পূর্ণিমা ও চন্দ্রগ্রহণের দোসরে দুর্যোগ বাড়ার আশঙ্কা
আম্ফানের চেয়েও ভয়ংকর হতে পারে ঘূর্ণিঝড় যশ। আশঙ্কা প্রকাশ করেই রাজ্যবাসীকে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্রমেই শক্তি বৃদ্ধি করে বাংলার দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়টি। আর এরই মধ্যে অপেক্ষারত দুই দোসর পূর্ণিমা ও পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। এই দুই কারণে ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার জেরে উপকূল এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।পূর্ণিমার প্রভাবে বুধবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিট নাগাদ শুরু হবে জোয়ার। যা নিজের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছবে সকাল ১০টা ৪৮ নাগাদ। এরপর থেকে জলের উচ্চতা ধীরে ধীরে নামতে থাকবে। সন্ধে ৬টার খানিক পরই ভাটার জেরে জলতল একেবারে নিচে নেমে যাবে। এরপর আবারও শুরু হবে জোয়ারের প্রভাব। যা সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছতে ঘড়ির কাঁটায় বাজবে রাত ১১টা ৪। সেই দিনই অন্যদিকে বেলা ৩:১৫ মিনিট থেকে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী থাকবে বিশ্ব। যা চলবে সন্ধে ৬টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত। এটিই চলতি বছরের প্রথম ও শেষ ব্লাড মুন। ঘূর্ণিঝড় যশ যখন স্থলভাগে আছড়ে পড়বে, সেই সময়ের যদি সামান্য হেরফের হয়, তাহলেই চিন্তা বাড়বে। কারণ সকাল অথবা একটু রাতের দিকে আছড়ে যদি সুপার সাইক্লোনটি স্থলভাগ স্পর্শ করে তাহলে তার প্রভাব অনেক বেশি আক্রমণাত্মক হবে বলেই মনে করছে হাওয়া অফিস।ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগের দিকে এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে এর গতিবেগ আরও বাড়বে। ঘণ্টায় ১১৮-১৮৫ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়ার কথা যশের। তাই যে আনুমানিক সময়ে তা স্থলভাগে পড়ার কথা তার আগেই ধাক্কা মারতে পারে। আর সেক্ষেত্রেই বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে পারে উপকূলের এলাকাগুলি। কারণ তাহলে এই ঘূর্ণিঝড় আরও শক্তিশালী হবে বলেই আশঙ্কা করছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। ৭২ ঘণ্টা দুর্যোগ থাকবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সব মিলিয়ে তাই উদ্বেগের প্রহর গুনছেন বঙ্গবাসী।