• ১৭ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ০৪ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Restriction

রাজ্য

মোবাইল ঘাঁটা মানা, অভিমানে কীটনাশক খেয়ে অত্মঘাতী মেয়ে

পড়াশোনা ছেড়ে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত, মা বাবার বকুনিতে অভিমানে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হল ছাত্রী। মৃতার নাম সুমি খাতুন (১৮)।বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনার শাসপুরে। ইংরাজী অনার্স নিয়ে মুড়াগাছা কলেজে ভর্তি হয় সুমি খাতুন।কিন্তু পড়াশোনা ঠিক মতো করছিলো না। অধিকাংশ সময়ই মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকতো এই নিয়ে মঙ্গলবার বাবা ও মা তাকে বকাঝকা করে।এরপরই সে ঘরে রাখা কীটনাশক খায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে কালনা মহকুমা হাসপাতাল ও পরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাতেই তার মৃত্যু হয়।পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।

নভেম্বর ০৯, ২০২২
রাজ্য

মোবাইলে নিষেধাজ্ঞা কলকাতা পুলিসের, আর ফোন নিয়ে সরকারি ডিউটি করা যাবে না

পুলিসের ফোন ব্যবহার বিধিনিষেধ নিয়ে কড়া নির্দেশিকা লালবাজারের। কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির অনুপ্রবেশ ঘিড়ে তুলকালাম পুলিস মহলে। হাফিজুল মোল্লা নামে এক ব্যক্তির অনুপ্রবেশের পর থেকেই পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। সরকার বিরোধী শিবির বাম, বিজেপি ও কংগ্রেস প্রশ্ন তোলে, যেখানে জেড ক্যাডাগড়ি ভুক্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত, সেখানে রাজ্যের সাধরণ মানুষের কথা যত কম বলা যায় ত্তি ভালো। তাঁর পরবর্তি সময়ে কলকাতা পুলিস বেশ কিছু কড়া সিদ্ধান্ত নেয়। তাঁর মধ্যে প্রথমেই তারা নজর দেয় নবান্নের নিরাপত্তায়। তখন তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো, রাজ্যের প্রধান করণ নবান্নতে এর পর থেকে কর্তব্যরত কোনও পুলিশকর্মী মোবাইল ফোন নিয়ে ডিউটি করতে পারবেন না। তাঁদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন জমা রেখে ডিউটি করতে হবে। সেই নিয়মই বলবত থাকে মুখ্যমন্ত্রীর বসতবাড়ি কালীঘাটেও।নবান্ন বা কালিঘাটের মুখ্যমন্ত্রীর বারিতে থেমে না থেকে কলকাতা পুলিস এবার আরও কড়া ব্যবস্থা নিল। মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশ ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ব্যবহারে আরও কঠোর নিয়ম জারি করল। তাঁরা জানিয়েছে, কর্তব্যরত অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার আর করা যাবে না। লালবাজার সুত্রে জানা যায়, বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিসকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেখা গেলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আরও জানা গেছে কেউ যদি, কিউআরটি/এইচআরএফএস, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ বা সেন্ট্রি ডিউটিতেও থাকে তাহলেও মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না।মঙ্গলবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার পুলিসের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিয়ে বেশ কিছু কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, কিছুদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির অনুপ্রবেশের পর পুলিসি ব্যবস্থার প্রতি সাধরণ মানুষের প্রশ্ন জাগতেই এতটা তৎপরতা। সেই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে সর্বস্তরে এক বড় প্রশ্ন ওঠে।লালবাজার সুত্রে জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা থাকবেন, তাঁদেরও মোবাইল ব্যবহার নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে। এদিনের লালবাজারের এই নির্দেশিকা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সেই ঘটনার প্রতিফলন বলে ভাবছে অভিজ্ঞ মহল।

জুলাই ২০, ২০২২
রাজ্য

করোনা আক্রান্ত অমর্ত্য সেন, রাজ্যে বেড়েই চলেছে সংক্রমিতের সংখ্যা

করোনার থাবা কিছুতেই কমছে না রাজ্যে। বরং ক্রমশ বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এদিকে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন নোবলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তিনি শান্তিনিকেতনের বাড়িতেই আইসোলেশনে আছেন। বাড়িতে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছে। আপাতত নোবেলজয়ীর ইংল্যান্ড যাত্রা বাতিল হয়েছে।গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় সংক্রিমত হয়েছেন ২,৯৬৮ জন। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ২,৯৫০ জন। এদিনও জেলাগুলির মধ্যে আক্রান্তের সংখ্য়ায় শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৩ জন। ঠিক পরের স্থান কলকাতার। মহানগরে আক্রান্ত হয়েছে ৭৪২জন। মোট ৯টি জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০০-এর ওপর। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে চিন্তায় ফেলেছে করোনার এই বাড়বাড়ন্ত। কমার কোনও লক্ষণ আপাতত দেখা যাচ্ছে না।করোনা আক্রান্ত হয়ে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এদিন মোট সুস্থ হয়েছেন ৬৬২ জন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬০৪ জন। হোম আইসোলেশনে আছেন ২০,৫৫৫জন। এদিন পজিটিভিটি রেট ছিল ১৫.৬৯।

জুলাই ০৯, ২০২২
রাজ্য

রাজ্যে করোনা বিধিনিষেধের মেয়াদবৃদ্ধি ৩১ মার্চ পর্যন্ত

রাজ্যে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলেও আপাতত কোনও ঝুঁকি নিচ্ছে না রাজ্য সরকার। তাই আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যে করোনার বিধিনিষেধ বাড়ানো হলো। পাশাপাশি বজায় থাকবে নৈশ কার্ফু। যদিও হোলিকা দহনের জন্য আগামী ১৭ মার্চ নৈশ কার্ফুর ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী স্বাক্ষরিত এক নির্দেশিকায় এ কথা জানানো হয়েছে।কিন্তু ফের মারণ ভাইরাস নতুন করে তাণ্ডব চালাতে পারে, এমন আশঙ্কায় বিধিনিষেধ পুরোপুরি তুলে নেওয়া হচ্ছে না। গত মাসেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ১৫ মার্চ পর্যন্ত করোনার বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে এদিন সন্ধ্যায় বিধিনিষেধ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর কথা জানানো হলো। মুখ্যসচিবের স্বাক্ষরিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিধিনিষেধের পাশাপাশি রাত বারোটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত নৈশ কার্ফু চালু থাকবে। তবে দোলের আগের দিন ন্যাড়া পোড়ানো বা হোলিকা দহনের জন্য নৈশ কার্ফু শিথিল থাকবে। বিধিনিষেধ চলাকালীন মাস্ক পরা যেমন বাধ্যতামূলক, তেমনই শারীরিক দুরত্বও বজায় রাখতে হবে।রাজ্যে গত মাসখানেক ধরেই করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে। দৈনিক সংক্রমণ যেমন একশোর গণ্ডির নিচে নেমে এসেছে, তেমনই দৈনিক মৃত্যুও হ্রাস পেয়েছে। সংক্রমণের হার কমে দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ২৯ শতাংশে। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় ধীরে-ধীরে কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল করার পথে হেঁটেছে রাজ্য সরকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-সহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র যেমন খুলে দেওয়া হয়েছে, তেমনই নৈশ কার্ফুতেও অনেকটা ছাড় দেওয়া হয়েছে।

মার্চ ১৫, ২০২২
রাজ্য

বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ল ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, প্রেক্ষাগৃহে ৭৫ শতাংশ দর্শকসংখ্যা ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

করোনা বিধি-নিষেধের মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়লেও খুশির খবর টলিউডে। প্রেক্ষাগৃহে দর্শকসংখ্যা ৫০ শতাংশ থেকে বেড়ে হল ৭৫ শতাংশ। সোমবার নবান্ন থেকে করোনার নতুন বিধি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ী, আরও ২৫ শতাংশ বাড়ল প্রেক্ষাগৃহের দর্শকসংখ্যা। এর আগে ওমিক্রনের প্রভাবে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল দিল্লিতে। পশ্চিমবঙ্গে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ না হলেও ১০০ শতাংশ দর্শকসংখ্যা কমিয়ে করা হয়েছিল ৫০ শতাংশ। যার ফলে, ফের মাথায় হাত পড়েছিল হল-মালিক, পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতাদের। বেশ কিছু ছবি-মুক্তিও পিছিয়েছিল এই কারণেই। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরিয়ে দিল বিনোদন দুনিয়ায়।অন্যদিকে সরকারি বেসরকারি অফিসে ৭৫ শতাংশ হাজিরা নিয়ে হবে কাজকর্ম।৭৫ শতাংশ নিয়ে সিনেমা হল, থিয়েটার হল, রেস্তোরাঁ এবং বার চালু থাকতে পারবে। স্পোর্টস অ্যাকটিভিজ ৭৫ শতাংশ আসনে লোক নিয়ে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক কর্মসূচিও ৭৫ শতাংশ আসনে লোক নিয়ে করা যাবে। নেতাজি ইনডোরে কোনও অনুষ্ঠান হলে ৭৫ শতাংশ আসন ক্ষমতা নিয়ে অনুষ্ঠান করা যাবে। হলগুলোও ৭৫ শতাংশ লোক নিয়ে চলবে। রাস্তার মিটিং মিছিলে একটু কড়াকড়ি রাখা হয়েছে। সবটা একসঙ্গে ছাড়লে সমস্যা হতে পারে। সিএবিরও আইপিএল আসছে। সুতরাং একটা ভেন্যু থেকে ৭৫ শতাংশ ক্যাপাসিটি রেখে করতে পারবে। সুইমিং পুল খুলে দেওয়া হল। পার্ক খুলে দেওয়া হচ্ছে। বিয়েবাড়িতে ৭৫ শতাংশ উপস্থিতিতে ছাড়। ১৬ ফেব্রুয়ারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল মিট হবে। চেম্বার্সগুলোর সঙ্গে। মুম্বই, দিল্লির বিমান নিয়মিত ওঠানামা করবে। ইউকে কলকাতা উড়ান হবে। এখানে নেমে আরটিপিসিআর করতে হবে।

জানুয়ারি ৩১, ২০২২
রাজ্য

আরও কিছুটা শিথিল হল কোভিড বিধিনিষেধ, তবে বন্ধই থাকছে স্কুল-কলেজ

করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা নিম্নমুখী হওয়ায় রাজ্য সরকার চলতি কোভিড বিধিনিষেধে আরও কিছু ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এক সময় ৫০ শতাংশ গ্রাহক নিয়ে রাত নটা পর্যন্ত জিমগুলিকে খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানকার সমস্ত কর্মীদের দুটি ডোজ করোনা টিকা প্রাপ্ত হতে হবে অথবা আরটিপিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট থাকতে হবে। রাত নটা পর্যন্ত খোলা জায়গায় আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে যাত্রা মঞ্চস্থ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বদ্ধ জায়গায় সর্বাধিক ২০০ জন অথবা আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ যেটি কম হবে সেই সংখ্যক দর্শক নিয়ে যাত্রা মঞ্চস্থ করা যাবে বলে সোমবার নবান্ন থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। কোভিড বিধি-নিষেধ কঠোরভাবে পালন করে, শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনে সিনেমা এবং টিভি সিরিয়ালের আউটডোর শুটিং এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।শনিবারই বাড়তি কিছু ছাড় সহ রাজ্যে কোভিড জনিত বিধি-নিষেধের মেয়াদ ১৫ জানুয়ারি থেকে বাড়িয়ে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়। এই পর্বে বিয়ে ও মেলা আয়োজনের ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়া হয়। বিয়েবাড়ি বা বিয়ে সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে একই সময় সর্বোচ্চ ২০০ জন কিংবা অনুষ্ঠান স্থলের মোট আসন সংখ্যার অর্ধেক, এর মধ্যে যেটা কম, সেই সংখ্যক মানুষ উপস্থিত থাকতে পারবেন।খোলা আকাশের তলে মেলা করা যাবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে কঠোর ভাবে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো জিম এবং যাত্রাশিল্প।তবে এই পর্বেও সমস্ত স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকছে। অর্ধেক হাজিরা নিয়েই চলবে সরকারি অফিস। তবে আগের দেওয়া ছাড় বজায় রেখে ৫০ শতাংশ ক্রেতা নিয়ে সেলুন খোলা থাকবে। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে রাত দশটা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চলাচল করবে। নৈশ বিধিনিষেধের সময়সীমাও একই থাকছে।

জানুয়ারি ১৭, ২০২২
রাজ্য

বিয়ে ও মেলায় কিছু ছাড় দিয়ে রাজ্যে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত জারি বিধিনিষেধ

করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জেরে গত ২ জানুয়ারি মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী রাজ্যে নতুন করে করোনা বিধিনিষেধ জারি করেন।বাড়তি কিছু ছাড়-সহ রাজ্যে কোভিড জনিত বিধি-নিষেধের মেয়াদ আরো ১৫ দিন বাড়ানো হলো।আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি থাকবে বলে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে। তবে এ বার বিয়ে ও মেলা আয়োজনের ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে।রাজ্য সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে,বিয়েবাড়ি বা বিয়ে সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে একই সময় সর্বোচ্চ ২০০ জন কিংবা অনুষ্ঠান স্থলের মোট আসন সংখ্যার অর্ধেক, এর মধ্যে যেটা কম, সেই সংখ্যক মানুষ উপস্থিত থাকতে পারবেন। খোলা আকাশের তলায় মেলা করা যাবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে কঠোরভাবে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।তবে এই পর্বেও সমস্ত স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকছে। জিম, সুইমিং পুল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।অর্ধেক হাজিরা নিয়ে চলবে সরকারি অফিস। তবে আগের দেওয়া ছাড় বজায় রেখে ৫০ শতাংশ ক্রেতা নিয়ে সেলুন খোলা থাকবে। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে রাত দশটা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চলাচল করবে। নৈশ বিধিনিষেধের সময়সীমাও একই থাকছে।

জানুয়ারি ১৫, ২০২২
রাজ্য

Covid Restrictions: ফের বাংলায় একাধিক কোভিড বিধিনিষেধ জারি, জানুন কী কী বন্ধ থাকছে

রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে চলে না যায় তার জন্য একাধিক বিধিনিষেধ জারি করল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই গত কয়েক দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। রাজ্যের সাম্প্রতিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বিশেষজ্ঞরা।এক ঝলকে দেখে নেওয়া কীকী ঘোষাণা করল রাজ্য-১। আপাতত দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি অনুকূল হলে দুয়ারে সরকার ১ ফেব্রুয়ারি চালু হবে।২। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।৩। কর্পোরেশন, পুরসভায়, সরকারি ও বেসরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ কর্মী হাজির থাকবেন।৪। সুইমিংপুল, স্পা, জিম, বিউটিপার্লার সেলুন বন্ধ থাকবে।৫। চিরিয়াখানা সহ সমস্ত ট্যুরিস্ট প্লেস বন্ধ থাকবে।৬। শপিং মল ৫০ ক্যাপাসিটির লোক থাকবে।৭। রেস্তোরাও, সিনেমা হল, থিয়েটরেও ৫০ শতাংশ দর্শক থাকবে।৮। বিবাহ সব সমস্ত সামাজিক অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি লোক থাকবে না।৯। মৃতদেহ সৎকার অনুষ্ঠানে ২০ জনের বেশি থাকতে পারবে না।১০। লোকাল ট্রেন ৫০ শতাংশ সিটিং ক্যাপাসিটি নিয়ে চলতে পারে। তবে সন্ধ্যা ৭ টা অবধি ট্রেন চলবে। তারপর লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকবে।১১। মেট্রো ৫০ শতাংশ যাত্রী ক্যাপাসিটিতে নিয়ে চলবে।১২। সেফ হোম চালু করা হবে।

জানুয়ারি ০২, ২০২২
রাজ্য

Lock Down: বড় খবর! ফের আংশিক লকডাউনের সম্ভাবনা রাজ্যে, আপাতত বাতিল 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচি

ফের আংশিক লকডাউনের পথে হাঁটার সম্ভাবনা রাজ্যের। জারি হতে পারে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আবারও বিধিনিষেধ। বন্ধ হতে পারে রাজ্যের মেলাগুলি। আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে এই বিধিনিষেধ আরোপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই সূত্রের খবর। শনিবারই করোনা বাড়ায় আপাতত সব মামলা ভার্চুয়ালি হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। শুধু কলকাতা হাইকোর্ট নয়, রাজ্যের সমস্ত জেলার আদালতের জন্যই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এমনকী জলপাইগুড়ির যে সার্কিট বেঞ্চ রয়েছে তাও আপাতত বন্ধ থাকছে।যেভাবে ওমিক্রন থাবা বসাচ্ছে গোটা দেশে, যে হারে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে সেইদিকে খেয়াল রেখে এবার কিছুটা রাশ টানার সম্ভাবনা রয়েছে নবান্নের। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার একাধিক কাউন্সিলর কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবারই সামনে এসেছে রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর।১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্টুডেন্টস উইক ঘোষণা করেছে রাজ্যে সরকার। তারই অঙ্গ হিসেবে ৩ জানুয়ারি নেতাজি ইন্ডোরে এক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও থাকার কথা ছিল। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই কর্মসূচি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। তাহলে কি ফের আংশিক লকডাউনের পথে হাঁটার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার? এই প্রশ্নই এখন ঘুরছে বিভিন্ন মহলে।শুধু স্টুডেন্টস উইক-এর অনুষ্ঠানই বাতিল নয়। রবিবার থেকে দুয়ারে সরকারের কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা ছিল রাজ্য সরকারের। রাজ্য সরকার আপাতত দুয়ারে সরকার কর্মসূচিও স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তা এই মুহূর্তে এই ধরনের শিবির শুধু মারাত্মক নয় প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে বলেই মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে-# বন্ধ হতে পারে স্কুল, কলেজ।# বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বার, রেস্তোরাঁ, সিনেমা হল।# কমানো হতে পারে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা।# নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে রাজ্যের মেলাগুলিতে।

জানুয়ারি ০১, ২০২২
কলকাতা

Chaat Puaj: ছট পুজো উপলক্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা রবীন্দ্র সরোবর চত্বরে

দূষণ এড়াতে রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। সেই নির্দেশ মতো নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে সরোবর চত্বরে। সরোবরে ঢোকার সমস্ত গেটে আলাদা করে বাঁশের ব্যারিকেড করা হয়েছে। যেখানে পাঁচিলের উচ্চতা কম সেখানে টিন লাগানো হয়েছে। গেটে গেটে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। আগামিকাল সন্ধে পর্যন্ত পার্ক সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। ঢুকতে পারবেন না প্রাতঃভ্রমণকারীরাও। ছট পুজোর জন্য বিকল্প জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছট পুজোতে বাড়ে দূষণের মাত্রা। তাই ঘাটগুলিতে যাতে আদালতের নির্দেশ মেনেই বাজি পোড়ানো হয়, এবার সেদিকে নজর দিয়েছে প্রশাসন।উল্লেখ্য, ২০২০ সালে জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল, কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো নিষেধ করা হয়। কলকাতার দূষণ তাতে অনেকটাই রোখা সম্ভব হয়। এবছর অত্যন্ত কড়া পুলিশ। যাতে কেউ নিয়ম ভাঙতে না পারেন, তার জন্য কড়া প্রহরা দেওয়া হচ্ছে।রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে, ছট পুজোতেই কেবলমাত্র পরিবেশবান্ধব আতসবাজিই বিক্রি করা যাবে। রাত ৮-১০টা পর্যন্ত এই বাজি ফাটানো যাবে। ছট পুজোতেও কেবল ২ ঘণ্টাই এই বাজি ফাটানো যাবে। পাশাপাশি ক্রিসমাস ও বর্ষশেষের অনুষ্ঠানে কোন সময়ে বাজি ফাটানো যাবে, সেই সময় সীমাও ধার্য করে দিল রাজ্য সরকার। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ক্রিসমাস ও বর্ষশেষের রাতে ১১.৫৫ মিনিট থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব আতসবাজি ফাটানো যাবে।

নভেম্বর ১০, ২০২১
রাজ্য

Local Train: উঠে গেল বিধিনিষেধ, রাজ্যে কবে থেকে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন?

করোনা পরিস্থিতিতে লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়েছিল এই রাজ্যে। দীর্ঘ দিন লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় তা চালু করার দাবিও উঠেছিল। স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে উঠতে না পেরে অবরোধের ঘটনাও ঘটে। ক্ষোভ-বিক্ষোভে ফেটে পড়ে যাত্রীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে ছিলেন কলকাতা সংলগ্ন জেলায় ৫০ শতাংশ টিকাকরণ হলে ট্রেন চালু করা হবে। যদিও পরে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলে স্টাফ স্পেশাল ও বিশেষ ট্রেন চলাচলে ছাড় দেয় রাজ্য।স্পেশাল বললেও লোকাল ট্রেনের টাইম টেবিলেই বেশ কিছু ট্রেন চলাচল শুরু করে। হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন যাত্রীরা। তবে পরবর্তী ক্ষেত্রে ট্রেনের টিকিট দেওয়া শুরু হওয়ায় যাত্রী হয়রানি কিছুটা কমে। এবার অবসানের পথে সেই কষ্ট। লোকাল ট্রেন চলাচলে ছাড় ঘোষণা করল নবান্ন। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে কোভিড বিধি মেনে রাজ্যে চলবে লোকাল ট্রেন। আগামী রবিবার থেকেই রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হবে।

অক্টোবর ২৯, ২০২১
রাজ্য

Corona Restriction: পুজোর দিনে বিশেষ ছা‌ড় থাকলেও চলবে না লোকাল ট্রেন, অক্টোবর মাসেও চলবে করোনা বিধিনিষেধ

করোনাজনিত বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও একদফা বাড়ালো রাজ্য সরকার। তবে আসন্ন পুজোর দিনগুলোতে শিথিল করা হলো নৈশকালীন কড়াকড়ি। তবে এই পর্বেও লোকাল ট্রেন চলাচলের অনুমতি দেয়নি নবান্ন।করোনা রুখতে রাজ্য সরকারের জারি করা বিধি-নিষেধের চলতি মেয়াদ বৃহস্পতিবারই শেষ হয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় নবান্ন থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত করোনা বিধিনিষেধ জারি থাকবে। তবে ১০ ই অক্টোবর পঞ্চমী থেকে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার দিন ২০ অক্টোবর পর্যন্ত রাত ১১ টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত বাইরে বেরোনো নিয়ে কোনও কড়াকড়ি থাকবে না। অর্থাৎ আগের মত রাত জেগে ঠাকুর দেখতে পারবেন মানুষ। তবে মাসের বাকি দিনগুলোতে যথারীতি নৈশ বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ জরুরি কোনও কারণ ছাড়া ওই সময় বাইরে বেরোনো নিষেধ থাকছে।বুধবার সন্ধ্যায় নবান্নের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে এখন যে সব করোনা বিধিনিষেধ রাজ্যে চালু রয়েছে তেমনটাই চলবে গোটা অক্টোবর মাসেও। অনেকে আশা করেছিলেন অক্টোবর থেকে লোকাল ট্রেন চলাচলে অনুমতি দিতে পারে রাজ্য সরকার। কিন্তু বুধবারের বিজ্ঞপ্তির পরে এটা স্পষ্ট যে, এখনই লোকাল ট্রেনের স্বাভাবিক চলাচলের ঝুঁকি নিতে চাইছে না রাজ্য সরকার। একইভাবে মেট্রো রেলের চলাচলও নিয়ন্ত্রিতই থাকছে অক্টোবর মাসে। একই সঙ্গে এই সময়ে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা-সহ অন্যান্য বিধিনিষেধ নিয়ে প্রশাসন যে কড়া মনোভাব দেখাবে তাও বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশকে করোনা বিধিনিষেধ পালন নিশ্চিত করতে কড়া পদক্ষেপ করারও নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১
রাজ্য

Visva Bharati: বিশ্বভারতী-কাণ্ডে হাইকোর্টের কড়া নির্দেশ

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে থেকে অবস্থান বিক্ষোভ তোলার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের আরও নির্দেশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ মিটার এলাকার মধ্যে কোন বিক্ষোভ করা যাবে না। পুলিশকে নির্দেশ, উপাচার্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। দুপুর ৩টে থেকে প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসস্থান-সহ যেখানে যেখানে তালা বন্ধ করা রয়েছে, সমস্ত তালা শান্তিনিকেতন থানার পুলিশকে ভেঙে ফেলতে হবে। আরও পড়ুনঃ ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিট-এর মাথায় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরহাইকোর্ট আরও নির্দেশ, পুলিশকে কোনও বাধা দেওয়া যাবে না। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্মীকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের যাতে স্বাভাবিকভাবে চলে তার জন্য প্রশাসনকে কড়া নজর রাখতে হবে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোনওরকম মাইক ব্যবহার করা যাবে না। উপাচার্যের নিরাপত্তার জন্য শান্তিনিকেতন থানার তিনজন কনস্টেবলকে নিয়োগ করতে হবে। সমস্ত সিসি ক্যামেরা চালু করতে হবে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, নিজের হাতে আইন তুলে নেবেন না? এটা ট্রেড ইউনিয়ন নয়। ছাত্র ইউনিয়ন। এটা ভুলে যাবেন না। বিশ্বভারতী মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।এই নির্দেশের পর বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছেন, তাঁরা আদালতের নির্দেশের কোনও কপি এখনও হাতে পাননি। নির্দেশ হাতে পেলে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন। একই সঙ্গে তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা কোনও গেটে তালা লাগাননি। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সেই তালা লাগিয়েছেন।

সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২১
দেশ

Kashmir: প্রয়াত বিচ্ছিন্নতাকামী নেতা সইদ আলি গিলানি

প্রয়াত হলেন বিচ্ছিন্নতাকামী কাশ্মীরী নেতা সইদ আলি গিলানি। বুধবার বিকেলে শ্রীনগরে নিজের বাসভবনেই তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। এ দিকে, তাঁর মৃত্যুর পরই অশান্তির আশঙ্কায় নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা উপত্যকা।পাকিস্তানের সপক্ষে কথা বলা জম্মু-কাশ্মীরের এই নেতা দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু আচমকাই গত বছর তিনি হুরিয়তের শীর্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেন। অভিযোগ করেন যে, দলের বাকি নেতারা কাশ্মীরবাসীর উন্নয়নের কথা ভুলে আর্থিক তছরুপের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। কাশ্মীরে পুলিশ প্রধান দিলবাগ সিংও জানান, শেষ চিঠিতে গিলানি স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে তিনি ভুল পথে চলেছিলেন এবং স্বার্থের খাতিরে কাশ্মীরকে ব্যবহার করা হয়েছিল। বিচ্ছিন্নতাবাদী নানাকার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকায় দীর্ঘ সময় ধরেই তিনি গৃহবন্দি ছিলেন। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে তিনি হৃৎরোগে আক্রান্ত হন এবং হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর থেকেই তিনি অসুস্থ ছিলেন।আরও পড়ুনঃ সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ রাজ্যেরসইদ আলি গিলানির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পিপিলস ডেমোক্রাটিক পার্টির প্রধান মেহবুবা মুফতি। পিডিপি নেত্রী টুইটে লেখেন, গিলানি সাহেবের মৃত্যুর খবরে অত্যন্ত দুঃখিত। আমরা হয়তো অনেক বিষয়েই সহমত ছিলাম না, কিন্তু ওনার দৃঢ়প্রতৃজ্ঞ মনোভাব ও নিজের বিশ্বাসে স্থির থাকার কারণে ওনাকে সম্মান করতাম। আল্লাহ যেন ওনাকে জন্নতে জায়গা দেন এবং ওনার পরিবার ও শুভাকাক্ষীদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।

সেপ্টেম্বর ০২, ২০২১
রাজ্য

Covid 19: কেন বন্ধ লোকাল ট্রেন? তা বিস্তারিত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

লোকাল ট্রেন বন্ধই থাকছে। আগামী ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত এরাজ্যে চলবে না লোকাল ট্রেন। বৃহস্পতিবার নবান্নে একথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতের কার্ফুর সময় ৯টা থেকে কমে হয়েছে রাত ১১ টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত। করোনাবিধি চালু থাকবে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত। কেন লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখা হচ্ছে তার কারণও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।নানা মহল থেকে লোকাল ট্রেন চালু করার দাবি উঠছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, অনেকেরই প্রশ্ন লোকাল ট্রেন কেন চলছে না? আমি জানি মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ভ্যাকসিনটা এখনও সর্বত্র দেওয়া যায়নি। করোনার প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে। দূরবর্তী ট্রেন চলছে, প্লেন চলছে, বাস, অটো, মেট্রো, গাড়ি সব চলছে। মমতা আরও বলেন, লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখতে হচ্ছে কারণ সেপ্টেম্বরে থার্ড ওয়েভ আসার কথা আছে। তাই কন্ট্রোলে রাখতে হচ্ছে। কারণ থার্ড ওয়েভ দেখে নিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, থার্ড ওয়েভে শিশুরা আক্রান্ত হতে পারে। শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ। নিয়ম মেনে চলতে বললে নিয়ম মানা দূরের কথা সবাই দেখলাম গাদাগাদি করে চলে গেল। পরে সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকার ফলে অনেকের জীবীকায় টান পড়েছে। অনেকের যাতায়াতের খরচ বেড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর উপলব্ধি, মানুষের জীবন সব থেকে আগে। তিনি বলেন, বিশেষ করে দুই ২৪ পরগানা, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, নদিয়া, এসব এলাকা থেকেই লোকজন কাজের সূত্রে কলকাতায় বেশি যাতায়াত করে। এসব এলাকায় ৫০ শতাংশ টিকা দেওয়ার পর লোকাল ট্রেন চালু করে দেব। কোনও সমস্যা হবে না।

আগস্ট ১২, ২০২১
রাজ্য

Covid-Guideline extended: ফের বাড়ল করোনা বিধিনিষেধের মেয়াদ

রাজ্যে কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ ফের বাড়ল। ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হল এই সময়সীমা। সেই সঙ্গে কোভিড নিয়ন্ত্রণ বিধিতে কিছু ছাড় এবং কিছু বাড়তি বিধি নিষেধও আরোপ করেছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যসচিবের তরফে জারি করা একটি নোটিসে জানানো হয়েছে, শনিবার, ৩১ জুলাই থেকেই নতুন নিয়ম জারি হবে।আরও পড়ুনঃ পদকের দিকে আরও একধাপ এগোলেন সিন্ধুবৃহস্পতিবার সকালে নবান্ন থেকে সেই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বিধি-নিষেধের এই নতুন পর্যায়ে তেমন কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না নিয়মে। লোকাল ট্রেন চালু করার কথা এ বারও জানায়নি রাজ্য। শুধু সরকারি অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নতুন করে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। নয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে এ বার থেকে কোনও সরকারি অনুষ্ঠান করতে গেলে ৫০ শতাংশের উপস্থিতিতে কোনও ঘেরা জায়গায় তা করা যেতে পারে। এ ছাড়া প্রত্যেক সেক্টরের ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব ওয়ার্ক ফ্রম হোম করানোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে রাত ৯ টা থেকে ভোর ৫ টা নাইট কার্ফুর ক্ষেত্রে আরও কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে প্রশাসন। সব জেলার পুলিশ সুপার ও জেলা শাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে নাইট কার্ফুর বিষয়টিতে তাঁরা আরও বেশি জোর দেন। রাতে কোনও গাড়ি চলাচলের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া মাস্ক ব্যবহারের থাকছে বিশেষ কড়াকড়ি।তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কার আবহেই করোনা সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণবিধির মেয়াদ বাড়ানো হল। তবে সরকারি অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিষেবা, আইন শৃঙ্খলার সঙ্গে যুক্ত পরিষেবা এবং অন্যান্য জরুরি পরিষেবা ছাড়া এই সময়ে যানবাহন এবং রাস্তাঘাটে সাধারণ মানুষের চলাফেরাতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সরকারি বিবৃতিতে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ কমিশনারেটগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আইন যাতে যথাযথভাবে পালন করা হয় তাতে কড়া নজর রাখতে।

জুলাই ২৯, ২০২১
কলকাতা

সামান্য ছাড় দিয়ে পুজো মামলায় আগের রায়ই বহাল হাইকোর্টের

পুজো উদ্যোক্তাদের রিভিউ পিটিশনের প্রেক্ষিতে আগের রায় পুনর্বিবেচনা করে সামান্য পরিবর্তন করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবারে তাদের দেওয়া পরিবর্তিত রায়ে বলা হয়েছে, ঢাকিরা মণ্ডপের নো এন্ট্রি জোনের মধ্যে থাকতে পারবেন। তা ছাড়া বড় পুজোগুলোর মণ্ডপে কমিটির ৬০ জন সদস্যের তালিকা তৈরি করা যাবে। একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৪৫ জন মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন। আগে এই সংখ্যাটা ছিল ২৫। প্রতিদিন সকাল ৮টার মধ্যে মণ্ডপের সামনে টাঙাতে হবে এই তালিকা। মণ্ডপে প্রবেশ করা ব্যক্তিদের নাম রোজ বদল করা যাবে। বিচারপতিদের নির্দেশ অনুসারে, যে সব মণ্ডপের আয়তন ৩০০ স্কোয়ার মিটার বা তার বেশি সেগুলিকে বড় মণ্ডপ বলে বিবেচিত হবে। ছোট মণ্ডপের ক্ষেত্রে ১৫ জনের তালিকা তৈরি করতে হবে। একসঙ্গে ১০ জনের বেশি মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবে না। সেই তালিকাতেও প্রত্যেকদিন বদল ঘটানো যাবে। এই বদলগুলি ছাড়া পঞ্চমীতে দেওয়া রায়ে আগের নির্দেশই বহাল রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্ট এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছে যে দশমীতে সিঁদুর খেলা যাবে না। দেওয়া যাবে না অষ্টমীতে অঞ্জলিও। আরও পড়ুনঃ পশ্চিমবঙ্গে এমবিবিএস পড়ার আসন বেড়ে ৪০০০ করোনা পরিস্থিতিতে গত সোমবার ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়েছিল , কোনও মণ্ডপেই দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রতিটি মণ্ডপের বাইরে নো এন্ট্রি বোর্ড ঝুলিয়ে রাখতে হবে। ছোট মণ্ডপ হলে তার ৫ মিটার এবং বড় মণ্ডপ হলে তার ১০ মিটারের মধ্যে কোনও দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবে না। দূর থেকে দেখতে হবে। দর্শক শূন্য রেখে পুজো পরিচালনার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করবে পুলিশপ্রশাসনকে। হাইকোর্টের রায় মোতাবেক কাজ হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কমিশনারদের লক্ষ্মীপুজোর পর আদালতে রিপোর্ট জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের এই রায়ের পরই পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে মঙ্গলবার আবেদন জানান পুজো উদ্যোক্তাদের সংগঠন ফোরাম ফর দুর্গোৎসব।

অক্টোবর ২১, ২০২০

ট্রেন্ডিং

রাজনীতি

বৃহস্পতিবার সায়েন্সসিটিতে ২০২৬ ভোটের লড়াইয়ের শপথ বিজেপির, অভিষেক নয়া রাজ্য সভাপতির

ভারতীয় জনতা পার্টি পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের সংগঠনপর্ব অন্তিম পর্যায়ে পৌঁছেছে বুধবার। আজ চূড়ান্ত পর্বে প্রদেশ দপ্তরে ৬০ জন কার্যকর্তা রাষ্ট্রীয় পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সেগুলি গৃহীত হয়েছে।রাজ্য সভাপতি পদে মাত্র একটি পদ্ধতিগতভাবে সঠিক মনোনয়ন জমা পড়েছে। সেটাও গ্রহণ করা হয়েছে। শমীক ভট্টাচার্যের নাম সভাপতি হিসাবে ঘোষণা শুধু বাকি। বৃহস্পতিবার সায়েন্সসিটির সভায় তাঁকে সভাপতি হিসাবে বরণ করা হবে দলের পক্ষ থেকে। আগামীকাল সাইন্স সিটিতে রাজ্য সভাপতি নির্বাচন ও অভিনন্দন সমারোহ অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় নির্বাচনী আধিকারিক প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় পরিষদের সদস্যদের নাম ঘোষিত হবে।এদিন মুরলীধর সেন লেনের পার্টি অফিসের বাইরে রাজ্যসভার সাংসদ তথা প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদিকা অগ্নিমিত্রা পাল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বিকেলের চা ও টোস্ট খেলেন। এই চায়ের দোকানের সাথে অনেক স্মৃতি জড়িত রয়েছে। নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক কর্মজীবনে বহুবার এই চায়ের দোকানে সময় কাটিয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। বিজেপির রাজ্য জুড়ে শক্তিশালী দল হয়ে ওঠার পুরো মাত্রায় সাক্ষী ছিল এই ছোট্ট দোকানটি। পড়ন্ত বিকেলে তাই সেখানেই একটু স্মৃতিচারণা...আজ কলকাতা বিমানবন্দরে কেন্দ্রীয় নির্বাচনী আধিকারিক প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে স্বাগত জানালেন রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা অগ্নিমিত্রা পাল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।আগামীকাল সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হতে চলা রাজ্য সভাপতি অভিনন্দন সমারোহ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সম্মাননীয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও রাজ্য পদাধিকারীগণের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার।

জুলাই ০২, ২০২৫
রাজ্য

ভয়ঙ্কর ঘটনা আসানসোলে, বাড়িতেই পুড়ে শেষ মা, বাবা ও ছেলে

বাড়িতে আগুন লেগে মৃত তিন, আহত এক। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে বলে প্রাথমিক অনুমান। শনিবার গভীর রাতের ঘটনা। এই ঘটনায় বাড়ির তিনজন মারা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির কর্তা কেবল চন, স্ত্রী গায়ত্রী চন ও এদের জামাই বাবলু সিং আগুন লাগার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। কেবল চনের মেয়ে শিল্পী সিংকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে দুর্গাপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার ফতেপুর বৈশালী পার্কের কাছে। রাতে দমকল ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

জুন ২৯, ২০২৫
রাজ্য

অজানা ফোন কল থেকে সাবধান! ১ কোটি টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার পান্ডা

পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নামে পরিচয় দিয়ে ডিজিটাল অ্যারেস্টের নাম করে প্রতারণা। গ্রেপ্তার এক। গ্রেপ্তার করলে বিধানগর সাইবার ক্রাইম পুলিশ পুলিশ সূত্রে খবর সল্টলেক ডিএল ব্লকের বাসিন্দা শম্ভুনাথ চৌধুরী একটি ফোন কল আসে। সেখানে তাকে বলা হয় আপনাকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হচ্ছে। আপনি ঘর বন্ধ থাকবেন। কোন আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলা যাবে না। এবং ধাপে ধাপে চারদিন ধরে প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক। তিনি প্রতারিত হয়েছেন বলে বুঝতে পেরে সেপ্টেম্বর ২০২৪ এ বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত নেমে নির্মল বিজয় নামে রাজস্থানের বাসিন্দার নাম উঠে আসে। দীর্ঘদিন ধরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে গতকাল নাগেরবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বিধান নগর সাইবার থানার পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
রাজ্য

কলকাতা 'ল কলেজে ঘটনার প্রতিবাদ সামশেরগঞ্জে, পথে বামেরা

কলকাতার ল কলেজে ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে সামসেরগঞ্জেও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বামেরা। শনিবার বিকেলে DYFI এবং SFI এর নেতৃত্বে সামসেরগঞ্জের কাকুড়িয়ায় রাস্তা অবরোধ ঘিরে ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।মুখ্যমন্ত্রীর কুশ পুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ করে বামেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও রাস্তা অবরোধে বাধা দেওয়ার সময় থেকেই পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি হয় বাম কর্মী সমর্থকদের। তামান্না খাতুনের খুনিদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপশি কলকাতার কলেজে ধর্ষণ কাণ্ডে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান বাম কর্মী সমর্থকরা।

জুন ২৮, ২০২৫
কলকাতা

লালবাজারে আটক বঙ্গ বিজেপির সভাপতি, অবস্থান থেকে পুলিশ গাড়িতে তোলা হল ৩ কাউন্সিলরকে

কসবা ল কলেজে তৃণমূল ছাত্র নেতা মনোজিৎ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার দুই সঙ্গীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন গড়িয়াহাটে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সেখান থেকে রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি নেতৃত্বকে গ্রেফতার করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের নারী নিরাপত্তার অবনতি এবং কসবা লকলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ করছিল বিজেপি। এরপর দলের অন্যদের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে লালবাজারে আটক করে রেখেছে। সুকান্ত মজুমদার স্পষ্ট জানিয়েছে, ব্যক্তিগত বন্ডে এবার আর জামিন নেবেন না। রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত সুকান্ত মজুমদার জামিন নেননি। তিনি দলের অন্যদের সঙ্গে এখন লালবাজারেই আছেন। অন্যদিকে এই সময় লালবাজারের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করছিল বিজেপি। সেই অবস্থান থেকে বিজেপির তিন কাউন্সিলরকে আটক করে পুলিশ। সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরোহিত ও বিজয় ওঝাকে আটক করে পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
কলকাতা

কসবা কাণ্ডে মদন মিত্র ও কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে তোলপাড় বাংলা, তৃণমূলের নিন্দা

তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্রের কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। তৃণমূল বলছে, দল দুই নেতার মন্তব্য সমর্থন করে না। কার্যত এই দুই নেতা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস দূরত্ব তৈরি করছে। বিজেপি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে বিজেপি। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, যদি ওই মেয়েটি না যেত, তাহলে এই ঘটনা এড়ানো যেত, যদি সে কাউকে জানাত অথবা দুজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে যেত, তাহলেও সেদিনের এই ঘটনা এড়ানো যেত। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি অপরাধীদের সমর্থন করতে চাইছে এই তৃণমূল নেতা। অন্য দিকে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, মানসিকতার পরিবর্তন না হলে হবে না। আইন বা পুলিশ দিয়ে কিছু হবে না। স্টুডেন্টরা যদি তাঁদের সহপাঠিনীকে রেপ করা তা প্যাথিটিক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কি পুলিশ থাকবে? মূল অভিযুক্ত যে প্রাক্তনী তা এড়িয়ে গিয়েছেন কল্যান। এদিকে এই দুই নেতার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের বক্তব্য, সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্র যে মন্তব্য করেছেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। দল তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে কোনোভাবেই একমত নয় এবং এই মন্তব্যগুলিকে কড়াভাবে নিন্দা করছে। এই ধরনের বক্তব্য কোনওভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না।তৃণমূল বলছে আমাদের অবস্থান স্পষ্টমহিলাদের ওপর অপরাধের ক্ষেত্রে বরাবরই জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও করা হবে। যারা এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।

জুন ২৮, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

'ফুড ব্লগ'! সস্তা জনপ্রিয়তার আড়ালে ভাইরাল 'অন্ধকার'

মুঠোফোন ধরে সামাজিক মাধ্যমে খানিক নাড়াচাড়া করতেই একের পর এক খাবারের দোকানের ভিডিও আসতে থাকে। প্লাস্টিকের চালা, একেবারেই অস্বাস্থকর পরিবেশ কিন্তু মানুষ লাইন দিয়ে খাবার খাচ্ছে। আবার সেই খাবার খেয়ে ক্যামেরার সামনে প্রস্বস্থি সূচক মন্তব্যও করে যাচ্ছেন। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমের দাপট এতটায় যে, কেউ নতুন উদ্যোগ নিলে উদ্বোধনের দিন প্রথমেই যাঁদের কথা তাঁদের মনে করেন তাঁরা হলেন ফুড ব্লগার। সামাজিক মাধ্যম খুললেই আমরা বিভিন্ন ধরনের ফুড ব্লগারদের কে দেখতে পাই। তাঁদের মধ্যে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁদের ফুড ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বহু সাধারণমানের খাবার স্টল রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে গেছেন। আমরা কলকাতার নন্দিনীর ভাতের হোটেল দেখেছি, শিয়ালদার রাজুর পরটা, মোবাইল পরটা, বর্ধমানে মুনমুন দির পোলাও চিলি চিকেন ছাড়াও অনেক ভাইরাল ফুড ব্লগ দেখেছি, এরা প্রত্যেকেই সাধারণ থেকে খুব কম সময়ে অতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। আবার অন্যদিকে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁরা রীতিমত ফুড ব্লগিংয়ের নামে এক কথায় নোংরামি চালায় বলে অভিযোগ। আর এদের কারণেই প্রায় সময়েই বিক্রেতাদের নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।চিত্র পরিচালক সূর্য বলেন, এই সমস্ত ফুড ব্লগারদের অযৌক্তিক সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কোন বিক্রেতা হয়ে ওঠে খুব জনপ্রিয় আবার কেও হয় সমালোচনার শিকার। তাঁদের জীবন ও জীবিকা দুটোই দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। আর এই সমস্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি - ফুড ব্লগ। ছবিটির পরিচালনা করেছেন সূর্য। যেটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ২৮ শে জুন SD Entertainment youtube চ্যানেলে। এই ছবির মুখ্য চরিত্র দেখা যাবে অভিনেতা অনুপম মুখার্জিকে। যিনি থিয়েটারের পাশাপাশি বিভিন্ন মেগা সিরিয়ালে নিয়মিত অভিনয় করে চলেছেন।এ ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন পুষ্পিতা বক্সী, রাজা মুখার্জি, সুদিপ চক্রবর্তী, অনিরুদ্ধ দাসগুপ্ত, আকাশ ব্যানার্জি সহ আরো এক ঝাঁক নতুন অভিনেতা। ছবিতে চিত্রগ্রাহকের দায়িত্ব ছিলেন সৌনক দাস ও অভ্রজিৎ নাথ।এখনো পর্যন্ত ফুডব্লগ ছবিটি ৯ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এ অংশগ্রহণ করে ৬ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে সেরা বাংলা ছবি, সেরা গল্প, সেরা পরিচালক বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ ও নেপাল আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অন্যতম।ফুড ব্লগ ছবিটি প্রসঙ্গে পরিচালক সূর্য জানান আমি সর্বদা এমন ছবি তৈরি করতে পছন্দ করি যা এক সামাজিক বার্তা প্রদান করে। আশা করি এই ছবিটির মাধ্যমেও আমরা সমাজকে এক শিক্ষামূলক বার্তা দিতে পারবো।

জুন ২৮, ২০২৫
নিবন্ধ

সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচতে রসুনের উপকারিতা জানুন

বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব সাধারণত বেড়ে যায় এটা প্রকৃতির স্বাভাবিক এক চক্র। কয়েকটি কারণে বর্ষাকালে সাপের আনাগোনা বাড়ে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম, বন্যা ও জল জমা, সাপ সাধারণত মাটির গর্তে বাস করে। বর্ষায় সেই গর্তে জল জমে যাওয়ায় তারা শুকনো জায়গা খুঁজে বেরিয়ে আসে। আশ্রয় খোঁজা, বৃষ্টিতে সাপ আশ্রয় নিতে খোঁজে শুকনো ও উষ্ণ জায়গাযেমন: বাড়ির বারান্দা, রান্নাঘর, গ্যারেজ, বা স্টোররুম। এছাড়াও সাপ খাবারের খোঁজে বসতিতে ঢুকে পরে। ইঁদুর, ব্যাঙ ইত্যাদি জীব বর্ষাকালে উঁচু ডাঙ্গা জমি, বসত বাড়িতে উঠে আসে, তাদের অনুসরন করে সাপ মানুষের বসতিতে ঢুকে পড়ে। যেসব এলাকা বনাঞ্চল বা জলাভূমির পাশে, সেখানে বর্ষায় সাপ চলাচল বেশি হয়।সাপের উপদ্রব থেকে নিরাপদে দূরে থাকতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন রাসায়নিক স্প্রে করেন কেউ কেউ। কিন্তু আমাদের বাড়িতেই এক ভেষজ সবসমই থাকে সেই রসুন ব্যাবহার করে সাপ থেকে দূরে থাকা যায় বলে অনেকের-ই ধারণা। সাপের আসা-যাওয়ার পথে রসুন দেওয়ার পেছনে একটি প্রচলিত লোকবিশ্বাস রয়েছে। এটি মূলত প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর পেছনে কিছু সাধারণ কারণ নিচে দেওয়া হলো:কেন রসুন দেওয়া হয়?তীব্র গন্ধ: রসুনের গন্ধ অত্যন্ত তীব্র এবং এটি অনেক প্রাণীর জন্য খুবই অস্বস্তিকর। কিছু মানুষের ধারণা যে সাপ তাদের সংবেদনশীল জিহ্বা (জ্যাকবসন অঙ্গ) দিয়ে পরিবেশের গন্ধ বোঝে, আর রসুনের তীব্র গন্ধ তাদের বিরক্তি উদ্রেক করে।রসুনে অ্যালিসিনের মতো সালফার সমৃদ্ধ যৌগ থাকে, যা তীব্র গন্ধ তৈরি করে। এই গন্ধ সাপের সংবেদনশীল ইন্দ্রিয় অঙ্গগুলিকে (বিশেষ করে জ্যাকবসন অঙ্গ, যা তারা তাদের জিহ্বার মাধ্যমে পরিবেশকে ঘ্রাণ নিতে ব্যবহার করে) জ্বালাতন করতে পারে বা অভিভূত করতে পারে।লোকবিশ্বাস ও অভ্যাসঃ গ্রামাঞ্চলে প্রাচীনকাল থেকেই রসুন, পেঁয়াজ, নিমম বা কর্পূর ব্যবহারের মাধ্যমে সাপ দূরে রাখার চেষ্টা চলে আসছে। যদিও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ খুব একটা নেই, তবুও অনেকেই এটাকে কার্যকর মনে করেন। রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়ে সাপ তাড়ানোর চেষ্টা হিসেবে রসুন ব্যবহার একটি বিকল্প পদ্ধতি।বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে এখনও সরাসরি প্রমাণ নেই যে রসুন সাপকে নিশ্চিতভাবে তাড়াতে পারে। তবে কিছু গবেষণা বলেছে, সাপ সাধারণত তীব্র গন্ধ বা ঝাঁঝালো রাসায়নিক এড়িয়ে চলে, তাই কিছু ক্ষেত্রে রসুন কার্যকর হতে পারে।রসুন ব্যবহার পদ্ধতিঃ১। রসুন থেঁতো করে সাপের সম্ভাব্য চলাচলের রাস্তায় ছড়িয়ে দিন।২। রসুন ও লবণের মিশ্রণ একটি কাপড়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন।৩। রসুন তেলের সঙ্গে ন্যাপথলিন মিশিয়ে ব্যবহার করেন অনেকে (সতর্কতার সঙ্গে)।তবে মনে রাখবেনঃ১। সাপ তাড়ানোর জন্য রেসকিউ টিম বা স্থানীয় বন দপ্তরে যোগাযোগ করাই সবচেয়ে নিরাপদ এবং কার্যকর উপায়।২। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার, ঘাসছাঁটা রাখা, ইঁদুর-মুরগির আনাগোনা কমানোএসব বেশি কার্যকর।সাপ তাড়ানোর জন্য কিছু নিরাপদ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলো, যা আপনি রসুনের পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন:পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন (সবচেয়ে কার্যকর উপায়)১। বাড়ির চারপাশে ঝোপঝাড়, লম্বা ঘাস, ময়লা, কাঠের গুঁড়ি বা ইটের স্তূপ থাকলে সাপ আশ্রয় নিতে পারে।২। পুরনো বা অব্যবহৃত জিনিস সরিয়ে ফেলুন।৩। ইঁদুর বা ছোট প্রাণী থাকলে সাপ আসতে পারে, এদের নিয়ন্ত্রণ করুন।প্রাকৃতিক প্রতিকারঃ১. রসুন ও পেঁয়াজঃ রসুন ও পেঁয়াজ থেঁতো করে মিশিয়ে সাপের চলাচলের পথে ছড়িয়ে দিন। আপনি চাইলে সেগুলোর রস করেও স্প্রে করতে পারেন।২. লবণ ও চুনঃ চুন ও লবণ (নুন) মিশিয়ে দেয়ালে বা জানালার আশপাশে ছিটিয়ে রাখুন৩. নিমের পাতা ও তেলঃ নিমের তেল সাপদের প্রচণ্ড অপছন্দের জিনিস। এটি জলের সঙ্গে মিশিয়ে সাপের আসা যাওয়ার পথে স্প্রে করতে পারেন।৪. সাদা ভিনিগারঃ ভিনিগার ও লবণ মিশিয়ে সাপের চলার পথে স্প্রে করুন। মাটির গন্ধ নষ্ট হওয়ায় সাপ এড়িয়ে চলে।কম্পন ও শব্দ ব্যবহারঃসাপ শব্দ-সংবেদনশীল (কম্পনে সাড়া দেয়)। মাটি কাঁপায় এমন যন্ত্র (যেমন: হাতুড়ি দিয়ে ঠোকাঠুকি), বা ব্যাটারিচালিত কম্পন-ডিভাইস সাপ দূরে রাখতে পারে।পোষা প্রাণীঃ কুকুর (দেশী বা বিদেশি) সাপের উপস্থিতি টের পেলে ঘন ঘন ডাকতে থাকে। গ্রামের অনেক বাড়িতে পোষা প্রাণী রাখার ফলে সাপ আসার সম্ভাবনা কমে যায়।যা করবেন নাঃসাপ দেখলে নিজে রিস্ক নিয়ে তাড়াতে যাবেন না।, পেট্রোল, অ্যাসিড বা আগুন ব্যবহার করবেন না। সাপটিকে না মেড়ে তারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। আপতভাবে বিষাক্ত মনে হলেও সাপ সামাজের ভারসাম্য রাখতে বিরাট ভুমিকা নেয়। সাপ দেখলে বা সন্দেহ হলে আপনার এলাকায় বন দফতর বা স্থানীয় সাপ উদ্ধারকারী দলের (snake rescuer) সঙ্গে যোগাযোগ করুন। অনেক জায়গায় হেল্পলাইন নম্বরও রয়েছে। প্রয়োজনে জেলার বনদপ্তরে ফোন করে সাহায্য নিন। এছাড়াও জেলায় জেলায় বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংস্থা আছে যাঁরা বসতি থেকে সাপ গুলিকে উদ্ধার করে নিরাপদে অরণ্যে পৌছাতে সাহায্য করেন। যেমন, বর্ধমান জেলায় তথাগত পাল আছেন, যিনি তাঁর দৈনন্দিন পেশার কঠিন চাপের ফাঁকেও এই ধরনের নোবেল জব করতে ভালবাসেন।

জুন ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal