• ৬ পৌষ ১৪৩২, বৃহস্পতি ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Mohun Bagan

খেলার দুনিয়া

লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছতে পারবে এটিকে মোহনবাগান?‌ কী বলছেন জুয়ান ফেরান্দো

আইএসএলের লিগ টেবিলে শীর্ষস্থানে কি শেষ করতে পারবে এটিকে মোহনবাগান? কাজটা কঠিন হলেও আত্মবিশ্বাসী সবুজমেরুণ কোচ জুয়ান ফেরান্দো। বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে।কেরালা ব্লাস্টার্স ও ওডিশা এফসির কাছে পরপর দুম্যাচ ড্র করে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে গিয়েছিল সবুজমেরুণ শিবির। বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে জয় শুধু চাপই কাটায়নি, লিগ টেবিলের শীর্ষে ওঠার লড়াইয়েও সামিল করেছে এটিকে মোহনবাগানকে। যদি বেঙ্গালুরুর কাছে হারত, তাহলে প্লে অফে ওঠাও কঠিন হয়ে যেত। দলের ফুটবলাররা যেভাবে লড়াই করেছেন, তাতে খুশি জুয়ান ফেরান্দো। সবুজমেরুণ কোচ বলেন, আমাদের কাছে সময়টা সত্যিই খুব কঠিন যাচ্ছে। কোভিড, কোয়ারান্টাইন, যথেষ্ট অনুশীলনের অভাব নিয়ে আগেও অনেকবার বলেছি। সব ক্লাবেরই একই পরিস্থিতি। তবে আমি খুশি। কারণ, কঠিন সময়ে দলের প্রত্যেকেই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ছেলেদের মানসিকতা, চারিত্রিক দৃঢ়তার প্রশংসা করতে হবে। আমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আরও কঠিন। কারণ, আমি দলের সঙ্গে ডিসেম্বরে যোগ দেওয়ায় ক্লাবের প্রাক মরশুম প্রস্তুতিতে ছিলাম না।দুম্যাচ পর দল জয়ে ফিরেছে। সেমিফাইনাল অনেকটাই নিশ্চিত। আপাতত চেন্নাইন এফসির বিরুদ্ধে পরের ম্যাচ নিয়েই ভাবছেন জুয়ান ফেরান্দো। তাঁর লক্ষ্য ৩ পয়েন্ট তুলে নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থানের দিকে এগিয়ে যাওয়া। এটিকে মোহনবাগান কোচ বলেন, মনে হচ্ছে পরীক্ষা দিতে বসেছি। পরের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য মাত্র দুদিন হাতে আছে। চেন্নাইন এফসির বিরুদ্ধে পরের ম্যাচ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ৩ পয়েন্ট পেতেই হবে। না হলে শীর্ষস্থানের লড়াই থেকে ছিটকে যাব।লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছনোর ব্যাপারে আশাবাদী এটিকে মোহনবাগান কোচ। জুয়ান ফেরান্দো বলেন, আশা করছি লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব। তবে ওডিশা ম্যাচের পরে আমাদের হাতে আর কিছু নেই। যেটা আমাদের হাতে আছে, তা হল চেন্নাইন ও জামশেদপুরকে হারানোর চেষ্টা করা। কারণ, এই দুই ম্যাচে আমাদের শক্তিক্ষয় হতে পারে। তার পরে মুম্বই-হায়দরাবাদ, হায়দরাবাদ-জামশেদপুর ম্যাচগুলোর ওপরও নির্ভর করবে আমাদের ভবিষ্যৎ। দেখা যাক কী হয়। আশা করব পরিস্থিতি আমাদের পক্ষেই থাকবে। লিগ টেবলের শীর্ষে ওঠার কথা ভাবার চেয়ে এখন পরের দুই ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট অর্জনের কথা বেশি ভাবাই ভাল। তার পরে দেখা যাবে।

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

বেঙ্গালুরু'কে হারিয়ে লিগের শীর্ষস্থানের লড়াই জমিয়ে দিল এটিকে মোহনবাগান

এটিকে মোহনবাগান ও বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচ দুদলের কাছেই ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লিগ টেবিলের শীর্ষে ওঠার সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতে গেলে এটিকে মোহনবাগানকে জিততেই হত। অন্যদিকে, প্লে অফের লড়াইয়ের জন্য জেতাটা জরুরি ছিল বেঙ্গালুরু এফসির কাছে। আক্রমণাত্মক ফুটবলের স্ট্র্যাটেজি নিয়েও শেষরক্ষা হয়নি বেঙ্গালুরু এফসির। বাজিমাত করে গেল জুয়ান ফেরান্দোর দল। রবিবার বেঙ্গালুরু এফসিকে ২০ ব্যবধানে হারিয়ে শীর্ষে ওঠার লড়াই আরও জমিয়ে দিল এটিকে মোহনবাগান। ১৮ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শীর্ষে যাওয়ার দৌড়ে থাকল সবুজমেরুণ শিবির।আগের ম্যাচে ওডিশা এফসির কাছে আটকে গিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে ওঠার রাস্তায় কাঁটা বিছিয়ে ফেলেছিল এটিকে মোহনবাগান। রবিবার বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল। সবুজমেরুণের জয়ের নায়ক লিস্টন কোলাসো ও মনবীর সিং। আইএসএলে বিদেশিদের ভিড়ে দারুণ উজ্জ্বল এই দুই ভারতীয়। ডিফেন্সে এদিন প্রাচীর হয়ে দাঁড়ালেন সন্দেশ ঝিঙ্ঘান ও তিরি। এটিকে মোহনবাগানের এই দুই ডিফেন্ডার এদিন কোনও সুযোগ দেননি সুনীল ছেত্রি, ক্লেইটন সিলভা ও ইবারাদের।আগের ম্যাচে ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে সেভাবে উইং দিয়ে আক্রমণ শানাতে পারেননি লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংরা। বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে লিস্টন কোলাসো ছন্দে ফিরতেই চেনা বাগান। প্রথমার্ধে বারবার বেঙ্গালুরুর বক্সে পৌঁছে গেলেও গোলমুখ খুলতে পারছিলেন না লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংরা। অবশেষে প্রথমার্ধের একেবারে শেষলগ্নে ডেডলক ভাঙেন লিস্টন কোলাসো। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে বক্সের ঠিক বাইরে লিস্টনকে একসঙ্গে মিলে ফাউল করেন ব্রুনো সিলভা ও অজয় ছেত্রি। রেফারি ফ্রিকিকের নির্দেশ দেন। বাঁক খাওয়ানো দুরন্ত ফ্রিকিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন লিস্টন কোলাসো। এই নিয়ে আইএসএলে ৮টি গোল করে ফেললেন এই ভারতীয় উইঙ্গার।এটিকে মোহনবাগান ও বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচদ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধারা অব্যাহত থাকে এটিকে মোহনবাগানের। ৫৬ মিনিটে ব্যবধান বাড়তে পারত সবুজমেরুণের। জনি কাউকোর কাছ থেকে বল পেয়ে গোল লক্ষ্য করে শট নেন লিস্টন কোলাসো। তাঁর শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনননি ইবারা, সুনীলরা। ৮৫ মিনিটে বক্সের মাথা থেকে গড়ানো শটে গোল করে এটিকে মোহনবাগানের জয় নিশ্চিত করেন মনবীর সিং। প্লে অফের স্বপ্নের সলিলসমাধি ঘটে বেঙ্গালুরুর।

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসছে এটিকে মোহনবাগানের, কেন?

এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দোর স্বপ্ন দেখেছিলেন সরাসরি এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার। তাঁর সেই স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াল ওডিশা এফসি। বৃহস্পতিবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এটিকে মোহনবাগানকে আটকে দিয়ে জুয়ান ফেরান্দোর দলের সামনে আইএসএলের লিগ টেবিলের শীর্ষে ওঠার পথে কাঁটা ছড়িয়ে দিল।আইএসএলের লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা দল সরাসরি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ পায়। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল খেলে এএফসি কাপের প্লে অফ। আর আই লিগের চ্যাম্পিয়ন দল সরাসরি এএফসি কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। এবছর আইএসএলে লিগের শীর্ষস্থান না পেলে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ পাবে না এটিকে মোহনবাগান। ওডিশা এফসি-র বিরুদ্ধে ড্র অনেকটাই পিছিয়ে দিয়েছে সবুজমেরুন শিবিরকে। বৃহস্পতিবার জিতলে লিগের শীর্ষে থাকার ব্যাপারে অনেকটাই এগিয়ে যেত জুয়ান ফেরান্দোর দল। ওডিশা ম্যাচের পর ১৭ ম্যাচে এটিকে মোহনবাগানের ঝুলিতে ৩১ পয়েন্ট। লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা হায়দরাবাদ এফসি-র ১৮ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জামশেদপুর এফসি। তাদের ঝুলিতে ১৬ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট। এটিকে মোহনবাগান রয়েছে তৃতীয় স্থানে। ১৭ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে মুম্বই সিটি এফসি। সমসংখ্যক ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট কেরালা ব্লাস্টার্সের। মুম্বই ও কেরালা এখনও প্লে অফের লড়াইয়ে দারুনভাবেই রয়েছে। বেঙ্গালুরুর আশাও এখনও শেষ হয়নি। ফলে এটিকে মোহনবাগানের কাজ সহজ হবে না। ২৭ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গালুরু এফসি, ৩ মার্চ চেন্নাইয়িন এফসি ও ৭ মার্চ জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে খেলা রয়েছে এটিকে মোহনবাগানের।একেই ওডিশা এফ সি-র কাছে হার, তার ওপর লালকার্ড দেখেছেন রয় কৃষ্ণা। বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে পরের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তিনি খেলতে পারবেন না। ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলা লিস্টন কোলাসো ওডিশা এফ সি ম্যাচে ছন্দ হারিয়েছেন। ফলে এটিকে মোহনবাগানকেও চেনা ছন্দে দেখা যায়নি। ফলে চিন্তা মাথায় নিয়ে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে মাঠে নামতে হবে জুয়ান ফেরান্দোকে।

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ওডিশাকে হারালেই প্লে অফ নিশ্চিত, কিন্তু জুয়ান ফেরান্দোর লক্ষ্য অন্য

আইএসএলের লিগ টেবিলে চলছে সাপলুডোর খেলা। আজ একটা দল শীর্ষে তো পরের দিন অন্যদল তাকে টপকে যাচ্ছে। একসময় সব দলকে টপকে লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। এই মুহূর্তে সবুজমেরুণ শিবির আবার নেমে এসেছে তৃতীয় স্থানে। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে মাঠে নামছে এটিকে মোহনবাগান। জিতলেই প্লে অফ নিশ্চিত হয়ে যাবে। তবে সবুজমেরুণ কোচ জুয়ান ফেরান্দোর লক্ষ্য বাকি ৪ ম্যাচ জিতে লিগ শেষ করা। টানা ১২ ম্যাচ অপরাজিত এটিকে মোহনবাগান। যা আইএসএলে রেকর্ড। এই রেকর্ড ধরে রাখতে মরিয়া সবুজমেরুণ শিবির। কোচ জুয়ান ফেরান্দোর মাথায় ঘুরছে আবার অন্য অঙ্ক। লক্ষ্য ৩ পয়েন্ট। তাহলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে। আগের ম্যাচে জনি কাউকোর শেষ মুহূর্তের গোলে হার বাঁচিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। শেষ মিনিট পর্যন্ত ফুটবলারদের হার না মানা মানসিকতায় খুশি বাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। এই মনোবল ধরে রাখলে ওডিশা ম্যাচ জিততে কোনও অসুবিধা হবে না বলে মনে করছেন তিনি।ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে এটিকে মোহনবাগান কোচকে স্বস্তি দিচ্ছে বিদেশি ফুটবলারদের সুস্থ হয়ে ওঠা। কার্ল ম্যাকহিউ, হুগো বোমাস, ডেভিড উইলিয়ামস, রয় কৃষ্ণারা খেলার মতো জায়গায় চলে এসেছেন। বিদেশি ফুটবলারদের ব্যাপারে জুয়ান ফেরান্দো বলেন, দলের বিদেশিরা সবাই এখনও ৯০ মিনিট খেলার মতো জায়গায় আসেনি। তবে মাঠে নামানো যেতেই পারে। ধাপে ধাপে সবাই সুস্থ হয়ে উঠছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী এদের ব্যবহার করব। রয় কৃষ্ণাকে ওডিশার বিরুদ্ধে খেলাবেন কিনা, খোলসা করে কিছু বলেননি এটিকে মোহনবাগান কোচ। কৃষ্ণার ব্যাপারে জুয়ান ফেরান্দো বলেন, ওর চোট খুবি গুরুতর ছিল ওকে অল্প সময় করে খেলিয়ে ৯০ মিনিট খেলার মতো জায়গায় নিয়ে আসতে হবে।প্রথম পর্বে ওডিশা এফসির কাছে আটকে গিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। ওই ম্যাচের ফলাফল মাথায় রাখছেন না জুয়ান ফেরান্দো। ওডিশাকে হারালে প্লে অফ নিশ্চিত হলেও তাঁর লক্ষ্য বাকি ৪ ম্যাচে জয় তুলে নেওয়া। আগের ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসির কাছে হারের পর প্লে অফের সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে ওডিশা এফসির। তা সত্ত্বেও বিপক্ষকে হালকাভাবে নিতে রাজি নন এটিকে মোহনবাগান কোচ।

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

শেষ মুহূর্তে চূড়ান্ত নাটক, জনি কাউকোর গোলে হার বাঁচাল এটিকে মোহনবাগান

টানা ১১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর শেষ পর্যন্ত হারতে হবে? আশঙ্কার কালো মেঘ ঘনিয়ে এসেছিলে এটিকে মোহনবাগানের আকাশে। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে জ্বলে উঠলেন জনি কাউকো। গোল করে দলের টানা ১২ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড অক্ষুন্ন রাখলেন না, দলকে তুলে নিয়ে গেলেন আইএসএলের লিগ টেবিলের শীর্ষে। দুদুবার পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। শেষ পর্যন্ত ২২ গোলে ড্র করল এটিকে মোহনবাগান।দ্বিতীয়ার্ধে তখন ইনজুরি সময়ের খেলা চলছে। প্রায় ৭ মিনিট হয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই লালকার্ড দেখে ফেলেছেন প্রবীর দাস। রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর অপেক্ষায়। এটিকে মোহনবাগান রিজার্ভ বেঞ্চে ক্রমশ হতাশা গ্রাস করছে। এমন সময়ই ঝলসে উঠল জনি কাউকোর পা। হুগো বোমাসের পাস থেকে দুর্দান্ত দক্ষতায় বল গোলে পাঠান জনি কাউকো। স্বস্তির নিঃশ্বাস এটিকে মোহনবাগান শিবিরে। অন্তত হার তো বাঁচল। এদিন ম্যাচের শুরু খেকেই পরতে পরতে উত্তেজনা। ম্যাচের ৭ মিনিটেই ফ্রিকিক থেকে দুর্দান্ত গোল করে কেরালা ব্লাস্টার্সকে এগিয়ে দেন আদ্রিয়ান লুনা। পরের মিনিটেই সমতা ফেরায় এটিকে মোহনবাগান। প্রীতম কোটালের মাইনাস থেকে ছোট্ট টোকায় কেরালা ব্লাস্টার্সের জালে পাঠান ডেভিড উইলিয়ামস। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই এই বিদেশি স্ট্রাইকারকে নামিয়েছিলেন বাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। এরপরই আক্রমণ প্রতিআক্রমণে খেলাটা জমে ওঠে। দুই দলই গোল করার মতো সুযোগ পায়। কিন্তু তিন কাঠি খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়। প্রথমার্ধে খেলার ফল ছিল ১১। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে দুদলই। ডেভিড উইলিয়ামসের জায়গায় হুগো বোমাসকে মাঠে নিয়ে আসেন জুয়ান ফেরান্দো। কিন্তু খুব বেশি লাভ হয়নি। এটিকে মোহনবাগানের আক্রমণের ঝাঁঝ তেমন বাড়েনি। ৬৪ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় কেরালা ব্লাস্টার্স। পুটিয়ার ক্রস থেকে বল এটিকে মোহনবাগানের জালে পাঠান সেই আদ্রিয়ান লুনা। ৮৩ মিনিটে কিয়ান নাসিরিকে নামান জুয়ান ফেরান্দো। তার আগে মাঠে নিয়ে এসেছিলেন রয় কৃষ্ণাকে। ৮৭ মিনিটে নামার প্রবীর দাসকে। ইনজুরি সময়ে মাথা গরম করে লাল কার্ড দেখেন প্রবীর দাস। হার যে বাঁচবে না, একপ্রকার সবাই ধরে নিয়েছিলেন। একেবারে অন্তিমলগ্নে জনি কাউকোর সেই গোল।

ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‘‌‌‌কেরালা ব্লাস্টার্স ম্যাচ ফাইনাল’‌, কেন একথা বললেন সবুজমেরুণ কোচ?‌

টানা ১১ ম্যাচ অপরাজিত এটিকে মোহনবাগান। ভেঙে দিয়েছে এফসি গোয়ার রেকর্ড। এই রেকর্ড গড়ার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে। প্রথম পর্বে এই কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে আইএসএল অভিযান শুরু করেছিল এটিকে মোহনবাগান। তখন দলের দায়িত্বে ছিলেন আন্তোনীয় লোপেজ হাবাস। এখন কোচের দায়িত্বে জুয়ান ফেরান্দো। তাঁর সামনে দলকে লিগ টেবিলের শীর্ষে তোলার চ্যালেঞ্জ।এই মুহূর্তে ১৫ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট পেয়ে লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এটিকে মোহনবাগান। ১ ম্যাচ বেশি খেলে ২৯ পয়েন্ট হায়দরাবাদ এফসির। গোলপার্থক্যে হায়দরাবাদ শীর্ষে রয়েছে। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ড্র করলেই শীর্ষে পৌঁছে যাবে এটিকে মোহনবাগান। ড্র নয়, কেরালা ব্লাস্টার্সকে হারিয়েই লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছতে চান এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। তাঁকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে প্রথম পর্বের ফল। প্রথম ম্যাচেই কেরালা ব্লাস্টার্সকে ৪২ ব্যবধানে হারিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। প্রথম পর্বের পারফরমেন্স ধরে রাখতে মরিয়া সবুজমেরুণ শিবির।তবে জুয়ান ফেরান্দোর দলের কাছে লড়াইটা সহজ হবে না। ১৫ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট পেয়ে লিগ টেবিলে চতুর্থ স্থানে রয়েছে কেরালা ব্লাস্টার্স। সেমিফাইনালের লড়াইয়ে তারাও রয়েছে প্রবলভাবে। ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে বেঙ্গালুরু এফসি। ১৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৫। ফলে কেরালা ব্লাস্টার যে সহজে ছাড়বে না, সেকথা বিলক্ষণ জানেন এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। তাই কেরালার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে তিনি দারুণ সতর্ক।কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে টানা ১১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড নিয়ে ভাবতে রাজি নন এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। তিনি বলেন, রেকর্ড নিয়ে ভাবছি না। প্রতিটা ম্যাচ নিয়েই আলাদা করে ভাবছি। আমাদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া। সেজন্য প্রতিটা ম্যাচেই জিততে হবে। তবে কেরালা ব্লাস্টার্স ম্যাচ জিততেই হবে। এই ম্যাচ আমাদের কাছে ফাইনালের মতো। কেরালার বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে পরিবর্তন করার সম্ভাবনা আছে। ডেভিড উইলিয়ামস হয়তো প্রথম একাদশে ঢুকবেন। রয় কৃষ্ণাকেও খেলাতে পারেন জুয়ান ফেরান্দো।

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

মনদীপের জোড়া গোল, দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়ে হায়দরাবাদকে ধরে ফেলল এটিকে মোহনবাগান

করোনায় আক্রান্ত এফসি গোয়ার বেশ কয়েকজন ফুটবলার। আদৌও এটিকে মোহনবাগানএফসি গোয়া ম্যাচ হবে তো? বুধবার সকাল থেকেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। জল্পনা উড়িয়ে অবশেষে মাঠে নামল দুই দল। দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়ে এফসি গোয়াকে ২০ ব্যবধানে হারিয়ে শীর্ষে থাকা হায়দরাবাদ এফসিকে ছুঁয়ে ফেলল। ১৬ ম্যাচে হায়দবাদের পয়েন্ট ২৯। ১ ম্যাচ কম খেলে এটিকে মোহনবাগানের পয়েন্টও ২৯। গোলপার্থক্যে এটিকে মোহনবাগান রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। জোড়া গোল করে সবুজমেরুণের জয়ের নায়ক মনবীর সিং। তবে লিস্টন কোলাসোর কৃতিত্বও কোনও অংশে কম নয়। মনবীরের দুটি গোলের কারিগর তিনি। তাছাড়া গোটা ম্যাচে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দেন লিস্টন কোলাসো। এদিন ম্যাচের ৩ মিনিটেই এটিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেয় লিস্টন কোলাসোমনবীর সিং যুগলবন্দী। লিস্টনের কর্ণার থেকে দুরন্ত হেডে গোল করেন মনবীর। শুরুতে গোল হজম করেও হতদ্যোম হয়ে পড়েনি এফসি গোয়া। দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে। আক্রমণ প্রতিআক্রমণে খেলাটা দারুণ জমে উঠেছিল। ২৫ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল এটিকে মোহনবাগানের সামনে। জনি কাউকোর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৩৪ মিনিটে সমতা ফেরাতে পারত এফসি গোয়া। আনোয়ার আলির শট এটিকো মোহনবাগান গোলকিপার অমরিন্দার সিংয়ের হাত স্পর্শ করে ক্রশবারে লেগে বেরিয়ে যায়।প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে নিজেদের মাঝমাঠ থেকে বল ধরে অনেকটা দৌড়ে এফসি গোয়ার বক্সে ঢুকে পড়ে বাঁ পায়ে দুরন্ত শট নিয়েছিলেন লিস্টন কোলাসো। তাঁর শট ততোধিক তৎপরতায় বাঁচান এফসি গোয়া গোলকিপার ধীরাজ সিং। না হলে প্রথমার্ধেই ২০ ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারত এটিকে মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধে আরও আক্রমণাত্মক এটিকে মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতেই আবার গোল। এবারও সেই লিস্টন কোলাসো মনবীর সিং যুগলবন্দী। নিজেদের বক্সের সামনে থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে মনবীরের উদ্দেশ্যে থ্রু বল বাড়ান লিস্টন কোলাসো। সেই বল ধরে এগিয়ে আসা ধীরাজের পাশ দিয়ে ঠান্ডা মাথায় বল জালে পাঠান মনবীর। ৪ মিনিট পরেই হ্যাটট্রিক করার সুযোগ এসেছিল মনবীরের সামনে। ধীরাজকে সামনে একা পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। ৫৩ মিনিটে জনি কাউকোও একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। ৭৬ মিনিটে আবার গোল করার সুযোগ এসেছিল মনবীরের সামনে। শট নিতে দেরি করায় বল বিপদমুক্ত করে দেন এফসি গোয়ার ডিফেন্ডাররা। ৮০ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর বাঁক খাওয়ানো কর্ণার পোস্টে লেগে ফিরে আসে।

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

টানা ১০ ম্যাচ অপরাজিত, এটিকে মোহনবাগানকে দ্বিতীয় স্থানে তুললেন লিস্টন কোলাসো

পচা শামুকে পা কাটতে পারে। এই আশঙ্কায় ছিলেন এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। তাঁর আশঙ্কা যে অমূলক, প্রমাণ হয়ে গেল। নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে ৩১ ব্যবধানে হারিয়ে আইএসএলের লিগ টেবিলেন দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল এটিকে মোহনবাগান। ১৪ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট সবুজমেরুণ শিবিরের। এটিকে মোহনবাগানকে দ্বিতীয় স্থানে তুলে নিয়ে আসার পেছনে কৃতিত্ব লিস্টন কোলাসোর। এদিনও দারুণ ফুটবল উপহার দিলেন। চোটের জন্য হুগো বোমাস, রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ায়মস, কার্ল ম্যাকহিউরা এদিন ছিলেন না। তা সত্ত্বেও দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিল সবুজমেরুণ ব্রিগেড। টানা ১০ ম্যাচ অপরাজিত এটিকে মোহনবাগান। হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে যেখানে শেষ করেছিল, সেখান থেকেই শুরু করেছিল এটিকে মোহনবাগান। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল। ৯ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত এটিকে মোহনবাগান। জনি কাউকো মাঝমাঠ থেকে দারুণ পাস বাড়িয়েছিলেন। বল ধরে এগিয়ে যান মনবীর সিং। সামনে শুধু নর্থইস্ট গোলকিপার শুভাশিস রায়চৌধুরি। তাড়াহুড়ো করে বল বাইরে মারেন মনবীর। যদি কাট করে ভেতরে ঢুকতেন, গোল মুখ আরও ওপেন হয়ে যেত মনবীরের সামনে। ১৩ মিনিটে আবার সুযোগ এসেছিল মনবীরেরপ সামনে। আগের সুযোগের অ্যাকশন রিপ্লে। এবারও বাইরে মারেন। ১৫ মিনিটে আরও একটা সুযোগ এসেছিল এটিকে মোহনবাগানের সামনে। কাজে লাগাতে পারেননি লিস্টন কোলাসো। প্রতি আক্রমণে এসে ১৭ মিনিটে গোল তুলে নেয় নর্থইস্ট ইউনাইটেড। মাঝমাঠ থেকে বল ধরে দারুণ গতিতে ঢুকে ভিপি সুহেরকে বল সাজিয়ে দেন মার্সেলো। মার্সেলোর পাস ধরে দুর্দান্ত শটে গোল করেন সুহের। ২২ মিনিটে সমতা ফেরায় এটিকে মোহনবাগান। লিস্টন কোলাসোর পাস থেকে নর্থইস্টের ডি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো ইনস্টেপে জালে পাঠান জনি কাউকো। সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে প্রথম গোল করলনে কাউকো। ২৪ মিনিটে এটিকে মোহনবাগান গোল লক্ষ্য করে দুর্দান্ত শট নিয়েছিলেন মার্সেলো। প্রীতম কোটালের পায়ে লেগে বল বাইরে যায়। ২৭ মিনিটে জনি কাউকোর গোলমুখী শট নর্থইস্টের এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বাইরে যায়। প্রথমার্ধের শেষলগ্নে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। আবার সেই জনি কাউকোলিস্টন কোলাসো যুগলবন্দী। কাউকোর পাস থেকে ২১ করেন কোলাসো। দ্বিতীয়ার্ধেও এটিকে মোহনবাগানের আক্রমণের ঝাঁঝ অব্যাহত থাকে। ৫২ মিনিটে ৩১ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। লিস্টন কোলাসোর পাস নর্থইস্ট ইউনাইটেডের এক ফুটবলারের পায়ে লেগে মনবীরের কাছে যায়। বক্সে ঢুকে কাট করে এক ডিফেন্ডারকে টলিয়ে ডানপায়ের শটে গোল করেন মনবীর। ৮৮ মিনিটে নর্থইস্ট ইউনাইটেড গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন। এদিন যা সুযোগ পেয়েছিলেন, অনায়াসে হ্যাটট্রিক করতে পারেন।এদিনও দারুণ নজর কাড়েন লিস্টন কোলাসো। মরশুমের শুরু থেকেই স্বপ্নের দৌড় চলছে সবুজমেরুণের এই উইঙ্গারের। এদিনও বারবার প্রান্ত বদল করে ব্যতিব্যস্ত করে রাখেন নর্থইস্ট ইউনাইটেড রক্ষণকে। একটি গোল করে, একটি করিয়ে এটিকে মোহনবাগানের জয়ের নায়ক।

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

নর্থ–ইস্টের বিরুদ্ধে নামার আগে জুয়ান ফেরান্দোর মাথায় ঘুরছে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

১৩ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট পেয়ে আইএসএলের লিগ টেবিলে এই মুহূর্তে চতুর্থ স্থানে রয়েছে এটিকে মোহনবাগান। আর ২ ম্যাচ জিতলেই কার্যত নিশ্চিত হয়ে যাবে প্লে অফ। একই সঙ্গে বেঙ্গালুরু এফসি ও জামশেদপুর এফসিকে টপকে উঠে আসবে দ্বিতীয় স্থানে। এই অবস্থায় শনিবার লিগের একেবারে শেষে থাকা নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে এটিকে মোহনবাগান। লিগ তালিকায় সবার শেষে থাকলেও বিপক্ষকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন সবুজমেরুণ কোচ জুয়ান ফেরান্দো। নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ৩ পয়েন্ট পাওয়া যে সহজ হবে না, সেকথা মনে করছেন বাগান কোচ। বিপক্ষ শিবিরের থেকেও বেশি চিন্তা নিজেদের নিয়ে। একদিকে যেমন চোট আঘাতে জর্জরিত গোটা শিবির। তেমনই আবার আত্মতুষ্টির আশঙ্কা। আগের ম্যাচে লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে সবুজমেরুণ ব্রিগেড। দলের ফুটবলারদের চোটের সঙ্গে সেটাও একটা চিন্তা। জুয়ান ফেরান্দো মনে করছেন, এতে ফুটবলারদের মধ্যে আত্মতুষ্টি আসতে পারে। কেন লিগ টেবিলের শেষে থাকা নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে গুরুত্ব দিচ্ছেন সবুজমেরুণ কোচ? জুয়ান ফেরান্দোর ব্যাখ্যা, আমার দলের বেশ কয়েকজন ফুটবলারের চোট রয়েছে। রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামস, কার্ল ম্যাকহিউ, হুগো বোমাস, অমরিন্দার সিং, দীপক টাংরি, কিয়ান নাসিরি, প্রত্যেকেরই ছোটবড় চোট রয়েছে। দল গড়তে সমস্যা হচ্ছে। আর নর্থইস্ট ইউনাইটেডের হারানোর কিছু নেই। ওরা মরিয়া হয়ে ঝাঁপাতেই পারে। তাই আমাদের কাছে কাজটা কঠিন।১৬ ম্যাচে ২৯ পয়েন্টে শীর্ষে হায়দরাবাদ এফসি। জামশেদপুর এফসি ১৪ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট পেয়ে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। বেঙ্গালুরু এফসির ১৬ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট। শুক্রবার জামশেদপুর এফসির কাছে বেঙ্গালুরুর হারে সুবিধা হয়েছে এটিকে মোহনবাগানের। তবে এসব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না জুয়ান ফেরান্দো। তিনি শুধু একটা অঙ্কই ভেবে চলেছেন, কীভাবে লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছনো যায়। তাঁর লক্ষ্য এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলা। লিগ টেবিলে শীর্ষে থাকা দল এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ পাবে। নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে জুয়ান ফেরান্দো বলেন, ৩৫৩৬ পয়েন্ট পেলেই প্লে অফ নিশ্চিত। কিন্তু আমার লক্ষ্য শীর্ষস্থান। তাহলে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে পারব।

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

লিগ টেবিলে ৪ নম্বরে উঠে এসেও সমস্যায় এটিকে মোহনবাগান। কেন?‌

লিগ টেবিলে যতই ওপরের দিকে যাচ্ছে, সমস্যায় পড়ছে এটিকে মোহনবাগান। শীর্ষে থাকা হায়দরাবাদ এফসিকে হারিয়ে লিগ টেবিলে ৪ নম্বরে উঠে এলেও স্বস্তিতে নেই সবুজমেরুণ শিবির। চোটআঘাতে রীতিমতো জর্জরিত। শনিবার সামনে নর্থইস্ট ইউনাইটেড। নর্থইস্টের বিরুদ্ধে কীভাবে দল সাজাবেন, এখন সেটা নিয়েই চিন্তায় সবুজমেরুণ কোচ জুয়ান ফেরান্দো।আগের ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে দারুণ লড়াই করে জিতেছে। ৩ পয়েন্ট পেয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এলেও বড় ধাক্কা খেয়েছে সবুজমেরুণ শিবির। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে কুঁচকিতে চোটের জন্য মাঠ থেকে বেরিয়ে যান হুগো বোমাস। নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে মাঠে নামার মতো পরিস্থিতিতে নেই। কার্ল ম্যাকহিউকেও পেশিতে চোটের জন্য ৩৮ মিনিটে মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে হয়। তিনিও পরের ম্যাচে মাঠে নামতে পারবেন না। ডেভিড উইলিয়ামস ও অমরিন্দার সিংও চোটের কবলে। এই দুজনের খেলাও অনিশ্চিত। একাধিক ফুটবলারের চোটআঘাত সমস্যায় ফেলে দিয়েছে এটিকে মোহনবাগানকে।এই অবস্থায় নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে কীভাবে আক্রমণভাগ সাজাবেন, তা নিয়ে চিন্তায় জুয়ান ফেরান্দো। তাঁর কাছে আশার আলো চোট সারিয়ে রয় কৃষ্ণার অনুশীলনে নামা। পরের ম্যাচে হয়তো তাঁকে খেলাবেন জুয়ান ফেরান্দো, সঙ্গী হতে পারেন কিয়ান নাসিরি। ডার্বিতে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে হ্যাটট্রিক করেছিলেন কিয়ান। হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধেও আগের ম্যাচে তাঁকে পরে নামিয়েছিলেন। নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে হয়তো শুরু থেকেই সুযোগ পাবেন সবুজমেরুণের এই তরুণ স্ট্রাইকার। অমরিন্দারের পরিবর্তে তিন কাঠির নিচে দেখা যেতে পারে সুব্রত পালকে। তবে জুয়ান ফেরান্দোর হাতে আরও একদিন সময় আছে। এর মধ্যে মিরাকল ঘটিয়ে যদি অমরিন্দাররা খেলার মতো জায়গায় চলে আসে, তাহলে চিন্তামুক্ত হবেন জুয়ান। তবে পুরো ফিট না হলে তিনি কাউকে মাঠে নামাবেন না।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

এসসি ইস্টবেঙ্গলের আসল ‘‌হীরে’‌ তুলে নেওয়ার জন্য মরিয়া এটিকে মোহনবাগান

চুক্তিপত্রে সই করা নিয়ে ক্লাব কর্তা ও লগ্নিকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে মরশুম শুরুর আগেই টানাপোড়েন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত জট কাটে। শেষ মুহূর্তে দল গড়তে নেমে ভালমানের ফুটবলার পাননি এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। যে কজন স্বদেশি ফুটবলারকে সই করিয়েছিলেন, তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত উজ্জ্বল হীরা মণ্ডল। চলতি আইএসএলে হীরাই লালহলুদের আসল হীরে। ইতিমধ্যেই সামনের মরশুমের জন্য তাঁকে নিয়ে শুরু হয়েছে টানাটানি। ২০১৫ সালে পোর্ট ট্রাস্টের হয়ে ফুটবলজীবন শুরু করেন হীরা মণ্ডল। তারপর রোনবো এসসি, টালিগঞ্জ, পিয়ারলেস হয়ে ২০১৮১৯ মরশুমে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেন। লালহলুদ জার্সি গায়ে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। পরের মরশুমে যোগ দেন মহমেডান স্পোর্টিংয়ে। ২০২০২১ মরশুমে সাদাকালো জার্সি গায়ে আই লিগে নজরকাড়া ফুটবল খেলেছিলেন হীরা মণ্ডল। ১৪টি ম্যাচ খেলেছিলেন আই লিগে। লেফট ব্যাকে খেললেও দুর্দান্ত ওভারল্যাপে উঠতে পারেন। আই লিগে সাদাকালো জার্সি গায়ে দুটি গোলও করেছিলেন। এই মরশুমে আইএসএল শুরুর আগে এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা সই করায় হীরাকে। চলতি আইএসএলে এখনও পর্যন্ত ১৬টি ম্যাচ খেলেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। এরমধ্যে ২ ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পাননি হীরা মণ্ডল। বাকি ১৪টি ম্যাচেই তিনি খেলেছেন। আদতে লেফট ব্যাক হলেও দলের প্রয়োজনে কখনও সেন্ট্রাল ডিফেন্সে, কখনও আবার রাইট ব্যাকে খেলতে হয়েছে। সব জায়গাতেই নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরেছেন। চলতি আইএসএলে ভুল যে করেননি, এমন নয়। দুদুটি ম্যাচে আত্মঘাতী গোল করে ফেলেছিলেন হীরা। তবে বাকি ম্যাচে তাঁর দুরন্ত পারফরমেন্স ভুলত্রুটি ঢেকে দিয়েছে। ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে একটা দুর্দান্ত গোললাইন সেভ করে রীতিমতো প্রশংসা কুড়িয়েছেন। চলতি আইএসএলে এসসি ইস্টেঙ্গলের স্বদেশী ফুটবলারদের রেটিংয়ে তিনি রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। তাঁর রেটিং ৬.০৭। স্বদেশি ফুটবলারদের মধ্যে সবথেকে বেশি রেটিং নওরেম মহেশ সিংয়ের। তাঁর রেটিং ৬.১১। আইএসএলে ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলা এসসি ইস্টবেঙ্গলের হীরে তুলে নেওয়ার জন্য মরিয়া এটিকে মোহনবাগান। শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই হীরা মণ্ডলকে প্রস্তাব দিয়েছেন সবুজমেরুণ কর্তারা। সূত্রের খবর, এটিকে মোহনবাগান ছাড়াও আরও কয়েকটি ক্লাব হীরাকে পেতে চায়। এই তালিকায় রয়েছে মুম্বই সিটি এফসি, হায়দরাবাদ এফসির মতো ক্লাবগুলি। তবে এখনই সামনের মরশুম নিয়ে ভাবতে চাননা হীরা। লালহলুদ জার্সি গায়ে আপাতত ভালভাবে মরশুম শেষ করাই লক্ষ্য।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

আইএসএলে অন্য দলগুলির তুলনায় এটিকে মোহনবাগানের ভারতীয় স্ট্রাইকারদের কেন এত দাপট?‌

গত মরশুমে আইএসএলে এটিকে মোহনবাগানের হয়ে সর্বোচ্চ গোল করেছিলেন রয় কৃষ্ণা। এবছর সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে একেবারেই নিস্প্রভ ফিজির এই তারকা স্ট্রাইকার। রয় কৃষ্ণা সেভাবে জ্বলে উঠতে না পারলেও এবছর ফুল ফোটাচ্ছেন লিস্টন কোলাসো। ধারাবাহিকভাবে গোল করে চলেছেন এটিকে মোহনবাগানের এই ফরোয়ার্ড। এখনও পর্যন্ত আইএসএলে সব দল মিলিয়ে এটিকে মোহনবাগানের ভারতীয় স্ট্রাইকাররাই সবথেকে বেশি গোল করেছেন।এই বছর আইএসএলে হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ পর্যন্ত এটিকে মোহনবাগান ১৩ ম্যাচে গোল করেছে ২৬টি। সবথেকে বেশি গোল হুগো বোমাসের। ১১ ম্যাচ খেলে তিনি করেছেন ৫ গোল। সবথেকে বেশি ম্যাচ খেলেছেন লিস্টন কোলাসো। ১২ ম্যাচে তাঁর গোল সংখ্যা ৫। এরপরই রয়েছেন রয় কৃষ্ণা। ১০ ম্যাচে তিনি করেছেন ৪ গোল। আর পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে ৩ ম্যাচে কিয়ান নাসিরির গোল সংখ্যা ৩টি। ডেভিড উইলিয়ামস ১২ ম্যাচে করেছেন ৩ গোল।২০২০২১ আইএসএলে ২৩ ম্যাচে ৩২ গোল করেছিল এটিকে ২৬ গোল করেছিলেন বিদেশি স্ট্রাইকাররা। এরমধ্যে রয় কৃষ্ণাই একা করেছিলেন ১৪ গোল। আর ভারতীয় স্ট্রাইকারদের মধ্যে সবথেকে বেশি গোল করেছিলেন মনবীর সিং। ২১ ম্যাচে তাঁর গোল ছিল ৫টি। এবছর মনবীর তেমন জ্বলে উঠেতে না পারলেও তাঁর জায়গা নিয়েছেন লিস্টন কোলাসো। গত মরশুমে ১৯ ম্যাচে ২ গোল করেছিলেন লিস্টন কোলাসো। আর তাঁর পাস থেকে এসেছিল ৩ গোল।অন্য দলগুলিতে যেখানে বিদেশি স্ট্রাইকারদের দাপট, সেখানে এটিকে মোহনবাগানে স্বদেশি স্ট্রাইকারদের জয়জয়কার। হুগো বোমাস, রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামসদের মতো তারকা বিদেশি স্ট্রাইকারদের ভিড়ে নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরেছেন লিস্টন কোলাসো। পরিবর্ত হিসেবে ৩ ম্যাচে মাঠে নেমে একটা হ্যাটট্রিকও করে ফেলেছেন কিয়ান নাসিরি। ১৫ ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসি করেছে ৩৪ গোল। ১৩ ম্যাচ খেলে ১৪ গোল করেছেন আইএসএলের সেরা স্ট্রাইকার বার্থোসলোমেউ ওগবেচে। আপাতত তিনিই চলতি আইএসএলের সর্বোচ্চ গোলদাতা। ৪টি গোল করেছেন টোরো। ৩টি গোল করেছেন জোয়াও ব্রুনো। ২টি করে গোল করেছেন এডুয়ার্ডো গার্সিয়া ও জোয়েল যোশেফ।অন্যদিকে বেঙ্গালুরু এফসি ১৫ ম্যাচে করেছে ২৭ গোল। এর মধ্যে স্বদেশি ফুটবলারদের গোল সংখ্যা ২০। ওডিশা এফসি, মুম্বই সিটি এফসি, জামশেদপুর এফসি, কেরালা ব্লাস্টার্স, এফসি গোয়া, এসসি ইস্টবেঙ্গল, চেন্নাইন এফসির দলগুলির অধিকাংশ গোলই এসেছে বিদেশি ফুটবলারদের পা থেকে। ব্যতিক্রম নর্থইস্ট ইউনাইটেডের। এটিকে মোহনবাগানের মতো তাদেরও অধিকাংশ গোলের মালিক স্বদেশি ফুটবলাররা।

ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌হায়দরাবাদকে হারিয়ে চার নম্বরে উঠে এল এটিকে মোহনবাগান

হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে এটিকে মোহনবাগানের ম্যাচ ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিতলেই প্রথম চারে উঠে আসার সুযোগ। সেই সুযোগ দারুণভাবে কাজে লাগাল সবুজমেরুণ শিবির। হায়দরাবাদ এফসিকে ২১ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে দারুণভাবে টিকে রইল জুয়ান ফেরান্দোর দল। প্রায় প্রতি ম্যাচেই সুযোগ পেয়েছেন মনবীর সিং। অথচ দীর্ঘদিন গোল পাননি। তবুও এই স্ট্রাইকারের ওপর ভরসা হারাননি। রয় কৃষ্ণা, কিয়ান নাসিরির মতো স্ট্রাইকার থাকা সত্ত্বেও মনবীরের ওপর ভরসা রেখেছিলেন জুয়ান ফেরান্দো। কোচের আস্থার মর্যাদা দিলেন মনবীর। গোল করে দলকে দুর্দান্ত জয় এনে দিলেন। আইএসএলের শীর্ষে থাকা হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে লড়াইটা সহজ ছিল না এটিকে মোহনবাগানের। বিপক্ষে ছিলেন বার্থেলেমেউ ওগবেচের মতো স্ট্রাইকার। তা সত্ত্বেও গুটিয়ে থাকেনি সবুজমেরুণ ব্রিগেড। ম্যাচের শুরু থেকেই হায়দরাবাদ এফসির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ১৮ মিনিটে এগিয়েও যেতে পারত এটিকে মোহনবাগান। লিস্টন কোলাসোর পাস থেকে বল পেয়ে গোল লক্ষ্য করে দুর্দান্ত শট নেন হুগো বোমাস। তাঁর সেই শট ততোধিক তৎপরতার সঙ্গে বাঁচিয়ে দেন হায়দরাবাদ গোলকিপার লক্ষীকান্ত কাট্টিমানি। ২৪ মিনিটে বার্থেলেমেউ ওগবেচের শট বাঁচিয়ে এটিকে মোহনবাগানের পতন রোধ করেন অমরিন্দার সিং। প্রথমার্ধে জুয়ান ফেরান্দোর দলের আধিপত্য বেশি থাকলেও হায়দরাবাদ এফসি গোল করার মতো সুযোগ বেশি পেয়েছিল। তবে কাজে লাগাতে পারেনি। প্রথমার্ধে ম্যাচের ফল ছিল গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধেও দুই দল আক্রমণাত্মক মেজাজে শুরু করেছিল। ৫১ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত হায়দরাবাদ এফসি। রোহিত দানুর শট বারে লেগে গোললাইনের সামনে পড়ে বেরিয়ে যায়। প্রতি আক্রমণে উঠে এসে ৫৬ মিনিটে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। ডেভিড উইলিয়ামসের কাছ থেকে অনেকটা এগিয়ে গিয়ে কোনাকুনি শটে দলকে এগিয়ে দেন লিস্টন কোলাসো। ৩ মিনিট পর ব্যবধান বাড়ায় এটিকে মোহনবাগান। জনি কাউকোর কাছ থেকে বল পেয়ে তিনি ২০ করেন। ৬৭ মিনিটে ব্যবধান কমায় হায়দরাবাদ এফসি। জোয়াও ভিক্টরের দুরপাল্লার শট এটিকে মোহনবাগান অমরিন্দার সিংয়ের হাত থেকে বেরিয়ে এলে সেই বল জালে ঠেলে দেন জোয়েল চিয়ানিস। সমতা ফেরানোর জন্য ম্যাচের শেষদিকে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় হায়দরাবাদ। সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। হায়দরাবাদকে হারিয়ে ১৩ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট পেয়ে লিগ টেবিলে চতুর্থ স্থানে উঠে এল এটিকে মোহনবাগান।

ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ওগবেচেকে আটকাতে পারবেন? কী বলছেন সবুজমেরুন কোচ জুয়ান ফেরান্দো

শেষ ৪ ম্যাচে ৩টিতে ড্র। ডার্বি জয়ের পরপর দুম্যাচে আটকে গিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। ১২ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট পেয়ে এই মুহূর্তে লিগ টেবিলে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে সবুজমেরুন শিবির। মঙ্গলবার সামনে লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা হায়দরাবাদ এফসি। জিতলেই প্লে অফের দিকে অনেকটাই এগিয়ে যাবে এটিকে মোহনবাগান। কাজটা কিন্তু সহজ হবে না জুয়ান ফেরান্দোর দলের কাছে। কারণ সবুজমেরুন ডিফেন্সকে সামলাতে হবে এই আইএসএলের সবথেকে ভয়ঙ্কর স্ট্রাইকার বার্থেলেমিউ ওগবেচেকে। হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে এটিকে মোহনবাগানের কাছে স্বস্তির খবর ছোট সরিয়ে রয় কৃষ্ণার পুরো সুস্থ হয়ে ওঠা। তবে এই ম্যাচেও তাঁকে শুরু থেকে খেলানো হবে কিনা, তা নিশ্চিত নয়। আইএসএলের শুরু থেকেই রক্ষণ সমস্যায় ভুগছে এটিকে মোহনবাগান। সমস্যা মেটাতে সন্দেশ ঝিঙ্গানকে সই করিয়েছে। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে সবুজমেরুন জার্সি গায়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হতে চলেছে সন্দেশের। বার্থেলেমিউ ওগবেচেকে আটকানোই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ এই অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারের কাছে। এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো অবশ্য শুধু বার্থেলেমিউ ওগবেচেকে নিয়ে ভাবছেন না। তাঁর চিন্তা গোটা হায়দরাবাদ টিম। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে জুয়ান ফেরান্দো বলেন, শুধু ওগবেচেকে আটকানোর পরিকল্পনা করলেই হবে না। ওদের দলে আরও ভাল ভাল ফুটবলার আছে। তাঁদের নিয়েও পরিকল্পনা করতে হবে। ওগবেচে দুর্দান্ত স্ট্রাইকার। সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ওর পেছনে গোটা দল আছে। তাদের আটকাতে হবে। গোটা হায়দরাবাদ দলকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন জুয়ান ফেরান্দো। প্রথম পর্বের লড়াইয়ে শেষ মুহূর্তের গোলে জয় হাত ছাড়া হয়েছিল এটিকে মোহনবাগানের। এবার ৩ পয়েন্ট তুলতে মরিয়া।

ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ডার্বির নায়ক সুযোগ পেলেন মাত্র ৫ মিনিট!‌ বদলা নিতে ব্যর্থ সবুজমেরুণ

এটিকে মোহনবাগানের কাছে মুম্বই সিটি এফসি যেন শক্ত গাঁট হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইএসএলে মুম্বই সিটির বিরুদ্ধে এখনও জয় নেই সবুজমেরুণ শিবিরের। এবছর প্রথম পর্বের ম্যাচে ৫১ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। ডার্বি জয়ের পর সমর্থকরা আশা করেছিলেন দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে হয়তো মধুর প্রতিশোধ নেমেন হুগো বোমাসরা। মুম্বই সিটি এফসিকে হারানোর স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল জুয়ান ফেরান্দোর দলের কাছে। ড্র করে কোনও রকম মান বাঁচাল এটিকে মোহনবাগান। ম্যাচের ফল ১১। ম্যাচের আগের দিনই জুয়ান ফেরান্দো ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ডার্বির নায়ক কিয়ান নাসিরিকে শুরু থেকে মাঠে নামাবেন না। এমনকি পুরো ফিট হয়ে যাওয়া রয় কৃষ্ণাকেও মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে রাখেননি। ডেভিড উইলিয়ামসকে একা সামনে রেখে ৪২৩১ ছকে দল সাজিয়েছিলেন জুয়ান ফেরান্দো। উইলিয়ামসের পেছনে মনবীর সিং, হুগো বোমাস ও লিস্টন কোলাসো। সবুজমেরুণ কোচের লক্ষ্য ছিল শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে গোল তুলে নেওয়া। লক্ষ্যে সফলও হয়েছিলেন। ম্যাচের ৯ মিনিটে এগিয়েও যায় এটিকে মোহনবাগান। আমেদ জাহুর ভুল পাস থেকে বল পেয়ে যান হুগো বোমাস। জাহু মরিয়া হয়ে ট্যাকেল করেন বোমাসকে। বল ছিটকে চলে যায় ডেভিড উইলিয়ামসের কাছে। গড়ানো শটে এটিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন উইলিয়ামস। পিছিয়ে পড়ে মরিয়া হয়ে ওঠে মুম্বই সিটি এফসি। এই সময় ছন্দ হারিয়ে ফেলেন হুগো বোমাসরা। সেই সুযোগে ২৪ মিনিটে সমতা ফেরায় মুম্বই সিটি এফসি। যদিও তারা গোল পায় প্রীতম কোটালের বদান্যতায়। ২৪ মিনিটে বিপিন এটিকে মোহনবাগান গোল লক্ষ্য করে লম্বা শট নেন। প্রীতম হেডে বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালে পাঠিয়ে দেন। ৩৬ মিনিটে উইলিয়ামসের হেড পোস্টে না লাগলে এগিয়ে যেতে পারত এটিকে মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই গোল করার মতো তেমন সহজ সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে আশুতোষের জায়গায় কিয়ানকে মাঠে নামান জুয়ান ফেরান্দো। এদিন আর সুপার সাব হতে পারেননি কিয়ান। ম্যাচ ড্র হওয়ায় দ্বিতীয় স্থানে উঠতে পারল না এটিকে মোহনবাগান। ১২ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে ৫ নম্বরেই থাকল সবুজমেরুণ ব্রিগেড।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

মুম্বই সিটি–র বিরুদ্ধে বদলার ম্যাচ এটিকে মোহনবাগানের, কী বলছেন জুয়ান ফেরান্দো?‌

সোমবার মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে আইএসএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে নামছে এটিকে মোহনবাগান। এই মুহূর্তে ১১ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে পঞ্চম স্থানে রয়েছে সবুজমেরুণ শিবির। জুয়ান ফেরান্দোর দলের সামনে চতুর্থ স্থানে উঠে আসার সুযোগ। সুযোগ কাজে লাগাতে মরিয়া এটিকে মোহনবাগান। মুম্বই সিটি এফসিকে হারালেই দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসার পাশাপাশি শীর্ষস্থানে থাকা হায়দরাবাদ এফসির সঙ্গে ব্যবধান অনেকটাই কমে আসবে। সেই দিকেই তাকিয়ে সবুজমেরুণ শিবির। এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ডার্বিতে জয় আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে এটিকে মোহনবাগানের। সেই আত্মবিশ্বাসের ওপর ভর করে মুম্বই সিটি এফসিকে বদ করতে চাইছে জুয়ান ফেরান্দোর দল। আইএসএলের প্রথম পর্বে ৫১ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হতে হয়েছিল এটিকে মোহনবাগানকে। এবার প্রতিশোধ নিতে মরিয়া সবুজমেরুণ শিবির। ডার্বিতে জয় আশাবাদী করে তুলেছে জু্য়ান ফেরান্দোর দলকে।আইএসএলে সবথেকে কম বয়সী ফুটবলার হিসেবে আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে নজর কেড়েছেন কিয়ান নাসিরি। সবার নজর এখন ২১ বছর বয়সী স্ট্রাইকারের দিকে। রয় কৃষ্ণা, হুগো বোমাস, ডেভিড উইলিয়ামসের মতো বিদেশিদের ভিড়ে ফেরান্দো তাঁকে শুরু থেকেই মাঠে নামান কিনা, এখন সেটাই দেখার। তবে ডার্বিতে হ্যাটট্রিক মনোবল অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে জামশিদ নাসিরির পুত্র কিয়ান নাসিরির। গোটা সবুজমেরুণ শিবিরের আত্মবিশ্বাসও তুঙ্গে।মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে ডার্বিতে জয় মাথায় রাখছেন না এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। আইএসএলে এখনও পর্যন্ত মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে জয় পায়নি এটিকে মোহনবাগান। মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে পরিসংখ্যানও মাথায় রাখছেন না সবুজমেরুণ কোচ। তিনি বলেন, অতীত মাথায় রাখাটা জরুরি নয়। ফুটবলে কোনও কিছু নির্দিষ্ট নয়। প্রত্যেকটা ম্যাচই আলাদা। এবারের আইএসএলে ভাল শুরু করেও ছন্দপতন হয়েছে মুম্বইয়ের। ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট পেয়ে এই মুহূর্তে লিগ টেবিলে এটিকে মোহনবাগানের ঠিক পরেই রয়েছে মু্ম্বই সিটি এফসি। তা সত্ত্বেও বিপক্ষ শিবিরকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন এটিকে মোহনবাগান কোচ।জুয়ান ফেরান্দোর দলকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন মুম্বই সিটি এফসি কোচ ডেস বাকিংহাম। এমনকি প্রথম পর্বের জয়ও মাথায় রাখছেন না। এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে তিনি বলেন, আমি এই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। এটিকে মোহনবাগানকে হারালেই লিগ টেবিলে ওপরের দিকে উঠে আসব। প্রথম পর্বে যে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলেছিলাম, সেই মোহনবাগানের সঙ্গে এই দলের অনেক পার্থক্য রয়েছে। আগের থেকে অনেকটাই সংঘবদ্ধ।

ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌ঘুরে দাঁড়াতে পারবে লালহলুদ?‌ কী বলছেন প্রাক্তন ফুটবলাররা

লালহলুদ সমর্থকরা তাকিয়ে ছিলেন ডার্বির দিকে। যদি এটিকে মোহনবাগানকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো যায়। স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেছে লালহলুদ সমর্থকদের কাছে। ডার্বিতে হেরে সম্মান তো গেছেই, ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নও শেষ এসসি ইস্টবেঙ্গলের। সোমিফাইনালের রাস্তা আগেই বন্ধ হয়েছে। এবার ওপরের দিকে ওঠার রাস্তাও ফিকে হয়ে গেছে ডার্বিতে হেরে। প্রাক্তন ফুটবলাররাও লালহলুদের ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেখছেন না।প্রাক্তন ফুটবলার শ্যাম থাপা বলছিলেন, ডার্বির আগেই বলছিলাম, এসসি ইস্টবেঙ্গল জিতলে সেটা হবে বড় অঘটন। যাই হোক অঘটন ঘটেনি। তবে একটা কথা বলতেই হবে, ডার্বিতে এই আইএসএলের সেরা খেলাটা খেলেছে লালহলুদ। তিনি আরও বলেন, ডার্বিতে কিন্তু জেতার মতো ফুটবল খেলেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। ভাগ্য সহায় না হওয়ায় গোল পায়নি। শেষ লগ্নে এটিকে মোহনবাগান গোল করে দিয়ে চলে যায়। তবে একটা কথা বলব, ডার্বিতে ভাল খেললেও এই ইস্টবেঙ্গলের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা খুবই কম। হয়তো দুএকটা ম্যাচ জিততে পারে, কিন্তু খুব বেশি ওপরে উঠতে পারবে না। দলকে জেতানোর মতো কোয়ালিটি ফুটবলার এই দলে নেই।এসসি ইস্টবেঙ্গলের ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেখছেন না আর এক প্রাক্তন ফুটবলার সমরেশ চৌধুরিও। তিনি বলছিলেন, ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের খেলা দেখে ভাল লেগেছে ঠিকই, কিন্তু ওপরের দিকে ওঠার সম্ভাবনা খুবই কম। এই বছর আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের সেরা খেলাটা ডার্বিতেই দেখেছি। কিন্তু গোল করতে না পারায় হারতে হয়েছে। প্রথমার্ধে পেরোসেভিচের গোলটা এবং দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে নওরেম মহেশ সিংয়ের গোলটা হয়ে গেলে খেলার ফল অন্যরকম হয়ে যেত। কেন লালহলুদের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা দেখছেন না? সমরেশ চৌধুরির ব্যাখ্যা, ডাটাচচ্চড়ির মশলা দিয়ে কি আর ভাল বিরিয়ানি রাঁধা যায়? এই এসসি ইস্টবেঙ্গলে তো দলকে জেতানোর মতো ফুটবলারই নেই। আমার মনে হয় না এই দল খুব বেশি ওপরের দিকে যেতে পারবে। বড় জোর দুএকটা ম্যাচ জিততে পারে।আর এক প্রাক্তন ফুটবলার মেহতাব হোসেন বলছিলেন, ডার্বিতে হারলেও এসসি ইস্টবেঙ্গল কিন্তু খুব একটা খারাপ ফুটবল খেলেনি। এই জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে হয়তো সম্মানজনক জায়গায় যেতে পারবে। কিন্তু বেশি ওপরের দিকে উঠতে পারবে না।

জানুয়ারি ৩১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ডার্বি হেরেও গর্বিত লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা!‌ কেন?‌

একসময় আলেজান্দ্রোকে সরিয়ে মারিও রিভেরাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন লালহলুদ কর্তারা। তাঁর হাত ধরেই আই লিগে দুঃসময় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এবারও আইএসএলে ঘুরে দাঁড়ানোয় আশায় সেই রিভেরার শরণাপন্ন হয়েছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। দায়িত্ব নিয়েই এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে জয়। কিন্তু পরের দুটি ম্যাচেই হার। লালহলুদ সমর্থকদের সবথেকে বেশি ধাক্কা দিয়ে গেছে ডার্বিতে এটিকে মোহনবাগানের কাছে ৩১ ব্যবধানে পরাজয়। সারা ম্যাচে ভাল খেলেও কেন হারতে হল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে? ম্যাচের শেষ ২ মিনিটই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে বলে দাবি করেন লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা। রক্ষণ জমাট করে ডার্বিতে দল সাজিয়েছিলেন লালহলুদ কোচ। লক্ষ্য ছিল প্রতিআক্রমণে গোল তুলে নেওয়া। হুগো বোমাস, ডেভিড উইলিয়ামসের মতো বিদেশি স্ট্রাইকারদের জ্বলে ওঠার সুযোগ দেননি আদিল খান, ফ্রাঞ্জো পর্চেরা। ড্যারেন সিডোয়েলের গোলে এগিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। হারলেও ফুটবলারদের পারফরমেন্সে খুশি লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা। ডার্বিতে হারের পর তিনি বলেন, যে কোনও হারে হতাশ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তার ওপর ডার্বির মতো ম্যাচে হার। খুবই খারাপ লাগছে। তবে ফুটবলাররা যেভাবে গোটা ম্যাচ লড়াই করেছে, তাতে আমি গর্বিত। আমার পরিকল্পনা মতোই ওরা খেলেছে। দারুণ লড়াই করেছে।ডার্বিতে হারের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দুটি কারণকে উল্লেখ করেছেন লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা। তাঁর কথায়, শুরুতেই অঙ্কিতের চোট সমস্যায় ফেলে দিল। রক্ষণে পরিবর্তন করা ছাড়া আমার আর অন্য কোনও উপায় ছিল না। অমরজিৎ কিয়াম দারুণ লড়াই করেছে। আমরা এগিয়ে যাওয়ার পর এটিকে মোহনবাগান সমতা ফেরায়। আমরা চেয়েছিলাম ১০ ফল ধরে রাখতে। কিন্তু ওরা দ্রুত সমতা ফেরায়। আর একটু দেরিতে প্রথম গোল করলে হয়তো আমরা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারতাম। শেষ ২ মিনিটে ২ গোল করে আমার সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছিল। রিভেরা আরো বলেন, ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে ম্যাচটা ওপেন হয়ে গিয়েছিল। ওই সময় আমরা ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলাম। যদি ব্যবধান বাড়াতে পারতাম, তাহলে অন্যরকম ফল হত। হারলেও ফুটবলাররা গর্বিত করার খেলেছে।

জানুয়ারি ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌ইতিহাস নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না, ডার্বির নায়ক কিয়ানের লক্ষ্য কী?‌

ডার্বিতে দুরন্ত পারফরমেন্সের পরে অনেক ফুটবলার হারিয়ে গেছেন। অনেকেই বিস্মৃতির অন্তরালে। আসলে ফোকাসটা নড়ে যায়। শনিবার এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে দুরন্ত হ্যাটট্রিক করে সতর্ক এটিকে মোহনবাগানের নতুন নায়ক কিয়ান নাসিরি। মাটিতেই পা রেখে চলতে চান সবুজমেরুণের এই নতুন স্ট্রাইকার। দলকে সাফল্য এনে দেওয়াটাই এখন তাঁর মূল লক্ষ্য। ডার্বিতে গোল করাটা যে কোনও ফুটবলারের কাছেই স্বপ্ন থাকে। কোচ জুয়ান ফেরান্দো যখন তাঁকে মাঠে নামার জন্য ওয়ার্ম আপের কথা বলেছিলেন, স্বপ্ন দেখছিলেন মাঠে নেমে এসসি ইস্টবেঙ্গলের জালে বল ঢোকানোর। শুধু স্বপ্নপূরণই হয়নি, একেবারে হ্যাটট্রিক। কিয়ান বলেন, সব ফুটবলারেরই স্বপ্ন থাকে ডার্বিতে গোল করার। আমিও মাঠে নামার আগে স্বপ্ন দেখেছিলাম। সত্যি বলতে কী, ডার্বিতে হ্যাটট্রিক করে আমি ঘোরের মধ্যে রয়েছি। আমি একজন উইঙ্গার ও স্ট্রাইকার। নিজের দায়িত্ব পালন করতে পেরে ভাল লাগছে।শনিবার এসসি ইস্টবেঙ্গলের জালে তিনতিনবার বল ঢুকিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছেন কিয়ান নাসিরি। ইতিহাস নিয়ে অবশ্য মাথা ঘামাতে নারাজ সবুজমেরুণের নতুন তারকা। তিনি বলেন, ইতিহাস নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। আমার কাজ হল গোল করে দলকে জেতানো। সেই কাজটা করতে পেরেছি। কোচ আমার ওপর আস্থা রেখেছিলেন। সেই আস্থার মর্যাদা দিতে পেরে ভাল লাগছে। ডার্বিতে হ্যাটট্রিক করাটা দারুণ ব্যাপার। কিন্তু এখানেই থেমে থাকলে চলবে না। দলে জায়গা পাকা করতে হবে। দল পিছিয়ে থাকার সময় কিয়ানকে মাঠে নামিয়েছিলেন এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। মাঠে নেমেই সমতা ফেরান কিয়ান। সবাই যখন ধরে নিয়েছে ম্যাচ ড্রয়ের পথে এগোচ্ছে, একেবারে অন্তিম লগ্নে গোল করে দলকে ২১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। এই গোলটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। নিজের তিনটি গোলের মধ্যে দ্বিতীয়টাকেই সেরা বেছে নিয়েছেন কিয়ান। তাঁর কথায়, আমার কাছে দ্বিতীয় গোলটাই সেরা। কারণ ওই গোলেই দল এগিয়ে গিয়েছিল। ডার্বিতে হ্যাটট্রিক গোটা দলকে উৎসর্গ করেছেন কিয়ান।

জানুয়ারি ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ভবিষ্যতে কি লালহলুদ জার্সি গায়ে চাপাবেন কিয়ান?‌ এড়িয়ে গেলেন জামশিদ নাসিরি

পড়াশোনার জন ইরান থেকে ভারতে এসেছিলেন জামশিদ নাসিরি। ভর্তি হয়েছিলেন আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় খেলতে গিয়ে নজরে পড়ে যান ইস্টবেঙ্গল রিক্রূটারদের। লালহলুদ কর্তারা সই করিয়েছিলেন ইরানের এই ফুটবলারকে। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে খেলেছিলেন ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডানে। দুই প্রধানের জার্সি গায়ে ডার্বিতে গোলও করেছিলেন। সেই সময় বিদেশি ফুটবলার খেলানোর নিয়ম ছিল না মোহনবাগানে। ফলে ইচ্ছে থাকলেও সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে দেওয়ার সুযোগ হয়নি জামশিদের। নিজের স্বপ্নপূরণ না হলেও জামশিদ নাসিরি চেয়েছিলেন তাঁর ছেলে কিয়ান নাসিরি সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে খেলুক। সবুজমেরুণ অলিন্দেই বেড়ে ওঠা কিয়ানের। একেবারে ছোট থেকেই বাবার হাত ধরে মোহনবাগান মাঠে যাতায়াত শুরু। জামশিদ একসময় সিসিএফসির অ্যাকাডেমির কোচ ছিলেন। বাবার কাছেই ফুটবলের হাতেখড়ি কিয়ানের। ছোট থেকেই বলের ওপর দারুণ নিয়ন্ত্রণ ছিল। ১২ বছর বয়সে জুনিয়র বাংলা দলে সুযোগ। ২০১৩ সালে মোহনবাগান যুব দলে। ২০১৬তে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের হয়ে জুনিয়র আই লিগে খেলেছিলেন কিয়ান। এরপর মোহনবাগান অনূর্ধ্ব ১৯ দল হয়ে ২০১৯২০ সালে সিনিয়র দলে। কিউ ভিকুনার কোচিংয়ে সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে খেলার সুযোগ পাননি। দীর্ঘদিন ধরে সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন কিয়ান। অবশেষে ডার্বিতে মাঠে নেমেই বাজিমাত। একেবারে নায়ক। মাঠের বাইরে বসে থেকে থেকে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন কিয়ান। তবে হতাশ হয়ে পড়েননি। যেমন হতাশ হননি কিয়ানের বাবা জামশিদ নাসিরিও। গর্বিত পিতা বলছিলেন, এটিকে মোহনবাগানের ম্যাচ থাকলেও ভাবতাম, হয়তো ১০১৫ মিনিট খেলার সুযোগ পাবে ছেলে। প্রতিদিন টিভির সামনে বসে ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত হয়ে পড়তাম। কিন্তু আশা ছাড়িনি। জানতাম একদিন না একদিন সুযোগ পাবে। অবশেষে প্রথম সুযোগেই হ্যাটট্রিক। তাও আবার ডার্বির মতো ম্যাচে। এর থেকে ভাল অভিষেক আর হতে পারে না। আমি যা করে দেখাতে পারিনি, ছেলে সেই কাজ করে দেখিয়েছে। প্রমাণ করেছে বড় ক্লাবের জার্সি গায়ে দেওয়ার যোগ্যতা কিয়ানের রয়েছে। সত্যিই আমি গর্বিত। ছেলের এই জায়গায় পৌঁছনোর জন্য সবথেকে বেশি কৃতিত্ব দিয়েছেন কিবু ভিকুনাকে। জামশিদ বলছিলেন, দীর্ঘদিন মোহনবাগান জুনিয়র দলে ছিল। একসময় ভিকুনা জুনিয়র দল থেকে ৪ জনকে সিনিয়র দলে নিয়েছিল। তারমধ্যে কিয়ান ছিল। ভিকুনাই ঘসেমেজে ওকে তৈরি করেছে। কিয়ানের এই জায়গায় উঠে আসার জন্য সব কোচের কাছেই আমি কৃতজ্ঞ। তবে সবথেকে বেশি কৃতজ্ঞ ভিকুনার কাছে। এই মুহূর্তে দেশে ভালমানের স্ট্রাইকারের অভাব। জামশিদের আশা কিয়ান ঠিকমতো সুযোগ পেলে দেশে স্ট্রাইকারের অভাব মেটাতে পারবে।সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে ছেলের হ্যাটট্রিক। অন্যদিকে প্রিয় ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের হার। ভাললাগার পাশাপাশি খারাপও লাগছে জামশিদ নাসিরির। বলছিলেন, ছেলে হয়াটট্রিক করেছে, এরথেকে ভাল কিছু আর হতে পারে না। তবে ইস্টবেঙ্গল হেরে যাওয়ায় খারাপও লাগছে। ইস্টবেঙ্গলের সামনেও গোল করার মতো অনেক সুযোগ এসেছিল। গোল করতে পারলে হয়তো ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারত। লালহলুদ জার্সি গায়ে অনেক ডার্বি ম্যাচ কাঁপিয়েছেন জামশিদ। সবুজমেরুণ জার্সি গায়ে ডার্বি অভিষেকেই চমক কিয়ানের। ছেলেকে কি ভবিষ্যতে লালহলুদ জার্সিতে দেখতে চান জামশিদ নাসিরি? প্রশ্নটা শুনেই কেমন যেন অন্যমনস্ক হয়ে গেলেন। এড়িয়ে গেলেন প্রশ্নটা। তাহলে কি নিজের পুরনো ক্লাবের প্রতি কোনও অভিমান রয়েছে জামশিদের? জামশিদ বলছিলেন, আমি লালহলুদ জার্সি গায়ে ঘাম ঝড়িয়েছি। ও মোহনবাগানের কাছে দায়বদ্ধ। তবে আমি চাই ভবিষ্যতে কিয়ান দেশের হয়ে খেলুক।

জানুয়ারি ৩০, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

বোমা বিষ্ফোরণে কেঁপে উঠলো ঢাকা, মৃত্যু এক, অপরাধ-হিংসা বেড়েই চলেছে বাংলাদেশে

ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার পর থেকে বাংলাদেশ উত্তপ্ত। তারপর ময়মনসিংহের দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করেছে জেহাদীরা। চট্টগ্রামে হিন্দু বাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। অতপর আজ, বুধবার ঢাকায় নিউ ইস্কাটনে ককটেল বোমা নিক্ষেপ করেছে দুষ্কৃতীরা। সেই বোমায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। ইউনূস সরকারের আমলে একের পর এক অপরাধ ঘটেই চলেছে। বড়সড় প্রশ্নের মুখে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব।প্রথম আলো সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া ককটেলের বিস্ফোরণে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে এটাকে বোমার বিস্ফোরণ বলেছিল।এ বিষয়ে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, রাত পৌনে ৮টার দিকে নিউ ইস্কাটনের বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ফটকের সামনে শক্তিশালী ককটেলের বিস্ফোরণ হয়। এ সময় ওই যুবক গুরুতর আহত হন। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।পুলিশের উপকমিশনার মাসুদ আলম জানান, নিহত ব্যক্তির নাম সিয়াম বলে জানা গেছে। তিনি সেখানে চা খেতে এসেছিলেন। ওপর থেকে ককটেল এসে তাঁর মাথার ওপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।এদিকে নির্বাচনে লড়াই করার প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলি। খালেদাপুত্র তারেক রহমানের আগামী কাল বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে সরকার। পাশাপাশি তাঁকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিএনপি নেতা-কর্মীরা। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিনি বাংলাদেশে ফিরছেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
বিদেশ

ঢাকায় ছাত্রনেতা ওসমান হাদী হত্যা, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অন্তর্বর্তী সরকারের একাংশের বিরুদ্ধে

ঢাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশি ছাত্রনেতা ও সাংস্কৃতিক সংগঠক শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্যুকে ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন পরই ওসমান হাদীর পরিবার সরাসরি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি অংশের বিরুদ্ধে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ভণ্ডুল করার উদ্দেশ্যে এই হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগ তুলেছে।২০২৪ সালের জুলাই মাসের বিদ্রোহের পর গড়ে ওঠা সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম ইনকিলাব মঞ্চএর মুখপাত্র ছিলেন শরীফ ওসমান হাদী। গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বিমানে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলেও ১৮ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।এই মৃত্যুর পর ঢাকায় সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। একাধিক জায়গায় জনতা বিশিষ্ট সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের অফিস লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।ওসমান হাদীর ভাই শরীফ ওমর হাদী ঢাকার শাহবাগে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, আপনারাই ওসমান হাদীকে হত্যা করেছেন, আর এখন সেই হত্যাকাণ্ডকে ইস্যু করে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছেন।ওমর হাদী জানান, তার ভাই ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন চেয়েছিলেন এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা নয় বরং একটি স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পক্ষে ছিলেন। তিনি দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, খুনিদের শাস্তি না হলে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হবে। সরকার এখনও পর্যন্ত আমাদের কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি ন্যায়বিচার না হয়, তবে বর্তমান ক্ষমতাসীনদেরও একদিন দেশ ছাড়তে হতে পারে। যেমনটি গত বছর গণবিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে ঘটেছিল। ওমর অভিযোগ করেন, কোনও সংস্থা বা বিদেশি প্রভুদের কাছে মাথা নত না করায় ওসমান হাদীকে হত্যা করা হয়েছে।দ্য ডেইলি স্টারএর প্রতিবেদনে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের দাবি করেছেন, এই হত্যাকাণ্ড জুলাইয়ের বিদ্রোহের অর্জন ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের উদ্দেশ্যে একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তার অভিযোগ, আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা শক্তি ও দেশের ভেতরের ফ্যাসিবাদী সহযোগীরা এই হত্যার সঙ্গে যুক্ত।বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না। তবে ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা স্পষ্ট করেছেন, ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার দিন তারা কোনও কর্মসূচি নেবেন না। একইসঙ্গে তারা আশা প্রকাশ করেছেন, তারেক রহমান তাদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাবেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
রাজ্য

সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

গত ১২ এপ্রিল, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সামশেরগঞ্জ থানা এলাকার জাফরাবাদ গ্রামের দুই বাসিন্দা হরগোবিন্দ দাস এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে উত্তেজিত জনতার একটি দল নৃশংসভাবে হত্যা করে। এই জোড়া খুনের মামলার তদন্তে গঠিত হয়েছিল একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর ১৩ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জমা পড়েছিল চার্জশিট।আজ রায় বেরিয়েছে মামলার। অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত ১৩ জন অভিযুক্তকেই দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি ঘোষণা করেছেন। এখানে একটি প্রাসঙ্গিক তথ্য, গণপিটুনিতে মৃত্যুর ধারায়(যা কয়েক বছর আগে চালু হওয়া নতুন ফৌজদারি বিধিতে ১০৩(২) ধারায় চিহ্নিত হয়েছিল) এটি দেশে দ্বিতীয় conviction.দণ্ডিত ১৩ জনের নাম হলো:১. দিলদার নদাব (২৮), ২. আসমাউল নদাব ওরফে কালু (২৭), ৩. এনজামুল হক ওরফে বাবলু (২৭), ৪. জিয়াউল হক (৪৫), ৫. ফেকারুল সেখ ওরফে মহক (২৫), ৬. আজফারুল সেখ ওরফে বিলাই (২৪), ৭. মনিরুল সেখ ওরফে মনি (৩৯), ৮. একবাল সেখ (২৮), ৯. নুরুল ইসলাম (২৩), ১০. সাবা করিম (২৫), ১১. হযরত সেখ ওরফে হযরত আলী (৩৬), ১২. আকবর আলী ওরফে একবর সেখ (৩০) এবং ১৩. ইউসুফ সেখ (৪৯)।এদের মধ্যে ৫ জনের নাম এফআইআর-এ ছিল। বাকিদের তদন্তে পাওয়া তথ্য এবং তাঁদের ভূমিকার ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওড়িশার ঝারসুগুডা, ঝাড়খণ্ডের পাকুড়, বীরভূমের পাইকর, হাওড়া, ফারাক্কা, সামশেরগঞ্জ এবং সুতি-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়।তদন্তের সময় সিসিটিভি (CCTV) ক্যামেরা থেকে প্রাথমিক সূত্র পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া গুগল ম্যাপস লোকেশন ভিজ্যুয়ালাইজেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে অভিযুক্তদের মোবাইলের সিডিআর (CDR) ম্যাপে প্লট করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে অপরাধের জায়গায় তাঁদের উপস্থিতি এবং প্রবেশ-প্রস্থানের পথ স্পষ্টভাবে প্রমাণ করা হয়েছে।অভিযুক্তদের হাঁটার ধরন বা গেইট প্যাটার্ন বিশ্লেষণ (Gait pattern analysis) করা হয়েছিল, যা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাওয়া ব্যক্তিদের হাঁটার ধরনের সাথে হুবহু মিলে গেছে। আদালত এই রায়ে ডিএনএ (DNA) প্রমাণের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন। অপরাধে ব্যবহৃত অস্ত্রে লেগে থাকা রক্তের ডিএনএ-র সাথে মৃত ব্যক্তিদের ডিএনএ মিলে গিয়েছে।এই মামলার সঙ্গে যুক্ত মিঠুন হালদার, ইন্সপেক্টর প্রসূন মিত্র এবং বিভাস চট্টোপাধ্যায়, এই তিন পুলিশ আধিকারিক দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে বলে অভিনন্দন জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ। মাত্র নয় মাসের মধ্যেই দোষীদের শাস্তি সুনিশ্চিত করার জন্য জঙ্গিপুর জেলা পুলিশকেও অভিনন্দন জানিয়েছে উর্দ্ধতন পুলিশ কর্তারা।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
কলকাতা

বাংলাদেশে হিন্দু খুনের প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা, বাংলা হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার

কলকাতার রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠল মঙ্গলবার। বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় একাধিক বিক্ষোভকারী আহত এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন-সহ একাধিক ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃংশস ভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। তাঁকে মারধর করে পোস্টে বেঁধে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী বাংলাদেশ পুলিশ স্বীকার করে দীপু কোনওরকম সাম্প্রদায়িক কথা বলেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকী বাংলাদেশ পুলিশ তাঁকে না রক্ষা করে হত্যাকারীদের হাতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ।বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্য়াচারের প্রতিবাদেই এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকরা হাইকমিশনের সামনে জমায়েত হতে শুরু করেন। প্রথমদিকে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বেগবাগান এলাকায় একাধিক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের মূল গেটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বারবার মাইকে সতর্কবার্তা দিয়ে জমায়েত ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ধস্তাধস্তি শুরু হলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। লাঠিচার্জের পর পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ এবং মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত বাহিনী। সাময়িকভাবে যান চলাচলও ব্যাহত হয়।পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা রক্ষা করা প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে আরও অবনতি না ঘটে, সেই কারণেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারী সংগঠনগুলির বক্তব্য, তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জের নিন্দা জানিয়ে তাঁরা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হাঁসখালি কাণ্ডে তৃণমূল নেতার ছেলে সহ তিনজনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা আদালতের

নদিয়ার হাঁসখালি গণধর্ষণ, খুন ও প্রমান লোপাটের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করে আদালত। গতকাল, সোমবার মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা সহ মোট ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর আজ রাণাঘাট আদালত অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করে। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে ব্রজ গয়ালী, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিক তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিদের সাজাও ঘোষণা করেছে আদালত। তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালীর পাঁচ বছর কারবাসের সাজা হয়েছে।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় অভিযুক্তদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এবং তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা নথি ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। মামলায় সরকারি কৌঁসুলি সওয়ালে জানান, অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে অপরাধে যুক্ত ছিল এবং তা প্রমাণ করতে পর্যাপ্ত তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করেছিল ২ জনকে। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে যায় সিবিআইয়ের ওপর।রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। রায় শোনার পর দোষী সাব্যস্ত হওয়া অভিযুক্তদের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। আদালতের এই সিদ্ধান্তে হাঁসখালি সহ গোটা নদিয়া জেলায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই মামলাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তদের মধ্যে শাসকদলের নেতা থাকায় তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হয়েছে। উচ্চতর আদালতে যাবেন বলে আসামী পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal