• ২৩ আশ্বিন ১৪৩২, রবিবার ১২ অক্টোবর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

BJP

রাজনীতি

প্রকাশ্যে বাগযুদ্ধ জড়ালেন বাবুল সুপ্রিয় ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, যানজটে জেরবার দ্বিতীয় হুগলি সেতু

সাধারণের সামনে প্রকাশ্যে রাস্তায় রীতিমতো তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূলের মন্ত্রী বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয় এবং বিজেপির তমলুকের সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিজে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর অভিযোগ, পিছনের দিক থেকে যাচ্ছিল বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের গাড়ি। গাড়িটি একনাগাড়ে হর্ন দিচ্ছিল ও দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল। বাবুল গাড়ি থেকে মুখ বের করে আপত্তি জানান। এরপরেই গাড়ি থামিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাকে কটু কথা বলতে শুরু করে দেন বলে দাবি বাবুল সুপ্রিয়র। শুক্রবার রাতে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে বচসার এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে এই ঘটনা ঘটে। হাওড়ার দিকে যাচ্ছিলেন অভিজিৎ। ওই একই সময়ে বাবুলও দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে যাচ্ছিলেন। রাজ্যের মন্ত্রী এবং বিজেপি সাংসদের মধ্যে ঝামেলায় যানজট তৈরি হয় দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে। বাবুলের দাবি, নিয়ম ভেঙে বেপরোয়া গতিতে ছুটছিল অভিজিতের গাড়ি। প্রতিবাদ জানানোয় গাড়ি থেকেই অভিজিৎ অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে দেন বলে অভিযোগ করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। ভাইরাল ভিডিওতে স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি জানাতে থাকেন বাবুল সুপ্রিয়। অভিজিতের নিরাপত্তারক্ষীরা বাবুলকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।মন্ত্রী ও সাংসদের বচসার সময় ভিড় জমে যায় দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে। তবে বিজেপি সাংসদকে বার বার গাড়ি থেকে নামতে বলেন বাবুল, তবু তিনি গাড়িতে বসেছিলেন। বাবুলও বলে চলেন, ক্ষমা না চাইলে অভিজিতের গাড়ি যেতে দেবেন না। বাবুল জানান, কানের কাছে লাগাতার সাইরেন বাজাচ্ছিল অভিজিতবাবুর গাড়ি। গোটা রাস্তা স্কুটার, বাইক দেখে তীব্র হর্ন বাজাতে বাজাতে যাচ্ছিল অভিজিতের গাড়ি। এক মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনা হয়।

জানুয়ারি ০৪, ২০২৫
রাজনীতি

শুভেন্দুর ওপর জঙ্গি আক্রমণ নিয়ে দিনভর চর্চা, প্রতিক্রিয়া দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক

প্রথম থেকে বাংলাদেশ ইস্যুতে সোচ্চার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দুবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গিয়ে সভা করেছেন, বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তারই পাশাপাশি সোচ্চার হয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এবার জল্পনা ছড়িয়েছে বাংলাদেশের দুটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন শুভেন্দুর ওপর হামলা চালাতে পারে। রাজ্যপুলিশকে এবিষয়ে সতর্ক করেছে কেন্দ্র। এমন খবর ছড়িয়েছে। যদিও সরকারি ভাবে এই তথ্যের সত্য়াতা নিয়ে কোনও কথা বলেনি পুলিশ। তবে শুভেন্দু অধিকারী জঙ্গি হামলা নিয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন।তাদের কাজ তারা করবে, আমার কাজ আমি করব। তাঁর ওপর জঙ্গি হামলার আশঙ্কা প্রসঙ্গে এমনই সরল প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু অধিকারীর ওপর জঙ্গি হামলার আশঙ্কা রয়েছে বলে রাজ্যকে সতর্ক করেছে কেন্দ্র। শুভেন্দু অধিকারীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদেরও এ ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে সে দেশের মৌলবাদীদের সম্পর্কে নানা মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা। সেই কারণেই শুভেন্দু অধিকারীর উপর জঙ্গি হামলার আশঙ্কা বেড়েছে বলে জেনেছে কেন্দ্রীয় সরকারের গোয়েন্দা বাহিনী।শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, তাদের কাজ তারা করবে, আমার কাজ আমি করব। আগে তৃণমূল আক্রমণ করেছে, এখন জঙ্গিরা করতে চাইছে। আগে জনগণ সুরক্ষা দিয়েছে, এখনও জনগণই সুরক্ষা দেবে।উল্লেখ্য, ওপার বাংলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর কট্টরবাদীদের উপর্যুপরি হামলা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন অভিযান করেছেন। ইউনূস সরকারের তুলোধোনা করে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
রাজনীতি

জামালপুরে মিঠুন চক্রবর্তীর সভায় বিশৃঙ্খলা, বর্ধমানে বিজেপির সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন মুম্বাইয়ের সুপারস্টারের

বাংলায় বিজেপির সদস্যতা অভিযান চলছে। সদস্যকরণ অভিযান কর্মসূচি সফল করলে ঘুরে বেরাচ্ছেন বিজেপি নেতা মুম্বাইয়ের সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতাকে আসরে নামিয়ে বাজিমাত করতে চায় কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। সেই কর্মসূচি অংশ নিতে সোমবার দুপুরে মিঠুন চক্রবর্তী প্রথমে পৌঁছান পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে পাঁচরা এলাকার একটি সভাগৃহে । সেখানে সভা শুরু হতে না হতে বিশৃঙ্খলা দেখে বিতশ্রদ্ধ মিঠুন চক্রবর্তী ১০ মিনিটের মধ্যে সভাঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে পড়েন। সেখান থেকে তিনি সোজা রওনা দেন বর্ধমানের জেলা দলীয় কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে। জেলা অফিসে সাংবাদিক বৈঠকেও বিজেপির আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে ক্ষোভের কথা উগরে দেন মিঠুন। তিনি বলেন, আমি বিজেপির সংগঠন নিয়ে ১০০ শতাংশ সন্তুষ্ট নই। এটা বলতে আমি ভয় পাই না। আমি খোলাখুলি বলছি, বঙ্গ বিজেপিকে আরো শক্তিশালী হতে হবে।। নিজেদের মধ্যে খিটিমিটি যা আছে, তা সব মিটিয়ে নিয়ে সবাইকে এক হয়ে লড়তে হবে। মিঠুন চক্রবর্তীর কথায়, এখন দেখা যাচ্ছে বিজেপির লোকজনের পার্টিকে ভালোবাসা কম, পাওয়ারের ইচ্ছেটা বেশি দেখাচ্ছে। তবে এসব ঠিক হয়ে যাবে বলে মিঠুন চক্রবর্তী আশা প্রকাশ করেছেন।বাংলাদেশের ভারত বিদ্বেষ এবং বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর হয়ে চলা নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন মিঠুন চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ থেকে একের পর এক জঙ্গি ধরা পড়া নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মতো মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, বাংলা জঙ্গিদের স্বর্গ রাজ্য হয়ে গিয়েছে, এটাতো আমাদের জন্য বিশাল গর্বের ব্যাপার! কাশ্মীরের জঙ্গি এখানেই আসবে, এখানেই ট্রেনিং নেবে। ট্রেনিং নিয়ে আবার অন্য কোথাও হামলা করবে। সকলকে এক হয়ে লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছেন মিঠুন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
রাজনীতি

বাংলাদেশে গ্রেফতার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবি উঠলো এবাংলায়, পথে শুভেন্দু অধিকারী

শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর থেকে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর লাগাতার অত্যাচার চলছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপক মহম্মদ ইউনুসের শাসনকালে ওই দেশে হিন্দু তথা সংখ্যালঘুদের খুন, মারধর, মন্দির-বাড়ি লুঠপাট থেমে নেই। হিন্দু তথা স্ংখ্যালঘু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করায় বাংলাদেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তাঁর মুক্তির দাবিতে পথে নেমেছে সেদেশের হিন্দুরা। এদিকে এরাজ্যেও পথে নেমেছে বিজেপি। বাংলাদেশের সনাতনীদের উপর ক্রমাগত বেড়ে চলা অত্যাচারের প্রতিবাদে ও বাংলাদেশের হিন্দুদের অস্থিত্ব রক্ষার অন্যতম মুখ, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি পরিষদীয় দল বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশন অভিযান করে। দিল্লিতে এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনার নিন্দা করেছেন।

নভেম্বর ২৭, ২০২৪
রাজ্য

প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম প্রয়াত

প্রয়াত প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম। শনিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি, ভুগছিলেন কিডনির অসুখে। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ঝাড়গ্রামের প্রাক্তন সাংসদ। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ৬২ বছর বয়সি কুনার হেমব্রম ২০১৯ সালে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে আর টিকিট দেয়নি বিজেপি। ফলে দল ছেড়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেই যোগদান নিয়ে বলেছিলেন, ভেবেচিন্তেই দল বদল করেছেন। পাশাপাশি তৃণমূল সরকারের প্রশংসা করে তাঁর এও বক্তব্য ছিল, জঙ্গলমহলে রাজ্য সরকার যা কাজ করেছে, যে উন্নয়ন করেছে তার তুলনা হয় না। সেই কুনার শনিবার চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
রাজনীতি

বঙ্গভঙ্গ: আগুন পথে বিজেপি?

১৯৪৭ -এ দেশভাগের ক্ষত এখনও শুকোয়নি। সেই ক্ষতের অভিঘাতে ঋত্বিক ঘটকের হৃদয় জীর্ণ হয়েছিল কাঁটাতারের অবসাদ তাঁকে আজীবন ঘিরে ছিল। দেশভাগের রক্তাক্ত দলিল বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ধারায় ছড়িয়ে রয়েছে। কত সম্পন্ন উঠোন, কাঁচা পাকা গেরস্থালি অকালে ঝরে গিয়েছে। তার তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর। মনুষ্যত্বের অপমান লাঞ্ছিত দীর্ঘশ্বাস আর বেদনা জারিত স্মৃতি আজও ব্যাথা জাগায়। মানবজমিনের এই অধঃপতনে অন্নদাশঙ্করের কলম লিখে ছিল, তেলের শিশি ভাঙলে বলে খুকুর পরে রাগ কর/ তোমরা যে সব বুড়ো খোকা ভারত ভেঙে ভাগ কর?....সেদিনের দেশভাগের পরিণতি বাংলার বুকে কাঁটাতার। এক সময় কুমিল্লা থেকে কলকাতার কলা বাগানে একই সূর্যের আলোয় ভোর হতো। আজ কুমিল্লায় ভোর হয় প্রতিবেশী সূর্যের আলোয়। সেই ভাগের বেদনা ফের উঁকি মারছে বাংলায়। সৌজন্যে রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল বিজেপির গলায় বিচ্ছিন্নতা বাদের জিগির। বিভেদ সৃষ্টির রাজনীতি কি আবার রাজ্যকে ভাগ করার পথে পা রাখতে চলেছে? উঠছে প্রশ্ন। সম্প্রতি উত্তর বঙ্গের জন্য পৃথক ব্যবস্থার দাবি করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সেই দাবির রেশ ধরে একাধিক দলীয় সাংসদ ও বিধায়ক সরাসরি উত্তর বঙ্গের একাংশে কেন্দ্রীয় শাসনের দাবি তুলেছেন। তাঁদের যুক্তি পশ্চিমবঙ্গের অংশ হিসেবেই তাঁরা কেন্দ্রের উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রকের শরিক করে বাড়তি কেন্দ্রীয় সাহায্য পেতে চাইছেন। বিচিত্র যুক্তি। একই সঙ্গে তাঁরা বলছেন উত্তর বঙ্গে অনুপ্রবেশ আটকাতেই এই ব্যবস্থা দরকার। অর্থাৎ সেই সাম্প্রদায়িকতার জুজু। হিন্দু ভোট এককাট্টা করার নতুন কৌশল। আর উত্তর বঙ্গ কে এই নতুন কৌশলের পরীক্ষাগার করার জন্যই কি সলতে পাকানো শুরু? এই প্রশ্নও উঠছে। উত্তরবঙ্গের অনুন্নয়নের যে সমস্যার কথা বলা হচ্ছে তা অস্বীকার করা যায় না। সেখানে উন্নয়ন বাড়লে তা সমগ্ৰ রাজ্যেরই কল্যাণ। সেখানে পশ্চাৎপদতার জন্যে কেন্দ্রের বাড়তি সাহায্য চাওয়ার মধ্যে দোষের কিছু নেই। উত্তর বঙ্গে বিজেপির নির্বাচনী সাফল্য বেশি। তাই বাড়তি সাহায্যের জন্য তাঁরা উদগ্ৰীব হতেই পারেন। কিন্তু রাজ্যকে ভাগের কথা বলার মধ্যে অশান্তির ফুলকি থেকে যায়। পশ্চিমবঙ্গের সুস্থিতি ও সংহতির স্বার্থে এই বিপজ্জনক পথ এড়িয়ে চলা অত্যন্ত জরুরি। গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্ব নিয়ে এ রাজ্যে সরব গেরুয়া শিবির। নিছক দলীয় স্বার্থে সেই গুরুত্ব জলে ভাসালে রাজ্য রাজনীতির ক্ষেত্রে তা শুভ ইঙ্গিত নয়। অন্তত এই বোধটুকু বিরোধী দলের কাছে আশা করা যায়। তবে বাংলা ভাগ নিয়ে শোরগোলে রাজ্য বিজেপির অন্দরেও বিভাজনের কথা শোনা যাচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমে খবর, দক্ষিণবঙ্গের বিজেপি নেতারা মনে করছেন দল এই পথে এগোলে, ভবিষ্যতে রাজ্যে বিজেপির দপ্তর খোলার লোক পাওয়া যাবে না। রাজনীতির পরিভাষায় বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের অরগ্যানিক পার্টি নয়। অর্থাৎ এই রাজ্যে বিজেপির ভূমিজ শিকড় নেই। শিকড়ের টান শুধু গাছ নয় মানুষকেও ধরে রাখে। তাই মানুষের তৈরি রাজনৈতিক দলেরও বিকাশে শিকড়ের প্রয়োজন। আর এই শিকড়ের অভাবেই ২০১৯ শেষ লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য খুব বেশি ডালপালা মেলতে পারলো না। বাম কংগ্রেসের শূন্যস্থানে প্রধান বিরোধী হয়ে থাকাই যেন তাদের ভবিতব্য।ভারত ভূখণ্ডের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এই বঙ্গেও বৈচিত্র্যের বিভিন্নতার সুপত্র সমাবেশ। তাই সাতের দশকে বাংলার কবি অরুণ চক্রবর্তীর চোখে শ্রীরামপুর স্টেশনের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা মহুয়া গাছের বিবর্ণতা জ্বালা ধরায়। কবি লেখেন, লাল পাহাড়ির দেশে যা/ রাঙামাটির দেশে যা/ ইতাক তোকে মানাইছেনা রে/ইক্কেবারে মানাইছেনা রে। হিন্দি বলয়ের মেরুকরণ এই মাটিতেও মানাবে না। ১৯০৫ সাল। তখন ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জন। ধর্মের ভিত্তিতে বাংলা ভাগের পরিকল্পনা করেছিলেন কার্জন। ব্রিটিশ শাসকের এই divide and rule নীতিতে প্রতিবাদ ছড়িয়েছিল বঙ্গ। প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। রাখিবন্ধনকে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন কবি। সেদিনের স্মৃতি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ঘরোয়া অনুলিখনে রাণীচন্দকে বলেছিলেন। অবন ঠাকুর বলেছিলেন সকালে জগন্নাথ ঘাটে স্নান করে ফেরার পথে রবিকাকা রাস্তার দুপাশে জড়ো হওয়া মানুষের হাতে রাখী পরিয়ে দেন। পাথুরে ঘাটায় আস্তাবলে মুসলমান সহিসদের হাতেও রাখী পরান। সেখানেই শেষ নয়। চিৎপুরে সবচেয়ে বড় মসজিদে গিয়ে মৌলবীসহ অন্যদের হাতেও রাখী পরান কবি। রবিকাকা যখন মসজিদের দিকে এগোচ্ছেন তখন গোলমালের ভয়ে কাকার চোখ এড়িয়ে তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ার কথাও বলেছেন অবনীন্দ্রনাথ। তবে সামান্য গোলমাল ও নয় বরং সেদিনের উপলক্ষে লেখা কবির , বাংলার মাটি বাংলার জল/ বাংলার বায়ু বাংলার ফল/ পুন্য হউক পুন্য হউক হে ভগবান -এর আবেশ। তাদের সমবেত কন্ঠে গলি থেকে আকাশ পর্যন্ত ছড়িয়েছিল। লর্ড কার্জনের বাংলা ভাগের পরিকল্পনা রদ হয়েছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে পাঁচের দশকে আরও একবার বাংলার ভূগোল পাল্টাতে চেয়েছিল শাসক। তৎকালীন কংগ্রেস সরকার বাংলা বিহার সংযুক্তিকরণের পরিকল্পনা করেছিল। এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে বামপন্থীরা। কিন্তু তাতে কান দেয়নি শাসকদল। একদিকে পরিকল্পনা এগোতে থাকে অন্যদিকে তীব্র হয় বামেদের আন্দোলন। সেই সময় কলকাতা উত্তর পশ্চিম কেন্দ্রে বাম সমর্থিত নির্দল বিধায়ক বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে উপনির্বাচন ঘোষণা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায় বিরোধীদল নেতা জ্যোতি বসুকে বলেন এই উপনির্বাচনকে আমি গণভোট হিসেবে নিচ্ছি। নির্বাচনে তোমরা জিতলে সংযুক্তিকরণ হবে না, আমরা জিতলে তোমাদের সংযুক্তিকরণ মেনে নিতে হবে। জ্যোতি বসু সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন। উপনির্বাচনে বাম সমর্থিত প্রার্থীই জিতেছিলেন। বিধান রায় সংযুক্তিকরণ থেকে পিছিয়ে এসেছিলেন। ইতিহাস বলছে দেশভাগের কূট খেলায় বাঙালি পরাস্ত হলেও বাংলা ভাগ মেনে নেওয়া বাংলার মানুষের ঠিকুজিতে নেই।

আগস্ট ০২, ২০২৪
রাজনীতি

শুভেন্দু-দিলীপ সাক্ষাতে নয়া জল্পনা, জন্মদিনে বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতিকে শুভেচ্ছা কুণালের

লোকসভার ফল বের হওয়ার পর বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপির বিজেপির প্রার্থীর বক্তব্যে আগুন ঝড়ছিল। দলে তাঁর বিরুদ্ধে কাঠি করা হয়েছে। তাঁর জয়ী আসন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দিলীপের বক্তব্যের নিশানায় কে ছিলেন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী না সুকান্ত মজুমদার? তা নিয়ে কম জল্পনা ছড়ায়নি। এদিকে বৃহস্পতিবার নিজের জন্মদিনে সটান গিয়ে হাজির হয়েছেন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘরে। বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষকে এর আগে এদিন জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। দুজনের সাক্ষাৎ হয়েছিল সল্টলেকে এমএলএ-এমপি আদালতে।দীর্ঘদিন পর বিধানসভায় গেলেন দিলীপ ঘোষ। শুভেন্দুর ঘরেই পালন করা হয় দিলীপ ঘোষের জন্মদিন। দিলীপ ঘোষের গলায় গেরুয়া উত্তরীয় পরিয়ে দেন শুভেন্দু। নিজে হাত দিয়ে শুভেন্দু মিষ্টি খাইয়ে দেন দিরীপ ঘোষকে। দিলীপবাবুও মিষ্টি মুখ করান শুভেন্দুকে। রীতিমতো স্লোগান দেওয়া হয় দিলীপ ঘোষের নামে। তবে কি শুভেন্দু-দিলীপ ঠান্ডা যুদ্ধের অবসান ঘটল? এই সাক্ষাতের মধ্যে ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল। দুবছরের মধ্যে লোকসভা নির্বাচন। সেদিকে প্রধান লক্ষ্য বিজেপির। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাক্তন সাংসদ তথা গেরুয়া দলের লড়াকু নেতাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। লকেট লিখেছেন, লড়াকু নেতা, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি শ্রী দিলীপ ঘোষ মহাশয়ের জন্মদিনে প্রণাম এবং শুভেচ্ছা জানাই।এদিকে আজ সকালেই সল্টলেকে MLA-MP কোর্টে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দেখা হয় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের। দুজনেই সেখানে গিয়েছিলেন হাজিরা দিতে। দিলীপ ঘোষকে দেখে এগিয়ে যান কুণাল। দুজনকে করমর্দন করতেও দেখা যায়। বিজেপি নেতাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তবে বিধানসভায় শুভেন্দুর ঘরে দিলীপের সাক্ষাৎ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে অভিমত রাজনৈতিক মহলের।

আগস্ট ০১, ২০২৪
রাজনীতি

উপনির্বাচনে সবুজ ঝড়, কোন আসনে কার কত ভোট? জয়ের ব্যবধান কত?

উপনির্বাচন মানেই শাসকদলের একচেটিয়া জয়। সম্প্রতি একমাত্র ব্য়তিক্রমী ঘটনা ঘটেছিল সাগরদিঘি উপনির্বাচনে। বামেদের সমর্থনে কংগ্রেস বিপুল ভোটে পরাজিত করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে। এবার চার কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচনে সবুজ ঝড় বয়ে গেল। তৃণমূলের বিরাট জয়, বিজেপির বিপর্যয়। লোকসভার পর বাংলায় ফের হার বিজেপির। উপনির্বাচনের লড়াইয়ে ৪-০ ব্যবধানে জয় পেল তৃণমূল। এবার লোকসভা ভোটেও তিনটি আসনে এগিয়েছিল BJP। তিনটি বিধানসভা আসনই হাতছাড়া গেরুয়া শিবিরের। বিজেপির থেকে রায়গঞ্জ, বাগদা, রাণাঘাট দক্ষিণ ছিনিয়ে নিল তৃণমূল। বিজেপির রানাঘাট দক্ষিণও এবার তৃণমূলের দখলে চলে গেল। মতুয়াগড়ে বিজেপির বিপর্যয়।রায়গঞ্জে প্রথমবার জয় পেল তৃণমূল। রায়গঞ্জ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যানী। প্রায় ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তিনি। এর আগে দল বদলে বিজেপিতে গিয়েছিলেন কৃষ্ণ। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে এখানে বিজেপির টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তৃণমূলে গিয়ে যোগ দেন। লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে হেরে গিয়েছিলেন বিজেপির কাছে। তবে তাঁর ওপর আস্থা হারায়নি দল। বিধানসভা উপনির্বাচনে আবারও কৃষ্ণ কল্যাণীকে প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বাগদায় একুশের নির্বাচনে জয় পেয়েছিল বিজেপি। লোকসভাতে এগিয়ে ছিল এই বিধানসভায়। এবার উপনির্বাচনে বাগদা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করেছিল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুরকে। মধুপর্ণার বাগদা কেন্দ্র থেকে ৩৩ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। এবার আর বিশ্বজিৎ দাস প্রার্থী হতে চাননি।অন্যদিকে, রানাঘাট দক্ষিণেও জয় তৃণমূলের। এখানে তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী। তার জয়ও প্রায় নিশ্চিত বলা চলে। কলকাতার মানিকতলা কেন্দ্রেও সবুজ সুনামি। উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী প্রয়াত প্রাক্তন মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডে।বাগদাTMC প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর পেয়েছেন ১০৭,৭০৬। BJP প্রার্থী বিনয় কুমার বিশ্বাসের প্রাপ্ত ভোট ৭৪,২৫১। তৃণমূল জয়ী ৩৩,৪৫৫ ভোটের ব্য়বধানে। এখানে ফরোয়ার্ড ব্লক প্রার্থী গৌর বিশ্বাস পেয়েছেন ৮,১৮৯টি ভোট।রাণাঘাট দক্ষিণTMC প্রার্থী মুকুটমনি অধিকারী পেয়েছেন ১,১৩,৫৩৩। BJP প্রার্থী মনোজ কুমার বিশ্বাস পেয়েছেন ৭৪,৪৮৫টি ভোট। CPM প্রার্থী অরিন্দম বিশ্বাস পেয়েছেন ১৩,০৮২টি ভোট। মুকুটমনি জয়ে পেয়েছেন ৩৯০৪৮ ভোটে। রায়গঞ্জএখানে তৃণমূলের কৃষ্ণ কল্যানীর প্রাপ্ত ভোট ৮৬,৪৭৯। BJP প্রার্থী মানস ঘোষ পেয়েছেন ৩৬,৪০২ ভোট। কংগ্রেসের মোহিত সেনগুপ্ত পেয়েছেন ২৩,১১৬ ভোট। তৃণমূল জয়ী হয়েছে ৫০,০৭৭ ভোটে।মানিকতলাTMC প্রার্থী সুপ্তি পান্ডে পেয়েছেন ৮৩,১১০টি ভোট। বিজেপি প্রার্থী কল্যান চৌবে ২০,৭৯৮টি ভোট পেয়েছেন। সিপিএম প্রার্থী রাজীব মজুমদারের প্রাপ্ত ভোট ৯,৫০২। জয়ের ব্যবধান ৬২,৩১২।

জুলাই ১৩, ২০২৪
রাজ্য

লোকসভা নির্বাচনের রিপিট টেলিকাস্ট, অশান্তি এড়ানো গেল না উপনির্বাচনেও

গাদপুকুরিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলেছেন বাগদার বিজেপি প্রার্থী বিনয় কুমার বিশ্বাস। এই নিয়েই তোলপাড়। বিজেপি প্রার্থীর ওপর হামলা থেকে গাড়ি ভাঙচুর সবই হল বুথের সামনে। ভোটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেন শিকেয় উঠেছে। বুথের সামনেই সর্বত্র গিজগিজ করছে, মানুষের জটলা বা ভিড়। তাঁদের সরানোর তেমন উদ্যোগ চোখে পড়ল না। এবারের উপনির্বাচনেও অশান্তি আটকানো গেল না। ৭০ কোম্পানী কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনও কাজেই এল না। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললো খোদ বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।এদিকে সারা দিন ধরেই বিজেপি প্রার্থীরা বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের। কলকাতার মানিকতলা থেকে রায়গঞ্জ। অন্যদিকে বাগদা বা রাণাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্র। রাজনৈতিক মহলের মতে, এ এক নয়া নির্বাচনী কৌশল তৃণমূল কংগ্রেসের। ভোটের সময় একসঙ্গে শয়ে শয়ে লোকের ভিড় নিয়েই রাজনৈতিক মহল প্রশ্ন তুলেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী বা রাজ্য পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকলেও কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি। অভিযোগ, দিনভর হেনস্থা হতে হয়েছে বিজেপি প্রার্থীদের।লোকসভা নির্বাচনের রিপিট টেলিকাস্ট হল আজকের উপনির্বাচনে। বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ হয়েছিল চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে। আবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে তৃণমূলের সেটিংয়ের অভিযোগও তুলেছিল বিজেপি। এবারও একই কাণ্ড। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, মাত্র কয়েকটা বুথে খুচরো গন্ডগোল হয়েছে। এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এইগুলোকে বড় করে দেখানো হয়েছে। কিন্তু বিরোধীরা দাবি করেছে, মাত্র চার-পাঁচটা বুথে অশান্তির ছবি ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। বাকি বুথে ক্যামেরা তো পৌঁছায়নি। আবার বিজেপি দাবি করছে, ওয়ের কাস্টিং মনিটরিং করে কোনও কাজ করছে না নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনী তৃণমূলের দালালি করছে বলে বিজেপি প্রার্থীরা অভিযোগও করছে।

জুলাই ১০, ২০২৪
রাজনীতি

মুকুল রায়ের খবরে তোলপাড় সোশাল মিডিয়া, শুভ্রাংশু জানিয়েছেন কেমন আছেন তাঁর বাবা

কৃষ্ণনগরের বিধায়ক মুকুল রায়ের চিকিৎসা চলছে বাইপাশের এক বেসরকারি হাসপাতালে। পড়ে গিয়ে মাথায় রক্ত জমাট বাধায় অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। এদিকে সোশাল মিডিয়ায় মুকুল রায়ের ছবি দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় জানিয়েছেন, বাবার শরীর মুটামুটি রয়েছে। কিন্তু একদল হুজুগে মানুষ সারা দিন ধরেই একসময়ের তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ও বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহসভাপতির প্রয়াণের গুজবে মেতে উঠেছে। তোলপাড় করে ছেড়েছে সোশাল মিডিয়াকে। রীতিমতো ভাইরাল এই খবর। না জেনে শুনে এমন পোস্ট কান্ডজ্ঞানহীন কাজ বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শারীরিক অবস্থা এখনও সংকটজনক। আইসিইউতে আছেন তিনি।

জুলাই ০৬, ২০২৪
রাজনীতি

"দুই কেন্দ্রে কিভাবে জিতবে তৃণমূল?", বাগদায় প্রচারে ভয়ঙ্কর অভিযোগ শুভেন্দুর

রাজ্যের ৪ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন ১০ জুলাই। ওই দিন উত্তর ২৪ পরগণার বাগদা আসনেও উপনির্বাচন। শনিবার দলীয় প্রার্থী বিনয় কুমার বিশ্বাসের হয়ে প্রচার করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাথুরিয়ায় পরিবর্তে সিন্দ্রাণীতে এদিন এক পথসভা করেন বিরোধী দলনেতা। সেখান থেকে তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে আনেন ভয়ঙ্কর অভিযোগ। যাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে।ভোট লুঠ করে জিততে চাইছেন মমতা। বুধবারই বাগদায় ভোটের আগেই প্রচারে ঝড় তুলে মারাত্মক অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১০ জুলাই বাগদায় নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের কথাও এদিন শোনা গিয়েছে বিরোধী দলনেতার গলায়। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বাগদা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস জয়ী। জয়ের পরপরই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ। এবার বাগদা আসন থেকে পদত্যাগ করে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে লড়াই করে পরাজিত হন। উপনির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করেছে দলীয় রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধূপর্ণা ঠাকুরকে। রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা জেতাতে নবান্ন থেকে এসপিকে ফোন মমতার। এদিন প্রকাশ্য সভায় তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, মমতা পার্থ ভৌমিক, রাজীব ব্যানার্জীকে নিয়ে মিটিং করেছেন। নবান্ন থেকে এসপিকে ফোন করে বলেছেন আমার এই সিট চাই একই সঙ্গে তিনি বলেন, এসব যত করবে তত ধ্বংসের পথে যাবে তৃণমূল।এদিনের প্রচার থেকেই বাগদা উপনির্বাচনকে তৃণমুলের চাপিয়ে দেওয়া নির্বাচন বলে উল্লেখ করা পাশাপাশি ৭ দফায় লোকসভা ভোটে ভোট লুঠের চেষ্টার অভিযোগও আনেন তিনি। আক্ষেপের সুরে শুভেন্দু এদিন আরামবাগে বিজেপিকে হারিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নিশীথ প্রামাণিককে হারিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। প্রচার সভা থেকেই এক চাঞ্চল্যকর দাবি করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ফিরহাদ হাকিমকে সরিয়ে শোভনকে মেয়র করতে চান মমতা। উল্লেখ্য লোকসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে বাগদা বিধানসভায় ২০ হাজার ৬১৪ ভোটে এগিয়েছিল বিজেপি।

জুলাই ০৬, ২০২৪
রাজ্য

গুজরাট থেকে কাদের কান ধরে বাংলায় আনতে চাইছেন ফিরহাদ? কেন এই ঘোষণা?

নাম না করে বিজেপির গুজরাটের নেতাদের প্রথমে মাথা মোটা বলে কটাক্ষ ও তারপরই কান ধরে টেনে নিয়ে এসে বাংলা সংস্কৃতি দেখানোর কথা বললেন পুরো ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মঙ্গলবার সল্টলেকের উন্নয়ন ভবনে প্রগ্রেসিভ ইউনাইটেড ইঞ্জিনিয়ারস অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিল পুরমন্ত্রী ও কলকাতার মেযর ফিরহাদ হাকিম।ফিরহাদ হাকিম বক্তব্যে বলেন, গুজরাট থেকে মাথা মোটাগুলোকে কান ধরে টেনে নিয়ে এসে দেখাতে হয় যারা মানুষে মানুষে লড়াই করে তাদের দেখাতে হয় যে দেখ রক্তের রং লাল। কে রক্ত দিচ্ছে, কোথায় যাচ্ছে, কার রক্ত কার দেহে যাচ্ছে কেউ জানে না। এখান থেকে বোঝা যায় ভগবান শুধু মানুষ সৃষ্টি করেছে, এইযে ভেদাভেদ, ঝগড়াঝাঁটি, নোংরামি এইসব আমাদের। ভগবানকে ধন্যবাদ জানাই পশ্চিমবঙ্গে আমরা অন্তত এটার থেকে অনেক বাইরে আছি। এই মাথা মোটার দল কিছুটা গ্রাস করেছে কিন্তু পুরোটা আমাদের পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতিকে গ্রাস করতে পারেনি। তাই এখনও আমরা গর্বের সাথে বলি আমরা মানুষ। মানুষ বলেই মানবিকতার সেবা করছি কাজ করছি সংসার চালাচ্ছি তার সাথে সাথে রক্ত দিচ্ছি।

জুলাই ০২, ২০২৪
রাজনীতি

গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার, তৃণমূল কাউন্সিলরদের বিক্ষোভে তোলপাড় বাঁশবেড়িয়া, ধুন্ধুমার কাণ্ড

তৃণমূল কংগ্রেসের ২১ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১৫জন সরাসরি পুর চেয়ারম্যানের অফিস ঘরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছে। শনিবার বাঁশবেড়িয়া পুরসভায় হুলস্থুল কাণ্ড। তৃণমূল কংগ্রেসে প্রকাশ্যে গোষ্ঠদ্বন্দ্ব চলছে। অফিসে আসেননি পুরপ্রধান। যাবতীয় অভিযোগই তাঁর বিরুদ্ধে। লোকসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে বাঁশবেড়িয়া পুরসভা এলাকায় প্রায় ১২ হাজার ভোটে বিজেপি লিড নিয়েছে। পিছিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু ১, ১১ ও ১৯ ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল। বাকি ১৯ ওয়ার্ডে লীড নিয়েছে বিজেপি। ২২ টি আসনের এই পুরবোর্ডে ২১ জনই তৃণমূলের কাউন্সিলর। বাকি এক বামফ্রন্টের। নজিরবিহীন ভাবে এদিন সকাল থেকেই শাসক দলের ১৫ জন কাউন্সিলর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে পুরপ্রধান আদিত্য নিয়োগীর ঘরের সামনে অবস্থানে বসে পড়েন। বিক্ষোভ কারীদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন মহিলা কাউন্সিলর। মূল অভিযোগ চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগীর বিরুদ্ধে।তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বাঁশবেড়িয়ার অধিকাংশ ওয়ার্ডে উন্নয়ন স্তব্ধ। পুরপ্রধানের ব্যবহার ভালো নয়। অভব্য আচরণ। দলীয় কাউন্সিলররা প্রায় কেউই পারতপক্ষে চেয়ারম্যান এর ঘরে ঢোকেন না। কয়েকজন পেটোয়া কাউন্সিলরদের নিয়ে তিনি চলেন। যা কিছু উন্নয়ন শুধু সেই সব ওয়ার্ডেই হয়। চেয়ারম্যান কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।কিছুদিন আগেও সাত নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অমিত ঘোষ ও ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জলের দাবিতে দীর্ঘ নয় ঘন্টা অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিল বাঁশবেড়িয়া পুরসভায়। তবে পুরসভায় অমিতকে দেখা যায়নি। অফিসে আসেননি চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানরাও। অন্যদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মগড়া থানার পুলিশও পুরসভায় উপস্থিত ছিল। তৃণমূলের প্রকাশ্য অন্তর্কলহ দেখে মজা পাচ্ছে বিজেপি।বিজেপির জেলা সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, পুরো বিষয়টি ভাগ বাটোয়ারার খেলা। চেয়ারম্যানের ব্যবহার খারাপ বলে কাউন্সিলররা ধর্ণায় বসেছেন শুনলে পাগলেও বিশ্বাস করবে না। আসল বিষয়টা অন্য। বিভিন্ন খাতের টাকা চেয়ারম্যান নিজেই হজম করছেন। কাউন্সিলরদের ভাগ দিচ্ছেন না তাই তাঁরা ফুঁসে উঠেছে।

জুন ২৩, ২০২৪
রাজ্য

কাঁথির ভূপতিনগরে খুন বিজেপি কর্মীর বাবা, উত্তপ্ত এলাকা

কিছুতেই কমছে না ভোট পরবর্তী অশান্তি। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার ভূপতি নগর থানার অন্তর্গত অর্জুননগরে বিজেপি কার্যকর্তার বাবাকে পিটিয়ে মেরে ফেলল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। যদিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।অর্জুননগর অঞ্চলের ধাঁইপুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা BJP র সক্রিয় কর্যকর্তা শশাঙ্ক মাইতি লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকে ঘরছাড়া। তৃণমলের পক্ষ থেকে শশাঙ্ক মাইতির নামে মিথ্যে মামলা করা হয়।তারপর থেকেই তিনি ঘরছাড়া। মঙ্গলবার রাত এগারোটায় কুড়ি থেকে ত্রিশজন সশস্ত্র তৃণমূল আশ্রিত হার্মাদ বাহিনী শশাঙ্ক মাইতির বাড়িতে চড়াও হয়, এবং তার মা, স্ত্রী ও বৌদির উপর আক্রমণ ও টানাহেঁচড়া করে। এমতাবস্থায় শশাঙ্ক মাইতির বাবা গৌরহরি মাইতি বেরিয়ে আসেন এবং এই দুষ্কৃতিদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে সেই দুষ্কৃতীরা তাকে সজোরে ধাক্কা দেয় এবং তিনি গড়িয়ে পড়েন। গড়িয়ে পড়ার পর সেখানেই যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন। পাড়ার লোক বেরিয়ে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। পাড়ার লোকজন গৌরহরিবাবুকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী মুগবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়, কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে গৌরহরিবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

জুন ১৯, ২০২৪
রাজনীতি

বিজেপির লোকসভার প্রার্থীই দল বিরোধী কাজে অভিযুক্ত! সাময়িক বরখাস্ত

তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস তথা ববিকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিজেপি। তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে দলের অভ্য়ন্তরেই। দল বিরোধী অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দিয়েছে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। রাজ্য় বিজেপির শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির প্রমুখ প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখিত ভাবে জানিয়েছেন কমিটির সুপারিশে ও রাজ্য সভাপতির নির্দেশ এই পত্র দিয়েছেন। আগামী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত দল অভিজিৎ দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করার কথা বলা হয়েছে।মঙ্গলবার দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনার কিছু জায়গায় অত্য়াচারিতদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিয় দল। মঙ্গলবার সকালে বারুইপুর যাওয়ার পথে আমতলা দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধি দল। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে কথা বলতে দেখা যায়। বিক্ষোভকারীরা দাবি জানাতে থাকে, তাঁদের প্রার্থীর বাড়িতে বিজেপির ঘরছাড়ারা রয়েছে তাঁদের সঙ্গে দেখা করে কথা শুনতে হবে। যদিও তাঁরা সেখানে যাননি। বারুইপুর দলীয় কার্যালয়ে আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে চলে যান। অভিজিৎ দাসের বিরুদ্ধে বিজেপির শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি একাধিক অভিযোগ এনেছে। মঙ্গলবারের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে না থাকা, ভোট পরবর্তী হামলায় আক্রান্তদের সেই বৈঠকে যেতে না দেওয়া, কর্মীদের দ্বারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ঘেরাও, অনৈতিক মন্তব্য়, বিজেপির ডায়মন্ড হারবার জেলা কার্যালয়ে বিশৃঙ্খলা- এই সব ঘটনার পিছনে অভিজিতের ইন্ধনের অভিযোগ উঠেছে বলে চিঠিতে লেখা হয়েছে। চিঠিতেবলা হয়েছে, আপনি দলের কার্যকর্তা সেই কথা মাথায় রেখে দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সুপারিশে ও দলের করাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশে ৭ দিনের মধ্যে দলবিরেোধী কার্যকলাপের কারণ দর্শাতে হবে। আপাতত সাময়িক বরখাস্ত করেছে দল। চিঠি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির প্রমুখ প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

জুন ১৯, ২০২৪
রাজ্য

গদীতে আসীন হয়েই বাংলাকে টাকা পাঠাল মেদী, সারা দেশে বন্টন ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা

তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর পরই নানা খাতে টাকা বরাদ্দ করে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথমে কৃষকদের জন্য়, এবার রাজ্যগুলিতে করের অতিরিক্ত কিস্তির টাকার অনুমোদন দিল এনডিএ সরকার। সোমবারই নয়াদিল্লিতে প্রথম বৈঠকে বসে নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভা। আর সেদিনই দেশের সমস্ত রাজ্যগুলিকে করের টাকার অতিরিক্ত কিস্তি দিল মোদী সরকার। এদিকে জুন মাসের করের টাকার অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। সারা দেশে রাজ্যগুলিকে ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।এই টাকার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গও ভাগ পেয়েছে। প্রায় ১০,৫১৩ কোটি টাকা পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। দীর্ঘ বছর ধরেই রাজ্য় দাবি করে আসছে রাজ্যের খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না। বকেয়া আদায়ের জন্য় দিল্লিতে গিয়ে ধর্নাও দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। এবার লোকসভার ভোটের অন্যতম ইস্যু ছিল কেন্দ্রীয় বঞ্চনা। সব থেকে বেশি টাকা পেয়েছে উত্তরপ্রদেশ। নিয়মানুযায়ী রাজ্যগুলিকে করের ভাগ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। যাক পোষাকী নাম ট্যাক্স ডেভোলিউশন। আয়কর-সহ অন্যান্য খাতে রাজ্যগুলি থেকে কেন্দ্র যা আয় করে, তার একটি অংশ রাজ্যকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে টাকা দেয় কেন্দ্র। উত্তরপ্রদেশ পেয়েছে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টকা। তার পরেই রয়েছে বিহার। তাদের দেওয়া হয়েছে ১৪ হাজার কোটি টাকা।কর কাঠামোর টাকার কত অংশ কোন রাজ্য পাবে সেটি ঠিক করার অন্যতম মানদণ্ড হল সে রাজ্যের জনসংখ্যা। সেই বিচারে উত্তরপ্রদেশের জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি পেয়েছে। জনসংখ্যার বিচারে করের টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে চতুর্থ স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। বাংলা পেয়েছে ১০,৫১৩ কোটি টাকা।অন্তর্বর্তী বাজেটে এই ডেভোলিউশন খাতে ১২ লক্ষ ১৯ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। জুন মাসে দেওয়া হল এক লক্ষ ৩৯ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।

জুন ১১, ২০২৪
রাজ্য

অধিকারী গড় পূর্ব মেদিনীপুরে ফের জেলাশাসক পদে পূর্ণেন্দু

পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বদল। ফেরানো হলো পূর্ণেন্দু কুমার মাজিকে। নির্বাচনের আগে এই জেলায় জয়শী দাশগুপ্তকে জেলাশাসক করে পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী আচরণবিধি উঠে যেতেই জয়শীকে জেলাশাসকের পদ থেকে সরানোর বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল গতকাল। ঘোষণা প্ নতুন জেলাশাসকের নাম।লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, পূর্ব মেদিনীপুরে ভোট লুঠ করা হয়েছে। জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, ওসি-আইসিদের নির্বাচন কমিশন সরিয়ে দিতেই বিজেপি ভোট লুঠ করেছে। নানা পন্থা অবলম্বন করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলকে।উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি ও তমলুক লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের এগরা ও ঘাটালের পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভা ক্ষেত্রেও লিড পেয়েছে বিজেপি। জেলার ১৬টির মধ্যে ১৫টি বিধানসভা এলাকায় এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি।নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে যে জেলাশাসকদের বিভিন্ন জেলায় আনা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককেই প্রথম সরানো হল। রাজনৈতিক দিক থেকেও তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। গত ২২ মার্চের বিজ্ঞপ্তিতে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক হিসেবে নিযুক্ত হন আইএএস জয়শী দাশগুপ্ত। তৎকালীন জেলাশাসক তনভীর আফজলকে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের বিশেষ সচিব করা হয়েছিল।পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় জেলাশাসকের দায়িত্ব সামলানো পূর্ণেন্দু কুমার মাজিকে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক করা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন ঘোষণার আগে তাঁকেও বীরভূমের জেলাশাসক করা হয়েছিল। বীরভূমের জেলাশাসক বিধানচন্দ্র রায় পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকের দায়িত্বে আসেন।নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সরানো হয় পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসককেও। ২২ মার্চ বিজ্ঞপ্তি করে জানানো হয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক হবেন আইএএস কে রাধিকা আইয়ার। তখন বিধানচন্দ্র রায়কে বিদ্যুৎ দফতরের বিশেষ সচিব পদে পাঠানো হয়েছিল।বীরভূমের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজিকে বদলি করা হয়েছিল রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগমের এমডি পদে। এবার তাঁকে পাঠানো হলো পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক করে, যে দায়িত্ব তিনি আগেও সামলেছেন।

জুন ১০, ২০২৪
রাজনীতি

শুভেন্দু গড়ে জনসভায় গড়হাজির, ঝাড়গ্রামের মঞ্চ থেকে মোদীর নিশানায় তৃণমূল

প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে ব্যাহত হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী প্রচার কর্মসূচি। কাঁথি এবং তমলুকের সভা তাঁকে সারতে হল ঝাড়গ্রাম থেকেই। সোমবার ঝাড়গ্রামে ছিল মোদীর দ্বিতীয় জনসভা। আবহাওয়াজনিত কারণে, ঝাড়গ্রামের মঞ্চ থেকেই তিনি কাঁথি এবং তমলুকের প্রার্থীদের হয়ে ভাষণ দেন।এক সভা থেকে অন্য সভাস্থলে প্রধানমন্ত্রী কপ্টারে করে পৌঁছন। কিন্তু, তাঁর কপ্টার ছাড়ার অনুমতি রক্ষীরা দেননি। তার কারণ, পুরোপুরি আবহাওয়াজনিত দুর্যোগ। সোমবারই প্রধানমন্ত্রীর তমলুকে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সভায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল। পাশাপাশি যাওয়ার কথা ছিল কাঁথির বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর হলদিয়ার সভায়। কিন্তু, সেখানে পৌঁছতে না পেরে ঝাড়গ্রামে বিজেপি প্রার্থীর সভামঞ্চ থেকেই তিনি বাকি দুটি সভার কাজ সারেন। প্রধানমন্ত্রী যে দুটি সভায় স্বশরীরে থাকতে পারবেন না, তা বিজেপি কর্মীদের জানিয়ে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।ঝাড়গ্রামের সভাস্থল থেকে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে চরম আক্রমণ করেন। এর আগে রবিবার পুরুলিয়া, বিষ্ণুপুর এবং মেদিনীপুরে সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার দেশে পঞ্চম দফা লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। তার মধ্যে বাংলায় সাতটি আসনে হয়েছে নির্বাচন। এমনিতে প্রতিটি নির্বাচনের দিন প্রধানমন্ত্রী সভা করেন। যে অঞ্চলে ভোট হবে, সেই জায়গার জন্য তিনি সভা করেন।প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মসূচি বহু আগে থেকেই ঠিক থাকলেও আবহাওয়া দফতর সোমবার সকালেই জানিয়েছে, রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় ঝড়-বৃষ্টি হবে। সঙ্গে বজ্রপাতেরও সম্ভাবনা আছে। ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ইতিমধ্যে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন রাজ্যের মানুষ। এবার খোদ প্রধানমন্ত্রীর সভাও প্রাকৃতিক দু্যোগের কারণে ব্যাহত হল। তবে, প্রধানমন্ত্রী সভাস্থলে পৌঁছতে না পারলেও দুর্যোগ উপেক্ষা করে বিজেপি কর্মীরা সভায় যোগ দিয়েছিলেন। স্থানীয় বিজেপি নেতৃবৃন্দের দায়িত্ব ছিল বুথকর্মীদের সভাস্থলে নিয়ে আসার। তাঁরা সেইমত দূর-দূরান্ত থেকে কর্মীদের ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করেই সভাস্থলে নিয়ে এসেছিলেন।

মে ২১, ২০২৪
রাজনীতি

বাংলায় ভোটপ্রচারে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গল্প শোনালেন অমিত শাহ, বললেন, "দখলে নেব"

বাংলায় একের পর এক জনসভা করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তুলোধোনা করছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এবার শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে এসে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কথা বললেন অমিত শাহ। শাহ বলেন, বাংলায় মোদীজির পাঠানো চাল দিদির সিন্ডিকেটের লোকেরা খেয়ে নিচ্ছে। মোদী সরকারের অধীনে কাশ্মীরে নয়, পিওকে-তে স্বাধীনতার স্লোগান উঠছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও ভারতীয় জনতা পার্টির অমিত শাহ বুধবার হুগলিতে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে করা উন্নয়নমূলক কাজগুলি তুলে ধরেন। পাশাপাশি কংগ্রেস ও তৃণমূলের কু-শাসনের কথাও তুলে ধরেন। এবং কয়েক বছর ধরে দেশে ঘটে চলা দুর্নীতির তীব্র সমালোচনা করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং, শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী কবির শঙ্কর বোস, জেলা সভাপতও মোহন চাঁদ অটক এবং অন্যান্য নেতারা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র বলেন, যে এই নির্বাচন দুটি দলের মধ্যে। একদিকে রয়েছে পরিবারতান্ত্রিক দল, যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চান, শরদ পাওয়ার তাঁর মেয়েকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চান, উদ্ধব ঠাকরে তাঁর ছেলেকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চান এবং সোনিয়া গান্ধী প্রধানমন্ত্রী করতে চান রাহুল গান্ধীকে । অন্যদিকে, একজন দরিদ্র চা বিক্রেতার পরিবারে জন্মগ্রহণকারী এদেশের মহান নেতা হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার এই দেশের লাগাম কার হাতে তুলে দেবেন তা জনগণেরই সিদ্ধান্ত। একদিকে ইন্ডি জোটের দুর্নীতিবাজরা ১২ লাখ টাকার কেলেঙ্কারি করেছে, অন্যদিকে ২৩ বছর মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও ২৫ পয়সারও কোনও অভিযোগ নেই। একদিকে রাহুল গান্ধী আছেন, যিনি গরম বাড়লেই ছুটি কাটাতে বিদেশে চলে যান, আর অন্যদিকে আছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিনি ২৩ বছর ধরে একটিও ছুটি নেননি এবং জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করেন। কবির শঙ্কর বসুকে দেওয়া প্রতিটি ভোটই নরেন্দ্র মোদীকে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী করার দিকে যাবে।শাহ বলেন, এটাই বিজেপির গ্যারান্টি যে কবির শঙ্কর বসুর বিজয়ের পর বাংলায় অনুপ্রবেশকারী তো ছেড়ে দিন, একটি পাখিও ঢুকতে পারবে না। নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয়বার বিজয়ের পর সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ হবে, মাফিয়া রাজের অবসান হবে এবং কাটমানিও দূর হবে। কংগ্রেস, বাম এবং তৃণমূল কংগ্রেস গত ৭০ বছর ধরে রাম মন্দির নির্মাণকে বাধাগ্রস্ত করে রেখেছিল, কিন্তু নিজের শাসনকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আদালতের মাধ্যমে রাম মন্দিরের পথ প্রশস্ত করেছিলেন, ভূমিপুজোও করেছেন এবং ২২ জানুয়ারি ভগবান শ্রী রামের মহিমান্বিত অভিষেক হয়। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে মোল্লা-মৌলবীদের নিয়ে সদ্ভাবনা যাত্রা করছিলেন। কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসও তোষণের রাজনীতির কারণে রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান বয়কট করেছে। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কংগ্রেস বলে যে ৩৭০ অনুচ্ছেদ অপসারণ করা উচিত নয়, রক্তের নদী বয়ে যাবে, তবে তাদের বোঝা উচিত যে এটি মোদীজির নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী সরকার, সেখানে কোনও রক্তপাত হবে না। নদীর কথা তো ভুলে যাও, পাথর ছুঁড়তেও কারও সাহস নেই এখানে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বানিয়েছেন।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী বলেছেন, ইন্ডি জোট যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন আমাদের কাশ্মীরে ধর্মঘট হত। এখন মোদীজির প্রভাবে, কাশ্মীরের যে অংশটি ভারতে রয়েছে সেখানে কোনও ধর্মঘট নেই, তবে শুধুমাত্র পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ধর্মঘট হয়। আগে ভারতের কাশ্মীরে আজাদীর স্লোগান উঠত, এখন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে স্লোগান উঠছে। আগে পাথর ছোঁড়া হতো ভারতীয় কাশ্মীরে, কিন্তু এখন পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে শুধু পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। আমাদের কাশ্মীরে ২ কোটি ১১ লাখ পর্যটক কাশ্মীরে গিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে আটার দাম রেকর্ড গড়েছে। মণিশঙ্কর আইয়ার এবং ফারুক আবদুল্লাহর মতো লোকেরা পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে কথা বলবেন না, কারণ পাকিস্তানের কাছে পারমানবিক বোমা আছে বলে দেশকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। এখন আমি বলছি রাহুল বাবা এবং মমতা জি, ভয় পেতে হলে ভয় পান কিন্তু পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর আমাদের এবং আমরা তা নেব।শ্রী শাহ বলেছেন, মমতাজি বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ এবং জৈন উদ্বাস্তুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতে পছন্দ করেন না, তবে তিনি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের পছন্দ করেন এবং তাদের নাগরিকত্ব দিয়েছেন। আমি মমতাজি এবং তার ভাইপোকে বলতে চাই যে আপনি নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে চেষ্টা করুন তবে আমরা প্রত্যেক শরণার্থীকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দিয়ে থাকব। শ্রী শাহ বলেন, যে সত্যজিৎ রায় একজন খুব বড় চলচ্চিত্র শিল্পী ছিলেন এবং তিনি একটি খুব বিখ্যাত চলচ্চিত্র হীরক রাজার দেশে তৈরি করেছিলেন কিন্তু মমতাজি যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন তিনি ছিলেন না, অন্যথায় হীরক রাজার দেশে এর পরিবর্তে হীরক রাণার দেশে এই নামে একটি চলচ্চিত্র তৈরি হতো। যে বাংলায় সৃষ্টি বন্দে মাতরম সেখানেই হিংসা, দুর্নীতি ও তোষণ, যে বাংলা দিয়েছে জনগণ মন, যে বাংলা স্বাধীনতা আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে, সেই বাংলা থেকে দেশপ্রেমকে ধ্বংস করার কাজ করেছে কমিউনিস্ট ও তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা গরিব, অনগ্রসর ও আদিবাসীদের অধিকার কেড়ে নিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দিয়েছেন।

মে ১৫, ২০২৪
রাজ্য

দিলীপ ঘোষ ও কীর্তি আজাদের কোলাকুলিই সার, শেষমেশ গাড়ির কাচও ভাঙলো বিজেপি প্রার্থীর

দিনভর হামলার মুখে পড়ছেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। বর্ধমানের কালনা গেট কপিবাগান এলাকায় দিলীপের গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সংঘর্ষে মাথা ফাটল বিজেপি প্রার্থীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক জওয়ানের। দিলীপের দাবি, মোট দুজন জওয়ান আহত হয়েছেন। পাল্টা তাদের চার তৃণমূল কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দিলীপের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জওয়ানদের বিরুদ্ধে।বিকেলের দিকে একটি বুথে যাওয়ার সময় দিলীপের গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। কপিবাগানে দিলীপের গাড়িতে ইট ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। দেখা যায়, দিলীপের গাড়ির পিছনের দিকের কাচ ভেঙে গিয়েছে। বিজেপি প্রার্থী জানান, তিনি বুথে গোলমালের খবর পেয়ে কপিবাগানে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অশান্তির জেরে বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। গন্ডগোলেট খবর পেয়ে বেশ কিছু ক্ষণ পরে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী যায় ঘটনাস্থলে। বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। আপাতত ওই এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে খবর।বিজেপি এজেন্টকে বুথ থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে তুমুল অশান্তি হয় মন্তেশ্বরের তুল্ল্যা গ্রামে। বিজেপি প্রার্থী দিলীপকে ঘিরে বিক্ষোভ, ইট ছোড়া এমনকি তাড়া করারও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে একাধিক সংবাদমাধ্যমের গাড়ি ভাঙচুর হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। শুশুনিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় ওই গন্ডগোল নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের এক কর্মীকে বিজেপির লোকেরা মেরে রক্তাক্ত করেছে। তার পরেই বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা দিলীপের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন। তখন গো ব্যাক, জয় বাংলা স্লোগানও দেওয়া হয় দিলীপকে ঘিরে। ওই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন দিলীপ। যদিও তৃণমূল তাদের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে।ভোট শুরুর পর থেকেই বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভার নানা জায়গায় অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। দুই যুযুধান প্রার্থী, বিজেপির দিলীপ এবং তৃণমূলের কীর্তি আজ়াদ দুজনই কোলাকুলি করে সৌজন্য বিনিময় করেন। তবুও দুই দলের কর্মীদের মধ্যে সেই সৌজন্যের ছোঁয়া মেলেনি। যত বেলা গড়িয়েছে, ততই একের পর এক গন্ডগোলের খবর সামনে আসছে। কীর্তির অভিযোগ, যেখানেই দিলীপ ঘোষ যান, সেখানেই উত্তেজনা ছড়ায়। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে আমরা অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু তারা কর্ণপাত করেনি।

মে ১৩, ২০২৪
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 47
  • 48
  • ›

ট্রেন্ডিং

খেলার দুনিয়া

১৪ বছর পর কলকাতায় মেসি! “মাঠ কাঁপাবে” ডিসেম্বরে?

কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এক বিশাল সুখবর! ফুটবল কিংবদন্তি লিওনেল মেসি (Lionel Messi) তাঁর বহু প্রতীক্ষিত GOAT Tour of India 2025-এর জন্য এ বছরের ডিসেম্বর মাসে কলকাতা ময়দান মাতাতে আসছেন। ১৪ বছর পর বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকার ভারতে ফেরা নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হতে চলেছে।আগামী ডিসেম্বরে আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি তাঁর ভারত সফরের সূচনা করবেন কলকাতাতেই। আয়োজকদের ঘোষণা অনুযায়ী, তিনি ১২ই ডিসেম্বর রাতে মহানগরে পৌঁছাবেন এবং ১৩ই ডিসেম্বর কলকাতায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।কলকাতার আইকনিক সল্টলেক স্টেডিয়ামে (যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন) মূল অনুষ্ঠানগুলি হবে, যেখানে ২০১১ সালে মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে খেলেছিলেন।GOAT কনসার্ট এবং GOAT কাপ, ১৩ই ডিসেম্বর এই দুটি প্রধান ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। GOAT কাপ হবে একটি সেলিব্রেটর সেভেন-এ-সাইড (seven-a-side) সফট-টাচ ফুটবল ম্যাচ। বেশ কয়েকজন ভারতীয় কিংবদন্তির উপস্থিতির সম্ভবনা ওই খেলায়, সুত্রের খবর, এই বিশেষ ম্যাচে মেসির সঙ্গে মাঠে নামতে পারেন ভারতীয় ক্রীড়া জগতের তারকারা, যেমন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বাইচুং ভুটিয়া এবং লিয়েন্ডার পেজ প্রমুখ।ম্যচের শেষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মেসিকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও এই সফরের অঙ্গ হিসাবে কলকাতা শহরে মেসির একটি মূর্তি উন্মোচন-র আয়োজন চলছে।এই সফরে নানাবিধ অনুষ্ঠানের মধ্যে, ফুড অ্যান্ড টি ফেস্টিভ্যালঅনুষ্ঠিত হবে। কলকাতায় তাঁর প্রিয় পানীয় আর্জেন্তিনীয় ভেষজ চা মাটে-এর সঙ্গে আসামের চায়ের ফিউশন করে একটি বিশেষ খাদ্য ও চা উৎসবের আয়োজন করা হবে।কলকাতা ছাড়াও মেসি ভারতে আরও কয়েকটি শহর সফর করবেন, সেকারনে তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতার পর মেসি আরও চারটি-শহরে সফর করবেন। যেগুলি হল আহমেদাবাদ, মুম্বাই এবং নয়া দিল্লী। ১৫ই ডিসেম্বর তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর ভারত সফর শেষ করবেন। এই সফরের ইভেন্টগুলোর টিকিটের মূল্য ৩,৫০০ টাকা থেকে শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।মেসির প্রতিক্রিয়াদীর্ঘ ১৪ বছর পর ভারতে আসা নিয়ে মেসি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। একটি সরকারি বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সফর করতে পারা আমার জন্য খুবই সম্মানের। ভারত খুব স্পেশাল একটি দেশ, এবং ১৪ বছর আগে আমার সেখানে কাটানো মুহূর্তগুলোর খুব ভালো স্মৃতি আছে এখানকার ভক্তরা ছিল অসাধারণ। ভারত ফুটবল প্রেমী দেশ (passionate football nation), এবং আমি ফুটবলের প্রতি আমার ভালোবাসা নতুন প্রজন্মের ভক্তদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।২০২৫ এর ডিসেম্বর মাসে ফুটবল কিংবদন্তির আগমন শুধু কলকাতার নয়, গোটা ভারতের ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে এক বিশাল উৎসবের বার্তা নিয়ে আসছে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

সাংসদের ওপর হামলায় রাজ্যকে নিয়ে বড় প্রশ্ন মোদির, কড়া জবাব মমতার

বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলা নিয়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পাল্টা কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া লিখেছেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যের এবং গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোনো উপযুক্ত অনুসন্ধানের জন্য অপেক্ষা না করেই তা-ও আবার যখন উত্তরবঙ্গের মানুষ ভয়াবহ বন্যা ও ধসের সঙ্গে যুঝছেন।যখন সমগ্র স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে ব্যস্ত হয়ে আছে, তখন বিজেপি নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন বিপুল সংখ্যক গাড়ির কনভয় নিয়ে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে এবং স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে কোনো খবর না দিয়ে। রাজ্য প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ বা তৃণমূল কংগ্রেসকে কীভাবে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা যাবে?এখানেই থামেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী পদের গরিমা নিয়েও। প্রশ্ন তুলেছেন মোদির নৈতিকতা নিয়েও। তাছাড়া কোনও প্রমান ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর দোষারোপ করেছেন কিছুমাত্র প্রমাণ ছাড়া, আইনানুগ কোনো তদন্ত ছাড়া এবং কোনো প্রশাসনিক রিপোর্ট ছাড়া। এটা শুধু রাজনৈতিক নিম্নতা স্পর্শ করল না, যে সাংবিধানিক নৈতিকতা তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন, সেই নৈতিকতারও লঙ্ঘন হল। যে কোনো গণতন্ত্রে আইন তার নিজস্ব পথ নেয় এবং কোনো ঘটনার দায় নির্ধারিত হয় যথাযথ প্রক্রিয়ায় -কোনো রাজনৈতিক বেদীর উচ্চতা থেকে করা একটি ট্যুইটের মাধ্যমে নয়।উত্তরবঙ্গ কাল যাবো, আজ কার্নিভাল !!!কার্নিভাল নাকি বাংলার ঐতিহ্য ! তা দশমীর চার দিন পর সরকারি অনুদান আর প্রশাসনিক চোখ রাঙানির জেরে প্রতিমা নিরঞ্জন আটকে রেখে, মিছিল করিয়ে ঘাটে যাওয়া কবে থেকে বাংলার ঐতিহ্য হয়ে গেলো?আর মুখ্যমন্ত্রী চটজলদি উত্তরবঙ্গ যেতে আগ্রহী নন কেন, pic.twitter.com/mD0TeqWIaz Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) October 5, 2025মমতা বলেছেন, সংশ্লিষ্ট ঘটনা ঘটেছিল একটি কেন্দ্রে, যেখানে মানুষ নিজেরাই বিজেপির একজন বিধায়ককে নির্বাচন করেছেন। তথাপি এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের তথাকথিত শক্তিমত্তা দেখায় প্রধানমন্ত্রী দ্বিচারিতা অনুভব করলেন না। এই ধরনের অসার এবং অতি-সরলীকৃত সাধারণীকরণ শুধু অপরিণতই নয়, তা দেশের সর্বোচ্চ পদের সঙ্গে মানানসইও নয়।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের ওপর হামলা, নিন্দা নরেন্দ্র মোদীর, ফোন রাজনাথ সিংয়ের

বন্যা ও ভমি ধ্বসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। এরই মধ্যে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁদের ওপর তৃণমূল কংগ্রেস প্রাণঘাতী হমলা করেছে বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়েছেন খগেন মুর্মু। আঘাত পেয়েছেন শঙ্কর ঘোষ। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবার এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জখম সাংসদের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন। নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।আমার Narendra Modi (@narendramodi) October 6, 2025আমার একান্ত কামনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের সাহায্যে আরও মনোযোগী হোক। আমি বিজেপি কার্যকর্তাদের আহ্বান জানাই, তারা যেন জনগণের পাশে থেকে চলতি উদ্ধার কাজে সহায়তা করে যান।এদিকে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংজি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, তিনি টেলিফোনে আমার সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান এবং স্পষ্ট বার্তা দেন রাজনীতিতে হিংসার কোনো স্থান নেই। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই অন্যায় ও অত্যাচার কখনো মেনে নেবে না। সবাই মিলে এই হিংসার রাজনীতি প্রতিহত করতে হবে। বাংলার মানুষ গণতন্ত্রের শক্তিতে বিশ্বাস রাখে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal