• ২৯ কার্তিক ১৪৩২, মঙ্গলবার ১৮ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

West Bengal

রাজ্য

ফর্ম না–পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ, পূর্ব পুটিয়ারিতে বৃদ্ধার মৃত্যুর পর আলোচনায় প্রশাসনিক বিভ্রান্তি

কলকাতার পূর্ব পুটিয়ারিতে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগতে থাকা এক বৃদ্ধা আগুনে পোড়া অবস্থায় প্রাণ হারালেনএমনই দাবি করেছেন তাঁর পরিবার। মৃতার নাম যমুনা মণ্ডল, বয়স ৬৭। পরিবার জানিয়েছে, বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এলাকায় ভোটার এনুমারেশন ফর্ম বিলি হচ্ছিল। আশপাশের বাড়িগুলিতে ফর্ম পৌঁছোলেও তাঁদের বাড়িতে পৌঁছায়নি। সেই কারণেই যমুনা দেবী অস্বাভাবিক আতঙ্কে ভুগছিলেন।যমুনার ছেলে মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল বলেন, তাঁর মায়ের আগে থেকেই স্নায়ুর সমস্যা ছিল। ফর্ম না পাওয়ায় উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়। গত শনিবার তাঁরা অবশেষে এনুমারেশন ফর্ম পান। কিন্তু তাতেও যমুনা দেবীর ভয়ের অবসান হয়নি বলে দাবি পরিবারের। সোমবার সকালে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।এদিকে দক্ষিণ দমদম থেকেও সামনে এসেছে আর-একটি মর্মান্তিক ঘটনা। সেখানকার আরএন গুহ রোডের বাসিন্দা বৈদ্যনাথ হাজরা, বয়স ৪৬, কয়েকদিন ধরে এসআইআরসংক্রান্ত দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, বৈদ্যনাথ বাবুর ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল নাএই বিষয়টি তাঁকে মানসিকভাবে অস্থির করে তুলছিল। দুদিন আগে গভীর রাতে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তাঁর মোবাইল ফোন বাড়িতেই পড়ে ছিল। পরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। আজ তাঁর দেহ উদ্ধার হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, এসআইআরনিয়ে তৈরি হওয়া ভয়ই তাঁকে চরম পদক্ষেপে ঠেলে দিয়েছে।এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভয় ও বিভ্রান্তির অভিযোগ উঠছে। এই ঘটনাগুলিকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে দায়ী করেছে। আবার বিজেপির অভিযোগ, আতঙ্ক ছড়িয়ে ভোট রাজনীতি করছে রাজ্যের শাসকদলই।ঘটনাগুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠেছে। কিন্তু দুই পরিবারের মর্মান্তিক ক্ষতি পাহাড়প্রমাণ প্রশ্ন তুলছেএসআইআরসম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে এত ভয় ও বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে কেন, এবং এই আশঙ্কা দূর করতে প্রশাসনের আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন কি না।(মানসিক চাপ বা সংকটে থাকলে যেকোনও সময় কিরণ ১৮০০-৫৯৯-০০১৯ হেল্পলাইনে সাহায্য পাওয়া যায়।)

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
রাজ্য

হাওয়ার দাপটে ঠান্ডা জোরালো! বাংলায় পারদ নামছে নভেম্বরের মাঝেই

লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার সামনে এল এমন তথ্য, যা তদন্তকে আরও জটিল করে তুলেছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে ৯ এমএম ক্যালিবারের তিনটি কার্তুজযার মধ্যে দুটি তাজা এবং একটি ফাঁকা শেল। সাধারণ মানুষের হাতে এ ধরনের কার্তুজ থাকে না। সাধারণত সেনাবাহিনী বা বিশেষ অনুমোদনপ্রাপ্ত সংস্থার কাছেই এই ধরনের কার্তুজ থাকে। ফলে বিস্ফোরণের ঘটনার পর এই উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে তীব্র রহস্য।সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়নি। তাই প্রশ্ন উঠছেকার্তুজগুলি কি বিস্ফোরণের সময়ই ছিল, নাকি পরে কোনও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে রাখা হয়েছে তদন্তকে ঘোলাটে করতে? ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা প্রতিটি কার্তুজ খতিয়ে দেখছেন। সেগুলির উৎপত্তি থেকে শুরু করে ব্যবহারের সম্ভাব্য সময়সবই যাচাই হচ্ছে দ্রুতগতিতে।এদিকে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এবং এনআইএ তদন্ত আরও জোরদার করেছে। বিশেষত আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিক্যাল কলেজের একাধিক কর্মীর উপর নজর বাড়ানো হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি বা পরোক্ষ কোনও যোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি। বিস্ফোরণের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ১৫ জন চিকিৎসকের মোবাইল ফোন বন্ধ। ফলে সন্দেহ আরও গভীর হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে ওই প্রতিষ্ঠানের নামে দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।তদন্তকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওখলা অফিসেও হানা দিয়েছেন এবং বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করেছেন। বিস্ফোরণের সময় গাড়িতে ছিলেন ডঃ উমর। জানা গিয়েছে, তিনি বিভিন্ন হাওয়ালা রুটের মাধ্যমে ২২ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন। সেই টাকা কোথা থেকে এসেছে এবং তার ব্যবহারের উদ্দেশ্য কী ছিল, তাও এখন তদন্তের কেন্দ্রে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকিদের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে। লালকেল্লার মতো সংবেদনশীল এলাকার পাশে বিস্ফোরণের ঘটনায় একের পর এক তথ্য সামনে আসায় গোটা রাজধানীতে আবারও ছড়িয়েছে উদ্বেগ।তদন্ত যত এগোচ্ছে, রহস্য ততই গভীর হচ্ছে। কার্তুজ উদ্ধার, নিখোঁজ চিকিৎসক, হাওয়ালা লেনদেনসব মিলিয়ে বিস্ফোরণের পেছনে কোনও বড় চক্র সক্রিয় থাকার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তদন্তকারীদের মতে, এখনও পাওয়া তথ্য বরফের চূড়া মাত্র। আসল সূত্র পাওয়া গেলে উঠে আসতে পারে আরও বিস্ফোরক তথ্য।

নভেম্বর ১৬, ২০২৫
রাজ্য

লালকেল্লা বিস্ফোরণে বাংলার যোগ! উত্তর দিনাজপুর থেকে মেডিক্যাল ছাত্র গ্রেফতার, এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য

দিল্লির লালকেল্লার বাইরে যে বিস্ফোরণ-কাণ্ড দেশজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি করেছে, সেই মামলায় উঠে এল বাংলার যোগ। উত্তর দিনাজপুরের সূর্যাপুর বাজার এলাকা থেকে এনআইএ শুক্রবার ভোরে গ্রেফতার করেছে হরিয়ানার আলফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিবিএস পড়ুয়া যাহ নিশার আলমকে। জাতীয় তদন্ত সংস্থার বিশেষ দল গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে সকালেই তাকে আটক করে। হঠাৎ এই গ্রেফতারি ঘিরে এলাকায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে।পরিবার এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যাহ নিশারের আদি বাড়ি পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় হলেও তাঁর পৈতৃক ভিটে ডালখোলা থানার কোনাল গ্রামে। বহু বছর আগে তাঁর বাবা তৌহিদ আলম কাজের সূত্রে লুধিয়ানা গিয়ে সেখানেই স্থায়ী হন। তবুও গ্রাম-পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক আজও অটুট। কয়েক দিন আগে এক আত্মীয়ের বিয়েতে যোগ দিতে মা ও বোনকে নিয়ে কোনাল গ্রামে এসেছিলেন নিশার। কিন্তু সেই সফরেই তাঁর জীবনে নামল ঝড়বিয়ের আনন্দের মাঝেই এনআইএ তাকে তুলে নিয়ে যায়।তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের তদন্তে প্রথমেই তাঁরা লুধিয়ানায় তৌহিদ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকেই জানা যায় যাহ নিশার এখন উত্তর দিনাজপুরে। খবর মিলতেই দ্রুত উত্তরবঙ্গে পৌঁছে যায় এনআইএর বিশেষ দল। মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করেই নিশারকে চিহ্নিত করা হয় বলে দাবি। তাঁর ফোনের সিগন্যাল দেখাচ্ছিল সূর্যাপুর বাজার সংলগ্ন এলাকা। তারপরই সেখানে হানা দিয়ে তাকে আটক করা হয়। প্রথমে তাকে ইসলামপুরে জিজ্ঞাসাবাদে রাখা হয়, পরে আরও তথ্যের খোঁজে শিলিগুড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।এদিকে যাহ নিশারের গ্রেফতারির খবরে হতবাক পরিবার এবং গ্রামের মানুষ। তাঁর কাকা আবুল কাশেম বলেন, ভাইপোকে আমরা ছোটবেলা থেকেই শান্ত-স্বভাবের ছেলে হিসেবে চিনি। সে পড়াশোনা ছাড়া অন্য কোনও বিষয়েই মাথা ঘামায় না। গ্রামের লোকেরাও একই কথা বলছেনশান্ত, ভদ্র, শিক্ষিত পরিবারের ছেলে। এমন বিস্ফোরক ঘটনার সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে যাওয়া তাদের কাছে অবিশ্বাস্য।এই গ্রেফতারি শুধু পরিবারকেই নয়, গোটা গ্রামকে নাড়িয়ে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা এখনও পর্যন্ত কিছু স্পষ্ট জানায়নি, তবে তারা মনে করছে, দিল্লি বিস্ফোরণ তদন্তে যাহ নিশারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হতে পারে। এখন নজর সকলেরশিলিগুড়িতে চলা জেরা থেকে কী নতুন তথ্য বেরিয়ে আসে।

নভেম্বর ১৫, ২০২৫
রাজ্য

শীতের আনন্দে আচমকা ব্রেক! রবিবার থেকে বাড়বে পারদ, ঘন কুয়াশায় রাজ্যের জেলাগুলিতে বিপত্তি

রাজ্যের আবহাওয়া হঠাৎই বদলে যেতে চলেছে। টানা কয়েক দিন ধরে শীতের হাওয়া আর কম তাপমাত্রার জেরে সকাল-সন্ধ্যায় জমে থাকা ঠান্ডায় সকলে শিরশিরানি টের পাচ্ছিলেন। অনেকের ঘরে ফ্যান বন্ধ, কেউ কেউ বের করে ফেলেছেন গরম জামা। শনিবার সকালেও সেই একই শীতল আমেজ। পশ্চিম দিক থেকে বাধাহীন শীতল হাওয়া বয়ে যাচ্ছে, ফলে তাপমাত্রা নেমেছে স্বাভাবিকের দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে। কিন্তু এই শীত-জমাট পরিস্থিতির শেষ হতে চলেছে খুব দ্রুতই। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, রবিবার থেকেই পুরো আবহাওয়ায় শুরু হবে বড় ধরনের বদল।শনিবার পর্যন্ত যদিও বঙ্গোপসাগরে কোনও আবহাওয়াগত সিস্টেম ছিল না, তাই বৃষ্টির সম্ভাবনাও ছিল না। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টে যাবে হাওয়ার গতিপথ। রবিবার থেকে রাজ্যে ঢুকবে পূবালী বাতাস, সঙ্গে বেড়ে যাবে আর্দ্রতা। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় রবিবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে, পারদ উঠে আসবে স্বাভাবিকের কাছাকাছি। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব কমে গিয়ে রাজ্যের আকাশে থাকবে জলীয় বাষ্পের আধিক্য। কুয়াশা বাড়বে উত্তর ও দক্ষিণদুই বাংলাতেই, বিশেষত ভোরবেলায় দৃশ্যমানতা অনেকটাই কমে গিয়ে ২০০ মিটারে নামতে পারে। পাহাড়ি জেলা এবং উপকূলের এলাকাগুলিতে কুয়াশার দাপট আরও বেশি থাকবে, কোথাও কোথাও দেখা যেতে পারে মেঘলা আকাশও।এদিকে দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত, যার প্রভাব পড়ছে শ্রীলঙ্কার উপকূলে। দক্ষিণ বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকাতেও তৈরি হয়েছে আরেকটি আপার এয়ার সার্কুলেশন। এই দুটি সিস্টেম মিলেই রাজ্যের বাতাসে আর্দ্রতা বাড়াবে বলে মনে করছেন আবহবিদরা।উত্তরবঙ্গে এখনই তেমন কোনও বড় পরিবর্তন নেই। সেখানে চলবে শুষ্ক ও ঠান্ডা আবহাওয়া, বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্বাভাবিকের থেকে দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কম তাপমাত্রা নিয়েই আগামী ৬-৭ দিন বজায় থাকবে শীতের আমেজ।কলকাতায় শনিবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের প্রায় তিন ডিগ্রি নীচে। রাতের পারদ এখনো ১৭ ডিগ্রি ঘরে। তবে রবিবার থেকে শহরের তাপমাত্রা বেড়ে পৌঁছতে পারে ১৯ বা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শুক্রবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ঘোরাফেরা করেছে ৪১ থেকে ৯২ শতাংশের মধ্যে।অর্থাৎ, কয়েক দিন যে জোরালো শীতের আভাস মিলছিলসেটি রবিবার থেকেই নরম হতে চলেছে। শীত-হাওয়া সরলেও ভোরের কুয়াশা কিন্তু আরও ঘন হবে। ফলে সকালবেলার যাতায়াতে বাড়তে পারে সমস্যাও।

নভেম্বর ১৫, ২০২৫
কলকাতা

SIR-এ ঝড়! বিহারের ভোটে হাওয়া বদলে দিল তিন অক্ষরের শব্দ—বাংলায় কি নিশ্চিত ভূমিকম্প?

বিহারের ভোটে সবচেয়ে বেশি যেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা হল SIRস্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন। তিন অক্ষরের এই শব্দই সাম্প্রতিক রাজনীতিতে ঝড় তুলেছিল। বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিল, সরকার নাকি ভোটার তালিকা কাটাছাঁট করে বিরোধী ভোট সাফ করার চেষ্টা করছে। ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে দেশের রাজনীতিতে এত বিতর্ক প্রায় কখনও হয়নি। আজ যখন বিহারের রায় স্পষ্টনীতীশ কুমার ও NDA-র জয়জয়কারস্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এই SIR ইস্যু ভোটে কতটা প্রভাব ফেলল?এই প্রশ্ন গুরুত্ব পাচ্ছে আরও একটি কারণে২০২৬ সালে বাংলার ভোট। বাংলাতেও চলছে SIR প্রক্রিয়া। ফলে বিহারের ফলাফলের পর SIR ঘিরে নতুন করে আলোচনা জোরদার হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এখানে Popular Sovereignty, অর্থাৎ শেষ কথা বলছেন জনতাই। বিরোধীরা যতই ন্যারেটিভ তৈরি করুক, জনতার মন যে কোন দিকে ঘুরে গিয়েছে, সেটা ঠিকমতো বুঝতে পারেনি তারা। SIR ইস্যুকেই তারা রাজনৈতিক Bandwagon Effect হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল, কিন্তু শেষমেষ হাওয়া যেন উলটেই গেল।বিগত ২৪ জুন নির্বাচন কমিশন SIR-এর নোটিফিকেশন জারি করে। মৃত, ভুয়ো এবং অনুপস্থিত ভোটার বাদ দেওয়াই ছিল লক্ষ্য। ২৫ জুন থেকে শুরু হয় ফর্ম ফিলআপ। ১ অগাস্ট বেরোয় খসড়া তালিকা। এরপর দাবি-আপত্তির শুনানি। ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয় চূড়ান্ত ভোটার লিস্ট। কিন্তু এই প্রক্রিয়া ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধীরা তেড়ে আসে। আরজেডি, কংগ্রেস, বামসবাই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে বিরোধীরা সরাসরি বিজেপির দালাল বলে কটাক্ষ করে।সবচেয়ে জোরালো ছিলেন তেজস্বী যাদব। তাঁর দাবি, SIR করে বিরোধীদের ভোট কেটে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এমনকি তিনি অভিযোগ করেনখসড়া ভোটার তালিকায় নাকি তাঁর নিজের নামই নেই। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এই সুরে সুর মিলিয়ে বলেনSIR হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক ভোটচুরি এবং নির্বাচন কমিশন নাকি বিজেপির হয়ে কাজ করছে।কিন্তু এই সব অভিযোগকে পাত্তা দেয়নি বিজেপি বা নীতীশ কুমারের দল। তাদের বক্তব্য, SIR চলছে বহু বছর ধরে, ভুয়ো ভোটার বাদ দেওয়ার এটাই সঠিক উপায়। বিজেপির প্রেম শুক্লা কটাক্ষ করে বলেন, SIR নিয়ে কংগ্রেস যত কথা বলেছে, তার ফলেই তারা এখন ১টা সিটে এসে দাঁড়িয়েছে।শেষ পর্যন্ত দেখাই গেলবিহারের ভোটাররা বিরোধীদের অভিযোগ মানল না। তারা SIR নিয়ে শঙ্কা উড়িয়ে NDA-র সঙ্গেই দাঁড়াল। NDA ২০০টিরও বেশি আসনে এগিয়ে গেল। SIR ইস্যু নিয়ে যে রাজনীতি হয়েছিল, তার প্রভাব ভোটে খুব একটা টের পাওয়া গেল না।বাংলাতেও এখন SIR নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক তর্ক। BLO-রা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম দিচ্ছেন, ভোটার যাচাই করছেন। কিন্তু তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছেএই প্রক্রিয়ায় নাকি অসংখ্য সাধারণ মানুষের নাম বাদ যাবে। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থী, মতুয়া, রাজবংশীএই ভোটব্যাঙ্ককে লক্ষ্য করে বিজেপি নাকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নাম কেটে দেবে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি আক্রমণ করেন নির্বাচন কমিশন ও জ্ঞানেশ কুমারকে। বিজেপিকেও এক হাত নেন। তাঁর দাবি, SIR হচ্ছে বিজেপির সুবিধা করার অপারেশন, যেখানে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার বিপন্ন। অখিলেশ যাদবও মমতার সুরে সুর মিলিয়ে বলেন, বিহারে যে খেলা SIR নিয়ে হয়েছে, তা বাংলায় বা উত্তরপ্রদেশে চলবে না। তিনি হুঁশিয়ারি দেনএবার আমরাও খেলব।অন্যদিকে বিজেপি দাবি করছেSIR-এ ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আগেও হয়েছে। ভুয়ো, মৃত বা অন্য রাজ্যে চলে যাওয়া ভোটারদের নাম কাটলেই স্বাভাবিক তালিকা তৈরি হবে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবিবাংলায় প্রায় ১ কোটি ভুয়ো/অবৈধ ভোট রয়েছে। এগুলো বাদ পড়লে তৃণমূলের ভোট মার্জিন কমবে। এমনকি বিজেপির দাবিSIR শুরু হওয়ার পরই অনেক অবৈধ ভোটার নাকি এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছে।তাহলে বিহারের মতো বাংলাতেও কি SIR-এ বদলে যাবে সমীকরণ? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত কিন্তু বিভক্ত। একাংশ বলছেবিহারের সঙ্গে বাংলার পরিস্থিতি এক নয়, তৃণমূলের সংগঠনের শক্তি বিশাল। আবার অন্য পক্ষের মতেবিজেপি ও তৃণমূলের ভোটের তফাৎ মাত্র ৪-৫ শতাংশ। SIR-এর কারণে ভোটার তালিকা পরিষ্কার হলে গেরুয়া শিবিরই লাভবান হতে পারে।শেষ পর্যন্ত কোন ভবিষ্যৎ ঘটবে তা জানতে হলে ২০২৬ পর্যন্ত অপেক্ষা ছাড়া পথ নেই। তবে বিহারের ছবিটা স্পষ্টমহাগঠবন্ধনকে খড়কুটোর মতো উড়িয়ে নীতীশ কুমার ও NDA-ই এগিয়ে ২০৮টি আসনে, আর বিরোধীরা মাত্র ২৮টিতে। বিশাল ব্যবধানে NDA-র রিটার্ন।

নভেম্বর ১৪, ২০২৫
কলকাতা

বিহারের ফল বাংলায় প্রভাব ফেলবে? কুণাল ঘোষের মন্তব্যে নতুন করে বিতর্ক

আর মাত্র কয়েক মাস পরে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। ঠিক সেই সময়েই বিহারে এনডিএ-র বিপুল আসনজয় বাংলার রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিজেপি শিবিরে এখন একটা কথাই ঘুরপাক খাচ্ছেবিহার পারলে বাংলা-ও পারবে। বিহারের জয়ের পর থেকেই গেরুয়া শিবিরের বহু নেতা প্রকাশ্যে দাবি করছেন, এবার পালা বাংলার।এই উচ্ছ্বাসের পাল্টা জবাব দিতে বেশি সময় নিলেন না তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্যবাংলার মাটি আলাদা, বাংলার ভোটের চরিত্রও আলাদা। বিহারের ফল বাংলায় কপি-পেস্ট হবে না। রাজনৈতিক মহলে আলোচনায় এসেছে আরেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা SIR প্রক্রিয়া। বিহারে SIR শেষ হওয়ার পরই ভোটগ্রহণ হয়েছে। বাংলাতেও ইতিমধ্যে SIR শুরু হয়ে গিয়েছে, আর সে কারণেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রক্রিয়া শেষ হলেই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বিজেপি নেতা অর্জুন সিং অবশ্য দাবি করেছেন, বাংলায় SIR-এর প্রভাব বিজেপির পক্ষে যাবে।কিন্তু কুণাল ঘোষ এই দাবিকে সরাসরি নস্যাৎ করেছেন। বিহারের প্রাথমিক গণনা চলাকালীনই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখে দেনবিহারের ভোট বাংলায় কোনো প্রভাব ফেলবে না। তাঁর দাবি, বাংলার মানুষের কাছে উন্নয়ন, ঐক্য, সম্প্রীতি, অধিকার, আত্মসম্মানএই সবই সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আবারও আড়াইশোর বেশি আসন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলে তিনি আত্মবিশ্বাসী।কুণালের অভিযোগ, বাংলায় SIR এবং তার সঙ্গে জড়িত নানা প্রক্রিয়ায় বিজেপি ও জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে চক্রান্ত হতে পারে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি ও ক্ষমতার অপব্যবহারও হতে পারে বলে তাঁর আশঙ্কা। তবে তৃণমূল যে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবে এবং মানুষের সঙ্গে সংযোগ বাড়িয়ে BJP-র সব ষড়যন্ত্র ভেস্তে দেবে, সেকথা তিনি বারবার উল্লেখ করেছেন।এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কুণাল। তাঁর বক্তব্য, কংগ্রেস যে বিজেপি বিরোধীতায় সম্পূর্ণ ব্যর্থবিহারের ফল আরও একবার তা প্রমাণ করে দিল।বিজেপির হুমকিকে তিনি কড়া সুরে এদিন আক্রমণ করেছেন। বলেন, বিহার দেখিয়ে বাংলাকে হুমকি দেওয়ার কোনো মানে নেই। বাংলার মানুষের আত্মসম্মান ও অধিকারকে আঘাত করে অন্য রাজ্যের উদাহরণ দেখালে ভোট পাওয়া যায় না। বাংলায় বছরজুড়ে একটাই নামমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উন্নয়ন-মডেল অনুসরণ করছে বহু রাজ্য। তাই বাংলার মানুষও সার্বিক স্বার্থেই তৃণমূলকে সমর্থন করে, ভবিষ্যতেও করবে। শেষেই বিজেপিকে কটাক্ষ করে কুণাল বলেনবাংলার সঙ্গে বিহারের কষ্টকল্পিত তুলনা করে সময় নষ্ট করবেন না।

নভেম্বর ১৪, ২০২৫
দেশ

বিহারের জয়ের পর বাংলায় উল্লাস—পরিবর্তনের বার্তা কি আরও জোরালো?

বিহার নির্বাচনে এনডিএ-র বিপুল জয়ের পর বদলে গিয়েছে রাজনৈতিক সমীকরণ। মহাগাঁটবন্ধন কার্যত আইসিইউ-তে, আর সেই জয়যাত্রার রেশ এবার ছুঁয়ে গেল ভোটমুখী বাংলাকেও। হাওড়া ব্রিজ থেকে হুগলি, নদিয়া থেকে উত্তরবঙ্গবাংলাজুড়ে পদ্ম শিবিরের উচ্ছ্বাস যেন থামছেই না। হাওড়া ব্রিজের ওপর গেরুয়া আবির উড়ে উঠল, বাজনার তালে নাচলেন বিজেপি কর্মীরা। স্থানীয়দের মিষ্টিমুখ করিয়ে বিজয়োল্লাসে মাতল হাওড়া জেলা। শোনা গেল একের পর এক জয়ধ্বনিমোদি, মোদি।উত্তরবঙ্গে উৎসব আরও উচ্ছ্বাসমুখর। জলপাইগুড়ি জেলা কার্যালয়ে ঢাক বাজিয়ে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষকে লাড্ডু খাইয়ে বিজেপি কর্মীরা খেললেন অকাল হোলি। পুরো এলাকা গেরুয়া রঙে রাঙিয়ে উঠল। সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখগুলোও আজ আনন্দে মেতে উঠলেন। গেরুয়া আবিরে ভিজে গিয়ে তাঁরা সাফ জানিয়ে দিলেনবিহারের পর এবার বাংলার পালা, পরিবর্তন আর বেশি দূরে নয়।ফরাক্কার এনটিপিসি মোড়েও শুক্রবার দুপুরে বাজি ফাটিয়ে আবির খেললেন কর্মীরা। স্লোগানে গর্জে উঠলবিহার দেখিয়েছে, বাংলা দেখবে। নদিয়ার রানাঘাটে ঢাকের তালে তালে নেচে বিজয়োল্লাস করলেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার। এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিজেপির কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হল লাড্ডু।হুগলির শেওড়াফুলি থেকেও উঠল উল্লাসের ঝড়। বিজেপি কর্মীরা আবির ছড়িয়ে মানুষকে মিষ্টি বিলি করলেন, হাতে তখন বিহার পারল, বাংলাও পারবে লেখা পোস্টার। সিঙ্গুরের বুড়া শান্তি এলাকাতেও দেখা গেল একই ছবিদলীয় কার্যালয়ের সামনে পথচলতি মানুষকে লাড্ডু বিলি করে বিজেপি কর্মীদের একটাই দাবিবিহারের জয় বাংলা নির্বাচনে আগাম ইঙ্গিত।বিহারে এনডিএ-র অভাবনীয় জয়ের ঢেউ এখন বাংলায় গেরুয়া শিবিরকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। তাঁদের দাবিসময় মাত্র, বাংলাতেও গেরুয়া ঢেউ আসবেই।

নভেম্বর ১৪, ২০২৫
রাজ্য

রাত বাড়লেই কাঁপছে কলকাতা! নভেম্বরেই বাংলায় শীতের হানা, কুয়াশায় ঢাকা ভোর

বঙ্গজুড়ে নেমে এসেছে শীতের আমেজ! নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই ঠান্ডার দাপট চোখে পড়ার মতো। উত্তরবঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গের জেলা গুলিতে কয়েকদিন ধরেই সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ক্রমশ নামছে। আর এবার সেই শীতল হাওয়া এসে পৌঁছেছে রাজধানী কলকাতায়ও। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তথ্য বলছে, এ বছরের শীতের মরশুমে বৃহস্পতিবারই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ঠান্ডা দিন কাটাল কলকাতা।এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে দাঁড়িয়েছে ১৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় তিন ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও নেমেছে ২.৬ ডিগ্রি নিচে, যা ২৮ ডিগ্রির ঘরে স্থির হয়েছে। অর্থাৎ দিন-রাতের ফারাক যতটা কমছে, ততটাই তীব্র হচ্ছে শীতের ছোঁয়া। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামী কয়েকদিনে আরও কিছুটা নামবে পারদ।নভেম্বরের শুরু থেকেই হিমেল হাওয়া ছুঁয়ে গিয়েছে গোটা বাংলা। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমসব জায়গাতেই ভোরবেলা ঠান্ডার আমেজ এখন স্পষ্ট। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে সকালের দিকে ঘন কুয়াশা, হাতে গরম চা নিয়েই শুরু হচ্ছে দিন। পার্বত্য অঞ্চলে কুয়াশার দাপট আরও বেশি।কলকাতা ও আশেপাশের জেলাতেও রাত বাড়লেই ঠান্ডা বেড়ে যাচ্ছে। সকালবেলায় রাস্তায় নেমে কুয়াশা, গায়ে হালকা উষ্ণতা জড়ানো পোশাকসব মিলিয়ে শীতের আগমন যেন আগেভাগেই ধরা দিয়েছে। আবহবিদদের মতে, এবার হয়তো নভেম্বরেই জাঁকিয়ে পড়তে পারে শীত, যা গত কয়েক বছরের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে।আপাতত রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। হাওয়া শুকনো থাকায় শীত আরও দ্রুত নামবে বলেই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। পশ্চিমের জেলাগুলিতে ইতিমধ্যেই তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির ঘরে, পুরুলিয়ায় পারদ আরও নামার ইঙ্গিত দিয়েছে হাওয়া অফিস।বাংলার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য রাজ্যেও শীতের দাপট তীব্র হচ্ছে। রাজধানী দিল্লিতে শৈত্যপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, ছত্তিশগড়, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, চণ্ডীগড় ও উত্তরপ্রদেশে ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে ঠান্ডা সতর্কতা।এই নভেম্বরেই এমন ঠান্ডা? তা হলে কি এবার সত্যিই আগেভাগে নামবে শীত, আর দীর্ঘস্থায়ী হবে এই হিমেল আমেজ? কফির কাপে ধোঁয়া উঠছে, আর শহরজুড়ে উষ্ণ আলোয় ভাসছে শীতের শুরুবাংলা যেন তৈরি নতুন শীত-উৎসবের জন্য।

নভেম্বর ১৩, ২০২৫
রাজ্য

পশ্চিমবঙ্গে ১৫ ডিগ্রির নিচে পারদ, কলকাতায়ও ঠান্ডার কামড় শুরু!

অবশেষে রাজ্যে জাঁকিয়ে নামল শীত। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই বাংলাজুড়ে ঠান্ডার কামড় আরও তীব্র হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই কলকাতা ও রাজ্যের পশ্চিম জেলাগুলিতে হালকা কুয়াশা আর শীতল বাতাসে জমে উঠেছে আবহাওয়া। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শীতল পশ্চিমী হাওয়ার জেরে এবার পারদ নামছে দ্রুত।রাজ্যের পশ্চিম জেলাগুলিতে যেমন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও বীরভূমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নিচে নেমে গিয়েছে। কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রির ঘরে ঘোরাফেরা করছে। সকাল-বিকেল গায়ে চাদর জড়ানোর প্রয়োজন পড়ছে অনেকেরই। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, অন্তত শনিবার পর্যন্ত শীতের এই আমেজ বজায় থাকবে।হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বর্তমানে মধ্য বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণাবর্ত ছিল তা ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে। দক্ষিণ বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকাতেও একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। পাশাপাশি, উত্তর তামিলনাড়ু ও সংলগ্ন অঞ্চলে আরেকটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। যদিও এই সিস্টেমগুলির প্রভাব বাংলার আবহাওয়ায় খুব একটা পড়ছে না, বরং ঠান্ডা হাওয়ার প্রবাহে আরও নামছে তাপমাত্রা।উত্তরবঙ্গের দিকেও নেমেছে হালকা কুয়াশা। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে সকালবেলায় ঘন কুয়াশার পরত দেখা যাচ্ছে। পাহাড়ি এলাকায় দৃশ্যমানতা কমে যাচ্ছে ভোরবেলায়। তবে আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।কলকাতায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের নিচে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৫০ থেকে ৮৯ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। এই কারণে সকাল ও সন্ধ্যায় হালকা কুয়াশা থাকলেও দিনের বেলায় সূর্যের তেজ সামান্য বাড়ছে।অন্যদিকে, দেশের অন্যান্য রাজ্যেও শীতের দাপট বেড়েছে। দিল্লি, রাজস্থান, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি রয়েছে। হাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশেও রাতের দিকে পারদ দ্রুত নামছে। তবে দক্ষিণ ভারতে, বিশেষ করে কেরল ও মাহেতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।সবমিলিয়ে, নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই শীতের দাপট স্পষ্ট বাংলার আকাশে। ঠান্ডা হাওয়ার দাপটে সকালবেলায় গরম পোশাকের খোঁজ শুরু হয়ে গিয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের সর্বত্র। আবহাওয়াবিদদের মতে, এ বছর স্বাভাবিক সময়েই আসছে শীত, আর ডিসেম্বরের শুরুতেই পারদ নামতে পারে আরও নিচে।

নভেম্বর ১১, ২০২৫
রাজ্য

শীত এল অবশেষে! ১৯ ডিগ্রির নিচে কলকাতার পারদ, উত্তর-পশ্চিমের হাওয়ায় কাঁপছে বঙ্গে

অবশেষে নামল পারদ, নেমে এল কলকাতার অন্দরে শীতের ছোঁয়া। শুক্রবার সকালে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের শেষ আপডেট অনুযায়ী, শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে দাঁড়িয়েছে ১৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। চারপাশে হালকা ঠান্ডা হাওয়া, সকালের দিকে ঘন কুয়াশা নভেম্বরের শুরুতেই যেন ডিসেম্বরের আবহ।আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, শীতের দফা এখনই শেষ নয়, বরং শুরু হচ্ছে প্রকৃতির শীতল অধ্যায়। আগামী তিন থেকে চার দিনে আরও অন্তত ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে পারদ। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই, ফলে দিনভর আকাশ থাকবে ঝকঝকে নীল।পশ্চিমী হাওয়ার প্রভাব এখন রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঠান্ডা হাওয়া বইছে পুরোদমে। এর জেরেই রাজ্যের তাপমাত্রা একে একে নামছে ১৫ ডিগ্রির ঘরে। এদিন বাঁকুড়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১৪.৫ ডিগ্রিতে, শ্রীনিকেতনে ১৪.৯, পুরুলিয়ায় ১৫, কল্যাণীতে ১৫.৩, উলুবেড়িয়ায় ১৬, মেদিনীপুরে ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতায় ১৯.২ আর দমদমে ১৯.৪ ডিগ্রিতে থেমেছে পারদ।বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী কয়েকদিন ভোরবেলায় ঘন কুয়াশা ঘিরে ফেলবে কলকাতা, হাওড়া, হাবড়া ও আশপাশের অঞ্চলগুলি। তুলনায় দাপট বেশি থাকবে উপকূলের জেলাগুলিতে। তবে এই ঠান্ডা এখনও পূর্ণ শীত নয়, বরং তার প্রাক্কাল।আবহাওয়ার মানচিত্রে দেখা যাচ্ছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। পূর্ব বাংলাদেশ ও গাল্ফ অফ মানার অঞ্চলেও রয়েছে আরও দুটি ঘূর্ণাবর্ত। পাশাপাশি উত্তর পাঞ্জাবে সক্রিয় রয়েছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। যদিও এই ঘূর্ণাবর্তগুলির কোনও বড় প্রভাব পড়ছে না দক্ষিণবঙ্গে, ফলে হাওয়া এখন পুরোপুরি শীতের অনুকূলে।শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ঘোরাফেরা করছে ৩৮ থেকে ৮২ শতাংশের মধ্যে। আবহাওয়াবিদদের মতে, পরবর্তী কয়েকদিনে শুষ্ক বাতাসের প্রভাবে ভোরের দিকে ঠান্ডা আরও প্রকট হবে।শীতপ্রেমীদের মুখে ইতিমধ্যেই হাসি ফিরেছে। শহরের দোকান-বাজারে দেখা মিলছে শীতের পোশাকের জৌলুস। সকাল-সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে ভিড় বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। দীর্ঘ গরমের পর শহরবাসীর কাছে এই হালকা শীতই এখন এক টুকরো স্বস্তি।

নভেম্বর ০৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ইডেনে সোনার মেয়েকে বঙ্গভূষণ! রিচা ঘোষ পেলেন সোনার ব্যাট, ৩৪ লক্ষ টাকা ও ডিএসপি পদ

ইডেনের আকাশে আজ শুধু ক্রিকেট নয়, ছিল গর্ব, ভালোবাসা আর উচ্ছ্বাসের আবহ। বিশ্বজয়ী রিচা ঘোষকে সংবর্ধনা জানাতে এদিন রীতিমতো চাঁদের হাট বসেছিল কলকাতার ক্রিকেটের নন্দনকাননে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উপস্থিত থেকে বঙ্গকন্যার হাতে তুললেন সোনার ব্যাট, বল, ও রাজ্যের অন্যতম সেরা নাগরিক সম্মান বঙ্গভূষণ। একইসঙ্গে রাজ্য পুলিশের ডিএসপি পদে নিয়োগের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।ইডেনের গ্যালারি এদিন পরিণত হয় উৎসবের মঞ্চে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি, সিএবি সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, প্রাক্তন তারকা ঝুলন গোস্বামী সহ একঝাঁক ক্রিকেট মহারথী। মাঠ জুড়ে করতালি, শঙ্খধ্বনি আর উচ্ছ্বাসে মুখরিত গোটা ইডেন।সংবর্ধনা মঞ্চে রিচাকে প্রথমে ফুল, মিষ্টি ও উত্তরীয় তুলে দেওয়া হয়। তারপর সিএবির পক্ষ থেকে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় সোনার ব্যাট ও বল, যা প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। এরপরই আসে সেই গোল্ডেন মোমেন্ট মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকেই রিচা পেলেন রাজ্যের অন্যতম সেরা সম্মান বঙ্গভূষণ। সঙ্গে উত্তরীয় ও সোনার চেন।এখানেই শেষ নয়, রাজ্য সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয় রিচা ঘোষকে রাজ্য পুলিশের সম্মানিক ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (ডিএসপি) পদে নিয়োগ করা হচ্ছে। আনন্দে অভিভূত রিচা জানালেন, এত ভালোবাসা, এত সম্মান আমি কখনও ভুলব না। বাংলার মেয়েদের জন্য এ এক অনুপ্রেরণা।এদিনের আসরে আরও ছিল এক অনন্য মুহূর্ত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ফ্রিডম ট্রফির রেপ্লিকা তুলে দেন সিএবি সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর মুখ্যমন্ত্রী সেই ফ্রিডম ট্রফির প্রতিরূপ উপহার হিসেবে রিচাকে তুলে দেন। মমতা বলেন, রিচা শুধু বাংলার নয়, ভারতের গর্ব। ওদের মতো প্রতিভারাই আমাদের ভবিষ্যৎ।সিএবির তরফে রিচাকে ৩৪ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকেও মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হয়। এদিনের ইডেন শুধু এক সংবর্ধনা নয়, হয়ে উঠল এক অনুপ্রেরণার প্রতীক যেখানে এক তরুণীর ঘাম, লড়াই, আর সাফল্যের গল্প ছুঁয়ে গেল লক্ষ মানুষের হৃদয়।

নভেম্বর ০৮, ২০২৫
রাজ্য

ভোটার তালিকার আতঙ্কে মৃত্যু! ধূপগুড়ি থেকে কুলপি কাঁপছে বাংলা

ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন নিয়ে রাজ্যে বাড়ছে উত্তেজনা। একদিকে উত্তরবঙ্গের ধূপগুড়ি, অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি দুই প্রান্তে একই ছবি। আতঙ্ক, অসুস্থতা, আর শেষ পর্যন্ত মৃত্যু। আর দুই ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির উঠছে এসআইআরের (Special Intensive Revision) কাজের দিকে।ধূপগুড়ির বারোঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ নম্বর দক্ষিণ ডাঙ্গাপাড়ার বাসিন্দা লালু রাম বর্মন (বয়স প্রায় ৭২)। পরিবারের দাবি, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। ভোটার কার্ডও পাননি তিনি। সম্প্রতি এলাকায় যখন ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন শুরু হয়েছে, সেই খবর পেয়েই নাকি আতঙ্কে ছিলেন বৃদ্ধ।বৃহস্পতিবার বিএলও (Booth Level Officer) ফর্ম দিতে গেলে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের দাবি, আতঙ্কেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন লালু রাম বর্মন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।নিহতের পুত্রবধূ মতি মালা বর্মন বলেন, শ্বশুরমশাই সারাদিন চিন্তায় ছিলেন। বারবার বলছিলেন, আমার নাম যদি না থাকে তাহলে কী হবে? বিএলও ফর্ম দিতে আসতেই তিনি ভয় পেয়ে যান। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সব শেষ।অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট বুথের বিএলও সুমিত দাস জানিয়েছেন, ওঁদের বাড়িতে পাঁচজন সদস্য। চারজনের হাতে ফর্ম তুলে দিয়েছিলাম। পাশের বাড়িতে যেতেই শুনি বৃদ্ধ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।ঠিক একইভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি বিধানসভার কালীচরণপুরেও ঘটল আরেক মর্মান্তিক ঘটনা। সেখানকার কিশোরপুর হাই মাদ্রাসার শিক্ষক শাহাবুদ্দিন পাইক হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন শনিবার সকালে ক্লাস চলাকালীন। হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পাঁচদিন পর মৃত্যু হয় তাঁর। চিকিৎসকদের প্রাথমিক ধারণা, সেরিব্রাল অ্যাটাক-এ মৃত্যু।তবে পরিবারের দাবি, ভোটার তালিকা নিয়ে আতঙ্কেই মানসিক চাপে ভুগছিলেন শাহাবুদ্দিন। ২০০২ সালের সংশোধিত তালিকায় তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর নাম না থাকায় তিনি দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন বহুদিন ধরে। সেই মানসিক চাপই নাকি মৃত্যুর কারণ।এর মধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ বাপি হালদার ও কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার। বাপি হালদার বলেন, মানুষ আতঙ্কিত। বিজেপি ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে কেউ রোহিঙ্গা, কেউ অনুপ্রবেশকারী বলে দেগে দিচ্ছে। এই মানসিক চাপে মানুষ অসুস্থ হচ্ছেন। আমরা আশ্বস্ত করছি, কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ যাবে না।অন্যদিকে মথুরাপুরের বিজেপি নেতারা অভিযোগ তুলেছেন, এসবই তৃণমূলের রাজনৈতিক নাটক। নিজেদের প্রশাসনিক ব্যর্থতা ঢাকতে বিরোধীদের দিকে আঙুল তুলছে।উত্তর থেকে দক্ষিণ দুই প্রান্তেই ভোটার তালিকার আতঙ্ক এখন রাজনৈতিক তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

নভেম্বর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

পশ্চিমে ১৫ ডিগ্রি, কলকাতায় ১৯! অবশেষে ফিরছে শীতের আমেজ

নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ শেষের পথে, অথচ শীতের দেখা নেই। দিন এখনও রোদে টানছে ঘাম, সন্ধেয় হালকা গরম হাওয়া বইছে। পশ্চিমি ঝঞ্ঝা আর বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ একের পর এক বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল শীতের পথে। তবে অবশেষে সুখবর শোনাল হাওয়া অফিস রবিবার বা সোমবার থেকেই নামবে তাপমাত্রা। রাজ্যে শুরু হবে পারদ পতনের ধারা।আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রাজ্যের অধিকাংশ জেলাতেই আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাত ও ভোরের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবে। কলকাতার পারদ নেমে আসতে পারে ১৯ ডিগ্রিতে, আর পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে (পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান) নেমে যেতে পারে ১৫১৬ ডিগ্রিতে। উত্তরের সমতলেও শীতের ছোঁয়া অনুভব করবেন মানুষজন। যদিও হাওয়া অফিস স্পষ্ট জানিয়েছে, এখনই জাকিয়ে শীত নামছে না তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।বর্তমানে পূর্ব-মধ্য ও উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি নিম্নচাপ শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের উপরেও রয়েছে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত, যা অসম ও ত্রিপুরা সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এই দুই আবহাওয়া পরিস্থিতিই এতদিন শীতের আগমনকে বিলম্বিত করেছে।আবহাওয়া দফতর বলছে, আজ শুক্রবার উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়া মূলত শুষ্কই থাকবে। আকাশ থাকবে পরিষ্কার, তবে কোথাও কোথাও আংশিক মেঘলা হতে পারে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে শীতের আমেজ কিছুটা হলেও বাড়বে। দার্জিলিং ও কালিম্পং-এর কিছু অঞ্চলে ভোরে দেখা মিলবে হালকা কুয়াশার।কলকাতার আকাশ আজ রৌদ্রজ্জ্বল ও নির্মল। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে প্রায় ৩০৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে, আর সর্বনিম্ন প্রায় ২৪ ডিগ্রি। রবিবার থেকে শহরের রাতের পারদ নামতে পারে ২০ ডিগ্রির নিচে। হালকা শিরশিরানি শুরু হবে ভোর ও সকালে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা থাকবে ৬৩ থেকে ৯১ শতাংশের মধ্যে।দক্ষিণবঙ্গে আকাশ পরিষ্কার থাকলেও উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে সকালে হালকা কুয়াশা বা ধোঁয়াশা দেখা যেতে পারে। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামবে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত।উত্তরবঙ্গেও আপাতত কোনও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। আগামী দুদিন তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকলেও রবিবার থেকে সেখানে সামান্য পারদ পতনের ইঙ্গিত দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উইকেন্ডে দার্জিলিং ও কালিম্পং-এর মতো পার্বত্য এলাকায় কুয়াশা জমতে পারে, আর শীতের আমেজও কিছুটা বাড়বে।সব মিলিয়ে, দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে রাজ্যে ঢুকছে শীতের হাওয়া। যদিও পুরোপুরি জাকিয়ে বসার জন্য অপেক্ষা করতে হবে নভেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধ পর্যন্ত এমনটাই ইঙ্গিত আবহাওয়া দফতরের।

নভেম্বর ০৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতায় নেমে এল শীতের হাওয়া! পারদ নামতেই হালকা শিরশিরে ঠান্ডা

অবশেষে শহর থেকে মেঘ সরে গিয়ে শুরু হল শুষ্ক আবহাওয়া। রাতের দিকেই হালকা ঠান্ডার অনুভূতি মিলছিল, মঙ্গলবার সকাল থেকে তা আরও স্পষ্ট। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে দাঁড়িয়েছে ২১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় এক ডিগ্রি কম। এক সপ্তাহের ভ্যাপসা ভাবের পর এই সামান্য তাপমাত্রা পতনেই মিলছে আরাম।সম্প্রতি রাজ্যের উপকূল ছুঁয়ে গিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় মন্থা। এরপরেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছিল নতুন নিম্নচাপ। তবে তার প্রভাব প্রধানত উপকূলেই সীমাবদ্ধ থেকে গেছে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বাতাস এখন পরিষ্কার, আবহাওয়া শুষ্ক। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই ২০ ডিগ্রির নিচে নেমে গেছে। তবে হাওয়া অফিস পরিষ্কার জানিয়েছে, এখনই তেমন বড় ধরনের পারদ পতন হবে না। শীত আসতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।এখন নিম্নচাপ অবস্থান করছে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে এবং মায়ানমার উপকূলে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা বাংলাদেশ ও মায়ানমারের কাছে প্রভাব ফেলবে। ওই এলাকাগুলির সমুদ্র উত্তাল থাকবে। ফলে বাংলায় এর প্রভাব সীমিতই থাকবে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর।আগামী শুক্রবার আবার আবহাওয়ায় পরিবর্তনের সম্ভাবনা। জলীয় বাষ্প বাড়বে, সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের উপকূলীয় জেলাগুলিতে। বিশেষত দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অন্য উপকূলবর্তী এলাকায় আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে।কলকাতায় মঙ্গলবার সকালে হালকা কুয়াশার ছবি ধরা পড়েছে। সোমবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৪২ থেকে ৯১ শতাংশের মধ্যে। ধীরে ধীরে শৈত্যপ্রবাহের আভাস মিলতে শুরু করলেও এখনই মোটা গরম জামা বের করার সময় আসেনি। তবে সকালের হালকা ঠান্ডা আর সন্ধ্যার মৃদু হাওয়া শীতের আগমনী বার্তা দিচ্ছে স্পষ্ট।

নভেম্বর ০৪, ২০২৫
রাজ্য

'সতীদাহের নামে নারীদের যেমন চিতায় তুলত, আমরাও তেমনই অগ্নিপরীক্ষায়', কালো পোশাকে প্রতিবাদে পরীক্ষাকেন্দ্রে মেহবুবরা

কালো পোশাকে প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে নিলেন চাকরিহারাদের একাংশ। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন প্রাক্তন শিক্ষক মেহবুব মণ্ডল। কালো পাঞ্জাবি পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে হাজির হলেন তিনি। বারুইপুরের বাসিন্দা মেহবুবের পরীক্ষা পড়েছে সোনারপুর বিদ্যাপীঠ স্কুলে। সকালেই রওনা দিয়ে পৌঁছে যান কেন্দ্রে। ক্ষোভ চেপে রাখেননি, সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে সোজাসুজি উগরে দেন মনের কথা। তাঁর অভিযোগ, যেভাবে সতীদাহের নামে নারীদের জোর করে চিতায় ঠেলে দেওয়া হত, কিংবা গ্যালিলিওকে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়েছিল, রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ আর বিচার বিভাগের সহায়তায় আজ আমাদেরও ঠিক তেমনভাবেই আবার নতুন অগ্নিপরীক্ষায় ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এর ফল কী হবে, আমরা জানি না।সেই বহুল আলোচিত প্যানেলই এর কেন্দ্রে। রাতারাতি প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক চাকরি হারিয়েছিলেন। এরপর থেকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত হয়েছে অসংখ্য শুনানি, দরবার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাকরি ফেরাতে না পেরে নতুন পরীক্ষাতেই বসতে হচ্ছে তাঁদের। এবার বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ হবে ৩৫ হাজার ৭৫২ শূন্যপদে।দুই দফায় পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রথম ধাপ ৭ সেপ্টেম্বরযেখানে নবম-দশম শ্রেণির জন্য পরীক্ষা দেবে ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৯১৯ প্রার্থী। দ্বিতীয় ধাপ ১৪ সেপ্টেম্বরএকাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য বসবেন আরও ২ লক্ষ ৪৬ হাজার চাকরিপ্রার্থী। ফলে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার। রাজ্যজুড়ে প্রথম দিনে ৬৩৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে, আর দ্বিতীয় দিনে ৪৭৮টি কেন্দ্রে বসবেন পরীক্ষার্থীরা।

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

'এসএসসি-র নয়া নিয়োগ পরীক্ষায় ফের দাগিদের সুযোগ', বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

নয় বছর পর আবারও হতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। কিন্তু পরীক্ষার আগেই উঠছে একাধিক প্রশ্নআসন্ন পরীক্ষা কি সত্যিই হবে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ? আর কি দেখা যাবে না অনিয়ম, কারও চোখের জল? প্রায় ৬ লক্ষ প্রার্থীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এই পরীক্ষার ওপর। তবু রাজনৈতিক মহলে সংশয় কাটছে না।এই পরিস্থিতিতেই আসানসোলে গিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, এখনও ১৫২ জন দাগি প্রার্থীকে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়েছে এবং তাঁরা পরীক্ষায় অংশ নেবেন। যদিও তাঁদের নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি। শুভেন্দুর কথায়, ১৯৫৮ জন দাগি শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে ১৮০৬ জনের নাম প্রকাশ করেছে কমিশন। কিন্তু ১৫২ জনকে বাদ রাখা হয়েছে না, বরং তাঁদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এ এক প্রহসনের পরীক্ষা। প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে, টাকা নিয়ে কেন্দ্র ঠিক হয়েছে, তৃণমূল নেতারা পুলিশের সহযোগিতায় গোটা প্রক্রিয়াকে ভণ্ডুল করছে। এর ফল কিছুই হবে না, হবে কেবল অশ্বডিম্ব।অন্যদিকে, পরীক্ষা শুরুর ঠিক আগে শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। তিনি জানান, এবারের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার। এর মধ্যে ৭ সেপ্টেম্বর নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বসবেন ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৯১৯ জন প্রার্থী। আর ১৪ সেপ্টেম্বর একাদশ-দ্বাদশের জন্য বসবেন ২ লক্ষ ৪৬ হাজার জন। প্রথম দিনে গোটা রাজ্যে থাকছে ৬৩৬টি পরীক্ষা কেন্দ্র, দ্বিতীয় দিনে ৪৭৮টি কেন্দ্র।অর্থাৎ, দীর্ঘ বিরতির পর শুরু হতে চলা শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে প্রশাসন আশাবাদী হলেও বিরোধীরা মনে করছে এর মধ্যেও লুকিয়ে আছে অনিয়মের ছাপ

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

সাময়িক বিরতি নিয়ে ফের তেড়ে ফুঁড়ে ফিরছে বর্ষা! আজও পুজোর কেনাকাটা ভেস্তে দেবে বৃষ্টি?

সপ্তাহের শুরুতে কিছুটা বিরতি নেবে বর্ষা। রবিবার ও সোমবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত তুলনামূলকভাবে কম হবে। তবে ছিটেফোঁটা হালকা বৃষ্টি কিছু এলাকায় হতে পারে। এই সময়ে আর্দ্রতার কারণে ভ্যাপসা গরমও বাড়তে পারে। কিন্তু সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে আবারও বৃষ্টির মাত্রা বাড়ার ইঙ্গিত রয়েছে। আজ কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিচ্ছিন্নভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও সর্বত্র বৃষ্টি হবে না। পরিস্থিতি তেমন গুরুতর নয়, তাই সতর্কতা জারির প্রয়োজনও পড়েনি। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে আজ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনার কারণে হলুদ সতর্কতা ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারের কিছু জায়গায় ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিও নেমে আসতে পারে।

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

মন্দিরবাজারে মাটির দেওয়াল ধসে মা ও দুই মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু

দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজার থানার কামারপাড়া এলাকায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মাটির দেওয়াল ধসে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক মা ও তাঁর দুই মেয়ে। মৃতরা হলেন বৃহস্পতি কর্মকার (৪৩), তাঁর মেয়ে শিলা কর্মকার (১৫) এবং প্রিয়া কর্মকার (১০)। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে, যখন তারা তাদের মাটির বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়া-দাওয়া সেরে পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ভোরবেলা হঠাৎ মাটির দেওয়াল ভেঙে পড়ায় তিনজনই চাপা পড়েন। স্থানীয়রা শব্দ শুনলেও প্রাথমিকভাবে বিষয়টি বুঝতে পারেননি। সকালে দেওয়াল ধসে পড়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী নাইয়ারহাট হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে হাসপাতালে পৌঁছনোর পর চিকিৎসকরা তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।ঘটনার পর মন্দিরবাজার থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পুরনো মাটির দেওয়ালের দুর্বল গঠনই এই দুর্ঘটনার কারণ। তবে ঘটনার বিস্তারিত কারণ জানতে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।এই ঘটনায় মন্দিরবাজারের বিধায়ক জয়দেব হালদার কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনাকে দায়ী করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বাংলা আবাস যোজনার আওতায় ওই পরিবারকে বাড়ি দেওয়ার জন্য দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছিল এবং বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তিন বছর আগে তৃতীয় কিস্তির টাকা আটকে না রাখলে বাড়িটি সম্পূর্ণ হতো এবং এই মর্মান্তিক ঘটনা এড়ানো যেত। বিধায়ক আরও বলেন, আমরা পরিবারের পাশে রয়েছি এবং তাদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছি।এই ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মাটির বাড়ির দুর্বল অবকাঠামোর কারণে এ ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে। এই ঘটনা সরকারি আবাসন প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, যোজনার টাকা সময়মতো দেওয়া হলে এই পরিবারের জীবন বাঁচানো যেত।মন্দিরবাজার থানার পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের পর ঘটনার বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। এদিকে, স্থানীয় প্রশাসন মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।

সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৫
রাজ্য

বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপের ভ্রুকূটি! ফের তুমুল ঝড়-জলের সতর্কতা জেলায়-জেলায়

IMD জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয় রয়েছে, ২৪ সেপ্টেম্বর-এর মধ্যে এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে, যা বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে প্রবল বৃষ্টিপাত, বজ্রপাত সহ হালকা থেকে মাঝারি ঝোড়ো হাওয়া ও ঘন মেঘের সম্ভাবনা বাড়াবে। জেলায়-জেলায় ব্যাপক বৃষ্টিরও সম্ভাবনা বাড়ছে।ফের এক দফায় সমুদ্র উত্তাল থাকার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। IMD-এর আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এই নিম্নচাপ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে, যার ফলে সামনের ৪৮ ঘণ্টায় বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাত ও অস্বস্তিজনক আবহাওয়ার প্রবণতা বাড়বে।হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, যদিও বর্তমান নিম্নচাপের সরাসরি প্রভাব নেই। তবুও বজ্রপাত-সহ বিক্ষিপ্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত এবং কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামী দুই-তিন দিন ধরে প্রায় প্রতিদিনই বজ্রসহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ও দমকা ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। বিশেষ করে কলকাতা, হুগলি, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পার্শ্ববর্তী জেলার ক্ষেত্রে ঝড়-জলের সম্ভাবনা বেশি।অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও আজ ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। আজ সপ্তাহের প্রথম দিনে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মালদা, দুই দিনাজপুরের পাশাপাশি কোচবিহারেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তরের।

সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৫
রাজ্য

'দাগি' তালিকায় TMC কাউন্সিলরের নাম, হাইকোর্টে ফের মামলা করার হুঁশিয়ারি

অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ হতেই সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর নাম। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কুহেলি ঘোষের নামও উঠে এসেছে দাগি তালিকায়। শনিবার প্রকাশিত তালিকায় ১,৮০৪ জনের মধ্যে রয়েছেন তিনিও। তালিকায় নিজের নাম দেখে ক্ষুব্ধ কুহেলি জানিয়েছেন, তিনি আগামী সোমবার ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন।কুহেলি ঘোষ বলেন, আমি আগেই মামলা করেছিলাম। সিবিআই-কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছিলাম। আদালতে জানিয়েছিলাম, আমাকে যে কোনও তদন্তকারী সংস্থা ডাকুক। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ আমাকে ডাকেনি। হঠাৎ করেই জানতে পারলাম তালিকা প্রকাশ হচ্ছে, আর সেখানে আমার নাম রয়েছে। কেন আমার নাম এসেছে, সেটা এখনও পরিষ্কার নয়।তালিকার ৬৪৭ নম্বরে রয়েছে কুহেলির নাম। প্রথমে তিনি প্রাথমিক শিক্ষিকার পদে নিযুক্ত ছিলেন। পরে হাইস্কুলে শিক্ষিকার চাকরিও পান। তাঁর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে পুরনো প্রাইমারির চাকরিতে ফেরার জন্য সব নথি জমা দিলেও এখনও সেই প্রক্রিয়া এগোয়নি। পরীক্ষা দিয়ে নিয়ম মেনে তিনি চাকরি পেয়েছেন বলেই দাবি করেছেন কুহেলি ঘোষ।শুধু কুহেলি ঘোষই নন, ওই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন একাধিক রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী নামও। তালিকার ৩১৬ নম্বরে রয়েছেন হুগলির খানাকুলের দাপুটে তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য বিভাস মালিক। তিনি তারকেশ্বরের একটি বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি ১,৩৩২ নম্বরে রয়েছে তাঁর স্ত্রী সন্তোষি মালিকের নামও। তালিকায় আরও রয়েছে জেলা পরিষদের সদস্যা সাহিনা সুলতানার নাম।

আগস্ট ৩১, ২০২৫
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 19
  • 20
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

মদিনায় আগুনে পুড়ল ৪২ উমরাহ যাত্রীর দেহ! অধিকাংশই ভারতীয়—বাসে বেঁচে ফিরলেন মাত্র ১ জন

সৌদি আরবের মদিনার কাছে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় নিভে গেল কমপক্ষে ৪২টি প্রাণ। উমরাহ হজে যাওয়া ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের নিয়ে মক্কার পথে যাচ্ছিল বাসটি। ভারতীয় সময় অনুযায়ী সোমবার রাত প্রায় একটা বেজে তিরিশ মিনিট নাগাদ মুফরিহাট এলাকায় একটি ডিজেল ট্যাঙ্কারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বাসটির। প্রচণ্ড ধাক্কার পর মুহূর্তের মধ্যে আগুন ধরে যায় পুরো গাড়িতে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বাসটি আগুনের গোলায় পরিণত হয়, আর তাতেই মৃত্যু হয় অধিকাংশ যাত্রীর।সৌদি পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, দুর্ঘটনার সময় প্রায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। আগুন লাগার পর কেউ বেরোনোর সুযোগই পাননি। বাসটিতে ১১ জন মহিলা ও ১০ জন শিশু ছিলএমনটাই জানা গিয়েছে। মৃতদের অধিকাংশই ভারতের হায়দরাবাদের বাসিন্দা। এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দেহগুলি এতটাই পুড়ে গিয়েছে যে কারও পরিচয় নির্ণয় করতেও বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন তদন্তকারীরা। এই মর্মান্তিক ঘটনায় বেঁচে গিয়েছেন মাত্র একজনমহম্মদ আব্দুল শোয়েবযিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।ঘটনার পর শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। তিনি জানিয়েছেন, রিয়াধের ভারতীয় দূতাবাস এবং জেদ্দার কনস্যুলেট ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে। হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি দ্রুত মৃতদেহগুলো ভারত ফেরাতে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।অন্যদিকে, তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি বলেন, রাজ্য সরকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। দিল্লি ও জেদ্দার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। পরিবারগুলিকে সাহায্যের জন্য জরুরি ভিত্তিতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। শুরু হয়েছে একাধিক হেল্পলাইন নম্বরও।তেলঙ্গনা সরকারের হেল্পলাইন নম্বর: +91 7997959754, +91 9912919545জেদ্দা কনস্যুলেটের নম্বর: 8002440003সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল দেহ শনাক্তিকরণ। দেহগুলি এতটাই অগ্নিদগ্ধ যে DNA পরীক্ষার মতো জটিল প্রক্রিয়া ছাড়া পরিচয় জানা প্রায় অসম্ভব। ফলে দেহ দেশে ফেরানোও দীর্ঘ সময় নিতে পারে। ইতিমধ্যেই কূটনৈতিক স্তরে তৎপরতা বেড়েছে, কারণ পরিবারগুলির একমাত্র দাবিযেন দ্রুত প্রিয়জনদের দেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

কোথায় সেই শীত? ডিসেম্বরেও রাতের তাপমাত্রা বাড়বে বাংলায়

রাজ্যজুড়ে শীতের আমেজ ধীরে ধীরে মিলছে ঠিকই, কিন্তু প্রত্যাশিত সেই ঠান্ডা এখনও অধরাই। ভোরের দিকে পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে নামছে। সকালের হিমেল হাওয়া আর সন্ধ্যার শিরশিরে ঠান্ডায় মানুষ গরম জামা গায়ে দিচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু দিনের মাঝামাঝি রোদের তেজ এখনও বেশ ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে। যার ফলে চেনা ডিসেম্বরের সেই কনকনে ঠান্ডা এখনও ফিরছে না বাংলায়।আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এখনই জাঁকিয়ে ঠান্ডা নামবে না। বরং সংক্রান্তি পেরোলেই তাপমাত্রা আরও বাড়বে। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল, যা এখন শ্রীলঙ্কা উপকূলের কাছে অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। এই অবস্থানের কারণেই বাংলার উপর দিয়ে বইতে থাকা উত্তুরে হাওয়ার দাপট কমে যাবে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাধান্য পাবে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে আসা উষ্ণ বাতাস।বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গকোথাও বড় ধরনের বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া দফতর। তবে ভোরবেলা কুয়াশায় ঢেকে থাকবে আকাশ। দৃশ্যমানতা কমে যেতে পারে বিভিন্ন জায়গায়।আলিপুর দফতরের পূর্বাভাস বলছে, সোমবার থেকেই তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করবে। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতে রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে। উত্তরবঙ্গেও রাতের দিকে শীত একধাক্কায় কমে যাবে। ফলে শীতের হিমেল স্পর্শ আরও কিছুটা পিছিয়ে যেতে পারে।এরই মধ্যে আরেকটি নতুন সিস্টেম তৈরি হওয়ার ইঙ্গিত মিলছে। মধ্য দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে নতুন একটি ঘূর্ণাবর্ত। আগামী ৭২ ঘণ্টায় সেটি শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এই পরিস্থিতি শীতকে আরও কয়েকদিন পিছিয়ে দিতে পারে।সব মিলিয়ে, শীতের অপেক্ষায় থাকা বাঙালিরা হয়তো ডিসেম্বরের শেষ দিকেই পেতে পারেন সেই পরিচিত ঠান্ডার ছোঁয়া। আপাতত আবহাওয়া বলছেশীত আসবে, তবে একটু দেরিতে।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
বিদেশ

ফাঁসি! মানবতা বিরোধী অপরাধে দোষী শেখ হাসিনা—বাংলাদেশে নজিরবিহীন রায়

বাংলাদেশের রাজনীতি যেন মুহূর্তে ঝড়ের চোখে ঢুকে গেল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সোমবার ঘোষণা করল সেই রায়, যার জন্য দেশজুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে ছিলমানবতা বিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আদালত তিনটি ধারায় তাঁকে দোষী ঘোষণা করে সরাসরি ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে। সেই সঙ্গে একই অপরাধে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও। বাংলাদেশ পুলিশের প্রাক্তন আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও দোষী প্রমাণিত হয়েছেন গণহত্যার মামলায়।রায় ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আদালত চত্বরের বাইরে এক অদ্ভুত নীরবতা নেমে আসে। তারপরই শুরু হয় দেশজোড়া তাণ্ডব। ঢাকার রাস্তায় বিক্ষোভ, ককটেল বিস্ফোরণ, আগুন লাগানোসব মিলিয়ে যেন বিস্ফোরণের মতো ছড়িয়ে পড়ে খবরটি। আদালতে ৪৫৩ পাতার রায় পড়তে সময় লাগলেও, রায়ের অভিঘাত সরাসরি গিয়ে লাগে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে।আদালত জানায়, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার সময় একাধিক গণহত্যা, নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বহু সাক্ষ্য-প্রমাণ, ভিডিও ফুটেজ, গোপন নথি আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক স্পষ্ট করে বলেন, এটি ইতিহাসে নথিবদ্ধ হওয়ার মতো অপরাধ। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে।প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও একই ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের সাবেক আইজি আবদুল্লাহ আল-মামুনও দোষী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। আদালতের মন্তব্যতিনজনের সমন্বিত ভূমিকার কারণেই এই ভয়াবহ ঘটনাগুলো দেশের নাগরিকদের জীবনে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে।রায়ের পরই ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ, সেনা ও র্যাব নামানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রায় ঘিরে প্রচুর বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আওয়ামী লিগ সমর্থকেরা রায়কে রাজনৈতিক প্রতিশোধ বলে দাবি করেছেন, অন্যদিকে সরকার সমর্থকেরা বলছেনএটা ইতিহাসের বিচার।বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশে যে ঝড় চেপে বসেছে, তার রেশ এখন শুধুই রাস্তায় নয়সরাসরি দেশের ভবিষ্যতের ওপরও পড়ে যাচ্ছে।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

দাগী প্রার্থী পরীক্ষায় বসলেন কীভাবে? এসএসসি-র ব্যাখ্যায় বাড়ল রহস্য

একাদশদ্বাদশের এসএসসি ফলপ্রকাশ হতেই যে নামটি সবচেয়ে বেশি উত্তাপ ছড়িয়েছে, তা হল নীতীশরঞ্জন বর্মন। কয়েক মাস আগেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি যে দাগী প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছিল, সেখানে স্পষ্টভাবে ছিল নীতীশরঞ্জনের নাম। আর সেই নীতীশই এবার নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরীক্ষায় বসে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকও পেয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছেএকজন দাগী প্রার্থী কীভাবে পরীক্ষায় বসলেন? কীভাবে ইন্টারভিউয়ের তালিকায় নাম উঠল? বিতর্ক মুহূর্তে চড়ে গিয়েছে মাথা তুলেই।এই অভিযোগ আদালতে তুলে ধরেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে মামলা গৃহীত হয়েছে। আদালতে শামিম জানান, নীতীশরঞ্জন বর্মন নামে ওই প্রার্থী অযোগ্য হয়েও পরীক্ষায় বসেছেন, এমনকি ভেরিফিকেশনের জন্যও ডাক পেয়েছেন। একই অভিযোগ করেছেন নীতীশরঞ্জনের স্ত্রীও, যাঁর সঙ্গে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। তিনিই প্রথম আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি সামনে আনেন। তাঁর দাবি, নীতীশ দাগী হয়েও ভুলভাবে পরীক্ষায় বসেছেন এবং এখন ভেরিফিকেশন রাউন্ডেও জায়গা পেয়েছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।বিতর্কের ঢেউ যখন তুঙ্গে, তখন স্কুল সার্ভিস কমিশন মুখ খুলল। কমিশনের বক্তব্য, ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট বিশেষভাবে সক্ষম প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কিছু ছাড়ের কথা বলেছিল। সেই নির্দেশ মানতেই নাকি কিছু ক্ষেত্রে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে এসএসসি একই সঙ্গে জানিয়েছে, সব তথ্যই যাচাই করা হচ্ছে। কারও ক্ষেত্রে যদি গরমিল ধরা পড়ে, দাগী হয়েও কেউ যদি সতর্কতা সত্ত্বেও তালিকায় ঢুকে পড়েন, তাহলে ভেরিফিকেশনের সময় সেই প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার পূর্ণ অধিকার কমিশনের রয়েছে।এদিকে আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য সম্পূর্ণ বিপরীত। তাঁদের দাবি, সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট ভাষায় বলেছেএকজনও দাগী প্রার্থী পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য যে ছাড়ের কথা বলা হয়েছিল, তা বয়স বা শারীরিক অবস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, দাগী তালিকার ক্ষেত্রে নয়। ফলে নীতীশরঞ্জন বর্মন কীভাবে পরীক্ষায় বসলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন আরও ঘনীভূত হচ্ছে। আদালতকক্ষে এই ব্যাখ্যার ওপরেই নজর এখন সবার।রবিবার দিনভর এই বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা চলেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তীব্র আলোচনার ঢেউ। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেনআইনের ফাঁক কি কাজে লাগাল নীতীশ? নাকি নিয়োগ ব্যবস্থার ত্রুটি এতটাই গভীর যে দাগী তালিকা থাকা সত্ত্বেও এমন ভুল সম্ভব? এখন অপেক্ষা আদালতের সিদ্ধান্তের, আর সেই সিদ্ধান্তই ঠিক করবে নীতীশরঞ্জনের মতো বিতর্কিত প্রার্থীর ভবিষ্যৎ।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

অভিজ্ঞতার ১০ নম্বর নিয়ে তোলপাড়! এসএসসি তালিকায় ১৯৯৭ পর জন্মেও ‘এক্সপেরিয়েন্স’?

এসএসসি-র এগারো-বারোর শিক্ষক নিয়োগে ফের নতুন করে বিতর্কে আগুন লেগেছে। উচ্চ কাট-অফের চাপে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নতুনরা। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে ৬০ নম্বরের মধ্যে পূর্ণ ৬০ পেলেও চাকরি হয়নি একাধিক প্রার্থীর। কমিশনের প্রকাশিত প্রাথমিক তালিকায় দেখা যাচ্ছে, মোট ২০ হাজারের সামান্য বেশি প্রার্থীকে ডাকা হয়েছে, আর সেই তালিকার বড় অংশেই ইন-সার্ভিস শিক্ষকেরা সুবিধা পেয়েছেন অভিজ্ঞতার অতিরিক্ত দশ নম্বরের জোরে। এই বাড়তি নম্বরেরই বিরোধিতায় এবার পথে নেমে সরব হয়েছেন নবাগত চাকরিপ্রার্থীরা।বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ আরও বিস্ফোরক। তাঁদের বক্তব্য, যাঁদের জন্ম ১৯৯৭ সালের পর, এমন বহু প্রার্থীও নাকি অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ১০ নম্বর পেয়েছেন বলে তালিকায় দেখা যাচ্ছে। বয়সের হিসাবে যা একেবারেই অসম্ভব। এই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল বাড়তেই স্কুল সার্ভিস কমিশন নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। কমিশনের বক্তব্য, যে প্রাথমিক তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণই প্রার্থীদের অনলাইন মাধ্যমে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি। আপাতত ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার নম্বর যুক্ত করে প্রাথমিক তালিকা বানানো হয়েছে। এর পরেই তথ্য যাচাইকরণ চলবে। সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশনে কোনও গরমিল ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ যাবেন। পরে অঞ্চলভিত্তিক ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশ করা হবে।এদিকে অভিযোগ উঠছে কাট-অফ এতই বেশি যে, ভালো নম্বর পেয়েও বহু প্রার্থী তালিকার বাইরে। ইংরেজিতে কাট-অফ ৭৭, বাংলায় ৭৩, অঙ্কে ৭১ এবং ইতিহাসে ৭৫এই অত্যাধিক কাট-অফের কারণেই নাকি পূর্ণ নম্বর প্রাপ্তদের মধ্যেও বাদ পড়ার ঘটনা ঘটছে। যদিও কমিশন সূত্রের দাবি, যাঁদের ডাকা হয়েছে তাঁদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই ফ্রেশার। কিন্তু কমিশনের এই ব্যাখ্যায় পরিস্থিতি শান্ত তো হয়নি, বরং ক্ষোভ আরও বেড়েছে।করুণাময়ী থেকে বিকাশ ভবন পর্যন্ত এ দিন রীতিমতো মিছিল করে বিক্ষোভ দেখান নবাগত চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, অভিজ্ঞতার অতিরিক্ত ১০ নম্বর প্রক্রিয়াটাই অবিচার। ফুল মার্কস পেয়েও যদি ইন্টারভিউর ডাক না আসে, তাহলে নিয়োগ পদ্ধতি প্রশ্নের মুখে পড়ে। ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি, আর এই নিয়েই সরগরম রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের অঙ্গন।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
বিদেশ

শেখ হাসিনার পরিবারের ইতিহাস এবার মুছে ফেলবে কে? ধানমন্ডি ৩২-এ রহস্যময় তৎপরতা

বাংলাদেশে যেন ইতিহাসের এক ভয়াবহ পুনরাবৃত্তি। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী মামলার ৪৫৩ পাতার রায় পড়া চলছে আদালতে, আর ঠিক সেই সময়েই ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ির সামনে দেখা গেল দুটি পে-লোডার। দৃশ্যটি ছড়িয়ে পড়তেই মুহূর্তে তোলপাড় বাংলাদেশ। প্রশ্ন উঠলঅন্তর্বর্তী ইউনূস সরকার কি তবে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সমস্ত চিহ্ন মুছে ফেলতে চাইছে?পুলিশ সূত্রে পাওয়া তথ্য আরও উদ্বেগ বাড়ায়। জানা গেছে, ধানমন্ডির বাড়ির যে অংশ এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতেই এই পে-লোডার আনা হয়েছিল। কিন্তু বাড়ির দিকের পুলিশি ব্যারিকেডে আটকে যায় তারা। এরপরই তাঁদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এলাকায় তখন উত্তেজনা টগবগ করছে।এদিকে কয়েক মিনিটের মধ্যেই পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সেনা ও পুলিশের কার্যত মুখোমুখি সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ব্যারিকেড তুলে বিক্ষোভ থামাতে চাইলে ক্ষুব্ধ জনতা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। দুটি পক্ষের সংঘর্ষে বহু বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর।পটভূমিটা আরও জটিল। ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট আওয়ামী লিগ সরকারের পতনের পর, এবং শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাতের অন্ধকারে পে-লোডার এনে ভেঙে ফেলা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি-বিজড়িত এই ৩২ নম্বর বাড়ি। পরে তাতে আগুন লাগানো হয়। দেশজুড়ে সেই ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। আর এবার আবারও, ঠিক রায়ের দিন, পে-লোডার নিয়ে বাড়ির সামনে হাজির হওয়ায় সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে।শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। ঢাকার রাস্তায় ককটেল বোমা ফাটছে, সিলেট-ময়মনসিংহ-কুষ্টিয়া মিলিয়ে সাতটি বাস, ভ্যান, এমনকি অ্যাম্বুল্যান্সেও আগুন ধরানো হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার বাড়িতেও হামলা হয়েছে। নিষিদ্ধ আওয়ামী লিগ রবিবার থেকেই সারাদেশে শাটডাউন ডেকেছে।অবস্থা এতটাই ভয়ংকর যে ৫৫ হাজার পুলিশকে মোতায়েন করতে হয়েছে। সেনা ও বিজিবি নেমেছে রাস্তায়। প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছেকোথাও আগুন লাগানো বা ককটেল ছোড়া দেখা গেলে সরাসরি গুলি চালানো হবে।এমতাবস্থায় ধানমন্ডি ৩২-এ পে-লোডারের উপস্থিতি শুধু উত্তেজনা নয়এক ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকেতও বয়ে আনছে। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির অবশিষ্টাংশ ভাঙার চেষ্টা আসলে প্রতীকীদেশের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারটিকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার আরেক প্রচেষ্টা কি? রায় ঘোষণার মাঝেই এমন দৃশ্য পুরো বাংলাদেশকে নতুন করে টালমাটাল করেছে।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

‘কাগজ নেই, তাই ফিরছি’—এসআইআর শুরু হতেই সীমান্তে তিনশো বাংলাদেশির ভিড়

ভারতবাংলাদেশ সীমান্তের হাকিমপুর চেকপোস্টে সোমবার সকাল থেকেই ভিড় জমেছে শয়ে-শয়ে মানুষের। কারও হাতে ট্রলি ব্যাগ, কারও মাথায় বোঁচকা, আবার কেউ লোটা-কম্বল বেঁধে দাঁড়িয়ে কাতর চোখে তাকিয়ে রয়েছেন সীমান্তের দিকে। প্রত্যেকের একটাই লক্ষ্যযত তাড়াতাড়ি সম্ভব সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়া। কারণ হিসেবে অনেকেই সরাসরি জানাচ্ছেন, এসআইআর-এর ভয়ে আর থাকতে সাহস পাচ্ছেন না ভারতে।বছরের পর বছর কোনও নথিপত্র ছাড়াই রুটি-রুজির খোঁজে ভারতেই বসতি গেড়ে ছিলেন অনেক বাংলাদেশি। কেউ কলকাতার বিরাটিতে, কেউ চিনারপার্কে, কেউ আবার উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় গৃহকর্মী, দিনমজুর বা ছোটখাটো কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালাচ্ছিলেন। কিন্তু বারোটি রাজ্যজুড়ে এবং পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও এসআইআর প্রক্রিয়া এগিয়ে চলায় আচমকাই তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে তাঁদের মধ্যে। আর সেই আতঙ্কই যেন এখন তাঁদের ঠেলে দিচ্ছে সীমান্ত অভিমুখে।সোমবার সকাল থেকে দেখা যায়, স্বরূপনগর থানার অন্তর্গত হাকিমপুর সীমান্তে ভিড় জমছে শতাধিক বাংলাদেশির। দুপুরে সেই সংখ্যা তিনশো ছাড়িয়ে যায়। পুরুষ, মহিলা, কোলের শিশুসবাই মিলে বাড়ির আসবাবপত্র, কাপড়চোপড়, হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। তাঁদের সামনে কাঁটাতারের বেড়া, আর পেছনে অনিশ্চয়তায় ভরা অস্থায়ী জীবনের স্মৃতি।এরই মধ্যে সীমান্তে মোতায়েন ১৪৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের বিএসএফ জওয়ানরা তাঁদের আটকে নথিপত্র খতিয়ে দেখছেন। যাঁরা বৈধ কাগজ দেখাতে পারছেন না, তাঁদের সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেই এগোচ্ছেন জওয়ানরা। স্থানীয় মানুষ এই দৃশ্য দেখে বিস্মিত, অনেকেই বলছেনএ রকম দৃশ্য বহু বছর পর দেখা গেল। যে বাংলাদেশিরা এতদিন গোপনে ভারতেই বসবাস করছিলেন, তাঁরা এবার নিজেরাই দেশে ফিরে যেতে চাইছেন।সাবিনা পারভিন নামে এক মহিলার কথায় উঠে এসেছে সেই আতঙ্কের ছবিটা। তিনি বললেন, বাংলাদেশেই আমার বাড়ি। কিন্তু বিরাটিতে থাকতাম। কোনও কাগজপত্র নেই। বেআইনিভাবেই ছিলাম। আরও এক ব্যক্তি স্বীকার করলেন, তিনি চিনারপার্কে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। বললেন, আধারকার্ড নেই। বাংলায় এসেছিলাম পেটের দায়ে। এখন ভয় লাগছে, তাই ফিরে যাচ্ছি।সীমান্ত এলাকা জুড়ে এখন এক ধরনের চাপা উত্তেজনা। কেন এত মানুষ হঠাৎ দেশছাড়া হয়ে ফিরতে চাইছেন, তা নিয়ে নানা মহলে জোর আলোচনা। স্থানীয়দের চোখের সামনে একটি বড় পরিবর্তনের ছবিযে সীমান্ত দিয়ে একসময় বেআইনিভাবে ঢুকতেন বাংলাদেশিরা, আজ সেখানে দেখা যাচ্ছে উল্টো স্রোত। এসআইআর প্রক্রিয়ার আতঙ্কে এবার তাঁরা নিজের দেশেই ফেরার চেষ্টা করছেন।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

নির্বাচনের আগে নিউটাউনের গাড়ি থেকে মিলল টাকার পাহাড়? জিজ্ঞাসাবাদে মিলছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

নির্বাচনের আগে বাংলায় ফের টাকার পাহাড় উদ্ধারকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য। সোমবার সকালেই নারায়ণপুরের আকাঙ্ক্ষা মোড়ে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আচমকা তল্লাশি চালায় বেঙ্গল এসটিএফ। আর সেখানেই একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রায় পাঁচ কোটি টাকার নগদ। মুহূর্তে এলাকা জুড়ে তৈরি হয় উত্তেজনা। বিপুল পরিমাণ টাকা-সহ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গাড়িটি। আটক করা হয়েছে গাড়ির মালিক-সহ দুই জনকে। তদন্তকারীদের অনুমান, নিউটাউনের দিক থেকেই আনা হচ্ছিল এই টাকা। তবে টাকা কার, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এবং কেনতা এখনো ধোঁয়াশা।ইতিমধ্যেই বাংলায় জোরকদমে চলছে এসআইআর অভিযান, অন্যদিকে দুয়ারে দাঁড়িয়ে ছাব্বিশের ভোট। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দলও সদ্য বাংলায় পরিদর্শন সেরে গিয়েছে। এর মধ্যেই গাড়ি ভর্তি এত টাকা উদ্ধারে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছেএই নগদের নেপথ্যে কি নির্বাচনী কারবার? নাকি সক্রিয় কোনও অন্য অর্থচক্র? সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে এসটিএফ।টাকার উৎস জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আটক দুই ব্যক্তিকে। কোথা থেকে টাকা তোলা হয়েছিল, কার নির্দেশে নেওয়া হচ্ছিল এবং এর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক বা অন্য কোনও চক্র জড়িত কি না, তা জানতেই জোরদার তদন্ত।উল্লেখ্য, মাত্র গত সপ্তাহেই ইডি-র অভিযানে কলকাতার তারাতলায় এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল অঙ্কের নগদ। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে সেই তল্লাশি চালানো হয়েছিল। একই দিন বেলেঘাটা-সহ শহরের আরও কয়েকটি জায়গা জুড়ে চলে তল্লাশি। চলতি মাসের শুরুতেও কলকাতার একাধিক এলাকায় হানা দিয়েছিল ইডি। সল্টলেক সেক্টর ওয়ানেও হয়েছিল তল্লাশি।তবে আজকের উদ্ধার হওয়া পাঁচ কোটি টাকা দুর্নীতির কোনও চক্রের ফল, নাকি সম্পূর্ণ অন্য কারণে নগদ পরিবহণতা নিয়ে এখনই নিশ্চিত কিছু বলতে চাইছে না তদন্তকারী সংস্থা। এসটিএফ সূত্রে খবর, সবদিক খতিয়ে দেখে শিগগিরই সামনে আসতে পারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আপাতত আটক দুই ব্যক্তির জেরা চলছে, আর সেই জেরার দিকেই তাকিয়ে গোটা রাজ্য।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal