তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেবকে পর্যটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হওয়ার প্রস্তাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেব ঘাড় নেড়ে সেই প্রস্তাবে রাজিও হয়ে যান। রাজ্যের পর্যটন দফতরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসাবে কাজ করবেন টলি অভিনেতা।বুধবার নবান্ন সভাগৃহে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোমোশনের বৈঠক চলছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেবও। হঠাৎই মুখ্যমন্ত্রী দেবকে বলেন, তুমি বাংলার অ্যাম্বাসাডর হও। দেব মাথা নাড়ে। প্রশ্ন ওঠে তাহলে কি বলিউডের বাদশা শাহরুখ খান থাকছে না। বিষয়টি স্পষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, তা নয়। শাহরুখ ব্যস্ত। তাই পর্যটনের ব্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হচ্ছে দেব। এ ব্যাপারে বিজ্ঞাপন তৈরির জন্য গৌতম ঘোষকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী দেবকে বলেন, তুমি আরও দু তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে নাও।
আজ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এআইডিএসও র ছাত্র মিছিল কলেজ স্কোয়ার পরিক্রমা করে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে শেষ হয়। বিষয়ঃ রাজ্যের ৮২০৭ টি সরকারি স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত রুখতে, দুর্নীতি মুক্তভাবে সমস্ত শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ সহ সরকারি স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ বাতিলের দাবিতে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার সুযোগ হরণকারী শিক্ষা নীতির বিরুদ্ধে, সরকারি শিক্ষা বাঁচানোর লক্ষ্যে রাজ্যের সংগ্রামী শিক্ষাপ্রেমী মানুষ, এবং এই উদ্দেশে আগামী ১০ মার্চ সারা বাংলা ছাত্র ধর্মঘটের ডাক । এআইডিএসও র আরো দাবী রাজ্যের ৮২০৭ টি স্কুলের যে ভয়াবহ চিত্র প্রকাশিত হয়েছে তা পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র শিক্ষক অভিভাবক সহ সমস্ত শিক্ষাপ্রেমী মানুষকে উদ্বিগ্ন করেছে। সম্প্রতি রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের স্কুল পর্যবেক্ষনের রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্যে ৩০ জনের কম ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে চলছে এমন স্কুলের সংখ্যা কলকাতা সহ প্রতিটি জেলায় কয়েকশ। সরকারি স্কুলে ছাত্র সংখ্যা কমে যাওয়ার ঘটনা আকস্মিক নয়। বামফ্রন্ট সরকারের সময়েও ছাত্র সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুলের সংখ্যা নেহাতই কম ছিল না। বর্তমান তৃণমূল সরকার এখনও পর্যন্ত এবিষয়ে সদর্থক কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বামফ্রন্ট সরকার প্রাথমিকে পাশফেল তুলে দিয়ে স্কুল শিক্ষার সর্বনাশ শুরু করে ড্রপআউট বৃদ্ধির প্রচেষ্টা শুরু করেছিল আর বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশফেল তুলে দিয়ে স্কুল শিক্ষাকে পুরোপুরি ধ্বংসের দিকে নিয়ে এসেছে৷ পাশাপাশি সরকারি স্কুলে প্রত্যেক বছর ব্যাপক ফি বাড়ানো হচ্ছে, যার ফলে সাধারণ দরিদ্র পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছে না। কোভিড পরিস্থিতির পরে পরিবারগুলোর রোজগারের পথ যখন বন্ধ হয়ে পড়েছে এবং এখনও রাজ্য সরকার শিক্ষার ফি মকুব করার মতন ছাত্রস্বার্থবাহী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। উপরন্তু মুখে কেন্দ্র সরকারের বিরোধিতা করলেও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নিয়ে আসা জাতীয় শিক্ষা নীতিকে তারা এ রাজ্যে চালু করেছে। যে শিক্ষা নীতি গণতান্ত্রিক, সার্বজনীন শিক্ষাকে ধ্বংস করে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে কর্পোরেট পুঁজির লুঠের মৃগয়াক্ষেত্রে পরিনত করছে। আর এক দিকে পাশ ফেল না থাকা, রাজ্যের স্কুলগুলোতে শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি এবং শিক্ষকের অভাব সরকারি স্কুলের পরিকাঠামোর বেহাল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ফলে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংখ্যা কমে যাওয়া কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আরও আশঙ্কা এই শিক্ষা নীতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছাত্র সংখ্যা কম এই অজুহাতে এই সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকেই পিপিপির আওতায় এনে সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকায় গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেশি বিদেশি মালিকদের হাতে তুলে দেবে সরকার। সেখানে রমরমিয়ে চলবে শিক্ষা ব্যাবসা। যার সাথে দেশের গরীব পরিবারের ছাত্রছাত্রীদেরর কোনও সম্পর্ক থাকবে না। এই প্রক্রিয়ার একটু একটু করে চলে যাবে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার সুযোগ। তাই সরকারের এই শিক্ষা স্বার্থবিরোধী, সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার সুযোগ হরণকারী শিক্ষা নীতির বিরুদ্ধে, সরকারি শিক্ষা বাঁচানোর লক্ষ্যে রাজ্যের সংগ্রামী শিক্ষাপ্রেমী মানুষ, ছাত্র শিক্ষক অভিভাবকদের উদ্দ্যেশ্যে আগামী ১০ মার্চ ছাত্র ধর্মঘটের আহ্বান রাখছি আমরা।
কর্মবিরতির পর এবার ধর্মঘটের ডাক। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আগামী ১০ মার্চ সরকারি দফতরে বনধের ডাক দিলেন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ ও কো অর্ডিনেশন কমিটি। এর আগে ধর্মঘটের দিন ঘোষণা হয়েছিল ৯ মার্চ। ওই দিন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা আছে। তাই এই পরিবর্তন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি ডিএ-র দাবিতে কর্মবিরতি পালন করে সরকারি কর্মীদের একাংশ।বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ১০ মার্চ বন্ধ ডাক। কো-অর্ডিনেশন কমিটির সঙ্গে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। কর্মবিরতির দিন সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছিল সরকারি কর্মীদের অফিসের কাজে যোগ দিতে। বনধেরও যে বিরোধিতা করবে রাজ্য তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। পর পর দুদিনের কর্মবিরতিতে সরকারের টনক না নড়ায় এবার পুরোপুরি ধর্মঘটের রাস্তায় হাঁটলেন সরকারি কর্মচারীরা। আগামী ১০ মার্চ হকের ডিএ-র দাবিতে প্রশাসনিক কাজকর্মে ধর্মঘটের ডাক দিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনগুলি। ওই দিন সরকারি দফতরে কাজকর্ম যে লাটে উঠবে। ডিএ নিয়ে যে সরকারি কর্মচারিদের সংগঠন সহজে ছেড়ে কথা বলবে না তা স্পষ্ট করেছে তাঁরা।
রাজ্যপাল হায় হায় বলে স্লোগান দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য সরকারের দেওয়া লিখিত ভাষণ পাঠ করা নিয়েই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। রাজ্যপালের ভাষণ চলাকালীন চোর ধরো জেল ভরো স্লাগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। ছিঁড়ে দেওয়া হয় রাজ্যপালের ভাষণের কপি। ওয়াকআউট করে বিজেপি বিধায়করা। এমনকী রাজ্যপাল বিধানসভা চত্বরে গাড়িতে ওঠার সময়ও গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা স্লোগান দিতে থাকেন।এর আগে প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সময় বিপরীত দৃশ্য দেখা যেত। তখন রাজ্যপালকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাত তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়করা, এখন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ছে বিজেপি বিধায়করা। একেবারেই উলোট-পূরাণ।গতবছর ২০২২ রাজ্য বাজেট অধিবেশনে তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ভাষণ না পাঠ করেই বিধানসভার কক্ষ ত্যাগ করছিলেন। তখন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, শিউলি সাহারা ঘেরাও করে ফেলেছিলেন ধনকড়কে। কোনওরকম ভাবে নামকা ওয়াস্তে রাজ্য সরকারের লিখিত ভাষণ পাঠ করে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর চোখের ইশারায় তৃণমূলের মহিলা বিধায়করা এমন কান্ড ঘটিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এখন বিজেপির স্লোগান-বিক্ষোভের সমালোচনা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যপাল বদলে যেতেই বদলে গেল বিধানসভার পরিস্থিতি। এমনকী রাজভবনকে তৃণমূল বলত বিজেপির সদর দফতর। এখন পরিস্থিতির অনেকটাই বদল ঘটেছে। জগদীপ ধনকড় রাজ্যপালের পদ ছেড়ে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হলে তাঁর বিরুদ্ধে ভোটই দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস।২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল। তখনও কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছে বিজেপি। তারপর সেন্ট জেভিয়ার্সে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডি লিট প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেছিলেন রাজ্যপাল।মোদ্দা কথা রাজ্যপালের কর্মকান্ডে খুশি নয় বঙ্গ বিজেপি। এখনও অবধি রাজ্যপালের অবস্থানে তৃণমূল স্বস্তিতে।
স্থায়ী রাজ্যপাল পেল পশ্চিমবঙ্গ। কেরলের বাসিন্দা ড. সিভি আনন্দ বোস নয়া রাজ্যপাল হচ্ছেন বাংলায়। অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গণেশনের ভূমিকা নিয়ে সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন অস্থায়ী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। এমনকী অভিযোগত্র তুলে দেওয়ার সময় রাজ্যপাল ছিলেন না রাজভবনে। রাজ্যপালের সেক্রেটারির কাছে দাবি সনদ পেশ করেন শুভেন্দুরা। এরপরই ঘোষণা হল বাংলার নয়া রাজ্যপালের নাম।I heartily welcome the appointment of Dr. C V Ananda Bose; IAS (Retd.) as the Honble Governor of West Bengal.An eminent Civil Servant, he accomplished great feats in his career. Before retirement he served as the Chief Secretary Secretary to Government of India. pic.twitter.com/TF13XTlaFN Suvendu Adhikari শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) November 17, 2022৭১ বছরের ডঃ সি ভি আনন্দ বোস পেশায় প্রাক্তন আইএএস অফিসার। জেলা থেকে রাজ্যস্তরের প্রশাসনে নানা সময় গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। এখন আনন্দ বোস মেঘালয় সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করছেন। নয়া রাজ্যপাল জানিয়েছেন বাংলার সঙ্গে তাঁর আত্মিক সম্পর্ক। তিনি কর্মজীবন শুরু করেছিলেন এরাজ্যেই। সেখানেই এবার রাজ্যপালের দায়িত্বভার সামলাবেন
২০১৪ টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার ৩০ জনকে বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হবে। জানা গিয়েছে, এঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করেছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। বুধবার আন্দোলনকারী অরুনিমা পালকে কামড়ে দেয় এক মহিলা পুলিশকর্মী। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই চারিদিকে নিন্দার ঝড় ওঠে। সেই অরুনিমা পালকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও কামড়ে দেওয়া পুলিশ কর্মী ভর্তি হয়েছেন এসএসকেএমে। চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনের জেরে গতকাল উত্তাল হয়ে যায় কলকাতার রাজপথ।এর আগে সল্টলেকে করুনাময়ীতে লাগাতার অনশন অবস্থানে বসেছিল ২০১৪ টেট উত্তীর্ণরা। তখন আদালত থেকে ১৪৪ ধারা অর্ডার বের করে গভীর রাতে আন্দোলন তুলে দিয়েছিল পুলিশ। সেদিনও টেনে-হিঁচড়ে পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়েছিল। তারপর থেকে আগের মতো ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে আন্দোলন করছিল। এদিন এক্সাইড মোড় ও ক্যামাকস্ট্রিটে চাকরি প্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পুলিশ প্রায় ২৮০ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করে। মাথা ফেটে যায় আন্দোলনকারীদের, পুলিশের গাড়ির তলায় শুয়ে পড়ে চাকরি প্রার্থীরা। পুলিশ কামড়ে দেয় অরুনিমা পালকে। তাঁকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৮০ জনের মধ্যে ৩০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের আজ আদালতে পেশ করা হবে।
উৎসবের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং নিয়ে চূড়ান্ত সতর্কতা এরাজ্যেও। কালীপুজোর আনন্দ মাটি করে দিতে পারে সিত্রাং। হাওয়া অফিসের চূড়ান্ত আপডেট, মঙ্গলবার ভোরেই আছড়ে পড়বে প্রবল শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়। তবে গতি অনুযায়ী ল্যান্ডফল হবে বাংলাদেশের বরিশালে। কিন্তু এই ঝড়ের ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে উপকূলবর্তী জেলাগুলি ও দক্ষিণবঙ্গের একাংশে। ইতিমধ্যেই ভোর থেকে বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বেলা বাড়তেই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোড়ে সিত্রাং বাংলাদেশের তিনকোনা দ্বীপ ও সন্দ্বীপের মাঝামাঝি কোনও একটা জায়গায় আছড়ে পড়বে। এখানে ল্যান্ডফল না হলেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে এরাজ্যেও। পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়া সিত্রাংয়ের প্রভাব পড়বে দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনায়। বৃষ্টি হবে কলকাতাতেও।বঙ্গোপসাগরে ইতিমধ্যেই শক্তি সঞ্চয় করেছে সিত্রাং, জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এদিন ভোর থেকেই রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ভারি বর্ষণের সঙ্গে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সিত্রাং সমুদ্র থেকে স্থলভাগের কাছাকাছি আসতেই ঝড়-বৃষ্টির দাপট বাড়বে।ইতিমধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে সরকারি দফতরের ছুটি বাতিল করেছে নবান্ন। সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। দুর্যোগ মোকাবিলায় সমস্তরকম ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া আগেই নিষেধ করা হয়েছে।
এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের পুজোর মুখে সুখবর শোনালেন স্কুল সার্ভিস কমিশন। নবম-দশম শ্রেণির চাকরি প্রার্থীরা ৫শো দিনের বেশি লাগাতার অবস্থানে বসে রয়েছেন মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে। বিভিন্ন সময় সেখানে গিয়েছেন শাসক দল থেকে বিরোধী দলের নেতৃত্ব। আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থীদের আশার বানী শোনালেও তাঁদের অবস্থা না আঁচালে বিশ্বাস নেইয়ের মতো। ২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা হওয়ার ৬ বছর পর ইন্টারভিউয়ের জন্য তাঁরা ডাক পেলেন। এসএসসি সূত্রে খবর, ইন্টারভিউয়ের জন্য ১৫৮৫ জনকে ডাকা হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে। পুজোর পর ইন্টারভিউতে ডাকা হবে চাকরিপ্রার্থীদের। স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট বা এসএলএসটি বঞ্চিত প্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করে চলেছেন। মেধা তালিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এদিন নয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহ অর্থাৎ কালীপুজোর আগে ইন্টারভিউ শুরু হবে। এসএসসি-র ওয়েবসাইট http://www.westbengalssc.com থেকে চাকরিপ্রার্থীরা ইন্টারভিউয়ের চিঠি ডাউনলোড করতে পারবেন। তারপর প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে কমিশনের অফিসে যোগাযোগ করতে হবে প্রার্থীদের।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পরে এরাজ্যে আর মুখ দেখা যায়নি বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। নির্বাচনের ১৫ মাস বাদে বাংলার পর্যবেক্ষক পদে বিজয়বর্গীয়কে সরিয়ে আনা হয় সুনীল বনশলকে। বাংলা সহ একাধিক রাজ্যের দায়িত্বে ছিলেন বনশল। দলে অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ এই নেতাকে এক মাসের মাথায় ফের সরিয়ে দিল বিজেপি। শুক্রবার সন্ধ্যায় দলের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে নতুন পর্যবেক্ষক ও দুজন সহকারি পর্যবেক্ষকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা নতুন পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করেছেন মঙ্গল পান্ডেকে। পান্ডে বিহার বিজেপির প্রদেশ সভাপতি ছিলেন। তাছাড়া ওই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও ছিলেন মঙ্গল পান্ডে। এরই পাশাপাশি রাঁচির দুবারের মেয়র ও আদিবাসী নেত্রী আশা লাকড়াকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সহকারি পর্যবেক্ষক হিসাবে। তিনি দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক পদে রয়েছেন। একইসঙ্গে অমিত মালব্যকে রেখে দেওয়া হয়েছে সহকারি পর্যবেক্ষক হিসাবে।সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন সুনীল বনশল। হঠাৎ একমাসের মধ্যে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ায় বিভ্রান্তিতে পড়েছে দলের একাংশ। কার্যত সুনীল বনশল এরাজ্যে কাজই শুরু করতে পারলেন না, তারই মধ্যে তাঁকে সরে যেতে হল দায়িত্ব থেকে।
সরদা মামলায় লাল ডায়েরী পর এবার কালো ডায়েরী নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। সারদা মামলায় লাল ডায়েরী উদ্ধার হওয়ার পর অনেকেই প্রবল উৎসুক ছিলেন কি কি বা কার কার নাম আছে এই লাল ডায়েরীতে। ইডি সুত্রে জানানো হয়েছে, পার্থ ঘনিষ্ট অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে একটি কালো ডায়েরী ও একটি পকেট ডায়েরী উদ্ধার করা হয়েছে। ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক অপরাধের ইতিহাস ঘাঁটতে গেলে বেশ কয়েকটি ডায়েরি রহস্য সামনে আসবেই। যেমন, নব্বইয়ের দশকের হাওয়ালা কেলেঙ্কারিতে সুরেন্দ্র জৈনের রহস্যময় ডায়েরী বা ২০১৭-১৮ তে সাহারার সর্বময় কর্তা সুব্রত রায়ের ডায়েরী, ২০১১-১২তে আলোড়ন সৃষ্টিকারি সারদা কর্তার লাল ডায়েরী এবার রহস্যের কেন্দ্রে এক কালো ডায়েরী যা ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ট অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের অভিজাত আবাসবনের ফ্ল্যাটে তল্লাশি করে পাওয়া গেছে। এছাড়াও সেখানের তল্লাশিতে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মুদ্রা, বিদেশী মুদ্রা এবং গয়না উদ্ধার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর তদন্তকারী দল।ইডি-র একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, রাজ্যের শিক্ষা দফতরের নাম লেখা ওই কালো ডায়েরিতে অর্থিক লেনদেন সহ বেশ কিছু হিসাব এবং বিশেষ কয়েকজনের নামের উল্লেখ রয়েছে ওই রহস্যময় ডায়েরীতে। কয়েকদিন আগে ইডি জানিয়েছিল, তাঁদের প্রাথমিক তদন্তের শেষে মনে হচ্ছে, পার্থ ঘনিষ্ট অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া রাশি রাশি টাকা, গহনা ও সম্পত্তির দলিলের সাথে এসএসসি-র নিয়োগে সংক্রান্ত দুর্নীতির অদৃশ্য কোনও যোগসূত্র রয়েছে। তদন্তকারী অফিসারেরা এখন ওই ডায়েরির সূত্র ধরেই সেই যোগ সূত্র খোঁজার চেষ্টা করছেন।বিশেষ সুত্রে জানা যাচ্ছে, রাজ্য শিক্ষা দফতরের ও স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নাম লেখা ওই কালো ডায়েরিতে অর্থিক লেনদেনের কিছু হিসাব এবং বিশেষ কিছু ব্যক্তির নামের লেখা আছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আগেই জানিয়েছিল, অর্পিতার মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া পাহাড় প্রমান টাকার সঙ্গে এসএসসি-র শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির বিশেষ যোগসূত্র রয়েছে বলে তাঁদের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। এখন রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে কালো ডায়েরী। এমনটা মনে করাই যায়, সামনের কয়েকটা দিন মানুষ অধীর আগ্রহে তাকিয়ে থাকবে ওই কালো ডায়েরীর কথা জানতে। কে বা কাদের কাদের নাম ওই রহস্যময় ডায়েরীতে লেখা আছে। মনে করা হচ্ছে ইডির তদন্তকারী দল ওই ডায়েরির সূত্র ধরেই রহস্যের কেন্দ্রবিন্দুতে পৌছানোর চেষ্টা করবেন।
ভারতীয় জনতা পার্টি-র সংসদীয় বোর্ড পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে উপ-রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসাবে বেছে নেওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের পরবর্তী রাজ্যপাল কে হবেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চুড়ান্ত জল্পনা শুরু হয়েছে। মাত্র দুবছর পর ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচন। ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে আশাতীত ভালো ফলের পর ২০২৪-এও রাজ্যে ভালো ফল পেতে মরিয়া বিজেপি শিবির। এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপাল পদে কে বসতে পারেন তা নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, তারা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের পদের জন্য উত্তরপ্রদেশের একজন শিয়া মুসলিম নেতা মুখতার আব্বাস নকভির কথা ভাবছেন। অতি সম্প্রতি রাজ্যসভার সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রক থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি।জগদীপ ধনখড়কে ২০১৯-এ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল৷ সাধারণভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যপালের নাম চূড়ান্ত করার আগে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই নাম নিয়ে প্রাথমিকভাবে পরামর্শ করে ঘোষণা করেন। যদিও সাংবিধানিক ভাবে এই আলোচনা কনওভাবেই বাধ্যতামূলক নয়। তবে, ফেডারেল কাঠামোতে এটি একটি প্রচলিত প্রথা। কিন্তু জগদীপ ধনখড়ের ক্ষেত্রে, তৎকালীন তৃণমূল সরকার অভিযোগ করেছিল, রাজ্যপাল হিসাবে ধনখড়ের নাম ঘোষণা করার পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যপালের নিয়োগের বিষয়ে অবহিত করার জন্য ডেকেছিলেন।সেই সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখমন্ত্রী খোলাখুলি ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন। ফলস্বরূপ, ধনখড়ের নিয়োগকে ঘিরে প্রাথমিকভাবে যে ফাটল তৈরি হয়েছিল তা সময়ের সঙ্গে ক্রমশ প্রসারিত হয়। তিক্ততা চরমে পৌঁছয়। ধনখড়ের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে রাজ্য বিধানসভায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নজিরবিহীনভাবে একটি নিন্দা প্রস্তাব নিয়ে আসে।অভিজ্ঞ রাজনৈতিক সচেতন মানুষের প্রশ্ন, এবার কী হবে? পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল নিয়োগের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে ফোন করবেন অমিত শাহ? লোকসভা নির্বাচনের আগে ধনকড়কে সরিয়ে কেন্দ্র ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে ইতিবাচক বার্তা পাঠিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, আগামী দিনে যে নতুন গভর্নর আসবেন, তিনি কি সংঘাতের পথ ধরে রাখবেন না সমঝোতার পথে হাঁটবেন? বিজেপি সূত্রে খবর, নকভি এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে যাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। তিনি একজন প্রাজ্ঞ রাজনৈতিক নেতা। তিনি অটল বিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় মমতার এক সময়ের সহকর্মীও ছিলেন। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে নকভি যথেষ্ট দক্ষ ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে এর আগে। অনেক রাজনীতিবিদই মনে করেন যে ধনখড় যেভাবে মমতার প্রকাশ্যে বিরোধিতা করতেন সে পথে হয়তো তিনি হাঁটবেন না। এছাড়া নকভির ওপর সরাসরি আক্রমণ রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। বিষয়টি একদিকে মমতাকে অস্বস্তিতে ফেলবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু শিলিগুড়ি পৌঁছেছেন। সোমবার তিনি বাগডোগরা বিমান বন্দরে অবতরণ করেন। বিধায়ক-সাংসদদের কাছে ভোট চাইতে তিনি বাংলায় এসেছেন। শিলিগুড়িতে দ্রৌপদী মুর্মু সিকিম ও আশেপাশের রাজ্যের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আগমিকাল তিনি কলকাতায় যাবেন। সেখানে এরাজ্যের দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন উত্তরবঙ্গে আছেন। তৃণমূল নেত্রী এর আগে রাষ্ট্রপতি পদে বিরোধীদের বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। অবিজেপি দলের রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন যশবন্ত সিনহা। যদিও পরবর্তীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপি প্রার্থী নিয়ে আলোচনা করেনি। দ্রোপদী মুর্মুর জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়ে দেন তিনি।
করোনার থাবা কিছুতেই কমছে না রাজ্যে। বরং ক্রমশ বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এদিকে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন নোবলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তিনি শান্তিনিকেতনের বাড়িতেই আইসোলেশনে আছেন। বাড়িতে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছে। আপাতত নোবেলজয়ীর ইংল্যান্ড যাত্রা বাতিল হয়েছে।গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় সংক্রিমত হয়েছেন ২,৯৬৮ জন। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ২,৯৫০ জন। এদিনও জেলাগুলির মধ্যে আক্রান্তের সংখ্য়ায় শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৩ জন। ঠিক পরের স্থান কলকাতার। মহানগরে আক্রান্ত হয়েছে ৭৪২জন। মোট ৯টি জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০০-এর ওপর। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে চিন্তায় ফেলেছে করোনার এই বাড়বাড়ন্ত। কমার কোনও লক্ষণ আপাতত দেখা যাচ্ছে না।করোনা আক্রান্ত হয়ে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এদিন মোট সুস্থ হয়েছেন ৬৬২ জন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬০৪ জন। হোম আইসোলেশনে আছেন ২০,৫৫৫জন। এদিন পজিটিভিটি রেট ছিল ১৫.৬৯।
বাংলায় করোনা সংক্রমণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তাহলে কী সত্যি চতুর্থ ঢেউ কি শুধু সময়ের অপেক্ষা? সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা চতুর্থ ঢেউ নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিলেন। একদিকে যেমন লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, সেই সঙ্গে পজিটিভিটি রেটও রোজ বৃদ্ধি পাচ্ছে।রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২,৮৮৯ জন। গতকালের তুলনায় বেড়েছে ৫৩৭ জন। গতকাল আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২,৩৫২। এই মাসের শুরুর দিন ১জুলাই করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন ১,৭৩৯জন। তখন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৩২৭ জন। এদিন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪৫৯জন।কলকাতাকে ছাপিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। পাশাপাশি ৯ জেলায় করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০০-র ওপর। গত ২৪ ঘন্টায় ২ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। এদিন পজিটিভিটি রেট ১৮.৭৪ শতাংশ। গতকাল পজিটিভিটি রেট ছিল ১৬.২৪ শতাংশ। ২৪ ঘন্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬১১ জন।রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০,৪২,৮৩১ জন। সুস্থতার হার ৯৮.১৫ শতাংশ। বাংলায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ২২,২৩৩ জন। মৃত্যু হার ১.০৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছে ৮১৯ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় ৮৩৪ জন।
হায়দরাবাদে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পরই মহাগুরু মিঠুনের কলকাতা আসাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে জোর শোরগোল শুরু হয়েছে। সোমবার মিঠুনের আসাকে কেন্দ্র করে বিজেপির রাজ্য কার্যালয়েও ভিড় ছিল নেতা-কর্মীদের। লোকসভা ভোটের প্রচারের পর এই প্রথম কলকাতায় পা রাখলেন বিজেপি নেতা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। মিঠুন বলেন, আমি রাজনীতি করি না। মানুষনীতি করি। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। প্রশ্ন করা হয়েছিল কেউ বলছে ২৪-এ কেউ বলছে ২৬-এ মমতা সরকার চলে যাবে। মিঠুনের স্পষ্ট জবাব, এ নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। তবে নির্বাচন পরবর্তী হিংসাতে খুব কষ্ট পেয়েছে বলে জানিয়েছেন কিংবদন্তী অভিনেতা। তাঁর কথায়, রাজনীতি থাকবে রাজনীতির জায়গায়। কেন হিংসা হবে। ২০২১ বিধানসভায় বিজেপির ফলাফল প্রসঙ্গে মিঠুন বলেন, আমি খুব খুশি ৩ থেকে ৭৭ হয়েছে। ৫৫ লক্ষ থেকে ২ কোটি ২৮ লক্ষ ভোট পেয়েছে বিজেপি। এটা সায়েন্স। প্রথমবারেই বাজিমাত হয়ে যাবে। তাতে নিরাশ হওয়ার কারণ নেই। বিজেপি একটা জায়গা তৈরি করেছিল। ওর থেকে ভাল জায়গা হয়েছে। তবে সেই সময় কর্মীরা আরও উৎসাহ পেলে ভাল হত বলে মনে করেন একাধিকবার জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা।ব্যক্তিগত ভাবে মানুষের জন্য় অনেক কাজ করেছেন বলে দাবি করেছেন সুপারস্টার। তবে তাঁর জন্য ক্ষমতার দরকার বলে তিনি মনে করেন। মিঠুন বলেছেন, মানুষের জন্য কাজ করতে গেল পাওয়ারের দরকার। কাজ করতে চাইলেও পারি না। আমাদের সরকার থাকলে মানুষের জন্য আরোও কাজ করতে পারব।
একনাগারে বেড়েই চলেছে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় সংক্রমণ হয়েছে ১,৭৩৯ জনের। গত কয়েক দিন পর পর বৃদ্ধি পেয়েছে সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়নি। গতকাল আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,৫২৪। বুধবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,৪২৪। মঙ্গলবার করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৫৪।এদিন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৫৬ জন। একদিনে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১১,৮১১ জনের। পজিটিভি রেট ১৪.৭২শতাংশ। কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩২৭ জন। হোম আইশোলেশনের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭,৯৫০ জন।
রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গতকালের পর এদিনও বৃদ্ধি পেয়েছে সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫২৪। গতকাল এই সংখ্যা ছিল ১৪২৪। মঙ্গলবার করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৫৪। করোনায় গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। এদিন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪১৪ জন। একদিনে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১১,৮২৭ জনের। পজিটিভি রেট ১২.৮৯শতাংশ। কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩০৩ জন। হোম আইশোলেশনে আছেন ৬,৬৯১।
ধীরে ধীরে বাড়ছিল করোনা সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার বাংলায় এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়লো করোনা সংক্রমণ। রাজ্যে এদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪৫ জন। তার মধ্যে সব থেকে বেশি কলকাতায় প্রায় সাড়ে তিনশো। উত্তর ২৪ পরগণায় আক্রান্তের সংখ্য়া প্রায় আড়াশো। একদিনে প্রায় ১৫০ শতাংশ বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। পজিটিভিটি রেট ৭.৩০ শতাংশ। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কোভিড-এ এদিন কারও মৃত্যু হয়নি। গতকাল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৯৫।বিগত কয়েকদিন ধরে দেশে সামগ্রিক ভাবে করোনা আক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছিল। বাংলায় করোনা বৃদ্ধি পেলেও সংখ্যা ছিল নেহাত অনেকটা কম। এদিনের আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধিতে বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বক্তব্য, বেশিরভাগ মানুষ মাস্ক পরা ছেড়ে দিয়েছেন। তবে যাঁরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছে তাঁদের বেশিরভাগেরই মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। তবে যাঁরা কঠিন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধি যথেষ্ট আশঙ্কার বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
গ্রন্থাগার অনেক থাকলেও নেই গ্রন্থাগারিক বা গ্রন্থাগার কর্মী। আর তার কারণেই তালা পড়ে গিয়েছে খোদ রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রীর নিজের জেলা পূর্ব বর্ধমানের প্রায় ১২ টি গ্রন্থাগ্রারে। আর সারা রাজ্যে তালা পড়েছে ৪৯০ টি গ্রন্থাগারে। এছাড়াও কর্মী হীনতার কারণে রাজ্যের সর্বত্রই এখন দুরাবস্থায় ধুঁকছে গ্রামীন গ্রন্থাগার গুলি। তা নিয়ে হতাশ বাংলার বই প্রেমিরা। বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা রাজ্য সরকারের সমালোচনায় মুখর হলেও রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী দাবি করেছেন, কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।যুগযুগ ধরেই বলা হয়ে আসছে অন্তহীন জ্ঞানের উৎস হল বই। আর গ্রন্থাগার অর্থাৎ লাইব্রেরি হল সেই বইয়েরই আবাসস্থল। তাই মূলত বাঙালির বই পড়ার আগ্রহ থেকেই রাজ্যে ১৫০০টির মতোন গ্রামীন গ্রন্থাগারের উৎপত্তি হয়। তার মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১৫১ টি গ্রন্থাগার রয়েছে। গ্রন্থাগার দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দেড় শতাধীক গ্রন্থাগার গুলি পরিচালনার জন্যে সরকারী ভাবে প্রথম থেকেই ৩৪০ জন স্টাফ অনুমোদিত হয়ে আছে। আগে ছিলেনও তাই। কিন্তু বর্তমান সময় পর্যন্ত গ্রন্থাগারিক ও গ্রন্থাগার কর্মী মিলিয়ে ২৬২ জন কর্মজীবন থেকে অবসর নিয়েছেন। তাঁদের শূণ্য পদে নতুন করে আর কোনও নিয়োগ হয় নি। ফলে এখন পূর্ব বর্ধমান জেলায় কর্মরত গ্রন্থাগারিক ও গ্রন্থাগার কর্মী মিলিয়ে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৭৮ জন।একই কারণে গোটা রাজ্যেও তৈরি হয়েছে গ্রন্থাগার কর্মীর ঘটতি। দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে ৪ হাজারের বেশী গ্রন্থাগার কর্মীর পদ এখন শূন্য হয়ে রয়েছে। তারমধ্যে প্রায় হাজারের বেশী গ্রন্থাগারিক (লাইব্রেরিয়ান) শূন্য পদ রয়েছে ।এত বিশাল সংখ্যক গ্রন্থাগার কর্মীর ঘাটতির কারণেই এখন কার্যত ধুঁকছে পূর্ব বর্ধমান সহ গোটা রাজ্যের গ্রামীণ গ্রন্থাগার গুলি।কর্মীদের কথায় জানা গিয়েছে, গ্রন্থাগার গুলির দুরাবস্থা কাটার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তৃণমূল সরকার তৃতীয় বার রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর। গত বছরের জুলাই মাসে রাজ্য সরকার শূন্যপদে নিয়োগের সিদ্ধান্তও নেয়। ২০২১ এর আগষ্ট মাস থেকে গ্রন্থাগারিক শূন্য পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে রাজ্যের গ্রন্থাগার পরিষেবা দফতরের তরফে ঘোষণা করা হয়। তাতে বলা হয়, প্রথম দফায় ৭৩৮ টি গ্রন্থাগারিক শূন্য পদে নিয়োগ হবে। রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরিও সেই কথা সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন। কিন্তু ঘোষণার সঙ্গে বাস্তবের কোন মিল আজও যেমন দেখা যায়নি, কাজের কাজও কিছু হয়নি। এমনটাই অভিযোগ, দুর্দশাগ্রস্ত গ্রন্থাগার গুলির পরিচালন কমিটির কর্তা ব্যক্তিদের। তাঁরা এও জানান, সম্প্রতি রাজ্য সরকার রাজ্যের ২৩ জেলা মিলিয়ে মোট ৭৩৭ টি গ্রামীণ লাইব্রেরিতে লাইব্রেরিয়ান শূন্যপদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবারও যদি ঘোষণা মতো কাজ না হয় তবে আরো বহু পাঠাগারে তালা পড়ে যাবে।জেলা গ্রন্থাগারিক (পূর্ব বর্ধমান) নির্মাল্য অধিকারী জানিয়েছেন, গ্রন্থাগার কর্মীর সীমাহীন ঘাটতির কারণে জেলায় এখন প্রায় ১২ টি গ্রন্থাগার পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হয়েছে। বাকি গ্রন্থাগার গুলি কোনরকমে সপ্তাহে একদিন বা দুদিন চালু রাখা হচ্ছে শুধুমাত্র সম্পদ টুকু বাঁচিয়ে রাখার জন্যে। তাও সব জায়গায় গ্রন্থাগারিক দিয়েই যে গ্রন্থাগার চালু রাখা যাচ্ছে, এমনটাও নয়। সম্পদ বাঁচিয়ে রাখার জন্যে এক একজন গ্রন্থাগার কর্মী বা গ্রন্থাগারিককে এখন একাধীক গ্রন্থাগারের দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে। এমনকি বহু গ্রন্থাগারিক পদ শূন্য থাকায় বেশীরভাগ জায়গায় গ্রন্থাগার কর্মীদেরকেই গ্রন্থাগার সামলাতে হচ্ছে ।তালা বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা জেলার গ্রন্থাগার গুলির অন্যতম একটি হল জামালপুর সাধারণ পাঠাগার। দেশ স্বাধীন হওয়ার অনেক আগে ১৯৩৬ সালে এই পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তার পর থেকে ঐতিহ্যশালী এই পাঠাগারটি স্বাভাবিক নিয়মেই চলছিল। কিন্তু গত ৭ মাস কাল যাবৎ এই পাঠাগারটির দরজা তালা বন্ধ হয়েই পড়ে রয়েছে। কারণও সেই একটাই। এই পাঠাগারের পাঠাগারিক ও পাঠাগার কর্মী অবসর নেওয়ার পর তাঁদের শূন্য পদ আজও পূরণ হয় নি। পাঠাগারটির পরিচালন কমিটির সভাপতি অরুপ মল্লিক ও যুগ্ম সম্পাদক দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন,স্বাধীনতার আগে তৈরি হয়েছিল জামালপুর সাধারণ পাঠাগার। কর্মী শূণ্যতার কারণে সেই পাঠাগারের দরজায় যে তালা পড়ে যাবে সেটা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। বিষয়টি নিয়ে লিখিত ভাবে সংশ্লিষ্ট দফতরে একাধীকবার জানানো হয়েছে। তবে এখনও অবধি কোন সুরাহার ব্যবস্থা হয় নি। একই রকম পরিণতির অপেক্ষায় দিন গুনছে ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত জামালপুর ব্লকের জাড়গ্রামের মাখনলাল স্মৃতি পাঠাগার। পাঠাগারিক ও পাঠাগার কর্মীরা অবসর নেওয়ার পর এখন একজন মাত্র দপ্তরী কাম বুক বাইন্ডার এই পাঠাগারটির হাল ধরে আছেন। ওই বুক বাইন্ডারই অন্য পাঠাগার সামলে সপ্তাহে ১-২ দিন মাখনলাল স্মৃতি পাঠাগারটি খুল বসছেন। এমন দুরাবস্থায় ধুঁকছে জেলার আরো অনেক পাঠাগার। তাই স্বাভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, কবে কাটবে বাংলার গ্রামীন পাঠাগার গুলির এই দুরাবস্থা?এরই উত্তর পাবার জন্যে রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী তথা মন্তেশ্বরের বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, কাগজে কলমে রাজ্যে লাইব্রেরির সংখ্যা ২৪৮০টি। এর মধ্যে গ্রামে রয়েছে ১৫০০টি লাইব্রেরি। তবে ২৬ টি লাইব্রেরির কোন অস্তিত্বনেই। ২৪৫৪ টি লাইব্রেরির মধ্যে ৪৯০ টি লাইব্রেরি এখন বন্ধ রয়েছে কর্মীর অভাবে। ১৯০০ কিছু বেশী লাইব্রেরি এখন চালু রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৬০০ লাইব্রেরি এখন অ্যাডিশনাল চার্জে চলছে। মন্ত্রী জানান, লাইব্রেরিয়ান শূণ্য পদ পূরণে মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগী হওয়ায় রাজ্যে ৭৩৭টি লাইব্রেরিয়ান শূণ্য পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ঠিকঠাক কাজ চললে আগামী চার মাসের মধ্যে ৫০ শতাংশ লাইব্রেরিয়ান শূণ্য পদে ফিলাপ পক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এটা হয়েগেলে অ্যাডিশনাল চার্জ আর কাউকে নিতে হবে না। পাশাপাশি মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি এও জানান, আমফানে রাজ্যের লাইব্রেরি গুলির প্রায় ১০ লক্ষ বই নষ্ট হয়েছে। আর কোথায় কিভাবে বই নষ্ট হয়েছে সে বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। গ্রন্থাগার মন্ত্রীর কথায় ইঙ্গিত মিলেছে, সপ্তাহে পাঁচ দিন লাইব্রেরী খোলা থাকার দিন এবার এবার শেষ হতে চলেছে। এবার থেকে শুধু মাত্র প্রতি সপ্তাহের রবিবার লাইব্রেরি খোলা রাখার বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে দপ্তর।
মে যেন ঘূর্ণিঝড়ের মাসে পরিণত। এর আগেও মে-তেই নানান ঝড় এসেছে বঙ্গে। বা ঝড়ের প্রভাবে লাগাতার বৃষ্টি হয়েছে। ফের ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, গতকাল দক্ষিণ আন্দামান সাগরের ঘূর্ণাবর্ত আজ, শনিবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে এই নিম্নচাপ রবিবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী মঙ্গলবার এই ঘূর্ণিঝড় পাশের ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলের কাছে অবস্থান করবে। আবহাওয়ায় এই পরিবর্তনের দরুন বঙ্গে আগামী মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুত্-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ইতিমধ্যে উপকূলবর্তী এলাকায় ঘোষণা করা হয়েছে, মত্স্যজীবীরা যেন ওই সময় সমুদ্রে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকেন। এদিন সন্ধ্যাতে ঘূর্ণাবর্ত গভীর নিম্নচাপে পরিবর্তন হবে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।