• ৫ পৌষ ১৪৩২, মঙ্গলবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Burdwan

রাজ্য

টোটোচালকদের রাস্তা অবরোধ, বিধায়কের বিরুদ্ধে স্লোগান, ধুন্ধুমার বর্ধমানে

বর্ধমানের স্টেশনের সামনে টোটো চালকদের পথ অবরোধ। তাঁদের দাবি না মানলে টোটো চলাচল বন্ধ থাকবে। টোটো চলাচল না করায় সমস্যায় পড়েছে নিত্যযাত্রী থেকে রোগীরা। ঘটনাস্থলে বর্ধমান থানার আইসি এবং ডিএসপি হেডকোয়ার্টার। তৃণমূলের পতাকা নিয়ে বিধায়ক খোকন দাসের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন টোটোচালকরা। দাবি না মিটলে লাগাতার অবরোধ করা হবে বলে তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন।পৌরসভার পক্ষ থেকে টোটো চালকদের রুট ভাগ করার প্রতিবাদে পথে নেমেছেন বর্ধমানের টোটো চালকরা। চার পাঁচ দিন আগে শহরে টাউন সার্ভিস বাস ছাড়া অন্য কোন বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। দক্ষিণ দামোদর এলাকার বাস শহরে না ঢোকায় এমনিতেই সাধারণ মানুষ নাজেহাল হচ্ছে। তার উপর সোমবার সকাল থেকে শহরে টোটো চলাচল না করায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে অফিস কর্মী ঘেকে স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের। যাতায়াতের জন্য পযাপ্ত যানবাহন না পেয়ে নাজেহাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। টোটো চালকের দাবী, প্রশাসন তাদের জন্য সিফট ভাগ করে দিয়েছে। কিন্তু এখন রুট ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তারা রুট ভাগ মানবেন না। এই দাবীতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় টোটো চালকরা বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন।

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২
রাজ্য

অজয়ের বাঁধে ফাটল, আতঙ্কে দিন কাটছে আউশগ্রামের সাঁতলা, বুধরা, ধুকুরার বাসিন্দাদের

পূর্ববর্ধমানের আউশগ্রামের সাঁতলা, বুধরা, ধুকুর গ্রামসহ একাধিক জায়গায় অজয়নদের বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। পুজোর মুখে গ্রামবাসীরা তাই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, গতবছর বুধরা গ্রামের কাছে নদীর বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছিল গোটা এলাকা। সেই স্মৃতি উসকে দিয়ে ফের বাঁধ ভাঙ্গার আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা। আউশগ্রমের সাঁতলা, বুধরা, ধুকুর প্রভৃতি গ্রামের কাছে অন্তত ৬ টি জায়গায় বাঁধের ওপর ফাটল দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির জল ঢুকে ওইসব গর্ত আরও বাড়ছে। অজয়নদের গায়েই আউশগ্রামের ভেদিয়া অঞ্চলের সাঁতলা, বুধরা, ও ধুকুর প্রভৃতি গ্রামগুলি। নদীর বাঁধের কোলে জনবসতি। বাঁধ ভাঙলে পুরো জনবসতি প্লাবিত হয়ে যায়। একবছর আগে অজয়নদের প্লাবনে বুধরা গ্রামের কাছে প্রায় ১০০ ফুট বাঁধ ভেঙ্গেছিল। অসংখ্য ঘরবাড়ি তখন নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। তারপর সেচদফতর থেকে ওই অংশ মেরামত করা হয়। স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বালি ও মাটির বস্তা দিয়ে ভেঙে যাওয়া অংশ মেরামত করা হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজ ঠিকঠাক হয়নি। বাঁধের উপরের অংশে মাটি ঠিকঠাক দেওয়া হয়নি। তাই মেরামত করার পরেও বাঁধের ওপর বড়বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় ক্রমাগত বৃষ্টিতে বাঁধের ফাটল আরও বেড়ে গিয়েছে।

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২
রাজ্য

শতাধিক পাখি সহ দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করলো পুলিশ

ডাউন দানাপুর এক্সপ্রেসে প্রচুর সংখ্যায় টিয়াপাখি পাচার হচ্ছে এই খবর ছিল বনদপ্তরের কাছে। বনদপ্তরের বর্ধমান রেঞ্জ অফিসার কাজল বিশ্বাসের নেতৃত্বে নসদস্যের একটি দল ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ বর্ধমান স্টেশনে পৌঁছায়। শনিবার ভোর পাঁচটায় ট্রেনটি বর্ধমান স্টেশনে দাঁড়ালে দুই ব্যক্তি ব্যাগ সহ ট্রেন থেকে নামে। টিয়া পাখিগুলি ব্যাগের ভিতরে রাখা ছিল। তারা ট্রেন থেকে নামতেই পাকড়াও করে বনদপ্তরের কর্মীরা। ধৃত দুই পাচারকারীর নাম মহম্মদ আয়ুব ও ইব্রাহিম সেখ। তাদের বাড়ি বর্ধমান শহরের দুবরাজদিঘী আলুডাঙ্গা এলাকায়। টিয়াপাখিগুলি দানাপুর থেকে বর্ধমানে বিক্রির উদ্দ্যেশ্যে আনা হয়েছিল বলে বনদপ্তরের প্রাথমিক অনুমান। ধৃত দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে শনিবার আদালতে পেশ করা হয়। উদ্ধার হওয়া ১৮২ টি টিয়াপাখি বনদপ্তর নিজেদের হেফাজতে রেখেছে। আদালতের নির্দেশ এলে পাখিগুলির শারীরিক পরীক্ষা করে প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে স্কুল ছাত্রের রহস্য মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য

বর্ধমানে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের ইংরাজি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রের রহস্য মৃত্যু ঘিরে শুক্রবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃত ছাত্রের নাম সৌমেন মুর্মু (২০)। সকালে হস্টেলের নীচ থেকে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।এই হস্টেলের আবাসিক ছিলো সৌমেন মুর্মু। আজ সকালে সে হস্টেলে আসে। আসার কিছুক্ষণ পরই তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হস্টেলের নীচে পরে থাকতে দেখা যায়। তার মাথায় ও চোখে রুমাল জড়ানো ছিলো বলে জানিয়েছেন হস্টেলের আবাসিক ও স্থানীয়রা। কি ভাবে তার মৃত্যু হল খতিয়ে দেখছে বর্ধমান থানার পুলিশ।সৌমেন পূর্ব-বর্ধমান জেলার মেমারি থানার পাল্লা রোডের কাছে সাহাপুর গ্রামের বাড়ি। তার বাবা মুনু মুর্মু। ঘটনার ঘটার কিছু পরেই বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী অকুস্থলে পৌছে যান। তাঁর তত্বাবধানে চদন্ত চলছে।

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২
রাজ্য

সোমবার থেকে লাগাতার আন্দোলনে অচলাবস্থা বর্ধমানের ডেন্টাল কলেজে

আজও অচলাবস্থা বর্ধমানের ডেন্টাল কলেজে। গত সোমবার থেকে লাগাতার আন্দোলনে নেমেছেন ওই কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাদের দাবি; হোস্টেলের কাজ শুরু না হওয়া পর্যন্ত তারা অনড় থাকবেন এদিকে তাদের বিরুদ্ধে সিনিয়র ডাক্তারদের আটকে রাখার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তারা। বর্ধমানের ডেন্টাল কলেজের ছাত্ররা আন্দোলনে নেমেছেন আজ চারদিন। তাদের দাবি; এই হাসপাতালে অবিলম্বে হোস্টেল চাই তাদের জন্য। রীতিমতো শ্লোগান দিয়ে তারা ধরণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ওই ডেন্টাল কলেজ ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও এই কলেজের কোনোও হোস্টেল নেই। নতুন নতুন নার্সিং থেকে মেডিকেল কলেজ সবার হোস্টেল আছে।শুধু তাদের নেই। তাদের আরো বক্তব্য হোস্টেল না থাকায় তাদের বাইরের মেস বা পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকতে হচ্ছে। জুনিয়র ডাক্তার বা ছাত্র হিসেবে এই সুযোগ তাদের প্রাপ্য। যদি কোনো ব্যবস্থা না হয় তারা বড় আন্দোলনে নামবেন। তাদের কথায়; তারা জেলা এবং রাজ্যস্তরে জানিয়েছেন।কোনো ফল হয় নি তাতে। তাদের দাবি; আউটডোর সহ রোগীর পরিষেবা সব চালু রেখেছেন তারা।অভিযোগ উঠেছে তারা কলেজে স্যারদের আটকে রাখছেন। তারা জানান; ১০ টা থেকে ৪ টে ডিউটি না করে কেউ ২ টোয় চলে গেলে সেটা তারা মানবেন না। আন্দোলনকারী শিবকুমার বিশ্বাস ও সৃঞ্জনা কর্মকার জানিয়েছেন ; হোস্টেলের কাজ শুরু হলেই তারা থামবেন।শুধু মুখের কথায় কাজ হবে না।

সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২
রাজ্য

আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ পক্রিয়া অবিলম্বে শুরু করার দাবীতে ডেপুটেশন

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন-আদালত-গ্রেফতার তার সাথে কোটি কোটি কালো টাকা উদ্ধার দেখতে দেখতে রাজ্যের মানুষ ক্লান্ত অবসন্ন। তার মাঝেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো আপার প্রাইমারী চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন। বুধবার বর্ধমান শহরে বঞ্চিত আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থীরা বর্ধমান ইউনিট জেলা প্রাইমারির সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে ডেপুটেশন প্রদান করেন।তাদের দাবি, ২০১৪ তে নোটিফিকেশন জারি হয় এবং ২০১৫ তে পরীক্ষা হয়। এই পরীক্ষার ফলাফল বের হয় ২০১৬ তে, সেই লিস্টের ভিত্তিতে ইন্টারভিউ হয়। সেই ইন্টারভিউ প্যানেল ২০১৯-এর ডিসেম্বর মাসে হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের বেঞ্চে বাতিল হয়। তাদের আরও অভিযোগ পরবর্তীকালে আবার প্যানেল ঘোষণা করা হয়, তাতে দেখা যায় যাঁরা কম নাম্বার পেয়েছিল তাঁদের নাম উঠেছে যোগ্য পার্থিদের নাম বাদ দিয়ে, পিছনে থাকা প্রার্থীদের নাম ঢোকানো হয়। তারা এই সভা থেকে দাবি তোলেন গত আট বছরের সমস্ত সিট আপডেট করে পুর্বতন ইন্টারভিউ লিস্টকে মান্যতা দিয়ে সমস্ত শূন্য পদে আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থী নিয়োগ করতে হবে।

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২
রাজ্য

সিপিএমের আইন অমান্য কর্মসুচীতে গ্রেফতার ৩১ জনের শর্তাধীন জামিন মঞ্জুর সিজেএম আদালতের

আইন অমান্য কর্মসূচি চলাকালীন বর্ধমান শহরের কার্জন গেটে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক খোকন দাসের অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও কয়েকজন কর্মীকে মারধরের ঘটনায় ধৃত সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাষ রায়চৌধুরি, এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায়চৌধুরি সহ ৩১ জনের শর্তাধীন জামিন মঞ্জুর করল সিজেএম আদালত।ধৃতদের মঙ্গলবার বর্ধমান সংশোধনাগার থেকে আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের হয়ে বামপন্থী আইনজীবী সংগঠনের সদস্যরা সহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী জামিনের সওয়াল করেন। সরকারি আইনজীবী অবশ্য জামিনের বিরোধিতা করেন। দুপক্ষের সওয়াল শুনে সপ্তাহে ২দিন তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা, অনুমতি ছাড়া আদালতের এলাকা না ছাড়া, শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার শর্তে ধৃতদের জামিন মঞ্জুর করেন সিজেএম চন্দা হাসমত। শর্ত লঙ্ঘন করলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সিআরপিসির ৪৩৭(৫) ধারা অনুযায়ী জামিন বাতিলের প্রক্রিয়া কার্যকর করা হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম।উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট সিপিএমের আইন অমান্য কর্মসূচি চলাকালীন কার্জন গেট চত্বরে ব্যাপক গণ্ডগোল হয়। পুলিসের উপর হামলা চালানো হয়। পুলিসের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। কার্জন গেটে বিধায়কের অফিসেও ভাঙচুর করা হয়। তৃণমূলের কয়েকজন কর্মীকে মারধর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিস লাঠি চার্জ করে। তাতে কাজ না হওয়ায় কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়। এমনকি জলকামান ব্যবহার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিস ৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে আরও ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার বিষয়ে বর্ধমান থানার আইসির অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু হয়। বিধায়কের অফিসে ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় তৃণমূল নেতা শেখ নুরুল আলম অভিযোগ দায়ের করেন। এনিয়ে পৃথক একটি মামলা রুজু হয়। পুলিসের দায়ের করা মামলায় আগেই ধৃতদের জামিন মেলে। সিপিএম অবশ্য ঘটনার জন্য পুলিসকে দায়ী করেছে। পুলিসই দলের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালায় বলে সিপিএমের পাল্টা অভিযোগ।

সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমান শহরের সৌন্দার্যায়নে আঘাত হানার প্রতিবাদে বিদ্বজনেদের অবস্থান বিক্ষোভ

৩১ শে আগষ্ট সিপিআইএমের ডাকে আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে যে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে। সেদিন রণংদেহী জনতাকে বাগে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোঁড়ে। পরিস্থিতি বাগে আনতে লাঠিচার্জ করতে হয়। পুলিসের অভিযোগ সিপিএম সমর্থকদের ছোঁড়া ইঁটে ঘায়েল হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। জনতা-পুলিসের খন্ডযুদ্ধ বাধে। কার্জনগেটের নতুন সাজসজ্জা ভাঙচুর করা হয়। বিশ্ববাংলা গ্লোব উপড়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। কার্জন গেটের অদুরে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে।পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন বেশ কিছু বাম কর্মী-সমর্থক। জানা যায় বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস সেদিন পুরস্কার নিতে শহরের বাইরে ছিলেন। সোমবার ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে মেঘলা আবহাওয়ায় বিকেলে বিধায়ক সমর্থকদের এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয় কার্জন গেট চত্তরে। সেখানে শিক্ষক, অধ্যাপক, চিকিৎসক, উকিল, লেখক ও শিল্পী সহ বিদ্বদজনেরা অংশ নেন। মঞ্চের পাশে রাখা একটি সাদা বড় ক্যনভাসের ওপর সাক্ষর সংগ্রহ করা হয় সভায় উপস্থিত মানুষজনের কাছে।

সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২
স্বাস্থ্য

হোস্টেলের দাবীতে আন্দোলনে বর্ধমান ডেন্টাল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা

বর্ধমানের ডেন্টাল কলেজের ছাত্ররা আন্দোলনে নেমেছেন। তারা দাবি তোলেন, ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালে অবিলম্বে হোস্টেল চাই তাদের জন্য। রীতিমতো শ্লোগান দিয়ে তারা ধরণা চালিয়ে যাচ্ছেন।২০০৯ এ বর্ধমান ডেন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও এই কলেজে এখনও পর্যন্ত কোনোও হোস্টেল নেই। নতুন নতুন নার্সিং থেকে মেডিকেল কলেজ সবার হোস্টেল আছে।শুধু তাঁদেরই নেই।তাদের আরো বক্তব্য হোস্টেল না থাকায় তাদের বাইরের মেস বা পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকতে হচ্ছে। জুনিয়র ডাক্তার বা ছাত্র হিসেবে এই সুযোগ তাদের প্রাপ্য। যদি কোনো ব্যবস্থা না হয় তারা আরও বড় আন্দোলনে নামবেন।তাদের কথায়, তারা জেলা এবং রাজ্যস্তরে জানিয়েছেন। কোনো ফল হয় নি তাতে। আজ থেকে তারা আন্দোলন শুরু করলেন। তবে আউটডোর সহ রোগীর পরিষেবা সব চালু রেখেছেন তারা।

সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২
রাজনীতি

বর্ধমানে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান

আজ বর্ধমান জেলা কার্যালয়ে বাঘার ১নং অঞ্চলের মাহিনগর গ্ৰামের সাতজন তৃণমূল সহ অন্য দলের সৎ, আদর্শবান, সশক্ত কর্মী ভারতীয় জনতা পার্টির বিচার ধারায় উদ্ভুত হয়ে এবং তৃণমুল নেতামন্ত্রীদের দূর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে স্ব-ইচ্ছায় ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করার আগ্রহ প্রকাশ করলে, জেলা পদাধিকারী ও মন্ডল সভাপতির উপস্থিতিতে তাঁদের সকলকে বিজেপির পতাকা ধরিয়ে এবং উত্তেরীয় দিয়ে বরণ করে নিলেন মাননীয় জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা মহাশয়।

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে যাত্রীবাহী বাস

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাল্টি খেয়ে নয়ানজুলিতে পড়ে গেল যাত্রীবাহী বাস। বৃহস্পতিবার বিকেলে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ায়দিঘী থানার ভিটা রাইপুর এলাকায়। দুর্ঘটনায় বাসের প্রায় ১৫ জন যাত্রী কমবেশি আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দশ জনকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। বাকিদের কুড়মুন প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা করা হয়। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন বিকেল ৪টা নাগাদ বর্ধমানের দিক থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস করিমপুর যাচ্ছিল। দ্রুত গতিতে যাবার সময় রাস্তায় একটি মোটর সাইকেলকে বাঁচাতে গিয়ে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। সঙ্গে সঙ্গে পাল্টি খেয়ে রাস্তার পাশের নয়ানজুলিতে পড়ে যায় বাসটি। আচমকা এই দুর্ঘটনায় বাসের একাধিক যাত্রী জখম হয়েছেন বলে খবর। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২২
রাজ্য

জোরকদমে প্রতিমা তৈরির কাজ চললেও কোভিডের যাঁতাকলে আটকে মৃৎশিল্পীরা

অতি মহামারী কোভিড শিথিল হলেও তার প্রভাব এখনো ছত্রে ছত্রে রয়ে গেছে। গত দুবছর লকডাউন ও কোভিডের যাঁতাকলে পড়ে দুর্গাপুজো বেশ ধাক্কা খেয়েছিল। কিন্তু এখনও সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি বর্ধমানের মৃৎশিল্পীরা। মৃৎশিল্পী পাপ্পু পাল বলেন, পুজোর জন্য দুর্গা প্রতিমার বায়না যে হচ্ছে না তা নয়, তবে প্রতিমার বাজেট বাড়াতে চাইছে না কেউই। আসলে মানুষের হাতে পয়সা নেই।পুজোর আর মাস খানেক হাতে আছে। শিল্পীরাও থেমে নেই। জোরকদমে শহরের পালপাড়া থেকে পার্কাস রোড কিংবা নীলপুরে মৃৎশিল্পীরা সৃষ্টিতে মগ্ন। আবহাওয়া এবার তেমন খারাপ না থাকায় মূর্তি বানানোর কাজে তেমন ব্যাঘাত ঘটছে না। গত কয়েক বছরে হুহু করে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে বাজারে।তার থেকে বাদ যায়নি মৃৎশিল্পীরাও। প্রতিমা তৈরির কাঁচামালের দাম বেড়েছে দেদার। মাটি থেকে খড় কিংবা বাঁশ থেকে দড়ি সবক্ষেত্রেই দাম উর্দ্ধমুখী। কিন্তু পুজো কমিটিগুলো বর্তমানে দাম বাড়ানোর বিরুদ্ধে।সাধারণত অগাষ্টের মধ্যেই বায়নাপত্র হয়ে যায়। কিন্তু এবছর যেন উল্টো চিত্র। অগাষ্ট মাসের শেষের দিকেও তেমন বায়নাপত্র হয়নি।

সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২২
রাজনীতি

বর্ধমানের বিজেপি জেলা কার্যালয়ের সামনে একটি ফ্লেক্স টাঙানো নিয়ে আলোড়ন পড়েছে

ফ্লেক্স লেখা আছে যে সব চাকরিপ্রার্থীরা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বা সরকারি আধিকারিকদের টাকা দিয়েও চাকরি পান নি। তারা জেলা সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশে তাদের বিজেপির দলীয় কার্যালয় যোগাযোগ করলে তারা দায়িত্ব নিয়ে টাকা ফেরত দিয়ে দেবে।সম্প্রতি বর্ধমানে দলীয় কর্মসূচিতে এসেছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বর্ধমানের বড়নীলপুর এলাকায় একটি পথসভা হয়। সেখানে তিনি বলেছিলেন, দলীয় কার্যালয়ের সামনে ব্যানার টাঙ্গিয়ে দিন, যারা টাকা দিয়েও চাকরি পাননি তারা জেলা কার্যালয়ে যোগাযোগ করুক। তাদের নাম গোপন রাখা হবে। সেই সমস্ত তৃণমূল নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করে সেই টাকা তাদের ফিরিয়ে দিতে দেওয়া হবে। এই দায়িত্ব নিতে হবে।এ প্রসঙ্গে জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র জানিয়েছেন জেলা সভাপতি নির্দেশেই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানিয়েছেন, কারোর এই ধরনের সমস্যা হলে তারা তো প্রশাসনের কাছে যাবে, পুলিশের কাছে যাবে, বিজেপি অফিসে যাবে কেন।

সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২২
রাজনীতি

বর্ধমানে বামেদের আইন অমান্য কর্মসূচি গণ্ডগোলে আরও দুইজন গ্রেফতার

বর্ধমানে বামেদের আইন অমান্য কর্মসূচির ঘটনায় গ্রেফতার হল আরও দুজন। যার মধ্যে একজনের জামিন হলেও অপর জনের তিন দিনের পুলিশি হেভফাজত হয়েছে। পাশাপাশি ১ সেপ্টেম্বর চার দিনের জন্য পুলিশি হেফাজত পাওয়া ৭ জনের আবার তিন দিনের পুলিশি আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। গত ৩১ আগষ্ট বর্ধমানে বামেদের আইন অমান্য কর্মসূচির ঘটনায় পুলিশ ৪৬ জনকে গ্রেফতার করেছিল। ধৃতদের মধ্যে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায় চৌধুরী রয়েছে। এই ঘটনায় বাকি ৩৪ জনের ইতিমধ্যেই ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে রয়েছে।বুধবার বর্ধমানে বামেদের আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে এই ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। পুলিশের সাথে সিপিএম কর্মীদের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। ভাঙচুর করা হয় বিশ্ববাংলা লোগো লাগানো গ্লোব, রাস্তার দুই পাশে থাকা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবি লাগানো একাধিক গ্লোসাইন। ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়ি ও মোটর সাইকেলে। বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আন্দোলনকারীদের মারে আহত হয়। আন্দোলনকারীদের বাগে আনতে লাঠি চার্জ করে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করা হয়।

সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২২
রাজনীতি

রাজ্যের মন্ত্রীদের সামনেই সিপিএমকে ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি বর্ধমানের তৃণমূল বিধায়কের

বর্ধমানে তৃণমূলের সভা থেকে সিপিএমকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন বিধায়ক খোকন দাস। শনিবার বিকেলে বর্ধমানের কার্জনগেট চত্বরে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি, ইডি ও সিবিআইয়ের আগ্রাসী মনোভাব ও সিপিএমের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, প্রদীপ মজুমদার ও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।গত ৩১ আগষ্ট বামেদের আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে বর্ধমানের কার্জনগেট চত্বরে। সেখানে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করে বামকর্মী সমর্থকরা।এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি চলে। জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে বাম কর্মী সমর্থকদের সরাতে গেলে পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের চেহেরা নেয়। বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হয়। তারপর দুদিনে বর্ধমানের নীলপুর ও দেওয়ান দীঘি এলাকায় দুটি সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।এদিনের সভায় বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক খোকন দাস বলেন, আমাদের নেত্রী শান্তির প্রতীক। কলকাতা থেকে আমাদের নেতা অভিষেক ব্যানার্জী শান্ত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন, কোন গণ্ডগোল ও অশান্তি করতে মানা করেছেন। বাংলা অশান্তি চায় না। তা নাহলে বর্ধমান শহরের সিপিএমের সব পার্টি অফিস গুড়িয়ে দিতে পাঁচ মিনিট সময় লাগতো না। সিপিএম নতুন খেলা শুরু করেছে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম রাজ্যের যেখানে যাচ্ছেন সেখানে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছেন। ৩১ আগষ্ট জেল ভরো আন্দোলনের নামে বর্ধমানে ভাঙচুর করে সিপিএম। গোটা শহরে একটা ইটের টুকরো পাবেন না। কিন্তু সেদিন বস্তা বস্তা ইটের ঢিল ছোড়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের প্রকল্পগুলির ছবি কার্জনগেট চত্বরে টাঙানো হয়েছিল পৌরসভার পক্ষ থেকে। কিন্তু সিপিএম উন্নয়ন চায় না। ৩৪ বছরে রাজ্যে কোন উন্নয়ন করে নি।অন্যদিকে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, হাঁটা শুরু করলে সিপিএমকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। সিপিএমের আমলে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে বেছে বেছে সিপিএমের লোকেদের।

সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমান সানমার্গের কর্ণধার সৌম্যরূপ ভৌমিককে হন্যে হয়ে খুঁজছে সিবিআই, সংস্থার রেজিস্ট্রেশনের ঠিকানাতেও জালিয়াতির অভিযোগ

বর্ধমান সানমার্গের অফিস ছিল বর্ধমান শহরে। শহরের ঢলদীঘি মোড়ের উল্টো দিকে অফিস তৈরি করে বাজার থেকে টাকা তোলা শুরু করে এই চিটফাণ্ড সংস্থা। এই সংস্থার মালিক কোম্পানি রেজিষ্ট্রেশনের সময় বর্ধমান শহরের যে বাড়ির ঠিকানা দিয়েছিল সেই বাড়িতে ইতিমধ্যেই ইডির সমন এসেছিল বলে জানান স্থানীয়রা। সিবিআই তাকে অনেকদিন ধরেই খুঁজে বেড়াচ্ছে। কিন্তু তারা তার এখনও নাগাল পায়নি। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চিটফাণ্ড সংস্থার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা প্রণব চট্টোপাধ্যায়। বর্ধমান পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে প্রণব চট্টোপাধ্যায় নিযুক্ত হওয়ার পরই তাকে গত বছর ডিসেম্বর মাসে তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করে। কিন্তু তিনি চলতি বছরের অগাস্ট মাসে জামিন পেয়ে যান। সিবিআই সূত্র জানা গেছে, জামিন পেলেও তদন্ত থামেনি। প্রয়োজনে আবারও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। সৌম্যরূপ ভৌমিক বর্ধমান শহরের খক্কর সাহেব এলাকার যে বাড়ির ঠিকানা দিয়ে কোম্পানি রেজিষ্ট্রেশন করেছিলেন সেই বাড়ি তার কোনও দিনই ছিল না বলে জানান স্থানীয়রা। খক্কর সাহেব এলাকার সেই বাড়িতে গিয়ে জানা গেল, বাড়িটি তার খুড়তুতো ভাই অরূপ ভৌমিকের। বাড়িতে কেউ না থাকায় পরিবারের কারও সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে বাড়ির কেয়াটেকার জানান, সৌম্যরূপ এই বাড়ির কেউ নন। উনি অরূপ ভৌমিকের খুড়তুতো ভাই। ওনাকে এই বাড়িতে কখনও দেখেননি। এখন কোথায় তিনি আছেন তা-ও জানা নেই। স্থানীয়রা জানান দীর্ঘদিন এই পাড়াতে সৌম্যরূপকে দেখা যায়নি। এটা অরূপ ভৌমিকের বাড়ি। বর্ধমান সানমার্গের নামে আমানতকারীদের কাছ থেকে কোটি কোটি আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে সৌম্যরূপের বিরুদ্ধে। চিটফান্ডের তদন্তের সময় গা-ঢাকা দেয় সৌম্যরূপ। সেই টাকা কাদের কাছে গচ্ছিত রেখেছে ওই চিটফান্ড কর্তা তা তদন্ত করে দেখছে সিবিআই।এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা প্রণব চট্টোপাধ্যায় বলেন, হালিশহর পৌরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানীকে তিনি চেনেন না। তার স্ত্রী রেখা চট্টোপাধ্যায়ের নামে বিল্ডিং। সেই বিল্ডিং ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। তাঁকে মিথ্যা মামলায় সিবিআই ফাঁসায়। বর্ধমান সানমার্গের সঙ্গে তাঁর কোন সম্পর্ক নেই। তাঁর স্ত্রীর বিল্ডিং তিনি দেখভাল করেন। তার ব্যাঙ্কে ৫ কোটি লোন ছিল। এখন তা কমে সাড়ে তিন কোটি টাকা হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২২
রাজনীতি

বামেদের আন্দোলন নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বিজেপি জেলা সভাপতির, 'সিপেমূল'এর আন্দোলন বলে কটাক্ষ

গরুপাচার, কয়লা চুরির উপর থেকে নজর ঘোরাতেই তৃণমূল ও সিপিএম যৌথ ভাবে আইন অমান্য আন্দোলনের নামে ভাঙচুর করেছে। সিপিএমকে এগিয়ে দিয়ে পিছন থেকে মদত দিয়েছে তৃণমূল। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ তুললেন পূর্ব বর্ধমান সদর জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ তা। যেভাবে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর ও পুলিশকে আক্রমণ করা হয়েছে সে বিষয়েও কড়া ভাষায় নিন্দা করেন তিনি। এভাবে সিপিএমকে এগিয়ে দিয়ে বিজেপিকে রোখা যাবে না বলে জানান তিনি।অভিজিৎ তা বলেন, একটা গরীবের দল কর্জনগেট এলাকার গরীব ফল বিক্রেতাদের দোকানে আন্দোলনের নামে ফল লুট করেছে। তিনি বলেন, এটা কোনও আইন অমান্য কর্মসূচি নয়। এটা লুটতরাজের কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। আন্দোলনকারীদের আচরণ নিয়েও অভিজিৎ প্রশ্ন তুলেছেন। যেভাবে পুলিসকে তাড়া করে রাস্তায় ফেলে মারা হয়েছে, তাতে প্রশাসনকে অসহায় লেগেছে। তিনি বলেন, সেই বাম আমল থেকে এই সরকার অবধি পুলিস যে অসহায়, তা আরও একবার প্রমান হল বর্ধমানে।পূর্ব বর্ধমান সদর জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ তা পুলিসের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে বলেছেন, পুলিস আপনার আমার বাড়িরই কোনও সদস্য, তাঁদেরকে যেভাবে সিপিএম পিঠ ব্যগে করে ইঁট নিয়ে এসে ছুঁড়ে ছুঁড়ে মেরেছে, সেটা আন্দোলনের অংশ হতে পারে না।অভিজিৎ তা মিটিংয়ে আসার পরিবহণ ব্যবস্থা নিয়েও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে বললেন, যেকোনও রাজনৈতিক দলকেই সভা সমাবেশে যেতে গেলে গণপরিবহণের সাহায্য নিতে হয়। কিন্তু বিজেপির মিটিংয়ে কোনও পাবলিক বাস মালিকই বাস ভাড়া দিতে চান না। কারণ তাঁরা বিজেপিকে বাস ভাড়া দিলে সেই বাসমালিক ও তাঁর কর্মচারীদের নানা ভাবে হেনস্তার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তিনি বলেন, এইবারের মিটিংয়ে আসার জন্য বাস সংক্রান্ত কোনও সমস্যায়ই পড়তে হয়নি বামেদের। অভিজিৎ তা মনে করেন, তৃণমূলের একটা অংশ (বিক্ষুদ্ধও হতে পারে) পরোক্ষে এই মিটিংয়ে আসার জন্য বাসের ব্যাপারে তাঁদের সাহায্য করেছেন। তিনি এই আন্দোলনকে সিপেমূল-এর আন্দোলন বলে আখ্যা দিয়েছেন।

সেপ্টেম্বর ০২, ২০২২
রাজনীতি

বর্ধমানে সিপিএম পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, অভিযোগ অস্বীকার শাসকদলের

আবারও সিপিএম পার্টি অফিসে হামলার অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বর্ধমান শহরের নীলপুর এলাকায় ২ নম্বর এরিয়া সিপিএমের পার্টি অফিসে হামলা চালানো হয়। পার্টি অফিসের বাইরে শহীদ বেদীতেও ভাঙচুর করার পাশাপাশি অফিসার তালা ভেঙে অন্য তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় সিপিএম সমর্থকেরা। তাঁরা জানান, দুস্কৃতিরা জানালা, দরজা ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়।প্রসঙ্গত, বুধবার বামেদের আইন অমান্য অভিযানের রাতে হাটুদেওয়ান এলাকাতেও একটি সিপিএমের কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। জেলা সিপিএমের অভিযোগ ৩১শে আগষ্ট আইন অমান্য আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গন্ডগোলের সৃষ্টি হয়েছিল, তার পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস পরিকল্পিতভাবে আমাদের পার্টি অফিসে হামলা চালাচ্ছে।তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ নস্যাৎ করা হয়েছে। জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান, কোন পার্টি অফিসে হামলার ঘটনাই ঠিক নয়। তবে এর সাথে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন যোগ নেই। সিপিএম নিজেরাই এই কাজ করতে পারে। ৩১শে আগষ্ট সিপিএম তান্ডব চালিয়ে বিশ্ববাংলা লোগো থেকে শুরু করে বিধায়কের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। দলের নির্দেশে আমরা শান্ত আছি। এর সাথে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন যোগ নেই।

সেপ্টেম্বর ০২, ২০২২
রাজ্য

২ নম্বর জাতীয় সড়কে বর্ধমানে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ১ ব্যক্তির মৃত্যু

জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ১ ব্যক্তির মৃত্যু। বর্ধমানে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ১ জনের। দুর্ঘটনায় আহত হয় ১ জন। দুর্ঘটনার জেরে বেশ কয়েক ঘন্টা অবরুদ্ধ হয়ে পরে ২নং নম্বর জাতীয় সড়কের দুর্গাপুরগামী লেন।জাতীয় সড়কের লাকুর্ডি কোড়া পাড়া এলাকার দুর্ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার ভোরে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ অকুস্থলে পৌছয়। শুক্রবার ভোরে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের লাকুর্ডি কোড়াপাড়া এলাকায় পরপর দুর্ঘটনার কবলে পরে একটি ভলভো বাস, একটি ডাম্পার ও দুটি ট্রাক। দুর্ঘটনার জেরে ২ জনকে গুরুতরভাবে জখম অবস্থায় বর্ধমান ,মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ১ জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়,আহত আর ১ ব্যক্তি আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

সেপ্টেম্বর ০২, ২০২২
রাজনীতি

বুধবার বামেদের 'আইন অমান্য' কাণ্ডে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা প্রশাসন ও তৃণমূলের, ৩৪ জনের জেল হেপাজত

বুধবারের বামেদের আইন অমান্য কি ঘিরে যে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে যায় তাতে ৫০ জনের উপর বাম কর্মীকে সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বর্ধমান শহর সংলগ্ন বিভিন্ন থানায় রাতে পুলিস কাস্টডি করে রাখা হয়। আজ বৃহস্পতিবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক শারীরিক পরীক্ষা করে তাদের আদালতে পেশ করা হয়।বাম কর্মী সমর্থকদের হয়ে আদালতে সাওয়াল করেন বিশিষ্ট আইনজীবী কমল দত্ত। তিনি জানান বর্ধমান কোর্টে ২টি কেস ফাইল করা হয়। একটি কেস নং ১০০৪ অপরটি ১০০৫। ১০০৪ কেসটি প্রশাসনের তরফে করা হয়েছে, কেস নং ১০০৫ তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। সিপিএম রজ্য নেতৃত্ব সহ জেলার নেতাদের নামে এই কেস দুটি করা হয়েছে। তিনি জানান, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম, আভাস রায়চৌধুরি, অচিন্ত্য মল্লিক,অমল হালদার, তাপস সরকার সহ ছাত্র নেতৃত্ব শ আরও অনেকের নামে কেস ফাইল করা হয়েছে।কমল দত্ত জানান, কেস নং ১০০৪ এ ৫৭ জনের নাম আছে। আর ১০০৫ কেসে ১১ জনের নাম আছে। ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ৩০৭,৩৭৯, ৩৫৩, ৩৩২, ৩৩৩ এছাড়াও ৩৪ বিপি অ্যাক্ট ও আরও কিছু উপধারাতে এই কেসদুটি করা হয়েছে। তিনি জানান, মোট ৫ জনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। তিনজন আশিতিপর ও দুইজন বয়স ১৯ নিচে। জেল কাস্টডি দেওয়া হয়েছে মোট ৩৪ জনকে। ৭ জনকে পুলিস রিমান্ডে তিন দিনের জন্য অ্যালাও করেছে কোর্ট। তাঁরা হলেন, অর্নিবান রায় চৌধুরী (এসএফআই জেলা সম্পাদক),সৌমেন্দ্র নাথ মালিক, তারক নাথ চ্যাটার্জী, মহসীন সেখ, সাহাবুল ইসলাম, সঞ্জয় মৃধা, আনারুল সেখ

সেপ্টেম্বর ০১, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • ...
  • 16
  • 17
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন নেতৃত্বের সঙ্গে

একদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির পোস্টারবয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা করবেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও তাঁর এই বঙ্গসফরকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত ষশাহ হোক, এঁরা কেউ এখানে বিজেপির জয় এনে দিতে পারবেন না। আগেও নির্বাচনের আগে বারে বারে এসেছেন এবারও আসবেন। তবে ব্যর্থ হবেন বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে পৌঁছল বিহারের ৫৫টি বাইক, উদ্দেশ্য ঘিরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার বিহারের নম্বর প্লেটযুক্ত ৫৫টি পুরনো মোটরবাইক বর্ধমান জেলা বিজেপি দলীয় অফিসের ঠিকানায় এসে পৌঁছানোকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইকগুলি ট্রেন থেকে নামিয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের ইস্টার্ন রেলওয়ের পার্সেল অফিসের সামনে রাখা হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বর্ধমান রেল স্টেশনে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বাইকগুলির মালিকানা, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি এবং কেন শুধুমাত্র বিজেপির বর্ধমান জেলা অফিসের ঠিকানায় এই বাইক পাঠানো হয়েছে। তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন বিধায়ক।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে সুনীল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তির নামে এই ৫৫টি বাইক পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই বাইকগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই বাইক ব্যবহার করে বাইরের লোকজন বা দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এই ৫৫টি নয়, ২৩ জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০০ মোটর বাইক আসার কথা।বিধায়ক খোকন দাস স্পষ্ট ভাষায় জানান, এতগুলো বাইক বিহার থেকে কী উদ্দেশ্যে বাংলায় আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভোটের আগে এই বাইক ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। একই সঙ্গে তিনি রেল ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ও বাইকগুলির সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এই পরিবহণের বিস্তারিত জানাতে হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ না হলে বাইকগুলি পার্সেল অফিস থেকে ছাড়তে দেওয়া হবে না।অন্যদিকে, তৃণমূলের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় দলীয় কর্মীদের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিহারের ভোট শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস রাঢ়বঙ্গ জোনের কেন্দ্রীয় অফিস হওয়ায় এখানকার ঠিকানাতেই বাইক পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগেই এভাবেই বাইক আনা হয় এবং বিষয়টি জেনেও তৃণমূল অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। বাইক বিতর্কে প্রশাসনের ভূমিকা কী হয়, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে কৌতূহল।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এশিয়া কাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাত্রের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হার স্বীকার করেই শিরোপা হাতছাড়া করতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। মাত্র এক ইনিংসেই তিনি করে ফেলেন ১৭২ রান। উসমান খানের সঙ্গে ৯২ রানের এবং আহমেদ হুসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের দুটি বড় জুটিতে ভর করে দ্রুত ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় পাকিস্তানের ইনিংস ২৭০২৮০ রানের মধ্যেই থামতে পারত। কিন্তু মিনহাসের ব্যাটে ভর করেই ৪৩ ওভারের মধ্যেই ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে তাঁর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৩০২/৩ থেকে ৩২৭/৮ মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারালেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল।লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো পরিচিত নাম থাকলেও কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আশ্চর্যজনকভাবে দলের সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বর ব্যাটার দীপেশ দেবেন্দ্রনের ব্যাট থেকে। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।এই হার যেন সাম্প্রতিক সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঞ্চ ফাইনাল, ফলাফলও প্রায় একই রকম হতাশাজনক।উল্লেখযোগ্যভাবে, ফাইনালে ওঠার আগে টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছেই একমাত্র হেরেছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ নিজেদের ঝুলিতে ভরল পাকিস্তান। আর ফাইনালে বারবার হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে গেল ভারতীয় যুব দলের সামনে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিদেশ

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারে হামলার পরও অকুতোভয় কর্তৃপক্ষ, সন্ত্রাসের নিন্দার ঝড় বিশ্বের সর্বত্র

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠল ঢাকায় প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। দেশের দুটি প্রথম সারির সংবাদপত্রের দফতরে এই হামলার অভিযোগ সামনে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়েছে সাংবাদিক মহল, নাগরিক সমাজ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলির মধ্যে। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে নিন্দার ঝড় বয়েছে অন্যত্র।ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে আসার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। পরবর্তীতে হিংসা ছড়িয়ে পরে নানা জায়গায়। নৃশংস ভাবে হিন্দু যুবক খুন থেকে সংস্কৃতি সংগঠনের ওপর হামাল। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর ক্রমাগত হামলা চলতে থাকে।প্রাথমিক অভিযোগ অনুযায়ী, ঢাকায় অবস্থিত প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। তারা অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মীদের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। আগুন লাগিয়ে দেয় এই অফিসদুটিতে। যদিও এই ঘটনায় বড় ধরনের শারীরিক ক্ষতির খবর নেই, তবে আচমকা হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং কিছু সময়ের জন্য সংবাদকর্ম ব্যাহত হয়। সংবাদপত্র প্রকাশনা বন্ধ রাখতে হয়। বৃহস্পতিবার রাতে অনলাইন পোর্টালেও আর খবর আপলোড করা যায়নি।হামলার ঘটনার পরপরই বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সম্পাদকীয় মহল একে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে উল্লেখ করেছে। তাদের বক্তব্য, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি, আর সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা গভীর উদ্বেগজনক। এই দুই সংবাদপত্র গোষ্ঠীও জানিয়ে দেয় তারা ভয় পায় না। খবর প্রকাশ করতে কোনও পরোয় তারা করবে না। এমনকী দফতরের সামনে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করে।ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসনের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।এই ঘটনার পর প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হুমকি বা হামলার মাধ্যমে সত্য প্রকাশ থামানো যাবে না। তারা দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসনের কাছে।আন্তর্জাতিক স্তরেও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনা শুধু দুটি সংবাদপত্রের ওপর আঘাত নয়, বরং বাংলাদেশের সামগ্রিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলে দিল। এখন দেখার, প্রশাসনিক পদক্ষেপ কতটা দ্রুত ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

লাইভ মঞ্চে লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, ওসির ভূমিকা নিয়েও তদন্ত

লাইভ পারফরম্যান্স চলাকালীন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক মহল। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে একটি বেসরকারি স্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করতে গিয়ে এই ঘটনার মুখে পড়েন তিনি। ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যার নাম তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় ভগবানপুরের একটি বেসরকারি স্কুল প্রাঙ্গণে। অভিযোগ অনুযায়ী, লগ্নজিতা চক্রবর্তী যখন জাগো মা গানটি পরিবেশন করছিলেন, তখন অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ও ওই স্কুলের মালিক মেহবুব মল্লিক আচমকাই মঞ্চে উঠে আসেন। শিল্পীর অভিযোগ, তিনি গালিগালাজ করেন এবং চিৎকার করে বলেন, অনেক হয়েছে জাগো মা, এবার কিছু সেকুলার গান গাও। পাশাপাশি মারধরের হুমকি ও শারীরিকভাবে আক্রমণের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ।পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠলে অনুষ্ঠান কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। পরে লগ্নজিতা চক্রবর্তী ভগবানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, প্রথমে থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর মামলা রুজু হয় এবং অভিযুক্ত মেহবুব মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়।পূর্ব মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিতুন দে জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে ভগবানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং আরও এক পুলিশকর্মীর ভূমিকা নিয়েও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের গাফিলতির প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজাও তীব্র হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা অভিযোগ করেন, একজন শিল্পী কি গান গাইবেন, সেটাও শাসক দলের লোক ঠিক করে দিচ্ছে। এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি আরও দাবি করেন, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল। যদিও এই ঘটনার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।লাইভ মঞ্চে একজন শিল্পীর গান বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিয়ে ওঠা এই প্রশ্ন এখন আর শুধু ব্যক্তিগত অভিযোগে সীমাবদ্ধ নয়। সাংস্কৃতিক পরিসরে মতপ্রকাশের অধিকার, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব সব মিলিয়ে এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal