে এল আরও ভয়াবহ তথ্য। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, ধৃত জঙ্গি-চিকিৎসক উমর নবি নাকি আই-২০ গাড়ির ভেতরেই বিস্ফোরক তৈরি করেছিল। যে ৫০টিরও বেশি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, তার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দুই কিলোগ্রামেরও বেশি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করা হয়েছিল দিল্লির ওই বিস্ফোরণে। সঙ্গে ছিল পেট্রোলিয়াম জাতীয় এক ধরনের জ্বালানি। গোয়েন্দাদের কথায় এটা ঠিক সেই ধরনের বিস্ফোরক, যা খনি এলাকায় ব্যবহৃত হয়।আই-২০ গাড়ির ধ্বংসাবশেষে মেলে সরু তার, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের চিহ্ন এবং জ্বালানির দাগ। এখান থেকেই সন্দেহ প্রবল হয়গাড়িতেই কি বিস্ফোরক বানায় উমর? তদন্তকারীরা বলছেন, ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যেই এই ধরনের বিস্ফোরক তৈরি করা যায়। আর সব তথ্য মিলিয়ে তাঁরা এখন প্রায় নিশ্চিতগাড়ির ভেতরেই বিস্ফোরক তৈরি হয়েছিল।তবে প্রশ্ন একটাইবিস্ফোরণ কি লালকেল্লার সামনেই করার পরিকল্পনা ছিল? নাকি আরও জনবহুল জায়গায়? সোমবার লালকেল্লা বন্ধ থাকে, তাই গোয়েন্দাদের মনে আরও সন্দেহ। পরিকল্পনা কি আসলে ছিল অন্য জায়গা টার্গেট করার?জেরায় ধৃতরা আরও স্বীকার করেছে যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেশ ছাড়ার ছক ছিল মুজাম্মিল-শাহিনদের। তাঁদের লক্ষ্য ছিল কাতার বা তুরস্কে পালিয়ে অন্তত ছয় মাস লুকিয়ে থাকা। সেই উদ্দেশ্যে অনলাইনে নতুন পাসপোর্টের আবেদনও করেছিলেন তাঁরা। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই সেই পুলিশ অফিসারের সঙ্গে কথা বলছেন, যিনি আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে গিয়ে তাঁদের পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন করেছিলেন। সব নথি আদৌ ঠিক ছিল কিনা, সেটাই এখন তদন্তের অন্যতম বড় প্রশ্ন।সূত্র বলছে, ৯-১০ ডিসেম্বরের মধ্যেই শাহিন, মুজাম্মিল ও আদিল দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করেছিল। আর উমর নবি কাশ্মীরে গিয়ে জঙ্গি ডেরায় লুকোতে চেয়েছিল। জেরা করে গোয়েন্দারা আরেকটি ভয়ংকর তথ্যও পেয়েছেন৬ ডিসেম্বর, অর্থাৎ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনই তৈরি হয়েছিল এই বড় নাশকতার ছক।মুজাম্মিল ও শাহিনের নথিতে সমস্যা না থাকলেও, আদিলের নথিতে একাধিক গরমিল ধরা পড়েছে। নিজের বাড়ির ঠিকানা না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানা দাখিল করেছিল আদিল, অথচ কোনও প্রমাণপত্র দিতে পারেনি। তদন্তকারীদের সন্দেহ, অধিকাংশ নথিই জাল। যে পুলিশকর্মীরা পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের কাজ করেছিলেন, তাঁদের ভূমিকাও এখন তদন্তের আওতায়। এমনকি শাহিনের পাসপোর্টের ছবি তুলতে গিয়েও মোবাইলে ছবি তোলে সেই অফিসারএটিও নজরে এসেছে তদন্তকারীদের।ক্রমশ এই বিস্ফোরণকাণ্ড এক ভয়ংকর জঙ্গি-চক্রের দিকে আঙুল তুলছে, আর উঠে আসছে দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা নাশকতার পরত-ওপর-পরত।

নভেম্বর ১৫, ২০২৫
বিদেশ

দিল্লির কায়দায় ইসলামাবাদের আদলতের সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ! ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ১২ জনের

দিল্লির ভয়াবহ বিস্ফোরণের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই একই কায়দায় বিস্ফোরণ এবার ইসলামাবাদে। মঙ্গলবার দুপুরে পাকিস্তানের রাজধানীর একটি আদালতের বাইরে ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১২ জনের। আহতের সংখ্যা বহু। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, এটি আত্মঘাতী হামলাও হতে পারে।মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ইসলামাবাদের আদালত চত্বরের পার্কিং এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে আচমকা বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। ভয়াবহ আওয়াজে কেঁপে ওঠে আশপাশের এলাকা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের শব্দ ছয় কিলোমিটার দূর পর্যন্ত শোনা যায়। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কয়েকটি গাড়ি। ঘটনার সময় আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন বহু আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী ও সাধারণ মানুষ।বিস্ফোরণের পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ, দমকল এবং উদ্ধারকারী দল। আহতদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ইতিমধ্যেই ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি এবং করাচি-সহ পাকিস্তানের প্রধান শহরগুলিতে জারি করা হয়েছে উচ্চ সতর্কতা। গোটা এলাকা ঘিরে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।প্রাথমিক অনুমান, গাড়ির মধ্যে রাখা গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তবে নাশকতার দিকটিও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের ধরণ দেখে মনে হচ্ছে, এর মধ্যে মানবসৃষ্ট উপাদানও থাকতে পারে। ঘটনাস্থলে ফরেনসিক টিম কাজ শুরু করেছে।উল্লেখযোগ্যভাবে, এর ঠিক একদিন আগে সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির লালকেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল অন্তত ১৩ জনের। তদন্তে উঠে এসেছে, বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়েছিল গাড়ির ভিতর থেকে। একই ধাঁচে মঙ্গলবার ইসলামাবাদেও বিস্ফোরণ হওয়ায় জঙ্গি নেটওয়ার্ক জুড়ে আশঙ্কা ছড়িয়েছে।দিল্লি ও ইসলামাবাদে টানা দুই দিনে ঘটে যাওয়া এই দুই বিস্ফোরণ এখন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা মহলে চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। ভারতীয় গোয়েন্দা মহলও ঘটনাটির দিকে নজর রাখছে বলে সূত্রের খবর।

নভেম্বর ১১, ২০২৫
রাজ্য

ডিটেনশন ক্যাম্পের ভয়ে মৃত্যু? ধনেখালিতে মর্মান্তিক ঘটনা ঘিরে তোলপাড় রাজনীতি

ফের এসআইআর আতঙ্কে কাঁপল হুগলি। ধনেখালির সোমসপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কানা নদী এলাকায় নিজের শিশুকন্যাকে বিষ খাইয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক ২৭ বছর বয়সি গৃহবধূ। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় আট বছর আগে হরিপালের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই তরুণীর। কিন্তু পারিবারিক বিবাদের কারণে গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে তিনি বাপের বাড়িতেই থাকছিলেন। সেখানেই শুক্রবার সকালে ঘটে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা। প্রথমে তাঁদের ধনেখালি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মা-মেয়েকে পাঠানো হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে।পরিবারের দাবি, কয়েকদিন আগে তাঁদের বাড়ির সকলেই এসআইআর ফর্ম পেয়েছিলেন, কিন্তু ওই গৃহবধূ পাননি। সেই থেকেই তিনি মানসিক চাপে ছিলেন। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিলেন, বারবার বলছিলেন আমার ফর্ম কেন আসেনি? পরিবারের সদস্যরা বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করলেও উদ্বেগ কাটেনি তাঁর। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্কও ছিল একেবারে ছিন্ন। ফলে আরও একাকী হয়ে পড়েছিলেন তিনি।পরিবারের এক সদস্য বলেন, ও খুব চিন্তায় ছিল। ভয় করছিল, ফর্ম না পেলে যদি নাম বাদ যায়, যদি কোনও সমস্যা হয়! সকালে সেই ভয়ই যেন পেয়ে বসে তাঁকে। নিজের শিশুকন্যাকে কীটনাশক খাইয়ে নিজেও তা পান করেন।ঘটনার খবর ছড়াতেই এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য। ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপির বিরুদ্ধে। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি নেতারা যে ভাষায় হুমকি দিচ্ছেন ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে তাতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হচ্ছেন। ডানকুনিতে যেমন ঘটনা ঘটেছিল, এবার তা ধনেখালিতে। মেয়েটি ফর্ম না পেয়ে ভয় পেয়ে গিয়েছিল। এসব রাজনীতির ভয়াবহ পরিণতি।অন্যদিকে, গৃহবধূর ভাইয়ের দাবি, ও ফর্ম পায়নি বলেই ভয় পেয়েছিল। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না। হয়তো ভেবেছিল আমি ফর্ম পাব না, তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি এখনো প্রতিক্রিয়া না দিলেও, তৃণমূলের দাবি বিজেপির ভয় দেখানো রাজনীতি-র জেরেই সাধারণ মানুষের মধ্যে এমন মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।ধনেখালির এই মর্মান্তিক ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক আতঙ্কের জেরে আর কত প্রাণ যাবে? ভোটের আগে কি আরও বাড়বে এই মানসিক চাপ?

নভেম্বর ০৯, ২০২৫
রাজ্য

"আমার কাগজ নেই, আমাকে বার করে দেবে"— ভাঙড়ে যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

এসআইআরএর পরিবেশ ঘিরে আরও এক মৃত্যুর ঘটনা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আত্মহত্যার খবরের পর এবার ভাঙড়। শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ। মৃতের নাম সফিকুল গাজি। তাঁর পরিবারের দাবি, কাগজপত্র নিয়ে আতঙ্কে ভুগেই আত্মঘাতী সফিকুল। বুধবার সকালে ঘর থেকে তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে ছুটে যান ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা।পরিবার জানাচ্ছে, গত কয়েক দিন ধরেই এক অদ্ভুত ভয় গ্রাস করেছিল সফিকুলকে। কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন না। খাওয়াদাওয়াও প্রায় বন্ধ। মাঝেমধ্যে কাগজপত্র নিয়ে বসতেন, আর বারবার একটাই কথা আমার সব কাগজ নেই আমাকে এখান থেকে বার করে দেবে। স্ত্রী জানিয়েছেন, টানা দুই দিন ধরে স্বামী এমন কথাই বলে যাচ্ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে স্বাভাবিক মতোই খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। বুধবার সকালে স্ত্রী ও ছেলে কাজে বেরিয়ে যান। ফিরে এসে দেখেন ঘরের ভিতর ঝুলছে তাঁর দেহ। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।ভাঙড়েই শ্বশুরবাড়ি ছিল সফিকুলের, সেখানেই থাকতেন। আসল বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনায়। বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, শুনেছি ওর বাবা-মায়ের বৈধ কাগজপত্র ছিল। কিন্তু ওর নিজের নামে কিছুই নেই। সেই হতাশাই ওকে শেষ করে দিল। এটা শুধু মৃত্যু নয়, আতঙ্কের একটা ভয়াবহ প্রতিচ্ছবি। সেই সঙ্গে তিনি বিজেপির দিকেই আঙুল তুলেছেন গতকাল সাত জন, আজ আট! বিজেপিকে জবাব দিতে হবে। এই মৃত্যু মিছিলের দায় তাঁদের।বিজেপির রাহুল সিনহা তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, এসআইআর নিয়ে আতঙ্ক তৈরি করেছে তৃণমূলই। এখন আবার মৃতদেহের রাজনীতি করছে। কে কোথায় মরছে, সেটাই নজর রাখছে ওরা। এসআইআরএর আবহে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে উদ্বেগ আর সেই সঙ্গেই প্রশ্ন, এই আতঙ্ক থামবে কবে?

নভেম্বর ০৫, ২০২৫
রাজ্য

চন্দননগরে একই পরিবারের ৩ সদস্যের রহস্যমৃত্যু, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

চন্দননগর, ৩০ মে: হুগলির চন্দননগরে বৃহস্পতিবার সকালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো স্থানীয় বাসিন্দারা। একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের কর্তা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের কিশোর পুত্র। সূত্রের খবর, এদিন সকালে চন্দননগরের শ্রীপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সকালবেলা দরজা না খোলায় সন্দেহ জাগে প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।সূত্রের খবর, বুধবার ভোর ২টার দিকে চন্দননগর থানা কোলুপুকুর গড়েরধর এলাকায় তিন পরিবারের সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা প্রতিমা ঘোষ (৪৬) এবং তার মেয়ে পৌষালী ঘোষ (১৩) এর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিমার স্বামী বাবলু ঘোষ (৬২) কে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে যে বাবলু একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করত। তবে, কিছু সময়ের জন্য, সে টোটো (তিন চাকার গাড়ি) চালানো শুরু করে এবং অবশেষে তার বাড়িতেই একটি ছোট দোকান শুরু করে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি হয় আত্মহত্যা, নয়তো পরিকল্পিত খুন। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। বাড়ির ভিতরে কোনোরকম লুটপাটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীদের অনেকেই জানিয়েছেন, পরিবারটি সদ্য আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল এবং কিছুদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার ফরেনসিক তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ পরিবারের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।চন্দননগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছিআত্মহত্যা, পারিবারিক কলহ, অথবা বাইরের কোনো দুষ্কৃতীর হাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মে ৩০, ২০২৫
কলকাতা

আইটি কর্মীর আত্মহত্যার চেষ্টা, ছয়তলা থেকে ঝাঁপ

নিউটাউন আইটি সেক্টারের বহুতল বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ মেরে আত্মহত্যার চেষ্টা। আশঙ্কা জনক অবস্থায় নিউটাউনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আইটি কর্মীর নাম দৈপায়ন ভট্টাচাৰ্য (৪০)। ছয় তলা থেকে ঝাঁপ মারে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে কি কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা খতিয়ে দেখছে টেকনোসিটি থানার পুলিশ।আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনো কারণ আছে মৃত্যুর পিছনে সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মার্চ ১৯, ২০২৫
রাজ্য

একই পরিবারের চার জনের রহস্য মৃত্যু দুর্গাপুরে, ভয়ঙ্কর কাণ্ডের পিছনে কি?

একই পরিবারের চারজনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল দুর্গাপুরে। দুর্গাপুরের কুড়ুলিয়াডাঙার মিলনপল্লি এলাকার এই ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। রবিবার ভোরে মিলনপল্লির বাসিন্দা অমিত মন্ডলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ঘর থেকে। তার স্ত্রী, ১০ বছরের এক ছেলে ও এক বছরের একটি মেয়ের দেহ ঘরের মধ্যে পড়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছে। কিন্তু এলাকাবাসীরা মৃতদেহ উদ্ধার করতে পুলিশকে বাধা দেয়। এলাকাবাসীদের অভিযোগ , অমিত মন্ডল ও তার পরিবারকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু কেন এই অভিযোগ?মৃত অমিত মন্ডলের মাসতুতো বোন সুদীপ্তা ঘোষের অভিযোগ, এই ঘটনার পেছনে মদত রয়েছে মৃত অমিত ওরফে বুবাই মন্ডলের মা বুলারানী মন্ডল ও মামাতো ভাই সুশান্ত নায়েক ওরফে নান্টু। অভিযোগ, মৃত অমিত জানতে পেরে যায় মামার বাড়ির পরিবারের বেশ কিছুজনের ২০১২ সালে টেট পাস না করেও চাকরি হয়েছিল। এমনই কথা অমিত তাঁর বোন সুদীপ্তাকে হোয়াটস এ্যাপ মারফত লিখে জানায়। তারপরই এদিন ভোরে এই ঘটনা ! মৃত অমিত মন্ডল পেশায় একজন জমি ব্যবসায়ী। অন্যদিকে মামাতো ভাই সুশান্ত নায়েক ও প্রশান্ত নায়েকও জমি ব্যবসায়ী বলে ওই হোয়াটস এ্যাপ মেসেজে লিখেছে অমিত। সেখানে অমিত অভিযোগ করেছে, বিভিন্ন সময়ে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে বে-আইনী ভাবে জমির লেনদেন করে বিপুল সম্পত্তি করেছে। এছাড়াও সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছে সুশান্ত নায়েক, এমনই বিষ্ফোরক অভিযোগ এনেছে অমিত, দাবী সুদীপ্তার। ওই মেসেজে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সহ সিবিআই ও পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলপন মৃত অমিত। সুদীপ্তা দেবীর আরও অভিযোগ, অমিতের হাত পেছমোড়া করে বাঁধা রয়েছে ও বাড়ীর সিসিটিভি কালো পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, গতকাল রাতে মা বুলারানী মন্ডল এই বাড়ীতেই ছিলেন। যিনি আবার নিজের ছেলে ও তার পরিবারকে কখনও ভাল চোখে দেখতেন না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।গোটা ঘটনায় পরতে পরতে দানা বেধেছে রহস্য। বিশেষ করে মৃত অমিতের বোনকে করা হোয়াটস এ্যাপ মেসেজ ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে কমব্যাট ফোর্স সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছেছে।

মার্চ ১৯, ২০২৩
রাজ্য

মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী যুবক

মানসিক অবসাদে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হল এক ব্যক্তি। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বেলেণ্ডার পুলের কাছে বুধবার রাতে দুর্ঘটনা ঘটে।ভাতারের রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা মফজ আলি শা( ৪৫)। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। বাড়ির লোকজনকে প্রায়ই বলতেন তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যাবেন। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ নিয়ে পরিবারের লোকজন দ্বারস্থ হন ভাতার থানায়।বৃহস্পতিবার পরিবারের লোকজন ভাতার থানায় গিয়ে জানতে পারেন যে বেলেণ্ডার পুলের কাছে একজন ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মৃতদেহ দেখে পরিবারের লোকজন শনাক্ত করেন। বাড়ির লোকজন জানান যে তিনি বেশ কয়েক মাস ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।রেল পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় ময়নাতদন্তের জন্য।

ডিসেম্বর ১৫, ২০২২
কলকাতা

বগটুইয়ের নথি এল সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে

রামপুরহাটের অস্থায়ী সিবিআই-এর ক্যাম্প থেকে নথি নিয়ে আসা হল ফিজিও কমপ্লেক্স এর সিবিআই দপ্তরে। বগটুই কান্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরেই সিবিআই এর তরফ থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হল। লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআইকে দোষারোপ করেছে তাঁর পরিবার। সিবিআইকে কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেসও।সিবিআই কাস্টাডিতে বগটুই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় মধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে মৃত্যু হয় বগটুই কাণ্ডের অন্য়তম অভিযুক্ত লালন শেখের। এই ঘটনার পর সিবিআই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এসে পৌঁছেছে সিবিআইয়ের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনগর। কলকাতায় পৌঁছে সোজা সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন তিনি। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মিটিং করেন তিনি। বুধবার সকালে আবার ফিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দফতরে এসে পৌঁছেছেন অজয় ভাটনগর। পাশাপাশি রামপুরহাটের সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে একাধিক নথি এবং হার্ডডিস্ক মনিটার সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে আসা হয়েছে সল্টলেক এর সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দফতরে।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
রাজ্য

মোবাইল ঘাঁটা মানা, অভিমানে কীটনাশক খেয়ে অত্মঘাতী মেয়ে

পড়াশোনা ছেড়ে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত, মা বাবার বকুনিতে অভিমানে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হল ছাত্রী। মৃতার নাম সুমি খাতুন (১৮)।বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনার শাসপুরে। ইংরাজী অনার্স নিয়ে মুড়াগাছা কলেজে ভর্তি হয় সুমি খাতুন।কিন্তু পড়াশোনা ঠিক মতো করছিলো না। অধিকাংশ সময়ই মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকতো এই নিয়ে মঙ্গলবার বাবা ও মা তাকে বকাঝকা করে।এরপরই সে ঘরে রাখা কীটনাশক খায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে কালনা মহকুমা হাসপাতাল ও পরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাতেই তার মৃত্যু হয়।পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।

নভেম্বর ০৯, ২০২২
রাজ্য

মায়ের সাথে মনোমালিন্য, আত্মহনন কিশোরীর

পড়াশোনায় অমনযোগী হওয়ায় মায়ের বকুনি খেয়ে অভিমানে আত্মঘাতী হল কিশোরী। মৃতার নাম শ্রেষ্ঠা সরকার (১৪)। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের হরেকৃষ্ণপল্লীতে।বেশ কয়েক দিন ধরেই ঠিকঠাক পড়াশোনা করছিলো না শ্রেষ্টা তাই মা তাকে গতকাল বকাঝকা করে। অভিমানে বাড়ির ভিতরে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে শ্রেষ্টা। মেমারি থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজের পুলিশ মর্গে পাঠায়।

নভেম্বর ০৭, ২০২২
রাজ্য

জাল ইঞ্জিন ওয়েল বিক্রীর অভিযোগে বাড়িতে হানা, বাবার অপমানে আত্মঘাতী মেয়ে

বাবার হেনস্থা সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী মেয়ে। বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎই হেমায়েতপুর এলাকায় একটি মোটরসাইকেল স্পেয়ার পার্টসের দোকানে একটি নামী কোম্পানির লুব্রিকেন্ট কোম্পানির লোক ও নাদনঘাট থানা পুলিশ হানা দেয়। এর পর পরই বাবাকে হেনস্থা করছে দেখে অপমানে আত্মঘাতী হয় মেধাবী ছাত্রী। তার পরই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হেমায়েতপুর মোড়ের কাছে মৃতদেহ নিয়ে পথ অবরোধে শামিল মৃত ছাত্রীর পরিবারের লোকেরা।মৃতের বাবার দাবি আজ দুপুরে হঠাৎই একটি অয়েল কোম্পানির লোকেরা এসে বলে, সে নাকি ডুপ্লিকেট ইঞ্জিন অয়েল বিক্রি করছে, এই অভিযোগ তুলে নাদনঘাট থানা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এসে তার বাড়িতে তল্লাশি চালায় এবং বেশ কিছু ইঞ্জিন অয়েল নিয়ে যায়। বাবাকে হেনস্তা করতে দেখে অপমানে আত্মঘাতী হয় ক্লাস টুয়েলভের ওই মেধাবী ছাত্রী।এর পরই হেমায়েতপুর মোড় এলাকায় পথ অবরোধে সামিল হন মৃতের আত্মীয় পরিজনেরা। মিনিট ত্রিশ অবরোধ চলার পর অবরোধ উঠে যায়। মৃত ওই ছাত্রীর নাম সৌমি সিংহ সে নবদ্বীপের তারাসুন্দরী স্কুলের ক্লাস টুয়েলভের ছাত্রী। মেয়ের মৃত্যুর পরই মৃত ওই ছাত্রীর বাবা ওই ইঞ্জিন অয়েল কোম্পানির আধিকারিক ও স্থানীয় এক দোকানদারের বিরুদ্ধে তাঁর মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে অভিযোগ তুলেছেন।

অক্টোবর ২১, ২০২২
রাজ্য

টেট মামলাকারী ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু, উঠল একাধিক প্রশ্ন

এসএসসি, প্রাইমারি সহ শিক্ষাক্ষেত্রে নানা কাণ্ডকারখানার মধ্য়েই এক টেট আন্দোলনকারীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। প্রাইমারি টেটে উত্তীর্ণ হতে না পেরে পরীক্ষায় অকৃতকার্য করানোর অভিযোগ এনে মামলা করেছিলেন ওই চাকরিপ্রার্থী। আন্দোলনে নেতৃত্বও দিয়েছিলেন। সেই মামলা এখনও চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। ওর পরিবার ও বন্ধুরা মনে করছে, ওই মামলার রায় জানার আগেই অবসাদে আত্মঘাতী হলেন বসিরহাটের বাদুড়িয়ার চাকরিপ্রার্থী। ২০১৭ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নির্ণায়ক টেট দিয়েছিলেন রাজু গাজি(২৯)। মৃতের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের বাদুড়িয়া থানার চাতরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৷ যোগ্য় প্রার্থীরা চাকরি পেলে এভাবে ছেলে চলে যেত না, আক্ষেপ মৃতের বাবা ইসরাইল গাজী।রাজু গাজির আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত হাইকোর্ট মামলা করেন। এই মর্মে প্রাথমিক টেট ২০১৭ পরীক্ষা ১৫০ টি প্রশ্নের মধ্যে ৮ টি প্রশ্নের উত্তর ভুল দেওয়া হয়েছে। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। কিন্তু ওই মামলার রায় জানার আগেই মৃত্যু হল রাজুর।জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন রাজু। বাড়ি ফিরতে দেরি করায় তাঁর পরিবারের লোকজন চিন্তায় পড়েন। পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ তাঁর ফোনে কথাও হয়নি। দেরি হতে থাকায় তাঁদের টেনশন আরও বাড়তে থাকে। রাজুকে ফোন করলে এক জিআরপি আধিকারিক ফোনটা ধরেন। তখন দুঃসংবাদ জানাতে পারে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। জানা গিয়েছে, ঠাকুরনগর ও চাঁদপাড়া স্টেশনের মাঝে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে রাজুর।

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২
রাজ্য

সুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড কোনও কাজে আসেনি তাই আত্মহত্যা করেছিলো তিথি দলুই, দাবি এসএফআইয়ের

পথ অবরোধ, বিক্ষোভ এসএফআইয়ের। সুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড কাজে আসেনি আত্মহত্যা করেছিলো তিথি দলুই, কলকাতায় দুই ছাত্রের খুনের ঘটনায় কেনো উদাসীন ছিলো পুলিশ, এবং স্কলারশিপ চালুর দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ি শহরের অন্যতম ব্যাস্ত পথ ডিবিসি রোডের যাবতীয় গতিবিধি বেশ কিছু সময়ের জন্য থমকে যায় এসএফআইয়ের বিক্ষোভ আন্দোলনের কারনে।এই প্রসঙ্গে এসএফআইয়ের নেতৃত্ব জানান, সুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড আসলে ভাঁওতা, তাই এর সুযোগ সুবিধে না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়েছিলো তিথি দলুইকে, তাই এসএফআই ছাত্র ছাত্রীদের জন্য স্কলারশিপ চালুর দাবী করছে। এর পাশাপাশি কলকাতার মতো জায়গায় এত দিন নিখোঁজ থাকার পর দুই ছাত্রের মৃতদেহ মর্গে পরে ছিলো অথচ পুলিশ ই জানলো না, এটি চরম গাফিলতির প্রমান রাখে।

সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২২
রাজ্য

স্বামীর খুনের আসামী ছাড়া পাওয়ায়, আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন অনুপম দত্তের স্ত্রী

এদিন আদালত থেকে মূল অভিযুক্ত বাপি পণ্ডিতের জামিনের খবর এলাকায় জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। তারা একজোট হয়ে রাত পৌনে দশটা নাগাদ আগরপাড়া তেঁতুলতলা মোড়ে বিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখতে থাকে। এদিকে জামিন পাওয়ার ঘটনার খবরে বিক্ষোভ চলাকালীনই অনুপম দত্তের স্ত্রী তথা ওই ওয়ার্ডের পৌরমাতা মীনাক্ষী দত্ত তার দুই সন্তানকে নিয়ে ঘরের মধ্যে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তার মায়ের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে কামারহাটি সাগরদত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাকে ভর্তি করা হয় এবং বর্তমানে তিনি হাসপাতালের সিসিইউ ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিক্ষোভকারী বলেন, যদি বাপিকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে আগামী দিনে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন ।এখানে উল্লেখ্য, ১৩ মার্চ ২০২২ অনুপমের বাড়ি থেকে সামান্য দূরে, আগরপাড়া স্টেশন রোডে স্কুটারে ওঠার মুহুর্তে এক দুষ্কৃতী কয়েক হাত দূর থেকে অনুপমকে লক্ষ করে গুলি চালায়। তৎকালীন পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনুপমের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় । সেই রাতের মধ্যে গ্রেফতার হয় অমিত পণ্ডিত। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দাদের তদন্তে উঠে আসে, খুনের সুপারি দিয়েছিল বাপি। জানাযায় এর আগে অন্য এক দুষ্কৃতীকে অনুপমকে মারা জন্য সুপারি দেইয়েছিল বাপি, সে কাজটি না করায় পুর ভোটের ঠিক পরেই অমিতকে কাজে লাগায়। সেই ঘটনার পরেই অনুপম দত্তের স্ত্রী মীনাক্ষী ও আত্মীয় পরিজনেরা দোষীদের চরম শাস্তির দাবি করে আসছিলেন। এমতবস্থায় বাপি জামিন পেয়ে গেলে তাঁদের কোনও ক্ষতি হতে পারে সেই আশঙ্কায় মীনাক্ষী ও তাঁর পরিবার।

আগস্ট ৩০, ২০২২
রাজ্য

পরিত্যক্ত ঘর থেকে দম্পতির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্ধে পুলিস

বাড়ির পরিত্যক্ত ঘর থেকে দম্পতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার কে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো মালদার চাঁচলের কলিগ্রাম এলাকায়। খবর পেয়ে গতকাল রাতে দেহ দুটি উদ্ধার করেছে চাঁচল থানার পুলিশ। কেন এই আত্মহত্যা, তা নিয়ে ধন্ধে সবাই। এনিয়ে এখনও থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও রহস্যের কিনারা করতে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে।মৃত দম্পতির নাম যোগেন রক্ষিত (৫২) ও সোনামনি রক্ষিত (৪৩)। যোগেনবাবু জমি কেনাবেচার ব্যবসা করতেন। তাঁরা নিঃসন্তান। কলিগ্রামে পৈতৃক পুরোনো বাড়িতে বসবাস করতেন এই দম্পতি। গতকাল রাতে ওই বাড়িরই একটি পরিত্যক্ত ঘরে তাঁদের ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান প্রতিবেশীরা। তাঁরা যোগেনবাবুদের আত্মীয়দের খবর দেন। খবর দেওয়া হয় চাঁচল থানাতেও। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেহ দুটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে ওই দম্পতি ওই বাড়িতেই থাকতেন। প্রতিবেশীদের সাথে তেমন যোগাযোগ রাখতেন না তারা।যোগেনবাবুর ভাইপো ছোটন রক্ষিত জানান, কাকু-কাকিমা একাই থাকতেন। তাঁদের ছেলেমেয়ে নেই। নিঃসঙ্গ ছিলেন। কারও সঙ্গে সেভাবে মেলামেশাও করতেন না। কাকু জমির ব্যবসা করতেন। কাকিমা বাড়িতেই থাকতেন। রাতে তাঁদের প্রতিবেশীরা আমাদের এই খবর দেন। এসে দেখি, কাকু-কাকিমা দুজনেই গলাই দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে মারা গিয়েছেন। ব্যবসার জন্য বাজারে কোনও ঋণ ছিল কিনা জানা নেই। কাকু-কাকিমার মধ্যে কোনওদিন অশান্তির খবরও শোনা যায়নি। কেন এমন হল, বুঝতে পারছি না।স্থানীয় বাসিন্দা সৌমেন রায়চৌধুরী বলছেন, শুনলাম, এক বয়স্ক দম্পতি নিজের বাড়িতেই আত্মঘাতী হয়েছেন। লোকজনের মুখে শুনেছি, তাঁদের অনেক দেনা হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে বাড়িটাতে তালা মারা থাকত। তাঁদের দেখাও যেত না। তাঁরা কারও সঙ্গে মিশতেনও না। এখন শুনছি, বাড়িতে তালা মারা থাকলেও তাঁরা এখানেই থাকতেন। এর বাইরে আমাদের আর কিছু জানা নেই।চাঁচল থানার পুলিশ জানিয়েছে, খবর পেয়ে গতকাল রাতেই দেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশের তরফে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আজ দুটি মৃতদেহই ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠানো হচ্ছে।

আগস্ট ২৭, ২০২২
কলকাতা

কোচিং সেন্টারের শিক্ষকের দ্বারা ধর্ষিতা ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা, গ্রেফতার অভিযুক্ত শিক্ষক

নরেন্দ্রপুর থানার একটি কোচিং সেন্টারের এক ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন বলবীর সিং নামে এক কোচিং সেন্টারের মালিক কাম শিক্ষক। ঐ শিক্ষককে গ্রেপ্তার করলেন নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। নরেন্দ্রপুর থানার লস্করপুর এলাকার সিং এন্ড শাও নামে ওই কোচিং সেন্টারের এক ছাত্রীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হলো বলবীর সিং নামে ওই শিক্ষককে।ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্পোকেন ইংলিশ শেখানোর জন্য নিজের খুশি মত সময়ে ওই ছাত্রীকে ডেকে পাঠাতেন। তারপরে ওই ছাত্রী কে দিনের পর দিন ধর্ষণ করতেন। কাউকে না জানানোর আবেদনের সঙ্গে ছিল খুনের হুমকি। লজ্জায়, ভয়ে, কাউকে বলতে না পেরে বাথরুমে আত্মহত্যার করার চেষ্টা করেন ওই নির্যাতিতা ছাত্রী টি। পরে মায়ের কাছে সমস্ত কথা খুলে বলায় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ছাত্রীতির মা।মায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করেন নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

আগস্ট ২৬, ২০২২
রাজ্য

আত্মঘাতী হলেন জেডিএ চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার দেহরক্ষী

আলিপুরদুয়ারের জয়ঁগা ভূলন চৌপথি এলাকায় জেডিএ চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার বাড়ি থেকে বুধবার রাতে এক ব্যাক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করল জয়ঁগা থানার পুলিশ। জানা যায় কর্তব্যরত অবস্থায় নিজের বন্দুক দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বিশিষ্ট তৃণমূল নেতা ও জয়গাঁ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার দেহরক্ষী। এর পরেই গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে।স্থানীয় সুত্রে জানা যায় মৃত ব্যাক্তির নাম কোকিল শৈব (৫৭), তিনি কালচিনি ব্লকের মেন্দাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। ইতিমধ্যেই তার মৃত দেহ উদ্ধার করেছে জয়গাঁ থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সন্ধ্যায় কর্তব্যরত অবস্থায় গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার বাড়িতেই তিনি তার বন্ধুক দিয়ে আত্মঘাতী হন। তিনি প্রায় একবছর ধরে গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার দেহরক্ষীর দায়িত্বে ছিলেন। গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার দেহরক্ষীর আত্মঘাতী হওয়ার পর থেকেই ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীদের পাশাপাশি তাদের দেহরক্ষীদের অর্থনৈতিক বাড়বাড়ন্ত দেখে গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার দেহরক্ষীও সেইরকম দুর্নীতিতে রয়েছে এমনটাই কানাঘুষো সন্দেহ করছেন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে আলিপুরদুয়ার জেলাবাসি।কিন্তু গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার দেহরক্ষীর আত্মঘাতী হওয়ার মুল কারন এখনো পর্যন্ত জনা যায়নি। কি কারনে ঘটলো এমন ঘটনা আর কেনই বা ঘটলো এই ঘটনা এই নিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলাবাসির অন্দরে উঠছে হাজারো প্রশ্ন।

আগস্ট ২৫, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

মদিনায় আগুনে পুড়ল ৪২ উমরাহ যাত্রীর দেহ! অধিকাংশই ভারতীয়—বাসে বেঁচে ফিরলেন মাত্র ১ জন

সৌদি আরবের মদিনার কাছে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় নিভে গেল কমপক্ষে ৪২টি প্রাণ। উমরাহ হজে যাওয়া ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের নিয়ে মক্কার পথে যাচ্ছিল বাসটি। ভারতীয় সময় অনুযায়ী সোমবার রাত প্রায় একটা বেজে তিরিশ মিনিট নাগাদ মুফরিহাট এলাকায় একটি ডিজেল ট্যাঙ্কারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বাসটির। প্রচণ্ড ধাক্কার পর মুহূর্তের মধ্যে আগুন ধরে যায় পুরো গাড়িতে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বাসটি আগুনের গোলায় পরিণত হয়, আর তাতেই মৃত্যু হয় অধিকাংশ যাত্রীর।সৌদি পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, দুর্ঘটনার সময় প্রায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। আগুন লাগার পর কেউ বেরোনোর সুযোগই পাননি। বাসটিতে ১১ জন মহিলা ও ১০ জন শিশু ছিলএমনটাই জানা গিয়েছে। মৃতদের অধিকাংশই ভারতের হায়দরাবাদের বাসিন্দা। এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দেহগুলি এতটাই পুড়ে গিয়েছে যে কারও পরিচয় নির্ণয় করতেও বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন তদন্তকারীরা। এই মর্মান্তিক ঘটনায় বেঁচে গিয়েছেন মাত্র একজনমহম্মদ আব্দুল শোয়েবযিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।ঘটনার পর শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। তিনি জানিয়েছেন, রিয়াধের ভারতীয় দূতাবাস এবং জেদ্দার কনস্যুলেট ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে। হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি দ্রুত মৃতদেহগুলো ভারত ফেরাতে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।অন্যদিকে, তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি বলেন, রাজ্য সরকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। দিল্লি ও জেদ্দার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। পরিবারগুলিকে সাহায্যের জন্য জরুরি ভিত্তিতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। শুরু হয়েছে একাধিক হেল্পলাইন নম্বরও।তেলঙ্গনা সরকারের হেল্পলাইন নম্বর: +91 7997959754, +91 9912919545জেদ্দা কনস্যুলেটের নম্বর: 8002440003সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল দেহ শনাক্তিকরণ। দেহগুলি এতটাই অগ্নিদগ্ধ যে DNA পরীক্ষার মতো জটিল প্রক্রিয়া ছাড়া পরিচয় জানা প্রায় অসম্ভব। ফলে দেহ দেশে ফেরানোও দীর্ঘ সময় নিতে পারে। ইতিমধ্যেই কূটনৈতিক স্তরে তৎপরতা বেড়েছে, কারণ পরিবারগুলির একমাত্র দাবিযেন দ্রুত প্রিয়জনদের দেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

কোথায় সেই শীত? ডিসেম্বরেও রাতের তাপমাত্রা বাড়বে বাংলায়

রাজ্যজুড়ে শীতের আমেজ ধীরে ধীরে মিলছে ঠিকই, কিন্তু প্রত্যাশিত সেই ঠান্ডা এখনও অধরাই। ভোরের দিকে পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে নামছে। সকালের হিমেল হাওয়া আর সন্ধ্যার শিরশিরে ঠান্ডায় মানুষ গরম জামা গায়ে দিচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু দিনের মাঝামাঝি রোদের তেজ এখনও বেশ ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে। যার ফলে চেনা ডিসেম্বরের সেই কনকনে ঠান্ডা এখনও ফিরছে না বাংলায়।আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এখনই জাঁকিয়ে ঠান্ডা নামবে না। বরং সংক্রান্তি পেরোলেই তাপমাত্রা আরও বাড়বে। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল, যা এখন শ্রীলঙ্কা উপকূলের কাছে অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। এই অবস্থানের কারণেই বাংলার উপর দিয়ে বইতে থাকা উত্তুরে হাওয়ার দাপট কমে যাবে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাধান্য পাবে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে আসা উষ্ণ বাতাস।বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গকোথাও বড় ধরনের বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া দফতর। তবে ভোরবেলা কুয়াশায় ঢেকে থাকবে আকাশ। দৃশ্যমানতা কমে যেতে পারে বিভিন্ন জায়গায়।আলিপুর দফতরের পূর্বাভাস বলছে, সোমবার থেকেই তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করবে। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতে রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে। উত্তরবঙ্গেও রাতের দিকে শীত একধাক্কায় কমে যাবে। ফলে শীতের হিমেল স্পর্শ আরও কিছুটা পিছিয়ে যেতে পারে।এরই মধ্যে আরেকটি নতুন সিস্টেম তৈরি হওয়ার ইঙ্গিত মিলছে। মধ্য দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে নতুন একটি ঘূর্ণাবর্ত। আগামী ৭২ ঘণ্টায় সেটি শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এই পরিস্থিতি শীতকে আরও কয়েকদিন পিছিয়ে দিতে পারে।সব মিলিয়ে, শীতের অপেক্ষায় থাকা বাঙালিরা হয়তো ডিসেম্বরের শেষ দিকেই পেতে পারেন সেই পরিচিত ঠান্ডার ছোঁয়া। আপাতত আবহাওয়া বলছেশীত আসবে, তবে একটু দেরিতে।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
বিদেশ

ফাঁসি! মানবতা বিরোধী অপরাধে দোষী শেখ হাসিনা—বাংলাদেশে নজিরবিহীন রায়

বাংলাদেশের রাজনীতি যেন মুহূর্তে ঝড়ের চোখে ঢুকে গেল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সোমবার ঘোষণা করল সেই রায়, যার জন্য দেশজুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে ছিলমানবতা বিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আদালত তিনটি ধারায় তাঁকে দোষী ঘোষণা করে সরাসরি ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে। সেই সঙ্গে একই অপরাধে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও। বাংলাদেশ পুলিশের প্রাক্তন আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও দোষী প্রমাণিত হয়েছেন গণহত্যার মামলায়।রায় ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আদালত চত্বরের বাইরে এক অদ্ভুত নীরবতা নেমে আসে। তারপরই শুরু হয় দেশজোড়া তাণ্ডব। ঢাকার রাস্তায় বিক্ষোভ, ককটেল বিস্ফোরণ, আগুন লাগানোসব মিলিয়ে যেন বিস্ফোরণের মতো ছড়িয়ে পড়ে খবরটি। আদালতে ৪৫৩ পাতার রায় পড়তে সময় লাগলেও, রায়ের অভিঘাত সরাসরি গিয়ে লাগে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে।আদালত জানায়, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার সময় একাধিক গণহত্যা, নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বহু সাক্ষ্য-প্রমাণ, ভিডিও ফুটেজ, গোপন নথি আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক স্পষ্ট করে বলেন, এটি ইতিহাসে নথিবদ্ধ হওয়ার মতো অপরাধ। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে।প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও একই ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের সাবেক আইজি আবদুল্লাহ আল-মামুনও দোষী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। আদালতের মন্তব্যতিনজনের সমন্বিত ভূমিকার কারণেই এই ভয়াবহ ঘটনাগুলো দেশের নাগরিকদের জীবনে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে।রায়ের পরই ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ, সেনা ও র্যাব নামানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রায় ঘিরে প্রচুর বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আওয়ামী লিগ সমর্থকেরা রায়কে রাজনৈতিক প্রতিশোধ বলে দাবি করেছেন, অন্যদিকে সরকার সমর্থকেরা বলছেনএটা ইতিহাসের বিচার।বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশে যে ঝড় চেপে বসেছে, তার রেশ এখন শুধুই রাস্তায় নয়সরাসরি দেশের ভবিষ্যতের ওপরও পড়ে যাচ্ছে।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

দাগী প্রার্থী পরীক্ষায় বসলেন কীভাবে? এসএসসি-র ব্যাখ্যায় বাড়ল রহস্য

একাদশদ্বাদশের এসএসসি ফলপ্রকাশ হতেই যে নামটি সবচেয়ে বেশি উত্তাপ ছড়িয়েছে, তা হল নীতীশরঞ্জন বর্মন। কয়েক মাস আগেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি যে দাগী প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছিল, সেখানে স্পষ্টভাবে ছিল নীতীশরঞ্জনের নাম। আর সেই নীতীশই এবার নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরীক্ষায় বসে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকও পেয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছেএকজন দাগী প্রার্থী কীভাবে পরীক্ষায় বসলেন? কীভাবে ইন্টারভিউয়ের তালিকায় নাম উঠল? বিতর্ক মুহূর্তে চড়ে গিয়েছে মাথা তুলেই।এই অভিযোগ আদালতে তুলে ধরেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে মামলা গৃহীত হয়েছে। আদালতে শামিম জানান, নীতীশরঞ্জন বর্মন নামে ওই প্রার্থী অযোগ্য হয়েও পরীক্ষায় বসেছেন, এমনকি ভেরিফিকেশনের জন্যও ডাক পেয়েছেন। একই অভিযোগ করেছেন নীতীশরঞ্জনের স্ত্রীও, যাঁর সঙ্গে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। তিনিই প্রথম আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি সামনে আনেন। তাঁর দাবি, নীতীশ দাগী হয়েও ভুলভাবে পরীক্ষায় বসেছেন এবং এখন ভেরিফিকেশন রাউন্ডেও জায়গা পেয়েছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।বিতর্কের ঢেউ যখন তুঙ্গে, তখন স্কুল সার্ভিস কমিশন মুখ খুলল। কমিশনের বক্তব্য, ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট বিশেষভাবে সক্ষম প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কিছু ছাড়ের কথা বলেছিল। সেই নির্দেশ মানতেই নাকি কিছু ক্ষেত্রে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে এসএসসি একই সঙ্গে জানিয়েছে, সব তথ্যই যাচাই করা হচ্ছে। কারও ক্ষেত্রে যদি গরমিল ধরা পড়ে, দাগী হয়েও কেউ যদি সতর্কতা সত্ত্বেও তালিকায় ঢুকে পড়েন, তাহলে ভেরিফিকেশনের সময় সেই প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার পূর্ণ অধিকার কমিশনের রয়েছে।এদিকে আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য সম্পূর্ণ বিপরীত। তাঁদের দাবি, সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট ভাষায় বলেছেএকজনও দাগী প্রার্থী পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য যে ছাড়ের কথা বলা হয়েছিল, তা বয়স বা শারীরিক অবস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, দাগী তালিকার ক্ষেত্রে নয়। ফলে নীতীশরঞ্জন বর্মন কীভাবে পরীক্ষায় বসলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন আরও ঘনীভূত হচ্ছে। আদালতকক্ষে এই ব্যাখ্যার ওপরেই নজর এখন সবার।রবিবার দিনভর এই বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা চলেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তীব্র আলোচনার ঢেউ। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেনআইনের ফাঁক কি কাজে লাগাল নীতীশ? নাকি নিয়োগ ব্যবস্থার ত্রুটি এতটাই গভীর যে দাগী তালিকা থাকা সত্ত্বেও এমন ভুল সম্ভব? এখন অপেক্ষা আদালতের সিদ্ধান্তের, আর সেই সিদ্ধান্তই ঠিক করবে নীতীশরঞ্জনের মতো বিতর্কিত প্রার্থীর ভবিষ্যৎ।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

অভিজ্ঞতার ১০ নম্বর নিয়ে তোলপাড়! এসএসসি তালিকায় ১৯৯৭ পর জন্মেও ‘এক্সপেরিয়েন্স’?

এসএসসি-র এগারো-বারোর শিক্ষক নিয়োগে ফের নতুন করে বিতর্কে আগুন লেগেছে। উচ্চ কাট-অফের চাপে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নতুনরা। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে ৬০ নম্বরের মধ্যে পূর্ণ ৬০ পেলেও চাকরি হয়নি একাধিক প্রার্থীর। কমিশনের প্রকাশিত প্রাথমিক তালিকায় দেখা যাচ্ছে, মোট ২০ হাজারের সামান্য বেশি প্রার্থীকে ডাকা হয়েছে, আর সেই তালিকার বড় অংশেই ইন-সার্ভিস শিক্ষকেরা সুবিধা পেয়েছেন অভিজ্ঞতার অতিরিক্ত দশ নম্বরের জোরে। এই বাড়তি নম্বরেরই বিরোধিতায় এবার পথে নেমে সরব হয়েছেন নবাগত চাকরিপ্রার্থীরা।বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ আরও বিস্ফোরক। তাঁদের বক্তব্য, যাঁদের জন্ম ১৯৯৭ সালের পর, এমন বহু প্রার্থীও নাকি অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ১০ নম্বর পেয়েছেন বলে তালিকায় দেখা যাচ্ছে। বয়সের হিসাবে যা একেবারেই অসম্ভব। এই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল বাড়তেই স্কুল সার্ভিস কমিশন নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। কমিশনের বক্তব্য, যে প্রাথমিক তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণই প্রার্থীদের অনলাইন মাধ্যমে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি। আপাতত ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার নম্বর যুক্ত করে প্রাথমিক তালিকা বানানো হয়েছে। এর পরেই তথ্য যাচাইকরণ চলবে। সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশনে কোনও গরমিল ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ যাবেন। পরে অঞ্চলভিত্তিক ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশ করা হবে।এদিকে অভিযোগ উঠছে কাট-অফ এতই বেশি যে, ভালো নম্বর পেয়েও বহু প্রার্থী তালিকার বাইরে। ইংরেজিতে কাট-অফ ৭৭, বাংলায় ৭৩, অঙ্কে ৭১ এবং ইতিহাসে ৭৫এই অত্যাধিক কাট-অফের কারণেই নাকি পূর্ণ নম্বর প্রাপ্তদের মধ্যেও বাদ পড়ার ঘটনা ঘটছে। যদিও কমিশন সূত্রের দাবি, যাঁদের ডাকা হয়েছে তাঁদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই ফ্রেশার। কিন্তু কমিশনের এই ব্যাখ্যায় পরিস্থিতি শান্ত তো হয়নি, বরং ক্ষোভ আরও বেড়েছে।করুণাময়ী থেকে বিকাশ ভবন পর্যন্ত এ দিন রীতিমতো মিছিল করে বিক্ষোভ দেখান নবাগত চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, অভিজ্ঞতার অতিরিক্ত ১০ নম্বর প্রক্রিয়াটাই অবিচার। ফুল মার্কস পেয়েও যদি ইন্টারভিউর ডাক না আসে, তাহলে নিয়োগ পদ্ধতি প্রশ্নের মুখে পড়ে। ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি, আর এই নিয়েই সরগরম রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের অঙ্গন।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
বিদেশ

শেখ হাসিনার পরিবারের ইতিহাস এবার মুছে ফেলবে কে? ধানমন্ডি ৩২-এ রহস্যময় তৎপরতা

বাংলাদেশে যেন ইতিহাসের এক ভয়াবহ পুনরাবৃত্তি। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী মামলার ৪৫৩ পাতার রায় পড়া চলছে আদালতে, আর ঠিক সেই সময়েই ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ির সামনে দেখা গেল দুটি পে-লোডার। দৃশ্যটি ছড়িয়ে পড়তেই মুহূর্তে তোলপাড় বাংলাদেশ। প্রশ্ন উঠলঅন্তর্বর্তী ইউনূস সরকার কি তবে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সমস্ত চিহ্ন মুছে ফেলতে চাইছে?পুলিশ সূত্রে পাওয়া তথ্য আরও উদ্বেগ বাড়ায়। জানা গেছে, ধানমন্ডির বাড়ির যে অংশ এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতেই এই পে-লোডার আনা হয়েছিল। কিন্তু বাড়ির দিকের পুলিশি ব্যারিকেডে আটকে যায় তারা। এরপরই তাঁদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এলাকায় তখন উত্তেজনা টগবগ করছে।এদিকে কয়েক মিনিটের মধ্যেই পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সেনা ও পুলিশের কার্যত মুখোমুখি সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ব্যারিকেড তুলে বিক্ষোভ থামাতে চাইলে ক্ষুব্ধ জনতা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। দুটি পক্ষের সংঘর্ষে বহু বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর।পটভূমিটা আরও জটিল। ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট আওয়ামী লিগ সরকারের পতনের পর, এবং শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাতের অন্ধকারে পে-লোডার এনে ভেঙে ফেলা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি-বিজড়িত এই ৩২ নম্বর বাড়ি। পরে তাতে আগুন লাগানো হয়। দেশজুড়ে সেই ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। আর এবার আবারও, ঠিক রায়ের দিন, পে-লোডার নিয়ে বাড়ির সামনে হাজির হওয়ায় সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে।শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। ঢাকার রাস্তায় ককটেল বোমা ফাটছে, সিলেট-ময়মনসিংহ-কুষ্টিয়া মিলিয়ে সাতটি বাস, ভ্যান, এমনকি অ্যাম্বুল্যান্সেও আগুন ধরানো হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার বাড়িতেও হামলা হয়েছে। নিষিদ্ধ আওয়ামী লিগ রবিবার থেকেই সারাদেশে শাটডাউন ডেকেছে।অবস্থা এতটাই ভয়ংকর যে ৫৫ হাজার পুলিশকে মোতায়েন করতে হয়েছে। সেনা ও বিজিবি নেমেছে রাস্তায়। প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছেকোথাও আগুন লাগানো বা ককটেল ছোড়া দেখা গেলে সরাসরি গুলি চালানো হবে।এমতাবস্থায় ধানমন্ডি ৩২-এ পে-লোডারের উপস্থিতি শুধু উত্তেজনা নয়এক ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকেতও বয়ে আনছে। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির অবশিষ্টাংশ ভাঙার চেষ্টা আসলে প্রতীকীদেশের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারটিকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার আরেক প্রচেষ্টা কি? রায় ঘোষণার মাঝেই এমন দৃশ্য পুরো বাংলাদেশকে নতুন করে টালমাটাল করেছে।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

‘কাগজ নেই, তাই ফিরছি’—এসআইআর শুরু হতেই সীমান্তে তিনশো বাংলাদেশির ভিড়

ভারতবাংলাদেশ সীমান্তের হাকিমপুর চেকপোস্টে সোমবার সকাল থেকেই ভিড় জমেছে শয়ে-শয়ে মানুষের। কারও হাতে ট্রলি ব্যাগ, কারও মাথায় বোঁচকা, আবার কেউ লোটা-কম্বল বেঁধে দাঁড়িয়ে কাতর চোখে তাকিয়ে রয়েছেন সীমান্তের দিকে। প্রত্যেকের একটাই লক্ষ্যযত তাড়াতাড়ি সম্ভব সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়া। কারণ হিসেবে অনেকেই সরাসরি জানাচ্ছেন, এসআইআর-এর ভয়ে আর থাকতে সাহস পাচ্ছেন না ভারতে।বছরের পর বছর কোনও নথিপত্র ছাড়াই রুটি-রুজির খোঁজে ভারতেই বসতি গেড়ে ছিলেন অনেক বাংলাদেশি। কেউ কলকাতার বিরাটিতে, কেউ চিনারপার্কে, কেউ আবার উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় গৃহকর্মী, দিনমজুর বা ছোটখাটো কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালাচ্ছিলেন। কিন্তু বারোটি রাজ্যজুড়ে এবং পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও এসআইআর প্রক্রিয়া এগিয়ে চলায় আচমকাই তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে তাঁদের মধ্যে। আর সেই আতঙ্কই যেন এখন তাঁদের ঠেলে দিচ্ছে সীমান্ত অভিমুখে।সোমবার সকাল থেকে দেখা যায়, স্বরূপনগর থানার অন্তর্গত হাকিমপুর সীমান্তে ভিড় জমছে শতাধিক বাংলাদেশির। দুপুরে সেই সংখ্যা তিনশো ছাড়িয়ে যায়। পুরুষ, মহিলা, কোলের শিশুসবাই মিলে বাড়ির আসবাবপত্র, কাপড়চোপড়, হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। তাঁদের সামনে কাঁটাতারের বেড়া, আর পেছনে অনিশ্চয়তায় ভরা অস্থায়ী জীবনের স্মৃতি।এরই মধ্যে সীমান্তে মোতায়েন ১৪৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের বিএসএফ জওয়ানরা তাঁদের আটকে নথিপত্র খতিয়ে দেখছেন। যাঁরা বৈধ কাগজ দেখাতে পারছেন না, তাঁদের সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেই এগোচ্ছেন জওয়ানরা। স্থানীয় মানুষ এই দৃশ্য দেখে বিস্মিত, অনেকেই বলছেনএ রকম দৃশ্য বহু বছর পর দেখা গেল। যে বাংলাদেশিরা এতদিন গোপনে ভারতেই বসবাস করছিলেন, তাঁরা এবার নিজেরাই দেশে ফিরে যেতে চাইছেন।সাবিনা পারভিন নামে এক মহিলার কথায় উঠে এসেছে সেই আতঙ্কের ছবিটা। তিনি বললেন, বাংলাদেশেই আমার বাড়ি। কিন্তু বিরাটিতে থাকতাম। কোনও কাগজপত্র নেই। বেআইনিভাবেই ছিলাম। আরও এক ব্যক্তি স্বীকার করলেন, তিনি চিনারপার্কে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। বললেন, আধারকার্ড নেই। বাংলায় এসেছিলাম পেটের দায়ে। এখন ভয় লাগছে, তাই ফিরে যাচ্ছি।সীমান্ত এলাকা জুড়ে এখন এক ধরনের চাপা উত্তেজনা। কেন এত মানুষ হঠাৎ দেশছাড়া হয়ে ফিরতে চাইছেন, তা নিয়ে নানা মহলে জোর আলোচনা। স্থানীয়দের চোখের সামনে একটি বড় পরিবর্তনের ছবিযে সীমান্ত দিয়ে একসময় বেআইনিভাবে ঢুকতেন বাংলাদেশিরা, আজ সেখানে দেখা যাচ্ছে উল্টো স্রোত। এসআইআর প্রক্রিয়ার আতঙ্কে এবার তাঁরা নিজের দেশেই ফেরার চেষ্টা করছেন।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

নির্বাচনের আগে নিউটাউনের গাড়ি থেকে মিলল টাকার পাহাড়? জিজ্ঞাসাবাদে মিলছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

নির্বাচনের আগে বাংলায় ফের টাকার পাহাড় উদ্ধারকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য। সোমবার সকালেই নারায়ণপুরের আকাঙ্ক্ষা মোড়ে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আচমকা তল্লাশি চালায় বেঙ্গল এসটিএফ। আর সেখানেই একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রায় পাঁচ কোটি টাকার নগদ। মুহূর্তে এলাকা জুড়ে তৈরি হয় উত্তেজনা। বিপুল পরিমাণ টাকা-সহ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গাড়িটি। আটক করা হয়েছে গাড়ির মালিক-সহ দুই জনকে। তদন্তকারীদের অনুমান, নিউটাউনের দিক থেকেই আনা হচ্ছিল এই টাকা। তবে টাকা কার, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এবং কেনতা এখনো ধোঁয়াশা।ইতিমধ্যেই বাংলায় জোরকদমে চলছে এসআইআর অভিযান, অন্যদিকে দুয়ারে দাঁড়িয়ে ছাব্বিশের ভোট। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দলও সদ্য বাংলায় পরিদর্শন সেরে গিয়েছে। এর মধ্যেই গাড়ি ভর্তি এত টাকা উদ্ধারে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছেএই নগদের নেপথ্যে কি নির্বাচনী কারবার? নাকি সক্রিয় কোনও অন্য অর্থচক্র? সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে এসটিএফ।টাকার উৎস জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আটক দুই ব্যক্তিকে। কোথা থেকে টাকা তোলা হয়েছিল, কার নির্দেশে নেওয়া হচ্ছিল এবং এর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক বা অন্য কোনও চক্র জড়িত কি না, তা জানতেই জোরদার তদন্ত।উল্লেখ্য, মাত্র গত সপ্তাহেই ইডি-র অভিযানে কলকাতার তারাতলায় এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল অঙ্কের নগদ। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে সেই তল্লাশি চালানো হয়েছিল। একই দিন বেলেঘাটা-সহ শহরের আরও কয়েকটি জায়গা জুড়ে চলে তল্লাশি। চলতি মাসের শুরুতেও কলকাতার একাধিক এলাকায় হানা দিয়েছিল ইডি। সল্টলেক সেক্টর ওয়ানেও হয়েছিল তল্লাশি।তবে আজকের উদ্ধার হওয়া পাঁচ কোটি টাকা দুর্নীতির কোনও চক্রের ফল, নাকি সম্পূর্ণ অন্য কারণে নগদ পরিবহণতা নিয়ে এখনই নিশ্চিত কিছু বলতে চাইছে না তদন্তকারী সংস্থা। এসটিএফ সূত্রে খবর, সবদিক খতিয়ে দেখে শিগগিরই সামনে আসতে পারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আপাতত আটক দুই ব্যক্তির জেরা চলছে, আর সেই জেরার দিকেই তাকিয়ে গোটা রাজ্য।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal