• ১২ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Death

রাজ্য

বন্ধুদের সঙ্গে ভাগীরথীতে স্নান করতে নেমে ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তৈরি হল রহস্য

বন্ধুদের সঙ্গে ভাগীরথী নদীতে স্মান করতে নেমে এক ছাত্রের মারা যাওয়ার ঘটনা নিয়ে তৈরি হল রহস্য । মৃত ওই ছাত্রের নাম রিক রায়(১৬)।তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনার সুবর্ণনগর কলোনীতে।সে স্থানীয় বিদ্যালয়ে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছিল ।ভাগীরথীতে স্নান করতে নেমে রিক তলিয়ে যায় বলে তাঁর বন্ধুরা দাবি করলেও ছাত্রের পরিবার তা মানতে চায়নি। আর তার কারণেই ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য । ময়নাতদন্তের জন্য ছাত্রের মৃতদেহ শনিবার পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পুলিশের দাবি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলেই ছাত্রের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে । তার ভিত্তিতেই নেওয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,শুক্রবার বিশ্বকর্মা পুজোর দিন দুপুরে ছাত্র রিক তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে যায়।পরে সে বাড়ির ওই বন্ধুদের সঙ্গেই আবার কালনার ভাগীরথী নদীতে স্নানও করতে যায়।বন্ধুদের দাবি স্নান চলাকালীন অবস্থায় রিক নদীর জলে তলিয়ে যায় ।যদিও ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ রিকের বন্ধুরা এই ঘটনার কিছুই তাঁদের বাড়িতে জানায় নি । সব চেপে যায় । অন্য মাধ্যমে খবর পেয়ে তাঁরা নদীতে গিয়ে রিকের খোঁজ চালান। পাশাপাশি বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দপ্তরের টিমও ভাগীরথীতে রিকের খোঁজ চালায়।কিন্তু ওই দিন রিকের কোন হদিশ মেলে নি । শনিবার সকালে ফের ভাগীরথীতে রিকের খোঁজ চালানো শুরু হয় । বেলা ১০ টা নাগাদ উদ্ধার হয় ছাত্র রিকের মৃতদেহ।মৃত ছাত্রের বাবা গোপাল রায় এদিন বলেন,বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে যাচ্ছি বলে রিক বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল ।বন্ধুরা পরে যে যার বাড়ি ফিরে গেলেও রিকের ব্যাপারে তাঁরা কোন খবর তাঁদের জানায়নি। পরে একজন বয়স্ক লোকের কাছ থেকে তাঁরা রিকের ব্যাপারে খবর পান ।গোপালবাবু বলেন , বন্ধুরা কেন সব ঘটনা চেপে গেল সেটাই তাঁদের কাছে রহস্য জনক লাগছে । তাই ঘটনার বিষয়ে তিনি পুলিশের কাছে আভিযোগ জানানোর দিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান।

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১
রাজ্য

Maldah Child death: মালদা মেডিক্যাল কলেজে আরও ২ শিশুর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

বুধ এবং বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং শুকনো কাশির সমস্যা নিয়ে তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। মৃতদের মধ্যে একজনের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের রাজমহলে। অন্যজন মালদহের ভুতনি এলাকার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। চিকিৎসার তেমন সুযোগ মেলেনি বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। এই নিয়ে গত তিন দিনে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৫ শিশুর মৃত্যু হল। এই মুহূর্তে ওই হাসপাতালে আরও ১৭৮ জন শিশু সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসাধীন। আরও পড়ুনঃ সকালের আলো ফুটতেই কেঁপে উঠল সিচুয়ান প্রদেশবুধবার রাতে দুজন এবং বৃহস্পতিবার সকালে একজন শিশু মারা গিয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। মৃত তিন শিশুই সদ্যজাত ছিল। কারও বয়স ৭ বছর, কারও বয়স ৫ বছর। তাদের শুকনো কাশি ও শ্বাসকষ্টও ছিল। শিশুদের এই জ্বরের চিকিৎসা করতে ইতিমধ্যে তৎপর হয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ কতৃপক্ষ। শিশুদের জ্বর মোকাবিলার জন্য ইতিমধ্যেই পাঁচ বিশেষজ্ঞের কমিটি গঠন করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। বিশেষজ্ঞরা শুক্রবার উত্তরবঙ্গে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। শিশুমৃত্যু নিয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগের প্রধান সুষমা সাউ বলেছেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় এই হাসপাতালে মোট পাঁচ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দুজন করে এবং শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এক জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী শিশুদের চিকিৎসা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
রাজ্য

Teacher Hanged: ঘরের দরজা ভেঙে শিক্ষিকার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার

দরজা বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল শিক্ষিকার ঝুলন্ত মৃতদেহ। মৃতার নাম সুনন্দা বন্দ্যোপাধ্যায়। মধ্য বয়স্ক শিক্ষিকার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরের প্রফেসার কলোনিতে। বুধবার রাতে কালনা থানার পুলিশ শিক্ষিকার বাড়ির একটি ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য কালনা মহকুমা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। কালনা থানার পুলিশ শিক্ষিকার মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুনন্দা বন্দ্যোপাধ্যায় কালনার একটি মাদ্রাসা স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। তাঁর স্বামী কয়েক বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন। দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া মৃতার ছেলে সম্ভ্রম বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানায়, সে পড়াশোনা গাফিলতি করায় গত মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর মা রেগে যায়। মায়ের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। তার পরেই তাঁর মা ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। সম্ভ্রম বলেন ,এই ঘটনার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তাঁর ঘরের দরজা খুলে আর বাইরে হয় না। তাঁর মা কোন সাড়া শব্দও দিচ্ছিল না। এই ভাবে মঙ্গলবার রাত পেরিয়ে যাবার পর বুধবার সাকালে ফের দরজা ধাক্কাধাক্কি করও সম্ভ্রম তাঁর মায়ের সাড়া পায়নি। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে সম্ভ্রম কলকাতায় তাঁর মামার বাড়িতে গিয়ে পুরো ঘটনা মামাদের খুলে বলে। বুধবার রাতে মামাদের সঙ্গে নিয়ে সম্ভ্রম কালনা থানায় গিয়ে পুলিশকে ঘটনার কথা জানায়। কালনা থানার পুলিশ দরজা ভেঙে ঘরের মধ্যে ঢুকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সুনন্দাদেবীর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায়। প্রাথমিক ভাবে এটি একটি আত্মহত্যায় ঘটনা বলেই পুলিশের অনুমান। তবে পাড়া প্রতিবেশীকে কিছু না জানিয়ে সম্ভ্রম কেন কলকাতায় মামার বাড়িতে গেল তাঁদেরকে ঘটনার কথা জানালো সেই বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Sara Harding : প্রয়াত মার্কিন গায়িকা সারা হার্ডিং

ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত মার্কিন গায়িকা সারা হার্ডিং। বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৯ বছর। তাঁর মা ম্যারি ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করে এই দুঃসংবাদটা জানান। লেখেন,খুবই দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি আমার সুন্দরী কন্যা সারা আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। অনেকেই জানেন যে সারা ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছিল এবং শেষ দিনের চিকিৎসা পর্যন্ত ও লড়াই চালিয়ে যায়। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।১৯৮১ সালের ১৭ নভেম্বর বার্কশায়ারে জন্মগ্রহণ করেন সারা। পরে ম্যাঞ্চেস্টারের স্টকপোর্টে স্থানান্তরিত হন তিনি। সারার মৃত্যুতে পপস্টারঃ দ্য রাইভালস এর বিচারক জেরি হরনার টুইট করে লেখেন,শান্তিতে ঘুমাও সারা হার্ডিং। টিভির সঞ্চালক ডেভিনা ম্যাকল টুইট করে লেখেন,এই খবরটা পেয়ে খুবই দুঃখিত। তাঁর পরিবার ও বন্ধুদের জন্য রইল অনেক ভালোবাসা। তাঁর প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড ক্যালাম বেস্ট লেখেন,তোমাকে আমি মিস করবো। তোমার মায়ের জন্য অনেক ভালোবাসা রইল। জেএলএসের সঙ্গীতশিল্পী অরিটস উইলিয়ামস জানান,আমাদের যখন দেখা হল খুবই ভালো অভিজ্ঞতা ছিল। খুব ভালো একজন ব্যক্তিত্ব।

সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২১
রাজ্য

Mysterious Death : পিকনিক করতে গিয়ে রহস্য মৃত্যু যুবকের, আটক তিন বন্ধু

বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিকে গিয়ে রহস্যজনক মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতর নাম সৌরভ অধিকারী(১৯)। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার কোলে মল্লিকাপুর গ্রামে তাঁর বাড়ি। তিনি বন্ধুদের সঙ্গে বৃহস্পতিবায় মেমারির নুদিপুরে পিকনিক করতে যান। এদিন হগলীর বৈঁচির সেচখাল থেকে উদ্ধার হয় সৌরভের মৃতদেহ। সৌরভকে পরিকল্পনা করে প্রাণে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছেন তাঁর পরিবার। এদিনই যুবকের মৃত দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। মেমারি থানার পুলিশ যুবকের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে তাঁর তিন বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবক সৌরভ বৃহস্পতিবার তাঁর চার বন্ধুর সঙ্গে পিকনিক করতে বেরহয়। পিকনিক করার জন্য ওইদিন তাঁরা মেমারির নুদিপুরে ডিভিসির সেচ ক্যানেলের লকগেট সংলগ্ন এলাকায় যায়। তার পর থেকে রাত অবধি সৌরভের আর কোন খোঁজ পাননা তাঁর পরিবার। সৌরভের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার কারণ নিয়ে তাঁর পরিবারকে বন্ধুরা নানারকম কথা বলে বলে অভিযোগ। তা নিয়েই তৈরি হয় রহস্য। যুবকের হদিশ পেতে তাঁর পরিবার রাতেই মেমারি থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। এদিন সকাল থেকে মেমারি থানার পুলিশের উপস্থিতিতে ডুবুরি নামিয়ে নুদিপুরে সেচ খালে শুরু হয় তল্লাশি। তারই মধ্যে বেলায় হুগলির পাণ্ডুয়া থানার অন্তর্গত বৈচির সেচ খালের লকগেটের কাছে এক যুবকের মৃতদেহ ভাসতে থাকার খবর আসে পুলিশের কাছে। মেমারি থানার পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে যুবকের পরিবার বৈঁচি পৌছে দেখেন সেখানকার ক্যানেলের জলে সৌরভের মৃতদেহ ভাসছে। এর পরেই সৌরভের পরিবার অভিযোগ করে সৌরভকে পরিকল্পনা করে প্রাণে মারা হয়েছে। সৌরভের মৃত্যুর জন্য তাঁর আত্মীয় মিলন আধিকারী সৌরভের বন্ধুদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য মেমারি থানার পুলিশ সৌরভের তিন বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।পুলিশ যদিও জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলেই যুবকের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তার ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Siddharth: সিদ্ধার্থের মৃত্যুর পর ভালো নেই শেহনাজ, সানা

একটা মৃত্যু। আর সেটাই যেন তছনছ করে দিয়েছে শেহনাজ গিলের জীবন। সিদ্ধার্থ শুক্লার আকস্মিক প্রয়াণের খবর পাওয়ার পর যাবতীয় শুট বন্ধ করেছেন তিনি। পরিবার সূত্র মারফত এমনটাই জানা গেছে। একদম ভেঙে পড়েছেন একেবারেই, জানিয়েছেন শেহনাজের বাবা। এক সূত্র মারফত্ এও জানা গেছে বুধবার রাতে সিদ্ধার্থের পরিবারের সঙ্গেই তাঁর বাড়িতেও ছিলেন শেহনাজ। এরকমটা যে হতে পারে কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি।এক সংবাদমাধ্যম শেহনাজের বাবা সন্তোখ সিং সুখের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কথা বলার মতো অবস্থাতেই একেবারেই নেই। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। তিনি জানান শেহনাজের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। একেবারেই ভাল নেই শেহনাজ। ইতিমধ্যেই শেহনাজের দাদা শেহবাজ মুম্বই আসছেন। দুঃসময়ে বোনকে আগলে রাখতেই তাড়াতাড়ি ফিরে আসছেন তিনি। অভিনেত্রীর বাবা জানিয়েছেন, তিনিও খুব শীঘ্রই মুম্বই আসবেন।এদিকে সিদ্ধার্থের আরও এক বন্ধু সানা খানও কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। অন্য এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। গুগলে বহুবার খবরটা রি-চেক করেছি। ভগবান ওঁর পরিবারকে শক্তি দিন। ও এত ভাল একজন মানুষ ছিল। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না।

সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Siddharth Shukla : প্রয়াত সিদ্ধার্থ শুক্লা, শোকস্তব্ধ বলিউড

ভেঙে গেল সিডনাজের জুটি। বন্ধুত্বের বাঁধন আলগা করে দিয়ে মাত্র ৪০ বছর বয়সেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন ভারতীয় ছোটপর্দার অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক সিদ্ধার্থ শুক্লা। যে সম্পর্ক ধীর গতিতে এগিয়ে চলেছিল বিয়ের মণ্ডপের দিকে, তার স্মৃতি আপাতত শেহনাজ গিলের হৃদয়ে কাঁটা হয়ে থাকবে। তেমনই, মুম্বইয়ের কুপার হসপিটালের স্টাফদের কাছেও মর্মান্তিক হয়ে থাকবে অভিনেতার মৃত্যু। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া বলিউড ইন্ডাস্ট্রি জুড়ে। অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন এই খবরটা। যখন অভিনেতাকে কুপার হসপিটালে নিয়ে আসা হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর, ততক্ষণে তিনি প্রয়াত, তাঁর চিকিত্সার সেই অর্থে কোনও সুযোগই পাননি কুপার হসপিটালের স্টাফরা, বরং বেদনার ভার বুকে নিয়ে পরিবার এবং প্রিয়জনের কাছে উচ্চারণ করতে হয়েছে অপ্রিয় সত্য! অথচ, হসপিটাল স্টাফদের অনিঃশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েই স্তব্ধ হয়েছে সিদ্ধার্থের ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে। সিদ্ধার্থের এই সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলের এই পোস্ট হসপিটাল স্টাফদের উদ্দেশে নিবেদিত। পোস্টের সঙ্গে যে ছবি রয়েছে, সেখানে লাল জামায় হাস্যময় অভিনেতা যেন বলতে চাইছেন- আমায় ভুলো না! সেই সঙ্গে তাঁর হাতে যে প্ল্যাকার্ড রয়েছে, তার লেখাও বার্তা দিচ্ছে না ভুলে যাওয়ার-ই! প্ল্যাকার্ডে লেখা আছে- The Heroes We Owe, তার ঠিক নিচেই এক বহমান হৃদরেখা।

সেপ্টেম্বর ০২, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Buddhadeb Guha : প্রয়াত বিশিষ্ট সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ

করোনায় আক্রান্ত হন। তারপর দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। শেষপর্যন্ত সবকিছুর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন আমাদের প্রিয় সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ। রবিবার রাত ১১.২৫ মিনিটে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।চলতি বছর এপ্রিলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বুদ্ধদেব গুহ। দীর্ঘ হাসপাতালে থাকার পর সুস্থ হয়ে ফিরেছিলেন। চলতি মাসে শুরুতে ফের দেখা দেয় শারীরিক জটিলতা। শ্বাসনালি ও মুত্রথলিতে সংক্রমণ নিয়ে গত ৪ অগাস্ট তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। চার চিকিত্সকের বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চলছিল চিকিত্সা। তবে চিকিত্সায় তেমন সাড়া দিচ্ছিলেন না তিনি। স্থানান্তর করা হয়েছিল আইসিইউতে। রবিবার রাতে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।আরও পড়ুনঃ আমার প্রথম প্রেমিক, আমার নন্দলালা১৯৩৬ সালের ২৯ জুন কলকাতায় জন্ম বুদ্ধদেব গুহর। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের এই প্রাক্তণীর পেশাদার জীবন শুরু হয়েছিল চার্টার্ড অ্যাউন্ট্যান্ট হিসাবে। তাঁর প্রথম উপন্যাস জঙ্গলমহল। তাঁর অসংখ্য উপন্যাস বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। ১৯৭৭ সালে আনন্দ পুরস্কারে সম্মানিত হন তিনি। তাঁর সৃষ্ট ঋজুদার মতো চরিত্র কিশোর-কিশোরীদের মনে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে।

আগস্ট ৩০, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Shirshendu Mukhopadhyay : প্রয়াত শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী

প্রয়াত বিশিষ্ট সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী সোনামন মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার যোধপুর পার্কে নিজের বাড়িতেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বহু বছর ধরে ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল আরও নানারকম শারীরিক সমস্যাও। জানা গেছে,শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাত্ই শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে তাঁর। সেইসময় বাড়িতেই ছিলেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় সহ তাঁর পরিবারের আর বাকি সদস্যরাও। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার দ্রুত তোরজোড় শুরু হয়ে যায়। এই সামান্য সময়ের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গেছে, কেওড়াতলা মহাশ্মশানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিশিষ্ট সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের সহধর্মিণী সোনামন মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ রাতে কলকাতায় প্রয়াত হন। মৃত্যুকালে আশি- উত্তীর্ণা, সাহিত্য-অনুরাগিণী ও সাহিত্যব্রতী সোনামন মুখোপাধ্যায় সাহিত্যের রসাস্বাদনে পারঙ্গম ছিলেন। তিনি নিজেও সাহিত্যের আসরে স্বকীয় স্বাক্ষর রেখেছেন। এক সময় শিক্ষকতা ও সংগীতচর্চার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। আমার সঙ্গে তাঁর মধুর সম্পর্ক ছিল। তাঁর প্রয়াণ শিল্প ও সংস্কৃতি জগতে এক বিশেষ ক্ষতি। আমি শীর্ষেন্দুদাসহ সোনামন মুখোপাধ্যায়ের আত্মীয়-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।

আগস্ট ২৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Hakim Death : ভারতীয় ফুটবল জগৎ থেকে খসে পড়ল আরও এক অলিম্পিয়ান

করোনা কালে ভারতীয় ফুটবল হারিয়েছে চুনী গোস্বামী, পিকে ব্যানার্জিদের মতো কিংবদন্তীদের। এবার আরও এক তারা খসে পড়ল ভারতীয় ফুটবল থেকে। মারা গেলেন ভারতের ফুটবল অলিম্পিয়ান তথা প্রাক্তন জাতীয় কোচ সৈয়দ শাহিদ হাকিম। রবিবার কর্ণাটকের গুলবার্গার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২। হাকিম সাবএর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ দেশের ফুটবল মহল।আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি খুনের ঘটনায় এবার সিআইডি জালে লিঙ্কম্যানদীর্ঘদিন ধরেই বয়সজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন সৈয়দ শাহিদ হাকিম। সম্প্রতি তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাঁকে গুলবার্গার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ভারতীয় ফুটবলের এই কিংবদন্তী। স্ত্রী ও দুই কন্যাকে রেখে গেলেন দেশের প্রাক্তন অলিম্পিয়ান ফুটবলার।আরও পড়ুনঃ বড় ঘোষণা নির্মলা সীতারামনের১৯৬০ সালের রোম অলিম্পিকে ভারতীয় ফুটবল দলের হয়ে তিনি প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। বাবা আব্দুল রহিম ছিলেন বিখ্যাত কোচ। যিনি রহিম সাহেব নামে বেশি পরিচিত ছিলেন। যাঁর কোচিংয়ে চুনী গোস্বামী, পিকে ব্যানার্জি, তুলসীদাস বলরাম, জার্নেল সিংরা খেলেছিলেন। সার্ভিসেসের হয়ে ১৯৬০ সালের সন্তোষ ট্রফি জিতেছিলেন হাকিম সাব। শুধু ফুটবলার হিসেবেই নয়, রেফারি হিসেবেও শাহিদ হাকিম যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছিলেন। ফিফা প্যানেলভূক্ত প্রাক্তন রেফারি হিসেবে তিনি ১৯৮৮ সালের এএফসি কাপের একাধিক ম্যাচ পরিচালনাও করেছিলেন।আরও পড়ুনঃ কলকাতার পাশেই ছুটি কাটানোর দারুন সুযোগ, সুন্দরবনের পথে অপরূপ সৌন্দর্যের হাতছানিকোচ হিসেবেও শাহিদ হাকিম নজর কেড়েছিলেন। ১৯৮২ সালের এশিয়ান গেমসে ভারতীয় ফুটবল দলের সহকারি কোচ ছিলেন। মারডেকা কাপে দেশের ফুটবল দলের হেড কোচের দায়িত্বও পালন করেছিলেন। তাঁরই প্রশিক্ষণে ১৯৮৮১৯৮৯ মরসুমের ডুরান্ড কাপ জিতেছিল মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রা ফুটবল ক্লাব। ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়েছিল। সালগাঁওকর, হিন্দুস্তান এফসির মতো ক্লাবকেও কোচিং করিয়েছেন সৈয়দ শাহিদ হাকিম। ২০০৪২০০৫ মরসুমে বেঙ্গল মুম্বই এফসিকেও তিনি কোচিং করিয়েছিলেন। ফুটবল প্রশিক্ষক হিসেবে সেটিই ছিল তাঁর শেষ কাজ।আরও পড়ুনঃ বর্ধমান আদালতের লক্লার্ককে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবি, গ্রেপ্তার অপহরণকারীফুটবল ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার জন্য ২০১৭ সালে সৈয়দ শাহিদ হাকিমকে মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কারে (তৎকালীন রাজীব গান্ধী খেলরত্ন) ভূষিত করেছিল ভারত সরকার। ভারতীয় বায়ুসেনার প্রাক্তন স্কোয়াড্রন লিডার হাকিম সাব স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার রিজিওনাল ডিরেক্টর পদের দায়িত্ব সামলেছেন। ২০১৭ সালে ভারতে হওয়া অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবাল বিশ্বকাপের প্রোজেক্ট ডিরেক্টরের ভূমিকায় তাঁকে শেষবার স্বমহিমায় দেখা গিয়েছিল। সৈয়দ শাহিদ হাকিমের প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করেছে এআইএফএফ, ভারতীয় ফুটবল দল, সাই সহ ফুটবল জগতের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য রথীমহারথীরা। প্রয়াত সৈয়দ হাকিমের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন এআইএফএফ সচিব কুশল দাস।

আগস্ট ২২, ২০২১
রাজ্য

Monkey: দুর্ঘটনায় মৃত্যু পবননন্দন হনুমানের শেষকৃত্য সম্পন্ন হল রাজকীয় মর্যাদায়

রামচন্দ্রের একনিষ্ঠ ভক্ত হনুমানকে একজন দেবতা হিসাবেই মানেন হিন্দুরা। রামায়নের বর্ণনা অনুয়ায়ী হিন্দুদের কাছে হনুমান পবননন্দন হিসাবে পূজনীয়। এহেন হুনুমানের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হওয়ায় যারপরনাই ব্যাথিত হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের মাঝেরগ্রাম এলাকার হিন্দু ধর্মপ্রাণ মানুষজন। তাঁরা দেবতা হনুমানের শেষকৃত্যেও তাই কোন খামতি রাখলেন না। রীতিমতো খোল করতাল বাজিয়ে হরিনাম সহযোগে ভাগীরথীর ঘাটে তাঁরা সম্পন্ন করলেন পবননন্দন হনুমানের শেষকৃত্য।ভক্তিভাবের এখানেই শেষ নয়। ধর্মীয় উপাচার মেনে হনুমানের পরলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করবেন বলে গ্রামের বাসিন্দা ঝাঁপু তরি পরিধান করেছেন সাদা কাপড়ের কাছা। মাজের গ্রামের বাসিন্দারের হনুমানের প্রতি এমন ভক্তিভাব সাড়া ফেলে দিয়েছে হনুমান ভক্ত মহলে।আরও পড়ুনঃ ফাঁকা পড়ে থাকা ভারতীয় দূতাবাসে কী খুঁজছে তালিবান?মন্তেশ্বরের মাঝেরগ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাঁদের গ্রামে হামেশাই হনুমানের আগমন ঘটে। গ্রামের যেখানে যা পায় তা খেয়ে হনুমানেরা অন্যত্র চলেও যায়। বৃহস্পতিবার বিকালে একটি হনুমান মালডাঙ্গা- মেমারির রোড ধরে স্থানীয় পুরগুনা মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। ওই সময়ে একটি লরি হনুমানটিকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই হনুমানটিআরও পড়ুনঃ তালিবানি আতঙ্কের মাঝেই কেঁপে উঠল আফগানিস্তানমারা যায়। হনুমানটির এমন মর্মান্তিক মৃত্যু প্রত্যক্ষ করে মাঝের গ্রামের বাসিন্দারা ব্যাথিত হন। এলাকার যুবক চিরঞ্জিত রায়, রাজু হাজরা, কৌশিক মাঝি প্রমুখরা সড়কপথ থেকে হনুমানটিকে উদ্ধার করে মাঝের গ্রাম বাজারে নিয়ে যান। তাঁরাই হনুমানের মৃত্যুর কথা জানায় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান সুমন্ত রায়কে। এরপর উপ-প্রধান সহ গ্রামের সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা রাজকীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করবেন পবননন্দন হনুমানের শেষকৃত্য। সেই অনুযায়ী এদিন হনুমানটির শরীরের উপরে গেরুয়া কাপড় চড়িয়ে দিয়ে তার উপর ফুল ও মালা সাজিয়ে দেওয়া হয়। এরপর সুগন্ধী ধূপ জ্বেলে খোল-করতাল বাজিয়ে হরিনাম সংকীর্তন সহযোগে হনুমানের মৃতদেহ কাঁধে চাপিয়ে নিয়ে চলে গ্রাম প্রদক্ষিন। এরপর গ্রামবাসীরা কালনার ধাত্রীগ্রামে ভাগীরথীর ঘাটে হনুমানের শেষকত্য সম্পন্ন করেন। দেবতা পবননন্দনের পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করবেন বলে মাঝেরগ্রামের বাসিন্দা ঝাঁপু তুরি ভাগীরথীতে স্নান সেরে কাছাও পরিধান করছেন।আরও পড়ুনঃ টাকা চুরি করে নয়, চটি পড়ে দেশ ছেড়েছি, মুখ খুললেন আসরাফবাড়ি ফিরে ঝাঁপু তুরি বলেন, আমরা হিন্দুরা হনুমানকে প্রভু রামচন্দ্রের বিশ্বস্ত সহযোগী এক দেবতা হিসাবেই মানি। সেই শ্রদ্ধা রেখেই আমরা হনুমানের পরলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করলাম। উপপ্রধান সুমন্ত রায় বলেন, এদিন হনুমানটির শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনে হনুমানটির পারলৌকিক ক্রিয়া ধুমধাম করে করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আগস্ট ২০, ২০২১
রাজ্য

Mystery Death: দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীর বাড়িতে রহস্য মৃত্যু বধূর

দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীর বাড়িতে রহস্যজনক মৃত্যু হল এক বধূর। মৃতার নাম লীলা আগরওয়াল(৪৪)।ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার মাহাতা গ্রামে। ভাতারের মাহাতা গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন লীলা আগরওয়াল ও তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায় । বুধবার সকালে সেই ভাড়া বাড়ি থেকেই গৃহবধূ লীলার মৃতদেহ উদ্ধার করে ভাতার থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য এদিনই বধূর মৃতদেহ পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ মর্গে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে পুলিশ বধূ মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।আরও পড়ুনঃ এএফসি কাপে প্রথম পর্বের বাধা টপকাতে পারবেন? কী বলছেন হাবাসপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লীলা আগরওয়ালের প্রথম পক্ষের স্বামীর বাড়ি বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের মিশন কম্পাউণ্ড এলাকায়। তাঁর প্রথম পক্ষের স্বামী রাজু আগরওয়ালের সেখানে একটি সাইকেল মেরামতির দোকান রয়েছে। লীলার এক ছেলে ও এক মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক। ছেলে আকাশ বোলপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী। মেয়ে প্রীতি আগরওয়াল বিবাহিতা। প্রীতি জানিয়েছেন, তাঁর মা বর্ধমান শহরে সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। বিবাহিত সুদীপ্তবাবু ওষুধ সাপ্লাইয়ের ব্যবসা করেন। ওই সময়েই তাঁর মা লীলাদেবীর সঙ্গে সুদীপ্ত বাবুর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারপর দেড় বছর হল লীলাদেবী পাকাপাকিভাবে সুদীপ্তবাবুর কাছেই রয়ে যান। সুদীপ্তবাবুর এই কীর্তিকলাপ মেনে নিতে না পেরে তাঁর স্ত্রী সুদীপ্তবাবুর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। এরপর থেকে সুদীপ্তবাবু ভাতারের মাহাতা গ্রামে বাড়ি ভাড়া করে সেখানে লীলাদেবীকে নিয়ে থাকতেন । প্রীতি আগরওয়াল বলেন, এদিন সকালে ওই ভাড়া বাড়ি থেকেই পুলিশ তাঁর মা লীলাদেবীর মৃতদেহ উদ্ধার করে।আরও পড়ুনঃ অশান্ত আফগানিস্তানের জন্য শান্তির আবেদন ক্রিকেটার রশিদ খানেরমৃতার ছেলে আকাশ আগরওয়াল দাবি করেন, আমার মায়ের গলায় দাগ রয়েছে। তা দেখে আমার মনে হচ্ছে শ্বাসরোধ করেই মাকে মারা হয়েছে। তাই মৃত্যুর তদন্ত দাবি করেছে। যদিও সুদীপ্তবাবু এদিন দাবি করেন, আমি ব্যবসার কাজে মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাই। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে লীলাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। ভাতার থানার পুলিশ অবশ্য সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে , ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলেই মহিলার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে । তার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আগস্ট ১১, ২০২১
রাজ্য

Mysterious Death: বর্ধমানে জুনিয়র ডাক্তারের রহস্য মৃত্যু, খুনের অভিযোগ তুললেন বাবা

রহস্যজনক মৃত্যু হলো বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক জুনিয়র ডাক্তারের। মৃতের নাম শেখ মোবারক হোসেন (২৩)। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার নাদনঘাট থানার সাহাজাদপুরে। তিনি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জরি বিভাগের হাউস স্টাফ ছিলেন।আরও পড়ুনঃ দেশে বেড়ে গিয়েছে ভিখারির সংখ্যা, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্টমোবারক বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর বয়েজ হোস্টেলে থাকতেন। বুধবার ভোর রাত আড়াইটে নাগাদ হোস্টেলের অন্য আবাসিক ডাক্তাররা হঠাৎই উপর থেকে ভারি কিছু পড়ার শব্দ পান। তখনই তাঁরা বাইরে বেরিয়ে দেখেন নীচে ডাক্তার মোবারক হোসেন রক্তাক্ত অবস্থায় উবুর হয়ে পড়ে রয়েছে। এমন ঘটনা দেখেই হোস্টেলের অন্য জুনিয়র আবাসিক চিকিৎসকরা সিনিয়ারদের খবর দেয়। সিনিয়ার ডাক্তাররা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছান। মোবারক হোসেনকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।আরও পড়ুনঃ শর্তসাপেক্ষে খুলছে বেলুড় মঠচিকিৎসকের এমন মৃত্যুর কারণ দুর্ঘটনা নাকি আত্মহত্যা? নাকি ঘটনার পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে! তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ডিএসপি (হেড কোয়ার্টার) সৌভিক পাত্র ও বর্ধমান থানার আই সি সুখময় চক্রবর্তী এদিন ঘটনাস্থলে তদন্তে যান। তাঁরা ঘটনাস্থলে সবিস্তার খতিয়ে দেখেন। এদিনই চিকিৎসকের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ মর্গে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর কারণ অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে করছেন পুলিশ কর্তারা। তাঁরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন।আরও পড়ুনঃ ত্রিপুরা-কাণ্ডের জের, অভিষেক-সহ ৫ নেতার বিরুদ্ধে এফআইআরমৃত চিকিৎসকের বাবা শেখ হাফিজুল ইসলাম যদিও তাঁর ছেলের মৃত্যু আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা বলে মানতে চাননি। তাঁর অভিযোগ, তাঁর ছেলে মোবারক হোসেনকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। এই বিষয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপ্যাল সুহৃতা পাল বলেন,চিকিৎসক শেখ মোবারক হোসেনের মৃত্যুর ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার কথা পুলিশকে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে ফরেন্সিক টিম এনে তদন্ত করা হবে ।

আগস্ট ১১, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Covid : করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত বলিউড অভিনেত্রী

চারিদিকে একের পর এক দুঃসংবাদ। মৃত্যুর খবর। করোনা যেভাবে গ্রাস করেছে তা সত্যিই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার করোনার শিকার হলেন এক বলিউড অভিনেত্রী।মাত্র ৩৫ বছর বয়সেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন মলয়ালাম অভিনেত্রী সারন্যা শশী। দীর্ঘদিন ১০ বছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই চলছিল তার। সপ্তাহ খানেক আগেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। কিন্তু বাড়ি ফিরে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। নেমে যায় দেহের সোডিয়ামের মাত্রা। এরপরই তাঁকে ভর্তি করা হয় বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই সোমবার দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মোট ১১টি অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, ক্যানসারের কারনে আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাঁকে, তবে সে ক্ষেত্রে পাশে পেয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির একাধিক সহকর্মীকে।আরও পড়ুনঃ অক্ষয় কুমারের স্টান্ট ভয় পান তাঁর স্ত্রী ট্যুইঙ্কল খন্নামলয়ালাম ইন্ডাস্ট্রিতে ছোট পর্দার অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ ছিলেন সারন্যা। মান্থারকোডি, সীতা সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। বম্বে, থালাপাভুসহ বেশ কিছু আঞ্চলিক ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন ইন্ডস্ট্রির অনেকেই।

আগস্ট ১০, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Anupam Shyam : প্রয়াত বলিউড অভিনেতা অনুপম শ্যাম

করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের দেশের অবস্থা একদমই ভালো নয়। রোজ মারা যাচ্ছেন অনেক মানুষ। তবে তাদের পাশাপাশি অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত মানুষদেরও মৃত্যুর খবর আমাদের ব্যথিত করছে। এবার প্রয়াত বিখ্যাত অভিনেতা অনুপম শ্যাম। খলনায়কের চরিত্রেই দর্শকদের মন জয় করেছিলেন তিনি। রবিবার রাত আটটা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে অনুপম শ্যাম। তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৬৩ বছর। রবিবার রাত আটটা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে অনুপম শ্যাম। তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৬৩ বছর।আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী যুবক গ্রেফতার ভাতারে, তদন্তে পুলিশদীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ অবস্থাতেই মনের জোরকে পুঁজি করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে এবার হার মানল শরীর। মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে দেহের একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হওয়ায় মৃত্যু হয় তাঁর। অনুপম শ্যামের মৃত্যুতে বিনোদুনিয়ায় নেমেছে শোকের ছায়া।আরও পড়ুনঃ কোহলিদের সিরিজে এগিয়ে যাওয়া আটকে দিল বৃষ্টিপরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন অনুপম শ্যাম। ডায়ালিসিসও চলছিল তাঁর। গত বছর অনুপম শ্যাম নিজেই জানিয়েছিলেন, শুটিং শেষ করে হাসপাতালে ডায়ালিসিস করাতে যান তিনি। তবে বিপুল খরচ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন খোদ অভিনেতা এবং তাঁর পরিজনেরা। এই পরিস্থিতিতেই সপ্তাহখানেক আগে বেশ আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে ভরতি হন অনুপম শ্যাম। চলছিল ডায়ালিসিস। সোনু সুদ বিষয়টি জানতে পারেন। পাশে দাঁড়ান অভিনেতার। বুধবার টুইটারে সোনু সুদ নিজেই জানান তিনি অনুপমের পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছেন। মুম্বইয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদেরও অভিনেতার পরিবারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। তারপরেও বাঁচানো গেল না অভিনেতাকে।

আগস্ট ০৯, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Rabindranath Tagore : কবিগুরুর প্রয়াণে আবক্ষ মূর্তি

আজ ২২ শে শ্রাবণ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮০তম প্রয়াণ দিবস। বাঙালির জীবনে আবেগের আপর নাম রবীন্দ্রনাথ।কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে তার আবক্ষ মূর্তি বসানোর উদ্যোগ নিল মাথাভাঙ্গা নিউটাউন ক্লাব। রবিবার বিকেলে ক্লাব প্রাঙ্গনে কবিগুরুর আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়। এর পাশাপাশি ক্লাবের পক্ষ থেকে এইদিন স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে আজ ওই রক্তদান শিবিরে প্রায় ১০০ জন রক্তদান করেছেন। এই রক্তদান শিবির কর্মসূচির সূচনা করেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ চন্দ্র অধিকারী। তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়, মাথাভাঙ্গা পৌরসভার প্রশাসক লক্ষপতি প্রামাণিক, চন্দন দাস, অরুনাভ গুহ, শাবলু বর্মন সহ অন্যান্যরা।আরও পড়ুনঃ এই শ্রাবণে...তোমার জন্যেএই উদ্যোগটা সত্যিই খুব ভালো। এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে ক্লাবের সম্পাদক অনুপ কুমার সাহা বলেন, কোচবিহার জেলার প্রায় সমস্ত ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত সংকট দেখা দিয়েছে। তাই আমরা রক্তদান শিবির কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণ করলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়ান দিবস উপলক্ষে। আজ কবির সেই প্রয়াণ দিবসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি আবক্ষ মূর্তি বসালাম ক্লাব প্রাঙ্গনে।

আগস্ট ০৮, ২০২১
রাজ্য

Lightning: পূর্ব বর্ধমানে বজ্রপাতে মৃত ৩, জখম ৭

বজ্রপাতে একই দিনে পূর্ব বর্ধমানে মৃত্যু হল তিন খেত মজুরের। জখম হয়েছেন আরও সাত জন। মৃতরা হলেন বনমালি ধারা (৬০) ও শুকুরমনি সরেন (২২) ও কালিরাম হাঁসদা (৩৫)। শনিবার বজ্রপাতে এই মৃত্যুর ঘটনাগুলি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বিল্বগ্রামে, রায়না ২ ব্লকে দিঘুরা ও মেমারির কাশিয়াড়া গ্রামে। মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসনের কর্তারা।আরও পড়ুনঃ টোকিওতে সোনা জিতে ইতিহাস গড়লেন পোস্টার বয় নীরজ চোপড়াপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আউশগ্রামের বিল্বগ্রাম নিবাসী বনমালি ধারা সহ রবি বাগদি, মমতা বাগদি, মঞ্জু বাগদি, জ্যোৎস্না বাগদি, শেফালি বাগদি প্রমুখরা একসঙ্গে স্থানীয় মাঠে ধান বোনার কাজ করছিলেন। ওই সময়ে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়। মাঠে বাজ পড়লে সেখানেই বনমালি ধারার মৃত্যু হয়। জখম হন বাকি পাঁচ খেত মজুর ।জখমদের সকলকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।আরও পড়ুনঃ বাবাকে দেওয়া কথা রেখে ব্রোঞ্জ জিতলেন বজরং পুনিয়াবজ্রপাতে অপর মৃত শুকুরমনি সরেনের বাড়ি বর্ধমান ২ ব্লকের বড়শুলে। জেলার জামালপুর ব্লকের শম্ভুপুর গ্রামে শুকুরমনির বাপের বাড়ি। খেত মজুরির কাজ করার জন্য তিনি রায়না ২ ব্লকে আরুই পঞ্চায়েতের নিলুট গ্রামে দিদির বাড়ি গিয়েছিলেন। এদিন দুপুরে শুকুরমনিসহ ওই এলাকার বাসিন্দা মণিকা মাণ্ডি, মানসী হেমব্রম স্থানীয় দিঘুরা গ্রামের মাঠে কাজ করছিলেন। এলাকার যুবক শেখ নজু জানান, দুপুরে হঠাৎই বজ্রবিদ্যুৎ সহ প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়। বজ্রপাতে মাঠেই মারা যান শুকুরমনি সরেন। জখম হন মণিকা মাণ্ডি, মানসী হেমব্রম। তাঁদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। একই সময়ে মেমারির সাহানগর গ্রাম নিবাসী কালিরাম হাঁসদা মেমারির কাশিয়াড়া গ্রামে রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করার সময়ে বজ্রপাতে মারা যান।

আগস্ট ০৭, ২০২১
রাজ্য

সাঁতরে খড়ি নদি পেরিয়ে জমিতে যেতে গিয়ে তলিয়ে গেলেন প্রৌঢ়

সাঁতরে ভরা খড়ি নদি পেরিয়ে চাষের জমিতে যাওয়ার সময়ে তলিয়ে গেলেন এক প্রৌঢ় চাষি। তাঁর নাম সাহাদাত মোল্লা (৭০)। পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের শুশুনিয়া পঞ্চায়েতের ভোজপুর গ্রামে তার বাড়ি। এই খবর পেয়ে পুলিশ ও ব্লক বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দপ্তরের কর্তাদের পাশাপাশি এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ঘটনাস্থলে পৌছান। তারই মধ্যে কালনা থেকে ডুবুরির দল এসে নদিতে নেমে সাহাদাত মোল্লার খোঁজ চালানো শুরু করে। যদিও এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তার হদিশ মেলেনি। এই অবস্থায় চরম উৎকন্ঠায় রয়েছেন চাষি সাহাদাত মোল্লার পরিবার।আরও পড়ুনঃ এবার দলের কর্মীদের দিয়ে পায়ে জুতো গলিয়ে বিতর্কে বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়কপলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্তেশ্বরের খড়ি নদির পারেই রয়েছে ভোজপুরের বাসিন্দা সাহাদাত মোল্লার কৃষি জমি। বছরের অন্যান্য সময়ে নদিতে তেমন জল থাকে না বলে এলাকার আর পাঁচটা চাষির মতো তিনি তখন হেঁটে নদি পেরিয়ে জমিতে যেতেন। তবে বিগত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জলে খড়ি নদিতে এখন কানায় কানায় জল । সহাদাত এদিন সকালে ভরা নদী সাঁতরে জমিতে যেতে গিয়ে তলিয়ে যান। ঘটনা প্রত্যক্ষ করে এলাকার কয়েকজন নদীর জলে নেমে তাঁর খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু খোঁজ পান না। পরে ডুরিরা নদির জলে সন্ধান চালিয়েও তাঁর হদিশ পায়নি। প্রৌঢ় চাষির পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।

আগস্ট ০৬, ২০২১
রাজ্য

Accident: একই দিনে পৃথক ৪টি পথ দুর্ঘটনায় মৃত ২, জখম ১২

একই দিনে পৃথক চারটি পথ দূর্ঘটনায় মৃত্যু হল ১ বাইক আরোহীর সহ ২ জনের। জখম হয়েছেন ১২ জন। সোমবার দুর্ঘটনাগুলি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার, মঙ্গলকোট ও মন্তেশ্বরে. যা নিয়ে সারাদিন হিমসিম খেতে হয় পুলিশ কর্মীদের। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি গুলি আটক করে পুলিশ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।আরও পড়ুনঃ ৪১ বছরের শাপমোচনের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন মনপ্রীতরাপুলিশ জানিয়েছে, মৃত বাইক আরোহীর নাম প্রণব সাধু(৪৫) । তাঁর বাড়ি মঙ্গলকোট থানার নতুনহাট গ্রামে। এদিন বেলা ১১টা নাগাদ প্রণব সাধু বাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁর পিছনে বসেছিলেন বাবু থান্ডার নামে এক ব্যক্তি। বাদশাহী রোড ধরে তিনি বাইক চালিয় যাওয়ার সময়ে দাসগর গ্রামের কাছে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি লরির সঙ্গে বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাইক চালক প্রণব সাধুর। গুরুতর জখম হন বাইকের পিছনে বসে থাকা বাবু থান্ডার। দুর্ঘটনার পরেই লরি ছেড়ে পালায় চালক। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাঁকে উদ্ধার করে মঙ্গলকোট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনার পর এলাকার ক্ষিপ্ত বাসিন্দারা বাদশাহী রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ বাসিন্দাদের বুঝিয়ে সড়কপথ অবরোধ মুক্ত করে।আরও পড়ুনঃ একনজরে টোকিও অলিম্পিক ভিলেজের অন্দরমহলএকই দিনে ভাতার ও মঙ্গলকোটের দুটি যাত্রীবাহী বাস দূর্ঘটনার কবলে পড়ে। প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে ভাতার থানার আলিনগর চৌমাথার কাছে। বাসটি বাদশাহী রোড ধরে নতুনহাট থেকে বর্ধমানের দিকে যাচ্ছিল। আলিনগর মসজিদতলার কাছে আসতেই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে নেমে যায়। তার জেরে ২ মহিলা সহ মোট ৫ জন বাসযাত্রী আহত হন।খবর পেয়ে ভাতার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আহত বাস যাত্রীদের উদ্ধার করে ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।আরও পড়ুনঃ পেগাসাস স্পাইওয়্যার! ভাবের ঘরে চুরি? আপনি কতটা সুরক্ষিত? আক্রান্ত কারা?অপর দিকে এদিন সকাল ৮ টা নাগাদ দ্বিতীয় বাস দূর্ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলকোটের মাহার্তুবা বাস স্ট্যান্ডের কাছে। জঙ্গিপুর-কলকাতা রুটের একটি যাত্রিবাহী বাস বাদশাহী রোড ধরে দ্রুতগতীতে যাওয়ার সময়ে সামনে থাকা ডাম্পারের পেছনে সজোরে ধাক্কা মারে। এই দূর্ঘটনায় বাসের চালক সহ কেবিনে বসে থাকা ৫ যাত্রী আহত হন। মঙ্গলকোট থানার পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে মঙ্গলকোট ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এই দুর্ঘটনা গুলি ছাড়াও এদিন দুপুরে মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রামের ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় আরও একটি দুর্ঘটনা ঘটে। রড় বোঝাই একটি লরি বর্ধমানের দিক থেকে কুসুমগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। ওই সময়ে সড়ক পথে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্র্যাক্টরে ধাক্কা মেরে লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে নয়ানজুলিতে গিয়ে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় লরির ভিতরে থাকা একজনের মৃত্যু হয় এবং একজন আহত হন। দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ট্র্যাক্টর সহ তার চালককে আটক করেছে।

আগস্ট ০২, ২০২১
রাজ্য

গলসিতে জাতীয় সড়কে বেপরোয়া গতির বলি ৩, জখম ১

জাতীয় সড়কে ফের ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এবার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন তিন মহিলা খেতমজুর। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও এক মহিলা খেতমজুর।বৃহস্পতিবার ভোরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে। মৃতদের নাম শিউলি লোহার(২৮), গায়ত্রী বাগ(৫০) ও জবা বাগ (২৮)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বছর ৩৫ বয়সী রুমা লোহার। মৃতদের মধ্যে শিউলির বাড়ি উত্তর গলসিতে। বাকি মৃত ও জখম মহিলার বাড়ি গলসির বাবলা গ্রামের লোহার পাড়ায় বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ঘাতক গাড়ির খোঁজ শুরু করেছে।আরও পড়ুনঃ আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল ভারতপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খেত মজুরির কাজে যাওয়ার জন্য এদিন ভোর ৫ টা নাগাদ এই চার মহিলা তাঁদের বাড়ি থেকে বের হন। ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধার দিয়ে হেঁটে তাঁরা গলসি থেকে স্থানীয় গলিগ্রামে মাঠে কাজে করতে যাচ্ছিলেন। ওই সময় গলসি ও গলিগ্রামের মাঝামাঝি জায়গায় পিছন থেকে আসা দুর্গাপুর মুখী একটি বেপরোয়া গতির গাড়ি তাঁদের পিষে দিয়ে চলে যায়।ঘটনাস্থলেই তিন মহিলা খেতমজুর শিউলি লোহার, গায়ত্রী বাগ ও জবা বাগের মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় সড়ক পথে পড়ে থাকেন অপর মহিলা খেত মজুর রুমা লোহার। খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে রুমা লোহারকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এলাকার বাসিন্দা সুবল লোহার বলেন, গলসিতে জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। এদিন জাতীয় সড়কে বেপরোয়া গতির বলি হতে হল তাঁদের এলাকার তিন মহিলা খেত মজুরকে। গাড়ির চালক ঘুমিয়ে পড়াতেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। পুলিশ ঘাতক গাড়িটির সন্ধান চালাচ্ছে।

জুলাই ২৯, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • 13
  • 14
  • 15
  • 16
  • 17
  • 18
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

লালগোলা রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রথযাত্রা, রাস্তায় মানুষের ঢল

সীমন্তের গঞ্জ শহর লালগোলা রাজবাড়ির রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার মানুষের বড় উন্মাদনা। ফলে রাজবাড়ির রথের রশি টানতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন সাধারন মানুষ থেকে ভক্তগন। নিয়ম মেনে রাজবাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে পুজাপাঠের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথ বাজারে মাসির বাড়ি পৌঁছয় জগন্নাথ দেব। সেই সঙ্গে রাজ বাড়ির রথকে ঘিরে বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস পরিনত হল সম্প্রীতির মহোৎসবে। রাজপরিবার সুত্রে জানা যায়, পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে তৈরি করান লালগোলার মহারাজা মহেশ নারায়ণ রায়। অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে জানা যায়। লালগোলা রাজ পরিবারের কূল দেবতা দধিমানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয়। রথের দিন তাঁকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়, সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি। রথ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে। সাকার্স রথমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। শিশু কিশোরদের জন্য বসে হরেক কিসিমের নাগরদোলা। মহিলাদর জন্য সংসারের টুকিটাকি থেকে আধুনিক রেস্তোরাঁ। যেখানে পাওয়া যায় ভিন রাজ্যের খাবারের হরেক পদ। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অজয় ঘোষ বলেন , লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে। ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন।রথের কদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি লালগোলাতে ফেরেন বিবাহিত মহিলারা। এখানেই লালগোলার রথের বিশেষ মাহাত্ম্য। এদিকে রথের দঁড়িতে টান দিতে অন্যান্যদের সঙ্গে সমবেত হন সারজামান শেখ, সাহিল শেখ, ফিরোজ হোসেনদের মতো অনেকেই। তাদের দাবি, রাজ বাড়ির রথের সঙ্গে এলাকার মানুষের শেকড়ের সম্পর্ক। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে থেকেও বড় হয়ে ওঠে ভাবের আদান প্রদান,সম্প্রদায়ের মেল বন্ধন। তাছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় সব মানুষ মেতে ওঠেন সমান ভাবে। লালগোলা রাজবাড়ির রথের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথ কে ঘিরে জেলার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। নশিপুর রাজবাড়ির রথের ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। রথের মেলায় রকমারি ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যায়। ফলে গাছ প্রেমী মানুষের আকর্ষণ রয়েছে নশিপুর রাজবাড়ি মেলার প্রতি।

জুন ২৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতার 'ল কলেজে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ, গ্রেফতার ৩, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

কসবা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র নেতা মনজিৎ মিশ্র সহ অন্যান্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্ত জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখার্জি। মনজিৎ মিশ্র ওই ল কলেজের প্রাক্তনী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিল এবং বাকি দুজন সেখানকার পড়ুয়া। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো হয় ২৫ জুন, বুধবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষিতার মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিও রেকর্ডিং করে ভয় দেখায় অভিযোগকারীরা। পরবর্তীতে ধর্ষিতা যাতে অভিযোগ না জানান, তার জন্যও নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় এবং অভিযোগের এফআইআর কপিতে অভিযুক্তদের নাম দেওয়ার বদলে তাদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অভিযোগ লেখা হয়। এমন ঘটনা বোধহয় কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ঘটা সম্ভব। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। বিজেপির দাবি, কসবার গণধর্ষণের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা নয়, এটি অভয়া ধর্ষণ কান্ডের পর এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার আবারও এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে ছোটখাটো বলে উপেক্ষা করেন, যা রাজ্যে এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাঁর এই মনোভাব পুলিশ প্রশাসনকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে অপরাধীরা নির্ভয়ে এই ধরনের কাজ করে। রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কলকাতার মতো শহরে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কার্যালয় রয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ বোধ করবে?২০২৪ সালে আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। রাজ্য সভাপতি সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আরজি করের ঘটনায়ও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। এখনও তিনি একই ভুল করছেন।পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখায়, যার ফলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ অপরাধীদের ধরা, কিন্তু তারা শাসক দলের নেতাদের সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত।এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বারবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয় ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী । মনোজ ভার্মা থেকে শুরু করে বিনীত গোয়েল এবং বাকি সব পুলিশ দিঘায় রয়েছে । পুরো কলকাতা পুলিশকে নিয়ে চলে গিয়েছে ওখানে। দিঘায় তো লোকই হয়নি৷ তাই জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। বিজেপি এই বিষয়টা নিয়ে লড়বে। খুব বড় পদক্ষেপ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সরকারকে উচিত শাস্তি দেওয়া উচিত।এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পা ৷ তিনি বলেন, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। অভয়ার ঘটনার পরে দশ মাসও কাটেনি আজকে আরেক অভয়া বোনের গণধর্ষণ হয়ে গেল। এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার।এদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ল কলেজের ঘটনাকে ঘৃণ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্তরা কেউ তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসিপির নেতৃত্বে নেই। দলের সঙ্গে এখন তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আর অভিযুক্তদের সঙ্গে নেতাদের ছবি প্রসঙ্গে তৃমূলের দাবি, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহু অপরাধীদের ছবি দেখা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

রথযাত্রা ও জিলিপি বাংলার সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ

রথ দেখতে গিয়ে কলা না বেচলেও জিলিপি খাননা এরকম মানুষ মেলা ভার। রথযাত্রা ও জিলিপির সম্পর্কটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়, রথযাত্রা মানেই একটি উৎসব, আর এই উৎসবের অনিবার্য অংশ হচ্ছে জিলিপি।কেন রথযাত্রায় জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ?ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: জিলিপি একটি বহু পুরনো ও জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ভোগ ও প্রসাদে মিষ্টির ব্যবহার প্রচলিত, এবং জিলিপি তার মধ্যে একটি প্রধান আইটেম।উৎসবের আনন্দে শামিল হওয়া: রথযাত্রার দিন সকালে বা রথ টানার পর জিলিপি খাওয়ার প্রথা বহু জায়গায় প্রচলিত। এটি যেন রথের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।জাগন্নাথদেবের ভোগ: ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের জন্য যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়, তাতে নানা রকমের মিষ্টির মধ্যে জিলিপির মতো মিষ্টিও থাকে (যদিও সেখানে জিলিপিকে স্থানীয়ভাবে অন্য নামে ডাকা হতে পারে)।লোকাচার ও বাজার সংস্কৃতি: বাংলার বিভিন্ন মেলাতে যেমন রথের মেলা হয়, সেখানে জিলিপি ও অন্যান্য মিষ্টি খাবার বিক্রি হয় ব্যাপকভাবে। এটি এক ধরনের লোকাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে রথ মানেই জিলিপি!রথ ও জিলিপির সম্পর্ক হলো উৎসব, ভক্তি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। রথ টানার পর একগাদা গরম জিলিপি খাওয়ার আনন্দ বাঙালির হৃদয়ে বিশেষভাবে গেঁথে আছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal