• ২৫ বৈশাখ ১৪৩২, শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Resignation

রাজ্য

রাজ্যপালের পদত্যাগ দাবি মুখ্যমন্ত্রীর, রাজভবনে যাবেন না মমতা

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন রাজভবনেরই এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। যা ঘিরে আজ ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশানা করলেন সিভি আনন্দ বোসকে। রাজ্যপালের পদত্যাগ দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে এবার থেকে কোনও কাজে আর রাজভবনে যাবেন না বলেও সাফ জানিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তবে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন হলে কোথায় তিনি যাবেন তাও এদিন স্পষ্ট করেছেন তৃণমূলনেত্রী।মাননীয় রাজ্যপাল! আমার কী দোষ আপনি বলুন। আমি তো জানিই না ঘটনা পুরো। রাজ্যপালের তো পদত্যাগ করা উচিত। মহিলাদের উপর নির্যাতন করার আপনি কে? প্রেসকে ডেকে এডিট করে কিছু ভিডিও দেখিয়েছে। পুরোটা কি দেখিয়েছে? কপিটা আমার কাছে আছে। এখনও তো সব বেরোয়নি। আর একটা পেনড্রাইভ পেয়েছি। আরও কেলেঙ্কারি। বাবারে! আমাকে এখন রাজভবনে ডাকলে আমি আর যাব না। আমাকে রাস্তায় ডাকলে যাব। রাজ্যপালের কথা বলতে হলে আমাকে রাস্তায় ডাকবেন। রাস্তায় গিয়ে কথা বলে আসব। রাজভবনে আর যাব না। যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি শুনছি তাতে আপনার পাশে বসাটাও পাপ।উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের আবহে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অভিযোগ উঠেছে। রাজভবনেরই এক অস্থায়ী কর্মী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন। দুবার রাজভবনের পিস রুমে তাঁর শ্লীলতাহানি করেছেন সিভি আনন্দ বোস, এমনই অভিযোগে হেয়ার স্ট্রিট থানায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছেন ওই মহিলা। যদিও রাজ্যপাল নিজে অবশ্য। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে পাল্টা সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যপাল। রাজভবনের তরফে বেশ কয়েকটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। তবে সেই ভিডিও নিয়েও তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, এডিট করে ওই ভিডিও প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

মে ১১, ২০২৪
রাজনীতি

সিপিএম বা কংগ্রেস নয়, কেন বিজেপিতে? ব্যাখ্যা দিলেন সদ্য প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

সব জল্পনার অবসান। শেষমেশ বিজেপিতেই যোগদান করছেন বলে মঙ্গলবার ঘোষণা করলেন সদ্য ইস্তফা দেওয়া বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বেশ কয়েকমাস ধরেই চর্চায় ছিল অভিজিৎবাবুর রাজনীতিতে যোগদানের বিষয়টি। এক সাক্ষাৎকারে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি আইনজীবী তথা বাম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে গুরু হিসাবে মানেন। তারপরই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি কখনও রাজনীতিতে এলে সিপিআইএমে যোগ দেবেন তিনি। সেই সম্ভাবনা আর নেই। কেন সিপিআইএম বা কংগ্রেসে যোগ দিলেন না বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়? এদিন নিজের বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে যুক্তি দিয়ে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন সদ্য ইস্তফা দেওয়া এই বিচারপতি।অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বিজেপিই একমাত্র দল, যারা তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তাই এই দলেই যোগদান করলাম। তাঁর কথায়, শেষ সাত দিন বিজেপির সঙ্গে কথা হয়েছে। দুপক্ষের সহমতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওই দিনগুলিতে বিচারের কাজ করিনি। ছুটিতে ছিলাম।এরপরই বিস্ফোরক অভিজিৎ বলেন, তৃণমূল একটি দুষ্কৃতীদের দল বলে মনে করি। তৃণমূলকে আমি রাজনৈতিক দল বলেই মনে করি না। তৃণমূল হল একটি আদ্যোপান্ত যাত্রাদল। ওদের যাত্রাপালার নাম হল মা-মাটি-মানুষ। স্পষ্ট বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রকৃত রাজনীতিবিদ বলে আমি মনে করি। তবে অন্য যাঁর কথা বলছেন, তাকে আমি তালপাতার সেপাই বলে মনে করি।কে এই তালপাতার সেপাই? জবাবে অভিজিৎ বলেন, যাঁকে আপনারা সেনাপতি বলছেন। আমি কারও নাম করছি না। আমি তো এখানে কোনও কুকথা বলছি না। তাঁর নামটাকে আমি কুকথা বলে মনে করি। তালপাতার সেপাই বলেছে, বিচারব্যবস্থা ওর গ্রেফতারি আটকেছিল। তালপাতার সেপাই বিচার ব্যবস্থার কিছু জানেন না। ওঁর পেটে বোমা মারলেও কিছু বেরোবে না। তাঁর বিরুদ্ধে আদালত কিছু ব্যবস্থা নেয়নি, ওঁর ভাগ্য ভাল।অভিজিৎবাবুর ভবিষ্যদ্বাণী, তৃণমূল ভিতর ভিতর ভেঙে পড়ছে। এই দল বেশি দিন আর নেই। ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটে তৃণমূলের সেই অবস্থা হবে, যা ২০০৯ সালে সিপিএমের হয়েছিল। আর ২০২৬ সাল পর্যন্ত দলটাই থাকবে না। শুধু কয়েকটা গ্রেফতারির প্রয়োজন। তবে কাদের গ্রেফতারি প্রয়োজন তা এদিন স্পষ্ট করেননি তিনি।এরপরই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, সিপিএমে যোগ দেব না কারণ আমি ঈশ্বর বিশ্বাসী। ধর্মে বিশ্বাস করি। তাদের সঙ্গে আমার মিল হবে না। আর কংগ্রেস হল পারিবারিক জমিদারির একটা দল। এখানে জয়রাম রমেশের মতো শিক্ষিত মানুষেরা থাকেন। কিন্তু তাঁরা পদ পান না। রাহুল গান্ধীর মতো নেতাদের পিছনে থেকে যেতে হয়। তাই এ দলে যাওয়ার কোনও প্রস্নই নেই।

মার্চ ০৫, ২০২৪
রাজনীতি

জেলবন্দি অনুব্রত মন্ডলের বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সহসভাপতির পদত্যাগ, কেন?

গরুপাচার কাণ্ডে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি জেলবন্দি। এই সময়ে দল ছাড়লেন তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি বিপ্লব ওঝা। সেই সঙ্গে বীরভূমের জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করলেন তিনি। মঙ্গলবার ঘট করে সাংবাদিক সম্মেলনে দলত্যাগ ও পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন বিপ্লববাবু।একসময় বিপ্লব ওঝা বীরভূম জেলা কংগ্রেসের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি ছিলেন তিনি। ২০০৭-এ তিনি নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান হন। ২০০৯ বীরভূম লোকসভায় তৃণমূলের টিকিটে সংসদ শতাব্দী রায় জয়ী হন। তারপরই প্রথম সমস্ত কাউন্সিলর নিয়ে তৃণমূল যোগদান করেন বিপ্লববাবু। সে সময় নলহাটি পুরসভা রাজ্যে তৃণমূলের প্রথম দখলে আসে। পরবর্তী সময়ে তিনি নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান হন। নলহাটি বিধানসভার উপনির্বাচনে তিনি তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন। জিততে পারেননি। বামফ্রন্টের কাছে পরাজিত হন।পরবর্তীকালে তিনি তৃণমূলের টিকিটে জেলা পরিষদের সদস্য হন। কিন্তু তাঁকে কোন পদে রাখা হয়নি। কিন্তু বছরখানেক ধরে দলে ব্রাত্য করে রাখা হয় বিপ্লববাবুকে। সেই আক্ষেপেই তিনি দলত্যাগ করলেন বলে দাবি বিপ্লববাবুর। তবে এখনও কোন দলে যোগদান করছেন সে কথা না জানাননি। তবে আজই নলহাটিতে আসছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই মঞ্চেই বিপ্লববাবুর বিজেপিতে যোগদান করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। তিনি যে রাজনীতি থেকে সরে যাবেন না তা স্পষ্ট।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে সমবায় সমিতির ১০ জন সদস্যের ৮ জন গন-পদত্যাগ! পিছনে কি তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল?

পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল ও সংঘর্ষ। পূর্ব বর্ধমানের জামার সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে এই মূহুর্তে পরিচালন সমিতির সদস্য সংখ্যা দশ। এর মধ্যে একসাথে আটজনের পদত্যাগের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকে। পদত্যাগকারীদের অভিযোগ, যুব তৃণমূল কংগ্রেসের একটা গোষ্ঠী তাদের নানান ভাবে অপমান ও হেনস্থা করছে। যার কারণে সমবায়ে সম্মানের সাথে কাজ করা যাচ্ছে না।তাঁরা জানান, এবিষয়ে একাধিকবার উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। সেকারণেই পদত্যাগ বলে জানাচ্ছেন পদত্যাগীরা। এই সমবায় সমিতির সভাপতি সঞ্জয় কোনার বর্তমানে রায়ান ২ নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্য। তিনি এর আগে তৃণমূলের ব্লক সহ সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ও ছিলেন। এরকম একজন উচ্চনেতৃত্ব সহ আট জন একসাথে পদত্যাগ করায় যথেষ্ট বিড়ম্বনায় পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সঞ্জয় বাবু জানান, আমরা যে কজন সমিতির পরিচালনার দায়িত্বে আছি তারা সকলেই প্রবীণ, সম্মানের সাথে দল করে এসেছি। সঞ্জয় বাবু আরও বলেন, যুব তৃণমূলের কিছু দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা পদে পদে অপমানজনক কথাবার্তা বলে। এমনকি পঞ্চায়েতে গেলেও সেখানে অপদস্থ হতে হয়, তাই এই পদত্যাগ বলে জানান সঞ্জয় কোনার।অপর এক পদত্যাগী এই সমিতির সহ সভাপতি সেখ আপসিয়া জানান, আমরা সবাই তৃণমূল কংগ্রেস করি। কিন্তু তৃণমূলের যুব গোষ্ঠীর অত্যাচারে আমরা বাধ্য হই পদত্যাগ করতে। অপরদিকে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই যুব নেতা অরূপ গুপ্ত ও শেখর গাঙ্গুলিরা জানান, অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। কোনো হিসাব দিতেন না। আমরা হিসাব চাইতে গেলে আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করতেন। কেন সারের দাম বাড়লো গ্রামের মানুষ সেটা জানতে গিয়েছিল মাত্র। উল্টে এই যুব নেতারা অভিযোগ করেন, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য হলেও গ্রামের উন্নয়নের জন্য কিছু করেন নি।বিষয়টি নিয়ে বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কাকলি গুপ্ত তা জানান, কিছুদিন আগেই ব্লকের সিআই এর কাছে এলাকার চাষীরা অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি জানান, জামার সমবায় সমিতির সবচেয়ে বড় সমস্যা এদের বোর্ড চাষিদের কাছে হিসাব দিতে অনীহা। তিনি বলেন, যদি সব কিছু পরিষ্কার থাকে তাহলে হিসাব দিতে আপ্ততি কেন? কাকলি তা জানান, যখন পরিচালন সমিতি গঠন হয় তখন সঞ্জয় কোনার ও তার পেটুয়া লোকেদের নিয়ে কমিটি গঠন করেছিলেন। চাষীরা হিসাব চেয়ে পাচ্ছিলেন না, যারা গ্রাম চালাচ্ছে তাদের কাছে চাষীরা অভিযোগ করেছে।জামার সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের ম্যানেজার পাপাই কোনার জানালেন, একসাথে আটজনের পদত্যাগে সমবায়ে লেনদেনের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। আশাকরি খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

নভেম্বর ০৫, ২০২২
রাজ্য

অভিষেকের নির্দেশে সরতে হচ্ছে অভিযুক্ত দাঁইহাটের পুরপ্রধান শিশির মন্ডলকে

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। একেই নানা দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার মমতা-অভিষেকের দল। তরুণীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পরেই পূর্ব বর্ধমানের দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান শিশির মণ্ডলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য শিশির মণ্ডলকে জরুরি নির্দেশ দিয়েছেন।পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার শীর্ষ নেতৃত্বের এই নির্দেশের কথা প্রকাশ্যে আনেন। শিশির মণ্ডল তরুণীর অভিযোগ অস্বীকার করলেও ঘরে ও বাইরে তাঁকে নিয়ে নিন্দার ঝড় বাইছে। বিরোধীরা এই অভিরযোগকে হাতিয়ার করেশাসক দলের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করেছে। দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান শিশির মণ্ডলের সঙ্গে এক তরুণীর টেলিফোনে কথোপকথনের অডিও রেকর্ড মঙ্গলবার দুপুর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় পড়ে হয়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন,শিশির মণ্ডলকে চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন। দলের সেই নির্দেশ এদিন শিশির মন্ডলকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। দলের নির্দেশ মতো পদত্যাগ করবো বলে জানিয়ে দিয়েছেন শিশিরবাবু।

নভেম্বর ০৪, ২০২২
রাজনীতি

দলের দুর্নীতি ও গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে পদত্যাগ পঞ্চায়েত প্রধানের

পঞ্চায়েত প্রধানের পদত্যাগ। দুর্নীতির অভিযোগ ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে পদত্যাগ করলেন বীরভূমের দক্ষিণগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শিউলে দে। প্রধানের অভিযোগ, অর্থ তছরুপে বাধা দেওয়ায় তাঁকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। যদিও প্রধানকেই দুর্নীতিগ্রস্থ বলে অভিযোগ করেছেন দলের অন্য গোষ্ঠী।জানা গিয়েছে, বুধবার ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও-র কাছে নিজের পদত্যাগ পত্র জমা দেন দক্ষিণগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শিউলি দে। দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে গিয়ে দলের চাপে পড়ে তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়েছে বলে জানান শিউলি দে। তিনি বলেন, দলের নেতারা দুর্নীতিতে যুক্ত। দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত দলের অঞ্চল সভাপতি প্রণব ঘোষাল ও ব্লক সভাপতি তথা ময়ূরেশ্বরের বিধায়ক অভিজিৎ রায়। প্রতিবছর পুজোর আগে অঞ্চল সভাপতির মাধ্যমে আড়াই লক্ষ টাকা নিত ব্লক নেতৃত্ব। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় মোটা অঙ্কের টাকা বাড়ি প্রাপকদের কাছ থেকে কাটমানি নিত। এমনকি রুপশ্রী ও কন্যাশ্রীর টাকাও তুলত। সমস্ত উন্নয়নের ক্ষেত্রে কাটমানি নিত অঞ্চল সভাপতি। আমি এই দুর্নীতির প্রতিবাদ করেছিলাম। তাতেই আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। অভিজিৎ রায়কে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। কারণ তার কাছেও কাটমানির টাকা যেত। আমাকে অসুস্থ বলা হলেও আমি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছি।প্রধানের স্বামী জয়দেব দে বলেন, সমস্ত পঞ্চায়েত সদস্য আমাদের সঙ্গে ছিল। কিন্তু অঞ্চল কমিটি পঞ্চায়েত সদস্যদের কাজ করতে দিত না। নিজেরাই কাজ করত। তারা টিউবওয়েলের জিনিসপত্র নিয়ে এসেছে নিম্নমানের। ফলে কোন সদস্য ওই জিনিসপত্র নিতে চাইছে না। সেগুলি পঞ্চায়েতেই পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে।অঞ্চল সভাপতি প্রণব ঘোষাল বলেন, অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। উনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই পদত্যাগ করেছেন। ব্লক সভাপতি তথা বিধায়ক অভিজিৎ রায় বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রধানের সঙ্গে কোন সদস্যর হচ্ছিল না। তাই জেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে উনাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল।তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওনাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। এরপর উনি কি বললেন সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। ওনার সঙ্গে সদস্যদের হচ্ছিল না। তাই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে দলকে।

সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌সরে যাচ্ছেন?‌ পদত্যাগের জল্পনার রহস্য ফাঁস করলেন সৌরভ গাঙ্গুলি

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন সৌরভ গাঙ্গুলি? তাঁর পোস্ট করা একটা টুইট থেকে ছড়িয়ে পড়ে জল্পনা। মুহূর্তেই মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় তাঁর সেই পোস্ট। আলোড়ন ফেলে গোটা দেশে। ক্রিকেটপ্রেমীরা অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। অবশেষে সন্ধেয় জল্পনার ইতি টানেন সৌরভ নিজেই। পরিস্কার জানিয়ে দেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্টের পথ থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনও পরিকল্পনা এই মুহূর্তে তাঁর নেই। আসলে তিনি একটা শিক্ষামূলক অ্যাপ বাজারে নিয়ে আসছেন, তার জন্যই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন।সোশ্যাল মিডিয়ায় এদিন সৌরভ গাঙ্গুলি লেখেন, ১৯৯২ সালে ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর ৩০ বছর ক্রিকেটে কাটিয়েছি। ক্রিকেট আমাকে অনেককিছু দিয়েছে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আমাকে সবাই সাপোর্ট করেছে। আমার এই পথ চলার সময় যারা পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এবার আমি এমন একটা পরিকল্পনা করছি, যাদে অনেক মানুষের উপকার হবে। আশা করছি আমার জীবনের এই নতুন অধ্যায়ে সবাই পাশে দাঁড়াবেন।সৌরভের এই টুইট দেখে সবাই ভাবতে শুরু করেন, তিনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়তে চলেছেন। সৌরভকে ফোনে ধরতে না পেরে অনেকেই ভারতীয় বোর্ডের সচিব জয় শাহর শরণাপন্ন হন। বোর্ড সচিব জয় শাহ সংবাদ সংস্থাকে জানান, সৌরভ গাঙ্গুলি বিসিসিআইয়ের পদ ছা়ড়েননি। তেমন কোনও পরিকল্পনার কথাও তাঁর জানা নেই। সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বাধীন বিসিসিআই এখন আইপিএলের মিডিয়া ও সম্প্রচার স্বত্ত্বাধিকারী চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। সেখানে সৌরভ সরে যাবেন এমনটা বোর্ডের কেউ বিশ্বাসই করতে পারেননি। তবে বোর্ডের আধিকারিকদের মধ্যেও টেলিফোনে যোগাযোগ শুরু হয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। কেন না, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আইসিসির পরবর্তী চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে ফেভারিট বলে মনে করা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সৌরভদের মেয়াদ শেষের কারণে বোর্ড থেকে সরতে হলে অন্য কথা। নাহলে সৌরভ-জয় শাহরাই এগিয়ে নিয়ে যাবেন ভারতীয় ক্রিকেটকে।pic.twitter.com/JrHOVvH3Vi Sourav Ganguly (@SGanguly99) June 1, 2022সন্ধেয় সব জল্পনার অবসান ঘটান সৌরভ নিজেই। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এই মুহূর্তে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে পদত্যাগের প্রশ্নই নেই। এমন একটি সাধারণ পোস্ট কীভাবে ভাইরাল হল তাতে আমি নিজেও অবাক। শীঘ্রই একটি এডুকেশনাল বা শিক্ষামূলক অ্যাপ বিশ্বজুড়ে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। এটা আমার নিজস্ব ভেঞ্চার। খুব শীঘ্রি এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জনসমক্ষে নিয়ে আসা হবে। এই টুইটের সঙ্গে স্কুল তৈরির কোনও যোগ নেই।

জুন ০১, ২০২২
রাজ্য

শিক্ষামন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের মাঝেই হঠাৎ ইস্তফা এসএসসি চেয়ারম্যানের, শোরগোল

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের খবরে যখন রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড় ঠিক তখনই ইস্তফা দিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সিদ্ধার্থ মজুমদার। জানা গিয়েছে, তিনি শিক্ষা দফতরের সচিব মণীশ জৈনের কাছে ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। মাত্র চার মাসের মধ্য়ে তিনি ইস্তফা দিলেন। এসএসসি চেয়ারম্যানের হঠাৎ এই ইস্তফায় ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে। চলতি বছর জানুয়ারিতে দায়িত্ব নিয়েছিলেন সিটি কলেজের বাণিজ্য বিভাগের অধ্যাপক সিদ্ধার্থ মজুমদার।সূত্রের খবর, এসএসসির চেয়ারম্যান পদে আইএএসকে নিয়োগ করতে চাইছে সরকার। এসএসসি নিয়ে ক্রমাগত দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় শিক্ষা দফতরের ভাবমূর্তি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। আদালতের নির্দেশে শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় নয়, এসএসসির উপাদেষ্টা সহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। সেক্ষেত্রে এসএসসি চেয়ারম্যান পদটি সম্পূর্ণ প্রশাসনিক স্তরে আনতে চাইছে সরকার। তাই এই পদত্যাগের নির্দেশ বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, তাছাড়া শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী সংক্রান্ত তথ্য গতকাল ভার্চুয়াল শুনানিতে আদালতে জানিয়েছেন সিদ্ধার্থ মজুমদার। এর আগে এসএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন শুভঙ্কর সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে।

মে ১৮, ২০২২
রাজ্য

বঙ্গ বিজেপিতে একাধিক শীর্ষ নেতার পদত্যাগ, রহস্য খুঁজছেন কেন্দ্রীয় সম্পাদক

বঙ্গবিজেপি থেকে একাধিক শীর্ষ পদাধিকারী পদত্যাগ করায় রহস্য খুঁজছেন দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষ রাজ্য সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। জেলা সভাপতি সম্পর্কে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন গৌরিশংকর ও বহরমপুরের বিধায়ক সুব্রত মৈত্র। এই প্রসঙ্গে ফেসবুক পোস্টে প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরা লিখেছেন যাঁরা মাটি কামড়ে পড়ে রইল তাঁরা পদত্যাগ করছেন। অন্যদিকে যাঁদের এতদিন গুরুত্ব দেওয়া হল তাঁরা দল ছেড়ে চলে গেলেন। তাঁর কথায়, রাজ্য থেকে দূরে গিয়ে সংগঠনের কাজ করতে চাইছেন অনেকেই।গৌরীশংকর ঘোষ জেলায় মন্ডল সভাপতি নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, জেলা পদাধিকারী, বিধানসভার প্রার্থী, দুই বিধায়ক, জেলা অবজার্ভার, জোন অবজার্ভারের উপস্থিতিতে ৫১টি মন্ডলে সর্বসম্মত মন্ডল সভাপতি স্থির হয়েছিল। পরে দেখা ১৮ জন মন্ডল সভাপতিকে নিজের ইচ্ছেমত পরিবর্তন করেছেন জেলা সভাপতি। পুরো বিষয়টা সংগঠনের রাজ্য সংগঠন মন্ত্রী ও জেলা সভাপতিকে লিখিত ও মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু বিষয়টিকে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তাই আমার মনে হয়েছে রাজ্য সম্পাদক পদে থাকার কোনও যৌক্তিকতা আমার নেই। গৌরীশঙ্করবাবু রাজ্য সভাপতিকে এই মর্মে লিখে পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। যদিও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।গৌরীশঙ্কর ঘোষের মতো রাজ্য কর্মসমিতির সদস্য বাণী গঙ্গোপাধ্যায়, দীপঙ্কর চৌধুরীও দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলে রাজ্য সভাপতির কাছে পদত্যাগের ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন। একসঙ্গে একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব পদত্যাগ করায় তোলপাড় রাজ্য বিজেপি। আসানসোল লোকসভা ও বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের পর রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্বের অকর্মন্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এদিন পদত্যাগ প্রসঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বকে ব্যাঙ্গ করলেন অনুপম হাজরা।ফেসবুকে অনুপম লিখেছেন...আসল রহস্যটা কিকেন এতগুলো ইস্তফা একসঙ্গে, সেটা রাজ্য বিজেপির খুব গুরুত্ব সহকারে বিচার-বিশ্লেষণ করা উচিত !!!আমি যতদূর জানি গৌরীশংকর বাবু একজন ভালো সংগঠক !!! যাদেরকে এতদিন গুরুত্ব দেয়া হলো তারা সব দল ছেড়ে চলে গেছে, আর যারা এতদিন মাটি কামড়ে পড়ে ছিলো, তারা ইস্তফা দিচ্ছেন !!!আর এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা আমার মতো, যারা বঙ্গ-বিজেপির অসময়ে -----...মানে যখন পশ্চিমবঙ্গে মানুষ বিজেপিতে যোগ দিতে ভয় পেত অর্থাৎ বঙ্গ-বিজেপির সুসময়ে যোগ দেওয়া রাজিব-সব্যসাচী এবং কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মত জামাই আদর খাওয়া মানুষদের বিজেপিতে আসার অনেক আগে....------ বিজেপিতে যোগদান করে, রাস্তায় নেমে যথেষ্ট পরিমাণে আন্দোলনও করেছিলো যখন অন্যদের মাঠে নেমে আন্দোলন করতে দেখা যেত না, তৃণমূলের কাছ থেকে যথেষ্ট পরিমাণে পুলিশ কেসও খেয়েছে আর এখন প্রতিনিয়ত দাদা মাঠে নামুন, আপনাদের আর আন্দোলনে দেখা যায় না কেন? শুধু সোশ্যাল মিডিয়াতে লেকচার দিলে হবে ?? - এই ধরনেরপ্রশ্নের সম্মুখীন হন.......কিন্তু তবুও রাজ্য বিজেপি থেকে দূরে, দিল্লিতে বা অন্য রাজ্যে পার্টির কাজ করতেই বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করে !!!....আসল রহস্যটা কি ???!!!

এপ্রিল ১৭, ২০২২
রাজনীতি

মতুয়া, জঙ্গলমহল ছাড়িয়ে এবার পূর্ব বর্ধমানের বিজেপি শিবিরে বিদ্রোহ, সভাপতি পদ ছাড়লেন যুব নেতা

রাজ্য ছাড়িয়ে এবার পূর্ব বর্ধমানের বিজেপি শিবিরেও ছড়িয়ে পড়ল বিদ্রোহের আগুন। বিজেপির জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে দলের যুব সভাপতির পদ ছাড়লেন শুভম নিয়োগী। পদত্যাগ করেই তিনি জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ ও একনায়কতন্ত্রসহ একাধিক অভিযোগ সামনে এনে সোচ্চার হয়েছেন। সামনেই বর্ধমান সহ গোটা জেলার পাঁচটি পৌরসভার নির্বাচন। তার প্রাক্কালে জেলা বিজেপি শিবিরে বিদ্রোহ শুরু হওয়ায় উৎফুল্ল তৃণমূল শিবির। শুভম নিয়োগী এদিন বলেন, তাঁর বয়স যখন ১৭ তখন থেকে তিনি বিজেপি পার্টি করছেন। শুধুমাত্র বিজেপি পার্টি করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ১৪ টি মামলা হয়েছে। দুবারে ২৮ দিন জেল খেটেছেন। ২০ বছর বয়সে জেলা যুব সভাপতির দায়িত্ব পান। বর্তমান জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ তা দলের হয়ে তেমন কোনও আন্দোলনই সংঘটিত করতে পারেননি। তিনি ভয়ে নিজের বাড়িতে বা ফ্লাটেও থাকেন না। অথচ জেলা সভাপতি হয়ে তিনি নিজের ইচ্ছেমত জেলা কমিটি বানিয়ে ফেলেছেন। যে কমিটিতে জেলার গুরুত্বপূর্ণ নেতারা কেউ স্থান পাননি। শুভববাবু বলেন, এই সব ঘটনার তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু জেলা সভাপতি নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকেন। সেই কারণেই জেলা যুব সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে শুভম নিয়োগী জানিয়েছেন। এদের এনিষ্ঠ কর্মী হয়েই এবার জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে পথে নেবে প্রতিবাদ আন্দোলন সংঘটিত করবেন বলে শুভম নিয়োগী এদিন হুঁশিয়ারী দিয়েছেন। জেলা বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে শুধু শুভম নিয়োগী বিদ্রোহ ঘোষনা করেছেন এমনটা নয়। তলে তলে জেলা বিজেপির অনেক নেতা ও কর্যকর্তা বিদ্রোহ শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, সামনেই বর্ধমান সহ জেলার পাঁচ পৌরসভার নির্বাচন। তার আগে তৃণমূলের নানা দুর্নীতির খবর মিডিয়াতে উঠে আসছে। কিন্তু সেইসব বিষয় নিয়ে জেলা বিজেপি সভাপতি আন্দোলন নামার কোন আগ্রহই দেখাচ্ছেন না। এমনকি অন্যান্য রাজ্যনৈতিক দলগুলি দেওয়াল লিখন শুরু করলেও জেলা বিজেপি এখনও সেই কর্মসূচি শুরুই করতে পারেনি। বিদ্রোহীদের আরও অভিযোগ, পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রচুর ভোটার রয়েছেন। সেই মতুয়া সম্প্রদায়ের কাউকেই নতুন জেলা কমিটিতে রাখেননি নতুন জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ তা। এইসব বিষয়গুলি রাজ্য নেতৃত্বকে অভিযোগ আকারে জানিয়েছেন শুভম নিয়োগী সহ অন্য বিদ্রোহীরা।বিদ্রোহীদের এইসব অভিযোগ বিষয়ে জেলা সভাপতি অভিজিৎ যদিও কোন প্রতিক্রিয়া দিতে অস্বীকার করেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপত্র তথা পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের সহ- সভাধিপতি দেবু টুডু বিজেপি শিবিরের এই বিদ্রোহ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন ,রাজ্য থেকে জেলা সর্বত্রই বিজেপি শিবিরে বিদ্রোহ চরম পর্যায়ে পৌছেছে। গোটা বিজেপি দলটাই পচে গিয়েছে। রাজ্যের মানুষও ওদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আর কিছুদিন বাদ এই রাজ্যে বিজেপি দলটাই সাইনবোর্ডে পরিণত হয়ে যাবে ।

ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২২
রাজনীতি

PAC-Suvendu: পিএসি নিয়ে 'রাজনীতিকরণ'-্এর বিরুদ্ধে রাজভবনে শুভেন্দু, প্রচার চলবে গোটা দেশেও

পিএসির চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়কে মনোনিত করাকে তৃণমূলের অষ্টম আশ্চর্য বলে আখ্যা দিয়ে রাজ্যপালের কাছে ফের একবার দরবার করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এমনকী, এই ঘটনায় স্পিকারকেও সরাসরি আক্রমণ করলেন তিনি। এদিকে, মঙ্গলবার বিধানসভার ৮ কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে গণইস্তফা দেন বিজেপি বিধায়করা। এরপর শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা যান রাজভবনে। রাজ্যপালের হাতে তুলে দেন স্মারকলিপি। সেখান থেকে বেরিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, বিজেপির পরিষদীয় দলের মতামত না নিয়ে ৮টি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান পদে বিজেপি বিধায়কদের বসিয়েছিলেন স্পিকার। পিএসি চেয়ারম্যান নিয়ে রাজনীতিকরণের জন্য তা প্রত্যাখ্যান করেছি। এর পাশাপাশি তৃণমূলের বিরুদ্ধে সংসদীয় ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের অভিযোগে গোটা দেশে বিজেপি প্রচার চালাতে চলেছে বলেও জানান শুভেন্দু। আরও পড়ুনঃ মারা গেলেন ১৯৮৩ বিশ্বকাপের নায়ক, শোকস্তব্ধ গোটা দেশবিধানসভার নিয়ম কানুন এবং রীতি-নীতির রক্ষক রাজ্যপাল। মুকুল রায়কে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান বেছে নিয়ে তা জলাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু। রাজ্যপালের সঙ্গে প্রায় আধঘণ্টার সাক্ষাৎ করেন। বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্পিকারের উদ্দেশে তোপ দেগে বলেন, যেই ব্যক্তি সর্বসমক্ষে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। টুইটারে নিজেকে তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে। তাঁকে বিজেপি বিধায়ক হিসেবে উল্লেখ করে পিএসি-র চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করছেন অধ্যক্ষ। তৃণমূল যেটা করেছে এটা পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য।এই বিষয়ে যাতে গোটা দেশ জানতে পারে তা নিশ্চিত করতে যে স্মারকলিপি রাজ্যপালের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে, তা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এবং দেশের অন্যান্য রাজ্যেও পাঠানো হবে বলে জানান শুভেন্দু। বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল সশরীরে গিয়েই রাষ্ট্রপতিকে বিষয়টি জানাবে বলেও তিনি উল্রেখ করেন।

জুলাই ১৩, ২০২১
রাজনীতি

Resignation: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সম্প্রসারণঃ যুব মোর্চার সভাপতি পদ ছাড়লেন সৌমিত্র

রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি পদ ছাড়লেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। ফেসবুক ও টুইটার পোস্টে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার পদ থেকে সরে দাঁড়ালাম, কিন্তু বিজেপির সঙ্গেই থাকছি। এদিকে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে হতে চলেছে কেন্দ্রে। সেই মন্ত্রিসভায় রাজ্য থেকে নতুন চারজন সাংসদ জায়গা পেতে চলেছেন বলে খবর।বিজেপিতে ছিলাম,বিজেপিতে থাকবো,বিজেপি জিন্দাবাদ। নরেন্দ্র মোদী জিন্দাবাদ। pic.twitter.com/TLnNFQK8Zd Saumitra khan (@KhanSaumitra) July 7, 2021একদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এরাজ্যের যুব সাংসদরা যখন শপথ নিতে চলেছেন, ঠিক তার কয়েক ঘণ্টা আগে সভাপতি পদ ছাড়লেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই দুটি ঘটনার মধ্যে বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরেই জঙ্গলমহল-রাঢ়বঙ্গ নিয়ে পৃথক রাজ্যোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন সৌমিত্র। উল্লেখ্য, সৌমিত্রর স্ত্রী সুজাতা খাঁ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে যোগ দেন। আরামবাগ কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থীও হয়েছিলেন।আরও পড়ুনঃ শিব- পার্বতীর বিবাহ স্থলেকেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে পারেন শান্তনু ঠাকুর, নিশীথ প্রামাণিক, জন বার্লা ও সুভাষ সরকার। এই মন্ত্রীসভাশ জায়গা না পেয়েই সম্ভবত গোঁসা হয়েছে সৌমিত্রর। এমনই ধারনা রাজনৈতিক মহলের।

জুলাই ০৭, ২০২১
কলকাতা

মুখ্য প্রশাসক পদে ইস্তফা ফিরহাদের

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের পরই তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত। পদ থেকে সরানোর আগেই কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সংকেত নিয়ে শনিবার গভীর রাতে পুরসচিব খলিল আহমেদের কাছে ইস্তফাপত্র তিনি পাঠিয়ে দিয়েছেন। পুর প্রশাসক পদে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে রাখা চলবে না। শনিবারই রাতেই এই নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন । আজ, রবিবার সকালেই অতীন ঘোষ, দেবাশিস কুমাররাও পদত্যাগ করেছেন। ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও একইভাবে অন্যান্য পুরসভার প্রশাসকরাও ইস্তফা দেবেন বলে খবর। বিজেপির অভিযোগের জেরে শনিবার রাতে নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে, ২ মে পর্যন্ত কোনও পুরসভায় রাজনৈতিক ব্যক্তিরা প্রশাসক থাকতে পারবেন না। সোমবার সকাল ১১টার মধ্যে তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই নিজেদের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন পুর প্রশাসকরা।করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের বহু পুরসভা এবং পুরনিগমের নির্বাচন সময়মতো করানো যায়নি। যার ফলে মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে প্রাক্তন পুরবোর্ডের সদস্যদের। কিন্তু নাগরিক পরিষেবা যাতে ব্যহত না হয় তা নিশ্চিত করতে অস্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে পুরসভার কাজ পরিচালনা করার জন্য প্রশাসকমণ্ডলী তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। বিদায়ী মেয়র বা পুরপ্রধানদেরই সেই প্রশাসকমণ্ডলীর মাথায় বসানো হয়। বিদায়ী কাউন্সিলরদের ওই প্রশাসক বোর্ডের সদস্য হিসেবে নিয়োগ করা হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে কলকাতা পুরনিগমের পুরপ্রশাসক পদে এতদিন অস্থায়ীভাবে নিযুক্ত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। একইভাবে শিলিগুড়ি পুরনিগমের পুরপ্রশাসক পদে বসানো হয়েছিল অশোক ভট্টাচার্যকে। কিন্তু ভোটের বাজারে এই অস্থায়ী ব্যবস্থা চলবে না বলে জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।

মার্চ ২১, ২০২১
কলকাতা

নিয়ম মেনে করা হয়নি, অধ্যক্ষের দাবি গৃহীত হয়নি শুভেন্দুর পদত্যাগ

মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর গতকাল বিধানসভা ভবন এসে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকায় তার সচিবের হাতে ইস্তফা পত্র জমা দেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী নিজের তরফ থেকে তৃণমূলের সঙ্গে এত বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করলেও তাঁর পদত্যাগপত্র নিয়ে বিতর্ক রয়ে গেল। কারণ গতকালই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করেছিলেন, শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগপত্র বিধিসম্মত নয়, সুতরাং সেটি গ্রহণ করা যায়নি। এদিনও সংবাদ মাধ্যমের সামনে একই কথা আরো একবার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন তিনি। আরও পড়ুন ঃ অগণতান্ত্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী, আইপিএস পোস্টিং নিয়ে তোপ মমতার এদিন বিধানসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফাপত্র বিধিসম্মত নয়। আজ তিনি সচিবের থেকে সেই ইস্তফাপত্র হাতে পেয়েছেন, সেটি পরীক্ষা করে দেখার ব্যাপার আছে। পরীক্ষা করার পর তিনি সেই প্রেক্ষিতে একটি অর্ডার দেবেন। যতক্ষণ না সেই অর্ডার দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত বলা যায়না শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়েছে বা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। অর্ডার এর পরেই সম্পূর্ণ বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে তিনি এও ইঙ্গিত দিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত পদত্যাগপত্র গৃহীত বা প্রত্যাখ্যান না করা হলেও পরবর্তী ক্ষেত্রে তা গ্রহণ করা যেতেই পারে। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে সেই পদত্যাগপত্র খুঁটিয়ে পরীক্ষা করার উপর এবং অর্ডারের ওপর। কিন্তু ততক্ষণ পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারী খাতায়-কলমে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক পদেই রয়েছেন। একইসঙ্গে ইস্তফাপত্র একই ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে তার ব্যাপারে কিছুই বলতে চাননি বিধানসভার অধ্যক্ষ। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যে অর্ডার বেরোবে সেটা দেখলেই বোঝা যাবে আসল ব্যাপার কি। তবে তিনি ইস্তফা পত্র গ্রহণ করবেন কি করবেন না সে ব্যাপারে এখন থেকেই ইঙ্গিত দিতে চাইলেন না বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, গতকাল বিকেল চারটে নাগাদ বিধানসভা ভবনে পৌঁছে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইস্তফা দিতে যান শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেই সময় সেখানে ছিলেন না তিনি। অতঃপর স্পিকারের সচিবের কাছে সেই পদত্যাগপত্র পেশ করেন তিনি। গতকালই বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আগে বিধানভবনে গিয়ে তিনি ইস্তফাপত্র দেখবেন, তারপর আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবেন। তার আগে এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নয়। বিমানের কথায়, শুভেন্দু অধিকারীর যেভাবে সচিবের হাতে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন সেটা বৈধ নয়, এইভাবে পদত্যাগপত্র সচিবের হাতে দিয়ে পদত্যাগ করা যায় না।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
কলকাতা

শুভেন্দুর ছেড়ে যাওয়া তিনটি দফতর নিজের হাতেই রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী

শুভেন্দুর ছেড়ে যাওয়া তিন দফতরের দায়িত্ব নিজের হাতে রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, সেচ, পরিবহণ, জলসম্পদ দফতরের দায়িত্ব ছিল শুভেন্দু অধিকারীর হাতে। পরিবহণ দপ্তরের দায়িত্ব পেতে পারেন ফিরহাদ হাকিম বা অরূপ বিশ্বাস, এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। সেচদপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে, এই গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেই সম্ভাবনা পালটে যায়। ফিরহাদের কাঁধে আপাতত পুর, নগরোয়ন্নয়ন দপ্তরের ভার। অরূপ বিশ্বাসের হাতে দুটি দপ্তরের ভার ক্রীড়া, যুবকল্যাণ। এই সবকটি দপ্তরই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া তাঁদের সংগঠনেরও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব আছে। আরও পড়ুন ঃ আমি দলেই আছিঃ রাজীব শুক্রবার বিকেলে শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার পরই জরুরি বৈঠকে দলের শীর্ষনেতাদের নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সভাপতি সুব্রত বক্সি, দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, ছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেখানে প্রায় ঘণ্টা দুই ধরে বৈঠকের পর ঠিক হয় দপ্তর বণ্টনের বিষয়টি।

নভেম্বর ২৭, ২০২০
নিবন্ধ

হরসিমরতের ইস্তফার নেপথ্যে

কয়েকদিন আগেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন কৃষিনীতির সমর্থন করেছিলেন। এমন কী হলো হঠাৎ সুর বদলে কৃষিনীতিরই বিরোধিতা করে ইস্তফা দিলেন হরসিমরত কউর বাদল? এ নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে জল্পনা। মোদী মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফার কারণ হিসেবে প্রধানত তিনটি বিষয়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন কউর। কৃষি পরিষেবা ও কৃষিপণ্যের মূল্য নিশ্চয়তার বিষয় যেমন আছে, তেমনই আছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধন সংক্রান্ত বিষয়টিও। একই সঙ্গে পদত্যাগী মন্ত্রী বিরোধিতা করেছেন কৃষিপণ্যের বাণিজ্য সংক্রান্ত অধ্যাদেশও। এই তিনটি বিষয় কউর পদত্যাগের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। অধ্যাদেশে কৃষিপণ্যের বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে বলা হয়েছে, কৃষকরা নিজেদের এলাকা ছাড়াও অন্যত্র উৎপাদিত পণ্য বিপণনের সুযোগ পাবেন। অর্থাৎ বাংলার কৃষক তাঁর পণ্য যেমন অন্য রাজ্যে বিপণন করতে পারবেন, তেমন উল্টোটাও সত্য। তবে চাল, গম-সহ বেশ কিছু পণ্য নোটিফায়েড এলাকার বাইরে বিক্রি করতে পারবেন না। এ ছাড়া বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চাষিরা চুক্তি করে কৃষিপণ্যের উৎপাদনের সংস্থানের বিষয় রাখা হয়েছে অধ্যাদেশে। কিন্তু গোল বেঁধেছে অন্যত্র। যদি অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয় সেক্ষেত্রে কৃষকরা কী করবেন? অন্যত্র বিপণনের সুযোগ তো থাকছেই না, সেই সঙ্গে সরকারের যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য তা থেকে বঞ্চিত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই-ই নয়, বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করলে সেক্ষেত্রেও কৃষক তাঁর জমি তথা ফসলের অধিকার হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর ফলে সবচেয়ে ক্ষতির শিকার হতে পারেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা। যদিও অধ্যাদেশ নিয়ে সাফাই দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। সরকারি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য থেকে বঞ্চিত হওয়ার অধ্যাদেশ উড়িয়ে দিয়ে আশ্বস্ত করেছেন কৃষকদের। সেই সঙ্গে সমর্থন করেছেন বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তির বিষয়টিও। এতে কৃষি ও কৃষিপণ্যের আধুনিকীকরণ সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তোমর। একই সঙ্গে চুক্তির সুফল হিসেবে একদিকে যেমন কৃষিপণ্যের বেশি দাম পড়বে, তেমনই উন্নতমানের বীজ ও সার মিলবে বলে জানিয়েছেন তোমর। শেষ পর্যন্ত অধ্যাদেশ অর্ডিন্যান্সে পরিণত হলে ফোঁড়েরা সবচেয়ে অসুবিধায় পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তেমনই এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অনেকেরই কাজ হারানোর আশঙ্কা। যদিও নতুন কৃষিনীতি নিয়ে বসে নেই সরকারও। পাঞ্জাব, হরিয়ানায় নতুন কৃষিনীতির বিরোধিতা করে শুরু হয়েছে আন্দোলন। এক্ষেত্রে বিরোধীরা আন্দোলনকে উস্কানি দিচ্ছে বলে রেকর্ড বাজাচ্ছে। তবে নয়া নীতির পক্ষে যতই সওয়াল করা হোক না কেন, হরসিমরতের ইস্তফা চাপে ফেলেছে মোদী সরকারকে। সামনে বিহার নির্বাচন। কৃষিনীতি জনদরদী হলে, কেন প্রথমে সমর্থন করে পরে সরে দাঁড়ালেন হরসিমরত, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০

ট্রেন্ডিং

দেশ

পাকিস্থানে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধবংস, জম্মুসহ দেশের বহু শহরে ব্ল্যাক আউট, ৩টে পাক যুদ্ধবিমান ভূপাতিত

অপারেশন সিন্দুরের পর লাহোরে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করে পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারত। পহেলগাঁওয়ে বর্বরোচিত জঙ্গি হামলার জবাবে ভারত অপারেশন সিন্দুর-এর মাধ্যমে তার যোগ্য জবাব দিয়েছে। ভারত গতকাল পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে নির্ভুল হামলা চালানো হয়। সন্ধ্যের পর থেকে জম্মু-কাশ্মীর ও গুজরাটের বহু শহর ব্ল্যাক আউট করা হয়েছে। জম্মুতে ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে পাকিস্তান। দুটি যুদ্ধ বিমান গুলি করে ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ৭ ও ৮ মে মধ্য রাতে পাকিস্তান ভারতের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে। অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, চণ্ডীগড়, ভুজ সহ ১৫টি শহরে এই হামলার চেষ্টা করা হয়। তবে, ভারতের কাউন্টার ইউএএস (Unmanned Aerial System) ও এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা সফলভাবে এই আক্রমণগুলিকে প্রতিহত করে। এদিকে ভারতের পাল্টা পদক্ষেপে লাহোরে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লাহোরে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এই তথ্য নিশ্চিত করে। অন্যান্য সীমান্তবর্তী এলাকাতেও বিস্ফোরণের খবর আসে। লাহোরে এয়ার ডিসেন্স সিস্টেম গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কুপওয়ারা, বারামুল্লা, উরি, পুঞ্চ, মেন্ধার ও রাজৌরি সেক্টরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মর্টার শেল নিক্ষেপে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জন নিরীহ নাগরিকের। তাদের মধ্যে রয়েছেন ৩ জন মহিলা ও ৫ জন শিশু। পাশাপাশি সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান ৭ মে রাতে অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথালা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, বাথিন্ডা, চণ্ডীগড়, এবং ভুজ-এর মতো উত্তর ও পশ্চিম ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থান লক্ষ্য করে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী সেই হামলাগুলি সফলভাবে প্রতিহত করে।

মে ০৮, ২০২৫
রাজ্য

উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম বর্ধমানের রুপায়ন পাল, জয়জয়কার পূর্ব বর্ধমানের

ভারতীয় সেনাারা অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে গুড়িয়ে দিয়েছে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। মঙ্গলবার ভোররাতের ওই ঘটনায় বেজায় খশি এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম স্থান পাওয়া বর্ধমান সিএমএস হাই স্কুলের ছাত্র রুপায়ন পাল। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭ (৯৯.৪ শতাংশ)। বুধবার ফল প্রকাশের পর কৃতী ছাত্র রুপায়ন সাংবাদিকদের বলে, ভারতীয় সেনারা যে প্রত্যাঘাত করেছে সেটা যথেষ্টই প্রশংসনীয়। প্রত্যেক ভারতীয় জন্য এটা গর্বের। উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার আরও ছয় কৃতী ছাত্র ছাত্রী।রুপায়ন পালেদের আদি বাড়ি ভাতারের খেড়ুর গ্রামে। তবে এখন তাঁরা থাকেন বর্ধমান শহরের সুভাষপল্লী কালীতলায়। রূপায়ণের বাবা রবীন্দ্রনাথ পাল জামালপুর থানার জৌগ্রাম হাই স্কুলের শিক্ষক। মা জয়শ্রী পাল ভাতারের ভাটাকুল স্বর্ণময়ী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা।রুপায়ন জানিয়েছে, মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় আমি পঞ্চম স্থানে ছিলাম।উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা ভাল হলেও মেধা তালিকার একেবারে প্রথম স্থানে আমি থাকব, এতটা আমি আশা করিনি।রুপায়ন জানিয়েছে, তাঁর এই সাফল্যের পিছনে সবথেকে বড় অবদান রয়েছে তাঁর বাবা ও মায়ের।পাঠ্য পুস্তক পড়ার পাশাপাশি গল্পের বই পড়ার প্রতিও যথেষ্ট ঝোকঁ রয়েছে রুপায়নের। তাঁর প্রিয় লেখক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রিয় চরিত্র ব্যোমকেশ। উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফল করার জন্য দৈনিক ১২-১৩ ঘন্টা পড়াশুনা করেছে রুপায়ন। কৃতী এই ছাত্র ডাক্তার হতে চায়। তার জন্য সে জয়েন্ট পরীক্ষাও দিয়েছে বলে জানিয়েছে। ডাক্তার হতে চাওয়ার কারণ ব্যাখ্যাও করেছে রুপায়ন।তবে শুধু রুপায়ন পালই নয়, মাধ্যমিকের মতই উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার একাধীক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা জায়গা করে নিয়েছে। মেধা তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে জেলার কাটোয়া কাশীরাম দাস ইনস্টিটিউশনের ছাত্র ঋদ্ধিত পাল এবং ভাতার এম পি হাইস্কুলের ছাত্র কুন্তল চৌধুরী। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩ (৯৮.৬ শতাংশ)। এছাড়াও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে কাটোয়া ডি ডি সি গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী দেবদত্তা মাঝি ও মেমারির ভি এম ইনস্টিটিউশন (শাখা ১) এর ছাত্র জয়দীপ পাল। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর-৪৯২ (৯৮.৪ শতাংশ)। ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় দেবদত্তা ৭০০ নম্বরে মাধ্যম ৬৯৭ নম্বর পেয়ে রাজ্যে প্রথম হয়েছিল।ইতিমধ্যেই এবছর জয়েন্ট এন্ট্রান্সের (JEE মেন) প্রথম সেশনের পর দ্বিতীয় সেশনেও ১০০-য় ১০০ পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে কাটোয়ার দেবদত্তা মাঝি। এবছরের উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকার সপ্তম স্থানে এবং দশম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলে দুই কৃতী ছাত্র শুভম পাল ও অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়। সপ্তম স্থানাধিকারী শুভমের প্রাপ্ত নম্বর - ৪৯১ (৯৮.২ শতাংশ)। আর দশম স্থান থাকা অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৮ (৯৭.৬ শতাংশ)।

মে ০৭, ২০২৫
দেশ

জৈশ এ মহম্মদের মাথা মাসুদ আজহারের ডেরায় আক্রমণ, তাঁর পরিবারের ১৪ জন নিহত

অপারেশন সিন্দুরের সবচেয়ে বড় লক্ষ্যবস্তু ছিল বাহাওয়ালপুরে অবস্থিত জইশ-ই-মোহাম্মদের সদর দপ্তর, যার নেতৃত্বে ছিলেন কুখ্যাত সন্ত্রাসী মাসুদ আজহার। আজহারকে শেষবার বাহাওয়ালপুরে সংগঠনটির মাদ্রাসার কাছে দেখা গিয়েছিল, যেখানে ওই মাদ্রাসাটি একটি নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করত, পাশাপাশি সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য তহবিল সংগ্রহের উৎসও ছিল। ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলি হাফিজ সাইদের লস্কর-ই-তৈয়বার সাথে সম্পর্কিত মুরিদকেতে সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সহ এই মাদ্রাসাটি ধ্বংস করে দিয়েছে। সূত্রের খবর, মাসুদ আজহারের পরিবারের ১৪জন সদস্য নিহত হয়েছেন। তাঁর ভাই এি হামলায় মারা গেছেন বলে খবর। প্রাথমিক অনুমান অনুসারে প্রায় ৭০ জন জঙ্গিকে নির্মূল করা হয়েছে এবং ভারতীয় ভূখণ্ডে আক্রমণ চালানোর জন্য ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। ভারতীয় বাহিনীও পাকিস্তানের বিমান হামলার প্রতিশোধমূলক লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে, পাকিস্তানি F-16 এবং JF-17 যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে, যার মধ্যে একটি JF-17 ,আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহার করে ভূপাতিত করা হয়েছে।প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়ন অনুসারে, এই হামলার আকার এবং নির্ভুলতা ভারতের নিরাপত্তা নীতিতে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। এটি প্রথমবারের মতো অভিযানগুলিকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সীমাবদ্ধ রাখার পরিবর্তে ভারত পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডের গভীরে, পাঞ্জাব প্রদেশে, আক্রমণ করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন যে এই পদক্ষেপটি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ভারত সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদকে মেনে নেবে না এবং তার নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

মে ০৭, ২০২৫
দেশ

পহেলগাঁওয়ের বদলা নিল ভারত, পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা

অবশেষে চরম বদলা নিল ভারত। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পাল্টা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে গুড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনা। একেবারে বেছে বেছে নির্দষ্ট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে বিধ্বংসী হামলা চালানো হয়েছে। ভারত এই অপারেশনের নাম দিয়েছে অপারেশন সিন্দুর। এই বদলার খবর ভারতীয় সেনার তরফেই প্রকাশ করা হয়েছে।ভারত পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে তার মধ্যে ৪টি পাকিস্তানের পাঞ্জাবের বাহাওয়ালপুর এবং মুরিদকে এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মুজাফফরাবাদ এবং কোটলিতে। এই সমস্ত এলাকাই সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি। এদিকে জম্মু বিভাগের কমিশনারের জারি করা নির্দেশ অনুযায়ী, আজ, ৭ মে (বুধবার) জম্মু, সাম্বা, কাঠুয়া, রাজৌরি এবং পুঞ্চ জেলায় সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বিশেষ করে পুঞ্চ জেলায় নিরাপত্তা সতর্কতা জারি হওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে পুঞ্চ জেলার সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয় আজ, ৭ মে ২০২৫, বন্ধ থাকবে।আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গর্বিত।OperationSindoor হল পহেলগামে আমাদের নিরীহ ভাইদের নৃশংস হত্যার প্রতি ভারতের প্রতিক্রিয়া। ভারত এবং তার জনগণের উপর যে কোনও আক্রমণের উপযুক্ত জবাব দিতে মোদী সরকার বদ্ধপরিকর। ভারত সন্ত্রাসবাদকে তার মূল থেকে নির্মূল করতে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।এদিকে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটিতে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পাকিস্তানি বাহিনীর আন্তঃসীমান্ত গোলাবর্ষণে জম্মু ও কাশ্মীরে কমপক্ষে সাতজন নাগরিক নিহত এবং ৩৮ জন আহত হয়েছেন। পাক গোলাবর্ষণে মেন্ধরে একজন এবং পুঞ্চে ৬ জন নিহত হয়েছেন। ২০২৫ সালের ৬-৭ মে রাতে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বিপরীতে আন্তর্জাতিক সীমান্তের পোস্ট থেকে কামান থেকে গোলাবর্ষণ সহ নির্বিচারে গুলিবর্ষণ শুরু করে। এই তথ্য জানিয়েছেন উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডের জনসংযোগ কর্মকর্তা (প্রতিরক্ষা) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুনীল বারাতওয়াল।

মে ০৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal