• ৪ পৌষ ১৪৩২, সোমবার ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Delhi

দেশ

লালকেল্লা বিস্ফোরণ ফিদায়েঁ হামলা নয়, তাড়াহুড়োতেই বিপর্যয়! গোয়েন্দা রিপোর্টে নতুন চাঞ্চল্য

লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণ, যা নিয়ে সারা দেশে তোলপাড়, সেটি আসলে পরিকল্পিত ফিদায়েঁ হামলা নয়, বরং তাড়াহুড়োর ফলেই ঘটে যাওয়া ভয়াবহ দুর্ঘটনা এমনই ইঙ্গিত মিলেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে।সূত্রের খবর, ফরিদাবাদের ভাড়া বাড়ি থেকে প্রায় ৩,০০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করার পরই ভেস্তে যায় জঙ্গি ডাক্তার উমর নবীর মূল পরিকল্পনা। গোয়েন্দাদের ধারণা, সেই ঘটনার পরই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ওঠে উমর। একের পর এক সহযোদ্ধা গ্রেফতার হচ্ছিল দিল্লি-এনসিআর ও ফরিদাবাদে। ধরা পড়ার ভয়েই সিদ্ধান্ত নেয় দ্রুত বিস্ফোরক সরিয়ে ফেলার।গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিস্ফোরকটি তখনও পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল না। কোনও শার্প নেল বা ধাতব টুকরো পাওয়া যায়নি, যা সাধারণত বড়সড় হামলায় থাকে। তদন্তকারীদের ভাষায়, যদি সেইভাবে সম্পূর্ণ বিস্ফোরক তৈরি হতো, তাহলে ক্ষতির মাত্রা ভয়াবহ হতে পারত।\উমর নবী সম্ভবত নিজের গাড়িতেই দ্রুত গতিতে বিস্ফোরক সরানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু গাড়ি চলন্ত অবস্থাতেই আচমকা ঘটে যায় বিস্ফোরণ। ঘটনাস্থলের প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণের সময় গাড়ির গতি ছিল অনেক ধীর। তাই গোয়েন্দাদের ধারণা আরও স্পষ্ট এটি কোনও আত্মঘাতী হামলা নয়, বরং প্রস্তুতির মধ্যেই ঘটে যাওয়া একটি দুর্ঘটনা।ফরিদাবাদে পুলিশি অভিযানে বিশাল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হওয়ায় আগেই ধাক্কা খায় জঙ্গি মডিউল। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই সময় দেশজুড়ে গোয়েন্দা ও পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপের ফলেই আরও বড় কোনও হামলা রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।তবে এখানেই শেষ নয়। এখনও চলেছে তদন্ত। উমর নবীর সমস্ত সম্ভাব্য লিঙ্ক, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংযোগ, এবং বিস্ফোরকের উৎস সবকিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তত্ত্বাবধানে। প্রশ্ন একটাই ওই বিস্ফোরক দিয়ে ঠিক কী করতে চেয়েছিল উমর ও তার দল?

নভেম্বর ১২, ২০২৫
দেশ

১৩ দিন আল ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে লুকিয়ে ছিল ঘাতক গাড়ি! উমর নবীর ছক ফাঁস

দিল্লির রেড ফোর্ট বিস্ফোরণ কাণ্ডে উঠে আসছে রোমহর্ষক তথ্য। তদন্তে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত Hyundai i20 গাড়িটি প্রায় ১৩ দিন ধরে লুকিয়ে রাখা ছিল হরিয়ানার আল ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেই! সূত্রের খবর, ২৯ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত সেই গাড়িটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্কিং লটেই দাঁড়িয়ে ছিল। আর এই সময়েই তৈরি হচ্ছিল ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা।তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গাড়িটি কেনা হয়েছিল ২৯ অক্টোবরই। পরের দিনই দূষণ পরীক্ষার (PUC) জন্য একবার বাইরে নেওয়া হয়, তারপর ফের এনে রেখে দেওয়া হয় ঠিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল বিভাগের পাশে, যেখানে আগে থেকেই দাঁড়িয়ে ছিল ডাক্তার মুজাম্মিলের সহযোগী শাকিলের গাড়ি। CCTV ফুটেজে দেখা গিয়েছে, এই ১১ দিনের মধ্যে বারবার কয়েকজন যুবক গাড়িটির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছিলেন।তদন্তকারীদের মতে, এটা যে একেবারে পূর্বপরিকল্পিত সন্ত্রাস ছক, তা নিয়ে আর কোনও সন্দেহ নেই। আল ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই বিস্ফোরকের জোগান হয়েছে সেই বিষয়ে প্রায় নিশ্চিত গোয়েন্দারা। এখন তাঁদের প্রশ্ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবের কেমিক্যাল থেকেই কি তৈরি হয়েছিল সেই মারাত্মক বিস্ফোরক, নাকি বাইরের জঙ্গি নেটওয়ার্ক থেকে এনে সেখানে মজুত করা হয়েছিল বিপুল পরিমাণ সামগ্রী?প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে আরও বিস্ফোরক তথ্য। মনে করা হচ্ছে, এই পুরো পরিকল্পনার মূল মস্তিষ্ক শুধু ড. উমর নবি নন, তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন অধ্যাপক মুজাম্মিলও। কিন্তু মুজাম্মিল গ্রেফতার হওয়ার পরই আতঙ্কে পড়ে যান উমর। তাঁর ধারণা হয়, আর বেশি দিন আল ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্কিং লটে গাড়ি রেখে নিরাপদ থাকা সম্ভব নয়। আর সেই আতঙ্কেই ১০ নভেম্বর সকালে দ্রুত গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তিনি গন্তব্য দিল্লি।সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, গাড়ির ভিতরে উমরের সঙ্গে ছিলেন আরও তিনজন। তাঁদের অস্তিত্বও মিলেছে তদন্তে। গাড়িটি ছিল বিস্ফোরক বোঝাই। পথজুড়ে গাড়ির গতি ছিল ভয়ঙ্কর দ্রুত।হরিয়ানা থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে রাজ্য সীমান্তের বদরপুর টোল প্লাজায় গাড়িটি ধরা পড়ে। টোল কর্মীদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, সোমবার সকাল ৮টা ১৩ মিনিটে ২৫ নম্বর টোল গেট দিয়ে দিল্লিতে প্রবেশ করে উমরের গাড়ি। টোলের ২৬ নম্বর গেটটিতে ইমার্জেন্সি লেখা বোর্ড থাকা সত্ত্বেও সেখানে ঢোকার চেষ্টা করেছিল গাড়িটি। কর্মীরা বাধা দিলে পাশের গেট দিয়ে প্রবেশ করে উমর। টোল প্লাজার কর্মীদের কথায়, রাস্তা ছিল ব্যস্ত, কিন্তু গাড়ির গতি এতটাই বেশি ছিল যে, মুহূর্তে চোখের আড়ালে চলে যায়।তদন্তকারীরা বলছেন, এত দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গাড়ি লুকিয়ে রাখা, মুজাম্মিলের যোগসূত্র, এবং তারপর আতঙ্কে পালানো সব মিলিয়ে এটা যে একটি ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস মডিউলের অংশ, তা এখন স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

নভেম্বর ১২, ২০২৫
দেশ

‘গভীর ষড়যন্ত্র’, দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য মোদীর! দিলেন কঠোর হুঁশিয়ারি

দিল্লির লালকেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণকে গভীর ষড়যন্ত্র বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার ভুটান সফরে গিয়ে সেই বিস্ফোরণের প্রসঙ্গ টেনে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বলেন, দিল্লির ঘটনায় আমি মানসিকভাবে খুব ভারাক্রান্ত। যারা নিজেদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, তাঁদের কষ্ট আমি অনুভব করতে পারছি। এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়, এক গভীর ষড়যন্ত্র।সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ নাগাদ দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের সংলগ্ন এলাকায় ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ধরে যায় আশপাশের গাড়িগুলিতে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয় অন্তত আটজনের। আহত বহু। বিস্ফোরণের পরেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ ও এনএসজি কমান্ডোরা। ঘটনার পরদিন সকালেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভুটান সফর ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রওনা দেন তিনি।ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনায় যারা জড়িত, তারা রেহাই পাবে না। আমি প্রতি মুহূর্তে ঘটনার আপডেট নিচ্ছি। তদন্তকারীরা খুব তাড়াতাড়ি এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে থাকা মাথাদের চিহ্নিত করবে। ভারত সরকার কোনওভাবেই এমন জঘন্য কাজ বরদাস্ত করবে না।ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা একসঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে। সিসিটিভি ফুটেজে বিস্ফোরণের আগে ঘাতক গাড়ির গতিপথ চিহ্নিত করা হয়েছে। সূত্রের খবর, গাড়িটি বিকেল চারটের দিকে সুনহেরি মসজিদের পার্কিং লটে ঢোকে এবং তিন ঘণ্টা পর বের হয়। পরে সেই গাড়িতেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ফরিদাবাদে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকের সঙ্গে এর যোগ থাকতে পারে।এদিকে বিস্ফোরণ ঘিরে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন নিরাপত্তা আধিকারিকেরা। গৃহমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনায় জঙ্গি যোগ-এর দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে।রাজধানীর এমন সংবেদনশীল এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটার পর দেশজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, লখনউ চার মেট্রো শহরে ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে সতর্কতা। প্রধানমন্ত্রী নিজে আশ্বস্ত করেছেন দেশবাসীকে ভারতকে ভয় দেখানোর চেষ্টা ব্যর্থ হবে। আমরা এর জবাব দেব শক্ত হাতে।

নভেম্বর ১১, ২০২৫
দেশ

দিল্লি বিস্ফোরণ ঘিরে বড় ফাঁস! গাড়ির মালিকদের জবানবন্দিতে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

রাস্তায় চাপা চাপ রক্ত, কোথাও ছড়িয়ে রয়েছে দেহাংশ। আতঙ্কে জমে গিয়েছে রাজধানীর বাতাস। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে লালকেল্লা সংলগ্ন সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ছোট গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। মুহূর্তে দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে গাড়িটি। বিস্ফোরণের অভিঘাতে আশপাশের কাঁচের দেওয়াল ভেঙে যায়, উড়ে যায় রাস্তার পাশে দাঁড়ানো বাইক, জখম অন্তত ২০ জন, মৃত্যু এখন পর্যন্ত আট জনের।প্রথমে মনে করা হয়েছিল, কোনও পার্কিং লটে থাকা গাড়িতে শর্ট সার্কিটের জেরে বিস্ফোরণ ঘটেছে। কিন্তু তদন্ত এগোতেই চিত্রটা পাল্টে যায়। দিল্লি পুলিশ জানতে পারে, বিস্ফোরণের কেন্দ্রবিন্দু সেই ছোট গাড়িটিই একটি হুন্ডাই আই২০। গাড়িটির নম্বরপ্লেট হরিয়ানার। রেজিস্ট্রেশনের নাম মহম্মদ সলমন। খবর পেয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।সলমন তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, প্রায় দেড় বছর আগে তিনি গাড়িটি বিক্রি করে দেন দক্ষিণ দিল্লির ওখলার এক বাসিন্দা দেবেন্দ্রর কাছে। বিক্রির সমস্ত কাগজপত্রও পুলিশের হাতে জমা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখানেই ঘটনার মোড় ঘোরে। সূত্র অনুযায়ী, দেবেন্দ্রর কাছ থেকে গাড়িটি যায় হরিয়ানার অম্বলার এক বাসিন্দার হাতে। সেখান থেকে সেটি পৌঁছয় জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার তারিক নামের এক ব্যক্তির কাছে।এখন প্রশ্ন উঠছে এই তারিক আদৌ কাকে গাড়িটি বিক্রি করেছিলেন? নাকি তিনিই ছিলেন বিস্ফোরণের রাতে স্টিয়ারিংয়ের পেছনে? সেই উত্তর এখনও মেলেনি। তদন্তকারীরা এখন খুঁজছেন তারিকের ফোন রেকর্ড, ব্যাংক ট্রানজ্যাকশন এবং দিল্লিতে তাঁর গতিবিধির খোঁজ। পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, আমাদের অনুমান কেউ প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক নিয়ে যাচ্ছিল। হয়তো গাড়ির ভিতরে আইইডি ছিল। সামান্য চাপেই সেটা বিস্ফোরিত হয়।তবে এটুকু স্পষ্ট ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে বিস্ফোরণের মুহূর্তে গাড়ির জানালা দিয়ে এক ব্যক্তির হাত বেরোচ্ছে। তাঁর মুখ অস্পষ্ট হলেও, পোশাকের রং ও দেহবিন্যাস দেখে তদন্তকারীরা সন্দেহ করছেন, তিনি হয়তো কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা। সেই সূত্র ধরেই এখন ফরিদাবাদে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক মডেলের সঙ্গে মিল খুঁজছে এনআইএ ও দিল্লি পুলিশ।রাজধানীর বুকে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঘিরে। আত্মঘাতী হামলার গন্ধ, পাকিস্তান যোগের ইঙ্গিত, আর ক্রমে জট পাকানো গাড়ি বিক্রির গল্প সব মিলিয়ে গোটা রহস্য এখন চরম ধোঁয়াশায়।

নভেম্বর ১১, ২০২৫
দেশ

আত্মঘাতী হামলার ছক কষেছিলেন উমর! পুলিশের হাতে জোরালো প্রমাণ

দিল্লির বুক কাঁপিয়ে দিয়েছে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। লালকেল্লার কাছেই বিস্ফোরণে ইতিমধ্যেই প্রাণ গিয়েছে নয় জনের। ঘটনার পরই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে সীমান্ত পেরনোর সময় সন্দেহভাজন গাড়িটির ভিতরে এক ব্যক্তির হাত ও অস্পষ্ট মুখ। তদন্তকারীদের মতে, সেই ব্যক্তিই সম্ভবত পুলওয়ামার চিকিৎসক মহম্মদ উমর যিনি ফরিদাবাদের বিস্ফোরণ চক্রের মূল হোতা হিসেবে পরিচিত।তদন্তে প্রকাশ, ফরিদাবাদের ঘটনায় সহযোগী চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিলের গ্রেফতারির পর থেকেই উমর ছিলেন আতঙ্কে। সেই থেকেই নাকি আত্মঘাতী হামলার ছক কষতে শুরু করেন তিনি। উমরই বিস্ফোরক বোঝাই হুন্ডাই আই২০ গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বলে আশঙ্কা পুলিশের। ওই গাড়ির মালিক মহম্মদ সলমনকে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে। তাঁর দাবি, দেড় বছর আগেই গাড়িটি বিক্রি করে দেন তিনি। তারপর আরও দুইবার হাতবদল হয়ে গাড়িটি পৌঁছয় পুলওয়ামার তারিক নামে এক ব্যক্তির কাছে। তাকেও হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।তদন্তকারীদের বক্তব্য, দিল্লির বিস্ফোরণ ও ফরিদাবাদের বিস্ফোরক উদ্ধারের মধ্যে অদ্ভুত মিল রয়েছে। দুটি ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়েছে একই মডেলের আইইডি ডিভাইস। সুতরাং এই দুটি ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র থাকা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এখন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা উমরের ফোন রেকর্ড, ব্যাংক ট্রানজ্যাকশন ও পেশেন্ট ডেটা খতিয়ে দেখছে।সূত্রের দাবি, উমরের মোবাইল থেকে পাকিস্তানের বালাকোটে এক সন্দেহভাজন নম্বরে বারবার যোগাযোগের চিহ্ন মিলেছে। এই মুহূর্তে দিল্লি, কাশ্মীর ও ফরিদাবাদ পুলিশ যৌথভাবে তদন্ত চালাচ্ছে। বিস্ফোরণ পরবর্তী এই গোটা রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে প্রতি ঘণ্টা।

নভেম্বর ১১, ২০২৫
দেশ

লাল কেল্লা মেট্রোর সামনে ধীরে ধীরে আসছিল গাড়িটি... তারপরেই ঘটল বিস্ফোরণ, কী বলছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা

ভর সন্ধ্যায় আচমকাই কেঁপে উঠল রাজধানী দিল্লি। লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ। ঠিক সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট নাগাদ লালবাতিতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মারুতি সুজুকি ইকো ভ্যানে প্রবল বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন গ্রাস করে ফেলে আশপাশের আরও কয়েকটি গাড়িকে। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ১০, আহত ২০ জনের বেশি।দিল্লি পুলিশের কমিশনার সতীশ গোলচা জানিয়েছেন, একটি ধীরে চলা গাড়ি ট্র্যাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়েছিল। ঠিক সেই সময়ই বিস্ফোরণ হয়। তার পরপরই আশেপাশের গাড়িগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিস্ফোরণের পর ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। স্থানীয়রা আতঙ্কে ছুটে পালাতে শুরু করেন।প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আশেপাশের বৈদ্যুতিক খুঁটি ও স্ট্রিটলাইট পর্যন্ত ভেঙে পড়ে। অনেক গাড়ি প্রায় ১৫০ মিটার দূরে ছিটকে যায়। লালকেল্লা সংলগ্ন চাঁদনি চক এলাকার ভিড়ের মধ্যে মুহূর্তেই নেমে আসে তীব্র বিশৃঙ্খলা।এই ঘটনার দিনই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে আন্তঃরাজ্য জঙ্গি চক্র। উদ্ধার হয় প্রায় ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক তৈরির রাসায়নিক, যার মধ্যে ছিল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটও। তবে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ওই বিস্ফোরণের সঙ্গে এই জঙ্গি মডিউলের সরাসরি কোনও যোগ এখনও পাওয়া যায়নি।তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল, এনআইএ ও এনএসজি। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ভ্যানে বিস্ফোরক বোঝাই করা ছিল, এবং সেটি হয়তো আরও ভিড়ভাট্টার এলাকায় পৌঁছনোর আগেই বিস্ফোরিত হয়ে যায়।এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, এত জোরে আওয়াজ হয়েছিল যে মনে হচ্ছিল ভূমিকম্প হচ্ছে। চারপাশে আগুন, গরম বাতাসে যেন শ্বাস নেওয়া যাচ্ছিল না। বর্তমানে গোটা দিল্লি জুড়ে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। তদন্ত চলছে রাতভর।

নভেম্বর ১০, ২০২৫
রাজ্য

রেড ফোর্টের সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ১, আহত বহু!

সোমবার সন্ধ্যায় রেড ফোর্ট মেট্রো স্টেশনের গেট নং ১-এর নিকটে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়, পরে তিন থেকে চারটি কাছের গাড়িতেও আগুন লাগে। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং একাধিক ফায়ার টেন্ডার দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া, এই ঘটনার পর দিল্লি পুলিশ এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলো উচ্চ সতর্কতা অবস্থা ঘোষণা করেছে। প্রাথমিক তথ্যে একজন নিহতের কথা বলা হয়েছে এবং আহতের সংখ্যা চার বা তার বেশি। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আহত সংখ্যা ৮ বা তারও বেশি বলা হয়েছে। আহতদের মধ্যে অনেককে Lok Nayak Jai Prakash Hospital-এ ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। প্রধান সচিব ও দিল্লি পুলিশ জানায়, এখনও বিস্ফোরণের কারণ নিশ্চিতভাবে পাওয়া যায়নি এটি দুর্ঘটনা হতে পারে বা কোনো পরিকল্পিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডও হতে পারে। এলাকাটি দ্রুত সিল করা হয়েছে, এবং বিস্ফোরণের সময় ও davor সংক্রান্ত সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণের জন্য অভিযান চলছে।

নভেম্বর ১০, ২০২৫
দেশ

একদিকে ছড়িয়ে আছে কাটা হাত, অন্য়দিকে মাংসপিণ্ড... দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ভয়াবহ দৃশ্যে আঁতকে উঠছে প্রত্যক্ষদর্শীরা

ভর সন্ধ্যায় হঠাৎ ভয়ংকর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল রাজধানী দিল্লি। লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে পার্কিং লটে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি গাড়িতে প্রবল বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের আরও গাড়িতে। চারপাশে ধোঁয়া, আতঙ্ক আর চিৎকারে ভরে ওঠে গোটা এলাকা।সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, একটা বড় বিস্ফোরণ হয়েছে। আমরা দৌড়ে দূরে চলে যাই। দেখি কাটা হাত পড়ে আছে। ধ্বংসস্তুপ পড়ে আছে। মানুষ ভাবতেই পারবে না এমন দৃশ্য। পড়ে আছে খাবলা-খাবলা মাংস। যা দেখেছি তা ভাষা প্রকাশ করতে পারব না।লালকেল্লা মেট্রো এলাকা বরাবরই জনবহুল। পর্যটক ও স্থানীয় মানুষে ভরপুর জায়গাটিতে সোমবার সন্ধ্যাটা যেন এক দুঃস্বপ্ন হয়ে এল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হঠাৎ করেই আকাশ কাঁপিয়ে বিকট আওয়াজ হয়। তারপরেই আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন গ্রাস করে নেয় কয়েকটি গাড়ি ও দোকানঘর।পুলিশ ও দমকলের একাধিক টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শেষ পাওয়া খবরে এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে, আহত বহু মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।দিল্লি পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। শুরু হয়েছে তদন্ত। বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি, তবে নাশকতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না প্রশাসন। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গোটা এলাকায় জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট।এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, যে আওয়াজটা হয়েছিল, তা কখনও ভুলতে পারব না। সবাই দৌড়াতে শুরু করেছিল। যেন এক মুহূর্তে পৃথিবী থেমে গিয়েছিল।

নভেম্বর ১০, ২০২৫
দেশ

রাজধানীতে তীব্র বিস্ফোরণ! তদন্তে নামল NIA ও NSG, জঙ্গি হানার গন্ধ

ভর সন্ধ্যায় রক্তাক্ত আতঙ্কে কেঁপে উঠল রাজধানী দিল্লি। ঐতিহাসিক লালকেল্লার একদম সামনে, মেট্রো স্টেশনের গেট নম্বর ১-এর কাছে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে প্রবল বিস্ফোরণ। মুহূর্তের মধ্যে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল গাড়িটি, তার পাশাপাশি আরও কয়েকটি যানবাহন। বিস্ফোরণের শক্তি এতটাই প্রবল ছিল যে আশপাশের রাস্তার লাইটপোস্ট থেকে শুরু করে দোকানের কাঁচ পর্যন্ত ভেঙে পড়ে।শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহতের সংখ্যা ২৪ ছাড়িয়েছে। ভয়াবহ এই ঘটনায় চারদিক জুড়ে ছড়িয়েছে আতঙ্ক।বিস্ফোরণের খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইঞ্জিন ও ১৫টি অ্যাম্বুল্যান্স। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি দ্রুত আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় লোডি ও LNJP হাসপাতালে। পুলিশ পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে।এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA)-র একটি বিশেষ দল। ইতিমধ্যেই সেখানে উপস্থিত রয়েছে ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (NSG)-এর কমান্ডোরা। বিস্ফোরণের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করে ফরেনসিক টিম পরীক্ষা শুরু করেছে। সূত্রের খবর, এই বিস্ফোরণ অত্যন্ত উচ্চক্ষমতার ছিল।তদন্তকারীরা আপাতত নাশকতার সম্ভাবনাকেই উড়িয়ে দিচ্ছেন না। কারণ, দিন কয়েক আগেই দিল্লি পুলিশই গুঁড়িয়ে দিয়েছিল এক আন্তঃরাজ্য জঙ্গি মডিউল, যাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ২,৯০০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট যা দিয়ে তৈরি করা যায় শত শত শক্তিশালী IED বোমা।এই প্রেক্ষাপটে লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণ নতুন করে নড়াচড়ে বসিয়েছে গোটা প্রশাসনকে। রাজধানীর ব্যস্ততম পুরনো দিল্লির বাজার এলাকাজুড়ে ঘোষণা করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা, বাড়ানো হয়েছে পুলিশ মোতায়েন।এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, আওয়াজটা এমন ছিল যেন একটা ট্রাক বিস্ফোরিত হয়েছে। আমরা দেখলাম আগুনের বল আকাশে উঠে যাচ্ছে, তারপর একের পর এক গাড়ি জ্বলে উঠল।ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করছেন, তবে প্রশাসনের আশঙ্কা এটি শুধুই দুর্ঘটনা নয়, বরং বড়সড় পরিকল্পনার অঙ্গ হতে পারে।

নভেম্বর ১০, ২০২৫
দেশ

“মিসাইল ফেটেছে মনে হচ্ছিল!”— লালকেল্লা মেট্রো গেটের সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে শোরগোল

ভরসন্ধ্যায় আচমকা ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল রাজধানী দিল্লি। লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের ঠিক বাইরে ঘটে এই বিস্ফোরণ। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের একাধিক গাড়ি, দোকান ও ঘরে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশেপাশের দেয়াল ফেটে যায়, ভেঙে যায় কাঁচের জানলা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত অন্তত আটজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহতের সংখ্যা বাড়ছে প্রতি মুহূর্তে।স্থানীয় বাসিন্দা রাধর পান্ডে বলেন, আমি তখন ছাদে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আচমকাই একটা জোরালো শব্দ শুনলাম। মনে হল, আকাশে যেন আগুনের গোলা ফেটে উঠল। চারদিক থরথর করে কেঁপে উঠল। আতঙ্কে নিচে নেমে আসেন তিনি।আরও এক প্রত্যক্ষদর্শী মনীশ জানাচ্ছেন, আমার দোকানটা বিস্ফোরণস্থল থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে। তবুও এমন কাঁপুনি লেগেছিল যে মনে হচ্ছিল ভূমিকম্প হয়েছে। পুলিশকে একের পর এক আহত মানুষকে উদ্ধার করে নিয়ে যেতে দেখেছি।আরও একজন প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, শব্দটা এত জোরে হয়েছিল, মনে হচ্ছিল একটা মিসাইল যেন আকাশ থেকে এসে ফেটেছে। সোফায় বসে ছিলাম, গোটা ঘর দুলে উঠল। বাইরে বেরিয়ে দেখি ছয়-সাতটা গাড়ি দাউদাউ করে জ্বলছে।বিস্ফোরণের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। নাশকতার সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে ফায়ার টেন্ডার, বোম স্কোয়াড ও ফরেনসিক টিম। গোটা দিল্লি শহরজুড়ে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট।রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকায় এমন ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটায় ফের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয়রা আতঙ্কে ঘরছাড়া, পুলিশ ঘিরে ফেলেছে গোটা অঞ্চল।

নভেম্বর ১০, ২০২৫
বিদেশ

ভরসন্ধ্যায় কেঁপে উঠল দিল্লি! জোড়া গাড়িতে বিস্ফোরণ, মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে

ভরসন্ধ্যায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল দিল্লি। রাজধানীর ব্যস্ত এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা দুটি গাড়িতে আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে থাকা আরও কয়েকটি গাড়ি, অটো, রিক্সা ও বাইকে। মিনিটের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখায় ভস্মীভূত হয়ে যায় গোটা এলাকা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আশপাশের দোকান, গাড়ি এমনকি ঘরবাড়িও কেঁপে ওঠে।শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২০ জনেরও বেশি মানুষ গুরুতর আহত। আহতদের দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে পুলিশের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পরে এলাকা জুড়ে দেহাংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে। সন্ধ্যার সময় ঘটনাস্থলে প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল বলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছেন দিল্লি পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। স্পেশাল সেল, এনআইএ ও এনএসজি-র টিম তদন্তে নেমেছে। স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশি চলছে এলাকায়। বিস্ফোরণের সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি, তবে নাশকতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে জম্মু-কাশ্মীরের পাহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় কয়েকজন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার পর ভারত চালায় অপারেশন সিঁদুর। তার মাত্র কয়েক মাস পর রাজধানীতে ফের বিস্ফোরণ নিরাপত্তা মহলে নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। দেশের বিভিন্ন বড় শহরে ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট।

নভেম্বর ১০, ২০২৫
দেশ

হঠাৎ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কারণ ঘিরে চর্চা তুঙ্গে!

রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি। শনিবার রাইসিনা হিলসে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাক্ষাৎ করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে। বৈঠকের একটি ছবি রাষ্ট্রপতি নিজেই এক্স-এ পোস্ট করলেও, আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে কোনও সরকারি ব্যাখ্যা আসেনি। ফলে জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি জাপান ও চিন সফর শেষ করে দেশে ফিরেছেন। কূটনৈতিক দিক থেকে দুই সফরই গুরুত্বপূর্ণ হলেও, বিশেষ নজর কাড়ছে চিন সফর। সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর সম্মেলন ঘিরে গড়ে ওঠা অনানুষ্ঠানিক মিত্রতার সমীকরণ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সম্মেলনে শি জিনপিং ও ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মোদীর বৈঠককে কেন্দ্র করে বিশ্ব কূটনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে, যা আমেরিকাকেও অস্বস্তিতে ফেলেছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের অবস্থান পুনর্নির্মাণে এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।তবে শুধু বৈদেশিক সম্পর্কই নয়, অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও এই বৈঠকের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। কেননা, ৯ই সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের উত্তরসূরি কে হবেন, তা ঠিক করতে এখন রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশের সময়। এমন পরিস্থিতিতেই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আলাপকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এই বৈঠক আদৌ কি আন্তর্জাতিক কূটনীতি নিয়ে আলোচনা, নাকি আসন্ন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক প্রস্তুতির ইঙ্গিত? উত্তর স্পষ্ট না হলেও, নয়াদিল্লির ক্ষমতার কেন্দ্রে নতুন সমীকরণের গুঞ্জন ইতিমধ্যেই জোরালো হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৫
বিদেশ

আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্প, বহু মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি! ভূকম্পন ভারতেও

আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে পাকিস্তান সীমান্তের কাছে রবিবার গভীর রাতে ৬.০ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। আমেরিকার ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (USGS) এ তথ্য জানিয়েছে।ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল আফগানিস্তানের বাসাউল (Bāsawul) শহরের প্রায় ২২ মাইল উত্তর দিকে এবং এর গভীরতা ছিল ৬.২ মাইল। স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে এটি অনুভূত হয়।নানগারহার জনস্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র নাকিবুল্লাহ রহিমি জানান, ভূমিকম্পে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।প্রায় ২০ মিনিট পর একই প্রদেশে আরও একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর মাত্রা ছিল ৪.৫ এবং গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।আমেরিকার ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার প্রকাশিত মানচিত্রে ভূমিকম্পের অবস্থান দেখানো হয়েছে।আফগানিস্তান ইউরেশীয় ও ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় দেশটি প্রায়ই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানে ৬.৩ মাত্রার আরেকটি ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে তালেবান সরকারের হিসাব অনুযায়ী অন্তত ৪,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের হিসাবে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ১,৫০০ জনের। এটি সাম্প্রতিক ইতিহাসে আফগানিস্তানের অন্যতম ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল।ইউনিসেফ জানিয়েছিল, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি নারী ও শিশু।এর আগে ২০২২ সালের জুন মাসে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল, যাতে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং দেড় হাজারের বেশি আহত হয়।

সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৫
দেশ

ফের দিল্লির স্কুলগুলিতে বোমা হামলার হুমকি

আজ বুধবার সকালে, দিল্লির ৫০টিরও বেশি স্কুল একটি গ্রুপের পক্ষ থেকে ইমেইলের মাধ্যমে বোমা হামলার হুমকি পেয়েছে। যা শিক্ষার্থীদের, অভিভাবকদের এবং স্কুল সহকারী কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘোষণা করা হয়েছে যে, Terrorizers 111 নামে পরিচয় দিয়ে এই গ্রুপ দাবি করেছে, তারা স্কুলগুলিতে বিস্ফোরক বসিয়ে দিয়েছে এবং ২৫,০০০ মার্কিন ডলার মুক্তিপণের দাবি করেছে। বলা হয়েছে, এই হুমকি ইমেইলগুলো স্কুলের প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনিক কর্মীদের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে। বিশেষ করে, সার্বোধয়া কন্যা বিদ্যালয় (SKV), মলভিয়া নগর এবং অন্ধ্রা স্কুল, প্রসাদ নগরদুটি স্কুলে হুমকির ইমেইল আসে এদিন সকাল ৭টা ৪০মিনিটে ও ৭টা৪২ মিনিটে। আধিকারিগণ দ্রুত স্কুলগুলোর সুরক্ষা হিসেবে পুলিশ, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল, ডগ স্কোয়াড ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের পাঠায় এবং সামগ্রিক তল্লাশি শুরু করা হয়। তবে এখনও কোনো সন্দেহজনক বস্তু পাওয়া যায়নি।এটি এই সপ্তাহে দ্বিতীয়বার যখন দিল্লির স্কুলগুলো একইরকম ইমেইল হুমকি পেয়েছে। দুই দিন আগে, সোমবার (১৮ আগস্ট) ৩২টি স্কুল হুমকি পেয়েছিল। কোনও ক্ষেত্রেই কিছু পাওয়া যায়নি। আতঙ্ক ছড়াতেই এমন কাণ্ড ঘটানো হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারা, কেন বারে বারে এমন ইমেইল পাঠাচ্ছে, তদন্ত চলছে।

আগস্ট ২১, ২০২৫
দেশ

মুখ্যমন্ত্রীর ওপর হামলা! গ্রেফতার এক

বুধবার সকালে দিল্লির সিভিল লাইন্সে মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার বাসভবনে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক জনশুনানি চলাকালীন এক ব্যক্তি তাঁকে আক্রমণ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ওই ব্যক্তি প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীকে কিছু কাগজপত্র দেন এবং তারপর হঠাৎ করে তাকে আঘাত করেন। আক্রমণকারী, যার বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর, তাকে ঘটনাস্থলেই আটক করে সিভিল লাইন্স থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পর দিল্লি পুলিশ কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছেছেন। এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিজেপি এবং কংগ্রেস ও আপ নেতারাও মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

আগস্ট ২০, ২০২৫
রাজ্য

১৯৪৭-এ এক টাকায় মিলত সপ্তাহের বাজার, সোনার দাম কত ছিল জানেন?

১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল ভারত। তখন এক টাকার মূল্য ছিল অপরিসীমযা দিয়ে মিলত সপ্তাহের বাজার। ১ টাকা দিয়ে ১-২ কেজি গম, হাফ কেজি ঘি বা এক সপ্তাহের শাকসবজি কিনে নেওয়া যেত অনায়াসে। চাল ছিল ১২ পয়সা, ময়দা ১০ পয়সা, ডাল ২০ পয়সা ও চিনি ৪০ পয়সা প্রতি কেজি। ঘি মিলত ৭৫ পয়সায়।সেই সময় একটি সাইকেলের দাম ছিল মাত্র ২০ টাকা, যা এখন প্রায় ১০-১২ হাজার টাকা। সোনা ছিল আরও সস্তা১৯৪৭ সালে ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৮৮.৬২ টাকা, যা এখন এক লক্ষ টাকারও বেশি। পেট্রোলের দাম ছিল মাত্র ২৭ পয়সা, আর আজ তা প্রায় ১০৫ টাকা।তৎকালীন দিল্লি-মুম্বই বিমান ভাড়া ছিল ১৪০ টাকা এবং একমাত্র এয়ার ইন্ডিয়াই বিমান পরিষেবা দিত। গত ৭৯ বছরে পণ্য ও পরিষেবার দাম আকাশছোঁয়া হলেও সেই সময়ের এক টাকার কেনাকাটার স্মৃতি আজও বিস্ময় জাগায়।

আগস্ট ১৫, ২০২৫
দেশ

রক্ত ও জল একসঙ্গে নয়, স্বাধীনতা দিবসে ফের মোদীর আগুনে হুঙ্কার

আজ দেশের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে রাজধানী দিল্লির লালকেল্লা থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে তেরঙ্গা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীতের পর তিনি ভাষণ শুরু করেন। এদিন তিনি স্পষ্ট বার্তা দেনভারত আর কোনওভাবেই পারমাণবিক হুমকি বা ব্ল্যাকমেলিং সহ্য করবে না।অপারেশন সিঁদুরে অংশ নেওয়া সেনাদের স্যালুট জানিয়ে মোদী বলেন, সাহসী জওয়ানরা শত্রুকে কল্পনার বাইরে শাস্তি দিয়েছে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দিল্লিজুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে; ১০ হাজারের বেশি নিরাপত্তাকর্মী ও ৩ হাজার ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন হয়েছে।জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে মোদী বলেন, প্রতিটি ঘরে তেরঙ্গা উড়ছেহোক তা মরুভূমি, হিমালয়, সমুদ্রতট বা শহর। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মত্যাগকে কুর্নিশ জানান এবং ১৪০ কোটি মানুষের সম্মিলিত সংকল্পকে দেশের গর্ব বলে উল্লেখ করেন।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও স্বাধীনতা দিবসে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শহিদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করেন।

আগস্ট ১৫, ২০২৫
দেশ

দিল্লি Aiims এ ভয়াবহ আগুন! তুমুল চাঞ্চল্য হুলস্থূল কান্ড

রাজধানীর অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS)এর মাদার অ্যান্ড চাইল্ড ব্লক এবং ট্রমা সেন্টারের নিকটবর্তী ট্রান্সফরমার-এ বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই দফা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ছড়িয়ে পড়ে চূড়ান্ত চাঞ্চল্য। তবে দমকলের দ্রুত পদক্ষেপে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় এবং যদিও এদিনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর মেলেনি।প্রথম ঘটনাটি ঘটে মাদার অ্যান্ড চাইল্ড ব্লকএ। বিকেল প্রায় ৫টা ১৫ মিনিট নাগাদ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দমকলের একাধিক ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। হাসপাতালের কর্মীরা দমকলকর্মীদের সঙ্গে মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এর আগে দুপুর প্রায় ৩টে ৩৪ মিনিটে ট্রমা সেন্টারের কাছে থাকা ট্রান্সফরমারএ আগুন লাগে। দিল্লি ফায়ার সার্ভিস (DFS) সূত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থলে মোট আটটি দমকল ইঞ্জিন পাঠানো হয়। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এই ঘটনাতেও কোন হতাহতের খবর নেই।দমকল বিভাগের এক আধিকারিক জানান, ট্রমা সেন্টারের ট্রান্সফরমারে আগুন লাগে। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।

আগস্ট ১৪, ২০২৫
দেশ

আপাতত উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ জয় হিন্দ কলোনিতে

দিল্লির বসন্তকুঞ্জের জয় হিন্দ কলোনিতে উচ্ছেদ নিয়ে আন্দোলন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আপাতত বন্ধ থাকছে উচ্ছেদ অভিযান। বৃহস্পতিবার দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, ওই এলাকায় এখন কোনও উচ্ছেদ অভিযান চালানো যাবে না। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর এই রায় স্বস্তি এনে দিয়েছে স্থানীয় বাঙালি ভাষাভাষী বাসিন্দাদের।জয় হিন্দ কলোনি মিনি বাংলা বলে পরিচিত। বহু দশক ধরে বাঙালি পরিবাররা এখানে বসবাস করছেন। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে এই এলাকাকে অবৈধ বসতি বলে চিহ্নিত করে উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়, পানীয় জলের ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই আইনি পথের আশ্রয় নেন স্থানীয়রা। আপাতত এই এলাকার বাসিন্দারা স্বস্তিতে।

জুলাই ২৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

রাহুলের জবাবে এক জোড়া তরুণ তুর্কীর ব্যাটিং আস্ফালন দেখল দিল্লি

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম দেখল এক অসাধারণ ক্রিকেট ম্যাচের সাক্ষী থাকলো। দিনটা শুরু হোল রাহুলের ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী দিয়ে। শেষ করল গিল-সুদর্শনের এক ক্লাসিক যুগলবন্দী দিয়ে। এ বারের আইপিএলে এক অন্য রাহুল কে দেখা যাচ্ছে। অনেক বেশী দায়ীত্ব নিয়ে খেলার চেষ্টা করেছেন। বদলে ফেলেছেন তাঁর ব্যাটিংয়ের ধরন। কাজে এল না রাহুলের অসাধারণ শতরান। কিন্তু মাঠে দাঁড়িয়ে ফিল্ডিং করতে করতে রাহুলের সেই ক্লাসিক ব্যাটিং থেকে শিক্ষা নিয়ে মাত করল গুজরাত টাইটান্স। ভারতের ভবিষ্যতের অধিনায়ক শুভমন গিল ও সাই সুদর্শনের ওপেনিং জুটি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল কী ভাবে রান তাড়া করতে হয়। তাঁদের ঘরের মাঠে গুজরাটকে হারিয়ে এবারের আইপিএলের প্রথম দল হিসাবে প্লে-অফে উঠল গুজরাত।দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আইপিএল ২০২৫-এর ৬০তম ম্যাচে গুজরাট টাইটানস (GT) দিল্লি ক্যাপিটালসকে (DC) ১০ উইকেটে পরাজিত করে প্লে-অফে জায়গা নিশ্চিত করেছে। দিল্লি ক্যাপিটালস প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৯ রান সংগ্রহ করে। উল্লেখযোগ্য, অধিনায়ক কেএল রাহুল ৬৩ বলে অপরাজিত ১১২ রান করেন।গুজরাট টাইটানস জবাবে, ওপেনার সাই সুদর্শন ৬১ বলে অপরাজিত ১০৮ রান এবং শুভমান গিল ৫৩ বলে অপরাজিত ৯৩ রান করেন। তারা ১৯ ওভারে ২০৫ রান করে কোনো উইকেট না হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয়। গুজরাট টাইটানসের এই ১০ উইকেটের জয় আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে উইকেট না হারিয়ে জয়ের রেকর্ড। মিচেল স্টার্কের অনুপস্থিতিতে দিল্লির বোলিং আক্রমণ দুর্বল হয়ে পড়ে, যা গুজরাটের ব্যাটসম্যানদের সহজে রান করতে সাহায্য করে।এই জয়ের মাধ্যমে গুজরাট টাইটানস প্লে-অফে জায়গা নিশ্চিত করে, যেখানে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এবং পাঞ্জাব কিংসও ইতিমধ্যে যোগ্যতা অর্জন করেছে। এই পরাজয়ের ফলে দিল্লি ক্যাপিটালসের প্লে-অফে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীন। অধিনায়ক অক্ষর প্যাটেল দলের ফিল্ডিং এবং বোলিং পারফরম্যান্স নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

মে ১৯, ২০২৫
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন নেতৃত্বের সঙ্গে

একদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির পোস্টারবয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা করবেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও তাঁর এই বঙ্গসফরকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত ষশাহ হোক, এঁরা কেউ এখানে বিজেপির জয় এনে দিতে পারবেন না। আগেও নির্বাচনের আগে বারে বারে এসেছেন এবারও আসবেন। তবে ব্যর্থ হবেন বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে পৌঁছল বিহারের ৫৫টি বাইক, উদ্দেশ্য ঘিরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার বিহারের নম্বর প্লেটযুক্ত ৫৫টি পুরনো মোটরবাইক বর্ধমান জেলা বিজেপি দলীয় অফিসের ঠিকানায় এসে পৌঁছানোকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইকগুলি ট্রেন থেকে নামিয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের ইস্টার্ন রেলওয়ের পার্সেল অফিসের সামনে রাখা হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বর্ধমান রেল স্টেশনে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বাইকগুলির মালিকানা, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি এবং কেন শুধুমাত্র বিজেপির বর্ধমান জেলা অফিসের ঠিকানায় এই বাইক পাঠানো হয়েছে। তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন বিধায়ক।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে সুনীল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তির নামে এই ৫৫টি বাইক পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই বাইকগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই বাইক ব্যবহার করে বাইরের লোকজন বা দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এই ৫৫টি নয়, ২৩ জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০০ মোটর বাইক আসার কথা।বিধায়ক খোকন দাস স্পষ্ট ভাষায় জানান, এতগুলো বাইক বিহার থেকে কী উদ্দেশ্যে বাংলায় আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভোটের আগে এই বাইক ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। একই সঙ্গে তিনি রেল ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ও বাইকগুলির সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এই পরিবহণের বিস্তারিত জানাতে হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ না হলে বাইকগুলি পার্সেল অফিস থেকে ছাড়তে দেওয়া হবে না।অন্যদিকে, তৃণমূলের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় দলীয় কর্মীদের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিহারের ভোট শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস রাঢ়বঙ্গ জোনের কেন্দ্রীয় অফিস হওয়ায় এখানকার ঠিকানাতেই বাইক পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগেই এভাবেই বাইক আনা হয় এবং বিষয়টি জেনেও তৃণমূল অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। বাইক বিতর্কে প্রশাসনের ভূমিকা কী হয়, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে কৌতূহল।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এশিয়া কাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাত্রের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হার স্বীকার করেই শিরোপা হাতছাড়া করতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। মাত্র এক ইনিংসেই তিনি করে ফেলেন ১৭২ রান। উসমান খানের সঙ্গে ৯২ রানের এবং আহমেদ হুসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের দুটি বড় জুটিতে ভর করে দ্রুত ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় পাকিস্তানের ইনিংস ২৭০২৮০ রানের মধ্যেই থামতে পারত। কিন্তু মিনহাসের ব্যাটে ভর করেই ৪৩ ওভারের মধ্যেই ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে তাঁর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৩০২/৩ থেকে ৩২৭/৮ মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারালেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল।লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো পরিচিত নাম থাকলেও কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আশ্চর্যজনকভাবে দলের সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বর ব্যাটার দীপেশ দেবেন্দ্রনের ব্যাট থেকে। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।এই হার যেন সাম্প্রতিক সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঞ্চ ফাইনাল, ফলাফলও প্রায় একই রকম হতাশাজনক।উল্লেখযোগ্যভাবে, ফাইনালে ওঠার আগে টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছেই একমাত্র হেরেছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ নিজেদের ঝুলিতে ভরল পাকিস্তান। আর ফাইনালে বারবার হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে গেল ভারতীয় যুব দলের সামনে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিদেশ

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারে হামলার পরও অকুতোভয় কর্তৃপক্ষ, সন্ত্রাসের নিন্দার ঝড় বিশ্বের সর্বত্র

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠল ঢাকায় প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। দেশের দুটি প্রথম সারির সংবাদপত্রের দফতরে এই হামলার অভিযোগ সামনে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়েছে সাংবাদিক মহল, নাগরিক সমাজ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলির মধ্যে। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে নিন্দার ঝড় বয়েছে অন্যত্র।ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে আসার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। পরবর্তীতে হিংসা ছড়িয়ে পরে নানা জায়গায়। নৃশংস ভাবে হিন্দু যুবক খুন থেকে সংস্কৃতি সংগঠনের ওপর হামাল। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর ক্রমাগত হামলা চলতে থাকে।প্রাথমিক অভিযোগ অনুযায়ী, ঢাকায় অবস্থিত প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। তারা অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মীদের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। আগুন লাগিয়ে দেয় এই অফিসদুটিতে। যদিও এই ঘটনায় বড় ধরনের শারীরিক ক্ষতির খবর নেই, তবে আচমকা হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং কিছু সময়ের জন্য সংবাদকর্ম ব্যাহত হয়। সংবাদপত্র প্রকাশনা বন্ধ রাখতে হয়। বৃহস্পতিবার রাতে অনলাইন পোর্টালেও আর খবর আপলোড করা যায়নি।হামলার ঘটনার পরপরই বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সম্পাদকীয় মহল একে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে উল্লেখ করেছে। তাদের বক্তব্য, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি, আর সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা গভীর উদ্বেগজনক। এই দুই সংবাদপত্র গোষ্ঠীও জানিয়ে দেয় তারা ভয় পায় না। খবর প্রকাশ করতে কোনও পরোয় তারা করবে না। এমনকী দফতরের সামনে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করে।ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসনের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।এই ঘটনার পর প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হুমকি বা হামলার মাধ্যমে সত্য প্রকাশ থামানো যাবে না। তারা দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসনের কাছে।আন্তর্জাতিক স্তরেও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনা শুধু দুটি সংবাদপত্রের ওপর আঘাত নয়, বরং বাংলাদেশের সামগ্রিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলে দিল। এখন দেখার, প্রশাসনিক পদক্ষেপ কতটা দ্রুত ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

লাইভ মঞ্চে লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, ওসির ভূমিকা নিয়েও তদন্ত

লাইভ পারফরম্যান্স চলাকালীন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক মহল। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে একটি বেসরকারি স্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করতে গিয়ে এই ঘটনার মুখে পড়েন তিনি। ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যার নাম তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় ভগবানপুরের একটি বেসরকারি স্কুল প্রাঙ্গণে। অভিযোগ অনুযায়ী, লগ্নজিতা চক্রবর্তী যখন জাগো মা গানটি পরিবেশন করছিলেন, তখন অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ও ওই স্কুলের মালিক মেহবুব মল্লিক আচমকাই মঞ্চে উঠে আসেন। শিল্পীর অভিযোগ, তিনি গালিগালাজ করেন এবং চিৎকার করে বলেন, অনেক হয়েছে জাগো মা, এবার কিছু সেকুলার গান গাও। পাশাপাশি মারধরের হুমকি ও শারীরিকভাবে আক্রমণের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ।পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠলে অনুষ্ঠান কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। পরে লগ্নজিতা চক্রবর্তী ভগবানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, প্রথমে থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর মামলা রুজু হয় এবং অভিযুক্ত মেহবুব মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়।পূর্ব মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিতুন দে জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে ভগবানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং আরও এক পুলিশকর্মীর ভূমিকা নিয়েও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের গাফিলতির প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজাও তীব্র হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা অভিযোগ করেন, একজন শিল্পী কি গান গাইবেন, সেটাও শাসক দলের লোক ঠিক করে দিচ্ছে। এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি আরও দাবি করেন, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল। যদিও এই ঘটনার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।লাইভ মঞ্চে একজন শিল্পীর গান বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিয়ে ওঠা এই প্রশ্ন এখন আর শুধু ব্যক্তিগত অভিযোগে সীমাবদ্ধ নয়। সাংস্কৃতিক পরিসরে মতপ্রকাশের অধিকার, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব সব মিলিয়ে এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিদেশ

আইএমএফের চাপে লাগামছাড়া জিএসটি! পাকিস্তানে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কা

কন্ডোমের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি নিয়ে চরম উদ্বেগে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ-এর নির্দেশে এই কর বসানো হয়েছে। এর ফলে কন্ডোমের দাম এতটাই বেড়েছে যে তা এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আইএমএফ-এর কাছে কর কমানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আইএমএফ। এই সিদ্ধান্তে দেশে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের আশঙ্কা করছে পাক সরকার।আইএমএফ-এর ঋণের উপরই কার্যত নির্ভরশীল পাকিস্তানের অর্থনীতি। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি বছরে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছে ইসলামাবাদ। সেই ঋণের শর্ত হিসেবেই কর আদায় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে আইএমএফ। তার জেরেই কন্ডোম, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও শিশুদের ডাইপারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি বসানো হয়েছে।পাকিস্তান সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, জনস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কথা ভেবে অন্তত কন্ডোমের উপর থেকে কর কমানো হোক। কিন্তু আইএমএফ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের মাঝপথে কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন করা যাবে না। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষের বাজেটে। আইএমএফের যুক্তি, কন্ডোমের উপর থেকে কর তুলে নিলে সরকারের কয়েকশো কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হবে, যা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগে রয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। পাকিস্তানে বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় ২.৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ বাড়ছে। সরকার মনে করছে, কন্ডোমের দাম বেড়ে যাওয়ায় বহু মানুষ তা ব্যবহার করতে পারছেন না। এর ফলে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে, যা দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের উপর আরও চাপ ফেলবে।পাক সরকারের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে। কিন্তু আইএমএফ-এর কড়া অবস্থানের সামনে আপাতত অসহায় ইসলামাবাদ। এখন পরের বাজেটের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া শাহবাজ সরকারের হাতে আর কোনও পথ খোলা নেই।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

তাহেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে মর্মান্তিক ঘটনা, কুয়াশায় প্রাণ গেল চারজনের

এসআইআর আবহের মধ্যেই শনিবার পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নদিয়ার তাহেরপুরে তাঁর সভা রয়েছে। সকাল থেকেই সভাস্থলের দিকে ভিড় জমতে শুরু করেছিল। ঠিক সেই সময়েই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ট্রেনের ধাক্কায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, মৃত ও আহত সকলের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির সভায় যোগ দিতেই নদিয়ার তাহেরপুরে এসেছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।শনিবার ভোরে তাহেরপুর স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার সাবলদহ গ্রাম থেকে প্রায় ৪০ জন তাহেরপুরে আসেন। ভোরবেলা তাঁদের মধ্যে কয়েক জন রেললাইনের ধারে প্রাতঃকৃত্য সারতে যান। সেই সময় আচমকাই দ্রুতগতির একটি ট্রেন চলে আসে। ট্রেনের ধাক্কায় চার জন লাইনের উপর ছিটকে পড়েন। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।একই ঘটনায় আরও দুজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্য জনের চিকিৎসা চলছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ভোরের ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কম ছিল। সেই কারণেই ট্রেন আসছে বুঝতে না পারায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে অন্য সম্ভাবনাগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।মতুয়াগড় হিসেবে পরিচিত নদিয়ার তাহেরপুরে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির সভা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। তার মধ্যেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হট টাব থেকে সুইমিং পুল, এপস্টেইন নথিতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ছবি

কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইনকে ঘিরে ফের তোলপাড় আমেরিকার রাজনীতি। এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত হাজার হাজার পাতার নথি প্রকাশ করল মার্কিন ন্যায় বিভাগ। সেই নথিতে বারবার উঠে এসেছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের নাম। প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক ছবি। কিন্তু বিস্ময়ের বিষয়, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম ও ছবি সেখানে প্রায় নেই বললেই চলে।প্রকাশিত ছবিগুলির একটিতে তরুণ বিল ক্লিন্টনকে একটি হট টাবে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ছবির একটি অংশ কালো রঙে ঢেকে রাখা হয়েছে। অন্য একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, এক মহিলার সঙ্গে সাঁতার কাটছেন ক্লিন্টন। ওই মহিলা এপস্টেইনের ঘনিষ্ঠ ও প্রেমিকা ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েল বলে মনে করা হচ্ছে। আরও একটি ছবিতে ক্লিন্টনের পাশে দেখা গিয়েছে পপ সংগীতের কিংবদন্তি মাইকেল জ্যাকসনকে। তাঁদের পাশেই ছিলেন গায়িকা ডায়ানা রস।এই সব ছবি ও তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি। নব্বইয়ের দশক এবং দুই হাজার দশকের শুরুতে এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতার কথা আগে একাধিকবার সামনে এসেছে। কিন্তু সদ্য প্রকাশিত নথিতে তাঁর কোনও ছবি নেই। নামও এসেছে মাত্র একবার, একটি যোগাযোগের খাতায়। সেই খাতাটি কার, তাও স্পষ্ট নয়।অথচ এর আগে প্রকাশিত নথিতে ট্রাম্পের উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছিল। এমনকি এপস্টেইনের ব্যক্তিগত বিমানে তাঁকে দেখা যাওয়ার কথাও উঠে এসেছিল। সেই কারণেই নতুন নথিতে তাঁর অনুপস্থিতিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকের ধারণা, নিজেকে আড়াল করতে বিল ক্লিন্টনের দিকেই আলো ঘোরানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। উল্লেখযোগ্য ভাবে, মাসখানেক আগেই এপস্টেইনের সঙ্গে বিল ক্লিন্টনের সম্পর্ক নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিলেন ট্রাম্প। সেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানা যায়।এই পরিস্থিতিতে বিল ক্লিন্টনের শিবির থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র বলেন, এপস্টেইন সংক্রান্ত তদন্ত শুধুমাত্র বিল ক্লিন্টনকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না। তাঁর বক্তব্য, বহু পুরনো ছবি প্রকাশ করতেই পারে প্রশাসন, কিন্তু গোটা বিষয়টি শুধু ক্লিন্টনকে ঘিরে নয়। তিনি বলেন, এপস্টেইনের ক্ষেত্রে দুধরনের মানুষ ছিলেন। একদল, যাঁরা অপরাধের কথা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। আরেক দল, যাঁরা এরপরও যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন। তাঁদের দাবি, বিল ক্লিন্টন প্রথম দলের মধ্যেই পড়েন।নাম না করলেও ক্লিন্টন শিবির যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই নিশানা করছে, তা স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ট্রাম্প যতই চেষ্টা করুন না কেন, এপস্টেইন কেলেঙ্কারি থেকে নিজের নাম পুরোপুরি সরিয়ে রাখা তাঁর পক্ষে সহজ হবে না।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal