• ১৪ কার্তিক ১৪৩২, মঙ্গলবার ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

IPL

খেলার দুনিয়া

পুনে থেকে কেন সরানো হল দিল্লি ক্যাপিটালস ও রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচ?‌

২২ এপ্রিল রাজস্থান রয়্যালস ও দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচ পুনে থেকে সরিয়ে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিয়ে আসা হল। দিল্লি ক্যাপিটালস শিবিরে একের পর এক ক্রিকেটার করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বুধবারই বোর্ডের পক্ষ থেকে এখবর জানানো হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ একটি প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গোটা দিল্লি ক্যাপিটালস দলে আজ দুই রাউন্ড কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। তাই দিল্লি ক্যাপিটালস এবং পাঞ্জাব কিংস ম্যাচ নং নির্ধারিত সূচি অনুসারে মুম্বইয়ের ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। তবে ২২ এপ্রিল দিল্লি ক্যাপিটালস ও রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচ পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা ছিল। ওই ম্যাচ সরিয়ে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিয়ে আসা হয়েছে। বুধবার দিল্লি ক্যাপিটালসের উইকেটকিপারব্যাটার টিম সেইফার্টের আরটিপিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর ভেনু পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বুধবার দিল্লি ক্যাপিটালস ও পাঞ্জাব কিংস ম্যাচ নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। ম্যাচ শুরুর কয়েকঘন্টা আগে জানা যায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের উইকেটকিপারব্যাটার টিম সেইফার্ট। তাঁর আরটিপিসিআর টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। মিচেল মার্শের পর টিম সেইফার্ট হলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের দ্বিতীয় ক্রিকেটার যিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আগের দিন মিচের মার্শের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের রিপোর্ট প্রথমে নেগেটিভ এসেছিল। পরে আরটিপিসিআর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আগেই দলের ফিজিও প্যাট্রিক ফারহার্ট করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। একজন ম্যাসিওরও করোনায় আক্রান্ত। টিম সেইফার্টকে নিয়ে দিল্লি শিবিরে করোনায় আক্রান্ত সদস্যর মোট সংখ্যা ৬। দিল্লি ক্যাপিটালসে একের পর এক সদস্য করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আইপিএলের জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠেছে। এক কঠোর জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা সত্ত্বেও কীভাবে দিল্লি ক্যাপিটালসের ৬ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হলেন, তা নিয়ে সকলেই অবাক। গত মরশুমে একের পর এক ক্রিকেটার করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় মাঝপথে আইপিএল বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। পরে ভারত থেকে সরিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে নিয়ে যাওয়া হয়।

এপ্রিল ২০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

লখনউকে হারিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স

লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ১৮ রানে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। জয়ের জন্য ১৮২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান তোলে লোকেশ রাহুলের দল।টস জিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরকে ব্যাট করতে পাঠান লখনউ অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। প্রথম ওভারেই ধাক্কা। দীর্ঘদিন ব্যাটে বড় রান নেই। বিরাট কোহলির দিকে তাকিয়ে ছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স সমর্থকরা। ভেবেছিলেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে বড় রান আসবে প্রাক্তন অধিনায়কের ব্যাট থেকে। সমর্থকদের হতাশ করলেন কোহলি (০)। ক্রিজে নেমেই দুষ্মন্ত চামিরার বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দীপক হুডার হাতে যেন ক্যাচ প্র্যাকটিস দিলেন। গোল্ডেন ডাক বিরাট কোহলির। ৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স।অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসির সঙ্গে চাপ কাটানোর চেষ্টা করছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ক্রিজে নেমেই আক্রমণ শানিয়ে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বোলারদের ওপর পাল্টা চাপ শানানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তাঁর ঝড় বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্রূণাল পান্ডিয়ার বলে দুরন্ত ক্যাচ ধরে ম্যাক্সওয়েলকে (১১ বলে ২৩) ডাগ আউটে পাঠান জেসন হোল্ডার। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩ উইকেটে ৪৭ তোলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোর।এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি। তাঁকে সাহায্য করেন শাহবাজ আমেদ। ২২ বলে ২৬ রান করে রান আউট হন শাহবাজ। সুয়াশ প্রভুদেশাই ৯ বলে ১০ রান করে আউট হন। নিশ্চিত সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিলেন ডুপ্লেসি। ইনিংসের শেষ ওভারে জেসন হোল্ডারের পঞ্চম বলে ৬ মারতে গিয়ে মার্কাস স্টয়নিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ডুপ্লেসি। ৬৪ বলে ৯৬ রান করেন তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮১ রান তোলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোর। দীনেশ কার্তিক ৮ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। লখনউর হয়ে ২৫ রানে ২ উইকেট নেন জেসন হোল্ডার। ৩১ রানে ২ উইকেট নেন দুষ্মন্ত চামিরা। জয়ের জন্য ১৮২ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে লখনউ সুপার জায়ান্টসেরও শূরুটা ভাল হয়নি। ৮ ওভারের মধ্যেই ৬৪ রানে ৩ উইকেট হারায়। তৃতীয় ওভারে জস হ্যাজেলউডের বলে ফিরে যান কুইন্টন ডিকক। মাত্র ৩ রান করেন তিনি। এক ওভার পরেই মনীশ পাণ্ডেকেও (৬) তুলে নেন হ্যাজেলউড। এরপর দলকে টানছিলেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। কিন্তু অষ্টম ওভারের শেষ বলে তাঁকে তুলে নিয়ে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে বড় ধাক্কা দেন হর্ষল প্যাটেল। ২৪ বলে ৩০ রান করেন লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক। ১২.৩ ওভারের মাথায় চতুর্থ উইকেট পড়ে লখনউ সুপার জায়ান্টসের। দীপক হুডাকে ফেরান মহম্মদ সিরাজ। ১৪ বলে ১৩ রান করে প্রভুদেশাইয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন হুডা। পরের ওভারেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকে ক্রুনাল পান্ডিয়াকে (২৮ বলে ৪২) তুলে নিয়ে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে চাপে ফেলে দেন ম্যাক্সওয়েল। আয়ুশ বাদনি (১৩), মার্কস স্টয়নিস (২৪), জেসন হোল্ডাররা (১৬) সেই চাপ থেকে দলকে বার করে নিয়ে আসতে পারেননি। ১৬৩/৮ রানে থেমে যায় লখনউ সুপার জায়ান্টস। দুরন্ত বল করে ২৫ রানে ৪ উইকেট নেন হ্যাজেলউড।

এপ্রিল ২০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

কোহলির ব্যাটে রান নেই, মিমের বন্যা

দীর্ঘদিন ব্যাটে বড় রান নেই। বিরাট কোহলির দিকে তাকিয়ে ছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স সমর্থকরা। ভেবেছিলেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে বড় রান আসবে প্রাক্তন অধিনায়কের ব্যাট থেকে। সমর্থকদের হতাশ করলেন কোহলি (০)। ক্রিজে নেমেই দুষ্মন্ত চামিরার বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দীপক হুডার হাতে যেন ক্যাচ প্র্যাকটিস দিলেন। গোল্ডেন ডাক বিরাট কোহলির।আইপিএলে এই নিয়ে চতুর্থবার গোল্ডেন ডাক কোহলির নামের পাশে। ২০০৮ আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে প্রথম বলে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে আবার গোল্ডেন ডাক। এরপর ২০১৭ আইপিএলে ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে আরসিবি গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ৪৯ রানে। পাঁচ বছর পর আবার গোল্ডেন ডাক কোহলির। কোহলি আউট হওয়ার আগের বলেই অনুজ রাওয়াতকে (৪) তুলে নিয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সকে প্রথম ধাক্কা দিয়েছিলেন দুষ্মন্ত চামিরা। প্রথম ওভারেই ৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট করে নিয়ে এদিন মাঠে নেমেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোর ও লখনউ সুপার জায়ান্টস। দুই দলেরই সামনে ছিল লিগ টেবিলের শীর্ষে ওঠার হাতছানি। টস জিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোরকে ব্যাট করতে পাঠান লখনউ অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। ওভারেই ধাক্কা। অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসির সঙ্গে চাপ কাটানোর চেষ্টা করছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ক্রিজে নেমেই আক্রমণ শানিয়ে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বোলারদের ওপর পাল্টা চাপ শানানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তাঁর ঝড় বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্রূণাল পান্ডিয়ার বলে দুরন্ত ক্যাচ ধরে ম্যাক্সওয়েলকে (১১ বলে ২৩) ডাগ আউটে পাঠান জেসন হোল্ডার। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩ উইকেটে ৪৭ তোলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোর।এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি। তাঁকে সাহায্য করেন শাহবাজ আমেদ। ২২ বলে ২৬ রান করে রান আউট হন শাহবাজ। সুয়াশ প্রভুদেশাই ৯ বলে ১০ রান করে আউট হন। নিশ্চিত সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিলেন ডুপ্লেসি। ইনিংসের শেষ ওভারে জেসন হোল্ডারের পঞ্চম বলে ৬ মারতে গিয়ে মার্কাস স্টয়নিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ডুপ্লেসি। ৬৪ বলে ৯৬ রান করেন তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮১ রান তোলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোর। দীনেশ কার্তিক ৮ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। লখনউর হয়ে ২৫ রানে ২ উইকেট নেন জেসন হোল্ডার। ৩১ রানে ২ উইকেট নেন দুষ্মন্ত চামিরা।

এপ্রিল ১৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

বাটলারের ঝড়, চাহালের ঘূর্ণিতে বেসামাল কলকাতা নাইট রাইডার্স

ব্যাটে দাপট জস বাটলারের। দুরন্ত সেঞ্চুরি। বল হাতে জ্বলে উঠলেন যুজবেন্দ্র চাহাল। হ্যাটট্রিকসহ নিলেন ৫ উইকেট। এই দুজনের দাপটেই কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ৭ রানে জিতল রাজস্থান।টস জিতে এদিন রাজস্থান রয়্যালসকে ব্যাট করতে পাঠান নাইট রাইডার্স অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। শুরু থেকেই ঝড় তোলেন দারুণ ছন্দে থাকা জস বাটলার। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে রাজস্থান তুলে ফেলে ৬০। এর মধ্যে বাটলারেরই একার ছিল ৪৬, দেবদত্ত পাড়িক্কলের অবদান মাত্র ৮। প্যাট কামিন্সসহ কোনও বোলারকেই নিস্তার দেননি বাটলার। ২৯ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন বাটলার। নাইট রাইডার্সকে ব্রেক থ্রু এনে দেন দলের জার্সি গায়ে ১৫০ তম আইপিএল ম্যাচ খেলা সুনীল নারাইন। দশম ওভারের চতুর্থ বলে তুলে নেন দেবদত্ত পাড়িক্কলকে। ১৮ বলে ২৪ রান করে আউট হন পাড়িক্কল। এরপর ক্রিজে নেমে ঝড় তোলেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। বাটলারের তান্ডবও অব্যাহত ছিল। ১৯ বলে ৩৮ রান করে আন্দ্রে রাসেলের বলে শিবম দুবের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন সঞ্জু। তিনি আউট হওয়ার পরপরই প্যাট কামিন্সের বলে ৬ মেরে চলতি আইপিএলে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাটলার। তাঁর সেঞ্চুরি আসে ৫৯ বলে। প্যাট কামিন্সের ওই ওভারেই বরুণ চক্রবর্তীর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বাটলার। ৬১ বলে তিনি করেন ১০৩। বাটলারের ইনিংসে রয়েছে ৯টি ৪ ও ৫টি ৬। বাটলার আউট হওয়ার পরপরই ফিরে যান রিয়ান পরাগ (৫)। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২১৭ তোলে রাজস্থান রয়্যালস। ১৩ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকতেন শিমরন হেটমায়ের। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে স্ট্র্যাটেজিতে পরিবর্তন করেছিল নাইট রাইডার্স। ভেঙ্কটেশ আয়ারের পরিবর্তে এদিন ওপেনিংয়ে পাঠানো হয়েছিল সুনীল নারাইনকে। একবলও খেলার সুযোগ পাননি নারাইন (০)। প্রথম বলেই হেটমায়ারের দুরন্ত থ্রোতে রান আউট হন। এরপর নাইটদের টেনে নিয়ে যান অ্যারন ফিঞ্চ ও অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। দুজনের জুটিতে ওঠে ১০৭। আগের ম্যাচের ব্যর্থতা কাটিয়ে দারুণ ইনিংস খেলেন ফিঞ্চ। শেষ পর্যন্ত ২৮ বলে ৫৮ রান করে তিনি প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর বলে আউট হন। ফিঞ্চ আউট হওয়ার পর অধিনায়কের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে টানছিলেন নীতিশ রানা। ১১ বলে ১৮ রান করে তিনি যুজবেন্দ্র চাহালের বলে আউট হন। রাসেলও (০) ১ বলের বেশি স্থায়ী হননি। তাঁকে ফেরান রবিচন্দ্রন অশ্বিন। পরপর ২ উইকেট হারালেও চাপে পড়েননি নাইট অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ১৭ ওভারে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন যুজবেন্দ্র চাহাল। হ্যাটট্রিকসহ ৪ উইকেট তুলে নেন। প্রথম বলে ফেরান ভেঙ্কটেশ আয়ারকে (৬), চতুর্থ বলে তুলে নেন শ্রেয়সকে (৫১ বলে ৮৫)। পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে ফেরান শিবম মাভি (০) ও প্যাট কামিন্সকে (০)। উমেশ যাদব (৯ বলে ২১) শেষ দিকে জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন। নাইটদের জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার ছিল ১১ রান। দ্বিতীয় ও চতুর্থ বলে শেলডন জ্যাকসন (৮) ও উমেশকে তুলে নিয়ে রাজস্থানকে জয় এনে দেন ওবেদ ম্যাকয় (২/৪১)। ১৯.৪ ওভারে ২১০ রানে গুটিয়ে যায় নাইটদের ইনিংস। ৪০ রানে ৫ উইকেট নেন চাহাল।

এপ্রিল ১৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

১৬ দিনের ব্যবধানে আবার সেঞ্চুরি!‌ কোহলিদের রেকর্ড স্পর্শ বাটলারের

মাত্র ১৬ দিনের ব্যাবধানে দুদুটি সেঞ্চুরি! চলতি আইপিএলে স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন রাজস্থান রয়্যালসের জস বাটলার। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করার সঙ্গে সঙ্গে স্পর্শ করে ফেললেন বিরাট কোহলি, ক্রিস গেইলদের রেকর্ড। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে দুরন্ত সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের এই ওপেনার। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে আবার জ্বলে উঠলেন। তাঁর দুরন্ত সেঞ্চুরির ওপর ভর করে নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ২১৭/৫ রান তুলল রাজস্থান রয়্যালস। বাটলারের আগে ৫ জন ব্যাটার একটা আইপিএলে দুদুটি সেঞ্চুরি করেছেন। এরা হলেন বিরাট কোহলি, ক্রিস গেইল, শিখর ধাওয়ান, হাসিম আমলা ও শেন ওয়াটসন। তালিকায় নতুন সংযোজন জস বাটলার। আইপিএলে বাটলারের এটা তৃতীয় সেঞ্চুরি। ২০১১ সালে গেইল দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন ১৫ দিনের ব্যবধানে। ২০১৭ আইপিএলে দুটি সেঞ্চুরি করেন হাসিম আমলা, পরের মরশুমে দুটি সেঞ্চুরি করেন শেন ওয়াটসন। ২০২০ আইপিএলে দুদুটি সেঞ্চুরি করে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ফাইনালে তুলেছিলেন শিখর ধাওয়ান। আর চলতি আইপিএলে ১৬ দিনের ব্যবধানে দুদুটি সেঞ্চুরি করলেন বাটলার।টস জিতে এদিন রাজস্থান রয়্যালসকে ব্যাট করতে পাঠান নাইট রাইডার্স অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। ফিল্ডিং নেওয়ার সময় দুটি বিষয় মাথায় রেখেছিলেন শ্রেয়স। এক, রাতের দিকে শিশির ও দুই, মাঠের একদিকের ছোট বাউন্ডারি। এতে রান তাড়া করতে সুবিধা হবে। সঞ্জু স্যামসনেরও পরিকল্পনা ছিল টস জিতলে ফিল্ডিং নেওয়া। কিন্তু তাঁর সেই সৌভাগ্য হয়নি। তবে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানকে তেমন সমস্যায় পড়তে হয়নি। শুরু থেকেই ঝড় তোলেন দারুণ ছন্দে থাকা জস বাটলার। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে রাজস্থান তুলে ফেলে ৬০। এর মধ্যে বাটলারেরই একার ছিল ৪৬, দেবদত্ত পাড়িক্কলের অবদান মাত্র ৮। প্যাট কামিন্সসহ কোনও বোলারকেই নিস্তার দেননি বাটলার। ২৯ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন বাটলার। নাইট রাইডার্সকে ব্রেক থ্রু এনে দেন দলের জার্সি গায়ে ১৫০ তম আইপিএল ম্যাচ খেলা সুনীল নারাইন। দশম ওভারের চতুর্থ বলে তুলে নেন দেবদত্ত পাড়িক্কলকে। ১৮ বলে ২৪ রান করে আউট হন পাড়িক্কল। এরপর ক্রিজে নেমে ঝড় তোলেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। বাটলারের তান্ডবও অব্যাহত ছিল। ১৯ বলে ৩৮ রান করে আন্দ্রে রাসেলের বলে শিবম দুবের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন সঞ্জু। তিনি আউট হওয়ার পরপরই প্যাট কামিন্সের বলে ৬ মেরে চলতি আইপিএলে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাটলার। তাঁর সেঞ্চুরি আসে ৫৯ বলে। প্যাট কামিন্সের ওই ওভারেই বরুণ চক্রবর্তীর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বাটলার। ৬১ বলে তিনি করেন ১০৩। বাটলারের ইনিংসে রয়েছে ৯টি ৪ ও ৫টি ৬। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২১৭ তোলে রাজস্থান রয়্যালস।

এপ্রিল ১৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

সুনীল নারাইন যেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের সুব্রত ভট্টাচার্য

কলকাতা ময়দানে ফুটবলে একটা সময় প্রায়ই শোনা যেত ঘরের ছেলে। সুব্রত ভট্টাচার্য, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, সত্যাজিৎ চ্যাটার্জি থেকে কৃশানু দে, বিকাশ পাঁজিদের নামের সঙ্গে ঘরের ছেলের তকমা সেঁটে গিয়েছিল। কিন্তু ক্রিকেটে? ক্রিকেটে আবার ঘরের ছেলে হয় নাকি? নিলামে কোন ক্রিকেটারকে কোন দল নেবে, কেউ বলতে পারবে না। তবে একটানা খেলতে খেলতে অনেকেই ঘরের ছেলে হয়ে গেছেন। যেমন চেন্নাই সুপার কিংসে মহেন্দ্র সিং ধোনি, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সে বিরাট কোহলি। তেমনই কলকাতা নাইট রাইডার্সে যেন ঘরের ছেলে হয়ে গেছেন সুনীল নারাইন। এক দশক ধরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সি গায়ে খেলছেন এই ক্যারিবিয়ান তারকা। অন্য কোনও দলে যাওয়ার পরিকল্পনাও নেই। নাইট রাইডার্সে খেলেই আইপিএল থেকে অবসর নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সুনীল নারাইনের। সোমবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে নাইট রাইডার্সের জার্সি গায়ে ১৫০ তম আইপিএল ম্যাচ খেলে ফেললেন সুনীল নারাইন। একই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে এই কৃতিত্ব অর্জন করতে পেরে তিনি গর্বিত। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে নারাইনের হাতে ১৫০ লেখা জার্সি তুলে দেন দলের হেড কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। ২০১২ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সে যোগ দেন সুনীল নারাইন। টানা ১০ বছর একই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলছেন। আইপিএলে খুব কম বিদেশিই রয়েছেন যারা দীর্ঘদিন একই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলছেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে এতদিন খেলতে পেরে আপ্লুত সুনীল নারাইন। ১৫০ ম্যাচের মাইলস্টোনে পৌঁছে এই ক্যারিবিয়ান তারকা বলেন, যতদিন আইপিএল খেলব, কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়েই খেলতে চাই। আমি দলের সিইও ভেঙ্কি মাইসোরকে সবসময় বলে এসেছি, আমাকে নিশ্চয় আর অন্য কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলতে হবে না। নাইট রাইডার্স থেকেই শুরু করেছি, এখানেই শেষ করব। বিদেশি ক্রিকেটাররা একটা ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে বেশিদিন খেলার সুযোগ পায় না। সেই দিক দিয়ে আমি সৌভাগ্যবান। কলকাতা নাইট নাইট রাইডার্সে কাটানো সময়গুলো আমার কাছে খুবই মহামূল্যবান। নাইট রাইডার্সের জার্সি গায়ে রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচের আগে ১৪৭ উইকেন নেন সুনীল নারাইন। সোমবার রাজস্থানের বিরুদ্ধে তাঁর হাত ধরেই ব্রেক থ্রু আসে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের ১০ বছর জীবনে তাঁকে সমস্যাতেও পড়তে হয়েছে। ২০২০ সালে তাংর বিরুদ্ধে চাকিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। পরে নিজের বোলিং অ্যাকশন বদল করতে বাধ্য হন। শুধু বল হাতেই নয়, ব্যাট হাতেও দলকে ভরসা দিয়েছেন সুনীল নারাইন। দলকে দুবার আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। বহু বিপদে দলকে উদ্ধার করেছেন। ঠিক যেন মোহনবাগানের সুব্রত ভট্টাচার্য।

এপ্রিল ১৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

দুরন্ত ব্যাটিং, চেন্নাই সুপার কিংসের ‘‌কিলার’‌ হয়ে উঠলেন মিলার

চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে এদিন শীর্ষস্থান ধরে রাখার লড়াই ছিল গুজরাট টাইটান্সের কাছে। কিন্তু ম্যাচের আগেই ধাক্কা। কুঁচকির চোটের জন্য এদিন ম্যাচ থেকে ছিটকে যান গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর জায়গায় গুজরাটকে নেতৃত্ব দিতে নামেন রশিদ খান। হার্দিকের অভাব বুঝতেই দিলেন না রশিদ খান। ব্যাট হাতে ঝড় তুলে ২১ বলে করেন ৪০। তবে তাঁকে চাপিয়ে নায়ক ডেভিড মিলার। তিনিই হয়ে উঠলেন চেন্নাইয়ের কিলার। নাটকীয় ম্যাচে চেন্নাইকে ৩ উইকেটে হারিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখল গুজরাট। ৫১ বলে ৯৪ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন কিলার মিলারটস জিতে এদিন চেন্নাই সুপার কিংসকে ব্যাট করতে পাঠান রশিদ। গুজরাটের বোলারদের দাপটে শুরুর দিকে সুবিধা করতে পারেননি রবিন উথাপ্পা। ১০ বলে মাত্র ৩ রান করে তিনি মহম্মদ সামির বলে আউট হন। মইন আলিও সুবিধা করতে পারেননি। ৩ বলে ১ রান করে তিনি আলজেরি জোশেফের বলে বোল্ড হন। হার্দিক পান্ডিয়ার পরিবর্তে খেলতে নেমে এদিন ভাল বোলিং করেন আলজেরি জোশেফ। ৩২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর চেন্নাই সুপার কিংসকে টেনে নিয়ে যান ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও অম্বাতি রায়ুডু। ঋতুরাজ ও অম্বাতির জুটিতে ৫৬ বলে ওঠে ৯২। এই দুনের ব্যাটে ভর করে চাপ কাটিয়ে ওঠে চেন্নাই সুপার কিংস। রায়ুডুকে (৩১ বলে ৪৬) তুলে নেন আলজেরি জোশেফ। এরপর ঋতুরাজ গায়কোয়াড়কে ফেরান যশ দয়াল। ৪৮ বলে ৭৩ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন ঋতুরাজ। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৫টি চার ও ৫টি ছয়। শেষ দিকে চেন্নাইকে লড়াই করার মতো জায়গায় পোঁছে দেন অধিনায়ক রবীন্দ্র জাদেজা ও শিবম দুবে (১৯)। জাদেজা ১২ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৯/৫ তোলে চেন্নাই। আলজেরি জোশেফ ৩৪ রানে ২ উইকেট নেন। জয়ের জন্য ১৭০ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে গুজরাট। প্রথম ওভারেই মুকেশ চৌধুরির বলে ফিরে যান শুভমান গিল (০)। পরের ওভারেই মহেশ থিকসানা তুলে নেন বিজয় শঙ্করকে (০)। চতুর্থ ওভারে অভিনব মনোহরও (১২) তাংর শিকার। ম্যাথু ওয়েডের জায়গায় মাঠে নেমে ঋদ্ধিমান সাহাও (১৮ বলে ১১) সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। রাহুল তেওয়াটিয়াও (৬) এদিন ব্যর্থ। ১২.৪ ওভারে ৮৭ রানে ৫ উইকেট হারায় গুজরাট। মনে হচ্ছিল চেন্নাইয়ের জয় সময়ের অপেক্ষা। এরপর রুখে দাঁড়ান ডেভিড মিলার ও রশিদ খান। ৩৭ বলে জুটিতে ওঠে ৭০। ১৮তম ওভারে ক্রিস জর্ডনের বলে ২৫ রান তুলে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। পরের ওভারে পরপর দুবলে রশিদ (২১ বলে ৪০) ও আলজেরি জোশেফকে (০) তুলে নেন ডোয়েন ব্রাভো। শেষ ওভারে গুজরাটের দরকার ছিল ১৩। ১ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় গুজরাট। ৫১ বলে ৯৪ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন কিলার মিলার। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৮টি চার ও ৬টি ৬।

এপ্রিল ১৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

মেন্টর ধোনির আস্থার মর্যাদা কীভাবে দিলেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়?‌

আগের পাঁচ ম্যাচে ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের স্কোর যথাক্রমে ০, ১, ১, ১৬, ১৭। অন্য কোনও দল হলে নিশ্চিতভাবেই বাদ পড়তেন। কিম্তু চেন্নাই টিম ম্যানেজমেন্ট ভরসা হারায়নি। আর সেটা মেন্টর মহেন্দ্র সিং ধোনির জন্যই। মেন্টরের আস্থার মর্যাদা দিলেন ঋতুরাজ। তাঁর দুরন্ত ব্যাটিংয়ের সৌজন্যেই গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছল চেন্নাই সুপার কিংস। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে তুলল ১৬৯। ৪৮ বলে ৭৩ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন ঋতুরাজ। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৫টি করে চার ও ছয়। অম্বাতি রায়ুডু ৪৬ রান করেন। জাদেজা ১২ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে এদিন শীর্ষস্থান ধরে রাখার লড়াই ছিল গুজরাট টাইটান্সের কাছে। কিন্তু ম্যাচের আগেই ধাক্কা। কুঁচকির চোটের জন্য এদিন ম্যাচ থেকে ছিটকে যান গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর জায়গায় গুজরাটকে নেতৃত্ব দিতে নামেন রশিদ খান। আফগানিস্তানের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এবং দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে কোনও একটি দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ড গড়লেন। তিনিই এবছর গুজরাট টাইটান্সের সহঅধিনায়ক। তাই স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ওপর দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার ভার পড়েছিল। টস জিতে এদিন চেন্নাই সুপার কিংসকে ব্যাট করতে পাঠান রশিদ খান। গুজরাটের বোলারদের দাপটে শুরুর দিকে সুবিধা করতে পারেননি আগের ম্যাচে জ্বলে ওঠা চেন্নাই সুপার কিংসের ওপেনার রবিন উথাপ্পা। ১০ বলে মাত্র ৩ রান করে তিনি মহম্মদ সামির বলে আউট হন। মইন আলিও সুবিধা করতে পারেননি। ৩ বলে ১ রান করে তিনি আলজেরি জোশেফের বলে বোল্ড হন। হার্দিক পান্ডিয়ার পরিবর্তে খেলতে নেমে এদিন ভাল বোলিং করেন আলজেরি জোশেফ। ৩২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর চেন্নাই সুপার কিংসকে টেনে নিয়ে যান ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও অম্বাতি রায়ুডু। ঋতুরাজ ও অম্বাতির জুটিতে ৫৬ বলে ওঠে ৯২। এই দুনের ব্যাটে ভর করে চাপ কাটিয়ে ওঠে চেন্নাই সুপার কিংস। রায়ুডুকে (৩১ বলে ৪৬) তুলে নেন আলজেরি জোশেফ। এরপর ঋতুরাজ গায়কোয়াড়কে ফেরান যশ দয়াল। ৪৮ বলে ৭৩ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন ঋতুরাজ। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৫টি চার ও ৫টি ছয়। শেষ দিকে চেন্নাইকে লড়াই করার মতো জায়গায় পোঁছে দেন অধিনায়ক রবীন্দ্র জাদেজা ও শিবম দুবে (১৯)। জাদেজা ১২ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৯/৫ তোলে চেন্নাই। আলজেরি জোশেফ ৩৪ রানে ২ উইকেট নেন।

এপ্রিল ১৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

আইপিএল এলেই বারবার কেন চোটের কবলে পড়েন হার্দিক?‌ এবার কুঁচকিতে

চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে গুজরাট টাইটান্সের হয়ে টস করছে রশিদ খান। গুজরাট টাইটান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার হলটা কী? কেন খেলছেন না? তাহলে কি আবার চোটের কবলে? আশঙ্কাই সত্যি হল। কুঁচকির চোটের জন্য চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে পারেননি হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর জায়গায় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রশিদ খান। চোট পাওয়াটা হার্দিকের কাছে নতুন কিছু নয়। ২০১৯ বিশ্বকাপের মাঝপথে চোট পেয়ে ইংল্যান্ড থেকে ফিরে আসতে হয়েছিল এই অলরাউন্ডারকে। তারপর দীর্ঘদিন জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাদেমিতে রিহ্যাবে ছিলেন। সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরলেও আবার চোট পান। অস্ত্রোপচারও করতে হয়েছিল। পরে নানা সময়ে চোটের কবলে পড়েছেন। গতবছর আইপিএলের আগেও চোট পেয়েছিলেন। পুরো ফিট না হয়েই আইপিএলে খেলেন। ব্যাট করলেও পিঠে চোটের জন্য বোলিং করেননি। চোট নিয়ে গতবছর বিশ্বকাপেও খেলতে গিয়েছিলেন। যা নিয়ে চারিদিকে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। সুস্থ হয়ে চলতি আইপিএলে মাঠে নেমেছিলেন। বোলিং করছিলেন। কিন্তু আবার সেই চোটের কবলে। তবে এবার আর পিঠে নয়, কুঁচকিতে চোট। হার্দিকের চোটের ব্যাপারে গুজরাট টাইটান্সের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রশিদ খান বলেন, হার্দিকে কুঁচকিতে হালকা চোট রয়েছে। তাই টিম ম্যানেজমেন্ট ওকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায়নি। হার্দিককে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। আশা করছি পরের ম্যাচে খেলতে পারবে। রশিদ খান পরের ম্যাচে হার্দিকের খেলার কথা বললেও আদৌও খেলতে পারবেন কিনা সন্দেহ রয়েছে। হার্দিকের পরিবর্তে এদিন আলজেরি জোশেফ প্রথম একাদশে সুযোগ পান। অন্যদিকে, ম্যাথু ওয়েডের পরিবর্তে প্রথম একাদশে নেওয়া হয় ঋদ্ধিমান সাহাকে। এই দুজনের হাতেই এদিন টুপি তুলে দেওয়া হয়। কারণ, এই দুই ক্রিকেটারের এদিন গুজরাট টাইটান্সের হয়ে অভিষেক হল। হার্দিকবিহীন গুজরাট টাইটান্স এদিন টস জিতে চেন্নাই সুপার কিংসকে ব্যাট করতে পাঠায়। চলতি আইপিএলে প্রথম তিনটি ম্যাচ জিতেছিল গুজরাট টাইটান্স। তারপর সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হারতে হয়েছিল ৮ উইকেটে। আগের ম্যাচে অবশ্য আবার জয়ের সরণিতে ফিরেছে হার্দিক পাণ্ডিয়ার দল। রাজস্থান রয়্যালসকে হারায় ৩৭ রানে। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকতা ধরে রাখার লড়াই। হার্দিকে অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব পড়েছে রশিদ খানের ওপর।

এপ্রিল ১৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

শেষ ওভারে মেডেনসহ ৩ উইকেট!‌ কামাল উমরান মালিকের

আইপিএল এত এগোচ্ছে নিজেকে ক্রমশ মেলে ধরছেন উমরান মালিক। মেগা নিলামের আগে তাঁকে ধরে রেখে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ যে ভুল করেনি, প্রমাণ করেই চলেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের এই জোরে বোলার। তাঁর দুরন্ত বোলিংয়ের ওপর ভর করে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এদিন ৭ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব কিংসকে। উমরান মালিক শেষ ওভারে তুলে নেন তিনটি উইকেট। একটি রান আউটের দৌলতে শেষ ওভারে মোট চারটি উইকেট হারায় পাঞ্জাব কিংস।উমরান মালিকের শেষ ওভারটি আবার ছিল মেডেন। আইপিএলে চতুর্থ বোলার হিসেবে এই নজির গড়লেন। ২০ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ওডিয়ান স্মিথ, চতুর্থ বলে রাহুল চাহার, পঞ্চম বলে বৈভব অরোরা আউট হন। চাহার ও অরোরা বোল্ড হন। শেষ বলে রান আউট হন অর্শদীপ সিং। উমরান মালিকের আগে আইপিএলে ২০তম ওভারে বল করতে গিয়ে মেডেন নেওয়ার নজির আছে তিনজন বোলারের। ২০০৮ সালে ইরফান পাঠানের মোহালিতে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে, ২০০৯ সালে ডারবানে ডেকান চার্জার্সের বিরুদ্ধে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে লাসিথ মালিঙ্গার, ২০১৭ সালে রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসের হয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জয়দেব উনাদকাটের। ম্যাচ শুরুর আগেই ধাক্কা পাঞ্জাব কিংসের। চোটের জন্য ছিটকে যান অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল। তাঁর পরিবর্তে পাঞ্জাব কিংসকে নেতৃত্ব দিতে নামেন শিখর ধাওয়ান। টস ভাগ্য এদিন সহায় ছিল না পাঞ্জাব কিংসের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন টসে জিতে পাঞ্জাব কিংসকে ব্যাট করতে পাঠান। ভুবনেশ্বর কুমার, উমরান মালিকদের বলের সামনে এদিন দাঁড়াতেই পারেননি পাঞ্জাব কিংসের ব্যাটাররা। ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে একা লড়াই করেন লিয়াম লিভিংস্টোন। শেষ ওভারে মেডেনসহ ৩ উইকেট নিয়ে নজির গড়েন উমরান মালিক। ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় পাঞ্জাব কিংস। মাত্র ৮ রান করে ভুবনেশ্বরের বলে ফিরে যান ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান। মায়াঙ্ক আগরওয়ালের পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া প্রভসিমরণ সিং মাত্র ১৪ রান করে আউট হন। জনি বেয়ারস্টো করেন ১২। জিতেশ শর্মাও (১১) রান পাননি। ৬১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাঞ্জাব কিংস। এরপর শাহরুখ খানকে নিয়ে রুখে দাঁড়ান লিভিংস্টোন। ২৮ বলে ২৬ রান করে ভুবনেশ্বরের বলে আউট হন শাহরুখ। লড়াই জারি রাখেন লিভিংস্টোন। শেষ পর্যন্ত ৩৩ বলে ৬০ রান করে ভুবনেশ্বরের বলে তিনি আউট হন। এদিন ভুবনেশ্বর ও উমরান মালিক তছনছ করে দেয় পাঞ্জাব কিংসের ব্যাটিং লাইনকে। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৫১ রানে অল আউট হয়ে যায় পাঞ্জাব কিংস। ২২ রানে ৩ উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার। ২৮ রানে ৪ উইকেট উমরান মালিকের। জয়ের জন্য ১৫২ রানের লক্ষ্য খুব একটা কঠিন ছিল না পাঞ্জাব কিংসের কাছে। শুরুর দিকে রান তোলার গতি যথেষ্ট মন্থর ছিল। ৩ ওভারে ওঠে মাত্র ১৪। এরপরই ধাক্কা খায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই উইলিয়ামসনকে (৩) তুলে নেন কাগিসো রাবাডা। এরপর সানরাইজার্সকে টেনে নিয়ে যান অভিষেক শর্মা ও রাহুল ত্রিপাঠী। ২২ বলে ৩৪ রান করে রাহুল চাহারের বলে আউট হন রাহুল ত্রিপাঠী। ২৫ বলে ৩১ রান করে ফেরেন অভিষেক শর্মা। তিনিও রাহুল চাহারের শিকার। ৭৭ রানে ৩ উইকেট হারালেও চাপে পড়েনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন এইডেন মার্করাম (২৭ বলে অপরাজিত ৪১) ও নিকোলাস পুরান (৩০ বলে অপরাজিত ৩৫)। ১৮.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১৫২ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ২৮ রানে ২ উইকেট নেন রাহুল চাহার।

এপ্রিল ১৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

দিল্লির বিরুদ্ধে জয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের, তবু দাবি উঠল কোহলি হঠাও

বিরাট কোহলিকে তাহলে আর অপরিহার্য বলা যাবে না। তিনি রান না পেলেও যে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর যে জেতে, প্রমাণ হয়ে গেল। শুধু দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধেই নয়, চলতি আইপিএলে আগেও কোহলির ব্যর্থতার দিনে জিতেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। কোহলিপ্রেমীরা এতটাই হতাশ যে, কয়েকটা ম্যাচ বিশ্রাম নেওয়ার দাবিও তুলেছেন নেট নাগরিকরা। কেউ কেউ আবার দাবি তুলেছেন, কোহলি হঠাও।কোহলি রান না পেলেও বড় ইনিংস গড়তে সমস্যা হয়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। এদিন দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ১৮৯/৫ রান তোলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। ১৭৩/৭ রানে থেমে যায় দিল্লি। দিল্লির পরাজয় ১৬ রানে।এদিন, আইপিএলে মাইলস্টোনের ছড়াছড়ি। প্রথম লখনউ সুপার জায়ান্টস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচে আইপিএলে নিজের শততম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন লোকেশ রাহুল। তেমনই দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে শততম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। মহম্মদ সিরাজের কাছে আবার আইপিএলের পঞ্চাশতম ম্যাচ। লোকেশ রাহুলের মতো শততম ম্যাচ স্মরণীয় করতে রাখতে পারলেন না গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তবে তাঁর ব্যাটেই প্রাথমিক ধাক্কা সামলে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোর। আর শেষদিকে ঝড় তুলে দলকে বড় রানে পৌঁছে দেড় দীনেশ কার্তিক।Some well deserved awards after a memorable game. 🔝👏🏻👏🏻#PlayBold #WeAreChallengers #IPL2022 #Mission2022 #RCB #ನಮ್ಮRCB #DCvRCB pic.twitter.com/XeuhdE1cCm Royal Challengers Bangalore (@RCBTweets) April 16, 2022টস জিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। প্রথম একাদশে দুটি দলই একটা করে পরিবর্তন করে মাঠে নামে। সরফরাজ খানের জায়গায় দিল্লির প্রথম একাদশে ঢোকেন মিচেল মার্শ। অন্যদিকে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সে আকাশ দীপের জায়গায় হর্ষাল প্যাটেল। বোনের মৃত্যুর জন্য জৈব সুরক্ষা ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন হর্ষাল। ফিরে এসে আবার জৈব সুরক্ষা বলয়ে যোগ দেন ১১ এপ্রিল। তিন দিনের কোয়ারেন্টিন পর্ব মিটিয়ে দিল্লির বিরুদ্ধে মাঠে নামেন।ব্যাট করতে নেমে শুরুটা এদিন ভাল হয়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। দ্বিতীয় ওভারে ফর্মে থাকা অনূজ রাওয়াতকে (০) তুলে নেন শার্দূল ঠাকুর। পরের ওভারেই অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসিকে ফেরান খলিল আমেদ। ১১ বলে ৮ রান করে ডু্প্লেসি অক্ষর প্যাটেলের হাতে ক্যাচ দেন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স সবথেকে বড় ধাক্কা খায় সপ্তম ওভারে। ললিত যাদবের দুরন্ত থ্রোতে রান আউট হন বিরাট কোহলি। ১৪ বলে তিনি করেন ১২।এরপরই রুখে দাঁড়ান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। রীতিমতো তিনি ঝড় তোলেন কুলদীপ যাদবের এক ওভারে নেন ২৩। কুলদীপের বলেই অবশ্য তাঁকে ফিরতে হয়। ৩৪ বলে ৫৫ রান করে তিনি ললিত যাদবের হাতে ক্যাচ দেন। অক্ষর প্যাটেলের বলে আউট হন সুয়াস প্রভুদেশাই (৬)। এরপর বাইশ গজে তান্ডবলীলা চালান দীনেশ কার্তিক। মুস্তাফিজুর রহমানের এক ওভারে চারটি ৪ ও দুটি ছক্কাসহ নেন ২৮। ২৬ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন দীনেশ কার্তিক। শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে ৬৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে তিনি অপরাজিত থাকেন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৫টি করে ৬ ও ৪। শাহবাজ আমেদ ২১ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন।জয়ের জন্য ১৯০ রানের লক্ষ্য খুব একটা সহজ ছিল না দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে। দারুণ শুরু করেছিসলেন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও পৃথ্বী শ। ওপেনিং জুটিতে ৪.৩ ওভারে ৫০ রান পূর্ণ হয়। এরপরই মহম্মদ সিরাজের ধাক্কা। তুলে নেন পৃথ্বীকে (১৩ বলে ১৬)। ওয়ার্নারের ঝড় অবশ্য থামানো যায়নি। ২৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও পরপর দুই ম্যাচে দিল্লিকে নির্ভরতা দিলেন ওয়ার্নার। দলকে ভালোই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন এই অসি ওপেনার। হাসারাঙ্গার বলে এলবিডব্লু হতেই সমস্যায় পড়ে দিল্লি। ৪টি চার ও ৬টি ছয়ের সাহায্যে ৩৮ বলে ৬৬ রান করে আউট হন ওয়ার্নার। দিল্লির হয়ে অভিষেক ম্যাচও স্মরণীয় করে রাখতে পারলেন না মিচেল মার্শ (২৪ বলে ১৪)। হাসারাঙ্গার দুরন্ত থ্রোতে রান আউট। রভম্যান পাওয়েল (০), ললিত যাদবরা (১) দ্রুত ফেরায় চাপে পড়ে যায় দিল্লি। অধিনায়ক ঋষভ পন্থ (১৭ বলে ৩৪) ঝড় তোলার চেষ্টা করেও সফল হননি। শার্দূল ঠাকুর করেন ১৭। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ২৯ রানে ৩ উইকেট নেন জস হ্যাজেলউড। ৩১ রানে ২ উইকেট সিরাজের।

এপ্রিল ১৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

শততম ম্যাচে কী করলেন ম্যাক্সওয়েল?‌ ঝড় তুলে টেক্কা দীনেশ কার্তিকের

শনিবার আইপিএলে মাইলস্টোনের ছড়াছড়ি। এদিন প্রথম লখনউ সুপার জায়ান্টস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচে আইপিএলে নিজের শততম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন লোকেশ রাহুল। তেমনই দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে শততম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। মহম্মদ সিরাজের কাছে আবার আইপিএলের পঞ্চাশতম ম্যাচ। লোকেশ রাহুলের মতো শততম ম্যাচ স্মরণীয় করতে রাখতে পারলেন না গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তবে তাঁর ব্যাটেই প্রাথমিক ধাক্কা সামলে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বাঙ্গালোর। আর শেষদিকে ঝড় তুলে দলকে বড় রানে পৌঁছে দেড় দীনেশ কার্তিক। তাঁর দাপটেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮৯/৫ তোলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। এদিন টস জিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। প্রথম একাদশে দুটি দলই একটা করে পরিবর্তন করে মাঠে নামে। সরফরাজ খানের জায়গায় দিল্লির প্রথম একাদশে ঢোকেন মিচেল মার্শ। অন্যদিকে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সে আকাশ দীপের জায়গায় হর্ষাল প্যাটেল। বোনের মৃত্যুর জন্য জৈব সুরক্ষা ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন হর্ষাল। ফিরে এসে আবার জৈব সুরক্ষা বলয়ে যোগ দেন ১১ এপ্রিল। তিন দিনের কোয়ারেন্টিন পর্ব মিটিয়ে দিল্লির বিরুদ্ধে মাঠে নামেন। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা এদিন ভাল হয়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। দ্বিতীয় ওভারে ফর্মে থাকা অনূজ রাওয়াতকে (০) তুলে নেন শার্দূল ঠাকুর। পরের ওভারেই অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসিকে ফেরান খলিল আমেদ। ১১ বলে ৮ রান করে ডু্প্লেসি অক্ষর প্যাটেলের হাতে ক্যাচ দেন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স সবথেকে বড় ধাক্কা খায় সপ্তম ওভারে। ললিত যাদবের দুরন্ত থ্রোতে রান আউট হন বিরাট কোহলি। ১৪ বলে তিনি করেন ১২।এরপরই রুখে দাঁড়ান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। রীতিমতো তিনি ঝড় তোলেন কুলদীপ যাদবের এক ওভারে নেন ২৩। কুলদীপের বলেই অবশ্য তাঁকে ফিরতে হয়। ৩৪ বলে ৫৫ রান করে তিনি ললিত যাদবের হাতে ক্যাচ দেন। অক্ষর প্যাটেলের বলে আউট হন সুয়াস প্রভুদেশাই (৬)। এরপর বাইশ গজে তান্ডবলীলা চালান দীনেশ কার্তিক। মুস্তাফিজুর রহমানের এক ওভারে চারটি ৪ ও দুটি ছক্কাসহ নেন ২৮। ২৬ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন দীনেশ কার্তিক। শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে ৬৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে তিনি অপরাজিত থাকেন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৫টি করে ৬ ও ৪। শাহবাজ আমেদ ২১ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন। শুরুর ধাক্কা সামলে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৯ তোলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।

এপ্রিল ১৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

শততম ম্যাচে সেঞ্চুরি লোকেশের, টানা হাফডজন হারে নজির মুম্বইয়ের

রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম বলেই শূন্য রানে বোল্ড হয়েছিলেন লোকেশ রাহুল। সেদিন মাঠে হাজির ছিলেন বান্ধবী আথিয়া শেট্টি ও হবু শ্বশুর সুনীল শেট্টি। হবু শ্বশুরের সামনে বেইজ্জত হতে হয়েছিল। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানারকম মিম ছড়িয়ে পড়েছিল। ব্যাপারটা হয়তো ভালভাবে নিতে পারেননি লোকেশ রাহুল। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে দারুণভাবেই জ্বলে উঠলেন। তাঁর দুরন্ত শতরানের দাপটেই উড়ে গেল মুম্বই। ১৮ রানে জিতল লখনউ সুপার জায়ান্টস। টানা ৬ ম্যাচে হার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। চলতি আইপিএলে প্লে অফের সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ হয়ে গেল ৫ বারের চ্যাম্পিয়নদের। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে আইপিএলে এদিন শততম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন লোকেশ রাহুল। মাইলস্টোনের ম্যাচে রীতিমতো নজির গড়ে জেতালেন লোকেশ রাহুল। ৬০ বলে করলেন ১০৩। তাঁর আগে কোনও ক্রিকেটার আইপিএলের শততম ম্যাচে সেঞ্চুরি করতে পারেননি। আইপিএলের ইতিহাসে রেকর্ড গড়লেন লোকেশ রাহুল। এদিন আরও একটা নজির গড়েছেন তিনি। চলতি আইপিএলে প্রথম অধিনায়ক হিসেবে সেঞ্চুরি করার নজির গড়লেন। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে রীতিমতো মরণবাঁচন ম্যাচ ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে। হারা মানেই প্লে অফের স্বপ্ন থেকে রীতিমতো দুরে সরে যাওয়া। ডু অর ডাই ম্যাচেও জ্বলে উঠতে পারলেন না রোহিতরা। রোহিত শর্মার দলকে ডোবাল দলের বোলিং। টাইমল মিলস, ফাবিয়ান অ্যালেন, জয়দেব উনাদকাত, মুরুগান অশ্বিনদের ছন্নছাড়া বোলিং কাজ সহজ করে দিয়েছিল লোকেশৃ্ রাহুলদের।টস জিতে এদিন লখনউ সুপার জায়ান্টকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। ওপেনিং জুটিতে ৫২ তোলেন লোকেশ ও কুইন্টন ডিকক। ফাবিয়ান অ্যালেনের বলে ডিকক (১৩ বলে ২৪) ফিরে যাওয়ার পর লোকেশের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে টেনে নিয়ে যান মণীশ পাণ্ডে। ২৯ বলে ৩৮ রান করে মুরুগান অশ্বিনের বলে বোল্ড হন মণীশ। লোকেশ রাহুলকে অবশ্য আটকানো যায়নি। ৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৫৬ বলে। শেষ পর্যন্ত ৬০ বলে ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। লোকেশ রাহুলের ইনিংসে রয়েছে ৯টি চার ও ৫টি ছয়। নির্ধারিত ২০ ওভারে লখনউ তোলে ১৯৯। দলকে চলতি আইপিএলে প্রথম জয় এনে দেওয়ার জন্য রোহিত শর্মাকে জ্বলে উঠতে হত। তাঁকে সে সুযোগ দেননি আবেশ খান। তৃতীয় ওভারে আবেশের বল ব্যাটেরল কানায় লাগিয়ে ডিককের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন রোহিত (৬)। ক্রিজে নেমে ঝড় তুলেছিলেন বেবি এবি ডিওয়ালড ব্রেভিস। কিন্তু তাঁর ঝড় বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। আবেশের বলে দীপক হুডার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। ৬টি চার ও ১টি ছয়ের সাহায্যে ১৩ বলে ৩১ রান করেন ব্রেভিস। পরের ওভারেই ঈশান কিশানকে (১৩) তুলে নিয়ে মুম্বইকে চাপে ফেলে দেন স্টয়নিস। এরপর মুম্বইকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন সূর্যকুমার যাদব ও তিলক ভার্মা। জুটি ওঠে ৬৪। পঞ্চদশ ওভারে তিলককে (২৬ বলে ২৬) তুলে নেন হোল্ডার। পরের ওভারেই সূর্যকুমারকে (২৭ বলে ৩৭) ফেরান রবি বিষ্ণোই। কায়রন পোলার্ড (১৪ বলে ২৫) চেষ্টা করেও মুম্বইকে জয় এনে দিতে পারেননি। ২০ ওভারে ১৮১/৯ রানে থেমে যায় মুম্বইয়ের ইনিংস।

এপ্রিল ১৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

এক প্রাক্তনীর ব্যাটের ঝড়েই উড়ে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স

বড় রান তুলেও শেষরক্ষা হল না। আবার হার কলকাতা নাইট রাইডার্সের। এবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হারতে হল ৭ উইকেটে। ১৩ বল বাকি থাকতেই টানা ২ ম্যাচে জয় তুলে নিল কেন উইলিয়ামসনের দল। কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারাতে মুখ্য ভুমিকা নিলেন নাইটদেরই প্রাক্তনী রাহুল ত্রিপাঠী। এদিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচ ছিল শীর্ষে ওঠার লড়াই। প্রথম একাদশে তিনটি পরিবর্তন করে মাঠে নামে নাইটরা। অজিঙ্কা রাহানের জায়গায় শেলডন জ্যাকসন, স্যাম বিলিংসের জায়গায় অ্যারন ফিঞ্চ আর রাসিক সালাম দারের জায়গায় আমন হাকিম খান। অন্যদিকে প্রথম একাদশে একটি পরিবর্তন করে মাঠে নামে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। চোট পাওয়া ওয়াশিংটন সুন্দরের জায়গায় জগদীশ সুচিথ। ডিউ ফ্যাক্টরের কথা মাথায় রেখে এদিন টস জিতে নাইট রাইডার্সকে ব্যাট করতে পাঠান সানরাইজার্স অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। টানা ৪ ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ায় রাহানের পরিবর্তে নাইটদের হয়ে ওপেন করতে নামেন অ্যারন ফিঞ্চ। নাইট জার্সিতে অভিষেক ম্যাচে ব্যর্থ এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। ৫ বলে মাত্র ৭ রান করে মার্কো জানসেনের বলে নিকোলাস পুরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। পঞ্চম ওভারে আবার ধাক্কা নাইট শিবিরে। প্রথম বলেই ভেঙ্কটেশকে (৬) তুলে নেন নটরাজন। ২ বলের ব্যবধানে ফেরান সুনীল নারাইনকে (৬)। ৫ ওভারের মধ্যে ৩১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নাইট রাইডার্স। নীতিশ রানার সঙ্গে জুটি বেঁধে অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। শ্রেয়সকে (২৫ বলে ২৮) তুলে নিয়ে উমরান মালিক আবার ধাক্কা দেন নাইট শিবিরকে। শেলডন জ্যাকসনও (৭) সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। ব্যর্থতা কাটিয়ে দিন রানে ফিরলেন নীতিশ রানা। শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ৫৪ রান করে তিনি নটরাজনের বলে পুরানের হাতে ক্যাচ দেন। প্যাট কামিন্স (৩), আমন হাকিম খানরা (৫) রান না পেলেও শেষ দিকে ঝন তোলেন আন্দ্রে রাসেল। তাঁর দাপটেই ২০ ওভারে ১৭৫/৮ রানে পৌঁছয় নাইট রাইডার্স। ৪টি করে চার ও ছয়ের সাহায্যে ২৫ বলে ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকেন রাসেল। টি নটরাজন ৩৭ রানে ৩টি ও উমরান মালিক ২৭ রানে ২ উইকেট নেন।জয়ের জন্য ১৭৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের শুরুটাও ভাল হয়নি। দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায়। প্যাট কামিন্সের বলে বোল্ড হন ফর্মে থাকা অভিষেক শর্মা। ১০ বলে মাত্র ৩ রান করেন তিনি। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও এদিন রান পাননি। ১৬ বলে ১৭ রান করে তিনি আন্দ্রে রাসেলের বলে বোল্ড হন। ৩৯ রানে ২ উইকেট হারায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এরপরই পুরনো দলের বিরুদ্ধে জ্বলে ওঠেন রাহুল ত্রিপাঠী। বাইশ গজে নেমে তিনি ঝড় তোলেন। অন্যপ্রান্তে এইডেন মার্করাম ছিলেন অনেকটাই সংযত। ত্রিপাঠীমার্করাম জুটিই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। জুটিতে ওঠে ৯৩। ৩৭ বলে ৭১ রান করে আন্দ্রে রাসেলের বলে ভেঙ্কটেশ আয়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ত্রিপাঠী। ত্রিপাঠী আউট হলেও জয়ের জন্য সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে জয়ের জন্য সমস্যায় পড়তে হয়নি। দলকে টেনে নিয়ে যান এইডেন মার্করাম। ১৮ তম ওভারে কামিন্সের বলে পরপর চার ও দুটি ছয় মেরে ১৩ বল বাকি থাকতে সানরাইজার্সকে (১৭৬/৩) জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। নাইট রাইডাসের হয়ে ২০ রানে ২ উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল।

এপ্রিল ১৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ব্যর্থতা কাটালেন নীতিশ, ঝড় তুললেন রাসেল, কোথায় পৌঁছল নাইট রাইডার্স?‌

টপ অর্ডারের ব্যর্থতা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াল কলকাতা নাইট রাইডার্স। আবার শীর্ষস্থান ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে তুলল ১৭৫। টানা ৫ ম্যাচ পর রানে ফিরলেন নীতিশ রানা। শেষ দিকে ঝড় তুললেন আন্দ্রে রাসেল। তবে নাইটদের জার্সি গায়ে অভিষেক ম্যাচ সুখের হল না অ্যারন ফিঞ্চের কাছে।এদিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচ ছিল শীর্ষে ওঠার লড়াই। প্রথম একাদশে তিনটি পরিবর্তন করে মাঠে নামে নাইটরা। অজিঙ্কা রাহানের জায়গায় শেলডন জ্যাকসন, স্যাম বিলিংসের জায়গায় অ্যারন ফিঞ্চ আর রাসিক সালাম দারের জায়গায় আমন হাকিম খান। অন্যদিকে প্রথম একাদশে একটি পরিবর্তন করে মাঠে নামে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। চোট পাওয়া ওয়াশিংটন সুন্দরের জায়গায় জগদীশ সুচিথ। ডিউ ফ্যাক্টরের কথা মাথায় রেখে এদিন টস জিতে নাইট রাইডার্সকে ব্যাট করতে পাঠান সানরাইজার্স অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। টানা ৪ ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ায় রাহানের পরিবর্তে নাইটদের হয়ে ওপেন করতে নামেন অ্যারন ফিঞ্চ। নাইট জার্সিতে অভিষেক ম্যাচে ব্যর্থ এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। ৫ বলে মাত্র ৭ রান করে মার্কো জানসেনের বলে নিকোলাস পুরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। পঞ্চম ওভারে আবার ধাক্কা নাইট শিবিরে। প্রথম বলেই ভেঙ্কটেশকে (৬) তুলে নেন নটরাজন। ২ বলের ব্যবধানে ফেরান সুনীল নারাইনকে (৬)। ৫ ওভারের মধ্যে ৩১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নাইট রাইডার্স। নীতিশ রানার সঙ্গে জুটি বেঁধে অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। শ্রেয়সকে (২৫ বলে ২৮) তুলে নিয়ে উমরান মালিক আবার ধাক্কা দেন নাইট শিবিরকে। শেলডন জ্যাকসনও (৭) সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। ব্যর্থতা কাটিয়ে দিন রানে ফিরলেন নীতিশ রানা। শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ৫৪ রান করে তিনি নটরাজনের বলে পুরানের হাতে ক্যাচ দেন। প্যাট কামিন্স (৩), আমন হাকিম খানরা (৫) রান না পেলেও শেষ দিকে ঝন তোলেন আন্দ্রে রাসেল। তাঁর দাপটেই ২০ ওভারে ১৭৫/৮ রানে পৌঁছয় নাইট রাইডার্স। ৪টি করে চার ও ছয়ের সাহায্যে ২৫ বলে ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকেন রাসেল। টি নটরাজন ৩৭ রানে ৩টি ও উমরান মালিক ২৭ রানে ২ উইকেট নেন।

এপ্রিল ১৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

এভাবে নাইট রাইডার্স সমর্থকদের আশায় জলাঞ্জলি দিলেন অ্যারন ফিঞ্চ!‌

প্রথম ম্যাচে দারুণ শুরু করেছিলেন অজিঙ্কা রাহানে। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে করেছিলেন ৪৪। তারপর থেকে ব্যাটে রানের খরা। এদিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে তাঁর পরিবর্তে অ্যারন ফিঞ্চকে প্রথম একাদশে সুযোগ দিয়েছিল নাইট রাইডার্স টিম ম্যানেজমেন্ট। ফিঞ্চও প্রত্যাশাপূরণে ব্যর্থ। শুক্রবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে নাইট রাইডার্সের হয়ে অভিষেক ম্যাচে মাত্র ৭ রান করে আউট হলেন। প্রথম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারের দ্বিতীয় বলে ১ রান নেন ফিঞ্চ। পঞ্চম বলে ৬ মারেন। পরের ওভারে মার্কো জানসেনের বলে নিকোলাস পুরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ৫ বলে তিনি করেন ৭। ৯ টা দলের হয়ে অভিষেক ম্যাচে মাত্র দুটো দলের হয়ে সাফল্য পেয়েছিলেন। ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের হয়ে ৫৩ বলে করপেছিলেন ৬৪। আর ২০১৬ সালে গুজরাট লায়ন্সের হয়ে ৪৭ বলে করেছিলেন ৭৪। ২০১০ সালে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে করেছিলেন ২১। পরের আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে অভিষেক ম্যাচে করেছিলেন ৮। ২০১৪ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে করেন ২। পরের বছর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ৫। ২০১৮ আইপিএলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে ০। ২০২০ আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে ২৯। এবছর আইপিএলের মেগা নিলামে ইংল্যান্ডের ওপেনার অ্যালেক্স হেলেসকে দলে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাউডার্স। কিন্তু জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছেন ইংল্যান্ডের এই ওপেনার। তাই আইপিএল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। তাঁর পরিবর্তে অস্ট্রেলিয়ার সাদা বলের ক্রিকেটের অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে দলে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স টিম ম্যানেজমেন্ট। আইপিএলের মেগা নিলামে অবিক্রিত ছিলেন ফিঞ্চ। মেগা নিলামের সময় নাইট রাইডার্সও তাঁর দিকে ফিরেও তাকায়নি। ২০১০ সাল থেকে আইপিএলে খেলছেন অ্যারন ফিঞ্চ। প্রথম বার তিনি রাজস্থান রয়্যালসের জার্সি গায়ে তোলেন। এছাড়াও দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, পুনে ওয়ারিয়র্স, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, গুজরাট লায়ন্স, পাঞ্জাব কিংসের জার্সি গায়েও খেলেছেন। শেষবার আইপিএল খেলেছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের জার্সি গায়ে, ২০২০ সালে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে নিজেকে একেবারেই মেলে ধরতে পারেননি ফিঞ্চ। তাই তাঁকে দলে নেওয়ার জন্য কোনও ফ্র্যাঞ্জাইজিও আগ্রহ দেখায়নি। ইংল্যাল্ডের অ্যালেক্স হেলস সরে দাঁড়ানোয় ওপেনার সমস্যা মেটাতে শেষ পর্যন্ত নিলামে অবিক্রিত থাকা ফিঞ্চকে তুলে নেয় নাইট রাইডার্স।কলকাতা নাইট রাইডার্স নিয়ে আইপিএলে ৯টি ফ্র্যাঞ্চাইজির জার্সি গায়ে তুললেন অ্যারন ফিঞ্চ। যা আইপিএলে যে কোনও ক্রিকেটারের কাছে রেকর্ড। এখনও পর্যন্ত ৯টি ফ্র্যাঞ্চাইজির জার্সি কোনও ক্রিকেটারই গায়ে তুলতে পারেননি।

এপ্রিল ১৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

হার্দিকের তান্ডব, অভিষেক ম্যাচেই যশের কামাল, শীর্ষে উঠে এল গুজরাট টাইটান্স

মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ব্যাট হাতে হার্দিক পান্ডিয়ার তান্ডব। বল হাতে আইপিএলের অভিষেক ম্যাচেই কামাল যশ দয়ালের। জ্বলে উঠলেন প্রাক্তন নাইট তারকা লকি ফার্গুসনও। এই তিনজনের দাপটে রাজস্থান রয়্যালসকে ৩৭ রানে হারিয়ে আইপিএলের লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছল গুজরাট টাইটান্স। ৫ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৮। এদিন টস জিতে গুজরাট টাইটান্সকে ব্যাট করতে পাঠান রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। শুরুটা ভাল হয়নি গুজরাট টাইটান্সের। দ্বিতীয় ওভারেই শুভমান গিলের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট ম্যাথু ওয়েড (৬ বলে ১২)। প্রথম একাদশে ফিরে সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না বিজয় শঙ্কর (২)। তৃতীয় ওভারে তাঁকে তুলে নেন কুলদীপ সেন। একসময় ১২ রানে ২ উইকেট হারায় গুজরাট। সপ্তম ওভারের চতুর্থ বলে শুভমান গিলকে (১৪ বলে ১৩) ফেরান রিয়ান পরাগ। ৭ ওভারে ৫৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় গুজরাট টাইটান্স।ক্রিজে নেমেই এদিন ঝড় তোলেন হার্দিক পান্ডিয়া। আগের ম্যাচে তিনি হাফ সেঞ্চুরি করে দলকে বাঁচিয়েছিলেন। এদিনও দারুণভাবে জ্বলে ওঠেন। ৩৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন হার্দিক। তাঁকে যোগ্য সহায়তা করেন অভিনব মনোহর। জুটি ওঠে ৮৬। যুজবেন্দ্র চাহাল এসে জুটি ভাঙেন। তাঁর বলে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন অভিনব মনোহর। ৪টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ২৮ বলে ৪৩ রান করেন তিনি। অভিনব আউট হলেও হার্দিকের ঝন থামাতে পারেননি প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, যুজবেন্দ্র চাহালরা। শেষ পর্যন্ত ৫২ বলে ৮৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। হার্দিকের ইনিংসে রয়েছে ৮টি চার ও ৪টি ছয়। শেষ দিকে ঝড় তুলে ৫টি চার ও ১টি ছয়ের সাহায্যে ১৪ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মিলার। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৯২/৪ তোলে গুজরাট।জয়ের জন্য রাজস্থান রয়্যাল তাকিয়ে ছিল জস বাটলারের ব্যাটের দিকে। দারুণ শুরু করেছিলেন ইংল্যান্ডের ওই ওপেনার। বাটলারের দাপটেই ১.৫ ওভারে ২৮ তুলে ফেলে রাজস্থান। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ধাক্কা। আইপিএল অভিষেকে নিজের প্রথম ওভারেই দেবদত্ত পাড়িক্কলকে (০) তুলে নেন যশ দয়াল। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে এদিন ৩ নম্বরে পাঠিয়েছিল রাজস্থান টিম ম্যানেজমেন্ট। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে মাত্র ৮ রান করে লকি ফার্গুসনের বলে আউট হন অশ্বিন।ষষ্ঠ ওভারেই সবচেয়ে বন ধাক্কা খায় রাজস্থান। ওভারের শেষ বলে ফার্গুসন তুলে নেন বিধ্বংসী মেজাজে থাকা জস বাটলারকে। ৮টি চার ও ৩টি ছয়ের সাহায্যে মাত্র ২৪ বলে ৫৪ রান করে আউট হন তিনি। রান পাননি অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন (১১) ও ভ্যান ডার ডুসেন (৬)। শিমরন হেটমায়ের (১৭ বলে ২৯) চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বড় জুটি গড়ে না ওঠায় লড়াই করতে পারেনি রাজস্থান। ১৬ বলে ১৮ করেন রিয়ান পরাগ। জিমি নিশামের ব্যাট থেকে আসে ১৭। ২০ ওভারে ১৫৫/৯ তুলতে সমর্থ হয় রাজস্থান। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন লকি ফার্গুসন। ৪০ রানে ৩ উইকেট যশ দয়ালের।

এপ্রিল ১৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌নির্বাসনের মুখে পড়তে হতে পারে রোহিত শর্মাকে, কেন?‌

সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছে না মু্ম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মার কাছে। চলতি আইপিএলে ইতিমধ্যেই পাঁচ ম্যাচ খেলা হয়ে হয়ে গেছে। এখনও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি। বুধবার পাঞ্জাব কিংসের কাছে হারতে হয়েছে। তার ওপর আবার জরিমানার কবলে পড়তে হয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ককে। দলের মন্থর বোলিংয়ের জন্য ২৪ লক্ষ টাকা জরিমানা হয়েছে রোহিত শর্মার। চলতি আইপিএলে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার জরিমানার কবলে পড়তে হল মুম্বই অধিনায়ককে। বুধবার পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ে ২০ ওভার বোলিং করতে পারেনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ফলে দলের অধিনায়ক হিসেবে রোহিত শর্মার ওপরে শাস্তির খাঁড়া নেমে এসেছে। তাঁর ২৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর আগে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ম্যাচেও মন্থর বোলিংয়ের জন্য শাস্তির কবলে পড়তে হয়েছিল রোহিতকে। ওই ম্যাচে ১২ লক্ষ টাকা জরিমানা হয়েছিল। দ্বিতীয় বার একই অপরাধ হওয়ায় এবার জরিমানার পরিমান দ্বিগুন। যদি আরও একবার মন্থর বোলিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত হন রোহিত, তাহলে জরিমানার পাশাপাশি এক ম্যাচ নির্বাসিত হতে হবে। শুধু রোহিতেরই জরিমানা হয়নি, প্রথম একাদশে থাকা বাকি ক্রিকেটারদেরও জরিমানার কবলে পড়তে হয়েছে। বাকিদের জরিমানা হয়েছে ৬ লক্ষ টাকা করে। আইপিএলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচে স্লো ওভার রেটের জন্য মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে জরিমানা করা হয়েছে। অধিনায়ক রোহিত শর্মার ২৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাকি ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা হয়েছে। এ বারের আইপিএলে এখনও পর্যন্ত জয়ের মুখ দেখেনি পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নরা। পর পর পাঁচ ম্যাচে হারতে হয়েছে তাদের। বুধবার টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন রোহিত। প্রথমে ব্যাট করে ১৯৮ রান করে পঞ্জাব। জবাবে ১৮৬ রানে শেষ হয় মুম্বইয়ের ইনিংস। ১২ রানে ম্যাচ হারে তারা।এদিকে, রোহিত শর্মার ব্যাটেও রান নেই। ৫ ম্যাচে করেছেন ১০৪। দলের অধিনায়ক রান না পেলেও চিন্তিত নন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স হেড কোচ মাহেলা জয়বর্ধনে। তিনি বলেন, রোহিত ভাল টাচে আছে। ভাল শুরু করছে। কিন্তু বড় ইনিংস আসছে না। আমি আশাবাদী, দ্রুতই বড় ইনিংস খেলবে রোহিত।

এপ্রিল ১৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

হার্দিকের ব্যাটে অধিনায়কোচিত ইনিংস, কোথায় পৌঁছল গুজরাট টাইটান্স!‌

দলকে শীর্ষে তোলার লড়াইয়ে জ্বলে উঠলের গুজরাট টাইটান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর দুরন্ত অপরাজিত ৮৭ রানের সুবাদে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৯২/৪ তুলল গুজরাট টাইটান্স।মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার টস জিতে গুজরাট টাইটান্সকে ব্যাট করতে পাঠান রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। চলতি আইপিএলে এই প্রথম টস ভাগ্য সাহায্য করল সঞ্জুকে। যদিও এদিন অস্বস্তি নিয়েই মাঠে নামতে হয়েছে রাজস্থান রয়্যালসকে। চোটের জন্য গুজরাট টাইটান্স ম্যাচ থেকে ছিটকে যান দলের নির্ভরযোগ্য জোরে বোলার ট্রেন্ট বোল্ট। তাঁর জায়গায় প্রথম একাদশে ঢোকেন জিমি নিশাম। অন্যদিকে, প্রথম একাদশে দুটি পরিবর্তন করে মাঠে নামে গুজরাট টাইটান্স। দর্শন নালকণ্ডের জায়গায় যশ দয়াল ও সাই সুদর্শনের জায়গায় বিজয় শঙ্কর। আইপিএলে অভিষেক হল যশের। তাঁর হাতে টুপি তুলে দেন আশিস নেহরা।ব্যাট করতে নেমে ভাল শুরু করেছিলেন গুজরাট টাইটান্সের ওপেনার ম্যাথু ওয়েড। তিমি নিশামের প্রথম ওভারেই তিনটি বাউন্ডারির সাহায্যে তোলেন ১২। পরের ওভারেই শুভমান গিলের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট ওয়েড (৬ বলে ১২)। প্রথম একাদশে ফিরে সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না বিজয় শঙ্কর (২)। তৃতীয় ওভারে তাঁকে তুলে নেন কুলদীপ সেন। সপ্তম ওভারের চতুর্থ বলে শুভমান গিলকে (১৪ বলে ১৩) ফেরান রিয়আন পরাগ। ৭ ওভারে ৫৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় গুজরাট টাইটান্স। এরপরই দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব তুলে নেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। আগের ম্যাচের মতোই তিনি জ্বলে ওঠেন। তাঁকে যোগ্য সহায়তা করেন অভিনব মনোহর। জুটি ওঠে ৮৬। যুজবেন্দ্র চাহাল এসে জুটি ভাঙেন। তাঁর বলে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন অভিনব মনোহর। ৪টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ২৮ বলে ৪৩ রান করেন তিনি। অভিনব আউট হলেও হার্দিকের ঝন থামাতে পারেননি প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, যুজবেন্দ্র চাহালরা। ৩৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন হার্দিক। শেষ পর্যন্ত ৫২ বলে ৮৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। হার্দিকের ইনিংসে রয়েছে ৮টি চার ও ৪টি ছয়। শেষ দিকে ঝড় তুলে ৫টি চার ও ১টি ছয়ের সাহায্যে ১৪ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মিলার।

এপ্রিল ১৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

রোহিতের ১০ হাজারী মাইলস্টোনেও দুঃস্বপ্ন কাটল না মুম্বইয়ের

চলতি আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দুঃস্বপ্ন চলছেই। টানা ৫ ম্যাচ খেলা হয়ে গেল। অথচ এখনও জয়ের মুখ দেখল না। বুধবার পাঞ্জাব কিংসের কাছে হারল ১২ রানে। দল এখনও জয় না পেলেও টি২০ ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলস্টোনে পোঁছে গেলেন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বিরাট কোহলির পর দ্বিতীয় ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন। টি২০ ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলস্টোনে পৌঁছতে রোহিত শর্মার দরকার ছিল ২৫ রান। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ইনিংসের চতুর্থ ওভারে কাগিসো রাবাডার তৃতীয় বল ডিপ এক্সট্রা কভারের ওপর দিয়ে গ্যালারিতে পাঠিয়ে টি২০ ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলস্টোনে পৌঁছন রোহিত। ১৭ বলে ২৮ রান করেন রোহিত। এদিন ২৮ রান করায় টি২০ ক্রিকেটে তাঁর মোট রান হল ১০০০৩। বিরাট কোহলির রান ১০৪৯৯।মঙ্গলবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে চেন্নাই সুপার কিংস প্রথম জয় পেয়েছিল চেন্নাই। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অবশ্য এখনও জয়ের মুখ দেখল না। পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মাঠে এদিন টস জিতে পাঞ্জাব কিংসকে ব্যাট করতে পাঠান রোহিত। দারুণ শুরু করেছিলেন অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও শিখর ধাওয়ান। ওপেনিং জুটিতে ৯.৩ ওভারে দুজনে তোলেন ৯৭। শুরুর দিকে শিখরের তুলনায় বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে এদিন প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন মুরুগান অশ্বিন। মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে তিনি তুলে নেন। ৩২ বলে ৫২ রান করে সূর্যকুমার যাদবের হাতে ক্যাচ দিয়ে তিনি আউট হন। তিন নম্বরে নামা জনি বেয়ারস্টো (১৩ বলে ১২) রান পাননি। তাঁকে ফেরান জয়দেব উনাদকাত। লিয়াম লিভিংস্টোন ৩ বলে ২ রান করে যশপ্রীত বুমরার বলে বোল্ড হন। অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়ালের পাশাপাশি দুরন্ত ব্যাট করেন শিখর ধাওয়ান। ৫০ বলে ৭০ রান করে তিনি বাসিল থাম্পির বলে কায়রন পোলার্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। শিখর ধাওয়ানের ইনিংসে রয়েছে ৫টি ৪ ও তিনটি ৬। শেষদিকে ঝড় তোলেন জিতেশ শর্মা। ২টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৫ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৬ বলে ১৫ রান করেন শাহরুখ খান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে তুলল ১৯৮। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে বাসিল থাম্পি ৪৭ রানে ২টি, জয়দেব উনাদকাত ৪৪ রানে ১টি, যশপ্রীত বুমরা ২৮ রানে ১টি, মুরুগান অশ্বিন ৩৪ রানে ১টি উইকেট নেন। জয়ের জন্য ১৯৯ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় মুম্বই। ঝড় তুলেও চতুর্থ ওভারে ফিরে যান রোহিত শর্মা। পরের ওভারে ঈশান কিশানকে (৩) তুলে নিয়ে মুম্বইকে চাপে ফেলে দেন বৈভব আরোরা। এরপর ঝড় তোলেন বেবি এবি ডিওয়াল্ড ব্রেভিস। ১০ ওভারে ১০৫/২ রানে পৌঁছে যায় মুম্বই। ওডিয়েন স্মিথের বলে ব্রেভিস ফিরতেই রানের গতি কমে যায় মুম্বইয়ের। ৪টি চার ও ৫টি ছয়ের সাহায্যে ২৫ বলে ৪৯ রান করেন ব্রেভিস। ১ ওভার পরেই রান আউট হন তিলক ভার্মা। ২০ বলে তিনি করেন ৩৬। পরপর ব্রেভিস ও তিলক ভার্মা আউট হলেও পোলার্ড ও সূর্যকুমার যাদব মুম্বইয়ের জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন। পোলার্ড (১১ বলে ১০) রান আউট হতেই চাপে পড়ে যায় মুম্বই। সূর্যকুমার ঝড় তুলে দলকে প্রথম জয় এনে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু রাবাডাকে তুলে মারতে গিয়ে লং অনে ওডিয়েন স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ৩০ বলে ৪৩ রান করেন সূর্যকুমার। শেষ ওভারে উনাদকাত (৭ বলে ১২), বুমরা (০) ও টাইমল মিলসকে (০) তুলে নেন স্মিথ (৪/৩০)। মুমইয়ের ইনিংস থেমে যায় ১৮৬/৯ রানে।

এপ্রিল ১৩, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 14
  • 15
  • ›

ট্রেন্ডিং

দেশ

বিশ্ব তাঁকে বলে ‘লাকিয়েস্ট’… রমেশের কাঁপানো স্বীকারোক্তি — “সবচেয়ে একা আমি”

এক মুহূর্তে ভাগ্যবান, পরের মুহূর্তেই যেন সব হারানো মানুষ। আমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর এই দ্বৈত অনুভূতির মধ্যেই বন্দি রমেশ বিশ্বাসকুমার। সারা বিশ্ব তাঁকে বলছে লাকিয়েস্ট সারভাইভারকিন্তু তাঁর মনে শুধুই শূন্যতা। জীবিত বেঁচে ফেরা তাঁর কাছে আশীর্বাদ নয়, যেন এক অন্তহীন বোঝা। কারণ সেই আগুনের বলয়ে হারিয়ে গেছেন তাঁর ভাই, তাঁর সবচেয়ে কাছের মানুষ, জীবনের শক্তি।১২ জুন। আমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশে উড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার সেই বিমান। রমেশ ছিলেন ১১এ আসনে। কয়েক সারি পিছনেই বসেছিলেন তাঁর ভাই অজয়। দুজনেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। দেশে-বিদেশে যাওয়াআসা ছিল নিয়মিত। কেউ জানত না, ওই দিনটাই হবে ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর শেষ যাত্রা। কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুনে ঘেরা মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয় বিমান। সারা দুনিয়া হতভম্ব হয়ে দেখেছিল সেই আগুন, সেই কালো ধোঁয়া, সেই ছিন্নভিন্ন ধাতব খোলস। আর রমেশ দেখেছিলেন নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় ভয়াবহ দৃশ্য।চার মাস কেটে গেছে, কিন্তু রমেশ সামান্যটাই এগোতে পেরেছেন স্মৃতি থেকে। ভাইয়ের শেষকৃত্য নিজের হাতে করেছেন তিনি। কিন্তু মনের আগুন নিভেনি। আজও শীতল স্বরে বলেন, আমি যে বেঁচে আছি, এখনও বিশ্বাস হয় না। কিন্তু ভাইটা নেই। ও ছিল আমার মেরুদণ্ড। প্রতিটা মুহূর্তের সঙ্গী। এখন আমি একেবারে একা।তিনি আর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন না। স্ত্রীর সঙ্গে নয়, সন্তানের সঙ্গেও নয়। নিজের ঘরে থাকেন, দরজা বন্ধ করে। নিজের পৃথিবীতে কেবল ব্যথা, স্মৃতি আর নিঃশব্দ কান্না। কারও সঙ্গে থাকতে ইচ্ছে হয় না। নিঃশব্দটাই ভালো লাগে, বলেন রমেশ।দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকার পর মানসিক আঘাত আরও গভীর হয়েছে। চিকিৎসা নেই। আর্থিক সংকটও ঘিরে ধরেছে পরিবারকে। শুধু রমেশই নন, ভেঙে পড়েছেন তাঁর মা-ও। প্রতিদিন বাড়ির সদর দরজায় বসে থাকেন তিনি। কথা বলেন না। কারও সাথে নয়, নিজের সঙ্গেই যুদ্ধ করেন। প্রতিদিনই আমাদের পরিবারের জন্য অসহ্য। খুব ক্লান্ত মানসিক ও শারীরিকভাবে, বললেন রমেশ।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

তৃণমূলে ফিরলেন শোভন, চোখে জল রত্নার—“গোপাল ভবনের দরজা এখনও খোলা!”

দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপোড়েন, দলবদল আর ব্যক্তিগত জীবনের ওঠানামাসব মিলিয়ে ফের একবার আলোচনার কেন্দ্রে শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রায় ছয় বছর পর তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও প্রাক্তন রাজ্য মন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ফিরলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ২০১৮ সালে দল ছাড়ার পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র অবস্থান নিয়েছিলেন শোভন, বিজেপিতেও সক্রিয় ভূমিকা ছিল না বললেই চলে। শেষে বহু নাটকীয়তার পর আবার ঘরে ফেরার সিদ্ধান্ত।কিন্তু শোভনের প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় এলেন তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। দল যখন শোভনকে বেহালা পূর্ব থেকে প্রার্থী করেছিল, সেই সময় ছিলেন না তিনি তৃণমূলে। আজ শোভন ফিরতেই রত্নার অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্নতাহলে রত্নার ভবিষ্যৎ কী? শোভন কি আবার নিজের পুরনো বেহালা পূর্ব কেন্দ্র ফিরে পাবেন? রাজনৈতিক অন্দরে এখন এমনই কৌতূহল।আজ শোভনের দলবদলের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রত্না বলেন, উনি দক্ষ প্রশাসক। আট বছর সময় নষ্ট হল। কথায় গর্বের সুর থাকলেও আক্ষেপও স্পষ্ট। তিনি আরও বলেন, আপনারাই বলুন, আগে উনি কী রকম ছিলেন আর এখন কী রকম হয়েছেন! তবে তৃণমূল নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও বিতর্কে জড়াতে চাননি রত্না। তাঁর ভাষায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দায়িত্ব দিয়েছেন, তখন অবশ্যই দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত। দলের নীতিনির্ধারণে আমি নেই, তাই এ নিয়ে বলার কিছু নেই।শুধু তাই নয়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি। ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে আদালতের অবস্থানও এই মুহূর্তে শোভন ও রত্নার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। এখনও তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। আদালত শোভনের ডিভোর্স আবেদন খারিজ করেছে। আবার রত্নার একত্র থাকার আবেদনও মানেনি আদালত। এই অবস্থায়ও রত্নার প্রকাশ্য বার্তাশোভনকে ঘরে ফেরার ডাক। তিনি বলেন, তৃণমূল ভবনের মতো গোপাল ভবনের দরজাও ২৪ ঘণ্টা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জন্য খোলা।দলের রাজনীতি, ব্যক্তিগত সম্পর্কদুই অঙ্গনেই চলছে নাটকীয়তা। শোভনের প্রত্যাবর্তনে তৃণমূলের রাজনৈতিক সমীকরণ যেমন নতুন মোড় নিল, তেমনই রত্নার মন্তব্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কের অধ্যায়ও ফিরে এল আলোচনায়। এখন দেখার, রাজনীতি ও সংসারের কোন পথে এগোয় শোভন-রত্নার গল্প।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
বিদেশ

“পৃথিবী ১৫০ বার ধ্বংস করতে পারি”—ট্রাম্পের বিস্ফোরক হুমকি!

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্কের কেন্দ্রে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেও নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিতে নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে প্রচার করছিলেন তিনি। দাবি করেছিলেন, তাঁর নেতৃত্বে আমেরিকা নাকি আটটি যুদ্ধ থামিয়েছে। কিন্তু নোবেল না পেতেই সুর বদলএবার তিনি ঘোষণা করলেন, আমেরিকার কাছে রয়েছে এত পারমাণবিক অস্ত্র আছে, যা দিয়ে পৃথিবী ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা যদি পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ রাখে আর প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলি যদি পরীক্ষা চালিয়ে যায়, তা হলে ক্ষতি শুধুই আমেরিকার। তাই ৩৩ বছর পর আবার পারমাণবিক বিস্ফোরণ পরীক্ষা চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, রাশিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া এবং পাকিস্তান গোপনে পারমাণবিক পরীক্ষা করছে। আমেরিকা একা ভদ্র থাকলে চলবে না।নোবেল হাতছাড়া হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের এই কড়া ভাষা নজর কাড়ছে। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবুও তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, শত্রুপক্ষ যখন আরও শক্তি বাড়াচ্ছে, তখন আমেরিকা পিছিয়ে থাকবে না। তাঁর দাবি, আমেরিকার হাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক ভান্ডার। রাশিয়ার অনেক আছে, চীনও দ্রুত বাড়াচ্ছে। আমরাও প্রস্তুত।তবে এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি ভারতপাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনা থামাতে ভূমিকা নেওয়ার দাবি করেছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, তিনি যুদ্ধ থামাতে চান, নিরীহ মানুষ বাঁচাতে চান। অথচ এখনই তাঁর নতুন বার্তাশান্তি নয়, শক্তিই আসল।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
দেশ

অনিল অম্বানির ৩,০০০ কোটি বাজেয়াপ্ত, সিল বিলাসবহুল বাড়ি! ইডির মেগা অ্যাকশন, কাঁপছে কর্পোরেট দুনিয়া

নভেম্বরের প্রথম কাজের দিনেই বড়সড় চমক দেশের কর্পোরেট দুনিয়ায়। রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল অম্বানির বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট অনুযায়ী তদন্ত চলা এক অর্থপাচার মামলায় তাঁর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। চারটি পৃথক অস্থায়ী আদেশ জারি করে এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।জানা যাচ্ছে, বাজেয়াপ্ত সম্পদের তালিকায় রয়েছে মুম্বাইয়ের অভিজাত পালি হিলের অনিল অম্বানির বিলাসবহুল বাসভবন। দিল্লির মহারাজা রঞ্জিত সিং মার্গের রিলায়েন্স সেন্টারের জমি সহ একাধিক বাণিজ্যিক সম্পত্তি সিল করেছে ইডি। শুধু তাই নয়, রিলায়েন্স গ্রুপের নয়ডা, হায়দরাবাদ, চেন্নাই এবং পুনের সম্পত্তিও নজরবন্দি।এই মামলা মূলত রিলায়েন্স হোম ফাইনান্স লিমিটেড এবং রিলায়েন্স কমার্শিয়াল ফাইনান্স লিমিটেডকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ, এই দুই সংস্থার মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীর টাকার দুর্ব্যবহার এবং তছরুপ হয়েছে। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাংক এই দুই প্রতিষ্ঠানে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের শেষে সেই ঋণ খেলাপি ঋণে পরিণত হয়।ইডির দাবি, অনিল অম্বানির বিভিন্ন সংস্থাযার মধ্যে রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারও রয়েছেমোট ১৭ হাজার কোটিরও বেশি টাকা অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ ডাইভার্ট করা হয়েছে বিশাল অঙ্ক। চলতি বছরের অগস্টে অনিল অম্বানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তার আগে জুলাই মাসে তাঁর সংস্থার শীর্ষকর্তাদের বাড়ি-অফিস মিলিয়ে প্রায় ৩৫টি স্থানে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। মোট ৫০টি সংস্থা ও একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি হয়েছিল সেইসময়।উল্লেখ্য, এই মামলার সূত্র সিবিআই-এর এক এফআইআর। সেই তদন্তের ভিত্তিতেই ইডির পদক্ষেপ। আর এই মুহূর্তে স্পষ্টঅনিল অম্বানির আর্থিক সাম্রাজ্যে তীব্র চাপ নেমে এসেছে। নব-নভেম্বরেই যেন শুরু হল নতুন ঝড়।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
রাজ্য

বাড়ি-বাড়ি ফর্ম, রাস্তায় আতঙ্ক—হাসপাতালে তৃণমূল কাউন্সিলর

এখন বাংলায় এসআইআর ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে ফর্ম বিলি, বাড়ি-বাড়ি যাবেন বিএলওরা। আর সেই গরম রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রিষড়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের স্বামী সাকির আলি। তৃণমূল বলছে, মানুষের আতঙ্ক সামলাতে গিয়েই অসুস্থ তিনি। বিজেপি-র ভাষায়এ সবই নাটক।রবিবার আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন সাকির আলি। ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শয্যায় শুয়েই তিনি দাবি করেছেন, তাঁর ওয়ার্ডে একটি বড় বস্তি এলাকা আছে। এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই সেখানে প্রচণ্ড আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দিনভর বহু মানুষ তাঁর কাছে ছুটে এসেছেনতাঁদের নাম বাদ যাবে না তো? কাগজপত্র ঠিক আছে তো? কী করতে হবে? কারও হাতে পাকা নথি নেই, কারও তথ্য মেলে না। সেই আতঙ্ক সামলাতে সামলাতেই ধকল যায় তাঁর, দাবি কাউন্সিলরের। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, এমনটাই বলছে তৃণমূল শিবির।অন্যদিকে বিজেপি একেবারে পাল্টা সুরে। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল বলেন, পুরোটাই নাটক! তাঁর অভিযোগ, দেশের ১২টি রাজ্যে এসআইআর চলছে, কোথাও এমন কেউ অসুস্থ হচ্ছে না। কিন্তু বাংলায় তৃণমূলের কাউন্সিলরই কেবল অসুস্থ হচ্ছেন! অভিযোগ আরও এগিয়ে গিয়ে বলেন, রিষড়া পুরসভার চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাকির আলির দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তাই প্রচারের আলোয় আসতেই এই নাটক সাজানো হয়েছে।এদিকে এসআইআর নিয়ে আতঙ্ক যে বাস্তব, তা স্পষ্ট রাজ্যের নানা প্রান্তে। ইতিমধ্যেই একাধিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে আতঙ্ককে দায়ী করা হচ্ছে। হুগলির ডানকুনিতে রবিবার সন্ধ্যায় মারা গিয়েছেন ষাট বছর বয়সি হাসিনা বেগম। স্থানীয়দের দাবি, এসআইআর নিয়ে আতঙ্কেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। মানুষ এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না, কী কী নথি লাগবে, কীভাবে নাম নথিভুক্ত হবে। তার মধ্যেই আতঙ্ক যেন ছায়ার মতো তাড়া করছে সাধারণ মানুষকে।রাজ্যজুড়ে প্রশ্ন একটাইএসআইআর কার্যকর করতে গিয়ে প্রশাসন কি ন্যায়সঙ্গতভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে? নাকি আতঙ্ক আরও ঘনীভূত হচ্ছে? মানুষের ঘরে ঘরে অস্থিরতা বাড়ছে, রাজনৈতিক পালটা-যুদ্ধ আরও উত্তপ্ত হচ্ছে। আর এই সবকিছুর মধ্যেই হাসপাতালে শুয়ে আছেন সাকির আলিতাঁর দাবি, মানুষ বাঁচাতে গিয়ে তাঁর নিজের শরীরই হার মানল। বিজেপি বলছে, সবটাই সাজানো দৃশ্য। সত্যি কোনটা? উত্তর চাইছে রাজ্যবাসী।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
দেশ

ভয়াবহ! একের পর এক গাড়ি পিষে এগলো ডাম্পার—চিৎকারে কাঁপল জয়পুর

ভয়াবহ সড়কদুর্ঘটনায় কেঁপে উঠল রাজস্থানের জয়পুর। সোমবার দুপুরে লোহামান্ডি রোডে একটি বেপরোয়া ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হল অন্তত দশ জনের। আহত হয়েছেন প্রায় পঞ্চাশ জন। তাঁদের মধ্যে বহুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সবাইকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা প্রাণপ্রত্যাশী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।চোখের সামনে এতগুলো প্রাণ হারাতে দেখে শিউরে উঠেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁদের দাবি, ডাম্পারের চালক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল। প্রথমে একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে। তারপর আর থামেনি। একের পর এক তিন-চারটি গাড়িকে গুঁড়িয়ে এগিয়ে যায় ভয়ঙ্কর ডাম্পারটি। মুহূর্তে রক্তমাখা লোহামুখী রাস্তায় হাহাকার। চিৎকার-আর্তনাদে ভরে যায় এলাকা। আতঙ্কে জীবন বাঁচাতে ছুটোছুটি শুরু করেন মানুষ।খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। উদ্ধারকাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এখনও হয়তো কয়েকজন ডাম্পারের নিচে আটকে থাকতে পারেন। ভারি যন্ত্র এনে গাড়ি সরানোর চেষ্টা চলছে। ডাম্পারচালককে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি সত্যিই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখতে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হচ্ছে। পাশাপাশি গাড়ির নথিপত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।রাজস্থানে যেন দুর্ঘটনার অভিশাপ নেমেছে। একদিন আগেই, রবিবার সন্ধ্যায় যোধপুরে মালা এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৮ জন পুণ্যার্থী। কোলায়াত মন্দির থেকে ফেরার পথে তাঁদের ট্রাভেলার গাড়ি ধাক্কা মারে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে। এখনও সেই শোক কাটেনি রাজস্থানের মানুষের। তার মধ্যেই ফের মৃত্যুপুরীতে পরিণত হল জয়পুরের ব্যস্ত রাস্তা।দেশজুড়ে প্রশ্ন উঠছেকেন এত প্রাণ হাঁটুর চাপে? কেন রাস্তায় এত নেশাগ্রস্ত চালক? নিরাপত্তা কোথায়? আর কত পরিবারকে এভাবে ভেঙে পড়তে হবে? এই রক্তাক্ত ছবিই হয়তো আবারও মনে করিয়ে দিলজীবন সেকেন্ডের খেল, আর গাড়ির স্টিয়ারিং ভুল হাতে পড়লেই সর্বনাশ অনিবার্য।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

‘জেন্টলম্যানস গেম’ শব্দটি কেটে দিলেন হরমন! বিশ্বজয়ের পর বার্তা—ক্রিকেট সবার

কিছু স্বপ্ন থাকে সারা দেশের। শুধু পুরুষ বা মহিলার নয়, কোটি মানুষের। ভারত বিশ্বকাপ জিতেছেএটাই মূল কথা। এখানে মহিলা ভারত নয়, টিম ইন্ডিয়া বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। চ্যাম্পিয়নদের অভিধান কখনও লিঙ্গের ভাগে ভাগ করা যায় না।ক্রিকেটকে এত দিন বলা হতজেন্টলম্যানস গেম। কিন্তু নতুন ইতিহাসের রাতে সেই শব্দটাই পাল্টে দিলেন হরমনপ্রীত কৌর। বিশ্বজয়ের পর সকালে ট্রফি বুকে জড়িয়ে শুয়ে থাকা একটি ছবি পোস্ট করলেন ভারতের অধিনায়িকা। তাঁর টি-শার্টে লাইনে লেখাGentlemans শব্দটি কেটে দিয়ে পাশে বড় অক্ষরেCricket is Everyones Game। বার্তাটা স্পষ্টক্রিকেট শুধু পুরুষের নয়, সবার খেলা।হরমনের সঙ্গে স্বপ্নে ভেসেছেন স্মৃতি, জেমাইমা, শেফালিরাও। রাতভর ছিল উন্মাদনা, আনন্দ, নাচ, হাসি। গোটা দেশ দেখলনতুন ইতিহাস লেখা যাচ্ছে। ক্রিকেটাররা জানালেন, এই স্বপ্ন কোটি ভারতবাসীর। হরমনের ক্যাপশনে তাই লেখাকিছু স্বপ্ন কোটি কোটি মানুষের।এই জয়ের পেছনে আছে ত্যাগ, কষ্ট, বাধা আর লড়াই। গ্রামের মাঠে শেফালিকে শুনতে হয়েছেমেয়েদের আবার ক্রিকেট! তাই তিনি চুল কেটে ছেলে সেজে খেলেছেন ছেলেদের টুর্নামেন্টে। হরমন নিজে ওড়না বেঁধে খেলেছেন ছেলেদের সঙ্গে, ভেঙেছেন রীতি, জেদের সঙ্গে।এই দল জানে সংগ্রাম বলতে কী বোঝায়। বড় ম্যাচের চাপ, সামনে ইতিহাসতবু নিজেরা ভেঙে পড়েননি। এত দিন ধরেই মেয়েদের ক্রিকেট আলাদা দৃষ্টিতে দেখা হত। কিন্তু বিশ্বজয় বলছেএ দেশ এখন বলছে, আমাদের হরমন, আমাদের শেফালি, আমাদের টিম ইন্ডিয়া।২০০৫ সালে স্বপ্ন ভেঙেছিল। ২০১৭-য় আবার heartbreak, তবু মনে রইল হরমনের ১৭১ রানের ইতিহাস। এবার আর হার নয়। এবার ট্রফি ঘরে। এই ট্রফি শুধু আজকের মেয়েদের নয়, ঝুলন-মিতালির মতো কিংবদন্তিদেরও। ভবিষ্যতের প্রতিটি ছোট মেয়ের কাছে বার্তাস্বপ্ন সত্যিই হয়, যদি লড়াই করো।এখন থেকে ভারতীয় ঘরে ঘরে বাবা-মা হয়তো বলবেনহরমনপ্রীতের মতো খেলো। আর ভারতীয় ক্রিকেটের ঘরে ঝুলবে নতুন নামজনগণমন অধিনায়িকা হরমনপ্রীত।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

হাঁটতে বেরিয়ে হঠাৎ গুলি! প্রতিবেশী প্রেমিকের নাম বলেই লুটিয়ে পড়লেন মহিলা

হরিদেবপুরে সোমবার ভোরের শুটআউট ঘিরে চাঞ্চল্য। সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ গুলিবিদ্ধ হলেন এক মহিলা। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত প্রেমিক বাবলু ঘোষকে পাকড়াও করল কলকাতা পুলিশ। ধরা পড়লেন পিটিএসের কাছে একটি গাড়ি থেকে। পুলিশের নজরে এ ঘটনাকে বড় সাফল্য হিসেবেই দেখা হচ্ছেকারণ ঘটনার মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার অভিযুক্ত।পুলিশ সূত্রের খবর, ৫০ বছর বয়সি মৌসুমী হালদার প্রতিদিনের মতো হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎই মোটরবাইকে করে দুই যুবক আসে। লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি লাগে মৌসুমীর পিঠে। লুটিয়ে পড়েই তিনি আততায়ীর নাম বলে দেনবাবলু। এলাকাবাসীও জানতেন, প্রতিবেশী বাবলু ঘোষের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল মৌসুমীর।জানা গিয়েছে, বাবলুর মুরগির ব্যবসা ছিল। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকেই মৌসুমীর সঙ্গে তাঁর প্রেম। এমনকি চুপিসারে বিয়েও করেছেন তারাএমনটাই ছড়িয়েছিল এলাকায়। বাবলুর মেয়ের বিয়েও হয়ে গেছে। অভিযোগ, কিছুদিন ধরে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন মৌসুমী। কিন্তু তাতে রাজি ছিল না বাবলু। ওই মহিলাকে সংসার ছেড়ে তাঁর সঙ্গে থাকতে জোরাজুরি করত। শেষমেশ প্রেমের জটিলতাই রক্তাক্ত পরিণতি নিল।পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, বাবলু কোনও গ্রাহকের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করে সোমবার সকালে গুলি চালায়। এরপর নিজের বাড়ির তালা বন্ধ করে জিনিসপত্র তুলে পালানোর চেষ্টা করে ভাড়ার গাড়িতে। প্রতিবেশীরা গাড়ির নম্বর দেখে রাখেন। সেই সূত্রেই শুরু হয় পুলিশের অভিযান।হরিদেবপুর থানার ওসি প্রসূন দে সরকার ও অতিরিক্ত ওসি সুদীপ্ত দেবঘরিয়ার নেতৃত্বে শুরু হয় অপারেশন। গাড়ির মালিককে ফোন করে খদ্দের সেজে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জানা যায়, গাড়িটি হাওড়ার পাঁচলায় আছে। পুলিশ গাড়ির নম্বর ট্র্যাক করে, আরেক দল পাঁচলার পথে রওনা দেয়।কিন্তু গাড়িটি মাঝপথেই ধরা পড়ে। পিটিএসের কাছে নম্বর মিলিয়ে পুলিশ গাড়ি থামায় এবং ভিতরেই বাবলুকে দেখা যায়। পাঁচলায় পালানোর পরিকল্পনা ছিল বলে দাবি পুলিশের। তার আগেই হাতকড়া পড়ল তার হাতে। আজ তাকে আদালতে তোলা হবে।দ্রুত পদক্ষেপে এই গ্রেফতারকলকাতা পুলিশের তদন্ত এবং তৎপরতার বড় নিদর্শন হয়ে রইল বলে মত অনেকের।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal