• ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, রবিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

IPL

খেলার দুনিয়া

রাহুলের জবাবে এক জোড়া তরুণ তুর্কীর ব্যাটিং আস্ফালন দেখল দিল্লি

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম দেখল এক অসাধারণ ক্রিকেট ম্যাচের সাক্ষী থাকলো। দিনটা শুরু হোল রাহুলের ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী দিয়ে। শেষ করল গিল-সুদর্শনের এক ক্লাসিক যুগলবন্দী দিয়ে। এ বারের আইপিএলে এক অন্য রাহুল কে দেখা যাচ্ছে। অনেক বেশী দায়ীত্ব নিয়ে খেলার চেষ্টা করেছেন। বদলে ফেলেছেন তাঁর ব্যাটিংয়ের ধরন। কাজে এল না রাহুলের অসাধারণ শতরান। কিন্তু মাঠে দাঁড়িয়ে ফিল্ডিং করতে করতে রাহুলের সেই ক্লাসিক ব্যাটিং থেকে শিক্ষা নিয়ে মাত করল গুজরাত টাইটান্স। ভারতের ভবিষ্যতের অধিনায়ক শুভমন গিল ও সাই সুদর্শনের ওপেনিং জুটি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল কী ভাবে রান তাড়া করতে হয়। তাঁদের ঘরের মাঠে গুজরাটকে হারিয়ে এবারের আইপিএলের প্রথম দল হিসাবে প্লে-অফে উঠল গুজরাত।দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আইপিএল ২০২৫-এর ৬০তম ম্যাচে গুজরাট টাইটানস (GT) দিল্লি ক্যাপিটালসকে (DC) ১০ উইকেটে পরাজিত করে প্লে-অফে জায়গা নিশ্চিত করেছে। দিল্লি ক্যাপিটালস প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৯ রান সংগ্রহ করে। উল্লেখযোগ্য, অধিনায়ক কেএল রাহুল ৬৩ বলে অপরাজিত ১১২ রান করেন।গুজরাট টাইটানস জবাবে, ওপেনার সাই সুদর্শন ৬১ বলে অপরাজিত ১০৮ রান এবং শুভমান গিল ৫৩ বলে অপরাজিত ৯৩ রান করেন। তারা ১৯ ওভারে ২০৫ রান করে কোনো উইকেট না হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয়। গুজরাট টাইটানসের এই ১০ উইকেটের জয় আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে উইকেট না হারিয়ে জয়ের রেকর্ড। মিচেল স্টার্কের অনুপস্থিতিতে দিল্লির বোলিং আক্রমণ দুর্বল হয়ে পড়ে, যা গুজরাটের ব্যাটসম্যানদের সহজে রান করতে সাহায্য করে।এই জয়ের মাধ্যমে গুজরাট টাইটানস প্লে-অফে জায়গা নিশ্চিত করে, যেখানে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এবং পাঞ্জাব কিংসও ইতিমধ্যে যোগ্যতা অর্জন করেছে। এই পরাজয়ের ফলে দিল্লি ক্যাপিটালসের প্লে-অফে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীন। অধিনায়ক অক্ষর প্যাটেল দলের ফিল্ডিং এবং বোলিং পারফরম্যান্স নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

মে ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

প্রয়োজনীয় সময়ে জলে উঠলেন রাহুল, দিল্লি ক্যাপিটালসের সম্মান যোগ্য রান

সাময়ীক ক্ষরা কাটিয়ে রানে ফিরলেন এই মুহুর্তে ভারতীয় দলের মিস্টার ডিপেন্ডেবেল লোকেশ রাহুল। আইপিএলের শেষ কয়েকটি ম্যাচে বড় রান করতে না পারায় কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ডু অর ডাই ম্যাচে রাহুলের ব্যাটের ওপর ভর করেই সম্মানযোগ্য রান দিল্লির। ৬০ বলে শতরান করলেন তিনি। চলতি মরসুমে এটিই রাহুলের প্রথম শতরান।রবিবার দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দিল্লি ক্যাপিটালস ও গুজরাট টাইটানসের মধ্যকার ম্যাচে কেএল রাহুল অসাধারণ পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছেন। তিনি ৬৫ বলে অপরাজিত ১১২ রান করেন, যার মধ্যে ছিল ১৪ টি চার ও ৪টি ছয়। আজকের শতরান ধরে রাহুল আইপিএলে তার পঞ্চম শতক পূর্ণ করেন এবং তিনটি ভিন্ন দলের হয়ে শতরান করার বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেনপাঞ্জাব কিংস, লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং দিল্লি ক্যাপিটালস ।এছাড়াও, তিনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৮,০০০ রান পূর্ণ করে সবচেয়ে দ্রুততম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে বিরাট কোহলির রেকর্ড ভেঙেছেন। কোহলি এই মাইলফলক অর্জন করেছিলেন ২৪৩ ইনিংসে, সেখানে রাহুল তা করেছেন মাত্র ২২৪ ইনিংসে । এই পারফরম্যান্সের মাধ্যমে রাহুল আইপিএলে শতকের সংখ্যায় চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছেন, সেই তালিকায় তার উপরে রয়েছেন বিরাট কোহলি (৮), জস বাটলার (৭) এবং ক্রিস গেইল (৬)।কে এক রাহুলের আজকের এই ইনিংসটি দিল্লি ক্যাপিটালসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ এটি একটি মাস্ট-উইন ম্যাচ ছিল এবং রাহুলের এই পারফরম্যান্স দলকে ১৯৯/৩ রানে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে । আবারও কেএল রাহুল প্রমাণ করেছেন যে তিনি আইপিএলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান।

মে ১৮, ২০২৫
কলকাতা

ডাক্তারিতে ডিপ্লোমা কোর্সের ভাবনা মমতার, শর্টকাটের বিরোধিতা চিকিৎসকদের

অল্প সময়ের মধ্যেই চিকিৎসক চাই। তাই এবার ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠ্যক্রমের কায়দায় ডাক্তারিতেও ডিপ্লোমা কোর্স চালুর প্রস্তাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে এই নয়া চিন্তাভাবনার কথা তুলে ধরেন। তাঁর বক্তব্য, এর ফলে রোগী ও চিকিৎসকের অনুপাতের ঘাটতি কমবে। একইভাবে ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতেও কাজে লাগানো যাবে।মুখ্যমন্ত্রীর নয়া প্রস্তাবের সমালোচনা করেছে বিরোধী দলসহ চিকিৎসকদের বড় অংশ। বিজেপির রাজ্য সভপাতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, সিভিক ভলান্টিয়ারের পর সিভিক শিক্ষক এবার সিভিক ডাক্তার বানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাহলে আর একজন মুখ্যমন্ত্রী কেন আরও কয়েকজন সিভিক মুখ্যমন্ত্রী করলেই তো হয়। অন্যদিকে চিকিৎসকদের একটা বড় অংশের বক্তব্য, এভাবে শর্টকাট পদ্ধতিতে চিকিৎসক তৈরি করা যায় না। এমন হলে ভেঙে পড়বে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।ঠিক কী বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?রাজ্যে ডাক্তারের ঘাটতি রয়েছে। এ জন্য জেলা হাসপাতালগুলিকেই ভুগতে হয় বেশি। ঘাটতি পূরণে বাড়ানা হয়েছে ডাক্তারি পাঠ্যক্রমে আসন সংখ্যা। কিন্তু, অনেকেই পাস করার পর এ রাজ্যে থাকছেন না। ফলে লাভের লাভ হচ্ছে না। বৈঠকে উপস্থিত আমলাদের উদ্দেশে মমতা বলেন, অনেক হাসপাতাল হচ্ছে, যেখানে ডাক্তার নেই, নার্স নেই। ইঞ্জিনিয়ারদের মতো ডাক্তারদের একটা ডিপ্লোমা কোর্স চালু করা যায় কি না দেখো। তাহলে অনেক ছেলে-মেয়ে ডাক্তারি ডিপ্লোমা কোর্সের সুযোগ পাবে। পাঁচ বছর ধরে প্রশিক্ষণে আমরা যে অরিজিনাল ডাক্তার পাচ্ছি, তাদের অনেকটা সময় যাচ্ছে, পড়াশোনা করতে হচ্ছে, পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। কিন্তু যেহেতু হাসপাতাল বাড়ছে, লোকসংখ্যা বাড়ছে, বেড বাড়ছে যদি সমান্তরালভাবে একটি ডিপ্লোমা কোর্স করে অন্তত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে কাজে লাগানো যায়, তাহলে মনে হয় ভাল রেজাল্ট দেবে।

মে ১১, ২০২৩
রাজ্য

লোকশিল্পীদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত মন্ত্রীর তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস

উত্তরবঙ্গের লোকশিল্পীদের পাশে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে লোকশিল্পীরা ভাতা পাচ্ছেন। শিল্পীদের একাধিক দাবিদাওয়া পূরণে উত্তরবঙ্গের সমস্ত লোকশিল্পীরা তৈরি করেছেন বঙ্গীয় বাউল ও লোকশিল্পী সংঘ। বাউল, ভাওয়াইয়া,খন গান, পালা গান সহ বিভিন্ন লোক সংস্কৃতির সাথে যুক্ত উত্তরবঙ্গের মোট সাতটি জেলা থেকে শিল্পীরা এদিনের এই রাজ্য সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুরে।পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রেতা ও সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন,ইতিমধ্যেই শিল্পীদের একাধিক সমস্যা সমাধান হয়েছে। আগামীতেও সকল সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকার শিল্পীদের পাশে থাকবে।

আগস্ট ২৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর অন্য লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছেন হার্দিক

২০১৫ সাল থেকে আইপিএলে খেলছেন। পাঁচ বার ফাইনালে উঠে পাঁচ বারই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনন্য নজির গড়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। কিন্তু এবারের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গুরুত্বই আলাদা তাঁর কাছে। কারণ এবারই প্রথম নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন আইপিএলের রঙ্গমঞ্চে। প্রথমবার নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েই বাজিমাত। তবে এখানেই থেমে থাকতে চাননা হার্দিক। তাঁর এবার লক্ষ্য দেশকে বিশ্বকাপ এনে দেওয়া।গুজরাট টাইটান্সকে ট্রফি জেতানোর পর হার্দিক পান্ডিয়া বলেন, একসময় দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখতাম। সেই স্বপ্ন পূরম হয়েছে। দেশের হয়ে খেলার সময় সকলের সমর্থন ও ভালবাসা পেয়েছি। আমি সবসময় দেশের সাফল্যকে প্রাধান্য দিয়ে এসেছি। এবার দেশকে বিশ্বকাপ জেতানোই লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই কঠোর পরিশ্রম করছি। চেষ্টা করছি সেরাটা দেওয়ার। আশা করছি সফল হব।হার্দিক আরও বলেন, আমি বরাবরই দায়িত্ব নিতে ভালবাসি, সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিতে পছন্দ করি। আমি যদি সামনে দাঁড়িয়ে পতাকা বহন করতে পারি, তাহলে সতীর্থদের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারব। আইপিএলে ৫ বার ফাইনালে উঠে ৫ বারই চ্যাম্পিয়ন হলাম। এবারের চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এবছরই প্রথম নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আমার আর একটা লক্ষ্য রয়েছে। দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা।টি২০ ক্রিকেট নাকি ব্যাটারদের খেলা। হার্দিকের মত অবশ্য ভিন্ন। তিনি মনে করেন, ব্যাটাররা কয়েকটা ম্যাচ জেতাতে পারে। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে জিততে গেলে ভাল বোলিং শক্তি দরকার। আইপিএলের মেগা নিলামে সেই দিকেই নজর দিয়েছিলেন বলে জানান হার্দিক। তাঁর কথায়, আমি আর বোলিং কোচ আশিস নেহরা ঠিক করেছিলাম, অভিজ্ঞ বোলিং শক্তি তৈরি করব। সেই লক্ষেই সামি, রশিদ, ফার্গুসনদের দলে নিয়েছিলাম। অভিজ্ঞ বোলারদের নিয়ে দল তৈরির সুফল পেয়েছি। বোলাররা প্রতি ম্যাচেই ১০২০ রান কম দিয়েছে। ওই রানগুলোই ম্যাচের ফয়সালা করে দিয়েছে। এবছর প্রতিটি ম্যাচে গ্যালারিতে ছিলেন হার্দিকের স্ত্রী নাতাশা স্তানকোভিচ। স্ত্রী ও পরিবার তাঁর সব থেকে বড় শক্তি বলে জানিয়েছেন হার্দিক। তিনি বলেন, নাতাশা আমার লড়াইয়ের সাক্ষী। ওই আমার অনুপ্রেরণা। আমি কতটা পরিশ্রম করেছি সেটা ও জানে। আমি সফল হওয়ায় ওর খুব আনন্দ হয়েছে। উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছিল।

মে ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

প্রথম নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েই ইতিহাস হার্দিক পান্ডিয়ার

চলতি আইপিএলে কি নতুন চ্যাম্পিয়ন দেখতে পাবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা? না, দ্বিতীয় বারের জন্য আবার রাজস্থান রয়্যালসের হাতে উঠবে ট্রফি? আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে প্রশ্নটা রবিবাসরীয় সন্ধেয় বারবার ঘুরে ফিরে আসছিল। ঘরের দলকে সমর্থন জানাতে এদিন গ্যালারি ভরিয়েছিলেন দর্শকরা। ক্রিকেটপ্রেমীদের হতাশ হতে হয়নি। দ্বিতীয় বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেল রাজস্থান রয়্যালসের। রাজস্থানকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে আইপিএলে অভিষেকেই চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স। প্রথমবার নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েই ইতিহাস গড়লেন হার্দিক পান্ডিয়া।গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ফাইনালে রাজস্থান রয়্যালস বড় রানের জন্য তাকিয়েছিল জস বাটলারের দিকে। বাটলার ব্যর্থ হতেই বড় রানের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় রাজস্থানের। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩০ রানের বেশি তুলতে পারেননি। জয়ের জন্য ১৩১ রানের লক্ষ্য খুব একটা কঠিন ছিল না গুজরাট টাইটান্সের কাছে। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় হার্দিক পান্ডিয়ার দল। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে ঋদ্ধিমান সাহার স্টাম্প ছিটকে দেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। ৭ বলে মাত্র ৫ রান করে আউট হন ঋদ্ধি। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে ম্যাথু ওয়েডকে তুলে নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। ১০ বলে ৮ রান করে আউট হন ওয়েড।🏆 ➡️ 🎂 #SeasonOfFirsts #AavaDe #IPLFinal #GTvRR pic.twitter.com/eDUCgtQZgD Gujarat Titans (@gujarat_titans) May 29, 2022ওয়েড যখন আউট হন গুজরাট টাইটান্সের রান তখন ৪.৩ ওভারে ২৩/২। এরপর রাজস্থান রয়্যালসের বোলার ওপর ক্রমশ চাপ তৈরি করতে শুরু করেন হার্দিক পান্ডিয়া ও শুভমান গিল। এই দুই ব্যাটার পার্টনারশিপ গড়ে তুলে গুজরাটকে ক্রমশ জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। ১৪ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে জুটি ভাঙেন যুজবেন্দ্র চাহাল। হার্দিক পান্ডিয়াকে তুলে নেন। ৩০ বলে ৩৪ রান করে আউট হন হার্দিক। গুজরাটের রান তখন ৮৬। এরপর দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন শুভমান গিল (৪৩ বলে অপরাজিত ৪৫) ও ডেভিড মিলার (১৯ বলে ৩২)। ১৮.১ ওভারে ১৩৩/৩ তুলে ম্যাচ জিতে যায় গুজরাট টাইটান্স।টস জিতে এদিন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। গুজরাট টাইটান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার দুর্দান্ত বোলিং ও নেতৃত্ব একবারে ব্যাকফুটে পাঠিয়ে দিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালসকে। যশস্বী জয়সোয়ালকে (১৬ বলে ২২) তুলে নিয়ে রাজস্থানকে প্রথম ধাক্কা দিয়েছিলেন যশ দয়াল। তারপর বাইশ গজে আগুন ঝড়ান হার্দিক। তাঁর শিকারের তালিকায় সঞ্জু (১১ বলে ১৪), বাটলার (৩৫ বলে ৩৯), হেটমায়ার (১২ বলে ১১)। পাড়িক্কলকে (২) তুলে নেন রশিদ খান। দুরন্ত বোলিং করে ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন হার্দিক। ১৮ রানে ১ উইকেট নেন রশিদ খান। ২০ রানে ২ উইকেট নেন সাই কিশোর।

মে ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

দুরন্ত বোলিং ও নেতৃত্ব, হার্দিক পান্ডিয়াই ব্যাকফুটে পাঠিয়ে দিল রাজস্থানকে

চলতি আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের ফাইনালে ওঠার পেছনে সবথেকে বেশি অবদান জস বাটলারের। একার হাতেই দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ফাইনাল বৈতরণী পার হওয়ার জন্য তাঁর দিকেই তাকিয়ে ছিল গোটা দল। ফইনালে জ্বলে উঠতে পারলেন না জস বাটলার। বাকিরাও দায়িত্ব নিতে পারলেন না। হার্দিক পান্ডিয়ার দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল রাজস্থান রয়্যালস। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলল ১৩০/৯। আগের ম্যাচে আমেদাবাদের বাইশ গজে দ্বিতীয় ইনিংসে স্পিনারদের সাহায্য পেতে দেখেছিলেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। সেকথা মাথায় রেখে এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। মহম্মদ সামি ও যশ দয়ালের প্রথম দুই ওভারে তেমন সুবিধা করতে পারেননি রাজস্থানের দুই ওপেনার জস বাটলার ও যশস্বী জয়সোয়াল। আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে গিয়ে যশ দয়ালকে উইকেট তুলে দেন যশস্বী। ১৬ বলে ২২ রান করে তিনি সাই কিশোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। যশস্বী আউট হওয়ার পর বাটলারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। রাজস্থানের স্ট্র্যাটেজি ছিল বাটলার ইনিংস গড়ার দিকে নজর দেবেন, বাকি ব্যাটাররা আক্রমণের রাস্তায় যাবেন। কিন্তু সঞ্জুকে ঝড় তোলার সুযোগে দেননি গুজরাট টাইটান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে সঞ্জুকে (১১ বলে ১৪) তুলে নেন। ব্যাট করতে নেমে দেবদত্ত পাড়িক্কলও হার্দিক, রশিদ খানদের বিরুদ্ধে একেবারেই সাবলীল ছিলেন না। পাড়িক্কল ক্রিজে আসতেই রশিদকে আক্রমণে নিয়ে আসেন হার্দিক। সাফল্যও পান। পাড়িক্কলকে (২) তুলে নেন রশিদ। আইপিএলের শুরু থেকেই ব্যাট হাতে বোলারদের শাসন করে গেছেন জস বাটলার। তাঁর ব্যাটিংয়ের বৈশিষ্ট্য হল শুরুর দিকে খুব বেশি আক্রমণের রাস্তায় হাঁটেন না। ইনিংস গড়ার দিকে নজর দেন। পরের দিকে ঝড় তোলেন। এদিন অবশ্য তাঁকে ঝড় তোলার সুযোগ দেননি হার্দিক পান্ডিয়া। হার্দিকের অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বল ব্যাটের কানায় লাগিয়ে ঋদ্ধিমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বাটলার। ৩৫ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। বাটলার আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজস্থান রয়্যালসের বড় রানের ইনিংস গড়ার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। শিমরন হেটমায়ার (১১), রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৬), ট্রেন্ট বোল্টরা (১১) দায়িত্ব নিতে পারেননি। দুরন্ত বোলিং করে ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন হার্দিক। ১৮ রানে ১ উইকেট নেন রশিদ খান। ২০ রানে ২ উইকেট নেন সাই কিশোর।

মে ২৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

শেন ওয়ার্নের জন্য চ্যাম্পিয়ন হতে মরিয়া রাজস্থান রয়্যালস

২০০৮ সালে শেন ওয়ার্নের নেতৃত্বে প্রথম আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। মাঝে ১৩ বছর আইপিএলের ফাইনালেই উঠতে পারেনি। এবছর আবার খেতাব জয়ের হাতছানি। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে রাজস্থান শিবিরে আবার ভেসে উঠছে শেন ওয়ার্নের নাম। প্রথমন অধিনায়কের জন্যই আবার খেতাব জিততে মরিয়া রাজস্থান রয়্যালস।রাজস্থান রয়্যালস আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার তিন বছর পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল সঞ্জু স্যামসনের। এখন তিনিই দলের নেতৃত্বে। গুজরাটের বিরুদ্ধে ফাইনালে নামার আগে সঞ্জু স্যামসন, ২০০৮ সালে রাজস্থান রয়্যালসকে যখন খেতাব জেতান শেন ওয়ার্ন, সোহেল তনবীররা তখন আমি কেরলে একটা জায়গায় অনূর্ধ্ব ১৬ টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলছিলাম। এবার শুরু থেকে আমরা শেন ওয়ার্নের জন্যই জিততে চাইছি। আমরা লক্ষ্য থেকে আর এক কদম দূরে। ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হলেও আমরা এবারের আইপিএলে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি। দলে ভালো ক্রিকেটাররা থাকায় আমার কাজটাও সহজ হয়েছে। প্রথমদিকে সকলের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের চরিত্র সম্পর্কে ধারণা করার চেষ্টা করেছি। টিম হোটেল থেকে ড্রেসিংরুমে আমাদের দলে বেশ মজাদার কয়েকজন ক্রিকেটার থাকায় জৈব সুরক্ষা বলয়ের জীবনও কঠিন মনে হয় না। নেতৃত্বও উপভোগ করছেন বলে জানিয়েছেন সঞ্জু।টুর্নামেন্ট শুরুর আগে অনেকেই হয়তো ভাবেননি এই দুই দল শেষ পর্যন্ত খেতাবি লড়াইয়ে থাকবে। তবে, যে ভাবে হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন গুজরাট টাইটান্স এবং সঞ্জু স্যামসনের নেতৃত্বাধীন রাজস্থান রয়্যালস ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে তাতে দুই শিবিরের শক্তির প্রকাশ পায়। চলতি আইপিএলে এই দুই দল একে অপরের বিরুদ্ধে দুবার মুখোমুখি হয়েছে এবং দুটিতেই জয় পেয়েছে গুজরাট টাইটান্স।ফাইনালে কোন দল এগিয়ে? পরিসংখ্যান এবং সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের উপর নির্ভর করলে বিশ্লেষণ করলে খেতাব জয়ের ক্ষেত্রে ফেভারিট আইপিএল-এ সদ্যজাত গুজরাট টাইটান্স। এই দুই দলের বিগত সাক্ষাতের পরিসংখ্যানেও এগিয়ে হার্দিকের দল। তবে, রাজস্থানকে এই ম্যাচে সব রকম প্রতিকূলতার মধ্যেও লড়াইয়ে রাখবে এক এবং অদ্বিতীয় জস বাটলরারের বিধ্বংসী ফর্ম। কমলা টুপি দখলে করে নেওয়া বাটলারেরর ব্যাট প্রত্যাশা মতো কথা বললে খালি হাতে ফিরতে হতেই পারে গুজরাটকে। শেষ ম্যাচেই অপরাজিত শতরান পান জস। তবে, মনে রাখতে হবে ফাইনাল ম্যাচ সম্পূর্ণ আলাদা, এখানে লড়াই হবে খেতাব জয়ের জন্য। ফলে এই ম্যাচে কেউই এগিয়ে নয়, কেউই পিছিয়ে নয়। যে কোনও পরিস্থিতি থেকে ম্যাচের ভাগ্য বদলে যেতে পারে।

মে ২৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

আইপিএলে চতুর্থ সেঞ্চুরি!‌ ঝড় তুলে রাজস্থানকে ফাইনালে তুললেন বাটলার

চলতি আইপিএলে চতুর্থ সেঞ্চুরি। অপরাজিত রইলেন ১০৬ রানে। দুরন্ত বাটলারের ঝড়ে উড়ে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে আইপিএলের ফাইনালে রাজস্থান রয়্যালস। সামনে আবার সেই গুজরাট টাইটান্স। প্রথম কোয়ালিফায়ারে হারের মধুর প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ।এলিমিনেটরে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারিয়ে ফাইনালের স্বপ্ন দেখেছিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু তাঁদের সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দেওয়ার জন্য তৈরি ছিল সঞ্জু স্যামসনের দল। গুজরাট টাইটান্সের কাছে হার মেনে নিতে পারেনি রাজস্থান রয়্যালস। ডেভিড মিলারের হাতে এক ওভারে পরপর তিনটি ছক্কা খাওয়াটাও হজম হয়নি প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর। এদিন দুরন্ত বল করে ২২ রানে নেন ৩ উইকেট। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে প্রায়াশ্চিত্য করে গেলেন। ওবেদ ম্যাকয়ও গুজরাটের বিরুদ্ধে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ফাফ ডুপ্লেসির দলের বিরুদ্ধে সব পুষিয়ে দিলেন। তিনি ২৩ রানে নেন ৩ উইকেট। এই দুই বোলারের দাপটেই প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৭/৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। সর্বোচ্চ রান করেন রজত পতিদার (৪২ বলে ৫৮)।রাজস্থান রয়্যালসের যা ব্যাটিং শক্তি, জয়ের জন্য ১৫৮ রানের লক্ষ্য খুব একটা কঠিন ছিল না। তার ওপর লিগ পর্বে শেষ তিন ম্যাচের ব্যর্থতা কাটিয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ারে ছন্দ ফিরে পেয়েছেন জস বাটলার। আগের ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই এদিন শুরু করেন রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক। শুরু থেকেই চেপে বসেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বোলারদের ওপর। যশস্বী জয়সোয়ালও ভাল শুরু করেছিলেন। ওপেনিং জুটিতে ৫ ওভারে ওঠে ৬১। এরপরই ফিরে যান যশস্বী জয়সোয়াল। ১৩ বলে ২১ রান করে তিনি জস হ্যাজেলউডের বলে বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।যশস্বী আউট হলেও বাটলারের ঝড় অব্যাহত থাকে। মাত্র ২৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ২১ বলে ২৩ রান করে আউট হন সঞ্জু স্যামসন। হাসারাঙ্গাকে স্টেপ আউট করে মারতে গিয়ে তিনি স্টাম্পড হন। ১৫ ওভারের চতুর্থ বলে হাসারাঙ্গাকে ৬ মেরে চলতি আইপিএলে ৮০০ রান পূর্ণ করেন বাটলার। এক বল পরেই হাসারাঙ্গাকে আবার ৬ হাঁকিয়ে ৮৮ রানে পৌঁছে যান তিনি। জয় থেকে যখন ১০ রান দুরে তখনই আউট হন দেবদত্ত পাড়িক্কল। ১২ বলে ৯ রান করে হ্যাজেলউডের বলে তিনি সাজঘরে ফেরেন। নিজের ছন্দ ধরে রেখে এরপর সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন জস বাটলার। ৬০ বলে ১০৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১১ বল বাকি থাকতেই ১৬১/৩ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় রাজস্থান।

মে ২৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

আবার জ্বলে উঠলেন রজত পতিদার, তবু বড় রান তুলতে ব্যর্থ র‌য়্যাল চ্যালেঞ্জার্স

কথায় আছে না, কারও সর্বনাশ কারও পৌস মাস। রজত পতিদারের কপালটাই তেমন। আইপিএলের শুরুতেই লাভনিথ সিসোদিয়া চোট পেয়ে ছিটকে যান। তাঁর পরিবর্তে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে খেলার সুযোগ রজত পতিদারের। এলিমিনেটরে তাঁর দুরন্ত সেঞ্চুরি ফাইনালের লাইফ লাইন এনে দিয়েছিল। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারেও জ্বলে উঠল রজত পতিদারের ব্যাট। তাঁর ৫৮ রানের সুবাদে রাজস্থান রয়্যালসের সামনে জয়ের জন্য ১৫৮ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।বিরাট কোহলি রান না পেলেও বড় রানে পৌঁছতে এখন আর কোনও সমস্যা হয় না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের। আগের ম্যাচে ২৫ রান করেছিলেন কোহলি। তাসত্ত্বেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স কিন্তু ২০০ রানের গন্ডি টপকে গিয়েছিল। এদিনও কোহলি ব্যর্থ। তা সত্ত্বেও লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। এবছর কোহলি যদি ফাইনাল খেলার সুযোগ পান তাহলে কিন্তু রজত পতিদারের কাছে কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।আমেদাবাদের নরেন্দ্র সিং মোদি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে এদিন টস জিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সকে ব্যাট করতে পাঠান রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম ওভারের শেষ বল ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। মনে হচ্ছিল আজ বুঝি কোহলির দিন। কিন্ত ভক্তদের হতাশ করে আবার ব্যর্থ। দ্বিতীয় ওভারে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর বল ব্যাটের কানায় লাগিয়ে উইকেটের পেছনে সঞ্জু স্যামসনেরল হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন কোহলি। ৮ বলে তিনি করেন মাত্র ৭ রান। প্রথম কোয়ালিফায়ারে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে এক ওভারে পরপর তিনটি ৬ খেয়ে দলকে ডুবিয়েছিলেন প্রসিদ্ধ। এদিন কোহলিকে তুলে নিয়ে প্রায়াশ্চিত্য করেন।কোহলি ফিরে যাওয়ার পর দলকে টেনে নিয়ে যান অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি ও রজত পতিদার। ২৭ বলে ২৫ রান করে ওবেদ ম্যাকয়ের বলে আউট হন ডুপ্লেসি। এরপর ক্রিজে নেমে ঝড় তোলেন ম্যাক্সওয়েল। ১৩ বলে ২৪ রান করে তিনি ট্রেন্ট বোল্ডের বলে ওবেদ ম্যাকয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ১ ওভার পরেই বড় ধাক্কা খায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বল গ্যালারিতে পাঠাতে চেয়েছিলেন রজত পতিদার। লং অফ বাউন্ডারিতে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন জস বাটলার। ৪২ বলে ৫৮ রান করে আউট হন রজত। ডেথ ওভারে দীনেষ কার্তিক (৬), শাহবাজ আমেদ (৮ বলে অপরাজিত ১০), হাসারাঙ্গারা (০) জ্বলে উঠতে না পারায় ২০ ওভারে ১৫৭/৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। দুরন্ত বোলিং করে ২২ রানে ৩ উইকেট নেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন ওবেদ ম্যাকয়।

মে ২৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‘‌হর্ষল ১৪–১৫ কোটি পাওয়ার যোগ্য’‌, কেন একথা বললেন শেহবাগ?‌

বুধবার এলিমিনেটর ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ১৪ রানে হারিয়ে ফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। মূলত রজত পতিদারের দুরন্ত ১১২ রানের সুবাদে ফাফ ডুপ্লেসির দল প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে তোলে ২০৭/৭। বল হাতে জস হ্যাজেলউড এবং হর্ষল প্যাটেলের ডেথ ওভারের বোলিং জয় এনে দেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে। বেঙ্গালুরুর জয়ের আসল নায়ক যদি ধরা হয়, তাহলে উঠে আসবে হর্ষল প্যাটেলের নাম। কারণ লখনউ সুপার জায়ান্টদের বিরুদ্ধে খেলায় হর্ষল অত্যন্ত মিতব্যয়ী ছিলেন। ৪ ওভারে দেন মাত্র ২৫ রান। তুলে নেন ১ উইকেট। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেহবাগ এলিমিনেটরে হর্ষল প্যাটেলের চিত্তাকর্ষক পারফরম্যান্স নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। তাঁর মতে, পারফরম্যান্সের তুলনায় হর্ষল নিলামে অনেক কম টাকা পেয়েছেন। আইপিএলে ১৪১৫ কোটি টাকা পাওয়ার যোগ্য হর্ষল। এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটের অনুষ্ঠানে বীরেন্দ্র শেহবাগ বলেন, আমরা সবসময় কথা বলি কীভাবে রাহুল তেওয়াটিয়া তার ১০ কোটি টাকার ট্যাগের প্রতি সুবিচার করে। কারণ সে গুজরাট টাইটান্সকে ম্যাচ জিতিয়েছে। হর্ষল প্যাটেল বেঙ্গালুরুর হয়ে যেভাবে বোলিং করেছে, তাতে ওর দাম এখনও বেশ কম। ও দলকে যতগুলি ম্যাচ জিতিয়েছে, তাতে আমি মনে করি, ১০.৭৫ কোটি টাকা ওর মূল্য কম। হর্ষলের ১৪১৫ কোটি টাকার ক্যাটাগরিতে থাকা উচিত। শেহবাগ আরও বলেন, হর্ষল স্লগ ওভারে বোলিং করছে, উইকেট পাচ্ছে এবং ম্যাচ বাঁচাচ্ছে। কখনও কখনও শুরুর দিকে বোলিং করে কম রান দিয়ে উইকেটও তুলে নিয়েছে। তাই আমি মনে করি হর্ষল এই শ্রেণিতে থাকার যোগ্য। এখন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর কোয়ালিফায়ার ২তে উঠেছে। এরজন্য হয়তো আরসিবি তাকে একটি বোনাস দিতে পারে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর আমেদাবাদে ২৭ মে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে কোয়ালিফায়ার ২এর ম্যাচ খেলবে।শুধু বীরেন্দ্র শেহবাগই নন, লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুলও মেনে নিয়েছেন তাঁর দল হর্ষল প্যাটেলের বোলিংয়ের কাছেই হেরেছে। ম্যাচের পর লোকেশ রাহুল বলেন, মাঝের ২ ওভার দুর্দান্ত বোলিং করে হর্ষল ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিয়েছিল। ওই সময় আমরা বড় শট খেলতে পারিনি। ডেথ ওভারেও ভাল বোলিং করেছিল। যদি মাঝের ওভারগুলিকে কয়েকটা বাউন্ডারি কিংবা ওভার বাউন্ডারি মারতে পারতাম, তাহলে আমাদের কাজটা সহজ হয়ে যেত।

মে ২৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ব্যর্থ লোকেশের লড়াই, ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স

বিরাট কোহলির ব্যর্থতা ঢেকে দিলেন রজত পতিদার। তাঁর দুরন্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ১৪ রানে হারিয়ে ফাইনালের আশা জিইয়ে রাখল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের দুরন্ত লড়াই ব্যর্থ হয়ে গেল। দ্বিতীয় এলিমিনেটরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের সামনে এবার রাজস্থান রয়্যালস।রজত পতিদারের অপরাজিত দুরন্ত সেঞ্চুরির সুবাদে ২০৭/৪ রানের বড় স্কোর খাড়া করেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। সামনে বিশাল রানের টার্গেট দেখে চাপে পড়ে গিয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। চাপ আরও বেড়ে যায় প্রথম ওভারেই কুইন্টন ডিককের উইকেট হারানোয়। প্রথম ওভারের শেষ বলে তাঁকে তুলে নেন মহম্মদ সিরাজ। ৫ বলে ৬ রান করে আউট হন ডিকক। মনন ভোরাও দলকে বেশিদূর টেনে নিয়ে যেতে পারেননি। ১১ বলে ১৯ রান করে তিনি হ্যাজেলউডের বলে শাহবাজ আমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।৪১ রানে ২ উইকেট হারানোর পর লখনউকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ও দীপক হুডা। তাঁদের ৯৬ রানের জুটি লখনউকে ক্রমশ জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। দীপক হুডাকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ২৬ বলে ৪৫ রান করে আউট হন দীপক হুডা। হুডা আউট হওয়ার আগেই হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লোকেশ রাহুল। চলতি আইপিএলে এটি তাঁর চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি।দীপক হুডা আউট হওয়ার পর মার্কাস স্টয়নিস জুটি বাঁধেন লোকেশ রাহুলের সঙ্গে। হর্শল প্যাটেলকে ৬ মারতে গিয়ে ডিপ কভারে রজত পতিদারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন স্টয়নিস (৯ বলে ৯)। লোকেশ রাহুল আউট হতেই জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় লখনউর। ৫৮ বলে ৭৯ রান করে হ্যাজেলউডের বলে আউট হন রাহুল। পরের বলেই হ্যাজেলউড তুলে নেন ক্রূণাল পান্ডিয়েকে (০)। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৯৩/৬ তোলে লখনউ। ৪৩ রানে ৩ উইকেট নেন হ্যাজেলউড।এদিন কোহলির টানেই এদিন ইডেন ভরিয়েছিলেন দর্শকরা। ভাল শুরু করেও বড় রান করতে ব্যর্থ কোহলি। মাত্র ২৫ রান করে আউট হন। কোহলির ব্যর্থতা ঢেকে দলকে বড় রানে পৌঁছে দিয়েছিলেন রজত পতিদার। ৫৪ বলে ১১২ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে তিনি অপরাজিত থাকেন। তাঁর সৌজন্যেই ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৭ রানে পৌঁছেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।যদিও শুরুটা ভাল হয়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। প্রথম ওভারেই আউট হন ফাফ ডুপ্লেসি। তিনি গোল্ডেন ডাকের শিকার। এরপর দলকে টানেন কোহলি ও রজত পতিদার। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৯) নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। মহীপাল লোমরোর করেন ১৪। শেষদিকে ঝড় তুলে ২৩ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন দীনেশ কার্তিক।

মে ২৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

কোহলির মঞ্চে ইডেন মাতিয়ে নায়ক রজত পতিদার

বিরাট কোহলির আকর্ষনেই বুধবার ইডেন ভরিয়েছিলেন দর্শকরা। কোহলি কিন্তু হতাশ করলেন ইডেনকে। তাঁর ব্যর্থতা ঢেকে ক্রিকেটের স্বর্গোদ্যান মাতিয়ে গেলেন রজত পতিদার। তাঁর দুরন্ত ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে এলিমিনেটরের প্রথম ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে বড় রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলল ২০৭/৪। দুরন্ত সেঞ্চুরি করলেন রজত পতিদার।ইডেনের আকাশ জুড়ে কালো মেঘের ঘনঘটা। বৃষ্টিও শুরু হয়েছিল। তড়িঘড়ি গোটা ইডেন ঢাকা হয় সাদা কভারে। আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, আদৌও ম্যাচ হবে তো? বৃষ্টি বন্ধ হতেই উঠল কভার। ম্যাচ শুরু হল নির্ধারিত সময়ের ৪০ মিনিট পর। টস জিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সকে ব্যাট করতে পাঠান লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুল।ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে আউট রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি। এদিন তিনি গোল্ডেন ডাকের শিকার। কোনো রান না করেই মহসিন খানের বলে উইকেটের পেছনে কুইন্টন ডিককের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।ইডেনের দর্শকরা এদিন মাঠ ভরিয়েছিলেন কোহলির টানে। কোহলিপ্রেমীরা আশা করেছিলেন মাঠ মাতাবেন তাঁদের প্রিয় ক্রিকেটার। ভাল শুরুও করেছিলেন। ব্যাটে লম্বা ইনিংসের ইঙ্গিত ছিল। কিন্তু ইডেনের গ্যালারির প্রত্যাশাপূরণ করতে পারলেন না কিং কোহলি। ২৪ বলে ২৫ রান করে আবেশ খানের বলে মহসিন খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ১০ বলে মাত্র ৯ রান করে তিনি ক্রূণাল পান্ডিয়ার বলে এভিন লুইসের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।দলের সেরা ব্যাটাররা আউট হলেও ইডেনের বাইশ গজে নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরেন রজত পতিদার। ২৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। এরপর তাঁকে আর আটকানো যায়নি। একবার জীবন পেয়ে রীতিমতো তান্ডব শুরু করেন। মহসিন খানকে ৬ মেরে আইপিএলে জীবনের প্রথম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তাঁর সেঞ্চুরি আসে মাত্র ৫১ বলে। একটা সময় মনে হচ্ছিল বড় রানে পৌঁছতে পারবে না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। কিন্তু রজত পতিদারের দুরন্ত ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে ২০০ রানের গন্ডি টপকে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ৫৪ বলে ১১২ রান করে অপরাজিত থাকেন পতিদার। তাঁকে সহযোগিতা করেন দীনেশ কার্তিক (২৩ বলে অপরাজিত ৩৭)। মহীপাল লোমরোর করেন ১৪। লখনউর হয়ে ১টি করে উইকেট নেন মহসিন খান, ক্রূণাল পান্ডিয়া, আবেশ খান ও রবি বিষ্ণোই।

মে ২৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

মিলার হয়ে উঠলেন ‘‌কিলার’, রাজস্থানকে উড়িয়ে ফাইনালে গুজরাট টাইটান্স

জস বাটলারের দুরন্ত ইনিংস ম্লান হয়ে গেল ডেভিড মিলারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে। তাঁর দাপটেই প্রথম কোয়ালিফায়ারে রাজস্থান রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে অভিষেক আইপিএলেই ফাইনালে পৌঁছে গেল গুজরাট টাইটান্স। ৩ বল বাকি থাকতে ১৯১/৩ তুলে ম্যাচ জিতে নেয়। ট্র্যাজিক হিরো হয়েই থেকে গেলেন বাটলার।বাটলারের দাপটে ৬ উইকেটে ১৮৮ রান তুলে গুজরাট টাইটান্সের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল সঞ্জু স্যামসনের দল। বড় রান তাড়া করতে গেলে শুরুটা ভাল হওয়া জরুরি। সেটাই হয়নি গুজরাট টাইটান্সের। আগের বেশ কয়েকটা ম্যাচে ওপেনিং জুটিতে বড় রান তুলে পার্থক্য গড়ে দিয়েছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমান গিল। ঘরের মাঠে এদিন প্রত্যাশার চাপ পূরণ করতে পারেননি ঋদ্ধি। ট্রেন্ট বোল্টের ওভারে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই তিনি উইকেটের পেছনে সঞ্জু স্যামসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। নিজের আঁতুর ঘরে খালি হাতেই ফিরতে হল ঋদ্ধিকে। বল হাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন মহম্মদ সামি। ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৪৩। মাত্র ১ উইকেট পেয়েছিলেন। ব্যাট হাতে আরও এক ঘরের ক্রিকেটার হতাশ করেন।বোর্ডে কোনও রান ওঠার আগেই ঋদ্ধি আউট। মনে হচ্ছিল ট্রেন্ট বোল্টদের সামনে ভেঙে পড়বে গুজরাট টাইটান্স। তা কিন্তু হয়নি। পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে রাজস্থান বোলারদের ছন্দ নষ্ট করে দেন শুভমান গিল ও ম্যাথু ওয়েড। ৭ ওভারেই পৌঁছে যায় ৬৮ রানে। ওয়েডের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে শুভমান আউট। ২১ বলে ৩৫ রান করেন শুভমান। এরপরই ছন্দপতন। দশম ওভারের তৃতীয় বলে ওয়েডকে তুলে নেন ওবেদ ম্যাকক। ৩০ বলে ৩৫ রান করেন ওয়েড।ওয়েড আউট হওয়ার পর গুজরাটের হাল ধরেন ডেভিড মিলার ও হার্দিক পান্ডিয়া। এই দুজনই দলকে টেনে নিয়ে যান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৬ রান দরকার ছিল গুজরাট টাইটান্সের। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার প্রথম তিন বলে তিনটি ৬ মেরে দলকে ফাইনালে তোলেন মিলার। শেষ পর্যন্ত ৩৮ বলে ৬৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২৭ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন হার্দিক পান্ডিয়া।প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এদিন শুরুটা ভাল হয়নি রাজস্থান রয়্যালসেরও। দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায়। যশ দয়ালের আউট হন যশস্বী জয়সওয়াল (৩)। এরপর ক্রিজে নেমে ঝড় তোলেন সঞ্জু স্যামসন। জস বাটলার এদিন শুরু থেকেই ছিলেন সতর্ক। শুরুর দিকে খুব বেশি আক্রমণের রাস্তায় হাঁটেননি। ৪২ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তারপরই ঝড় তোলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ৫৬ বলে ৮৯ রান করে রান আউট হন। ২৬ বলে ৪৭ রান করেন সঞ্জু স্যামসন। এই দুজনের দাপটেই গুটরাজ টাইটান্সের সামনে বড় রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। ২০ বলে ২৮ রান করেন দেবদত্ত পাড়িক্কল।

মে ২৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ক্রিকেটের নন্দনকাননে ‘‌বাটলার শো’, গুজরাটকে বড় রানের চ্যালেঞ্জ রাজস্থানের

আগের তিনটি ম্যাচে রান পাননি। ক্রিকেটের নন্দনকাননে তিন ম্যাচের ব্যর্থতা কাটিয়ে আবার জ্বলে উঠলেন জস বাটলার। তাঁর দাপটেই প্রথম কোয়ালিফায়ারে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে বড় রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল রাজস্থান রয়্যালস। নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলল ১৮৮/৬। ক্রিকেটের নন্দনকানন মাতালেন জস বাটলার।চলতি আইপিএসে টস ভাগ্য একেবারে সহায় ছিল না সঞ্জু স্যামসনের। লিগ পর্বে ১৪ ম্যাচের মধ্যে ১২টিতেই টসে হারতে হয়েছিল। প্রথম কোয়ালিফায়ারেও ভাগ্য সহায় হল না। হার্দিক পান্ডিয়ার কাছে আবারও টসে হার। এবং প্রথমে ব্যাট করার ডাক। ব্যাট করতে নেমে এদিন দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় রাজস্থান। যশ দয়ালের বলে উইকেটের পেছনে ঋদ্ধিমান সাহার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন যশস্বী জয়সওয়াল (৩)। এরপর ক্রিজে নেমে ঝড় তোলেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। আগের তিন ম্যাচে রান না পাওয়া জস বাটলার এদিন শুরু থেকেই ছিলেন সতর্ক। খুব বেশি আক্রমণের রাস্তায় হাঁটেননি। ঝড় না তুলে ইনিংস গড়ার দিকে নজর দেন। দুজনের জুটিতে ওঠে ৬৮ রান। সাই কিশোরকে ৬ মেরে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে গিয়ে লং অন বাউন্ডারির ধারে আলজেরি জোশেফের হাতে ধরা পড়েন সঞ্জু। ২৬ বলে তিনি করেন ৪৭ রান।সঞ্জু আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসে রাজস্থানের রানের গতি ধরে রাখেন দেবদত্ত পাড়িক্কল। ২০ বলে ২৮ রান করে তিনি হার্দিক পান্ডিয়ার বলে বোল্ড হন। রাজস্থান ব্যাটাররা এদিন রশিদ খানের ওপর খুব বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার সুযোগ পাননি। কোনও উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচ করেন রশিদ। রশিদ খানের কোটা শেষ হওয়ার পরেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন বাটলার। ৩৮ বলে তাঁর রান ছিল ৩৯। সেখান থেকে ৪২ বলে তিনি হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। এই নিয়ে চলতি আইপিলে চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি করলেন বাটলার। হেটমায়ার এদিনও দলকে ভরসা দিতে পারলেন না। ৭ বলে মাত্র ৪ রান করে তিনি মহম্মদ সামির বলে রাহুল তেওয়াটিয়ার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। বাটলার শো অবশ্য অব্যাহত থাকে। শেষ পর্যন্ত তিনি ৫৬ বলে ৮৯ রান করে রান আউট হন। গুজরাটের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন সামি, যশ দয়াল সাই কিশোর ও হার্দিক।

মে ২৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ডিআরএসের ব্যাপারে ঋষভ পন্থ কি পারবেন রোহিতের ভরসা হতে?‌‌

মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে হেরে প্লে অফের স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালসের। দিল্লি ক্যাপিটালসের প্লে অফে উঠতে না পারার পেছনে অনেকেই অধিনায়ক ঋষভ পন্থকে দায়ি করেছেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে তাঁর ভুলের মাশুল দিতে হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালসকে। প্রথমে শার্দূল ঠাকুরের বলে তিনি ডিওয়াল্ড ব্রেভিসের ক্যাচ ফেলেছিলেন। পরের বলেই টিম ডেভিভের ক্যাচ তালুবন্দী করেন। আম্পায়ার ডেভিসকে আউট দেননি। কিন্তু ডিআরএস নেননি ঋষভ। যার মাশুল দিতে হয়েছিল দিল্লিকে। দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ১১ বলে ৩৪ রান করে মুম্বইকে জয় এনে দিয়েছিলেন ডেভিস।দলের চরম বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ঋষভ পন্থ। তাঁর ইনিংসের সৌজন্যে লড়াই করার অক্সিজেন পেয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। কিন্তু ঋষভের নেতৃত্বের ভুলেই ম্যাচ থেকে ছিকটে যেতে হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালসকে। টিম ডেভিসের ক্যাচের সময় ঋষভ ডিআরএস নিলে হয়তো প্লে অফ থেকে ছিটকে যেতে হত না দিল্লিকে।ডিআরএসের ব্যাপারে ঋষভকে আরও পরিনত হতে হবে। না হলে ভবিষ্যতে ভারতীয় দলকে সমস্যায় পড়তে হবে। ভারতীয় দলে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলির মতো ঋষভকেই ডিআরএসের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ, উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে তিনিই সবথেকে ভাল পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। ঋষভ যদি ভুল সিদ্ধান্ত নেন, তার মাশুল দিতে হবে ভারতীয় দলকে।ঋষভকে নিয়ে ডিআরএস প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন স্পিনার ব্র্যাড হগ বলেছেন, ডিআরএস নেওয়ার ক্ষেত্রে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির মতো ভারতীয় শিবিরের পন্থই একমাত্র সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী। পন্থ বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার কাছে গিয়ে বলতে পারবে না, ও আউট হয়েছে, ডিআরএসের সিদ্ধান্ত তোমরা নাও। রিভিউ নেওয়ার দায়িত্ব শুধুমাত্র ঋষভ পন্তের। এই বলে দায়িত্বও এড়িয়ে যেতে পারবে না। রিভিউ নেওয়ার দায়িত্ব কেবলমাত্র ঋষভ পন্থের ওপর নির্ভর করবে।হগ আরও বলেছেন, টিম ডেভিডের ক্যাচ ধরে ঋষভ পন্থ ও শার্দূল ঠাকুর দারুণ প্রভাবিত হয়েছিল। কিন্তু আম্পায়ার আউট দেয়নি। ঋষভের উচিত ছিল ডিআরএস নেওয়া। ডেভিড ওঅসময় আউট হলে মুম্বইয়ের পক্ষে জেতা সম্ভব হত না। টিম ডেভিড দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসকে প্লে অফের লড়াই থেকে বাদ দিয়েছিলেন। কেন তিনি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার জন্য যাননি? এই প্রসঙ্গে ঋষভ বলেন, বৃত্তের ভিতরে বেশিরভাগ সতীর্থর মনে হয়নি বল ডেভিডের ব্যাটে লেগেছিল।

মে ২৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ইডেনে সামিদের বিরুদ্ধে কেন বাটলারের দিকে তাকিয়ে রাজস্থান?‌

ইডেনে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলতে নামছে রাজস্থান রয়্যালস। শিমরন হেটমায়ার, সঞ্জু স্যামসনরা থাকতেও জস বাটলারের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে রাজস্থান টিম ম্যানেজমেন্ট। শেষ কয়েকটা ম্যাচে নিজের সেরা ছন্দের ধারেকাছে দেখা যায়নি বাটলারকে। ফাইনালে ওঠার জন্য ইংল্যান্ডের এই ওপেনারের জ্বলে ওঠার অপেক্ষায় রাজস্থান। নিজেকে মেলে ধরার জন্য তৈরি বাটলারও। চলতি আইপিএলের লিগের প্রথম পর্বের ফর্মই তাঁকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।চলতি আইপিএলে লিগ পর্বে ১৪ ম্যাচে ৬২৯ রান করে অরেঞ্জ টুপি নিজের দখলে রেখেছেন। স্ট্রাইক রেট ১৪৭। সেঞ্চুরি করেছেন তিনটি, হাফ সেঞ্চুরিও তিনটি। কিন্তু শেষ তিনটি ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারেননি বাটলার। শেষ তিন ইনিংসে দুঅঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি, তাঁর সংগ্রহ ২, ২ ও ৭। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে প্রথম কোয়ালিফায়ারে তাঁর দিকে তাকিয়ে দল।ক্রিকেটের নন্দনকাননে কি জ্বলে উঠতে পারবেন জস বাটলার? হার্দিক পান্ডিয়াদের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে তাঁকে। চলতি আইপিএলে নিজের ফর্ম নিয়েও দারুণ খুশি তিনি। এদিন বাটলার বলেন, এবারের আইপিএলে নিজের ফর্ম নিয়ে আমি খুশি। তবে শেষ তিন ম্যাচের পারফরমেন্সে খুবই হতাশ। আইপিএলের প্রথম পর্বে আমার জীবনের অন্যতম সেরা ক্রিকেট খেলেছি। প্লে অফে মাঠে নামার আগে প্রথম পর্বের পারপরমেন্স আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে।জস বাটলারের পাশাপাশি রাজস্থান রয়্যালসকে প্লে অফে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন যুজবেন্দ্র চাহাল। ১৪ ম্যাচে তুলে নিয়েছেন ২৪ উইকেট। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাঁর দিকেও তাকিয়ে দল। এবারের আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের জার্সি গায়ে চাপানোটা চাহালের কাছে দারুণ ব্যাপার। কারণ এই দলকেই আইপিএলের প্রথম মরশুমে শেন ওয়ার্নের মতো কিংবদন্তী স্পিনার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে চাহাল বলেন, রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে এটাই আমার প্রথম বছর। কিন্তু মনে হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই এই দলে খেলছি। মানসিকভাবে খুব রিল্যাক্স আছি।চাহাল আরও বলেন, রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলাটা আমার কাছে আরও স্পেশাল, কারণ শেন ওয়ার্ন স্যার এই দলে খেলেছিলেন। আমার মনে হচ্ছে ওনার আশীর্বাদ আমার ওপরে রয়েছে। ওপর থেকে তিনি আমার ওপর নজর রাখছেন। শুধু বাটলার কিংবা চাহাল নয়, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের দিকেও তাকিয়ে রাজস্থান। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও বেশ কয়েকটা ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছেন অশ্বিন।

মে ২৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

মরণবাঁচন ম্যাচে এ কী হাল ঋষভদের!‌ বুমরার দাপটে ধসে গেল দিল্লি

আইপিএলের প্লে অফে তিনটি জায়গা নিশ্চিত হয়ে গেছে। বাকি একটা জায়গা। লড়াই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যে। প্লে অফের টিকিটের জন্য এই মুহূর্তে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের হাতে কিছু নেই। দিল্লি ক্যাপিটালস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচের ফলাফলের ওপরই নির্ভর করছিল তাদের ভাগ্য।১৪ ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের পয়েন্ট ১৬। আর ১৩ ম্যাচে দিল্লির পয়েন্ট ১৪। নেট রানরেটে দিল্লি (+০.২৫৫) এগিয়ে রয়েছে বেঙ্গালুরুর (-০.২৫৩) থেকে। সুতরাং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে দিল্লি ক্যাপিটালস জিতলেই পেয়ে যাবে প্লে অফের টিকিট। আর ঋষভ পন্থরা হারলে প্লে অফে খেলার সুযোগ এসে যাবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সামনে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে এই রকম মরণবাঁচন ম্যাচেও ব্যাটিং বিপর্যয় দিল্লি ক্যাপিটালসের। দলকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচালেন রভম্যান পাওয়েল ও অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। এই দুই ব্যাটারের সৌজন্যেই লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছল দিল্লি। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলল ১৫৯/৭। টস জিতে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মা। সুস্থ হয়ে ওঠায় দিল্লি এদিন ললিত যাদবের জায়গায় প্রথম একাদশে ফেরায় পৃথ্বী শকে। মরণবাঁচন ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সামনে বড় রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার জন্য ডেভিড ওয়ার্নারের ফর্মে ফেরার দিকে তাকিয়ে ছিল দিল্লি টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু এদিনও ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে পারলেন ওয়ার্নার। ৬ বলে মাত্র ৫ রান করে তিনি তৃতীয় ওভারে ড্যানিয়েল স্যামসের বলে বুমরার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। পরের ওভারেই মিচেল মার্শকে (০) তুলে নেন যশপ্রীত বুমরা। এক ওভার পরেই তিনি ফেরান পৃথ্বী শকে। প্রথম একাদশে ফিরে এদিন ভাল শুরু করেছিলেন পৃথ্বী। কিন্তু বড় রান করতে পারলেন না। ২৩ বলে ২৪ রান করে তিনি আউট হন। সরফরাজ খানও (৭ বলে ১০) নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ৫০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে দিল্লি। এরপরই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অধিনায়ক ঋষভ পন্থ ও রভম্যান পাওয়েল। দুজনের জুটিতে ওঠে ৭৫। এই জুটিই মান বাঁচায় দিল্লির। ঋষভকে তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন রমনদীপ সিং। ৩৩ বলে তিনি করেন ৩৯। তারপরই আউট হল রভম্যান পাওয়েল। ৩৪ বলে তিনি করেন ৪৩। পাওয়েলের স্টাম্প ছিটকে দেন বুমরা। শেষ পর্যন্ত অক্ষর প্যাটেলের (১০ বলে ১৯) সৌজন্যে ১৫৯/৭ রানে পৌঁছয় দিল্লি। দুরন্ত বোলিং করে ২৫ রানে ৩ উইকেট নেন যশপ্রীত বুমরা।

মে ২১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

হেটমায়ারের স্ত্রী–কে টেনে কুরুচিকর মন্তব্য!‌ এ কী বললেন সুনীল গাভাসকার!‌

একজন ক্রিকেটার সম্পর্কে তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য! বুড়ো বয়সে কী ভীমরতি হয়েছে সুনীল গাভাসকারের? অনেকটা সেরকমই। রাজস্থান রয়্যালসের শিমরন হেটমায়ার ও তাঁর স্ত্রীকে জড়িয়ে খারাপ মন্তব্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় চূড়ান্ত ট্রোলড হলেন সুনীল গাভাসকার। রাজস্থান রয়্যালস ও চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচে শিমরন হেটমায়ারের স্ত্রীর সন্তান প্রসবের প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে এসে এমন মন্তব্য করেছেন, যা বিতর্ক তৈরি করেছে।শুক্রবার মুম্বইয়ের ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হয়েছিল রাজস্থান রয়্যাল। এই ম্যাচে ধারাভাষ্যকারের ভুমিকায় ছিলেন সুনীল গাভাসকার। জয়ের জন্য ১৫১ রান তাড়া করতে নেমে রাজস্থান রয়্যালস একসময় দ্রুত বেশ কয়েকটা উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। দেবদত্ত পাড়িক্কল আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন শিমরন হেটমায়ার। সেই সময় জয়ের জন্য রাজস্থান রয়্যালসের প্রয়োজন ছিল ৫২ বলে ৭৫ রান। হাতে ছিল ৬ উইকেট। হেটমায়ার ক্রিজে আসার পরপরই সুনীল গাভাসকার কমেন্ট্রি বক্সে বসে মন্তব্য করেন, হেটমায়ারের স্ত্রী সদ্য সন্তান প্রসব করেছে। হেটমায়ার কি এবার রাজস্থান রয়্যালসের জন্য ডেলিভারি করবেন? টিভিতে সুনীল গাভাসকারের এই মন্তব্য শুনে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন ক্রিকেটপ্রমীরা। অনেকেই গাভাসকারকে নির্লজ্জ বলে অভিহিত করেছেন। কেউ আবার টুইটারে লিখেছেন, সানিজির এই মন্তব্য চলতি আইপিএলে আম্পারিংয়ের থেকেও জঘন্য। একজন লিখেছেন, গাভাসকারের কমেন্ট্রি থেকে আমরা অনেককিছু পেয়েছি। কিন্তু এইরকম খারাপ মন্তব্য কখনও শুনিনি। কেউ আবার লিখেছেন, ক্রিকেট বিশ্বের কাছে সুনীল গাভাসকার লজ্জাজনক ঘটনা উপহার দিলেন। সুনীল গাভাসকারের উদ্দেশ্যে একজন টুইট করেছেন,এটা পেশাদার খেলা। স্যার আপনি কেন অন্যের স্ত্রী সম্পর্কে এইরকম মন্তব্য করলেন?শিমরন হেটমায়ারের স্ত্রী ছিলেন সন্তানসম্ভবা। সন্তানপ্রসবের সময় স্ত্রীর পাশে থাকার জন্য দুসপ্তাহ আগে গায়ানা ফিরে গিয়েছিলেন। ১০ মে হেটমায়ারের স্ত্রী সন্তান প্রসব করেন। কয়েকদিন স্ত্রীর সঙ্গে কাটিয়ে তারপর আবার ভারতে ফিরে এসে হেটমায়ার জৈব সুরক্ষা বলয়ে যোগ দেন। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে তাঁকে খেলানো হয়। কিন্তু নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি হেটমায়ার। মাত্র ৬ রান করে তিনি আউট হন। যদিও চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে আইপিএলের লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে রাজস্থান রয়্যালস।

মে ২১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

শেষ ম্যাচেও লজ্জাও চেন্নাইয়ের, দ্বিতীয় স্থানে শেষ করল রাজস্থান

গুজরাট টাইটান্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ম্যাচের ফলই প্লে অফ খেলা নিশ্চিত করে দিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালসের । তবে লিগ টেবিলে কোন পজিশনে শেষ করে প্লে অফ খেলবে, সেটা নির্ভর করছিল চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচের ওপর। চেন্নাইকে হারালেই ভাল নেট রান রেটের সুবাদে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে সরিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসার সুযোগ ছিল। সুযোগ দারুণভাবে কাজে লাগালেন সঞ্জু স্যামসনরা। চেন্নাইকে ৫ উইকেটে হারিয়ে লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল রাজস্থান রয়্যালস। চলতি আইপিএলে নিজেদের শেষ ম্যাচে সম্মান বাঁচাতে পারল না ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস।প্রথমে ব্যাট করে রাজস্থান রয়্যালসের সামনে বড় রানের টার্গেট খাড়া করতে পারেনি চেন্নাই সুপার কিংস। জয়ের জন্য লক্ষ্য রেখেছিল ১৫১। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে জস বাটলারের রানের দিকে তাকিয়ে ছিল রাজস্থান। কিন্তু চলতি আইপিএলে প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি ইংল্যান্ডের এই ওপেনার। দ্বিতীয় ওভারে এদিন মাত্র ২ রান করে সিমরনজিৎ সিংয়ের বলে মইন আলির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের ব্যাটেও সেই ধারাবাহিকতার অভাব। সিমরনজিত সিং, মিচেল স্যান্টনারদের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠতে পারলেন না। ২০ বলে মাত্র ১৫ রান করে তিনি স্যান্টনারের বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ দিয়ে আউট হন। দেবদত্ত পাড়িক্কলও (৩) রান পাননি। তিনি মইন আলির শিকার। রাজস্থানকে টেনে নিয়ে যান যশশ্বী জয়সোয়াল ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ৪৪ বলে ৫৯ করে প্রশান্ত সোলাঙ্কির বলে আউট হন জয়সোয়াল। দেশ থেকে ফিরে এসে সদ্য বাবা হওয়া হেটমায়ারও (৬) ব্যর্থ। তিনিও সোলাঙ্কির শিকার। ১৬.২ ওভারে ১১২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় রাজস্থান রয়্যালস। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান অশ্বিন ও রিয়ান পরাগ। শেষ ওভারে জয়ের জন্য রাজস্থানের দরকার ছিল ৭ রান। ২ বল বাকি থাকতে রাজস্থানকে (১৫১/৫) জয় এনে দেন অশ্বিন (২৩ বলে অপরাজিত ৪০) ও রিয়ান পরাগ (১০ বলে অপরাজিত ১০)।এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি চেন্নাইয়ের। প্রথম ওভারেই ফিরে যান ঋতুরাজ গায়কোয়াড় (২)। দলকে টেনে নিয়ে যান মইন আলি। এদিন দারুণভাবে জ্বলে উঠেন। মাত্র ১৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ডেভন কনওয়ে (১৪ বলে ১৬), এন জগদীশন (১), অম্বাতি রায়ুডু (৩) রান পাননি। ২৮ বলে ২৬ রান করেন ধোনি। ৫৭ বলে ৯৩ রান করে চেন্নাইকে ১৫০/৬ রানে পৌঁছে দিয়েছিলেন মইন।

মে ২০, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 14
  • 15
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

ইলন মাস্ককে খোলা চিঠি ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রীর, এক্সে ‘নীরব সেন্সরশিপ’-এর অভিযোগ

পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমাইমা গোল্ডস্মিথ এবার সরাসরি এক্সের মালিক ইলন মাস্কের কাছে আবেদন জানালেন। তাঁর অভিযোগ, ইমরান খানের গ্রেফতারি, জেলবন্দি জীবন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা তুলে ধরার জন্য এক্স ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁর পোস্টের পৌঁছনো কমিয়ে দিচ্ছে।জেমাইমার দাবি, ২০২২ সালে ক্ষমতা থেকে সরানোর পর গত ২২ মাস ধরে ইমরান খান কার্যত একঘরে বন্দি অবস্থায় রয়েছেন। তাঁর কথায়, এটি কোনও সাধারণ জেল নয়, বরং রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে নৃশংস নিঃসঙ্গ কারাবাস। এই সময়ের মধ্যে তাঁদের দুই ছেলে বাবার সঙ্গে দেখা করতে পারেনি। এমনকি মাসের পর মাস ফোনে কথা বলা বা চিঠি পাঠানোরও অনুমতি মেলেনি বলে অভিযোগ।জেমাইমা আরও জানান, পাকিস্তানের টেলিভিশন ও রেডিও থেকে ইমরান খানের নাম কার্যত মুছে ফেলা হয়েছে। তাঁর মতে, একমাত্র স্বাধীন মঞ্চ হিসেবে এক্স-ই ছিল সত্য বলার জায়গা। কিন্তু এখন সেই প্ল্যাটফর্মেও তাঁর কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।এক্স-এ করা দীর্ঘ পোস্টে জেমাইমা জানান, প্ল্যাটফর্মটির নিজস্ব এআই টুল গ্রক-এর তথ্য অনুযায়ী তাঁর অ্যাকাউন্টে গোপন থ্রটলিং করা হচ্ছে। অর্থাৎ, ইমরান খানের জেল পরিস্থিতি বা সন্তানদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয় নিয়ে পোস্ট করলেই সেগুলি অ্যালগরিদমের মাধ্যমে আড়াল করে দেওয়া হচ্ছে। ইলন মাস্ককে উদ্দেশ করে তিনি লেখেন, আপনি মুক্ত বাক্স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন। কিন্তু কথা বললেও যদি কেউ না শোনে, তা হলে সেটি আদৌ স্বাধীনতা নয়।জেমাইমার দাবি অনুযায়ী, তাঁর প্রায় ৩৫ লক্ষ ফলোয়ার থাকা সত্ত্বেও এক্সে তাঁর পোস্টের পৌঁছনো ভয়াবহ ভাবে কমে গিয়েছে। ২০২৩ এবং ২০২৪ সালের শুরু পর্যন্ত প্রতি মাসে তাঁর পোস্টে ৪০০ থেকে ৯০০ মিলিয়ন ইমপ্রেশন হতো। কিন্তু ২০২৫ সালে এখনও পর্যন্ত মোট ইমপ্রেশন নেমে এসেছে মাত্র ২ কোটি ৮৬ লক্ষে, প্রায় ৯৭ শতাংশ পতন।তিনি জানান, ২০২৫ সালের মে মাসে পাকিস্তানে এক্সের উপর নিষেধাজ্ঞা উঠতেই তাঁর একটি পোস্ট চার মিলিয়নের বেশি মানুষ দেখেন। কিন্তু তার পরই আবার হঠাৎ করে পোস্টের পৌঁছনো প্রায় শূন্যে নেমে যায়। জেমাইমার দাবি, গ্রক জানিয়েছে এই চাপ আসছে পাকিস্তানি প্রশাসনের দিক থেকেই, যারা ইমরান খানের পরিবারকে ঘনিষ্ঠ ভাবে নজরদারিতে রেখেছে।এই অভিযোগের পর পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগান। তিনি বলেন, ইমরান খানের পক্ষে কথা বলার বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে চাপা দেওয়া হচ্ছে। মরগানের মন্তব্য, ইমরান খানের সঙ্গে যা ঘটছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং পাকিস্তান সরকারকে তাঁর মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।এই ঘটনার মধ্যেই ইমরান খানের পরিবারের তরফে নতুন করে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। কয়েক দিন আগে তাঁর বোন আলিমা খান অভিযোগ করেন, রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে ইমরান খানকে নির্যাতন করা হচ্ছে এবং বেআইনি ভাবে একঘরে রাখা হয়েছে। তিনি জানান, গত আট মাস ধরে পরিবার নিয়মিত জেলে গেলেও তাঁদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।জেলের বাইরে জড়ো হওয়া পিটিআই সমর্থকরাও ইমরান খানের শারীরিক অবস্থা ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলের চারপাশে কড়া পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ক্ষমতা হারানোর পর একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০২৩ সালের অগস্ট থেকে জেলে রয়েছেন ইমরান খান। তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরেও প্রশ্ন উঠেছে। গত বছর রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল জানায়, ইমরান খানের আটক বেআইনি এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। যদিও সেই অভিযোগ মানতে চায়নি পাকিস্তান সরকার।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
দেশ

মেক্সিকোর শুল্ক-বোমা! ভারতের রফতানিতে ৫০ শতাংশ কর, পাল্টা পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিল দিল্লি

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই এমন দেশগুলির পণ্যের উপর হঠাৎ আমদানি শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তে কড়া আপত্তি জানাল ভারত। মেক্সিকোর এই একতরফা সিদ্ধান্তে ভারতীয় পণ্যের উপর কর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে ভারত জানিয়েছে, কূটনৈতিক আলোচনা চালু রাখার পাশাপাশি প্রয়োজন হলে রফতানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।ভারত সরকারের বক্তব্য, কোনও আগাম আলোচনা ছাড়াই এমন শুল্ক বৃদ্ধি দুই দেশের সহযোগিতামূলক বাণিজ্য সম্পর্কের পরিপন্থী। পাশাপাশি বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থার স্বচ্ছতার নীতির সঙ্গেও এই সিদ্ধান্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, মেক্সিকোর এই পদক্ষেপ ভারতের বিরুদ্ধে সরাসরি নয়, তা বোঝা গেলেও আগাম আলোচনা ছাড়া এমএফএন শুল্ক বাড়ানো বন্ধুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সম্পর্কের ভাবনার সঙ্গে খাপ খায় না।মেক্সিকোর নতুন শুল্ক কাঠামোয় মোট ১,৪৬৩টি পণ্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর প্রভাব পড়বে ভারত ছাড়াও চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো একাধিক এশীয় দেশের উপর। বেশির ভাগ পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক প্রায় ৩৫ শতাংশ হতে পারে, যদিও কোথাও তা ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।অপ্রত্যাশিত ভাবে ২০২৫ সালের ৩ ডিসেম্বর মেক্সিকোর অর্থনীতি মন্ত্রক ফের এই প্রস্তাব পেশ করে এবং আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নেয়। এর আগে বিভিন্ন দেশের আপত্তি ও মেক্সিকোর শিল্পমহলের চাপে এই সিদ্ধান্ত ২০২৬ সালের অগস্ট পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।মেক্সিকো সরকার দাবি করেছে, দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনকে উৎসাহ দেওয়া এবং বাণিজ্য ঘাটতি কমানোই এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহলের একাংশের মতে, আমেরিকার সঙ্গে ইউএসএমসিএ চুক্তি পর্যালোচনার সময় চিনের বিরুদ্ধে শুল্ক নীতি কঠোর করার চাপের সঙ্গেই এই সিদ্ধান্ত জড়িত। বিশেষ করে চিনা পণ্য ঘুরপথে আমেরিকার বাজারে ঢোকা ঠেকাতে মেক্সিকোর উপর চাপ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।এই পরিস্থিতিতে ভারত দ্রুত পদক্ষেপ করেছে। বাণিজ্য সচিব রাজেশ আগরওয়াল ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর অর্থনীতি মন্ত্রকের ভাইস মিনিস্টার লুইস রোসেন্দোর সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা করেছেন। খুব শীঘ্রই কারিগরি স্তরের বৈঠকও হতে পারে। এর আগেই, ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মেক্সিকোয় ভারতীয় দূতাবাস এই শুল্ক বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে ভারতীয় পণ্যের জন্য বিশেষ ছাড় চেয়েছিল।বাণিজ্য দফতর জানাচ্ছে, নতুন শুল্কের প্রকৃত প্রভাব কতটা পড়বে, তা নির্ভর করবে মেক্সিকোর সরবরাহ ব্যবস্থায় ভারতীয় পণ্যের গুরুত্বের উপর এবং ভারতীয় সংস্থাগুলি করের বোঝা ভোক্তাদের উপর চাপাতে পারে কি না, তার উপর। এখনও পর্যন্ত কোন কোন পণ্য এই তালিকায় পড়ছে, তার চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি।সরকারি সূত্রের স্পষ্ট বক্তব্য, ভারতীয় রফতানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার ভারত রাখে। তবে একই সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথেই এগোতে চায়।সব মিলিয়ে টানাপড়েন তৈরি হলেও ভারত জানিয়েছে, মেক্সিকোর সঙ্গে অংশীদারিত্বকে তারা গুরুত্ব দেয় এবং দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষের স্বার্থে স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য পরিবেশ বজায় রাখতে আগ্রহী।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
দেশ

৪৫ বছরের বাম দুর্গ ভাঙল বিজেপি! কেরলের রাজধানীতে ইতিহাস গড়ল এনডিএ

কেরলের রাজধানী তিরুবনন্তপুরমে বড় রাজনৈতিক পরিবর্তন। পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে। এর ফলে টানা ৪৫ বছর ধরে চলা বামফ্রন্টের দখল ভেঙে গেল রাজধানীর কর্পোরেশনে। এই ফলাফলকে কেরলের রাজনীতিতে ঐতিহাসিক বলেই মনে করা হচ্ছে।১০১টি ওয়ার্ডের মধ্যে এনডিএ জিতেছে ৫০টিতে। শাসক বামফ্রন্ট এলডিএফ নেমে এসেছে মাত্র ২৯টি আসনে। কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ পেয়েছে ১৯টি ওয়ার্ড। দুটি আসনে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। এক ওয়ার্ডে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট বাতিল হয়েছে।এই ফলের ফলে তিরুবনন্তপুরম কর্পোরেশনে সরকার গঠনের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল এনডিএ। শহরের রাজনৈতিক সমীকরণে যে বড় পরিবর্তন এসেছে, তা স্পষ্ট বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।ফলাফলটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ তিরুবনন্তপুরম জেলা কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা ও সাংসদ শশী থারুরের নিজের এলাকা। তাঁর ঘাঁটিতেই বিজেপির এই সাফল্য কেরলের রাজনীতিতে নতুন বার্তা দিচ্ছে বলে মত পর্যবেক্ষকদের।এখানেই শেষ নয়। কেরলের স্থানীয় নির্বাচন শেষে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য পেয়েছে এনডিএ। ত্রিপুনিথুরা পুরসভাতেও ক্ষমতা হারিয়েছে এলডিএফ, সেখানে দখল নিয়েছে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন জোট।ফল প্রকাশের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শশী থারুর বলেন, কেরলের গণতন্ত্রের জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য দিন। তিনি ইউডিএফ-এর সামগ্রিক ফলের প্রশংসা করেন এবং একই সঙ্গে তিরুবনন্তপুরম কর্পোরেশনে বিজেপির ঐতিহাসিক জয়ের কথা স্বীকার করেন। থারুর বলেন, মানুষের রায়কে সম্মান জানানোই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য, সে রায় বিরোধীদের পক্ষেও গেলে। তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিনের শাসনের বিরুদ্ধে মানুষের পরিবর্তনের ইচ্ছাই এই ফলাফলে প্রতিফলিত হয়েছে। শশী থারুরের কথায়, এলডিএফের ৪৫ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে তিনি পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন, কিন্তু ভোটাররা অন্য একটি দলকে সেই পরিবর্তনের দায়িত্ব দিয়েছেন। সেটাই গণতন্ত্রের শক্তি।শেষে তিনি বলেন, কংগ্রেস কেরলের মানুষের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে এবং ভাল শাসনের পক্ষে তাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

মেসি কাণ্ডে বড় ঘোষণা পুলিশের! টিকিটের টাকা ফেরাতে হবে, না হলে আইনি পদক্ষেপ

কেউ ৪ হাজার, কেউ ৮ হাজার, কেউ আবার ১০ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছিলেন। মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও শেষ পর্যন্ত প্রিয় ফুটবলার লিয়োনেল মেসিকে চোখের সামনে দেখতে পাননি তাঁরা। যুবভারতীতে তৈরি হওয়া চরম বিশৃঙ্খলার জন্য দর্শকদের ক্ষোভ গিয়ে পড়েছে পুলিশ ও উদ্যোক্তাদের উপর।এই পরিস্থিতিতে টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানালেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, যে টিকিট বিক্রি হয়েছে, তার টাকা দর্শকদের ফেরত দেওয়া উচিত। কারণ, বহু দর্শকই মেসিকে দেখতে পাননি।ডিজি জানান, অনুষ্ঠানে ন্যূনতম টিকিটের দাম ছিল ৩৫০০ টাকা। তার সঙ্গে স্টেডিয়ামের ভিতরে জলের বোতল থেকে শুরু করে পপকর্ন পর্যন্ত চড়া দামে বিক্রি হয়েছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, উদ্যোক্তারা যদি টাকা ফেরতের বিষয়ে সঠিক ব্যবস্থা না নেন, তা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। ইতিমধ্যেই মূল উদ্যোক্তাকে আটক করা হয়েছে এবং এই বিশৃঙ্খলার জন্য কাউকেই রেয়াত করা হবে না।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে স্টেডিয়ামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এডিডি আইন-শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম জানিয়েছেন, সকল দর্শক নিরাপদে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন এবং ট্রাফিক পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়েছে।উল্লেখ্য, এদিন যুবভারতীতে আসার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। ফুটবল তারকা মেসির সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছনোর আগেই নিজের কনভয়ের দিক ঘুরিয়ে নেন তিনি। পরে গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

ভিআইপি কালচারের বলি ফুটবলপ্রেমীরা? মেসি বিতর্কে বিজেপি-সিপিএমের তোপ

পাহাড়প্রমাণ প্রত্যাশা মুহূর্তে যেন জল হয়ে গেল। হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও প্রিয় তারকা লিয়োনেল মেসিকে ঠিকমতো দেখতে পেলেন না দর্শকরা। মেসি মাঠ ছাড়তেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সাধারণ মানুষের মুখে ঘুরছে একটাই কথাভিআইপি কালচারের জন্যই বঞ্চিত হল সাধারণ দর্শক। ক্ষোভে ফেটে পড়ে তছনছ হয়ে যায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। ভাঙা হয় চেয়ার, তোরণ। গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর।অব্যবস্থার জেরে মাঠে ঢুকতেই পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাস্তা থেকেই কনভয় ঘুরিয়ে ফিরে যেতে হয় তাঁকে। পরে মেসির কাছে ক্ষমা চেয়ে গোটা ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামেনি। একের পর এক তোপ দাগছে বিরোধীরা।বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, সাধারণ মানুষ সাড়ে তিন হাজার থেকে আট হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছেন। একশো দিনের কাজের শ্রমিকের প্রায় এক মাসের মজুরি একটি টিকিটের দামের সমান। তাঁর অভিযোগ, একদল প্রভাবশালী মানুষ মেসিকে ঘিরে রেখে সাধারণ দর্শকদের বঞ্চিত করেছেন। গোটা ঘটনাকে তিনি দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন।বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তাঁর দাবি, টিকিটের কালোবাজারি হয়েছে এবং পুরো ব্যবস্থাই ছিল চরম বিশৃঙ্খল। তিনি বলেন, যাঁরা বোতল ছুড়েছেন তাঁদের মধ্যেও শাসকদলের লোকজন রয়েছেন বলে তাঁর কাছে খবর আছে। পুলিশ ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ব্যর্থ বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।সিপিএমও এই ঘটনায় সরব। দলের নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, বাংলায় যেখানে অনুষ্ঠান হবে, সেখানে দুর্নীতি, কালোবাজারি আর বিশৃঙ্খলা যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। খেলাধুলো থেকে মেলাসব ক্ষেত্রেই একই ছবি দেখা যাচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ।এ দিকে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আবেগে আঘাত করেছে এবং ফুটবলপ্রেমীদের অপমান করেছে। সব মিলিয়ে মেসিকে ঘিরে এই বিশৃঙ্খলা শুধু মাঠেই নয়, রাজ্য রাজনীতিতেও ঝড় তুলে দিয়েছে।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

‘শুধু টাকা আর হ্যাংলামি?’ মেসি বিতর্কে আয়োজকদের তোপ কুণাল ঘোষের

দর্শকাসন থেকে একের পর এক জলের বোতল ছোড়া হল। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হলেন লিয়োনেল মেসি। হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও প্রিয় তারকাকে দেখতে পেলেন না বহু ভক্ত। ক্ষোভে ফেটে পড়ে মাঠে নেমে ভাঙচুর শুরু করেন অনেকে। এই ঘটনার পর প্রকাশ্যে আয়োজকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল। আয়োজকদের দাবি অনুযায়ী সকাল ১১টা থেকেই স্টেডিয়ামে থাকার কথা ছিল মেসির। মাঠ পরিক্রমাও করার কথা ছিল তাঁর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল শাহরুখ খানেরও। মেসি সময়মতো মাঠে পৌঁছলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়। গ্যালারি থেকে বোতল ছোড়া শুরু হয়। চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় মাঠজুড়ে।দর্শকদের অনেকেই জানান, চার মাস আগে টিকিট কেটেছেন তাঁরা। কেউ আবার ভোর ৪টে থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এত অপেক্ষা আর টাকা খরচ করেও মেসিকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাননি বহু মানুষ।এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কুণাল ঘোষ লেখেন, আয়োজকদের ন্যূনতম পরিকল্পনাও ছিল না। তাঁর প্রশ্ন, সবটাই কি শুধু টাকা আর ব্যবসা? কেন মেসিকে ঘিরে এত লোকের ভিড় রাখা হল? কেন মাঠ পরিক্রমার সময় মেসিকে একা এগোতে দেওয়া হল না? কেন গ্যালারির দর্শকদের বঞ্চিত করা হল? কুণালের মন্তব্য, এই ঘটনা কলকাতার জন্য লজ্জাজনক।তিনি আরও লেখেন, কয়েকজনের আদিখ্যেতার জন্য পুরো আয়োজন নষ্ট হয়ে গেল। মেসিকে দেখার বদলে কেউ কেউ নিজেকে জাহির করতেই ব্যস্ত ছিলেন। কুণাল স্মরণ করিয়ে দেন, ২০১১ সালে এই যুবভারতীতেই খেলতে এসেছিলেন মেসি। তখন কর্নার ফ্ল্যাগের পাশে বসে শান্তিপূর্ণভাবে খেলা দেখেছিলেন তিনি। সেদিন কোনও বিশৃঙ্খলা হয়নি।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

মেসিকে নিয়ে মঞ্চের স্বপ্ন ভেস্তে, গাড়িতেই আটকে রইলেন শাহরুখ

শহরে আসবেন লিয়োনেল মেসি। চোখের সামনে ফুটবলের ভগবানকে দেখবেন হাজার হাজার ভক্ত। একই মঞ্চে থাকার কথা ছিল শাহরুখ খান, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও লিয়োনেল মেসির। সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সব পরিকল্পনাই ছিল তৈরি। নির্ধারিত সময়েই শনিবার যুবভারতীতে অনুষ্ঠান শুরু হয়। মাঠে পৌঁছন মেসি। কিন্তু তার পরেই তৈরি হয় চরম বিশৃঙ্খলা, যা আগে কখনও দেখেননি ফুটবলপ্রেমী বাঙালি।এই অশান্ত পরিস্থিতির জেরে মাঠে ঢুকতেই পারলেন না বলিউড তারকা শাহরুখ খান। শনিবার সকালেই কলকাতায় আসেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে আব্রাম। শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে আব্রামের সঙ্গে লিয়োনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ এবং রদ্রিগো ডিপলের সঙ্গে ছবিও তোলেন শাহরুখ। তার পর যুবভারতীর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর।কিন্তু মেসি যখন মাঠ পরিক্রমা শুরু করেন, ঠিক তখনই গ্যালারি থেকে বোতল ছোড়া শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নিরাপত্তার কারণে মাঝপথেই মাঠ থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় মেসিকে। সেই সময় গাড়িতে বসে স্টেডিয়ামের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন শাহরুখ খান। বিশৃঙ্খলার কারণে তিনি মাঠে ঢুকতে পারেননি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর তাঁকে ফিরে যেতে হয়।এই ঘটনার পর শহরের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে পুলিশ-প্রশাসন ও আয়োজকদের ভূমিকা নিয়েও। পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

মন্ত্রীরা মেসিকে দেখলেন, সেলফি তুললেন আর আমরা টাকা দিলাম! ক্ষোভে ফেটে পড়লেন দর্শকরা

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হল। মাঠের ভিতরে ছোড়া হল চেয়ার, জলের বোতল। ক্ষুব্ধ দর্শকরা ব্যারিকেড ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়েন। এমনকি একটি দিকের গোলপোস্টও ভেঙে ফেলা হয় বলে জানা গিয়েছে। মেসিকে সামনে থেকে দেখতে না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন হাজার হাজার দর্শক।মাঠে উপস্থিত দর্শকদের কথায় উঠে এসেছে চরম হতাশা। এক দর্শক বলেন, মেসিকে নয়, আমরা শুধু অরূপ বিশ্বাসকেই দেখতে পেয়েছি। আর এক জনের অভিযোগ, আমাদের টাকায় সরকার মেসিকে দেখল, আমরা দেখলাম না। কেউ কটাক্ষ করে বলেন, অনিরুদ্ধ ধর আর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখতে এসেছিলাম, আর কাউকে দেখতে আসিনি।এক দর্শকের ক্ষোভ, অরূপ বিশ্বাসকে দেখলাম সেলফি তুলতে ব্যস্ত। মনে হচ্ছিল মেসির জায়গায় উনিই এই অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ। ৩ হাজার ৩৩৮ টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছিলাম, কিন্তু এক ঝলকও মেসিকে দেখতে পেলাম না। কেউ ৪ হাজার, কেউ আবার ১০ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে এসেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, সাধারণ দর্শকদের থেকে মেসিকে আড়াল করে শুধু নেতা-মন্ত্রীরাই তাঁকে ঘিরে রেখেছিলেন।অনেকেই প্রশাসনের ভূমিকাকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন। এক জন বলেন, মাঠে পুলিশ, স্তাবক আর মিডিয়ার ভিড় ছিল। সাধারণ মানুষ কিছুই দেখতে পায়নি। পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কাটা এক যুবক জানান, আগের রাত থেকেই তিনি সেই হোটেলের কাছে অপেক্ষা করছিলেন, যেখানে মেসি ছিলেন। তবুও ভগবান দর্শন হয়নি তাঁর।দর্শকদের ক্ষোভ ক্রমেই তীব্র আকার নেয়। মাঠে ওঠে চোর চোর স্লোগান। কেউ বলেন, নেতা-মন্ত্রীরা মেসিকে দেখল, সেই টাকাই তো আমরা দিয়েছি। সাঁতরাগাছির এক দর্শকের আক্ষেপ, আমরা শুধু মেসির হাতটা দেখেছি। কেউ গোটা ঘটনাকে দুর্নীতির সঙ্গে তুলনা করে বলেন, এটা স্ক্যাম ২০২৫, শতদ্রু দত্তের উদ্যোগ।শুধু রাজ্যের দর্শকরাই নন, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসা এক প্রবাসী ভক্তও মেসিকে দেখতে না পেয়ে ভেঙে পড়েন। এমনকি এক রোনাল্ডো ভক্তও মেসিকে দেখতে এসে হতাশ হয়েছেন। কারও অভিযোগ, পুলিশও গালাগাল করেছে। এক দর্শকের কথায়, এত বড় লজ্জা ঢাকার জায়গা নেই। আর এক জন বলেন, মেসিকে দেখতে এসে শুধু ক্যামেরাম্যানই দেখে গেলাম।সব মিলিয়ে যুবভারতীর এই বিশৃঙ্খলা নিয়ে ক্ষোভ এখন সর্বত্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, মেসিকে নিয়ে গোটা বিষয়টাই মেস করে দেওয়া হল।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal