• ১০ শ্রাবণ ১৪৩২, সোমবার ২৮ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Mamata

রাজ্য

দুর্নীতি নিয়ে সরকারি আধিকারিকদের হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা

ভরা মঞ্চ থেকে এবার রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশকে কড়া ভাষায় হুঙ্কার ছাড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়দের। তাঁর হুঁশিয়ারি কোনও অফিসার দুর্নীতিতে জড়ালে আমি ছেড়ে কথা বলব না। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে এভাবেই রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের একাংশকে সতর্কতার পাঠ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।সাম্প্রতিক সময়ে গরু, কয়লা, নিয়োগ, রেশন-সহ একাধিক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদলের তাবড় নেতা-মন্ত্রী-বিধায়কদের। ইতিমধ্যেই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে জেল খাটছেন তাঁদের অনেকেই। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহারা দিনের পর দিন ধরে জেলে রয়েছেন।কয়লা কেলেঙ্কারিতে ইতিমধ্যেই একাধিকবার ইডির সমন পেয়েছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বারবার ডেকে পাঠিয়ে চোখা চোখা প্রশ্ন করেছে ইডি। শাসকদলের হেভিওয়েট একাধিক নেতা-মন্ত্রী কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার স্ক্যানারে থাকায় ফি দিন তৃণমূলকে তুলোধনা করে সোচ্চার বিরোধীরা।তবে এবার খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন আশঙ্কা নয়া বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। দলের নেতা-মন্ত্রী কিংবা বিধায়ক নন, এবার প্রশাসনের অন্দরেই বিরাট অনিময়ের আঁচ পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার ভরা সভায় সেই আশঙ্কার কথাই নিজে মুখে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু জানানোই নয়, অনিয়ম রুখতে কড়া বার্তাও দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।একটা রাজনৈতিক লোক ৫ টাকা চুরি করলেও ১০ বার টিভিতে দেখানো হয়। কিন্তু কোনও অফিসারও যদি দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন আমি কিন্তু ছেড়ে কথা বলব না। দুএকজন বিএলআরও দুষ্টু লোকেদের সাথে মিলে জমি কেনা-বেচায় জড়িয়ে গিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সোচ্চার হতেই ফের একবার দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে বৈঠকের সময় দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, আগামী ২০ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই রাজ্যের পাওনাগণ্ডা নিয়ে দরবার করবেন তিনি।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
রাজ্য

পাহাড়ের সঙ্গে তাঁর ‘রক্তের সম্পর্ক’, কল্পতরু মমতা

কার্শিয়াঙের বাসিন্দা দিক্ষা ছেত্রীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর শুক্রবার সেই কার্শিয়াংয়েই সরকারি সভায় অংশ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড় ও সমতলের এই বন্ধনে তিনি খুব খশি বলেও জানিয়েছেন। এ দিনের সভা থেকে পাহাড়বাসীকে ঢালাও সুবিধাদানের কথা তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রীতিমত কল্পতরু মমতা। একই সঙ্গে পাহাড়বাসীদের উদ্দেশ্যে তাঁর আবেদন, আপনারা পাহাড়কে শান্ত রাখার দায়িত্ব নিন। আমি কথা দিচ্ছি, পাহাড়ের উন্নয়নের দায়ি।ভাইপো আবেশের বিয়ের কথা এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা গেল সরকারি মঞ্চে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, দীক্ষা ছেত্রির সঙ্গে আমার ঘরের ছেলের বিয়ে হল। ওরা দুজনেই ডাক্তার। এখন পাহাড়ের সঙ্গে সমতলের একটা রক্তের সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেল। এটা ইতিহাস হয়ে গেল। আমি বলতাম পাহাড়ে আমার একটা ঘর চাই, দেখুন ভগবান কীভাবে আমাকে ঘর তৈরি করে দিল। এখানকার সব মানুষই নিজের, প্রত্যেকটা বাড়িই আমার ঘর। আমি চাই আপনারা সকলে শান্ত থাকন, সুস্থ থাকুন।গত কয়েক বছর ধরে পাহাড়ে গেরুয়া বাহিনী দাপট দেখাচ্ছে। যা নিয়ে এ দিন সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, কিছু লোক পাঁচ বছর অন্তর একবার করে জেগে ওঠে, পাহাড়কে অশান্ত করার চেষ্টা করে। অশান্তি হলে শিল্পপতিরা বিনিয়োগ করবে কেন? তাই আমি আপনাদের বলে যাচ্ছি, পাহাড়কে শান্ত রাখার দায়িত্ব আপনারা নিন, উন্নয়নের দায়িত্ব আমার। ভোটের সময় অনেকে আসে, অনেক লোভ দেখিয়ে যায়। অ্যাকাউন্টে লাখ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু কিচ্ছু করে না। মনে রাখবেন, কথা দিয়ে কথা রাখতে জানি আমরা।এ দিন সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে পাহাড়বাসীর উদ্দেশ্যে ঢালাও সুযোগ সুবিধা দানের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একনজরে সেইসব ঘোষণা-কার্শিয়াঙে ১ হাজার ২০০ জনকে পাট্টা বিলি।পাহাড়ে ২৪ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব।দার্জিলিং কালিম্পঙে IT সেক্টর হবে।জিটিএ-কে ৭৫ কোটি টাকা দেওয়ার হবে।জিটিএ-র কর্মরা অবসরের পর গ্র্যাচুইটি বাবদ ২০ লাখ টাকা দিতে হবে।জিটিএর রেগুলার এমপ্লয়িদের ২০০৯ সালের পে-রুল, ২০১৯ সালের পে-রুল মোতাবেক বেতন সংশোধন।২০০৩ সাল থেকে রিজিওনাল স্কিল সার্ভিস কমিশন ফর হিলস বন্ধ। তা আবার চালু হবে।দার্জিলিং জেলায় সেকেন্ডারি স্কুলে ৫৯০ শূন্যপদে নিয়োগ।দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলা স্কুল বোর্ডের জন্য অ্যাডহক কমিটি তৈরি করা হবে।জেলা বোর্ডে ১০০০ পদে নিয়োগ।চা সুন্দরী প্রকল্পে তিন লাখ শ্রমিককে পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার ঘোষণা।পাহাড়ে তিন লাখ ৩২ হাজার বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ।তিস্তায় বন্যাদের ক্ষতিগ্রস্ত আর্থিক সাহায্য।

ডিসেম্বর ০৮, ২০২৩
রাজ্য

চা বাগানে বিশেষ ভূমিকায় মমতা, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল

চা বাগানে ভিন্ন মেজাজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরের পাহাড়-পর্বত হোক বা সমতলের জঙ্গলমহল কলকাতা ছেড়ে অন্য কোথাও গেলেই একেবারে অন্য মেজাজে ধরা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলস্তরে নেমে তৃণমূল নেত্রীর জনসংযোগ তাক লাগায়। এর আগে দীঘার সমুদ্রসৈকতের দোকানে দাঁড়িয়ে তাঁকে চা বানাতে দেখা গিয়েছে। এর আগে ঝাড়গ্রামে গিয়ে চপ ভেজেছিলেন। বোলপুর সংলগ্ন এলাকায় ভাতের হোটেলে তরকারি রান্না করতেও দেখা গিয়েছিল মমতাকে। তিনি দার্জিলিং সফরে গিয়ে মোমো তৈরি করেছেন। আর এবার পাহাড় সফরে ভিন্ন দৃশ্য! দেখা গেল চা কর্মীদের মত পোশাক পড়ে তাঁদের মত করেই গাছ থেকে চা-পাতা তুলছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।বৃহস্পতিবার মকাইবাড়ি চা বাগানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুক্ষণেই সেখানকার কর্মীদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে পড়েন দিদি। দেখা যায়, চা-বাগান কর্মীদের মতই পোশাক মুখ্যমন্ত্রীর পরণে। চা বাগানের শ্রমিকরা ঠিক যেভাবে মাথা দিয়ে পিঠের দিকে ঝুড়ি ঝুলিয়ে চা তোলেন, সেইভাবে চা পাতা তুলছেন মমতা। এরপর স্থানীয় চায়ের দোকানে চা শ্রমিকদের পাশে বসেই চা-ও খান মুখ্যমন্ত্রী৷ চা চুমুক দিতে দিতেই শ্রমিকদের কাছ থেকে জানতে চান, জমির পাট্টা পেয়েছেন? বলেন, আমাদের পাহাড় ভালো থাকুক,চা বাগান ভাল থাকুক। আপনারা জানেন আমাদের বাড়ির বিয়ে হচ্ছে পাহাড়ের মেয়ের সঙ্গে৷মমতাকে সামনে পেয়ে চা বাগানের শ্রমিকরা তাঁদের নিজস্ব ভাষায় গান শুরু করেন। এক ফাঁকে দেখা যায়, পাহাড়ী শিল্পীদের সঙ্গে নাচের তালে পা মিলিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এসবে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে বলতে শোনা যায়, পাহাড় এবং সমতলের মধ্যে ঐক্যের বাঁধন তৈরি হয়েছে। আমি মনে করি সকলে একসঙ্গে আমরা কাজ করব। আমি কিন্তু মুখে বলি না। আমি রক্তের সম্পর্ক দিয়ে করে দেখাই। আমি খুব খুশি আজ।

ডিসেম্বর ০৭, ২০২৩
রাজ্য

দিদির বাড়ি দেখে হিংসে করেন সলমন খান, বললেন চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে

কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথমবার হাজির মুম্বাইয়ের সুপারস্টার সলমন খান। ছিলেন না অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খানরা। এর আগে তাঁরা প্রতিবারই হাজির থাকবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন। এর আগে কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন সলমন। এবার বললেন সেই অভিজ্ঞতা।এবার চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির হয়েছেন অনিল কাপুর, শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁরা বক্তব্য রেখে ফেলেছেন। এদিন সলমন বলেন, কালীঘাটে দেখতে গিয়েছিলাম দিদির বাড়ি।এর আগে সাল্লু ভাই তথা ভাইজান এসেছিলেন কলকাতায়। সেদিন আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনে। পুরনো কথা তুলেই তিনি বললেন, আমি যখন এর আগে আমন্ত্রণ পেলাম তখন একটাই বিষয় মাথায় ঘুরছিল, যে গিয়ে এটাই দেখব দিদির বাড়ি আসলেই এত ছোট কিনা? আমার বাড়ির থেকে ছোট কিনা দেখতে গিয়েছিলাম। আমি আপনার সঙ্গে হিংসা করি দিদি। আমি সত্যিই ভাবিনি যে আপনার বাড়ি আমার থেকে ছোট হবে। এপ্রসঙ্গে অনিল কাপুরের বাংলোর কথাও বললেন।কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার বাড়ি এত ছোট যেন ভাবতেই পারেননি তিনি। বেশ অবাক হয়েছিলেন। বললেন, আমি খুব খুশি, যে সত্যি দিদির বাড়ি এত ছোট। এত ক্ষমতায় থেকেও তাঁর বাড়ি যে এত ছোট হবে, অবিশ্বাস্য! আমার হিংসা হয় দিদি। আমার আর বড় বাড়ির ইচ্ছে নেই।উল্লেখ্য, সলমন এই প্রথমবার এই অনুষ্ঠানে এসেছেন। আর বাংলার মানুষের উন্মাদনা দেখে তিনি আপ্লুত। সলমন খান বললেন, আমরা বাংলার কাছে বাঙালির কাছে ঋণী। এখানের মানুষরা অনেক কিছু দিয়েছেন। আমরা হিন্দি ছবির মানুষ হলেও বাংলার ট্যালেন্টকে কদর করি।

ডিসেম্বর ০৫, ২০২৩
রাজনীতি

ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে অংশ নেবে না তৃণমূল! 'আমাকে জানানো হয়নি,' স্পষ্ট জানালেন মমতা

আগামী ৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে মল্লিকার্জুন খাড়গের বাড়িতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে হচ্ছে। সেই বৈঠকে যোগ দিচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। দলের পক্ষ থেকে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকের কথা শুনে যেন আকাশ থেকে পড়লেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে কেউ এই বৈঠকের ব্যাপারে জানায়নি। সেই কারণে তিনি বৈঠকের ব্যাপারে আর কী ভাবে জানাবেন। রাজভবন থেকে বেরিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, আমাকে বৈঠকের ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। আমি যখন বৈঠকের ব্যাপারে জানিই না, তখন আর এই ব্যাপারে কী বলব? এমনিতেও আমি ৬ ডিসেম্বর উত্তরবঙ্গে থাকব। ওখানে আমার চার দিনের কর্মসূচি আছে। বৈঠকের ব্যাপারে আগে থেকে জানা থাকলে আমি ওই দিন কর্মসূচি রাখতাম না!মুখ্যমন্ত্রীকে এই ব্যাপারে হিন্দি ভাষায় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষুব্ধ হন। তিনি বলেন, বারবার একই প্রশ্ন। এরপর তিনি যেতে গিয়েও ফিরে এসে বলেন, ভাই আমি জানি না। এখনও পর্যন্ত কোনও ইনফর্মেশন আমার কাছে নেই। কেউ আমাকে ফোনেও বলেনি। কেউ আমাকে জানায়নি। আর, আমার তো প্রোগ্রাম ঠিক আছে না! নর্থ বেঙ্গলে আমি ৬ তারিখ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত থাকব। ৬ তারিখ সন্ধ্যাবেলায় গিয়ে হয়তো পৌঁছব। স্বাভাবিকভাবেই প্রোগ্রাম আছে ৭ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত। সেই প্রোগ্রাম করে আমি ফিরে আসব। কিন্তু, আমি যদি জানতাম তাহলে আমি এই সময় প্রোগ্রাম করতাম না। কাজেই আমার কাছে কোনও ইনফর্মেশন এখনও এসে পৌঁছয়নি। আর, এখন বললে তো এই মুহূর্তে আমি কীভাবে যাব? এখন তো ইতিমধ্যে প্রোগ্রাম ঠিক হয়ে আছে।সূত্রের খবর, আগামী ৬ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বিয়ে করতে চলেছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক ব্যানার্জির ছেলে, পেশায় চিকিৎসক। সোমবারই এই বিয়ের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, পাহাড়ে যাচ্ছি আমি। আমার ভাইপো ডাক্তার। সে বিয়ে করছে কার্শিয়াঙে। পাহাড়ের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক গড়তে যাচ্ছি। তারপরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ইন্ডিয়া জোট তথা কংগ্রেসের দূরত্ব তৈরি হয়েছে কি না, সেই জল্পনা উসকে ওঠে। কারণ, সোমবার তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, বিধানসভা নির্বাচনে এই পরাজয় কংগ্রেসের। এটা মানুষের পরাজয় না। আমি বারবার আসন ভাগ করতে বলেছিলাম। সেটা করলে এই অবস্থা হত না।সাংবাদিকদের কাছে রাজভবনের বৈঠকের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা ঐকমত্য হয়েছি। কোনও বিতর্ক হওয়ার কথা নয়। সন্দেহ তৈরি হওয়ারও কথা নয়। সাংবাদিকদের ওপর রাজ্য সরকার এবং রাজ্যপালের মধ্যে দূরত্ব তৈরির দায় চাপিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি মনে করি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নিজেদের মধ্যে কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার চেয়ে ভালো আর কিছু নেই। একটা বিষয় হল, অস্থায়ী উপাচার্য! আর একটা বিষয় হল, পাঁচ সদস্যের কমিটি। যে বিলটা বিধানসভায় পাস হয়েছিল। অর্ডিন্যান্স হয়েছিল আগে। উনি সই করেছিলেন। তার মানে আমাদের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। আর, উনি যখন অর্ডিন্যান্সে সই করেছেন, তার মানে তো ওঁনার অবশ্যই সম্মতি ছিল। কাজেই বৈঠক খুব ভালো হয়েছে। আর, আমার মনে হয় যে বৈঠক সফল হয়েছে।

ডিসেম্বর ০৪, ২০২৩
রাজ্য

বিধানসভা চত্বর চোর চোর স্লোগানে হুলুস্থুল, মুখোমুখি মমতা-শুভেন্দু দ্বৈরথ

একদিকে মমতার নেতৃত্বে তৃণমূল বিধায়করা, কিছুটা দূরে শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা। দুপক্ষের চোর চোর স্লােগানে বিধানসভা চত্বরে কান পাতাই যেন দায়। বুধবার বিকেলে বিধানসভা চত্বরে নজিরবিহীন সংঘাতের আবহ তৈরি হয়। মাত্র ৩০ ফুট দূর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে চোর চোর বলে স্লোগান দেন শুভেন্দু অধিকারী। তার আগেই শুভেন্দু ধর্মতলায় অমিত শাহর সভায় হাজির ছিলেন। শুভেন্দুর সঙ্গে গলা মেলান অন্য পদ্ম বিধায়করাও। সেই সময়, বিধানসভার আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন প্রায় সব তৃণমূল বিধায়ক। ওই ধর্না থেকেও পাল্টা বিজেপিকে চোর বলে স্লোগান দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে উত্তপ্ত হয় বিধানসভার পরিবেশ। পরে বিরোধী দলনেতা সহ বিজেপি বিধায়কদের তোলা ধ্বনি নিয়ে মুখ খোলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।অমিত শাহর সভা শেষ হতেই বুধবার বিকেলে বিধানসভায় প্রবেশ করেন শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়করা। সেই সময় বিধানসভার আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল বিধায়করা। বিজেপির সবাই চোর বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন জোড়াফুল বিধায়করা। যা শুনেই উল্টোদিকে বিধানসভা ভবনের সিঁড়ি ও লবিতে উত্তেজিত হয়ে পড়েন বিরোধী দলনেতা। সরাসরি তৃণমূলের ধর্নার দিকে তাকিয়ে বলতে থাকেন, ডিএ চোর মমতা, চাকরি চোর মমতা। গলা মেলান শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সহ অন্য বেশ কয়েকজন গেরুয়া বিধায়ক। পরে লবিতেই বসে পড়েন তাঁরা।এরপরই ধর্না অবস্থানে ইতি টানার কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির আচরণ নিয়ে মুখ খোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এটা নোংরামি, গুণ্ডামি। বিধানসভায় অসভ্যতা করছে, স্পিকারকে বলবো সব ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নিতে। আমাকে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ দেখিয়ে লাভ নেই। সারা জীবন লুঠ করেছে, গদ্দারদের আমাদের কেউ ভয় পায় না। আমাদের এই ধর্না স্পিকারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে করা হচ্ছে। কেউ কোনও কর্মসূচি নিলে আমরা কেউ বাধা দিই না। ভোটে পাত্তা পায়নি, গোহারা হেরেছে, তাই এসব করছে।

নভেম্বর ২৯, ২০২৩
রাজনীতি

মমতার মুখে কেষ্ট, পার্থ, বালু, মানিকের নাম, নেত্রীর হুঙ্কার গ্রেফতারের বদলা দ্বিগুন হবে

নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে কেষ্ট, বালু, পার্থ, মানিকের নাম। একদা ঘনিষ্ঠ এই চারজনের জেলবন্দি দশায় এখনও বেজায় ক্ষিপ্ত তৃণমূল সুপ্রিমো। একইসঙ্গে বেশ কিছুদিন পর এবার বদলার কথা তৃণমূল সুপ্রিমোর মুখে। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের এই গুরুত্বপূর্ণ সভায় দলের মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদদের পাশাপাশি দলের সভাপতি, ব্লক সসভাপতি-সহ অন্য নেতা-কর্মীরাও হাজির ছিলেন।লোকসভা ভোটের কয়েক মাস আগে বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে ২০২৪-এর লক্ষ্য স্থির করে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কোন কোন ইস্যু তুলে ধরে লোকসভার লড়াইয়ে ঝাঁপাতে হবে, দলনেত্রীর তরফে স্পষ্ট নির্দেশ এল মন্ত্রী-বিধায়ক-সাংসদ ও অন্য নেতাদের কাছে। এদিন দুর্নীতি ইস্যুতে সাম্প্রতিক সময়ে তৃণমূলের দিকে ধেয়ে আসা তিরের পাল্টা হামলার রূপরেখাও ঠিক করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, অনুব্রত মণ্ডল ও সব শেষে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারি যে এখনও তাঁকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে, এদিন তাঁর কথায় তা আবারও স্পষ্ট হয়েছে।আমাদের লোকেরা সবাই চোর? দুর্নীতি দেখাচ্ছে। টাকা দিয়ে বলা হচ্ছে চোর বলতে। তৃণমূলকে চোর না বললে ইডি-সিবিআই রেড করবে। খুব হাসছেন! পার্থ জেলে, কেষ্ট জেলে, মানিক জেলে, বালু জেলে। আরও অনেকেই জেলে আছেন। গদ্দার বলছে, অমুক দিন ওর বাড়িতে যাবে। লুঠ করে নিয়ে চলে এল। সিজার লিস্টও দিল না। দিল্লির সরকার সবাইকে আন্ডার গান রেখে দিয়েছে।গরুপাচার কাণ্ডে গ্রেফতার অনুব্রত মন্ডল এখনও বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এখনও রাজ্যের বনমন্ত্রী। মানিক ভট্টাচার্য দলীয় বিধায়ক। পার্থ চট্টোপাধ্যায় দল থেকে বহিষ্কৃত। তবুও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম মুখে এনেছেন মমতা। রাজনৈতিক মহলের মতে, এঁদের নাম নিয়ে মমতা বোজাতে চেয়েছেন কেউ বিপদে পড়লে দল ভুলে যায় না।

নভেম্বর ২৩, ২০২৩
রাজ্য

সৌরভকে বড় সম্মান মমতা সরকারের, ঘোষণা বিশ্ব বঙ্গ বানিজ্য সম্মেলনে

এবার বাংলার ব্রান্ড অ্যাম্বাসাডার হলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বিশ্ব বঙ্গ বানিজ্য সম্মেলনে বক্তব্যের একবারে শেষ পর্যায়ে সৌরভের নাম ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মঞ্চে ডেকে নিন বাংলার আইকনকে। সৌরভের হাতে নিয়োগ পত্র তুলে দেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। নিজের লেখাও তুলে দিয়েছেন সৌরভের হাতে।এর আগে বাংলার ব্রান্ড অ্যাম্বাসাডার ছিলেন মুম্বাইয়ের স্টার শাহরুখ খান। দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠছিল সৌরভকে ব্রান্ড অ্যাম্বাসাডার করার জন্য। এর আগে স্পেনে মুখ্যমন্ত্রীর নানা অনুষ্ঠানে হাজির থেকেছেন সৌরভ। সুদূর স্পেন থেকে শালবনিতে ইস্পাত কারখানার কথা ঘোষণা করেছেন। তা নিয়ে রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। আজ বিশ্ব বঙ্গ বানিজ্য সম্মেলনে শিল্পপতি হিসাবেও হাজির ছিলেন সৌরভ।

নভেম্বর ২১, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

ভারতীয় জার্সির রং গেরুয়া! বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে বড় প্রশ্ন মমতার

আগামী রবিবারব বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মহাজজ্ঞ। চ্যাম্পিয়ন হতে আর একটি ম্যাচ দূরে ভারতীয় ক্রিকেট দল। বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ খেলতে রবিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে নামবে রোহিতের নেতৃত্বে ভারতীয় দল। এই অবস্থায় শুক্রবার ভারতীয় দলের জার্সি নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।পোস্তায় শুক্রবার ব্যবসায়ী সমিতির জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই স্বৈরাচারী মনভাব নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেন তিনি। সেই প্রসঙ্গেই রং নিয়ে রাজনীতির বিষয়টি তোলেন তিনি। বলেন, এখন তো সব গেরুয়া বানিয়ে দিচ্ছে।এই প্রসঙ্গেই বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সির রঙের বিষয়টি টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, আমরা আমাদের ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য গর্বিত। আমি বিশ্বাস করি ভারতীয় ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়ন হবে। ওদেরও গেরুয়া বানিয়ে দিয়েছে। ওরা যে ড্রেস করে প্র্যাকটিস করে, সেটা গেরুয়া করে দিয়েছে। ওরা তো নীল রংয়ের জার্সি পরে ম্যাচ খেলে।মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন নিয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, উনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, গেরুয়া রং নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। রাজ্যবাসীর মাথা হেঁট করে দিচ্ছেন। এবার তো মুখ্যমন্ত্রী জাতীয় পতাকায় কেন গেরুয়া রং ব্যবহার হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলবেন।বিশ্বকাপের ম্যাচে এবার ভারতীয় দল চিরাচরিত নীল রঙের জার্সি পড়ে খেলছে। তবে, তাদের প্র্যাকটিস জার্সি ও কিটের রঙ গেরুয়া। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক হয়েছে। কেন হঠাৎ প্র্যাকটিস জার্সি ও কিটের রঙ পাল্টানো হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। অনেকেই দাবি করেছেন, কেন্দ্রের শাসক দলের প্রভাব ও বিসিসিআই সচিব তথা অমিত শাহর পুত্র জয় শাহর অঙ্গুলি হেলনেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্র্যাকটিস জার্সি ও কিটের রঙ গেরুয়া হয়েছে।

নভেম্বর ১৭, ২০২৩
রাজ্য

প্রয়াত নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

প্রয়াত নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দুপুর ১২.৩৫ নাগাদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। অর্থনীতির অধ্যাপক নির্মলাদেবীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অসুস্থতার খবর পেয়েই বৃহস্পতিবার নির্মলাদেবীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন এক্সবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ প্রফেসর নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নোবেলজয়ী প্রফেসর অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মার মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। আমি গতকাল তাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। অধ্যাপক নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায় লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সে প্রশিক্ষিত ছিলেন এবং কলকাতার সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সে অর্থনীতির প্রাক্তন অধ্যাপক ছিলেন। তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রয়াত অধ্যাপক দীপক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। আমি নির্মলাদিকে ভালো করে চিনতাম এবং ওনার সঙ্গে আমার অনেক মধুর স্মৃতি আছে। তাঁর মৃত্যু আমাদের জনজীবনের এক বিরাট ক্ষতি। অভিজিৎ, অনিরুদ্ধ, এসথার ডুফলো সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের পাশাপাশি নির্মলাদির বন্ধু ও ছাত্রদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা।শুক্রবার সকালে কলকাতায় এসে পৌঁছন নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই তাঁর মায়ের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে। শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শুরু থেকেই ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছিল নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল বলে গতকালই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল, শুক্রবারই তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নভেম্বর ০৩, ২০২৩
রাজ্য

'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক সব জানে,' কি জানার কথা বললেন ইতি হেফাজতে থাকা জ্যোতিপ্রিয়

রীতিমতো বোমা ফাটালেন রেশন দুর্নীতিতে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে কমান্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাঁকে। বেরনোর সময় সাংবাদিকদের দেখেই বালুর সাফ কথা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সব জানেন। দলের সুপ্রিমো এবং সেকেন্ড ইন কম্যান্ড আসলে কোন কথা জানেন? কীসের ইঙ্গিত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের? তা নিয়েই চর্চা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে।আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসিয়েছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সব জানেন। দলের সঙ্গে ছিলাম আছি ও থাকব। আমি নির্দোষ। মমতাদি সব জানেন। দুদিনের মধ্যে সত্য প্রকাশ হয়ে যাবে। বারে বারে এক কথা বলছিলেন মন্ত্রী।এদিকে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের এই মন্তব্যের পাল্টা সমালোচনায় সোচ্চার বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। সংবাদমাধ্যমে এদিন তিনি বলেন, এত বড় খাদ্য দুর্নীতির হওয়ার পর ওদের পার্টির নাম হয়েছে চাল চোর। যাঁর এত বেআইনি সম্পত্তি উদ্ধার হচ্ছে, মেয়ের-স্ত্রীর নামে বেআইনি টাকা বেরোচ্ছে। এত কিছুর পরেও বড় বড় কথা বলছে। চোরের মায়ের বড় গলা। এটা ঠিক মমতা-অভিষেক সব জানেন। অর্থাৎ, ভাগ উনি ওখানে পাঠিয়েছেন। বিজেপির এতে কী করার আছে? আদালতের নির্দেশে তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে বিপুল পরিমাণ বেআইনি সম্পত্তি পাওয়া যাচ্ছে।অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমে বলেন, উনি ঠিকই বলেছেন। সব মুখ্যমন্ত্রী জানেন। মুখ্যমন্ত্রীর জানার বাইরে তো কিছু ঘটেনি। ধান কেনা থেকে শুরু করে প্রতিটা ক্ষেত্রে লোপাট হয়েছে। সমস্ত লোপাটের অর্থের অংশ যদি কালীঘাট পায়, মুখ্যমন্ত্রী এতে খুশিই হন। দুর্নীতিগ্রস্ত অপরাধী যারা, তারা কেউ একা একা দুর্নীতি করেননি। মুখ্যমন্ত্রীর আনুকূল্যেই করেছেন। তাই একথা ঠিক, মুখ্যমন্ত্রী সবই জানেন।উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের হেফাজতেই রয়েছেন তিনি। আদালতের নির্দেশে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হচ্ছে আলিপুরের কমান্ড হাসপাতালে। শুক্রবার ইডির সিজিও কমপ্লেক্সের দফতর থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর জন্য কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্য করেছেন বনমন্ত্রী।তৃণমূল সাসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দোষটা কী আছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিফ মিনিস্টার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দোষ কী আছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বাস করে একজন একটা দায়িত্ব দিয়েছে। তার যদি পদস্খলন হয়ে থাকে, সে যদি বেইমানি কোথাও করে থাকে, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দোষটা কোথায়? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দোষটা কোথায়? অন্যায় করেছেন জ্যোতিপ্রিয়। অভিষেকের নামটা আসছে কেন এসবের মধ্যে?

নভেম্বর ০৩, ২০২৩
রাজ্য

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা হাসপাতালে, দেখে এলেন মুখ্যমন্ত্রী

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা অসুস্থ জানতে পেরেই তাঁকে দেখতে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী। নির্মলাদেবীর অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন এক্সবার্তায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মায়ের অসুস্থতার খবর জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ অধ্যাপিকা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা নোবেলজয়ী অধ্যাপক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক জেনে আমি দুঃখিত। আমি এখন তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যাচ্ছি। আসুন আমরা তার জন্য প্রার্থনা করি।জানা গিয়েছে, সন্ধ্যার মুখে হাসপাতালে পৌঁছে রোগীর ঘরে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। কেমন আছেন নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায় সেবিষয়ে খোঁজখবর নেন তিনি। সূত্রের খবর, হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী।

নভেম্বর ০৩, ২০২৩
দেশ

ধূপগুড়িতে জয় তৃণমূলের, উচ্ছ্বসিত মমতা গেলেন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে

জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনে তৃণমূলের জয় প্রসঙ্গে বলেন, আমি ধুপগুড়ির মানুষকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। চা বাগান থেকে রাজবংশী সবাই যেভাবে তৃণমূলকে সমর্থন করেছেন। বিজেপির একটা শক্ত ঘাঁটি। বিজেপির মন্ত্রীরা সবাই ওখানে পড়েছিলেন। উত্তরবঙ্গের বড় জয়। সারা ভারতে নির্বাচন হয়েছে। সেখানে চারটিতে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট জয়লাভ করেছে। উত্তর প্রদেশের মত জায়গাতে বিজেপি হেরেছে। ত্রিপুরায় দুটো আসনে জিতেছে বিজেপি। সেখানে কাউকে লড়তেই দেয়নি। ৯০ শতাংশ ভোটে জয়লাভ করেছে। ইন্ডিয়া জোটের বড় জয় এটা।ধূপগুড়ির তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের প্রাপ্ত ভোট- ৯৬,৯৬১। বিজেপির তাপসী রায় পেয়েছেন ৯২,৬৪৮। বাং-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী পেয়েছেন১৩,৬৬৬ ভোট। তৃণমূল প্রার্থী ভোট জিতেছেন ৪,৩১৩টি ভোটে। শতাংশের বিচারে তৃণমূল পেয়েছে ৪৬ শতাংশের সামান্য বেশি ভোট।

সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৩
রাজ্য

এক ধাক্কায় কত বেতন বাড়ল বাংলার মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন?

শহিদ মিনারের নীচে এখন অবস্থানে বসে আছে ডিএ আন্দোলনকারীরা। মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। এদিকে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা করেন। এই ঘোষণায় এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়ল বিধায়ক মন্ত্রীদের বেতন। বাংলা দিবস নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার শেষে এই বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।রাজ্য সরকারী কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন চলছে। টানা শহিদ মিনারে বসে রয়েছেন সরকারী কর্মীরা। নতুন নিয়োগ বা উন্নয়ন প্রকল্পও থমকাচ্ছে অর্থের অভাবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের রাজ্যের বিধায়কদের বেতন দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম। চলাফেরা, দুটো খাওয়া, সবই ওই টাকায় করতে হয়। সেটা পর্যবেক্ষণ করেই আমাদের সরকার তাই বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।কত বাড়ছে বেতন?মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মোতাবেক- বিধায়ক, রাজ্যের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, বিধায়কদের বেতন একধাক্কায় ৪০ হাজার টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।এতদিন বিধায়কদের বেতন ছিল প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে। তা বেড়ে হল ৫০ হাজার টাকা।রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীরা এত দিন মাসে ১০ হাজার ৯০০ টাকা করে বেতন পেতেন। এখন তা বেড়ে হল ৫০ হাজার ৯০০ টাকা।পূর্ণমন্ত্রীদের বেতন ছিল ১১ হাজার টাকা। তাঁরা বেতন বাবদ এবার থেকে পাবেন ৫১ হাজার টাকা করে।বিভিন্ন ভাতা মিলিয়ে পূর্ণমন্ত্রীরা মন্ত্রীরা এখন থেকে প্রতি মাসে পাবেন দেড় লক্ষ টাকার বেশি। প্রতিমন্ত্রীরা পাবেন প্রায় ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯০০ টাকা। বিধায়করা পেতে চলছেন মাসিক ১ লাখ ২১ হাজার টাকা বেতন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বেতন নেন না বলে জানিয়েছেন।মন্ত্রী, বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, আমরা মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাকে সমর্থন করছি না। আমরা চাই আশাকর্মী, ভিলেজ পুলিশ, সিভিক পুলিশ, চুক্তিভিত্তিক সব শিক্ষক, ভোকেশনাল টিচাররা সম কাজে সম বেতন পাক। আর আমরা যখন হাউজে ছিলাম না তখন উনি একতরফাভাবে মন্ত্রী, বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা করেছেন।সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, কর্মীরা ডিএ বাড়াতে বললেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন টাকা নেই। কর্মীও বহু জায়গায় নিয়োগ হচ্ছে না। অথচ মন্ত্রী, বিধায়কদের বেতন বাড়ালেন উনি। এটাকেই বলে তেলা মাথায় তেল দেওয়া। বাংলার মানুষকে পুরোটায় নজর রাখতে অনুরোধ করছি। আদালতেও এটা আমরা জানাবো। আমরা আন্দোলন আরও জোরদার করবো।

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৩
কলকাতা

র‍্যাগিংয়ে মৃত ছাত্রের মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ মমতার, একগুচ্ছ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

ছেলের অকাল মৃত্যুর শোক এখনও কাটেনি। দোষীদের সাজার দাবিতে সোচ্চার ছাত্রের বাবা মা। এরইমধ্যেই সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিংয়ে নিহত পড়ুয়ার মা, বাবা নবান্নে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। কথা বলতে বলতে এদিন কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতের মা। শান্তনা দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এরই মাঝে মৃতের মাকে তাঁর বাড়ির কাছে চাকরি এবং ভাইয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর তরফে মৃত ছাত্রের পরিবারকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, নিহতের স্মৃতিতে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের নামকরণ করা হবে। ওই হাসপাতালেই বসানো হবে তার মূর্তি।গত ৯ আগস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে দিয়ে স্নাতকস্তরের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু হয়। যা ঘিরে শোরগোল পড়ে য়ায়। ব়্যাগিংয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই নাবালক পড়ুয়ার। এই ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নেমে বর্তমান ও প্রাক্তনী মিলিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরই ১৩ জনকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তদের জেরায় এখনও পর্যন্ত পুলিশের অনুমান, ব়্যায়গিংয়ের জেরেই ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে।ইউজিসি গাইডলাইন মেনে কেন যাদবপুরে সিসি ক্যামেরা নেই তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আতসকাচে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভমিকাও। স্টুডেন্টস অফ ডিন ও রেজিস্ট্রারকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে লালবাজার।

সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৩
রাজ্য

বাড়ল দুর্গা পুজোর আর্থিক সহযোগিতা, বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

১০ দিয়ে শুরু, ২৫, ৫০ থেকে ৬০ ছুঁয়ে এবছর ৭০ হাজার। ২০২২ এর দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান ছিল ৬০ হাজার টাকা। সেই পড়িমান বেড়ে ক্লাব পিছু ৭০ হাজার টাকা করল রাজ্য সরকার। আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দুর্গা পুজো নিয়ে একাধিক ছাড়ের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও জানান যে, সরকারি বিভিন্ন দফতরের বিজ্ঞাপনও পুজো কমিটিগুলিকে দেওয়া হবে। বিজ্ঞাপন বাবদও কিছু টাকা ক্লাবগুলি পাবে।২০২৩ র এই বছর দুর্গাপুজোর বিসর্জন করারও দিন ধার্য করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজো কমিটিগুলিকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিমা নিরঞ্জন শেষ করে ফেলতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী সেরা পুজোগুলিকে নিয়ে পূজা কার্নিভ্যাল রেড রোডে অনুষ্টিত হবে লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন, অর্থাৎ ২৭ অক্টোবর।মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষনার সাথে সাথেই যেনো পুজো কমিটিগুলিতে বেজে উঠলো বাজলো তোমার আলোর বেণু...। তিনি এই অনুদানের ঘোষনার সাথে সাথেই সকলকে অনুরোধ করেন, সকলেই যেন সব সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রেখে, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে শারদীয় উৎসব পালন করেন।আজ মঙ্গলবার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের পুলিশ, প্রশাসন ও বাংলার পুজো কমিটিগুলো নিয়ে বৈঠকে বসেন। সারা রাজ্যের সমস্ত সরকারি অফিসে এই বৈঠক সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সেখানেও স্থানীয় জেলাশাসক সহ এলাকার সাংসদ, মহকুমাশাসক, বিধায়ক সহ বিশিষ্ট সরকারি আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন দফতরকে সতর্কতামূলক বিষয়ে নানা পরামর্শ প্রদান করে বলেন, স্কুল ছাত্রদের স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে যেন পুলিশের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়। প্রত্যেক পূজা মণ্ডপের প্রবেশ ও বাহিরের পথ যেন আলাদা হয়। প্রাথমিক অগ্নি নির্বাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও মণ্ডপে রাখতে হবে। এছাড়াও প্রতিমা নিরঞ্জনের জায়গায় জলাশয়ের পাশে যেন আলো ও ব্যারিকেডের ব্যবস্থা করা হয়। যে সমস্ত জায়গায় দর্শক সমাগম বেশি হয় সেখানে জরুরি পরিস্থিতিতে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক, নার্স, অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সরকারি জরুরি বিভাগগুলির হেল্পলাইন নম্বরগুলো যেন পুজোর সময় কার্যকারি থাকে। পুজো কমিটিগুলিকে তাঁদের ভিড় নিয়ন্ত্রনের জন্য প্রতিনিয়ত মাইকে ঘোষণা করতে হবে। সরকার প্রদত্ত জনকল্যাণমূলক হোর্ডিং সকলের দৃষ্টির সামনে লাগাতে হবে। এছাড়াও সরকারের বিভিন্ন দফতর বিজ্ঞাপন হিসাবে যে হোর্ডিং দেবে সেগুলিও সঠিক জায়গায় লাগাতে হবে। বাংলার আড়ম্বরপুর্ণ দুর্গাপুজো যে বহু মানুষের এক বিরাট রোজগারের দিশা সেই কথাও তিনি স্মরণ করিয়ে দেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই পুজোকে কেন্দ্র করে বঙ্গে ৬০ হাজার কোটি টাকার বাজার তৈরি হয়। তিনি প্রত্যেক পুজো কমিটিগুলির উদ্দশ্যে বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন লোকশিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের তাঁরা যেন তাঁদের পুজোয় জায়গা করে দেন। তাঁদেরও যাতে পুজোর সময় কিছু বাড়তি রোজগার হয় সেটাও আমাদের দেখতে হবে।মুখ্যমন্ত্রী জানান, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৪০ হাজার বারোয়ারিতে দুর্গা পুজো হয়। শহর কলকাতার তিন হাজার বাদ দিলে বাকি ৩৭০০০ পূজা হয় জেলায়। তিনি বিভিন্ন আবাসনের পুজোরও ভুয়াসী প্রশংসা করেন। তিনি পরিবহণ দপ্তর ও রাজ্য পুলিশকে পুজোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।২০১৮ তে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুজোয় সরকারের তরফ পুজো কমিটিগুলির পাশে দাড়ানোর জন্য ১০হাজার টাকা অনুদান দেন। বছর গড়াতে গড়াতে সেই অনুদান ৭০ হাজারে পৌঁছে গেল। উল্লেখ্য ২০২২ এ পুজো কমিটি পিছু ৬০ হাজার অনুদান ছিল। গতবছর ২০২২ এ সারা রাজ্যে মোট ৪২ হাজার ২৮টি পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। এ ছাড়াও এবছরে বিদ্যুতের বিলে ছাড়ের পরিমানও বাড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, গতবছর বিদ্যুতের বিলে ছাড় ছিল ২/৩ এবছরে তে বেড়ে হল ১/৪। তিনি এবিষয়ে সিইএসসি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদকে নির্দেশ দিয়ে দেন এই বৈঠকে।তিনি জানান, ২০২২ থেকেই অগ্নিনির্বাপক সংস্থার অনুমতি বাবদ কোনও টাকা দিতে হয় না। এবছরেও কোনও টাকা দিয়ে হবে না সেই সংক্রান্ত বিষয়ে। তাছাড়া তিনি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার মহিলা পরিচালিত পুজোগুলির প্রতি বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট দফতর গুলিকে।

আগস্ট ২২, ২০২৩
রাজ্য

ইমাম, মোয়াজ্জেমদের জন্য বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, ভাতা বাড়ল পুরোহিতদেরও

নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম-মোয়াজ্জেমদের সভায় ভাতা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ইমাম ও মোয়াজ্জেমদের ভাতা ৫০০ টাকা করে বাড়ানো হচ্ছে। তার ফলে ইমামদের ভাতা বেড়ে হল ৩,০০০ টাকা। মোয়াজ্জেমদের ভাতা বেড়ে হল ১,৫০০ টাকা। তাঁরা কোনওকিছু করতে চাইলে ঋণও পেতে পারেন। ইমাম ও মোয়াজ্জেমদের সঙ্গেই সভায় পুরোহিতদের ভাতাও ৫০০ টাকা করে বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার ফলে পুরোহিতদের ভাতা বেড়ে হল ১,৫০০ টাকা। তিনি বলেন, রাজ্যে তিনটি অর্থনৈতিক করিডর হচ্ছে। তাই রাজ্য ছেড়ে বাইরে যাওয়ার কথা কাউকে ভাবতে হবে না। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর ভাতা বাড়ানোর ঘোষণায় খুশি নন ইমাম-মোয়াজ্জেমরা। এই ব্যাপারে রাজ্য ইমামস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহম্মদ ইয়াহিয়া বলেন, আমরা চাই ইমামদের ভাতা ২,৫০০ টাকা আর মোয়াজ্জেমদের ১,০০০ টাকা বাড়ানো হোক। দরকার হলে আগামী মাসে ফের ইমাম-মোয়াজ্জেমদের নিয়ে সভা ডাকুন। এটাই আমাদের অনুরোধ।

আগস্ট ২১, ২০২৩
কলকাতা

যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় সরাসরি সিপিএমের ছাত্র ইউনিয়নকে নিশানা মমতার

যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যু ইস্যুতে সিপিএমকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে ইমাম-মোয়াজ্জেমদের সভায় যাদবপুরের সিপিএম অনুমোদিত ইউনিয়নকে আক্রমণ করেন। সমালোচনা করেন সিপিএম এবং তাদের ছাত্র সংগঠনের রাজনীতির। সম্প্রতি যাদবপুরে এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে রাজ্য তোলপাড়। যাদবপুর ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশ। বিভিন্ন সংগঠন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। ঘটছে হাতাহাতি, সংঘর্ষের ঘটনা।সোমবার নেতাজি ইন্ডোরের সভায় যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যাদবপুর নিয়ে আগে আমরা গর্ববোধ করতাম। যাদবপুরে কীভাবে একটা ছাত্রকে সিপিএমের ইউনিয়ন মেরে ফেলল। এরা জীবনে বদলাবে না। এত রক্ত নিয়েও এরা বদলায়নি। বছরের পর বছর রক্ত নিয়ে খেলেও এদের শান্তি নেই।সভায় সিপিএমের পাশাপাশি বিজেপিকেও একহাত নেন। ডাক দেন, বিজেপি হঠাও ইন্ডিয়া বাঁচাও। কংগ্রেস বা সিপিএম তাঁকে যতই বিজেপিপন্থী বলুক না-কেন, গেরুয়া শিবিরকে তোপ দেগে সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলাকে ভাতে মারতে চায় মোদী সরকার। একদলের সরকারের নীতি চলবে না। আমরা সকলের উন্নতির পক্ষে। মোদী সরকার আর ৬ মাস থাকবে। আর একটু ৬ মাস কষ্ট করতে হবে আপনাদের, তারপর সব ম্যানেজ করে নেব।২৬টি বিরোধী রাজনৈতিক দলের ইন্ডিয়া জোটে রয়েছে জোটে তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেসও। কিন্তু, তারপরও জোটসঙ্গী বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসকে সোমবারের বক্তব্যে রেয়াত করেননি তৃণমূল সুপ্রিমো। বিজেপির সঙ্গে তিনি এই দুই সর্বভারতীয় জোটসঙ্গী দলকেও এক আসনে নিশানায় রেখে বুঝিয়ে দেন, জোট শুধু সর্বভারতীয় রাজনীতিতে। রাজ্যে তৃণমূল আছে তাদের একলা চলো নীতিতেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একসঙ্গে বোর্ড গঠন করছে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি। হিংসা লাগানোর জন্য টাকা দেওয়া হচ্ছে। বাংলায় সিপিএম-কংগ্রেসকে আমাদের বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।

আগস্ট ২১, ২০২৩
কলকাতা

র‍্যাগিং কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, মমতা বড় দায়িত্ব দিলেন টিএমসিপি নেত্রী রাজন্যাকে

দুদিন আগেই যাদবপুরে মিছিল করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেত্রী রাজন্যা হালদার। আহত রাজন্যকে ভর্তি করা হয়েছিল কেপিসি হাসপাতালে। এর আগে ২১ জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবসের মঞ্চে বক্তব্য রেখে সবার নজর কেড়েছেন তিনি। এবার রাজন্যা হালদারকে বড় দায়িত্ব দিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তাঁকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিটের সভানেত্রী করা হল। চেয়ারম্যান করা হয়েছে সঞ্জীব প্রামানিককে আপাতত দুজনের এই কমিটি যাদবপুরে দলের ছাত্র সংগঠন দেখবে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে। দুই মন্ত্রী অরূপ ও বিশ্বাস ফিরহাদ হাকিমকে নিয়ে গতকালই বৈঠক করেন দলনেত্রী। সেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নেতৃত্বকে। দুজনের এই কমিটি যাদবপুর নিয়ে সরাসরি রিপোর্ট করবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে।

আগস্ট ১৮, ২০২৩
রাজ্য

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে ‘দালাল’, সম্বোধন করে নিশানা মমতার

ফের নবান্ন রাজভবন সংঘাত চরমে। একদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিষয়ে রাজযপালের একের পর এক সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রীদের লাগাতার আক্রমণ। আজ, বুধবার ঝাড়গ্রাম থেকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে বেনজির আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। দালাল বলতেও ছাড়লেন না সিভি আনন্দ বোসকে।বুধবার ঝাড়গ্রামে বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদ্যাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছলেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের কড়া সমালোচনা করতে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বকেয়া অর্থ না পাওয়া, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে বাংলাকে টাকা না দেওয়া, আবাস যোজনা নিয়ে এদিন আগাগোড়া মোদী সরকারকে তোপ দাগতে থাকেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে কোনও উপাচার্য নেই। নেই রেজিস্ট্রারও। কৃতী পড়ুয়ারা সার্টিফিকেট পাচ্ছেন না। এ জন্য আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, আমি জানি ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যেটা তরি হয়েছে আমাদের গভর্নর মহাশয়, তিনি এখন কালো চশমা পড়ে- সেটা অবশ্য তিনি পড়তেই পারেন একটার জায়গায় দশটা, জ্ঞান দিয়ে বেরাচ্ছেন। আমরা পাঠালেও করেনা। নিজের ইচ্ছামত কেরালা থেকে লোক এনে ঢুকি দিচ্ছে (উপাচার্য)। কেরালার অনেক বন্ধু আমার এখানে থাকে, তাতে আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু মনে রাখতে হবে ভিসি হতে গেলে ১০ বছর তাঁর প্রফেসর হিসাবে অভিজ্ঞতা থাকা উচিত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একজনকে ভিসি করেছেন যিনি কেরালায় আইপিএস ছিলেন, যাঁর এডুকেশনের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। এখানে ঝাড়গ্রাম ইউনিভার্সিটি করে দিয়েছি। কিন্ত না আছে কোনও উপাচার্য, না আছে কোনও রেজিস্ট্রার। তার কারণ পাঠালেই উনি উনি ওনার মত বিজেপির একটা লোককে বসিয়ে দেবেন। এরপরই মুখ্যসচিবকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ যে, ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্বাচনের জন্য উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে যেন অবিলম্বে তিনটি সুপারিশ করে দেওয়া হয়।মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, আমি সব করে দিচ্ছি, আর উনি (রাজ্যপাল) দালালি করে সব আটকে দিচ্ছেন। আমরা এটা মানবো না। স্ট্রেট মানবো না।এদিন রাজ্যপাল আনন্দ বোসকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে যেটা বিধানসভায় পাস হয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রী সব রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হবে তবে সেটা পাস করিয়ে দিন।

আগস্ট ০৯, ২০২৩
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • ...
  • 32
  • 33
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

পরিযায়ী বাংলার শ্রমিকদের পাশে রাজ্য পুলিশ, বিশেষ আবেদন

বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালি বিদ্বেষ চলছে বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী তাঁদের কাউকে কাউকে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখছে, মারধর করার মতো অভিযোগ উঠছে। এই অবস্থায় রাজ্য পুলি সোশাল মিডিয়া ভিনরাজ্যে কর্মরত বাঙালিদের প্রতি বিশেষ আবেদন জানিয়েছে। রাজ্য পুলিশ সামাজিক মাধ্যমে বলছে, বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে যোগাযোগ করুন রাজ্য পুলিশের হেল্পলাইনে।বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে যোগাযোগ করুন রাজ্য পুলিশের হেল্পলাইনেবাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে অনেকে নানা সমস্যার মুখে পড়ছেন এবং হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে আমরা খবর পাচ্ছি। কিন্তু যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের লোকজন এই West Bengal Police (@WBPolice) July 25, 2025বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে অনেকে নানা সমস্যার মুখে পড়ছেন এবং হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে আমরা খবর পাচ্ছি। কিন্তু যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের লোকজন এই সমস্যার কথা কাকে জানাবেন, কীভাবে জানাবেন, সেই বিষয়ে ওঁদের কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই।বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া নাগরিকরা যদি কোনও ধরনের সমস্যায় পড়েন, তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের কাছে আমাদের আবেদন, সঙ্গে সঙ্গে আপনার স্থানীয় থানায় জানান। জেলার কন্ট্রোল রুমেও জানাতে পারেন। এ ছাড়া, পরিবারগুলির সুবিধার্থে আমরা চালু করছি একটি হেল্পলাইন। যার নম্বর হল 9147727666 । এই নম্বরে শুধু হোয়াটস্যাপ করা যাবে। মেসেজ করে প্রয়োজনীয় তথ্য এখানে দিতে পারেন, নিজের নাম-ঠিকানাসহ। প্রতিটি তথ্য যাচাই করে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

জুলাই ২৫, ২০২৫
দেশ

হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল স্কুল ভবন, মৃত ৬, জখম প্রায় ৫০

মর্মন্তুদ ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা রাজস্থানের স্কুলে! স্কুলে প্রার্থনা চলাকালীন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল সরকারি স্কুলভবন। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৪০-৪৫ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ও উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। শুক্রবার সাত সকালে রাজস্থানের ঝালাওয়ারে আচমকা একটি সরকারি স্কুল ভবন ধসে পড়ে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৪০-৪৫ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছে। ভবনটি ধসে পড়ার সাথে সাথেই চারদিকে চিৎকার ও আর্তনাদ শুরু হয়ে যায়। পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। কেন সরকারি স্কুল ভবন ভেঙে পড়ল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

জুলাই ২৫, ২০২৫
দেশ

অনিল আম্বানির সংস্থায় হানা ইডির, কেন এই অভিযান?

অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে একগুচ্ছ এফআইআর দায়েরের পর এবার সক্রিয় হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। দিল্লি ও মুম্বই-সহ মোট ৩৫টি জায়গায় চলছে তল্লাশি অভিযান। ইডি সূত্রে খবর, অনিল আম্বানির সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে টাকা তছরুপ ও আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে এই অভিযান। ইতিমধ্যেই ৫০টিরও বেশি সংস্থার ২৫ জন উচ্চ পদস্থ কর্তা ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।বিশেষ করে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্কের তরফে অনিলের সংস্থা রাগা গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানিকে প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়।ইডি-র দাবি, এই ঋণ দেওয়ার আগে ইয়েস ব্যাঙ্কের তৎকালীন প্রোমোটাররা নিজেদের ব্যক্তিগত সংস্থাগুলিতে টাকা পেয়েছিলেন, যেটি ছিল একটি বেআইনি কুইড প্রো কো চুক্তি।সেবি তাদের রিপোর্টে রিলায়্যান্স হোম ফিনান্স লিমিটেডের (RHFL) বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়মের কথা জানিয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে যেখানে কর্পোরেট ঋণ ছিল ৩,৭৪২ কোটি টাকা, সেখানে ২০১৮-১৯-এ তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮,৬৭০ কোটিতে। ইয়েস ব্যাঙ্কের তৎকালীন প্রোমোটার ও সিনিয়র আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ইডি সন্দেহ করছে, তারা ব্যক্তিগত লাভের জন্য এই ঋণ অনুমোদন করেছেন।

জুলাই ২৫, ২০২৫
দেশ

আপাতত উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ জয় হিন্দ কলোনিতে

দিল্লির বসন্তকুঞ্জের জয় হিন্দ কলোনিতে উচ্ছেদ নিয়ে আন্দোলন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আপাতত বন্ধ থাকছে উচ্ছেদ অভিযান। বৃহস্পতিবার দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, ওই এলাকায় এখন কোনও উচ্ছেদ অভিযান চালানো যাবে না। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর এই রায় স্বস্তি এনে দিয়েছে স্থানীয় বাঙালি ভাষাভাষী বাসিন্দাদের।জয় হিন্দ কলোনি মিনি বাংলা বলে পরিচিত। বহু দশক ধরে বাঙালি পরিবাররা এখানে বসবাস করছেন। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে এই এলাকাকে অবৈধ বসতি বলে চিহ্নিত করে উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়, পানীয় জলের ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই আইনি পথের আশ্রয় নেন স্থানীয়রা। আপাতত এই এলাকার বাসিন্দারা স্বস্তিতে।

জুলাই ২৫, ২০২৫
রাজ্য

বেতন বাড়লো ভোটার তালিকা সংশোধন ও বিশেষ ড্রাইভারের কাজে নিয়ুক্তদের

আগামী বছর বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। কয়েক মাস বাদে বিহার বিধানসভা ভোট। চলছে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। এরই মধ্যে বেতন বাড়লো ভোটার তালিকা সংশোধন ও বিশেষ ড্রাইভের কাজে যুক্ত বিএলও এবং সুপারভাইজারদের। তাঁদের ন্যূনতম বাৎসরিক বেতন একধাক্কায় প্রায় দ্বিগুণ করল নির্বাচন কমিশন। নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, বুথ লেভেল অফিসাররা বছরে ১২ হাজার টাকা এবং বিএলও সুপারভাইজাররা ১৮ হাজার টাকা করে পাবেন।এর পাশাপাশি, বিশেষ ড্রাইভের জন্য বিএলওদের অতিরিক্ত ২ হাজার টাকা ইনসেনটিভও দেবে কমিশন। ২৪ জুলাই প্রকাশিত নির্দেশে কমিশন জানিয়েছে, ২০১৫ সালের পুরনো নির্দেশ বাতিল করে এই নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর করা হচ্ছে। সমস্ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের জানানো হয়েছে, এই নির্দেশ দ্রুত বাস্তবায়ন করে সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দিতে হবে।

জুলাই ২৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

টিকিট-গুজব নস্যাৎ সিএবির, পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি জোরালো

সিএবির পদাধিকারী থেকে কমিটি সদস্যদের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগপত্র জমা পড়ছে ওম্বুডসম্যানের কাছে। তার মধ্যেই এবার প্রশ্ন উঠে গেল সিএবির ম্যাচ পর্যবেক্ষক যশোবন্ত বিশ্বাস সম্পর্কে। একজন পর্যবেক্ষক হয়ে তিনি নানাভাবে সিএবির বিরুদ্ধাচরণ কীভাবে করতে পারেন, উদ্দেশ্য কী, এর পিছনে আর্থিক লেনদেন জড়িত কিনা তা নিয়েই সংশয় বাড়ছে। ২০২৩-২৪ মরশুমে মহমেডান স্পোর্টিং-টাউন ক্লাব ম্যাচে গড়াপেটা হয় বলে অভিযোগ। প্রহসন দেখে দুই ক্লাবকে শোকজ করে সিএবি। বিষয়টি গিয়েছে ওম্বুডসম্যানের কাছে। বেশ কয়েকটি শুনানি হয়েছে। ম্যাচ রেফারি, পর্যবেক্ষক, আম্পায়ারদের রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হয়েছে। সব পক্ষের মতামত শোনা হয়েছে। সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম থেকেই এই ম্যাচটি নিয়ে হওয়া বিতর্কে কড়া মনোভাব দেখিয়েছেন। সিএবি সূত্রে খবর, ওই ম্যাচে পর্যবেক্ষকের ভূমিকা নিয়ে সংশয় থাকায় আজ অবধি তাঁকে কোনও ম্যাচ দেওয়া হয়নি। তবে বছর দেড়েক হতে চললেও ওম্বুডসম্যানের দরবারে এই বিষয়টির নিষ্পত্তিও হয়নি। সিএবির অনেকেই চাইছেন, আগামী সেপ্টেম্বরে বার্ষিক সাধারণ সভার আগেই সত্য উদ্ঘাটিত হোক, দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ হোক।ওই ম্যাচেও টাউন ক্লাবের কর্তা তথা সিএবি যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছিল সিএবিতে। সম্প্রতি এই দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে দেড় কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি-সহ নানা অভিযোগ উঠছে। যার শুনানি চালাচ্ছেন ওম্বুডসম্যান। আর এখানেই বিষয়টিতে অন্য মাত্রা যোগ হয়েছে।ওই বিতর্কিত ম্যাচ নিয়ে যেখানে পর্যবেক্ষক ক্লিনচিট পাননি সেখানে তিনি কীভাবে অভিযুক্ত ক্লাবের অভিযুক্ত কর্তার হয়ে সওয়াল করতে পারেন সেই প্রশ্ন উঠছে। দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে ওঠা সাম্প্রতিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে যশোবন্ত যে তাঁর হয়ে ব্যাট ধরেছেন তার স্ক্রিনশট জমা পড়েছে সিএবিতে। এই অবস্থায় এসপার-ওসপার চাইছেন সিএবির অনেকেই। যশোবন্ত নানাভাবে যে সিএবি বিরোধিতা চালাচ্ছেন তাও নজরে রয়েছে সিএবির। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল অডিওতে (যার সত্যতা যাচাই করেনি জনতার কথা) সিএবি সভাপতি সম্পর্কে ছাপার অযোগ্য ভাষা প্রয়োগের অভিযোগ রয়েছে যশোবন্তর বিরুদ্ধে। বর্তমানে সিএবিতে তথাকথিত বিরোধী লবির গর্বিত সৈনিক বলে দাবি করে যশোবন্ত সাংবাদিকদের ভুয়ো তথ্য দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ এবং সেগুলি ফলাও করে পোস্ট করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকী আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে সিএবির নির্বাচনে কাঁটা ছড়ানোর হুঁশিয়ারিও তিনি দিচ্ছেন বলেও সিএবি কর্তারা জানতে পেরেছেন। যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা বললেন, ওঁর পর্যবেক্ষক হওয়ার যোগ্যতা আছে কি? আর উনি কী বলছেন তাতে বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়বে না সিএবির বার্ষিক সাধারণ সভায়, এমনকী নির্বাচন হলে তাতেও। স্বার্থসিদ্ধির জন্য এক পক্ষের পাত্তা না পেয়ে খানিকটা নিজে উদ্যোগী হয়েই অপর পক্ষের ঘনিষ্ঠ হয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা ছাড়া এ সব কিছু নয়। আর সাংবাদিকদের অবস্থা এত খারাপ হয়নি যে ওঁর কথা শুনে ভিত্তিহীন, একপেশে বা নেতিবাচক খবর করে নিজেরা বিপাকে পড়বেন। তবে এটাও ঠিক, মহমেডান-টাউন ম্যাচের তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতা বরদাস্ত করা উচিত নয়। ভিনরাজ্যের ক্রিকেটার খেলানো নিয়ে টাউনের আপত্তি বা অভিযোগ জমার কথা পর্যবেক্ষক মহমেডানকে আগেভাগে জানিয়েছিলেন কিনা বা গড়াপেটায় তাঁর কী ভূমিকা, আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হোক। সিএবিতে জমা দেওয়া তাঁর রিপোর্ট আদৌ কতটা বিশ্বাসযোগ্য, যশোবন্তের সাম্প্রতিক আচরণ বা অবস্থান দেখে তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন ওঠার অবকাশ থাকছেই। একদা যিনি দেবব্রতর সমালোচনা করেছেন বিভিন্ন মহলে, তিনিই আবার কেন দেবব্রতকে নিয়ে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন, কোনওভাবে বাঁচার জন্যে কিনা সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। এই প্রশ্ন তোলা হবে সিএবি সভাপতির কাছেও।এদিকে, গতকাল রটে গিয়েছিল সিএবি নাকি সংবিধান সংশোধন করে বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার ও সদস্যদের ম্যাচ টিকিট দেওয়া বন্ধ করতে চাইছে। যদিও এটি গুজব। সিএবি সভাপতি জানিয়েছেন, ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ হোক বা আইপিএল, যাঁর জন্য যতগুলি করে টিকিট বরাদ্দ তাই দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে আইসিসি ইভেন্ট, দ্বিপাক্ষিক সিরিজ, যে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ বা আইপিএলেও সেই ধারা বজায় থাকবে। ফলে গুজবে কান দেবেন না।ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সংবিধান সংশোধনের যে চিঠি সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়বে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। মুদ্রণ প্রমাদ-সহ খসড়া চিঠির কপি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই, কিছু মহলে বার্ষিক সাধারণ সভার আগে অসন্তোষ তৈরির উদ্দেশ্য নিয়েই। এতে সিএবিতেই ঘুঘুর বাসা আছে কিনা তা নিয়েও খোঁজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।

জুলাই ২৪, ২০২৫
রাজ্য

২০২৬-এর আগে দুয়ারে সরকারের নয়া মডেল, কর্মসূচি ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’

২১ জুলাই শেষ হতেই নবান্ন থেকে নয়া কর্মসূচি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দুয়ারে সরকারের মডেলে নয়া কর্মসূচি। একেবারের বুথ ভিত্তিক উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। তিনটে বুথ নিয়ে একটি কর্মসূচি। এই প্রকল্পকে নয়া চমক বলে দাবি করেছে বিরোধীরা।নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগে আমরা দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চালু করেছিলাম। প্রায় ১০ কোটি মানুষ তাতে অংশ নিয়েছিলেন। সেই কর্মসূচির ৯০% কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১০% কাজ কিছু প্রকল্পে এখনও বাকি আছে। অনেকেই আবেদন করেছেন, আমরা সেই প্রকল্পগুলো ডিসেম্বর থেকে চালু করব, বিশেষ করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো যেসব প্রকল্প রয়েছে। দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন। জাতিগত শংসাপত্র, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা একটি কর্মসূচি শুরু করছি যার নেতৃত্বে আমি, মুখ্য সচিব এবং ডিজিপি পুলিশ থাকবেন। এই কর্মসূচির নাম আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান। রাজ্য সরকারের তহবিলের উপর নির্ভর করে সরকারি বিভাগগুলির কাজ যথারীতি চলতে থাকবে। MGNREGA তহবিল আটকে রাখা হয়েছে, গ্রামীণ আবাস যোজনার তহবিল আটকে রাখা হয়েছে এবং রাস্তার তহবিলও বন্ধ করা হয়েছে। দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে মানুষ নিজেরাই এসে তাঁদের সমস্যার কথা জানাতেন। আমরা অনেক সমস্যার সমাধান করতে পেরেছিলাম। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই সবাইকে, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের, যাঁরা দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।কেন এই নয়া কর্মসবূচি নিয়েছে রাজ্য? তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, পাড়ায় ছোট ছোট সমস্যা থেকে যায়, যেমন কোনও জায়গায় একটা কল বসানো দরকার বা একটা ইলেকট্রিক পোল বসানো দরকার। এই ধরনের বিষয়গুলো নজরে আনা দরকার। আমরা অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি, কিন্তু তবুও কিছু জায়গা হয়তো কোনও কারণে বাদ পড়ে গেছে। এই ধরনের ছোট ছোট সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা একটি নতুন কর্মসূচি আনছি। আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান। এই ধরনের উদ্যোগ দেশে এই প্রথম। দেখতে ছোট মনে হলেও এর বিস্তৃতি বিশাল। প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভরতার কথা বলেন, কিন্তু বাস্তবে তার কোনও প্রতিফলন দেখা যায় না। সব কাজ রাজ্য সরকারকেই করতে হচ্ছে।কোন পদ্ধতিতে এই কর্মসূচি রূপায়ণ হবে তাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই কর্মসূচি দেশের মধ্যে প্রথম বাংসা চালু করছে বলেও দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান, দেশের প্রথম এই ধরনের কর্মসূচি। এটি একটি উদ্যোগ, যার লক্ষ্য হল গ্রামে গ্রামে ছোট ছোট সমস্যার সমাধান করা। সরকারি অফিসাররা ক্যাম্পে থাকবেন, সাধারণ মানুষের কথা শুনবেন। প্রতিটি ক্যাম্প ৩টি বুথ নিয়ে তৈরি হবে। অর্থাৎ একেকটি ইউনিট হবে একেকটি পাড়া। আমাদের ৮০,০০০-এরও বেশি বুথ রয়েছে, তাই এই পুরো কর্মসূচি সম্পূর্ণ করতে ২ মাস সময় লাগবে। প্রত্যেকটি বুথে অফিসাররা সারাদিন থাকবেন। নির্দিষ্ট একটি জায়গা থাকবে, যেখানে পাড়ার মানুষ তাদের এলাকা সংক্রান্ত সমস্যাগুলি জানাতে পারবেন। অফিসারেরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ ঠিক করবেন।এই কর্মসূচির জন্য একটি বিশেষ তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রতি বুথে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। মোট খরচ ৮,০০০ কোটিরও বেশি টাকা। পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ বা পৌরসভা যেমন কাজ করছে, তেমনই কাজ করবে। তবে এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই নতুন কর্মসূচি শুরু করছে। এই কর্মসূচি আগামী ২ অগস্ট থেকে শুরু হবে। একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে, যা চিফ সেক্রেটারির নেতৃত্বে কাজ করবে। জেলায় ও রাজ্যে আলাদা আলাদা টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হবে। শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য পুলিশও সহযোগিতা করবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে আগামী ২ মাস ধরে সরকার মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে। দুর্গাপুজোর জন্য ১৫ দিনের ছুটি থাকবে, পরে আবার সময় বাড়ানো হবে। তবে সব বুথই কভার করা হবে। এই কর্মসূচির পাশাপাশি দুয়ারে সরকার কর্মসূচিও চালু থাকবে।

জুলাই ২৩, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ম্যাঞ্চেস্টারে মহারণ! পন্থকে নিয়ে স্বস্তি, আকাশের জায়গায় কম্বোজের অভিষেক?

পাঁচ টেস্টের সিরিজ আপাতত ২-১। বুধবার থেকে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শুরু হচ্ছে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফির চতুর্থ টেস্ট। দুই দলের একাদশেই পরিবর্তন আসছে। বেন স্টোকসরা ইতিমধ্যেই প্রথম এগারো ঘোষণা করে দিয়েছেন। ম্যাঞ্চেস্টারের আবহাওয়া ও পিচ দেখে ভারত একাদশ ঘোষণা করবে টসের সময়েই।ভারতীয় শিবিরে চোট-আঘাতের সমস্যা। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এসে ভারত অধিনায়ক শুভমান গিল জানিয়ে দিলেন, আঙুলের চোট সারায় সহ অধিনায়ক ঋষভ পন্থ উইকেটকিপিং করবেন। তবে চতুর্থ টেস্ট খেলতে পারবেন না আকাশ দীপ। লর্ডস টেস্টে তিনি কুঁচকিতে চোট পান। নেটে বল করেননি। ম্যাঞ্চেস্টারে বোলিং কোচ মর্নি মরকেলের সামনে বল করতে গিয়ে স্বচ্ছন্দ বোধ করেননি আকাশ। ফিট হতে তাঁর সময় লাগবে। হাঁটুর চোট সিরিজ থেকেই ছিটকে দিয়েছে অলরাউন্ডার নীতীশ কুমার রেড্ডিকে।ফলে তিনে বি সাই সুদর্শনের খেলা নিশ্চিত। বৃষ্টির ফলে ঢাকা পিচের কাছে গিয়ে তাঁকে শ্যাডো প্র্যাকটিস করতে দেখা গিয়েছে। গিল করুণ নায়ারকে খেলানোর ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন। এই অবস্থায় করুণ ছয়ে ব্যাট করতে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। ইংল্যান্ড সফরে তিনটি টেস্ট খেলার কথা ছিল জসপ্রীত বুমরাহর। তিনি ম্যাঞ্চেস্টারেই খেলবেন। ইংল্যান্ডের পিচগুলির মধ্যে ম্যাঞ্চেস্টারেই সবচেয়ে বেশি সুবিধা আদায় করে নিতে পারেন পেসাররা। যেভাবে বৃষ্টিতে পিচ ঢাকা থাকছে তাতে খেলা শুরুর সময় থেকে উইকেটের আর্দ্রতার কারণে ব্যাটারদের অস্বস্তিতে ফেলতে পারেন সিমাররা, মানছেন শুভমান।এই টেস্টে অংশুল কম্বোজের টেস্ট অভিষেক হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা। একাদশে জায়গা পেতে তাঁর লড়াই প্রসিধ কৃষ্ণর সঙ্গে। তবে প্রসিধের বিরুদ্ধে যাচ্ছে ৫৫-র উপর বোলিং গড়, সাড়ে পাঁচের কাছাকাছি ইকনমি। ইংল্যান্ডে তিনি বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। সেই সঙ্গে তাঁর চেয়ে কম্বোজের ব্যাটের হাত অনেক ভালো। সে কারণেই অংশুল কম্বোজ হতে চলেছেন ম্যাঞ্চেস্টারে ভারতের সারপ্রাইজ প্যাকেজ। উল্লেখ্য, গত বছর রঞ্জি ট্রফিতে হরিয়ানার কম্বোজ কেরলের বিরুদ্ধে ৪৯ রানের বিনিময়ে ইনিংসে দশ উইকেট নিয়েছিলেন।চোটের কারণে ইংল্যান্ডের স্পিনার শোয়েব বশির ছিটকে গিয়েছেন সিরিজ থেকেই। লর্ডসে চোট নিয়ে বল করতে গিয়ে মহম্মদ সিরাজের জয়সূচক উইকেটটি বশির নিয়েছিলেন। স্টোকসদের একাদশে বশিরের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন লিয়াম ডসন। আট বছর পর তিনি টেস্ট খেলবেন। ইংল্যান্ড আত্মবিশ্বাসী, এই টেস্ট জিতে সিরিজ পকেটে পুরে ফেলার ব্যাপারে। ভারতের কাছে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ।ভারতের সম্ভাব্য একাদশ- যশস্বী জয়সওয়াল, লোকেশ রাহুল, বি সাই সুদর্শন, শুভমান গিল (অধিনায়ক), ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার), করুণ নায়ার, রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, অংশুল কম্বোজ, জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ।ইংল্যান্ডের একাদশ- জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, অলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার), লিয়াম ডসন, ক্রিস ওকস, ব্রাইডন কার্স, জোফ্রা আর্চার।

জুলাই ২২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal