• ৬ পৌষ ১৪৩২, বুধবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Raina

রাজ্য

Raina Murder: খুনের পিছনে কারা? কেন খুন করেছে ব্যবসায়ীকে? পুলিশের কাছে অভিযোগ মৃতের বাবার

কলকাতা থেকে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসে নৃশংস ভাবে খুন হলেন এক ব্যবসায়ী। মৃতর নাম সব্যসাচী মণ্ডল(৩৮)।শুক্রবার রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার দেরিয়াপুর গ্রামে। জানা গিয়েছে, দুস্কৃতীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে ব্যবসায়ীকে খুন করে পালায়। শনিবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ মর্গে ব্যবসায়ীর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়।এই ঘটনার তদন্তে নেমে রায়না থানার পুলিশ ব্যবসায়ীর গাড়ির চালক ও রাঁধুনিকে নিজেদের কব্জায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে ব্যবসায়ী খুন হলেন নাকি খুনের ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে ব্যবসায়ীক শত্রুতা ,সেই বিষয়টি এখনও পুলিশের কাছে পরিস্কার নয়। সুপারি কিলারদের দিয়ে কেউ ব্যবসায়ীকে খুন করালো কিনা সেই বিষয়টিও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তবে আক্রান্ত হওয়ার পরেও আততায়ীরা ব্যবসায়ীর গলায় থাকা সোনার হারটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়নি। তা দেখে পুলিশের অনুমান আততায়ীরা ব্যবসায়ীর টাকা পয়সা বা গয়নাগাটি ছিনতাই করতে আসেনি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডলের দেশবাড়ি রায়নার দেরিয়াপুর গ্রামে। তিনি ও তাঁর পরিবার এখন থাকেন হাওড়ার শিবপুরে। সেখানে তাঁর পলিথিন সামগ্রীর ব্যবসা রয়েছে। শুক্রবার সব্যসাচী মণ্ডল তাঁর এক বন্ধু নাজবীর সিংকে সঙ্গে নিয়ে দেরিয়াপুর গ্রামের দেশ বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রাতে দেশবাড়ির দোতলায় রান্না হচ্ছিল। নাজবীর সিং এর কথায় জানা গিয়েছে, ছাদে রান্না যখন চলছিল তখন সেখানেই ছিল সব্যসাচী। সেই সময়ে সব্যসাচীর গাড়ির ড্রাইভার আলো সাউ উপরে এসে সব্যসাচীকে বলে কোন অফিসার লোক এসেছে। তারা তাঁকে নীচে ডাকছে। এই কথা শুনে গাড়ির ড্রাইভারের সঙ্গেই সব্যসাচী নিচে নেমে যায়। নাজবীর সিং জানান, এর খানিক পরেই তাঁরা আর্ত চিৎকার ও গুলির শব্দ শুনে নীচে নামেন। তখন দেখেন চার জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে সব্যসাচীকে কোপাচ্ছে। সেই অবস্থার মধ্যেই অন্য আর এক জন গুলি চালাতে থাকে। নাজবীর দাবি করেন, তিনি সব্যসাচীকে বাঁচাতে গেলে বাংলায় কথা বলা ওই হামলাকারীরা ধাক্কা দিয়ে তাঁকে সরিয়ে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় সব্যসাচী ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে। তৎক্ষণাৎ তাঁরা সব্যসাচীকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান বলে বন্ধু নাজবীর সিং ও রাধুনি পার্থ সান্যাল দাবি করেন। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডলকে মৃত বলে জানান। নাজবীর সিং গুলি চলার কথা বললেও এদিন ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে মৃতের দেহে গুলির কোন হদিশ মেলেনি বলে খবর মিলেছে। খুনের ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ)আমিনুল ইসলাম খাঁন, রায়না থানার ওসি পুলক মণ্ডল সহ অন্য পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে তদন্তে যান। রক্তে ভরে থাকা ব্যাবসায়ীর দেশবাড়ির সবিস্তার তাঁরা খতিয়ে দেখেন। এসডিপিও জানান, দেরিয়াপুরের বাড়িতে রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে। ব্যবসায়ীর শরীরের একাধীক জায়গায় আঘাতের ক্ষত রয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখছে। নানা দিক ধরে পুলিশ তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । সুপারি কিলার দিয়ে ব্যবসায়ীকে খুন করা হয়েছে কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতর পরিবারের লোকজন ছাড়াও এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলা হবে বলে এসডিপিও জানিয়েছেন। অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সুপারি কিলার দিয়ে খুন করা হয়েছে এমনটা ধরে নিয়েই পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের অনুমান কলকাতা বা হাওড়ায় খুন করা হলে সন্দেহ মৃতর কাকাদের পরিবারের দিকেই যেত। তাই ব্যবসায়ী সব্যসাচীকে গ্রামের বাড়িতে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। হাওড়ার পুলিশ কমিশনারেটের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতর বাবা দেবকুমার মণ্ডল তাঁর ছেলেকে খুনের ঘটনা নিয়ে এদিনই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন,তাঁর ছেলে সব্যসাচীর খুড়তুতো ভাইয়েরা ও দুই ভাইপো সুপারি কিলার লাগিয়ে সব্যসাচীকে খুন করিয়েছে। একই সঙ্গে দেবকুমার বাবু জানিয়েছেন, তাঁর একমাত্র ছেলের ৬ মাসের একটি শিশু কন্যা রয়েছে। পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ভাইয়েদের সঙ্গে তাঁদের অশান্তি চলছে। তা নিয়ে হাওড়াতেও বারবার গণ্ডগোল হয়েছে। ২০১৬ সালে তাঁর মায়ের মৃত্যুর পর তাঁর ভাইপোরা শ্মশানে সব্যসাচীকে ব্যাপক মারধোর করে বলে এদিন দেবকুমার বাবু বলেন। দেবকুমার বাবু এদিন সরাসরি অভিযোগ করে বলেন ,তার দুই ভাইপো দীনবন্ধু ও সোমনাথ সুপারি কিলার লাগিয়েই তাঁর ছেলে সব্যসাচীকে নৃশংস ভাবে খুন করিয়েছে। এই অভিযোগ পাওয়ার পর এদিন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যান সিংহ রায় সহ বিশেষ তদন্তকারী দল দেরিয়াপুর গ্রামে মৃতর দেশবাড়িতে যায়। কল্যাণ সিংহরায় বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত কি ভাবে খুন করা হলা তা বলা সম্ভব নয়। তবে মৃতের বাবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সব দিকেই নজর রাখছি। সেই ভাবেই তদন্ত শুরু হয়েছে। গুলি চালানোর বিষয়টি তাঁর কাছে পরিস্কার নয় বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।

অক্টোবর ২৩, ২০২১
রাজ্য

Murder in Purba Bardhaman: গ্রামের বাড়িতে এসে কলকাতার ব্যবসায়ী খুন পূর্ব বর্ধমানে, আটক দুই, জোরদার তদন্তে পুলিশ

গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসে খুন হলেন কলকাতার এক ব্যবসায়ী। মৃতর নাম সব্যসাচী মণ্ডল(৪৪)।শুক্রবার রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার দেরিয়াপুর গ্রামে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে রায়না থানার পুলিশ ব্যবসায়ীর গাড়ির চালক ও রাঁধুনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তবে কারা কি কারণে ব্যবসায়ীকে খুন করলো সেই বিষয়টি এখনও পুলিশের কাছে পরিস্কার নয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডলের দেশবাড়ি রায়নার দেরিয়াপুর গ্রামে। তিনি ও তাঁর পরিবার এখন থাকেন হাওড়ার শিবপুরে। সেখানে তাঁর পলিথিন সামগ্রীর ব্যবসা রয়েছে। শুক্রবার সব্যসাচী মণ্ডল তাঁর এক বন্ধু নাজবীর সিংকে সঙ্গে নিয়ে দেরিয়াপুর গ্রামের দেশ বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রাতে দেশবাড়ির ছাদে রান্না হচ্ছিল। নাজবীর সিংয়ের কথায় জানা গিয়েছে, ছাদে রান্না যখন চলছিল তখন সেখানেই ছিলেন ওই সব্যসাচী। সেই সময়ে কেউ নীচে ডাকছে বলে জানিয়ে সব্যসাচীর গাড়ির ড্রাইভার সব্যসাচীকে নিয়ে ছাদে থেকে নিচে নেমে যায়। এর খানিকটা পর তাঁরা নীচে নেমে রক্তাক্ত অবস্থায় সব্যসাচীকে দেখতে পান। তৎক্ষণাৎ তাঁরা সব্যসাচীকে উদ্ধার করেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান বলে বন্ধু রাজবীর সিং ও রাধুনি পার্থ সান্যাল দাবি করেছেন। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে তদন্তে যায় রায়না থানার পুলিশ। এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) আমিনুল ইসলাম খাঁন জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দেরিয়াপুরের বাড়িতে রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে। ব্যবসায়ীর দেহের একাধিক জায়গায় আঘাতের ক্ষত রয়েছে।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে বোঝা যাবে কি জাতীয় জিনিস দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। তদন্ত এখন একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কিভাবে এই ঘটনা ঘটলো তা জানার জন্য মৃতর পরিবারের লোকজন ছাড়াও এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলা হবে বলে এসডিপিও জানিয়েছেন।

অক্টোবর ২৩, ২০২১
রাজ্য

Bomb Rescue : খড়ের পালুইয়ে বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য রায়নায়

প্লাস্টিকের প্যাকেটে ভরে গৃহস্থের বাড়ির খড়ের পালুইয়ের মধ্যে কেউ লুকিয়ে রেখেছিল বোমা। সেই বোমা উদ্ধার হতেই বৃহস্পতিবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার মুগুরা অঞ্চলের দক্ষিনকুল গ্রামে। খবর পেয়ে রায়না থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ওই জায়গাটি ঘিরে রেখে খবর দেয় বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডে। কারা কি উদ্দেশ্যে খড়ের পালুইয়ের মধ্যে ছয়টি বোমা লুকিয়ে রেখেছিল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুগুরার দক্ষিণকুল গ্রামের এক প্রান্তে বসবাস করেন শেখ বরজাহান নামে ও তাঁর পরিবার । ওই ব্যক্তির বাড়ির অদূরেই রয়েছে খড়ের পালুই। এদিন বেলায় পরিবারের গৃহবধূ আমিনা বিবি ওই পালুয়ের কাছে থাকা হোপা গাছ থেকে হোপা পাড়তে যান। তখনই পালুইয়ের মধ্য থেকে প্লাস্টিকের প্যাকেটে ভরা কিছু একটা নিচে পড়ে। প্লাস্টিকের প্যাকেটে মধ্যে সুঁতুলি দড়ি জড়ানো বস্তু রয়েছে দেখে মহিলার সন্দেহ হয়।তিনি বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানান। প্রতিবেশীরা সেখানে পৌছে দেখেন প্লাস্টিকের প্যাকেটে বোমা ভরা রয়েছে।এরপরেই স্থানিয়রা রায়না থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ওই জায়গাটি ঘিরে রেখে বম স্কোয়াডে খবর দেয়।

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
রাজ্য

Money Theft: ব্যাঙ্ক গ্রাহকের টাকা ছিনতাই করে পালাতে গিয়ে পূর্ব বর্ধমানে গ্রেপ্তার ওড়িশার ২ দাগী দুস্কৃতি

ব্যাঙ্ক গ্রাহকের মোটর বাইকের টুল বক্স ভেঙে মোটা টাকা ছিনতাই করে নিয়ে পালানোর সময়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়লো ভিন রাজ্যের দুই দাগী দুস্কৃতি।ধৃতদের নাম আউল সোম ও রাণা আউল প্রধান। এদের মধ্যে আউলের বাড়ি ওড়িশার গঞ্জাম জেলার আসকা (Aska) থানার ডোমকুনি সাহাপুর এলাকায়। অপর ধৃত রাণার বাড়ি ওড়িশার জয়পুর জেলার কোরাই (Korai)থানার পূর্বকোটে (Purbakote) এলাকায়। মঙ্গলবার দুপুরে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার পুলিশের নাকা চেকিংয়ে ধরা পড়ে যায় ওড়িশা রাজ্যের এই দুই কুখ্যাত দুস্কৃতি। তাঁদের কাছ থেকেই উদ্ধার হয় ছিনতাই হওয়া টাকা। থানায় পুলিশের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতদের সম্পর্কে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা জেনে কার্যত স্তম্ভিত জেলা পুলিশের কর্তারা।আরও পড়ুনঃ ঘাটাল বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীর মাস্টার প্ল্যান কী?পুলিশ জানিয়েছে, খণ্ডঘোষের কৈয়ড় গ্রামে বাড়ি যুবক শৈলেন মুখোপাধ্যায়ের। এদিন দুপুরে রায়নার সেহেরাবাজারের একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক থেকে মোটা টাকা তুলে তিনি তাঁর মোটর বাইকের টুল বক্সে রাখেন। এর পর তিনি তাঁর বাইকে চেপে ব্যাঙ্ক থেকে কিছুটা দূরে একটি দোকানের সামনে বাইকটি দাঁড় করিয়ে দোকানে ঢোকেন। ওই সময়ে কয়েক মুহুর্তের মধ্যে শৈলেন মুখোপাধ্যায়ের ওই বাইকের টুলবক্স ভেঙে টাকা নিয়ে দুই দুস্কৃতি তাঁদের নীল রঙের বাইকে চেপে দ্রুত পালিয়ে যায়। এই ঘটনা দেখার পরেই ওই দোকানের সামনে থাকা লোকজন চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। তখনই শৈলেনবাবু দোকান থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখেন তাঁর মোটর বাইকের টুলবক্স ভাঙা। টুল বক্সে টাকা নেই। তারই মধ্যে সেখানকার অনেকে নীল রঙের বাইকে চেপে পালানো দুস্কৃতিদের পিছু ধাওয়া করে। কয়েকজন রায়না থানার পুলিশকেও ঘটনা বিষয়ে জানায়। সেই খবর পেয়েই নড়েচড়ে বসে রায়না ও জামালপুর থানার পুলিশ। এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) আমিনুল ইসলাম খান বলেন, খবর পাওয়া মাত্র বিভিন্ন থানাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। সেহেরাবাজার থেকে জামালপুর যাওয়ার পথে রায়না ও জামালপুরে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের নাকা শুরু হয়। নীল বাইকে চেপে থাকা দুই দুস্কৃতি সেহারাবাজার থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও জামালপুরের কাড়ালাঘাট এলাকায় তারা ধরা পড়ে যায়। ছিনতাই হওয়া টাকাও তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ ওই দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি তাঁদের নম্বরবিহীন নতুন মোটরবাইকটি বাজেয়াপ্ত করেছে। শৈলেন মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে অপারেশন চালিয়ে দুস্কৃতিরা তাঁর বাইকের টুলবক্স ভেঙে ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ দ্রুত তৎপর হওয়াতেই দুস্কৃতিরা ওই টাকা সহ ধরা পড়েছে।আরও পড়ুনঃ ফের দিল্লি সফরে রাজ্যপাল, কারণ অজানা ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃতরা মূলত ওড়িশা, বিহার ও বাংলায় অপরাধ চক্র চালায়। তাঁরা ওড়িয়া ছাড়াও হিন্দি ও বাংলা ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলতে পারে। ধৃতদের বিরুদ্ধে পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি থানাতে জাল নোট পাচারের অভিযোগ রয়েছে। তারা কিছুদিন আগে গঞ্জাম এলাকায় ২ লক্ষ টাকা ছিনতাই করে পূর্ব মেদিনীপুরে চলে আসে। সেখানে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিয়ে এই নীল মোটরবাইকটি কেনে। সেই মোটরবাইক নিয়ে কলকাতাতে বেশ কিছু দিন ঘুরে তারা পূর্ব বর্ধমান জেলায় এসে বিভিণ্ন জায়গায় ঘুরে রেইকি করে যাচ্ছিল। কিছুদিন আগে, বর্ধমান শহরের বাদামতলায় এক চাল ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পুলিশ এখনও সেই ঘটনার কিনারা করতে পারেনি। শহর বর্ধমানে ওই চাল ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জামালপুরে ধৃত দুষ্কৃতীরা জড়িত কিনা তাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, ধৃতদের নামে আর কী কী মামলা রয়েছে তার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

আগস্ট ১০, ২০২১
রাজ্য

Ujjwala Yojana: উজ্জ্বলা যোজনায় গ্যাসের সংযোগের আশ্বাস দিয়ে টাকা আত্মসাৎ রায়নায়, গ্রেফতার দুই

উজ্জ্বলা যোজনায় গ্যাসের সংযোগ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে টাকা হাতানোর অভিযোগে গ্রেফতার হলেন দুই ব্যক্তি। ধৃতদের নাম বিশ্বজিৎ মণ্ডল ও নিশীথ রুইদাস। তাদের বাড়ি পূর্ব বর্ধমাণের জামালপুর থানার শম্ভুপুর গ্রামে। রায়নার হরিপুর নিবাসী প্রতারিত রুমা ক্ষেত্রপালের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে রায়না থানার পুলিশ রবিবার রাতে বিশ্বজিৎ ও নিশীথকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার ধৃতদের পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। সিজেএম ধৃতদের বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পঠিয়ে বৃহস্পতিবার ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ বিশ্ব আদিবাসী দিবসে দুয়ারে জাতিগত শংসাপত্র পেলেন জামালপুরের আদিবাসীরাপুলিশ জানিয়েছে, উজ্জ্বলা যোজনায় গ্যাসের সংযোগ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বিশ্বজিৎ ও নিশীথ রায়নার নতু, হরিপুর প্রভৃতি এলাকার বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা তুলছিল। আবেদনকারী কারও কাছ থেকে ৬০০, কারও থেকে ৮০০ টাকা আবার কারও কাছ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত তারা নেয়। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও গ্যাসের সংযোগ না মেলায় আবেদনকারীদের মধ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভ ছড়িয়েছিল।বিশ্বজিৎ ও নিশীথ ফের রবিবার উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাসের নতুন কানেকশন দেওয়ার কথা বলে নতু গ্রামে যায়। ওই দিনও তারা মহিলাদের কাছ থেকে আধার কাের্ডর জেরক্স ও টাকা নেয়। উজ্জ্বলা যোজনায় গ্যাসের সংযোগ পেতে যেহেতু টাকা লাগে না তাই তারা টাকা নেওয়ায় স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সন্দেহ হয়। তাঁরা বিশ্বজিৎ ও নিশীথকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। রায়না থানার পুলিশ তাদের ধরে থানায় নিয়ে যায়। পরে হরিপুরের বাসিন্দা রুমা ক্ষেত্রপাল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ দুজনকেই গ্রেফতার করে।

আগস্ট ১০, ২০২১
রাজ্য

Flood: রায়নার বানভাসী এলাকা ঘুরে দেখলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী

কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টিপাত ও ডিভিসির ছাড়া জলে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানের বেশকিছু এলাকা বানভাসী হয়েছে। তার জেরে ক্ষয়ক্ষতিও নেহাত কম হয়নি। এখনও কোথাও বসতবাড়ি তো কোথাও চাষ জমি ডুবেছে জলের তলায়। ক্ষয়ক্ষতির সার্বিক পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার জেলার রায়না ২ ব্লকের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা রায়নার বিধায়ক শম্পা ধাড়া, ব্লকের বিডিও অনিশা যশ, জেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ ও সদস্যরা। মন্ত্রীরা ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।আরও পড়ুনঃ এবার দলের কর্মীদের দিয়ে পায়ে জুতো গলিয়ে বিতর্কে বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়কবিডিও অনিশা যশ জানিয়েছেন, অতিবৃষ্টির কারণে রায়না ২ ব্লকের ৫ হাজার কৃষকের চাষ জমির ক্ষতি হয়েছে। ২ হাজার হেক্টর কৃষি জমিতে এখনও জল দাঁড়িয়ে আছে। মৎস্যচাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ৭০ টনের কাছাকাছি পুকুরের মাছ ভেসে চলে গিয়েছে। ৩৫ হেক্টর পুকুরের জল ওভার ফ্লো হয়েছে। অতিবৃষ্টিতে ব্লকের তিনটি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আরুই গ্রামপঞ্চায়েত ও উচালন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিডিও তথ্য উল্লেখ করে বলেন, এখনো পর্যন্ত গোটা রায়না ২ ব্লকে ১১টি বসত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বড়বৈনান গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাতাসপুর এলাকায় একটি রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও আরও কয়েকটি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উচালন গ্রামপঞ্চায়েতর অন্তর্গত একলক্ষী বাজার সন্নিকটের দেব খাল দিয়ে প্রচুর পরিমাণে জল নিকাশি হওয়ায় বাঁধে ধস নেমেছে। ফলস্বরূপ একটি শ্মশান চুল্লি পুরোপুরিভাবে দেব খালে ভেসে গিয়েছে। একটি কাঠের ব্রিজও সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে গিয়ে দেব খালে তলিয়ে গিয়েছে। বর্ধমান এবং বাঁকুড়ার সঙ্গে সংযোগকারী একটি পাকা সেতুরও আংশিক ক্ষতি হয়েছে। মন্ত্রীরা এদিন উচালন গ্রামপঞ্চায়েতের একলক্ষ্মী বাজার সংলগ্ন অলি বাজার এলাকার দেব খাল পরিদর্শন করেন।আরও পড়ুনঃ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে এসএফআই-এর কনভেনশনমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানান, এলাকা পরিদর্শন করা হল। রায়না বিধানসভার বিধায়ককে তাঁর বিধায়ক তহবিল থেকে ওই শ্মশানের চুল্লি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে বলা হয়েছে।

আগস্ট ০৬, ২০২১
রাজ্য

Water Logged: জল যন্ত্রণার শিকার দুর্গাপুরের মহালক্ষ্মী পার্কনিবাসীরা, চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রীকে

রাজ্যজুড়ে সক্রিয় মৌসুমী বায়ু। তার উপর আবার নিম্নচাপ। দুয়ে মিলে রাজ্যজুড়ে প্রবল বর্ষণ। জলমগ্ন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। আর এই জলযন্ত্রণার শিকার দুর্গাপুর বিধাননগরের মহালক্ষ্মী পার্ক। এলাকায় পাকা নর্দমার অভাবে টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন অবস্থায় দিন কাটছে মহালক্ষ্মী পার্ক নিবাসীবৃন্দর। স্থানীয় প্রশাসনকে বারংবার বলে কাজ না হওয়ায় অগত্যা দুর্গাপুর পৌর নিগম-এর মেয়রকে উদ্দেশ্য করে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। সেখানে তাঁরা উল্লেখ করেছেন যে, স্থানীয় প্রশাসনকে বিগত বছর ধরে জানিয়েও কোনও সুরহা পাননি। আরও পড়ুনঃ সিবিএসই দ্বাদশের ফলপ্রকাশ, পাশের হার ৯৯.৩৭%এক ঘণ্টা ভারী বৃষ্টি বা মাঝারি বৃষ্টিপাতেই এলাকার নালা ভরে রাস্তায় আবর্জনাজল উঠে আসে। ঝর্নাপল্লী বিধাননগর হাউজিং ও শরৎপল্লী এলাকায় এই আবর্জনা জলের সঙ্গে বাড়ির পাশেপাশে উঠে আসে বিষধর সাপ, ব্যাঙ ও নানা পোকামাকড়। দীর্ঘদিনের সমস্যা বৃ্হস্পতিবারের বৃষ্টির পর আরও বেড়ে গিয়েছে। বৃষ্টি থামলেও জল নামেনি এলাকার। বাড়িতে প্রায় জলবন্দি অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। বাড়ির ভিতরে জল ঢুকে গিয়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পরিস্থিতিও সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায় প্রত্যেকদিন এরকম আতঙ্কের মধ্যে থাকা যায়না বলে পুরমাতা লাভলী রায় ও বরো চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এরওপর মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এই প্রচেষ্টা বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে সত্ত্বর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পায় এলাকার বাসিন্দারা। এবং নির্ভয়ে বসবাস করতে পারেন।

জুলাই ৩১, ২০২১
রাজ্য

Heavy Rain: টানা ভারি বৃষ্টিতে জলপ্লাবিত পূর্ব বর্ধমানের বেশ কিছু এলাকা, তলিয়ে গেল কাঠের সেতু

কয়েকদিন ধরে চলা বৃষ্টিপাতের জেরে পূর্ব বর্ধমানের বেশকিছু জায়গায় তৈরি হয়েছে প্লাবন পরিস্থিতি। কোথাও চাষের জমি ডুবেছে জলের তলায় ,আবার কোথাও রাস্তায় জমেছে হাঁটু সমান জল। অনেক গ্রামও জলপ্লাবিত হয়ে পড়েছে। জলের তোড়ে কাঠের সেতু ভেঙে যাওয়ার ঘটনায় ঘটেছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন জেলার গলসি , জামালপুর ও খণ্ডঘোষের বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দা। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে এলাকার জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্তারা।রাজ্যের অন্য জেলাগুলির পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও বিগত তিন দিন ধরে লাগাতার বৃষ্টিপাত হয়ে চলেছে। তার জেরে জল বেড়েছে দামোদর, দারকেশ্বর প্রভৃতি নদ নদীতে। রায়নার একলক্ষ্মীতে দ্বারকেশ্বর নদের সেতুর কাছের দেবখালের উপর থাকা কাঠের সেতুটি এদিন জলের তোড়ে ভেসে যায়। দ্বারকেশ্বরের উপরে থাকা ওই কাঠের সেতুর উপর দিয়েই গাড়িতে চড়ে, হেঁটে প্রতিদিন হুগলি ও বর্ধমান জেলার বহু মানুষ তাঁদের গন্তব্যে যাতায়াত করতেন। জলের তোড়ে সেই কাঠের সেতু ভেসে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে গিয়েছেন বাসিন্দারা। জল আরও বাড়লে এলাকার শ্মশানচুল্লিটি তলিয়ে যেতে পারে বলে বাসিন্দারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।বৃহস্পতিবার বিকালে রায়না ২ ব্লকের বিডিও বিডিও অনিশা যশ, যুগ্ম বিডিও পার্থসারথি রায়চৌধুরী, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পার্বতী ধাড়া মালিক প্রমুখরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বৃষ্টির জলের পাশাপাশি ডিভিসির সেচখালে ছাড়া জলে গলসি ২ ব্লকের চার-পাঁচটি গ্রামের মাঠ প্লাবিত হয়েছে। সদ্য রোয়া কাজ সম্পূর্ণ হওয়া হাজার হাজার একর আমন ধানের জমি এখন জলের তলায়। জমির এমন অবস্থা তৈরি হওয়ায় মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে এলাকার অধিকাংশ চাষিদের। গলসি ২ ব্লক কৃষি দপ্তরের প্রতিনিধি দল এদিন এলাকা পরিদর্শন করেন। চাষের জমিতে জল জমা ছাড়াও হাঁটু জলে ডুবেছে ভূঁড়ি থেকে ইটারু যাওয়ারর একাংশ রাস্তা। ওই রাস্তা দিয়ে এখন যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। গ্রামে জল জমে থাকায় কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অনেকটা একই রকম অবস্থা তৈরি হয়েছে জামালপুর ব্লকের জামালপুর ২ পঞ্চায়েত অধীন কানঘোষা এলাকায়। এখানকার প্রায় ২৫-৩০ টি পরিবার বসবাস করেন জামালপুর - রায়না সড়ক পথের ধারে। তাদের প্রত্যেকেরই বাড়ি মাটির তৈরি।কয়েক দিনের লাগাতার বর্ষনে উপচে পড়ছে ওই বসতি এলাকা সংলগ্ন মাঠের জল। সেই জল ওইসব কাঁচা বাড়ির একেবারে দোরগোড়া পৌছাতেই বিপাকে পড়ে গিয়েছেন বাসিন্দারা। এদিন সেই খবর পেয়েই হতদরিদ্র ওই মানুষগুলির কাছে পৌছে যান জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খাঁন ও কর্মাধ্যক্ষ ভূতনাথ মালিক। তাঁরা ওই পরিবারের সদস্যদের হাতে ত্রিপল ও অন্য সামগ্রী তুলে দেন। মেহেমুদ খাঁন ওইসব পরিবারের সমস্যদের আশ্বস্ত করেন, জলযন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য এখন যদি তারা অন্যত্র থাকতে চান তার ব্যবস্থা করা হবে । প্রয়োজনে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩০ ঘর বাসিন্দার খাওয়া-থাকার ব্যবস্থা করা হবে বলে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জানিয়ে আসেন।আরও পড়ুনঃ করোনা আতিমারির জন্য অনাড়ম্বর ভাবে পালিত হল মোহনবাগান দিবসজেলা পরিষদের সহসভাধিপতি দেবু টুডু এই বিষয়ে জানান, কোথায় কোথায় রোয়া ধানের জমি জলে ডুবে গেছে সেই ব্যাপারে ব্লক প্রশাসন খোঁজ খবর রাখছে। দুর্যোগ কবলিত এলাকার মানুষজনের পাশে দাঁড়াচ্ছে সেখানকার জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্তারা। সহয়তাও প্রদান করা হচ্ছে । ক্ষয়-ক্ষতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে।

জুলাই ২৯, ২০২১
রাজ্য

Raina: রায়নায় শুরু ’দুয়ারে কাস্ট সার্টিফিকেট প্রদান’ কর্মসূচি

দুয়ারে সরকার কর্মসূচির অনুকরণে এবার শুরু হল দুয়ারে জাতিগত শংসাপত্র প্রদান। পূর্ব বর্ধমানের রায়না বিধানসভার রায়না ২ ব্লকের ৩ হাজার জনের বাড়িতে বৃহস্পতিবার জাতিগত শংসাপত্র (কাস্ট সার্টিফিকেট ) পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। রায়নার বিধায়ক তথা জেলাপরিষদ সভাধিপতি শম্পা ধাড়া দুয়ারে জাতিগত শংসাপত্র পৌছে দেওয়ার কর্মসূচী নেওয়ায় খুশি রায়নার বাসিন্দারা।আরও পড়ুনঃ নোরার হট ছবি, ইনস্টাগ্রামে ভাইরালবিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শুরু হয় দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। রাজ্য সরকারের চালু করা এই কর্মসূচি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এর পর থেকেই দুয়ারে রেশন, দুয়ারে পুলিশ প্রভৃতি কর্মসূচি নেওয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বিধায়ক শম্পা ধাড়া নিজে উদ্যোগ নিয়ে রায়নায় শুরু করলেন দুয়ারে জাতিগত শংসাপত্র প্রদান কর্মসূচি। যা জানমানসে সাড়া ফেলে দিয়েছে।আরও পড়ুনঃ পেগাসাস স্পাইওয়্যার! ভাবের ঘরে চুরি? আপনি কতটা সুরক্ষিত? আক্রান্ত কারা?বিধায়ক শম্পা ধারা এদিন রায়না ২ ব্লকের আরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের আলমপুর গ্রাম থেকে এই কর্মসূচির সূচনা করেন। ব্লকের বিডিও অনিষা যশ জানান, এদিন ৩ হাজার জনের বাড়ি বাড়ি জাতিগত শংসাপত্র পৌছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । বিধায়ক শম্পা ধাড়া বলেন,আগে কাস্ট সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য মানুষজনকে চূড়ান্ত হয়রানি হতে হত। দপ্তরে ঘুরে ঘুরে হয়রান হয়েও মিলতো না কাস্ট সার্টিফিকেট। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগী হওয়ায় কাস্ট সার্টিফিকেট পাওয়ার জটিলতার দিন শেষ হয়। এখন ঘরে বসেই মানুষজন জাতিগত শংসাপত্র অর্থাৎ কাস্ট সার্টিফিকেট পেয়ে যাচ্ছেন। বাড়িতে বসেই কাস্ট সার্টিফিকেট পেয়ে রায়নার বাসিন্দারা খুশী বলে শম্পা ধারা দাবি করেন।আরও পড়ুনঃ একনজরে টোকিও অলিম্পিক ভিলেজের অন্দরমহলআরুইগ্রামের বাসিন্দা তমাল রুইদাস বলেন, কাস্ট সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য বহুবার দপ্তরে গিয়েছিলেন। কিন্তু তখন হতাশ হয়েই তাঁকে ফিরতে হয়। কিন্তু এদিন ঘরে বসেই কাস্ট সার্টিফিকেট পেয়ে যথেষ্টই খুশি বলে তমাল রুইদাস জানান। অপর বাসিন্দা সুমিত্রা দাস বলেন, যে কাস্ট সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছিলেন সেই কাস্ট সার্টিফিকেট একেবারে বাড়ির দুয়ারে এসে কেউ দিয়ে যাবে সেটা কল্পনাও করতে পারেননি। এ এক অভাবনীব কর্মসূচি বলে সুমিত্রা দাস মন্তব্য করেন।আরও পড়ুনঃ লম্বা চুল রাখা যাবে না, লক্ষ্মীর ফতোয়াএদিনের দুয়ারে জাতিগত শংসাপত্র প্রদান কর্মসূচিতে রায়নার বিধায়ক শম্পা ধাড়া ছাড়াও মহকুমাশাসক (দক্ষিণ) কৃষ্ণেন্দু কুমার মণ্ডল, বিডিও অনিশা যশ, যুগ্ম বিডিও পার্থসারথি রায় চৌধুরী, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পার্বতী ধারা মালিক সহ অন্য জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

জুলাই ২৯, ২০২১
রাজ্য

কেন শীতেও জমা জলের সমস্যা হাওড়ায়?

শীতকালেও জমা জলের সমস্যা হাওড়া পুরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের দয়াময় নস্কর লেনের বাসিন্দাদের। বাড়ির উঠানে, রাস্তায় জমে থাকা নোংরা জল পেরিয়েই যাতায়াত করতে প্রাণ ওষ্ঠাগত এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দার। তাঁদের অভিযোগ, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা সকাল-বিকেল নোংরা জলে বন্দি হয়ে থাকছেন।স্থানীয়দের অভিযোগ, সকালে এবং দুপুরে যখন পুরসভার পরিস্রুত পানীয় জল পাইপলাইনে আসে, তখনও নিকাশিনালা উপচে নোংরা জল চলে আসে রাস্তায়। আবার জোয়ারের সময় গঙ্গার জলস্তর বেড়ে গেলেও এমন সমস্যা হয়। বছরের পর বছর ধরে নিকাশিনালা সাফাই না করার ফলে কার্যত পুরোটাই বুজে গিয়েছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। তাঁদের এই সমস্যার কথা পুরসভা থেকে শুরু করে প্রশাসনের নানা স্তরে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। আগামী দিনে এই সমস্যার সমাধান না হলে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার কথাও চিন্তা ভাবনা করছেন এলাকার মানুষ। এলাকাটি গঙ্গার কাছে হওয়ায় নিকাশিনালার সঙ্গে গঙ্গার জলস্তরের যোগ থাকা অসম্ভব নয় বলে মনে করছেন কেউ কেউ। যদিও পুরসভার পানীয় জল আসার সময়ে কেন নিকাশিনালা উপচে পড়ছে, তার কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না তাঁরা।এলাকায় ঘুরে দেখা গেল, বেশ কিছু বাড়ির সামনের উঠোনে পর্যন্ত নোংরা জল জমে রয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, বর্ষার সময় মনে হয়েছিল, প্রচুর জমা জলের জন্য এই সমস্যা। কিন্তু এখন তো কোথাও বৃষ্টি নেই। তাহলে কেন এমনটা হচ্ছে? স্থানীয় বাসিন্দা রমেশ দুবে বলেন, দিনের পর দিন এই ভোগান্তি চলছে আমাদের। দয়ারাম নস্কর লেন শুধু নয়, গুহ রোডের একাংশের বাসিন্দারাও একই সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। কাউন্সিলর না থাকায় পুরসভায় গিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু কোনওভাবে কোনও সমাধান হয়নি। এভাবে আর চালানো সম্ভব নয় বলে ক্ষোভের সঙ্গে জানান তিনি। এলাকায় দেখা গেল, নিকাশিনালা ভর্তি হয়ে রয়েছে নানা ধরনের প্লাস্টিক ও অন্যান্য বর্জ্যে।স্থানীয় মানুষের দাবি, নিকাশি সংস্কার এবং সাফাই করলেই এই সমস্যা আর থাকবে না। তা করা হচ্ছে না বলেই নোংরা জলের মধ্যে সকাল-বিকেল বন্দি হয়ে থাকতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ বিষয়ে হাওড়া পুরসভার এক পদস্থ আধিকারিক জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।

ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

বাংলাদেশে হিন্দু খুনের প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা, বাংলা হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার

কলকাতার রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠল মঙ্গলবার। বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় একাধিক বিক্ষোভকারী আহত এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন-সহ একাধিক ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃংশস ভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। তাঁকে মারধর করে পোস্টে বেঁধে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী বাংলাদেশ পুলিশ স্বীকার করে দীপু কোনওরকম সাম্প্রদায়িক কথা বলেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকী বাংলাদেশ পুলিশ তাঁকে না রক্ষা করে হত্যাকারীদের হাতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ।বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্য়াচারের প্রতিবাদেই এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকরা হাইকমিশনের সামনে জমায়েত হতে শুরু করেন। প্রথমদিকে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বেগবাগান এলাকায় একাধিক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের মূল গেটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বারবার মাইকে সতর্কবার্তা দিয়ে জমায়েত ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ধস্তাধস্তি শুরু হলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। লাঠিচার্জের পর পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ এবং মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত বাহিনী। সাময়িকভাবে যান চলাচলও ব্যাহত হয়।পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা রক্ষা করা প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে আরও অবনতি না ঘটে, সেই কারণেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারী সংগঠনগুলির বক্তব্য, তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জের নিন্দা জানিয়ে তাঁরা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হাঁসখালি কাণ্ডে তৃণমূল নেতার ছেলে সহ তিনজনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা আদালতের

নদিয়ার হাঁসখালি গণধর্ষণ, খুন ও প্রমান লোপাটের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করে আদালত। গতকাল, সোমবার মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা সহ মোট ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর আজ রাণাঘাট আদালত অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করে। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে ব্রজ গয়ালী, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিক তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিদের সাজাও ঘোষণা করেছে আদালত। তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালীর পাঁচ বছর কারবাসের সাজা হয়েছে।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় অভিযুক্তদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এবং তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা নথি ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। মামলায় সরকারি কৌঁসুলি সওয়ালে জানান, অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে অপরাধে যুক্ত ছিল এবং তা প্রমাণ করতে পর্যাপ্ত তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করেছিল ২ জনকে। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে যায় সিবিআইয়ের ওপর।রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। রায় শোনার পর দোষী সাব্যস্ত হওয়া অভিযুক্তদের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। আদালতের এই সিদ্ধান্তে হাঁসখালি সহ গোটা নদিয়া জেলায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই মামলাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তদের মধ্যে শাসকদলের নেতা থাকায় তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হয়েছে। উচ্চতর আদালতে যাবেন বলে আসামী পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন নেতৃত্বের সঙ্গে

একদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির পোস্টারবয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা করবেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও তাঁর এই বঙ্গসফরকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত ষশাহ হোক, এঁরা কেউ এখানে বিজেপির জয় এনে দিতে পারবেন না। আগেও নির্বাচনের আগে বারে বারে এসেছেন এবারও আসবেন। তবে ব্যর্থ হবেন বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে পৌঁছল বিহারের ৫৫টি বাইক, উদ্দেশ্য ঘিরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার বিহারের নম্বর প্লেটযুক্ত ৫৫টি পুরনো মোটরবাইক বর্ধমান জেলা বিজেপি দলীয় অফিসের ঠিকানায় এসে পৌঁছানোকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইকগুলি ট্রেন থেকে নামিয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের ইস্টার্ন রেলওয়ের পার্সেল অফিসের সামনে রাখা হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বর্ধমান রেল স্টেশনে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বাইকগুলির মালিকানা, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি এবং কেন শুধুমাত্র বিজেপির বর্ধমান জেলা অফিসের ঠিকানায় এই বাইক পাঠানো হয়েছে। তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন বিধায়ক।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে সুনীল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তির নামে এই ৫৫টি বাইক পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই বাইকগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই বাইক ব্যবহার করে বাইরের লোকজন বা দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এই ৫৫টি নয়, ২৩ জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০০ মোটর বাইক আসার কথা।বিধায়ক খোকন দাস স্পষ্ট ভাষায় জানান, এতগুলো বাইক বিহার থেকে কী উদ্দেশ্যে বাংলায় আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভোটের আগে এই বাইক ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। একই সঙ্গে তিনি রেল ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ও বাইকগুলির সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এই পরিবহণের বিস্তারিত জানাতে হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ না হলে বাইকগুলি পার্সেল অফিস থেকে ছাড়তে দেওয়া হবে না।অন্যদিকে, তৃণমূলের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় দলীয় কর্মীদের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিহারের ভোট শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস রাঢ়বঙ্গ জোনের কেন্দ্রীয় অফিস হওয়ায় এখানকার ঠিকানাতেই বাইক পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগেই এভাবেই বাইক আনা হয় এবং বিষয়টি জেনেও তৃণমূল অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। বাইক বিতর্কে প্রশাসনের ভূমিকা কী হয়, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে কৌতূহল।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এশিয়া কাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাত্রের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হার স্বীকার করেই শিরোপা হাতছাড়া করতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। মাত্র এক ইনিংসেই তিনি করে ফেলেন ১৭২ রান। উসমান খানের সঙ্গে ৯২ রানের এবং আহমেদ হুসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের দুটি বড় জুটিতে ভর করে দ্রুত ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় পাকিস্তানের ইনিংস ২৭০২৮০ রানের মধ্যেই থামতে পারত। কিন্তু মিনহাসের ব্যাটে ভর করেই ৪৩ ওভারের মধ্যেই ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে তাঁর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৩০২/৩ থেকে ৩২৭/৮ মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারালেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল।লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো পরিচিত নাম থাকলেও কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আশ্চর্যজনকভাবে দলের সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বর ব্যাটার দীপেশ দেবেন্দ্রনের ব্যাট থেকে। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।এই হার যেন সাম্প্রতিক সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঞ্চ ফাইনাল, ফলাফলও প্রায় একই রকম হতাশাজনক।উল্লেখযোগ্যভাবে, ফাইনালে ওঠার আগে টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছেই একমাত্র হেরেছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ নিজেদের ঝুলিতে ভরল পাকিস্তান। আর ফাইনালে বারবার হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে গেল ভারতীয় যুব দলের সামনে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal