• ৫ পৌষ ১৪৩২, মঙ্গলবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Burdwan

উৎসব

বিদ্যা ও সুন্দরের এক অমর প্রেম কাহিনী এই মন্দিরে কান পাতলেই শোনা যায়

বর্ধমানের বিদ্যাসুন্দর কালীপুজোর পেছনে জড়িয়ে রয়েছে এক প্রেমের গল্প ৷ তেজচাঁদ রাজার কন্যা বিদ্যা ও মন্দিরের পুজারি সুন্দরের ভালবাসার জোরে বন্ধ হয়েছিল মন্দিরের নরবলি প্রথা ৷ বর্ধমানের মহারাজা তেজচাঁদের আমল। বর্ধমানের বেশিরভাগ এলাকা ছিল ঘন জঙ্গলে ভর্তি। বিশেষ করে দামোদর তীরবর্তী তেজগঞ্জ এলাকায় ছিল আরও গভীর জঙ্গল। সেখানেই কালী মন্দিরে পুজো করতেন রাজা। ওই কালী মন্দিরে কেউ সচরাচর যেতেন না।কথিত আছে, যারা অন্যায় অত্যাচার করত, তাদের এই মন্দিরে দেবীর সামনে হাঁড়িকাঠে নরবলি দেওয়া হত। তাই সেই সময় এই কালী দক্ষিণ মশান কালী নামে পরিচিত ছিল। ফলে দিনের বেলাতেও ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াত করার কেউ খুব একটা সাহস করত না।রাজার এক কন্যা ছিল, নাম বিদ্যা৷ আর রাজবাড়ির পুজারি ছিলেন সুন্দর নামে এক যুবক। সুন্দরের আর্থিক অবস্থা মোটেই ভাল ছিল না। রাজবাড়িতে ফুল দিতে আসত মালিনী মাসি। সে প্রতি ঠাকুর বাড়িতে ফুলের মালা দিত। যথারীতি একদিন মালিনী মাসি মন্দিরে ফুলের মালা নিয়ে এসেছেন। সেই মালা দেখে পুজারি সুন্দর খুব আকৃষ্ট হন। তিনি মালিনী মাসিকে জিজ্ঞাসা করেন, এত সুন্দর ফুলের মালা কে গেঁথেছে? যে মালা গেঁথেছে তাকে দেখার জন্য ছটফট করতে থাকে সুন্দর। মালিনী মাসি তাকে বলে, রাজকুমারী বিদ্যা মালা গেঁথেছে। কিন্তু তাকে দেখা সম্ভব নয়।পরবর্তীকালে বিদ্যার সঙ্গে সুন্দরের পরিচয় হয়। তাদের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এমনকী তারা নাকি মন্দিরের পাশ থেকে রাজবাড়ি পর্যন্ত একটা সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ফেলে। সুড়ঙ্গের ভিতর দিয়ে বিদ্যা ও সুন্দর একে-অপরের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করতে যেতেন । একদিন চরের মাধ্যমে তেজচাঁদ বিদ্যা ও সুন্দরের প্রণয়ের ব্যাপারে জেনে ফেলেন। খবরটা কানে যেতেই রাজা প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি বিদ্যা এবং সুন্দরকে কালীর সামনে বলি দেওয়ার আদেশ দেন ৷ রাজার হুকুম মতো তাদেরকে বলি দিতে নিয়ে যাওয়া হয় কালী মন্দিরে। হাঁড়িকাঠে বিদ্যা ও সুন্দর দুজন ঢোকানোর পর খাঁড়া হাতে বলি দেওয়ার সময় কাপালিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। বিদ্যা আর সুন্দর প্রেমিক প্রেমিকা মন্দির থেকে উধাও হয়ে যায়। রাজ্যপাট না থাকলেও এখনো প্রাচীন রীতিনীতি মেনেই কালী মন্দিরে পুজো হয় বলে জানান সেবাইত আভা বটব্যাল। তবে জাঁকজমক এখন আর আগের মত নেই। মা এখানে পাষাণ মূর্তি। নিত্যদিন পুজো হয়।

অক্টোবর ২৪, ২০২২
উৎসব

বর্ধমানের মা কঙ্কালেশ্বরী কালী চামুণ্ডা মতে পূজিত হন

বাংলার ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে দামোদরের বন্যার সময় বর্ধমান পশ্চিম নদীগর্ভ থেকে এই কালী মূর্তি পাওয়া যায়। মূর্তির বয়স আজ পর্যন্ত নির্ণয করা সম্ভব হয়নি। মূর্তিটি কষ্টি পাথরে খোদিত এবং মানব কঙ্কালের মতো দেখতে। বিগ্রহটি অষ্টভূজা। গলায় নরমুণ্ডমালা,পাদতলে শিব স্থায়িত এবং শিবের নাভিকুণ্ড থেকে পদ্ম উঠেছে তার মধ্যে অষ্টভূজা কালী দাঁড়িয়ে। আর শিবের ছুইপাশে আছে দুই শখী।আটটি হাতে রয়েছে নরমৃণ্ড, শঙ্খ, চক্র, ধনুক, খড়গ,পাশি ইত্যাদি। কঙ্কালেশ্বরী কালীর দেহের শিরা উপশিরা গুলির নিখুঁত ভাস্কার্য আজও বর্তমান।এই মূর্তিটি বর্ধমানের কাঞ্চননগরে বিষ্তু মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করে ছিলেন সাধক কমলাকান্ত। প্রথমে দিকে কক্কালেশ্বরী কালীর মূর্তিটি দামোদর নদে উল্টে পরেছিল।তার উপর ধোপারা জামা-কাপর কাঁচাকাচি করতো। একদিন মা কঙ্কালেশ্বরী কালী সাধক কমলাকান্তকে স্বপ্নাদেশ দেন যে দামোদর নদ থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে এসে প্রতিষ্ঠা করে পুজো শুরু করার। সাধক কমলাকান্ত স্বপ্নাদেশের কথা বর্ধমানের মহারাজা কে জানান। তখন মহারাজ সাধক কমলাকান্ত কে সঙ্গে নিয়ে দামোদর নদ থকে মা কক্কালেশ্বরী কালী কে তুলে নিয়ে এসে বর্ধমানের কাঞ্চননগরে রাজার তৈরি বিষ্কু মন্দিরে প্রতিষ্টা করেন।মা কঙ্কালেশ্বরী কালী এখানে চামুণ্ডা মতে পূজিত হয়। প্রতিদিন এখানে সন্ধ্যা আরুতি ও নিত্যসেবা হয়। কালী পুজোর দিন সকলা থেকে পুজো শুরু হয়। সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত বহু ভক্তের সমাগম হয় কঙ্কালেশ্বরী কালী মন্দিরে। প্রায় ৬০ হাজার ভক্তের পাত পরে কালী পুজোর দিনে ।পাশাপাশি প্রসাদ বিতরণও করা হয়।এখানে চামুণ্ডা মতে পুজো হওয়ার জন্য বলি হয় না৷ বাংলার ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে দামোদরের বন্যার সময় বর্ধমান পশ্চিম নদীগর্ভ থেকে এই কালী মূর্তি পাওয়া যায়। মূর্তির বয়স আজ পর্যন্ত নি র্ণয় করা সম্ভব হয়নি। মূর্তিটি কষ্টি পাথরে খোদিত এবং মানব কঙ্কালের মতো দেখতে। বিগ্রহটি অষ্টভূজা।গলায় নরমুণ্ডমালা,পাদতলে শিব স্থায়িত এবং শিবের নাভিকুণ্ড থেকে পদ্ম উঠেছে তার মধ্যে অষ্টভূজা কালী দাঁড়িয়ে। আর শিবের ছুইপাশে আছে দুই শখী। আটটি হাতে রয়েছে নরমৃণ্ড,শঙ্খ,চক্র,ধনুক,খড়গ,পাশি ইত্যাদি। কঙ্কালেশ্বরী কালীর দেহের শিরা উপশিরা গুলির নিখুঁত ভাস্কার্য আজও বর্তমান।এই মূর্তিটি বর্ধমানের কাঞ্চননগরে বিষ্তু মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করে ছিলেন সাধক কমলাকান্ত। প্রথমে দিকে কক্কালেশ্বরী কালীর মূর্তিটি দামোদর নদে উল্টে পরেছিল।তার উপর ধোপারা জামা-কাপর কাঁচাকাচি করতো। একদিন মা কঙ্কালেশ্বরী কালী সাধক কমলাকান্তকে স্বপ্নাদেশ দেন যে দামোদর নদ থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে এসে প্রতিষ্ঠা করে পুজো শুরু করার। সাধক কমলাকান্ত বপ্নাদেশের কথা বর্ধমানের মহারাজা কে জানান। তখন মহারাজ সাধক কমলাকান্ত কে সঙ্গে নিয়ে দামোদর নদ থকে মা কক্কালেশ্বরী কালী কে তুলে নিয়ে এসে বর্ধমানের কাঞ্চননগরে রাজার তৈরি বিষ্কু মন্দিরে প্রতিষ্টা করেন।মা কঙ্কালেশ্বরী কালী এখানে চামুণ্ডা মতে পূজিত হয়। প্রতিদিন এখানে সন্ধ্যা আরুতি ও নিত্যসেবা হয়। কালী পুজোর দিন সকলা থেকে পুজো শুরু হয়। সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত বহু ভক্তের সমাগম হয় কঙ্কালেশ্বরী কালী মন্দিরে। প্রায় ৬০ হাজার ভক্তের পাত পরে কালী পুজোর দিনে ।পাশাপাশি প্রসাদ বিতরণও করা হয়।এখানে চামুণ্ডা মতে পুজো হওয়ার জন্য বলি হয় না৷

অক্টোবর ২৪, ২০২২
রাজনীতি

বিজেপি সাংসদ স্বামীকে মস্তিষ্ক বিকৃত হয়েছে বলে কটাক্ষ তৃণমূল নেত্রী স্ত্রীর

সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে নিয়ে সরব হলেন তার প্রাক্তন স্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী সুজাতা মণ্ডল। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় বর্ধমানের মেহেদী বাগানে একটি কালী পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মণ্ডল। তিনি বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ তথা তথা তার প্রাক্তন স্বামীকে মস্তিষ্ক বিকৃত হয়েছে বলে কটাক্ষ করেন।তিনি বলেন, উনি তো কোথাও গুরুত্ব পান না। উনি যখন যে দলে থাকেন সেই দলকেই পাগল করে মারেন। তিনি যখন তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন তখন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে উল্টো পাল্টা কথা বলেছেন। এখন তিনি যে দলে আছেন সেই দলের বিরুদ্ধে বলছেন। নিশ্চয় গুরুত্ব না পাবার মত কিছু করেছেন। তবে ওই দলে কদিন থাকবে তা নিয়েও তিনি সন্দিহান প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, রাজনীতি করতে আসা মানে পাবার জায়গা নয়। পদ চাই তা নয়।মানুষের জন্য কাজ করা।

অক্টোবর ২৪, ২০২২
উৎসব

টুইন টাওয়ার ছেড়ে মানুষ ভিড় জমিয়েছে হরিনারায়নপুরের রুদ্রানীর 'পোড়ো বাড়িতে'

রাজ্যের শস্যভান্ডার বর্ধমানের প্রধান পুজো দুর্গাপুজো হলেও, দুর্গাপুজোর রেশকে অনেকটাই জিইয়ে রেখে শহর বর্ধমান মেতেছে কালীপুজোয়। দুর্গাপুজোর মতই কালীপুজোতেও শহরে আনাচে কানাচে থিমের রমরমা। এবারে কালী পুজোর বিশেষ আকর্ষণ সাম্প্রতিক সময়ে বহু চর্চিত টুইন টাওয়ার বর্ধমান শহরের পাড়াপুকুরের রাসবিহারি এ্যথলেটিক ইউনাইটেড ক্লাব। কালীপুজোতে বেশ কয়েক বছর ধরে নিত্যনতুন থিমের চমক দিচ্ছে তারা।গত বছর বুর্জ খালিফা করে শহরের নজর টেনেছিল এই ক্লাব। এবারে তাদের মণ্ডপের থিম- টুইন টাওয়ার। ৯/১১/২০০১ র যে টুইন টাওয়ার ভাঙা নিয়ে বিশ্ব জুড়ে তোলপাড় হয়। সেটাই এবার কালীপুজোর থিম ভাবনায় উঠে এসেছে। টিন,ফোম,দড়ি, থার্মোকল,বাঁশ দিয়ে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। লাইট এণ্ড সাউণ্ডের মাধ্যমে আলোর খেলা দেখানো হবে মণ্ডপ জুড়ে। স্লট করে আলোকসজ্জা প্রদর্শন করা হবে। সঙ্গে ডাকের সাজের চিরায়ত প্রতিমা,কাঁচের চুমকির কাজে সজ্জিত মূর্তি।বনানী রায় ও ডঃ শিবকালী গুপ্তআলোর রোশনাই ছেড়ে এবারে দর্শকের মন কেড়েছে হটুদেওয়ান এলাকার বাহির সর্ব্বমঙ্গলা দুর্গামাতা সংঘের কালি পুজো। এবছর তাদের ১৪ তম বর্ষ। বেশ কয়েক বছর ধরেই তাঁরা কালি পুজোতে নানা থিমের উদ্যোগ নিয়েছেন। এবছর তাঁদের কালি পুজোর ভাবনা রূদ্রানীর আদিবাস। রুদ্র মুর্তীর অধিষ্টাত্রী দেবী শ্যমা মায়ের পুজোয় ব্রতী হয়েছেন তাঁরা। প্রাচীন কালের ভগ্নপ্রায় মায়ের বাসস্থানকে থিম হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে।উদ্যোক্তা বাহির সর্ব্বমঙ্গলা দুর্গামাতা সংঘের সদস্য সৌম্য দাস জনতার কথা জানালেন, দুর্গা-প্রতিমা বিসর্জনের পরের দিন থেকেই তাঁরা এই পুজো আয়োজনে নেমে পড়েছেন। গতবছর তাঁরা ২৭ ফুটের সুউচ্চ প্যন্ডেল করেছিলেন। ভারতের সাধকেদের তাঁদের থিমের মধ্য দিয়ে সন্মান জ্ঞ্যাপন করেছেন। তিনি আরও জানান, এই এলাকায় সেই ভাবে কালী পুজো হতো না। আমদের পুজো উত্তরোত্তর জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় অনেক দূরদুরান্ত থেকে আমাদের পুজো দেখতে আসেন। সেই কারণে আমাদেরও দ্বায়িত্ব বেড়ে যাচ্ছে সেই ধারাকে বজায় রাখার। তিনি জানান এবারে তাঁরা ঠাকুর এনেছেন সুদুর হুগলী জেলার গুপ্তিপাড়া থেকে, থিমের কারিগর এসেছেন গলসী থেকে। বাইরের কারিগরের সাথে তারাও সমান তালে হাত লাগিয়েছেন বলেই এত কম সময়ে এই পুজো আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি জানান।ক্লাবের আরও এক সদস্য শৈলেন বিশ্বাস জানান, তাঁরা এই থিম বানাতে যে সমস্ত দ্রব্য ব্যবহার করেছেন তার শতকরা নব্বই ভাগই পরিবেশ বান্ধব। পরিবেশ সচেতনাতার বার্তা দেওয়ার জন্য তাঁরা প্লাস্টিকের ব্যবহার সেই ভাবে করেননি। তাঁদের এই থিমের মধ্যে দিয়ে এই বার্তা দিতে চাইছেন,যে ভাবে প্রাচীন বাড়িগুলি ভেঙে আবাসন গড়ে উঠছে শহর জুড়ে তাতে আর কিছুদিনের মধ্যেই আমরা প্রাচীন ইতিহ্য বলে যে একটা শব্দ আছে সেটাও ভুলতে বসবো।আমি সেই মেয়ে-তুনা রুদ্রপুজোর উদ্বোধন করেন বর্ধমান জেলা মহিলা থানার আই সি বনানী রায় ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যলয়ের অধীনস্ত ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি অধ্যাপক ডঃ শিবকালী গুপ্ত। বানানি রায় বলেন, দীপাবলি আলোর উৎসব, এই উৎসবে আমরা যেমন আমরা বাইরের জগৎটাকে আলো দিয়ে সাজায়, মা কালি যেন ঠিক সেই আলো দিয়েই মনের সব অন্ধকার কে দূর করে দেন। অপর অথিতি ডঃ শিবকালী গুপ্ত জানান, এই দীপাবলি যেন আমাদের মনের সব অন্ধকার দূর করে দেয়। তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের সমবেত চেষ্টায় করোনার মত অতিমারী কে দূর করতে পারছি, আমাদের সার্বিক চেষ্টায় সকল অন্ধকারও দূর হবে এই আশায় তিনি করেন।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষে সাংস্কৃতীক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেন তাঁরা। কচি কাঁচাদের নাচে গানে ভরে ওঠে পূজা প্রাঙ্গণ। বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী তুনা রুদ্রর নৃত্য পরিবেসন করেন। তাঁর আমি সেই মেয়ে দর্শকদের মন জয় করে নেয়। তাঁর এই অনুষ্ঠানে অভিনয়, অভিব্যক্তি দর্শকদের নির্বাক করে দেয়। অনুষ্ঠানে ক্ষুদে শিল্পী জয়মাল্য ও চঞ্চল চৌধুরির শিবের সাক্ষাতকার এক অন্য মাত্রা যোগ করে। এছাড়াও নাচে, গানে, কবিতায় অংশগ্রহণ করেন নৈরিক ভকত, সম্পূর্না চক্রবর্তী, দিয়া সামন্ত,নিধি মণ্ডল, সংকলন চৌধুরী সহ আরও অনেকে।বাহির সর্ব্বমঙ্গলা দুর্গামাতা সংঘের আরও এক সদস্য চঞ্চল চৌধুরী জনতার কথা কে জানান, আগামী কাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টাই পুজো শুরু, মঙ্গলবার রাতে মায়ের ভোগ বিতরণ, বুধবার সাংস্কৃতীক অনুষ্ঠানের শেষে মায়ের বিসর্জন। তিনি বর্ধমান বাসীকে জনতার কথার মাধ্যমে তাঁদের এই পুজোয় আমন্ত্রণ জানান।

অক্টোবর ২৪, ২০২২
উৎসব

সাধক কমলাকান্ত তেজচাঁদকে অমাবস্যার দিন যোগবলে পূর্ণচন্দ্র দেখিয়েছিলেন

১৮০৫ খীষ্টাব্দে বর্ধমানের মহারাজ তেজচাঁদ বাহাদুর কোটালহাটে কমলাকান্তের কালি সাধন ও ভজনের জন্য মন্দির টি তৈরি করে দেন।সাধক কমলাকান্ত ভষ্টাচার্য ১৭৭২শরষ্টাব্দে বর্ধমানের তাঁর মাতুলালয়ের চান্না গ্রামে জন্মগ্রহন করেন।তাঁর পিতার নাম মহেশ্বর ভট্টাচার্য এবং মাতার নাম মহামায়াদেবী। কিশোর বয়সে পিতার মৃত্যু হলে মা মহামায়াদেবী দুই শিশু পুত্র কমলাকান্ত ও শ্যামাকান্তকে নিয়ে পিত্রালয়ে চলে আসেন। মহামায়াদেবী কমলাকান্তকে পড়াশোনার জন্য টোলে ভর্তি করে দেন। টোলে পড়াশোনার পাশাপাশি কমলাকান্ত গোপনে সাধন ভজনের অনুশীলন শুরু করেন বর্ধমানের মহারাজা তেজচাঁদ বাহাদুরের গুরু এবং সভাকবি ছিলেন তিনি। তেজচাঁদের উচ্ছৃঙ্খল পুত্র প্রতাপচাঁদকে শিক্ষা দীক্ষায় উপযুক্ত করে তোলার জন্য কমলাকান্ত বর্ধমানে নিয়ে আসেন। এবং বর্ধমানের লাকুড্ডিতে কমলাকান্তকে থাকার জন্য ঘরও তৈরি করে দেন। প্রথমে লাকুড্ডিতে কমলাকান্ত মা কালীর সাধন ভজন শুরু করেন। কথিত আছে তিনি রাজা তেজচাঁদকে অমাবস্যার দিন যোগবলে পূর্ণচন্দ্র দেখিয়েছিলেন। কমলাকান্তের সাধনায় ও যোগবলে মুগ্ধ হয়ে রাজা তেজচাঁদ বাহাদুর ১৮০৫ খীষ্টাব্দে কোটালহাটে তাঁর সাধন ভজনের জন্য মন্দিরটি তৈরি করে দেন। এই মন্দিরেই কমলাকান্ত কালীমূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পঞ্চমুন্তীর আসনে বসে সাধনা করতেন।সাধনা করতে করতে এক দিন রাজা প্রতাপচাঁদকে মা কালীর পায়ে বেলকাঁটা ফুটিয়ে রক্ত বেড়করে দেখিয়ে ছিলেন মা জীবন্ত। শুধু তাই নয় কমলাকান্ত প্রায় শতাধিক ভক্তিগীতি রচনা করেছেন।১৮২০ শরীষ্টাব্দে সাধক কমলাকান্ত মা কালীর সামনেই মৃত্যুবরণ করেন মৃত্যুবরণের সময় বর্ধমানের মহারাজ তাঁকে গঙ্গায় নিয়ে যেতে গেলে তখন তিনি মাহারাজকে বলেন মাকে ছেড়ে তিনি যাবেনা।তখন মন্দিরের মাটি ফেটে গঙ্গার জল এসে সাধকের মুখে পড়ে। সাধক কমলাকান্তের দেহ সমাধিস্থ করা হয় মন্দিরের ভিতরে।তাঁর সমাধির উপরেই মা কালী প্রতিষ্ঠা করা আছে।কমলাকান্তের পুজোর আচার আচরন মেনেই এখনও পর্যন্ত কালীর পুজো হয়ে চলেছে এই মন্দিরে।প্রতি অমাবস্যায় মা কমলাকান্তকে মাগুর মাছ রান্না করে ভোগ দেওয়া হয়।এছারও প্রতিদিন দুবেলায় নিত্যসেবা ও সন্ধ্যা আরতি হয় এই কালি মন্দিরে।প্রথামেনে কালী পুজো দিন রাত্রি ১২ টা সময় ঘটে জল ভরে পুজো শুরু হয়।পুজোর সময় মন্দির প্রাঙ্গনে দূরদূরান্ত থেকে অসংখ ভক্তের সমাগম ঘটে।কালী পুজোর পরের দিন অন্নকুট মহোৎসব হয়।এবং ভাইফোঁটার দিন কালি মন্দিরে কমলাকান্ত দিবস পালন করা হয়।

অক্টোবর ২৩, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে বিজেপির দলীয় পতাকা খুলে ফেলার অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে

রাতের অন্ধকারে বিজেপির দলীয় পতাকা খুলে রাস্তায় ফেলা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহরের কার্জনগেট চত্বর থেকে বীরহাটা পর্যন্ত এলাকায়। কয়েকদিন ধরে শহরে জেলা বিজেপি ও বিজেপির যুবমোর্চার কয়েকটি কর্মসূচি ছিল, তাতে শহরের বেশ কিছু অংশে বিজেপির দলীয় পতাকা লাগানো ছিল। শুক্রবার রাতে বেশ কিছু দলীয় পতাকা রাস্তায় এবং রাস্তার পাশে ফেলে দেওয়া হয় এবং সেই সব জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা উরতে দেখা যায় বলে অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দূষ্কৃতিরা তাদের দলীয় পতাকা খুলে ফেলে দিয়েছে বলে বিজেপির দাবী। এই বিষয়ে শুক্রবার রাতে বর্ধমান জেলা বিজেপির যুবমোর্চার পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় বর্ধমান থানায়। অবিলম্বে পুলিশ দোষীদের গ্রেপ্তার না করলে আন্দোলনে নামবে জেলা যুবমোর্চার সদস্যরা বলে দাবী করেন জেলা বিজেপির যুবমোর্চার সভাপতি পূরব সাম। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

অক্টোবর ২২, ২০২২
রাজ্য

'করুনা', 'মমতা' শব্দগুলোর নতুন মানে বার করার আবেদন রাখলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক

বাংলাভাষায় করুনা, মমতা শব্দগুলোর মানে নতুন করে বার করতে হবে। চাকরি গুলো নিলাম করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, তাদের সরকার। যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চনা করা হয়েছে। ৮৪ ঘন্টা অনশনের পর যেভাবে তাদের উপর তান্ডব করল বিধাননগরের পুলিশ তা নজিরবিহীন। সূর্যাস্তের পর কোনো মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয় না।এখানে হয়েছে।আজ বর্ধমানে সি পি এমের জেলা দপ্তরে এই কথাগুলি বলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম। এদিন সেখানে দলের জেলা কমিটির এক সভায় হাজির ছিলেন তিনি। সেখানেই পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তার সঙ্গে ছিলেন সি পি এম জেলা নেতা অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়।সেলিম আরও বলেন, সব চেয়ে বেশি নয়েজ পলিউশন তো উনি করেন। পুজোর উদ্বোধন করে রাজনৈতিক কথা বলেন। আজ কেন? কাল সারাদিন প্রতিবাদ চলবে। সব বিবেকবান মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছি। চাকরি চুরির প্রতিবাদ করতে।ওই ছেলেমেয়েরা কী গোলমাল করছিল? সারা রাজ্য যখন ঘুমিয়ে পড়েছে তখন রাতের অন্ধকারে পুলিশ লেলিয়ে দিলেন উনি। এভাবে মানুষকে দমিয়ে দিতে পারবেন ভাবলে উনি মুর্খের স্বর্গে বাস করছেন। আজ পুলিশ পাগলের মত আচরণ করছে। ওই ছেলেমেয়েরা কী গোলমাল করছিল? সারা রাজ্য যখন ঘুমিয়ে পড়েছে তখন রাতের অন্ধকারে পুলিশ লেলিয়ে দিলেন উনি। এভাবে মানুষকে দমিয়ে দিতে পারবেন ভাবলে উনি মুর্খের স্বর্গে বাস করছেন। আজ পুলিশ পাগলের মত আচরণ করছে।

অক্টোবর ২১, ২০২২
উৎসব

বর্ধমানের দূর্ল্লভা কালী একই অঙ্গে কালী, দুর্গা, চণ্ডী ও বিপত্তারিণী রূপে পূজিত

কালী, দুর্গা, চণ্ডী অথবা বিপত্তারিণী। বছরভর বিভিন্ন মরসুমে সব দেবীরই পুজো হয় এক মূর্তিতে। এমন ভাবেই তিন শতকেরও বেশি সময় ধরে বর্ধমান শহর লাগোয়া লাকুড্ডি এলাকায় দুর্লভা কালীর পুজো চলছে। মন্দিরে গিয়ে দেখা গেল, কালীপুজোর আগে এখন সেখানে সাজোসাজো রব।লোকশ্রুতি থেকে জানা যায়, বর্ধমানের মহারাজার আনুকুল্যেই দেবী মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হয়। একদা গোকুলানন্দ ব্রহ্মচারী নামে এক পরিব্রাজক সন্যাসী ঘুরতে ঘুরতে জঙ্গলে পরিপূর্ণ লাকুড্ডিতে হাজির হন। শুরু করেন দেবী আরাধনা। একদিন গোকুলানন্দ মন্দিরের পাশে পুকুরে স্নান করতে গিয়ে তার পায়ে একটি পাথর ঠেকে। তখন তিনি ওই পাথর টিকে তুলে নিয়ে আসেন। এর পর মা কালী সন্যাসী গোকুলানন্দকে স্বম্নাদেশ দেয় তাঁকে প্রতিষ্ঠা করে পুজো শুরু করতে তারপর সন্ন্যাসী গোকুলানন্দ বর্ধমানে লাকুড্ডিতে তাল পাতার ছাউনী দিয়ে মন্দির তৈরি করে পাথরটিকে প্রতিষ্ঠা করে পুজো শুরু করেন। জড়ো হন ভক্তেরাও। কথিত রয়েছে, গোকুলানন্দের সাধনা ও বিভিন্ন দৈব শক্তির খবর যায় বর্ধমানের মহারাজা বিজয়চাঁদ মহতাবের দরবারেও। একদিন মহারাজ বিজয়চাঁদ ঘুরতে ঘুরতে সন্যাসী গোকুলানন্দ কাছে পৌছান। তখন সন্যাসী গোকুলানন্দ মহারাজ বিজয়চাঁদকে অমাবস্যার দিন যোগবলে পূর্ণচন্দ্র দেখিয়েছিলেন। এরপর বিজয়চাঁদ মুগ্ধ হয়ে প্রায় দশ বিঘে জায়গার উপর একটি দালান মন্দির তৈরি করে দেন। পাশেই তৈরি করা হয় বেশ কয়েকটি শিব মন্দিরও। এ ভাবেই ধীরে ধীরে দেবী দূর্লভার প্রসিদ্ধি ছড়িয়ে পড়ে সংলগ্ন এলাকায়।তবে দেবীর নাম দুর্লভা হওয়া নিয়েও একটি গল্প প্রচলিত আছে।বর্তমানে মন্দিরের পুরহিত মঙ্গলা ভট্টাচার্য জানান,.গোকুলানন্দ স্বামী মারা যাওয়ার পরে দুর্লভ ভট্টাচার্য নামে একজনকে পুরোহিত হিসেবে নিয়োগ করেন রাজা বিজয়চাঁদ। রাজ অনুগ্রহে মন্দির ও সম্পত্তিরও অধিকারী হন তিনি। এই দুর্লভ ভট্টাচার্যের নামেই দেবী এখানে ছুর্লভা নামে পরিচিত।ভষ্টাচার্য পরিবারের সূত্রে জানা গেল, দেবী এখানে শ্বেত পাথরের মুর্তিতে পুজীতা হন। তবে দেবীর মূর্তিটি প্রথমে মাটির ছিল। পরে তা অষ্টধাতুতে তৈরি করা হয়। তবে সেই মুর্তি চুরি যায়। তারপর মহারাজা বিজয়চাঁদের নির্দেশে দেবী বেলকাঠের মূর্তিতে পুজিতা হতেন। কিন্তু সময়ের ফেরে ওই বেলকাঠেও ঘুন ধরে। তারপর খানেকের মধ্যে তাতেও ফাটল ধরে। ছুবছর আগে রাজস্থান থেকে সাড়ে চার ফুট উচ্চতার শ্বেত পাথরের মূর্তিটি আনা হয় বলে জানান মন্দিরের বর্তমান পুরোহিত মঙ্গল ভ্টাচার্য। দুর্গাপুজোর সময় এখানে চারদিন ধরে পুজো হয়। তবে কালীপুজোর সময়মতো রাতভর পুজো হয়। প্রতিদিন নিত্যপুজোর সময় অন্নভোগ দেওয়া হয় এবং ওই দিন মন্দিরের ভিতরে ভক্তদের বসিয়ে খিঁচুড়ি প্রসাদ খাওয়ানো হয়। একসময় দেবী দুর্লভা কালী ডাকাত কালী নামেও পরিচিতি ছিল।

অক্টোবর ২১, ২০২২
রাজনীতি

বর্ধমানে বিজয়া সন্মিলনী অনুষ্ঠানে বিস্ফোরক সুকান্ত মজুমদার!

বুধবার বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার বিজয়া সন্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সম্পাদক সুকান্ত মজুমদার। কয়েকদিন আগে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ও পূর্ব-বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাপতি দেবু টুডু বিজেপি নেতাদের ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখার নিদান দিয়েছিলেন। সুকান্ত মজুমদার তাঁর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন যে সমস্ত নেতাদের স্নায়ুতন্ত্র এত দুর্বল যে কে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন তা বুঝতে পারছেন না, সে দলের না থাকাই ভাল। তিনি তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায়কে কটাক্ষ করে বলেন, আগেকার দিনে যাত্রাপালায় একজন বিবেক থাকত। নীতিকথা শুনিয়ে যেত এটাও সে রকম। তোয়ালে মুড়ে টাকা না নিলেই হল।তিনি সৌমিত্র খানের প্রসঙ্গে বলেন,পঞ্চায়েতে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমাদের দলে যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় তার সাথে আলোচনা হয় না। আমাকে সভাপতি করার আগেও হয়নি। তিনি আরও বলেন,অনন্ত মহারাজ রাজনৈতিক নেতা নন। তার কাছে কেউ যেতে পারেনমমিনপুরের প্রস্নগ টেনে বলেন, রাজ্যের আদালত নির্দেশ দিয়েছে। এন আই এ তদন্ত করছে। যারা অ্যারেস্ট হবার যোগ্য অ্যারেস্ট হবে। তিনি মল্লিকার্জুনকে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। সেই প্রসঙ্গে বলেন, মল্লিকার্জুন কংগ্রেস সভাপতি হলেন। এমন একটা জাহাজে উনি ক্যাপ্টেন হলেন যেটা থেকে সবাই পালাচ্ছে। তবে মোদীজি আবার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন, সেই শপথ গ্রহণ সভায় বিরধী নেতা হিসাবে তাঁকে স্বাগত।সুকান্ত মাজ্যমদার আজ বলেন, পুলিশ ছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো অস্তিত্ব নেই। পুলিশ না থাকলে উবে যাবে। আজ শিলিগুড়ির কাওয়াখালী গ্রাউন্ডে উত্তরের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন সিঙ্গুর থেকে টাটাকে সিপিএম তাড়িয়েছে, সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, উনি তো মাঝে মাঝেই মিথ্যে কথা বলেন। এটা নতুন কিছু নয়।

অক্টোবর ১৯, ২০২২
রাজ্য

কুড়মি সম্প্রদায়কে এসটি তালিকাভুক্ত করা হলে রাজ্যে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি

কুড়মি সম্প্রদায়কে এসটি করার চেষ্টার প্রতিবাদর জানিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে বর্ধমান শহরের কার্জনগেট চত্ত্বরে বিক্ষোভ দেখাল আদিবাসী কল্যাণ সমিতি । সমিতির অভিযোগ, এসটি হওয়ার নির্ধারিত বৈশিষ্ট্য না থাকা সত্ত্বেও অবৈধভাবে, অনৈতিকভাবে কুড়মী সম্প্রদায়কে এসটি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়াস চালানো হচ্ছে। তার বিরুদ্ধেই এই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ। কুড়মি সম্প্রদায়কে এসটি করা হলে রাজ্যে আগুন জ্বলবে বলে হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা। প্রয়োজনে রেল রোখা থেকে শুরু করে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে বলে জানালেন তারা, এবং আগামী লোকসভা ভোটে ভোটবাক্সের মধ্যে দিয়েও এর প্রতিবাদ হবে বলে জানান তারা। এদিন বিক্ষোভ শেষে জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন দেয় আন্দোলনকারীরা।

অক্টোবর ১৮, ২০২২
রাজ্য

বালি বোঝাই ট্রাক্টারের ধাক্কায় প্রাণ গেল স্কুল ছাত্রের

বর্ধমান শহরের বেড়মোড়ে বালি বোঝাই ট্রাক্টরের ধাক্কায় প্রাণ গেল এক স্কুল ছাত্রের। দুর্ঘনায় জখম হয় ছাত্রের বাবা।পূর্ব-বর্ধমানের খণ্ডঘোষের কেশবপুর থেকে বাবার সঙ্গে মোটরবাইকে করে বর্ধমানের গোলাহাটে যাওয়ার পথে বেড়মোড় এলাকায় একটি বালি বোঝাই ট্রাক্টর বাইকটিকে ধাক্কা মারলে মন্তাসীর সেখ (১১) রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। জখম বাবা আজমগীর সেখ ও বর্ধমান মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।মন্তাসীর সেখ বর্ধমানের দেওয়ানদীঘি এলাকায় ইংরেজি মাধ্যম স্কুল বর্ধমান মডেল স্কুল-র চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তো। পুলিশ ঘাতক ট্রাক্টরটি ও চালককে আটক করেছে।

অক্টোবর ১৭, ২০২২
রাজ্য

শহরে জিটি রোডে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এক সিভিক ভলেন্টিয়ার

সাত সকালে সড়ক দুর্ঘটনা বর্ধমান শহরে। সোমবার সকালে জিটি রোডের বাদামতলায় ফুড কর্পোরেশন অফ ইণ্ডিয়ার একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই ব্যক্তিকে ধাক্কা মারে। স্থানীয় মানুষজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়। ক্রেন এনে ট্রাকটিকে সরানো হয়। দুর্ঘটনার জেরে কার্জনগেটমুখী লেনে সাম্যীক ভাবে যান চলাচল ব্যাহত হয়। আহতদের মধ্যে একজন কর্মরত সিভিক ভলেন্টিয়ার।

অক্টোবর ১৭, ২০২২
রাজ্য

জাল নোট সহ তিন ব্যক্তি গ্রেফতার বর্ধমান স্টেশনে

যৌথ ভাবে অভিযানে জালনোট সহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করলো বর্ধমান থানা ও ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। ধৃতদের রবিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।পুলিশ গোপনসূত্রে খবর শনিবার সন্ধ্যায় বর্ধমান স্টেশন চত্বরে অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করে। বর্ধমান থানা ও ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ আধিকারিকরা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। তল্লাশিতে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ২৪ টি ২ হাজার টাকার জালনোট। ধৃত মহম্মদ রাজ ওরফে রাজুয়া ওরফে বসিরুদ্দিন, মহম্মদ আমিন হোসেন ওরফে আমান ও মহম্মদ মঈনুদ্দিন ওরফে গোবরা প্রত্যেকের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায়।১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করে ৩ জনকেই রবিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। কি উদ্দেশ্যে এই জালনোট নিয়ে স্টেশন চত্বরে ধৃতরা অপেক্ষা করছিলো তার তদন্ত শুরু করছে বর্ধমান থানার পুলিশ।

অক্টোবর ১৬, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমান শহর জুড়ে তাল্লসী অভিযানে জুয়ার ঠেক চালানোর অভিযোগে মোট ১৮ জন গ্রেফতার

দিপাবলীর আগে জুয়ার ঠেকে অভিযান চালিয়ে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করলো বর্ধমান থানার পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ১১ হাজার ৯০ টাকা ধৃতদের রবিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে বর্ধমান শহরের নাড়ি বেলবাগান ও সদরঘাটের ইডেন ক্যানেল পাড় এলাকায় জুয়ার ঠেকে অভিযান চালায় বর্ধমান থানার পুলিশ। জুয়া খেলার অভিযোগে দুটি জায়গা থেকে মোট ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করে বর্ধমান থানার পুলিস। উদ্ধার হয় ১১ হাজার ৯০ টাকা ও বেশকিছু তাশের বাণ্ডিল।

অক্টোবর ১৬, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে পালিত যুব উৎসব, উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়া

নেহেরু যুব কেন্দ্র বর্ধমান শাখার উদ্যোগে বর্ধমানে আজ যুব উৎসব, যুব সমবাদ ইন্ডিয়ার আয়োজন করা হয়। Take Pride in Our Heritage and legacy. এই থিমের উপর মোবাইল ফটোগ্রাফি, পেইন্টিং, বক্তৃতা, কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। লোকসংস্কৃতি র উপর সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তরুন তরুনীরা। আয়োজন করা হয় যুব সম্মেলন। স্বাধীনতার একশ বছর পরে ভারত বর্ষকে যুব সমাজ কি রুপে দেখতে চান তা তুলে ধরেন আজকের তরুন তরুনীরা। ছটি স্তরের প্রতিযোগিতায় তিনশোর অধিক প্রতিযোগী অংশ নেন। জেলা স্তরের এই প্রতিযোগিতায় প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। পাশাপাশি তারা রাজ্য এবং জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়া, বিধায়ক খোকন দাস সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনের। মূলত জেলার তরুন তরুনীদের প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে এই উৎসবের আয়োজন বলে জানিয়েছেন নেহেরু যুব কেন্দ্র বর্ধমান শাখার আধিকারিক উত্তরা বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে খুশি বলে জানান যুবক যুবতীরা

অক্টোবর ১৪, ২০২২
রাজ্য

ছেলে ধরা সন্দেহে তিন মহিলাকে মারধর ও মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ

ছেলে ধরা সন্দেহে তিন মহিলাকে মারধর ও মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে বর্ধমান থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।পুলিশের পক্ষ থেকে মহিলাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্ধমান শহরের বিধানপল্লী ঘোষপাড়া এলাকার ঘটনা।স্থানীয়দের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে রক্ষাকালী পুজোর চাঁদার নাম করে তিন মহিলা বিধানপল্লীর ঘোষপাড়ায় ঢোকে। অভিযোগ বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে একটি ৩ বছরের বাচ্চাকে নিয়ে পালানোর সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। কোথায় ও কি জন্য বাচ্চাটিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো মহিলাদের থেকে তার কোনো সদুত্তর না মেলায় স্থানীয়রা তাদের মারধর করে এমনকি মাথার চুল পর্যন্ত কেটে দেয় বলে অভিযোগ।পরে পুলিশ পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে।যদিও অভিযুক্ত মহিলাদের দাবী, তারা পুজোর জন্য ভিক্ষা সংগ্রহ করতেই এলাকায় গিয়েছিল। মিথ্যা অভিযোগে তাদের হেনস্থা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। মহিলাদের বিরুদ্ধে আগে কোনো অপরাধমূলক কাজ কর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

অক্টোবর ১৩, ২০২২
রাজ্য

শাসক দলের বিরুদ্ধে বামেদের ফ্ল্যাগ ও ফষ্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে বর্ধমানে

সিপিএমের ফ্ল্যাগ ও ফেষ্টুন ছিঁড়ে দেবার অভিযোগ উঠলো পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে। অভিযোগ উঠলো শাসকদলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল কংগ্রেসের মেমারি ১ নম্বর ব্লক সভাপতি। প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মেমারির চকদিঘি মোড়ে প্রতিবাদ সভা ও মিছিল করে সিপিএম।সিপিএমের অভিযোগ সিআইটিইউর জেলা সম্মেলন উপলক্ষে মেমারি শহর ও শহরের আশপাশে ফ্ল্যাগ ও ফেষ্টুন লাগানো হয়েছিলো রাস্তার ধারে। সিপিএম নেতা অভিজিত কোঙারের অভিযোগ মেমারির বাগিলা, কালসি ও নুদীপুর মোড় এলাকায় রাতের অন্ধকারে তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতিরা তাদের ফ্ল্যাগ ও ফেষ্টুন ছিঁড়ে ফেলে দেয়।যদিও মেমারি ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নিত্যানন্দ ব্যানার্জী সিপিএমের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন সিপিএমের পতাকা লাগানোর লোক কোথায়? পতাকা টাঙিয়েছিলো দেখাক। এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে সিপিএম।আগামীকাল শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলা সিআইটিইউর একাদশ তম সম্মেলন হবে মেমারিতে। শুক্রবার বিকেলে মেমারির পুরনো বাসস্ট্যাণ্ড এলাকায় সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশ হবে। ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ।

অক্টোবর ১৩, ২০২২
রাজ্য

অনলাইন প্রতারণার ফাঁদে কয়েক হাজার টাকা খোয়ালেন পঞ্চায়েত প্রধান

বারে বারে সচেতনতার পাঠ দিলেও মানুষ তবুও প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়েই চলেছে। অনলাইনে প্রতারণার শিকার হলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। জালিয়াতি চক্রের শিকার হয়ে খোয়ালেন ১৬,৭০০ হাজার টাকা।পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের সাহেবগঞ্জ দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিনয় কৃষ্ণ ঘোষ, অনলাইন প্রতারণা চক্রের শিকার হলেন। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি অফিসের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সেই সময় একটি অজানা নম্বর থেকে গ্যাস এজেন্সির পরিচয় দিয়ে তাঁর মোবাইলে ফোন আসে। গ্যাসের ভর্তুকির টাকা ব্যাংকে জমা করে দেওয়ার নাম করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট শেয়ার করতে বলা হয়। তিনি না বুঝে ব্যাংক একাউন্ট নম্বর শেয়ার করেন। সঙ্গে ওটিপি নম্বরটাও। সঙ্গে সঙ্গে তার মোবাইলে মেসেজ আসে তার অ্যাকাউন্ট থেকে ১৬,৭০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। এরপরই বিনয় বাবুর চক্ষু চড়কগাছ। তিনি বুঝতে পারেন প্রতারণা চক্রের শিকার হয়েছেন তিনি। তড়িঘড়ি তিনি ভাতার থানার দ্বারস্থ হন।পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার প্রতারণা চক্রের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতনতার বার্তা দিলেও অসাবধানতার বসে প্রতারিত হচ্ছেন অনেকেই। সাহেবগঞ্জ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিনয় কৃষ্ণ ঘোষও পড়লেন অনলাইন প্রতারকদের পাতা ফাঁদে। তাঁর অসাবধানতার বসে খোয়া গেল কয়েক হাজার টাকা।

অক্টোবর ১১, ২০২২
রাজনীতি

ক্রেন নিয়ে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগ বর্ধমানে, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর

ফের বিতর্কে বর্ধমান পৌরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর বসির আহমেদ ওরফে বাদশা। তার বিরুদ্ধে বর্ধমানের বাবুরবাগ এলাকায় দীর্ঘদিনের পুরোনো গাছ কাটার অভিযোগ করে বনদপ্তরের দ্বারস্থ হলেন খোদ বর্ধমান শহর জয়হিন্দ বাহিনীর সহ সভাপতি মুক্তার মিঞা। বাদশার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সোমবার দিনের বেলা কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে দীর্ঘদিনের পুরোনো একটি শিরিশ গাছ কাটছিল তারা। কাটা গাছটি নিয়ে যাওয়ার জন্য সঙ্গে ছিল ক্রেন। বনদপ্তরে খবর গেলে বনদপ্তরের কর্মীরা আসতেই গাছ অর্ধেক কেটে রেখেই ক্রেন সহ কিছু কাটা কাঠ নিয়ে বেপাত্তা হয় অভিযুক্তরা। মুক্তার মিঞা অভিযোগ করেন, এই গাছটি রাস্তার উপরে রয়েছে। দীর্ঘদিনের পুরোনো এই গাছ কাউন্সিলর বিক্রি করার উদ্দেশ্যে কেটে নেওয়ার জন্য এসেছিল। আমি খবর পাওয়া মাত্র বনদপ্তরে জানাই। বনদপ্তরের কর্মীরা আসতেই সবাই পালিয়ে যায়। বসির আহমেদ সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে বনদপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছেন মুক্তার মিঞা। স্থানীয় বাসিন্দা সেখ রাজিবুল বলেন, অনেক দিনের পুরোনো গাছ কাউন্সিলর বাদশা সহ বেশ কয়েকজন কাটতে এসেছিল। আমরা বনদপ্তরকে বিষয়টি জানিয়েছি। আরেক স্থানীয় বাসিন্দা অনিমা মল্লিক জানান, গাছটি অনেক পুরোনো শুকিয়ে গেছে। ডালপালা কাটার জন্য আমরা কাউন্সিলরকে জানিয়েছিলাম। উনি কি করেছেন আমরা জানি না। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই কাউন্সিলর বসির আহমেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। গাছটি মারা গেছে, কেটে ফেলার জন্য আমার কাছে স্থানীয়রা এসেছিল। আমি বনদপ্তর ও পৌরসভাকে জানাতে বলেছিলাম। পরে শুনলাম কেউ গাছটা কেটে নিচ্ছে। আমিই বনদপ্তরকে জানিয়েছিলাম বলে দাবী করেন কাউন্সিলর। অতিরিক্ত বনাধিকারিক সোমনাথ চৌধুরী জানান, গতকাল গাছটি কাটা হচ্ছিল বলে আমাদের কাছে খবর আসে। আমাদের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই সবাই পালিয়ে যায়। কাটা গাছের কিছু অংশ আমরা ঘটনাস্থল থেকে বাজেয়াপ্ত করি। আজ স্থানীয়রা কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। আমরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করবো। এই গাছ কাটার জন্য কয়েকজন অনুমতি নিতে এসেছিলেন। কিন্তু কাগজপত্রে অসঙ্গতি থাকায় আমরা তাদের অনুমতি দিইনি। যারা এটা করেছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেব।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে কাউন্সিলর বসির আহমেদের বিরুদ্ধে তার দলেরই এক কর্মী তুহিনা খাতুনকে মারধর ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বর্তমানে ওই মামলায় জামিনে রয়েছেন অভিযুক্ত কাউন্সিলর।

অক্টোবর ১১, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে রেস্তোরাঁয় আরও তোলার দাবিতে ব্যাপক মারধর, রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে

শাসকদলের নাম করে রেস্তোরাঁয় ঢুকে টাকা ও মদ চেয়ে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে বর্ধমান শহরে। তবে টাকা দিয়েও রেহাই মেলেনি। আরও বেশি টাকা চেয়ে মালিকের ভাইপোকে চলল বেধড়ক মারধর। এই ঘটনা তিনদিন হয়ে গেলেও অধরা দুস্কৃতীরা। বিজেপির অভিযোগ শাসকদলের মদতেই তোলাবাজরা এত সাহস পাচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র জানিয়েছেন, দোষী যে দলেরই হোক শাস্তি হবেই।তোলার টাকা চেয়ে বর্ধমান শহরের নীলপুর এলাকায় রেস্তোরাঁতে হামলার অভিযোগ ওঠে। দুদিনের বেশী কেটে গেলেও ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা বলে অভিযোগ। বিজপির দাবি, অভিযুক্তরা বর্ধমান-দক্ষিন বিধানসভার বিধায়ক খোকন দাসের ঘনিষ্ঠ{ এলাকায় অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশের খাতায় তারা ফেরার, তাদের ধরতে বর্ধমান থানার পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরেও অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোয় আতঙ্কিত রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী পরিবার। প্রসঙ্গত, ৭ই অক্টোবর বর্ধমানে দুর্গাপুজো কার্নিভালের দিন শহরের ছোটনীলপুর এলাকায় সদ্য ব্যবসা শুরু করা এক রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীর কাছে ৫০হাজার টাকা তোলা চেয়ে না পেয়ে রেস্টুরেন্টের সামনেই ওই ব্যবসায়ীর ভাইপোকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ{ এই ঘটনায় জেলা তৃণমূলের যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার জানান, জঘন্য কাজের জন্য দোষীদের শাস্তি পাওয়া উচিত, যদি তারা দোষী হয়। প্রশাসন প্রশাসনের মতো কাজ করবে, দোষীদের রেয়াত করবে না।নতুন খোলা এই রেস্তোরাঁ ঘটনার পর দুদিন বন্ধ ছিল। মালিক সুজিত চৌধুরী জানান, তাঁরা মধ্যবিত্ত ঘরের মানুষ। কষ্ট করে ব্যাবসা করছেন। দোকান খোলার আগে থেকে কয়েকজন হুমকি দিচ্ছিল। বারবার ৫০ হাজার টাকা ও প্রতিদিন মদের বোতল দাবি করে। ভয় পেয়ে তাঁর ছেলে ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার পরও তার ভাইপোকে মারা হয়।এই ঘটনার জেরে শেফ কাজ ছেড়ে দিয়ে চলে গেছেন। তাঁরা শান্তিতে ব্যবসা করতে চান।দোকানের কর্মচারিরা জানান, তাঁরা এসে মাংস ও ডিম চায়। বিল ছাড়া তাঁরা দিতে পারেন না জানানোয় হুমকি দিয়ে চলে যায়। দুদিন পরেই মালিকের ভাইপোকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়।বিজেপি জেলা যুব মোর্চার সভাপতি পিন্টু সাম বলেন, শাসকদলের বিধায়ক ও স্থানীয় কাউন্সিলরের মদতেই দুস্কৃতীরা এত বেড়েছে। দোকানের মালিক অবশ্য জানিয়েছেন, বিধায়কের বিরুদ্ধে তার কোনও অভিযোগ নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডু, বলেছেন এসব গর্হিত কাজ। তাদের দল এসব কাজের তীব্র বিরোধী। আইন মেনে পুলিশ ঠিকই ব্যবস্থা নেবে।

অক্টোবর ১১, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 16
  • 17
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন নেতৃত্বের সঙ্গে

একদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির পোস্টারবয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা করবেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও তাঁর এই বঙ্গসফরকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত ষশাহ হোক, এঁরা কেউ এখানে বিজেপির জয় এনে দিতে পারবেন না। আগেও নির্বাচনের আগে বারে বারে এসেছেন এবারও আসবেন। তবে ব্যর্থ হবেন বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে পৌঁছল বিহারের ৫৫টি বাইক, উদ্দেশ্য ঘিরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার বিহারের নম্বর প্লেটযুক্ত ৫৫টি পুরনো মোটরবাইক বর্ধমান জেলা বিজেপি দলীয় অফিসের ঠিকানায় এসে পৌঁছানোকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইকগুলি ট্রেন থেকে নামিয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের ইস্টার্ন রেলওয়ের পার্সেল অফিসের সামনে রাখা হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বর্ধমান রেল স্টেশনে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বাইকগুলির মালিকানা, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি এবং কেন শুধুমাত্র বিজেপির বর্ধমান জেলা অফিসের ঠিকানায় এই বাইক পাঠানো হয়েছে। তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন বিধায়ক।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে সুনীল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তির নামে এই ৫৫টি বাইক পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই বাইকগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই বাইক ব্যবহার করে বাইরের লোকজন বা দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এই ৫৫টি নয়, ২৩ জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০০ মোটর বাইক আসার কথা।বিধায়ক খোকন দাস স্পষ্ট ভাষায় জানান, এতগুলো বাইক বিহার থেকে কী উদ্দেশ্যে বাংলায় আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভোটের আগে এই বাইক ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। একই সঙ্গে তিনি রেল ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ও বাইকগুলির সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এই পরিবহণের বিস্তারিত জানাতে হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ না হলে বাইকগুলি পার্সেল অফিস থেকে ছাড়তে দেওয়া হবে না।অন্যদিকে, তৃণমূলের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় দলীয় কর্মীদের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিহারের ভোট শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস রাঢ়বঙ্গ জোনের কেন্দ্রীয় অফিস হওয়ায় এখানকার ঠিকানাতেই বাইক পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগেই এভাবেই বাইক আনা হয় এবং বিষয়টি জেনেও তৃণমূল অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। বাইক বিতর্কে প্রশাসনের ভূমিকা কী হয়, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে কৌতূহল।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এশিয়া কাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাত্রের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হার স্বীকার করেই শিরোপা হাতছাড়া করতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। মাত্র এক ইনিংসেই তিনি করে ফেলেন ১৭২ রান। উসমান খানের সঙ্গে ৯২ রানের এবং আহমেদ হুসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের দুটি বড় জুটিতে ভর করে দ্রুত ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় পাকিস্তানের ইনিংস ২৭০২৮০ রানের মধ্যেই থামতে পারত। কিন্তু মিনহাসের ব্যাটে ভর করেই ৪৩ ওভারের মধ্যেই ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে তাঁর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৩০২/৩ থেকে ৩২৭/৮ মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারালেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল।লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো পরিচিত নাম থাকলেও কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আশ্চর্যজনকভাবে দলের সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বর ব্যাটার দীপেশ দেবেন্দ্রনের ব্যাট থেকে। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।এই হার যেন সাম্প্রতিক সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঞ্চ ফাইনাল, ফলাফলও প্রায় একই রকম হতাশাজনক।উল্লেখযোগ্যভাবে, ফাইনালে ওঠার আগে টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছেই একমাত্র হেরেছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ নিজেদের ঝুলিতে ভরল পাকিস্তান। আর ফাইনালে বারবার হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে গেল ভারতীয় যুব দলের সামনে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিদেশ

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারে হামলার পরও অকুতোভয় কর্তৃপক্ষ, সন্ত্রাসের নিন্দার ঝড় বিশ্বের সর্বত্র

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠল ঢাকায় প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। দেশের দুটি প্রথম সারির সংবাদপত্রের দফতরে এই হামলার অভিযোগ সামনে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়েছে সাংবাদিক মহল, নাগরিক সমাজ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলির মধ্যে। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে নিন্দার ঝড় বয়েছে অন্যত্র।ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে আসার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। পরবর্তীতে হিংসা ছড়িয়ে পরে নানা জায়গায়। নৃশংস ভাবে হিন্দু যুবক খুন থেকে সংস্কৃতি সংগঠনের ওপর হামাল। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর ক্রমাগত হামলা চলতে থাকে।প্রাথমিক অভিযোগ অনুযায়ী, ঢাকায় অবস্থিত প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। তারা অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মীদের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। আগুন লাগিয়ে দেয় এই অফিসদুটিতে। যদিও এই ঘটনায় বড় ধরনের শারীরিক ক্ষতির খবর নেই, তবে আচমকা হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং কিছু সময়ের জন্য সংবাদকর্ম ব্যাহত হয়। সংবাদপত্র প্রকাশনা বন্ধ রাখতে হয়। বৃহস্পতিবার রাতে অনলাইন পোর্টালেও আর খবর আপলোড করা যায়নি।হামলার ঘটনার পরপরই বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সম্পাদকীয় মহল একে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে উল্লেখ করেছে। তাদের বক্তব্য, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি, আর সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা গভীর উদ্বেগজনক। এই দুই সংবাদপত্র গোষ্ঠীও জানিয়ে দেয় তারা ভয় পায় না। খবর প্রকাশ করতে কোনও পরোয় তারা করবে না। এমনকী দফতরের সামনে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করে।ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসনের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।এই ঘটনার পর প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হুমকি বা হামলার মাধ্যমে সত্য প্রকাশ থামানো যাবে না। তারা দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসনের কাছে।আন্তর্জাতিক স্তরেও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনা শুধু দুটি সংবাদপত্রের ওপর আঘাত নয়, বরং বাংলাদেশের সামগ্রিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলে দিল। এখন দেখার, প্রশাসনিক পদক্ষেপ কতটা দ্রুত ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

লাইভ মঞ্চে লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, ওসির ভূমিকা নিয়েও তদন্ত

লাইভ পারফরম্যান্স চলাকালীন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক মহল। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে একটি বেসরকারি স্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করতে গিয়ে এই ঘটনার মুখে পড়েন তিনি। ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যার নাম তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় ভগবানপুরের একটি বেসরকারি স্কুল প্রাঙ্গণে। অভিযোগ অনুযায়ী, লগ্নজিতা চক্রবর্তী যখন জাগো মা গানটি পরিবেশন করছিলেন, তখন অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ও ওই স্কুলের মালিক মেহবুব মল্লিক আচমকাই মঞ্চে উঠে আসেন। শিল্পীর অভিযোগ, তিনি গালিগালাজ করেন এবং চিৎকার করে বলেন, অনেক হয়েছে জাগো মা, এবার কিছু সেকুলার গান গাও। পাশাপাশি মারধরের হুমকি ও শারীরিকভাবে আক্রমণের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ।পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠলে অনুষ্ঠান কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। পরে লগ্নজিতা চক্রবর্তী ভগবানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, প্রথমে থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর মামলা রুজু হয় এবং অভিযুক্ত মেহবুব মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়।পূর্ব মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিতুন দে জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে ভগবানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং আরও এক পুলিশকর্মীর ভূমিকা নিয়েও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের গাফিলতির প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজাও তীব্র হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা অভিযোগ করেন, একজন শিল্পী কি গান গাইবেন, সেটাও শাসক দলের লোক ঠিক করে দিচ্ছে। এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি আরও দাবি করেন, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল। যদিও এই ঘটনার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।লাইভ মঞ্চে একজন শিল্পীর গান বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিয়ে ওঠা এই প্রশ্ন এখন আর শুধু ব্যক্তিগত অভিযোগে সীমাবদ্ধ নয়। সাংস্কৃতিক পরিসরে মতপ্রকাশের অধিকার, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব সব মিলিয়ে এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal