• ১ পৌষ ১৪৩২, শুক্রবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

IR

রাজ্য

হাওড়ায় তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে গড়হাজির দুই মন্ত্রী, বাড়ছে জল্পনা

শুক্রবার হাওড়াতেও পালিত হল তৃণমূলের ২৪তম প্রতিষ্ঠা দিবস। এই প্রতিষ্ঠা দিবসেও পিছু ছাড়ল না গোষ্ঠীকলহের বিতর্ক। এদিন দলের হাওড়ার কদমতলার জেলা সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয় দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের মূল অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে রাজের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় উপস্থিত থাকলেও গরহাজির ছিলেন তৃণমূলের সদর সভাপতি তথা মন্ত্রী লক্ষীরতন শুক্লা। দেখা মিলল না দলের কোর্ডিনেটর তথা আর এক মন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের মুল অনুষ্ঠানে জেলার দুই মন্ত্রী তথা হেভিওয়েট নেতার অনুপস্থিতিতে জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এই প্রসঙ্গে, তৃণমূলের সদর চেয়ারম্যান অরূপ রায় বলেন, কে বা কারা আসেননি জানি না। তবে আসা উচিত ছিল। প্রথম থেকে দল করে আসা তৃণমূল কর্মীরা সবাই এসেছে। যাঁরা আসেননি তাঁদেরকে আসার জন্য অনুরোধ করব। অন্যদিকে এদিন জেলা নেতৃত্বের এমন ধরনের মনোভাবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন হাওড়ার সাংসদ প্রসূণ বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠা দিবসে এই ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। দলীয় কর্মীরা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছেন। ক্ষোভের সঙ্গে সাংসদ বলেন, আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি জেলার তিন নেতা তিন দিকে আলাদা আলাদা কেন র্যালি করছে? আমার খুব মন খারাপ, আমি খুব শকড। এইভাবে চললে হাওড়ার ১৬টা আসন ধরে রাখা সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। দলীয় হোর্ডিং নিয়েও এদিন তিনি ক্ষোভ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে দল না থাকলে লালবাতি নীলবাতি পাব না এই বার্তাও দিলেন দলীয় নেতৃত্বকে। উল্লেখ্য, কয়েক মাস ধরে রাজ্যের দুই মন্ত্রী তথা হাওড়ার হেভিওয়েট নেতা অরূপ রায় এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে চলছে ঠান্ডা লড়াই। সম্প্রতি একাধিক অনুষ্ঠানে তাঁদের দুজনকে একসঙ্গে হাজির হতে দেখতে পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। তাই জল্পনাও শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। তারই মধ্যে এদিন প্রতিষ্ঠা দিবসে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং লক্ষ্মীরতন শুক্লার উপস্থিতি না থাকা উষ্কে দিচ্ছে নয়া বিতর্ক।

জানুয়ারি ০১, ২০২১
রাজনীতি

সৌমেন্দুকে নিয়ে এবার অখিলের মিথ্যাচার!

দাদা তথাগত রায় বিজেপিতে, তবু নারদ ফুটেজে বান্ডিল পকেটে ঢোকানো অধ্যাপক-সাংসদ সৌগত রায় তৃণমূলের মুখপাত্র। আরও লম্বা তালিকা আছে। যত দোষ কি অধিকারী পরিবারের? এ প্রশ্ন উঠছে, কেন না শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকে যেভাবে অধিকারী পরিবারকে অসম্মান করছেন তৃণমূলের তথাকথিত হেভিওয়েট থেকে চুনোপুঁটি নেতারা, তাতে তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ তথা পূর্ব মেদিনীপুরের দলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারীর একটা কথা কানে বাজছে। শুভেন্দুবাবু বিজেপিতে যোগদানের আগে শিশিরবাবু খেদ প্রকাশ করেছিলেন, দলের একাংশ শুভেন্দুবাবুকে বিজেপির দিকে ঠেলে দিচ্ছে! এবার এক অবস্থা শিশিরবাবুর পাশাপাশি কি তাঁর আরও দুই পুত্র দিব্যেন্দু ও সৌমেন্দু অধিকারীর জন্যও অপেক্ষা করে আছে? শিশিরবাবুর পরিবারকে কোণঠাসা করে অসম্মান করতে অধিকারী পরিবারের বিরোধী অখিল গিরির গোষ্ঠীকে খুব তোল্লাই দেওয়া হচ্ছে। দলের সভায় শিশিরবাবুদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। এমনকী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রাম সফরে সভা আয়োজনের দায়িত্ব থেকেও দূরে রাখা হয়েছে সভাপতিকে। অখিলের মিথ্যাচার! ভিডিও-টি দেখার জন্য এই লিঙ্ক এ ক্লিক করুন। এর মধ্যেই বিতর্ক বাড়িয়েছেন দলের জেলা কো-অর্ডিনেটর তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। তাঁর নিশানায় শিশিরবাবুর কনিষ্ঠ পুত্র তথা কাঁথি পুরসভার প্রশাসক সৌমেন্দু অধিকারী। অখিল গিরি বলেছেন, দাদার (শুভেন্দুবাবুর) অনুগামীদের বা বিজেপির কর্মসূচি আয়োজন করছেন সৌমেন্দু। তিনি মিছিলেই শুধু হাঁটছেন না, বাকি সব করছেন। কাঁথির প্রশাসকের দ্বিচারিতা দল ও সরকার ধরে ফেলেছে। কিছুদিনের মধ্যেই প্রশাসক পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে। প্রশ্ন এখানেই, এ কথা বলার এক্তিয়ার অখিল গিরিকে কে দিল? তাঁর কাছে কী প্রমাণ রয়েছে? জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে বাড়িতেই রয়েছেন সৌমেন্দু অধিকারী। তা সত্ত্বেও এমন বক্তব্যকে ভিত্তিহীন বলেই তিনি ঘনিষ্ঠমহলে দাবি করেছেন। বিতর্কিত বিষয়টি তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নজরেও আনতে চান। তবে রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, যেভাবে অধিকারী পরিবারের দিকে একের পর এক অসম্মানজনক বিবৃতি দিচ্ছেন দলীয় নেতারা, তা শীর্ষ নেতৃত্বের সবুজ সঙ্কেত ছাড়া হতে পারে? আর যদি তাই হয় যে শুভেন্দুবাবু বিজেপি যেতেই চক্ষুশূল অধিকারী পরিবার, তাহলে সৌগত রায়ের পরিবারের প্রতি দলের কৌশলে কেন দ্বিচারিতা থাকবে? সম্প্রতি দেখাও যাচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবচেয়ে বড় সমালোচকরাই এখন বড় পদ পাচ্ছেন দলে। এই অবস্থায় অধিকারী পরিবারের প্রতি অসম্মান দেখেও দলনেত্রী কেন চুপ, তা অবাক করছে সকলকে।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
রাজ্য

এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ শুভেন্দু অধিকারীর

নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগেছেন। ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায়, অমিত মিত্রকও আক্রমণ শানাতে ছাড়েননি। শেষমেশ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। ৭ জানুয়ারির বদলে ৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা করবেন শুভেন্দু। জবাব দেবেন মমতার সভার। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এদিন প্রথম কাঁথিতে মিছিল ও সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। ভিড়ে ঠাসা ছিল মিছিল দাবি করেছে বিজেপি। এদিন শুভেন্দু একের পর এক তির ছুড়তে থাকেন। শুভেন্দু বলেন, মিনি পাকিস্তান বলা মন্ত্রী বলছেন শুভেন্দুর মুখে পরিবারতন্ত্র বলা মানায় না। আরে মাননীয় মিনি পাকিস্তান বলা মন্ত্রী আমি আপনার জামাইকে বলিনি তৃণমূলের যুব নেতা। লাল চুল, কানে দুল তার নাম যুবা তৃণমূল। আমি তাঁর কথা বলিনি। সৌগত রায়ের দাদা আমাদের বড় নেতা, প্রাক্তন রাজ্যপাল। আমি তাঁর কথাও বলিনি। আমি বলেছি কয়লা চোর, বালি চোর, পাথর চোর, গরুপাচারকারী ভাইপোর কথা। আবার চাকরি দিতে পারেনি পাউচ বিক্রি করার ব্যবস্থা করেছেন অর্থমন্ত্রী, বলেছেন শুভেন্দু। এতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেননি শুভেন্দু। এদিন কাঁথির সভায় তৃণমূলনেত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণও করেছেন তিনি। প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী বলেন, আপনি ৭জানুয়ারী, ১৪মার্চ, ১০ নভেম্বর কোনও দিন আসেননি। কাল টিভিতে দেখলাম আপনি আসছেন। আপনি এলে রাস্তা সারাবে। আমার জেলার লাভ হবে। আমি ৭ তারিখে প্রতিবছর আমি যাই। এবার ওই দিন বড় কর্মসূচি নেব না। ৭ তারিখ আসছেন, ভাল কথা মোস্ট ওয়েলকাম। এতদিন আসেননি। আসুন। আমি যা যা বলতে আসছেন আমি জানি। ১০০০টা শুভেন্দু তৈরি হয়। কে ওটা, কী হবে। শুভেন্দুকে কাউন্টার করতে হাটবারে হাটবারে চারটা-পাঁচটা পুলিশের পাইলট কার নিয়ে জোড়া জোড়া মন্ত্রী। শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ, ৭ তারিখে আসুন, ভাষন দিন। আমি ৮ তারিখে সভা করা আপনার সব কথার জবাব দিয়ে দেব। আমি শৃঙ্খলাপরায়ন লোক। আমি আজই কৈলাশ বিজয়বর্গীয় জানিয়েছি নন্দীগ্রামে ৮ তারিখ সভা হবে। উনি সরকারি ক্ষমতায় লোক আনবেন, আমি আবেগ-ভলবাসায় লোক আনব। শুভেন্দু এদিন একাধিকবার ফিরহাদ হাকিমকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, উপনির্বাচনে টিকিট পায়নি বলে তৃণমূলনেত্রীর বাড়িতে ঢিল মারতে গিয়েছে। আমফানের পর কলকাতার লোক বুঝে গিয়েছিল কী তাঁর যোগ্য়তা। গ্রামের সঙ্গে লড়াই দক্ষিণ কলকাতার চার-পাঁচটা লোকের। ৪০ টা দফতর ওই চার-পাঁচটা লোকের। শুভেন্দুর ঘোষণা, গোপীবল্লভপুরের দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু হাত মিলিয়েছে। যেতে তোমাদের হবেই। পদ্ম ফুটিয়ে ঘুমাতে যাব।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
রাজনীতি

বিশ্বাসঘাতক-মীরজাফরেই শুভেন্দুকে তোপ সৌগত- ফিরহাদের

তৃণমূল কংগ্রেস থেকে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় কাঁথিতে মিছিল ও জনসভা করল তৃণমূল কংগ্রেস। অধিকারীগড়ে সমাবেশ করে তৃণমূল বার্তা দিল আপাতত অখিল গিরিদের হাতেই থাকছে পূর্ব মেদিনীপুরে দলের ক্ষমতা। এই জনসভায় ছিলেন না তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা সাংসদ শিশির অধিকারী ও অপর সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তৃণমূল নেতৃত্ব শুভেন্দুকে বিশ্বাসঘাতক ও মিরজাফর তকমাতে অনড় থাকলেন। বক্তারা টানা নিশানা করে গেলেন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রীকে। পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী মঙ্গলবারই পূর্বস্থলীতে বিজেপির হয়ে জনসভায় প্রথম বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু। শুভেন্দু মেদেনীপুরে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার দিন থেকে ভাইপো হটাওয়ের ডাক দিচ্ছেন। এদিকে এদিনের সভায় মূল দুই বক্তা সাংসদ সৌগত রায় ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বক্তব্যের প্রতি লাইনেই তুলোধোনা করেন দলের প্রাক্তন সেনানীকে। আগাগোড়া তোপ দাগলেন। শুভেন্দুকে ছাড়াই পূর্ব মেদিনীপুরে বিধানসভা নির্বাচনে ১৬ আসনেই জয়ী হবে তৃণমূল সেকথা ঘোষণা করেন ফিরহাদ। এদিনের সভায়ও ফিরহাদ হাকিম বিশ্বাসঘাতক বলে চিহ্নিত করেন শুভেন্দুকে। সৌগত রায় মীরজাফর বলে অভিহিত করেন। ফিরহাদ বলেন, শুভেন্দু বিশ্বাসঘাতক, এর জন্য আ্মরা ক্ষমা চাইছি। মমতাকে নয়, শুভেন্দু সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে। পরিবারতন্ত্রের কথা বলছেন শুভেন্দু, কিন্তু ২০০৯-তে কীভাবে মনোনয়ন পেলেন তিনি। শিশির অধিকারীর ঘরে জন্ম না নিলে কোনও দিন শুভেন্দু অধিকারী হতে পারতেন না। ফিরহাদের কথায়, মেদিনীপুরের সবাই বলছেন কোনও রাজার প্রজা হয়ে থাকতে হবে না। অমরা সবাই রাজা এই রাজার রাজত্বে। দল ছাড়ার আগে সৌগত রায়ের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই বৈঠকে কোনও সুরাহা হয়নি। এদিন শুভেন্দুকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন সৌগত রায়। দমদমের সাংসদ বলেন, শুভেন্দু মমতাকে ছেড়ে চলে গেল। ও মীরজাফরদের দলে নাম লিখিয়েছে। মানুষ মীরজাফরদের মেনে নেয় না। মুখে সতীশ সামন্তের কথা বলছে, কিন্তু চলে গেল শ্যামাপ্রসাদের দলে। এটাই কী আদর্শ-নীতির রাজনীতি? কাঁথি কোনও পরিবারের সম্পত্তি নয় বলেও জানিয়ে দেন সৌগত রায়। তিনি শুভেন্দুকে কোনও বড় পালোয়ান বলতে নারাজ, তাঁর মতে, অখিল গিরিই বড় পালোয়ান। কাঁথির মানুষ মমতার পাশেই থাকবেন বলে মনে করে সৌগতবাবু। এই জনসভায় যে শুভেন্দুকে কড়া বার্তা দেওয়া হবে তা রাজনৈতিক মহল অবগত ছিল। অখিলি গিরি জানিয়েছিলেন, শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী কনসেন্ট দেয়নি সভায় থাকার বিষয়ে। এদিকে তাঁরা জানিয়েছেন, এই সভার বিষয়ে তাঁদের জানানোই হয়নি। অভিজ্ঞ মহলের মতে, যে সভায় ছেলেকে লাগামছাড়া শব্দে আক্রমণ করা হবে সেখানে কী থাকতে পারেন সাংসদ বাবা। তাছাড়া শিশির অধিকারীকে বিশ্রাম নিতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
রাজ্য

আতঙ্ক বিদেশে, করোনায় সুস্থতার হার বেড়েছে বাংলায়

ব্রিটেনে নতুন করে করোনা নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যদিও ভারতে সেই আশঙ্কা নেই বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এদিকে বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় সামান্য বেড়েছে। রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৫৩ জন। একই সঙ্গে বেড়েছে দৈনিক সুস্থতার হার। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী বাংলায় করোনা অ্যাক্টিভ কেসের মোট সংখ্যা ১৬ হাজার ২৪৮। দৈনিক অ্যাক্টিভ কমেছে ৬৫৫। সরকারি রিপোর্ট দেখা যাচ্ছে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাজ্যে বাড়ছে সুস্থতার হার। এরাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৩৯ হাজার ৯৯৬। অ্যাক্টিভ কেসের মোট সংখ্যা ১৬ হাজার ২৪৮। দৈনিক অ্যাক্টিভ কেস কমল ৬৫৫। একই সঙ্গে সুস্থতার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা-মুক্ত হয়েছেন ২,২৭০ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লক্ষ ১৪ হাজার ৩০৯ জন। সুস্থতার হার এখন ৯৫.২৪ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আরও ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। দৈনিক মৃত্যুহারের সংখ্যাও কমেছে রাজ্যে। কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও অ্যাক্টিভ কেসের নিরিখে এখনও শীর্ষে কলকাতা। কলকাতায় মোট কোভিড ১৯ অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩৮৬০। এরপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা (২৯৭৪), হুগলি (৮১১), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৯৩৩), হাওড়া (৭৯৮)।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
স্বাস্থ্য

শীতে বাংলায় কমছে করোনার দাপট, স্বস্তি

কনকনে ঠান্ডায় উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে করোনার ভয়াবহ দাপট। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে দেখা যাচ্ছে দৈনিক করোনা সংক্রমণের বেশ খানিকটা হ্রাস পেয়েছে। বিগত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় কোভিড ১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৫১৫ জন। গতকাল এই সংখ্যা ছিল ১,৯৭৮। এক ধাক্কায় কমেছে প্রায় পাঁচশো।সোমবার পর্যন্ত এরাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৩৮ হাজার ৩৪৩। দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় এরাজ্যে করোনা-মুক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৩৪২ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লক্ষ ১২ হাজার ৩৯ জন। বাংলায় সুস্থতার হার ৯৫.১১ । আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও সেই হারে মৃত্যুহার কমেনি। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় রাজ্যে আরও ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তুলনামূলকভাবে আক্রান্তের হারের তুলনায় করোনা আক্রান্ত হয়ে বাংলায় মৃতের সংখ্যা বেশি। অ্যাক্টিভ কেসে অন্য জেলাগুলিকে পিছনে ফেলে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। মহানগরে মোট কোভিড ১৯ অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪০০৯। যথারীতি কলকাতার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা (৩১৩৩)। এছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১০০৭), হুগলি (৮৭৪), হাওড়া (৮৬২), পূর্ব মেদিনীপুর (৭৪৪),পশ্চিম মেদিনীপুর (৬৫১),নদিয়া (৭৩৬)।

ডিসেম্বর ২২, ২০২০
রাজ্য

‘বিজেপি বহিরাগতদের এনে ব়্যালি করছে’, দাবি অনুব্রতর

ডাকবাংলো মোড় থেকে চৌরাস্তা গোটা রাস্তাতেই ব্যান্ড বাজছে। বাড়ির উপর থেকে ফুল পড়ছে। জনজোয়ারে ভেসে এগিয়ে চলেছেন অমিত শাহ। পরে শাহের জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে যেন জনতার বাঁধ ভাঙল। বোলপুরে এ দিন অমিত শাহের মেগা ব়্যালিতে ভিড় ছিল উপচে পড়া। তবে, একে আমল দিতে নারাজ খোদ বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। উল্টে এখানেও বহিরাগত তত্ত্ব হাজির করলেন নেত্রীর আস্থাভাজন কেষ্ট। দলীয় বঙ্গধ্বনী কর্মসূচির মাঝেই নিজস্ব কায়দায় বললেন, বিজেপি বহিরাগতদের এনে এই ব়্যালি করছে। আমি জেলার লোক নিয়ে মিছিল করি। কয়েকটা ব্লক নিয়ে মিছিল করলেই এর থেকে বেশি ভিড় জমিয়ে দিতে পারি। আরও পড়ুন ঃ রোড শোতে উপচে পড়া ভিড়, হুডখোলা গাড়ি থেকে পরিবর্তনের ডাক শাহের এখানেই থেমে থাকেননি অনুব্রত। উল্টে কিছুটা চ্যালেঞ্জের সুরেই তাঁর দাবি, আগামী ৪ জানুয়ারি থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় সভা শুরু হবে। প্রতিটা ব্লকে ৮০ হাজার করে লোক থাকবে। এরপরই তৃণমূল নেত্রীর পদযাত্রার প্রসঙ্গ উত্থাপ করে তিনি বলেন, মমতাদির সবা-মিছিল হলে পাঁচ-ছয়টা ব্লক থেকে মিছিল তাতেই চার-পাঁচ লাখ লোক হয়ে যায়। এসব আমাদের কাছে কোনও ব্যাপার নয়। বিজেপির এ দিনের কর্মসূচিতে যে ভিড় হয়েছে তাতে কি তিনি ভীত? অনুব্রত মণ্ডল বলেন, আমিত শাহ রোজ আসুন। এতে তৃণমূলের কোন ক্ষতি হবে না। উৎসাহিত হবে দলের কর্মীরা। একই সঙ্গে বলেন, শুভেন্দু হোক বা অন্য কেউ- তৃণমূল ছাড়লে ক্ষতি দলত্যাগীদের। ফের বাংলার ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল।

ডিসেম্বর ২০, ২০২০
রাজ্য

ক্ষুদিরাম বোসকে স্মরণ অমিত শাহের

ক্ষুদিরাম বোস যতটা বঙ্গ থেকে ছিলেন ততটা ভারতবর্ষের এবং পন্ডিত রাম প্রসাদ বিসমিল ততটাই উত্তরপ্রদেশ থেকে, যতটা পশ্চিমবঙ্গ থেকে। পশ্চিম মেদিনীপুরে শহীদ ক্ষুদিরাম বোসের মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর এই মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, আমরা দেশের জন্য মরার সুযোগ পাইনি, তবে আমরা দেশের জন্য বেঁচে থাকার সুযোগ পেয়েছি। আসুন আমরা সাহসী শহীদ ক্ষুদিরাম বোসকে স্মরণ করি এবং তাঁর নির্ধারিত পথে চলি এবং দেশের বিশিষ্ট প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী ও সুরক্ষিত ভারত গড়ে তুলি। আজ আমি সেই সাহসী শহীদ ক্ষুদিরাম বোসের জন্মস্থানে আসার সৌভাগ্য পেয়েছি যিনি দেশের স্বাধীনতার জন্য তাঁর সর্বস্ব ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাঁর জন্মস্থানে এসে এখানের মাটি, হাওয়ার স্পর্শ কপালে পেয়ে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। স্বাধীনতা সংগ্রামে পশ্চিমবঙ্গ ও বাঙালি পুত্রদের অবদান ভারত কখনই ভুলতে পারে না। ক্ষুদিরাম বোস ছিলেন এই ঐতিহ্যের বাহক। তিনি এমন সাহসী যুবক ছিলেন, যিনি কেবল ১৮ বছর বয়সে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করে হাতে গীতা নিয়ে ফাঁসির দড়িকে চুম্বন করার সাহস দেখিয়েছিলেন। এ সময় তাঁর জনপ্রিয়তা সারা দেশে এত বেশি ছিল যে কিছু তাঁতি ধুতিতে ক্ষুদিরাম বোস লিখতে শুরু করেছিলেন এবং তিনি বাংলার যুব সমাজের স্বাধীনতা আন্দোলনে অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়েছিলেন। ফাঁসির দড়ি গলায় পরার আগে শহীদ ক্ষুদিরাম বোস দ্বারা উচ্চারিত বন্দে মাতরমের স্লোগানটি বঙ্গ ও ভারতের যুবকদের মুক্তির স্বপ্নে পরিণত হয়েছিল। আরও পড়ুন ঃ বিজেপিতে শুভেন্দু সহ একঝাঁক তৃণমূল নেতার যোগদান এটি একটি কাকতালীয় ঘটনা যে এই দিনে মহান দেশপ্রেমিক পন্ডিত রাম প্রসাদ বিসমিল, আশফাক উল্লা খান এবং ঠাকুর রওশন সিংকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। আজ এই তিন সাহসীদের শহীদ দিবসও। তিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে দেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মসমর্পণ করেছিলেন। আজ আমি সেই তিন সাহসী শহীদকেও প্রণাম জানাই। আমি যখন বাংলায় এসেছি, এখানে এসে এই মাটির মাটি মাথায় রেখে নতুন চেতনা এবং নতুন শক্তি অনুভব করছি। আমি আজ থেকে এখানকার তরুণদের বলতে চাই যে আমরা দেশের জন্য মরার সুযোগ পাই নি, তবে অবশ্যই দেশের জন্য বাঁচার সুযোগ পেয়েছি। আসুন আমরা সাহসী শহীদ ক্ষুদিরাম বোসকে স্মরণ করি এবং তাঁর নির্ধারিত পথে চলি এবং দেশের বিশিষ্ট প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী, শক্তিশালী ও সুরক্ষিত ভারত গড়ে তুলি। আমি আবারও সাহসী শহীদ ক্ষুদিরাম বোসের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে তাঁকে প্রণাম জানাই। বছরের পর বছর ধরে, তাঁর সর্বোচ্চ ত্যাগ দেশের যুব সমাজের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠবে, তাদের পক্ষে দেশের জন্য বেঁচে থাকার প্রতিশ্রুতি নিতে এবং যারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের সংকল্পকে শক্তিশালী করতে বাধ্য করবে। তাদের পরিবারের পায়ে মাথা নত করে আমি আবারও আমার কথা শেষ করি। এছাড়াও তিনি পশ্চিমবঙ্গবাসীর সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি কামনায় মেদিনীপুরের মা সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরে প্রার্থনা করেন। মা কালীর ঐশ্বরিক আশীর্বাদই পারে সকলের সুস্বাস্থ্য ও সুখ নিশ্চিত করতে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
দেশ

বঙ্গবন্ধুর সম্মানে ডাকটিকিট উন্মোচন করল কেন্দ্রীয় সরকার

বঙ্গবন্ধুর সম্মানে একটি ডাকটিকিট উন্মোচন করল কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আজকের ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলন চলাকা্লীন বাংলাদেশের সাথে আমাদের বৈচিত্র্যপূর্ণ সম্পর্ক পর্যালোচনা করতে পেরে আমি সম্মানিত। বঙ্গবন্ধু-বাপু জাদুঘর ও চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল সংযোগ উদ্বোধন করেছি। আরও পড়ুন ঃ আগামী বছর চার দফায় জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেইন পরীক্ষাঃ রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক পরের বছর, ভারত ও বাংলাদেশ যৌথভাবে মুজিববর্ষ এবং আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর উদযাপন করবে। আমি বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শকে শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকা সফরের প্রত্যাশায় রয়েছি।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
রাজ্য

সাঁতরাগাছি পাখিরালয়ের পরিবেশ রক্ষা করতে একাধিক পরিকল্পনা রেলের

প্রবল চাপের মুখে পড়ে সাঁতরাগাছি পাখিরালয়ের কাছে আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে সচেষ্ট হল রেল। জায়গাটি ঘিরে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নোটিশ দিয়ে আবর্জনা না ফেলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সাঁতরাগাছি ঝিলের কাছেই একটি জলাজমিতে বিগত কয়েক বছর ধরেই অবিরামভাবে আবর্জনা ফেলা হচ্ছিল বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। দিন কয়েক আগে সেই আবর্জনায় আগুন লাগানো হয়। তার জেরে বায়ু দূষণ ছড়ায়। সেই অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন হাওড়ার পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত। আরও পড়ুন ঃ শুভেন্দুর পর তৃণমূল ছাড়লেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি সেই খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতেই টনক নড়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের। তড়িঘড়ি জায়গাটি ঘিরে সেখানে জঞ্জাল না ফেলার নোটিশ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। পড়ে থাকা আবর্জনা সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করছে রেল। এমনকি এলাকাটি স্থায়ী ভাবে ঘিরে দিয়ে সেখানে গাছ লাগানোর পরিকল্পনার কথাও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আগামীদিনে সাঁতরাগাছি পাখিরালয়ের পরিবেশ সুন্দর হবে এমনটাই আশা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
কলকাতা

সরকারি বিভিন্ন পদ থেকে পদত্যাগ করলেন অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল দীপ্তাংশু চৌধুরী

সরকারি বিভিন্ন পদ থেকে এবার পদত্যাগ করলেন অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল দীপ্তাংশু চৌধুরী। তিনি একাধিক সরকারি পদে ছিলেন। আজ, বৃহস্পতিবার তিনি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে পদত্যাগ করার কথা জানান। আরও পড়ুন ঃ মিথ্যা হজম করব না, মন্তব্য ধনকড়ের তিনি সাউথ বেঙ্গল স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। এমনকী তিনি মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স এবং মনিটরিং সেলের অ্যাডভাইজারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদেও ছিলেন। বিষয়টি তিনি ই মেলে রাজ্যপালকেও জানিয়ে দিয়েছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
টুকিটাকি

চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন কি করে, জেনে নিন !

চুল পড়ার সমস্যা নতুন কিছু নয়। আমরা সকলেই এই সমস্যায় পড়ি। আর বিশেষ করে শীত কালে চুলের সমস্যা একটু বেশিই হয়ে থাকে। যেমন চুল পড়ার সাথে সাথে চুলে খুসকির সমস্যা, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। তাই এবার চুল পড়ার সমস্যা কে বাইবাই করে নতুন চুল কীভাবে গোজাবে সেদিকে নজর দিন। আজ রইলো নতুন চুল গজানোর গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস। একনজরে দেখে নিন.. আরও পড়ুন ঃ ঘুমের আগে ত্বকের যত্ন নতুন চুল গজানোর জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার সাথে সাথে স্ক্যাল্পে তেল দিয়ে ভালো করে নিয়মিত ম্যাসাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে নারকেল তেল একটু গরম করে স্ক্যাল্প ও চুলে ভালো করে লাগান। এতে স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। সঙ্গে চুল লম্বা হয়। অন্যদিকে মাথায় রাখবেন চুলের অন্যতম উপকারী উপাদান হল ওমেগা। তাই খাবারে ওমেগা রাখতে পারেন যাতে চুল পড়ার সমস্যা দূর হওয়ার সাথে সাথে নতুন চুল দূর গজাতে পারে। এছাড়া ওমেগা ছাড়াও চুলের জন্য উপকারী আরও বেশকিছু উপাদান রয়েছে, সেগুলি হল- ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ডি, আয়রন, বায়োটিন ও জিঙ্ক।

ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
রাজ্য

সাঁতরাগাছি পাখিরালয়ের পরিবেশ নষ্ট করায় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবেশবিদের

দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বিরুদ্ধে কঠিন বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা বিধিভঙ্গসহ, পরিবেশ সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগে পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন হাওড়ার পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন সাঁতরাগাছি। পাশেই রয়েছে বিশাল রেল ইয়ার্ড। সেই রেল ইয়ার্ডের পাশে, ঝিল থেকে একশো মিটারেও কম দূরত্বে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। শুধু তাই নয় সেই জঞ্জালে আগুন লাগিয়ে পোড়ানো হচ্ছে। যার ফলে এলাকায় বাড়ছে বায়ু দূষণ বলে এবার অভিযোগ তুললেন হাওড়ার পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। মঙ্গলবার এলাকা ঘুরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরে সুভাষবাবু জানান, কঠিন বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা বিধি মেনে চলছে না রেল। এদিন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তিনি মূলত চারটি অভিযোগ তোলেন রেলের বিরুদ্ধে। প্রথমত, কঠিন বর্জ্য বিধি মেনে পচনশীল ও অপচনশীল আবর্জনা আলাদা না করে একসাথেই ফেলা হচ্ছে। তাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই কাজটি করা হচ্ছে সাঁতরাগাছি পাখিরালয়ের থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে। এরফলেই ভরাট হয়ে যাচ্ছে জলাশয়ের কিছু অংশ। এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ-র্পূব রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রেলের র্বজ্য ওখানে ফেলার যে অভিযোগ উঠেছে তা গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে। এদিন এলাকায় দাঁড়িয়ে পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত জানান, সরস্বতী খালের পাশেও এ ভাবে আর্বজনা ফেলে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন ঃ বিজেপির দেওয়া চাকরির প্রতিশ্রুতিকে মিথ্যা বলে আক্রমণ মমতার তিনি বলেন, রেল যা করেছে তা ২০১৬ সালের সংশোধিত র্বজ্য ব্যবস্থাপনা আইন না মেনে করেছে। এতে জেল ও জরিমানা দুইই হতে পারে। রেল শুধু আর্বজনা ফেলেই ক্ষান্ত থাকেনি , তাতে আবার আগুন লাগিয়ে দিয়ে পরিবেশের আরও ক্ষতি করেছে। গোটা ব্যাপারটি নিয়ে আমি পরিবেশ আদালতে মামলা করবো। সুভাষবাবুর দাবি, যে ক্ষতি হয়েছে তাতে আগামী দিনে পরিযায়ী পাখিরা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে আগামী দিনে র্নিমল বাতাসও মুখ ফিরিয়ে নেবে। এই বিষয়ে দক্ষিণ-র্পূব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারীক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, রেলের র্বজ্য ফেলার ব্যাপারে যে অভিযোগ উঠেছে তা গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হবে। র্বজ্যে যে বা যাঁরাই আগুন লাগিয়ে থাকুক না কেন তা ঠিক করেনি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো জানান, এই র্বজ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একটি ঠিকাদার সংস্থাকে। কিন্তু তাঁরা র্বজ্য মাঝে মাঝে তাঁদের প্ল্যান্টে না নিয়ে গিয়ে ওই জায়গাতে ফেলে দিচ্ছে কিনা সেটা দেখা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
রাজ্য

'দ্বন্দ্ব' মেটাতে জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ফিরহাদ, থাকতে পারেন পিকেও

দ্বন্দ্ব মেটাতে আসানসোল পুরসভার প্রধান প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে জিতেন্দ্রর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ফিরহাদ। এই বৈঠকে তৃণমূলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরও উপস্থিত থাকতে পারেন। জানা গিয়েছে, এদিন ফিরহাদের সঙ্গে ফোনে কথা হয় জিতেন্দ্রর। মঙ্গলবারের বৈঠকে যোগ দিতে তিনি কলকাতায় আসবেন বলে জানিয়েছেন। আরও পড়ুন ঃ রাজ্য সরকারি কর্মীদের জানুয়ারি থেকেই মিলবে ডিএ উল্লেখ্য, গোটা ঘটনার সূত্রপাত রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে পাঠানো জিতেন্দ্র তিওয়ারির এক চিঠিকে ঘিরে। সোমবার প্রকাশ্যে এসেছে সেই চিঠি। এই চিঠিতে আসানসোলের প্রধান প্রশাসক তথা দাপুটে তৃণমূল নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের স্মার্ট সিটি প্রকল্পের জন্য মনোনীত হয়েছিল আসানসোল। কিন্তু রাজ্য সরকার তাতে অনুমোদন না দেওয়ায় ওই প্রকল্পের ২ হাজার কোটি টাকা পায়নি আসানসোল পুরসভা। রাজনৈতিক কারণেই ওই প্রকল্পের সুবিধা নিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন জিতেন্দ্র। জিতেন্দ্রর এই চিঠির প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছেন, বিজেপির কেউ হয়তো ওকে ভুল বোঝাচ্ছে। ও গ্যাস খেয়ে এসব বলছে। আগে ওঁর সাথে আমার বহুবার কথা হয়েছে, ওদের ওখানে গিয়েছি। তখন ও আমায় কিছু বলেনি। জল প্রকল্পের জন্য অনেক টাকা দেওয়া হয়েছে আসানসোল পুরসভাকে, তা নিয়ে ও কেন কিছু বলছে না। এর পাল্টা আবার মুখ খুলেছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। বলেছেন, বিজেপির সঙ্গে হয়তো পুরমন্ত্রীর যোগাযোগ রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন ওনার নেত্রী তেমনই আমারও নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া আর কারও কথা শুনব না। প্রয়োজনে আসানসোল পুরসভার পদ ছাড়তেও রাজি। উনি কী ইমরান খানের কথা শুনে চলছেন? আমার লেখা গোপন চিঠি এভাবে প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হল কেন?

ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
রাজ্য

আসানসোলের জন্য কেন্দ্রের স্মার্ট সিটির অর্থ না পেয়ে ফিরহাদকে চিঠি জিতেন্দ্রর

রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে বিস্ফোরক চিঠি পাঠিয়েছিন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। পুরমন্ত্রীকে আসানসোলের পুরপ্রশাসক লিখেছেন, রাজ্যের সিদ্ধান্তেই কেন্দ্রীয় অনুদান থেকে বঞ্চিত হয়েছে আসানসোল। মেলেনি স্মার্ট সিটি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দু-হাজার কোটি টাকা। উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা দেবে রাজ্য সরকার, রাজ্যের দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতিও বাস্তবায়িত হয়নি। রানিগঞ্জ গার্লস কলেজ ও রানিগঞ্জ টিডিবি কলেজ এর গভর্নিং বডি থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আরও পড়ুন ঃ ২০২১-এ মুক্তির স্বাদ দেবে ঈশ্বর, ফের বিস্ফোরক শুভেন্দু এ বিষয়ে ফিরহাদের মন্তব্য, স্মার্ট সিটির প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকারে পুরোটাই ভাওতা। এ ক্ষেত্রে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৫০ শতাংশ দেবে রাজ্য সরকার দেবে ৫০ শতাংশ। ওটা প্রোপাগান্ডা মাত্র। পুরসভাকেই উদ্যোগ নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে উনি কতটা উদ্যোগ নিয়েছেন তা আমার জানা নেই। তবে আমরা কোনওদিনই উন্নয়নের সঙ্গে রাজনীতি মেশাইনি।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
দেশ

নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম দুই জঙ্গি

নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ে লস্কর-ই-তইবার দুই জঙ্গি খতম হল। পাশাপাশি ধরা পড়ল তাদের এক সহযোগী। ঘটনাটি ঘটেছে সুরানকোটে এলাকার চট্টপানি-দুগরান গ্রামে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সন্ত্রাসবাদীদের ডেরা ঘিরে ফেলেছিল নিরাপত্তাবাহিনী। তারপর জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। রবিবার সকাল থেকে তীব্র গুলিযুদ্ধ শুরু হয় জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার দুগরানের মুঘল রোড এলাকায়। শেষ পর্যন্ত দুই জঙ্গিকে খতম করা হয় আর একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও পড়ুন ঃ করোনায় আক্রান্ত জেপি নাড্ডা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গিদের মধ্যে একজন স্থানীয় ও দুজন বিদেশি। তিনদিন আগে তারা নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছিল। জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তইবার যৌথ অভিযান চালানোর ছক ছিল। জম্মু ও কাশ্মীরের স্থানীয় নির্বাচনে ঝামেলা পাকানোর পরিকল্পনা কষেছিল।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
রাজ্য

গোর্খাল্যান্ড ইস্যুকে যে সমর্থন করবে, তাকেই আমারা ভোট দিয়ে জিতিয়ে আনবঃ গুরুং

দিদির সঙ্গে মিলে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করব। মোদি সরকার আমাদের ধোকা দিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে আমারা বিজেপি প্রার্থীকে জিতিয়েছি কিন্তু, বিজেপি আমাদের ধোকা দিয়েছে। ২০২১ সালে বিজেপিকে শিক্ষা দিয়েই ছাড়ব। এদিন আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়ার প্রগতি ক্লাবে জনসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে এভাবে বিজেপির প্রতি তোপ দাগলেন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। আরও পড়ুন ঃ হাওড়া স্টেশন থেকে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা সহ ধৃত ১ এদিন আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়া প্রগতি ক্লাব ময়দানে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার জনসভা আয়োজিত হয়। এদিনের জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। এদিন বীরপাড়ার জনসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন বিমল গুরুং । এদিন বিমল জানান, আমি ডুয়ার্সকে ভালোবাসি। তাই পাহাড়ে না গিয়ে ডুয়ার্সে এসেছি। এদিন বিমল জানান, আমাদের প্রধান দাবি পার্মানেন্ট পলিটিক্যাল সোলিউশন। এদিন বিমল কর্মীদের নির্দেশ দেন যে বিজেপি আমাদের প্রতি যে অন্যায়, অবিচার করেছে এই বিষয়ে ডুয়ার্সের প্রতিটি এলাকায় গ্ৰামে গ্ৰামে সবাইকে জানাতে হবে। বিমল জানান, আগামী ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করেছি। কিন্তু, ২০২৪ এ গোর্খাল্যান্ড ইস্যুকে যে সমর্থন করবে তাকেই আমারা ভোট দিয়ে জিতিয়ে আনব।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
কলকাতা

মোদী সরকারের সমালোচনা করলে দেশদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাবেনঃ অপর্ণা সেন

নাম না করে কেন্দ্রের মোদী সরকারের ফের সমালোচনা করলেন অভিনেত্রী তথা চিত্র পরিচালক অপর্ণা সেন। টুইটারে অভিনেত্রী লেখেন, দয়া করে দেশের কোনও ঘটনার প্রতিবাদ করবেন না। যদি করেন তাহলেই আপনি হয় দেশদ্রোহী আর নয়তো আর্বান-নকশাল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাবেন। কিন্তু পাকিস্তানের সমর্থক হিসেবেও প্রতিপন্ন হতে পারেন। নয়তো বলা হতে পারে, আপনি টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের প্রতিনিধি আর নাহলে একজন সন্ত্রাসবাদী বা খালিস্তানি। যে কোনও মুহূর্তে আপনা জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে। তাই সাবধান। আরও পড়ুন ঃ ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে নিজের টুইটের মধ্যে দিয়েই অপর্ণা সেন বোঝাতে চেয়েছেন, দেশে গণতন্ত্র ভুলুণ্ঠিত। কারণ এখানে সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই শাস্তি পেতে হবে। ঘটনার প্রতিবাদ করলে বিপদে পড়তে হবে। সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় বিজেপির তীব্র বিরোধী অভিনেত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জরুরি অবস্থাটা ছিল গণতন্ত্রের এক কলঙ্কিত অধ্যায়। কিন্তু গত কয়েক বছরের পরিস্থিতি যেন আরও ভয়াবহ।

ডিসেম্বর ১২, ২০২০
রাজ্য

বীরভূম থেকে গ্রেফতার এক জঙ্গি

বীরভূম জেলা থেকে এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গোপন অভিযান চালিয়ে এসটিএফ ওই জঙ্গিকে পাইকর থানার কাবিলনগর থেকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, খাগড়াকাণ্ডের পর থেকেই এসটিএফের নজরে ছিল বীরভূমের পাইকর থানা এলাকার কাবিলনগরের বাসিন্দা নাজিবুল্লা। তাকে নোটিসও দেওয়া হয়েছিল। মাস খানেক আগে এসটিএফের তরফে যোগাযোগ করা হয় পাইকর থানার সঙ্গে। জানানো হয়, সাকিব আলি নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে নাজিবুল্লার। সেখান থেকে দেশবিরোধী নানা প্রচারের অভিযোগও ওঠে ধৃতের বিরুদ্ধে। আরও পড়ুন ঃ জেপি নাড্ডার গাড়িতে হামলা, মুখ্যসচিব - ডিজিকে তলব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পাইকর থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়, নাজিবুল্লার আচরণের উপর নজর রাখতে। এরপর বৃহ্স্পতিবার বীরভূমের কাবিলনগরে পৌঁছয় এসটিএফের আধিকারিকরা। গ্রেপ্তার করে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে। গ্রেপ্তারির পাশাপাশি একটি ল্যাপটপ, কম্পিউটার, সিপিইউ-সহ বেশ কয়েকটি ইলেকট্রনিক গেজেট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ধৃত ওই জঙ্গী নাজিবুল্লাহ(আনুমানিক ৫০ বছর) জেএমবি সংগঠনের সাথে সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি একটি ছাপাখানার মালিক বলে জানা যায়। তাকে আজ আদালতে তোলা হবে জানা গেছে।

ডিসেম্বর ১১, ২০২০
রাজ্য

কৈলাস-দিলীপের নামে এফআইআর শিলিগুড়ি পুলিশের

বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে শিলিগুড়ি-ফুলবাড়ি এলাকা। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তির সময়ই ভাঙচুর হয় বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র গাড়ি। অন্যদিকে উত্তরকন্যা অভিযান চলাকালীন তাদের এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। তাদের আঙুল পুলিশের দিকে। এমনকি পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় ছড়রা গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ বিজেপির। উত্তরকন্যা অভিযানে দলীয় কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগে আসরে নামে বিজেপি। বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার উত্তরবঙ্গ বনধে গতকালও ধুন্ধুমার বাঁধে শিলিগুড়িতে। আরও পড়ুন ঃ ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ঠান্ডা পড়বে রাজ্যে এই পরিস্থিতিতে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষের নামে এফআইআর শিলিগুড়ি পুলিশের। দুই বিজেপি নেতা সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে উত্তরকন্যা অভিযানে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ২টি অভিযোগ হয়েছে নিউ জলপাইগুড়ি থানায়। শিলিগুড়ি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। হিংসা ছড়ানো, অশান্তি সৃষ্টি, ট্রাফিক গার্ড ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা, পুলিশকে নিগ্রহ সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ সহ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 64
  • 65
  • 66
  • 67
  • 68
  • 69
  • 70
  • ...
  • 73
  • 74
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাশিফল

আজকের দিনে 'সিংহ' রাশির জাতকের "আয়ের প্রবাহ বাড়বে"। আজ বৃহস্পতিবার আপনার কেমন যাবে জেনে নিন

১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার, আপনার রাশিচক্র অনুযায়ী দিনটি কেমন কাটবে তা জানতে নিচে প্রতিটি রাশির জন্য সংক্ষিপ্ত রাশিফল দেওয়া হলো:🐏 মেষ (Aries): নতুন কাজ শুরু।🐂 বৃষ (Taurus): পরিবারে সুখবর।👥 মিথুন (Gemini): মিটিং শুভ।🦀 কর্কট (Cancer): স্বাস্থ্যে নজর দিন।🦁 সিংহ (Leo): আয়ের প্রবাহ বাড়বে।🌾 কন্যা (Virgo): প্রেম মধুর।⚖️ তুলা (Libra): যাত্রার ভাবনা।🦂 বৃশ্চিক (Scorpio): টাকার লেনদেন সফল।🏹 ধনু (Sagittarius): অগ্রগতি স্থির।🐐 মকর (Capricorn): ভুল বোঝাবুঝি কমবে।🌊 কুম্ভ (Aquarius): বন্ধুর সঙ্গে সময় কাটবে।🐟 মীন (Pisces): নথি সংক্রান্ত কাজ সফল।যে কোনও সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য যোগাযোগ করুনঃ শ্রী সূপর্ণ (জ্যোতিষী)যোগাযোগঃ ৯৮৩০০৬৫২৪০, ওয়েবসাইটঃ www.srisuparna.com

ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫
বিদেশ

কোমা থেকে উঠে গ্রেফতার! বন্ডাই বিচ হামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৫৯ অভিযোগ

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নতুন মোড়। কোমা থেকে জেগে উঠে ২৪ বছরের অভিযুক্ত নবীদ আক্রমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে ৫৯টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫টি খুনের মামলা।গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদিদের হনুক্কা উৎসব চলাকালীন বন্ডাই বিচে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। সেই হামলায় নবীদ আক্রম এবং তাঁর বাবা সাজিদ আক্রম জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। পুলিশের পাল্টা অভিযানে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাজিদ আক্রম। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নবীদকে। দীর্ঘদিন কোমায় থাকার পর সম্প্রতি তাঁর জ্ঞান ফেরে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্ঞান ফিরতেই হাসপাতালের শয্যাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, নবীদ মানসিক ভাবে স্থিতিশীল এবং আইনি প্রক্রিয়া বোঝার মতো অবস্থায় ছিলেন। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের কমিশনার জানান, চিকিৎসকের অনুমতির পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সতর্ক করা হয়েছে আইনি অধিকার সম্পর্কে।খুনের অভিযোগ ছাড়াও নবীদের বিরুদ্ধে খুনের উদ্দেশ্যে আঘাত করা, নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী প্রতীক প্রকাশ, এবং কোনও ভবনের কাছে বিস্ফোরক রাখার অভিযোগও আনা হয়েছে। বুধবার হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।এই হামলায় প্রাণ হারান মোট ১৫ জন। ১৯৯৬ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ গণগুলি চালনার ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। নিহতদের স্মরণে বন্ডাই প্যাভিলিয়নে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হন। ইতিমধ্যেই নিহতদের শেষকৃত্যের কাজ শুরু হয়েছে।এই ঘটনার জেরে বন্ডাই বিচে নববর্ষের সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের জন্য নির্ধারিত সিডনির সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক ডান্স পার্টিও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।এই হামলার প্রথম চিহ্নিত নিহত ব্যক্তি ছিলেন রাব্বি এলি শ্ল্যাঙ্গার। তাঁর শেষকৃত্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। বন্ডাইয়ের চাবাদ কেন্দ্রের রাব্বি লেভি উলফ বলেন, এই মৃত্যু ইহুদি সমাজের কাছে অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি জানান, এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় শুধু ইহুদি সমাজ নয়, গোটা অস্ট্রেলিয়া এবং বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ গভীরভাবে মর্মাহত।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

রোহিঙ্গা ভোটার নিয়ে বিজেপির দাবি ভুয়ো? কমিশনের নাম করে পাল্টা অভিষেক

অনুপ্রবেশকারী ভোটার ইস্যুতে ফের বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, বিজেপির তোলা অভিযোগ নির্বাচন কমিশন নিজেই খারিজ করে দিয়েছে। বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ভোটার তালিকার সামারি রিভিশন বা এসএসআর প্রক্রিয়ায় সাধারণত দেড় থেকে দুই শতাংশ মৃত ভোটারের নাম বাদ যায়, এটা নতুন কিছু নয়।অভিষেকের বক্তব্য, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ক্লেম অ্যান্ড অবজেকশন পর্ব শেষ হওয়ার পরে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তখনই স্পষ্ট হবে কার নাম থাকছে আর কার নাম বাদ যাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি যে এক কোটি বা দেড় কোটি রোহিঙ্গা ভোটারের গল্প ছড়াচ্ছে, তা নির্বাচন কমিশনই নাকচ করে দিয়েছে।তিনি আরও বলেন, যদি সত্যিই কোথাও অনুপ্রবেশকারী বা রোহিঙ্গা ভোটার থাকে, বিজেপি সেই তালিকা প্রকাশ করুক। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, দেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব যাঁর হাতে, সেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তাঁর অধীনে থাকা বিএসএফ ও সিআরপিএফ তখন কী করছিল? সীমান্তে নজরদারি যদি ঠিকমতো হয়, তা হলে এত অনুপ্রবেশ ঘটছে কীভাবে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।অনুপ্রবেশ ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই সরব। বিজেপির দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে দেশছাড়া করা হবে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকায় এমন ছবি সামনে এসেছে, যেখানে একাধিক বাংলাদেশি নাগরিককে বাক্স-প্যাটরা নিয়ে সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা বিএসএফ-এর অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।এই আবহেই এসআইআর-এর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেই তালিকা থেকে প্রায় ৫৪ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশি জাহাজের ধাক্কা! ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে মিলল দুই মৎস্যজীবীর দেহ

বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষের পর গভীর সমুদ্রে ডুবে যাওয়া মৎস্যজীবীদের ট্রলার থেকে মিলল আরও দুজনের দেহ। নামখানার উপকূলে টেনে আনা দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলার থেকে ভোররাতে উদ্ধার হয় নিখোঁজ দুই মৎস্যজীবীর দেহ। তাঁদের নাম রঞ্জন দাস ও সঞ্জীব দাস। এখনও তিন জন মৎস্যজীবীর কোনও খোঁজ মেলেনি। তাঁদের নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে।উদ্ধার হওয়া দেহ দুটি পাওয়া গিয়েছে ট্রলার এফবি পারমিতা-১১-এর কেবিনের ভিতর থেকে। মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃত রঞ্জন দাসের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে। সঞ্জীব দাস কাকদ্বীপের বাসিন্দা। ট্রলারের কেবিনে আর কোনও নিখোঁজ মৎস্যজীবী আটকে রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হলেও আর কোনও দেহ পাওয়া যায়নি।গত রবিবার ১৬ জন মৎস্যজীবী নিয়ে ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলসীমানার কাছে আচমকাই ট্রলারটি ডুবে যায়। সেই সময় ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং আশপাশের অন্য ট্রলারের মৎস্যজীবীদের তৎপরতায় ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়।উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, একটি বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজ ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের ট্রলারে ধাক্কা মারে এবং তারপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। যদিও এই অভিযোগ বাংলাদেশ নৌসেনার পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে।দুর্ঘটনার পর পাঁচ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের খোঁজে গতকাল গভীর রাতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে নামখানার উপকূলে টেনে আনা হয়। সেখান থেকেই এদিন উদ্ধার হয় দুজনের দেহ। প্রিয়জনের দেহ ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতদের পরিবার। এখনও নিখোঁজ তিন মৎস্যজীবীর খোঁজে দ্রুত তল্লাশির দাবি জানিয়েছেন তাঁদের পরিজনরা।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

খসড়া ভোটার তালিকায় গরম রাজ্য রাজনীতি, নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের জরুরি বৈঠক

খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের একদিনের মধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন। এই খসড়া তালিকা থেকে ৫৮ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই দিনই ভবানীপুরে তৃণমূলের বুথ লেভেল এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কলকাতায় দলের বিএলএ-দের নিয়ে বড় বৈঠক করতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।আগামী ২২ ডিসেম্বর কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই বৈঠক হবে। সেখানে কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া ও হুগলির একাংশের বিএলএ-দের ডাকা হয়েছে। খসড়া ভোটার তালিকা ঘিরে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি ও অভিযোগের মধ্যেই এই বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।এসআইআর প্রক্রিয়ায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সেই বিষয়ে শুরু থেকেই দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকা সংশোধনের এই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির বিএলএ-দের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিএলও-দের সঙ্গে তাঁরাই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করেন। কোনও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ পড়ছে কি না, সেদিকেই নজর রাখেন তাঁরা।খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হুগলির ডানকুনি পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরকেও খসড়া ভোটার তালিকায় মৃত দেখানো হয়েছে বলে দাবি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল।আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত শুনানি শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। প্রয়োজনে খসড়া তালিকায় নাম থাকা ভোটারদেরও শুনানিতে ডাকা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সে জন্য আগেভাগেই তৎপর হয়েছে তৃণমূল।কমিশনের শুনানি শুরুর ঠিক আগের দিন কলকাতার বিএলএ-দের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে হাওড়া ও হুগলির কিছু অংশের বিএলএ-রাও থাকবেন। নেতাজি ইন্ডোরের এই বৈঠক থেকে বিএলএ-দের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

আরজি কর মামলায় বড় মোড়! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুনানি ফিরল কলকাতা হাইকোর্টে

আরজি কর মামলার শুনানি এবার থেকে হবে কলকাতা হাইকোর্টে। এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালত মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আগে দেওয়া সমস্ত নির্দেশ ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না, তা এখন থেকে নজরে রাখবে কলকাতা হাইকোর্ট।সুপ্রিম কোর্ট এদিন সিবিআই-কে নতুন করে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, সেই তথ্য নির্যাতিতার পরিবারকে জানাতেও বলা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আরজি কর সংক্রান্ত মামলাটি হাইকোর্টের কোনও একটি ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠাতে হবে।উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভিতরে এক তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় সঞ্জয় রাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তবে নির্যাতিতার মা-বাবার দাবি, এই ঘটনায় একা সঞ্জয় নয়, আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে।মঙ্গলবারও সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, শিয়ালদহ আদালতে যেসব সওয়াল-জবাব হয়, তার পরের দিনই সেই অনুযায়ী রায়ের কপি পাওয়া যায়। কিন্তু সিবিআই সেই নথিগুলিকে গুরুত্ব দেয় না। তাঁর অভিযোগ, সাত মাস ধরে হাইকোর্টে মামলা চললেও এখনও ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়নি। শুনানি শুরু হলে সিবিআইকে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।নির্যাতিতার পরিবার আরও দাবি করেছে, এই ঘটনায় বহু মানুষ জড়িত। তাঁদের বক্তব্য, ডিএনএ রিপোর্টেই সেই বিষয়টি স্পষ্ট। একজন মহিলার ডিএনএর সঙ্গে আরও ছজন পুরুষের ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে। পরিবার জানে, তাঁরা কারা। এখন তাঁদের একটাই দাবি, সিবিআই সঠিক ভাবে তদন্ত করুক এবং সব দোষীদের সামনে আনুক।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হল না শুভেন্দুকে, ফের উত্তপ্ত রাজনীতি

যুবভারতী স্টেডিয়াম কাণ্ডের পর ফের উত্তেজনা। বুধবার সকালে স্টেডিয়ামে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঢুকতে না পেরে তিনি ফিরে যান। তাঁর অভিযোগ, যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।এদিন বেলা বারোটা নাগাদ শুভেন্দু অধিকারী একাধিক বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে যুবভারতী স্টেডিয়ামে পৌঁছন। কিন্তু গেটের বাইরে দাঁড়িয়েই থাকতে হয় তাঁদের। ঢোকার অনুমতি মেলেনি। এর আগেই রাজ্য সরকারের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের শীর্ষ পুলিশ কর্তারা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে চলে যান বলে সূত্রের খবর।ঘটনাস্থলেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্য সরকার যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, তা তাঁরা মানেন না। সেই কারণেই বিষয়টি আদালতে গিয়েছে। তাঁর দাবি, তদন্ত কমিটি রাজ্য সরকারের প্রভাবমুক্ত হওয়া উচিত। কারণ এই ঘটনায় মূল অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই। তাঁর অভিযোগ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পুলিশের ছিল, অথচ সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি ক্রীড়া দফতরের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ তোলেন তিনি।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শীর্ষ পুলিশ কর্তা পীযূষ পান্ডের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল যুবভারতী স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে। সেই দলে ছিলেন জাভেদ শামিম, সুপ্রতীম সরকার ও মুরলীধর শর্মা। তাঁরা প্রথমে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে যান, পরে স্টেডিয়ামে পৌঁছে গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন। তাঁদের পরিদর্শনের পরই যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে।স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যপালকেও আগে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাজ্যপালের সঙ্গে যদি এমন আচরণ করা যায়, তাহলে বিরোধী দলনেতার ক্ষেত্রেও তা করা হতে পারে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, দরজা বন্ধ করে সবাই ভিতর থেকে পালিয়ে গিয়েছে।উল্লেখ্য, ঘটনার দিন শনিবার সন্ধ্যাতেও রাজ্যপাল যুবভারতী স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। সেবারও গেট বন্ধ থাকায় তাঁকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যেতে হয়। পরদিন ফের স্টেডিয়ামে যান রাজ্যপাল। যুবভারতী কাণ্ডকে কেন্দ্র করে ক্রমশ রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়ছে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ফের চাকরি বাতিল! পাহাড়ে ৩১৩ শিক্ষক ছাঁটাইয়ের নির্দেশ হাইকোর্টের

ফের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাহাড় এলাকায় বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ৩১৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।এর আগে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ছাব্বিশ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রেখেছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বড় সিদ্ধান্ত নিল আদালত।এই মামলাটি জিটিএ-র নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত। অভিযোগ, সেখানে নিয়ম ভেঙে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়ায়। পাশাপাশি বিনয় তামাং এবং তৃণমূল যুব নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। আদালতে জানানো হয়, যোগ্যতার তোয়াক্কা না করেই নিয়োগ করা হয়েছে।মামলার শুনানিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। আগেই যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষকদের আলাদা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে এই মামলার তদন্তের জন্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে রাজ্য সরকার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। তবে ডিভিশন বেঞ্চও বিচারপতি বসুর রায় বহাল রাখে। এরপর মামলা পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে। সেখান থেকে ফের মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরে আসে।বুধবার শুনানিতে বিচারপতি বসু নির্দেশ দেন, অবিলম্বে এই ৩১৩ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধ করতে হবে। আদালতে তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্য সরকার কেন এদের দায়িত্ব বহন করবে এবং এদের শিক্ষাগত যোগ্যতাই বা কী। প্রাথমিক ভাবে এই মামলার কাজে সিআইডি-কে দিয়ে তদন্ত চালানোর নির্দেশও দেন তিনি।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal