• ৮ শ্রাবণ ১৪৩২, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

IPL

খেলার দুনিয়া

IPL Match : মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে প্লে অফের লড়াইয়ে রাখলেন হার্দিক পান্ডিয়া

পাঞ্জাব কিংস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স মুখোমুখি হওয়ার আগে দুই দলের ওপর চাপ বাড়িয়ে দিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জয়। নাইট রাইডার্স জিতে যাওয়ায় প্লে অফে ওঠার লড়াইয়ে ম্যাচ রোহিত ও রাহুল দুজনের দলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্লে অফের লড়াইয়ে দারুণ ভাবে টিকে রইল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। টস জিতে পাঞ্জাব কিংসকে ব্যাট করতে পাঠান মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ঘাড়ে চোটের জন্য এই ম্যাচে খেলতে পারেননি মায়াঙ্ক আগরওয়াল। তাঁর পরিবর্তেন প্রথম একাদশে সুযোগ পান মনদীপ সিং। লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে ১৪ বলে ১৫ রান করে আউট হন মনদীপ। তাঁকে ফেরান ক্রুনাল পান্ডিয়া। এরপর দুবলের মধ্যে ক্রিস গেইল ও লোকেশ রাহুলকে তুলে নেন কিয়েরণ পোলার্ড। ৪ বলে ১ রান করে আউট হন গেইল। ২১ বলে ২২ রান করে আউট হন লোকেশ রাহুল। নিকোলাস পুরাণকে (৩ বলে ২) তুলে নিয়ে পাঞ্জাব কিংসকে আরও চাপে ফেলে দেন যশপ্রীত বুমরা। ৭.৩ ওভারের মধ্যে ৪৮ রানে ৪ উইকেট হারায় পাঞ্জাব কিংস। এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৬১ রান যোগ করেন এইডেন মার্করাম ও দীপক হুডা। ২৯ বলে ৪২ রান করে রাহুল চাহারের বলে বোল্ড হন মার্করাম। তিনি ৬টি বাউন্ডারি মারেন। ১৫.২ ওভারে ১০৯ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট পড়ে পাঞ্জাব কিংসের। দীপক হুডা ২৬ বলে ২৮ রান করে আউট হন। হরপ্রীত ব্রার ১৯ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩৫ তোলে পাঞ্জাব কিংস। পোলার্ড ৮ রানে ২টি এবং বুমরা ২৪ রানে ২ উইকেট নেন। জয়ের জন্য ১৩৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ১৬ রানের মাথায় আউট হন রোহিত শর্মা (৮)। তাঁকে তুলে নেন রবি বিষ্ণোই। পরের বলেই ফেরান সূর্যকুমার যাদবকে (০)। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান কুইন্টন ডিকক ও সৌরভ তেওয়ারি। ২৭ বলে ২৯ রান করে মহম্মদ সামির বলে আউট হন ডিকক। ইশান কিশানের জায়গায় সুযোগ পেয়ে নিজেকে মেলে ধরেন সৌরভ তেওয়ারি। হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে তোলেন ৩১। এই জুটিই মুম্বইকে জয়ের দিকে এগিয়ে দিয়েছিল। ৩৭ বলে ৪৫ রান করে নাথান এলিসের বলে আউট হন সৌরভ। এরপর দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন হার্দিক পান্ডিয়া (৩০ বলে অপরাজিত ৪০) ও কিয়েরণ পোলার্ড (৭ বলে অপরাজিত ১৫)। ১৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় মুম্বই।

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IPL-KKR Match : বল ও ব্যাট হাতে কামাল, নাইট রাইডার্সকে জেতালেন সুনীল নারাইন

দুই দলের কাছেই ছিল গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। তবে দিল্লি ক্যাপিটালসের তুলনায় নাইট রাইডার্সের কাছে বেশি। প্লে অফের লড়াইয়ে টিকে থাকতে গেলে মর্গানদের সামনে জেতা ছাড়া রাস্তা ছিল না। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পয়েন্ট তালিকায় দুইয়ে থাকা দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৩ উইকেটে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই জয়ের ফলে নাইট রাইডার্সের ১১ ম্যাচে পয়েন্ট ১০। অন্যদিকে, ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্টেই রইল দিল্লি ক্যাপিটালস। নাইটদের জয়ের নায়ক সুনীল নারাইন। বল হাতে দাপট দেখানোর পর ব্যাটেও কামাল করেন নারাইন। টসে জিতে নাইট রাইডার্স অধিনায়ক মর্গান দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠান। খারাপ শুরু করেনি দিল্লি। চোটের জন্য এদিন পৃথ্বী শ খেলতে পারেননি। তাঁর জায়গায় ওপেন করতে নামেন স্টিভ স্মিথ। হতাশ করেননি এই অসি ব্যাটার। শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে ভালোই টানছিলেন স্মিথ। ২০ বলে ২৪ রান করে আউট হন শিখর। তাঁকে ফেরান ফার্গুসন। এক ওভার পরেই নারাইন তুলে নেন শ্রেয়স আয়ারকে (১)। শিখর ধাওয়ান আউট হওয়ার পর স্মিথের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। স্মিথকে (৩৪ বলে ৩৯) ফার্গুসন তুলে নিতেই ধস নামে দিল্লির ইনিংসে। পরপর ফিরে যান হেটমায়ের (৪), ললিত যাদব (০), অক্ষর প্যাটেল (০)। দ্রুত এই তিন ব্যাটারকে হারানোর চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি দিল্লি। এদিন নাইট রাইডার্সের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন সুনীল নারাইন। ১৮ রানে ২ উইকেট তুলে নেন। ঋষভ পন্থের (৩৬ বলে ৩৯) লড়াই দিল্লিকে ২০ ওভাআরে ১২৭/৯ রানে পৌঁছে দেয়। শারজার মন্থর উইকেটে ১২৮ রানের লক্ষ্য খুব একটা সহজ ছিল না নাইট রাইডার্সের কাছে। কিন্তু এত কম রানের পুঁজি নিয়ে কতটা লড়াই করতে পারবেন দিল্লির বোলাররা, সেটাই ছিল দেখার। এই কম রানের পুঁজি নিয়েও দারুণ লড়াই করে গেলেন আবেশ খান, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, অক্ষর প্যাটেল, আনরিখ নর্টিয়েরা। ভেঙ্কটেশকে (১৪ বলে ১৫) তুলে নিয়ে নাইট শিবিরে প্রথম ধাক্কা দিয়েছিলেন ললিত যাদব। পরের ওভারেই আবেশ খান তুলে নেন রাহুল ত্রিপাঠীকে (৯)। শুভমান (৩৩ বলে ৩০) ও মর্গানকে (০) পরপর দু ওভারে হারিয়ে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে যায় নাইট রাইডার্স। কার্তিকও (১৪ বলে ১২) বেশিক্ষণ দলকে টানতে পারেননি। তিনি আউট হওয়ার পর নারাইন (১০ বলে ২১) দ্রুত ম্যাচ শেষ করতে চেয়েছিলেন। জয়ের জন্য ১২৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ১০ বল বাকি থাকতেই তিন উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। দুটি করে ৪ ও ৬ মেরে ২৭ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন নীতিশ রানা। আবেশ খান ৩ ওভারে ১৩ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নেন।

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

I‌PL : রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের লড়াই জমিয়ে দিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ

সোমবার দুবাইয়ে আইপিএলের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরবাদ ও রাজস্থান রয়্যালস। প্লে অফে যাওয়ার জন্য দুই দলের কাছেই এই ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূ্র্ণ ছিল। ৭ উইকেটে রাজস্থানকে হারিয়ে অঙ্কের বিচারে প্লে অফের সম্ভাবনা জিইয়ে রাখল রাখল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। একই সঙ্গে প্লে অফের লড়াই জমিয়ে দিল। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে টস জিতে ব্যাটিং নেয় রাজস্থান রয়্যালস। দুই দলই প্রথম একাদশে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করে মাঠে নামে। সানরাইজার্স বাদ দিয়েছিল ডেভিড ওয়ার্নার, মণীশ পাণ্ডে, কেদার যাদব, খলিল আহমেদের। অন্যদিকে, রাজস্থান রয়্যালসে চোটের কারণে ছিল না কার্তিক ত্যাগী। ডেভিড মিলার, তাবরেজ শামসিও বাদ পড়েছেন। দলে ফেরানো হয় এভিন লুইস, ক্রিস মরিসকে। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় রাজস্থান। ১.১ ওভারে মাথায় ব্যক্তিগত ৬ রানে আউট হন এভিন লুইস। এরপর যশস্বী জয়সওয়ালকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫৬ রান যোগ করেন সঞ্জু স্যামসন। ২৩ বলে ৩৬ রান করেন যশস্বী। লিয়াম লিভিংস্টোন চারে নেমে সফল হননি। ৪ রান করে রশিদ খানের শিকার হন। ১০.১ ওভারে ৭৭ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় রাজস্থান রয়্যালস।পাওয়ার প্লের শেষে ৬ ওভারে রাজস্থান রয়্যালসের রান ছিল ১ উইকেটে ৪৯। ১৩.৪ ওভারে ১০০ রান পূর্ণ করে রাজস্থান রয়্যালস। সঞ্জু স্যামসন ও মহীপাল লোমরোর চতুর্থ উইকেটে জুটিতে ওঠে ৮৪ রান। এই জুটির ওপর ভর করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৪ তোলে রাজস্থান। সঞ্জু স্যামসন ৫৭ বলে করেন ৮২। এবারের আইপিএলে দ্বিতীয় অর্ধশতরানের সুবাদে দিল্লি ক্যাপিটালসের শিখর ধাওয়ানকে টপকে সর্বাধিক রানের মালিক হয়ে গেলেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু। ১০ ম্যাচে তিনি ৪৩৩ রান করেছেন। ১০ ম্যাচে শিখর ধাওয়ান করেছেন ৪৩০ রান। লোমরোর ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ডেভিড ওয়ার্নারের পরিবর্তে এদিন হায়দরাবাদের হয়ে ওপেন করতে নেমেছিলেন জেসন রয়। দারুণ শুরু করেন ইংল্যান্ডের এই ওপেনার। ঋদ্ধিমান সাহাকে সঙ্গে নিয়ে ৫ ওভারে তোলেন ৫৭। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে ঋদ্ধিমান আউট হন। ১১ বলে তিনি করেন ১৮। এরপর দলকে টানেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও জেসন রয়। দলের ১১৪ রানের মাথায় আউট হন জেসন রয়। ৪২ বলে তিনি করেন ৬০। পরের ওভারেই প্রিয়ম গর্গ (০) ফিরে গেলেও সানরইজার্সের জয় পেতে অসুবিধা হয়নি। দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন উইলিয়ামসন (৪১ বলে অপরাজিত ৫১) ও অভিষেক শর্মা (১৬ বলে অপরাজিত ২১)। ১৮.৩ ওভারে ১৬৭/৩ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় সানরাইজার্স হায়দরবাদ।

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌KKR-Andre Russell : দিল্লির বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে আন্দ্রে রাসেল কেন চিন্তার কারন নাইট টিম ম্যানেজমেন্টের?‌

মঙ্গলবার শারজায় আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও দিল্লি ক্যাপিটালস। প্লে অফের ছাড়পত্রর জন্য এই ম্যাচ দুই দলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ।এই মুহূর্তে ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে আইপিএলের লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে থেকে প্লে অফের রাস্তা অনেকটাই পরিস্কার করে ফেলেছে ঋষভ পন্থের দিল্লি ক্যাপিটালস। অন্যদিকে, ১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে চতুর্থ স্থানে রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তাদের সামনেও প্লে অফে ওঠার সুযোদ রয়েছে। দিল্লির থেকেও কলকাতার কাছে ম্যাচটা অবশ্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হারলেই প্লে অফে লড়াই কঠিন হয়ে পড়বে মর্গানদের সামনে। দিল্লির বিরুদ্ধে এইরকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে নাইট রাইডার্স টিম ম্যানেজমেন্টের মাথা ব্যাথা হয়ে দাঁড়িয়েছে অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলের চোট।আগের ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হারের পাশাপাশি কলকাতা নাইট রাইডার্সকে বড় ধাক্কা দিয়ে গেছে আন্দ্রে রাসেলের চোট। ফিল্ডিং করার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন রাসেল। মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। তাঁকে আর বল করাতে পারেননি মর্গান। রাসেল মাঠে থাকলে হয়তো হারতে হত না নাইট রাইডার্সকে। কারণ প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর পরিবর্তে ডেথ ওভারে তাঁর হাতেই বল তুলে দিতেন মর্গান। দিল্লির বিরুদ্ধে রাসেলের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। পরপর দুটি ম্যাচ জিতে আগের ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হারতে হয়েছে নাইট রাইডার্সকে। জয়ের কাছাকাছি এসেও শেষরক্ষা হয়নি। ছোটখাট ভুল শুধরে দিল্লির বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া। এছাড়া অন্য কোনও রাস্তা খোলা নেই ইওয়িন মর্গানদের সামনে। হারলেই প্লে অফের লড়াই থেকে অনেকটাই দুরে সরে যেতে হবে। এতদিন আবু ধাবিতে খেলে এসেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। দিল্লির বিরুদ্ধে এবার শারজায় মাঠে নামতে হবে। শারজার উইকেট আবু ধাবির থেকে অপেক্ষাকৃত মন্থর। দিল্লি বধের জন্য বরুণ চ্ক্রবর্তী, সুনীল নারাইনের দিকে তাকিয়ে নাইট রাইডার্স টিম ম্যানেজমেন্ট। নাইট রাইডার্সের টপ অর্ডার যেমন রানের মধ্যে রয়েছে, মিডল অর্ডারের রান পাওয়াটা স্বস্তি দিচ্ছে নাইট টিম ম্যানেজমেন্টকে। তবে দিল্লির শক্তিশালী জোরে বোলিংয়ের বিরুদ্ধে শুভমান, ভেঙ্কটেশ, ত্রিপাঠীদের বড় পরীক্ষা। শুভমানরা স্বসম্মানে উত্তীর্ণ হলেই প্লে অফের রাস্তা অনেকটাই পরিস্কার হয়ে যাবে নাইটদের সামনে। পরীক্ষায় বসতে হবে বরুণ চক্রবর্তী, সুনীল নারাইনদেরও। চলতি আইপিএলে ধারাবাহিকতার দিক দিয়ে সবথেকে এগিয়ে রয়েছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের ব্যাটাররা। শিখর ধাওয়ান, পৃথ্বী শ, শ্রেয়স আয়ার, ঋষভ পন্থ, শিমরণ হেটমায়ের সমৃদ্ধ ব্যাটিং লাইন যে কোনও বোলিং শক্তিকে বেগ দিতে পারে। টানা ৪ ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসও তুঙ্গে রয়েছে ঋষভ পন্থের দলের। ফলে নাইটদের কাছে লড়াইটা সহজ হবে না।

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

K‌‌uldeep Yadav : হাঁটুতে মারাত্মক চোট, আইপিএল থেকে ছিটকে গেলেন কুলদীপ যাদব

সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছে না কুলদীপ যাদবের। চলতি আইপিএলের প্রথম পর্বে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ডাগ আউটে বসেই সময় কেটেছিল। টি২০ বিশ্বকাপেও জাতীয় দলে জায়গা পাননি। আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বেও প্রথম একাদশে ব্রাত্য। এবার হাঁটুতে চোট পেয়ে দীর্ঘদিনের জন্য বাইশ গজ থেকে ছিটকে গেলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের এই চাইনাম্যান বোলার। চলতি বছরের আইপিএল তো নয়ই, ঘরোয়া ক্রিকেটেও দীর্ঘদিন মাঠে নামতে পারবেন না।কিছুদিন আগে আবু ধাবিতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অনুশীলনে ফিল্ডিং করার সময় হাঁটুতে মারাত্মক চোট পান কুলদীপ যাদব। তাঁর হাঁটু ঘুরে যায়। স্ক্যান করে দেখা যায় চোট যথেষ্ট গুরুতর। আইপিএলের বাকি ম্যাচে আর মাঠে নামতে পারবেন না। এরপরই টিম ম্যানেজমেন্ট কুলদীপকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। দেশে ফেরার পর মুম্বইয়ের হাসপাতালে তাঁর হাঁটুর অস্ত্রোপচার হয়েছে। পুরো সুস্থ হতে ৪ থেকে ৬ মাস সময় লাগতে পারে। ফলে ঘরোয়া ক্রিকেটেও দীর্ঘদিন মাঠে বাইরে কাটাতে হবে মুম্বইয়ের এই চাইনাম্যান বোলারকে। হয়তো রনিজর শেষদিকে মাঠে ফিরতে পারেন। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে তাঁর রিহ্যাব চলবে।আইপিএলের প্রথম পর্বে ডাগ আউটে বসে সময় কেটেছিল কুলদীপের। দ্বিতীয় পর্ব শুরুর আগে সুযোগ না পাওয়ার জন্য মুখ খুলেছিলেন টিম ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে। কুলদীপের আক্রমণের নিশানায় ছিলেন নাইট রাইডার্সের বিদেশি অধিনায়ক, কোচসহ অন্যান্যরা। এরপরও চলতি আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বেও এই নাইট স্পিনারকে প্রথম একাদশে দেখা যায়নি।২৬ বছরের কুলদীপ যাদব ভারতের হয়ে ৭টি টেস্ট, ৬৫টি একদিনের ম্যাচ ও ২৩টি টি২০ ম্যাচ খেলছেন। তিন ফর্ম্যাট মিলিয়ে তাঁর উইকেট সংখ্যা ১৭৪। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুটি হ্যাটট্রিকের মালিক এই বাঁহাতি চায়নাম্যান ২০১৯ সালের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। দুই বছর আগে কুলদীপকে শংসাপত্র দিয়েছিলেন স্বয়ং টিম ইন্ডিয়ার কোচ রবি শাস্ত্রী। বলেছিলেন, বিদেশের মাটিতে কুলদীপই সেরা ভারতীয় স্পিনার। সেই ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক আঙিনা থেকে আচমকাই হারিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে আইপিএলকে তুলে ধরা হচ্ছে। নাইট রাইডার্স শিবিরে একের পর এক ম্যাচে প্রথম একাদশের বাইরে কাটিয়ে কুলদীপ জাতীয় নির্বাচকদের চোখের আড়ালে চলে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কয়েক মাস আগে শ্রীলঙ্কা সফরে ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে শেষবার মাঠে দেখা গিয়েছিল কুলদীপ যাদবকে।

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

I‌PL Match : হর্ষল প্যাটেলের দুরন্ত হ্যাটট্রিকে প্লে অফের দিকে এগিয়ে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স

হর্ষল প্যাটেলের দুরন্ত হ্যাটট্রিক। যুজবেন্দ্র চাহালের অসাধারণ বোলিংয়ের সামনে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন। রোহিত শর্মার দলকে ৫৪ রানে হারিয়ে প্লে অফের রাস্তা পরিস্কার করল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট পেয়ে তিন নম্বরে রইল বিরাট কোহলির দল। ১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে নেমে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।অতি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টসে জিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে ব্যাট করতে পাঠান মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে পরে ব্যাট করে রান তাড়া করা সহজ হবে বলে মনে করেছিলেন তিনি। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানান জোরে বোলার যশপ্রীত বুমরা। দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার দেবদত্ত পাড়িক্কলকে তুলে নেন। কোনও রান না করেই আউট হন তিনি। শুরুতেই উইকেট হারিয়ে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। এরপর অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে মারমুখী মেজাজে ব্যাটিং করতে শুরু করেন কেএস ভরত। দুজনের জুটিতে ওঠে ৬৮ রান। ভরত (৩২) যখন আউট হন, তখন ৭৫ রানে পৌঁছে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। ভরতের ২৪ বলের ইনিংসে রয়েছে ২টি চার ও ২টি ছয়।ভরত আউট হওয়ার পর কোহলির সঙ্গে জুটি বাঁধেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ক্রিজে নেমে বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকেন এই অসি ব্যাটসম্যান। ক্রিজের অন্য প্রান্ত আঁকড়ে ধরে থাকেন বিরাট কোহলি। টি২০ কেরিয়ারে এদিন দশ হাজার রান পূর্ণ করেন তিনি। ৪২ বলে ৫১ রান করে আউট হন বিরাট। ৩টি চার ও ৩টি ছক্কা আসে তাঁর ব্যাট থেকে। ৩৭ বলে ৫৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন ম্যাক্সওয়েল। ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন তিনি। ৬ বলে ১১ রান করে আউট হন এবি ডিভিলিয়ার্স। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৫ রান তোলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ৩ উইকেট নেন যশপ্রীত বুমরা। পাড়িক্কল, ম্যাক্সওয়েল ও ডিভিলিয়ার্সের উইকেট নিয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সকে প্রধান ধাক্কা দিয়েছেন বুমরাই। ১টি করে উইকেট নেন অ্যাডাম মিলনে, রাহুল চাহার ও ট্রেন্ট বোল্ট। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের যা ব্যাটিং লাইন, তাতে জয়ের জন্য ১৬৭ রানের লক্ষ্য তেমন কঠিন হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু কাজটা কঠিন করে দেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বোলাররা। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও কুইন্টন ডিকক দারুণ শুরু করেছিলেন। ৫.২ ওভারে ওঠে ৫৭। এরপর কুইন্টনকে (২৩ বলে ২৪) তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন যুজবেন্দ্র চাহাল। ৩ ওভার পরেই রোহত শর্মাকে (২৮ বলে ৪৩) ফেরান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। রোহিত ফেরার পরেই ধস নামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ইনিংসে। ইশান কিশান (৯), সূর্যকুমার যাদব (৮), ক্রূনাল পান্ডিয়া (৫), কিয়েরণ পোলার্ড (৫), হার্দিক পান্ডিয়া (৩) সমৃদ্ধ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের স্বপ্নের ব্যাটিং লাইন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। হার্দিক, পোলার্ড, মিলনকে (০) পরপর ৩ বলে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক করেন হর্ষল প্যাটেল। রাহুল চাহারকেও (০) তুলে নেন তিনি। আগের ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়ার পর এদিন ১৭ রানে ৪ উইকেট নেন হর্ষল। যুজবেন্দ্র চাহাল ১১ রানে নেন ৩ উইকেট। ১৮.১ ওভারে ১১১ রানে গুটিয়ে যায় মু্ম্বই ইন্ডিয়ানন্সের ইনিংস।

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IPL Match : রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে নাটকীয় জয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করল চেন্নাই সুপার কিংস

রোমাঞ্চকর ম্যাচ, নাটকীয় শেষ দুটি ওভার। ম্যাচের ১৯ তম ওভারই পার্থক্য গড়ে দিল। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর ওই ওভারে ২২ রান তুলে প্রায় হারা ম্যাচ জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দিয়েছিলেন স্যার রবীন্দ্র জাদেজা। আবু ধাবিতে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে শেষ বলে ২ উইকেটে হারিয়ে আইপিএলের প্লে অফে পৌঁছে গেল চেন্নাই সুপার কিংস। চাপের মুখে শেষ বলে দলকে জয়সূচক রানটি এনে দেন দীপক চাহার। দিল্লি ক্যাপিটালসকে সরিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানও ফের দখল করল চেন্নাই সুপার কিংস।ডেথ ওভারে ৬ বলের মধ্যে আউট হয়েছিলেন মঈন আলি, সুরেশ রায়না ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে নাইট রাইডার্স যখন জয়ের গন্ধ পাচ্ছে তখন ১৯তম ওভারে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণকে সাধারণ মানে নামিয়ে পরিত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন রবীন্দ্র জাদেজা। ২টি ছয়ের পর ২টি চার মেরে এক ওভারে ২২ রান নিলেন। ফলে শেষ ওভারে চেন্নাই সুপার কিংসের জয়ের জন্য প্রয়োজন হয়ে পড়ে ৪ রান।শেষ ওভারেও রুদ্ধশ্বাস নাটক অপেক্ষা করছিল। প্রথম বলে স্যাম কারেনকে আউট করেন সুনীল নারাইন। কারেন করেন ৪ রান। পরের বলটিতে কোনও রান না হলেও তৃতীয় বলে তিন রান নিয়ে নেন শার্দুল ঠাকুর। চতুর্থ বলে রান নিতে পারেননি রবীন্দ্র জাদেজা। পঞ্চম বলে তিনি লেগ বিফোর হন। ৮ বলে ২২ রান করে আউট হন তিনি। শেষ বলে প্রয়োজনীয় এক রান নিয়ে চেন্নাই শিবিরে স্বস্তি এনে দেন দীপক চাহার।এদিন ধোনি যখন ব্যাট হাতে বাইশ গজে প্রবেশ করেন, চেন্নাই সুপার কিংসের জয়ের জন্য তখন দরকার ২০ বলে ৩৪। আগের ধোনি হলে চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যেত, চেন্নাই জিতবে। বরুণ চক্রবর্তীর ডেলিভারি মাহির ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক খুঁজে স্টাম্পে আঘাত করতেই মনে হচ্ছিল চেন্নাইয়ের জয় হয়তো অধরাই থেকে যাবে। ধোনির অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করে গেলেন স্যার রবীন্দ্র জাদেজা। ক্যাপ্টেন কুলএর দেওয়া স্যার উপাধির মর্যাদা দিয়ে গেলেন। ধোনিকে জ্বলে উঠতে না দেওয়ার পেছনে নাইট ক্যাপ্টেন ইওয়িন মর্গানের মস্তিষ্কের প্রশংসাও করতে হবে। বরুণ চক্রবর্তীর রীতিমতো শিকার হয়ে দাঁড়িয়েছেন। গতবছর আইপিএলেও দুবাইয়ে ধোনিকে তুলে নিয়েছিলেন বরুণ। এবছরও সেই বরুণেরই শিকার। ধোনি ক্রিজে আসতেই বরুণকে আক্রমণে নিয়ে এসেছিলেন মর্গান। সুফলও পেয়েছিলেন। কিন্তু সব বুমেরাং করে দেন রবীন্দ্র জাদেজা।চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে প্রথম পর্বে নাইট রাইডার্সকে ডুবিয়েছিল ব্যাটিং। দ্বিতীয় পর্বে ব্যাটসম্যানরা নিজেদের মেলে ধরলেও জয় এল না। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে শুভমান গিলকে (৯) হারালেও বড় রান পেতে অসুবিধা হয়নি নাইটদের। ভেঙ্কটেশ আয়ায় (১৫ বলে ১৮) ভাল শুরু করেও আটকে গেলেন। রাহুল ত্রিপাঠী (৩৩ বলে ৪৫) অবশ্য ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে পরীক্ষায় লেটার মার্কস না পেলেও পাশ করে গেল মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডার। নীতিশ রানা (২৭ বলে অপরাজিত ৩৭), আন্দ্রে রাসেল (১৫ বলে ২০), দীনেশ কার্তিকদের (১১ বলে ২৬) সৌজন্যে ১৭১/৬ রানে পৌঁছয় নাইটরা।জয়ের জন্য ১৭২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু করেন চেন্নাই সুপার কিংসের দুই ওপেনার। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৭৪ রান। নবম ওভারের প্রথম বলে আন্দ্রে রাসেলকে স্টেপ আউট করে ছক্কা মারার পরের বলটিই ঠিকভাবে সামলাতে না পেরে মর্গ্যানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। দুটি চার ও তিনটি ছয়ের সাহায্যে ২৮ বলে ৪০ রান করেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। এরপর মঈন আলিকে সঙ্গে নিয়ে ১০.৫ ওভারে চেন্নাই সুপার কিংসের ১০০ রান পূর্ণ করিয়ে দেন ফাফ ডুপ্লেসি। ১১.৩ ওভারে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর বলে লকি ফার্গুসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। সাতটি চারের সাহায্যে তিনি করেন ৩০ বলে ৪৪ রান। ১৪.২ ওভারে দলের ১১৯ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় সিএসকে। সুনীল নারাইনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৯ রান করেন অম্বাতি রায়ুডু।শেষ চার ওভারে সিএসকের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪০ রান। ১৭তম ওভারের চতুর্থ বলে মঈন আলিকে ফেরান লকি ফার্গুসন। ২টি চার ও ১টি ছয়ের সাহায্যে ২৮ বলে ৩২ রান করেন মঈন। শেষ তিন ওভারে চেন্নাইয়ের জয়ের জন্য ৩১ রান দরকার ছিল। ব্যক্তিগত ১১ রানে রান আউট হন সুরেশ রায়না। চেন্নাইয়ের পঞ্চম উইকেট পড়ে ১৪২ রানের মাথায়। কোনও রান যোগ হওয়ার আগেই এই ওভারের তৃতীয় বলে বরুণ চক্রবর্তীর গুগলিতে ঠকে বোল্ড হন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ৪ বলে ১ রানের বেশি করতে পারেননি সিএসকে অধিনায়ক। বরুণ চক্রবর্তী ৪ ওভারে ২৩ রানের বিনিময়ে ধোনির উইকেটটি তুলে নেন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। ১৮তম ওভারে তিনি মাত্র ৫ রান খরচ করেন। এর আগে, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে কলকাতা নাইট রাইডার্স ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭১ রান তোলে। সর্বাধিক ৪৫ রান করেন রাহুল ত্রিপাঠি। নীতীশ রানা অপরাজিত থাকেন ২৭ বলে ৩৭ রান করে। ১১ বলে ২৬ রান করেন দীনেশ কার্তিক। শার্দুল ঠাকুর ও জশ হ্যাজলউড নেন দুটি করে উইকেট।

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IPL : দুরন্ত হোল্ডারও জেতাতে পারলেন না সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে

প্লে অফের লড়াইয়ে টিকে থাকতে গেলে সানরাজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জেতা জরুরি ছিল পাঞ্জাব কিংসের কাআছে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কম রানের পুঁজি নিয়েইও দুর্দান্ত জয় পেল লোকেশ রাহুলের দল। সানরাইজর্স হায়দরাবাদকে ৫ রানে হারিয়ে প্লে অফের লড়াইয়ে টিকে রইল পাঞ্জাব কিংস। ১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ৫ নম্বরে উঠে এল পাঞ্জাব কিংস। এই প্রথম শারজায় এত কম রানের পুঁজি নিয়ে আইপিএলে জিতল কোনও দল। টস জিতে পাঞ্জাব কিংসকে ব্যাট করতে পাঠায় সানরাইজার্স হায়দরবাদ। পঞ্চম ওভারে অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে (২১ বলে ২১) তুলে নেন জেসন হোল্ডার। একই ওভারে ফেরান মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে (৬ বলে ৫)। শারজার এই উইকেটে রান তোলা ব্যাটসম্যানদের কাছে যথেষ্ট কঠিন ছিল। ক্রিস গেইল (১৭ বলে ১৪), এইডেন মার্করাম (৩২ বলে ২৭), নিকোলাস পুরান (৪ বলে ৮), দীপক হুডা (১০ বলে ১৩), কেউই সুবিধা করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৫ রান তোলে পাঞ্জাব কিংস। হরপ্রীত ব্রার ১৮ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। নাথান এলিস করে ১২। সানরাইজার্সের হয়ে দুর্দান্ত বল করেন জেসন হোল্ডার। ১৯ রানে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। সন্দীপ শর্মা, ভুবনেশ্বর কুমার, রশিদ খান, আব্দুল সামাদ ১টি করে উইকেট নেন।জয়ের জন্য ১২৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মহম্মদ সামি প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই আউট করেন ডেভিড ওয়ার্নারকে। আগের ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন অসি ওপেনার। এদিন মাত্র ২ রান করে কট বিহাইন্ড হন। তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে সামি তুলে নেন কেন উইলিয়ামসনের উইকেট। ৬ বলে ১ রানে বোল্ড হন সানরাইজার্স অধিনায়ক। ঋদ্ধিমান সাহা লড়াই চালালেও অপর প্রান্তে একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে। মণীশ পাণ্ডে ১৩ ও কেদার যাদব ১২ রান করে রবি বিষ্ণোইয়ের বলে বোল্ড হন। কেদার যাদব ও আবদুল সামাদকে একই ওভারে আউট করেন বিষ্ণোই। ১৩ ওভারে ৬০ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর জেসন হোল্ডার ও ঋদ্ধিমান সাহা সানরাইজার্সকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ৩৭ বলে ৩১ রান করে রান আউট হন ঋদ্ধিমান। ঋদ্ধি ফেরার পর রশিদ খানকে সঙ্গে নিয়ে ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন জেসন হোল্ডার। ১৯ ওভারের প্রথম বলে রশিদ খান অর্শদীপ সিংয়ের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হন ৩ রান করে। শেষ ওভারে সানরাইজার্সের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৭ রান। কিন্তু নাথান এলিসের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং পাঞ্জাব কিংসকে ৫ রানে জয় এনে দেয়। বল হাতে ১৯ রানে ৩ উইকেট নেওয়ার পর পাঁচটি ছয়ের সাহায্যে ২৯ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকেন জেসন হোল্ডার। ম্যাচের সেরাও হন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১২০/৭ তোলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মহম্মদ সামি ৪ ওভারে ১ টি মেডেনসহ ১৪ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন। ৪ ওভারে ২৪ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নেন রবি বিষ্ণোই। এটি তাঁর আইপিএল কেরিয়ারের সেরা বোলিং। অর্শদীপ নেন ১টি উইকেট।

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌ IPL : আইপিএলে প্রথম দল হিসেবে প্লে অফ নিশ্চিত করল দিল্লি ক্যাপিটালস

কেন তারা এই আইপিএলের সবথেকে ভারসাম্যপূর্ণ দল, প্রমাণ করেই চলেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়ে প্রথম দল হিসেবে প্লে অফের জায়গা নিশ্চিত করল ঋষভ পন্থের দল। শনিবার আবু ধাবিতে সঞ্জু স্যামসনের দলকে ৩৩ রানে হারাল দিল্লি ক্যাপিটালস। ১০ ম্যাচ খেলে তাদের সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট।শনিবার টসে জিতে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ভেবেছিলেন, পরের দিকে বাইশ গজের চরিত্র কিছুটা বদলাবে। তাতে তাড়া করা সহজ হবে। কিন্তু তাঁর সেই সিদ্ধান্ত বুমেরং হয়ে গেল। ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই রাজস্থান রয়্যালসের ব্যাটসম্যানদের ওপর দারুণ প্রভাব বিস্তার করেন আবেশ খান, এনরিখ নর্টিয়ে, রবিচন্দ্রন অশ্বিনরা।দিল্লির ব্যাটিং যথেষ্ট শক্তিশালী। তার ওপর শিখর ধাওয়ানরা দারুণ ছন্দে রয়েছেন। কিন্তু রাজস্থানের বিরুদ্ধে রান পেলেন না শিখর। মাত্র ৮ রান করে কার্তিক ত্যাগীর বলে প্লে ডাউন হয়েল ফিরে যান। শুরুর দিকে বল ব্যাটে আসছিল না। ফলে সেভাবে টাইমিং করতে পারছিলেন না পৃথ্বী শ (১০)। স্লো বলই তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যেতে হয় তাঁকে। এরপর শ্রেয়স আয়ার ও ঋষভ পন্থ দলকে টেনে নিয়ে যান। দুজেন জুটিতে ওঠে ৬২ রান। মুস্তাফিজুর রহমানের স্লো বাউন্সার পুল করতে গিয়ে প্লে ডাউন হয়ে যান ঋষভ। ২টি চারসহ ২৪ বলে ২৪ রান করেন ঋষভ। রাহুল তেওয়াটিয়ার বলে স্ট্যাম্পড হন শ্রেয়স। একটি চার ও দুটি ছক্কা সহ ৩২ বলে ৪৩ রান করেন তিনি। ১৮ বলে ২৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন শিমরন হেটমায়ের। ৭ বলে ১২ রান করে আউট হন অক্ষর প্যাটেল। ১৫ বলে ১৪ রান করেন ললিত যাদব। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৫৪/৬ তোলে দিল্লি। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন মুস্তাাফিজুর রহমান ও চেতন সাকারিয়া। ১টি করে উইকেট নেন কার্তিক ত্যাগী ও রাহুল তেওয়াটিয়া। জয়ের জন্য ১৫৫ রানের লক্ষ্য খুব একটা সহজ ছিল না রাজস্থান রয়্যালসের কাছে। তার ওপর ইনিংসের প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যে লিয়াম লিভিংস্টোন (১), যশস্বী জয়সওয়াল (৫) এবং ডেভিড মিলারের (৭) উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। ২ রান করে আউট হন তরুণ রিয়ান পরাগ। ১৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন মহীপাল লোমরোর। ক্রিজের অন্যদিক আঁকড়ে ধরে রেখে দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। তবে সতীর্থদের কাছ থেকে কোনও সাহায্য পাননি। ৫৩ বলে ৭০ রান করে অপরাজিত থাকেন সঞ্জু। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১২১ রান তুলতে সমর্থ হয় রাজস্থান। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে ২ উইকেট নেন এনরিখ নর্টিয়ে। ১টি করে উইকেট নেন আবেশ খান, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, কাগিসো রাবাডা ও অক্ষর প্যাটেল।

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌IPL, KKR : চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের জন্য কাদের জন্য দিকে তাকিয়ে নাইট টিম ম্যানেজমেন্ট?‌

রবিবার আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথম পর্বে চেন্নাইয়ের কাছে হারতে হয়েছিল নাইটদের। এবার প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে কাজটা সহজ হবে না নাইট রাইডার্সের। দ্বিতীয় পর্বে দুটি দলই দুটি করে ম্যাচ জিতেছে। নাইট রাইডার্সকে আগের তুলনায় অনেক বেশি ঝকঝকে মনে হচ্ছে। পরপর দুটি ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলে উঠে এসেছে ৪ নম্বরে। রবিবার চেন্নাই সুপার কিংসকে হারাতে পারলেই প্লে অফের সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাবে। নাইট টিম ম্যানেজমেন্টকে ভরসা জোগাচ্ছে টপ অর্ডার এবং বরুণ চক্রবর্তীর বোলিং। আগের দুটি ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন ভেঙ্কটেশ আয়ার, শুভমান গিল ও রাহুল ত্রিপাঠী। বরুণ চক্রবর্তীর বোলিংও ধাঁধায় ফেলছে ব্যাটসম্যানদের।দ্বিতীয় পর্বে নাইটদের বদলে যাওয়ার রহস্য টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের পারফরমেন্স। প্রথম সাক্ষাৎকারে চূড়ান্ত ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়তে হয়েছিল নাইটদের। ৩১ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়েছিল। পরের দিকে কার্তিক, রাসেল, কামিন্সদের ঝোড়ো ব্যাটিং বাঁচাতে পারেনি নাইট রাইডার্সকে। দ্বিতীয় পর্বে নাইটদের দুটি জয়ে পেছনে রয়েছে টপ অর্ডারের অবদান। ভেঙ্কটেশ আয়ার, শুভমান গিল, রাহুল ত্রিপাঠীরা দলকে উতরে দিয়েছেন। তবে মিডল অর্ডারকে এখনও পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়নি। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধেই হয়তো পরীক্ষার মুখে। কারণ, চেন্নাই সুপার কিংসের বোলাররা বোলাররা ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করে ব্যাটসম্যানদের কাজ কঠিন করে দিচ্ছে। চেন্নাই সুপার কিংসের অবশ্য কোনও বিভাগ নিয়ে চিন্তা নেই। টানা ৫ ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছে। আগের ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে প্রতিকূল অবস্থা থেকেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। ডেথ ওভারে শার্দূল, দীপকরা দারুণ বোলিং করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সকে বড় রান করতে দেননি। ব্যাটিংয়েও টপ অর্ডার দলকে নির্ভরতা দিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, ধোনি ব্রিগেডের ব্যাটিং লেজ যথেষ্ট লম্বা। তার ওপর রয়েছে অধিনায় ধোনির ক্রিকেটীয় মস্তিষ্ক। ফলে নাইটদের কঠিন লড়াইয়ের সামনে পড়তে হবে। একটা পরিসংখ্যান দুই শিবিরকেই আশাবাদী করে তুলেছে। দুই দলই দ্বিতীয় পর্বে হারিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে। দুই দলের শেষ পাঁচটি সাক্ষাতে চারটি ম্যাচেই জিতেছে চেন্নাই সুপার কিংস। গত বছরের আইপিএলে প্রথম সাক্ষাতে সিএসকে ৬ উইকেটে জিতলেও ফিরতি ম্যাচে কেকেআর জিতেছিল ১০ রানে। এখনও অবধি আইপিএলে দুই দল পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে ২৬ বার। ১৬টিতে জিতেছে সিএসকে, ৯টিতে কেকেআর, একটি ম্যাচ অমীমাংসিত ছিল।

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌IPL : কোহলি রান পেলেও হেরে গভীর সঙ্কটে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স

প্লে অফে যাওয়ার জন্য চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে জেতা জরুরি ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরের। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ধোনিদের কাছে ৬ উইকেটে হেরে গভীর সঙ্কটে বিরাট কোহলিরা। যদিও ম্যাচের শুরুটা দেখে মনে হয়নি কোহলিদের এই পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। ভাল শুরু করেও হারতে হল।শারজায় মাঝে মাঝেই মরু ঝড় দেখা যায়। শুক্রবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোর ও চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচের আগে তেমনই মরু ঝড়। চারিদিক ধুসর। মরু ঝড়ের জন্য নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা পর টস। খেলা শুরু হয় ১৫ মিনিট দেরিতে। টসে জিতে চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত। এদিন পাহাড় প্রমাণ চাপ নিয়ে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ক্রিকেটপ্রেমীরা প্রত্যাশা করেছিলেন, মরু ঝড়ের মতোই ঝড় উঠবে কোহলির ব্যাটিংয়ে। রান পেলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ক্যাপ্টেন। দলকে বড় রানের জন্য শক্ত ভিতও গড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু বাকিরা কাজে লাগাতে পারেননি।এদিন ভাল শুরু করেছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের দুই ওপেনার বিরাট কোহলি ও দেবদত্ত পাড়িক্কল। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বিনা উইকেটে তোলে ৫৫। ১০ ওভারে ওঠে ৯২। ১০০ রানে পৌঁছয় ১১.১ ওভারে। ১৩.২ ওভারে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের ওপেনিং জুটি ভাঙেন ডোয়েন ব্র্যাভো। তুলে নেন বিরাট কোহলিকে। ৬টি ৪ ও ১টি ৬এর সাহায্যে ৪১ বলে ৫৩ রান করেন তিনি। কোহলির আগে ৩৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন দেবদত্ত পাড়িক্কল। ১৬ ওভারের শেষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের রান ছিল ১ উইকেটে ১৩১। ১৭তম ওভারে দুটি উইকেট তুলে নেন শার্দুল ঠাকুর। পঞ্চম বলে আউট করেন এবি ডিভিলিয়ার্সকে। রায়নার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ১১ বলে ১২ রান করেন তিনি। পরের বলেই আউট হন দেবদত্ত পাড়িক্কল। পাঁচটি চার ও তিনটি ছয়ের সাহায্যে ৫০ বলে ৭০ রান করে আউট হন তিনি। পাড়িক্কল আউট হওয়ার পর পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন টিম ডেভিড। সিঙ্গাপুরের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এদিন আইপিএল অভিষেক হল তাঁর। যদিও অভিষেকে নজর কাড়তে ব্যর্থ ডেভিড। ৩ বলে ১ রান করে দীপক চাহারের শিকার হলেন তিনি। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে ডোয়েইন ব্র্যাভোর বলে জাদেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৯ বলে ১১ রান করেন তিনি। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৬ রানের বেশি এগোতে পারেনি বিরাট কোহলির দল। ডোয়েন ব্র্যাভো ৪ ওভারে ২৪ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট নেন। শার্দুল ঠাকুর চার ওভারে ২৯ রানের বিনিময়ে দুটি উইকেট পেয়েছেন। দীপক চাহার একটি উইকেট দখল করেন।জয়ের জন্য ১৫৭ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ভাল শুরু করেছিলেন চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ফাফ ডুপ্লেসি। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৭১। রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন যুজবেন্দ্র চাহাল। ২৬ বলে ৩৮ করেন রুতুরাজ। পরের ওভারেই ডুপ্লেসিকে (২৬ বলে ৩১) তুলে নেন ম্যাক্সওয়েল। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান মঈন আলি ও অম্বাতি রায়ডু। মঈন ২৩ ও রায়ডু ৩২ রান করে আউট হন। চেন্নাইকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন ধোনি (অপরাজিত ১১) ও সুরেশ রায়না (অপরাজিত ১৭)। ১৮.১ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫৭ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় চেন্নাই।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

I‌PL : আইপিএলের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটারের ফর্ম নিয়ে চিন্তিত রাজস্থান রয়্যালস

শনিবার আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালস মুখোমুখি হবে লিগ টেবিলে পাঁচ নম্বরে থাকা রাজস্থান রয়্যালসের। কালকের ম্যাচ জিতলেই প্লে অফ নিশ্চিত করে ফেলবে দিল্লি ক্যাপিটালস। অন্যদিকে, প্লে অফের সম্ভাবনা জোরালো করতে রাজস্থান রয়্যালসের কাছেও জেতাটা জরুরি। প্রথম সাক্ষাতকারে ঋষভ পন্থের দলের বিরুদ্ধে তিন উইকেটে জিতেছিল সঞ্জু স্যামসনের নেতৃত্বাধীন রাজস্থান রয়্যালস। দিল্লি ক্যাপিটালসের সামনে যেমন প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ, পাশাপাশি রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে প্লে অফের ছাড়পত্র নিশ্চিত করার হাতছানি। দিল্লি ও রাজস্থান আইপিএলে পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে ২৩ বার। ১২ বার জিতেছে রাজস্থান রয়্যালস, ১১ বার জিতেছে দিল্লি। পরিসংখ্যানের বিচারে রাজস্থান এগিয়ে থাকলেও ভারসাম্যের বিচারে এগিয়ে ঋষভ পন্থের দন। দিল্লির ব্যাটিং বিভাগ যথেষ্ট শক্তিশালী। শিখর ধাওয়ান, ঋষভ পন্থ, পৃথ্বী শ, শ্রেয়স আয়াররা দারুন ছন্দে। ব্যাটিং বিভাগ যেমন শক্তিশালী তেমনই কাগিসো রাবাডা ও এনরিখ নর্টজের আগুনে পেস সমস্যায় ফেলছে ব্যাটসম্যানদের। দক্ষিণ আফ্রিকার এই দুই জোরে বোলারকে সামলাতে হিমশিম খেতে হবে সঞ্জু স্যামসনদের। দুই দলের প্রথম একাদশেই পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। তবে দিল্লির মার্কাস স্টইনিসের খেলার বিষয়টি নির্ভর করবে স্ক্যান রিপোর্টের উপর। আগের ম্যাচে মাত্র সাতটি বল করার পরই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল স্টইনিসকে। তাঁর কাফ ইনজুরি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও নর্টজে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, স্টইনিস ভালোই আছেন, আশা করি খেলতে অসুবিধা হবে না। তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। তবু স্ক্যান রিপোর্টের অপেক্ষা করা হচ্ছে। দিল্লি ক্যাপিটালস সূত্রে খবর, স্টইনিস ফিট না হলে স্টিভ স্মিথকে খেলাতে পারে। টম কারান বা বেন ডোয়ারশুইসকে খেলানোর ভাবনাও রয়েছে দিল্লির। প্লে অফ প্রায় পাকা হয়ে যাওয়ায় কাউকে বসিয়ে ললিত যাদবকেও সুযোগ দেওয়া হতে পারে।রাজস্থান রয়্যালসকে কিছুটা অস্বস্তিতে রাখছে ক্রিস মরিসের ফর্ম। আইপিএলের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে রান পাননি, বল হাতেও ওভারপিছু প্রায় ১২ রান দিয়েছেন। দিল্লি ম্যাচে তাঁকে চেনা ছন্দে পেতে চাইছে রাজস্থান রয়্যালস। আইপিএলের প্রথমার্ধে টানা পাঁচটি ম্যাচ জেতা দিল্লি ক্যাপিটালসের বিজয়রথ থামিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। ফের তার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপের বিরুদ্ধে ডেথ বোলিংয়ে আরও কৃপণ হতেই হবে স্যামসনের দলের বোলারদের।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

V‌irat Kohli : আজ চেন্নাইয়ের কাছে হারলেই কি নেতৃত্ব হারাবেন কোহলি?‌

আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপের পর জাতীয় দলের নেতৃত্ব ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কয়েকদিন পর আবার চমক বিরাট কোহলির। জানিয়েছিলেন, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরের হয়ে নেতা হিসেবে এই আইপিএলই শেষ। কোহলির এই মনোবাসনা পূর্ণ নাও হতে পারে। চলতি আইপিএলেই নেতৃত্ব হারাতে পারেন কিং কোহলি। আজ চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোর। ধোনিদের কাছে হারলেই প্লে অফে ওঠার কাজ কঠিন হয়ে যাবে রয়্যাল চ্যলেঞ্জার্সের কাছে। এই অবস্থায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোর বিরাট কোহলিকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচের আগের দিন রয়্যাল চ্যালেঞ্জর্সের নেতৃত্ব ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন বিরাট কোহলি। প্রাক্তন নাইট অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরও বলেছেন, নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা বিরাট আইপিএলের শেষেই করতে পারতেন। কারণ, তাঁর এই সিদ্ধান্তে দলের ছন্দ নষ্ট হতে পারে। সঞ্জয় মঞ্জরেকরও বিরাটের জাতীয় দল ও আরসিবির অধিনায়কত্ব ছাড়ার সময় সঠিক হয়নি বলেই মনে করেন। এক প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছেন, কেকেআর ম্যাচে বিরাটকে বারবার অসহায় দেখিয়েছে। তিনি যে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তা বারবার প্রকট হয়েছে। সে কারণেই বিরাটকে আরসিবি চলতি আইপিএলেই অধিনায়কত্ব থেকে সরাতে পারে যদি দল কাঙ্ক্ষিত ফল না করে। এর আগে গত আইপিএলে দীনেশ কার্তিককে সরিয়ে ইওয়িন মর্গ্যানকে নেতৃত্বের ভার দিয়েছে কেকেআর। সানরাইজার্স হায়দরাবাদেও ডেভিড ওয়ার্নারকে সরিয়ে কেন উইলিয়ামসনকে ক্যাপ্টেন করা হয়েছে। কেউ নিজে থেকে ছাড়ার ঘোষণা করেছেন, কাউকে সরানো হয়েছে। ফলে কেকেআর ম্যাচের পর বলাই যায় আরেকটা খারাপ ম্যাচ গেলেই বিরাটকে যদি আরসিবি ক্যাপ্টেন্সি থেকে সরিয়ে দেয় তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। নাইট রাইডার্স ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন কোহলি। সেই সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল না, তা সাংবাদিক বৈঠকে এসে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন টিম ডিরেক্টর তথা কোচ মাইক হেসন। বিরাট আইপিএলের দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর আগে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা করে যে সঠিক কাজ করেননি তেমনটাই মনে করছে আরসিবি ম্যানেজমেন্ট। প্রকাশ্যে কেউ না মুখ খুললেও সকলেই মনে করছেন, বিরাট যদি এই আইপিএলেই শেষবার নেতৃত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা করে থাকতেন তাহলে তিনি তো প্রথমেই সেই ঘোষণা করে দিতে পারতেন। বিরতির পর সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর আগে এমন ঘোষণায় দলের বাঁধন নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়।ইতিমধ্যেই বিসিসিআই ফ্র্যাঞ্চাইজিদের অনুরোধ করেছে, টি ২০ বিশ্বকাপের ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে। বিরাট যদি খারাপ খেলেন এবং অধিনায়ক বদল হয় তাহলে কোহলিকেও বিশ্রাম দিতে পারে আরসিবি। তবে যদি আজকের ম্যাচ-সহ কয়েকটি ম্যাচ আরসিবি জিতে প্লে অফে জায়গা পাকা করে ফেলে তাহলে প্লে অফের আগেও বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে ভারত অধিনায়ককে।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

V‌enkatesh Iyar : ভেঙ্কটেশ আয়ারের জীবনে বড় ভুমিকা সৌরভ গাঙ্গুলির

ছোটবেলা থেকে ডান হাতেই ব্যাটিং করতেন। কিন্তু সৌরভ গাঙ্গুলির খেলা দেখে তাঁকে অনুকরণ করতে করতেই বাঁহাতে ব্যাটিং শুরু করেন। দাদার মতোই বাঁহাতে ব্যাটিং, ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিং। সৌরভের মতোই ছক্কা মারতে চাইতেন। দাদার মতোই ব্যাটিং করাই ছিল লক্ষ্য। অজান্তে এভাবেই কলকাতা নাইট রাইডার্সের নতুন তারকা ভেঙ্কটেশ আয়ারের জীবনে বড় ভুমিকা রয়েছে সৌরভ গাঙ্গুলির। মা পাশে না দাঁড়ালে হয়তো ক্রিকেটারই হতে পারতেন না ভেঙ্কটেশ আয়ার। নামি সংস্থার চাকরি নিয়েই জীবন কাটাতে হত কলকাতা নাইট রাউডার্সের এই অলরাউন্ডারকে। মায়ের জন্যই আজ আইপিএলের মঞ্চে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মধ্যপ্রদেশের এই তরুণ ক্রিকেটার। দক্ষিণ ভারতীয় পরিবারে সাধারণত সন্তানদের উচ্চশিক্ষার প্রতিই উৎসাহিত করে থাকেন অভিভাবকরা। ভেঙ্কটেশ আয়ারের ক্ষেত্রে হয়েছে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটেছিল। ছোটবেলায় তাঁকে ঘরে বইয়ে মুখ গুঁজে বসে থাকার ওপর জোর দেননি মা। বরং বাইরে গিয়ে খেলাধুলোর ওপর বেশি জোর দিতেন। তা সত্ত্বেও উচ্চশিক্ষা আটকায়নি বেঙ্কটেশ আয়ারের। ২০১৬ সালে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় শীর্ষ স্থানীয়দের মধ্যে একজন ছিলেন ভেঙ্কটেশ। তাঁর বি.কম ডিগ্রির সঙ্গেই রয়েছে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সির ডিগ্রি। ক্রিকেট না পড়াশোনা, কোনটাকে বেছে নেবেন তা ঠিক করতে গিয়ে উভয় সঙ্কটে পড়েছিলেন সিএ ফাইনালের আগে। মধ্যপ্রদেশের অনূর্ধ্ব ২৩ দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার পর ইতিমধ্যেই তখন টি ২০ ও ৫০ ওভারের ক্রিকেটে মধ্যপ্রদেশ সিনিয়র দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠেছেন। সিএ ফাইনালের জন্য প্রস্তুত হতে গেলে হয় ক্রিকেট ছাড়তে হত, নাহলে সাময়িকভাবে ক্রিকেট কেরিয়ার থামিয়ে রাখতে হত। তখনই ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার কথা ভেবে সিএ থেকে সরে দাঁড়িয়ে এমবিএ পড়ার সিদ্ধান্ত নেন ভেঙ্কটেশ। এমবিএ এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ভাল নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ভাল কলেজেও ভর্তি হন। সেখানকার ফ্যাকাল্টি তাঁর ক্রিকেট প্রতিভা দেখে কলেজে উপস্থিতি, নোট তৈরি করা, সুবিধামতো পরীক্ষার ব্যবস্থা করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তাতেই ক্রিকেট কেরিয়ার এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। মেধাবী, আর সেই কারণেই ক্রিকেট ও পড়াশুনোয় ভারসাম্য বজায় রেখে এগোতে অসুবিধাই হয়নি ভেঙ্কটেশের। নিজের মেধার প্রতি আস্থা ভেঙ্কটেশের বরাবরই। তিনি মজা করে বলেছেন, ক্রিকেটে না এগোলে আমি নিশ্চিতভাবেই আইআইএম বা আইআইটিতে থাকতাম।ক্রিকেটকেই কেরিয়ার হিসেবে বেছে নেন ১৯ বছর বয়সে। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক। তার আগে ২০১৫ সালে ঘরোয়া একদিনের ক্রিকেট খেলে ফেলেছেন। ইন্দোরে বর্ষাকালে যখন ক্রিকেটের অফসিজন, তখন সারা সপ্তাহ পড়াশোনা করে চেন্নাইয়ে উইকেন্ড লিগে খেলতেন ভেঙ্কটেশ। ২০১৮ সালে বেঙ্গালুরুতে বিগ ফোরএর অন্যতম অ্যাকাউন্টিং ফার্ম ডেলয়েটের ভারতের সদর দফতরে চাকরি পান। ক্রিকেটের জন্য সেই চাকরি প্রত্যাখ্যান করেন। এ জন্য আক্ষেপ নেই বেঙ্কটেশের। কারণ সেই বছরই তাঁর মধ্যপ্রদেশের হয়ে রঞ্জি অভিষেক ঘটে। ভেঙ্কটেশের কথায়, ওই চাকরি নিলে আমাকে অন্য শহরে যেতে হত। যার প্রভাব পড়ত ক্রিকেটে। আমার বাবা মানবসম্পদের কনসালট্যান্ট। মা হসপিটাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে অনেক বছর কর্মরত ছিলেন। তাঁরা চেয়েছিলেন আমার কমপ্লিট একটা বেসিক ডিগ্রি থাক। সে কারণেই এমবিএ পড়া। ফ্যাকাল্টিদের সহযোগিতায় ক্রিকেট চালিয়েও এমবিএ ডিগ্রি লাভ করতে পেরেছি। চাকরি ছাড়লেও যে ইনিংস বেঙ্কটেশকে রঞ্জি অভিষেকের সুযোগ করে দেয় তা কম নাটকীয় নয়। একদিনের ক্রিকেট মরশুম ভাল গেলেও শতরান পাননি। এরই মধ্যে ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে দুটো তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ আসে। প্রথমটিতে রান পাননি। দ্বিতীয়টির মধ্যে আবার ছিল এমবিএ ইন্টারনাল পরীক্ষা। কলেজ গিয়ে পরীক্ষা দিয়ে দ্রুত বেরিয়ে কয়েকটি সিগনাল ভেঙে মাঠে গিয়ে ভেঙ্কটেশ দেখেন দলের রান ৬ উইকেটে ৬০। ক্রিজে নেমে তাঁর মাথায় ঘুরছে পরীক্ষায় কোনটা মিস করেছেন, কোনটা আরও ভাল লেখা যেত। সেই পরিস্থিতিতে দিনের শেষে ৯৬ রানে অপরাজিত থেকে পরের দিন শতরান পূর্ণ করেন। পরদিন কলেজে গিয়ে আবার পরীক্ষা দেন। আর এই ম্যাচের পরেই রনজি অভিষেক হয় ভেঙ্কটেশের।উচ্চশিক্ষা লাভের পর মায়ের উৎসাহেই নামি সংস্থার চাকরি ছেড়ে ক্রিকেটে মনোনিবেশ। মধ্যপ্রদেশের হয়ে ধামাকাদার ব্যাটিং। আর তারপর আইপিএলের আসরে। এবারের নিলামে তাঁকে ২০ লক্ষ টাকায় কিনেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এবছর ২৮ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশ ৫০ ওভারে তিন উইকেটে ৪০২ রান তুলেছিল। জিতেছিল ১০৫ রানে। সেই ম্যাচেই ২০টি চার ও সাতটি ছক্কার সাহায্যে ১৪৬ বলে ১৯৮ রান করেছিলেন ভেঙ্কটেশ। আইপিএলের নিলামের আগে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের নজর কেড়েছিল এই ইনিংসটি। ওপেন করতে নেমে ইনিংসের ৪৭তম ওভারের প্রথম বলে তিনি রান আউট হয়েছিলেন দ্বিশতরান থেকে মাত্র দুই রান দূরে। বল হাতেও ২৪ রানে তুলে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। বিজয় হাজারে ট্রফির ১৯৮ রানের ইনিংস খেলার আগে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি ২০-তে ৫ ম্যাচে ২২৭ রান করেন, যা মধ্যপ্রদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বাধিক। গড় ৭৫.৬৬, স্ট্রাইক রেট ১৪৯.৩৪। আইপিএলের প্রথমার্ধে সুযোগ না পেলেও ড্রেসিংরুমে কাটিয়ে অনেক কিছু শিখে নিজেকে সমৃদ্ধ করেছেন। খেলার বাইরে ভেঙ্কটেশ বই পড়তে ভালোবাসেন। রান্নার শো আর মুভি দেখাও তাঁর পছন্দের। প্রিয় নায়ক রজনীকান্ত। রজনীকান্তের বিখ্যাত পাঞ্চলাইন ইয়েন ভাঝি, থানি ভাঝি, যার অর্থ আমার পথ ইউনিক, সেটাই নিজের জীবনের পাঞ্চলাইন হিসেবে মনে করেন ভেঙ্কটেশ। আইপিএলের অভিষেকেই বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি লম্বা রেসেরই ঘোড়া।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌আবার জয়, দ্বিতীয় পর্বে অনেক বেশি ঝকঝকে লাগছে নাইট রাইডার্সকে

আইপিএলের প্রথম পর্বের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বের কলকাতা নাইট রাইডার্সের আকাশপাতাল পার্থক্য। প্রথম পর্বে রীতিমতো ধুঁকছিল। একসময় মনে হচ্ছিল প্লে অফে ওঠাই কঠিন হয়ে যাবে নাইট রাইডার্সের। দ্বিতীয় পর্বে ছবিটা বদলে গেছে। অনেক ঝকঝকে লাগছে নাইটদের। আগের ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরকে হারানোর পর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে আবার জয়। রোহিত শর্মার দলকে মর্গানরা হারিয়েছে ৭ উইকেটে। জয়ের নায়ক সেই ভেঙ্কটেশ আয়ার। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০১৫ সাল থেকে শেষ ১৩টি সাক্ষাতে মুম্বইয়ের কাছে ১২টি ম্যাচেই হারতে হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। গত বছর আবু ধাবিতে হারতে হয়েছিল দুটি ম্যাচেই। ফলে নিঃসন্দেহে এদিনের জন্য তৃপ্তিদায়ক নাইটদের কাছে। রোহিত শর্মা ও কুইন্টন ডি ককের ওপেনিং জুটির সৌজন্যে ভাল শুরু করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আগের ম্যাচে ফিটনেসজনিত কারণে রোহিত শর্মা খেলেননি। এদিন আনমোলপ্রীত সিংয়ের জায়গায় তিনি ফের জুটি বাঁধেন ডি ককের সঙ্গে। রোহিতের ব্যাটিং টি ২০ বিশ্বকাপের আগে ভারতকে স্বস্তিতে রাখলেও সূর্যকুমার যাদব চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ৩ করার পর এদিন ১০ বলে ৫ রানে আউট হলেন। পাওয়ারপ্লেতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দুই ওপেনার তোলেন ৫৬ রান। ৯.২ ওভারে ৭৮ রানে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ওপেনিং জুটি ভাঙেন সুনীল নারিন। চারটি চারের সাহায্যে ৩০ বলে ৩৩ রান করে আউট হন রোহিত শর্মা। কুইন্টন ডিকক করেন ৫৫। তিনি প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর বলে আউট হন। ঈশান কিষাণ করেন ১৪। ১৫ বলে ২১ রান করে আউট হন কিয়েরণ পোলার্ড। ২০ ওভারে মুম্বই তোলে ১৫৫/৬। নাইট রাইডার্সের ফার্গুসন ২৭ রানে ২, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ৪৩ রানে ২ উইকেট নেন। জয়ের জন্য ১৫৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১০ ওভারে ১ উইকেটে ১১১ রান তুলে ফেলে কেকেআর। শুভমান গিল ১৩ রানে আউট হওয়ার পর কেকেআরের স্কোর ছিল ৩ ওভারে ১ উইকেটে ৪০। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ৮৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও রাহুল ত্রিপাঠি। ১১.৪ ওভারে দলের ১২৮ রানের মাথায় ৩০ বলে ৫৩ করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আইয়ার। তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৭৬.৬৬, চারটি চার ও তিনটি ছয় মারেন তিনি। শুরু থেকেই ছিলেন মারমুখী মেজাজে। রাহুল ত্রিপাঠির ইনিংসে রয়েছে আটটি চার ও তিনটি ছয়। রাহুলের এদিনের স্ট্রাইক রেট ১৭৬.১৯। ৯ ম্যাচে তাঁর মোট রান ২৬১, গড় ৩৭.২৮, স্ট্রাইক রেট ১৪৫। ২৯ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জেতে কেকেআর। ৪ ওভারে ৪৩ রানে তিনটি উইকেটই পেয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহ। ৯ ম্যাচে কেকেআরের পয়েন্ট ৮, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সেরও আট। কিন্তু রোহিতের দল নেট রান রেটের কারণে চলে গেল ছয়ে।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
দেশ

Modi-Kamala Harris: প্রথম সাক্ষাতে কমলা হ্যারিসকে কী বললেন মোদি?

ভারতীয় বংশোদ্ভূরত প্রথম মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট তিনি। তাঁর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতেই মুগ্ধ হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে সকলের কাছে অনুপ্রেরণা বলে অ্যাখ্যা দেন। একইসঙ্গে ভারতে আসার জন্যও আমন্ত্রণ জানান।শুক্রবার হোয়াইট হাউসে মুখোমুখি হন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দীর্ঘক্ষণ তাদের মধ্যে আলাপচারিতা চলে। কমলার প্রশংসায় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচনে আপনার লড়াই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক একটি অনুষ্ঠান ছিল। গোটা বিশ্বজুড়েই অনেকের কাছে আপনি অনুপ্রেরণা। আমি নিশ্চিত যে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও আপনার নেতৃত্বে দুই দেশের মধ্যযে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে।Glad to have met @VP @KamalaHarris. Her feat has inspired the entire world. We talked about multiple subjects that will further cement the India-USA friendship, which is based on shared values and cultural linkages. pic.twitter.com/46SvKo2Oxv Narendra Modi (@narendramodi) September 24, 2021কমলা হ্যারিসকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত ও আমেরিকার মূল্যবোধ অনেকটাই একরকম, রাজনৈতিক স্বার্থও এক। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে সংযোগ ও সম্পর্কও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি আমেরিকায় যেরকম জয়লাভ করেছেন, ভারতীয়রা চান আপনি আমাদের দেশে গিয়েও সেই ধারা বজায় রাখুন। সকল ভারতীয়ই আপনার জন্য অপেক্ষা করছে, সেই কারণে আমি আপনাকে ভারত সফরে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, সন্ত্রাসবাদ ছাড়াও মোদি-কমলা হ্যারিসের মধ্যে আলোচনায় উঠে এসেছে করোনা প্রসঙ্গও। যেভাবে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছে ভারত, তার প্রশংসা করেন মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট। উল্টো পাশে থাকার জন্য কমলা হ্যারিসকেও ধন্যবাদ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিপদের সময় পাশে দাড়ানোর জন্য আমেরিকাকে মন থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। জবাবে কমলা হ্যারিসও বলেন, যখন ভারতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছিল, সেই সময় আমেরিকা গর্বের সঙ্গে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। আমি ঘোষণা করছি যে ভারত দ্রুত টিকা রফতানির কাজ শুরু করবে। এই প্রসঙ্গেই বলে রাথা উচিত, ভারত আজই দৈনিক এক কোটি মানুষকে টিকা দিয়েছে।উল্লেখ্য, আজই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করবেন মোদি। আগে ফোনে আলাপচারিতা হলেও প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর এই প্রথম বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে প্রধানমন্ত্রীর। দুই দেশের প্রধানদের মধ্যে বৈঠক ছাড়াও কোয়াডের সদস্য দেশগুলির সঙ্গেও বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকে আফগানিস্তান পরিস্থিতি, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

I‌PL : সানরাইজার্সকে উড়িয়ে শীর্ষে উঠে এল দিল্লি ক্যাপিটালস

আইপিএলে চলছে সাপলুডোর খেলা। এই খেলায় কখনও এগিয়ে যাচ্ছে চেন্নাই সুপার কিংস। কখনও আবার দিল্লি ক্যাপিটালস। আগের ম্যাচ জিতে যেমন শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিল চেন্নাই। বুধবার সানরাইজার্স হায়দরবাদকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে আবার শীর্ষে উঠে এল দিল্লি ক্যাপিটালস। টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতার মাশুল গুনতে হল সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে। আইপিএলের দ্বিতীয় পর্ব অনেক ক্রিকেটারের কাছে নিজেকে প্রমাণ করার। টি২০ বিশ্বকাপে সুযোগ পাননি শিখর ধাওয়ান। নির্বাচকদের সিদ্ধান্ত ভুল, প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ ছিল তাঁর কাছে। তেমনি আবার নিজেকে প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ ছিল ঋদ্ধিমান সাহার কাছেও। নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যর্থ ঋদ্ধি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কিংবা আইপিএল, সবসময় অন্যের ছায়ায় ঢাকা পড়ে থাকতে হয়েছে ঋদ্ধিমানকে। ব্যক্তিগত কারণে আইপিএলের দ্বিতীয় পর্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বেয়ারস্টো। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে ঋদ্ধি। বড় সুযোগ ছিল নিজেকে প্রমাণ করার। জ্বলে উঠতে ব্যর্থ ঋদ্ধি (১৭ বলে ১৮)। কাগিসো রাবাডার ১৪৩ কিমি গতিতে ধেয়ে আসা বাউন্সার পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে শিখর ধাওয়ানের হাতে। ঋদ্ধিমান সাহার মতো দিনটা সানরাইজার্সেরও ছিল না। গোটা দলেরই ব্যাটিং বিপর্যয়। প্রথম ওভারেই ডেভিড ওয়ার্নারকে (০) দিয়ে শুরু। তাঁকে তুলে নেন আনরচ নর্টিয়ে। অধিনায়ক উইলিয়ামসন (১৮), মণীশ পাণ্ডে (১৭), কেদার যাদবরাও (৩) ব্যর্থ। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই জোরে বোলার নর্টিয়ে, রাবাডা শুরুতেই ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিলেন সানরাইজার্সের। অক্ষর প্যাটেলও দারুণ বোলিং করেন। আব্দুল সামাদ (২৮), হোল্ডার (১০), রশিদ খানদের (২২) সৌজন্যে ১৩৪/৯ রানে পৌঁছয় সানরাইজার্স। দিল্লির যা ব্যাটিং শক্তি, জয়ের জন্য এই টার্গেট একেবারেই কঠিন ছিল না। তার ওপর দারুণ ছন্দে রয়েছেন শিখর ধাওয়ান (৪২)। চোট কাটিয়ে দ্বিতীয় পর্বে ফিরে শ্রেয়স আয়ারও (অপরাজিত ৪৭) নিজেকে দুর্দান্তভাবে মেলে ধরলেন। ঋষভ পন্থও (অপরাজিত ৩৫) ছন্দ ধরে রেখেছেন। ফলে জিততে অসুবিধা হয়নি দিল্লির। ১৭.৫ ওভারে ১৩৯/২ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় দিল্লি। চলতি আইপিএলে কেন তারা সবথেকে ভারসাম্যপূর্ণ দল, বুঝিয়েই চলেছে দিল্লি ক্যাপিটালস।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌IPL : আইপিএলে আবার করোনার হানা, আক্রান্ত টি নটরাজন

প্রথম পর্বের মতো আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে আবার করোনার হানা। করোনায় আক্রান্ত হয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ছিটকে গেলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের টি নটরাজন। আগামী বেশ কয়েকটা ম্যাচে তাঁর মাঠে নামার সম্ভাবনা নেই।গতবছর আইপিএলে দারুণ সাড়া জাগিয়ে শুরু করেছিলেন টি নটরাজন। ভারতীয় নির্বাচকদের নজর কেড়ে নিয়ে জাতীয় দলে সুযোগও করে নিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে সময়টা মোটেই ভাল যাচ্ছে না ভারতীয় দলের এই জোরে বোলারের। এবছর আইপিএলের প্রথম পর্বে চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছিলেন। দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে কাটাতে হয়েছিল। সুস্থ হয়ে ফিরলেও আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বের শুরুতে আবার ছিটকে যেতে হল।বুধবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সিতে মাঠে নামারও কথা ছিল নটরাজনের। মাঠে যাওয়ার আগে এদিন সকালে বাঁহাতি এই জোরে বোলারের রুটিন আরটিপিসিআর টেস্টের কোভিড ১৯ রিপোর্ট পজিটিভ আসে। যদিও নটরাজনের কোনও লক্ষণ ছিল না। আপাতত তিনি আইসোলেশনে রয়েছেন।চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ভারতে শুরু হয়েছিল এই আইপিএল। টুর্নামেন্টে চলাকালীন করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছিলেন সানরাইজার্স হায়দরবাদের উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহা, দিল্লি ক্যাপিটালসের স্পিনার অমিত মিশ্র সহ একাধিক ক্রিকেটার। চেন্নাই সুপার কিংসের বেশ কয়েক জন সাপোর্ট স্টাফের কোভিড ১৯ রিপোর্টও পজিটিভ এসেছিল। তারপরই আইপিএল মাঝপথে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সংযুক্ত আরব আমীরশাহীর জৈব সুরক্ষা বলয় নাকি অনেক বেশি সুরক্ষিত। করোনা ভাইরাসের আবহেই ২০২০ সালের আইপিএল সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন করে সংযুক্ত আরব আমীরশাহীর ক্রিকেট বোর্ড ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মন জয় করে নিয়েছিল। এবার ভারতের মতো একই রকম আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতেও।বুধবার আইপিএলের তরফে একটি টুইট করে টি নটরাজনের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানানো হয়। বলা হয় যে, তামিলনাড়ুর বাঁহাতি ফাস্ট বোলারের সংস্পর্শে এসেছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের এক ক্রিকেটারসহ আরও ৬ জন। তাঁরা হলেন অল রাউন্ডার বিজয়শঙ্কর, টিম ম্যানেজার বিজয় কুমার, ফিজিওথেরাপিস্ট শ্যামসুন্দর জে, ডাক্তার অঞ্জনা ভানান, লজিস্টিক ম্যানেজার তুষার খেড়কর, নেট বোলার পেরিয়াস্বামী গনেশন। তাঁদের কোভিড ১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ আসা সত্ত্বেও বিধি মেনে এই ৬ জনকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। টি নটরাজনের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা যে ম্যাচকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিয়েছিল, তা অনায়াসে বলা যায়। তবে দুই দলের বাকি সদস্যের কোভিড ১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় দিল্লি ও হায়দরাবাদের ম্যাচ আজ নির্ধারিত সূচি মেনেই অনুষ্ঠিত হবে বলেও আইপিএল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IPL : কাজে এল না অর্শদীপের দুরন্ত বোলিং, শেষ ওভারে নাটকীয় জয় রাজস্থান রয়্যালসের

আইপিএলের প্রথম পর্বে চমকে দিয়েছিলেন পাঞ্জাব কিংসের অর্শদীপ সিং। দ্বিতীয় পর্বেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন। তাঁর দুরন্ত বোলিং কাজে এল না। শেষ ওভারে ২ উইকেট তুলে নিয়ে রাজস্থান রয়্যালসকে ২ রানে নাটকীয় জয় এনে দিলেন কার্তিক ত্যাগী।প্রথম সাক্ষাতে হাই স্কোরিং ম্যাচে রান তাড়া করতে গিয়ে মাত্র ৪ রানে পাঞ্জাব কিংসের কাছে হেরেছিল রাজস্থান রয়্যালস। ফিরতি সাক্ষাতেও হার। দুবাইয়ে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে লোকেশ রাহুলদের দিকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেটই ছুড়ে দেয় সঞ্জু স্যামসনের দল। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের বিধ্বংসী ফর্মে ছিলেন এভিন লুইস। আইপিএলে সেই ফর্ম ধরে রেখে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে আইপিএলে প্রথমবার খেলতে নেমে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন। যোগ্য সঙ্গ দেন যশস্বী জয়সওয়াল। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৫৪। সাতটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ২১ বলে ৩৬ রান করে আউট হন লুইস। আইপিএলের অভিষেক ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনকে (৪) ফেরান ঈশান পোড়েল। ৭.১ ওভারে ৬৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় রাজস্থান রয়্যালস। ১১.৫ ওভারে অর্শদীপ সিংয়ের বলে ১৭ বলে ২৫ করে আউট হন লিয়াম লিভিংস্টোন। রাজস্থান রয়্যালসের তৃতীয় উইকেট পড়ে ১১৬ রানের মাথায়। ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে হরপ্রীত ব্রারের বলে যশস্বীর ক্যাচ ধরেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ৩৬ বলে ৪৯ করেন যশস্বী।আরও পড়ুনঃ নাসাফের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে সতর্ক হাবাসএকসময় মনে হচ্ছিল ২০০ রানের গন্ডি টপকে যাবে রাজস্থান রয়্যালস। কিন্তু ডেথ ওভারে মহম্মদ সামি, অর্শদীপ সিংরা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠায় তা সম্ভব হয়নি। ১২ রানের মধ্যে চারটি উইকেট পড়ে রাজস্থান রয়্যালসের। ১৭তম ওভারের তৃতীয় বলে শামি রিয়ান পরাগকে ব্যক্তিগত চার রানে প্যাভিলিয়নে ফেরান। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে অর্শদীপ সিংয়ের বলে এইডেন মার্করামের হাতে ক্যাচ দিয়ে মহীপাল লোমরর আউট হওয়ার আগে করেন ১৭ বলে ৪৩। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ২টি চার ও চারটি ছক্কা। ১৯তম ওভারে বল করতে এসে শামি প্রথম বলে রাহুল তেওয়াটিয়া ও পঞ্চম বলে আইপিএলের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার ক্রিস মরিসকে প্যাভিলিয়নে ফেরান। তেওয়াটিয়া বোল্ড হন, মরিসের ক্যাচ ধরেন মার্করাম। চার ওভারে ২১ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নিয়ে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে ৫০তম আইপিএল উইকেট পান সামি। ৩২ রানে ৫ উইকেট নেন অর্শদীপ। ২০ ওভারে ১৮৫ রানে থেমে যায় রাজস্থান।আরও পড়ুনঃ নিজেকে প্রমাণ করার দারুণ সুযোগ ঋদ্ধিমানের সামনেজয়ের জন্য ১৮৬ রানের লক্ষ্য খুব একটা সহজ ছিল না পাঞ্জাব কিংসের কাছে। দারুণ শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ১২০। লোকেশ রাহুল ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল ভিত তৈরি করে দেন। ৩৩ বলে ৪৯ রান করে চেতন সাকারিয়ার বলে আউট হন রাহুল। তিনবার জীবন পেয়ে তিনি এই রান করেন। পরের ওভারেই রাহুল তেওয়াটিয়ার বলে লিভিংস্টোনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। তিনি ৪৩ বলে করেন ৬৭। পরপর ২ উইকেট হারালেও চাপে পড়েনি পাঞ্জাব কিংসে। নিকোলাস পুরান ২২ বলে করেন ৩২। কার্তিক ত্যাগীর বলে তিনি সঞ্জু স্যামসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। এদিন ক্রিস গেইলের পরিবর্তে ফর্মে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মার্করামকে খেলায় পাঞ্জাব। তিনি হতাশ করেননি। দলকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দিয়েছিলেন এইডেন মার্করাম (২০ বলে অপরাজিত ২৬)। শেষ ওভারে পাঞ্জাবের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪ রান। কার্তিক ত্যাগী ১ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নিয়ে দলকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দেন। ২০ ওভারে ১৮৩/৪ তোলে পাঞ্জাব।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Wriddhiman Saha : নিজেকে প্রমাণ করার দারুণ সুযোগ ঋদ্ধিমানের সামনে

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটই বলুন কিংবা আইপিএল, সবসময় অন্যের ছায়ায় ঢাকা পড়ে থাকতে হয়েছে ঋদ্ধিমান সাহাকে। জাতীয় দলে মহেন্দ্র সিং ধোনির জন্য প্রথম একাদশে খেলার সুযোগ পাননি। এখন ধোনির জায়গা নিয়েছেন ঋষভ পন্থ। আইপিএলেও কখনও ধোনির ছায়ায়, কখনও জনি বেয়ারস্টোর ছায়ায় ঢাকা থাকতে হয়েছে। এবছর আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে ছবিটা বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা। ব্যক্তিগত কারণে আইপিএলের দ্বিতীয় পর্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জনি বেয়ারস্টো। সেই কারণেই ঋদ্ধিমান সাহার সামনে প্রথম একাদশে খেলার সম্ভাবনা। ঋদ্ধিমান সাহার সামনেও বড় সুযোগ নিজেকে মেলে ধরার। প্রথম পর্বে বেয়ারস্টোর ছায়ায় ঢাকা পড়ে ছিলেন। শ্রীবৎস গোস্বামীও রয়েছে। তাঁকে খেলানোর সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে বুধবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের তুলনায় এই ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালস অনেকটাই এগিয়ে থেকে মাঠে নামবে। আইপিএলের প্রথম পর্বে অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারকে ছাড়াই বেশ ঝকঝকে লাগছিল দিল্লি ক্যাপিটালসকে। চোটের জন্য শ্রেয়স ছিটকে গেলে নেতৃত্বের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল ঋষভ পন্থের হাতে। দুর্দান্ত নেতৃত্ব দিয়ে দলকে শীর্ষে রেখেছিলেন ঋষভ। চোট সারিয়ে শ্রেয়স ফিরে এলেও ঋষভেই আস্থা রেখেছে দিল্লি ক্যাপিটালস টিম ম্যানেজমেন্ট। তাঁর সামনে এখন ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ। দ্বিতীয় পর্বের শুরুতেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে দিল্লি ক্যাপিটালস। এই মুহূর্তে লিগ টেবিলে সবার শেষে রয়েছে সানরাইজার্স। অন্যদিকে, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। অর্থাৎ লড়াইটা দুইয়ের সঙ্গে আটের। দ্বিতীয় পর্বে মাঠে নামার আগে শক্তিক্ষয় হয়েছে সানরাইজার্সের। দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী জনি বেয়ারস্টো আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলো থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে। ফলে ব্যাটিং নিয়ে সমস্যা বেড়েছে। প্রথম পর্বে ডেভিড ওয়ার্নার, কেন উইলিয়মসন, মণীশ পান্ডেরা তেমন ফর্মে ছিলেন না। বেয়ারস্টো না থাকায় ডেভিড ওয়ার্নারকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। ব্যাটিং নিয়ে অবশ্য সানরাইজার্সের মতো চিন্তা নেই দিল্লি ক্যাপিটালসের। দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন শিখর ধাওয়ান। টি২০ বিশ্বকাপে জাতীয় দলে সুযোগ পাননি। নির্বাচকদের ভুল প্রমাণ করতে মরিয়া হবেন। পৃথ্বী শ, ঋষভ পন্থরাও দারুণ ছন্দে। শ্রেয়স ফিরে আসায় ব্যাটিং শক্তি আরও বেড়েছে। বোলিংয়ে আবেশ খান, কাগিসো রাবাডা, অমিত মিশ্র, অক্ষর প্যাটেলরা প্রথম পর্বে দারুণ নির্ভরতা দিয়েছিলেন। তবে ঋষভ পন্থদের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ প্রথম পর্বের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • 13
  • 14
  • 15
  • ›

ট্রেন্ডিং

খেলার দুনিয়া

টিকিট-গুজব নস্যাৎ সিএবির, পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি জোরালো

সিএবির পদাধিকারী থেকে কমিটি সদস্যদের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগপত্র জমা পড়ছে ওম্বুডসম্যানের কাছে। তার মধ্যেই এবার প্রশ্ন উঠে গেল সিএবির ম্যাচ পর্যবেক্ষক যশোবন্ত বিশ্বাস সম্পর্কে। একজন পর্যবেক্ষক হয়ে তিনি নানাভাবে সিএবির বিরুদ্ধাচরণ কীভাবে করতে পারেন, উদ্দেশ্য কী, এর পিছনে আর্থিক লেনদেন জড়িত কিনা তা নিয়েই সংশয় বাড়ছে। ২০২৩-২৪ মরশুমে মহমেডান স্পোর্টিং-টাউন ক্লাব ম্যাচে গড়াপেটা হয় বলে অভিযোগ। প্রহসন দেখে দুই ক্লাবকে শোকজ করে সিএবি। বিষয়টি গিয়েছে ওম্বুডসম্যানের কাছে। বেশ কয়েকটি শুনানি হয়েছে। ম্যাচ রেফারি, পর্যবেক্ষক, আম্পায়ারদের রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হয়েছে। সব পক্ষের মতামত শোনা হয়েছে। সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম থেকেই এই ম্যাচটি নিয়ে হওয়া বিতর্কে কড়া মনোভাব দেখিয়েছেন। সিএবি সূত্রে খবর, ওই ম্যাচে পর্যবেক্ষকের ভূমিকা নিয়ে সংশয় থাকায় আজ অবধি তাঁকে কোনও ম্যাচ দেওয়া হয়নি। তবে বছর দেড়েক হতে চললেও ওম্বুডসম্যানের দরবারে এই বিষয়টির নিষ্পত্তিও হয়নি। সিএবির অনেকেই চাইছেন, আগামী সেপ্টেম্বরে বার্ষিক সাধারণ সভার আগেই সত্য উদ্ঘাটিত হোক, দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ হোক।ওই ম্যাচেও টাউন ক্লাবের কর্তা তথা সিএবি যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছিল সিএবিতে। সম্প্রতি এই দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে দেড় কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি-সহ নানা অভিযোগ উঠছে। যার শুনানি চালাচ্ছেন ওম্বুডসম্যান। আর এখানেই বিষয়টিতে অন্য মাত্রা যোগ হয়েছে।ওই বিতর্কিত ম্যাচ নিয়ে যেখানে পর্যবেক্ষক ক্লিনচিট পাননি সেখানে তিনি কীভাবে অভিযুক্ত ক্লাবের অভিযুক্ত কর্তার হয়ে সওয়াল করতে পারেন সেই প্রশ্ন উঠছে। দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে ওঠা সাম্প্রতিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে যশোবন্ত যে তাঁর হয়ে ব্যাট ধরেছেন তার স্ক্রিনশট জমা পড়েছে সিএবিতে। এই অবস্থায় এসপার-ওসপার চাইছেন সিএবির অনেকেই। যশোবন্ত নানাভাবে যে সিএবি বিরোধিতা চালাচ্ছেন তাও নজরে রয়েছে সিএবির। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল অডিওতে (যার সত্যতা যাচাই করেনি জনতার কথা) সিএবি সভাপতি সম্পর্কে ছাপার অযোগ্য ভাষা প্রয়োগের অভিযোগ রয়েছে যশোবন্তর বিরুদ্ধে। বর্তমানে সিএবিতে তথাকথিত বিরোধী লবির গর্বিত সৈনিক বলে দাবি করে যশোবন্ত সাংবাদিকদের ভুয়ো তথ্য দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ এবং সেগুলি ফলাও করে পোস্ট করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকী আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে সিএবির নির্বাচনে কাঁটা ছড়ানোর হুঁশিয়ারিও তিনি দিচ্ছেন বলেও সিএবি কর্তারা জানতে পেরেছেন। যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা বললেন, ওঁর পর্যবেক্ষক হওয়ার যোগ্যতা আছে কি? আর উনি কী বলছেন তাতে বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়বে না সিএবির বার্ষিক সাধারণ সভায়, এমনকী নির্বাচন হলে তাতেও। স্বার্থসিদ্ধির জন্য এক পক্ষের পাত্তা না পেয়ে খানিকটা নিজে উদ্যোগী হয়েই অপর পক্ষের ঘনিষ্ঠ হয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা ছাড়া এ সব কিছু নয়। আর সাংবাদিকদের অবস্থা এত খারাপ হয়নি যে ওঁর কথা শুনে ভিত্তিহীন, একপেশে বা নেতিবাচক খবর করে নিজেরা বিপাকে পড়বেন। তবে এটাও ঠিক, মহমেডান-টাউন ম্যাচের তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতা বরদাস্ত করা উচিত নয়। ভিনরাজ্যের ক্রিকেটার খেলানো নিয়ে টাউনের আপত্তি বা অভিযোগ জমার কথা পর্যবেক্ষক মহমেডানকে আগেভাগে জানিয়েছিলেন কিনা বা গড়াপেটায় তাঁর কী ভূমিকা, আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হোক। সিএবিতে জমা দেওয়া তাঁর রিপোর্ট আদৌ কতটা বিশ্বাসযোগ্য, যশোবন্তের সাম্প্রতিক আচরণ বা অবস্থান দেখে তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন ওঠার অবকাশ থাকছেই। একদা যিনি দেবব্রতর সমালোচনা করেছেন বিভিন্ন মহলে, তিনিই আবার কেন দেবব্রতকে নিয়ে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন, কোনওভাবে বাঁচার জন্যে কিনা সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। এই প্রশ্ন তোলা হবে সিএবি সভাপতির কাছেও।এদিকে, গতকাল রটে গিয়েছিল সিএবি নাকি সংবিধান সংশোধন করে বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার ও সদস্যদের ম্যাচ টিকিট দেওয়া বন্ধ করতে চাইছে। যদিও এটি গুজব। সিএবি সভাপতি জানিয়েছেন, ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ হোক বা আইপিএল, যাঁর জন্য যতগুলি করে টিকিট বরাদ্দ তাই দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে আইসিসি ইভেন্ট, দ্বিপাক্ষিক সিরিজ, যে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ বা আইপিএলেও সেই ধারা বজায় থাকবে। ফলে গুজবে কান দেবেন না।ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সংবিধান সংশোধনের যে চিঠি সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়বে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। মুদ্রণ প্রমাদ-সহ খসড়া চিঠির কপি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই, কিছু মহলে বার্ষিক সাধারণ সভার আগে অসন্তোষ তৈরির উদ্দেশ্য নিয়েই। এতে সিএবিতেই ঘুঘুর বাসা আছে কিনা তা নিয়েও খোঁজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।

জুলাই ২৪, ২০২৫
রাজ্য

২০২৬-এর আগে দুয়ারে সরকারের নয়া মডেল, কর্মসূচি ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’

২১ জুলাই শেষ হতেই নবান্ন থেকে নয়া কর্মসূচি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দুয়ারে সরকারের মডেলে নয়া কর্মসূচি। একেবারের বুথ ভিত্তিক উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। তিনটে বুথ নিয়ে একটি কর্মসূচি। এই প্রকল্পকে নয়া চমক বলে দাবি করেছে বিরোধীরা।নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগে আমরা দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চালু করেছিলাম। প্রায় ১০ কোটি মানুষ তাতে অংশ নিয়েছিলেন। সেই কর্মসূচির ৯০% কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১০% কাজ কিছু প্রকল্পে এখনও বাকি আছে। অনেকেই আবেদন করেছেন, আমরা সেই প্রকল্পগুলো ডিসেম্বর থেকে চালু করব, বিশেষ করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো যেসব প্রকল্প রয়েছে। দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন। জাতিগত শংসাপত্র, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা একটি কর্মসূচি শুরু করছি যার নেতৃত্বে আমি, মুখ্য সচিব এবং ডিজিপি পুলিশ থাকবেন। এই কর্মসূচির নাম আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান। রাজ্য সরকারের তহবিলের উপর নির্ভর করে সরকারি বিভাগগুলির কাজ যথারীতি চলতে থাকবে। MGNREGA তহবিল আটকে রাখা হয়েছে, গ্রামীণ আবাস যোজনার তহবিল আটকে রাখা হয়েছে এবং রাস্তার তহবিলও বন্ধ করা হয়েছে। দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে মানুষ নিজেরাই এসে তাঁদের সমস্যার কথা জানাতেন। আমরা অনেক সমস্যার সমাধান করতে পেরেছিলাম। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই সবাইকে, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের, যাঁরা দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।কেন এই নয়া কর্মসবূচি নিয়েছে রাজ্য? তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, পাড়ায় ছোট ছোট সমস্যা থেকে যায়, যেমন কোনও জায়গায় একটা কল বসানো দরকার বা একটা ইলেকট্রিক পোল বসানো দরকার। এই ধরনের বিষয়গুলো নজরে আনা দরকার। আমরা অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি, কিন্তু তবুও কিছু জায়গা হয়তো কোনও কারণে বাদ পড়ে গেছে। এই ধরনের ছোট ছোট সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা একটি নতুন কর্মসূচি আনছি। আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান। এই ধরনের উদ্যোগ দেশে এই প্রথম। দেখতে ছোট মনে হলেও এর বিস্তৃতি বিশাল। প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভরতার কথা বলেন, কিন্তু বাস্তবে তার কোনও প্রতিফলন দেখা যায় না। সব কাজ রাজ্য সরকারকেই করতে হচ্ছে।কোন পদ্ধতিতে এই কর্মসূচি রূপায়ণ হবে তাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই কর্মসূচি দেশের মধ্যে প্রথম বাংসা চালু করছে বলেও দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান, দেশের প্রথম এই ধরনের কর্মসূচি। এটি একটি উদ্যোগ, যার লক্ষ্য হল গ্রামে গ্রামে ছোট ছোট সমস্যার সমাধান করা। সরকারি অফিসাররা ক্যাম্পে থাকবেন, সাধারণ মানুষের কথা শুনবেন। প্রতিটি ক্যাম্প ৩টি বুথ নিয়ে তৈরি হবে। অর্থাৎ একেকটি ইউনিট হবে একেকটি পাড়া। আমাদের ৮০,০০০-এরও বেশি বুথ রয়েছে, তাই এই পুরো কর্মসূচি সম্পূর্ণ করতে ২ মাস সময় লাগবে। প্রত্যেকটি বুথে অফিসাররা সারাদিন থাকবেন। নির্দিষ্ট একটি জায়গা থাকবে, যেখানে পাড়ার মানুষ তাদের এলাকা সংক্রান্ত সমস্যাগুলি জানাতে পারবেন। অফিসারেরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ ঠিক করবেন।এই কর্মসূচির জন্য একটি বিশেষ তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রতি বুথে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। মোট খরচ ৮,০০০ কোটিরও বেশি টাকা। পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ বা পৌরসভা যেমন কাজ করছে, তেমনই কাজ করবে। তবে এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই নতুন কর্মসূচি শুরু করছে। এই কর্মসূচি আগামী ২ অগস্ট থেকে শুরু হবে। একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে, যা চিফ সেক্রেটারির নেতৃত্বে কাজ করবে। জেলায় ও রাজ্যে আলাদা আলাদা টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হবে। শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য পুলিশও সহযোগিতা করবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে আগামী ২ মাস ধরে সরকার মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে। দুর্গাপুজোর জন্য ১৫ দিনের ছুটি থাকবে, পরে আবার সময় বাড়ানো হবে। তবে সব বুথই কভার করা হবে। এই কর্মসূচির পাশাপাশি দুয়ারে সরকার কর্মসূচিও চালু থাকবে।

জুলাই ২৩, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ম্যাঞ্চেস্টারে মহারণ! পন্থকে নিয়ে স্বস্তি, আকাশের জায়গায় কম্বোজের অভিষেক?

পাঁচ টেস্টের সিরিজ আপাতত ২-১। বুধবার থেকে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শুরু হচ্ছে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফির চতুর্থ টেস্ট। দুই দলের একাদশেই পরিবর্তন আসছে। বেন স্টোকসরা ইতিমধ্যেই প্রথম এগারো ঘোষণা করে দিয়েছেন। ম্যাঞ্চেস্টারের আবহাওয়া ও পিচ দেখে ভারত একাদশ ঘোষণা করবে টসের সময়েই।ভারতীয় শিবিরে চোট-আঘাতের সমস্যা। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এসে ভারত অধিনায়ক শুভমান গিল জানিয়ে দিলেন, আঙুলের চোট সারায় সহ অধিনায়ক ঋষভ পন্থ উইকেটকিপিং করবেন। তবে চতুর্থ টেস্ট খেলতে পারবেন না আকাশ দীপ। লর্ডস টেস্টে তিনি কুঁচকিতে চোট পান। নেটে বল করেননি। ম্যাঞ্চেস্টারে বোলিং কোচ মর্নি মরকেলের সামনে বল করতে গিয়ে স্বচ্ছন্দ বোধ করেননি আকাশ। ফিট হতে তাঁর সময় লাগবে। হাঁটুর চোট সিরিজ থেকেই ছিটকে দিয়েছে অলরাউন্ডার নীতীশ কুমার রেড্ডিকে।ফলে তিনে বি সাই সুদর্শনের খেলা নিশ্চিত। বৃষ্টির ফলে ঢাকা পিচের কাছে গিয়ে তাঁকে শ্যাডো প্র্যাকটিস করতে দেখা গিয়েছে। গিল করুণ নায়ারকে খেলানোর ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন। এই অবস্থায় করুণ ছয়ে ব্যাট করতে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। ইংল্যান্ড সফরে তিনটি টেস্ট খেলার কথা ছিল জসপ্রীত বুমরাহর। তিনি ম্যাঞ্চেস্টারেই খেলবেন। ইংল্যান্ডের পিচগুলির মধ্যে ম্যাঞ্চেস্টারেই সবচেয়ে বেশি সুবিধা আদায় করে নিতে পারেন পেসাররা। যেভাবে বৃষ্টিতে পিচ ঢাকা থাকছে তাতে খেলা শুরুর সময় থেকে উইকেটের আর্দ্রতার কারণে ব্যাটারদের অস্বস্তিতে ফেলতে পারেন সিমাররা, মানছেন শুভমান।এই টেস্টে অংশুল কম্বোজের টেস্ট অভিষেক হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা। একাদশে জায়গা পেতে তাঁর লড়াই প্রসিধ কৃষ্ণর সঙ্গে। তবে প্রসিধের বিরুদ্ধে যাচ্ছে ৫৫-র উপর বোলিং গড়, সাড়ে পাঁচের কাছাকাছি ইকনমি। ইংল্যান্ডে তিনি বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। সেই সঙ্গে তাঁর চেয়ে কম্বোজের ব্যাটের হাত অনেক ভালো। সে কারণেই অংশুল কম্বোজ হতে চলেছেন ম্যাঞ্চেস্টারে ভারতের সারপ্রাইজ প্যাকেজ। উল্লেখ্য, গত বছর রঞ্জি ট্রফিতে হরিয়ানার কম্বোজ কেরলের বিরুদ্ধে ৪৯ রানের বিনিময়ে ইনিংসে দশ উইকেট নিয়েছিলেন।চোটের কারণে ইংল্যান্ডের স্পিনার শোয়েব বশির ছিটকে গিয়েছেন সিরিজ থেকেই। লর্ডসে চোট নিয়ে বল করতে গিয়ে মহম্মদ সিরাজের জয়সূচক উইকেটটি বশির নিয়েছিলেন। স্টোকসদের একাদশে বশিরের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন লিয়াম ডসন। আট বছর পর তিনি টেস্ট খেলবেন। ইংল্যান্ড আত্মবিশ্বাসী, এই টেস্ট জিতে সিরিজ পকেটে পুরে ফেলার ব্যাপারে। ভারতের কাছে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ।ভারতের সম্ভাব্য একাদশ- যশস্বী জয়সওয়াল, লোকেশ রাহুল, বি সাই সুদর্শন, শুভমান গিল (অধিনায়ক), ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার), করুণ নায়ার, রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, অংশুল কম্বোজ, জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ।ইংল্যান্ডের একাদশ- জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, অলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার), লিয়াম ডসন, ক্রিস ওকস, ব্রাইডন কার্স, জোফ্রা আর্চার।

জুলাই ২২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

অম্বরীশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত! সিএবিতে চিঠি আজহারের

সিএবিতে চিঠি পাঠালেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন। তবে এই আজহার ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বা ইডেনের বরপুত্র নন। এই আজহারের বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের উখড়ায়। যদিও এই আজহারের দাবি নয়া মাত্রা যোগ করল সিএবিতে চলা সাম্প্রতিক এক বিতর্কে।সম্প্রতি আইনজীবী সুমন কীর্তনীয়া একটি চিঠি সিএবি, বিভিন্ন ক্লাব-সহ নানা জায়গায় পাঠিয়ে সিএবির স্টেডিয়াম কমিটি ও বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের কমিটির সদস্য অম্বরীশ মিত্রর বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আনেন। অম্বরীশ প্রাক্তন ক্রিকেটার, পূর্ব রেলের শিয়ালদহ শাখায় কর্মরত। রেলের নেতাজি সুভাষ ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধিত্ব করেন সিএবিতে। ফলে ভিজিল্যান্স-সহ রেলের কর্তাদের কাছেও অম্বরীশের নামে অভিযোগপত্র পাঠান সুমন। তাঁর দাবি, অম্বরীশ বিভিন্ন ক্লাব, বয়সভিত্তিক বিভিন্ন দলে খেলিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে লক্ষাধিক টাকা তুলেছেন, হাইকোর্ট ক্লাবে বেআইনি কাজকর্ম চালিয়েছেন প্রভাবশালী পরিচয় দেওয়া অম্বরীশ। জালিয়াতি, বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা, দুর্নীতিতে অম্বরীশের সঙ্গী দেবনিক দাস যুক্ত বলেও দাবি সুমনের। উল্লেখ্য, দেবনিক হলেন টাউন ক্লাবের কর্তা। তিনি আবার সিএবি যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের পুত্র। দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধেও এক কোটি টাকার বেশি দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছে সিএবি ওম্বুডসম্যানের কাছে। সুমন চিঠির সঙ্গে জুড়ে দেন কিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। যাতে ইউপিআই লেনদেনের মাধ্যমে অম্বরীশ যে টাকা পেয়েছেন তার প্রমাণ হিসেবে। সেই কথোপকথনে উঠে এসেছিল আজহারের নাম। এবার সেই আজহার চিঠি দিলেন সিএবিতে। আর্জি জানালেন, অম্বরীশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলি নস্যাৎ করে দিতে। সিএবির বার্ষিক সাধারণ সভার আগে অম্বরীশ ও তাঁর খ্যাতিতে আঘাত দিতেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের অপব্যাখ্যা করে ওই চিঠি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি আজহারের।আজহার সিএবি সভাপতি ও সচিবকে পাঠানো চিঠিতে লিখেছেন, ক্রিকেট খেলার সূত্রে অম্বরীশের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। খেলার পাশাপাশি তাঁরা নানাভাবে বিভিন্ন ক্রিকেটারকে সাহায্য করে থাকেন। গত মরশুমে হাইকোর্ট ক্লাবকে সহযোগিতা করেছেন অম্বরীশ, সে কাজে তিনিও অম্বরীশের পাশে ছিলেন।ক্রিকেট দল চালাতে অর্থের প্রয়োজন। ময়দানের বিভিন্ন ক্লাব অনুদান-সহ নানাভাবে অর্থ সংগ্রহ করে খেলাধুলো পরিচালনা করে। সে কাজটাই তিনি ও অম্বরীশ করেছিলেন বলে জানান আজহার। তাঁরা সাধ্যমতো বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ক্রিকেটারদের জার্সি, ক্রিকেট সরঞ্জাম কিনে দেন, যাতায়াত, টিফিন, লাঞ্চের খরচ জোগান, অনুশীলনের জন্য প্র্যাকটিস-স্লট বুকিং, পরিকাঠামো তৈরি, আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা ক্রিকেটারদের সহায়তার কাজে সংগৃহীত অর্থ ব্যয় করেন বলে দাবি আজহারের। তিনি আরও বলেন, যে অর্থ সংগ্রহের প্রমাণ দেওয়া হয়েছে তা হাইকোর্ট ক্লাবের ক্রিকেট চালানোর কাজেই তহবিল গড়তে দেওয়া হয়েছে। যাতে মসৃণভাবে এই প্রক্রিয়া চলে সে কারণেই অম্বরীশের ইউপিআই ব্যবহার করে আর্থিক লেনদেন হয়েছে। এই অর্থ অম্বরীশ ও আজহার ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য তোলেননি বলেই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটকে হাতিয়ার করা হলো তিনিই যখন আসল তথ্য সিএবিকে চিঠি লিখে জানালেন তাতে অভিযোগকারীর দাবি অনেকটাই লঘু হয়ে গেল। অভিযোগকারী সুমন অম্বরীশের কর্মক্ষেত্রে যে ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করেছেন সেটিও সমর্থনযোগ্য নয় বলে মনে করছেন বঙ্গ ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত অনেকেই। মঙ্গল-রাতে আজহারের চিঠি জমা পড়ার পর সিএবি কী পদক্ষেপ করে সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

জুলাই ২২, ২০২৫
রাজ্য

জাতীয় সড়কে উড়ালপুলের দাবিতে রোড অবরোধ, নবানহাটে জনজোয়ার

আজ সকাল ৮টা থেকে পূর্ব বর্ধমানের মেটেল, নবাবহাট এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর ব্যাপক রোড অবরোধ শুরু হয়েছে। মূল দাবিঅতি দ্রুত উড়ালপুল নির্মাণ। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন, দীর্ঘদিন ধরেই ওই অঞ্চলের যানজট ও দুর্ঘটনার সমস্যা চরমে পৌঁছেছে। অথচ প্রশাসনের তরফে কোনো স্থায়ী সমাধান এখনও গৃহীত হয়নি।সকাল থেকেই প্রায় ৩,০০০-র বেশি মানুষ জাতীয় সড়কের উপর জড়ো হয়ে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ শুরু করেন। উড়ালপুল চাই, জীবনের নিরাপত্তা চাইএই দাবিতে মুখর হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন স্কুল, অফিস যেতে গিয়ে আমরা দুর্ভোগে পড়ি। বহুবার দুর্ঘটনা ঘটেছে এই রাস্তায়। উড়ালপুল না হলে ভবিষ্যতে আর বড় ক্ষতি হবে। এই অবরোধে প্রচুর ছাত্র ছাত্রী যগদান করেছে, জাতীয় সড়কের দুই প্রান্তেই হাজার হাজার লড়ি বাস প্রাইভেট কার আটকে আছে। দূর্ভোগের চূড়ান্ত অবস্থা।অবরোধের কারণে জাতীয় সড়কের দুদিকেই শতাধিক গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, অবরোধকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং শীঘ্রই একটি সমাধানে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হবে।

জুলাই ২২, ২০২৫
রাজনীতি

কলকাতায় তৃণমূলের শহিদ দিবস, উত্তরবঙ্গে যুব মোর্চার উত্তরকন্যা অভিযান

একদিকে যখন ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেস শহিদ দিবস পালন করছে তখন উত্তরবঙ্গে উত্তরকন্যা অভিযান করছে বিজেপি। এদিন শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি ড. ইন্দ্রনীল খাঁ সহ উত্তরবঙ্গের বিজেপির সাংসদ এবং বিধায়কগণ। এদিন তিনবাত্তি মোড় থেকে সুবিশাল মিছিল শুরু হয়। মিছিল শেষে চুনাভাটি ফুটবল গ্রাউন্ড থেকে শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে বাংলাদেশ থেকে যে হিন্দুরা এসেছেন, তাঁরা মোদীজির চোখে শরণার্থী। অনুপ্রবেশকারী নন। এখানে ভারতীয় মুসলিমরা আছেন। আপনাদের কোনও চিন্তা নেই। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। কিন্তু বাংলাদেশি মুসলিম এবং রোহিঙ্গাদের একজনকেও ভোটার তালিকায় থাকতে দেব না। আগামী বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে পরাস্ত করার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, চ্যালেঞ্জ করছি ২০২৬-এ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব। আমি চ্যালেঞ্জ করছি আপনাকে।বিরোধী দলনেতা বলেন, উত্তরবঙ্গে প্রকৃতি যা যা দিয়েছে, সব লুট করেছে। বালি, পাথর, গাছ কিছুই নেই। পাহাড়ের উপর বঞ্চনা হয়েছে। চা-বাগানের শ্রমিকেরা ঠিকঠাক মজুরি পান না। উত্তরবঙ্গের হাসপাতালগুলিতে নিউরোলজিস্ট নেই। কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে এইমস তৈরি করতে চাইলেও রাজ্য সরকার জায়গা দেয় না বলে অভিযোগ তাঁর। বিরোধী দলনেতা এদিন আগামীর কর্মসূচি ঘোষণা করে জানান, আগামী ৪ অগস্ট দলের ৬৫ জন বিধায়ককে নিয়ে কোচবিহারে যাবেন। তখন দলের সব বিধায়ক মিলে উত্তরকন্যাতেও যাবেন বলে জানান তিনি।

জুলাই ২১, ২০২৫
রাজনীতি

“ভোটারদের গায়ে হাত পড়লে গণ আন্দোলন", চক্রান্ত বাংলাতেও! চরম হুঁশিয়ারি মমতার

বেশ কিছু দিন ধরেই কেন্দ্রীয় সরকার ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলো। সোমবার একুশে জুলাইয়ের শহিদ দিবসে হুঙ্কার ছাড়লেন তৃণমূল সুপ্রমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বিহারে ৪০ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এবার পশ্চিমবঙ্গেও সেটাই করতে চাও? যদি এমনটা করার চেষ্টা করো, তাহলে আমরা ঘেরাও আন্দোলন শুরু করব। আমরা তীব্র প্রতিবাদে নামব। আমরা তোমাদের কারোর নাম বাদ দিতে দেব না, একজনকেও ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাতে দেব না_এরই পাশাপাশি বিজেপি সরকারের বাঙালিদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন তিনি। মমতা বলেন, এই মুহূর্ত থেকেই শুরু হচ্ছে ভাষা আন্দোলন। ২৭ জুলাই থেকে, প্রতি শনিবার ও রবিবার মিছিল ও সভা করতে হবে-বাংলা ভাষার প্রতি যে হিংসা ও অবমাননা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে। বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এটা করতে হবে। কোনও পরিযায়ী শ্রমিক বা তাঁদের পরিবার যদি বলে তারা সমস্যায় আছে, তাহলে পাশে দাঁড়াতে হবে, আমাদেরও অবহিত করুন।

জুলাই ২১, ২০২৫
রাজ্য

নিশানায় মহাদেব! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ জমা পড়ল সিএবিতে

প্রবীর চক্রবর্তী, দেবব্রত দাস, অম্বরীশ মিত্রর পর এবার সিএবিতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ জমা পড়ল মহাদেব চক্রবর্তীর নামে। সিএবির ওম্বুডসম্যান, সিএবি সচিব ও কলকাতা পুলিশ ক্লাবের সচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন লেকটাউনের বাসিন্দা তথা ক্রিকেট অনুরাগী শ্যামল দাস। গত ১৮ জুলাই। অভিযোগ, সিএবির নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মহাদেব চক্রবর্তী বাংলার ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য হয়ে রয়েছেন। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা দফতরের এসিপি (ওএসডি) পদে আসীন থাকা অবস্থায় কীভাবে মহাদেব চক্রবর্তী সিএবির অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য হয়ে গেলেন তা নিয়েই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অভিযোগকারী।এমনকী তিনি মনোনয়নের সময় বা হলফনামায় যথোপযুক্ত নথি জমা দিয়েছিলেন কিনা, তাতে কোনও গরমিল আছে কিনা তা নিয়ে উপযুক্ত তদন্তের আর্জিও জানানো হয়েছে। সিএবির নিয়মের চতুর্থ চ্যাপ্টারে ৩৪(৩)(ডি) ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ মূলত উঠেছে মহাদেবের বিরুদ্ধে। এই নিয়মে উল্লেখ রয়েছে, যদি কোনও সরকারি কর্মচারী স্পোর্টস কোটায় নিযুক্ত হয়ে থাকেন একমাত্র সে ক্ষেত্রেই তিনি অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য বা সিএবির পদাধিকারী হতে পারবেন। আবেদনকারীর সংশয় ঠিক এই জায়গাতেই। ফলে ক্লিনচিট পেতে মহাদেব এখন যথোপযুক্ত নথি পেশ করেন কিনা বা তিনি কী পদক্ষেপ করেন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।আবেদনকারীর আর্জি, মহাদেবকে সব ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে সরিয়ে রেখে শৃঙ্খলা সংক্রান্ত তদন্ত অবিলম্বে শুরু হোক। প্রয়োজনে ফৌজদারি পদক্ষেপ শুরু করা যেতে পারে বলেও আবেদন জানানো হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে, মহাদেবের নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করে তাঁর সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বছর বাহাত্তরের ওই অভিযোগকারী। শুধু তাই নয়, এমন গুরুতর অভিযোগে দোষী প্রতিপন্ন হলে মহাদেব যাতে ভবিষ্যতে সিএবিতে কোনওভাবে যুক্ত থাকতে না পারেন সেই ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার আর্জিও জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সিএবির কেউ কিংবা অভিযুক্ত মহাদেব চক্রবর্তী মুখ খোলেননি।

জুলাই ২১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal