• ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, সোমবার ২৪ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Shooting

কলকাতা

হাঁটতে বেরিয়ে হঠাৎ গুলি! প্রতিবেশী প্রেমিকের নাম বলেই লুটিয়ে পড়লেন মহিলা

হরিদেবপুরে সোমবার ভোরের শুটআউট ঘিরে চাঞ্চল্য। সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ গুলিবিদ্ধ হলেন এক মহিলা। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত প্রেমিক বাবলু ঘোষকে পাকড়াও করল কলকাতা পুলিশ। ধরা পড়লেন পিটিএসের কাছে একটি গাড়ি থেকে। পুলিশের নজরে এ ঘটনাকে বড় সাফল্য হিসেবেই দেখা হচ্ছেকারণ ঘটনার মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার অভিযুক্ত।পুলিশ সূত্রের খবর, ৫০ বছর বয়সি মৌসুমী হালদার প্রতিদিনের মতো হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎই মোটরবাইকে করে দুই যুবক আসে। লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি লাগে মৌসুমীর পিঠে। লুটিয়ে পড়েই তিনি আততায়ীর নাম বলে দেনবাবলু। এলাকাবাসীও জানতেন, প্রতিবেশী বাবলু ঘোষের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল মৌসুমীর।জানা গিয়েছে, বাবলুর মুরগির ব্যবসা ছিল। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকেই মৌসুমীর সঙ্গে তাঁর প্রেম। এমনকি চুপিসারে বিয়েও করেছেন তারাএমনটাই ছড়িয়েছিল এলাকায়। বাবলুর মেয়ের বিয়েও হয়ে গেছে। অভিযোগ, কিছুদিন ধরে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন মৌসুমী। কিন্তু তাতে রাজি ছিল না বাবলু। ওই মহিলাকে সংসার ছেড়ে তাঁর সঙ্গে থাকতে জোরাজুরি করত। শেষমেশ প্রেমের জটিলতাই রক্তাক্ত পরিণতি নিল।পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, বাবলু কোনও গ্রাহকের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করে সোমবার সকালে গুলি চালায়। এরপর নিজের বাড়ির তালা বন্ধ করে জিনিসপত্র তুলে পালানোর চেষ্টা করে ভাড়ার গাড়িতে। প্রতিবেশীরা গাড়ির নম্বর দেখে রাখেন। সেই সূত্রেই শুরু হয় পুলিশের অভিযান।হরিদেবপুর থানার ওসি প্রসূন দে সরকার ও অতিরিক্ত ওসি সুদীপ্ত দেবঘরিয়ার নেতৃত্বে শুরু হয় অপারেশন। গাড়ির মালিককে ফোন করে খদ্দের সেজে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জানা যায়, গাড়িটি হাওড়ার পাঁচলায় আছে। পুলিশ গাড়ির নম্বর ট্র্যাক করে, আরেক দল পাঁচলার পথে রওনা দেয়।কিন্তু গাড়িটি মাঝপথেই ধরা পড়ে। পিটিএসের কাছে নম্বর মিলিয়ে পুলিশ গাড়ি থামায় এবং ভিতরেই বাবলুকে দেখা যায়। পাঁচলায় পালানোর পরিকল্পনা ছিল বলে দাবি পুলিশের। তার আগেই হাতকড়া পড়ল তার হাতে। আজ তাকে আদালতে তোলা হবে।দ্রুত পদক্ষেপে এই গ্রেফতারকলকাতা পুলিশের তদন্ত এবং তৎপরতার বড় নিদর্শন হয়ে রইল বলে মত অনেকের।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
রাজ্য

গভীর রাতে বোমাবাজি ও গুলি হরিহরপাড়ায়, জখম এক, গ্রেফতার ৪

সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, ওই রাতে একদল দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন শেখ ওরফে কালুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।গুলিতে তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই এই হামলা বলে প্রাথমিক অনুমান। উল্লেখযোগ্য যে, দুই পক্ষই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বলে এলাকাবাসীর দাবি।এই ঘটনায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।হরিহরপাড়া থানার নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধারসহ চার জনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানো হলো। ধৃতদের তিনজনের বাড়ি নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় একজনের বাড়ি চোয়া এলাকায়

মে ২৮, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

মুনমুনের ভালোবাসায় আপ্লুত শ্রীলেখা! রাজনৈতিক মতাদর্শ ভুলে এ এক অন্য জোট

একঝলকে দেখে মনে হতে পারে শ্রীলেখা মিত্রের মায়ের চরিত্রে মুনমুন সেন! হঠাৎ মেয়ের বাড়িতে এসে ঘর অগোছালো দেখে কোমর বেঁধে পরিপাটি করে ঘর গোছাতে শুরু করলেন। না! এটা কোনও সিনেমার শুটিং নয়। কোনও নাটকের রিহার্সাল-ও নয়। বাস্তবেই এমন ঘটেছে। এবং অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র সেই আবেগঘন দৃশ্য নিজের সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি এই বিরল মুহূর্ত চাক্ষুষ করে অবিভুত।অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র যে ভিডিও শেয়ার করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে, একদা বাংলা সিনেমার হার্টথ্রব সুচিত্রা তনয়া মুনমুন সেন ছাই রঙের ফুলছাপ শাড়ি ও স্লিভলেস ব্লাউজ পরে আঁচল কোমরে গুঁজে পরিপাটি ডাইনিং টেবিলে রাখা মিনারেল ওয়াটারের বোতলগুলি খাট লাগোয়া ছোট টেবিলে গুছিয়ে রাখছেন। মুনমুন বোতলগুলি সরাতে সরাতে বলে ওঠেন, আমি পেটিকোট খুঁজে পাচ্ছি না। মুনমুনের কান্ড দেখে কিংকর্তব্যবিমূঢ় শ্রীলেখা। অভিনেত্রী বলে ওঠেন আমার ঘর গুছিয়ে দিচ্ছেন কে দেখো! এই ভদ্রমহিলা আমার ঘর গুছিয়ে দিচ্ছেন। কোনও মানে হয়! আমি করতেও দিচ্ছি। ভিডিয়ো করছি, তবু গোছাতে নিষেধ করছি না! বলতে বলতে দুজনেই উচ্চস্বরে হেঁসে ওঠেন।কোনও কিছুকে পাত্তা না দিয়ে মুনমুন সেন ঘর গুছিয়েই চলেছেন। শ্রীলেখাও সেই অমূল্য মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে চলেছেন। সুচিত্রা সেন তনয়া তাঁর ঘর গোছাচ্ছেন, এইসব দেখে শ্রীলেখা তারস্বরে কান্নার ভঙ্গী করে বলে ওঠেন, আমার লজ্জা করছে। ভীষন লজ্জা করছে, কী মিষ্টি মহিলা! কোনও কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মুনমুনকে। একের পর এক জলের বোতল এনে বিছানার পাশে টেবিলে রাখছেন তিনি। তখন বাধ্য হয়ে শ্রীলেখাই বলেন, এ বার তুমি থামো তো! শুধু জলের বোতলের স্থান পরিবর্তন করেই ক্ষান্ত হননি মুনমুন। এর পর শ্রীলেখার মাতৃসমা মুনমুন হাত দেন শ্রীলেখার কস্টিউম বক্সে। জিজ্ঞেস করে চলেন কোনটা কী। শ্রীলেখাও আন্তরিক ভাবে তার প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর দিতে থাকেন। শ্রীলেখা বলতে থাকেন কোন শাড়ির সঙ্গে কোন গয়না কিনেছেন তিনি। পরিস্থিতি দেখে বোঝা যায়, এটি কোনও হোটেলের ঘরে দৃশ্য।অভিনেত্রীকে যোগাযোগ করা হলেও পাওয়া যায়নি। অনেকেরই ধারনা এই দুই অভিনেত্রী একসঙ্গে কোনও শুটিংয়ে গিয়েছেন! এই ভিডিয়ো শেয়ার করে সমাজমাধ্যমে শ্রীলেখা লিখেছেন, কোনও মানে হয়! এত ভালবাসা নিয়ে কী করি! কেউ দেয়নি।বাম মনোভাবাপন্ন শ্রীলেখার সাথে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মুনমুনের এই আবেগঘন মুহুর্তের পোস্টে অনেকেই আপ্লুত। রাজনৈতিক মতাদর্শ যাইহোক পেশাগত ক্ষেত্রে তার উর্ধে ওঠাটাই কাম্য। চিত্র-বিনোদন জগতে আমরা-ওরা মুলত ওই শিল্পক্ষেত্রের-ই ক্ষতি করছে বলে মনে করেন বিদগ্ধজন। এই আবেগঘন পোস্ট মুহুর্তে ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। দুই প্রবাদপ্রতিম অভিনেত্রীকে একান্ত ঘরোয়া পরিবেশে এত স্বাভাবিক কথোপকথন দৃশ্য অনুধাবন করে মুগ্ধ আপামোর নেটরসিক। দুজনের একান্ত দৃশ্য যদি কোনও সিনেমার শুটিংয়ের জন্য গিয়ে থাকেন সেই চমকের দিকেই তাকিয়ে দুই অভিনেত্রীর অনুরাগী মহল।

মার্চ ১৫, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে ছোট পর্দায় ‘দিদি’র দিদিগিরি! মমতার বড় জনসংযোগ

ছোট পর্দায় অত্যন্ত জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো দিদি নম্বর ১। এই শোয়ের সঞ্চালক অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দিদি নম্বর ১ মাতালেন বাংলার দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার প্রায় আড়াই ঘন্টা ধরে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে শ্যুটিং সারলেন মুখ্যমন্ত্রী। আপ্লুত সকলে। শোয়ের সঙ্গে যুক্তদের মত, এতদিনে যেন দিদি নম্বর ১ নামটা সার্থক হল। শ্যুটিং শেষে মুখে হাসি নিয়েই বেরতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।দিন কয়েক আগে জানাজানি হয় যে, দিদি নম্বর ১-এ দেখা যাবে মুখ্যমন্ত্রীকে। এই এপিসোডে মমতা ছাড়াও থাকবেন সৌরভ ঘরণী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা। সেই মত প্রস্তুতি সারা ছিল। এদিন নির্ধারিত সময় দুপুর বারোটায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসেন ডুমুরজলা ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দিদি নাম্বার ওয়ানএর সেটে। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল আঁটোসাঁটো। প্রায় আড়াই ঘণ্টা টানা চলে শ্যুটিংপর্ব। দুপুর তিনটে নাগাদ বেরিয়ে যান দিদি।কেমন হল দিদিগিরি? স্টেডিয়াম ছাড়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী বলে যান, সব ভাল হয়েছে।উচ্ছ্বসিত দিদি নম্বর ১-এর হোস্ট জনপ্রিয় অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপ্লুত রচনা বললেন, দারুন ভাল লাগছে। এতদিনে এই শোয়ের নামটা যেন সার্থক হল।জানা গিয়েছে, শোয়ের হোস্ট তথা অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে দেখা করে তাঁকে সেখানে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। রাজি হয়ে যান তিনি। এদিন কেবল হাজিরই হননি মুখ্যমন্ত্রী, রীতিমত ওই রিয়েলিটি শোয়ের বেশিরভাগ খেলাতেই তিনি অংশ নিয়েছেন বলে খবর।সূত্রের খবর, এই শোয়ে রুটি বেলা সংক্রান্ত একটি প্রতিযোগিতা ছিল। তাতে অংশ নেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে প্রতিযোগিতায় অংশ না নিলে রচনা তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন একটি রুটি বেলতে। মমতা উল্টে হোস্ট রচনাকেই বলেছেন রুটি বেলে দেখাতে। সেই অনুরোধ ফেলেননি রচনা। তার পরে মুখ্যমন্ত্রীও রুটি বেলে দেখিয়ে দিয়েছেন।দিদি নম্বর ১ খুবই জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো। এখানে বিভিন্নস্তরের মহিলা এসে তাঁদের জীবন যুদ্ধের গল্প তুলে ধরেন। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের জীবনযুদ্ধও নজরকাড়া। অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণার। লোকসভা ভোটের আগে সেই শোয়েই দেখা যাবে মুখ্যমন্ত্রীকে। যা ভোটের আগে মমতার অভিনব কায়দায় জনসংযোগ বলেই মনে করা হচ্ছে।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪
বিনোদুনিয়া

প্রচণ্ড দাবদাহ উপেক্ষা করে 'মিশন ওটিপি'-র একটানা শুটিংয়ের অবসান

একটানা শিডিউলে রোদ ঝড় বৃষ্টি গরম উপেক্ষা করে শেষ হল সৌমাল্য দত্ত পরিচালিত নতুন ছবি মিশন ওটিপি এর শুটিং। নাম শুনেই হয়ত কিছুটা আন্দাজ করা যাচ্ছে এই ছবির বিষয় বস্তু। একবিংশ শতাব্দীর অগ্রগতির মূল হাতিয়ার ডিজিটালাইজেসন। সেই ডিজিটালাইজেসন এ অদৃশ্য ঘাতকের হানায় দিশেহারা অধ্যাপক থেকে জনমজুর। শতশত মানুষ এর ফাঁদে পরে নিঃস্ব হচ্ছেন।মিশন ওটিপি সেই সাইবার ক্রাইমের-ই গল্প বলবে। পরিচালক সৌমাল্য দত্ত জনতার কথা কে জানালেন, এই ছবির কাহিনী মূলত গড়ে উঠেছে শহরে ক্রমাগত ঘটে চলা বিভিন্ন সাইবার ক্রাইম, ওটিপি স্ক্যাম কে কেন্দ্র করে। শহরে একের পর এক সাইবার ক্রাইমের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অবশেষে মঞ্চে অবতীর্ণ হয় লালবাজার গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ডিপার্টমেন্ট অফিসার সৌম্যজোতী বসু ও তার সহকারী সূর্য সেন। তদন্তের সুবিধার্থে তারা সাহায্য নেয় সাইবার বিশেষজ্ঞ অভিজিৎ চ্যাটার্জি যার বাবা অরুন চ্যাটার্জি ও একদা সাইবার প্রতারনার শিকার। ওদিকে জানা যায় যে এই সাইবার ক্রাইম চক্রের পেছনে আছে রেশমির সিংহ রায় নামের এক ধুরন্ধর মহিলা। শেষমেষ অভিজিৎ এর সাহায্য নিয়ে কি সৌম্যজ্যোতি ও সূর্য এই সাইবার ক্রাইমের চক্র কে ধরতে পারবে? এই নিয়েই টানটান কাহিনী জমে উঠবে।তিনি আরও জানান, মিশন ওটিপি-তে ইন্সপেক্টর সৌম্যজোতি বসুর ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে বাংলা তথা হিন্দি সিনেমার পরিচিত মুখ অনিন্দ্য পুলক ব্যানার্জী কে, এবং সূর্য সেনের চরিত্রে দেখা যাবে বাংলা সিনেমা ও ওয়েবের পরিচিত মুখ জ্যামী ব্যানার্জী কে। পরিচালক সৌমাল্য দত্ত নিজেও আছেন সাইবার বিশেষজ্ঞ অভিজিৎ চ্যাটার্জির ভূমিকায়, এবং তার বাবা অরুন চ্যাটার্জির ভূমিকায় থাকছেন বাংলা ছবির বর্ষীয়ান অভিনেতা শ্রী রজত গাঙ্গুলি। এছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন স্বাধীন পান্ডে, আশীষ পাঠক, বিশ্ববিজয় দত্ত চৌধুরী, সৌমিত্র চক্রবর্তী,সুমনা দাসের মতো পরিচিত অভিনেতা রা, সাথে আছে বনশ্রী রায়,সুলগ্না চক্রবর্তী, দীপাঞ্জলী মুখার্জি, বৈশালী চৌধুরী, যুবরাজ বাল্মীকির মতো নবাগতরা। সাথে একটি দূর্দান্ত মজাদার চরিত্রে দেখা যাবে সৌরভ সাহা ও বিখ্যাত ইউটিউবার প্রবীর কুন্ডূ কে।ছবির চিত্রনাট্য ও সংলাপ পরিচালক সৌমাল্য দত্ত নিজেই লিখেছেন, ছবিটির কাহিনী প্রসেনজিৎ পালের। সুভাশিষ গোয়েল ছবির চিত্রগ্রহণ করেছেন। এবং ছবিটি বিগ বূল মোশান পিকচার্স এর ব্যানারে প্রসেনজিৎ পালের প্রযোজনায় নির্মিত হচ্ছে। পরিচালক সৌমাল্য দত্ত-র কথায়, এই ছবির মাধ্যমে জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন, যার ফলে অনেকেই সাইবার প্রতারনার শিকার হতে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী আগষ্ট মাসের মধ্যেই মিশন ওটিপি বড়ো পর্দায় আসতে চলেছে।

মে ২২, ২০২২
বিনোদুনিয়া

কালিম্পং এ জমজমাট "বিদেহী"-র শুটিং

রুদ্র ফিল্ম প্রযোজিত সাহিন আকতার পরিচালিত বিদেহী নামক পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবির শুটিং হয়ে গেল কালিম্পং - এর বিভিন্ন জায়গায়। ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন সুচন্দন বৈদ্য ও সাহিন আকতার। প্রযোজনা করেছেন অবন্তিকা ঘোষ।এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সায়ন ঘোষ, শ্রেয়া ভট্টাচার্য শুভাশিষ সিকদার এবং গোপাল সরকার। অন্যান্য চরিত্রে দেখা যাবে সোমনাথ মন্ডল, উমা ব্যানার্জি, পাপিয়া পাল, জিৎ সুন্দর, মধ্যমা হালদার ও তৃষাণ ঘোষকে।বিদেহী হল মাতৃত্বের গল্প। দুজন মায়ের মাতৃত্ব নিয়ে গল্পের প্রেক্ষাপট তৈরি করেছেন পরিচালক। কালিম্পং- এ এক দম্পতি সপ্তর্ষি ও মেঘলা সম্পর্কের টানাপোড়ন থেকে নিজের জীবনকে অন্য এক দিশা দিতে ঘুরতে আসে। অনেকদিন থেকে চেষ্টা করেও মেঘলার মা না হতে পারা তাদের জীবনের সবথেকে বড় সমস্যার কারণ। করোনা পরবর্তী সময়ে হোটেল পেতে সমস্যা হয়। একটা হোমস্টের সন্ধান পায় তারা। হোমস্টে মেরামতের জন্য এখন বন্ধ। শুধু দেখাশোনার জন্য এক দম্পতি কানহাইয়া ও মাধুরী থাকে। মাধুরী প্রেগন্যান্ট। সপ্তর্ষি ও মেঘলা সেই হোমস্টেতে এসে থাকতে শুরু করে। তারপর সেখানে যে মাতৃত্ব ও রহস্যের জাল বুনেছেন পরিচালক তা গল্পের আসল বিষয়। পরিচালক সাহিন আকতার তার প্রথম সিনেমা নিয়ে খুব আশাবাদী। তিনি বলেন, কিছু গল্প না বলে দেখে তার স্বাদ অনুভব করতে হয়। আশা করি দর্শকদের খুব ভালো লাগবে।

মে ১৯, ২০২২
বিনোদুনিয়া

শেষ হল 'সর্বজয়া'-র শুটিং, বিষন্ন শিল্পীরা

সবকিছু শুরুরই একটা শেষ থাকে। কোনো জার্নি যখন শুরু হয় তখন আস্তে আস্তে সেই জার্নিটা শেষ ও হয়। এইভাবেই শেষ হল জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক সর্বজয়া-র শুটিং। টলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়কে অন্য রূপে সর্বজয়া ধারাবাহিকে দেখতে পেয়েছেন দর্শকরা। তাঁর সর্বজয়া চরিত্রটা কয়েকমাসের মধ্যেই দর্শকদের মন ছুঁয়ে গেছে। শুধু দেবশ্রী রায় নন, বাকি অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও এই ধারাবাহিকে নিজ গুণে সফল। অভিনেতা দেবজয় মল্লিক হার্ডকোর ভিলেন মনোসীজ-এর চরিত্রে অভিনয় করে কিছু দর্শকদের কাছে খারাপ হলেও এত সুন্দরভাবে মনোসীজ কে ফুটিয়ে তুলেছেন তা সত্যিই অনবদ্য। তবে ধারাবাহিকটা শেষ হয়ে যাওয়ায় সকলের মনেই একটা বিষণ্ণতার ছাপ। দেবজয় সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, কোনো কিছুর শেষ একটা নতুন শুরুর কথা বলে। সর্বজয়া ধারাবাহিক শেষ হল। মনোসীজ চরিত্রটির জন্য তিনি স্নেহাশিস চক্রবর্তী কে ধন্যবাদও জানিয়েছেন। দেবজয় লিখেছেন, স্নেহাশিস চক্রবর্তী দাদা তোমার কাছে আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। এই প্রোজেক্টটা আমাকে শিল্পী হিসাবে পরিচিতি দিয়েছে। পরপর দুটো অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। মনোসীজ তোমায় মিস করবো। এই চরিত্রটার জন্য দেবজয় তাঁর স্ত্রী রূপসা চক্রবর্তীকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।জনতার কথা-র পক্ষ থেকে সর্বজয়া-র সকল সদস্যদের জন্য রইল অনেক শুভেচ্ছা। আগামী প্রোজেক্টগুলো তাদের খুব ভালো হোক।

মে ০৯, ২০২২
বিনোদুনিয়া

শেষ হল অগ্নিশিখার শুটিং, স্মৃতিমেদুর কলাকুশলীরা

শেষ হয়েও হইল না শেষ। গতকাল ছিল অগ্নিশিখা ধারাবাহিকের শেষ দিনের শুটিং। শেষ দিনের বিষাদের ছোঁয়ার মধ্যেও এক বছরের বেশি সময় এই ধারাবাহিকের কলাকুশলীদের একসঙ্গে আনন্দ, হাসি, পরিবারের মতো থাকা পুরো দেশটা একটু হলেও রয়ে গেল। শেষ দিনের শুটিংয়ে বাড়ি তাড়া ছিল না। সবাই অনেক আনন্দ করে শেষ দিনটা উপভোগ করল। তবে বিদায়বেলায় বা লাস্ট শট দেওয়ার সময় সবার চোখ ছলছল করে ওঠে। পরিচালক সন্দীপ চৌধুরী জানালেন, অগ্নিশিখায় আমরা অনেকে অনেককে চিনেছি। আমরা সবাই মিলে একটা বড় ফ্যামিলি হয়ে গেছি। একটা লম্বা জার্নি আমাদের। আমরা অনেকেই অনেককে চিনতাম না। সেটা চিনেছি এবং বন্ধু হয়ে গেছি। যে সকল দর্শকরা অগ্নিশিখা দেখেছেন তাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ। অগ্নিশিখা দিয়ে প্রথম সিরিয়াল তাও আবার মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরাত্রিকা মাইতি অর্থাৎ ধারাবাহিকের শিখা। শেষবেলায় শিখা ও বিক্রম অর্থাৎ আরাত্রিকা ও সৌর্যর কথা ভারী হয়ে আসছিল। অগ্নিশিখা শেষ হয়ে গেল। শুধু একটা ধারাবাহিক এর মধ্যে দিয়ে শেষ হল না। একটা পরিবারের সদস্যরা যেন দলছূট হয়ে পড়ল।

মার্চ ২৩, ২০২২
বিনোদুনিয়া

Jatugriha : শেষ হল 'জতুগৃহ'-র শুটিং

পরিচালক সপ্তাশ্ব বসুর নতুন ছবি জতুগৃহ-র শুটিং শেষ হল। শেষদিন উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত, অভিনেত্রী পিয়ালি চ্যাটারজি প্রমুখ। এই ছবিতে ৬০ বছরের যাজকের চরিত্রে রয়েছেন পরম্ব্রত চট্টোপাধ্যায়। যেটা একটা বড় চমক।পরিচালক সপ্তাশ্ব বসু জানালেন,আমাদের এই ছবিটা সাইকোলজিক্যাল হরোর ফিল্ম। এই ছবিটা নিয়ে সকলের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। বনিকে অন্যভাবে পাওয়া এবং সঙ্গে সুপারন্যাচার্যাল এলিমেন্ট অ্যাড করা, পরমব্রত-দা কে ৬০ বছরের যাজকের ভূমিকায় দেখা সবকিছুই রয়েছে। আমাদের সেই শুটিং আজ শেষ হল।জতুগৃহ প্রসঙ্গে অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত জানালেন,খুবই ভালো একটা গল্প। একটু অন্যধরণের একটা গল্প। যেখানে আমি কাজ করছি। এটা একটা হরোর জনরের গল্প। হরোর পার্সোনালি আমার খুব ফেভারিট। আমি দেখতে খুব পছন্দ করি। এখানে আমার ক্যারেক্টারটা খুব ভালো রিয়েলেস্টিক। সাধারণত আমরা যাদের এড়িয়ে যাই সেরকম একটা ক্যারেক্টার। সেখান থেকে সে যখন পাহাড়ে যায় তার লাইফে কি কি চেঞ্জেস আসে সেগুলো নিয়েই গল্পটা।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Shahid Kapoor : এই ছবির (জার্সি) সাথে আমার রক্ত জড়িয়ে আছেঃ শাহিদ কাপুর

২০২১ এর একদম শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে শাহিদ কাপুর অভিনীত ছবি জার্সি। গৌতম তিন্নানুরির পরিচালিত এই ছবি নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। দর্শকরা বছরের শেষটা একটা ভালো ছবি দেখে করতে চাইছেন। এই ছবির নির্মাতারা এবার সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি বিহাইন্ড দ্য সিনের ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে শাহিদ কাপুরের ক্রিকেটার অর্জুন তলোয়ার হওয়ার ঘটনাটা দেখানো হয়েছে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে ক্রিকেট প্র্যাকটিসের সময় তাঁর ঠোঁট ফেটে রক্ত পড়ছে। শুধু তাই নয়, রক্ত বন্ধ করতে করা হয়েছিল নাকি ২৫টি সেলাই ! ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে ব্যাট হাতে ২২ গজে শাহিদ। ব্যাটিং অনুশীলনে ফাঁকি না দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর লক্ষ্য ছিল পর্দায় যেন একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রতিটি ভঙ্গি, শট একেবারে যেন নিখুঁত হয় যেমনটা পেশাদার ক্রিকেটাররা করেন ঠিক সেরকমই। সেরকমই একদিন ২২ গজে অনুশীলনে ব্যস্ত ছিলেন শাহিদ। তখনই ঘটে এক ঘোরতর বিপত্তি। একটা বল সজোরে এসে লাগে তাঁর ঠোঁটে। সঙ্গে সঙ্গে ফেটে যায় বলি-তারকার ঠোঁট। আঘাত এতটাই গুরুতর হয় যে রক্তে ভেসে যেতে দেখা যায় শাহিদের সাদা জার্সি। রক্ত থামানোর জন্য ক্ষতস্থানে রুমাল চেপে ধরলেও নিমিষে সেটিও লাল হয়ে যায় রক্তে।This one has my BLOOD. #JerseyOfDreamshttps://t.co/gacdiaVSYq pic.twitter.com/K3DffclHR2 Shahid Kapoor (@shahidkapoor) December 18, 2021সবাই যখন বিভ্রান্ত, পাশ থেকে একজনকে বলতে শোনা যায়, ডাক্তারের কাছে এখনই যাওয়া যাক? এরপর ২৫টি সেলাই পড়ে শাহিদের ঠোঁটে। ফলে বহুদিন জার্সির শ্যুটিং বন্ধ রাখা হয়েছিল। অভিনেতা সুস্থ হওয়ার পর আরও একবার শ্যুটিং শুরু হয়। এই প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে শাহিদ নিজের মুখে স্বীকার করেছেন, এই ছবিতে আমার সবথেকে স্মরণীয় মুহূর্ত সম্ভবত সেটাই ছিল। চোটের রকমফের দেখে মনে প্রশ্ন উঠেছিল আমাকে কি আর আগের মতো দেখতে লাগবে? তবে এই ছবির জন্য শাহিদ কাপুরকে যে কতটা পরিশ্রম করতে হয়েছে তা আরও একবার প্রমাণিত হল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Ena : কাশ্মীরে শুটিং করলেন এনা

এসওএস কলকাতা-র মাধ্যমে প্রযোজক হিসাবে অভিষেক হয় টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী এনা সাহার। অভিষেক হওয়ার পরেই এবার পরপর কাজ হচ্ছে এনা সাহার প্রোডাকশন হাউস জ্যারেক এন্টারটেইনমেন্ট থেকে। সম্প্রতি শুটিং শেষ হল শিলাদিত্য মৌলিকের পরিচালনায় চিনে বাদাম এর শুটিং।। যেখানে হিরো যশ দাশগুপ্ত ও হিরোইন এনা সাহা। সেই ছবির একটি গানের শুটিং হল কাশ্মীরে। উপস্থিত ছিলেন এনা,যশ ও পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিক। এর পাশাপাশি জ্যারেক এন্টারটেইনমেন্ট যশ ও নুসরত কে নিয়ে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি বানাচ্ছে। সেই ছবির গানের শুটিং হল। এর পাশাপাশি জ্যারেক এন্টারটেইনমেন্ট থেকে একটি মিউজিক ভিডিও রিলিজ করছে। যেখানে এনা সাহা ও রবি শ অভিনয় করছেন। সেই মিউজিক ভিডিওর শুটিংটাও সেরে নিলেন তিনি ভূস্বর্গ কাশ্মীরে।

নভেম্বর ০৫, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Midnapore : মেদিনীপুরে শুটিং শুরু হল নিধন-এর

ড্রিম ওয়ার্কস প্রোডাকশনের ব্যানারে মহুয়া জানার প্রযোজনায় সঞ্জয় দাসের পরিচালনায় পূর্ণদৈর্ঘ্যের সিনেমা নিধন। এই ছবিরই শুটিং শুরু হয়ে গেল মেদিনীপুরে। এই সিনেমায় অভিনয় করছেন রূপসা মুখোপাধ্যায়, রজতাভ দত্ত, ভরত কল, অভিষেক চ্যাটার্জি, সুপ্রিয় দত্ত ছাড়াও বেশ কিছু নতুন মুখ। এটি একটি সাসপেন্স থ্রিলার। চলতি বছরের শেষের দিকে মুক্তি পাবে এই ছবি।অভিনেতা রজতাভ দত্তকে পুলিশের ভূমিকায় দেখা যাবে এই সিনেমায়। ছবিতে একটি খুনের তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। নিধন এ বিশেষভাবে সক্ষম এক মহিলার চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী রূপসা মুখোপাধ্যায় কে। তার চরিত্রের নাম রাধা যে দুর্ঘটনায় একটি পা হারিয়েছে। সঞ্জয় দাস জানালেন সব বিষয়গুলোকে চেপে রাখা, লুকিয়ে রাখা, প্রকাশ না করা কে করছে না জানানো বা না বোঝা এই রকম একটা গল্প রয়েছে। তাঁর গল্পটা পুরোটাই গ্রামের পরিবেশকে কেন্দ্র করে। তাই মেদিনীপুরকে শুটিং লোকেশন হিসাবে বেছে নিয়েছেন। রূপসা জানিয়েছেন লকডাউনের পর মেদিনীপুরে এসে শুটিং করতে খুব ভালো লাগছে। যে সিনেমায় অভিনয় করার সুযোগ থাকে সেখানে অভিনয় করতে খুব ভালো লাগে। অভিষেক চ্যাটার্জি জানালেন একটি মেয়েকে রেপ করে খুন করা হচ্ছে। তার ইনভেস্টিকেশন যে সিআইডি অফিসার করছে তার চরিত্রে আমি রয়েছি।

আগস্ট ০৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Manu Bhaier : মহিলাদের শুটিংয়ে ব্যক্তিগত বিভাগের প্রিসিশন রাউন্ডে পঞ্চম স্থানে মানু ভাকের

১০ মিটার এয়ার পিস্তলের মিশ্র বিভাগে ব্যর্থতার পর ঘুরে দাঁড়ালেন ভারতীয় মহিলা শুটার মানু ভাকের। মহিলাদের ব্যক্তিগত ২৫ মিটার পিস্তল বিভাগে প্রিসিশন রাউন্ডে প্রথম দিনে শেষ করলেন পঞ্চম স্থানে। তবে বিশ্বের ২ নম্বর মহিলা তারকা রাহি সার্নোবত অলিম্পিকের প্রথম ম্যাচেই হতাশ করলেন।প্রিসিশন রাউন্ডে প্রথম দিনে শেষ করলেন ২৫ নম্বর স্থানে।অলিম্পিক শুটিংয়ে অনেক প্রত্যাশা ছিল। সবথেকে বেশি পদক জয়ের সম্ভাবনা ছিল এই ইভেন্টেই। দলগত, মিশ্র বিভাগে চূড়ান্ত ব্যর্থ ভারতীয় শুটাররা। এর মধ্যেই অলিম্পিকের ষষ্ঠ দিনে ২৫ মিটার এয়ার পিস্তলের মহিলাদের ব্যক্তিগত বিভাগের যোগ্যতা অর্জন পর্বে নেমেছিলেন মানু ভাকের ও রাহি সার্নোবত।রাহি সার্নোবত এই প্রথম টোকিও অলিম্পিকের শুটিং রেঞ্জে কোনও ইভেন্টে নামলেন। মানু ভাকের অবশ্য আগের দলগত ও মিশ্র ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন। দুটি বিভাগেই তিনি হতাশ করেছেন। মহিলাদের ব্যক্তিগত বিভাগে প্রিসিশন রাউন্ডে অবশ্য ভাল ফল করলেন। মানু ভাকের মোট স্কোর করেন ২৯২। প্রথম স্টেজে তিনি সংগ্রহ করেন ৯৭ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্টেজেও তিনি সংগ্রহ করেন ৯৭ পয়েন্ট। তৃতীয় স্টেজে ৯৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পৌঁছে যান ২৯২ পয়েন্টে। এই বিভাগে মোট প্রতিযোগীর সংখ্যা ৪৪। অন্যদিকে, এই ইভেন্টে রাহি সার্নোবতের ওপর প্রত্যাশা বেশি ছিল ক্রীড়াপ্রেমীদের। এই তরুণ মহিলা শুটার প্রিসিশন রাউন্ডের প্রথম দিনে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। প্রথম স্টেজে তিনি সংগ্রহ করেন ৯৬। দ্বিতীয় স্টেজে ৯৭ এবং তৃতীয় স্টেজে ৯৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে ২৮৭ পয়েন্টে থেমে যান। শেষ পর্যন্ত তাঁর স্থান হয় ২৫ নম্বরে। শুক্রবার ভারতের এই দুই শুটার রাপিড ফায়ার রাউন্ডে নামবেন। এই রাউন্ডেও ৩টি সিরিজ। প্রত্যেক সিরিজে ১০ বার করে ফায়ার করার সুযোগ পাবেন। ৪৪ জন প্রতিযোগীর মধ্যে ৮ জন ফাইনাল রাউন্ডে উঠবেন। প্রিসিশন রাউন্ডে পিছিয়ে পড়ায় রাহি সার্নোবতের কাছে ফাইনালে ওঠার কাজ কঠিন হয়ে গেল। মানু ভাকেরের সামনে অবশ্য ভাল সুযোগ রয়েছে। তবে দ্বিতীয় দিন এই দুই শুটারকে জ্বলে উঠতেই হবে।

জুলাই ২৯, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Shooting : লকডাউনের পর শুটিং-এর অভিজ্ঞতা জানালেন মাধুরিমা চক্রবর্তী

লকডাউনের পর শুরু হয়েছে সিরিয়ালের শুটিং। উপযুক্ত নিয়মাবলী মেনেই চলছে বাংলা মেগার শুটিং। সব প্রোটেকশন নিয়েই ফ্লোরে হাজির হচ্ছেন অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে শুরু করে পরিচালক, ক্যামেরাম্যান, মেক-আপ আর্টিস্ট সহ শুটিং এর সঙ্গে যুক্ত বাকীরাও।আরও পড়ুনঃ মৌবনী যখন লেখিকালকডাউনের পর শুটিং-এ যাচ্ছেন জীবনসাথী ধারাবাহিকের নিধি বসু অর্থাৎ অভিনেত্রী মাধুরিমা চক্রবর্তী। তার শুটিং কেমন চলছে বা কতটা চ্যালেঞ্জ ফেস করতে হচ্ছে পুরোটাই শেয়ার করলেন জনতার কথা-র সঙ্গে।আরও পড়ুনঃ কফি ডেটে যেতে চান শ্রীলেখা! কিন্তু কার সঙ্গে?অভিনেত্রী জানালেন,আফটার লকডাউন এই যে মেক-আপ করে মাস্ক পড়ে আমার ১৪ঘন্টা ডিউটি করতে হয় সেটা হরিবেল। আমরা যে কাজটা করি সেটায় মেক-আপ টাই সব। মেক-আপ ছাড়া করতে পারবো না। মেপ-আপ করার পর মাস্ক পড়লে যে সমস্যাটা হচ্ছে মেক-আপ ঘেঁটে যাচ্ছে, স্টে করছে না। আমাদের আগে যেখানে দিনে দু-তিনবার টাচআপ করতে হতো সেখানে ১০-১২ বার টাচ-আপ করতে হচ্ছে। সেটা ভীষণভাবে প্রব্লেম্যাটিং।আরও পড়ুনঃ আতিউলের সাইকো থ্রিলারে থাকছে চমকতিনি আরও জানান,আগে আমাদের ল্যাপেল দেওয়া হত কিন্তু এখন সেটা দেওয়া হচ্ছে না। কারণ আমরা বডি কন্ট্যাক্ট ব্যাপারটাকে অ্যাভয়েড করছি। বুম ধরা হচ্ছে। সাউন্ড টা প্রপার আসছে না। তাছাড়া সেটে ৫০ জনের বেশি আমরা অভিনয় করতে পারছি না। ইন্টিমেট সিন করা যাচ্ছে না। এরকম অনেক প্রবলেম আমাদের ফেস করতে হচ্ছে।

জুলাই ১৭, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Shooting: বন্ধ বাংলা ধারাবাহিকের শুটিং, টলিপাড়ার কপালে চিন্তার ভাঁজ

সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী ৫০ জনকে নিয়ে বুধবার থেকেই শুরু হয়েছিল মেগা ধারাবাহিকের শুটিং (Shooting)। অভিযোগ, কিছুক্ষণের মধ্যেই থমকে গেল শুটিং। রীতিমতো হুমকি দিয়ে কলাকুশলী এবং ভেন্ডারদের ধারাবাহিকের প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিতে ফেডারেশন বারণ করেছে বলে অভিযোগ। তার ফলে অনিশ্চিত মিঠাই, খড়কুটো, অপরাজিতা অপু-সহ ২০টি ধারাবাহিকের কলাকুশলীদের ভবিষ্যৎ।বুধবার বিকেলে প্রযোজক, বিভিন্ন চ্যানেল কর্তা এবং আর্টিস্ট ফোরাম যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে। ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন প্রোডিউসর্স-এর সভাপতি শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কাজ বন্ধ থাকলে গোটা ইন্ডাস্ট্রিরই ক্ষতি হচ্ছে। তাও কেন ফেডারেশন কাজ বন্ধ করে দিল, তা বোঝা যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী বাড়ি থেকে কাজকে মান্যতা দিলেও কেন ফেডারেশন তার বিরোধিতা করছে, সাংবাদিক সম্মেলনে সেই প্রশ্ন তোলে প্রযোজক, বিভিন্ন চ্যানেল কর্তা এবং আর্টিস্ট ফোরাম (Artist Forum)। সমস্যা সমাধানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।করোনা মোকাবিলায় রাজ্যজুড়ে কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হয়। তার ফলে আচমকাই বন্ধ হয়ে যায় শুটিং। সেই সময় শুটিং ফ্রম হোম শুরু হয়। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শুটিং চলায় ফেডারেশনের রোষের শিকার হয় কৃষ্ণকলি, তিতলি, অপরাজিতা অপু, গ্রামের রাণী বীণাপাণি, বরণ, খেলাঘর, যমুনা ঢাকি, গঙ্গারাম, জীবন সাথী, মিঠাই, সাঁঝের বাতি, খড়কুটো, শ্রীময়ী, মোহর, দেশের মাটি, রিমলি, ওগো নিরুপমা, ফেলনা, কি করে বলবো তোমায়, ধ্রুবতারা-সহ ২০টি ধারাবাহিকের কলাকুশলীরা। ফেডারেশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, নতুন চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনও টেকনিশিয়ান নির্দিষ্ট ২০টি ধারাবাহিকে কাজ করতে পারবেন না। সেই অনুযায়ী রাজ্যে বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হলেও টলিপাড়ার ছবিটা রইল একইরকম।

জুন ১৭, ২০২১
কলকাতা

উত্তরকন্যা অভিযানে দুষ্কৃতীর গুলিতে মৃত্যু বিজেপি কর্মীর, দাবি পুলিশের

উলেন রায়ের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নামল সিআইডি ও এসটিএফ। মঙ্গলবার সকালে এনজেপি থানায় যান এসটিএফ ও সিআইডির এক প্রতিনিধিদল। কীভাবে উলেন রায়ের মৃত্যু হল সেই বিষয়ে থানার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। অন্যদিকে, মঙ্গলবার সকালে রাজ্য পুলিশের তরফে টুইট করে জানানো হয়, শিলিগুড়িতে নিহত বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের ময়নাতদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁর শরীরে ছররা গুলি লাগার চিহ্ন রয়েছে। তবে পুলিশ ছররা গুলি ব্যবহার করে না। নিশ্চয়ই ওই মিছিল কোনও দুষ্কৃতী ছিল। তারাই বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। আরও পড়ুন ঃ আগামীকাল ১২ ঘণ্টার উত্তরবঙ্গ বন্ধের ডাক বিজেপির ময়নাতদন্ত রিপোর্টে স্পষ্ট যে, কেউ খুব সামনে থেকে ওই বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। অশান্তি তৈরির জন্য এ কাজ করা হয়েছে। সিআইডি ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সত্যি সামনে আসবে। তিন চিকিৎসকের উপস্থিতিতে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। ভিডিওগ্রাফিরও দাবি জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিঠিও দিয়েছে বিজেপি। সায়ন্তন বসু বলেন, পুলিশই গুলি চালিয়েছে। পরিবারকে জোর করে মুচলেকা লেখা হয়েছে।

ডিসেম্বর ০৮, ২০২০
বিদেশ

আমেরিকায় হামলা বন্দুকবাজের

কোভিড আবহে আমেরিকায় জ্বলে উঠল বারুদ। নিউ ইয়র্কে একটি জমায়েতে গুলি চালাল বন্দুকবাজরা। অতর্কিত এই হামলায় কমপক্ষে দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জমায়েতে বন্দুকবাজের হামলায় ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গুডম্যান স্ট্রিট ও পেনসিলভ্যানিয়া এলাকায় এই জমায়েতে দুপুর প্রায় সাড়ে বারোটার নাগাদ এই হামলা চলে। জমায়েতে কমপক্ষে ১২ জন লোক ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কে বা কারা এই ঘটনায় গুলি চালালো তা জানা না গেলেও, কোনও জঙ্গি সংগঠনের হাত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন। যদিও দায় স্বীকার করা হয়নি জঙ্গি সংগঠনের পক্ষ থেকে। বন্দুকবাজদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

অনলাইন অ্যাপের দুনিয়া থেকে মৃত্যু! আদর্শ হত্যায় কলকাতায় হইচই, পুলিশের হাতে বড় তথ্য

কলকাতার কসবা এলাকায় হোটেল ঘিরে রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বড় সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশ। বীরভূমের দুবরাজপুরের বাসিন্দা ও পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট আদর্শ লোসাল্কার খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর দুই সঙ্গী ধ্রুব মিত্র ও কমল সাহাকে। দুজনকেই শনিবার গভীর রাতে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়। পুলিশি তদন্তে তাঁদের ভূমিকাই সবচেয়ে সন্দেহজনক বলে উঠে এসেছে।শুক্রবার সন্ধ্যায় আদর্শ কসবার ওই হোটেলে ওঠেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এক তরুণী এবং এক যুবক। জানা গিয়েছে, ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে আলাপ হয় আদর্শের। নিজের ফোন থেকেই অ্যাপ ব্যবহার করে হোটেলের চতুর্থ তলার দুটি রুম বুক করেন তিনি। আদর্শ একা নিজের রুমে ঢোকেন, আর অপর রুমে চেক ইন করেন ওই তরুণী ও ধৃত যুবক।পরে তরুণী প্রথমে আদর্শের রুমে যান। কিছুক্ষণ পর সেখানে যোগ দেন অপর যুবকও। পুলিশ সূত্রে মিলেছে, টাকার লেনদেনকে কেন্দ্র করে আদর্শের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয়। পরিস্থিতি দ্রুত হাতাহাতিতে গড়ায়। পরে আদর্শকে অচেতন অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে হোটেল থেকেই সটকে পড়ে দুই সঙ্গী।শনিবার হোটেলের স্টাফরা দরজা না খুলতেই সন্দেহ করেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখা যায়, মেঝেতে পড়ে আছে আদর্শের নিথর শরীর। তাঁর পা দড়ি দিয়ে বাঁধা। রুম থেকে উদ্ধার হয় অব্যবহৃত কন্ডোম। শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন লক্ষ করা যায়।ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে স্পষ্ট হয়েছে, শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে আদর্শকে। রিপোর্টে আরও পাওয়া গেছে, ঘটনার আগে তিনি মদ্যপান করেছিলেন। ধৃতদের জেরায় উঠে এসেছে তাঁরা নাকি ভয় পেয়ে পা বেঁধেছিলেন, যাতে আদর্শ উঠে তাঁদের আক্রমণ না করতে পারেন। তবে পুলিশের মতে, ধৃতদের এই দাবি সম্পূর্ণ সন্দেহজনক এবং প্রত্যেকটি বক্তব্য খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে।কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অনলাইন ডেটিং প্ল্যাটফর্মকে কেন্দ্র করে প্রতারণা বা ব্ল্যাকমেলিংয়ের মতো কোনও ব্যান্ড সক্রিয় কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুনের উদ্দেশ্যে নাকি অর্থ বা অন্য কোনও কারণে তাঁদের পরিকল্পনাসেটিও তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ দিক হয়ে উঠেছে।এই রহস্যময় খুনে পুরো শহরজুড়েই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। প্রশ্ন উঠছেঅ্যাপে পরিচয়ের ফাঁদে আরও কেউ কি জড়িয়ে পড়েছেন? তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

‘গোপন চাপ’ ফাঁস করলেন বিএলওরা! ভোটার তালিকায় নাম তুলতে রাজনৈতিক দবাব? চাঞ্চল্য কমিশনে

পরতে-পরতে বাড়ছে বিস্ময়। পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক বিএলও-র মৃত্যু, আর তার মাঝেই সামনে এলো অন্য এক অভিযোগযে চাপের কথা এতদিন কেউ খোলাখুলি বলছিলেন না, সেই গোপন চাপ-এর অভিযোগ তুললেন বিএলও ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী নয়, সরাসরি নির্বাচন কমিশনের দোরগোড়ায় গিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়ে উঠে এল এই বিস্ফোরক অভিযোগ।স্বপন মণ্ডল জানান, কমিশনের প্রশাসনিক চাপ, ডেডলাইন, ডেটা এন্ট্রিএসবের বাইরে আরও এক অদৃশ্য চাপ চেপে বসেছে জেলার পর জেলা। মালদহ থেকে তাঁকে ফোন করে জানানো হয়, কিছু ব্যক্তি বাবা বা ঠাকুমার পরিচয় দেখিয়ে একসঙ্গে চারপাঁচজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করানোর জন্য বিএলওদের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন। অথচ তাদের সঙ্গে ২০০২ সালের তালিকাভুক্ত ব্যক্তির কোনও প্রকৃত সম্পর্কই নেই। কারা সেই মানুষ? কেনই বা এমনভাবে তালিকা ভরানোর চেষ্টা? স্বপনবাবু সরাসরি কোনও দলের নাম উল্লেখ না করলেও তাঁর ইঙ্গিত, রাজনৈতিক চাপ যে রয়েছে, তা স্পষ্ট। আরও বড় অভিযোগএই কাজে নাকি কিছু ERO-ও পরোক্ষে জড়িত।কমিশন আগেই জানিয়ে দিয়েছে, ফর্মে কোনও ভুল হলে দায় যাবে সরাসরি বিএলওদের ঘাড়েই। ফলে একদিকে কমিশনের কড়াকড়ি, অন্যদিকে অদৃশ্য চাপমাঝখানে দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছে সাধারণ স্কুলশিক্ষক থেকে শুরু করে গ্রাম-শহরের মাঠে নেমে থাকা হাজার হাজার বুথ লেভেল অফিসার। তাই বিএলওদের দাবি, ফর্ম আপলোডের আগে অ্যাপেই একটি রিমার্কস কলাম রাখতে হবে, যেখানে তারা সন্দেহ বা আপত্তি লিখে রাখতে পারবেন। সিইও দফতর নাকি এই প্রস্তাবে ইতিমধ্যে সম্মতি দিয়েছে।রাজ্যে ইতিমধ্যেই এসআইআর আতঙ্কে তিন বিএলও-র অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে তীব্র ক্ষোভ। এর মধ্যেই আবার উঠল রাজনৈতিক চাপ-এর অভিযোগ। রাজ্য সরকার মৃতদের পরিবারকে দুলক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করলেও স্বপন মণ্ডল তা সরাসরি ভিক্ষা বলে কটাক্ষ করেন। তাঁর দাবিএ রকম চাপের মধ্যে কাজ করলে আরও মৃত্যু অনিবার্য। উপরন্তু ERO-রা অহেতুক ২৫ তারিখের ডেডলাইন চাপিয়ে দিয়ে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে বলেও সরব তিনি।এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছেএসআইআর কি ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি করছে, নাকি উল্টে প্রশাসনিক-রাজনৈতিক চাপে ক্লান্ত সাধারণ শিক্ষকদের জীবনই বিপন্ন করে তুলছে? বিএলওদের দাবি, এইভাবে চাপের মধ্যে কাজ চললে, তালিকার ভুল যেমন বাড়বে, তেমনই বাড়বে মৃত্যুর সংখ্যা।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
দেশ

“৪ রাত ঘুমোননি, ফোনে ফোনে হুমকি”—এসআইআরের অতিরিক্ত চাপে প্রাণ গেল দুই স্কুলশিক্ষকের

মধ্যপ্রদেশে মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পরপর দুই স্কুলশিক্ষকের মৃত্যুতে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দুজনই বুথ লেভেল অফিসার (BLO) হিসাবে এসআইআর-এর দায়িত্বে ছিলেন। পরিবার ও সহকর্মীদের অভিযোগঅতিরিক্ত কাজের চাপ, অমানবিক ডেডলাইন এবং বারবার সাসপেন্ড করার ভয় দেখানোই মৃত্যুর মূল কারণ। বাংলায় যেভাবে এসআইআর-এর আতঙ্ক ছড়িয়েছে, ঠিক তেমনই পরিস্থিতি এবার মধ্যপ্রদেশেও তৈরি হয়েছে।রাইসেন জেলার বাসিন্দা রমাকান্ত পান্ডে মন্দিদীপ এলাকায় বিএলও হিসেবে কাজ করতেন। তাঁর স্ত্রী রেখা পান্ডে জানিয়েছেন, গত চার রাত রমাকান্ত একটুও ঘুমোননি। ফোনে ফোনে এসআইআরের কাজ নিয়ে তাগাদা, ডেডলাইন মেটানোর চাপ এবং সাসপেন্ড হওয়ার আতঙ্কে তিনি মানসিকভাবে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে একটি অনলাইন মিটিং চলাকালীন আচমকাই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন তিনি। আর ওঠেননি।এর ঠিক এক দিন পর, দামোহ জেলার সীতারাম গোন্দ (৫০)-র মৃত্যু হয়। তিনি রঞ্জরা ও কুড়াকুড়ান গ্রামে এসআইআর-এর দায়িত্বে ছিলেন। সেদিন ভোটারের এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করতে গিয়েই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে জব্বলপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শুক্রবার রাতেই মৃত্যু হয়। তাঁর সহকর্মীরা জানান, প্রায় ১৩০০ জন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করে আপলোড করতে হত তাঁকে, কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় প্রচণ্ড মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন তিনি।এর আগেও মধ্যপ্রদেশের আরেক শিক্ষক ভুবন সিং চৌহানের মৃত্যু হয়েছিল। তিনিও BLO ছিলেন এবং কিছুদিন আগে দায়িত্বে ত্রুটির অভিযোগে সাসপেন্ড হয়েছিলেন। পরিবার অভিযোগ করে, এসআইআরের কাজের চাপই তাঁর মৃত্যু ডেকে এনেছে।এই ঘটনাগুলি সামনে আসতেই শিক্ষক মহলে ক্ষোভ বেড়েছে। বাংলায় ইতিমধ্যেই একাধিক BLO-র মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, BLO-দের উপর অতিরিক্ত চাপ বন্ধ করতে হবে। ঠিক একই অভিযোগ এবার মধ্যপ্রদেশেও দেখা যাচ্ছে।এসআইআর সংক্রান্ত কাজ দেশজুড়ে কী পরিস্থিতি তৈরি করছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ডেডলাইন, স্ট্রেস, ভয় এবং অনবরত চাপসব মিলিয়ে BLO-দের উপর যে মানসিক ও শারীরিক প্রভাব পড়ছে, তারই করুণ পরিণতি তুলে ধরল মধ্যপ্রদেশের দুটি মৃত্যু।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
বিদেশ

বিমানবন্দরের মাথার ওপর ঘোরাফেরা ড্রোন, মুহূর্তে বন্ধ সব ফ্লাইট! তদন্তে সেনা-পুলিশ

নেদারল্যান্ডসের আইন্দহোভেন বিমানবন্দরে হঠাৎ করেই দেখা মিলল একাধিক ড্রোনের। আর সেই দৃশ্য চোখে পড়ে যেতেই মুহূর্তে থমকে গেল বিমানবন্দরের সম্পূর্ণ বিমান চলাচল। শনিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ নেদারল্যান্ডসের ব্যস্ত এই বিমানবন্দরে ড্রোন দেখা যাওয়ার পরেই চরম সতর্কতা জারি করা হয়। পরিস্থিতি যে কতটা গুরুতর ছিল, তা বোঝা যায় ডাচ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রুবেন ব্রেকেলমান্সের বিবৃতি থেকে। তিনি এক্স-এ জানান, ডিফেন্স কাউন্টার-ড্রোন ইউনিট, পুলিশ এবং সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যেই এলাকায় মোতায়েন হয়েছে এবং যে কোনও মুহূর্তে হস্তক্ষেপের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।আইন্দহোভেন বিমানবন্দরটি সাধারণ যাত্রীবাহী বিমান ছাড়াও সামরিক উড়ানের কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। সেই কারণেই ড্রোনের উপস্থিতিকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, ঠিক কোথা থেকে এবং কী উদ্দেশ্যে ড্রোনগুলি উড়ছিল। তার আগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিমান ওঠানামা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়।এর আগের দিনও একই ধরনের ড্রোন দেখা গিয়েছিল ভলকেল এয়ারবেসের আকাশে। সেই সময় ডাচ সেনা সরাসরি গুলি চালিয়ে ড্রোন নামানোর চেষ্টা করে। ফলে টানা দুই দিন ধরে ড্রোন দেখা যাওয়ায় বিষয়টি আরও রহস্যজনক হয়ে উঠেছে। শুধু নেদারল্যান্ডস নয়, সাম্প্রতিক সপ্তাহে ইউরোপের আরও বেশ কয়েকটি দেশে বিমান চলাচলে ড্রোনের কারণে বিঘ্ন ঘটে। ডেনমার্ক, নরওয়েসহ একাধিক দেশের বিমানবন্দরেও এমন ঘটনা ন্যাটোকে নতুন করে চিন্তায় ফেলেছে।এটিই প্রথম নয়। এ বছরের সেপ্টেম্বরেই পোল্যান্ড ও রোমানিয়ার আকাশে রুশ ড্রোন আটক করা হয়েছিল। এমনকি তিনটি রুশ যুদ্ধবিমান এস্তোনিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশ করায় ন্যাটোর সতর্কবার্তা আরও জোরালো হয়। ফলে আইন্দহোভেনের এই ঘটনা সেই আশঙ্কাকে আরও ঘনীভূত করছে।যদিও ড্রোন দেখা গেলেই বিমানবন্দর বন্ধ করতে হয়, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। তবে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, ড্রোন দেখা গেলে বিমান ওঠা-নামা সাময়িক বন্ধ রেখে পরিস্থিতি যাচাই করা হয়, যাতে কোনও সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়ানো যায়। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি হলেও, সুরক্ষার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেয় সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।এখন তদন্তের মূল লক্ষ্যএই ড্রোনগুলি কি শুধুই সাধারণ ব্যক্তি বা গ্রুপের অপকর্ম, নাকি এর পেছনে রয়েছে আন্তর্জাতিক গুপ্তচরবৃত্তি বা নাশকতার বড় কোনও চক্র? ডাচ প্রশাসন ও সেনা এখন সেই সম্ভাবনাই সব দিক থেকে খতিয়ে দেখছে।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
বিদেশ

তুরস্ক-যোগ, কাতার-যোগ—হামাসের ‘আন্তর্জাতিক জাল’ ভাঙার দাবি মোসাদের

ইউরোপ জুড়ে হামাসের গোপন জঙ্গি নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার দাবি করল ইসরায়েলের গোপনচর সংস্থা মোসাদ। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জটিল ও সমন্বিত অভিযানের মাধ্যমে এই জঙ্গি কাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। জার্মানি, অস্ট্রিয়া-সহ একাধিক দেশে অভিযানের ফলে ধরা পড়েছে বহু জঙ্গি-সহযোগী এবং উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল অস্ত্রভাণ্ডার। মোসাদের দাবি, এই অস্ত্রগুলি ইসরায়েল এবং ইউরোপে অবস্থিত ইহুদি সংগঠনগুলির উপর হামলা চালানোর জন্যই লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। নির্দেশ পেলেই হামলার প্রস্তুতি ছিল বলেই মনে করছে ইসরায়েল।অভিযোগ, হামাসের ইউরোপের নেটওয়ার্ক তৈরিতে তুরস্কের কিছু সদস্যও ভূমিকা নিয়েছিল। তাদের মাধ্যমে পরিকল্পিত হামলার সূত্র মিলেছে। শুধু তাই নয়, কাতারে থাকা হামাস নেতৃত্বও ইউরোপের জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে সরাসরি যুক্তএমন দাবি করেছে মোসাদ।অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় গত সেপ্টেম্বর একটি বিশেষ অভিযানে বড় সাফল্য মেলে। সেখানে লুকিয়ে রাখা ছিল বিস্ফোরক, হ্যান্ডগান-সহ একাধিক অস্ত্র। তদন্তে উঠে আসে, এই অস্ত্রগুলি ছিল হামাস সদস্য মোহাম্মদ নাইমের। তিনি হামাসের শীর্ষ নেতা বাসেম নাইমের ছেলে। অভিযোগ, বাবা ও ছেলের যৌথ নির্দেশেই ইউরোপে তৈরি হচ্ছিল গোপন জঙ্গি নেটওয়ার্ক। কাতারে তাদের বৈঠকের তথ্যও পেয়েছে তদন্তকারীরা।মোসাদের দাবি, ৭ অক্টোবর গাজায় হামলার পর থেকেই হামাস নতুন করে ইউরোপ-সহ বিভিন্ন দেশে জঙ্গি পরিকাঠামো গড়ে তুলতে উঠে পড়ে লাগে। ইরান ও ইরানপন্থী সংগঠনগুলির মতোই ইউরোপে সেল তৈরি, সদস্য সংগ্রহ এবং অস্ত্র মজুতের কাজ চলছিল বহুদিন ধরেই। বহুবার অস্বীকার করলেও, কাতার-নির্ভর হামাস নেতৃত্বের সন্ত্রাসে জড়িত থাকার প্রমাণ আগেও মিলেছে বলে দাবি ইস্রায়েলের।বর্তমানে বহু দেশের যৌথ তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছে, ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়া এবং তুরস্ক-সহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে হামাসের আর কে কে এই নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
কলকাতা

হোটেল রুমে যুবকের দেহ, সঙ্গে কন্ডোম! খুনের পর টাকাও উধাও? তদন্তে দগ্ধ লালবাজার

কসবাকাণ্ডের তদন্ত আরও জটিল আকার নিচ্ছে। লালবাজারের হোমিসাইড শাখা সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের আগে অনলাইনে বুক করা হয়েছিল দুটি ঘর। মৃত যুবক আদর্শ লোসালকাকে যেভাবে পাওয়া গিয়েছে, তা দেখে তদন্তকারীদের অনুমানতাকে নির্মমভাবে খুনের পর দেহ সরানো হয়েছে। ঘরের মেঝেতে খাটের ঠিক নিচে উল্টে পড়ে ছিল তার দেহ। পা বাঁধা ছিল তোয়ালে দিয়ে। মাথায় গভীর আঘাতের চিহ্ন।বীরভূমের দুবরাজপুরের বাসিন্দা ৩৩ বছরের আদর্শ শুক্রবার রাতেই কসবার হোটেলে ঢুকেছিলেন তিনজনের সঙ্গে। হোটেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দলে ছিলেন এক মহিলা ও দুই পুরুষ। ভোরবেলা মহিলা এবং এক ব্যক্তি হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে যান। পরে রুম পরিষ্কার করতে গিয়ে কর্মীরা দেখেন মেঝেতে রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে কন্ডোম। যা দেখে তদন্তকারীরা মনে করছেন, খুনের পিছনে ব্যক্তিগত সম্পর্ক বা আর্থিক বিরোধদুটোই সমান ভাবে সম্ভব।হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা আধার কার্ড জমা দিয়েছিল। কিন্তু কার্ডগুলি আসল কি না, তা এখন যাচাই করছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, খুনের পর আদর্শের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়েছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হোটেলের দুই পুরনো কর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।অক্টোবরের শেষ দিকেই পার্ক স্ট্রিটের একটি হোটেল থেকে বক্স খাটের ভেতর থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনার সঙ্গেও অদ্ভুত মিল নিয়ে ফের আতঙ্ক ছড়িয়েছে শহরে। সেদিনও তিন যুবক রুম নিয়েছিলেন, পরে দুজন পালিয়ে যান। এবার আর এক হোটেল থেকে মিলল যুবকের দেহ। তদন্তকারীদের মতে, দুটি ঘটনার মধ্যে কোনও যোগ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে। কসবার এই মৃত্যু এখন শহরজুড়ে নতুন রহস্যের জন্ম দিয়েছে।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
দেশ

উত্তর প্রদেশে ‘অপারেশন ডিটেনশন’! যোগীর কড়া নির্দেশ—একটিও অনুপ্রবেশকারী রেহাই নয়

উত্তর প্রদেশে অনুপ্রবেশ রুখতে এবার অভূতপূর্ব কড়াকড়ি শুরু করল যোগী আদিত্যনাথ সরকার। মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেনরাজ্যে বেআইনিভাবে থাকা কোনও ভিনদেশি নাগরিক বা অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়লে তাকে আর খোলা সমাজে রাখা যাবে না। সঙ্গে-সঙ্গে পাঠাতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে। প্রতিটি জেলাকেই অস্থায়ী ডিটেনশন সেন্টার তৈরির প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।যোগীর বক্তব্য, জাতীয় নিরাপত্তা এবং সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা করা রাজ্য সরকারের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। কোনও বেআইনি কাজ বা অনুপ্রবেশ কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। তাঁর স্পষ্ট বার্তাযে কোনও সন্দেহজনক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতেই হবে।রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, জেলার প্রশাসনকে দ্রুত এলাকার বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা তৈরি করতে হবে। ধরা পড়লে তাদের আগে ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর পরিচয় যাচাইয়ের পর আইনানুগভাবে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরই জেলাশাসকরা নড়েচড়ে বসেছেন। তাঁদের মন্তব্য, অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়লেই সরাসরি ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হবে এবং ভেরিফিকেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে থাকবেন।এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ডিটেক্ট অ্যান্ড ডিপোর্ট-এর কথা বলেছিলেন। অনুপ্রবেশকারীদের দেশছাড়া করতে সারাদেশে কঠোর নীতি নেওয়ার ডাক দিয়েছিলেন তিনি। এবার সেই পথেই হেঁটে উত্তর প্রদেশে প্রতিটি জেলায় ডিটেনশন সেন্টার তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হল। ফলে রাজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আরও শক্তি বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
দেশ

স্কুলে পড়ুয়াদের কয়েক কদম দূরেই ২০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার! কী পরিকল্পনা ছিল

জম্মু-কাশ্মীর ও দিল্লির পর এবার পাহাড়ে নাশকতার আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে। উত্তরাখণ্ডের আলমোড়া জেলার সুল্ত এলাকায় একটি সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের পাশের ঝোপে ১৬১টি জিলেটিন স্টিক ও বিস্ফোরকভর্তি প্যাকেট উদ্ধার হওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মোট ২০ কেজিরও বেশি বিস্ফোরক কোথা থেকে এল, কারা এনে লুকিয়ে রাখলতা নিয়ে তদন্তে নেমে পড়েছে পুলিশ, বম্ব স্কোয়াড ও গোয়েন্দারা। জেলার প্রশাসন ইতিমধ্যেই অ্যালার্ট জারি করেছে।স্কুলের প্রিন্সিপাল সুভাষ সিং প্রথমে বিষয়টি খেয়াল করেন। ঝোপে সন্দেহজনক কয়েকটি প্যাকেট দেখে তিনি কোনও ঝুঁকি না নিয়ে সরাসরি পুলিশে ফোন করেন। মুহূর্তের মধ্যে দুটি পুলিশ টিম স্কুলঘেরা এলাকা কর্ডন করে। তৎক্ষণাৎ ডগ স্কোয়াড ও বম্ব স্কোয়াডকে ডাকা হয়। পুলিশ কুকুরই সবচেয়ে আগে ঝোপ থেকে জিলেটিন স্টিকের উপস্থিতি টের পায়। আরও ২০ মিটার দূর থেকে মিলেছে বিস্ফোরকভর্তি আরও কয়েকটি প্যাকেট। পরে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড সেগুলিকে সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যায়।সাম্প্রতিক দিনে ধারাবাহিকভাবে বিস্ফোরকে ভরা প্যাকেট উদ্ধার হওয়ায় আরও উদ্বেগ বেড়েছে। এর আগে হরিয়ানার ধাউজ গ্রাম থেকে প্রায় ৩ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার হয়েছিল, যা দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছিল। ফলে পাহাড়ে মিলল এই বিস্ফোরকএমন তথ্য গোয়েন্দাদের আরও সতর্ক করে তুলেছে।জিলেটিন স্টিক সাধারণত পাহাড়ে পাথর ভাঙতে বা খনিতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু স্কুলের পাশে, সে-ও আবার ঘন ঝোপে লুকিয়ে থাকা এত বিপুল বিস্ফোরকের উপস্থিতি সন্দেহকে আরও গভীর করছে। চারটি বিশেষ তদন্তকারী টিম তৈরি করা হয়েছে। তারা খতিয়ে দেখছেকোথা থেকে আসল এই বিস্ফোরক, কারা নিয়ে এল, এর লক্ষ্য ছিল কোন জায়গা, এবং বড়সড় নাশকতার ছক কি সত্যিই তৈরি হচ্ছিল।এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা আলমোড়া জেলায়। পাহাড়ে জঙ্গি-মদতের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না তদন্তকারীরা।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal