• ৩০ কার্তিক ১৪৩২, বুধবার ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

PURBA BARDHAMAN

রাজ্য

বিজেপি রাজ্য সভাপতির 'লক্ষীর ভাণ্ডারে ২০০০ টাকা' প্রসঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়া জ্যোতিপ্রিয়র

সুকান্ত মজুমদারের ম্যাচুরিটির অভাব আছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে লক্ষীর ভাণ্ডারের টাকা ২০০০ করে দেওয়া হবে, সুকান্ত মজুমদারের করা এই মন্তব্যর পরিপ্রেক্ষিতে বর্ধমানে এসে প্রতিক্রিয়া বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের।বর্ধমান জেলা রাইস মিলস এ্যাসোসিয়েশনের পরিচালনায় বর্ধমানের আলমগঞ্জের কল্পতরু ময়দানে চতুর্থ বছর রাইস মিল মেসিনারীর আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর সমাপতি অনুষ্ঠানে রবিবার বর্ধমানে উপস্থিত ছিলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্যের করেন বনমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওদের কাছে আতঙ্কের বিষয়বস্তু হয়ে গেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখলে ওরা আঁতকে উঠছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র ভবিষ্যৎ কম্পিটিটার যিনি মোদিকে সরাতে পারে ভারতের রাজনীতি থেকে। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির যে ফলাফল হয়েছিল তার থেকে ৫০শতাংশ ভোট কমে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগও তোলেন এদিন বন মন্ত্রী।

নভেম্বর ২৭, ২০২২
রাজ্য

নারী সুরক্ষা আর শিশুশ্রমের বার্তা ছড়িয়ে দিতে পদব্রজে আরামবাগ থেকে পাড়ি সুদূর লাদাখ!

অনেক সময় আমরা দেখেছি ভ্রমণ প্রিয় কিছু মানুষ বাইকে করে না হলে সাইকেলে করে দেশ ভ্রমণে বেড়িয়েছেন। সঙ্গে কখনো পরিবেশ সচেতনতা আবার কখনো বৃক্ষরোপনের প্রয়োজনীয়তা সহ বিভিন্ন বিষয়ে নানান বিষয় সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেন তারা। কিন্তু একেবারে অন্যরকম আরামবাগ থেকে পায়ে হেঁটে পাড়ি দিচ্ছেন সুদূর লাদাখ। তাঁর নাম প্রদীপ মণ্ডল। আরামবাগের নতুন বাসস্ট্যাণ্ড সংলগ্ন একটি রেস্তোরাঁতে ওয়েটারের কাজ করেন তিনি।আরামবাগ থেকে লাদাখ যেতে প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে তাকে। নারী সুরক্ষা প্রদান আর শিশুশ্রম বন্ধ করার বার্তা ছড়িয়ে দেবেন পথ চলতি মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলেই। প্রদীপের মতে দেশে পুরুষরা যেভাবে সুরক্ষিত সেভাবে মহিলারা কিন্তু সুরক্ষিত নন। দিনের বেলা সমস্যা খুব বিশেষ না হলেও রাতে একা রাস্তায় বেরোতে গেলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় মহিলাদের। সাধারণ মানুষকে সচেতন করা প্রয়োজন। এছাড়াও টাকা রোজগারের আশায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছোট ছোট শিশুদেরকে শ্রমিকের কাজে লাগানো হচ্ছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তাদের ছেলেবেলা। তাই সেই ছোট ছোট শিশুগুলোর ছেলেবেলাটা যাতে নষ্ট হয়ে না যায় তারা যেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মুখী হয়ে উঠতে পারে তারই বার্তা ছড়িয়ে দেবেন সকলের মধ্যে।শুক্রবার আরামবাগ থেকে যাত্রা শুরু করে শনিবার প্রদীপ মণ্ডল এসে পৌঁছেছেন পূর্ববর্ধমানের রায়নার মিরেপোতা এলাকায়। ৯০ দিনের মধ্যে পৌঁছাতে চান তিনি লাদাক। নিজের সুরক্ষার জন্য ইতিমধ্যেই পুলিশ এবং প্রশাসনের থেকে অনুমতি নিয়েছেন। আর বাদবাকি সম্বল বলতে পথ চলতি মানুষের ভালোবাসা।

নভেম্বর ২৬, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানের কমন ফেসিলিটি সেন্টারে জরি এণ্ড জারদৌসি কারখানা

কমন ফেসিলিটি সেন্টার নামে জরি এণ্ড জারদৌসি শিল্পের জন্য কারখানা তৈরি হলো পূর্ব বর্ধমানের সেহারা অঞ্চলের বাজিতপুর গ্রামে। সেহারা বাজার জরি এণ্ড জারদৌসি প্রডাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং ইণ্ডাস্ট্রিয়াল ক্লাসটার কোঅপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামক এই শিল্পে ৫০০ থেকে ৬০০ জন মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। মূলত মহাজনী কারবারের মাধ্যমে এতদিন চলছিল এই শিল্প। যার সুবিধা পাচ্ছিল মহাজনরাই।করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বহু পরিযায়ী শ্রমিককে ভিন রাজ্য থেকে নিজেদের এলাকায় ফিরে আসতে হয়েছিল। কাজ হারিয়ে বসেছিলেন। তারা এবার জরি এবং যারদৌসি শিল্পে তাদের কর্মসংস্থান হাওয়ায় তারা খুশী।

নভেম্বর ২৬, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে স্কুল ভেঙে ক্লাব! অভিযোগ পেয়ে তদন্তে শিক্ষা দপ্তর ও পুলিস

একটি বন্ধ থাকা স্কুল ভেঙে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হল বর্ধমানে। এই ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে বর্ধমানের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৪ নম্বর শাঁখারীপুকুর এলাকায়।৪ নম্বর শাঁখারীপুকুরের সেবক সংঘের পাশে একটি প্রাইমারী স্কুল ৩০ বছর ধরে বন্ধ অবস্থায় ছিল। স্কুলে ছাত্র বা শিক্ষক কেউই যেত না। শুক্রবার সকালে ক্লাবের মাঠ সংলগ্ন স্কুলটিকে সেবক সংঘের সদস্যরা ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ এলাকায় যায়। ততক্ষণে অবশ্য স্কুলবাড়িটিকে ভেঙে ফেলা হয়েছে।জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ডিআই স্বপন দত্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সরকারি জায়গার উপরেই স্কুলটি আছে। ৩০ বছর ধরে ওই প্রাথমিক স্কুলটি বন্ধ হয়ে আছে। আমরা খবর পেয়ে লোক পাঠাই। পাশাপাশি পুলিশও যায়। অবশ্য ততক্ষণে বাড়িটি সম্পূর্ণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে তিনি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানকে জানাবেন।ক্লাবের সভাপতি তমালকান্তি মণ্ডল বলেন, পঞ্চাশ বছরের পুরনো বাড়ি। পাঁচ ইঞ্চি দেওয়াল দেওয়া টিনের চালের বাড়িটি ভগ্নদশা অবস্থায় ছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষকে আমরা বহুবার বাড়িটি ভাঙার জন্য অনুরোধ করেছি। কারণ পাশেই আমাদের খেলার মাঠ আছে। ওখানে বাচ্চারা খেলে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। স্কুল কর্তৃপক্ষের লোকজনও বেশ কয়েকবার এখানে এসে দেখে গেছেন। কিন্তু ওই অবস্থাতেই ছিল। আমরা ভাঙ্গিনি। ভগ্নদশা বাড়িটি আপনা আপনিই ভেঙে পড়ে। আমরা আজ পরিস্কার করছিলাম বলে তিনি সাফাই দেন।ঘটনাস্থলে যান বর্ধমান সদর আরবান ২ স্কুল ইনস্পেকটর কিশোর কুমার দাস। তিনি বলেন, ডিআইয়ের নির্দেশে এসেছেন। ভগ্নদশা অবস্থায় স্কুলটি দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। কিন্তু এভাবে ভেঙে ফেলা ঠিক হয় নি। এটি ডিপিএসির জায়গা। তিনি ডিআইকে গোটা বিষয়টি জানাবেন।

নভেম্বর ২৬, ২০২২
রাজ্য

রাইস মিল মেসিনারীর আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী বর্ধমানে

বর্ধমান জেলা রাইস মিলস এ্যাসোসিয়েশনের পরিচালনায় বর্ধমানের আলমগঞ্জের কল্পতরু ময়দানে চতুর্থ রাইস মিল মেসিনারীর আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী শুরু হল। ২৫ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিন ধরে এই প্রদর্শনী চলবে।এই মেলায় দেশী-বিদেশী প্রায় ১৭০টি কোম্পানির আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ মেশিনারী এবং প্রদর্শনীর স্টল বসেছে। বিশ্বের প্রায় ২০টি দেশের মানুষ এই এক্সপোতে মিলিত হয়েছেন তাদের বিশ্বমানের প্রযুক্তিতে তৈরি মেশিনারী নিয়ে।প্রদর্শনী থেকে উপকৃত হবেন পূর্ব বর্ধমান জেলা সহ রাজ্যের একাধিক জেলার এই ট্রেডের ব্যবসায়ীরা।২০১৫ সালে প্রথম এই মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৭, ১৯ সালে করার পর ফের এবছর এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। তিনদিনের এই মেলায় বিচিত্রা অনুষ্ঠানের আয়োজন রাখা হয়েছে।শুক্রবার মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা সভাধিপতি সম্পা ধারা, পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন প্রমুখ।

নভেম্বর ২৫, ২০২২
রাজনীতি

উত্তপ্ত রায়না, শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তেজনা ছড়ালো এলাকায়

ফের রায়নায় গণ্ডগোল। শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তেজনা ছড়ালো। মিছিলে না যাওয়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান ও তার স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠলো ব্লক সভাপতির অনুগামীদের বিরুদ্ধে।বুধবার বিকালে রায়না ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে বাইক র্যালি ও পথসভার আয়োজন করা হয় রায়নার বৈঠারি গ্রামে। অভিযোগ সেই সভায় যোগ না দেওয়ায় কাইতি পঞ্চায়েতের প্রধান তনুজা বেগম ও তার স্বামী সেখ সিরাজকে মারধর করে ব্লক সভাপতির অনুগামীরা। বৃহস্পতিবার সকালে একটি স্কুটিতে করে পঞ্চায়েত অফিসে যাচ্ছিলেন তনুজা বেগম। সঙ্গে ছিলেন তার স্বামী সেখ সিরাজ। তিনি আবার রায়না ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কিষাণ মোর্চার সভাপতি। অভিযোগ, পঞ্চায়েতে যাবার সময় অসীম পালের লোকজন তাদের রাস্তা আটকায়। স্কুটি দাঁড় করিয়ে সেখ সিরাজকে মাটিতে ফেলে মারধর করে গ্রামেরই চার তৃণমূল কর্মী। রায়হান ওরফে বুড়ো, সাহারো, মনি ও মিরাজ এই চারজন হামলা করে বলে অভিযোগ। প্রধান তনুজা বেগম আটকাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। এরা সকলেই তৃণমূল ব্লক সভাপতি অসীম পালের ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ করেন প্রধান। তাদের আলমপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর প্রধান তনুজা বেগমকে ছেড়ে দেওয়া হলেও সেখ সিরাজকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই অসীম পাল টেলিফোনে জানিয়েছেন, ওই প্রধান নিজেকে শাহেনসা মনে করেন। অঞ্চলের লোককে বিশেষ পাত্তা দেন না। অঞ্চলে যা কাজ হয় সবটাই নিজেদের সুবিধার্থে করে। প্রধানের বাড়িতে বসেই টেণ্ডার হয়। বাড়িতেই দুতিনজন কনট্রাকটর আছে তারাই সব কাজ করে বলে অভিযোগ। গ্রামে মসজিদে যাবার রাস্তা খারাপ অথচ প্রধানের বাড়ির সামনের রাস্তা ভালো। এটা এলাকাবাসীদের ক্ষোভের কারণ হতে পারে। এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন সম্পর্ক নেই বলে জানান সভাপতি।বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, বিষয়টি শুনেছি। যে বা যারা প্রধানের উপর আক্রমণ করেছে পুলিশকে বলবো তাদের বিরুদ্ধে যথাযত ব্যবস্থা নিতে।

নভেম্বর ২৪, ২০২২
রাজ্য

অসুস্থ মেয়ে দৈব বলে সুস্থ হবে, আশায় মন্দিরে হত্যে দিয়ে পড়ে মা ও কন্যা

চিকিৎসায় মেয়ে সুস্থ না হলেও বিশালাক্ষী রঙ্কিনীদেবী মাতার কৃপাতেই সুস্থ হয়ে উঠবে বিকলাঙ্গ মেয়ে। এমন বিশ্বাসে ভর করে সেই কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমার দিন থেকে অসুস্থ মেয়ে ঋতু মুদিকে সঙ্গে নিয়ে দেবীর মন্দিরে হত্যে দিয়ে পড়ে আছেন মা তাপসী মুদি। তাঁদের এখন ঠিকানাই হয়ে গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার গোপিকান্তপুর গ্রামে থাকা রঙ্কিনীদেবীর মন্দির। ঘর বাড়ি সব ছেড়ে এসে দিন রাত সেখানে থেকেই মেয়ের সুস্থতার জন্য দেবীর কাছে প্রার্থনা করছেন অসহায় মা। এইসব কিছুকে এলাকার বিজ্ঞান মনস্ক ব্যক্তি ও চিকিৎসকরা টেরা চোখে দেখলেও তাপসীদেবী দাবি করেছেন, তাঁর মেয়ে রঙ্কিনী দেবীর কৃপায় সুস্থ হচ্ছে।জামালপুরের চকদিঘী পঞ্চায়েত এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম গোপিকান্তপুর। এই গ্রামের এক পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ডাকাতিয়া খাল। সেই খালের পাশেই রয়েছে বিশালাক্ষী রঙ্কিনীদেবী মাতার প্রাচীন মন্দির। বিকলাঙ্গ হয়ে পড়া মেয়ে ঋতুকে সুস্থ করে তুলতে মা তাপসী দেবীও ভরসা রেখেছেন রঙ্কিনীদেবী মাতার উপরেই।গোপিকান্তপুর গ্রামের মুদি পাড়ায় বাড়ি তাপসী দেবীর। তাঁর স্বামী যাদব মুদি পেশায় খেত মজুর। দারিদ্রতাই তাঁদের নিত্যসঙ্গী। তাপসীদেবী জানান, তাঁর মেয়ে ঋতু ছোট থেকে সুস্থই ছিল। পড়াশুনাও করছিল গ্রামের বাণী নিকেতন রঙ্কিনী মহুলা বিদ্যালয়ে। ক্লাস সিক্সে পড়ার সময়েই ঋতুর শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে শুরু করে। ওই সময়ে ঋতুর মুখ দিয়ে লালা ঝরা শুরু হয়, কথাও জড়িয়ে যেতে থাকে। এমনকি কমতে শুরু করে দুই হাতের শক্তি ও দুপায়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতা। তাপসীদেবী বলেন, তখন থেকেই চিকিৎসার জন্য ঋতুকে কোলে করে নিয়ে আমি ও আমার স্বামী বিভিন্ন জায়গার ডাক্তার বাবুর কাছে যাই। অনেক কষ্ট করে পয়সা জোগাড় করে ডাক্তার বাবুদের লিখে দেওয়া ওষুধ কিনে মেয়েকে খাইয়েছি। মেয়ের অনেক শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করান। এই ভাবে বছরের পর বছর ধৈর্য্য ধরে বর্ধমান হাসপাতাল সহ বিভিন্ন ডাক্তার বাবুর পরামর্শ মেনে সব কিছু করেন। তা করাতে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা করানোর সব টাকাও শেষ হয়ে যায়। ছোট বয়স থেকে চিকিৎসা শুরু হওয়া মেয়ের বয়স এখন ১৯ শে পৌঁছেছে। কিন্তু মেয়ে সুস্থ হয় নাই। রোগটার নাম সেরিব্রাল পলসি (সিপি)।তাপসীদেবী বলেন,রঙ্কিনীদেবী মাতা আমায় স্বপ্নে দেখা দেন। দেবী মা আমাকে আদেশ করেন, আমার অসুস্থ মেয়েকে সুস্থ করার জন্য আমায় মেয়েকে নিয়েই মন্দিরে পড়ে থাকতে হবে। তাই রঙ্কিনীদেবীর আদেশ মতই এই বছরের কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমার দিন ঘর বাড়ি সব ছেড়ে অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে দেবীর মন্দিরে চলে আসেন। সেই থেকে মন্দির সন্মুখের আটচালায় ঠাঁই নিয়ে দেবীর কাছে শুধুই মেয়ের সুস্থতা কামনায় দিন রাত প্রার্থনা জানিয়ে যাচ্ছেন বলে তাপসীদেবী জানান।এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান গৌরসুন্দর মণ্ডল বলেন,দেবীর মাহত্ম্যে অসুস্থ মেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠছে কিনা এইসব নিয়ে কোন যুক্তি তক্কে তিনি যেতে চান না। কারণ প্রবাদই আছে ,বিশ্বাসে মিলায় বস্তু- তর্কে বহু দূর। গৌরসুন্দর বাবুও স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনিও বিশ্বাস করেন দেবী বিশালাক্ষী রঙ্কিনী মাতার কৃপায় অনেক অসম্ভবই সম্ভব হতে পারে। বিজ্ঞানমঞ্চের সভাপতি চন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় বলেন, মঙ্গলে রকেট যাচ্ছে। আর এখনো মানুষ এসব বিশ্বাস করছে। আমরা গ্রামে যাবো।

নভেম্বর ২৩, ২০২২
রাজ্য

শস্যগোলা বর্ধমানে বাংলাদেশী ধান চাষ করে ফলন দ্বিগুণ, খুশি ভাতারের কৃষকরা

বাংলাদেশী ফাতেমা জাতের ধান চাষ হচ্ছে এবার শস্যগোলা পূর্ব বর্ধমানে। জেলার ভাতারে এই ধান চাষ করে অন্যান্য ধানের চেয়ে ফলন দ্বিগুণ হয়েছে। পাশাপাশি উৎপাদন খরচ অনেকটাই কম হওয়ায় স্বভাবতই খুশি ভাতারের কৃষকরাফাতেমা জাতের ধান গাছে রোগ পোকার আক্রমণ কম। অন্যান্য ধানের শীষে যেখানে ২০০ থেকে ২৫০ টি ধানের দানার সংখ্যা হয়,সেখানে ফাতেমা জাতের ধানের শীষে দানার সংখ্যা প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০টি।ভাতারের কৃষক শেখ আব্দুল হানিফ জানান, ফাতেমা নামক ধান বাংলাদেশে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। নাম শুনে তিনি তাঁর আত্মীয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বীজ সংগ্রহ করেন। প্রায় দুবিঘে জমিতে ধান চাষ করে লাভের মুখ দেখেন তিনি।তাঁর দাবি অন্যান্য ধানের চেয়ে ফাতেমা নামক ধানের ফলন দ্বিগুণ।রোগ পোকার আক্রমণ কম। স্বল্প সেচে, স্বল্প সময়ে ধান পাওয়া যায়।এই ধানের চালের ভাত অত্যন্ত সুস্বাদু। তিনি অন্যান্য কৃষকদের এই ধান চাষ করার অনুরোধ জানান । এই ধান চাষ করে তিনি খরচের তুলনায় অনেকটাই লাভের মুখ দেখেছেন।

নভেম্বর ২৩, ২০২২
রাজ্য

কলা বিক্রেতার সাথে বাক বিতণ্ডা! আপাতত শ্রীঘরে কলা ক্রেতা

দিন দুপুরে বর্ধমান শহরে এক কলা বিক্রেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠলো এক কলা ক্রেতার বিরুদ্ধে। এদিন বর্ধমান তিনকোনিয়া বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় ৫০ থেকে ৬০ বছরের এক বৃদ্ধা কলা বিক্রি করেন। ওই কলার দোকানে এক যুবক কলার দাম দর করার পরই চড়াও হয় কলা বিক্রেতার উপর। এবং ওই বৃদ্ধাকে মারধর করে ওই যুবক বলে অভিযোগ করে স্থানীয় বাসিন্দারা। এই কলা বিক্রেতা কে মারধর করার সময় ছুটে আসে স্থানীয় দোকানদাররা এবং ওই যুবককে আটকে রেখে বর্ধমান থানায় খবর দেয়। ঘটনাস্থলে আসে বর্ধমান থানার পুলিশ এবং ওই যুবককে আটক করে বলে জানা যায়।

নভেম্বর ২২, ২০২২
রাজ্য

প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবাধে চলছে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য

বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। এক দিকে ওভার লোডিংয়ের জন্য রাস্তার বেহাল দশা। অপরদিকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি। কার্যত প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অভাধে চলছে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য।পূর্ব বর্ধমানের মেমোরি ২নম্বর ব্লকের ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েই কার্যত প্রতিদিনই চলছে অতিরিক্ত বালি বোঝাই ট্রাক ও ডাম্পার। মোটা টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কাদের মদতে অতিরিক্ত বালি পাচার করা হচ্ছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মেমারির দামোদরের বালি ঘাটগুলি থেকে ওভারলোডিং ট্রাক ও ডাম্পার গুলি পাল্লা রোড ধরে বিনা বাধায় ২ নম্বর জাতীয় সড়কে উঠছে। মেমারী থানার অন্তর্গত পাল্লা রোড সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে চারটি বালিঘাট।রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী মাস তিনেক আগে বর্ধমানে এসে বৈঠকে ওভারলোডিং গাড়ি বন্ধের কথা জানিয়েছিলেন। তার কথায়, অতিরিক্ত বা ওভারলোডিং ট্রাক বা ডাম্পার চললে ক্ষতিগ্রস্ত হয় জাতীয় সড়কের মত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় সরকারি রাজস্বের। সুতরাং কোনভাবেই ওভারলোডিং গাড়ি চালানো যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোথায় সেই নজরদারী? আগের মতই প্রকাশ্যে ওভারলোডিং ট্রাক ও ডাম্পার চলছে। এবিষয়ে ড্রাইভারদের জিজ্ঞাসা করা হলে, তারা অকপটে স্বীকার করে নেয় ডাম্পারে অতিরিক্ত বালি নিয়ে যাছে। প্রশ্ন উঠছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্বেও কিভাবে প্রকাশ্যে চলছে ওভারলোডিং বালি।এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সহসভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, প্রশাসনকে আরো নজরদারি বাড়াতে বলা হবে। যাতে কেউ কোথাও ওভারলোড করতে না পারে।

নভেম্বর ২১, ২০২২
রাজ্য

আবার বর্ধমানে অস্ত্র উদ্ধার! গ্রেপ্তার ২

পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের জেলা থেকে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র। গ্রেপ্তার ২। রাজ্য পুলিশের এসটিএফ গোপন অভিযান চালিয়ে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর ও মুর্শিদাবাদের ডোমকল থেকে গ্রেপ্তার করেছে দুজনকে। ধৃতদের নাম কুরবান আলি ও রাকেশ মোল্লা। তাদের থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি বন্দুক। শনিবার তোলা হবে কালনা মহকুমা আদালতে। এদিন ধৃত কুরবান আলী শেখ তিনি জানায়, তিনি এই অস্ত্রটি অন্যত্র বিক্রি করে যাবার পরিকল্পনা ছিল তার। সেই সময় পুলিশ তাকে হাতেনাতে ধরে। কিন্তু কোথা থেকে তিনি এই বন্দুক কিনেছেন? তার সেই প্রশ্নের উত্তরেই উঠে এসেছে একাধিক অসঙ্গতি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

নভেম্বর ১৯, ২০২২
রাজ্য

'জন প্রতিনিধি মানে জনগণের প্রতিনিধি', সকলকে নিয়ে চলার বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী

জনগণের প্রতিনিধি। সুতরাং জনগণকে আমাদের সার্ভিস দেওয়ার কাজ বলে জনপ্রতিনিধিদের দাওয়ায় দিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের জৌগ্রামের আমড়া মোড়ে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে মহিলাদের নিয়ে চলো গ্রামে যাইয়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় তিনি বলেন, শুধু ভোট নয়,আমি তো চাইবো ভোটটা আমাদের দিক। কিন্তু তাতেও তার একটা রাজনৈতিক দল করার অধিকার আছে। অন্য কাউকে ভোট দিতে পারেন। কিন্তু তার জন্য তিনি জল পাবেন না,বাড়ি পাবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এইটা বিশ্বাস করেন না। সবাইকে দেবে।এটা মনে রাখতে হবে। আপনি যখন গ্রামে যাবেন হয় আপনি পঞ্চায়েত সদস্য বা পঞ্চায়েত সমিতির কিংবা জেলা পরিষদের। আপনি জনগণের প্রতিনিধি। তাই জনগণকে আমাদের সার্ভিস দেওয়া কাজ। আমরা সিপিএম নই, আমাদের সঙ্গে মিছিলে না গেলে সুযোগ সুবিধা পাবে না। আমরা এই বিশ্বাসে রাজনীতি করি না তিনি মন্তব্য করেন।অন্যদিকে তিনি বলেন, ডিসেম্বর মাসে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে কোন ভয়ের নয়। ভয় তো বিজেপিই খাচ্ছে। ওরা তো দাঙ্গা বাঁধানো দল। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন পুলিশ প্রশাসনকে সর্তক থাকতে।

নভেম্বর ১৭, ২০২২
রাজনীতি

চাঞ্চল্যকর মন্তব্য বিধায়কের! বাংলাদেশ থেকে যারা নতুন আসছে তাঁরা সবাই বিজেপির

নতুন লোক আসছেই। নতুন লোক মানে সব বাংলাদেশ থেকে আসা লোক। তাদের ভোট বেশি তুলতে যাওয়া বেশি ক্ষতি। কারণ তারাতো বেশি হিন্দু হিন্দু করে বেশীটাই ভোট দিয়ে দেয় বিজেপিকে। এটাকে নিয়ে অস্বীকার করার কিছু নেই। নতুন লোকের ভোট তুলবেন যারা আমাদের দলের সাথে যুক্ত তাদের। বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক খোকন দাসের এই মন্তব্য ঘিরে তৈরী হয়েছে বির্তক।মঙ্গলবার বর্ধমানের টাউনহলে বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটার লিষ্ট সংক্রান্ত বুথ ভিত্তিক এজেন্টদের আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন বিধায়ক খোকন দাস। যা ঘিরে জেলায় আলোড়ন শুরু হয়ে গেছে।বিজেপি বর্ধমান জেলা কমিটির সহ-সভাপতি তথা জেলা মুখপাত্র সৌম্যরাজ ব্যানার্জীর অভিযোগ, এর মাধ্যমেই প্রমাণিত হচ্ছে যে তৃণমূলই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে বিজেপি নয়। বাংলাদেশ থেকে আসা লোক সম্পর্কে যদি বিধায়কের কাছে কোন তথ্য থাকে তাহলে বিধায়কের উচিত ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি না করে সেই তথ্য রাজ্য ও কেন্দ্রকে জানানো। আমরা তো এই কারণেই সিএএ লাগু করার কথা বলেছি,যার প্রযোজনীয়তা আজ বিধায়কের কথাতেই স্পষ্ট।যদিও পূর্ব-বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, বিজেপিই অভিযোগ করেছিল পশ্চিমবাংলায় বাংলাদেশী লোক ঢুকছে তো বিধায়ক এটাই বলতে চেয়েছেন যে বাংলাদেশ থেকে যদি কোনো লোক ঢোকে তাদের নাম ভোটার লিষ্টে তুলবেন না। অযথা কথার অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তৃণমূল ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না। সিএএ লাগু করা বিজেপির একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। ভোটের সময়ই তা প্রতিফলিত হয়।

নভেম্বর ১৬, ২০২২
রাজ্য

খুদে স্কুল পড়ুয়াদের রসগোল্লা খাইয়ে রসগোল্লা দিবস পালন তৃণমূল নেতা অপার্থিব ইসলামের

ইতিহাস বাঁচিয়ে রাখতে গ্রামের আটচালায় শতাধিক খুদে পড়ুয়াকে নিয়ে বসলো রসগোল্লার পাঠশালা। বাংলার রসগোল্লার খ্যাতি এখন বিশ্বজুড়ে। ২০১৮ সালে জিআই স্বীকৃতি মেলার পর থেকে প্রতি বছর ১৪ নভেম্বর দিনটিকে রসগোল্লা দিবস হিসেবে পালিত হয় ঠিকই।কিন্তু এই বিশেষ দিনটির তাৎপর্য ও রসগোল্লা সৃষ্টির ইতিহাস সম্পর্কে খুদে পড়ুয়ারা এখনও সেভাবে ওয়াকিবহাল নয়। তা জানাতে মঙ্গলবার শতাধিক খুদে স্কুল পড়ুয়াকে রসগোল্লা খাইয়েই রসগোল্লার সৃষ্টি ইতিহাসের পাঠ দিলেন পূর্ব বর্ধমানে খণ্ডঘোষের জনপ্রতিনিধিরা। একবারে শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে তাঁরা খুদে পড়ুয়াদের কাছে তুলে ধরলেন রসগোল্লার সৃষ্টি কর্তার পরিচিতি ও কাহিনী।বাংলার প্রসিদ্ধ মিষ্ঠান্ন গুলির অন্যতম হল রসগোল্লা। এই রসগোল্লা সৃষ্টির ইতিহাসও বহু প্রাচীন। ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী নদীয়া জেলার হারাধন ময়রাকে রসগোল্লার প্রথম সৃষ্টিকর্তা বলে ধরা হয়।তবে কলকাতার বাগবাজারের নবীনচন্দ্র দাস ওরফে নবীন ময়রাকে আধুনিক স্পঞ্জ রসগোল্লার প্রথম সৃষ্টিকর্তা বলে ধরা হয়।১৮৬৮ সালে নবীন ময়রাই গোটা পৃথিবীতে রসগোল্লার পরিচিতি ঘটিয়ে ছিলেন বলে ধরা হয়। তাই তাঁকেই রসগোল্লার কলম্বাস বলে উল্লেখ করা হয় ।ছানা, ময়দা ও চিনি সহযোগে তৈরি রসগোল্লা নিয়ে গর্ববোধ করেন না এমন কোন বাঙালি মেলাই ভার।এই রসগোল্লার জিআই স্বীকৃতি (Geographical Indication) পেতেও পশ্চিমবঙ্গকে মিষ্টি লড়াইয়ে সামিল হতে হয় ওড়িষ্যার সঙ্গে।শেষ পর্যন্ত বাংলাই ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর জয় করে জিআই স্বীকৃতি।রসগোল্লার এই গর্বের ইতিহাস খুদে পড়ুয়াদের কাছে তুলে ধরতে মঙ্গলবার বিকেলে খণ্ডঘোষের জনপ্রতিনিধিরা বাদুলিয়া গ্রামের পীড়তলার আটচালায় একটি শিক্ষা মূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।সেই অনুষ্ঠানে শিক্ষকের ভূমিকায় সামিল হন খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের সদস্য অপার্থিব ইসলাম।তাঁর সঙ্গে সহ শিক্ষকের ভূমিকা পালন করেন অপর জেলাপরিষদ সদস্য তথা স্কুল শিক্ষক বিশ্বনাথ রায় ,সগড়াই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুখেন্দু পাল ,স্কুল শিক্ষক অনাবিল ইসলাম এবং স্থানীয় শিক্ষানুরাগী শেখ কামাল উদ্দিন। প্রায় শতাধিক স্থানীয় স্কুল পড়ুয়া আটচালায় রসগোল্লার ইতিহাস বিষয়ের পাঠ নিতে উপস্থিত হয়। তাদের সবার হাতে প্রথমে রসগোল্লা তুলেদেন আপার্থিব ইসলাম সহ অন্য সকল জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষকরা।তাঁরা তার পর খুদে পড়ুয়াদের রসগোল্লা সৃষ্টির ইতিহাস নিয়ে পাঠদান শুরু করেন।তাঁরা রসগোল্লার সৃষ্টিকর্তার পরিচিতি,রসগোল্লা সৃষ্টির সময়কাল,কি কি উপকরণ দিয়ে কি ভাবে রসগোল্লা তৈরি হয় এবং ওড়িষ্যার সঙ্গে কতটা মিষ্টি যুদ্ধের পর বাংলার রসগোল্লা জিআই স্বীকৃতী লাভ করে,সেইসব কিছুই খুদে পড়ুয়াদের কাছে তুলে ধরেন।বাংলার গৌরবের রসগোল্লার ইতিহাস নিয়ে শিক্ষক ও জনপ্রতিনিধিদের পাঠদান অভিভাবক মহলের প্রশংসা কুড়োয়।পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল তাঁদের দলীয় কর্মীদের ভোট রাজনীতির পাঠ দিচ্ছেন।তা না করে এমন সময়ে হঠাৎ করে গ্রামের আটচালায় খুদে পড়ুয়াদের রসগোল্লা নিয়ে পাঠদানের কি প্রয়োজন হল? এই প্রশ্নের উত্তরে অপার্থিব ইসলাম বলেন, বাংলার রসগোল্লা জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। তার পর থেকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে বাংলার রসগোল্লার প্রসিদ্ধি। তার জন্য প্রতিবছর ১৪ নভেম্বর রসগোল্লা দিবস পালিত হয়।এই রসগোল্লা দিবস পালনে শহর এলাকার মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা উৎসাহ দেখালেও গ্রাম বাংলায় তেমনটা হয় না। সেই কারণে গ্রামের খুদে পড়ূয়ারাও জানতে পারে না কেন বাংলার রসগোল্লা বিখ্যাত? রসগোল্লা সৃষ্টির ইতিহাসটাই বা কি?অপার্থিব বাবু বলেন,আজকের খুদে পড়ুয়ারা বাংলার আগামী ভবিষ্যৎ। তাঁরা যদি বাংলার গর্বের রসগোল্লা সমন্ধে অন্ধকারে রয়ে থা তবে আগামী দিনে বাংলার রসগোল্লার ইতিহাসটাই মানুষের মনথেকে মুছে যাবে।সেটা যাতে না হয় তাই এদিন খুদে পড়ুয়াদের বোঝানো হয়।

নভেম্বর ১৫, ২০২২
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানের জঙ্গলমহলে উদ্ধার ১৪ টি তাজা বোম

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে চাঞ্চল্য ছড়ালো পূর্ব বর্ধমানের জঙ্গলমহলে। পুলিসের খানা তল্লাসিতে আউসগ্রামের দক্ষিণ মাঠপাড়া থেকে উদ্ধার হয় ১৪ টি তাজা বোম। গত রবিবার রাতে একটি বোমা ফেটে যাওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। স্থানীয়রা জানতে পারেন এলাকায় বোম রয়েছে। তাঁরা খবর দেয় আউশগ্রাম থানায়। বোমগুলি উদ্ধার করার পর সোমবার রাত থেকে পুলিশ পাহারায় থাকার পর মঙ্গলবার সকালে সিআইডি বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডের একটি টিম গিয়ে বোমগুলি নিষ্ক্রিয় করে। এই ঘটনায় একজন গ্রেফতার হয়েছে। ধৃতের নাম সৌমিত্র বাগদি।

নভেম্বর ১৫, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমান শহরে অস্ত্রসহ এক দুস্কৃতিকে গ্রেফতার

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার গভীর রাতে বর্ধমানের গুডশেড এলাকা থেকে অস্ত্রসহ এক দুস্কৃতিকে গ্রেফতার করলো বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃতের নাম আলী হোসেন, সে অসমের বাসিন্দা। ধৃতের কাছ থেকে একটি রিভালবার ও এক রাউণ্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ধৃত আলী হোসেন অস্ত্র বিক্রির উদ্দেশ্যে বর্ধমানে এসেছিল। মঙ্গলবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। সাত দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।

নভেম্বর ১৫, ২০২২
রাজ্য

রাষ্ট্রপতিকে কটু মন্তব্যের প্রতিবাদে এবার গান বেঁধে রাস্তায় নামলেন বাউল স্বপন দত্ত

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে কটু মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এবারে গান বেঁধে রাস্তায় নামলেন বাউল স্বপন দত্ত। আজ সকাল থেকে মন্ত্রী অখিল গিরির ওই মন্তব্যের প্রতিবাদ ও শাস্তির দাবি জানিয়ে নিজের গান গেয়ে বেড়ান স্বপন। তার কথায়; রাষ্ট্রপতি একজন সম্মানজনক মানুষ। তাকে অসম্মান দেশকে অসম্মান। তাই আর থাকতে না পেরে পথে নেমেছেন তিনি।যে কোন মহিলার অসম্মানে তিনি সরব হয়ে থাকেন।স্বপন দত্ত একজন লোকশিল্পী। বিভিন্ন ফর্মে তিনি নানা শিল্পের সাথে যুক্ত। পেয়েছেন অনেক সম্মান। রাষ্ট্রপতি ও মুখ্যমন্ত্রী সহ অনেকের প্রশংসা পেয়েছেন। এর আগেও নানা বিষয়ে গান বেঁধেছেন স্বপন।

নভেম্বর ১৫, ২০২২
রাজ্য

নামি কোম্পানির নকল চাল পাচার করার অভিযোগে একটি চালবোঝাই লরি বাজেয়াপ্ত

একটি চালবোঝাই লরি বাজেয়াপ্ত করেছে পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার পুলিস। একটি নামি কোম্পানির ব্যাণ্ডেড নকল চাল লরিতে করে পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। বস্তায় অন্য কোম্পানির ছাপ মারা নকল চাল পাচারের অভিযোগে লরিটির চালককে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতের নাম কৃষ্ণগোপাল ঘোষ। কেতুগ্রাম থানা এলাকায় তার বাড়ি। পুলিস জানিয়েছে, রবিবার রাতে মাধবডিহি থানা এলাকার একটি রাইস মিল থেকে চাল লোড করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সন্দেহ হওয়ায় পুলিস সেটিকে আটকায়।চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিসের সন্দেহ হয়, একটি নামি কোম্পানির নকল চাল লরিতে করে পাচার করা হচ্ছিল। এর সঙ্গে বর্ধমান শহরের বাদামতলা এলাকার এক ব্যবসায়ী জড়িত। ধৃত চালককে সোমবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতের আইনজীবী জানান, চালকের পক্ষে কোনটি আসল চাল, আর কোনটি নকল চাল তা জানা সম্ভব নয়। মূল অভিযুক্তকে পুলিস ধরতে পারেনি। চালককে গ্রেপ্তার করে কোর্টে চালান করেছে।ধৃতকে হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদনও জানায়নি পুলিস। সরকারি আইনজীবী অবশ্য জামিনের বিরোধিতা করেন। দুপক্ষের সওয়াল শুনে মূল অভিযুক্ত ধরা না পড়া এবং ধৃত লরির চালক ও হেফাজতে নেওয়ার আবেদন না জানানোর কথা উল্লেখ করে তদন্ত শেষ না পর্যন্ত সপ্তাহে ৩ দিন তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরার শর্তে ধৃতের জামিন মঞ্জুর করেন সিজেএম।

নভেম্বর ১৫, ২০২২
রাজ্য

রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যর প্রতিবাদে বিক্ষোভ ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহল সহ চারটি আদিবাসী সংগঠনের

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদীর মুর্মূ কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যর প্রতিবাদে হাতে তীর ধনুক, তরোয়াল নিয়ে বিক্ষোভ দেখাল ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহল সহ চারটি আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা। সাত দিনের মধ্যে কারামন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে পশ্চিমবঙ্গ অচল করে দেওয়ার হুমকি।সোমবার বর্ধমান স্টেশন চত্ত্বর থেকে মিছিল সহকারে আন্দোলনকারীরা কার্জনগেট চত্ত্বরে আসে। রাস্তায় বসে সেখানে চলে বিক্ষোভ। তাদের দাবি অবিলম্বে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরিকে পদত্যাগ করতে হবে। এই বিক্ষোভ স্থল থেকে আন্দোলনকারীরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান, কারামন্ত্রীকে দ্রুত গেফতার করার। কারা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে পশ্চিমবঙ্গ অচল করে দেওয়া হবে হুমকি দেন আন্দোলনকারীরা। গ্রেফতারের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে তারা। রয়েছে সাত দিনের মধ্যে গ্রেফতার করার হুঁশিয়ারি। এই আন্দোলনে ভারত জাকাত মাঝি পরগণা মহল ছাড়াও উপস্থিত ছিল আসেকা পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতি, বর্ধমান জেলা জাহেরের সদস্যরা। বিক্ষোভ শেষে আন্দোলনকারীরা জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন জমা দেয়। এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেকারণে যথেষ্ট পরিমানে পুলিশ মোতায়েন ছিল কার্জনগেট চত্ত্বরে।

নভেম্বর ১৪, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে পার্টি অফিসে তালা, শিকেয় নাগরিক পরিষেবা

শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের শিকেয় নাগরিক পরিষেবা। তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর অথচ তাকেই বাধা। তাকেই দলীয় কার্যালয়ে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ পুরমাতার। তিনি যাতে কার্যালয়ের ভিতরে বসতে না পারেন তারজন্য কার্যালয়ের মেন গেটে পড়লো তালা। অগত্যা বাধ্য হয়েই কার্যালয়ের সামনেই রাস্তার আলোতে চেয়ার টেবিল পেতে ওয়ার্ডের নাগরিকদের পরিষেবা দিলেন কাউন্সিলর। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় বর্ধমান পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কালনাগেট ভদ্রপল্লীর এই ঘটনায় শহরে চাঞ্চল্য ছড়ায়।৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিমরন বাল্মিকীর অভিযোগ,প্রতিদিনই অফিস খোলা থাকে, তাস খেলা হয়। তাদের কে আমি তাস খেলা বন্ধ করতে বলেছিলাম, এসব নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলাম, তাই দলীয় কার্যালয় বন্ধ করে রেখেছে। নাম না করে দলীয় কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধেই তিনি ক্ষোভ উগড়ে দেন।এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী বাবলু ঘোষ বলেন, প্রতিদিনই সন্ধ্যায় পার্টি অফিস খোলা হয়। শনিবারও খোলা হয়েছিল। আমি সকালে চাবি চাইলে বলা হয় চাবি নেই। বিজেপি বর্ধমান জেলা কমিটির মুখপাত্র সৌম্যরাজ ব্যানার্জী বলেন, পুরোটাই টাকার খেলা। মূলত তোলাবাজি নিয়ে ওয়ার্ডের স্বঘোষিত তৃণমূল নেতা শিবশংকর ঘোষের সঙ্গে কাউন্সিলরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এসব হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।

নভেম্বর ১৪, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 32
  • 33
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিনোদুনিয়া

শেষ জন্মদিনে স্ত্রীর কান্নাভেজা পোস্ট! ‘জন্মজন্মান্তরে আমাদের গল্প লিখব…’ জুবিনকে গরিমার শেষ চিঠি

প্রয়াণের পর প্রথম জন্মদিন। আজ ৫৩ বছরে পা দিতে পারতেন জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গ। তাঁর অকালমৃত্যুর ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি কেউইবিশেষত অসমের মানুষ। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া। স্বামীর জন্মদিনে অদেখা একগুচ্ছ ছবি সোশালে পোস্ট করে আবেগে ভাসলেন তিনি। ছবির ক্যাপশনে লিখলেনজন্মজন্মান্তরে আমি আমাদের কাহিনী লিখে যাব। ভালো থেকো জুবিন। সেই কয়েকটি লাইনে যেন গরিমার মনের সব কথা ফুটে উঠল। শুধু স্ত্রী নন, জীবনের বহু লড়াইয়ে জুবিনের সবচেয়ে কাছের বন্ধু, ছায়াসঙ্গীও ছিলেন গরিমা।গত মাসেই জুবিনের শেষ সিনেমা রই রই বিনালের মুক্তির জন্য নিরন্তর লড়াই করেছিলেন গরিমা। একদিকে গায়কের মৃত্যুর রহস্য নিয়ে যখন অসম জুড়ে ক্ষোভ আর বিক্ষোভ, তখন সেই চাপের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তবুও শেষ কাজটি স্বামীর নামে সম্পূর্ণ করার জেদ ছাড়েননি তিনি।জন্মদিনে প্রিয় বন্ধুর স্মৃতিতে ডুবে গেলেন সঙ্গীত পরিচালক জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। সোশালে তিনি লিখলেন, শুভ জন্মদিন আমার প্রিয় বন্ধু। কিছু মানুষ কখনও আমাদের ছেড়ে যান না, সঙ্গেই থেকে যান। তুমি তেমনই। তোমার সুরে তুমি বেঁচে থাকবে। তোমাকে আজ খুব মনে পড়ছে।জুবিনের মৃত্যু নিয়ে রহস্য এখনও কাটেনি। সিঙ্গাপুরে নর্থ ইস্ট ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে গিয়ে ঘটে যায় বিপদ। স্কুবা ডাইভিং করার সময় হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। পরদিনই ছিল তাঁর পারফরম্যান্স, কিন্তু তার আগেই হারিয়ে গেলেন অসমের তারকা। আজ তাঁর জন্মদিনে সেই ঘটনাই নতুন করে কষ্ট দিচ্ছে অনুরাগীদের। মনে পড়ছে গায়কের হাসি, গান আর অকৃত্রিম মায়াভরা উপস্থিতি।আজকের দিনটা তাই শুধুই জন্মদিন নয়অসমের মানুষের কাছে আজ স্মরণ, বেদনা আর গভীর ভালোবাসার দিন। জুবিন নেই, কিন্তু তাঁর সুর, তাঁর গল্প, তাঁর স্মৃতি আজও ভেসে বেড়ায় অনুরাগীদের হৃদয়ে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

“জেডিইউ ২৫ পার করলে সন্ন্যাস”—নিজের ভবিষ্যদ্বাণী ভুল প্রমাণিত, এবার নীতীশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ পিকে’র

বিহার নির্বাচনের আগেই প্রশান্ত কিশোর ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, জেডিইউ যদি ২৫টির বেশি আসন পায় তবে তিনি সন্ন্যাস নিয়ে নেবেন । কিন্তু সেই ভবিষ্যদ্বাণীকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করে এনডিএ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে আর জেডিইউ এককভাবে জিতেছে ৮৫টি আসন। বিপরীতে পিকে গঠিত জন সুরজ পার্টির ঝুলিতে এসেছে বিশাল শূন্য। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভ-অসন্তোষে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন দেশের অন্যতম ভোট-কুশলী।সাংবাদিকদের প্রশ্নে নিজের সন্ন্যাস সংক্রান্ত মন্তব্য থেকে কার্যত পিছিয়ে এসে পিকে বলেন, তিনি কোনও রাজনৈতিক পদে নেই, তাই পদত্যাগ বা সরে দাঁড়ানোর প্রশ্নই ওঠে না। হার সত্ত্বেও তিনি বিহারেই থাকবেন, বিহারের গ্রাম-শহরেই ঘুরে বেড়াবেন। হাসিমুখে দাবি করেন, তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীর দ্বিতীয় অংশ অন্তত ঠিক হয়েছে, জন সুরজ যে হয় শীর্ষে থাকবে, নয়তো একেবারে নিচেঠিকই তাই হয়েছে, কারণ শূন্য আসন মানেই নিচে পৌঁছনো।কিন্তু হাসির আড়ালে লুকিয়ে ছিল তীব্র ক্ষোভ। সরাসরি নীতীশ কুমারের দিকে আঙুল তুলে পিকে অভিযোগ করেন, বিহারে টাকা বিলি করে ভোট কেনা হয়েছে। তাঁর দাবি, নির্বাচনের ঠিক আগে মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনার নামে মহিলাদের কাছে ১০ হাজার টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল ভোট প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে। তিনি বলেন, কোনও উন্নয়ন প্রকল্পে এমন তড়িঘড়ি টাকা দেওয়ার নজির নেই, তাই এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভোট-লেনদেন ছাড়া আর কিছু নয়।প্রশান্ত কিশোর এখানেই থামেননি। তিনি নীতীশকে নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যদি ছমাস পর মহিলাদের হাতে ২ লক্ষ টাকা করে প্রকৃত অর্থে তুলে দেওয়া হয়, তবে তিনি শুধু রাজনীতি নয়বিহার রাজ্যটাই ছেড়ে দেবেন। তাঁর কথায়, ভোট কেনার জন্যই সরকারি প্রকল্পের নাম করে নগদ টাকা বিলি করা হয়েছে।জন সুরজের লজ্জার হারের দায়ও নিজের কাঁধে নিলেন পিকে। তিনি স্বীকার করেন, সততার সঙ্গে লড়াই করলেও তারা মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে, ফলে হারটাকে মেনে নিতে আপত্তি নেই। নির্দেশিত ২৩৮টি আসনে লড়াই করে ২৩৬টিতেই জন সুরজের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তবুও ভোট শতাংশের হিসেবে তারা বিএসপি, সিপিআই-এমএল, মিমসহ বেশ কিছু দলের থেকে বেশি ভোট পেয়েছে এবং ৩.৪ শতাংশ ভোট দখল করায় পিকে তা ভবিষ্যতের সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন।এত বড় রাজনৈতিক ধাক্কার পরও প্রশান্ত কিশোরের লড়াই থামছে না, বরং নতুন অভিযোগ, নতুন চ্যালেঞ্জে বিহারের রাজনীতিতে নতুন অস্থিরতা তৈরি হয়েছে বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
বিদেশ

হাসিনার অনুপস্থিতিতেই মৃত্যুদণ্ড? রাষ্ট্রসংঘের কড়া প্রশ্ন বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থাকে

জুলাই বিক্ষোভে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, সেই রায়ের বিরুদ্ধে এবার সরব হল রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন। আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠছেএই বিচার কি আদৌ ন্যায়সঙ্গত? সব মিলিয়ে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে তৈরি বিচারব্যবস্থা ও তাঁর ক্যাঙারু আদালত বলতে শুরু করেছেন অনেকেই। কারণ, আদালত ঘোষণার আগেই যেন স্ক্রিপ্ট লিখে ফেলা হয়েছিলহাসিনা ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ফাঁসির সাজা।রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের মুখপাত্র রবিনা সামদাসানি এক বিবৃতিতে জানান, এই রায় নিয়ে তাদের গভীর উদ্বেগ রয়েছে। তাঁর কথায়, গত বছরের বিক্ষোভ দমনের সময় যে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল, সেই ঘটনার সঠিক বিচার অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশের আদালতের বিচারপ্রক্রিয়া সম্পর্কে রাষ্ট্রসংঘের হাতে যথেষ্ট তথ্য নেই। তবুও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিচার হওয়া উচিতএটাই তাঁদের বার্তা।রবিনা আরও বলেন, অভিযুক্ত শেখ হাসিনা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। অনুপস্থিতিতেই তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রসংঘ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়যে পরিস্থিতির মধ্যেই হোক না কেন, তারা এমন বিচারকে সমর্থন করে না। তাঁদের আশা, বাংলাদেশ সত্যিকারের ন্যায়বিচারকে গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি সামলাবে।রাষ্ট্রসংঘের পাশাপাশি হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থার মহাসচিব অ্যাগনেস কালামার্ড একেবারে সরাসরি মন্তব্য করেছেনজুলাই বিক্ষোভের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সত্যিই ভয়াবহ ছিল, কিন্তু সেই অপরাধের বিচার হতে হবে সুষ্ঠুভাবে। এই বিচারপক্রিয়া না সঠিক, না আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে হয়েছে। তাঁর কথায়, মৃত্যুদণ্ড এমনিতেই অত্যন্ত নিষ্ঠুর, অমানবিক ও অপমানজনক শাস্তি। আধুনিক কোনও ন্যায়বিচার ব্যবস্থায় মৃত্যুদণ্ডের জায়গাই নেই।সব মিলিয়ে, আন্তর্জাতিক সমাজের একাংশের চোখে পুরো বিচার ব্যবস্থাটাই এখন প্রশ্নের মুখে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেই এই রায় আরও অস্থিরতা বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
কলকাতা

পুর নিয়োগ দুর্নীতি: ইডির জালে এবার মন্ত্রীর মেয়ে! জানুন কী কী প্রশ্ন ঝুলছে

পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের গতিবেগ আরও তীব্র করল ইডি। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর মেয়ে মোহিনী বসু মঙ্গলবার দুপুরে সল্টলেকের ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবীও। ঠিক তার আগের দিনই সুজিত বসুর জামাইকে কয়েক ঘণ্টা জেরা করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফলে আজ মোহিনীর জিজ্ঞাসাবাদ ঘিরে তৈরি হয় বিশেষ আগ্রহ।এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইতিমধ্যেই কলকাতার নানা জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। তল্লাশি চলে মন্ত্রী সুজিত বসুর সল্টলেকের বাড়িতে, তাঁর অফিসে এবং তাঁর ছেলের রেস্তরাঁতেও। এই দীর্ঘ তল্লাশিতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ নগদও পায় ইডি। তার পর থেকেই তদন্তের ফোকাস পরিবারে কার কী ভূমিকায় পড়েছে সেই দিকেও ঘুরে যায়।গত সপ্তাহেই মন্ত্রীর স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাকে তলব করে পাঠায় ইডি। তাঁদের সবার কাছে চাওয়া হয়েছিল ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত নথি, ঋণের তথ্য এবং আর্থিক লেনদেনের ডকুমেন্টস। সেই নির্দেশ মেনেই মঙ্গলবার দুপুরে ইডির দপ্তরে হাজির হন মোহিনী বসু। তাঁর সঙ্গে বেশ কিছু নথিও ছিল বলে সূত্রের দাবি।হাজিরা দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। প্রায় কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলেই ইডি সূত্রে খবর। তদন্তকারীদের দাবিপুর নিয়োগ দুর্নীতি থেকে যে টাকা উঠেছিল, তা কোথায় কোথায় বিনিয়োগ হয়েছে, কোন কোন ব্যবসায় ব্যবহার করা হয়েছে, বিশেষত হোটেল ও রেস্তরাঁ ব্যবসায় কোনও অর্থ ঢুকেছে কি নাতা খতিয়ে দেখতেই মন্ত্রীকন্যাকে তলব করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থেই তাঁর সঙ্গে থাকা নথিগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।ইডি মনে করছে, এই দুর্নীতির টাকায় একাধিক লেনদেন হয়েছে, এবং পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্টে তার ছাপ থাকতে পারে। তাই তদন্তে এই জিজ্ঞাসাবাদকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

নকশাল দমন অভিযানে ঐতিহাসিক সাফল্য! নিহত কুখ্যাত মদভি হিদমা ও তার স্ত্রী

ভারতের নকশালবিরোধী অভিযানে বড় সাফল্য। দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তাবাহিনীর মাথাব্যথার কারণ হওয়া শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডার মদভি হিদমা অবশেষে নিহত। অন্ধ্রপ্রদেশের আল্লুরী সীতারামারাজু জেলার গভীর জঙ্গলে সোমবার ভোরে তুমুল বন্দুকযুদ্ধের মধ্যেই শেষ হয় দেশের সবচেয়ে কুখ্যাত নকশাল নেতাদের এক জনের অধ্যায়। হিদমার সঙ্গে তার স্ত্রী রাজে ওরফে রাজাক্কাসহ মোট ছয় মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহতদের মধ্যে আরও আছেন চেল্লুরি নারায়ণ ওরফে সুরেশ, এসজেডসিএম এবং টেক শঙ্কর।ঘটনাস্থল মারুদ পল্লি। পশ্চিম গোদাবরী জেলার গভীর অরণ্যের এক এমন জায়গা, যেখানে ছত্তীসগড়, তেলঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের সীমানা মিলেছে। স্থানীয় সময় সকাল প্রায় ছটা। ঘন জঙ্গলের নিস্তব্ধতা ভেঙে গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে তিন রাজ্যের মিলনসীমা। বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তাকর্মীরা রাতে থেকেই ওই এলাকায় কম্বিং অপারেশন শুরু করেছিলেন। জঙ্গলের ভেতরে মাওবাদীরা ক্যাম্প গেড়েছেএমন তথ্য পাওয়ার পরই যৌথ বাহিনী অভিযানে নামে। মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হতেই দুপক্ষের মধ্যে টানা গুলির লড়াই চলে। সংঘর্ষ থামার পর ধীরে ধীরে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে হিদমাসহ ছয়জনের নিথর দেহ।পুলিশ জানিয়েছে, অভিযান এখনও চলছে। জঙ্গলের ভেতর আরও মাওবাদী লুকিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ। তবে সবচেয়ে বড় খবরমদভি হিদমার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ায় নিরাপত্তাবাহিনী ও গোয়েন্দা মহলে স্বস্তির হাওয়া। ১৯৮১ সালে ছত্তীসগড়ের সুকমায় জন্ম হিদমার মাথার দাম ছিল ৫০ লক্ষ টাকা। সিপিআই (মাওবাদী)-র সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে একসময় তার নাম প্রথম সারিতে ছিল। কমপক্ষে ২৬টি বড় হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে বহু বছর ধরে তার সন্ধানে ছিল দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা। কয়েকটি রাজ্যের সীমান্তজুড়ে তার টিমের ত্রাসের জন্য তাকে ধরা প্রায় অসম্ভব বলে মনে করা হত। এবার সেই অধ্যায় শেষ।এই অভিযানের পরে গোটা অঞ্চলেই নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। গ্রামবাসীদের নিরাপদ স্থানে সরানো হচ্ছে। পুলিশ সূত্রের দাবি, এ অপারেশন নকশাল নেটওয়ার্কে বড় ধাক্কা দেবে এবং আগামী দিনগুলোতে আরও একাধিক জঙ্গলের গভীরে একই ধরনের অভিযান চালানো হতে পারে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

২৫ জায়গায় একযোগে তল্লাশি, জেরা চেয়ারম্যান— আল ফালাহ নিয়ে কেন এত সন্দেহ?

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই নতুন নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলছে। এবার সরাসরি তদন্তকারীদের নজর গিয়ে পড়ল ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। মঙ্গলবার সকাল হতেই ইডি দিল্লির অফিসে হানা দিয়ে শুরু করে তল্লাশি। শুধু দিল্লি নয়, আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত মোট ২৫টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালাচ্ছেন আধিকারিকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকির বাড়িতেও পৌঁছে যায় ইডি। সেখানেই তাঁকে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নে জেরা করা হচ্ছে বলে খবর।আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে পিএমএলএ আইনে মামলা রুজু হয়েছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক লেনদেনের বড় অংশই পরিষ্কার নয়। এমনকী কিছু টাকা বেআইনি কাজে বা জঙ্গি তৎপরতার চক্রে ঢুকে গিয়েছে কি না, সেদিকেও নজর দিচ্ছে ইডি। কারণ বিস্ফোরণকাণ্ডে ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক চিকিৎসকের নাম উমর-উন-নবি, ডক্টর মুজাম্মিল, ডক্টর শাহীন সইদসহ আরও কয়েকজন। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, এই চিকিৎসকদের অ্যাকাউন্টে যে মোটা অঙ্কের লেনদেন ধরা পড়েছে, তা কোনওভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে গেছে কি না। যদি গিয়ে থাকে, তা কী উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল, তারও উত্তর খুঁজছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।শুধু ইডিই নয়, আলাদা ভাবে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশের আর্থিক দুর্নীতিদমন শাখা। অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থাও পরিস্থিতি খুব কাছ থেকে নজর রাখছে। ফলে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে একের পর এক প্রশ্ন আরও ঘনীভূত হচ্ছে।দিল্লির লালকেল্লার সামনে ১০ নভেম্বর ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তদন্তে নেমেছে এনআইএ। তারই মাঝেই বিশ্ববিদ্যালয়-সংক্রান্ত আর্থিক যোগসূত্র সামনে আসায় তদন্তকারীদের সন্দেহ আরও গভীর হয়েছে। বিস্ফোরণের পরবর্তী তদন্ত এখন একেবারে নতুন দিকের দিকে মোড় নিচ্ছে, এবং তাতে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা এখন তদন্তের কেন্দ্রে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ফর্ম না–পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ, পূর্ব পুটিয়ারিতে বৃদ্ধার মৃত্যুর পর আলোচনায় প্রশাসনিক বিভ্রান্তি

কলকাতার পূর্ব পুটিয়ারিতে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগতে থাকা এক বৃদ্ধা আগুনে পোড়া অবস্থায় প্রাণ হারালেনএমনই দাবি করেছেন তাঁর পরিবার। মৃতার নাম যমুনা মণ্ডল, বয়স ৬৭। পরিবার জানিয়েছে, বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এলাকায় ভোটার এনুমারেশন ফর্ম বিলি হচ্ছিল। আশপাশের বাড়িগুলিতে ফর্ম পৌঁছোলেও তাঁদের বাড়িতে পৌঁছায়নি। সেই কারণেই যমুনা দেবী অস্বাভাবিক আতঙ্কে ভুগছিলেন।যমুনার ছেলে মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল বলেন, তাঁর মায়ের আগে থেকেই স্নায়ুর সমস্যা ছিল। ফর্ম না পাওয়ায় উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়। গত শনিবার তাঁরা অবশেষে এনুমারেশন ফর্ম পান। কিন্তু তাতেও যমুনা দেবীর ভয়ের অবসান হয়নি বলে দাবি পরিবারের। সোমবার সকালে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।এদিকে দক্ষিণ দমদম থেকেও সামনে এসেছে আর-একটি মর্মান্তিক ঘটনা। সেখানকার আরএন গুহ রোডের বাসিন্দা বৈদ্যনাথ হাজরা, বয়স ৪৬, কয়েকদিন ধরে এসআইআরসংক্রান্ত দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, বৈদ্যনাথ বাবুর ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল নাএই বিষয়টি তাঁকে মানসিকভাবে অস্থির করে তুলছিল। দুদিন আগে গভীর রাতে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তাঁর মোবাইল ফোন বাড়িতেই পড়ে ছিল। পরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। আজ তাঁর দেহ উদ্ধার হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, এসআইআরনিয়ে তৈরি হওয়া ভয়ই তাঁকে চরম পদক্ষেপে ঠেলে দিয়েছে।এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভয় ও বিভ্রান্তির অভিযোগ উঠছে। এই ঘটনাগুলিকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে দায়ী করেছে। আবার বিজেপির অভিযোগ, আতঙ্ক ছড়িয়ে ভোট রাজনীতি করছে রাজ্যের শাসকদলই।ঘটনাগুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠেছে। কিন্তু দুই পরিবারের মর্মান্তিক ক্ষতি পাহাড়প্রমাণ প্রশ্ন তুলছেএসআইআরসম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে এত ভয় ও বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে কেন, এবং এই আশঙ্কা দূর করতে প্রশাসনের আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন কি না।(মানসিক চাপ বা সংকটে থাকলে যেকোনও সময় কিরণ ১৮০০-৫৯৯-০০১৯ হেল্পলাইনে সাহায্য পাওয়া যায়।)

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

দিল্লি বিস্ফোরণের আগেই ‘সুইসাইড বোমার’ হওয়ার প্রস্তুতি! জেরায় ফাঁস দানিশের চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি

দিল্লি বিস্ফোরণ-কাণ্ডে নয়া মোড়। আত্মঘাতী হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেনএমনই সন্দেহে পাকড়াও করা হল উমরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জাশির বিলাল ওয়ানিকে, যাঁকে দানিশ নামেই চিনত গোটা শ্রীনগর। এনআইএ-র একটি বিশেষ দল গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে প্রথমে তাঁকে শ্রীনগরেই আটক করে। পরে জেরা চলতে থাকতেই উঠে আসে বিস্ফোরণের দিনেদুজনের ভূমিকাসহ একাধিক চমকে দেওয়া তথ্য। দিন তিনেক আগে অনন্তনাগে গোপনে লুকিয়ে থাকা দানিশকে পাকড়াও করা হয়। তদন্তকারীদের মতে, দিল্লি বিস্ফোরণের পরিকল্পনা টেবিলে বসেই উমরের সঙ্গে মিলিতভাবে তৈরি করেছিলেন তিনি। শুধু পরিকল্পনাই নয়আত্মঘাতী হামলায় অংশ নেওয়ার জন্য মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করছিলেন দানিশ নিজেও। শেষ মুহূর্তে কোনও অজানা কারণে সেই সিদ্ধান্ত আর বাস্তবায়িত হয়নি। কিন্তু তার আগেই হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় শ্রীনগরের এই যুবক।তদন্তকারীদের কাছে দানিশ স্বীকার করেছেন, কাশ্মীরের একটি মসজিদে উমরের সঙ্গে প্রথম আলাপ। সেখান থেকেই সম্পর্ক ঘনিয়ে ওঠে। উমরের প্রভাবেই তাঁর মনে জিহাদের পথে পা বাড়ানোর ইচ্ছা জন্মায়। ধীরে ধীরে আত্মঘাতী হামলার জন্য নিজের মনকে তৈরি করতে শুরু করেন তিনি। তদন্তকারীরাও বিস্মিতকারণ দানিশ বুদ্ধিমত্তায় ও প্রযুক্তিগত দক্ষতায় অত্যন্ত চৌকস। ড্রোন, রকেট-লঞ্চারের মতো জটিল অস্ত্র তৈরি করতে তাঁর দক্ষতার কথাও উঠে এসেছে জেরায়। এমনকি, দিল্লি বিস্ফোরণের জন্য ব্যবহৃত মারাত্মক বিস্ফোরক তৈরিও দানিশই নাকি করেছিলেন, যা পরে তিনি তুলে দেন উমরের হাতে।এখন দফায় দফায় জেরা চলছে। দানিশের কাছ থেকে বেরিয়ে আসছে বিস্ফোরণ-কাণ্ডের নেপথ্যের অজানা সুত্র। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আর-একটি পতন ঘটে দানিশের পরিবারের উপরছেলের বিরুদ্ধে জঙ্গি-যোগের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই মানসিক চাপে ভেঙে পড়ে তাঁর বাবা। বাড়ির মধ্যেই আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। গোটা এলাকায় নেমে আসে স্তব্ধতা ও শোকের ছায়া।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal