• ৫ শ্রাবণ ১৪৩২, মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Student

রাজ্য

HS -Protest: বিক্ষোভের জের, মহুয়া দাসকে নবান্নে তলব

শহর কলকাতা থেকে জেলা, উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করেও পাশের দাবিতে রাজ্যজুড়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ জারি রয়েছে গত দুদিন। এই আবহে এদিন সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।আরও পড়ুনঃ মরণোত্তর অঙ্গদানের শপথ অভিনেতারশনিবার সকাল থেকেই দফায় দফায় উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অফিসের সামনে চলে বিক্ষোভ। কখনও বিক্ষোভ দেখায় উত্তর ২৪ পরগনা আমডাঙা ব্লক থেকে আসা স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা।এ দিন বিকেলেই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাসকে নবান্নে তলব করেন মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী৷ কেন এত সংখ্যক ছাত্রছাত্রী উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করল, সংসদ সভানেত্রীর কাছ থেকে সেই ব্যাখ্যাই চাওয়া হয়েছে বলে খবর৷ মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাস ছাড়াও শিক্ষা দপ্তরের সচিব মণীশ জৈনও উপস্থিত ছিলেন৷চাপের মুখে এ দিনই বেশ কিছু স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের ডেকে পাঠিয়েছিল সংসদ৷ বিকেলে সংসদের তরফে জানানো হয়, ফেল করা ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে৷ অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীদের তালিকা এবং একাদশ শ্রেণিতে তাদের প্রাপ্ত নম্বরের তালিকা জমা দেওয়ার জন্যও প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷আরও পড়ুনঃ টেস্ট দলের দরজা খুলে গেল সূর্যকুমারের সামনেএ বারের উচ্চ মাধ্যমিকে প্রায় ১৮ হাজার ছাত্রছাত্রী অকৃতকার্য হয়েছে৷ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে ছাত্রছাত্রীরা৷ বিক্ষোভ হয়েছে সংসদের সদর দপ্তরের সামনেও৷ এত সংখ্যক ছাত্রছাত্রী কেন ফেল করল, আগেই শিক্ষা দপ্তরের তরফে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কাছে সেই জবাবদিহি চাওয়া হয়েছিল৷ এবার বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করল নবান্নও৷আরও পড়ুনঃ টোকিও অলিম্পিকে প্রথম পদক ভারতেরস্কুলের প্রধান শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, পরীক্ষা না হওয়ায় একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির নম্বরের ভিত্তিতে উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন হয়েছে৷ এই মূল্যায়ন পদ্ধতিতে গরমিলের জেরেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে বলে মত প্রধান শিক্ষকদের একাংশের৷ সংসদের মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়েও নবান্নের বৈঠকে সংসদ সভানেত্রীর কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে বলেই খবর৷

জুলাই ২৪, ২০২১
রাজ্য

Road Blockade: কালনায় পথ অবরোধ, বিক্ষোভ উচ্চ মাধ্যমিকে অকৃতকার্য ছাত্রীদের

রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি এবার পূর্ব বর্ধমানেও ছড়াল উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট নিয়ে ক্ষোভের আঁচ। পরীক্ষা না নিয়ে কেন ফেল করানো হল কোন যুক্তিতে? এই দাবী তুলে শনিবার বিক্ষোভে ফেটে পড়ে উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করা ধাত্রীগ্রাম বালিকা বিদ্যালয়ের ৫০ জন ছাত্রী। তারা কালনা-কাটোয়া রোডে ধাত্রীগ্রাম পোস্ট অফিসের সামনে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখায়।আরও পড়ুনঃ শাহের দরবারে শুভেন্দু-সৌমিত্র, জল্পনাছাত্রীদের সঙ্গে পথ অবরোধ বিক্ষোভে অংশ নেয় তাঁদের অবিভাবকরা। প্রায় ঘন্টা খানেক ধরে চলে অবরোধ বিক্ষোভ। তার জেরে থমকে যায় কালনা-কাটোয়া এসটিকেকে রোডে যানবাহন চলাচল। প্রায় ঘন্টা খানেক অবরোধ চলার পর পুলিশি হস্তক্ষেপে অবরোধ বিক্ষোভ ওঠে।আরও পড়ুনঃ শিক্ষকদের মমতার উপহার উৎসশ্রী আসলে কী? জানুনউচ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর ধাত্রীগ্রাম বালিকা বিদ্যালয়ের ৫০ জন ছাত্রী জানতে পারে তারা ফেল করেছে। রেজাল্ট হাতে পাওয়ার ওই ছাত্রীরা দেখে তাদের বেশির ভাগই বাংলা অথবা ইংরাজিতে ফেল করেছে। পথ অবরোধ বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ছাত্রী রিতিশা ঘোষ বলেন, পরীক্ষা হলে আমরা কেউ ফেল করতাম না। কারণ আমরা পড়শুনাটা সিরিয়াসলি করেছি। ছাত্রীদের প্রশ্ন, পরীক্ষা না নিয়ে তাহলে তাঁদের ফেল করানো হল কোন যুক্তিতে? তাই তারা চাইছে অবিলম্বে উচ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা হোক। নয়তো তাঁদের সকলকে পাস করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।আরও পড়ুনঃ টোকিও অলিম্পিকে প্রথম পদক ভারতেরঅবিভাবক ঝুমা দেবনাথ বলেন, এই বছর অতিমারির কারণে পরীক্ষা না হওয়ায় মাধ্যমিকে পাশের হার ১০০ শতাংশ ।অথচ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ভিন্ন মানসিকতা দেখানো হল। পরীক্ষা না নিয়েও উচ্চ মাধ্যমিকে অনেক পড়ুয়াকে উত্তীর্ণ করা হয়নি। ধাত্রীগ্রাম বালিকা বিদ্যালয়ের বেশিরভাগ ছাত্রীকে হয় বাংলা নয়তো ইংরাজিতে ফেল দেখানো হয়েছে। যাদের ফেল দেখানো হয়েছে তাদের সবাইকে পাশ করাতে হবে বলে ঝুমা দেবনাথ সহ অন্য অবিভাবকরা দাবি করেছেন।আরও পড়ুনঃ গোপনে ভারত ঘেষা তিব্বত ঘুরে গেলেন চিনা প্রেসিডেন্টবিক্ষোভরত ছাত্রীদের স্কুলের ভিতর নিয়ে গিয়ে পুলিশ শিক্ষিকাদের সঙ্গে আলোচনায় বসায়। শিক্ষিকাদের কাছেও একই দাবি জানায় পড়ুয়া ও অবিভাবকরা। ব্লক প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের উচ্চ আধিকারিকদের দৃষ্টি আকর্ষণের আশ্বাস দিলে ছাত্রী ও অবিভাবকরা এদিনের মতো আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয়।

জুলাই ২৪, ২০২১
রাজ্য

Discipline : ছাত্রীর শ্লীলতাহানী, শ্রীঘরে ঠাই কীর্তিমান শিক্ষকের

প্রাইভেট টিউশন পড়তে যাওয়া দশম শ্রেণীর ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন এক স্কুল শিক্ষক। ধৃতের নাম অখিলেশ্বর সরকার। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরের শ্যামগঞ্জপাড়ায়। স্কুল শিক্ষকের কুকীর্তির কথা জানাজানি হতেই এলাকায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্তে নেমে স্কুল শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার ধৃতকে পেশ করা হয় কালনা মহকুমা আদালতে। বিচারক ধৃতের জামিন নামাঞ্জুর করে ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে ছাত্রীর পরিবার।আরও পড়ুনঃ মুখে কাপড় বেঁধে শিশু কন্যাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, উত্তেজনা ভাতারেপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা শহরের আমলাপুকুর এলাকায় বাড়ি দশম শ্রেণীর ছাত্রীর। ছাত্রীটি সোমবার সকালে কালনা শহরের সরকারি স্কুলের শিক্ষক অখিলেশ সরকারের বাড়িতে প্রাইভেট টিউশন পড়তে যায়। অভিযোগ, ওই সময়ে ছাত্রীকে একা পেয়ে ওই শিক্ষক ঘরের দরজা বন্ধ করে তার শ্লীলতাহানি করে। শিক্ষকের যৌন লালসার হাত থেকে বাঁচতে ছাত্রীটি চিৎকার শুরু করে। তখনই ছাত্রীকে ছেড়ে দিলেও কাউকে ঘটনার কথা জানালে পরিণতি ভয়ংকর হবে বলে শিক্ষক ছাত্রীকে হুমকি দেয়। এই ঘটনা বিষয়ে ওই দিনই ছাত্রীর পরিবার কালনা থানায় শিক্ষক অখিলেশ্বর সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা রুজু করে তদন্তে নেমে এর পরেই পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।

জুলাই ২০, ২০২১
রাজ্য

Suicide: প্রেমিক বিয়েতে অস্বীকার করায় আত্মঘাতী কলেজ ছাত্রী

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার পরেও প্রেমিক বিয়ে করতে না চাওয়ায় আত্মঘাতী হল এক কলেজ ছাত্রী। এমনই অভিযোগ করেছে মৃতার পরিবার। বছর ১৮ বয়সী ওই ছাত্রীর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার চাঁচাই এলাকায়।মেমারি থানার পুলিশ শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে উদ্ধার করে কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ। এদিন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ছাত্রীর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। ছাত্রীর বাবার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রেমিক সৌরভ বিশ্বাসের কঠোর শাস্তির দাবি করেছে মৃতার পরিজন।আরও পড়ুনঃ ছাদ থেকে পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু, আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা?পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রীটি মেমারি কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশুনা করতো। ছাত্রীর বাবা পুলিশকে জানিয়েছে, পাল্লা এলাকার এক যুবকের সঙ্গে তাঁর মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই যুবক বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে ছিল। তারপরও ওই যুবক তাঁর মেয়েকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। তার কারণে গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে ঝুলে কলেজ ছাত্রী মেয়ে আত্মঘাতী হয় বলে ছাত্রীর বাবা জানিয়েছে। পুলিশ প্রেমিক যুবকের খোঁজ শুরু করেছে।

জুলাই ১৮, ২০২১
রাজ্য

Student Stabbed: জখম কলেজ ছাত্রী, রক্তমাখা ধারালো কাঁচিসহ গ্রেপ্তার যুবক

পেটে ধারালো কাঁচি চালিয়ে দিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে জখম করার অভিযোগে যুবককে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। ধৃতের নাম সত্যম দে ওরফে চিনা।তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার দেবীপুরের বটতলা এলাকায়। মেমারি থানার পুলিশ বুধবার ভোরে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতের দেখানো জায়গা থেকেই পুলিশ এদিন রক্তমাখা কাঁচিটি উদ্ধার করেছে। উদ্ধার হওয়া কাঁচিটি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে।আরও পড়ুনঃ মার্টিনেজ যেন ১৯৯০ র গাইকোচিয়া। কোপা ফাইনালে মেসি-নেইমারপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানিয়েছে, আক্রান্ত মেমারি কলেজের তৃতীয় বর্ষে ছাত্রী সান্তনা হাঁসদার বাড়ি মেমারি থানার জুঝাপুর গ্রামে। মেমারির দেবীপুরে প্রাইভেট টিউশন সেন্টারে অনলাইন পরীক্ষা দেওয়া শেষে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫ টা নাগাদ স্কুটি চেপে ছাত্রীটি বাড়ি ফিরছিল। পথে আচমকা এক যুবক তাঁর পেটে ধারালো কাঁচি চালিয়ে দেয়। ছাত্রীর পেটে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা ছাত্রীকে উদ্ধার করে মেমারি হাসপাতালে নিয়ে যান। আঘাত গুরুতর থাকায় সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই এখন ছাত্রীটি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।আরও পড়ুনঃ ৯৬ বছর বয়সে মারা গেলেন হকির কিংবদন্তী কেশব দত্তএই হামলার কথা জানিয়ে রাতে ছাত্রীর মা মেনকা হাঁসদা মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে ধারাল অস্ত্র দিয়ে জখম করার ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ হামলাকারীর খোঁজ চালানো শুরু করে। এদিন ভোরে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেতে সক্ষম হয়। ধৃতকে এদিনই পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। সিজেএম ধৃতকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

জুলাই ০৭, ২০২১
রাজ্য

Gang Rape: গলসিতে আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির

গলসিতে বিধবা আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে সরব হল সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সভনেত্রী ও প্রাক্তন মন্ত্রী অঞ্জু কর সহ সমিতির জেলা সম্পাদিকা সুপর্না ব্যানার্জী, জেলা সভানেত্রী মণিমালা দাস, স্থানীয় নেত্রী পুস্প দে, সদস্যা কাজী জবুন্নেসা ও পুতুল সেখ প্রমুখরা রবিবার পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানায় হাজির হন। তাঁরা গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সকল অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে এদিন থানায় স্মারকলিপি জমা দেন।নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়েও পাশে থাকার আশ্বাস দেন মহিলা সমিতির সদস্যরা। আরও পড়ুনঃ দাম্পত্যে ইতি। বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত লাগান খ্যাত ভুবনেরগলসির সাঁকো গ্রামের ওই বিধবা আদিবাসী মহিলা গত বৃহস্পতিবার পাশের পাড়ায় বিয়ে বাড়িতে যান । অভিযোগ, ওইদিন রাতে যুবকের দল তাঁকে বিয়ে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। পরদিন সকালে এই বিষয়টি জানানানি হয়। তদন্তে নেমে গলসি থানার পুলিশ ওইদিনই এলাকা থেকে উত্তম বাউরি নামে অভিযুক্তদের একজনকে গ্রেপ্তার করে । শনিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করে হেপজতে নিয়ে পুলিশ ঘটনায় জড়িত বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে।আরও পড়ুনঃ তৃণমূল কার্যালয়ে কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি, জল্পনা গোষ্ঠী দ্বন্দ্বেরমহিলা সমিতির জেলা সভানেত্রী মণিমালা দাসের অভিযোগ, আগেও গলসিতে একজন ছাত্রী, একজন তপশিলি জাতির মহিলা ও দুইজন আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটেছে। পর পর হওয়া এই ঘটনা প্রমান করে যে গলসি থানা এলাকায় মহিলাদের নিরাপত্তা নেই। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ঠিক নেই গলসিতে। পূর্বেকার ওইসব ঘটনা বিষয়েও তাঁরা প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। কিন্তু দোষীদের শাস্তি হয়নি। এত কিছুর পরেও ফের সাঁকো গ্রামের বিধবা মহিলাকে গণধর্ষণের ঘটনা সেই গলসিতেই ফের ঘটলো।গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির নেত্রীরা এদিন গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সকল অভিক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

জুলাই ০৫, ২০২১
রাজ্য

Student's Credit Card: স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের সূচনা মুখ্যমন্ত্রীর

সহজ শর্তে ঋণের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দিতে রাজ্য সরকারের বহুল প্রচারিত স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের সূচনা হল । বুধবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ওই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। সর্বোচ্চ ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষা এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষার জন্য এই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণের সুবিধা পাবেন।স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কি ধরনের সুবিধা ও কোন শর্তে ঋণ পাওয়া যাবে মুখ্যমন্ত্রী তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই কার্ডের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা দশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে৷ এর জন্য কোনও জামিন লাগবে না৷ রাজ্য সরকারই ঋণের জামিনদার থাকবে।আরও পড়ুনঃ ভুয়ো ভ্যাকসিন-কাণ্ডে রাজ্যের রিপোর্ট তলবমুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা উত্তীর্ণ হওয়ার পরই এই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবে৷ এর পর স্নাতক, স্নাতকোত্তর, ডিপ্লোমা, গবেষণার জন্য এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণ পাওয়া যাবে৷ এমনকী, বিভিন্ন সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আইএএস, আইপিএস, ডব্লিউবিসিএস -এর মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন যাঁরা, তাঁরাও এই ঋণ নিতে পারবেন৷ তিনি বলেন, রাজ্যে বসবাসকারী যে কোনও ভারতীয় ছাত্রছাত্রী এই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন৷ রাজ্য, রাজ্যের বাইরে এমন কি বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্যও এই ঋণ কাজে লাগানো যাবে৷সংশ্লিষ্ট উচ্চশিক্ষার কোর্স ফি, টিউশন ফি, হোস্টেল ফি ইত্যাদি ছাড়াও কম্পিউটার- ল্যাপটপ-এর মত শিক্ষা সরঞ্জাম কেনার জন্য এই প্রকল্পের আওতায় ঋণ পাওয়া যাবে । মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অর্থের অভাবে অনেকেই উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন না।তাদেরকে সুযোগ করে দিতেই আবেদন জানানোর বয়স ৪০ বছর পর্যন্ত করা হয়েছে। ঋণ শোধ করার জন্য যাতে আবেদনকারীরা পর্যাপ্ত সময় পান সেদিকে তাকিয়ে ওই সময় সীমা ১৫ বছর পর্যন্ত রাখা হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কোনও আবেদনকারী চাইলে একবারেই ১০ লক্ষ টাকা ঋণ পাবেন৷ আবার চাইলে ধাপে ধাপে প্রয়োজন অনুযায়ী সর্বোচ্চ দশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে৷মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, শিক্ষা দপ্তরের ওয়েবসাইটে অনলাইনে এই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের আবেদন করা যাবে৷ সাধারণ ব্যাংক ছাড়াও কো অপারেটিভ ব্যাংকের মাধ্যমে এই ঋণ পাওয়া যাবে।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাবা মায়েদের আর কোনও চিন্তা থাকবে না, বাচ্চাদের মন খারাপ করে ঘুরে বেড়াতে হবে না৷ ঋণ পাওয়ার জন্য জুতোর শুকতলা খুইয়ে যাবে না৷ ছাত্রছাত্রীদের বলব টাকা পয়সার কথা না ভেবে মন দিয়ে পড়াশোনা করো৷ বাবা মায়েদেরও বলব চিন্তা করবেন না৷ আপনাদের স্বপ্নপূরণ হবেই৷ তবে ভ্যাকসিন কাণ্ডের উদাহরণ দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষাসচিব-সহ সরকারি আধিকারিক এবং ব্যাংকগুলিকেও সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, এই ক্রেডিট কার্ডের নামে যাতে কোনওরকম প্রতারণা না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে৷ ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদেরও সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোনও জালিয়াতের খপ্পরে পড়বেন না।বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করে দিলীপের দাবি, বাংলার মানুষকে ভুগতে হবে এই প্রকল্পের জন্য। তিনি আরও বলেন, ভুয়ো ভ্যাকসিন-কাণ্ড থেকে নজর ঘোরাতেই এমনটা করা হল।

জুন ৩০, ২০২১
দেশ

Israel Embassy: ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণ-কাণ্ডে কারগিল থেকে ধৃত ৪ পড়ুয়া

দিল্লিতে ইজরায়েলি দূতাবাসের (Israel Embassy) বাইরে বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪। চারজনই লাদাখের (Ladakh) ছাত্র বলে খবর। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে তাদের নাম এখনও জানা যায়নি। বা কী কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।আরও পড়ুনঃ মুকুল রায় তো বিজেপি পার্টির মেম্বার, বললেন মমতাইজরায়েলি দূতাবাসের বাইরে বিস্ফোরণের ঘটনায় ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের করেছিল এনআইএ। তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে দুই সন্দেহভাজনের হদিশ পায় পুলিশ। তাঁদের হদিশ দিতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছিল। ধৃতরা সেই সন্দেহভাজনদের মধ্যেই কেউ কি না, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজের সূত্রে ধরেই কারগিল থেকে চার পড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দিল্লিতে এনে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এই বিস্ফোরণে লাদাখের পড়ুয়াদের যোগ নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হল। গত ২৯ জানুয়ারি বিকেলে প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে দূতাবাস সংলগ্ন এলাকা। দূতাবাস থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে জিন্দাল হাউসের সামনে আইইডি বিস্ফোরণটি ঘটে। তবে ওই ঘটনায় কোনও প্রাণহানি ঘটেনি। এরপরই এই ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। প্রাথমিক তদন্তে বিস্ফোরকটিতে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ছিল বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। অত্যন্ত প্রশিক্ষিত চর বা কমান্ডো ট্রেনিং প্রাপ্ত না হলে এমন বিস্ফোরক তৈরি করা সম্ভব নয়। ধৃত পড়ুয়ারা কীভাবে এই বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত বিষয়টি জানার চেষ্টা চলছে।

জুন ২৫, ২০২১
রাজ্য

Student Credit Card: মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেল স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড

কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার দেড় মাসের মধ্যে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেল স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প। আগামী ৩০ জুন এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।আরও পড়ুনঃ সিএবি-র উদ্যোগে ক্রিকেটারদের ৫ দিন ব্যাপী টিকাকরণ অভিযাননির্বাচনের আগে ইস্তেহারে একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তৃণমূল (TMC)। সেখানে বলা হয়েছিল, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের কথা। এই প্রকল্পে পড়াশোনার জন্য পড়ুয়াদের ১০ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেয়েছে এই প্রকল্প। তিনি জানিয়েছেন, দশম শ্রেণি থেকেই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন পড়ুয়ারা। আরও পড়ুনঃ রাজ্যে ১৭ জুলাই জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষাএদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পড়ুয়াদের ঋণ দেওয়ার যে প্রকল্পের কথা জানানো হয়েছিল, তা মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে। আজকের দিনটি পড়ুয়াদের। রাজ্যে দশম শ্রেণিতে প্রতিবছর কম-বেশি ১০ লক্ষ পড়ুয়া থাকে, দ্বাদশ শ্রেণিতে থাকে সাড়ে ৯ লক্ষ। দশম থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর-সহ যাবতীয় পড়াশোনার জন্য রাজ্যের তরফে এবার পড়ুয়াদের ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে। যা ক্রেডিট হবে তা ফেরত দেওয়ার জন্য চাকরি পাওয়ার পর ১৫ বছর সময় পাবেন পড়ুয়ারা।

জুন ২৪, ২০২১
নিবন্ধ

Friends: একা এবং বন্ধুরা

জীবন মরণের সীমানা ছাড়ায়ে/ বন্ধু হে আমার রয়েছ দাঁড়ায়ে।। এই পংক্তিটা প্রথম পড়ি কৈশোরে। রবীন্দ্রনাথ হয়তো ঈশ্বরকেই বুঝিয়েছেন বা কোন ঈশ্বরপ্রতিম মানুষকে। কিন্তু আমার মনে পড়ত কতগুলো স্কুল ইউনিফর্ম পরা, এলোমেলো চুল, বা দুই বিনুনি, দুষ্টু হাসির মুখগুলোকে। আর মনে হত, ওরে বাবা! সারাজীবন থাকবে আবার মরার পরেও? কী সাংঘাতিক কান্ড। পৃথিবীতে অবতীর্ণ হওয়ার বছর তিনেক পরেই তাঁরা আমার জীবনে পদার্পণ করেছেন। (জনান্তিকে বলে রাখি এখনও অক্লেশে হাড়মাস ভাজা করে চলেছেন)।পড়তাম এক মিশনারি স্কুলে যেখানে বহুবিধ পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল। জানিয়ে পরীক্ষা, না জানিয়ে পরীক্ষা। কিন্তু চাপ ছিল না। মানে চাপ শব্দটা জানলে তো চাপে পড়বে। আমরা কিছু দুষ্টু ছেলে-মেয়ে হইহই করে উঠে যেতাম পরের ক্লাসে। কড়া নজরদারির মধ্যে দুষ্টুমির নিত্য নতুন উদ্ভাবন। সেই জন্যই বোধ হয় কখনও আমরা কেউ ক্লাসরুম প্রেমের স্বাদ পেলাম না। অধরা থেকে গেল সেই রোমাঞ্চ আমাদের কাছে। একসময় স্কুল শেষ, কিন্তু কলেজেও বন্ধু হলো না সেভাবে। পুরোনো হ্যাংওভার কাটলে তবেই না নতুন বন্ধু?ইউনিভার্সিটিতে এসে দুটো পাখা জুড়লো পিঠে। মনে হলো এলেম নতুন দেশে। আহা! সবই কি সুন্দর। কত নতুন নতুন জিনিস। মুগ্ধ মোহিত আমি-র জুটলো নতুন বন্ধু। চললো নতুন অভিযান। সারা রাতের ক্লাসিক্যাল গানের সুরে ভেসে যাওয়া, কখনও ফটোগ্রাফি এক্সিবিশন-এ ঘুরে ঘুরে ছবি দেখা, সব মিলিয়ে সে এক সব পেয়েছির দেশ। মধ্যিখানে বেশ কিছু বছর যোগাযোগ বিহীন। নেই তো নেইই.. । কি যেন নেই। হঠাৎ অভিমানে নাকের ডগা লাল হয়ে, গলার কাছে ব্যথা করে উঠলেও বলার লোক নেই। দুষ্টুমি করার লোক নেই। খোঁজ নেওয়ার লোকও তো নেই। অতঃপর, হঠাৎ একদিন মিলিল তারা মিলিল সে মেলা কি যে মেলা.... রাত ১২টায় ফোন করে জানান দেওয়া যে আমরা আছি,/তোর কাছাকাছি।আরও পড়ুনঃ প্পিতৃদিবসে বাবাকে খোলা চিঠি এক কন্যার আবার শুরু নরক গুলজার, বেড়াতে যাওয়া, পিকনিক করা, সে তো আছেই। এতটুকু মনখারাপেও ফোন বা লিখে লিখে তার গুরুত্বপূর্ণ কাজ শিকেই তোলা। অন্য কোথাও রাগ হলে, তাদের ওপর সেই রাগ ঝাড়া। সেখানে বলতে পারব না মানে কি কোথাওই পারব না? দোস্তলোগ হ্যায় না! এর মধ্যেই আবার সেই সুপ্ত বাসনা লেখালেখি করার মাদকতা ফিরিয়ে দিল এক বন্ধু। সে কি ছিনেজোঁক! প্রায়ই ফোনে উস্কানি দেয়। কিঞ্চিৎ লোভও দেখায়। অতএব মাঠে নেমে পড়া। এখন সবাই মিলে বেঁধে বেঁধে আছি। পৃথিবীতে এত বছর কাটানোর পরে বুঝেছি, জীবন-মরণের সীমানা ছাড়িয়ে বন্ধুই তো থাকে। ওরা আছে তাই আমি আছি।সুদেষ্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়

জুন ২৩, ২০২১
শিক্ষা

NTSE: বর্ধমানের মেয়ের রাজ্য স্তরে সাফল্য

ন্যাশানাল ট্যালেন্ট সার্চ এক্সাম (NTSE) প্রতিযোগিতায় রাজ্যে সপ্তম ও বর্ধমান জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে সমন্বিতা পাল। বর্ধমান মডেল স্কুলের একাদশ শ্রেনীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী সমন্বিতা।প্রতি বছর এন সি ই আর টি (National Council of Educational Research and Training/ NCERT) এই পরীক্ষার আয়োজন করে। সাধারণভাবে দেশের মেধাবী পড়ুয়াদের চিহ্নিত করতেই এই পরীক্ষা নেওয়া হয়। এন সি ই আর টি-র তত্ত্বাবধানে এই পরীক্ষা দুটি পর্যায়ে হয়। পর্যায়-১ (Stage-I), পর্যায়-২ (Stage-II)। প্রথম পর্যায়ের (Stage-I) পরীক্ষার জন্য দশম শ্রেণীর ছাত্ররাই আবেদন করতে পারে। আবেদকারীকে ভারতের কোনও রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বীকৃত স্কুলে শেষ শিক্ষাবর্ষে উত্তীর্ন সহ ৬০% নম্বর পেতে হবে। সংখ্যালঘু ও তপসিলিজাতির আবেদনকারীরা ৫% ছাড় পাবে। অবশ্যই ১৮ বছরের অনুর্দ্ধ হতে হবে। প্রথম পর্যায়ের রাজ্য ভিত্তিক পরীক্ষায় ৮০% বা তার বেশী নম্বরের পরীক্ষার্থীরা দ্বিতীয় পর্যায়ের (Stage-II) প্রতিযোগিতার জন্য যোগ্য বিবেচিত হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে সফল ছাত্রছাত্রীদের জাতীয় স্তরে প্রথম ১০০০ জনকে বৃত্তি প্রদান করা হয় এবং উচ্চশিক্ষা অবধি তাদের দায়িত্ব নেওয়া হয়। ওরিয়েন্টাল এসোসিয়েসান ফর এডুকেসন এন্ড রিসার্চ-এর সেক্রেটারি অচিন্ত্য কুমার মন্ডল ছাত্রছাত্রী দের সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন, তিনি বলেন সমন্বিতার এই সাফল্য প্রতিষ্ঠানের অন্য ছাত্রছাত্রীদের আরও উৎসাহিত করবে। বর্ধমান মডেল স্কুলের অধ্যক্ষ বিপিন বিহারী সিং জনতার কথাকে বলেন, সমন্বিতা প্রাথমিক শ্রেণী থেকে এই স্কুলে পড়ছে, ছোটো থেকেই সে পড়াশোনার ব্যাপারে প্রচন্ড মনযোগী। সিবিএসসি-র নিয়মানুসারে আমরা র্যাঙ্কিং দিতে পারি না। কিন্তু ওর রেজাল্ট বরাবরই প্রথম দিকেই থাকত।ওই স্কুলেরই বাংলার শিক্ষক সুমন নাগ জনতার কথাকে বলেন সমন্বিতা শুধু পড়াশোনা নয় ওর আরও নানা বিষয়ে আগ্রহ আছে। ও অসাধারণ আবৃত্তি করে, স্কুলের বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মেসমারাইজ সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নানা ভূমিকায় অভিনয় করেছে। সমন্বিতা প্রতিভার আরেকদিক হল অঙ্কন শৈলী। অঙ্কনে বর্ধমান জেলা আয়োজিত উৎকর্ষ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান লাভ করেছে এবং ওই বছরে কুইজ প্রতিযোগিতায় জেলায় তৃতীয় স্থান লাভ করে। আমি একজন শিক্ষক হিসাবে অত্যন্ত গর্ববোধ করি ওর জন্য এবং সাফল্য কামনা করি।স্কুলের সার্বিক সহযোগিতার জন্য এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমন্বিতা। জনতার কথাকে সমন্বিতা পাল বলেন, আমি পড়াশোনার ফাঁকে সুযোগ পেলেই পেনসিল কাগজ নিয়ে আঁকতে বসে পড়ি। নানা রকমের প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী আঁকতে বেশী পছন্দ করি। তার কথায় আমার বেড়ে ওঠার পিছনে বর্ধমান মডেল স্কুলের অবদান অনস্বীকার্য, কিন্তু মায়ের অবদান কখনও ভুলতে পারব না। মা সারাক্ষণ আমাকে নিয়েই পড়ে থাকেন। এছাড়া আমাদের স্কুলে বছরভর নানা রকম কালচারাল অ্যাক্টিভিটি চলতেই থাকে। তাতে পার্টিসিপেসন করেও অনেক কিছু শিখেছি। শিক্ষকরাও প্রচণ্ড যত্নশীল। কোভিড পরিস্থিতির জন্য আমরা দীর্ঘদিন স্কুল যেতে পারিনি। কিন্তু শিক্ষকরা অনলাইনের মাধ্যমে এতটাই সতর্ক ও আন্তরিক যে আমি তো মাঝে মাঝে ভুলে যাই যে আমি স্কুলে নেই। কোভিডের সময় স্কুল থেকে বাড়িতে এসে আমাদের বই দিয়ে গেছে। এতটা সাহায্য না পেলে হয়ত আমাদের পক্ষে পড়াশোনা করাটা খুব চাপ হয়ে যেত। তিনি আরও জানান তাঁর লক্ষ্য জেইই অ্যাডভান্স। সেই সংক্রান্ত পড়াশোনাই চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও ওই স্কুলের সোহম ঘোষ (৭৬) ও আরমান ভট্টাচার্য্য (২০০) ভালো ফলাফল করেন।জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

জুন ২২, ২০২১
রাজ্য

বাতিল পরীক্ষা: আত্মঘাতী দিনহাটার মেধাবী ছাত্রী বর্ণালী

গতকাল বহু টানাপোড়েনের পর শুধুমাত্র পয়ত্রিশ হাজার মেলের ওপর নির্ভর করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এ বছর মাধ্যমিক, উচ্চ-মাধ্যমিক বাতিলের কথা ঘোষণা করেছেন l সেই খবর ছড়িয়ে পরতেই দিনহাটায় আমবাড়ি এলাকার বাসিন্দা তথা গোপাল নগর এমএসএস হাই স্কুলের কৃতি ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বছর ষোলোর বর্ণালী বর্মন আত্মহত্যা করে নিজের বাড়িতে l তাঁরা কাকা জানান, কাল পরীক্ষা বাতিলের খবর পেয়ে যখন তিনি বর্ণালীদের বাড়িতে যান, ওই ছাত্রীর মায়ের কাছে জানতে পারেন যে, ছাত্রীটি তার পড়ার ঘরে দরজা বন্ধ করে আছে, অনেক ডাকাডাকির পর সাড়া দিচ্ছে না l এরপর তারা দরজা ভাঙলে ছাত্রীটিকে তার মায়ের কাপড় পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় l তাঁদের দাবি, কোনও সুইসাইড নোট সেভাবে না লিখলেও একটি সাদা কাগজে লাল কালিতে বর্ণালী মা-বাবাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি সম্পূর্ণ না করার আক্ষেপ প্রকাশ করেছে l ওই ছাত্রীজ কাকা আরও জানান, বর্ণালী মা-বাবাকে দিনহাটায় সেরা এবং রাজ্যে স্থান করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো l কিন্তু পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় তার সেই লক্ষ্য পূরণ করতে না পারার অবসাদে এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তাঁদের আনুমান lউল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়া উচিত কি না, তা জানতে চেয়ে সাধারণের দ্বারস্থ হন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিনের মধ্যে বেশ কিছু মেল আসে নবান্নে, আর তার ভিত্তিতেই সিবিএসই-আইসিএসই পরীক্ষা বাতিলের পথ অনুসরণ করে এরাজ্যেও বাতিল করা হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। কেউ কেউ এই সিদ্ধান্তে খুশি হলেও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ এই সিদ্ধান্ত কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। যার ফলে আত্মহননের মতো চরম পদক্ষেপের পথ বেছে নিয়েছে বর্ণালীর মতো ছাত্রী।

জুন ০৮, ২০২১
কলকাতা

পড়ুয়া ও শিক্ষকদের বিনামূল্যে করোনা টিকা দেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

অতিমারির জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অনলাইনেই চলছে লেখাপড়া। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নতুন করে অনিশ্চয়তার ফাঁদে পড়েছে। কবে পড়ুয়াদের জন্য খুলবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরজা, তা বলা ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে। তবে এই মারণ ভাইরাসের দাপট রুখতে পড়ুয়াদের জন্য প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবার কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, পড়ুয়া, গবেষক-সহ ৪৫ বছরের নিচে সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং আধিকারিকদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ দ্রুত শুরু হবে।সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কলকাতাই প্রথম পড়ুয়াদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনল। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় এখবর নিশ্চিত করে জানান, যত দ্রুত সম্ভব, পড়ুয়া, গবেষক থেকে ৪৫ বছরের কমবয়সি শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত সকলকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। উল্লেখ্য, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৫-এর ঊর্ধ্বে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের টিকাকরণের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। সেই লক্ষ্যপূরণ সফলভাবেই পূরণ করা গিয়েছে। এবার পড়ুয়াদের করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষাই উদ্দেশ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন উদ্যোগে স্বাভাবিকভাবেই খুশি পড়ুয়ারা।

জুন ০৫, ২০২১
কলকাতা

বাগদেবীর আরাধনায় মেতেছে বাংলা

করোনা অতিমারির আতঙ্কে কেটেছে গোটা একটি বছর। সব বিষাদ ভুলিয়ে সরস্বতী পুজোয় মেতে উঠেছে বাংলা।আজ সরস্বতী পূজা। বসন্ত পঞ্চমীর পূণ্যতিথিতে বাগদেবীর আরাধনায় মেতে উঠেছে গোটা বাংলা। খুলে গিয়েছে স্কুলও। তাই কোভিড বিধি মেনেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের স্কুলেও পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। পড়ুয়ারা নিজেরা গিয়ে সরস্বতীর মূর্তি নিয়ে এসেছেন বাড়িতে, স্কুলে, কলেজে। আপাতত করোনার ভয়কে জয় করে বাঙালির ভ্যালেন্টাইস্ ডে-তে মেতে উঠেছে বাংলা। সোমবার বাগদেবীর আরাধনায় ছাত্র যৌবনের উদ্দেশ্যে নতুন গান লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই গানের মাধ্যমেই সবাইকে বসন্ত পঞ্চমী ও সরস্বতী পুজোর শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী ।সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর ইউটিউব চ্যানেল থেকে গানটি প্রকাশিত হয়েছে। গানটি গেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সঙ্গীত অ্যাকাডেমির শিল্পীরা। সুর দিয়েছেন দেবজ্যোতি বোস। আর গানটির রচনা এবং ভাবনা খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গানটি প্রকাশ করার পর ফেসবুক পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, বসন্ত পঞ্চমীর পুণ্যলগ্নে আপনাদের সকলের জন্য রইল আমার রচনা ও ভাবনায়, দেবজ্যোতি বোসের সুরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সঙ্গীত অ্যাকাডেমির শিল্পীদের গাওয়া একটি গান। সকলকে জানাই বসন্ত পঞ্চমীর ও সরস্বতী পুজোর আন্তরিক শুভেচ্ছা। বাংলা মেতে উঠুক সম্প্রীতির সুরে।এদিকে পূর্ব বর্ধমানে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সরকারি অনুমতি মেলেনি। তাই এদিন বর্ধমান মডেল স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপস্থিতিতে সরস্বতী পুজো অনুষ্ঠিত হয়।

ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২১
কলকাতা

নবান্ন অভিযানে আহত বাম ছাত্রনেতার মৃত্যু, পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন

নবান্ন অভিযানে আহত বাম যুবনেতার মৃত্যু। সোমবার সকালে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় ডিওয়াইএফআই নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্দার। ১১ ফেব্রুয়ারি বাম সংগঠনগুলির নবান্ন অভিযান চলাকালীন পুলিশের লাঠির ঘায়ে গুরুতর আহত হয়ছিলেন ওই যুবনেতা। এদিকে বাম কর্মীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই গর্জে উঠেছে বাম ছাত্র-যুবরা। নবান্ন অভিযানে ডিওয়াইএফআইয়ের কর্মীকে পুলিশ ইচ্ছা করে খুন করেছে বলেই দাবি করেছেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কাজ চাইতে গিয়ে আমাদের কমরেডকে খুন করেছে তৃণমূল সরকারের পুলিশ। এই ঘটনার ধিক্কার জানাই। এই হত্যার বিচার চাই। পরবর্তী ক্ষেত্রে আমরা কী ধরনের কর্মসূচি নেব তা নিয়ে শীঘ্রই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।হাসপাতাল সূত্রে খবর, পুলিশের প্রচণ্ড মারে মইদুলের শরীরের একাধিক মাংসপেশিতে গুরুতর আঘাত লাগে। পেটে ও পিঠে ভয়ংকর আঘাত পান তিনি। ফলে তাঁর কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। যার ফলে চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে মৃত্যু হয় বাঁকুড়ার কোতলপুরের বাসিন্দা মইদুলের। এই ঘটনা তীব্র প্রতিক্রিয়া বাম নেতৃত্বের। মানবাধিকার কমিশনে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা। এই বিষয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, মৃত্যু নয়, এটা খুন। সরকার ইতরতার সীমা ছাড়িয়েছে। এই বাচ্চা ছেলেটকে কীভাবে মেরেছে। সরকার ভয় পেয়েছে। তাঁর বুকে, পিঠে প্রচণ্ড আঘাত করেছে পুলিশ। চিকিৎসক চাপের মুখে সবটা বলতে পারছেন না। সিপিএম নেতা ফুয়াদ হালিমের অভিযোগ, পুলিশ মাথা ও বুক লক্ষ্য করেই লাঠি চালিয়েছে। সিপিআইএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি জানিয়েছেন, বাঁকুড়া জেলা পার্টি অফিসে এই বিষয়ে বেলা ১১ টার সময় একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য।এই ঘটনা প্রসঙ্গে প্রাক্তন বাম যুব নেতা জামির মোল্লা বলেন, এই মৃত্যুতে আজ সমস্ত থানায় বিক্ষোভ-অবস্থান থাকবে। এটা এটা মর্মান্তিক বিষয়। কাজ নেই, চাকরি নেই সেই বিচার চাইতে গিয়ে মেরে ফেলা হল। এটা তো প্রশাসন-সরকার খুন করল। বেকার যুবদের কাজ চাওয়ার অভিযোগকে বঞ্চিত হচ্ছে। নিজেদের দাবি রাখলে যদি পুলিশের হাতে এবার মৃত্যুবরণ করতে হয়, তাহলে এ সরকারের এক মুহুর্ত আর থাকার কোনও অধিকার নেই।উল্লেখ্য, এর আগে নবান্ন অভিযানে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া বাহারপোতা গ্রামের এক বামকর্মী। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়েও যুবকের সন্ধান পায়নি পরিবার। এবার এক যুবনেতার মৃত্যুতে রীতিমতো প্রশ্নের মুখে পুলিশ। প্রশাসনের বিরুদ্ধে অত্যধিক বলপ্রয়োগের অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে সমাজের একটা বড় অংশ। প্রসঙ্গত, চাকরি, শিক্ষা-সহ একাধিক দাবিতে বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্র সংগঠন। সেখানেই পুলিশ ও বামকর্মীদের মধ্যে তীব্রই সংঘাত শুরু হয়। জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ও লাঠিচার্জ করে প্রতিবাদীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে পুলিশ। ওই ধুন্ধুমার পরিস্থিতিতে আহত হন বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী ও পুলিশকর্মী।

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
কলকাতা

ভোটের ভেট, ট্যাবের পর ফুটবল

একেই বলে ভোটের বালাই। বিধানসভা ভোটের আগে স্কুলে স্কুলে ফুটবল বিতরণের কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা বিনামূল্যে সাইকেল, বই, খাতা, পোশাক ও জুতো পায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মতো উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র-ছাত্রীদের ট্যাব কেনার জন্য সবাইকে ১০ হাজার করে টাকা পাঠানো হচ্ছে। এবার, ছাত্রছাত্রীদের খেলাধুলায় আরও বেশি করে উৎসাহ দিতে স্কুলে ফুটবল পাঠানোর কথা ভাবছে সরকার।করোনা অতিমারি সংক্রমণ রুখতে মার্চ মাস থেকে টানা স্কুল বন্ধ। তবে প্রত্যেকের মিড-ডে মিলের খাদ্যসামগ্রী বিতরণে ছেদ পড়েনি। আগামী মাসে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চালু করার পরিকল্পনা চলছে। রাজ্যের জেলবন্দি আসামিদের বিভিন্ন সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দেওয়া হয়। কেউ ছবি আঁকেন, কেউ ছেনি-হাতুড়ি হাতে স্থাপত্যকলায় মনোনিবেশ করেন। গান, আবৃত্তি, অভিনয়-সহ নানা সাংস্কৃতিক কাজেও আসামিদের উৎসাহ দেয় কারা দফতর। কিছুদিন আগে সংশোধনাগারের সদস্যরা এক লক্ষ ফুটবল তৈরি করেছেন। কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস জানিয়েছেন, সংশোধনাগারের সদস্যদের তৈরি ৫০ হাজার ফুটবল ইতিমধ্যে বিভিন্ন ম্যাচে ব্যবহৃত হয়েছে। বাকি ফুটবলগুলো পড়ে আছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেগুলো স্কুলে বিতরণের কথা ভাবা হচ্ছে। এই কারণে আসামিদের হাতে তৈরি ফুটবল স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ করাই যুক্তিযুক্ত বলে মনে করছে সরকার।

জানুয়ারি ৩১, ২০২১
বিদেশ

এরাজ্যের ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার রাজশাহীতে

বাংলাদেশের মেডিক্যাল কলেজে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার ভারতীয় ছাত্রের মৃতদেহ। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে।জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে রাজশাহীর বেসরকারি বারিন্দ মেডিক্যাল কলেজে উদ্ধার হয়েছে এক শিক্ষার্থীর দেহ। মৃত ইকবাল জাফর শরিফ (২৪) পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। এমবিবিএস পঞ্চম বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে কলেজের অধ্যক্ষ বিকে দাম জানান, করোনা মহামারির জন্য বেশ কয়েকদিন নিজের দেশেই ছিলেন ইকবাল। সম্প্রতি বাংলাদেশে ফিরেছিলেন তিনি। গত বুধবার তিনি রাজশাহীতে এসে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত হোস্টেলে ওঠেন। হোস্টেলে আগে প্রতি কক্ষে দুজন বিদেশি শিক্ষার্থী থাকলেও এখন করোনার কারণে একজন করে রাখা হচ্ছে। ঘটনার দিন নিজের ঘরেই ছিলেন ইকবাল। সন্ধ্যাবেলা সিলিং ফ্যানে তাঁর দেহ ঝুলতে দেখেন অন্য শিক্ষার্থীরা। সঙ্গে সঙ্গেই কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। তারপর দেহ নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। প্রাথমিক ধারনা, আত্মহত্যাই করেছেন ওই পড়ুয়া। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের দাবি, বহুদিন ধরেই মানসিক রোগে ভুগছিলেন ওই ছাত্র। পরিস্থিতি এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছিল যে ইকবালকে দুবার চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হয়েছিলেন।

জানুয়ারি ২৩, ২০২১
কলকাতা

ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ধর্মতলা

টেট উত্তীর্ণদের বলপূর্বক অবস্থান থেকে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে বিধানভবন থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করল ছাত্র পরিষদ। সেই সময়ই ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। গার্ড রেল দিয়ে মিছিল আটকে দেওয়া হয়। ধর্মতলা চত্বরে পুলিশ মিছিল আটকালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আরও পড়ুন ঃ নিয়োগপত্র সত্ত্বেও কাজে যোগ দিতে বাধা, আলিপুর চিড়িয়াখানায় বিক্ষোভ প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার আপার প্রাইমারির ১৪৩৩৯ পদে নিয়োগের দাবিতে পথে নামে টেট উর্ত্তীর্ণরা। বিকাশভবন অভিযানে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। ফলে স্কুল শিক্ষা কমিশনের দপ্তরের সামনে অবস্থানে বসেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধিদল বিকাশ ভবনে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখাও করেন। কিন্তু বৈঠকে জট কাটেনি। এই পরিস্থিতিতে বুধবার রাতে আচমকা হানা দেয় পুলিশ। তারা অবস্থানরত চাকরিপ্রার্থীদের তুলে দেন। তাদের শিয়ালদহ স্টেশনে পৌছে দেওয়া হয়। সেই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন ছাত্র পরিষদ এই কর্মসূচি গ্রহণ করে।

ডিসেম্বর ০৪, ২০২০
রাজ্য

সাড়ে ৯ লক্ষ পড়ুয়াকে ট্যাব দেবে সরকারঃ মমতা

করোনা পরিস্থিতির জেরে অনলাইনে চলছে ক্লাস। কিন্তু যাদের স্মার্টফোন নেই, তারা অনলাইন ক্লাস করতে পারছে না। এবার সেই সমস্যার সমাধানে কল্পতরু হয়ে এগিয়ে এল রাজ্য সরকার। অনলাইন ক্লাসের সুবিধার্থে রাজ্যের সাড়ে ৯ লক্ষ দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াকে বিনামূল্যে ট্যাব দেবে রাজ্য সরকার। সরকারি স্কুল ও মাদ্রাসা পড়ুয়াদের এই ট্যাব দেবে সরকার। বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘর থেকে একথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্নে সরকারি কর্মী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক ছিল। সেখানেই একথা জানান তিনি। আরও পড়ুন ঃ জানুয়ারিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের তিন শতাংশ ডিএ, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যের ৯ লক্ষ পড়ুয়াদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে ট্যাব। তাতে কারও বাড়িতে স্মার্টফোন না থাকলেও সে অনায়াসেই করতে পারবে অনলাইন ক্লাস। এছাড়াও রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্কুলে ট্যাব কিংবা কম্পিউটার দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। যার মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস করা সম্ভব হবে। অতিমারী পরিস্থিতিতে কমল বেসরকারি ল্যাবে আরটি-পিসিআর টেস্টের খরচ। এবার থেকে মাত্র ৯৫০ টাকাতেই করা যাবে পরীক্ষা। তার ফলে সাধারণ মধ্যবিত্ত যে যথেষ্ট উপকৃত হবেন, তাতে কোনও দ্বিমত নেই।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
স্বাস্থ্য

কালনা হাসপাতালে রক্তের আকাল, সঙ্কটাপন্ন শিশুকে রক্তদান টিএমসিপি-র শহর সম্পাদকের

পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমা ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রক্তের আকাল। সবচেয়ে সমস্যায় পড়ছেন থ্যালাসেমিয়া রোগীরা। কালনা ২ নং ব্লকের হাঁসপুকুরের বাসিন্দা বছর ছয়েকের বর্ষা মালিক থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত। কালনা হাসপাতালে বি পজিটিভ গ্রুপের রক্ত না থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়ে বর্ষার পরিবার। শুরু হয় সহৃদয় কোনও রক্তদাতার খোঁজ। খবর যায় কালনা কলেজে। কালনা কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি ঋতব্রত সুর জানিয়েছেন, খবর পেয়েই আমি যোগাযোগ করি কালনার বাসিন্দা তথা কালনা শহর টিএমসিপি সম্পাদক সেলিম শেখের সঙ্গে। সেলিম এর আগেও বহু মুমূর্ষু রোগীকে রক্তদান করেছেন। সেলিম আর বর্ষার রক্তের গ্রুপ মেলায় আপাতত আমাদের ছোট্ট বোন সঙ্কট কাটাতে পেরেছে, এটাই তৃপ্তির। বিপদে ত্রাতা হয়ে এসে মেয়ের জীবন রক্ষা করায় সেলিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে বর্ষার পরিবারও।

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজনীতি

কলকাতায় তৃণমূলের শহিদ দিবস, উত্তরবঙ্গে যুব মোর্চার উত্তরকন্যা অভিযান

একদিকে যখন ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেস শহিদ দিবস পালন করছে তখন উত্তরবঙ্গে উত্তরকন্যা অভিযান করছে বিজেপি। এদিন শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি ড. ইন্দ্রনীল খাঁ সহ উত্তরবঙ্গের বিজেপির সাংসদ এবং বিধায়কগণ। এদিন তিনবাত্তি মোড় থেকে সুবিশাল মিছিল শুরু হয়। মিছিল শেষে চুনাভাটি ফুটবল গ্রাউন্ড থেকে শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে বাংলাদেশ থেকে যে হিন্দুরা এসেছেন, তাঁরা মোদীজির চোখে শরণার্থী। অনুপ্রবেশকারী নন। এখানে ভারতীয় মুসলিমরা আছেন। আপনাদের কোনও চিন্তা নেই। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। কিন্তু বাংলাদেশি মুসলিম এবং রোহিঙ্গাদের একজনকেও ভোটার তালিকায় থাকতে দেব না। আগামী বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে পরাস্ত করার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, চ্যালেঞ্জ করছি ২০২৬-এ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব। আমি চ্যালেঞ্জ করছি আপনাকে।বিরোধী দলনেতা বলেন, উত্তরবঙ্গে প্রকৃতি যা যা দিয়েছে, সব লুট করেছে। বালি, পাথর, গাছ কিছুই নেই। পাহাড়ের উপর বঞ্চনা হয়েছে। চা-বাগানের শ্রমিকেরা ঠিকঠাক মজুরি পান না। উত্তরবঙ্গের হাসপাতালগুলিতে নিউরোলজিস্ট নেই। কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে এইমস তৈরি করতে চাইলেও রাজ্য সরকার জায়গা দেয় না বলে অভিযোগ তাঁর। বিরোধী দলনেতা এদিন আগামীর কর্মসূচি ঘোষণা করে জানান, আগামী ৪ অগস্ট দলের ৬৫ জন বিধায়ককে নিয়ে কোচবিহারে যাবেন। তখন দলের সব বিধায়ক মিলে উত্তরকন্যাতেও যাবেন বলে জানান তিনি।

জুলাই ২১, ২০২৫
রাজনীতি

“ভোটারদের গায়ে হাত পড়লে গণ আন্দোলন", চক্রান্ত বাংলাতেও! চরম হুঁশিয়ারি মমতার

বেশ কিছু দিন ধরেই কেন্দ্রীয় সরকার ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলো। সোমবার একুশে জুলাইয়ের শহিদ দিবসে হুঙ্কার ছাড়লেন তৃণমূল সুপ্রমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বিহারে ৪০ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এবার পশ্চিমবঙ্গেও সেটাই করতে চাও? যদি এমনটা করার চেষ্টা করো, তাহলে আমরা ঘেরাও আন্দোলন শুরু করব। আমরা তীব্র প্রতিবাদে নামব। আমরা তোমাদের কারোর নাম বাদ দিতে দেব না, একজনকেও ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাতে দেব না_এরই পাশাপাশি বিজেপি সরকারের বাঙালিদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন তিনি। মমতা বলেন, এই মুহূর্ত থেকেই শুরু হচ্ছে ভাষা আন্দোলন। ২৭ জুলাই থেকে, প্রতি শনিবার ও রবিবার মিছিল ও সভা করতে হবে-বাংলা ভাষার প্রতি যে হিংসা ও অবমাননা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে। বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এটা করতে হবে। কোনও পরিযায়ী শ্রমিক বা তাঁদের পরিবার যদি বলে তারা সমস্যায় আছে, তাহলে পাশে দাঁড়াতে হবে, আমাদেরও অবহিত করুন।

জুলাই ২১, ২০২৫
রাজ্য

নিশানায় মহাদেব! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ জমা পড়ল সিএবিতে

প্রবীর চক্রবর্তী, দেবব্রত দাস, অম্বরীশ মিত্রর পর এবার সিএবিতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ জমা পড়ল মহাদেব চক্রবর্তীর নামে। সিএবির ওম্বুডসম্যান, সিএবি সচিব ও কলকাতা পুলিশ ক্লাবের সচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন লেকটাউনের বাসিন্দা তথা ক্রিকেট অনুরাগী শ্যামল দাস। গত ১৮ জুলাই। অভিযোগ, সিএবির নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মহাদেব চক্রবর্তী বাংলার ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য হয়ে রয়েছেন। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা দফতরের এসিপি (ওএসডি) পদে আসীন থাকা অবস্থায় কীভাবে মহাদেব চক্রবর্তী সিএবির অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য হয়ে গেলেন তা নিয়েই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অভিযোগকারী।এমনকী তিনি মনোনয়নের সময় বা হলফনামায় যথোপযুক্ত নথি জমা দিয়েছিলেন কিনা, তাতে কোনও গরমিল আছে কিনা তা নিয়ে উপযুক্ত তদন্তের আর্জিও জানানো হয়েছে। সিএবির নিয়মের চতুর্থ চ্যাপ্টারে ৩৪(৩)(ডি) ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ মূলত উঠেছে মহাদেবের বিরুদ্ধে। এই নিয়মে উল্লেখ রয়েছে, যদি কোনও সরকারি কর্মচারী স্পোর্টস কোটায় নিযুক্ত হয়ে থাকেন একমাত্র সে ক্ষেত্রেই তিনি অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য বা সিএবির পদাধিকারী হতে পারবেন। আবেদনকারীর সংশয় ঠিক এই জায়গাতেই। ফলে ক্লিনচিট পেতে মহাদেব এখন যথোপযুক্ত নথি পেশ করেন কিনা বা তিনি কী পদক্ষেপ করেন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।আবেদনকারীর আর্জি, মহাদেবকে সব ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে সরিয়ে রেখে শৃঙ্খলা সংক্রান্ত তদন্ত অবিলম্বে শুরু হোক। প্রয়োজনে ফৌজদারি পদক্ষেপ শুরু করা যেতে পারে বলেও আবেদন জানানো হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে, মহাদেবের নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করে তাঁর সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বছর বাহাত্তরের ওই অভিযোগকারী। শুধু তাই নয়, এমন গুরুতর অভিযোগে দোষী প্রতিপন্ন হলে মহাদেব যাতে ভবিষ্যতে সিএবিতে কোনওভাবে যুক্ত থাকতে না পারেন সেই ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার আর্জিও জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সিএবির কেউ কিংবা অভিযুক্ত মহাদেব চক্রবর্তী মুখ খোলেননি।

জুলাই ২১, ২০২৫
রাজ্য

'অরুণিমা'র ছটায় স্কুল ড্রপআউট, বাল্যবিবাহ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মাতৃত্বের সংকট থেকে অন্ধকার দূরীকরণ লড়াই

পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ এবং বেশ কিছু শহরতলি অঞ্চলে এক নতুন সামাজিক সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে - স্কুলছুট মেয়েদের সংখ্যা বাড়ছে, যা পরোক্ষভাবে বাল্যবিবাহ এবং অল্পবয়সে সন্তান ধারণের হারকেও উদ্বুদ্ধ করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই তিনটি বিষয় একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত এবং রাজ্যের নারী-স্বাস্থ্যের পাশাপাশি সামগ্রিক উন্নয়নকেও প্রতিকূলভাবে প্রভাবিত করছে।রাজ্যের কিছু জেলার ৮ম শ্রেণি বা ১০ম শ্রেণির পর মেয়েদের স্কুলছুট হয়ে পড়ার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। আর্থিক অনটন, পরিবারের পুরাতন সামাজিক ধারণা, এবং বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাব, এই সবই এর পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে (NFHS-5) অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ অঞ্চলে এখনও প্রতি তিনটি মেয়ের মধ্যে একটি মেয়ে ১৮ বছরের আগেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। অনেক ক্ষেত্রে পরিবার স্কুলছুট মেয়েদের দায় মনে করে, এবং যত দ্রুত সম্ভব তাদের বিবাহ দিয়ে দিতে চায়।এই বাল্যবিবাহের পরিণতি হিসেবে ১৬-১৮ বছরের বহু কিশোরী মা হয়ে উঠছে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সম্পূর্ণ প্রস্তুত না থাকা অবস্থায় মাতৃত্ব গ্রহণের ফলে বাড়ছে মাতৃমৃত্যুর হার, অপুষ্ট শিশু জন্ম এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য জটিলতা। সমাজতাত্ত্বিক ও শিশু অধিকারকর্মীরা বলছেন, স্কুলশিক্ষার অকাল সমাপ্তি মানে শুধু পড়াশোনার শেষ নয়এটা একসময়ে সেই কিশোরীর আত্মবিশ্বাস, স্বাস্থ্য, স্বপ্ন, এমনকি জীবনের নিরাপত্তার পরিণতিও নির্ধারণ করে দেয়।বিশেষজ্ঞরা বলছেন কন্যাশ্রী ও সবলা মতো সামাজিক প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার চালু করেছে, অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রকল্পগুলি তথ্যের অভাবে সর্বস্তরে পৌঁছায় না। বিদ্যালয়স্তরে মনোবিদ ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালানো অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। ঠিক সেই সমস্যার গভীরে গিয়ে তার গুরুত্ব বুঝে জেলার সদর শহর থেকে ২৫ কিমি দুরে এক প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের এক শিক্ষিকার লড়াইকে সম্বর্ধিত করল স্থানীয় প্রশাসন।১৭ জুলাই, বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি-২ ব্লকের পাহাড়হাটী বাবুরাম গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অরুণিমা মুখোপাধ্যায়কে মেমারি-২ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাল্যবিবাহ-রোধ, স্কুলছুট মেয়েদের আবার পড়াশোনার আবহে ফিরিয়ে আনা ও স্কুলের মেয়েদের বিভিন্ন ভাবে প্রশিক্ষিত করা এবং সার্বিক শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য সম্বর্ধিত করা হয়। অরুণিমা নিজে একজন প্রথিতযশা নৃত্য শিল্পী। কত্থক নৃত্যে রাজ্যস্তরে বহু গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে সুনিপুণ নৃত্যকলা পরিবেশন করেছেন। বর্তমানে তাঁর স্কুল বাবুরাম গার্লস হাই স্কুলে-ই তাঁর ধ্যানজ্ঞান শিক্ষিকা অরুণিমা মুখোপাধ্যায় জনতার কথাকে বলেন, আমি পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি দুই নম্বর ব্লকের অন্তর্গত পাহাড়হাটি বাবুরাম গার্লস হাইস্কুলের একজন শিক্ষিকা। গত আট বছর ধরেই আমি স্কুল ছুট এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করে চলেছি সক্রিয়ভাবে। তিনি আরও বলেন, পাহাড়হাটি বাবুরাম গার্লস হাইস্কুলে একটি কন্যাশ্রী আনন্দ ক্লাব গঠন করেছি। তার সদস্যরা আমাদেরই ছাত্রী। তাদেরকে নিয়ে নিরলসভাবে এই কাজটি করে চলেছি। অরুণিমা বলেন, প্রান্তিক পরিবার এবং গরিব পরিবারের মেয়েরা যেহেতু বাল্যবিবাহে বেশি জড়িয়ে পড়ছে, তাই তাদেরকে স্কুল শ্রেণীকক্ষে ফিরিয়ে আনা আমার মূল লক্ষ্য এবং পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে আমি সচেতন করার চেষ্টা করে চলেছি। চাইল্ড ম্যারেজ এবং চাইল্ড প্রেগনেন্সির ক্ষেত্রে তাদের মেয়ের জীবনটা কতখানি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে পরবর্তীকালে সেটা বোঝানোর চেষ্টা করছি। অনেকজনকেই ফিরিয়ে আনতে পেরেছি ক্লাসরুমে। তিনি জানান, মেমারি-২ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে সম্বর্ধনা পেয়েছি এতে আমি খুবই আনন্দিত এবং আপ্লুত। এই পুরস্কার আমাদের লড়াইকে আরও জোড়ালো করতে সাহায্য করবে। অরুণিমা জানান, এই কাজে আমি সবসময়ই মেমারি-২ নম্বর ব্লক প্রশাসন, এসআই অফিস, বিজুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতকে পাশে পাচ্ছি। সর্বোপরি আমার পাহাড়হাটি বাবুরাম গার্লস হাইস্কুলের সহকর্মী ও বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সকল সদস্যদের পাশে পাচ্ছি। অরুণিমা বলেন, আমাদের এই লড়াই যাঁদের সাহায্য ছাড়া সম্ভব হত না সেই ছাত্রীদের সাহায্য সবচেয়ে বেশী পাচ্ছি। তারা নিজেদের মধ্যেই সচতেনতা প্রসার করছে সেটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় পাওনা এবং খুবই আনন্দের বিষয়। তিনি জানান, একজন শিক্ষিকা ও বিদ্যালয়ের প্রধান হিসাবে এটা আমার প্রাথমিক দায়িত্ব। তিনি অঙ্গীকার করেন, সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন ও শিক্ষা ও সচতেনতা বাড়ানোর এই প্রয়াস তাঁর অব্যহত থাকবে।

জুলাই ১৯, ২০২৫
দেশ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে ৫০০০ কোটির বেশি মূল্যের প্রকল্পের সূচনা করবেন

আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল খাতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন।১৯৫০ কোটি টাকার বেশি অর্থ বরাদ্দে তেল ও গ্যাস পরিকাঠামোয় প্রধানমন্ত্রী বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (BPCL)-এর সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন (CGD) প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঘরোয়া, বাণিজ্যিক ও শিল্পগ্রাহকদের PNG সংযোগ প্রদান করা হবে, রিটেল আউটলেটে CNG উপলব্ধ থাকবে এবং এই অঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর-হলদিয়া প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের দুর্গাপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত ১৩২ কিমি দীর্ঘ অংশটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যা প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা (PMUG) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত জগদীশপুর-হলদিয়া ও বোকারো-ধামরা পাইপলাইন প্রকল্পের অংশ। আনুমানিক ১,১৯০ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও নদিয়া জেলার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের জন্য এই পাইপলাইন নির্মাণকালে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং এখন লক্ষাধিক পরিবারকে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহে সহায়তা করবে।পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর স্টিল থার্মাল পাওয়ার স্টেশন এবং রঘুনাথপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে ফ্লু গ্যাস ডিজালফারাইজেশন (FGD) সিস্টেম সংযোজনের প্রকল্পটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যার আনুমানিক ব্যয় ₹ ১,৪৫৭ কোটি টাকা। এটি এলাকার পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।রেল পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী পুরুলিয়া জেলার পুরুলিয়া-কোটশিলা রেললাইন দ্বিগুণ করার ৩৬ কিমি দীর্ঘ প্রকল্পটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যার ব্যয় প্রায় ৩৯০ কোটি। এই প্রকল্পটি জামশেদপুর, বোকারো ও ধানবাদের শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে রাঁচি ও কলকাতার সংযোগ উন্নত করবে, পণ্য পরিবহনের গতি বাড়াবে এবং শিল্প ও ব্যবসার ক্ষেত্রে লজিস্টিক্স সুবিধা উন্নত করবে।সেতু ভারতম প্রকল্পের অধীনে পশ্চিম বর্ধমানের তোপসি ও পাণ্ডবেশ্বরে নির্মিত দুটি রোড ওভার ব্রিজ (ROBs)-এর উদ্বোধনও প্রধানমন্ত্রী করবেন, যার মোট ব্যয় প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা। এই সেতুগুলি রেল লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা রোধ এবং এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল খাতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন

জুলাই ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থায় চেয়ারপারর্সন ও দুজন ভাইস চেয়ারপারর্সনের নাম ঘোষণা

বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নতুন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এবার ২জন ভাই চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। চেয়ারম্যান হয়েছেন উজ্জ্বল প্রামানিক। জামালপুরের বিধায়ক ছিলেন। ভাইস চেয়রাম্যান দুজন হলেন কাকলি তা গুপ্তা ও আইনুল হক। এর আগে বিডিএর চেয়ারপার্সন ছিলেন কাকলি তা গুপ্তা ও ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন আইনুল হক। চেয়ারপার্সন থেকে ভাইস চেয়ারপার্সন হয়ে গেলেন কাকলি তা গুপ্তা। আগের পদে রইলেন আইনুল হক। বর্ধমান পুরসভার দীর্ঘ দিনের চেয়ারম্যান ছিলেন আইনুল হক।

জুলাই ১৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal