করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পশ্চিমবঙ্গে ফের বিশেষজ্ঞদল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। সেইসঙ্গে কেরল, কর্নাটক, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়েও যাবে কেন্দ্রীয় দল। এই রাজ্যগুলিতে করোনা পরিস্থিতি খারাপ। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আরও পড়ুনঃ বেতন বৃদ্ধির দাবিতে মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ধর্মঘট , বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্ভাবনা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক শুক্রবার জানিয়েছে, প্রতিটি টিমে একজন যুগ্মসচিব, একজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, একজন ক্লিনিসিয়ান থাকবেন। রাজ্যগুলির করোনা মোকাবিলায় তাঁরা সহায্য করবেন। কীভাবে করোনা পরীক্ষা এবং তার চিকিৎসা আরও উন্নত করা যায়, সে বিষয়েও তারা নজর দেবেন।
জম্মু ও কাশ্মীরের সোপিয়ান থেকে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করা হল। ধৃতদের নাম আবদুল বাট, মহম্মদ ইউসুফ ওয়ানি ও রউফ বাট। তাদের পিএসএ আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, তাদের ওই মাদ্রাসা থেকে জঙ্গি দলে যোগ দিয়েছে ১৩ পড়ুয়া। সোপিয়ান, অনন্তনাগ ও কুলগামের বহু ছাত্র ওই মাদ্রাসাটিতে পড়াশোনা করে। সোপিয়ানের ওই মাদ্রাসাটি থেকে পাস করেছিল সাজাদ বাট। এই সাজাদই ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায়। আরও পড়ুনঃ দৈনিক করোনা সংক্রমণ কমলেও বিপদ এখনও কাটেনি, মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর কাশ্মীর জোনের আইজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, মাদ্রাসাটি চালায় কাশ্মীরে নিষিদ্ধ সংগঠন জামাত-ই-ইসলামি। সিরাজ-উলুম ইমাম সাহিব নামে ওই মাদ্রাসার ৩ শিক্ষকের নামে অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই মাদ্রাসাটি বহুদিন ধরেই গোয়েন্দাদের নজরে ছিল। প্রয়োজন হলে ওই মাদ্রাসার বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে অনেকেই ভেষজ চা খাচ্ছেন। আদা, গোলমরিচ, লবঙ্গ, মধু, পাতিলেবু, তুলসিপাতা দেওয়া চা খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এর ফলে স্বাস্থ্য ভালও হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, এই চা অতিরিক্ত পান করলে শরীরের ক্ষতিও হতে পারে।যাঁরা সর্দি-কাশিতে ভোগেন, তাঁদের পক্ষে এই চা খাওয়া খুবই উপকারী। এর ফলে তাঁদের শরীর ভাল হতে পারে। কিন্তু যাঁদের পিত্ত বা বাতের সমস্যা আছে, তাঁদের পক্ষে উষ্ণ পানীয় সেবন ঠিক নয়। চিকিৎসকরা বলছেন, শারীরিক অবস্থা বুঝে এই চা খাওয়া উচিত। যাঁদের বাত রয়েছে, তাঁরা একদিনে সর্বোচ্চ দুবার এই চা খেতে পারেন।এই ধরনের ব্যক্তিরা ভেষজ চায়ে সামান্য ঘি মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে যাঁদের শরীরে পিত্তর সমস্যা আছে, তাঁদের দিনে একবারের বেশি ভেষজ চা খাওয়া উচিত নয়। সন্ধেবেলা খেলেই সবচেয়ে ভাল হয়। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে রোজ ভেষজ চা খেলে উল্টে অনেকরকম ক্ষতি হতে পারে। একজন মানুষের বয়স, শারীরিক অবস্থা এবং আবহাওয়া বিচার করে তবেই তাঁর জন্য ভেষজ চা তৈরি করা উচিত। সবার ক্ষেত্রে এই চা সমান কাজ দেয় না। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে তবেই ভেষজ চা খাওয়া উচিত।
পরিকাঠামো, নির্দেশিকা তৈরি। তা সত্ত্বেও প্রাক-মরশুম প্রস্তুতিতে নামতে পারছেন না বাংলার ক্রিকেটাররা। আসলে এখনও রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ও ক্রীড়া দপ্তরের অনুমতি না। জিম ও ফিজিক্যাল ট্রেনিং শুরু করার জন্য অনুমতি চেয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ও ক্রীড়া দপ্তরের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে সি এ বি। অনুমতি পেলেই ট্রেনিং শুরু করবেন মনোজ তিওয়ারিরা। ক্রিকেটারদের জিম ও ফিজিক্যাল ট্রেনিং অনুশীলনের জন্য নির্দেশিকা তৈরি করেছে সি এ বি। ক্রিকেটাররা কীভাবে অনুশীলনে আসবেন, কীভাবে জিম করবেন, কোন কোন বিধি মেনে চলতে হবে, কী করা যাবে, কী করা যাবে না, এইসব নিয়ে। স্বাস্থ্য দপ্তর ও ক্রীড়া দপ্তর এই নির্দেশিকা অনুমোদন করলে তা কার্যকর করা হবে। সি এ বি চাইছে খুব তাড়াতাড়ি প্রস্তুতি শুরু করতে।
বড়ো, ছোটো কফি শপ বা চায়ের দোকান তো অনেক দেখা যায়। চায়ের কাপে তুফান তোলা থেকে চায়ে পে চর্চা, জমাটি আড্ডা থেকে রাজনীতির জনমত গঠন, সব কিছুতেই জড়িয়ে চায়ের দোকান। লকডাউনের সময় চা কাকুর আমরা কি চা খাব না? খাব না আমরা চা? তো ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এমন চায়ের দোকান কি দেখেছেন? বিপদভঞ্জন মণ্ডলের চায়ের দোকানের কথা বলছি। নিজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্ধ ভক্ত। সেটা দোকানে ঢুকলেই দেখা যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি রয়েছে। তবে রয়েছে আরও চমক। হুগলি জেলার বেহুলা স্টেশনের কাছে জামতলায় এসটিকেকে রোডের ধারে বিপদভঞ্জন মণ্ডলের চায়ের দোকানের কথা শুনেছিলেন অনেক দিন আগেই। ব্যস্ততায় আসা হয়নি। সম্প্রতি দলীয় কর্মীদের নিয়ে তাই সেই দোকানে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়।শান্তনু জানালেন, অনেক জায়গায় গিয়েছি, তবে এমন দোকান দেখিনি। চায়ের দোকানে মণীষীদের বাঁধাই করা ছবি দেখে সত্যিই অবাক হয়ে গিয়েছি, ভালোও লাগছে। বিপদভঞ্জনবাবুর কথায়, অনেক দিন ধরে ছবি জোগাড় করেছি। তবে দোকানটা একটু বড়ো হলে আরও মণীষীদের ছবি রেখে আরও ভালোভাবে সাজিয়ে রাখতে পারতাম। দোকানের নাম সর্বধর্ম সমন্বয় চায়ের দোকান। অর্থাৎ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই স্বাগত। তবে বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ আছে। তৃণমূল-বিরোধীদের মোটেও চা বিক্রি করেন না। শর্ত একটাই। তাই চা পানের ইচ্ছা জাগলে নয় কয়েক মিনিটের জন্য রাজনীতির আলোচনা থেকে দূরেই থাকুন না!