• ৫ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২১ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bardhaman

রাজ্য

লোকালয় থেকে উদ্ধার শাবক সহ ৫ টি গন্ধগোকুল

লোকালয় থেকে উদ্ধার হল চারটি শাবক সহ একটি পূর্ণবয়স্ক গন্ধগোকুল।শুক্রবার শহর বর্ধমানে ২ নম্বর ইছলাবাদ নিবাসী আলোক পালের বাড়ি থেকে এই গন্ধগোকুল গুলি উদ্ধার হয়। অলোক পাল জানিয়েছেন, প্রাণীগুলি দেখতে পেয়েই তিনি বর্ধমান সোসাইটি ফর অ্যানিমাল ওয়েলফেয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।খবর পেয়েই সংস্থার সদস্যরা তার ইছলাবাদের বাড়িতে চলে আসেন। তারা একটি মা গন্ধগোকুল ও তাঁর চারটি শাবককে উদ্ধার করে নিয়েযায়। সংস্থার সদস্যরা জানিয়েযান চিকিৎসা করিয়ে নিয়ে তাঁরা প্রাণীগুলিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেবেন ।

ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২২
রাজ্য

নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পুকুরে গিয়ে পড়ল চারচাকা গাড়ি ও রোগীসহ অ্যাম্বুলেন্স

দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পেতে গিয়ে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পুকুরে গিয়ে পড়ল একটি চারচাকা গাড়ি ও রোগীসহ অ্যাম্বুলেন্স। শুক্রবার সকালে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের নবাবহাটের ১০৮ শিব মন্দিরের কাছে বর্ধমান-বোলপুর জাতীয় সড়কে। স্থানীয়দের তৎপরতায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত দুটি গাড়ির আরোহী প্রাণে বেচে যান। গাড়িগুলিও উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। কিভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটলো তার তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি বর্ধমানের দিকে যাচ্ছিল। তার পিছনে ছিল বোলপুর মুখী দ্রতগতির চারচাকা গাড়িটি। বর্ধমান-বেলপুর রোড ধরে দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময়ে বর্ধমানের নবাবহাটের ১০৮ শিবমন্দিরের কছে হঠাতই চারচাকা গাড়িটি ডান দিয়ে বেশী চেপে যায়। তখন দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচতে অ্যাম্বুলেন্সটি নিজের বাঁদিকে সরে যেতে গেলে পুকুরে নেমে যায়। একই অবস্থা হয় পিছনে থাকা যাত্রী বোঝাই চারচাকা গাড়িটিরও। অ্যাম্বুলেন্সটি পুকুরের একেবারে ধারে গিয়ে আটকে গেলেও চারচাকা গাড়িটি গভীর পুকুরের জলে নেমে যায়। মাঝ জলে পড়ে গিয়ে আরোহী সহ চারচাকা গাড়িটি ডুবতে বসার উপক্রম হয়। এমন পরিস্থিতি দেখে স্থানীয় যুবকরা একমুহুর্ত আর দেরি না করে পুকুরের জলে ঝাপ দিয়ে তলিয়ে যেতে বসা চারচাকা গাড়ি ও তার আরোহীদের উদ্ধারে নেমে পড়ে। ওই যুবকদের ততপরতাতেই নির্ঘাত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যান চারচাকা গাড়িতে সওয়ার থাকা চার আরোহী।এরপর স্থানীয়রাই রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি ও তাতে সওয়ার থাকা রোগী সহ তিনজনকে উদ্ধার করেন।অ্যাম্বুলেন্সে থাকা রোগীক বর্ধমান হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাণে বাঁচানোর জন্য দুই গাড়ির আরোহীরা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান স্থানীয় যুবকদের। বর্ধমান থানার আই সি সুখময় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, কিভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তার তদন্ত হবে। এলাকার যুবকরা জলে ঝাঁপ দিয়ে যেভাবে দুর্ঘটনাগ্রস্তদের উদ্ধার করেছেন তার প্রশংসা করেছে পুলিশ।

ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২২
রাজ্য

রাত পোহালেই সরস্বতী পুজো, হাসি নেই প্রতিমা শিল্পীদের মুখে

একদিন পরেই বাঙালির ভ্যালেন্টাইন-ডে সরস্বতী পুজো। হিন্দু বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী সরস্বতীর আরাধনাকে উপলক্ষ্য করে অনুষ্ঠেয় অন্যতম প্রধান হিন্দু উৎসব। শাস্ত্রমতে মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা আয়োজিত হয়। তিথিটি শ্রীপঞ্চমী বা বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। শীতকে বিদায় জানিয়ে বসন্তের আগমন শুরু হয় এই পুজোর মাধ্যমেই। গেঁদা,গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা শোভিত শ্বেতবসনে দেবীর আবহনে মেতে উঠে ৮ থেকে ৮০। প্রচলিত হিন্দু মতে এই দিন ঠাকুরের সামনে হাতে খড়ি দিয়ে অক্ষর পরিচয় হলে নাকি বিদ্বান হয়। কিন্তু সেই খড়িও নেই পাথরের স্লেটও নৈব নৈব চ। যাইহোক মতপার্থক্য থাকতেই পারে, তাতে আনন্দ উপভোগ করাতে কোনও বাধা নেই। গত বছর করোনার বিধিনিশেধ থাকায় স্কুল কলেজ বন্ধ ছিল। যাদের অনুষ্ঠান তারাই ব্রাত্য থাকলে সেই অনুষ্ঠানের কোনও আমেজই থাকে না। তাই মূর্তি পুজোর সংখ্যা অনেকাংশেই কম ছিল।হিন্দু ধর্মের যেকোনও পুজোর মূল আকর্ষণ মূর্তি। সেই মুর্তী-র কারিগড় তথা প্রতিমা শিল্পী-রা মহাসঙ্কটের সন্মুখীন। গত ২০২০ থেকে করোনা মহামারীর কারণে জমায়েতের বিধিনিষেধ, নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত অর্থনীতিতে বিরাট ধাক্কা আসাতে বহু পুজো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই শিল্পের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা শুধু প্রতিমা তৈরি করেই বা প্রতিমার সাজ-সরঞ্জাম তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন, আজ তাঁরা মহা সঙ্কটের মুখে।সরস্বতী পুজোশহর বর্ধমানের প্রবীন মৃৎ শিল্পী দ্বীনবন্ধু রানা, জনতার কথার প্রতিনিধিকে জানান, আমি প্রায় ৪০ বছর এই শিল্পের সাথে যুক্ত, এরকম ভয়ংকর সমস্যার মুখে কোনওদিন পড়তে হবে আগে ভাবিনি। তবে সরকার স্কুল কলেজ খুলে দেওয়াতে আগের বারের থেকে একটু বিক্রি বেড়েছে। কিন্তু অন্যান্য বছরের থেকে বিক্রিবাটা অনেকটাই কম। তিনি আরও জানান, অনান্য বছর এই সময় অর্ধেক ঠাকুর মণ্ডপে চলে যেত। ঠাকুরের আকৃতি একই কিন্তু কম দামে বেচতে হচ্ছে, যে ছোটো ঠাকুরগুলো আগের বার ১০০০-১২০০ টাকা তে বিক্রি করেছি ,সেই একই সাইজের ঠাকুর ৭৫০ টাকাতেও কেউ কিনতে চাইছে না। এদিকে কাঁচামালের দাম প্রায় শতকরা ৩০% থেকে ৪০% বেড়ে গিয়েছে।দ্বীনবন্ধু আরও বলেন, আমাদের পুঁজি কম থাকায় বর্ধমান শহর থেকেই ঠাকুরের সাজ কিনতে হয়, কলকাতা থেকে কিনলে আরও ২% দাম কম হত। তিনি বলেন, আমার পরিচিতি বড় ঠাকুরের কারিগর হিসাবেই। তিনি জানান, সে অর্থে কোনও বড় বাজেটের ঠাকুরের বায়না এবারে পাননি, তিনি সর্বোচ্চ ২৫০০ টাকার বেশী ঠাকুর এবছর বানাননি। পুরনো অনেক ক্লাব পুজো বন্ধ করে দিয়েছে। বাজেট পুজো প্রায় উঠেই গেছে। কলেজগুলোতে আগে বড় বড় প্রতিমার চাহিদা ছিল। কারোও কারোও ঠাকুরের বাজেট ছিল প্রায় ৪৫০০ টাকার কাছাকাছি, এখন তারাও ছোট ঠাকুর কিনছেন ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে।সরস্বতী পুজোজনতার কথা কলকাতায় ঠাকুরের সাজ সরঞ্জাম বিক্রেতাদের যোগাযোগ করে কাচামালের দাম বৃদ্ধির কারন জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, করোনার পর থেকেই নানাবিধ বিধিনিষেধের জন্য, চীন থেকে খুব কম পরিমাণ কাঁচামাল যেমন, কাপড়, রাংতা ইত্যাদি আসছে। আমদানি করা মালের দামও খুব বেড়ে গিয়েছে। তাই আমাদেরও দাম বাড়াতে হয়েছে। দীনবন্ধু রানার অক্ষেপ, সরকার করোনার আতিমারীর কারণে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের শিল্পীদের নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। কিন্তু আমরা বঞ্ছিত, আপনাদের মাধ্যমে সরকারের কাছে আমার অনুরোধ রইল, যদি সহৃদয় হয় কখনও।

ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২২
রাজ্য

তৃণমূল- বিজেপিকে টেক্কা, পূর্ব বর্ধমানের ৬টি পৌরসভায় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা বামেদের, তৃণমূল বিধায়কের প্রার্থী তালিকা ফাঁস মেমারিতে

রাজ্য রাজনীতিতে ২০১১ সালে পালাবদলের পর থেকে প্রতিটি নির্বাচনে ভোটক্ষয় হয়ে চলেছিল বামেদের। সদ্য সমাপ্ত কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচনে সেইভোটক্ষয়ে কিছুটা লাগাম পরাতে সক্ষম হয় বামেরা। আসন সংখ্যার নিরিখে না হলেও ভোট প্রাপ্তির শতাংশ হারের বিচারে তিলোত্তমা কলকাতায় বিজেপিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বামেরা। আর কলকাতা পুরভোটে অক্সিজেন পেয়েই এবার একদা বাম দুর্গ পূর্ব বর্ধমানের ছয়টি পৌরসভার নির্ফাচনেও জয় ছিনিয়ে নিতে মরিয়া সিএপিএম। রাজ্য নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে পৌরসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করে। এর ঠিক পরেই জেলার ৬ টি পৌরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিয়েই শাসক দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ভোট প্রচারে নেমে পড়েন সিপিএম নেতা কর্মী ও প্রার্থীরা। শাসক নেতৃত্ব বামেদের প্রার্থি ঘোষণার বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিতে না চাইলেও বিধায়কের তৈরি করা প্রার্থী তালিকা নিয়ে মেমারির তৃণমূল শিবিরে এখন ক্ষোভ বিক্ষোভ চরমে উঠেছে। বাম আমলে বলিষ্ঠ সিপিএম নেতা বিনয় কোঙারের গড় হিসাবেই পরিচিত ছিল মেমারি। সেই মেমারির দলীয় কার্যালয়ে থেকেই এদিন মেমারি পৌরসভার ১৬টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে সিপিএম নেতৃত্ব। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস বা বিজেপি কেউ এদিন প্রর্যন্ত তাঁদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারেনি ।প্রার্থীদের নাম ঘোষণা কেরেই নিবাসী সিপিআইএম জেলা নেতা তাপস চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, এদিন থেকেই তাঁরা ভোট যুদ্ধে নেমে পড়বেন। যেমন কথা তেমনই কাজ। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিয়েই বাম নেতা কর্মীদের একদল দেওয়াল লিখন আর অন্য দল বাড়ি বাড়ি প্রচার চালানো শুরু করেদেন।তবে বামেদের আগে তৃণমূলের মেমারিতে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে না পারাটা শাসক দলের নিচু তলার কর্মীদের যথেষ্টই হতাশ করেছে। গত পৌরসভা নির্বাচনে মেমারি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী।৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী হয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী। এছাড়াও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল প্রার্থী এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন পিডিএস সমর্থিত নির্দল প্রার্থী ।বাকি সব আসনে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রার্থীরা।এখনও মেমারি পৌরসভা পরিচালনার দায়িত্বে তৃণমূলের মনোনীতরাই রয়েছেন।এদিকে দল মেমারি পুরসভার প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ না হলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে মেমারির তৃণমূল বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্যের নির্দিষ্ট করা প্রার্থীদের নাম। যা নিয়ে মেমারির পৌর এলাকার তৃণমূল শিবিরে যথেষ্টই ক্ষোভ বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। বিক্ষুদ্ধদের দাবি, মেমারির বিধায়ক মধুসূদনবাবু নিজের অনুগতদের মেমারি পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।যাঁদের তিনি চিহ্নিত করেছেন তাঁদের নাম, ফোন নম্বার ও কোন ওয়ার্ডে কে কে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তার তালিকা নিজের বিধায়ক প্যাডে ছাপিয়েছেন। তাতে স্বাক্ষর ও শিলমোহর দিয়ে মধুসূদনবাবু ওই নামের তালিকার লোকজনকেই মেমারির প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করার জন্য সুপারিশ করে ১৭ জানুয়ারি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েছেন। ওই সুপারিশ পত্রে মেমারি পৌরসভার দুবারের চেয়ারম্যান ও বর্তমান অ্যাডমিনিস্ট্রেটর স্বপন বিষয়ীকে দুর্নীতিগ্রস্ত ও তোলাবাজ বলে অবিহিত করেছেন। আর তা নিয়েই পৌরসভা ভোটের প্রাক্কালে মেমারি শহর জড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে ব্যাপক ক্ষোভ বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার কথা। তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব যদি মেমারির তৃণমূল বিধায়কের সুপারির করা ব্যক্তিদেরই পুরভোটে প্রার্থি করে তবে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হবে বলে মনে করছেন দলেরই অনেকে। তেমনটা হলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলের লড়াইয়ে জমজমাট হবে মেমারি পৌরসভার নির্বাচন। ওই তালিকা বিষয়ে মেমারির বিধায়ক মধূসূদন ভট্টাচার্য্যের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন , নিজের অবজারভেশন মোতাবেক প্রার্থী প্রস্তাবপত্র তৈরী করে ছিলেন। তারপর দলের উচ্চ নেতৃত্ব জানিয়ে দেন তারাই মেমারি পর ভোটের প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে সার্ভে করছেন। তাই তিনি আর তার প্রস্তাব পত্র রাজ্যে পাঠাননি। বর্তমান অ্যাডমিনিস্ট্রেটার স্বপন বিষয়ী সন্মন্ধে যেসব যে অভিমত লিখেছেন তার প্রসঙ্গে মধুসূদন বাবু বলেন ,অ্যালিগেশন নিয়ে পাবলিকের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে ওনার বিরুদ্ধে আমার পার্সোনাল অবজারভেশন আমি লিখেছি। স্বপন বিষয়ী যদিও বিধায়কের করা প্রার্থী নির্বাচন তালিকা নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, দলের রাজ্য নেতৃত্ব যথা সময়েই মেমারির পৌর ভোটে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীদের নাম ঘোষনা করবেন। প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের অভ্যন্তরীন বিরোধ যখন তুঙ্গে সেই সময়েই মেমারির পর বর্ধমান, গুসকরা, কাটোয়া,কালনা ও দাঁইহাট পৌরসভার প্রার্থী তালিকাও প্রকাশ করেদেন সিপিএম নেতারা। এদিন বিকালে সিপিএমের পূর্ব বর্ধমানের জেলা দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলনে করে নেতারা ওইসব পৌরসভার বামফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষনা করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তাপস সরকার, অপূর্ব চ্যাটার্জি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। বর্ধমান পৌরসভার নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য বামেদের এবারের প্রার্থী তালিকায় বেশ কিছু নতুন মুখ স্থান পেয়েছে। তালিকায় ফরোয়ার্ড ব্লকের ৪ জন এবং আর এস পির ২ জনের নাম রয়েছে। মোট ৩৫ টি ওয়ার্ডের প্রার্থীদের নাম ঘোষিত হয়েছে। দলের দুই ছাত্র নেতা অনির্বাণ রায়চৌধুরী; অতনু হুই; অরিন্দম মৌলিক; মুনমুন হালদারের মত তরুণ মুখের প্রতিনিধিরা রয়েছেন এবারের ভোট যুদ্ধে । ২০১৩ সালে বর্ধমান পুরসভা ভোটের দিন সকালেই সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সব প্রার্থী তুলে নেয় বামেরা। তারা জানিয়েছেন ; এবারে প্রশাসন তার দায়িত্ব পালন করুক।তা সত্বেও তারা শেষ অবধি ময়দানে থাকবেন।গুসকরা, কাটোয়া,কালনা ও দাঁইহাটের প্রার্থী তালিকায় বাম নেতৃত্ব পুরনোদের পাশাপাশি বহু নতুন মুখকে নিয়ে এসেছেন। একেবারে তরুণ প্রজন্মের অনেকেই জেলার ৬ টি পৌরসভার প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
রাজ্য

অবৈধ বালি খাদান ও ওভারলোড গাড়ি নিয়ে সরব তৃণমূলের একাংশ, বর্ধমানে হামলার মুখে সরকারি আধিকারিকরা, ছড়াল উত্তেজনা

নদ-নদী থেকে বালি লুট ও বালির ওভার লোডিং বন্ধে প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ আগেই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কে কার কথা শোনে। মুখ্যমন্ত্রী যে নির্দেশ দিয়েছেন তার কোন কিছুই পূর্ব বর্ধমান জেলায় মানা হচ্ছে না বলে এতদিন জেলাবাসী অভিযোগ করে আসছিলেন। এবার বিষয়টি নিয়ে খোদ খণ্ডঘোষ পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি ও ভূমি রাজস্ব কর্মাধ্যক্ষ জেলা প্রশাসনের দফতরে অভিযোগ জানালেন। পাশাপাশি জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা ভূতনাথ মালিকও ওভারলোড বালির লরি চলাচল নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে। তারই মধ্যে বৃহস্পতিবার বর্ধমানের ইদিলপুরের বালি খাদানে বালির গাড়ির চালান চেক করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন ভূমি দফতরের আধিকারিকা। যা নিয়ে প্রশাসনিক মহলেও তোলপাড় পড়ে গিয়েছে।খণ্ডঘোষ পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি ও ভূমি রাজস্ব কর্মাধ্যক্ষ শ্যামল কুমার পাঁজা ১ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসনের দফতরে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। ওই অভিযোগপত্রে তিনি দাবি করেছেন, খণ্ডঘোষের শশঙ্গা অঞ্চলে দামোদর নদে বেশ কয়েকটি অবৈধ খাদান চলছে। তার মধ্যে গৈতানপুর মৌজায় থাকা একটি অবৈধ বালি খাদান দীর্ঘদিন যাবৎ ধারাবাহিক ভাবে অনুপম পাঁজা নামে এক ব্যক্তি চালিয়ে যাচ্ছেন।গত ২৮ জানুয়ারি খণ্ডঘোষ বিএলআরও এবং এসডিএলআরও দফতরের আধিকারিকগণও ওই বালি খাদান খতিয়ে দেখতে আসেন। সবকিছু খতিয়ে দেখে তাঁর প্রমাণ করেন খাদানটি সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবেই চলছে। তার পরেও ওই অবৈধ খাদান থেকে আরও বেশি পরিমাণে খননকার্য চলছে। শ্যামলবাবু তাঁর অভিযোগে আরও জানিয়েছেন, এলাকার মানুষজন অবৈধ বালি খাদান বন্ধ করার কথা অনুপম পাঁজাকে বলেছিলেন। প্রত্যুত্তরে অনুপম পাঁজা এলাকার মানুষজনকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন তাঁর খাদান নিয়ে কেউ কিছু করতে পারবে না। অনুপম পাঁজার এমন বক্তব্যে এলাকার বাসিন্দা মহলে ব্যাপক ক্ষোভ বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ওই অবৈধ বালি খাদান নিয়ে যে কোনওদিন এলাকায় বড়সড় অশান্তির ঘটনা ঘটে যেতে পারে।এমন আশঙ্কার কথাও প্রশাসনকে জানিয়েছেন, খণ্ডঘোষ পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি ও ভূমি রাজস্ব কর্মাধ্যক্ষ।অবৈধ বালি খাদানযদিও এইসব অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেছেন অনুপম পাঁজা। তিনি বালির চালান দেখিয়ে দাবি করেন বৈধ ভাবে লিজ পেয়েই তিনি তাঁর খাদান চালাচ্ছেন। তাঁর খাদান অবৈধ বলে যিনি দাবি করছেন তিনি সঠিক বলছেন না। বিএলআরও দফতরের লোকজন একদিন তাঁর বালি খাদান মাপজোক করতে এসেছিলেন। সেই কাজে তিনিও তাঁদের সাহায্য করেছিলেন। কোনও অনিয়ম ধরা পড়ার কথা বিএলআরও দফতরের কেউ তাঁকে জানায়নি। অনুপম পাঁজা এও জানান, শ্যামল পাঁজা এমন অভিযোগ আগেও তাঁর বিরুদ্ধে করেছিলেন। কারণ ওনার ব্যক্তিগত কিছু দাবিদাওয়া আছে। যা তিনি পূরণ করেননি। তাই শ্যামল পাঁজা প্রশাসনের কাছে এইসব মিথ্য অভিযোগ করছেন বলে অনুপম পাঁজা মন্তব্য করেছেন। খণ্ডঘোষ ব্লকের বিএলআরও রোহিত রঞ্জন ঠাকুর জানিয়েছেন, শশঙ্গা অঞ্চলে অবৈধ বালি খাদান চলছে এমন কোন অভিযোগের এদিন পর্যন্ত পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষ ব্লক ভূমি দফতরে কিছু জানাননি। তবে তাঁরা অনুপম পাঁজার খাদান নিয়ে এনকোয়ারি করে ছিলেন। সব খতিয়ে দেখে তাঁরা অনিয়ম কিছু পাননি। সেই রিপোর্ট জেলার ভূমি আধিকারিককে (এডিএম এলআর ) পাঠিয়ে দিয়েছেন।পরে এসডিএলআরও দফতর থেকেও আধিকারিকরা এসে অনুপম পাঁজার খাদান খতিয়ে দেখে যান। ওনারা কি রিপোর্ট দিয়েছেন সেই বিষয়ে কিছু জানেন না বলে খণ্ডঘোষের বিএলঅরও জানিয়েছেন।অবৈধ বালি খাদান চলার অভিযোগ শুধু খণ্ডঘোষের বাসিন্দারাই অভিযোগ তুললেন এমনটা নয়।জামালপুরের জোড়বাঁধ, পুলমাথা ও সারাংপুর এলাকায় অবৈধ বালিখাদান চলছে বলে ইতিপূর্বে জেলা প্রশাসনের দফতরে অভিযোগ জমা পড়েছিল।এখনও জোড়বাঁধ এলাকায় দামোদর থেকে দেদার চলছে বালি লুট। এই বিষয়ে ওই বালি খাদানের প্রাক্তন লিজ হোল্ডার বাসুদেব মাজি ওরফে হোবেকে ফোন করা হলে তিনি জানান, জোড়বাঁধে দামোদর থেকে বালি তোলার লিজ এবার কেউ পায়নি। তাই তিনি জোড়বাঁধ থেকে বালি তোলেন না। স্থানীয় কাঁঠালতলা এলাকায় যাঁর বালি খাদান রয়েছে তাঁরাই জোড়বাঁধ থেকে এখন বালি তোলেন। বালি কারবারি বাসুদেব মাঝির এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় জোড়বাঁধে দামোদর থেকে বালি লুটের অভিযোগ মোটেই অসত্য নয়। জোড়বাঁধের পাশাপাশি জামালপুরের বেরুগ্রাম অঞ্চলের বাসিন্দারাও অবৈধ বালিখাদান ও ওভারলোড বালির লরি চলাচল নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বেরুগ্রাম অঞ্চলেও প্রকাশ্যে অবৈধ বালি খাদান চলছে। বিষয়টি জানার পর সম্প্রতি জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ভূতনাথ মালিক নিজে ব্লকের ভূমি দফতরে গিয়ে অবৈধ বালি খাদান বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। এই অঞ্চলে দামোদরে নৌকা নামিয়েও বালি তুলে পাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে পুলিশি অভিযানে বালি চোর ধরা পড়ার পর। বেরুগ্রাম অঞ্চলের ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা ছাড়াও ভূতনাথ মালিক অভিযোগ করেছেন, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে শয়ে শয়ে ওভারলোড পাথর ও বালির লরি কালাড়াঘাট থেকে পলেমপুর যাওয়ার সড়ক পথ দিয়ে যাতায়াত করছে। বহু সংখ্যায় ওভারলোড বালির লরি যাতায়াতের কারণে সদ্য তৈরি হওয়া ওই পাকা পিচ রাস্তা সম্পূর্ণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে। অথচ প্রশাসনের কেউ এই বিষয়টি নিয়ে হেলদোল দেখাচ্ছেন না। ক্ষুব্ধ জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ভূতনাথ মালিক বলেন, রাস্তা বাঁচাতে এরপর হয়তো জামালপুরের জনপ্রতিনিধিদেরই পথে নেমে ওভারলোড বালি ও পাথরের লরি ধরতে হবে।সরকার ওভারলোড গাড়ি চলাচল বন্ধে কড়া বার্তা দেওয়ার পরেও কিভাবে ওভার লোড বালির লরি সড়ক পথে চলাচল করছে তা নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার বলেও ভূতনাথ মালিক জানিয়েছেন।বিরোধীরা যদিও দাবি করেছে, কোথায় কিভাবে বালি লুট হচ্ছে তার সবই জানেন পুলিশ ও শাসক দলের জনপ্রতিনিধিরা। তার পরেও জনপ্রতিনিধিদের যে সব অভিযোগ করছেন সেটা নাটক ছাড়া আর কিছু নয়। জনপ্রতিনিধিদের আনা এইসব অভিযোগের মাঝেই বৃহস্পতিবার বর্ধমানের ইদিলপুরে বালি ঘাটে বালির চালান খতিয়ে দেখতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হলেন ভূমি দফতরের আধিকারিকরা। চালান বিহীন বালি বোঝাই একটি ট্র্যাক্টর ধরা নিয়ে বালিঘাটে থাকা লোকজন ভূমি দফতরের আধিকারিদের উপরে চড়াও হয়। তাঁরা আধিকারিকদের গাড়িতেও ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ডিএসপি(হেডকোয়ার্টার) অতনু ঘোষালের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পাশাপাশি শুরু হয়েছে ধরপাকড়। কয়েকদিন আগে তেলিপুকুর সংলগ্ন এলাকায় বলিঘাট পরিদর্শনে এগিয়ে একই ভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন ভূমি দফতরের আধিকারিকরা। অভিযানে বেরিয়ে বারে বারে ভূমি দফতরের আধিকারিকদের এইভাবে হেনস্থার শিকার হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসনের কর্তারা। অতিরিক্ত জেলা শাসক (এডিএম এলআর) ঋদ্ধি ব্যানার্জী জানিয়েছেন, খণ্ডঘোষের শশাঙ্গা অঞ্চলে অবৈধ বালি খাদান চলছে এমন অভিযোগ কেউ তাঁকে জানায়নি। তবে গৈতানপুরে থাকা অনুপম পাঁজার বালি খাদান নিয়ে খণ্ডঘোষ পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষ অভিযোগ করেছিলেন। বিএলআরও এবং এসডিএলআরও দফতরের আধিকারিকরা ওই খাদান নিয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। রিপোর্ট এখনও দেখা হয়নি। রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরে ওই খাদানের বিষয়ে জানাতে পারবেন। জামালপুরের জোড়বাঁধ ও বেরুগ্রাম অঞ্চলে অবৈধ ভাবে বালি খাদান চলা ও কালাড়াঘাট থেকে পলেমপুর যাওয়ার রাস্তায় ওভারলোড বালির গাড়ি অতিমাত্রায় চলছে এমন অভিযোগও কেউ তাঁর দফতরে জানায়নি। আভিযোগ পেলে কড়া ব্যবস্থা নেবেন বলে অতিরিক্ত জেলাশাসক জানিয়েছেন। এদিনের ইদিলপুরের ঘটনা নিয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, বালির গাড়ির চালান দেখতে চাইলেও বালির গাড়ির লোকেদের গাত্রদাহ হচ্ছে। সেই জন্য তারা বারে বারে ভূমি দফতরের লোকজনের উপর চড়াও হচ্ছে। এদিনের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে বলে অতিরিক্ত জেলাশাসক জানিয়েছেন।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
রাজ্য

ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই মেমারি পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ সিপিএমের

সিপিআইএম র প্রাক্তন বিধায়ক তাপস চ্যাটার্জি, জেলা কমিটির সদস্য অভিজিৎ কোঙার, জেলা কমিটির সদস্য সনৎ ব্যানার্জি, প্রশান্ত কুমার কুমার, পিযুষ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে মেমারি পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হল। শাসকদল না পারলেও পুরসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা সাথে সাথে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নামের তালিকা ঘোষণা করল সিপিআইএম নেতৃত্ব।বৃহস্পতিবার মেমারির দলীয় কার্যালয়ে থেকে তারা পৌরসভার ১৬টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। যদিও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বা বিজেপি কেউ এখনও পর্যন্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারেননি। সিপিআইএম নেতৃত্ব প্রার্থী ঘোষণা করেই জানিয়ে দেন এ দিন থেকেই তারা ভোট যুদ্ধে নেমে পড়বেন। শুরু করে দেবেন বাড়ি বাড়ি প্রচার।সিপিএমের প্রার্থী তালিকামেমারি পৌরসভা পরিচালনার দায়িত্বে এখন তৃণমূলের মনোনিতারাই রয়েছে। গত পৌরসভা নির্বাচনে মেমারি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী হয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী। এছাড়াও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল প্রার্থী এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন পিডিএস সমর্থিত নির্দল প্রার্থী। বাকি সব আসনে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রার্থীরা।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
রাজনীতি

মতুয়া, জঙ্গলমহল ছাড়িয়ে এবার পূর্ব বর্ধমানের বিজেপি শিবিরে বিদ্রোহ, সভাপতি পদ ছাড়লেন যুব নেতা

রাজ্য ছাড়িয়ে এবার পূর্ব বর্ধমানের বিজেপি শিবিরেও ছড়িয়ে পড়ল বিদ্রোহের আগুন। বিজেপির জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে দলের যুব সভাপতির পদ ছাড়লেন শুভম নিয়োগী। পদত্যাগ করেই তিনি জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ ও একনায়কতন্ত্রসহ একাধিক অভিযোগ সামনে এনে সোচ্চার হয়েছেন। সামনেই বর্ধমান সহ গোটা জেলার পাঁচটি পৌরসভার নির্বাচন। তার প্রাক্কালে জেলা বিজেপি শিবিরে বিদ্রোহ শুরু হওয়ায় উৎফুল্ল তৃণমূল শিবির। শুভম নিয়োগী এদিন বলেন, তাঁর বয়স যখন ১৭ তখন থেকে তিনি বিজেপি পার্টি করছেন। শুধুমাত্র বিজেপি পার্টি করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ১৪ টি মামলা হয়েছে। দুবারে ২৮ দিন জেল খেটেছেন। ২০ বছর বয়সে জেলা যুব সভাপতির দায়িত্ব পান। বর্তমান জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ তা দলের হয়ে তেমন কোনও আন্দোলনই সংঘটিত করতে পারেননি। তিনি ভয়ে নিজের বাড়িতে বা ফ্লাটেও থাকেন না। অথচ জেলা সভাপতি হয়ে তিনি নিজের ইচ্ছেমত জেলা কমিটি বানিয়ে ফেলেছেন। যে কমিটিতে জেলার গুরুত্বপূর্ণ নেতারা কেউ স্থান পাননি। শুভববাবু বলেন, এই সব ঘটনার তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু জেলা সভাপতি নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকেন। সেই কারণেই জেলা যুব সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে শুভম নিয়োগী জানিয়েছেন। এদের এনিষ্ঠ কর্মী হয়েই এবার জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে পথে নেবে প্রতিবাদ আন্দোলন সংঘটিত করবেন বলে শুভম নিয়োগী এদিন হুঁশিয়ারী দিয়েছেন। জেলা বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে শুধু শুভম নিয়োগী বিদ্রোহ ঘোষনা করেছেন এমনটা নয়। তলে তলে জেলা বিজেপির অনেক নেতা ও কর্যকর্তা বিদ্রোহ শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, সামনেই বর্ধমান সহ জেলার পাঁচ পৌরসভার নির্বাচন। তার আগে তৃণমূলের নানা দুর্নীতির খবর মিডিয়াতে উঠে আসছে। কিন্তু সেইসব বিষয় নিয়ে জেলা বিজেপি সভাপতি আন্দোলন নামার কোন আগ্রহই দেখাচ্ছেন না। এমনকি অন্যান্য রাজ্যনৈতিক দলগুলি দেওয়াল লিখন শুরু করলেও জেলা বিজেপি এখনও সেই কর্মসূচি শুরুই করতে পারেনি। বিদ্রোহীদের আরও অভিযোগ, পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রচুর ভোটার রয়েছেন। সেই মতুয়া সম্প্রদায়ের কাউকেই নতুন জেলা কমিটিতে রাখেননি নতুন জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ তা। এইসব বিষয়গুলি রাজ্য নেতৃত্বকে অভিযোগ আকারে জানিয়েছেন শুভম নিয়োগী সহ অন্য বিদ্রোহীরা।বিদ্রোহীদের এইসব অভিযোগ বিষয়ে জেলা সভাপতি অভিজিৎ যদিও কোন প্রতিক্রিয়া দিতে অস্বীকার করেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপত্র তথা পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের সহ- সভাধিপতি দেবু টুডু বিজেপি শিবিরের এই বিদ্রোহ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন ,রাজ্য থেকে জেলা সর্বত্রই বিজেপি শিবিরে বিদ্রোহ চরম পর্যায়ে পৌছেছে। গোটা বিজেপি দলটাই পচে গিয়েছে। রাজ্যের মানুষও ওদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আর কিছুদিন বাদ এই রাজ্যে বিজেপি দলটাই সাইনবোর্ডে পরিণত হয়ে যাবে ।

ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২২
রাজ্য

রাজ্যের মন্ত্রীর স্ত্রী দুর্গাপুর এক্সপ্রেস ওয়েতে দুর্ঘটনার কবলে, বর্ধমান থেকে ছুটে গেলেন বাবা

দুর্ঘটনার কবলে রাজ্যের মন্ত্রী হুমায়ুন কবীরের স্ত্রী অনিন্দিতা দাস কবীরের গাড়ি। মঙ্গলবার বিকাল চারটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে গুড়াপ থানার বশিপুর মোড়ে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে বর্ধমানের দিক থেকে কলকাতার দিকে যাচ্ছিলেন মন্ত্রীর স্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী অনিন্দিতা। গাড়িতে ছিলেন তাঁর সিকিউরিটি। দুর্ঘটনায় ড্রাইভারসহ তিন জনই জখম হয়েছেন।দুর্ঘটনাগ্রস্ত লালবাতি লাগানো গাড়িটি উদ্ধার করে পুলিশ গুড়াপ থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতা যাওয়ার পথে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে বশিপুর এর কাছে হুমায়ুনের স্ত্রীর গাড়িতে পিছন থেকে ধাক্কা মারে একটি লরি। যার ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই গাড়িটি দাঁড়িয়ে থাকা একটি কনটেইনারের পিছনে ধাক্কা মারে। দুমড়ে-মুচড়ে যায় গাড়িটি। লালবাতি গাড়িটির পিছনে ও সামনের অংশে ভেঙে গিয়েছে। দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গুড়াপ থানার পুলিশ।মেয়ের দুর্ঘটনার খবর পেয়ে অনিন্দিতার বাবা বর্ধমান থেকে চলে আসেন। ঘন্টা তিন পরে বাবার গাড়িতে তাঁরা কলকাতা রওয়ানা হয়ে যান।

ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২২
রাজ্য

অভিযানে ধরা পড়া আন্তঃরাজ্য গাঁজা কারবারী চক্রের তিন জনকে নিজেদের হেফাজতে নিল এসটিএফ

এসটিএফের অভিযানে রবিবার পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী থেকে ধরা পড়ে আন্তঃরাজ্য গাঁজা কারবারী চক্রের কিংপিন সহ পাঁচ জন। উদ্ধার হয় ট্রাকে লোড হয়ে মণিপুর থেকে পূর্বস্থলীতে আসা ৮২৪ কেজি ২০০ গ্রাম গাঁজা। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে এসটিএফের তদন্তকারী অফিসার সোমবার ধৃতদের পেশ করেন বর্ধমানের মাদক আদালতে।এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হল কিংপিন হরেকৃষ্ণ বালা ওরফে মরণ, তাঁর ছেলে শুভঙ্কর বালা ওরফে শুভ, খাম্বি সিং, খোয়াই বাকপম বুম্বা সিং ও মতিলাল সিং। মরণ ও শুভঙ্করের বাড়ি পূর্বস্থলীর শিবতলা পাড়া এলাকায়। বাকি ধৃতদের মধ্যে খাম্বি সিং এর বাড়ি অসমের শান্তিপুর থানা এলাকায়, মণিপুরের বিষ্ণুপুরে বাড়ি খোয়াই বাকপমের। আর মণিপুরের কাওয়া থানা এলাকায় বাড়ি মতিলালের। জানা গিয়েছে, মণিপুরের বাসিন্দা দুইজন গাঁজাবাহী ট্রাকের চালক ও খালাসী। গাঁজার কারবারের বিষয়ে বিশদে জানতে এবং বাকি জড়িতদের হদিশ পেতে হরেকৃষ্ণ, শুভঙ্কর ও খাম্বিকে ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় এসটিএফ। মাদক আদালতের বিচারক নন্দন দেব বর্মণ তিনজনকে১১ দিন এসটিএফ হেফাজত ও বাকিদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন । এসটিএফের তরফে জানানো হয়েছে, পূর্বস্থলী দশঘড়িয়া শিবতলা পাড়ার হরেকৃষ্ণ বালা ওরফে মরণ ও তার ছেলে দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের প্রাসাদোপম বাড়িতে গাঁজা ও ড্রাগের কারবার চালাচ্ছিল। বাড়িতে কেউ নজরদারি চালাচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য তাঁরা তাদের বাড়ির চারপাশ ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় মুড়ে রেখেছিল। বছর দুয়েক আগে হরেকৃষ্ণ শিলিগুড়িতে গাঁজা সহ ধরা পড়ে। এরপর ২০১৮ সালেও হরেকৃষ্ণ পূর্বস্থলী থানার হাতে গাঁজা সহ ধরা পড়ে। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরের শোধরায়নি হরেকৃষ্ণ। উল্টে তিনি তাঁর ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে পুনরায় আন্তঃরাজ্য গাঁজার কারবার চালাচ্ছিলেন।ওড়িশা ও মণিপুর থেকে গাঁজা এনে তারা কলকাতা, বনগাঁ, নদিয়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করতো। তাঁদের গাঁজা কারবারের সঙ্গে মণিপুর, ওড়িশা, কলকাতা ও বনগাঁর আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলেও এসটিএফ আধিকারিকরা জেনেছেন । এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, মণিপুর থেকে একটি ট্রাকে গাঁজা লোড হয়ে এই রাজ্যের নদীয়ার নবদ্বীপ নয়তো পূর্বস্থলীতে যাবে বলে এসটিএফের কাছে খবর পৌছায়। সেই খবর পেয়েই পূর্বস্থলীর সড়কপথে নজরদারি চালানো শুরু করে এসটিএফ। রবিবার ভোররাতে একটি ট্রাক মরণের বাড়ির কাছাকাছি রাস্তায় দাঁড়াতেই এসটিএফের গোয়েন্দারা ট্রাকটির কাছে চলে যান। ট্রাকটিকে দাঁড় করিয়ে তাঁরা তল্লাশি চালান। তল্লাশি চালাণোর সময়ে গোয়েন্দারা দেখেন ট্রাকের চালকের কেবিনের পিছনে বাঙ্কার বানিয়ে সেখানে থরে থরে গাঁজার প্যাকেট সাজিয়ে রাখা রয়েছে। বাঙ্কার কেটে গাঁজার প্যাকেট বের করা হয়। মোট ৮২৪ কেজি ২০০ গ্রাম গাঁজা উদ্দার হয় ।এরপরই ট্রাকের চালক ও খালাসী সহ অসম ও মণিপুরের তিন বাসিন্দাকে এসটিএফের গোয়েন্দারা আটক করেন । জিজ্ঞাসাবাদে তারা গাঁজার এই কারবারে হরেকৃষ্ণ ও শুভঙ্করের জড়িত থাকার কথা কবুল করেন এসটিএফের গোয়েন্দাদের কাছে। এর পরেই এসটিএফের গোয়েন্দারা গাঁজা কারবারে জড়িত পাঁচ জনকে পূর্বস্থলী থানায় ধরে নিয়ে যায়। ঘটনার সবিস্তার উল্লেখ করে এসটিএফ পূর্বস্থলী থানায় অভিযোগ দায়ের করে।পাঁচ জনকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি মণিপুর থেকে গাঁজা আমদানি করা ট্রাক ও গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২২
রাজ্য

সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে না পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়ল বর্ধমানের চাষিরা, পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও

জমিতে উৎপাদিত ধান সরকারি সহায়ক মূল্যে বিক্রি করতে না পেরে পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন চাষিরা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসি-১ ব্লকের লোয়া রামগোপালপুর পঞ্চায়েতে। কয়েকশো চাষি পঞ্চায়েত অফিসের গেট আটকে অবস্থান বিক্ষোভ করেন। প্রধান ও অফিস কর্মীদের অফিসে ঢুকতে না দিয়ে চাষিরা তাদের পথ আটকে দিয়ে বিক্ষোভও দেখান। চাষিদের এমন আন্দোলন ঘিরে এদিন লোয়া রামগোপালপুর পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া চাষিরা এদিন অভিযোগ করেন, তাঁরা অনেক কষ্ট করে নিজ নিজ জমিতে ধান উৎপাদন করেছেন। সরকার চাষিদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার ব্যবস্থাও করেছে। গলসির প্রায় সব পঞ্চায়েত সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু গলসির লোয়া রামগোপালপুর পঞ্চায়েত চাষিদের কাছ থেকে সরকারু সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরুর কোনও ব্যবস্থাই করতে পারেনি। প্রতিবাদী চাষিরা এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাঁদের জমিতে উৎপাদিত ধান অবিলম্বে পঞ্চায়েত ও প্রশাসন সরকারি সহায়ক মূল্যে কেনার ব্যবস্থা করুক। তা না হলে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করবেন। চাষি কেষ্ট ঘোষ, চন্দন মুখোপাধ্যায় বলেন,গলসির সব পঞ্চায়েত চাষিদের সরকারি সহায়ক মুল্যে ধান বিক্রি করার জন্য টোকেন দেওয়া শুরু করে দিয়েছে। অথচ তাঁদের এলাকার চাষিরা টোকেন প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত রয়ে আছেন। চাষের জন্য বহু চাষির দেনায় পরে আছে। কেউ মহাজনী ঋন নিয়ে আবার কেউ সোনা-গহনা বন্ধক রেখে চাষ করেছেন। তিন বছর ধরে চাষিরা ফলনে মার খাচ্ছে। এবার আবার ধান বিক্রির টোকেন মিলছে না। এমন চললে তাদের মরন ছাড়া পথ নেই। চন্দন মুখোপাধ্যায় জানান, তিনি ত্রিশ বিঘা জমি চাষ করেছেন। সেই ধান এখনও পযন্ত বিক্রি করতে পারেননি। সব জেনেও পঞ্চায়েত উদাসীনতা দেখিয়ে চলেছে। চাষিদের অভিযোগ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান পম্পা রুইদাস বলেন,তিন মাস ধরে বিডিওর সাথে চাষিদের ধান বিক্রি কথা চলেছে। শেষে সমবায় ছাড়া ডিপিসি-র মাধ্যমে ধান নেওয়া হবে না বলে তাঁকে গলসি ১ ব্লকের ব্লকের বিডিও দেবলীনা দাস জানিয়ে দিয়েছেন। সেই কারণেই তাঁদের অঞ্চলের চোদ্দোশো চাষির ধান বিক্রি হয়নি। প্রধান বলেন, এদিন চাষিদের আন্দোলনে নামা দেখে তিনি বিডিওকে ফোন করেছিলেন । কিন্তু কোন সদুত্তর পাননি। যদিও গলসি ১ ব্লকের বিডিও দেবলীনা দাস জানিয়েছেন, লোয়া রামগোপালপুর পঞ্চায়েত এর সব চাষির ধান নেওয়া হবে। তার একটা পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ওই দিন পঞ্চায়েত প্রধান গোটা বৈঠকে না থাকায় তিনি বিষয়টি জানতে পারেননি। তাই তিনি ম্যাসেজটি চাষিদের জানতে পারেননি। বুদবুদ সমবায় সমিতি ও পোতনা এলাকায় চলা ডিপিসি মাধ্যমে ৪ জানুয়ারী থেকে চাষিদের কাছ থেকে সরকারি সহায়ক মুল্যে ধান কেনা শুরু হবে।

জানুয়ারি ৩১, ২০২২
রাজ্য

মৃত ব্যক্তির হয়ে অন্যকে জমির মালিক সজিয়ে আর্থিক প্রতারণা, গ্রেফতার প্রৌঢ়

জমির প্রকৃত মালিক অনেকদিন আগেই মারা গিয়েছেন। সেই মৃত ব্যক্তির হয়ে অন্যকে জমির মালিক সাজিয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হল এক প্রৌঢ়। ধৃতের নাম স্বপন কর্মকার। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার কেরিলি গ্রামে। জামালপুর থানার পুলিশ শনিবার রাতে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিভ রবিবার ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে। ভারপ্রাপ্ত সিজেএম ধৃতকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে মঙ্গলবার ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন।পুলিশ জানিয়েছে, জামালপুর থানার বাতপুরে বসবাস করেন শঙ্কর মিস্ত্রি। স্থানীয় নবগ্রাম মৌজায় তাঁর ১৫ কাঠা জমি রয়েছে। ওই জমির লাগোয়া ১২ কাঠা জমি বিক্রি হবে বলে শঙ্করবাবু জানতে পারেন। তারপর তিনি জমির মালিকানার বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন। বিভিন্ন জনকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন জমিটির মালিক শান্তিজ্যোতি মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। এরপর কয়েক দিন বাদেই শঙ্করবাবুর কাছে দুজন আসে। তাঁরা জমিটি শঙ্করকে দেখায়। তাঁদের কাছে শঙ্করবাবু জমিটি কেনার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। কিছুদিন পর ওই দুজন তাঁর কাছে আরও একজনকে নিয়ে গিয়ে দাবি করেন ইনি জমির মালিক শান্তিজ্যোতি। তাঁর সঙ্গে আলোচনার পর জমির মূল্য ঠিক হয় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। অগ্রিম বাবদ শঙ্করবাবু ১৩ হাজার টাকা তাকে দিয়ে দেন। এরপর কয়েক দফায় ওই জমির মূল্য বাবাদ ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৫০০ মেটিয়ে দিয়ে শঙ্করবাবু জমি তাঁর নামে রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার জন্য বলেন। তখন নানা অছিলায় অভিযুক্তরা রেজিস্ট্রি করা এড়িয়ে চলে। কিছুদিন পর জমির দখল নিতে গিয়ে শঙ্কর জানতে পারেন, ২০ বছর আগে জমির মালিক মারা গিয়েছেন। ভূয়ো ব্যক্তিকে জমির মালিক সাজিয়ে অন্যরা তার কাছে নিয়ে গিয়েছিল। বিষয়টি শোনার পর প্রতারিত হয়ছেন বুঝতে পেরে শঙ্করবাবু বর্ধমান সিজেএম আদালতে মামলা করেন। আদালত কেস রুজু করে তদন্তের জন্য জামালপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশ মেনে ভুয়ো পরিচয়ে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ প্রতারক প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করে।

জানুয়ারি ৩১, ২০২২
রাজ্য

হেরোইনের পর এবার কুইন্টাল কুইন্টাল আন্তরাজ্য গাঁজা কারবারের পর্দা ফাঁস পূর্ব বর্ধমানে

কিছুদিন আগে শহর বর্ধমানে চলা হেরোইনের আন্তরাজ্য কারবারী চক্রের পর্দা ফাঁস করেছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। এবার পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে অভিযান চালিয়ে এসটিএফ আন্তরাজ্য গাঁজা পাচার চক্রের পর্দা ফাঁস করলো। রবিবার ভোরে পূর্বস্থলীর শিবতলা এলাকায় চলা এসটিএফের অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ট্রাকে ভর্তি বিপুল পরিমান গাঁজা। গ্রেফতার হয়েছে গাঁজা কারবারে কিংপিন সহ পাঁচ জন। গাঁজা কারবারী চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত রয়েছে এবং চক্রে আরও কারা কারা যুক্ত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে এসটিএফ। এই ঘটনা ফের একবার প্রমাণ করে দিল মাদক কারবারীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি সম্পর্কে জেলা পুলিশ সম্পূর্ণ অন্ধকারেই ছিল।এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাঁজা ভর্তি একটি ট্রাক মণিপুর রাজ্য থেকে পশ্চিম বাংলার পূর্বস্থলী যাচ্ছে এমন খবর গোপন সূত্রে এসটিএফের কাছে পৌছায়।এই খবর পাওয়ার পরেই বাংলার এসটিএফের আধিকারিকরা নড়ে চড়ে বসেন। তাঁরা পূর্বস্থলীর শিবতলা এলাকা নিবাসী মরন বালার বাড়ি ও আশপাশ এলাকায় নজরদারি বাড়ায়। রবিবার ভোর রাতে ১২ চাকার একটি ট্রাক মরন বালার বাড়ি সামনে দাঁড়াতেই স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা অভিযানে নেমে পড়েন। ট্রাকে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ গাঁজা।এসটিএফের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া গাঁজার পরিমাণ ৮২৪ কেজি। গাঁজা উদ্ধারের পরেই এসটিএফ ওই ট্রাকের চালক ও খালাসীকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি গাঁজা কারবারী মরন বালা ও তাঁর ছেলে শুভ বালাকে আটক করে জেরা শুরু করে। আন্তরাজ্য গাঁজা কারবারের কিংপিন মরন বালা ও তাঁর ছেলে জেরার গাঁজা আমদানির কথা কবুল করার পরেই এসটিএফ তাঁদের গ্রেফতার করে। তাঁদের এক শাগরেদকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ট্রাক ও উদ্ধার হওয়া গাঁজা এসটিএফ বাজেয়াপ্ত করেছে বলে ওই আধিকারিক জানিয়েছেন। এসটিএফের অভিযানে আগেও বিপুল মরিমান গাঁজা সহ মরন বালা গ্রেফতার হয়েছিল। দীর্ঘদিন জেল খাটার পর ছাড়া পেয়ে মরন বালা পুনরায় আরও বড় আকারে গাঁজা কারবার শুরু করেছে বলে মনে করছেন এসটিএফ আধিকারিকরা।পূর্বস্থলীর শিবতলা এলাকার বাসিন্দা তারক দেবনাথ এদিন জানান, তাঁদের এলাকার মরন বালার একতলা বাড়ির গোটাটাই ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় মোড়া। বাড়িতে কাউকে ঢুকতে দেন না মরন বালা। এমনকি ওনাদের বাড়িতে কারুর উঁকিঝুঁকি মারার উপক্রম নেই।সেই কারণে কেউ বুঝে উঠতে পারতেন না মরন বালা বাড়িতে আসলে কি করেন। এলাকা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে , মরণ বালা ও তাঁর ছেলে শুভ পূর্বস্থলীতে একটি হোটেল চালাতো। তাদের মার্কেট কমপ্লেক্সও রয়েছে। গাঁজা কারবারের বিষয়টি আড়াল করতেই হয়তো মরন বালা হোটেল ব্যবসা ফেঁদেছে বলে এদিন আশঙ্কা প্রকাশ করেন শিবতলার বাসিন্দারা।এসটিএফ এই প্রথম পূর্ব বর্ধমানে চলা আন্তরাজ্য মাদক কারবারের পর্দা ফাঁস করলো এমনটা নয়। গত ৯ জানুয়ারি রাতে শহর বর্ধমানের বিবেকানন্দ কলেজ মোড় সংলগ্ন এলাকার একটি বাড়িতে হানা দিয়ে এসিটিএফ ১৩ কেজি হেরোইন ও হেরোইন তৈরির রাসায়নিক উপকরণ এবং ২০ লক্ষাধিক টাকা বাজেয়াপ্ত করে। উদ্ধার হওয়া হেরোইনের মূল্য ৬৫ কোটি টাকা বলে এসটিএফের তরফে দাবি করা হয় । এই ঘটনায় বর্ধমানের বাড়ি থেকে এসটিএফ হেরোইন কারবারী বাবর মণ্ডল ও তাঁর ছেলে রাহুল মণ্ডলকে গ্রেফতার করে । তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এসটিএফ আধিকারিকরা জানতে পারেন বর্ধমানের বাড়িতে হেরোইন তৈরি করে বাবর ও তাঁর ছেলে মণিপুর ও ওড়িশায় পাচার করতো। এই ঘটনার পর ২০ দিন কাটতে না কাটতে রবিবার পূর্বস্থলীর গাঁজা কারবারীর ডেরার হানা দিয়ে এসটিএফ বিপুল পরিমান গাঁজা সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করলো। এসটিএফের একের পর এক অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধারের ঘটনা জেলা পুলিশের টনক নড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

জানুয়ারি ৩০, ২০২২
রাজ্য

ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার

রেলগেটের কাছে চলন্ত ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। শনিবার দুপুরে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া-বর্ধমান মেইন শাখায় পূর্ব বর্ধমানের মেমারির দেবীপুর স্টেশন সংলগ্ন রেল গেটে। দুর্ঘটনার জেরে মহিলার দেহ কার্যত ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তা নিয়ে দেবীপুর রেলগেট পারপারকারী মানুষজনের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রেল পুলিশ দুর্ঘটনাস্থলে তদন্তে যায়।মহিলার নাম পরিচয় এখনও উদ্ধার হয়নি।মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি রেল পুলিশ মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের জানিয়েছেন, বর্ধমান হাওড়া ডাউন লাইনে ট্রেনে কাটা পড়ে মহিলা। তাঁর দেহ এতটাই ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় যে দেবীপুরের বাসিন্দাদের কেউ তাকে চিনতে পারেনি।

জানুয়ারি ২৯, ২০২২
রাজ্য

দুই কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ায় পাশবিক, নিষ্ঠুর নির্যাতনের অভিযোগ, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ

বিয়ের পর থেকে গৃহবধূ যে দুটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন সেই দুটি সন্তানই কন্যা সন্তান। শুধুমাত্র সেই কারণে গৃহবধূর যৌনাঙ্গে রড, লাঠি ঢুকিয়ে নির্মম পাশবিক অত্যাচার চালানোর অভিযোগ উঠলো স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই শনিবার সকাল থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার বাঘনাপাড়ার বিজার গ্রামে। ঘটনা নিয়ে এলাকার অন্য মহিলারা প্রতিবাদে সোচ্চার হতেই গা ঢাকা দিয়েছে গৃহবধূর স্বামী তৌফিক শেখ। গুরুতর জখম অবস্থায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে এদিনই কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেছেন বাপের বাড়ির লোকজন। কালনা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। শুরু হয়েছে অভিযুক্ত নিষ্ঠুর স্বামীর খোঁজ। স্বামীর এমন নিষ্ঠুরতার নিন্দা করেছে আপামর কালনাবাসী। গৃহবধূর বাবা ভোলা শেখ জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে তাঁর মেয়ে শরিফার সঙ্গে বিয়ে হয় কালনার বিজারা গ্রামের যুবক তৌফিক শেখের। বিয়ের পর থেকে তাঁর মেয়ে যে দুটি সন্তানের জন্ম দেয় সেই দুটি সন্তানই কন্যা সন্তান। শরিফা পুত্র সন্তানের জন্ম দিতে না পারায় তার উপর বেজায় চটে যায় জামাই তৌফিক। সে অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে দেয় তাঁর স্ত্রী শরিফার উপর। কখনও শরিফার যৌনাঙ্গে রড কিংবা লাঠি ঢুকিয়ে দিয়ে,আবার কখনও যৌনাঙ্গের পাশে সিরিশ কাগজ ঘষে দিত তৌফিক। ভোলা শেখ তাঁর অভিযোগে আরও বলেন, এত অত্যাচার চালিয়েও তাঁর জামাইয়ের নিষ্ঠুর স্পৃহা মিটতো না। সে নিজের স্ত্রীর বুকে পর্যন্ত বেপরোয়া ভাবে মারতো। বেশ কয়েক মাস ধরেই তৌফিক এই ভাবে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছিল তাঁর স্ত্রী শরিফার উপর। এমনকি শরিফাকে ডিভোর্স দিয়ে অন্য মেয়েকে বিয়ে করেবে বলেও তৌফিক জানায়। শরিফা তাঁর স্মামীর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রতিবাদে সরব হয়। তার জন্য শরিফার উপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয় তৌফিক। গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দিয়ে শরিফাকে প্রাণে মারার চেষ্টাও করে জামাই। এই পরিস্থিতিতে একান্ত নিরুপায় হয়ে গৃহবধূ শরিফা তাঁর স্বামীর নির্যাতনের কথা বাপের বাড়িতে জানায়। গৃহবধূর বাবা সহ বাড়ির অন্যরা শনিবার জামাই তৌফিকের বাড়িতে পৌছান। তাঁরা সেখান থেকে জখম অবস্থায় শরিফাকে উদ্ধার করে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে। তারই মধ্যে গা ঢাকা দেয় তৌফিক। গৃহবধূ এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিনই গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজন মৌখিক ভাবে তৌফিকের বিরুদ্ধে পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছেন। ভোলা শেখ বলেন, লিখত ভাবেও তাঁরা জামাই তৌফিকের নির্যাতনের কথা পুলিশের কাছে জানাবেন।গৃহবধূ জানিয়েছে, তিনি পর পর দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছ এটাই আমার অপরাধ। সেই কারণে আমার স্বামী নিষ্ঠুর অত্যাচার চালিয়ে গিয়েছে। এমনকি প্রাণে মেরে দেওয়ার চেষ্টাও করেছে। নির্যাতন আর সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়িতে স্বামীর কুকীর্তির কথা জানাতে বাধ্য হন, বলে তিনি জানিয়েছেন।কলনা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক(এসডিপিও )সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, পুলিশের একটি টিম হাসপাতালে গিয়ে গৃহবধূর সঙ্গে কথা বলেছে। ঘটনার বিষয়ে আরও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ এখনও গৃহবধূর পরিবারের কেউ থানায় জমা দেননি। অভিযোগ পেলে আইন মাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

জানুয়ারি ২৯, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে অগ্নিকাণ্ডে কোভিড রোগীর মৃত্যুর কারণ অক্সিজেন সিলিন্ডার না মশা মারার ধূপ? তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে আগুন ধরে যাওয়ায় পুড়ে মৃত্যু হয়েছে করোনা আক্রান্ত এক প্রৌঢ়ার। মৃতার নাম সন্ধ্যা মণ্ডল (৭২)। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের গলসির বড়মুরিয়া গ্রামে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপালে। হাসপাতাল কর্মীরাই প্রথম আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। পরে খবর পেয়ে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌছায়। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখেন দমকলের আধিকারিকরা। ওয়ার্ডে থাকা অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগেছে নাকি মসা মারার ধূপ থেকে বেডে আগুন ধরে গিয়েছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনা নিয়ে হাসপাতালের তরফে একটি এফআইআর করা হয়েছে। পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। মৃতদেহটি এদিনই ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। ভিসেরা সংগ্রহে রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্ধমান হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে এক রোগীনির মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বেলা বাড়তেই রাজ্য জুড়ে তোলপাড় পড়ে যায়। ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয় রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা ও বিধায়করা। তড়িঘড়ি রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়। স্বাস্থ্য দফতরের তিন সদস্যের কমিটি হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনার তদন্ত করবে। জানা গিয়েছে, ওই কমিটিতে রয়েছেন স্পেশাল সেক্রেটারি অনিরুদ্ধ নিয়োগী, আরজিকর হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সোমনাথ দাস ও নার্সিং মেম্বার মণিকা গায়েন। পাশাপাশি বর্ধমান হাসপাতালের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের সমস্ত সরকারী হাসপাতালে ফায়ার অডিটের নির্দেশও দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট উপসর্গ থাকায় পরিবারের লোকজন গত বুধবার প্রৌঢ়া সন্ধ্যা মণ্ডলকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ড অর্থাৎ রাধারানী ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। সেখানেই তাঁর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এলে পরদিন সন্ধ্যাদেবীকে হাসপাতালের কোভিড জেনারেল বেডে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর অক্সিজেন চলছিল। রাতে ওয়ার্ডের বাইরে শুয়েছিলেন রোগীর পরিজনরা। শনিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ সেখানেই ঘটে বিপত্তি। ওয়ার্ডের ৬ নং ব্লকের ৮০ নম্বর বেডে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। সেই বেডে থাকা সন্ধ্যাদেবী আগুনে পুড়ে দগ্ধ হন। তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।রাধারানী ওয়ার্ডের বাইরে রাতে শুয়ে থাকা রোগী পরিজনদের একজন হলেন মেমারির নিশিরাগড় নিবসী বাসি হেমব্রম। তিনি জানান, রাধারানী ওয়ার্ডের উল্টোদিকের বপডে তিনি শুয়েছিলেন। হঠাৎ শুনতে পান ওয়ার্ডের ভিতর থেকে আগুন আগুন বলে এক মহিলা চিৎকার করছেন। তেমনটা শুনেই দ্রুত তিনি ছুটে ওয়ার্ডে ভিতর যান। গিয়ে দেখেন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভিতরের একটি বেডে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। তা দেখে ওয়ার্ডে থাকা বাকি রোগীরা ছুটে বেড়িয়ে আসছে। রোগীদের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা ওয়ার্ডে পৌছে আগুন নেভায়। তারই মধ্যে আগুনে পুড়ে দগ্ধ হন প্রৌঢ়া রোগী। পরে তিনি মারা যান । অপর এক রোগীর পরিজন সুমিত্রা মাঝি জানান, আগুন দেখে অনেক কোভিড রোগী ভয়ে বাইরে চলে আসে। ঘটনার প্রায় আধঘণ্টা পরে দমকলের একটি ইঞ্জিন হাসপাতালে আসে। তার আগেই হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীরা আগুন নিভিয়ে ফেললেও প্রৌঢ়া কোভিড রোগী মারা যান। আগুন সম্পূর্ণ নিভে যাওয়ার পর দমকলের আধিকারিকরা ওয়ার্ডে আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা শুরু করেন। দমকলের এক আধিকারিক দীপক সেন জানান, ওয়ার্ডে একটি বেড ছাড়া অন্য কোন বেডে আগুন লাগেনি। মশার ধূপ থেকেই ওই বেডে আগুন লেগেছে বলে তাদের প্রাথমিক অনুমান। ঘটনার পরেই দ্রুত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌছান প্রিন্সিপ্যাল প্রবীর সেনগুপ্ত, সুপার তাপস ঘোষ সহ অন্যা চিকিৎসকরা। বর্ধমান থানার আই সি সুখময় চক্রবর্ত্তীও একই সময়ে হাসপাতালে পৌছান। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে তাঁরা আলোচনা করেন। পরে প্রিন্সিপ্যাল প্রবীর সেনগুপ্ত জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্তের জন্য ফরেন্সিক দলকে বলা হয়েছে। এছাড়াও একটি পাঁচ সদ্যসের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা করবে। সুপার তাপস ঘোষ জানান, অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে আশঙ্কা করাহচ্ছে। মৃতদেহের পাশে গ্যাস লাইটার, দেশালাই পাওয়া গিয়েছে। কোন কারণে ওই রোগীনি আগুন ব্যবহার করেছিলেন কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।হাসপাতালে উপস্থিত থাকা মৃতার মেয়ে রানু মণ্ডল এদিন বলেন, মায়ের ব্যাগে থালা ও জলের বোতল ছিল। লাইটার, দেশালাই ছিল না। তাঁরাও ওইসব মাকে দেননি। বাড়ি থেকে শুক্রবারই মসারি এনে দিয়ে ছিলেন। তাই মাসা মারার ধূপ জ্বালানোর কোন প্রয়োজনই থাকেনি।বর্ধমান হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এদিন রাজনৈতিক মহলেও তোলপাড় ফেলে দেয়। এদিন দুপুরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বিজেপির সাত সদস্যদের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘরুই, বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা, বর্ধমান সদর জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ তা সহ বর্ধমান জেলার বিজেপি নেতৃত্ব। বিধানসভার বিরোধি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশেই এই পরিদর্শন বলে জানান বিজেপি নেতারা। এই প্রতিনিধি দল কোভিড ওয়ার্ড পরিদর্শন করতে গেলেও দুর্ঘটনাস্থল সিল থাকার জন্য যেতে পারেননি। পরে তাঁরা হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে দেখা করে বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার কথা জানান। হাসপাতাল চত্ত্বরে দাঁড়িয়েই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে বিজেপির প্রতিনিধিরা। মৃতার পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দেওয়ার দাবিও তোলেন বিজেপি নেতৃত্ব। বর্ধমান সদর জেলা বিজেপির সম্পাদক অভিজিৎ নন্দী অভিযোগ করেন, সাংসদ কোটার দেড় কোটি টাকা খরচ করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপাত্র তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার হাল কতটা তলানিতে ঠেকেছে তার রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। যা জানার পর লজ্জায় উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দাদের মাথা হেট হয় গেলেও বিজেপি নেতাদের হয়নি। ওদের লজ্জা-শরম নেই বলে বর্ধমান হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে শুরু করে দিয়েছে ।

জানুয়ারি ২৯, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে আগুনে ঝলসে গেল কোভিড রোগী, কারণ অনুসন্ধানে তড়িঘড়ি তদন্ত কমিট গঠন

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল এক রোগীর। শনিবার ভোররাতে ওই ওয়ার্ডে আগুন লাগে। সেই আগুনে ঝলসে যায় একজন কোভিড রোগী। মৃতের নাম সন্ধ্যা মণ্ডল(৬০)। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের গলসির বড়মুড়িয়া গ্রামে। জানা গিয়েছে, শনিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ হাসপাতালের রাধারাণী ওয়ার্ডে আগুন লাগে। বর্তমানে রাধারাণী ওয়ার্ডকে কোভিড রুগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই ওয়ার্ডে ৬ নম্বর ব্লকে ভর্তি ছিলেন কোভিড রোগী সন্ধ্যা মণ্ডল। কোভিড ওয়ার্ডের অন্য রোগীর আত্মীয়রা দাবী, আগুন লাগার সময় হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী ও অন্য কর্মীরা ঘুমিয়ে ছিল। যদিও নিরাপত্তার গাফিলতির কথা অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। খবর পেয়ে হাসপাতালে যায় দমকলের একটি ইঞ্জিন। ততক্ষণে হাসপাতালের কর্মীরাই আগুন নিভিয়ে ফেলে। জানা গিয়েছে, এক কোভিড রোগীর আত্মীয় প্রথম আগুন দেখতে পান। তারপর তিনি অন্যদের জানান।এদিকে বর্ধমান হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ হয়ে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। বর্ধমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ প্রবীর সেনগুপ্ত জানান, ফরেন্সিক দলকে খবর দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বর্ধমান থানার পুলিশ।

জানুয়ারি ২৯, ২০২২
রাজ্য

স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে এসএফআইয়ের প্রতীকী 'ওপেন এয়ার ক্লাসরুম'

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে আন্দোলন। একই দাবিতে মামলার পর মামলাও হয়ে চলেছে হাইকোর্টে।এমন এক পরিস্থিতির মধ্যেই বৃহস্পতিবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে প্রতীকী ওপেন এয়ার ক্লাসরুম করল ভারতের ছাত্র ফেডারেশন (এস এফ আই)। পাড়ায় পাঠশালার পরিবর্তে অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজ্যের সমস্ত স্কুল কলেজ খোলার দাবিতে এদিন স্বোচ্চার হন এসএফআইয়ের সদস্যরা। এসএফআইয়ের এই আন্দোলনকে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব।করোনা অতিমারির কারণে প্রায় দুবছর হল বন্ধ রয়েছে রাজ্যের সমস্ত স্কুল কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মাঝে সংক্রমণের প্রভাব কিছুটা কমার পর স্কুল আংশিক খোলা হয়। কিন্তু ফের করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর পুনরায় বন্ধ করে দিতে হয় স্কুল-কলেজ. আর তা নিয়েই এখন সরব হয়েছেবিভিন্ন সংগঠন ,বিরোধী রাজনৈতিক দল ও তাদের ছাত্র সংগঠন গুলি। কলকাতার রাজপথ থেকে শুরু করে জেলা সদর,সর্বত্রই এখন প্রতিদিন জোরালো হচ্ছে স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে আন্দোলন। এসএফআই নেতৃত্বের দাবি, তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে ইতিমধ্যেই বিকাশভবনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। পাশাপাশি প্রতিদিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চলছে বিক্ষোভ কর্মসূচি। এসএফআইয়ের পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক অনির্বান রায় চৌধুরী বলেন, রাজ্যের সমস্ত পানশালা খোলা থাকছে, মেলা খেলা চলছে, যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। অথচ শুধু বন্ধ রাখা হয়েছে রাজ্যের স্কুল-কলেজ সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। ইন্টারনেট পরিষেবা ও অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন না থাকায় রাজ্যের গ্রামে গঞ্জের বহু ছাত্রছাত্রী অনলাইন ক্লাস করতে পারেনি। তবুও সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে রাখার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত ভাবে স্কুল-কলেজ বন্ধ করে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন অনির্বাণ রায় চৌধুরী। একই সঙ্গে তিনি এও বলেন, ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে অভিভাবক সকলেই চাইছেন রাজ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলুক। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তা চাইছেন না। প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারে ভেঙ্গে পড়েছে, ছাত্রছাত্রীরা অক্ষর জ্ঞানও ভুলে গেছে। অবিলম্বে স্কুল-কলেজ না খোলা না হলে রাজজুড়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে বলে এদিন হুঁশিয়ারি দিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা এস এফ আই নেতৃত্বশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবীতে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে আন্দোলন একই দিনে শহর বর্ধমানের ব্যবসায়ীরাও স্বোচ্চার হন শহরের দোকান বাজার সারা সপ্তাহ স্বাভাবিক রাখার দাবিতে। কোভিড সংক্রমণের হার দ্রুতগতিতে বৃদ্ধির কারণে সপ্তাহের বৃহস্পতি ও রবিবার বর্ধমান শহর ও সংলগ্ন এলাকায় দোকান বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। শহরের তেঁতুলতলা বাজার,পুলিশ লাইন, নীলপুর, কালনা গেট, রথতলা, ঝুরঝুরেপুল সহ সব বাজার সপ্তাহে দুদিন পুরো বন্ধ থাকছে। মুদিখানা,সবজি, ফুলফল, মাছ মাংসের বাজারে সবই এদিন থাকে শুনসান। বর্ধমানের ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা শেখ স্বপন এদিন অভিযোগ করেন, মেলা-খেলা সবই চলছে। শুধু করোনার দোহাই দিয়ে শহর বর্ধমানে দোকান বাজার দু,দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করে রেখেছে প্রশাসন। এতে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন কিছু ভাবুক।নয়তো তাদের আন্দোলনে নামতে হবে। এসএফআই ও ব্যবসায়ীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের সহসভাধিপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপত্র দেবু টুডু বলেন, মানুষ প্রত্যাখ্যান করায় সিপিএম ও এসএফআইয়ের স্থান এখন জাদু ঘরে হয়েছে। ওরা প্রচারের আলোয় আসার জন্য এখন স্কুল কলেজ খোলার দাবি তুলে পথে নামছে। ওরা মনে হয় ছাত্রছাত্রীদের সুরক্ষার কথা না ভেবে ওদের বিপদে ফেলতে চাইছে। স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে রাজ্য সরকার যথা সময়েই সিদ্ধান্ত নেবে। পাশাপাশি শহর বর্ধমানে দোকান বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের বিষয়ে দেবু টুডু বলেন, শহরে করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য জেলা প্রশাসন এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসন দেখছে।

জানুয়ারি ২৭, ২০২২
রাজ্য

শহর বর্ধমানে ব্যাঙ্ক ডাকাতির পর পূর্ব বর্ধমানের ব্যাঙ্কগুলির সুরক্ষা পর্যালোচনা শুরু পুলিশের

এ যেন চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে এমন অবস্থা। বর্ধমানে ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনার পর পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও একজনও দুস্কৃতির নাগাল পায়নি পুলিশ। তবে এই ঘটনার পর জেলার ব্যাঙ্ক গুলির সুরক্ষা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। সেই মতো গত দুদিন ধরে চলছে জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় থাকা ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের নিয়ে পুলিশ কর্তাদের বৈঠক। যেমনটা মঙ্গলবার হল জেলার খণ্ডঘোষ, ভাতার, পূর্বস্থলী ও কালনা থানায়। এত কিছুর পরেও ব্যাঙ্কে দুস্কৃতী হানা রোখা যায় কিনা তার উত্তর ভবিষ্যতেই মিলবে বলে মত ওয়াকাবহাল মহলের। ব্যাঙ্কের সুরক্ষা বিষয়ক যে বিষয়গুলি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয় তা যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ। কালনা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কগুলির সুরক্ষা বিষয়ক মিটিং তাঁরা করেছেন ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সঙ্গে। মূলত ব্যাঙ্কের ইমার্জেন্সি এলার্ম ও সিসিটিভি সচল রাখা সহ ব্যাঙ্কে আর্মড সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ ইত্যাদি বিষয় গুলি নিয়ে মিটিংয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট থানার নম্বর, দমকল কেন্দ্রের নম্বর, সিকিউরিটি এজেন্সির নম্বর ব্যাঙ্কের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জায়গায় টাঙ্গিয়ে রাখার কথা কর্ত্পক্ষকে বলা হয়েছে। এছাড়াও আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ব্যাঙ্কের সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার বিষয়গুলি নিয়ে মিটিংয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। সোমবার ও মঙ্গলবার এই দুদিনে কালনা মহকুমার নাদনঘাট , মন্তেশ্বর ,পূর্বস্থলী , কালনা প্রভৃতি থানা এলাকায় থাকা ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে এমন আলোচনা সম্পূর্ণ হয়েছে বলে এসডিপিও সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন। ইতিপূর্বে জামালপুর থানার পুলিশ কর্তারাও একই রকম গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সেরেছেন।এদিন ভাতার ও খণ্ডঘোষ থানাতেও ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। একই বিষয় নিয়ে এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিন)সুপ্রভাত চক্রবর্তী এদিন মেমারি থানায় এলাকার ব্যাঙ্ক ও পেট্রোল পাম্প কর্তৃপক্ষকে নিয়ে মিটিং করেন। শহর বর্ধমানে ডাকাতির ঘটনা এই প্রথম ঘটলো এমনটা নয় ।ইতিপূর্বে ২০২০ সালের ১৭ জুলাই দিনেদুপুরে শহর বর্ধমানের বিসিরোড এলাকায় থাকা স্বর্ণঋণ দান সংস্থাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তার আগে ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে বৈদ্যনাথ ক্যাটরায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক শাখা থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা লুট হয়। আর গত শুক্রবার সাত সকালে বর্ধমানের কার্জনগেট সংলগ্ন বৈদ্যনাথ ক্যাটরার বাজারের দোতলায় থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে হানা দেয় সশস্ত্র ডাকাত দল।তারা ব্যাঙ্কে থাকা গ্রাহকদের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে বসিয়ে রেখে ও ব্যাঙ্ক কর্মীদের মারধোর করে ৩৩ লক্ষ টাকা লুট করেনিয়ে বিনা বাধায় পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময়ে ব্যাঙ্কের মূল গেটে তালাও লাগিয়ে দেয় মুখ ঢাকা থাকা দুস্কৃতিরা। এই ডাকাতির ঘটনার পর তড়িঘড়ি সিট গঠন করে তদন্তে নামার কথা জানান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন । দুস্কৃতিদের নাগাল পেতে ঘটনার দিন জেলার বিভিন্ন সড়ক পথে শুরু হয় নাকা চেকিং। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি। এমনকি ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনার পর পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ দুস্কৃতিদের একজনেরও নাগাল পায় নি ।তারই মধ্যে এখন জেলার ব্যাঙ্ক গুলির সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন থানা এলাকায় থাকা ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের সঙ্গে মিটিং করে চলেছেন পুলিশ কর্তারা ।এই প্রসঙ্গে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন ,তাহলেকি এতদিন জেলার ব্যাঙ্ক গুলির সুরক্ষা নিয়ে পুলিশ সে ভাবে মাথা ঘামায় নি ? বর্ধমানে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যাবার পর পুলিশ কর্তারা জেলার ব্যাঙ্কগুলির সুরক্ষায় খামতি খুঁজে পেলেন? এই সব প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলাবাসীর মুখে মুখে।

জানুয়ারি ২৬, ২০২২
রাজ্য

স্কুল খোলার দাবিতে বর্ধমানে শিক্ষামন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা পোড়ালো বাম শিক্ষক ও ছাত্র সংগঠন

বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন চালুর দাবীতে পথে নেমে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা পোড়ালো বাম ছাত্র ও শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। স্কুল খোলার দাবিতে মঙ্গলবার বর্ধমানের কার্জনগেট চত্ত্বরে যৌথ ভাবে গণস্বাক্ষর সংগ্রহে নামে এবিটিএ,এবিপিটিএ, এসএফআই এবং বিএসপিএসের সদস্যরা। সেখানেই তারা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।সরকার দাবি না মানলে গোটা রাজ্যজুড়ে আইন অমান্য আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি এদিন দিয়েছেন এসএফআই নেতৃত্ব।আন্দোলনকারীরা এদিন অভিযোগ করেন, রাজ্যে মেলা,খেলা সবই চলছে। সর্বত্র স্বাভাবিক জীবনযাপনও চলছে। অথচ শুধু বন্ধ রয়েছে বিদ্যালয়গুলি। দাবি না মানলে গোটা রাজ্যজুড়ে এসএফ আই আইন অমান্য আন্দোলন করবে। পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক সুদীপ্ত গুপ্ত বলেন, আমরা চাই সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হোক। আবার স্কুলমুখী হোক ছাত্রছাত্রীরা। পঠন পাঠন চালুর মধ্যে দিয়ে রাজ্যে পূর্বের শিক্ষা ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হোক এটাই আমাদের মূল দাবি। সুদীপ্তবাবু আরও জানান, এবছর মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক টেস্ট পরীক্ষায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী অনুপস্থিত থেকেছে। বেড়েছে ড্রপ আউটের সংখ্যা। অনেক মেয়ে আছে যাদের অল্প বয়সে এই সময়ের মধ্যে বিয়ে হয়ে গেছে। এরকম অবস্থা যদি চালু থাকলে আগামি দিনে শিক্ষাব্যবস্থা আরও চরম সংকটে পড়বে। তাই তাঁরা চান অবিলম্বে পঠন-পাঠন শুরু হোক বিদ্যালয় গুলিতে। এসএফআইয়ের পূর্ব বর্ধমান জেলার সম্পাদক অনির্বাণ রায় চৌধুরী জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজ্যের সমস্ত স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবি তুলেছে বামপন্থী শিক্ষক এবং ছাত্র সংগঠন গুলি। রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ ও মানবসম্পদের কথা মাথায় রেখে অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খুলতে হবে। এই দাবিতে আগামী ২৭ তারিখ গোটা রাজ্য জুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে খোলা আকাশের নিচে ওপেন এয়ার ক্লাসরুম করবেন।

জানুয়ারি ২৫, ২০২২
রাজ্য

যাত্রীবাহী বাসে অভিযান চালিয়ে আগ্নেআস্ত্র সহ দু’জন গ্রেফতার

প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের তৎপরতায় বানচাল হল দুস্কৃতীদের নাশকতার ছক। মঙ্গলবার সকালে যাত্রীবাহী বাসে অভিযান চালিয়ে বিপুল আগ্নেআস্ত্র সহ দুই দুস্কৃতীকে গ্রেফতার করলো জেলার নাদনঘাট থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম কুতুবউদ্দিন মণ্ডল ও মনসুর মণ্ডল। তাদের মধ্যে কুতুবউদ্দিনের বাড়ি মুর্শিদাবাদের ডোমকলের শাহজাদা গ্রামে। অপর ধৃত মনসুর নাদনঘাটের গোকর্ণ গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, ধৃতদের কাছ থেকে তিনটি রাইফেল, দুটি ওয়ানশটার, নগদ ১৫ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফেন উদ্ধার হয়েছে। নাদনঘাট থানার পুলিশ সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে এদিনই দুই ধৃতকে পেশ করে কালনা মহকুমা আদালতে। দুস্কৃতীরা কোথা থেকে, কি উদ্দেশ্যে এত আগ্নেআস্ত্র জোগাড় করে বাসে চাপিয়ে নিয়ে কোথায় যাচ্ছিল সেই বিষয়টি পুলিশ কর্তাদেরও ভাবিয়ে তুলেছে। এই তথ্য উদ্ধারের জন্য তদন্তকারী অফিসার এদিন ধৃতদের পুলিশি হেপাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানান। বিচারক ধৃতদের ৭ দিন পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে এখনও ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় দুষ্কৃতীরা অধরাই থেকে গিয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে যে কোনও ধরণের নাশকতার ছক বানচাল করতে রাজ্য জুড়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। একই কারণে জেলার নাদনঘাট থানার পুলিশও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে নাকা চেকিং শুরু করে। যাত্রীবাহী বাসে আগ্নেআস্ত্র পাচার হবে এমন খবর গোপন সূত্র মাধ্যমে আগেভাগেই পুলিশের কাছে পৌছায়। এই খবর আসার পরেই কালনা মহকুমার বিভিন্ন থানা এলাকার মোড়ে মোড়ে এদিন সকাল থেকে নাকা চেকিং আরও জোরদার করে পুলিশ। নাদনঘাট থানার পুলিশও বিষয়টি নিয়ে সতর্ক ছিল। এদিন সকালে নাদনঘাট থানার পুলিশ হেমায়েতপুর মোড়ে বর্ধমানগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের পথ আটকে বাসের ভিতর তল্লাশি চালানো শুরু করে। তল্লাশিতে বাসে থাকা দুই দুস্কৃতির কাছ থেকে উদ্ধার হয় তিনটি রাইফেল, দুটি ওয়ান শটার সহ নগদ ১৫ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন। দুই দুস্কৃতীকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি আগ্নেআস্ত্র গুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ।এসডিপিও সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, তদন্তের প্রয়োজনে দুই দুস্কৃতিদের এদিন আদালতে পেশ করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। দুস্কৃতিরা কোথা থেকে আগ্নেআস্ত্র নিয়ে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল সেই বিষয়টি জানতে ধৃতদের হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ।

জানুয়ারি ২৫, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 23
  • 24
  • 25
  • 26
  • 27
  • 28
  • 29
  • ...
  • 38
  • 39
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

জলমগ্ন একাধিক গ্রাম, জল ছাড়ছে ডিভিসি, দুর্গাপুর ব্য়ারেজ পরিদর্শন সেচমন্ত্রীর

দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে মঙ্গলবার থেকে ভারি বৃষ্টিপাত চলছে। পাঞ্চেত, মাইথন থেকে জল ছাড়ার পরে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকেও যথারীতি জল ছাড়া শুরু হয়েছে। আজ, শুক্রবার ৪৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন। সেচমন্ত্রী মানস ভুইয়া দুর্গাপুর ব্যারাজের সংস্কারের কাজের পর চালু ব্যারাজ রাস্তা পরিদর্শনে আসেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। বর্ষা এসে গিয়েছে। ফলে বাকি যেসব কাজ রয়েছে তা বর্ষার পরেই শুরু হবে।দুর্গাপুর ব্যারাজের পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেচমন্ত্রী বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছাকৃত বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বারবার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের যে দায়িত্ব রয়েছে তা পালন করছে না এবং রাজ্যের হকের টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। তাই ড্রেজিং করা সম্ভব হচ্ছে না। রাজ্য ও ডিভিসির মধ্যে বারবার জল ছাড়া নিয়ে যে বিতর্ক দেখা দেয় তা নিয়ে কোন মন্তব্য না করে সেচমন্ত্রী বলেন, এই মুহুর্তে এই বিতর্কে যাব না। ৪৫ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে। মাঝে ছয় দিন প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল বলে কাজে কিছু অসুবিধা দেখা দিয়েছিল। তবু কাজ ৪৫ দিনের মধ্যেই শেষ করা গিয়েছে। হায়দ্রাবাদ থেকে রাবার সিল আসছে তা দিয়ে কাজ করা হবে।সেচমন্ত্রী বলেন, দেড় মাস দুর্গাপুর ব্যারাজে জল ধরে রাখা হয়। এরপরে দুর্গাপুর, মাইথন ও পাঞ্চেত নিয়ে একটি সেল গঠন করা হয়েছে এবং মনিটরিং করা হচ্ছে জল ছাড়া নিয়ে যেন মানুষের ক্ষতি না হয়। সেচমন্ত্রী বলেন, প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে এবং বিভিন্ন জেলা এবং ঝাড়খণ্ডের জল নামছে ফলে সমস্ত বিষয়ের উপরে নজর রাখা হয়েছে।তেনুঘাট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেচমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী, সেচ দপ্তরের কর্তারা এবং আমি নিজে বারবার কথা বলেছি। তেনুঘাটকে নিয়ন্ত্রণে রেখে অপারেট করা যায়।সেচমন্ত্রী একাধিকবার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং সেচ দপ্তর মাইথন, পাঞ্চেত এবং দুর্গাপুর ব্যারাজের জল ছাড়া নিয়ে নজর রেখেছেন । আজ ৪১ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। বন্যার যন্ত্রণা যাতে পেতে না হয় তার প্রতি সজাগ রয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা এবং আজ বাঁকুড়ায় আসছেন পরিস্থিতি নিয়ে আলচনা করতে। রাস্তার বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, পি ডাব্লু ডিকে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বৃষ্টি কমলেই।সেচমন্ত্রী ব্যারাজগুলির গভীরতা কমে যাওয়ার জন্য কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা না দেওয়ার কথা তুলে ধরেন। সেচমন্ত্রী বলেন, ১২ বছর ধরে কেন্দ্রের জলসম্পদ দপ্তর, প্রধানমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার দেখছি দেখছি করে পার করে দিচ্ছে কিন্তু রাজ্যের হকের টাকা দিচ্ছে না। সেচমন্ত্রী বিজেপি সরকারের বাংলাকে বঞ্চনা করার কথা তুলে ধরেন। বন্যার প্রসঙ্গে সেচমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রার্থনা করছি যেন বন্যার মুখে পড়তে না হয় কিন্তু দেড় মাস জল ধরে রাখা হয় আর তারপরে রয়েছে প্রচন্ড বৃষ্টি, ফলে জলের চাপ বাড়ছে, সেদিকেই নজর রাখতে হচ্ছে।দুর্গাপুর ব্যারাজের এক নম্বর গেটে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে । সাংবাদিকেরা এ নিয়ে সেচমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সেচমন্ত্রী বলেন, সব দিক নজরে রাখা হয়েছে, সংস্কার হবে। তিনি এরপরে আবার বলেন, কেন্দ্রিয় সরকারের কাছ হতে এক কানা কড়ির সাহায্য পাইনি। মুখ্যমন্ত্রী নিজের রাজ্যের কোষাগার থেকেই খরচ করে কাজ করছেন। তিনি এরপরেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন কিভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সীমিত আর্থিক ক্ষমতায় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার পরেও কাজ করে চলেছেন। সেচমন্ত্রী জোড়ের সাথে বলেন, একটা নয়া পয়সা কেন্দ্রের সরকার দেয় নি। তবু একের পর এক কাজ হচ্ছে এবং এটাও করা হবে।

জুন ২০, ২০২৫
রাজ্য

সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা পুরুলিয়ায়, মৃত্যু মিছিল

সাতসকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৯ জনের ৷ পুরুলিয়ায় ১৮ নম্বর জাতীয় সড়কের নামশোল এলাকায় আজ, শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি বোলেরোর সংঘর্ষে ঘটে। তার ফলেই জেরেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ৷ গাড়িতে থাকা ৯ জনেরই প্রাণ গিয়েছে ৷ এরা সকলেই ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা। বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরছিলেন বলে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার সকালে পুরুলিয়ার দিক থেকে চারচাকা বোলেরো গাড়িটি বলরামপুরের অভিমুখে যাচ্ছিল। সেই সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাককে সরাসরি ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বলরামপুর থানার পুলিশ। প্রথমে জখম সকলকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাঁশগড় ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় পুলিশ। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহতদের সকলকেই ঘোষণা করেন।

জুন ২০, ২০২৫
রাজ্য

দামোদরে বালি তুলতে গিয়ে বিরাট বিপত্তি, জলে ভাসছে ১৫টি লরি

দামোদরে বালি তোলায় কোনও লাগাম নেই। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার খবর থাকা সত্বেও বালি তোলার কাজ চলছিল। লরি নেমেছিল একেবারে নদের ভিতরে। জল ভরে টুইটুম্বুর হওয়ায় ভেসে গেল ১৫টি বালি বোঝাই লরি। পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রামের এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পরে লরিগুলিকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার কথা ডিভিসি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম ঘোষণা করা হয়েছিল। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে বুধবার জল ছাড়া হয় ৪০ হাজার কিউসেক। এরই মধ্যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলেছে। এই সব কারণে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ দামোদর নদে জলের পরিমাণ বেশ বেড়ে যায়। এতেই ঘটে যায় বিপত্তি।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৫টি বালি বোঝাই লরি দামোদর নদের জলে ভাসতে থাকে। তার উপর বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তে নদের জল আরও হু হু করে বাড়তে শুরু হয়। বিপদ বুঝে লরিগুলি নদী থেকে তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করে চালকরা । ওই সময়েই সামনে থাকা দুটি লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় লরি গুলি নদ থেকে পাড়ে তোলা আর সম্ভব হয়নি। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। জল কমা পর্যন্ত লরিগুলো তুলতে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জুন ১৯, ২০২৫
রাজ্য

"কেশরী: চ্যাপ্টার ২" তে ক্ষুদিরাম বসু সহ বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান, প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ

সম্প্রতি কেশরী: চ্যাপ্টার ২ নামের এক বলিউডি হিন্দি সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র সংগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস তথা বীর বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় ও ভূমিকা বিকৃত করে এক মনগড়া মিথ্যা ইতিহাস তুলে ধরার অভিযোগ উঠেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম সিং ও বারীন্দ্র কুমার নামক দুই বিপ্লবী বৃটিশ পুলিশকর্তা কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে হত্যার চেষ্টা করে ও তাদের বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয় কৃপাণ সিং! যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। প্রকৃত পক্ষে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা কিংসফোর্ড হত্যার প্রচেষ্টা ও পরবর্তীতে মানিকতলা বোমা মামলার ঘটনার কথা সম্পূর্ণ বিকৃত ভাবে এই সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে।সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্যে কলকাতার মানিকতলার যুগান্তর গুপ্ত সমিতিতেই অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বোমা তৈরীর কর্মশালা গড়ে ওঠে, ইউরোপ থেকে বোমা তৈরী শিখে এসে এখানে বোমা তৈরী করে বিপ্লবীদের সরবরাহ করতেন হেমচন্দ্র কানুনগো, যিনি বলিউডের দৌলতে হয়েছেন কৃপাণ সিং। এই গুপ্ত সমিতির পক্ষেই ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী কিংসফোর্ডকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেন। মেদিনীপুরের বীর বাঙালি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর পদবী সিনেমায় হয়েছে সিং অন্যদিকে প্রফুল্ল চাকীর নামই মুছে গেছে, শোনা গেছে জনৈক বারিন্দর কুমারের নাম, যেকোন ইতিহাস সচেতন ব্যক্তিই বলতে পারবেন এই নাম আসলে মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও পরবর্তীতে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত বারীন্দ্র ঘোষের, যিনি সম্পর্কে অরবিন্দ ঘোষের ভাই। এই মানিকতলা বোমা মামলায় বিপ্লবীদের পক্ষে কোর্টে আইনি লড়াই করেন আরেক মহান বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। এই গৌরবজনক অধ্যায় সম্পূর্ণ ভাবে বিকৃত করা হয়েছে, যা বাঙালি জাতি তথা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা।এই বিকৃতির বিরুদ্ধে বাঙালির ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতি জগতের নানান ব্যক্তিত্ব এই ইতিহাস তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভারতীয় বাঙলির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষও সরব হয়েছে, আজ তারা পথে নেমে প্রতিবাদ করল কলকাতার বাংলা একাডেমী সংলগ্ন রানুছায়া মঞ্চে। এই প্রতিবাদ সভায় বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, কেশরী ২ সিমেমার মূখ্য অভিনেতা অক্ষয় কুমার, তিনি কাদের স্বার্থে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে সিনেমা তৈরি করেন এটা আমাদের সকলের জানা৷ বিজেপি ও বলিউডের উদ্দেশ্য বাঙালির গৌরবজনক বীরত্বের ইতিহাস মুছে দেওয়া। সেই উদ্দেশ্যেই বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। বলিউড এর আগেও অভয় ২ সিরিজে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে ক্রিমিনাল, জঙ্গি হিসাবে দেখিয়েছিল। বাংলা পক্ষ তখন Zee5 কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিল এবং সল্টলেকে Zee5 এর অফিসে বিক্ষোভ করেছিল। পরবর্তীতে Zee5 ক্ষমা চেয়ে সেই অংশ বাদ দিতে বাধ্য হয়। শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কেশরী ২ সিনেমার নির্মাতারা ক্ষমা না চায়, বাংলা পক্ষর লড়াই চলবে। ক্ষমা চেয়ে এই দৃশ্য বাদ দিতে হবে। বাঙালি বিদ্বেষীদের কিভাবে ক্ষমা চাওয়াতে হয় সেটা বাংলা পক্ষ ভালো ভাবে জানে।শীর্ষ পরিষদ সদস্য সৌম্যকান্তি ঘোড়ই বলেন, ক্ষুদিরাম বসুকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান। প্রফুল্ল চাকীকে অপমান মানে বাঙালিকে অপমান৷ বীর বিপ্লবী বারীন ঘোষদের অপমানের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে। অক্ষয় কুমারকে ক্ষমা চাইতেই হবে।এছাড়াও আজকের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। এর আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই সিনেমা নিয়ে একই ইস্যুতে এফআইআর হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাঙালি বীর বিপ্লবীদের ইতিহাস বিকৃতি করার জন্য।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স

লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। দিনটা ছিল ১৯৯৬ র ২০ জুন। এই টেস্টের কথা উঠলেই মহারাজকীয় শতরানের কথাই সবার আগে মনে আসে। যা এসেছিল ২২ জুন।তবে ২০ জুন বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ডের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট পড়েছিল চার রানের ব্যবধানে। দলের ৯৮ রানের মাথায় সৌরভের প্রথম শিকার হন তিন নম্বরে নামা নাসের হুসেন। ১১০ বলে ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন বিক্রম রাঠোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১০২ রানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৯ বলে ১ রান করে গ্রেম হিক সৌরভের বলেই জাভাগল শ্রীনাথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। প্রথম ইনিংসে সৌরভের বোলিং ফিগার ছিল ১৫-২-৪৯-২। বেঙ্কটেশ প্রসাদ পাঁচটি, শ্রীনাথ তিনটি ও সৌরভ ২টি উইকেট পান। পরশ মামব্রে, অনিল কুম্বলে ও সচিন তেন্ডুলকর উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরভ তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসে শতরানকারী জ্যাক রাসেলের উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাজ ৩ ওভারে মাত্র ৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ফলে লর্ডসের ঐতিহাসিক শতরানের আলোতেও সমুজ্জ্বল বোলার সৌরভের পারফরম্যান্স।

জুন ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বৃষ্টির মোকাবিলায় ইডেন সেরা, মাঠ ভরানোর আহ্বান মনোজের

আজও বৃষ্টিতে ব্যাহত বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলা। কয়েক দিন ধরেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। যার জেরে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের খেলাগুলি পরিত্যক্ত হচ্ছে। ইডেনে বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও ফের অবিরাম বর্ষণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে গতকাল যা হলো তা অন্য কোথাও আর হতে পারতো না।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনাতেই ইডেনের গোটা মাঠ ঢেকে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে। উন্নতমানের কভার আনিয়ে। এমনকী ইডেনের মতো সল্টলেক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠেও মাঠ ঢেকে রাখা হয় প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন অনবদ্য টিম যার ফলে বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দিতে পারেন। ইডেনের এমন ব্যবস্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামেও নেই। সুনীল গাভাসকর-সহ অনেকেই তাই বলে থাকেন মাঠ ঢাকার ব্যবস্থাপনায় ইডেনকে অনুসরণ করতে। এই ব্যবস্থাপনার সুফল মিলল আরও একবার। গতকাল বৃষ্টি একটু ধরতেই রাতে ৯ ওভারের ম্যাচ হলো। হারবার ডায়মন্ডস ৪০ রানে হারাল লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শহরে তাতে অন্য কোথাও এটা সম্ভব হতো না। হলো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা ছিল বলেই। হারবার ডায়মন্ডস অধিনায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি অনুরোধ করেছেন সকলকে কাজ সেরে মাঠে এসে তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করার জন্য। এই লিগে বিনামূল্যে খেলা দেখা যায়। এমনকী হারবার ডায়মন্ডসের সমর্থকদের জল, ইলেক্টোরাল, কেক দেওয়ার কথাও মনোজ বলেছেন। তার কারণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে সমর্থকদের উপস্থিতি দরকার। গ্যালারির সিংহভাগ ফাঁকা থাকছে। যে লিগের সম্প্রচার স্টার স্পোর্টসে চলছে সেখানে এমন ফাঁকা গ্যালারি মোটেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

ওরঙ্গাবাদের এই হৃদয়স্পর্শী কাহিনী আপনার মন ছুঁয়ে যাবেই

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের সম্ভাজি নগরে ঘটনা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। ওই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো সমাজকে। সেখানে এক গয়নার দোকানে গিয়েছিলেন অতি সাধারণ এক দম্পতি। স্ত্রীকে কিছু উপহার দেওয়াই ছিল স্বামীর উদ্দেশ্য। গয়নার শোরুমের ম্যানেজার তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন। হাসিঠাট্টার মাঝে কথা বলতে বলতে জেনে নেন তাঁদের জীবনকাহিনী। এবার এল জিনিস কেনার পালা। হাতের ঝোলা ব্যাগ থেকে বেরোল একটা ৫০০ টাকার নোট। একে একে ১০, ২০ টাকার নোট। সবশেষে একটা ছোটখাট বোঁচকা। তাতে ভর্তি খুচরো পয়সা।শোরুমের ম্যানেজার গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে তাঁদের একটি হার উপহার দেন। সঙ্গে একজোড়া কানের দুলও। এরপর বৃদ্ধের কাছে সরল আবদার জানান, নিজে হাতে স্ত্রীর হাতে সেটা তুলে দিতে হবে। উপহার তো দিলেন ম্যানেজার, কিন্তু এত বড় দোকানে এসে কোনও টাকা না দিয়ে চলে যাবেন, এতেও যেন সম্মানে বাধে বৃদ্ধের। সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আত্মসম্মানই বড় কথা। প্রাণ যাক, সম্মান নিয়ে বাঁচাটাই বড় কথা। তাই সবচেয়ে বড় নোটটি তুলে দিতে চেয়েছিলেন ম্যানেজারের হাতে। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের উত্তর, আপনার আশীর্বাদের হাত থাকলেই হবে। পান্ডুরঙ্গ (কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পূজিত দেবতা) আছেন, কিছুর অভাব হবে না কোনওদিন। কিন্তু বৃদ্ধ নাছোড়বান্দা, টাকা তিনি দেবেনই। উপায় নেই বুঝে অবশেষে দুটো ১০ টাকার নোট নেন ম্যানেজার।স্বামীর চোখে জল, ধুতির খুঁট দিয়ে মুছে ফেললেন। তা দেখে স্ত্রীও আটকাতে পারলেন না নিজেকে। ভিডিওতেই স্পষ্ট, এমন এক মূল্যবান উপহার পেয়ে বিশ্বাস হচ্ছে না ওই দম্পতির। কিন্তু যেকজন ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা সবাই বুঝেছেন এই চোখের জল, অবিশ্বাস শুধু মূল্যবান এক উপহারের জন্য নয়, জীবনের অন্যতম এই দিনটি মনের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন দম্পতি।

জুন ১৯, ২০২৫
দেশ

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: শিশুদের শনাক্ত করতে বড় সমস্যা, এখনও হস্তান্তর ১৫৯ দেহ

সুরাটের নানাবাওয়া পরিবার ৩৬ বছর বয়সী আকিল এবং ৩১ বছর বয়সী স্ত্রী হান্না ভোরাজির নামাজ-এ-জানাজা (জানাজা) সম্পন্ন হয়। বুধবার ভোরে ফোন করে জানায় যে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় তাদের সাথে মারা যাওয়া তাদের মেয়ে সারার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা চার বছর বয়সী মেয়ের দেহাবশেষ দাবি করতে আহমেদাবাদে ছুটে যান। যাতে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা যায়।আহমেদাবাদ-লন্ডন AI-171 বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, সারার সন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষের মধ্যে নাবালকদের শনাক্ত করা কতটা কঠিন। বুধবার পর্যন্ত, ডিএনএ ম্যাচিং এবং শনাক্তকরণের পরে ১৫৯টি মৃতদেহ আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা ছাড়াও, এই মৃতদেহগুলির মধ্যে কেবল একজন নাবালিকা ছিল ফাতিমা শেঠওয়ালা, যার বয়স ১৮ মাস।বিমান সংস্থার তালিকা অনুসারে, AI-171-এ ১২ বছরের কম বয়সী ১৩টি শিশু ছিল, যার মধ্যে তিনজন এখনও ২ বছর পূর্ণ করেনি। আরও বেশ কয়েকজনের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।এই ধরনের দুর্যোগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহারে অসুবিধা ব্যাখ্যা করে গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই বলেন, শিশুদের শরীরের ভর কম থাকে এবং তাই টিস্যুর ক্ষতি হয় এবং লম্বা হাড় তাপের সংস্পর্শে আসে। তবে দাঁত বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাপ সহ্য করতে পারে।তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটিও জটিল। শিশুদের যে কোনও দাঁত থেকে ডিএনএ বের করা যেতে পারে, কিন্তু আগুন লাগার সময় সামনের দাঁত ব্যবহার করা যায় না কারণ তাপ তাদের নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা মোলার থেকে ডিএনএ নিই। ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, আমরা স্থায়ী মোলার পেতে পারি না... তাদের বেশিরভাগই দুধের দাঁত থাকে, এবং কখনও কখনও সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ খিলানটি খুব ছোট। তাই আমরা চোয়ালে একটি ছেদ তৈরি করি এবং ভিতরে স্থায়ী মোলার তৈরি করার চেষ্টা করি, পিল্লাই বলেন, যার বিভাগের সাথে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ দাঁতের ডিএনএ বের করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দাঁতের চার্ট তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিল।একজন ফরেনসিক কর্মকর্তা বলেছেন যে দুর্ঘটনার পরে যে আগুন লেগেছিল তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল। সুতরাং, কিছু ব্যক্তির জন্য কেবলমাত্র আংশিক ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাদের আমরা সন্দেহ করি যে তারা নাবালক, কর্মকর্তা বলেন, আরও বলেন যে আত্মীয়দের সাথে নিঃসন্দেহে নির্ভুলতার সাথে মেলানো কঠিন।আকিলের বাবা আবদুল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেন যে তিনজন ৬ জুন, ঈদুল আযহার একদিন আগে, এক আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছিলেন। এটা একটা ছোট ভ্রমণ ছিল। আমরা জানতাম না যে এটাই তাদের শেষ হবে, কাঁদতে কাঁদতে আবদুল্লাহ বলেন, যিনি বিমানে পরিবারকে নামিয়ে দিতে আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন।ভদোদরায়, আসিফ শেঠওয়ালা তার নাতনি ফাতিমার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। যার দেহাবশেষ বুধবার শনাক্ত করা হয়েছে, যখন তার মা সাদিকার মৃতদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। আসিফ বলেন, ফাতিমা তার লন্ডন-ভিত্তিক ছেলের একমাত্র সন্তান। সাদিকা এবং ফাতিমা আমার ছোট ছেলের বিয়েতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা প্রায় ২০ দিন ধরে এখানে ছিলেন এবং তাদের ফেরার টিকিট অনেক আগেই বুক করা হয়েছিল।ডিএনএ সরবরাহ করার পাশাপাশি, দাঁতের দেহাবশেষ একজন ব্যক্তির আনুমানিক বয়স নির্ধারণেও সাহায্য করে। যা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র প্রদান করে। আহমেদাবাদ দুর্ঘটনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও, বিস্ফোরণ এবং আগুনের ফলে উদ্ধার করা বেশিরভাগ ডিএনএ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।ডঃ পিল্লাই বলেন, ফরেনসিক ওডন্টোলজি বিভাগ এক থেকে ছয় বছর বয়সী বেশ কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর দাঁতের ডিএনএ সংগ্রহ করেছে অথবা ডেন্টাল চার্টিং করেছে এবং অন্তত কিছু ভুক্তভোগীর বয়স মূল্যায়ন করেছে। এরপর এই বয়সের যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট ম্যানিফেস্টের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে, আমরা দ্বিতীয় মোলার বিকশিত হতে দেখেছি, যা স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে তারা তিন থেকে ছয় বছর বয়সী। এটি অনুসন্ধানকে সংকুচিত করতে সাহায্য করেছে। তারপর তাদের ডিএনএ নমুনা তাদের আত্মীয়দের সাথে মেলানো যেতে পারে।যারা খবরের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে ভদোদরার ভাহোরা পরিবার। তারা দুর্ঘটনায় তিন সদস্যকে হারিয়েছে। সোমবার ইয়াসমিনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলেও, পারভেজ এবং তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়ার দেহাবশেষ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, পরিবারগুলির আশা হারানো উচিত নয়। বিমান দুর্ঘটনাটি প্রায় বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। যেখানে ৫৪,০০০ লিটার বিমান জ্বালানি এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জ্বলছিল। উৎপন্ন তাপের পরিমাণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আমরা ভাগ্যবান হব যদি ভালো নমুনা পাওয়া যায়। কিন্তু যদি একটি দাঁতও পাওয়া যায়, তাহলে ডিএনএ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফরেনসিক পরীক্ষা খড়ের গাদায় সূঁচ পাওয়ার মতো। কিন্তু একজন তদন্তকারী হিসেবে, আমি বলতে পারি যে ম্যাচ পাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে এবং প্রয়োজনে ধ্বংসাবশেষে ডিএনএর আরও চিহ্ন থাকবে। গুজরাট পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন।

জুন ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal